যে শিউলিফুলগুলোকে হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না, তাদের স্মৃতির মাঠ থেকে খুঁজে খুঁজে শিশিরে ধুয়ে সাজিয়ে রাখি। আকাশে বাতাসে শরতের ছোঁয়া, রোদ্দুরে যাদু, এর ভিতরে কান পাতি, অনেক দূরের আমার শৈশবের প্রান্ত থেকে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ, ডিং ডিডিং ডিডিং ডং। ঢাকীরা নানা রঙের পালক আর শুভ্র কাশফুল দিয়ে সাজ পরাতো ঢাকের। এখনও হয়তো পরায়।
সেই আশ্চর্য গানের ভোরটি কেবলই ফিরে ফিরে মনে পড়ে, শেষরাতের বেতারে "বাজলো তোমরা আলোর বেণু।" শিশির শিউলি নতুন সবুজ ধানের চারা নীল আকাশে তুলোমেঘ সব মিলিয়ে কত বছরের সব ভোর একসাথে হয়ে একটাই ভোর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেন। আর তার ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে সেই অমলীনা কিশোরী, যার বয়স আর কখনো বাড়বে না, সে যে পাশাপাশি চলতে চলতে একদিন পথের বাঁকে থেমে গেল, ঘুমিয়ে পড়লো ঝরা শিউলিতে ঢাকা শিশিরভেজা মাটিতে!
জলোৎসবের নীল আল্পনা দিনে
শিকড় মেলেছি অসম্ভবের ঋণে,
আমূল কেঁপেছে ভিতরকণিকা-বন
পরণকথারা ফেলে গেছে ভুলোমন,
মন থেকে মনে কথাহীন কথামালা
কখন থামলো অবাক সুরের পালা?
সুর থেমে গিয়ে রয়েছে স্মৃতির মাঠ
হেমন্ত সাঁঝে এলোকেশী ধূলিপাঠ-
একলা চাঁদটি পার হয়ে কুটোকাঁটা
আঁচলে মুছেছে না-দেখা অশ্রুফোঁটা।
চলে গেছে যারা, তারা থাক শান্তিতে
বন্ধ দু'চোখে স্বপ্নঘরের ভিতে।
মন্তব্য
অদ্ভুত মায়াময় সুন্দর..
অনেক ধন্যবাদ পাঠক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মায়াময়!
অনেক ধন্যবাদ রিশাদ_ময়ূখ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
যার বয়স আর কখনো বাড়বে না
facebook
ঠিক, তার বয়স বাড়বে না।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
যে লাইন গলোয় যুক্তাক্ষর আছে সেগুলোর অক্ষরগুলো আলাদা করে গুনলে এবং অন্য সব লাইনে - ১৪টা করে অক্ষর, এটা কি ইচ্ছা করেই?
এটা বোধহয় তুলি'দির হাতে মাত্রাবৃত্তের জাদু! :
জলোৎসবের/ নীল আল্পনা দিনে = ৬ + ৮ = ১৪
শিকড় মেলেছি/ অসম্ভবের ঋণে, = ৬ + ৮ = ১৪
আমূল কেঁপেছে/ ভিতরকণিকা-বন = ৬ + ৮ = ১৪
পরণকথারা/ ফেলে গেছে ভুলোমন, = ৬ + ৮ = ১৪
মন থেকে মনে/ কথাহীন কথামালা = ৬ + ৮ = ১৪
কখন থামলো/ অবাক সুরের পালা? = ৬ + ৮ = ১৪
সুর থেমে গিয়ে/ রয়েছে স্মৃতির মাঠ = ৬ + ৮ = ১৪
হেমন্ত সাঁঝে/ এলোকেশী ধূলিপাঠ- = ৬ + ৮ = ১৪
একলা চাঁদটি/ পার হয়ে কুটোকাঁটা = ৬ + ৮ = ১৪
আঁচলে মুছেছে/ না-দেখা অশ্রুফোঁটা। = ৬ + ৮ = ১৪
চলে গেছে যারা, / তারা থাক শান্তিতে = ৬ + ৮ = ১৪
বন্ধ দু'চোখে / স্বপ্নঘরের ভিতে। = ৬ + ৮ = ১৪
আপনি ঠিক ধরেছেন, যুক্তাক্ষর ভেঙে পড়তে হবে।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
আরে কী কান্ড! তাই নাকি? বিশ্বাস করুন, আপনি বলার আগে এ জিনিস খেয়ালই হয় নি। এখন গুনে দেখি তাই তো !
মাঝে মাঝে ভয় লাগে, কবিতার যেন নিজের একটা সত্তা থাকে, যে লেখে তাকে দিয়ে যেন লেখানো হয়। এদিকে সে কিছুই বুঝতে পারে না। আজিমভের সেই গল্পগুলোর মতন।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- -
(ইমোনুবাদঃ অ্যা - চিন্তিত - গুরু গুরু)
অপূর্ব সুন্দর, প্রকৃতিকাতর, ঋতুবন্দনা! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শরতের শুচিতা দিয়ে আর বার ছুঁয়ে দিলেন প্রাণমন! হ্যাঁ, এইবার কবিতার রূপ খুলেছে। নিখুঁত লয়ের পাশাপাশি শুভ্র শেফালীর মত রোমান্টিকতার ঘ্রাণ পাচ্ছি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তুলিদির কবিতার স্টাইলটা কি একইরকম থাকছে খালিখালি? (ভাব/ছন্দ? কোবতে তো বেশি বুঝি না...)
এগুলো তুলিদির কবিতা না মণিরত্নম। এগুলো শ্রেফ কথাগুলোর পিঠে চলে আসে! কী করবো?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"সাহিত্য" ট্যাগ দিয়ে আপনি গদ্য আর কবিতার, অথবা গদ্যকবিতা আর কবিতার যে সিরিজটি চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে, সেগুলোর মোট সংখ্যা কত? শুধু সচলে প্রকাশিতগুলোর সংখ্যাই বলুন। তারপর বলুন সেগুলো নিয়ে এবারের কোলকাতা বইমেলাতে একটা বই কেন বের হবে না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এইগুলো সব মিলে হয়তো ৩০ কি ৩৫ টা হবে। তার কিছু বেশীও হতে পারে।
আর কলকাতা বইমেলায় বই প্রকাশ ভারী সাংঘাতিক ব্যাপার।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
৬৪টা হলে একটা সাইজমত বই হয়। আশাকরি বইমেলা আসার আগে ৬৪টা হয়ে যাবে।
আপনি তো সাংঘাতিক মানুষ-ই। সুতরাং আপনিই তো সাংঘাতিক কাজ করবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব,
আমি নিতান্ত পলায়নপ্রবণ সাধারণ জন, ঐ "যুদ্ধক্ষেত্রে" বই বার করা আমার পক্ষে বড়ই কঠিন।
বড় বড় সেনাপতিরা যেখানে সেই দলে বেশ ভালোমতন নেটোয়ার্ক না থাকলে আখেরে অপক্ক কদলী সে লেখা যেমনই হোক। হুঁ হুঁ বাবা, একে বলে বিনোদনের টাফ মার্কেট। কালিদাস ও সেখানে খালিদাস যদি না ভালোমতন ছক করা থাকে।
তবে আপনার শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ অনেক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শব্দগুলো এত সুন্দর করে কিভাবে সাজায় মানুষ? আশ্চর্য সুন্দর কিছু লাইন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক বেশি বেশি সুন্দর!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রথম লাইন পড়েই আমি কুপোকাত। সারাদিন মাথায় গুনগুন করল লাইনটা। এত মায়ার লেখা কি করে লেখ আল্লা মালুম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বুঝলে আশালতা, কেবল কবিতার প্রথম দু'খানা লাইন সচেতনভাবে এসেছিলো গতকাল সচলের কিছু লেখা পড়তে পড়তে। তারপরে কবিতার বাকীটা, সামনের কথা ব্লগরব্লগর, সব যেন ঘাড়ে ধরে কে লিখিয়ে নিলো। এখন দেখি গুণে দেখা যাচ্ছে সব লাইনে নাকি ১৪ টা করে অক্ষর!
আমার কেমন শীত-শীত লাগছে। মু: জাফর ইকবালের একটা গল্প আছে, সেখানে মানুষ যা করে সবই নাকি তাকে দিয়ে কারা করায়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নামেই চমকে যাওয়া...
এর পর কোন চমক নেই...
শুধু বয়ে চলা...
ভারী ভারী সুন্দর...
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কোবতে বুঝিনা
ছন্দ হে, তোমার দেখা নাই কেন? ছন্দের অভাবে কী হয় সেই প্রোভার্ব জানো না?
খুবই চিন্তায় আছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন