বাংলা সাহিত্যের যুগ অনুযায়ী আধুনিককাল শুরু হয়েছে ১৮০১ সাল থেকে। তবে গ্রামীনফোন ডিজুস সিম বেশ আগে আনলেও ডিজুস যুগ হিসেবে একটা যুগের সূচনা খুব বেশীদিনের নয়। বছর দুই ধরে এই যুগের নাম হয়ত আড্ডা মাতাচ্ছে, তার বেশী তো অবশ্যই নয়। তা এই যুগে ঢাকা শহরে বৃষ্টি হোক বা না হোক, বন্যায় শহর তলিয়ে যায় যায় অবস্থা; আর তা হচ্ছে প্রেমের বন্যা। হায়রে প্রেম; সবার এমনি সন্দেহ বাতিক হয়েছে যে ছেলে মেয়ে মাইল খানেক দূরত্বে হাঁটলেও সবার সন্দেহ, টেলিপ্যাথির মাধ্যমে নির্ঘাত প্রেম চলছে ফাস্ট ফুডের দোকানগুলি সব কানায় কানায় ভরা। এত টাকা কি করে এদের পকেটে আসে; আল্লাহ মালুম।
আজকাল আবার গ্রুপ ডেটিং স্টার্ট হয়েছে। চমৎকার জিনিস সন্দেহ নাই। ডেটিং এর ডেটিং হলো, সাথে আড্ডাবাজীও হলো। ধানমন্ডির ক্যাফে ম্যাংগো আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। তো এক ভর দুপুরে আমি আর আমার আরেক বন্ধু রাক্ষসের ক্ষুধা নিয়ে সেখানে গিয়েছি। খেতে খেতে দেখলাম আমাদের সবচেয়ে প্রিয় আড্ডাবাজীর জায়গায় গ্রুপ ডেটিং এ এসেছে ৪ জোড়া ছেলেমেয়ে। সকলেই অত্যন্ত ইসমার্ট। ভূট্টা ক্ষেত আমাদের দুইজনকে দেখে তারা কয়েকবার তাচ্ছিল্যভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। ছেলেদের কয়েকজনের চুল কাঁধ ছুই ছুই; এবং দুইজনকে দেখে রীতিমত বয়স্ক লাগলো। তিনটা বাজতেই মেয়েগুলো একে একে লাইন ধরে বাথরুমে যাওয়া শুরু করলো। বাথরুম থেকে বের হবার পরে আমরা মোটামোটি হার্ট অ্যাটাক করলাম। একটা মেয়ে কেও আর চেনার কোন উপায় নাই। তাদের জিন্স এবং টপস নাই হয়ে কোথা থেকে যেন ধূসর আর সাদা রঙের স্কুল ড্রেস চলে এসেছে। কারো কারো চুল দুই বেনী হয়ে ঝুলছে। একজনের তো দেখলাম নাকের ডগায় গোলাপী রঙের বাবু বাবু চশমাও চলে এসেছে। তখন আমরা বুঝলাম, বাচ্চাগুলি খুব বেশী হলে ক্লাস সেভেন কিংবা এইটে পড়ে। ড্রেস আপের কারণে আগে বুঝি নাই। স্কুল ফাঁকি দিয়ে এই কাহিনী। এখন বাসায় যাবার সময়, তাই গেট আপ চেঞ্জ। চমৎকার ডিজুস পোলাপাইন যা হোক।
আগেই শুনেছিলাম লাউঞ্জে স্কুল-কলেজের পোলাপাইনের জ্বালায় বসার উপায় নাই। এরপরেও কিছুদিন আগে নেড়া হয়ে বেল তলায় গেলাম। সেদিন চলছিলো আমাদের মেগা আড্ডাবাজী। ঘুরতে ঘুরতে ধানমন্ডির কেএফসি তে ঢুকতে গিয়ে কি মনে করে আমার এক বন্ধু বায়না ধরলো এইচটুও লাউঞ্জে যাবে। আমি বারবার বললাম, আর ২ বছর আগে হইলেও ঢোকা যাইতো। এখন তা ঠিক হবে না। এরপরেও ওদের পিছু পিছু গেলাম। ঢুকেই প্রথমে মিউজিকের শব্দে পায়ের পাতা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত একটা নাড়া খাইলো। চোখ বন্ধ করে ধাতস্থ হবার চেষ্টা চালালাম। এবারে চোখ খুললাম। সে কি, এইখানে এত ধূমা কিসের? আরেকটু হইলেই চেঁচিয়ে দিয়েছিলাম প্রায়, “আগুন আগুন”। তা দেখলাম সেই ধূম্রজাল মানুষের মুখ থেকে আসছে। ওরে কি ধূমা। হাত দিয়া সরায়ে কোনমতে ঢুকেই সামনে যে আসন ফাঁকা দেখলাম, চারজনে কোন দিকে না তাকিয়ে বসে পড়লাম। আমার গাধা বন্ধু একটা চিৎকার দিলো, “ত্রিনিত্রি, তুই কি আমার কথা শুনিস?” আমি অবাক হয়ে দেখলাম মাত্র এক হাত দূরে বসা আমার বন্ধুর কথা শুনতে আমার এত কষ্ট। এক দিকে মিউজিক; আরেকদিকে সিগারেট আর সীসার ধূমা। সবাই চক্ষু বিস্ফোরিত করে আমাদের দেখছে। ক্যাপ্রি আর থ্রি কোয়ার্টারের মাঝে আমরা বড়ই বেমানান। এক বন্ধু পরে এসেছে পাঞ্জাবী। আশে পাশের ছেলে ছোকড়া এতই অবাক হয়েছে যে ঘুরে ঘুরে তাকে দেখছে। এইখানে আড্ডা মারা অসম্ভব। ৪ মিনিটের মাঝে মানে মানে করে উঠে গেলাম। এক নজরে যা বুঝলাম,এদের মাঝে ৪০ ভাগ স্কুলের ছাত্র ছাত্রী। তবে মেয়েদের সাথে যারা আছে; সবাই কিন্তু সমবয়সী না। কয়েকজনকে দেখে আমার ভার্সিটির শেষ বর্ষের ছাত্র বলে মনে হলো। মন্তব্য নিস্প্রোয়জন।
১বছর আগেও পহেলা বৈশাখ মানেই বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজী; সকাল ৬টায় উঠে রমনায় গমন। গত ৫ বছরে প্রথম বারের মত এইবার আমি পহেলা বৈশাখে বের হইনাই; কারণ ২/৩ জন আমার মত অভাগা ছাড়া কেউই সময় দিতে পারেনাই বিভিন্ন কারণে।তা ৩ জনে কি পহেলা বৈশাখ হয়? এর আগের বারের কথা মনে পড়লো; কি বিচিত্র সাজসজ্জ্বা করেই না র্যালি করেছিলাম! টিভি তো বটেই পেপারেও ছবি এসেছিলো সবার। তা এখনকার ডিজুস ট্রেন্ড অনু্যায়ী সকালেই বয়ফ্রেন্ডদের সাথে বেরিয়ে যেতে হবে; এর পর অনুষ্ঠান যতক্ষন চলে আরকি। তা হোক; ব্যাপার মন্দ নয়। বছরের প্রথম দিন প্রেম না করলে যদি প্রেম কমে যায়? ঘোর কলি কালেও এই রিস্ক নেয়া যেতে পারে; ডিজুস কালে সম্ভব নয়। কিন্তু এই কি ট্রেন্ড আসলো দেশে যে একুশে ফেব্রুয়ারীতেও ছেলে মেয়ে সাদা-কালো কাপড় পড়ে গোলাপ হাতে বাহির হয়?
ঘটনা প্রথম টের পাই বছর দুই আগে। একুশে ফেব্রুয়ারীতে আমি সচরাচর বের হইনা। জীবনে একবার ফুল দিতে গিয়ে যেই ঝামেলায় পড়েছিলাম; জন্মের তরে সখ মিটে গেছে। সারাদিন আমি শহীদ মিনারের গান শুনি; এই হচ্ছে কাজ। তা দুই বছর আগে আমার খালা হঠাৎ ফোন করে বললো, “এখনি বাসায় আয়। ছুটির দিন; রান্না করতেছি”। রাস্তা তো সব দিকে বন্ধ; তারপরেও আমি হেঁটেই বের হলাম। পাক্কা দুই ঘন্টা লাগলো ভার্সিটি এলাকা থেকে ধানমন্ডি যেতে। কিন্তু চারপাশ দেখে আমি ঠাওর করতে পারলুম না, এ কি শোক দিবস? নাকি সাদা-কালো ভ্যালেনটাইন দিবস? গোলাপ সকালে কেনা হয়েছিলো শহীদ মিনারে দেবার জন্যই; আমি নিঃসন্দেহ। ভুলে বুঝি মিনার ছুঁইয়ে তা এখন শোভা বাড়াচ্ছে প্রেমিকার হস্তযুগলের। আমি সবকিছুর মাঝেই ভালো দিক খোঁজার চেষ্টা করি। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে সারাদিন বাইরে থাকার কারণে সকলেরই কম বেশী দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা হচ্ছে; তাই বা মন্দ কি?
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ঢাকায় ব্রায়ান অ্যাডামস এসেছিলেন, তা নিশ্চই সকলের জানা। আমি তার অন্ধ ভক্ত বললে ভুল হবে, কারণ তার গান আমার কিশোরীবেলার ভালোবাসা। ক্লাস এইটে আমি স্ক্রাপ বুকে “জীবনের তিনটি ইচ্ছা” তে লিখেছিলাম,
১। বিএসবি ব্যান্ডের নিক কার্টার কে একখানি পত্র লেখা
২। ডিজনীল্যান্ডে যাওয়া
৩। ব্রায়ান অ্যাডামসের অন্তত একটি গান তার সামনে বসে শোনা।
এক নংটির ইচ্ছা ইন্টারেই মরে গিয়েছিলো; দুই নংএর আশা এখনো ছাড়ি নাই; আর তিন নং পূর্ন হয়েছে। কি কঠিন শ্রম দিয়ে আমি চীন মৈত্রী সম্মেলনের তার একক বেয়ার বোনস কনসার্টের টিকেট আমি জোগাড় করেছিলাম; সে শুনলে হয়ত উনি নিজেই টিকেট পাঠিয়ে দিতেন। আমার বন্ধুবর্গ আর বড় ভাইয়া আপুরা তো বটেই, ওয়ার্ডের দুইজন রুগীও অত্যন্ত চিন্তিত ছিলো আমি টিকেট পাই কি না পাই।সবার শ্রমের ফসল টিকেটটি পাওয়ার পরে সবার মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি। আগের দিন বিশ্বকাপ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে গ্যালারি থেকে চেহারা কিছুই বুঝিনি; তাই পরের দিন আমি বিকাল ৫টা থেকে চীন মৈত্রীর সামনে দাঁড়ানো; যাতে ঠিক সিটটি দখল করতে পারি। লাইনে দাঁড়ানোর কিছু পরেই একটু টেনশনে পড়লাম। আমি বাংলাদেশেই আছি তো, না্কি কানাডায় এসেছি কনসার্ট দেখতে? যদি দেশেই থাকি; তবে আমার বন্ধু ছাড়া কেউ আমার সাথে বাংলায় কথা বলে না কেন? আশে পাশের সবার পোশাক, কথা বার্তা শুনে কিছুক্ষনের মাঝেই মনে হতে থাকলো আমি অবাঞ্চিত এখানে। সামনে যান, পাশের সিটটি কি খালি- এরকম সাধারণ কথাও সবাই ইংরেজীতে বলছে। ঘাড়ত্যাড়া হয়ে বাংলায় উত্তর দিতেই সবার চোখে তাচ্ছিল্য। আমরা এতই হীনমন্মতায় ভুগি যে ব্রায়ান অ্যাডামসের কনসার্টে এসেছি বলে বাংলা বলা ভুলে গেছি। এবং সবাই সেটাই স্বাভাবিক ধরে নিচ্ছে। তাদের মনের দীনতা দেখে আমাদের লজ্জায় মাথা নীচু হয়।
সেদিন আমার কাজিন বলছিলো যে তার বান্ধবী সম্প্রতি মোটা হয়ে যাওয়ায় তার ডিজুস বয়ফ্রেন্ড তাকে ডাম্প করেছে। বেচারী মেয়েটি এখন জিমে ভর্তি হয়েছে যাতে আর এজাতীয় কথা শুনতে না হয়। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লেও আমি এত অবাক হতাম না। আজকাল কি প্রেম এভাবে ভাঙ্গে নাকি? ছয়/সাত মাস একটা গার্লফেন্ড থাকলেই সবার প্রাণ আইডাই। একজনের সাথে আর কত? একেকজনের তিনটা করে সিম। একটাতে স্টেবল গার্লফ্রেন্ড; আর দুইটাতে টাংকিবাজী। চমৎকার ব্যবস্থা; আর এতে উৎসাহ দেবার জন্য তো মোবাইল কোম্পানি গুলো দুই পায়ে খাড়া! এসব স্বাভাবিক কবে হলো?
তা বেশ কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু বলছিলো তাকে নাকি একটি মেয়ে প্রপোজ করেছে। সুখের কথা; আমিও বিগলিত হই। কিন্তু পরের কথাতেই মুখ শুকিয়ে গেলো। মেয়ে বলেছে, সে প্রেম করতে পারবে; কিন্তু বিয়ে করতে পারবে না। কেন? কারণ বিয়ের জন্য সে আরেকজনকে আগেই হ্যাঁ বলেছে। তা সে ছেলে গেছে বিদেশ; তাই এই পার্ট টাইম বয়ফ্রেন্ড যোগাড়। আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “তা তোমার কি মত?” বন্ধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “ আমি যদি একাই হতাম, তাও তো হইতো। মেয়ে তো মোবাইল কার্ড ভরে দেবার জন্য ফোনেও আরেকজনের সাথে প্রেম আছে”। আমি থতমত খাইলাম। “মেয়ে কি নিজেই এসব বলেছে?” “হু, আর না বললেও তো জানাই যেতো। আমার ভার্সিটির না?”
অর্থাৎ আজকাল কেউ দোষ স্বীকারেও কুন্ঠিত না। দোষ সবাইকে বলে বেড়ালেই যে তা শুদ্ধ হয় না; সেও কি সবাই ভুলেছে নাকি? ভুলতেই পারে; যে দেশে সরকার ঘোষনা দিয়ে মানুষকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়, খুনীরা অবলীলায় ক্ষমা পায়, সেখানে আর কি আশা করবো আমরা!
যা হোক, প্রেমের নিন্দা করা আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। প্রেম মহান ব্যাপার; সে না থাকলে ৮০ ভাগ সাহিত্য রাস্তায় গড়াগড়ি খেতো। প্রেম কামনা করে না; এমন মানুষ তাবৎ দুনিয়াতে নেই। তবে প্রেম ব্যাপারটা কি সেটা নিয়েই এখন ঘোরতর সন্দেহ লেগেছে। বাঙালির হয়ত অনেক ভালো দিক আছে; তবে তার সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে অন্যদের ভালো আচরণগুলিকে ভুলে খারাপ আচরণগুলি নিজেদের করে নেয়া। একারণেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজদের কর্মদক্ষতা গুণটি না আমল করে সেই যুগে বিশ্বাসঘাতকতা আর চৌর্যবৃত্তি দোষ অনেকেই দ্রুত আমল করেছিলো। আর এখন পাশ্চাত্যের শিক্ষা, সময়ানুবর্তিতা আর শ্রম দেয়ার মানসিকতাকে আমরা দূরে ঠেলে তাদের ভঙ্গুর সমাজ ব্যবস্থা তথা উছরিংখল সংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করার জন্য সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। ইংরেজী সাহিত্যের চমৎকার বইগুলি কারো পড়ার ধৈর্য নেই; তবে প্লে বয় ম্যাগাজিন দেখার আগ্রহের কমতি নেই। বিদেশী মন ছুঁয়ে যাওয়া গানগুলি শোনার নাম নেই; অশ্লীল মিউজিক ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউবে সারাদিন বসে থাকে। এসবের জন্য আমি বাবা-মাকেই দায়ী করি। তারা যদি ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে ঠিকমত সময় না দেয়, খারাপকে না বলতে না শেখায়, বুঝতে চেষ্টা না করে, তবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্লাস সিক্সের বাচ্চা ধানমন্ডি লেক আর সাইবার ক্যাফেতে বসে থাকবে বইকি। তবে আমি সেইসব ভার্সিটি পড়ুয়া তরুনের মানসিকতা নিয়ে সন্দিহান। কি করে তারা স্কুলের বাচ্চাদের প্রেমে পড়ে এবং তাদেরকে নিয়ে বাইরে যায়; সত্যি আমার মাথায় আসে না। টি শার্ট কিনতে গেলে তাদের প্রথম পছন্দ চে গুয়েভারা আর ভাষা আন্দোলন- অথচ বাচ্চা একটি মেয়েকে স্কুল ফাঁকি দিতে শেখানোতে তাদের আগ্রহের কমতি নেই। শিক্ষিত ছাত্রের এই যদি হয় রুচী; তবে কি দরকার এমন শিক্ষার? আমি এমন বাচ্চা কেও চিনি; যে বাংলায় লেখা বই বুঝতেই পারে না; ইংরেজীতেই সারাক্ষন কথা বলে। আহা, তাদের বাবা-মার কি গৌরব। আমি তাকিয়ে থাকি।
ভ্যালেনটাইন্স ডে নাকি দেশে প্রবর্তন করেছে শফিক রেহমানের যায় যায় দিন। ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে আমাদের দেশের এক করুণ ইতিহাসও আছে পড়েছিলাম। তা সেই ইতিহাস টেনে আমি ভ্যালেনটাইন্স দিবসকে মন্দ বলবো না। সবকিছুর একটা দিবস আছে; ভালোবাসার তবে থাকবে না কেন? বিশেষ একটি দিন, যে দিনে সবাই তার প্রিয়জনকে জানাবে যে তার জন্য আছে তার বুক ভরা ভালোবাসা। শুধু মরে যাবার ভয়ে সে বুক চিড়ে দেখাতে পারছে না। মা দিবস পালন করা শুরু হয়েছে বেশীদিন নয়। আমি এমন একটি মেয়েকে জানি যে মা দিবসে অতি কষ্টে লজ্জা ভেঙ্গে মাকে বলেছে “মা আমি তোমায় ভালোবাসি”। মা অশ্রু টলমলে চোখে বলেছে, “বোকা মেয়ে; তা আমি জানি”। সুতরাং সব কিছুর দিবস থাকুক। সাথে “নিজেকে জানো” দিবস ও থাকুক। এই দিবসে অন্তত মানুষ একবারের জন্য হলেও ভাববে, সে কে, কি তার সংস্কৃতি, এবং তার মূল্যবোধ কতটুকু।
- ত্রিনিত্রি (trinitrialive@yahoo.com)
মন্তব্য
অনেক ধন্যবাদ।
চলতে ফিরতে চারপাশ দেখে এই কথাগুলোই বরাবর মাথায় আসে। নিশ্চয়ই শুধু আমিই নই, আরো অনেকেরই আসে।
তা তো আসেই, তবে... গোড়াতেই কিন্তু বিস্তর গলদ রয়েছে। আমরাই বা কতটুকু ভালো উদাহরন রেখেছি সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ।
অনেক ধন্যবাদ।
চরম ভাবে আমার চিন্তাভাবনার সাথে মিলে গেলো। আমি এই কথা গুলোই কখনও গুছিয়ে বলতে পারি নাই। এই লেখাটা পড়ার পর এখন মনে হচ্ছে বলতে পারব। আর এই ডিজুইস পোলাপানদের যন্ত্রনায় আমারা খ্যাত পোলাপানরা যন্ত্রনায় আছি। "এই প্যান্ট কিনছিস কেন?" "বড় বড় গেঞ্জি পরিস কেন?" "চুলের ছাট চেঞ্জ কর।" "বাচ্চাদের ঘড়ি পরা বাদ দে।" এই সব শুনতে শুনতে বিরক্ত। এইদিকে আবার মোবাইল ছেড়ে বাইক নিয়ে ভাব মারার চলন শুরু হইছে। অনেকদিন পর কোনো বন্ধুর সাথে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করে "বাইক কিনিস নাই?" "কবে কিনবি?" "কিনে ফেলা" হ্যান ত্যান। আমার আবার মিউজিকের সখ। কিছুদিন আগে গিটার-প্রসেসর কিনলাম। গিটার-প্রসেসর কিনছি শুনে এক বন্ধু বলল, "এই সব না কিনে বাইক কিনলে ভালো করতি।" এখন এই সব বন্ধুদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
ওহ! এই চমৎকার লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
তবে আপনার বন্ধুরা হয়ত আপনার ভালো চায় সেজন্যই বলে। কোথায় গিটার প্রসেসর আর কোথায় বাইক!! এটা একটু বেশি বলে ফেলেছে। সম্পূর্ন দুই রকম জিনিস।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
বাইক কিন্তু সাইকেল ... মোটর বাইক বলাটা ভাল
স্কুল ফাকি দেওয়া খারাপ নিঃসন্দেহে। তবে, মন স্বচ্ছ হলে গ্রুপ ডেটিং খারাপ কোথায়? এতে অনেক কথা, একসাথে অজানা বিষয়ে আলোচনা, পারস্পারিক সহযোগীতা, শেয়ারিং এবং কেয়ারিং এর ব্যাপার থাকে। মানুষের জীবনে সমাজ সোসাইটি প্রয়োজন। ওরা ওদের সোসাইটি টা গড়ে নিক না। এটাও কিন্তু শিক্ষার অঙ্গ।
যাহোক মজা পেলাম - ব্রায়ান এডামসের শো তে ইংরেজী বলা যদি অপরাধ হয় তাহলে সেখানে যাওয়া টা অপরাধ নয় কেন? নাচবেনই যদি ঘোমটাটা খুলেই নাচেন না ভাই।
বাংলা আমরা সবাই ভালোবাসি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। তাই বলে বাংলার জন্য একেবারে মৌলবাদী হতে হবে? সেদিন ডিস্কভারি চ্যানেল দেখছিলাম। বাংলা করতে যেয়ে অনুষ্ঠান গুলোর এমন বারোটা বাজিয়েছে যে অনেক সময় এর কোন মানেই বোঝা যায় না।
যেমন ধরুন, রেড উড ট্রি। ওরা এর বাংলা করলো লাল কাষ্ঠবৃক্ষ। এখন আমার কথা হল, এতে কি আমরা সঠিক শিখতে বা, জানতে পারবো নাকি এতে নতুন কনফিউশন তৈরী হবে? কিছু কিছু সময়ে এবং স্থানে ইংরেজীটাই উপযুক্ত নয় কি?
ভাই এই সোসাইটি থেকেই কিন্তু ভবিষ্যতের পরিমল গড়ে উঠবে। যারা বর্তমানের পরিমলের চেয়েও ভয়ংকর হবে। অজানা বিষয়ের এই আলোচনা এক পর্যায়ে মানুষের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত শারীরিক অজানা বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়ার পথে টেনে নিয়ে যায়; এর আগেই কি এই আলোচনার রাশ টেনে ধরা উচিত নয়?
""যাহোক মজা পেলাম - ব্রায়ান এডামসের শো তে ইংরেজী বলা যদি অপরাধ হয় তাহলে সেখানে যাওয়া টা অপরাধ নয় কেন?""
অপরাধই বা কেন? আমি এমন এক জায়গায় গেলাম যেখানে সবাই ধূমপান করছে...তাই বলে কি আমাকেও ধূমপান করতে হবে? ঠিক এমনি ভাবে ব্রায়ান এডামসের শো তে এসেছি বলে আমাকে ইংরেজি বলতে হবে? মজা পেলাম।
""সেদিন ডিস্কভারি চ্যানেল দেখছিলাম। বাংলা করতে যেয়ে অনুষ্ঠান গুলোর এমন বারোটা বাজিয়েছে যে অনেক সময় এর কোন মানেই বোঝা যায় না।""
আরে ভাই! এটাও তো দেখতে হবে বাংলা করেছে কে? উপযুক্ত লোক যদি না করে তবে তো এমন অবস্থা হবেই।
ভিনদেশী ভাষা হতে স্বীয়ভাষায় অনুবাদ করাটাই যদি ভুল হত তাহলে অনুবাদ সাহিত্য বলে সাহিত্যের কোন ধারার সৃষ্টিই হত না।
অনেক ধন্যবাদ। পূর্ন সহমত।
"ভাই এই সোসাইটি থেকেই কিন্তু ভবিষ্যতের পরিমল গড়ে উঠবে। যারা বর্তমানের পরিমলের চেয়েও ভয়ংকর হবে। অজানা বিষয়ের এই আলোচনা এক পর্যায়ে মানুষের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত শারীরিক অজানা বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়ার পথে টেনে নিয়ে যায়; এর আগেই কি এই আলোচনার রাশ টেনে ধরা উচিত নয়?"
না, উঠবে না। পরিমল কোথায় থেকে এসেছে খেয়াল করে দেখেন। আমি নিশ্চিত মেয়েদের সাথে মেশার অভিজ্ঞতা তার খুবি কম। সে নিতান্তই অভুক্ত একজন মানুষ। শারীরিক দিক থেকে তো বটেই এমন কি মানসিক দিক থেকেও। সে সম্ভবতঃ অবিবাহিত এবং তার কোন প্রেমিকাও নাই। সে নিতান্তই নীচ এবং চাকরিটাও পেয়েছে দূর্নীতির মাধ্যমে। অপরদিকে, যে ছেলে সবার সাথে স্বাভাবিক সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে সে বলিষ্ঠ মানসিকতার অধিকারী হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে বিবেচক এবং ভদ্র হয়ে থাকে। সেক্স তো জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেও সেক্স অবশ্যই করবে - কিন্তু যার তার সাথে নয় এবং জোর করে(ধর্ষন) নয়। এখানে খুবই সুক্ষ্ম একটা দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য আপনা থেকেই তৈরী হয়ে যাবে।
আর "অজানা বিষয়" কে আপনি যেভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন তাতে যাহোক আপনাকে আর কিছু বলতে হবে না - আমি সব বুঝে গেছি। এতো থাকতে "অজানা বিষয়" বলতে ঘুরে-পাল্টে আপনি ওটাই বুঝলেন। হাহ!
আর ইংরেজী বলা প্রসংগে আমিও তাই বুঝাতে চেয়েছি। যদি বুঝে না থাকেন তাহলে আরেক বার পড়েন। কোন শোতেই ইংরেজী বলতে হবে না। তবে, কেউ ইংরেজী বললে সেটা নিয়ে ব্লগে এসে মহাসমারহে উষ্মা প্রকাশ করারও কিছু নাই। ইনফিরিওর ফীল করেছেন, চেপে রাখুন। লজ্জার কথা। @ত্রিনিত্রি
"বাংলাতে উত্তর দিলে এরকম অবাক ভাবে তাকাবে কেন! এমন তো না যে সে বাংলা বোঝে না। এই মেন্টালিটিতে আমার সমস্যা।" - এক্ষেত্রে আপনিই ঠিক। @ত্রিনিত্রি
রেডউড ট্রি - এর বাংলা অর্থ করা থেকে আমি যা বোঝাতে চেয়েছি তা আর একটু ব্যাখ্যা করি। আমার নিজের উদাহরনই দিই। আমি অধিকাংশ সবার মতোই বাংলা মাধ্যমের ছাত্র ছিলাম। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতাম। তো বিজ্ঞানের একজন ছাত্রকে কতশত সংজ্ঞা যে জানতে হয় তা বিজ্ঞানের যেকোন একটি বিষয় নিয়ে যিনিই পড়াশুনা করেছেন তিনিই জানেন। যেমনঃ মৌল, মৌল কণা, কণিকা, পরমানু, অনু ইত্যাদি। মাত্র পাচ ছটির কথা বললাম। এখন বলেন দেখি কোনটার ইংরেজী কি? এরকম হাজার টা সংজ্ঞা মুখস্ত করতে হয় সারা স্কুল জীবনে। এখন ভাবুন আমাকে যদি কখনো আন্তঃর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করতে হয় তখন কি হবে। আমাকে কি নতুন করে সব শিখতে হবে না? আমার কথা হলো বাংলায় ব্যাখ্যা দেন সংজ্ঞাদেন ভাল কথা কিন্তু, Terms বা, Expressions গুলাকেও বাংলা করতে হবে কেন? এখন যদি আমাকে নতুন করে সব কিছুই আবার পড়তে হয় তাহলে কি আমার স্কুলজীবনের সকল পরিশ্রমই বৃথা নয়? চিন্তা করে দেখুন, পাচটা-ছয়টা নয় - হাজার হাজার Terms.
সুতরাং, বাংলায় বুঝিয়ে বলেন - খুবই ভাল কথা। কিন্তু, দয়া করে রেডউড ট্রি কে লাল কাষ্ঠবৃক্ষ বানিয়েন না। তাহলে ওই গাছ খুজে পাওয়া মুশকিল হবে।
আমার সিদ্ধান্ত, আমার ছেলে মেয়েকে বাংলা মিডিয়ামে পড়াবো না। তবে তারা রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-শামশ উর রহমান দেরও জানবে। - আমি জানায়ে ছাড়বো। ( শামশ উর রহমান - বানান ভূল হলে ক্ষমা প্রার্থী। )
নিচে দেখলাম কে যেন গ্রুপডেট কে গ্রুপ সেক্সের সাথে মিলিয়ে গুলিয়ে একাকার করেছেন। গ্রুপসেক্স কথাটা তিনি কোথায় পেলেন বুঝলাম না। একেই বোধহয় দৃষ্টিভঙ্গি বলে!
গতকালের পেপারে দেখলাম ইয়াবা নাকি আজকাল গ্রামেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে, স্কুল পালানো তরুনের হাতের সিগারেটের সাথে ফুটপাথের বখাটের হাতের ইয়াবা কে না মিলিয়ে ফেলাই বোধহয় ভালো। এতে অবিচার করা হয়।
জীবন মানে হলো - ট্রায়াল এন্ড এরর !
যা হোক, সবাই ভালো থাকবেন। আর রিপ্লাই দিতে আসবোনা হয়তো। :: http://www.seoKamrul.com/ ::
"শামশ উর রহমান" কে ???
আপনার সবগুলো কমেন্টই বিরক্তিকর। কিন্তু এখানে এসে আর কিছু না বলে পারলাম না। আপনি যে কী জানায়ে ছাড়বেন যথেষ্ট ভালই বুঝা গেছে।
তাও ভালো জিজ্ঞেস করেন নাই "রবীন্দ্রনাথ কে?"
আরেকটু বলি, উচিৎ কথায় বিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। শামশুর রহমান নামটা শুনে যে আপনার বিরক্তি চরমে পৌছেছে তাতে আমার তো আনন্দই লাগছে। এই দেখেন দাত বের করে হাসছি।
আপনার দাঁত আছে আপনি দাঁত বের করে হাসবেন। কোন সমস্যা নাই। কিন্তু "শামশুর রহমান" বা শামশ উর রহমান টা কে সেটা কাইন্ডলি বলেন। আমি সত্যি এই নামে "বাচ্চাদের জানানোর মত" কোন মানুষ আছে বলে মনে করতে পারছি না ! জ্ঞানদানে বাধিত করেন প্লিজ।
আপনার আনন্দ কেন লাগছে মালুম হলো না। আপনি শামশুর রাহমান কে বানান ভুল করে লিখে আবার আপনার বানান ভুল করার পক্ষে সাফাই গাইছেন এতটা স্মার্ট না হলে আপনার অনাগত বাচ্চা কাচ্চা যাদের আপনি রবীন্দ্র নজরুল পড়াবেন তাদের ভাল হবে।
আপনার সবগুলো কমেন্টের প্রতিউত্তর লিখার ইচ্ছে ছিল। তবে বয়স হলে মানুষ যদি নিজ থেকে কিছু না বুঝে তাহলে তাকে বোঝানো অসম্ভবের কাছাকাছি বলেই মনে করি।
আপনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে একটু কষ্ট করে আপনার বিরুদ্ধবাদীদের যুক্তিগুলো নিয়ে ভাবুন।
সেজন্য আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। যদি বুঝতেন তাহলে এই প্রসঙ্গই টানতেন না। আর হ্যা, বঙ্গেতে জন্মিয়াও যাহারা ... শামসুর রাহমান কে জানে না তাদের জন্য এই লিঙ্ক - http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ভবিষ্যতে প্রজন্ম গুগল করে নিতে পারবে আশা করা যায়।
শামসুর রাহমান কে না চেনার কোন কারণ নাই। কিন্তু আপনি যে শামশ উর রহমান বা শামশুর রহমান পয়দা করসেন তাদের চিনতাম না। পরবর্তীতে কিছু বলতে হলে দয়া করে জেনে নিয়ে বইলেন কী বলতে চাচ্ছেন।
""পরিমল কোথায় থেকে এসেছে খেয়াল করে দেখেন। আমি নিশ্চিত মেয়েদের সাথে মেশার অভিজ্ঞতা তার খুবি কম।""
আপনার মতে মেয়েদের সাথে মেশার অভিজ্ঞতা থাকলে সে এই কাজটি করত না। হাহ! মজা পেলাম
আরে ভাই বিষয়টা তো ঠিক উল্টো। আপনি একজন মেয়ের সাথে মিশবেন, কথা বলবেন, রসিকতা করবেন, পাশাপাশি বসে তার ছোঁয়ায় শিহরিত হবেন তখনি না আপনি তার সঙ্গ পছন্দ করবেন, তার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন, আর এই আগ্রহই আপনাকে ঐ কাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। এটাই স্বাভাবিক।
আর যে ছেলেটি কখনো কোন মেয়ের সাথে মিশেনি, তার মুক্তঝরা হাসি দেখেনি, তার ছোঁয়ায় শিহরিত হয়নি সে তো ঐ কাজের প্রতি আগ্রহী হওয়া দুরের কথা; ঐ মেয়ের প্রতিই আগ্রহী হবেনা।
""যে ছেলে সবার সাথে স্বাভাবিক সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে সে বলিষ্ঠ মানসিকতার অধিকারী হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে বিবেচক এবং ভদ্র হয়ে থাকে। সেক্স তো জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেও সেক্স অবশ্যই করবে - কিন্তু যার তার সাথে নয় এবং জোর করে(ধর্ষন) নয়।""
তার জোর করে করার দরকার কী...সে তো হাত বাড়ালেই পাচ্ছে।
এখানে কথা হচ্ছে অবিবাহিত মানুষদের নিয়ে। আর অবিবাহিত জীবনে ""সেক্স জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া"" হয় কী করে???
আপনি বলতে চাচ্ছেন যার তার সাথে আর জোর করে করলেই শুধু ব্যাভিচার খারাপ!!!
থাক, এই ব্যাপারে আমার আর কিছু বলার নেই। আমি বাকরুদ্ধ...
""আর "অজানা বিষয়" কে আপনি যেভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন তাতে যাহোক আপনাকে আর কিছু বলতে হবে না - আমি সব বুঝে গেছি। এতো থাকতে "অজানা বিষয়" বলতে ঘুরে-পাল্টে আপনি ওটাই বুঝলেন। হাহ!""
ভাই টিনএজদের সম্পর্কে আপনার চেয়ে আমার জ্ঞান অনে--ক বেশি। তাদের চিন্তাধারা সম্পর্কে আমার ভালভাবে জানা আছে। তাদের জ্ঞান-গর্ভ আলোচনা কোথায় গিয়ে ঠেকে সে সম্পর্কে আমার ধারনা আছে। তাই আমি ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে না বলে সরাসরিই বলে দিয়েছি। দয়া করে এ সম্পর্কে আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেন না।
ঠিক তাই। মেয়েদের সাথে মেশার অভিজ্ঞতা থাকলে সে এই কাজটি করত না।
" একজন মেয়ের সাথে মিশবেন, কথা বলবেন, রসিকতা করবেন, পাশাপাশি বসে তার ছোঁয়ায় শিহরিত হবেন " - এগুলা কি জিনিসরে ভাই? =)) খায় না মাথায় দেয়? =))
টিনেজারদের মানষিকতা তৈরী হয় তাদেরকে ঘিরে থাকা অধিকাংশ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরন থেকে। তাই আপনি ঠিক কোন পরিবেশে বেড়ে ওঠা তরুনদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সেটা আন্দাজ করা কঠিন নয়। নিষেধের বেড়াজালে বেড়ে ওঠা একজন তরুনের সকল আগ্রহ যে নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতিই হবে তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে?
বিধিনিষেধ শিথিল করেন এবং তাদেরকে সুস্থ মানষিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ করেদেন।
উহু, আমি সেটা লেখায় বোঝাতে চাইনি কিন্তু। আমি বলেছি, গ্রুপ ডেটিং চমৎকার জিনিস, সন্দেহ নাই। কারন আড্ডাও হচ্ছে, মনের মানুষটার সাথে সময় কাটানোও হচ্ছে। কিন্তু... স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাচ্চা কাচ্চার গ্রুপ ডেটিং এ আমার তীব্র আপত্তি আছি। সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। স্কুলের পড়ে বাবা মাকে বলে সবার মিলে যদি আড্ডা দিতে যায়, সেটাতে কি সমস্যা? এবং বন্ধুদের সাথে না মিশলে তার সোশাল লাইফ ও হবে না। তবে, যে যাই বলুক, ক্লাস সেভেনের বাচ্চা একটা ২৩/২৪ বছরের ছেলের সাথে ডেটিং এ যাবে, এটা মেনে নেয়া সম্ভব না।
ব্রায়ান আডামসের শো তে গেলাম ভালো কথা, ব্রায়ান আডামস বা বিদেশীদের সাথে ইংরেজী বললাম, সেটাই ভদ্রতা। তবে, ওখানে গেলাম বলেই আশে পাশের সবার সাথে ভুল হলেও কেন ইংরেজী বলতে হবে সেটা আমার প্রশ্ন। আমরা তো আর ইংরেজ নই, এবং বাংলাতে উত্তর দিলে এরকম অবাক ভাবে তাকাবে কেন! এমন তো না যে সে বাংলা বোঝে না। এই মেন্টালিটিতে আমার সমস্যা।
ডিসকোভারি চ্যানেল নিয়ে আমারো আপত্তি আছে, কারন কিছু জিনিস ইংরেজীতেই ভালো। কিন্তু আমার লেখায় যা বলেছি তাতে কিন্তু ইংরেজী ভাষার প্রতি কোন বিদ্বেস নেই। অনুবাদ সাহিত্যেও কিছু শব্দের বাংলা দেখতে বুঝতে কষ্টই হয়। আমার সমস্যা কোনটা নিয়ে তা আগের প্যারাতেই বললাম।
অনেক ধন্যবাদ।
চিন্তাযুক্ত; রসপ্রযুক্ত…
ধন্যবাদ।
আমাদের ডিজ্যুস কনসেপ্ট আসলে বিনোদনের স্বাভাবিক ঘাটতি পূরণ করার একটি বিকল্প। অন্য সংস্কৃতি থেকে আমরা ভালো কিছু যে গ্রহণ করি না, তা না। তবে মোটাদাগে আপনার কথাই সত্য। খারাপ জিনিসগুলোকেই বেশি গ্রহণ করা হয়। পশ্চিম মানেই ফ্রি সেক্স আর নাক-কান ফুটানো!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ক্ষুধা পেটে তো আর ভালোকাজ হয় নারে ভাই। মহানসব মনিষীদের জীবনী দেখেন আর হিসাব করেন তারা একেক জন কতগুলো করে বিয়ে বা প্রেম করেছিলেন। কেউ হাজারটা প্রেম করেছেন, আবার কেউবা হাজারটা বিয়ে করেছেন। তার পরে না তারা শান্ত মন নিয়ে মহান সব কাজে হাত দিয়েছেন?
পেট খালি থাকলে তো খালি ক্ষুধা লাগবে - সব সময় ক্ষুধা লাগবে। আমাদের পরিমল স্যারের মতো। জায়গা বে-জায়গায় ক্ষুধা লাগবে। তাই, আগে পেটটা ভরাতে দেন তারপর দেখেন ওরা কত ভাল ভাল কাজ করে।
ভালো কাজ করার জন্য শান্ত মন সৃষ্টি করে ইচ্ছেমতো সেক্সের দরকার নাই। ইনফ্যাক্ট যারা কাজে ব্যস্ত, তাদের জন্য গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড ম্যানেজ করাই দুষ্কর। যেমন, একটা কথা আছে কম্পিউটারের স্টুডেন্টদের গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড থাকে না। মহামণীষীদের যে জীবনী আমরা পড়ি, তার অনেকটাই রঙচঙে ভরা এবং তাদের কনটেক্সট থেকে সরিয়ে আমাদের কনটেক্সটে বসানো হয়।
ইয়াবা খেয়ে আর ব্লাইন্ড ডেটিং বা গ্রুপসেক্স করে আমাদের ডিজ্যুসেরা কি সৃষ্টি করছে আর কি কি ভালো কাজ করছে জানতে ইচ্ছে করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
গ্রুপসেক্স কোথা থেকে আমদানী করলেন ভাই? সন্দেহ নাই, পরিমলও আপনার মতোই ধারনা পোষন করতো। আর তাই তো নিজের ছাত্রীকে খুবই সস্তা মনে করেছিল।
ভূল ধারনা গুলো বদলান। জীবন বদলে যাবে।
আর একটা কথা, সিঙ্গেল কোর প্রসেসর দিয়ে তো আর মাল্টিটাস্কিং হয় না, তাই না?
ক্ষুধা যেমন শেষ হয়না তিন বেলা ক্ষুধা লাগে (আমার অবশ্য সারাদিনই ক্ষুধা লাগে...কী যে করি... ) তেমনি ঐ ক্ষুধাও শেষ হবার নয়।পেট কখনই ভরবেনা।
তাই পেট ভরার প্রয়োজন নেই; প্রয়োজন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করার।
নিয়ন্ত্রন করা কি এতই সহজ? পরিমল তো পারলো না? পরিমল তো দূরের কথা হিন্দু ধর্মের অনেক সন্ন্যাসীরাও নাকি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন নাই।
এবার ইসলামের কথা বলি - সবচেয়ে বিজ্ঞান সম্মত জীবন ব্যাবস্থা। ইসলাম অনুযায়ী বিবাহ ফরজ মানে আবশ্যকীয়। বিবাহ না করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করাই ইসলামে পাপ। তা বিবাহ কি এমনি এমনি ফরজ করা হইসে নাকি? আপনি কি আপনার সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বেশি জ্ঞান রাখেন নাকি? নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ!
হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই নেই। তাই এ নিয়ে আলোচনা করবনা।
""এবার ইসলামের কথা বলি। বিবাহ না করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করাই ইসলামে পাপ।""
ভাই "বিবাহ না করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করাই ইসলামে পাপ।" এটা কোথায় পেলেন?
হাদীসে এসেছে
এক সাহাবী বিয়ে করতে সক্ষম ছিলেননা। তো তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করনার্থে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে খোঁজা হওয়ার অনুমতি চাইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে অনুমতি না দিয়ে বরং তাঁকে রোযা রাখতে বলেন।
আর ভাই আমি কি বলেছি যে বিবাহ না করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে?
সাধারনত ১৬ বছর বয়সেই ( ক্ষেত্র বিশেষে তার আগেই) একটা ছেলের শারীরিক সক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। এখন এই ছেলেটি কি পারবে বিয়ে করতে আমাদের বিদ্যমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে??? আমার বলা "ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন" তো এই ছেলের জন্য। পরিমলের মত বয়স্ক কিশোরদের জন্য নয়।
""আপনি কি আপনার সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বেশি জ্ঞান রাখেন নাকি?""
আপানার এই কথায় খুব, খুব, খুবই কষ্ট পেলাম। আমার চোখে পানি এসেগেছে।
ভাই আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ্ এক, তিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নেই ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আর এই বিশ্বাস আমি আমৃত্যু বয়ে যেতে চাই। আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানের সাথে আমার মৃত্যু দিন। আমীন।
আপনি যদি বলেন যে পূর্ববর্তী মন্তব্যে আমি বিয়ে সম্পর্কে কি বলতে চেয়েছি তা আপনি বুঝতে পারেননি তবে তা আমার বিশ্বাস করতে বাঁধবে। আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করে এই কথাটি লিখেছেন।আমি তাই মনে করি। বাকী আল্লাহ্ তা'আলা ভাল জানেন।
আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন। আমীন।
" বিদ্যমান সামাজিক প্রেক্ষাপট " - হুম, খুবই কঠিন শব্দ।
আমার কথাগুলো তো এতো কঠিন ছিল না বরং অনেকটাই তরল ছিল। চিবাতে যেয়েই ভূলটা করেছেন। গিলে ফেলতেন সহজেই হজম হয়ে যেত।
আজব লাগে যখন দেখি একজন সরকারী কর্মচারী যিনি সিজদায় কপাল ঘসতে ঘসতে কপালে ঈমানের সিল মোহর লাগিয়ে নিয়েছেন কিন্তু ঘুস ছাড়া ঘাড় ফিরিয়েই তাকান না।
আজব লাগে যখন দেখি মাথায় টুপি দেওয়া ব্যাবসায়ীকে, যিনি অবলিলায় পন্যের অযুক্তিক মূল্য দাবি করেন - মজুদ্দারি করেন।
আজব লাগে যখন দেখি মানুষ নদীর বালু বেচে, জলাধার ভরাট করে পরিবেশের ক্ষতিকরে, টাকা পয়সা কামিয়ে মসজিদের সামনের কাতার দখল করে। মিলাদ দেয়।
আজব লাগে যখন দেখি মানুষ মসজিদে বসেও ফিস ফাস ফিস ফাস করে অন্যের সমালোচনা করেই যায়, মনে মনে অন্যের উন্নতিতে জ্বলে পুড়ে খাক হয়।
আজব লাগে এই দেখে যে, ইসলাম মানুষের অন্তর টা পরিস্কার করতে পারে নাই। সেখানে মিথ্যা, হিংসা, লোভ, ঘৃণা - এসবেরই রাজত্ব।
আরো আজব লাগে,
আজব লাগে যখন দেখি, ঈমাম সাহেবরা বিচারের নামে অপরাধের শিকার অবুঝ-অসহায় কিশোরি হেনা কেই উল্টো চাবুক পিটিয়ে হত্যা করেন। আবার, এরকম বিচার-বুদ্ধি নিয়ে তারা সারা পৃথিবী শাসন করার স্বপ্ন-টপ্ন ও দেখেন।
আজব লাগে যখন দেখি, মাউলানারা '৭১ এ পাকিস্তানিদের কর্মকান্ড কে জায়েজ ঘোসনা করেন।
আজব লাগে যখন দেখি, আজকের দিনেও কর্নেল গাদ্দাফি তার সৈন্যদের নিজ দেশের নারী ধর্ষনের অনুমতি দেয়। আরও করুন, ধর্ষনের শিকার মেয়েদের তাদেরই বাবা-ভাই পারিবারিক সম্মান রক্ষার্ নামে হত্যা করে। (শুধুমাত্র একজন সন্তান আসবে বলে। হায়রে মুসলিম সমাজ, তুই চোদ্দশ বছর পিছনেই রয়ে গেলি)।
আজব হলো - বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম মনে মনে কর্নেল গাদ্দাফিকেই সমর্থন করেন।
আজব লাগে যখন দেখি, ইহুদী বৃদ্ধার সেবাকারী নবীজির অনুশারীরা ইহুদীমাত্রকেই শত্রু মনে করে - হত্যা করতে চায় সেই সাথে ইহুদী মহিলাদের বিবাহ করে ঘরেও তুলতে চায়। (ইহুদী মহিলারা আবার নাকি খুব সুন্দরী হয়!)
আরো বড় আজব, হযরত উসমান নাকি তার খিলাফতের আমলে রোমানদেশ জয় করে আর কিছু না পেয়ে ওখান কার এক দঙ্গল সাদা চামড়া সুন্দরী বন্দী করে নিয়ে এসেছিলেন ভাগ বাটোয়ারা করে বিয়ে করার জন্য।
হুমম, আর কি বলি, পুরাই লুল কাহিনি।
অথচ, কি আজব দেখেন, দুজন নিস্পাপ কিশোর কিশোরি পাশা পাশি হেটে গেলে বা, দুটি কথা বললে - একসাথে আলোচনায় মিললে অথবা, চোখে চোখ রেখে নির্মল আনন্দে হেসে উঠলে মুসলমান সমাজটাই নাকি ধংস হয়ে যায়।
কি আজব, কি আজব!
( বাংলাদেশের সমাজ প্রসঙ্গে কথা চললেও মুসলিম সমাজ টেনে আনলাম। কারন বাংলাদেশের সমাজ মুসলিম সমাজ। এবং মুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। )
""আজব লাগে"" হি হি হি...
ভাই খুব ব্যস্ত আছি। আপনার এই ""আজব"" মন্তব্যের জবাব সময় নিয়ে লিখতে হবে। আশাকরি আগামী বৃহস্পতিবার আপনার এই ""আজব"" মন্তব্যের জবাব দিতে পারব ইনশাআল্লাহ্।
""কি আজব, কি আজব!"" হি হি হি...
আসলে এখনো মনে হয় ট্রেন্ডটা মানুষ বুঝে উঠতে পারেনি। আশা করা যায়, কিছুদিন পর সবাই ভালোটাই খুঁজবে আগে।
অনেক ধন্যবাদ।
ভীষণ ভাল লাগল লেখাটা পড়ে... একেবারে মনের কথা
ধন্যবাদ।
ব্যাকডেটেড জেনারেশন হয়্যা গেলেনতো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
(মাথা চুলকানোর ইমো) ইয়ে, তা মনে হয় হয়েই আছি।
সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসে কলম চালানো বলতে যা বোঝায় লেখাটা তাই। মাথায় ঘুরছে, দেখছি, ভাবছি, কিন্তু প্রকাশ করতে পারছি না- এর মত যন্ত্রণা আর হয় না। আপনি কাজটা করে দিলেন।
শেয়ার না দিয়ে উপায় পেলাম না। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। সচলে নতুন, আপনাদের কমেন্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার কিছু পর্যবেক্ষণের সাথে সহমত।পাশ্চাত্যকে আমরা কিছু ক্ষেত্রে অনুকরণ করেছি,অনুধাবন করতে পারিনি।খুব হতাশ লাগে যখন রাস্তা-ঘাটে বা বিভিন্ন জায়গায় খুব অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের খুব আপত্তিকর ভাবে দেখি।প্রেম করাটা অন্যায় নয় কিন্তু ভালো-মন্দের প্রভেদ বোঝার আগে ভুল করার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।বেশ কয়েক মাস আগে একটা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি এগারো-বারো বছরের একটা ছেলের ভিডিও দেখা দেখে।
প্রেম করাটা অন্যায় নয় কিন্তু ভালো-মন্দের প্রভেদ বোঝার আগে ভুল করার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি
সহমত। অনেক ধন্যবাদ।
এক্ষেত্রে মিডিয়াগুলোর কাছ থেকে যে ভূমিকা আশা করা উচিৎ ছিল তারা তার উল্টোটাই করছে। খুব সচেতনভাবে তারা অশ্লীল এবং অস্পৃশ্য বিষয়গুলোকে বারংবার মনের মধ্যে ঢুকিয়ে আমাদের কাছে সেগুলোকেই সহনশীল করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সহজ কথা যায় না বলা সহজে, কিন্তু সেটাই যেন কিভাবে কিভাবে করে ফেলো।
তুমিও তো বলে ফেলো! আসলে বোকা ছেলে এত বোকা না।
আপু, আপনার ক্লাস এইটের উইশ লিস্টেও তো দেশীয় সংস্কৃতির ধারক বাহক কোনকিছু দেখলাম না। আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন কলেজে ওঠার পর নিক কার্টারকে চিঠি লেখার ইচ্ছা চলে গিয়েছিলো। নিক কার্টারকে আমার সব সময়ই ওভাররেটেড মনে হয়েছে, সেটা স্বীকার করায় বান্ধবীদের সাথে অনেক ক্যাচালও হয়েছে, ওরা আমাকে ব্যাকডেইটেড ভাবতো!
হয়তো সেইভাবেই এখনকার পিচ্চি জেনারেশানকে আমরা বুঝি না!
যেভাবে আমাদের সিনিয়ররা ভাবতো আমরা উচ্ছনে গেছি, শরৎ পড়ি না, হুমায়ুন পড়ে মাথায় হাবিজাবি ঢুকাই!
ক্লাস এইটের একজন টিন এজারের কাছে রবীন্দ্র সংগীতের চেয়ে বিএসবি এ বেশী ভালো লাগবে, মান্না দের গান না শুনে সে ব্রায়ান অ্যাডামস শুনবে -- এটাই কি স্বাভাবিক না? আমি কিন্তু লেখায় এটা বুঝাই নি যে বিদেশী গান শুনছে বলেই পিচ্চিরা উচ্ছনে যাচ্ছে। বরং এটাই স্বাভাবিক যে তারা লিংকিন পার্ক আর গান্স এন্ড রোজেস এর সাথেই লাফাবে, তাদের পোস্টারে ঘর ভর্তি হবে। আমি বলতে চেয়েছি, স্কুল পালানো, বয়সের তুলনায় বড়দের মত কাজ করা, লাউঞ্জে গিয়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের মত আচরণ করা--- এসব গ্রহনযোগ্য নয়।
টিন এজাররা শরৎ না পড়ে তিন গোয়েন্দা আর হ্যারি পটার নিয়েই বসে থাকবে--এটা হতাশা জনক নয়। এটা স্বাভাবিক, কিন্তু টিন এজাররা নেটে বসে অশ্লীল ভিডিও দেখবে এবং সারা রাত মোবাইলে কথা বলবে--এটা আমার মতে অস্বাভাবিক।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
সহমত
আজব ব্যাপার ভালো টা গ্রহণ না করে খারাপটা নিতে আগ্রহী অধিকাংশ মানুষ। কিছু হলেই পাশ্চাত্যের দোষ, কিন্তু তাদের দেশতো খারাপ চলছে না, আমাদের সমস্যা কি !!
facebook
মিডিয়ার অনেকাংশে দোষ আছে এতে। খারাপ ব্যাপারগুলি এমন সহজে প্রকাশ করছে যে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে, কারন টিন এজারদের তো আর ভালো মন্দ এত বোঝার বয়স হয়নি। একারনে কনফিউশন ক্রিয়েট হচ্ছে বেশী। এটাই সমস্যা। তার চেয়েও বড় কথা, গাইডেন্সের অভাব। আজকাল বাবা-মারা সময় দিতে পারেন না অনেক ক্ষেত্রে, কারন কর্মব্যস্ত জীবন। তার উপরে চারপাশে খারাপ বন্ধু (টিভির উদ্ভট কিছু অনুষ্ঠান, ইন্টারনেট) ছড়িয়ে আছে, একারনেই মনে হয় সমস্যাটা বেশী।
আশার কথা, আমার মনে হয় পরিবার একটু সতর্ক হলেই এসব থেকে বেরুনো সম্ভব।
অনেক ধন্যবাদ।
হুম আপু। ভালো লিখেছেন।
অফটপিকঃ আপনি ছন্নছাড়া ত্রিনিত্রি?
অনেক ধন্যবাদ।
অফটপিকঃ হু, আমিই সেই। তবে এখন আমি গোছালো হবার চেষ্টা করছি, আর ছন্নছাড়া থাকবো না। হাহাহা।
ধুর মিয়া, আপনে দেখি আমার মতই খ্যাত !!
লেখায়
আমি যে একা খ্যাত না আমি তাতেই খুশী।
ধন্যবাদ।
অনেকেই দেখলাম অনেক অ্যাঙ্গেল থেকে বলেছেন। আমার ভালো লাগলো দুটো বিষয়। একটা ফান এলিমেন্টস্, আরেকটা সেখান থেকে সিরিয়াস অবস্থান নেওয়া। দারুণ কম্বিনেশন। নিছক ফানে মজা কম। আবার পণ্ডিতিও নীরস লাগে। সমকালীন বাস্তবতা উঠে এসেছে সুন্দরভাবে। ভালো থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ।
কঠিন সত্য,সুন্দর উপস্থাপন ....কিন্তু লেখাটা পড়ে দোনমনায় পড়ে গেলাম.....প্রেম করি বলে নিজেকে ‘ডিজুস’ ভাববো নাকি সে প্রেমের লান্ঞ্চ আর ডিনার টি. এস. সি’র চায়ের কাপে সারি বলে ’খ্যাত’ ভাববো বুঝতেসিনা.... .........
কি যে বলেন, ডারইউনের মতবাদ আসার আগে থেকে প্রেম চলছে !! প্রেম করলেই ডিজুস হবেন কেন। আপনার কমেন্ট পড়ে মজা পেলাম! খ্যাত হওয়াও কিন্তু খারাপ না। অনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কি নিয়ে এত চিন্তা, সেটা নিয়ে আমিও চিন্তিত।
আমার মতো খ্যাত পোলাপাইনের চিন্তাভাবনা ক্যামনে আপনের মাথায় আসল??
একই দলের যে, এই জন্য।
ভদ্র, সভ্য, বাংলা কবিতা পাঠক, অথবা কবি, এমন ছেলে মেয়ে'রাও কিন্তু ডিজুস জেনারেশনের মত অচ্ছ্যুত কাজগুলো করে।
সমস্যা পাশ্চাত্য বা দেশীয় সংস্কৃতি নিয়ে নয়। জাতি হিসেবে আমাদের মুল্যবোধের কিছু পরিবর্তন ঘটে গেছে।
লেখা ভাল। বিষয় মনোহর।
একদম মনের কথা! ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় এই ডিজুস কালচারের সাথে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে। গত কয়েক বছরে মানুষের কাছে টাকা-পয়সা অনেক বেড়ে গেছে। যে সকল ছেলেদের কথা বললেন, এদের দুইটা ভাগ করা যায়। ১) কর্পোরেট চাকুরীজীবি, এই শ্রেণীর ছেলেরা বেশি বয়েসি আর ২) বিত্তবানদের পোলাপান, যাদের বয়স কম। আর স্কুল/কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ডিজুস কালচার ভোগ করার জন্য নিজের পয়সা খরচ করতে হয়না। এই মেয়েরা বিভিন্ন আকাশ সংস্কৃতির ধারক, একটা/একাধিক ডিজুস পোলা ম্যানেজ করতে বেশি সময় ব্যয় করতে হয়না।
আপনার কথা ঠিক হয়ত, কিন্তু সবাই কি বিত্তশালী? মনে হয় না। তবে একটা ব্যাপারে সহমত, আকাশ সংস্কৃতির ধারক! সে তো অবশ্যই।
খুব প্রতিক্রিয়া নেই আমার, তবে কিছু বিষয়ে চিন্তিত!!! এরা মূল কাজ পড়াশোনা/শিক্ষা থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে, কোনমতে(কখনও শুধুমাত্র নকল করে) পাশ করে হয়তো উৎরে যাচ্ছে, কিন্তু কথা হচ্ছে এরা কি মানব সম্পদ হয়ে উঠছে কি না? দশটা বছর পর এই তরুণ-কিশোরদের যে সময় দেশের হাল ধরার কথা তা ধরতে পারবে কী না? এই প্রজন্ম ভবিষ্যতে চরম শূন্যতার সৃষ্টি করবে কী না? আমার আশঙ্কিত খুব!!!
তবে সঠিকভাবে, কাঙ্ক্ষিতভাবে পড়াশোনা/শিক্ষা ঠিক রেখে যদি এসব চলে তবে সমস্যা দেখি না। তবে একসাথে একাধিক প্রেম, পরকীয়া এগুলো নীতিগতভাবে আমি অসমর্থন করি। আমাদের ন্যূনতম সুস্থ সম্পর্কপ্রথা, পরিবার প্রথা তো টিকিয়ে রাখতে হবে!!!
_____________________
Give Her Freedom!
একটা আরেকটার উপরে নির্ভরশীল। স্কুল পালিয়ে, স্যারের বাসার নাম করে বেরিয়ে এসব করে বেড়ালে পড়াশোনা তো হবার কথা না। ধারে কাছে অ্যাট লিস্ট দেখিনি। তবে এমন জিনিয়াস যদি থাকে যে পড়াশোনা ঠিকই আছে, তবুও কি একের অধিক প্রেম করা, মাত্র ১৩/১৪ বছর বয়সে বড়দের মত কাজ করা... এসব কি গ্রহনযোগ্য? কোনভাবেই না!
অনেক ধন্যবাদ।
আমরা কি একটা প্লাটফর্ম বানাতে পারি না যারা এই সব না বুঝে বিপথে.... যাওয়া ছেলে মেয়েদের বুঝাবে একটু অন্য ভাবে খুব কঠিন হবে না ...কারন সমস্যা টা এখনো ঢাকা কেন্দ্রীক ....মহামাড়ী হয় নাই এখনও
এটা পরিবার থেকেই আসতে হবে। আমি তো লেখাতেও লিখেছি, বাচ্চাদের তেমন দোষ নেই। তারা তো চাকচিক্যে মুগ্ধ হবেই, এটা আমাদের দায়, আমাদের দায়িত্ব তাদেরকে বলা।
বাবা মা সময় ঠিকভাবে দিলে আমার মনে হয় না এসব সমস্যা এরকম প্রকট আকার ধারন করতো/
আমার মতে এক্ষেত্রে মা-বাবারাই অনেকাংশে দায়ী (ত্রিনিত্রির সাথে সহমত)। আমি মোহাম্মদপুরে ও-লেভেলে পড়ুয়া একটা মেয়েকে পড়াতাম। একদিন বুঝলাম ওর কাছে দুইটা মোবাইল। জিজ্ঞেস করলাম কেন? বলল- একটাতে অন্য একটা সিম আছে, আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলার জন্য। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমার কানকে!! প্রশ্ন হল ও মোবাইল কেনার টাকাটা পেল কোথায়??
এটা ঐ পিচ্চি ছাড়া কেউই বলতে পারবে না। তবে, সেম কাহিনী আমার পরিচিতের মাঝে আছে। মোবাইল সিজ করার পর ধরা গেলো যে তাকে তার বয়ফ্রেন্ড দিয়েছে। আপনার কাহিনীতেও এটা হতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পিচ্চির বয়ফ্রেন্ড মোবাইল গিফট করার টাকা কি ভাবে পায়! অবশ্যই বাবা-মার কাছ থেকে। সুতরাং ঘুরে ফিরে মূল দোষ পরিবারেরই।
যেই সব জায়গায় আপনি গিয়েছেন এবং স্ক্রাপ বুক এ আপনার ৩ টাই ইংরেজি ইচ্ছা দেখে আমার মনে হয়েছে আপনার ভেতর ও এলার্মিং পরিমানে ডিজুস ভাইরাস আছে....আসলে আপনিও তাদেরই একজন...
"তা ৩ জনে কি পহেলা বৈশাখ হয়?" ...৩ জনে পহেলা বৈশাখ হতে সমস্যা কোথায়?
আপনার কমেন্টটা পড়ে মনে হলো আপনি আমার পোস্টের মূলটা ধরতে পারেননি। এইচটুও এর বাইরে লেখা নেই যে এটা ডিজুসদের জন্য, অথবা ২০ বছরের উপরের ব্যক্তিরা ঢুকতে পারবে না, সুতরাং আমরা ঢুকতেই পারি।
দ্বিতীয় কথা, আমি প্রাপ্তবয়স্ক, শিক্ষাজীবন শেষ, এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেবার মত বয়সী। আমার সাথে কি আপনি ১৩/১৪ বছরের একটা কিশোর/কিশোরীর তুলনা দেবেন? যে মেয়ে স্কুল পালিয়ে তার চেয়ে ৭/৮ বছর বড় একজনের সাথে গিয়ে সীসা টানছে? এলার্মিং পরিমাণে ডিজুস স্বভাব আমার মাঝে যদি থেকেও থাকে, তাতেও কি সমস্যা আছে? আমি তো আন্ডারএজ না।
আমার সমস্যা টিনএজার বা সদ্য ভার্সিটি যাওয়া তরুন-তরুনীরা কেন বাবা মা কে ফাঁকি দিয়ে, নিজেদেরকে ফাঁকি দিয়ে, এসব করবে। আর সেইসব প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে, যারা টিনএজার একটা মেয়েকে স্কুল ফাঁকি দিতে, তাকে সীসা বা ইয়াবা খাওয়ানোর মত খারাপ কাজে উৎসাহী করে।
ক্লাস এইটের একটা বাচ্চার কাছ থেকে আপনি কি আশা করেন স্ক্রাপ বুকে? রবীন্দ্রসংগীত আর কবিতা পাঠের আসর? টিনএজাররা তো প্রাণচঞ্চলই থাকবে, কল্পনায় ডিজনী যাবে, লিংকিন পার্ক এর পোস্টার ঘরে ঝুলাবে... এসবই ওরা না করলে কারা করবে? কিন্তু তার মানে তো এই না যে মোবাইলে সারা রাত আজে বাজে গল্প করে পরের দিন স্কুল পালাবে আর সেসবও স্বাভাবিক বলেই গন্য হবে। সবকিছুর একটা মার্জিং থাকে, তা তো মেইনটেইন করতেই হবে।
৩ জনে পয়লা বৈশাখে হয়ত অনেকেরই সমস্যা নেই, কিন্তু ভাই আমরা সবসময় ৩০-৩৫জনের একটা গ্রুপ নিয়ে হৈ হল্লা করতে অভ্যস্ত ছিলাম। শিক্ষা জীবন শেষ হবার সাথে সাথে ৩০ থেকে ৩ জনে নেমে আসাটা আমাদের জন্য কোনভাবেই সহজে এক্সপেক্টবল হবার কথা না।
ধন্যবাদ।
খুব আপত্তিকর এবং অসচেতন মন্তব্য। লেখক যে পোস্টটি দিয়েছেন তা কেন ভালো বা খারাপ যুক্তিসহ বিশ্লেষন করুন, আপনার মত পক্ষে বা বিপক্ষে হোক কোন অসুবিধা নাই। লেখককে ব্যক্তিগত আক্রমণ অনুচিত।
লেখায় যে বিষয়টা নিয়ে বলা হয়েছে, তার ভেতরে আপনি যানই নি, উল্টো অগুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে কমেন্ট পাস করছেন। নিন্দা জানিয়ে গেলাম
না। কর্পোরেট কালচারকে এক তরফা দায়ী করা যায় না।
মধ্যবিত্ত ঘরের আপাত ভদ্র ছেলে মেয়ে, যারা academically sound তারা'ও d'juice মুল্যবোধে চলছে। পারষ্পরিক আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরশীলতা কমে যেতে যেতে নাই হওয়ার পথে।
আমি এখন আর কিছুই বুঝি না। থই পাইনা। শুধু দেখে যাই।
উহু, কোন কিছুকেই একতরফা দায়ী করা যাবে না। আস্থা, বিশ্বাস কি না কমে উপায় আছে? সবাই আশে পাশে দেখে শেখে, এখন কি কোন ভাল উদাহরন আছে চারপাশে? চারপাশে যা দেখে টিনএজাররা তো তাই অ্যাডাপ্ট করে।
এটা পরিবারের দায়িত্ব, বা আমাদের দায়িত্ব। ডিজুস কনসেপ্টটা খুব বেশী দিনের নয়, সুতরাং এটা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
হুম
এইচটুও লাউঞ্জে ঠিক এইরকম একটা অভিজ্ঞতা আছে আমার। আমি আর আমার এক বন্ধু আড্ডা দেবার জায়গা খুঁজতে ভুলক্রমে ঢুকে পড়ি লাউঞ্জে, এরপর পুরাই ভ্যাবাচ্যাকা!
আশেপাশে মেয়েগুলির পোশাকে অবাক হব নাকি নিজেদের পোশাক নিয়ে বিব্রত হব বুঝতে পারছিলাম না।
আরও বিস্মিত হলাম এদের বয়সের পরিসীমা দেখে।
বাবা মাকেই দোষ দেয়া যায় নাকি এই ধরনের লাউঞ্জের পরিবেশগুলোকেও ঠিক বলা যায় না।
এই ডিজুস কালচার প্রমোট করেই কিন্তু আজকাল অনেক বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেড়ে চলেছে।
লাউঞ্জের দোষ আছে মানি, কেন তার অপ্রাপ্তবয়স্কদের ঢুকতে দেয়। কিন্তু এটা কি চিন্তার বিষয় না, যে এই সীসা কেনার জন্য স্কুল কলেজ পড়ুয়ারা টাকাটা পাচ্ছে কোথায়? ওদের তো আর ইনকাম থাকার কথা না। নিশ্চই পরিবার থেকেই পাচ্ছে। বাচ্চাদের টাকা দিলে অবশ্যই তারা কিভাবে সেটা খরচ করছে দেখার দায়িত্ব বাবা-মার। আবার এমনও আছে যে বাবা-মা অনেক কেয়ার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গদোষে খারাপ হচ্ছে।
মালটিফ্যক্টর কাজ করে আমার ধারনা।
অনেক ধন্যবাদ।
প্রায়-উদ্দেশ্যহীন পরনির্ভর জাতির কাছে এর থেকে বেশি আশা করা যায় না।
কঠিন কথা।
হুম...
কতটা deceitful স্কুল পড়ুয়া প্রজন্ম! বাবা-ময়ের পিঠের পেছনে স্কুল ফাঁকি দিয়ে, পোশাক পাল্টিয়ে, দামড়া বয়ফ্রেন্ড নিয়ে গ্রোন-আপ স্টাইলে আড্ডাবাজি করে!
Parenting কতটা irresponsible হলে বাচ্চারা দিনের পর দিন চালাকি করে চলে বাবা-মায়ের নাকের ডগায়! আর তারা 'ব্যস্ততার' কারনে কিছুই টের পায় না!!
আপনার পোস্ট খুবই শালীনভাবে a hard slap on their face. It was much needed.
Two thumbs-up
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল লিখেছেন।
একটা প্রশ্ন ছিল; আপনি কি ডাক্তার?
অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী, পেশায় চিকিৎসক।
এইচটুও লাউঞ্জ কী!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এমনিতে তো খাবার আর আড্ডানোর জায়গা বলেই মনে হয়, তবে প্রবেশাধিকারের উপর একটু শর্ত আরোপ করলে মনে হয় এ কূল ও কূল দুই কূলই রক্ষা হয়!
ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি ভাই,
এক্কেবারে মনের কথা লেখেছেন আপনি। আমি মাত্র শিক্ষা জীবন শেষ করেছি গত বছর। আমার ভিতরেও এলার্মিং পরিমাণ ডিজুস+ ছিল, কিন্তু সেটা ছিল বন্ধুদের গ্রুপ ধরে। এখন আমি যত দেখি তত অবাক হই। এদের চিন্তাধারা দেখলে আমি হাসব নাকি এদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করব তাই ই বুঝি না।
@চিন্তায় থাকিঃ আসলেই এখন সবাই উদ্দেশহীন পরনির্ভর হয়ে পরেছে। আমাকে আমার এক ভাই একবার বলেছিল, একটা জাতিকে দাড়াতে হলে কয়েক প্রজন্মকে স্রেফ ধংস হয়ে যেতে হয়। আমাদের কাহিনী হচ্ছে উল্টা, কয়েক প্রজন্ম জাতিকেই ধংস করে দিবে মনে হচ্ছে।
ভাল থাকবেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
প্রতিটা প্রজন্মকে পরের প্রজন্মের কারসাজি অবাক লাগে, গ্রহনযোগ্য় মনে হয়না। আমি নিশ্চিত আপনার প্রজন্মকে নিয়ে আপনার আগের প্রজন্মের ঠিক এরকমই একটা লেখা লেখা সম্ভব। আশির দশকে তো পাশাপাশি ছেলেমেয়েকে একসাথে রিক্সায় দেখলেই আস্তাগ্ফিরুল্লা বলে বুকে ফুঁ দিত। কোন মেয়ে যদি রাস্তার মোড় থেকে সিগারেট কিনে নিজ হাতে আগুন ধরিয়ে একটা টান দিত, তাহলে সেখানে ভীড় জমে যেত। আমার ধারনা আমার প্রজন্মের ছেলেমেয়ে বন্ধুরা একসাথে রিক্সায় হুডে বসতে শুরু করে (রিক্সাওয়ালার প্রতি অনাচার ব্য়াতিরেকে) বা প্রকাশ্য় ধুমপান শুরু করে দোষের কিছু করেনি, ডিজুস ছেলেমেয়েরা ভিনদেশী বাজনা, বহু-সিম বা বহু-প্রমিক ইত্যাদিতে দোষের কিছু দেখেনা।
কঐ্শোরই পরীক্ষা নিরীক্ষার সময়। দুজন মানুষের সম্পর্ক বোঝার এটাই সময়। রবীন্দ্রনাথের প্রজন্ম কঐ্শোরে ভানুসিংহের পদাবলীতে যা বলতে চেয়েছে, আজকের ডিজুস প্রজন্মের বক্তব্য একই আছে। প্রকাশমাধ্যমটা অপরিচিত।
অপরিচিত মানেই খারাপ - এটা মনে হয় পুরোপুরি বয়োঃপ্রাপ্ত উপসংহার নয়।
প্রকাশ্যে ধূমপান করা দোষের। বর্তমান আইনে ৫০ টাকা জরিমানা করার বিধান আছে। ভিনদেশি বাজনা শোনা খারাপ না।কিন্তু প্রতিটা দেশের ই আলাদা সংস্কৃতি আছে। আধুনিকতা মানে এগুলা পরিত্যাগ করা না। আমদানী করা সংস্কৃতির ফল বেশি ভাল হয় না। কারন ব্যধিই সংক্রামক,স্বাস্থ্য না।
দুই সিম, বহু প্রেম করা পরীক্ষার অংশ না।এটা প্রতারণা। এক ধরনের মানসিক সমস্যাও। ইয়াং এজ থেকেই মিথ্যা বলা/ প্রতারণা করা শিখলে পরে এরা দেশের সাথেও প্রতারণাই করবে। তাই এগুলো ডিজুস পোলাপানদের বুঝাতে হবে।
কথাগুলো কতটুকু ভেবে বললেন বোঝা গেল না। আবদ্ধ সংস্কৃতি থেকে কিন্তু মৌলবাদ বেশী দূরে নয়।
এই কথাগুলোর পেছনে যুক্তিটাও পরিস্কার হলনা। সম্পর্কের দিক থেকে কিছু মানুষ সহজাতভাবে বহুগামী হবে - এটাইতো স্বাভাবিক। এখানে ভবিষ্যত রাষ্ট্রদ্রোহীদের দেখতে পাওয়াটার মধ্যেই বরং কিছুটা প্যারানয়া থাকতে পারে।
সংস্কৃতিকে আবদ্ধ করতে তো বলছি না। আমদানী করা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তো বলেছি ব্যধিই সংক্রামক। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির খারাপ দিক গুলোই আমাদের মাঝে বেশি ঢুকছে। ইংরেজী গান/সিনেমা দেখলেই অথবা বার্গার খেলেই বলা যাবে না যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ধারন করে ফেলছে। কিন্তু দেশীয় সংস্কৃতি বাদ দিয়ে অন্য দেশের সংস্কৃতি ভালবাসে ধারন করতে চাইলেই সমস্যা। আর এটা করাও যায় না। একটা দেশের সংস্কৃতি সেই দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, মানুষের চরিত্র, আবহাওয়া, ঐতিহ্য ইত্যাদি আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে হাজার বছর ধরে গড়ে উঠে। তাই সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গার সংস্কৃতি আমাদের এখানে খাপ খাবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই যারা এইটা করে তারা না পারে অন্য সংস্কৃতি গ্রহন করতে, না পারে নিজেরটা ছাড়তে। মাঝখান দিয়ে অন্যদেশের মানুষের কাছে অপমানিত হয়। এর প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ হল মাইকেল মধূসুদন।
জি। কিছু মানুষ বহুগামী হবে এইটা স্বাভাবিক। এবং আদর করে এদের খাটি বাংলায় লুইচ্চা বলবে এটাও স্বাভাবিক। একসাথে অনেক গুলা প্রেম করা পাশ্চাত্যেও গ্রহনযোগ্য না, এই দেশেও না।
১। একদিকে বলছেন সংস্কৃতি আবদ্ধ না করতে, আবার বলছেন বেছে বেছে বিদেশী সংস্কৃতি গ্রহণ করতে। এই বাছাবাছি করতে যে মাপকাঠিটা লাগবে, সেটার নিয়ন্ত্রক কে হবে? পেছনে তাঁকিয়ে ভাল খারাপ যতটা বলা যায় সামনের দিকে সেটা কি বলা যায়?
২। মাইকেল মধূসুদন অন্য দেশের মানুষের কাছে অপমানের ভয়ে বাসায় বসে থাকলে বাংলা সাহিত্য়ের খুব লাভ হত বলে মনে হয়না। তার জীবন বঐচিত্রময় হতে পারে, কিন্তু তাকে দিয়ে খারাপ সংস্কৃতির অপকারিতা বোঝানোকে শিক্ষিত চেষ্টা ভাবতে পারছিনা।
২। বহুগামের ভূক্তভোগী বা 'সুযোগের অভাবে চরিত্রবান' বা আপনি আদর করে একজন বহুগামীকে কি নামে ডাকবে, সেটাতো আলোচ্য ছিলনা। আমি বলেছিলাম বহুগমন থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ শেখা যায়, এটা কষ্টকল্পনা।
দোষ আমাদের প্রজন্মের, কারন আমরাই নতুন প্রজন্মের কাছে সত্যিকারের সুন্দর জীবনাচরন তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি !
পরের প্রজন্মকে নিয়া হা হুতাশ না করে যদি আমাদের প্রজন্ম সময় থাকতে নিজেদের শুধরে না নেয়, যদি সুস্থ জীবনদর্শন তুলে না ধরে, যদি স্বাভাবিক জীবনাচরন প্রতিষ্ঠা না করে শুধু অসুস্থ প্রতিযোগিতায় দিন পার করে, আর নাবালিকা প্রেমিকা জোটানোকে সাফল্য মনে করে, তাহলে অবস্থা আরো খারাপ হতে সময় আর বেশী লাগবে না...
একদম খাঁটি কথা। আরো পরিস্কার করে বললে, পরিবারের দোষ। কারন প্রথম শিক্ষা আমরা পরিবার থেকেই পাই। আমাদের নিজেদের মাঝে গলদ রয়েছে বলেই এই অবস্থা। রিসেন্টলি টিভিতে দেখলাম মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস করার জন্য বাবা মা টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই জন্য হয় বাবা-মার অবস্থা, তাহলে বাচ্চারা খারাপ জিনিসকে নরমাল ভাববে না কেন??
অনেক ধন্যবাদ।
পুরাই এপিক পোষ্ট আপু সচলেও দেখি হিট এ পুরো গরম হয়ে আছে
কি খবর ইভান?
ভাই বড়ই চিন্তার বিষয় । আমিও খেত।
খেত হওয়াও কিন্তু খুব খারাপ না। আসেন ভাই হাত মিলাই।
সচল মডারেসনের অবস্থা খুব করুণ।সামুতে আগের দিন প্রকাশিত পোস্ট সচল প্রকাশ করেছে দেখে খুব অবাক হলাম।সচল কি তাহলে কপি পেস্ট ব্লগারদের আস্তানা হয়ে গেলো?
ভাই সামুতে প্রকাশিত লেখাটিও আমার। একই সাথে একই লেখা কি দুইটা ব্লগে প্রকাশ করা যায় না? আমি আসলে সচলে একদম নতুন, সেজন্য বিষয়টি অজানা। সচলে যদি এটা নিষেধ থাকে, তবে অবশ্যই পরবর্তীতে ব্যাপারটা খেয়াল রাখবো।
অনেক ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন