এথেন্সের ন্যাশনাল আর্কিউলজিক্যাল মিউজিয়ামের সামনে দাড়িয়ে আছি মুগ্ধ চিত্তে। অতি সুদৃশ্য ভবন, উপরে দেবতা অ্যাপোলো, দেবী আফ্রোদিতির প্রমাণ আকারের ভাস্কর্য, সারি সারি উঁচু স্তম্ভ, নীলাকাশকে পিছনে রেখে উপরে পতপত করে উড়ছে গ্রীসের নীল-সাদা পতাকা। একেবারে গ্রীক ধারার স্থাপত্য। বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ পুরাতত্ত্ব জাদুঘরের এটি একটি আর ইতিহাসের নানা পর্যায়ের মাঝে বর্তমান আধুনিক সভ্যতার জন্মদাতা গ্রীক সভ্যতার এমন নানা অতুলনীয় নিদর্শনের সংগ্রহ সারা বিশ্বে দুটি নেই। বলা হয়ে থাকে সমস্ত সংগ্রহ খুটিয়ে দেখা তো দূরে থাক মোটামুটি আবছা ভাবে মূল ও অতি বিখ্যাত শিল্পকলার নিদর্শনগুলো দেখতেই এক দিনের বেশি লাগে এথেন্সের এই জাদুঘরে।
রবিবার বিধায় দর্শনী নেই, কিন্তু মূল ফটক পার হয়ে সামনে দিকে নজর যেতেই একেবারে স্থাণু হয়ে দাড়িয়ে রয়লাম বাস্তবজ্ঞান হারিয়ে বেশ কয়েক মুহূর্ত- এই জাদুঘরের অতি বিখ্যাত সংগ্রহগুলোর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত যেটি সেই আগামেমননের সোনার মুখোশ ( ডেথ মাস্ক) আমার সামনে! বিশ্বের সব জাদুঘরেই এমন একটি বা দুটি অতিদ্রষ্টব্য বস্তু থাকেই, লুভ্যরে মোনালিসা বা ভ্যান গগ জাদুঘরে সানফ্লাওয়ার্স দেখার জন্য লক্ষ কোটি জনতা অন্য সব সংগ্রহ ফেলে মুখিয়েই থাকে সবসময়। গ্রীসের পুরাতত্ত্ব জাদুঘরে আমার সবচেয়ে বেশী দেখার ইচ্ছে ছিল এই সোনার মুখোশ, পুরাকীর্তির ও হারিয়ে যাওয়া নগরীর ইতিহাস নিয়ে কত বইয়ের মলাটে যে এই মুখোশের ছবি দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। আজ চোখের সামনে দেখে পিপাসার্ত মন শান্তি পেল। এই মুখোশটি ট্রয় নগরীর পুনরাবিষ্কর্তা হাইনরিখ স্লিম্যান ১৮৭৬ সালে মাইসিন এলাকায় আবিস্কার করেন, তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এই ডেথ মাস্কটি বিখ্যাত গ্রীক রাজা আগামেমননের, যার নেতৃত্বে গ্রীকরা একজোট হয়ে ট্রয় আক্রমণ করে। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারা যায় সুক্ষাতিসুক্ষ কারুকার্য সমৃদ্ধ এই সোনার মুখোশটি প্রায় ৩৭০০ বছরের পুরনো অর্থাৎ ট্রয়ের যুদ্ধেরও কয়েকশত বছর আগের ! কাজেই এটি আগামেমননের মুখোশ হতে পারে না, কিন্তু নামটি ঠিকই রয়ে যায়।
এর সাথে আরও বেশ কয়েকটি সোনার মুখোশ রয়েছে সেই অদ্বিতীয় সংগ্রহশালায়। এরপরে নানা ধরনের সোনার তৈরি প্রাচীন শিল্পকলার অনন্য নিদর্শন, বিশেষ করে কয়েকটি ছুরির হাতল, যেখানে নিখুঁত সুক্ষ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেকালের নানা দৃশ্য। নানা ধরনের তরবারি, ছুরি, তীরের ফলা ইত্যাদি মারনাস্ত্রের বিশাল সংগ্রহ।
আছে কয়েকটি পানপাত্র, যার দুটিতে নিখুত ভাবে খোদাই করা হয়েছে পবিত্র ষাঁড় ধরার দৃশ্য। হাইনরিখ স্লিম্যানের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এর একটি মহাকবি হোমারের মহাকাব্য ইলিয়ডে বর্ণিত পিলোসের রাজা নেস্টরের পানপাত্র।
এর পরে গ্রীসের নানা দ্বীপ বিশেষ করে সান্তোরিনি থেকে আনা জগদ্বিখ্যাত দেয়াল ফ্রেসকোগুলো, হাজার হাজার বছর আগে পাকা রঙে ফুটিয়ে তোলা মদিরা হাতে সাকী বা বিশালাকার ষাঁড়ের জৌলুস বিন্দুমাত্র ম্লান হয়নি কালের প্রবল আক্রমণেও।
পরের গ্যালারীতে মৃৎপাত্রের বিশাল সংগ্রহ। নানা আকারের, নানা বর্ণের পাত্রগুলোতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রীকপুরাণ, কল্পকথা, সেকালের জীবনধারা, পশুপাখির নিখুত অবয়ব। কিছু পাত্রতো দানবাকৃতির, প্রায় দুই মিটার লম্বা।
এর মাঝে নজরে আসে ৩০০০ বছরের পুরনো বাথটাব!
এক কামরাতে হাড়ের তৈরি শিরস্ত্রাণ, মালা আর বর্মের মেলা বসেছে যেন।
কত জানা-অজানা নিদর্শন, প্রত্যেকের আছে নিজস্ব বিশাল ঐতিহাসিক কাহিনী, সেই সুপ্রাচীন কালে কেন, কাদের দ্বারা তৈরি হয়ে কি কাজে ব্যবহৃত হত, আর কিভাবেই বা হাজার হাজার বছর পরে কোথা থেকে উদ্ধার হয়ে তাদের শেষ ঠিকানা হল এই জাদুঘর- সেইসব গল্প, সামনে লেখা বিবরণ পড়ে চোখের সামনে কাহিনীগুলো একের পর এক জলতরঙ্গের মত বয়ে যায়, এত অল্প পরিসরে কয়টার কথা বলি!
পরের ভুবনবিদিত ভাস্কর্য সংগ্রহশালায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো দানবাকৃতির ব্রোঞ্জ দেবতা মূর্তি আমাদের স্বাগত জানায়। ভাস্কর্যটি কি দেবরাজ জিউসের না সাগর দেবতা পোসাইডেনের সেই নিয়ে গবেষণা এখনো অব্যাহত! বাম হাত সামনে তুলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সাথে সাথে ডান হাতে তুলে নিচ্ছে প্রলয়ঙ্করী দেবাস্ত্র বজ্র। অমানুষিক দক্ষতায় অত্যন্ত সূক্ষ ভাবে একে নির্মাণ করেছিলেন কোন প্রাচীন কারিগর, ভ্রম হয় কোন বিশাল মানুষ অজানা শাপে ধাতব মূর্তিতে পরিণত হয়েছে।
এর পরেরজনও যথেষ্ট চমক জাগানিয়া, সাগরতল থেকে উদ্ধারকৃত দুই হাজার বছর আগের অ্যান্টিকিথেরোর ইফেবে! এককালে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়া বিশালাকার এই ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যের চোখের সাদা অংশ ও কালো মণিটি পর্যন্ত আবার যথাস্থানে বসিয়ে বর্তমান রূপ দেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সারা বিশ্বে এই ধারার ভাস্কর্য কেবলমাত্র এই একটিই, কিন্তু সবেধন নীলমণি ট্রয় যুবরাজ প্যারিসের নাকি তরুণ হারকিউলিসের আদলে গড়া তা আর জানার কোন উপায় নেই।
এরপরে মার্বেল পাথরের মিনোটর- অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক ষাঁড়ের ক্রীট দ্বীপের কিংবদন্তীর দানবমূর্তি।
চারিদিক ঘিরে থাকা ইতিহাসময় ভালো লাগার অনুভুতিকে সাথী করে এক কামরা থেকে অন্যটিতে যাবার পথে মাঝের বিশাল বারান্দায় আর্তেমিসের অশ্বারোহী নামে ২২০০ বছর আগে এক বিশাল ভাস্কর্যের সাথে মুখোমুখি মোলাকাত, ছুটন্ত ঘোড়া ও তাতে সওয়ার ক্ষুদে বালক। দুজনেরই আকার বাস্তবজীবনের মত, ঘোড়ার দুই পা শূন্যে!
সংগ্রহশালার পরের অংশে ২৭০০ বছর আগের কৌরস ভাস্কর্যের সিরিজ, একের পর প্রমাণ আকারের পুরুষ ভাস্কর্য, যা এই জাদুঘরের আরেক অমূল্য সম্পদ।
সেই সাথে নানা দেবদেবীর ভাস্কর্যের তো ছড়াছড়ি, এক অ্যাফ্রোদিতির-ই যে কত ধরনের ভাস্কর্য আছে গুনে শেষ করতে পারলাম না। আরও আছে অ্যাপোলো, অ্যাতেনা, হারকিউলিস, জিউস, হার্মেস, প্যানের অদ্বিতীয় সংগ্রহ।
পাঠকদের জানিয়ে রাখি এতক্ষণ গ্রীক সভ্যতা নিয়েই কথা বললেও এই জাদুঘরের মিশরীয় সভ্যতার নিদর্শনের সংগ্রহও শিল্পকলার ভুবনে অন্যতম সেরা বলে বিবেচ্য, কয়েকটি পূর্ণ মমিসহ কৌতুহলীদ্দীপক সংগ্রহ, যার মধ্যে রয়েছে প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো একখন্ড রুটি, যার আবার কামড় দিয়ে ছিঁড়ে নেওয়া ক্ষুদে একখন্ড কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে।
আরো চমক জাগানিয়া তথ্য হচ্ছে ইতিহাসের নগরী এথেন্সের এই পুরাতত্ত্ব জাদুঘরের আরো কয়েক হাজার অমূল্য সংগ্রহ আছে লোকচক্ষুর আড়ালে, সেগুলো সযত্ন পরিচর্যার মাধ্যমে আস্তে আস্তে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রদর্শনের জন্য। এর পরের বার সেই হারানো ইতিহাসের খুড়ে বাহির করা অংশ খানিকটা বেশী দেখতে পাব এই আশা নিয়েই চললাম পরের গন্তব্যে।।
মন্তব্য
দাদা আর কত...(এ যাত্রা আরও অনেক অনেক দীর্ঘ হোক)...
ধন্যবাদ!
facebook
বেশ লাগছে... ঘরে বসে আপনার চোখে দেখছি দুনিয়াটা...
এতক্ষনে বুঝলাম হোমার অন্ধ হয়েও কিভাবে দুনিয়া দেখেছিলেন...
অনেক বড় প্রশংসা করে ফেললেন দাদা, এর ভার রাখতে পারব তো ! আপনের ২য় লাইনটাই আমার খুব প্রিয় সিনেমা SCENT OF WOMEN এ অন্ধ কর্নেলের ভূমিকায় জীবনের সেরা অভিনয় করা আল পাচিনোর একটা সংলাপ মনে পড়ল, You have to see, the day you stop seeing you become Blind !
facebook
facebook
ক্ষমা করবেন , আমি গ্রীক মিথ / ইতিহাস খুব একটা জানি না । আগামেনন কি সত্যিকার অর্থে রাজা ছিলেন নাকি কেবল ই মিথ ? ভ্রমন যথারীতি অত্যন্ত ভাল পেলাম ।
আসলে কালের স্রোতে টিকতে পারলে সত্য কোন ছোট্ট ঘটনায় তো এক সময় বিশাল মিথে পরিণত হয়। লর্ড অফ দ্য রিংস-এর প্রথমে একটা সংলাপ আছে না WITH TIME HISTORY BECOMES LEGEND, LEGEND BECOMES MYTH!
এটুকু জানা যায়, ট্রয় নামে এক নগরী ছিল, প্রিয়াম নামে রাজাও ছিলেন। হেলেন নামেও কেউ একজন ছিল, ছিল গ্রীক রাজা আগামেমনন । ঘটেছিল কোন যুদ্ধ, কিন্তু ইলিয়াডের সব ঘটনা তো আর সত্যি না। তবে সম্রাট আলেকজান্ডার সবসময় নিজেকে বীর একিলিসের বংশধর মনে করতেন !
facebook
আচ্ছা, আপনার পায়ের তলে কি শর্ষের বস্তা রাখা?
কর্ণজয় দাদার মতই আমার মনেও এসেছিল, বেশ, আপনার চোখেই বিশ্ব দেখি ঘরে বসেই।
সদিও স্বচক্ষে দেখার অনুভূতি-ই আলাদা!
বরাবরের মতই চমতকার।
না তো, তাহলে শর্ষের তেল দিয়ে তো আলু ভর্তা বানাতাম সবসময়, এই জিনিসটা একটু বিরল !
facebook
আপনার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা দেখে হিংসা হয় আমার !! :)
আরে না, কি কথা
facebook
অনন্য-অনবদ্য-অসামান্য!! ছবিগুলো তো একদম হাঁ করেই গিললাম!
কবে গিয়েছিলেন এখানে?
এটা গতবছরের প্রথম দিকে। আবার যেতে চাই যে কোন সময়, ডেলফির মন্দিরটা বাকী থেকে গেছে, সেই সাথে অলিম্পাস পর্বতে আরোহণ।
facebook
আরেকটা 'wow' পোস্ট! ভীষন ভালো লাগলো
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনার শেখ মুজিব স্টাইলে তর্জনী উঁচিয়ে তোলা ফটোটা বিশেষভাবে পছন্দ হয়েছে
তর্জনী উঁচিয়ে তোলা নাকি, আমি তো সেই মুখোশের দিকে তাক করেছিলুম !
facebook
জানি তো। আপন মনে করে একটু মশ্করা করলাম আর কি
facebook
বাহ! ভাস্কর্যগুলো তো দারূণ!
তা তো বটেই, ওরাই তো আনল বিশ্বে এই ধারা। তারপরও সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রীক ভাস্কর্যতো ফ্রান্সে বন্দী!
facebook
[ দেখছি আপনার পোস্টে কমেন্ট করা ভীষণ সোজা। যেকোনো ভালো কথা লিখে দিলেও চলে। না পড়লেও টেরটি পাবেন না ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হে হে এত সোজা না দিদিভাই, দেখা গেল অন্য ধরনের পোষ্ট এসেছে
facebook
চমৎকার ভ্রমন হয়ে গেল !
শুনে সুখী হলাম
facebook
চমৎকার লেখা এবং ছবি। মিশরীয় সভ্যতা সম্পর্কে লেখা পাবো কি? অনেক ধন্যবাদ বিখ্যাত ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক দর্শনীয় স্থান গুলি ছবিসহ লেখার জন্য।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অবশ্যই পাবেন কিন্তু তার আগে মায়া, অ্যাজটেক, ইনকা, টলটেক, ওলমেকদের পিরামিড নিয়ে আগে লিখব চিন্তা করেছি।
facebook
একটা বিশাল সাইজের grin দিয়া গেলাম
facebook
আজব! আমি যে আগে কমেন্ট করলাম সেটাকে খেলো কে?
যাকগে,
লেখাটা পড়েই কর্নজয় দাদার মতই মনে হল, বেশ তো ঘরে বসেই দুনিয়া দেখা আপনার চোখেই।
বরাবরের মতই চমতকার বর্ননার লেখা।
আছে তো, আপা ! একটু উপরেই !
facebook
কী যে লেখুম......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
লেখেন ইচ্ছে মতো- গান গাই আয় ভাই প্রাণফাটা সুরে।
facebook
জিউসের মন্দিরের পাশেই একটা জায়গা দেখেছিলাম। রাস্তার উপর থেকে স্বচ্ছ পুরু কাঁচের ভেতর দিয়ে নিচে তাকালে পুরাকীর্তির কিছু অংশ দেখা যেতো। প্রাচীন সভ্যতার অনেক নিদর্শনই রাখা ছিলো ওখানে, সেসময়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখনো আছে অ্যাক্রোপোলিসের ঠিক পাদদেশেই নতুন অ্যাক্রোপোলিস জাদুঘরের নিচে, স্বচ্ছ পুরু কাঁচের ভিতর দিয়ে তাকালে অনেক কিছুই দেখা যায়, খনন কাজ চলছে এখনো !
facebook
রাইট। ঐটার কাজ হচ্ছিলো দেখেছিলাম। জিউসের মন্দিরের ওখান থেকে ওমনিয়া স্কয়ারের দিকে যেতে যে রাস্তাটা আছে, পুরু কাঁচের ভেতর দিয়ে জাদুঘরটা দেখেছিলাম ওখানে। যদিও সময় স্বল্পতায় ভেতরে ঢুকে দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া।
তবে এই অ্যাক্রোপলিস নিয়ে আমার আফসোসের অন্ত নেই! এর নিচেই একটা স্যুভেনির শপ ছিলো। অ্যাক্রোপলিসের একটা প্রতিকৃতি কিনেছিলাম ওখান থেকে। হারায়ে গেছে। পাশেই যে উঁচু পাহাড়টা আছে, সেটার নাম কী জানেন! যেখানে উঠলে পরে পুরো এথেন্স শহরটার বার্ডস আই ভিউ দেখা যায়। ওঠার পথে কয়েকটা জেলখানা চোখে পড়ে, পাহাড়ের গুহায়। সেগুলোকে ঘিরেও বেশ ইন্টারেস্টিং গল্প প্রচলিত আছে।
ছোটবেলা থেকেই এথেন্স যামু, এথেন্স যামু করতে করতে একদিন যখন সত্যিই এথেন্স চলে গেলাম। কিছুই মন ভরে, চোখ খুলে দেখতে পারলাম না। মরার আগে আবার যাইতে হবে। নাইলে এতো এতো সাদা সাদা গ্রীক দেবী, তাদের কেছে মুখ দেখাবো কেমনে পরপারে গিয়ে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, আমার সচলে প্রথম লেখাটাই কিন্তু অ্যাক্রোপলিসের মন্দির নিয়ে। বারবার যেতে ইচ্ছে করে
facebook
আপনার আজ সমস্ত লেখা গুলি পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো।
একদম ইউনিক লেখা, এমনকি ছবিগুলিও মৌলিক।
আপনার লেখাগুলি থেকে আনেক কিছু নতুন ভাবে জানা যায়, ভাবাও জায়,এক কথায় অনন্য
খুব সুন্দর আপনি ছবি তোলেন।
আপনার ক্যমেরার নাম কি জানতে পারি?
বলেন কি, সব এক দিনে ! অনেক ধন্যবাদ আপনের সময়ের জন্য।
এই লেখার ছবিগুলো খুব পুঁচকে একটা লুমিক্স দিয়ে তোলা। বিভিন্ন সময়ে নানা ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, বর্তমানে একটা ক্যানন 7D দিয়ে ছবি তুলে যাচ্ছি।
facebook
একেবারে সোনায় সোহাগা ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সোনার মুখোশ আছে যে নাম ভূমিকায়
facebook
আবারো সরাসরি পসন্দের পোষ্টে! একটা লম্বা ছুটি নিয়ে আপনার সব লেখাগুলো তারিয়ে তারিয়ে পড়বো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই ! ছুটি কবে, আরো লেখা জমে যাবে যে!
facebook
আমি ইদানীং আপনার পোস্টগুলো উল্টোদিক থেকে পড়তে শুরু করি, মানে শেষের থেকে শুরুতে... কেন করি শিওর না, কিন্তু মজা লাগে... মনে হয় একেকটা ছবি, তার সাথে বর্ণনা, আর ধীরে ধীরে, একদম শেষে (মানে মূল শুরুতে গিয়ে) আবিষ্কার করা কোথায়, কী... অনেকটা একটা অ্যাডভাঞ্চারের মতন, যেহেতু নিজে ঐখানে গিয়ে ঐসব দেখি নাই...
ষাঁড়ের দেয়ালচিত্রটা দেখে ব্যাপক লাগলো, কত হাজার বছর আগে আঁকা একটা শিল্পকর্মের টুকরো গুলোর সাথে এখনকার শিল্পীরা মিসিং পিসেসগুলো এঁকে পূর্ণ চিত্ররূপ দিয়েছেন! অদ্ভুত! ৩০০০ বছরের পুরানো বাথটাবটা দেখে হাসি পেয়ে গেল! আর আগামেননের মাস্ক-এর কথায় শেষে (মানে যেহেতু উল্টো দিক থেকে পড়ছি) এসে মনে হলো আপনার থ্রিলটা অনুভব করলাম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাই নাকি ! আজিব ব্যাপার, আমিও কি উল্টা দিক থেকে লেখা শুরু করে দেখব হাত মকষের জন্য। হূম দাঁড়ান, অন্য ধরনের লেখা দিই, যাতে উল্টো দিক থেকে পড়লেই প্রথমেই সমাধান পেয়ে যান
facebook
কোন তুলনা করা সম্ভব হচ্ছে না!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আরে না, আপনি ঈষৎ দা খালি বাড়িয়ে বলেন । ভালো থাকুন--
facebook
তারেক ভাই,
আপনার সব লেখা গুছিয়ে ফেলেন। মনে হচ্ছে বই হিসেবে এই লেখাগুলো স্থায়ী হয়ে যাওয়া জরুরী। সাথে অবশ্যই ছবি। এতো ছোটাছুটি করছেন, লিখছেন চমৎকার, শরীরটা ভালো আছে তো? ভালো থাকবেন।
ফেলব মানিক ভাই, আসলে যেমন ছবি দিয়ে বই সাজাতে চাই তেমন প্রকাশক পাওয়া একটু মুস্কিল। আবার দূরে থাকাটাও এই ক্ষেত্রে একটা বড় বাঁধা। যাই হোক, হয়ে যাবে আশা রাখি একদিন।
খুব ভাল আছি, কমাস পরেই অনেকদিনের ছুটোছুটি আছে। আপনিও ভালো থাকুন সবসময়। আমাকে অণু বললেই হবে, শুভেচ্ছা
facebook
তারেক মিয়া এবার আপনার গলায় দড়ি বাইন্ধ্যা আমি নিজেই হাম্বা হাম্বা ডাকুম !!
পাগল সব জীবন কথা বলে যাচ্ছেন আপনি। বাইচা থাকেন। সারা পৃথিবী আপনার ভ্রমণ বিহঙ্গী হোক।
ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
ডাকঘর | ছবিঘর
হাম্বা হাম্বা ডাকার দরকার নাই ! ঐ মিয়া, আপনাকে বললাম না , আমাকে অণু বললেই হবে !
facebook
আচ্ছা। বেশ তাই হবে অনু।
ডাকঘর | ছবিঘর
এরকম জাদুঘর দেখলেই আমার গা ছম ছম করে। পুরানো জিনিসের একটা আলাদা আবেদন আছে, আর এত পুরানো ভাস্কর্য, নিদর্শন মনকে উদাস (চরম উদাস না) করে দেয়।
লেখাখুব সুন্দর হয়েছে অণু ভাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চরমের বদলে গরম উদাস হলে কেম্নুন হয় !
facebook
সবাই মিলে আমাকে অ্যাডাম টিজিং করতেছে। মডুদের নালিশ করবো কিন্তু।
গরম উদাস তো নেংটু ছবির সিডির কভারের নামের মত শোনাল
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একটু উদাস হয়েই হাসি !
facebook
রাস্তার মধ্যে এক মুরুব্বী পাকড়াও করে বললেন, শুনলাম আজকাল নাকি গরম উদাস ছদ্মনামে পত্রিকায় কি সব অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে যাচ্ছ। আমি মৃদু গলায় বললাম, আজ্ঞে গরম না চরম, পত্রিকা না ব্লগ, সাহিত্য না খিচুড়ি। সেই সাথে শ্লীল অশ্লীল নিয়ে একটা নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দেয়ার ইচ্ছে ছিল।
আমি হাসতে হাসতে শ্যাষ
ওরে খাইছে, ভাই কন কি, এইবার উদাস ভাই মাইন্ড খাইয়া বস্তে পারে কইলাম
করেন করেন, রাগ করেন, তাও যদি রাগের চোটে আবার একটা জগাখিচুড়ি লিখে ফেলেন তাতে আমাদেরি লাভ।
হ ঠিকই!
facebook
আরে ভাই ব্রাকেটেরটাই ঠিক আছে। হমু যখন চরম উদাস হইবার চাই, তাও যদি চউ ভাইয়ের মত কিছু একটা বাইর হয় কিবোর্ড থিকা।
কথা সইত্য ! এই জিনিসগুলো বইয়ের পাতায় দেখতে দেখতে এমন হয়েছে সামনাসামনি দেখলে গায়ে প্রায় জ্বর চলে আসে ভাললাগায় আর উত্তেজনায়।
facebook
আচ্ছা মুখোশের চোখের জায়গাতো বন্ধ করা, তাহলে মুখোশ পড়লে চোখে দেখত কিভাবে? আমার কাছে দেখে মনে হচ্ছে শামান/যাচক/পুরোহিত জাতীয় কেউ যারা নেচে জাদু করে এমন কারোর মুখোশ হতে পারে। আপনাকে আবার দুই ছটাক হিংসা।
সাফি, এইটা ডেথ মাস্ক। মানে মরার পর মুখের উপর হেহ হেহ হে। তাই চোখ দিয়ে দেখার ঝামেলা নাই , তাই না অণু?
ও ধন্যবাদ বস, আমিতো ভাবতেসিলাম কেমনে কি!
আরে দাদা তো বলেই দিল ! আর কি ! তবে অনেক দিন ধরেই ডেথ মাস্ক মোম বা কাদা দিয়ে তৈরি করা হয়।
facebook
আরে ছিঃ কি যে কন, বস আর আমি? তয় যদি বৈজ্ঞানিক নামের বস মানে Bos taurus taurus aberdeen angus মিন করেন তাইলে চিন্তা কইরা দেখবার পারি।
facebook
অণু, চরম চরম, আরো কত কি যে লুক্কায়িত আছে তোমার ডিস্কে তুমি জানো। তোমার পোস্টে দিলাম একটা।
আরে দাদা , কি হচ্ছে টা কি! আছে কিছু, কিন্তু মোজাম্বিক নিয়ে লেখা টা শেষ করতে পারছি না, দেখি পণ করে বসতে হবে
facebook
হু হু বাবা ওই সব কইয়ো না, আগে সমুদ্রের তলের হাঙ্গর-টাঙ্গর সহ ছবি পুষ্ট চাই।
টাঙর তো পেয়েছিই, হাঙর তা নিয়েই যত মুস্কিল! আমার উচিত ছিল ১০০ ডলার দিয়ে মোজাম্বিকে তিমিহাঙ্গরের সাথে সাতারের সুযোগটা নেওয়া !
facebook
আরে কও কি এই রকম অপশন আবার আছে নাকি?
আছে তো। আমার এক অস্ট্রেলিয়ান স্বর্ণকেশীর সাথে পরিচয় হয়েছিল আপনার ঐখান থেকে ফেরার সময়, সে ভারতীয় মহাসাগরে তিমি হাঙ্গরের ( Whale Shark- the biggest fish ) সাথে সাতার কেটেছে ঐ প্যাকেজে। কিন্তু হাঙর না আসলেও টাকা দিতে হবে , নরওয়ে বা দক্ষিণ আফ্রিকায় যেমন আছে তিমি না দেখলে পরের দিন আবার ফ্রি নিয়ে যাবে, এখানে সেটা হবে না ! থাকেন আর কয় দিন, আবার আসছি তাহলে--
facebook
তাড়াতাড়ি, আমি কিন্তু ঘোড়ায় জ্বিন চাপাইয়া বইসা আছি, তাইলে এই অক্টবরের শেষ ২ সপ্তাহ ডেডলাইন তোমার, এর মধ্যে আইসা পড়, ১০এর প্রথম ২ সপ্তাহ কিন্তু আমি বাড়িত নাই। আর সব ঠিক থাকলে নভেম্বরে সম্ভবত পোটলাপুটলি নিয়া পগার পার।
ধুর মিয়াভাই ! এত তাড়াতাড়ি হয়ত ন, আমার এই বছর পুরা বুক। কেন সামনে সামারে না কিলিমাঞ্জারো, আপনে তো ভাই আমাকে ডোবাবেন!
facebook
ভাইয়া, আপনার পায়ে ব্যাথা করে না? এত ঘোরাঘুরি করেন, পাঠকদের এত এত ভার নিয়ে? আবার সুন্দর করে লিখে সে দায়িত্বও পালন করেন।
ইশ! হিংসায় পুড়ে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে গেল।
আরে না, সব সময় তো দৌড়াই না, তখন বসে বিশ্রাম নি !
facebook
Aeschylus রচিত ট্রাজেডি পড়ার পর থেকেই আগামেমনন সম্পর্কে আগ্রহ।
রাজ্যগ্রাসের নেশায় অন্ধ আগামেমনন নিজের কন্যাকে বলি দিতে পিছপা হয়নি । ট্রয় বিজয়ের পর নিজ বাসভূমে তাই তাকে স্ত্রীর হাতে নিহত হতে হয়। ক্লাইতেমেস্ত্রা প্রতিশোধের নেশায় বলে:
For should the host wax wanton ere it come,
Then, tho'the sudden blow of fate be spared,
Yet in the sight of gods shall rise once more
The great wrong of the slain, to claim revenge.
কন্যা হত্যার প্রতিশোধ নিতে আগামেমননকে হত্যা করে ক্লাইতেমেস্ত্রা।
লেখককে ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ
শুভেচ্ছা রইল ভাই। আমি অ্যাকিলিস সম্পর্কে আরও জানতে চাই, কিন্তু মানুষ অ্যাকিলিসকে নিয়ে নির্ভরযোগ্য বই হাতে আসে নি এখনো
facebook
বাহ ! জাদুঘরের ভিতরে ছবি তুলতে দেয় !!!
আমাদের আহসান মঞ্জিলে দেয়না
আর পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নাই, শুধু হিংসা
আর বইলেন না, প্রথম বার লুভ্যে যেতেই টাসকি, দেখি যছেচ্ছ ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়। পরে দেখি নামি প্রায় সব জাদুঘরেই ছবি তোলা যায়, কয়েকটাই কেবল ফ্লাশ ব্যবহার করা নিষেধ।
আহসান মঞ্জিল তো অনেক বড় ব্যাপার, আমাদের দেশে পাড়াগেঁয়ে কোন সংগ্রহ যেখানে কেবল পুরনো দালানের কোণে তেলাপোকার বিষ্ঠার স্তূপ সেখানেই ছবি তুলতে গেলে হা রে রে রে রে শুনিয়ে দেয় ফাজিলের দল
facebook
একমত।
এবং এই অভিজ্ঞতার কথাই জানতে চাই বিস্তারিত ভাবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কোনটার ?
facebook
ঠিক। সোনারগাঁ জাদুঘরেও ছবি তুলতে দেয়নি। ইনফ্যাক্ট ঢাকায় কোন জাদুঘরেই আমি ছবি তোলার অনুমতি পাইনি।
একবার সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে গিয়েছিলাম, সেখানেও ছবি তোলায় মানা ছিল। আমাদের এখানে যেকোন দর্শনীয় বস্তুর ছবি তোলা নিষেধ মনে হয় !
ফাজিলের দল। বলে, ছবি তুললে বিদেশীরা দেখে নিয়ে যাবে !! অনেক জায়গাতেই দেয় না, আমি কয়েক দেশের জাদুঘরে দেখেছি ছবি তুললে আলাদা টিকেট কাটতে হয় সামান্য বেশী মূল্য দিয়ে, সেই পদ্ধতি অনেক অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য ।
facebook
আমি তারেক অণু হতে চাই। কোন উপায় জানা আছে আপনার? জেনে থাকলে প্লিজ মেইল করবেন,
অনুরোধ জানিয়ে গেলাম। সিরিয়াসলি বলছি কিন্তু।
সিরিকাসলি বলছি, জানা নাই, কিন্তু খুব কঠিন বলে মনে হয় না
facebook
অণু ভাইয়ের এই পোষ্টের কমেন্টসমূহ তো দেখি পুরাই গরম উদাস
ওরে বাবা, এই নিয়ে আর কমেন্টালে খবর আছে । আর উদাস না থেকে সবাই বলবে
facebook
আমি চিন্তা করি, আমাদের আজকের এই বৈশ্বিক সভ্যতা কিছুদিন পরে যখন আরেকটা বরফ যুগ এসে বিলীন হয়ে যাবে, তখন পরবর্তীতে আরেকটা বুদ্ধিমান প্রাণী বা মানুষেরই কোনো অফশুট বিবর্তিত হয়ে উঠে এলে, আজকের দিনের ভুবন বিখ্যাত(তাজমহল, প্যত্রোনেস টাওয়ার থেকে মুঠোফোন পর্যন্ত) সব নৈপুন্যেকে প্রত্নতত্ত্বিক উপাদান হিসেবে দেখে কি সিদ্ধান্ত নেবে?
হয়তো গ্রিকদের অলিম্পাস আর নর্সদের আসগার্ডের মত আজকের পৃথিবীকে দেবলোকের মর্যাদা দেবে।
একটা জিনিস বলতে পারি, আমরা যেমন গ্রীক, রোমান, মিশরীয়দের সৃষ্টি দেখে অবাক হয়ে যায় কিন্তু তাদের ধর্ম বিশ্বাস ও ঈশ্বর সম্পর্কে জেনে হাসি ধরে রাখতে পারি না, বলি, ব্যাটারা এত বুদ্ধিমান তো এই ছাইপাঁশ বিশ্বাস করল কেন !
তেমন ভবিষ্যতের মানুষ বা অন্য জীব আমাদের সম্পর্কে জেনে বলবে- দেখ, গবেটের দলেরা কল্পিত এক বিশ্বাস নিয়ে সারাগ্রহ জুড়ে মারামারি হানাহানি করেছে। কি আজব জীব ছিল এই ২০১০-এর মানুষেরা ! নিজে কষ্ট করে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করে সেই অর্জন দিয়ে দিত কল্পিত ঈশ্বরকে!
facebook
কমেন্টটা চমৎকার লাগলো।
facebook
facebook
কবি শামসুর রাহমানের 'ইলেক্ট্রার গান' কবিতায় পড়েছিলাম-
(কবিতাটা হতে পারে আগােমমননকে নিয়ে, অথবা শেখ মুজিবকে নিয়ে - সে বিতর্কে যাচ্ছি না।) কৈশোরে, প্রতীচ্য-পুরাণ পড়ার আগে, প্রধান কবির এই কবিতা থেকেই আগামেমননের সাথে পরিচয়। আজ আপনার লেখা পড়ে কেনো যেনো এই কবিতাটি খুব মনে পড়লো।
লেখা-ছবি যথারীতি চমৎকার হয়েছে, অণু ভাই!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
নিহত জনক আগামেমনন, কবরে শায়িত আজ--
আমারও গ্রীসে ইলেকট্রার গান এবং ইকারুসের আকাশ ঠোটের আগায় ছিল সবসময়।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন