সেই বিশেষ দিনটার কথা সবসময়ই মনের পর্দা জুড়ে জ্বলজ্বল করে- রাত ৯টা, ১১জুন, ২০০৬। ছিলাম জার্মানির অন্যতম বৃহত্তম নগরী কোলোনের (Cologne) প্রায় নব্যনির্মিত স্টেডিয়ামে, গ্যালারী ভর্তি কানায় কানায় আর আমি সেই পয়ত্রিশ হাজার দর্শকের ভিড়ের অংশমাত্র। যে কোন মুহূর্তেই রেফারীর বাঁশির সাথে সাথেই বল গড়াবে মাঠে, তার আগেই চট করে আপনাদের জানিয়ে দিই কি করে পৌঁছালাম সেই মাহেন্দ্রক্ষণে।
২০০২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ সবে শেষ হয়েছে, প্রিয় দল ব্রাজিল শিরোপা জিতল পঞ্চমবারের মত, সেই বছরই উচ্চ শিক্ষার্থে পাড়ি জমালাম ইউরোপে, হাজার হ্রদের দেশ ফিনল্যান্ডে। তখন থেকেই মনের ভিতরে আশা, যেহেতু পরের বিশ্বকাপ চার বছরের বিরতি ভেঙ্গে ইউরোপেই অনুষ্ঠিত হবে, ২০০৬-এ জার্মানিতে, চেষ্টা চরিত করে, সব কিছু উল্টিয়ে দিয়ে হলেও যে করেই হোক খেলা দেখতেই হবে, বিশ্বকাপ ফুটবল বলে কথা!
ইন্টারনেটের মাধ্যমে একের পর এক টিকিটের জন্য দরখাস্ত করা শুরু হল, প্রতিবারই নির্দিষ্ট সময় পর উত্তর আসে টিকেটের আবেদন বিবেচনা করা সম্ভব হচ্ছে না নানা কারণে! মনের কোণে উৎসাহের বান কমে না কিছুতেই, চালিয়ে যেতেই থাকি অহর্নিশি চেষ্টা। উল্লেখ্য, সবসময়ই বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশের দর্শকদের জন্য সিংহভাগ টিকিট বরাদ্দ থাকে, আর জার্মানদের মত ফুটবল পাগল জাতির সবাই-ই যে কোন না কোন খেলার জন্য লম্বা লাইন দিবে এতো জানা কথা!
অবশেষে সুদীর্ঘ আড়াই বছরে অগণিতবার ফিফার ওয়েবপেজে দরখাস্ত পূরণের পর একবার তাদের কাছ থেকে স্বর্গীয় বাণী নিয়ে এক সম্মতিসূচক ইমেইল মিলল। কোলোনে অনুষ্ঠিতব্য একটি মাত্র খেলার টিকিট তারা আমাকে দিতে পারে কিন্তু তাতেও মহা ফ্যাঁকড়া, কোন কোন দেশের খেলা তা জানার কোন আগাম উপায় নেই , কারণ বিশ্বকাপের গ্রুপ ভিত্তিক সময়সূচি তখনও ঠিক হয় নি, অর্থাৎ তা হতে পারে মহা আরাধ্য ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার খেলা, আবার বিশ্বকাপের মানদন্ডে নেহাৎ জলো গ্রীস, জ্যামাইকার খেলা। কিন্তু টিকিট কাটতে হবে তখনই, অনেকটা অন্ধের মত, কার খেলা দেখতে এত হাজার মাইল পাড়ি দিব তা না জেনেই!
কিন্তু এই ইমেইল প্রাপ্তিও মহাদুর্লভ, আমার তিন জার্মান স্কুলবন্ধু সারাক্ষণ শাপশাপান্তই করে গেল কারণ বেচারাদের কপালে শিকে তখনও ছিঁড়ে নি। যা আছে কুল কপালে, নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভাল, ফিফার নিয়ম মোতাবেক ইন্টারনেটে কেটে ফেললাম টিকিট আর প্রতীক্ষায় থাকলাম গ্রুপ নির্বাচনের ড্র-য়ের, মনে বিশাল আশা খুব ভাল কোন দলের মনমাতানো খেলা দেখতে পারব। অবশেষে জানা গেল টিকিট পেয়েছি ইউরোপের ব্রাজিল খ্যাত পর্তুগাল আর আফ্রিকার নতুন শক্তি অ্যাঙ্গোলার খেলার। নেহাৎ মন্দ নয়, পর্তুগালের কাণ্ডারি তখন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লুই ফিগো, আছে ভবিষ্যতের বিশ্ব সেরা ক্রিস্টিয়ান রোনাল্ডো, সেনসেশন নুন গোমেজ, ভিত্তর বাইয়া আর কোচের দায়িত্বে আগের বিশ্বকাপ জয়ী বিগ ফিল- লুই ফিলিপ স্কলারি! অন্যদিকে পর্তুগালের সাবেক আফ্রিকান কলোনি অ্যাঙ্গোলা ততদিনে পরিশ্রমী আক্রমণপূর্ণ ফুটবল খেলে আফ্রিকার নতুন পরাশক্তি হিসেবে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে, কাজেই আশা করা যায় লড়াই হবে জম্পেশ।
এক খেলার টিকেট পেয়েই প্রস্তুত হয়ে গেল বিশাল পরিকল্পনা। বিমানে নয় গাড়ীতে চেপে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে যাব জার্মানিতে খেলা দেখতে, যাওয়া আসার পথে অন্যান্য দেশ পরিভ্রমণের সাথে সাথে জার্মানির বিশাল ভূখণ্ডের নানা নগরীতে ফুটবলপাগল জনতার সাথে মিশে চলবে আনন্দের অবগাহন। অবশেষে জুনের এক সন্ধ্যেয় ফিনল্যান্ডের উপকূলবর্তী শহর হানকো থেকে সমুদ্রপথে ২৪ ঘণ্টার ফেরী যাত্রা শুরু করে নামলাম জার্মানির রোস্টকে, সঙ্গী সিপু ভাই, অপু, মুরাদ। শুরু হল আমাদের ইউরোপের নয়টি দেশের অজস্র জনপদব্যাপী ৫০০০ কিলোমিটারের যাত্রা।
আবার ফিরে আসি কোলোনের স্টেডিয়ামে, ফিফা এবার টিকিটের কালোবাজারি রোধ করবার জন্য পইপই করে বলে দিয়েছিল পাসপোর্ট সাথে নিয়ে আসার জন্য, সেই সাথে প্রতিটি টিকেটের গায়েই ছিল প্রাপকের নাম মুদ্রণ করা। কিন্তু কোলোন মহানগরী তখন জনসমুদ্রের চলমান তরঙ্গে কম্পমান, স্টেডিয়ামের ভিতরে তো মাত্র পয়ত্রিশ হাজার, বাহিরে অন্তত দশ গুণ বেশী মানুষ! একদল শুকনো মুখে ঘুরাঘুরি করছে স্টেডিয়াম চত্বরে, সাথে বহন করা প্ল্যাকার্ডে লেখা- টিকিট। মানে মানে কোনমতে একটা টিকিট যদি কোনমতে জোগাড় করা যায়। আরেকদলের আবার চাক্ষুষ খেলা দেখার প্রতি কোন আগ্রহ নেয়, তারা আছে দলে-বলে ফাঁকা স্থানে রাখা বড় পর্দায় খেলা দেখার ফিকিরে, না হয় পানশালায় ইয়ারদের ভিড়ে জমজমাট আড্ডায় খেলা দেখতে। চারিদিকে তাকিয়ে মনে হল বিশ্বকাপের সময় সবাই-ই চটজলদি প্রাণের বন্ধু হয়ে যায়, কেউ নাম, কোন দেশ থেকে এসেছি এটুকুও জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজনীয়তা দেখায় না, শুধুমাত্র ফুটবল ভালবাস? ব্যস, এটুকুই যথেষ্ট, চলে এস আমাদের আড্ডায়, জমানো খেলা হবে।
স্টেডিয়ামের মূল ফটকে অন্যদের আপাতত বিদায় বলে পাসপোর্ট আর টিকেট ফিফার কর্মীদের দেখাতেই সহজে কি করে নিজ আসনে যেতে পারব তা বুঝিয়ে দিয়েই ব্যস্ত হয়ে গেল পরেরজনকে নিয়ে।
মাঠের মাঝে এক এলাহি ব্যাপার- দর্শক, সাংবাদিক, নিরাপত্তা রক্ষী গিজগিজ করছে আসমুদ্রহিমাচল কিন্তু এর মধ্যেই বজায় আছে জার্মান জাতির লৌহকঠিন শৃঙ্খলা। খুব সহজেই নিজের আসন খুজে, আয়েশ করে বসে মোবাইলে মেসেজ পাঠানো শুরু করলাম বন্ধুদের বিশ্বের সব প্রান্তে। লিখে পাঠাচ্ছি- অমুক গ্যালারীতে গোলকিপারের পিছনে ডান দিকের সারিতে বসে আছি এক কোণে, পরনে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি, গায়ে জড়ানো বাংলার লাল-সবুজ পতাকা, হাতে ফিনল্যান্ডের ক্ষুদে নীল-সাদা পতাকা, টিভির পর্দায় চোখ পড়লেই যেন সবাই বুঝতে পারে সেই-ই আমি ! যদিও সেই সম্ভাবনায় শুরুতেই মনে হল গুড়ে বালি, কারণ মাঠ ভর্তি পর্তুগালের পতাকা, যার রঙ লাল ও সবুজ, সেই ভিড়ে কি বাংলার পতাকা আলাদা ভাবে খুজে নেবে টিভি ক্যামেরা, দেখা যাক। তার উপর এমনিতেই সাথে নেই কোন বৈচিত্রময় প্ল্যাকার্ড, মুখে নেই রঙ ঝলমলে আঁকিবুঁকি।
খেলা শুরু হতে যাচ্ছে, রেফারীর বাঁশি বাজল বলে, এই সময় গোটা গ্যালারী জুড়ে হাজার হাজার ক্যামেরার ফ্লাশের ঝিলিক, যেন মাঠের প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে প্রকাণ্ড রূপোলী জোনাকির ঝাক। আহা, এমন মুহূর্ত কেবলমাত্র দেখে এসেছি টিভির পর্দায়, কেমন স্বপ্ন স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে সবকিছুই। ফ্লাড লাইটের আলোর বন্যায় ভেসে গেছে বিশ্ব চরাচর, হাজারও ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক শব্দ, রক্তে উম্মাদনা জাগানো দর্শকের উল্লাস ধ্বনি, বিদ্যুৎগতিতে চলছে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। কেমন করে কলম দিয়ে প্রকাশ করি সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অনুভূতি! বিশ্বকাপ ফুটবল বলে কথা, গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ!
বিরতিসহ দুই ঘণ্টা কেটে গেলে চোখের পলকে। এক নিমিষে চলে গেল জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা, চোখ মেলে দেখলাম কোচের জায়গায় দাড়িয়ে স্কলারির খবরদারি, রোনাল্ডোর ব্যর্থ গোলপ্রচেষ্টা, লুই ফিগোর নিখুঁত ডিফেন্স চেরা পাস। খেলার ফলাফল- তুখোড় ফুটবল নৈপুণ্য দেখিয়েও অ্যাঙ্গোলার এক গোলে হার, খেলার চার মিনিটের মাথায় পর্তুগালের পলেতা করেন খেলার একমাত্র গোলটি।
বারকয়েকই মনে হল জেগে থেকে স্বপ্ন দেখছি না তো? কেমন যেন দেহ-মন অবশ করা ঘোর লাগা অপার্থিব অতি ভাললাগার অপার অনুভূতি। সেই সুখক্ষণ নিয়েই জনতার সারিতে মিশে গেলাম খেলা শেষে।
চুপিচুপি জানিয়ে রাখি, এরপরেও বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চে উপস্থিত থেকে খেলার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলে ছিল অনেকগুলো টিকিট, ব্রাজিলের সবগুলো খেলার তো বটেই, সেই সাথে আর্জেন্টিনার খেলারও! মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখেছি উত্তর কোরিয়ার সাথে মাইকনের জাদুকরী গোল, লিওনেল মেসির পায়ের কারুকার্য, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হিগুয়েনের হ্যাট্রিক,ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনাকে, দিদিয়ের দ্রগবার বল নিয়ে দুর্দান্ত টান, কাকার লাল কার্ড দর্শন, স্নাইডার, রবিনহো, ফ্যাবিয়ানো, রোবেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর গোল।বিশেষ করে ম্যারাডোনা এবং বাংলার পতাকা একই ফ্রেমে বন্দী করতে পেরে দারুণ লেগেছিল
কিন্তু সেই গল্প অন্য কোনদিন, অন্য কোনখানে।
মন্তব্য
আপনারে হিংসা করতে চাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আরে না, এই জীবন তো পদ্মপাতার জল, হিংসা কিসের। আপনের লেখাগুলো পড়েছি, নিরক্ষরতা নিয়ে লেখাতে শীঘ্রই রেফারেন্স হিসেবে দিব কিউবা নিয়ে লেখা একটা পোস্টে।
facebook
আপনি কতগোলো দেশ ঘুরেছেন ভাই!!!!!!
গুনি নাই রে ভাই, কি দরকার !
facebook
না মানে, আপনার যতগোলো দেশ দেখার ভাগ্য হয়েছে, আমার ততগোলো গ্রামও দেখা হয়েছে কিনা মিলায়ে দেখতাম আর কি!!!
আরে ভাই আসলে তো আমাদের সবাই দেশ একটাই- পৃথিবী নামের গ্রহটা।
facebook
হুম। সারা দুনিয়া টো টো করে বেড়ান ক্যামনে?
এমনেই, টো টো করে!
facebook
ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে ২০১০ এর বিশ্বকাপের স্মৃতিই আপনার কাছে বেশি উজ্জ্বল হবে !! তা না দিয়ে কী না ০৬' নিয়ে লিক্লেন
... আপনে হিংসার উর্ধ্বে চলে গেসেন মিয়া !!
হে হে, বুঝলেন না, ২০০৬ এ যে ১ম বারের মত গেলাম, ১ম বারের একটা ব্যাপার আছে না। আর সেইবার খেলার কোন ছবিও পাই নি~!
facebook
অণু তারেকের ব্যাঞ্চাই!
---------------------
আমার ফ্লিকার
facebook
অণু তোমার এখন একটা অ্যাপোলো তাবিজ দরকার, নাইলে হিংসার ধাক্কা সামলানো মুশকিল হবে, কারণ আমার থিকাও এক ঝুড়ি হিংসা থাকলো।
ব্যাপার না দাদা, কামরূপ না গেলেও সেখানকার একটা মন্ত্রসিদ্ধ তাগা আছে মনের মাঝে আর তিব্বতে ফেরত তান্ত্রিকের রহুচন্ডালের হাড় আছে পাঁজরে, সব মুস্কিল আসান
facebook
ভেবেছিলাম আপনি নয়া নয়া ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন। এই পোস্ট দেখে সে ভুল ভাঙলো। আসলে আপনার এই বিশ্বভ্রমণের শুরুটা কবে ভাই?
জন্ম থেকেই ! চিন্তা করেন না, খুব তাড়াতাড়িই বিশাল ভ্রমণ আসছে। তবে এই পোষ্ট তা যে ট্যুর নিয়ে লিখেছি সেটা একটা মাইলস্টোন আমার ভ্রমণের ক্ষেত্রে।
facebook
অনু ভাই...।।
এমনিতেই গ্যাসের অভাব...।।
দয়া কইরা এমনে আর ঈর্ষার আগুনে জ্বালায়েন না......।
রান্না হলে গ্যাস নিভায়ে রাখ, অপচয়ের দরকার নায়। এই করতে যেয়েই তো গ্যাস ফুরাইছে
facebook
তারেক ভাই আপনে একখান কপাল নিয়া জন্মাইসেন বটে...এই এক পৃথিবী মনে হয় আপনার জন্যে অনেক ছোট হয়ে গেসে...
অতীত
পৃথিবী অনেক অনেক বড় রে ভাই, আমাদের কল্পনার চেয়েও অনেকককক বড় ! কপাল আর কি, সেটা বলে তো কিছু থাকার কথা না !! চলুক যেভাবে চলছে==
facebook
সবাই একই কথা কইবে, আমিও কইলাম ,'হিংসা'
আরে না, সবাই অন্য কথা বলছে!
facebook
আপনি... !!!##@&*!&%৳!@#!৳
ভাষা বুঝি নাই, দাদা !!!
facebook
এরপরের বিশ্বকাপে কিন্তু আমরা ষষ্ঠবারের মত কাপ নিয়ে নেব, কি বলেন ভাই উড়ন্তঘুড়ি কি অদ্ভূত একটা জীবন কাটাচ্ছেন, হিংসে নয়, শ্রদ্ধা আর নিপাট অহংকার কাজ করে আপনাকে নিয়ে। আপনার সাথে একদিন কোলাকুলি করবো আর আপনাকে খাওয়াবো, দেশে আসেন!
লিয়ে লিব, লিয়েই লিব ( রাজশাহীর লোকাল ভাষা) অবশ্যই দেখা হবে দেশে আসলে। কয়েকজন মিলে বান্দরবনে যাওয়াও যেতে পারে ঘুরতে
facebook
ওরে দুষ্টু ...
আবার কি হল !
facebook
আপনার ভ্রমনকাহিনী পড়তে পড়তে আমার নিজের লেখা শিকেয় উঠেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরে ভাই এ কি কথা, আপনের ছোট গল্পগুলো বেশ অন্য ধরনের। আমি যদিও চেখভ স্টাইলের অন্ধভক্ত, লিখে যান অবিরাম
facebook
ভাইরে, মানুষের মনে কেন খামাখা দুঃখ দেন? বিষয়বস্তু নিয়ে আর ভাবতে চাচ্ছি না, মনের উপর চাপ পড়ে। আপনার লেখার হাত আসলেই চমৎকার। এতো দেরী করে লেখালেখি শুরু করলেন কেন?
দেরী করলাম নাকি !! ব্লগে অবশ্য একটু দেরী হয়েছে, এর কারণ বলতে পারবে জনপ্রিয় ব্লগার খেঁকশিয়াল!
facebook
ঠিক করলাম বড় হয়ে একদিন আমিও আপনার মত মাঠে বসে বিশ্বকাপ দেখব
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অবশ্যই!! বড় হবার দরকার নেয়, মাঠে খেলা দেখাটা খুব অদ্ভুত ধরনের অদ্ভুত !
facebook
দিনে দিনে অতুলনীয় হয়ে যাচ্ছেন অণুদা!!!
অটঃ একটা ব্যক্তিগত কৌতুহল ছিল। আপনার জীবন কাহিনি শুনতে চাই। একেবারে শৈশব থেকে এ অবধি। কীভাবে এমন ভ্রমণবিদ হয়ে উঠলেন? কোথায় কোথায় কবে কোন বয়সে গিয়েছেন, সময়ানুক্রমে। একটা সিরিজ ও করতে পারেন। আমার জানার খুব ইচ্ছে ছিল। আশা করি নিরাশ করবেন না।
আপনি পৃথিবী জয় করুন, আমাদের ধন্য করুন.............
_____________________
Give Her Freedom!
আরে না ঈষৎ দা, কি বলেন। তবে লেখালেখি কেন শুরু করলাম এইটা নিয়ে একটা ছোট ফিচার লেখার ইচ্ছে আছে, দেখি। পৃথিবী শুধুই দেখার আর উপভোগের জিনিস, জয়-পরাজয়ের নয়
facebook
সে ফিচার তো চাই পাশে জীবন বৃত্তান্তও চাই, কোন এক সময় লিখে ফেলেন!!!
_____________________
Give Her Freedom!
সম্পূর্ণ সহমত। জোর দাবি জানাচ্ছি।
ফাটাইয়া দিছেন তাকের মিয়া। আপনি বাইচা থাকেন। জয় হো তারেক, বাবাজির জয়
হয়েন আই গেট ওল্ডার, আই উইল বি স্ট্রঙ্গার
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনের উপন্যাসটা পড়ছি, একসাথে পড়তে পারলে বেশী ভাল লাগত। কিন্তু খুব কষ্টের বর্ণনা তো, তাই কমেন্ট তেমন করতে পারছি না। আমাকে অণু বললেই হবে
facebook
আপনে ত ভাই কঠিন পাবলিক...
আচ্ছা একটা কথা কন। আপনের আর কোন কোন দেশে ঘুরাঘুরি বাকী আছে?
আরে না, কিসের কঠিন, আমি পুরাই বায়বীয়। প্রায় সব দেশই বাকী, তবে এই বছরের শেষে অনেকখানি অতৃপ্তি ঘুচবে আশা রাখি।
facebook
আপনার পোস্টে মন্তব্য করার উপায় নাই।
আপনার পোস্টের জন্য একটা ইমোটিকন দরকার।
[তারেক অনু'র পোস্ট। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।এনারে রাইন্ধা খায়া ফেলা প্রয়োজন]
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দাঁড়ান মজা দেখাচ্ছি, এত কষ্ট করে কাঁদা, বালি, তুষারে দৌড়ে, পাহাড়ে চড়ে, সাগরে ডুবে শরীরটা ঠিক রাখছি আর আপনে চান খায়া ফেলতে
আপনের অণুজীবদের নিয়ে লেখা বইখানা পড়তে পারি কি করে জলদি জানান
facebook
আপনাকে শাপশাপান্ত
আপনাকে কইষা ঢাউশ সাইজের মাইনাস
কিন্তু আপনার পোস্ট দৈ-এর মতো মিষ্টি
দিলেন তো মনে করায়ে, এখন দৈ পাই কোন খানে !
facebook
দিলেন তো মনে করায়ে, এখন দৈ পাই কোন খানে !
facebook
ইউরোপে থাকার এই এক মজা! এক টিকেট এ দুই ছবি.................থুক্কু পয়এিশ ছবি!!!!
***ইকরাম***
হ, মজাই আলাদা!
facebook
লাকি ম্যান! পুরা বর্ণনাটাই সুপাঠ্য হইসে।
facebook
আমি খালি ভাবছিলাম আপনি সাউথ আফ্রিকারটাই দেখতে গেছিলেন, খেয়ালই ছিল না যে আপনি ইওরোপেই আছেন...!! বিশ্বকাপ নিয়েই আপনি বেশ অনেক পোস্ট দিয়ে ফেলতে পারবেন!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুমম ! আর পোষ্ট দিতে দিতে পরের বিশ্বকাপ চলে আসবে। এখন আবার মাথায় ঢুকছে সামনে সামারে ইউরো কাপের খেলা দেখতে যাওয়ার চিন্তা
facebook
জুন ২৭, ২০০৬। হ্যানোভার। স্পেন বনাম ফ্রান্সের মধ্যকার দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা (সম্ভবত)। টিকেট পাওয়ার গল্প! খেলা দেখার জন্য হ্যানোভার যাওয়ার গল্প! নানা নাটকীয়তা! সে নাহয় অন্য কোথাও বলা যাবে। আপাতত আপনার লেখার জন্য কিছু ছবি টাঙ্গায়ে দেই এখানে।
গ্যালারির একাংশ—
খেলার উত্তেজনাকর মুহূর্ত—
একজন উড়ায় ফ্রান্সের পতাকা—
তো আরেকজন স্পেনের—
ফ্রান্সের কাছে হেরে গিয়ে স্পেনের দর্শকের ভ্যাবলাকান্তি দশা—
এবং, বিশ্বকাপ চলাকালে কোলন সেন্ট্রাল স্টেশনের খোমা (ভেতরের ছাদে চিত্রকর্ম দ্রষ্টব্য)—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুব ভাল লাগল ছবিগুলো, এই খেলার সময়ে আমরা ফিনল্যান্ডে চলে এসেছিলাম
facebook
হুম্ম......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
facebook
পতাকা হাতে আপনার ছবিটা খুব ভালো লেগেছে। লেখাও যথারীতি আপনার মতোই, অনবদ্য ...
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
facebook
আহা!কী বিস্ময়!বাঙ্গালী এখন দশদিক পরিভ্রমনে বাহির হইয়াছে।সে এখন আর গৃহ মাঝারে নিজেরে ব্যাপ্ত রাখে নাই।উদাহরণ-তারেক অণু!
আরো অনেকেই আছেন নিশ্চয়, আপনিও চলে আসুন
facebook
যথারীতি অসাধারণ! আশাকরি বিশ্বকাপের বর্ণনার সূত্র ধরে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে আসার বর্ণনা পাবো অদূর ভবিষ্যতে!
'জার্মানীর পথে'
হয়ত এমনই কোন শিরোনামে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই। সেই সফরে এত ঘটনার ঘনঘটা ছিল যে কিছু ঘটনা আলাদা ভাবে লিখেছি, দেখি পোষ্ট করব আস্তে আস্তে।
facebook
যথারীতি অসাধারণ!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
খাড়ান, আমিও একদিন...
গত বিশ্বকাপে যেবার জার্মানি চার গোল দিল সেইটা জার্মানদের সাথে মিলে বনের পাবে বসে দেখেছিলাম। বেশ উপভোগ করেছিলাম পরিবেশটা।
কোন খেলাটা। জার্মান ব্যাটারা তো তিন -তিনটে খেলায় ৪ গোল দিয়েছিল গেলবার! হ, কথা সইত্য! এভাবে খেলা দেখার মজা আলাদা
facebook
আপনেরে বুইড়া আঙ্গুল দেখাইতে দেখাইতে আঙ্গুল ব্যথা হয়া গেছে...
তইলে অন্য আঙ্গুল দেখান, মানে মাঝের টা বাদে যেটা ইচ্ছা দেখান!
facebook
ফুটবল বিশ্বকাপ তো নাগালের বাইরে, তবে দেশের মাঠে ক'দিন আগে যে বিশ্বকাপ হল তাতে ভাগ্যের শিকে ছিড়েছে বৈ কি! খেলা হল ৮ টা, প্র্যাকটিস ম্যাচ সহ ১১টা- আর মাঠে ছিলাম এর ১০টায়, এ খুশি কি ভাষায় প্রকাশের!?
তবে তখন অল্প স্বল্প লেখার চেষ্টা করেছিলাম- ল্যাজ ধরিয়ে দিয়ে যাই বরং- খেয়ালি খেলায় ছিলো মূল শিরোনাম। এখানেও আছে আরেকটা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ভাল লাগল জেনে।
facebook
খাড়ান ইউরোপ আসতাসি...আপনারে দেইখা লমু....
facebook
নতুন মন্তব্য করুন