উই মেক এন্ড স্পিন দ্য ড্রিমস,
এ্যান্ড, উই মুভ উইদিন দ্য স্পিনস অব আওয়ার ড্রিমস।
- গৌতম রাজধ্যক্ষ (১৯৫০-২০১১)
আজ ছিলো ইনডিয়ার গ্ল্যামার পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফির কিংবদন্তী গৌতম রাজাধ্যক্ষের ৬১ তম জন্মদিন। ফেসবুকে উইশ করতে গিয়েই বিরাট ধাক্কাটা খেলাম। মাত্র ৩ দিন আগে, ১৩ সেপ্টেম্বরে তিনি মুম্বাইতে নিজের বাড়িতে হার্টএ্যাটাকে মারা গেছেন। হয়তো আজ জন্মদিন উইশ করতে না গেলে হয়তো সহসা জানতামও না যে গৌতম স্যার চলে গেছেন। গত কয়েকমাস তার সাথে তেমন একটা চ্যাট হচ্ছিলোনা আমি সবসময় অফলাইন থাকার কারনে।
ফেসবুকে আমি বেশ রক্ষণশীল হওয়ার পরও কিভাবে যেনো তাকে একটা এ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম ২০০৯ সালে এবং তিনি আমাকে যুক্ত করেছিলেন। এটা সম্ভবত হয়েছিলো আমার ফটোগ্রাফির উপর তাক্ষণিক আগ্রহ থেকে। আমি নিদারুণ লজ্জায় পড়ে যাই তার এই ঔদার্য্যে। এরপর একদিন যা ঘটলো তা কখোনোই ভাবনায় ছিলোনা। তিনি আমাকে ফেসবুক চ্যাটে বিনীতভাবে জানতে চাইলেন আমি ফ্রি আছি কিনা। আমি তো হতবাক! সেই থেকে আলাপ শুরু। প্রতি সপ্তাহেই এক-দুই দিন চ্যাট হতো। তার রাজ্যের কৌতুহল ছিলো সোমালিয়ার এবং আফ্রিকার মানুষ এবং তাদের জীবন নিয়ে। তিনি খুবই ফিল করতেন বোঝা যায়। তিনি চেয়েছিলেন আমার সাথে সামনাসামনি বসে এসব শুনতে। গত মে মাসে ইনডিয়া যাওয়ার কথা ছিলো, স্যারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঢাকার ইনডিয়ান হাইকমিশন আমাকে ভিসা না দেওয়ায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি আর। তার কাছে তার মোবাইল নাম্বার চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি তা কখোনেই দেননি, একথা সেকথা বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। আজ জানলাম তিনি জীবনে কোনওদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না, পেজারও না। তিনি বলতেন মনের চোখ, দেহের চোখ আর ক্যামেরার চোখ, এই তিন চোখের সন্মিলণের কথা। তিনি আমাকে কিছু ডকুমেন্টের লিংকও দিয়েছিলেন কিন্তু জানিনা সেই লিংকগুলো কোথায়।
লতা মঙ্গেশকর একবার তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন যে লতা নিজে বেশ ভালো ছবি তুলতেন এবং তার ভালো ক্যামেরা ছিলো। কিন্তু যেদিন তিনি এক এক্সিবিশনে গৌতমের ছবি দেখলেন, সেই ফটোগ্রাফি দেখার পর থেকে লতা জীবনে আর কোনওদিন একটা ছবিও তোলেননি। আজীবন সিঙ্গল ছিলেন তিনি। তার অত্যন্ত লাজুক-নম্র চরিত্রের কথা সবাই বলে।
ফটোগ্রাফির পাশাপাশি তিনি চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখতেন। বেখুদীর চিত্রনাট্য (১৯৯২), আনজামের কাহিনী (১৯৯৪) ও সখীর কাহিনী চিত্রনাট্য (২০০৭) লিখেছিলেন। বন্ধু শাবানা আজমী এক বার্তায় জানিয়েছেন যে গৌতম চলচ্চিত্র পরিচালনায় আসার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তিনি বিখ্যাত ঔপন্যাসিক শোভা দে’র কাজিন। তিনি মুম্বাই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেন এবং পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করতে থাকেন ১৯৭৪ সাল থেকে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশাদার ফ্যাশন ফটোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৮০ সালে কলেজের বন্ধু শাবানা আজমী, টিনা মুনীম এবং জ্যাকি শ্রফের ফটোসেশনের মধ্যে দিয়ে। তার নিজের প্রিয় ছবিগুলোর কয়েকটা নিয়ে ছবি-সাক্ষাৎকার থেকে কয়েকটা ছবি দেখুন-
এছাড়া তার তোলা কিছু বহুল পরিচিত ছবি নিচে জুড়ে দিচ্ছি।
শাবানা আজমী (ছবিসূত্র)
জিনাত আমান (ছবিসূত্র)
শ্রীদেবী (ছবিসূত্র)
স্মিতা পাতিল (ছবিসূত্র)
সঞ্জয় দত্ত (ছবিসূত্র)
মাধুরী দীক্ষিত (ছবিসূত্র)
ঐশ্বর্য্য রাই (ছবিসূত্র)
কাজল (ছবিসূত্র)
দিয়া মির্জা (ছবিসূত্র)
তার সাথে কোনও দিন দেখা হলোনা, চ্যাট করা ছাড়া কথাও হলোনা। তবু আজ তাকে খুবই মিস করছি। মনে হচ্ছিলো একজন প্রিয়জনকে হারালাম। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।
মন্তব্য
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ বস।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মকবুল ফিদা হোসেনের ছবিটা খুব ভালো লাগলো।
গৌতম রাজধ্যক্ষ বেঁচে থাকুন তাঁর কাজের মাঝে। গুণী মানুষেরা কেনো যেনো খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
ধন্যবাদ সুমন তুরহান। গৌতম রাজধ্যক্ষই গ্ল্যামার ছবিকে একটা ধারা হিসেবে ইনডিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার মৃত্যুতে একটা শুন্যতা আসতে পারে কারন ইনডিয়ায় এই সেক্টরে আর তেমন প্রতিষ্ঠিত কাউকে দেখা যায়না।
আমার কিন্তু জিনাত আমানের ছবিদুটো জোস লেগেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বড় মানুষদের অনেক ছোটখাটো ব্যাপারেও শিক্ষণীয় কিছু থাকে। মোবাইল না থাকার ব্যাখ্যাটা মনে ধরেছে।
নিঃসঙ্গ জীবনের একাকীত্ব নিয়ে তিনি নিজের একান্ত সময়টুকুতে নিজের মতো করেই থাকতে চাইতেন বোধহয়। তাই বোধহয় মোবাইল ফোন বা পেজারকে দুরে সরিয়ে রেখেছিলেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাল লাগল ওনার জীবনের কথা জেনে, খুব কম বয়সেই চলে গেলেন। আচ্ছা ফেসবুকে কি আমরা বন্ধু তালিকায় আছি>
facebook
আসলেই চলে যাওয়ার জন্যে ৬১ খুব বেশি একটা বয়স নয়। আরও অনেক কিছু তিনি দিতে পারতেন ইন্ডাস্ট্রিকে।
না, আমরা এখনও ফেসবুকে একে অপরের বন্ধুত্বের বালাম বইয়ে উঠতে পারিনি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ওনার সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ধন্যবাদ ধৈবত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কোলকাতার পত্রিকা আনন্দলোক মারফত গৌতম রাজাদক্ষকে চেনা আমার। উনার বেশির ভাগ পোট্রেট ধর্মি ছবিগুলোই সুন্দর। খ্যাতিমান এই মানুষটার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ধন্যবাদ বন্দনা কবীর। আমার তো মনে হয় সেই ৮০'র দশকের শুরু থেকে আনন্দলোক বা স্টারডাস্টের এমন একটা সংখ্যা পাওয়া যাবেনা যেখানে তার তোলা ছবি নেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ তানিম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হুম, উনার নাম এই প্রথম জানলাম, কারন হয়ত এ বিষয়ে আমার কৌতূহলের অভাব।
কেমন আছেন নানা?
হুম ...............
আমি ভালো। তুই কেমন আছিস জাকির?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ওঁর নামটাই শুধু জানতাম। আপনার দেওয়া তথ্য এবং ছবি থেকে অনেক কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য : প্রৌঢ়াবনা
ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কীর্তি বেঁচে থাকুক..............
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ ওলি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ কল্যাণF
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক কিছু জানলাম। তার জন্য শ্রদ্ধা।
ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একটা যুগের অবসান।
ডাকঘর | ছবিঘর
আসলেই ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ তাপস ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অবিচুয়ারি তো অনেকেই লেখে, পরিচিত মানুষের থেকে এমন আন্তরিক অবিচুয়ারি দেখে ভাল লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ, এবং ঈর্ষা।
ধন্যবাদ কৌস্তুভ ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন