আগের পোস্টগুলোতে ছবি নিয়ে শুধু গপ্পোই হচ্ছিল। আড্ডা, মন্তব্য ইত্যাদির ফাঁকে কেউ কেউ অনুরোধ করেছেন টিউটোরিয়াল দেওয়ার জন্য। এই পোস্টের গপ্পোটা তাই কিঞ্চিত শিক্ষণীয় গোছের।
যে কোন শিল্পের উপর দক্ষতা মোটা দাগে দুইটা জিনিসের উপর নির্ভর করে -
১। একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুভবের শৈল্পিক রূপান্তর
২। এই রূপান্তরের টেকনিক বা কারিগরী দিক
ফটোগ্রাফির টেকনিক বিষয়ে আমার জ্ঞান প্রাথমিক কয়েকটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ। তাই গল্পটা চলবে মূলত ঐ ১ নম্বর বা "ব্যক্তিগত অনুভবের শৈল্পিক রূপান্তর" নিয়ে। যেহেতু ব্যক্তিগত অনুভূতির ব্যাপার, তাই এটা করুন-ওটা করুন এর বদলে আমার নিজের কথাই বরং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলি।
আমি মূলত নিসর্গের ছবি তুলতে পছন্দ করি। ফুল-ফল-ঘাস-লতা-পাতা-পশু-পাখি-পতঙ্গ সব কিছুই আমার লিস্টিতে আছে। প্রকৃতিকে আলাদা ভাবে বোঝা বেশ কঠিন। ঐ যে একটা ক্লিশে আছে না - "জাল" (খাদ্যজাল), আসলেই জীবজগতের সদস্যরা জালের মত (বা তার চেয়ে বেশি) একে অপরের সাথে সংযুক্ত। ছবি তোলার সময় তাই আমি বোঝার চেষ্টা করি সেই সম্পর্কগুলো। পাখির ছবি তুলতে গেলে শুধু পখি চিনলেই তো চলবে না, বরং ঐ পাখি কী খায়, কোন ধরনের গাছে বাসা বানায় এগুলোও জানা চাই।
শুরুর দিকে ছবি তোলার সময় অবশ্য এত বোঝাবুঝির চেষ্টা করতাম না। লেন্স বাগিয়ে তাড়া করতাম সবকিছুকেই। বারান্দার চড়ুই উড়ে পালাত, প্রজাপতির মধুর মধ্যাহ্নভোজে আকস্মিক বিঘ্ন ঘটত। কিন্তু এভাবে আসলে হয় না।
পাখির ছবি তুলতে গেলে কেউ কেউ পাখিকে ধাওয়া করেন, পিছনে পিছনে ঘুরতে থাকেন। পাখি ভয় পায়, কখনোবা অহেতুক উড়াউড়িতে ডানায় ভর করে ক্লান্তি। তারচেয়ে বরং একটা গাছের নীচে চুপ করে বসে থেকে ডানার শব্দ শুনতেই বোধ হয় বেশি ভাল লাগবে। পাখির সুরে, ফেলে যাওয়া পালকের রঙে যে অনুভবের ছোঁয়া আছে - ছবি তোলার ঐ তো প্রেরণা।
উপরের ছবিটা আমার দেশের বাড়িতে তোলা। গ্রামের পুকুর ধারে একটু খুঁজলেই দেখা মেলে মাছরাঙাদের। আমি সকাল থেকে ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে তেমন কোন ছবিই পাই নাই, তাই ভাবলাম পুকুরপাড়টা চক্কর মেরে আসি। সাধারণত একটু নীচের দিকের ডালে মাছরাঙা পাখি বসে শিকার খোঁজে। অল্প কিছুক্ষণের মাথায় দেখা মিলল এই পাতি-মাছরাঙার। কী সুন্দর রঙ! উত্তেজনার চোটে খেয়াল করি নাই ক্যামেরার সেটিং। প্রায় দুই স্টপ আন্ডার এক্সপোজ করে ছবি তুলে ফেললাম। পাখিটা বেশ দূরে ছিল তাই ফ্রেমে কিছু জায়গা রয়ে গেল খালি। কম্পোজিশানটা মনমত হয় নাই। সে যাক, নিজের গ্রামের বাড়ির পুকুরে ছবি তুলতে পেরেই আমি খুশি। নিসর্গের প্রথম পাঠ আসলে এভাবেই। ওয়াইল্ডলাইফ বলতে সাধারণত মনে ভাসে আফ্রিকার সাভানায় বাঘ-সিংহ-গন্ডার, কিন্তু যাকে চিনি না, তার ছবি কিভাবে তুলি এক-দুই ক্লিকে? এই চেনার পর্বটুকু শুরু হোক উঠান থেকেই। আসলে এই ছবিটাতো শুধু মাছরাঙা পাখির ছবি না, কতকটা আমার গ্রামের বাড়ির পুকুরপাড়ের ছবিও বটে।
প্রজাপতির বেলাতেও তাই। কোথায় পেলে রঙিন ডানা বলে ছুটে না গিয়ে বরং এক জায়গায় শান্তভাবে বসে থাকলে ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একটু রোদ উঠলে প্রজাপতিদের দেখা মেলে সহজে। বাগানের যে অংশে রোদ-রোদ-ছায়া-ছায়া-ফুল-ফুল সেখানে বসে অপেক্ষা করে, আলো ছায়ার খেলা দেখে, ফুলের গড়ন দেখে একটা বিকেল কাটালে মন্দ কী!
হাজারো ক্যামেরায়, দুধসাদা লেন্সে, f8, 1/250 অথবা নিখুঁত এক্সপোজারে কত আশ্চর্য সব দৃশ্য ফ্রেমবন্দী হয়েছে। তবে এই পৌনপুনিকতার মানে কী? আমরা কি একই ছবি বারবার তুলছি? হ্যাঁ, তা তুলছি। কিন্তু প্রত্যেকের ছবিতে নিজস্বতার যে ছাপটুকু আসে ওটাই বাড়তি পাওনা। আর এই নিজস্বতার ছাপ দামী ক্যামেরা বা লেন্সের মাধ্যমে আসে না। ছবি তো আর পিক্সেলপ্রেম নয়, ফুল বা পাখির সাথে ব্যক্তিগত অনুভূতির রোমন্থন।
তাই গাছের ছবি তোলার আগে একটু প্রেম হোক, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখি রুক্ষ বাকল। ছবিতে টেক্সচার আসুক। শিউলি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে জোরে একটা নিশ্বাস নেই, ফুসফুসে ঘাঁই দেয় আশ্চর্য সুবাস। দ্বিজেন শর্মার বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখি। আলতো করে আউড়ে যাই জীবনানন্দের এক-দুই পংক্তি।
যে হাত স্পর্শ করে না মসৃণ পাপড়ি, হলদে পরাগ - সে হাতে ক্লিক করে কি লাভ?
----------
সংযুক্তি:
এই ছবিগুলোতে কোন ডিজিটাল ম্যনিপুলেশান করা হয় নাই। মানে কৃত্রিমভাবে কোন জিনিস মোছা হয় নাই, ব্লার করা হয় নাই। আপনি উপরের ছবিতে (JPEG ফাইলে) যা দেখছেন, ক্যামেরাতেও ঠিক এভাবেই (RAW ফাইল) ছিল। পোস্ট প্রডাকশান বা সম্পাদনায় শুধু ব্রাইটনেস-কন্ট্রাস্ট বদল ও খানিকটা ক্রপ করা হয়েছে (মৌমাছির ছবিটা) আর আমার স্বাক্ষর বসানো হয়েছে।
ছবিগুলোতে ঝাপসা ব্যাকগ্রাউন্ড বা বোকেহ এর ব্যাপারটা একটু খুলে বলি। সবগুলো ছবিতেই আমি ব্যবহার করেছি Canon EOS 40D ক্যামেরা, Canon 70-300mm IS USM লেন্স। লেন্সটা খুব একটা ফাস্ট না, ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার কম- মাত্র f4, দাঁড়ান, আরেকটু খুলে বলি, অ্যাপারচার হল লেন্স দিয়ে আলো ঢোকার ফুটো। এই ফুটো যত বড় হবে, আলো তত বেশি ঢুকবে, ব্যাকগ্রাউন্ড ততই ঝাপসা হবে।
আমি ব্যাকগ্রাউন্ডে টুকটাক-ছোট-খাটো ঝামেলা এড়ানোর জন্য একটু আন্ডার এক্সপোজ (হাফ স্টপ, এক স্টপ) করি। অর্থাৎ কিনা যতটুকু আলো ঢুকতে দিলে ছবিটা ঠিক ঠিক উজ্জ্বল দেখাবে (খুব বেশি অন্ধকার না, আবার একদম সাদা ফকফকাও না), তার থেকে কম আলো ঢুকতে দেই।
আপনি যদি লেন্সটাকে খুব কাছে নিয়ে খুব ছোট জিনিসের ছবি তুলেন, আপনা থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ড কিছুটা ব্লার হয়ে যাবে। এর চেয়ে বেশি ব্লার করতে হলে যাদের ডিএসএলআর ক্যামেরা আছে তারা ম্যক্রো লেন্স, ম্যাক্রো ফিল্টার বা সাধারণ কোন 50mm লেন্সকে উলটে দিলেও হয়। অ্যাপারচার নাম্বার যত কম (f 1.8, f 2.8, f 4) ব্লার হবে তত বেশি। এছাড়া বড় ফোকাল লেংথের টেলি লেন্স (250 mm, 300mm, 400mm) দিয়ে তুললেও কিছুটা বাকগ্রাউন্ড ব্লার পাওয়া যায়।
মন্তব্য
ভাই... মন থেকে ডাকলাম...
ভাই, আমিও মন থেকে ডাকলাম...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শুধু সুন্দর বললে কম বলা হবে। কিন্তু এর বেশি বলার ভাষা যে আমার জানা নেই।
আপনি নিয়মিত মন্তব্য করে উৎসাহ দেন - এটা অনেক বড় পাওনা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার ক্যামেরাখানা কি জানতে পারি?
রবীন্দ্রনাথ পাইলট কলম পেলে কি বাংলা সাহিত্য আরও সম্বৃদ্ধ হতো?
অবশ্যই জানতে পারেন। canon 40D, আর লেন্স canon eos 70-300 IS USM
নিচে সাফি ভাই যা বললেন, আমি মোটের উপর একমত। ভাল ক্যামেরা থাকলে কাজের পরিধি বাড়ে, দ্রুত কাজ করা যায়, টেকনিকালি আরো নিখুঁত ছবি পাওয়া যায় - কিন্তু ভাল ছবি পেতে হলে আগে ছবি তোলা ভালবাসতে হবে, ছবির বিষয়কে ভালবাসতে হবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তা তো অবশ্যই বলার অপেক্ষা রাখে না। জানতে চাইলাম শুধুই কৌতূহল থেকে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে ভাই এইসব পাতা টাতা দিয়া ভুলাইতে পারবেন না, আরো দারুন দারুন সব ছবি পোস্ট করেন শিজ্ঞির। আর কতদিন লুকায়া রাখবেন? আপনার ছবি দেখে একটা জুম লেন্স কেনার বড়ই লোভ জাগতেছে। ছবিতে
অবশ্যই আরো ছবি নিয়ে পোস্ট দিব। উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ক্যামেরার স্পেকটা বলেন তো। আর সম্ভব হলে প্লিজ কিছু ছবি শেয়ার করুন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এইরে কাম সারছে, এমনে জন সম্মুখে লইজ্জা দিতে হয়? আমি ভাই এমেচারোস্য এমেচার। প্রশ্নোত্তরঃ আগে কয়দিন ক্যানু এসেক্স২০আইএস দিয়া ক্লিকাইছি, সেইটারে বিদায় করছি নিকু ডি৩১০০+১৮-৫৫ কিট লেন্স দিয়া। ছবি কিছু তুলছি, কিন্তু একটাও পাতে দেওয়ার মত হয় নাই, তাই খালি ফটু বিষয়ক লেখা যেখানে যা সামনে পড়তেছে গোগ্রাসে পড়তাছি আর শেখার চেষ্টা করতেছি।
পাতে দিবেন না হাতে দিবেন ওইটা আমাগো উপ্রে ছাইড়া দেন, আপাতত সচলে দেন।
আপনার ওয়াইল্ড লাইফ ছবি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়
---------------------
আমার ফ্লিকার
আপনাদের উৎসাহ পেয়ে আমারো মন ভাল হয়ে যায়
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অসহ্য সুন্দর প্রতিটি ছবি। আর আপনার টিউটোরিয়াল দেবার 'personal' স্টাইলও খুব অনবদ্য।
হয়ে গেলাম আপনার ভক্ত
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ছবি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবিগুলো অনেক সুন্দর! ছবি তোলার শখ আমারো বেশ আছে। ক্যামেরাটা পাবার অপেক্ষায় আছি।
ছবি তোলার শখ আছে জেনে খুশি হলাম। আশা করি ছবি পোস্ট দিবেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা করে কি করে ? ফটোশপে ? আমার ক্যামেরায় মানুষের ছবি তুল্লেই ভোটার আইডি কার্ডের ছবির মত ধ্যাবড়া মুখ দেখা যায় কেন বলতে পারেন ? আমার হাতে ক্যামেরা দেখলেই সবাই আজকাল পালিয়ে যায়। আগে একটা ম্যানুয়াল ক্যামেরায় তুলতাম। তখন ভদ্রজনোচিতই উঠত। এই ক্যামেরা এসে আমার নাম খারাপ করে দিয়েছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
প্রশ্ন কমন পড়ে গেল, ফাহিম ভাই পারলে এপারচার নিয়ে একটা লেখা দিয়েন। আশালতা আপু, একটা বুদ্ধি দেই, ধরে নিচ্ছি আপনার ক্যামেরাখানা ডিজিটাল। প্রথমে ক্যামেরা জুম ইন করে একদম সর্বোচ্চ জুমে নিয়ে যান, এর পর ব্যাকগ্রাউন্ড (ধরেন গাছ গাছালি/ধান ক্ষেত/দেওয়াল) এর অন্তত ১২-১৫ ফুট সামনে যার ছবি তুলবেন তাকে দাঁড় করান। এবার ক্যামেরা জুম্মড ইন অবস্থাতেই আপনি নড়েচড়ে ফ্রেমিং করে ছবি তুলে ফেলেন। আপনার ক্যামেরার মডেল নাম্বারটা বলেন মন্তব্যে, সচলের ক্যামেরাবাজরা ধুম/ধাম টিপস দিয়ে দিবে
বুদ্ধির জন্য ধন্যবাদ সাফি। আমার ক্যামেরার গায়ে দেখি লেখা আছে Power Shot SX 100 IS ক্যানন এর। আমার ক্যামেরা সংক্রান্ত জ্ঞান হচ্ছে অন-অফ পর্যন্ত। মানে সামনে কিছু একটা থাকলেই টকাস। তাতে যা ওঠে। এর বেশি দৌড় নাই। মানুষ মোবাইলেই আমার চাইতে একহাজার গুণ ভালো ছবি তোলে। কিন্তু ১২-১৫ ফুট দূর থেকে তুলি কিভাবে। বেশির ভাগ সময়ই তো ঘরের ভেতর ছবি তোলা হয়। এই ক্যামেরাটায় বাইরের ছবি খারাপ আসেনা, কিন্তু মানুষের ছবি তুলতে গেলেই কি যেন ঝামেলা হয় আর ছবিটা দেখতে একদম ভ্যাটকানো লাগে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুবইইই শক্তিশালী ক্যামেরা। আর জুমতো অনেক বেশী। এই পোস্টের ছবিগুলো এই ক্যামেরার আগের মডেল S5 IS এ তোলা, AE মোড এ। মানুষের ছবি তোলার জন্য Scene Mode এ Potrait অথবা AE mode ব্যবহার করতে পারেন। আর ছবি তোলা শিখতে সত্যিকারের আগ্রহ থাকলে এটা তার জন্য এটা এক্টা পারফেক্ট ক্যামেরা। আমার প্রথম ক্যামেরা ছিল - canon powershot a75। ক্যাননের পয়েন্ট এন্ড শট ক্যামেরাগুলোতে ম্যানুয়াল মোড ব্যবহারের অপশন থাকে, না থাকলে ছবি তোলার মজাই বুঝতাম না। ভাল ছবি দেখুন, ছবি দেখে সেটা কী ক্যামেরায় তোলা সেটায় মন না দিয়ে ছবির খুঁটিনাটিতে মন দিন। একই ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখতে চাইলে এখানে ঢুঁ মারুন।
ভাল থাকবেন।
বিরাট ধন্যবাদ সাফি। এখন মনে হচ্ছে মরা ইচ্ছেটাকে পানি ঢেলে আরেকবার বাঁচিয়ে তুলি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি, এইটা হচ্ছে ডেপথ অফ ফিল্ড - কম অথবা বেশি। নিচে সাফি যা বলেছে, মানে ক্যামেরা/লেন্স এর ফোকাল লেন্থ বাড়িয়ে নিতে হবে আর এপারচার ভ্যালু কম করতে হবে (ভ্যালু যত কম এপারচার তত বড়), তারপর আপনার সাব্জেক্ট ফোকাস করতে হবে। পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরাতে (ছোট খাট কম্প্যাক্ট ক্যামেরা, আর আপনার কোন একটা লেখার শেষে আপনার ক্যামেরার যে কনফিগারেশন লিখেছিলেন তাতে আপ্নিও আমাদের পিএন্ডএস এর দলে) এগুলো খুব একটা কন্ট্রোল করা যায় না, আর তাই এ ধরনের ক্যামেরার ক্ষেত্রে আপনি ক্যামেরা ম্যাক্রো মোডে নিয়ে সর্বোচ্চ জুম ইন করে সাবজেক্ট এর যত খানি সম্ভব কাছে যেয়ে ফ্রেম করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এসএলআর ক্যমেরা হলে সহজেই এই সব করতে পারবেন ম্যানুয়াল মোড সিলেক্ট করে। ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু পারি লিখে ফেললাম। তবে এই সচলায়তনেই বেশ কিছু লেখা আছে, যেমন শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ব্লগে (http://www.sachalayatan.com/shohailmc/23409) ফটোগ্রাফির বেশ কয়েকটা লেখা পাবেন।
ফোকাল লেন্থ ! এপারচার ভ্যালু ! সেরেছে !! এত বুঝলে তো হতই রে ভাই। আর সত্যি বলতে কি কিছু কিছু পোস্ট পড়ে জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা নিয়েছিলাম কিছুদিন আগে। কঠিন সব কথাবার্তা পড়ে টরে লাভের লাভ হয়েছে এখন ক্যামেরা দেখলেই মুখ শুকিয়ে যায় আর ছবি তোলার শখ গেছে মাটির তলায়। মনে হয়, এই তো লোকজন কী সুন্দর ছবি তুলছে, দেখেই প্রাণ ভরে যায়; খামখা মগজটাকে [যদি থেকে থাকে আরকি] কষ্ট দিয়ে লাভ কী ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
+ মাথা চুল্কানোর ইমো
@ আশালতা: সাফি ভাই তো আপনার প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিয়েছেন। আমি শুধু একটু যোগ করতে চাই - আপনার ক্যামেরার ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট কিছু শিখতে হলে ম্যানুয়ালটা আদ্যোপান্ত পড়ে ফেলতে হবে, আর ইউটিউবে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে। সেগুলো ব্রাউজ করলেও অনেক কিছু শেখা যায়। ঢাকায় একটা ম্যাগাজিন পাওয়া যায় নিউমার্কেট,জ্ঞানকোষ - "better phototgraphy" পড়ে দেখতে পারেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাহ, কি সুন্দর ভাবনা। ভালো না বেসে, না অনুভব করে কাজ করলে তাতে সেই সৌন্দর্য আসবে কেন?
ছবিগুলো যথারীতি, সুন্দর।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার গান আমার খুব ভাল লাগে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুম্ম...... ছবি তো ভালোই তুলতে পারেন দেখি!
অনেক সুন্দর!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
হুমম ...তাই তো দেখছি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার ক্যামেরার চোখ মমতার চোখ দুই-ই সুন্দর!
তবু কেন মনে হয় আহা, যদি স্পর্শ করা যেত স্পর্শহীন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি যাই লিখেন তাতে কবিতার ছোঁয়া পাই। এরকম কবিতা পাগল মানুষ আর দেখি নাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দক্ষ লোক হরহামেশা দেখা যায়। ভালোবেসে কিছু করেন সেরকম কম।
আপনি যা করেন, ভালোবেসে করেন। সেজন্যই ভালো লাগে। আপনার লেখায় ভালোবাসাটা টের পাওয়া যায়।
ভালোবাসা বেঁচে থাকুক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালোবাসা বেঁচে থাকুক।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম মন্তব্যের জন্য। উৎসাহ পেলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই, ছবি অতুলনীয় এটা নতুন করে বলার নাই। কিন্তু মৌমাছির ছবির এক্সিফ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম, ২৬০মিমি মানে কি ৭০-৩০০ ব্যবহার করেছেন? এত সুন্দর বোকেহ পাইলেন কী দিয়ে?
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাফি ভাই।
আপনি ঠিক ধরেছেন। ক্যানন ৭০-৩০০ মিমি ব্যবহার করেছি। আমার তো ম্যাক্রো লেন্স নাই, তাই একটা সস্তা ম্যাক্রো ফিল্টার ব্যবহার করেছি। সেজন্য ছবিটা হাল্কা শার্পনেস হারিয়েছে। আর খুব কাছে থেকে তুলেছি, তোলার সময় খেয়াল রেখেছি যাতে ফুলের পিছে ডিস্টার্বিং কিছু না থাকে - ছবির প্লেইনটাও ফ্ল্যাট রাখার (ফুলের সাথে প্যারালাল) চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে এই ছবি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১, ৩, ৪ থেকে চোখ সরাতে পারি নি। ১ এর কথাটা দুবার বলবো।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ ঈষৎ ভাই। ছবি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবি তোলার জন্যে চুপ করে বসে থাকাই উত্তম! একদম কাজের টিউটোরিয়াল! কিন্তু আমার তো কোন ধৈর্য্যই নাই!
এই মাছরাঙাটার বন্ধুরা প্রতিদিন সকালে আসে, পুকুরের একদম পানি ছোঁয়া ডালে বসে থাকে, আমার 4x অপটিকাল জুমে আমার চোখের মতন ভালো ধরা পড়ে না ছবি...
মাছরাঙাটাকে আমার ভাইকে ডেকে এনে দেখালাম! আর মৌমাছির ছবিটা স্রেফ জোস!!
বলেছিলাম মনে হয়, ইদানীং পোকাগ্রাফি করছি? এইটা তুলনামূলক সহজ, আমাকে পোকারা পছন্দ করে, বিনা কারণেই তারা আমার ঘর বারান্দা জামা কাপড়ে বিচরণ করে (আসলে আমাদের বাসাটা পোকাদের আবাসস্থল হিসেবে পারফেক্ট) আর আমি ছবি তুলতে থাকলেও কিছু বলে না, মনে হয় কামড়ে দেবার জন্যে অপেক্ষা করে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মানুষের চোখ একটা জিনিস রে ভাই। এইরকম লো অ্যাপারচার আর ওয়াইড আঙ্গেল লেন্স যে মুফতে পাইছেন, তার জন্য শোকর করেন।
কয়দিন আগে জব্বর একটা বেড়ান দিলাম, কিন্তু ওয়াইড আঙ্গেল দিয়ে আকাশ পাহাড় তুলতে গেলে চোখের কানি দিয়ে দেখি একটা পাখি, পোকা নয়ত শিশিরকনা, তো আবার লেন্স পাল্টাও। ততক্ষণে বাবাজিরা হাওয়া। এদিকে আকাশে মেঘ সরে আরেকটা সেরাম দৃশ্য তৈরি হয়েছে, কিন্তু ৭০-৩০০ মিমি তার কিছু আসে না। পুরা টাইম টা গেছে আফসোস করতে করতে।
কিছু ট্রানজিশনাল পি এন্ড এস মডেল আছে, লেন্সের রেঞ্জটা বেশ ভালো, ম্যানুয়াল কন্ট্রোল করতে দেয় কিছুটা, কিন্তু বোতাম টিপে টিপে ফোকাস করা আর লেন্স ঘুরিয়ে ফোকাস করার মাঝে পার্থক্য আছে। ম্যানুয়ালি করলে প্রিসিশন অনেক বেশি সম্ভব। (মনে হইতেছে, আল্লাহর কী কুদরত মার্কা বানী দিচ্ছি।)
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মানুষের চোখ একটা পুরাই উড়াধুরা ব্যাপার রে ভাই! এইটা ছবি তুলতে গেলে নিয়মিত অনুভব করি!
এই মন্তব্যটা ব্যাপক হইছে!
তবে ঐসব আঙুল দিয়া ব্যালান্স রক-রে উল্টায়ে ফেলার ছবি-টবি বিবরণসহ তাত্তারি না আসলে খবর হয়ে যাবে হুমকি দিয়ে রাখলাম কিন্তু! আশাকরি নতুন চাকরি ভালো লাগছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শিশিরকণা: আপনার মন্তব্য নিয়েই একটা আস্ত পোস্ট হয়ে যায়। চোখ আর ক্যামেরার মধ্যে পার্থক্য নিয়ে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধৈর্য নাই বললেই হল?
মাছরাঙার বন্ধুদের আমার হয়ে হ্যালো বলে দিয়েন। বাংলাদেশে আসলে আপনার ক্যাম্পাসে খুঁটি গেড়ে বসে থাকব। তবে ঐ যা বললেন, মানুষের চোখের উপর কিছু নাই।
আপনার ভাইকে ছবি দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোকাগ্রাফির নমুনা আপলোড করেন, ছবি পোস্ট দেন। না হলে বিশ্বাস করব না। জামাকাপড়ে বিচরণ করলে তো মুশকিল। আমি নিজে মাকড়শার ছবি তুলি কিন্তু খুব ভয় পাই। গাব্দা-গোব্দা খয়েরি রঙের মাকড়শা যেগুলো ঘরের মধ্যে থাকে - সেগুলো দেখলে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলি। আমার পিচ্চি কাজিন (ক্লাস সেভেন) আমাকে রেস্কিউ করে - ঝাড়ু দিয়ে খোঁচায় মাকড়শাটা জানালা দিয়ে বের করে দেয়। এজন্য তাকে আমি দশ টাকা করে দেই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মাছরাঙা তো ক্যাম্পাসে দেখি না, প্রতিদিন সকালে বাড়িতে দেখি...
তবে ক্যাম্পাসে অনেক্ককিছুর দেখা মিলে, ইদানীং অনেক কাঠবেড়ালি দেখি, তারা অবশ্য ক্যামেরা বের করার আগেই উধাও হয়ে যায়!
পোকাগ্রাফির ছবি দেবার ইচ্ছা আসে শিঘ্রি, দেখি... সেদিন একটা দেখে পুরাই মুগ্ধ আমরা, জামার রঙে আকৃষ্ট হয়, না কি, বলতে পারি না, কিন্তু এইটাও জামাতেই ছিল, বললাম না পোকারা আমাকে বিশাল পছন্দ করে! মাকড়শা জিনিসটা অবশ্য আমার ভারি ইভিল মনে হয়, আর কোন্দিকে দৌড় দেবে বুঝতে পারি না। আপনার কাজিনকে ভাড়া করা লাগবে দেখি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মাস কয়েক হল মাত্র একখানা এসেলার ক্যামেরা ভাগ্যে জুটেছে। আপনার অনবদ্য ইস্টাইলের টিউটরিয়াল ভালই কাজে দেবে মনে হচ্ছে।
সব গুলো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড কালো করলেন কি করে?
আমি সাব্জেক্টকে ক্লিয়ার রেখে ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপ্সা করতে পারি কিন্তু ছবিটা কেমন যেন হয়ে যায় এরপর। এটা কেন হয়?
বাহ! আশা করি এরপর ছবি ব্লগ পাব।
ব্যাকগ্রাউন্ড কিন্তু আসলে কালো না। মাছরাঙার ছবিতে গাঢ় সবুজ, প্রজাপতির ছবিতেও সবুজ। হয়ত মনিটর ক্যালিব্রেট করা নেই তাই কালো দেখাচ্ছে। আসলে বড় অ্যাপারচার নাম্বারে ছবি তুললে আপনা থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপ্সা হয়ে আসে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বিষয়ে কিছু কথা মূল পোস্টে কিছু জিনিস যোগ করেছি।
আপনার স্যাম্পল ছবি এখানে পোস্ট করলে হয়ত আরো কার্যকরী পরামর্শ দিতে পারি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সেলাম বস। সিরিজটা চালাইবেন তো? চালায়েন প্লীজ। অধমের রিকোয়েষ্টটা রাইখেন।
আপনাকেও সেলাম। তবে এমন ইমো দিয়ে লজ্জায় ফেলে দিলেন। সিরিজ অবশ্যই চলবে। উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার ! ইস, কি একখানা মাছরাঙ্গা !
facebook
রঙের জেল্লা দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায়
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবিগুলোতো মন কাড়া হয়েছেই, আপনার ছবি ব্লগের বাড়তি পাওয়া হচ্ছে লেখার মাধ্যমে ছবির বিষয়ের সাথে আপনার অ্যাটাচমেন্টটা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেন। একটা ভালো ক্যামেরা কেনার প্ল্যান আছে, আপনাকে জ্বালাতে পারি বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছবি ব্লগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে সাহায্য করতে পারি - নাহলে কোন কথা নাই।
আর প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ লেখা এবং ছবি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ছবিগুলা দেখে একটা কথাই মনে হলো 'ব্যসম্যান'!
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ। তবে কিঞ্চিত লজ্জা পেলুম
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জবার সাথে কালো প্রজাপতির ছবিটা দেখে থ হয়ে গেলাম! এত অপূর্ব!! আপনার সব সিরিজই পড়তে হবে। নিজের তো আর ক্যামেরা নেই, মানুষের অপূর্ব কাজ গুলি দেখতে ভীষন ভালো লাগে।
অ-নে-ক ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি ভাই (ত্রিনিত্রির রাশিমালা নামে জাফর ইকবালের একটা বই আছে না?) আশা করি আমার অন্যান্য ছবি পোস্ট পড়ে আপনার ভাল লাগবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বড় হয়ে আমি এরকম ফটুগফুর হতে চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আর আমি হতে চাই আপনার মত আঁকিয়ে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দোয়া রাইখেন ফাহিম ভাই, আমিও জবাফুল আর প্রজাপতির সেইরকম একখান ছবি বানাবো।
অবশ্যই দোয়া করি। আপনি এর থেকে হাজারগুণে ভাল ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিবেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চমৎকার লেখা এবং ছবি। খুব ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এককথায় অপূর্ব ফাহিম ভাই। মাছরাঙ্গার মাথা আর পালক থেকে যেনো নীল নীল আলোকবিন্দু ঠিকরে বের হচ্ছে। আর মৌমাছিটাকে দেখে মনে হচ্ছে, এরকম একজন কেতাদুরস্ত ক্যামেরাম্যান পেয়ে সে চ্রম ভাবের একটা পোজ দিসে।
একইহাত এত্তদিকে সমান টাইপের পারফেক্ট হইলে কেমনে কী?
অতীত
অতীত ভাই, এ্যাত্ত প্রশনংসা শুনে লজ্জা পেলাম
আসলে প্রকৃতির স্বাভাবিক সৌন্দর্য ছবির মান এম্নিতেই বাড়িয়ে দেয়, আমার কৃতিত্ব তাই অল্প। মাছরাঙা পাখির ডানায় এত রঙ - মাথা তো খারাপ হতে বাধ্য।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চার নাম্বারটা এতো সুন্দর !! ...
অনেক ধন্যবাদ সুহান ভাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
উরে ... জটিল !
আমি সারাজীবন পড়াশোনা করলাম ইমেজ প্রোসেসিং নিয়া কিন্তু ছবি তোলার কিছুই শিখতে পারলাম না। পিএইচডি থিসিস ছিলো এইসব aperture, , focus, AF, AE, AWB নিয়াই। আগে যাও দুইএকটা ছবি ঝড়ে বক মরে ভালো হয়ে যেত। পিএইচডি করার পরে এখন যাই তুলি হয় ঝাপসা হয়, নাইলে এক্সপোজার কম-বেশি হয়, নাইলে কিছু না কিছু বেকা ত্যাড়া হয়। আমি বইসা বইসা লোকজনরে aperture, exposure, focus, contrast,. depth of field
এইসব নিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্ঞান দিতে পারবো কিন্তু ছবি আর তুলতে পারবোনা। এই হইতেছে মিস্তিরি আর শিল্পীর পার্থক্য।
এইত উদাস ভাই, আপনার নিকটার প্রতি সুবিচার করলেন না, চরম উদাস হয়ে সব বই পড়া জ্ঞান ভুলে একবার ট্রাই করেন তো। আউটপুট আপনার জগাখিচুড়ির থেকে খারাপ হবে না কিছুতেই
আপনার ইমেজ প্রসেসিং এর পড়াশোনার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী।
- শেয়ার করলে খুব খুশি হব উদাস ভাই
আর অনেক ধন্যবাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই সিরিজটাতে ছবির সাথে সাথে ঠিক এরকম লেখাই (গুনে, মানে, আকৃতিতে) দরকার। এর আগেরগুলোতে লেখা একটু বেশিই কম হয়ে গিয়েছিলো। এখন এ সিরিজটাকে একটা প্রিয় সিরিজ বলা যেতে পারে। আরও পর্ব আসুক তাড়াতাড়ি।
ফিডব্যাকের জন্য অনেক ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির ভাই। এরপর থেকে পোস্টটা এই সাইজেরই দিব।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই আপনার ব্লগ পুরাটা শ্যাষ করলাম। এই উপলক্ষ্যে ছবি তোলার কিছু টিপস দেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পুরানো পোস্টগুলো খুঁজে বের করে পড়ার জন্য। ফটোগ্রাফির টেকনিকাল সাইড (ক্যামেরা বা লেন্সের গঠন, এডিটিং) নিয়ে আমার জ্ঞান সীমিত। তাই খুব কার্যকরী টিপস দিতে পারছি না। বরং কম্পোজিশানের চর্চা করার জন্য একটা লেসান দেই:
পড়ার টেবিল থেকে মাঝারী আকারের (এই ধরেন হাতের মুঠোর সমান) চার কোণা বা গোল কিছু একটা বেছে নিন। ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে একটা রিডিং ল্যাম্পের সাহায্যে টেবিল আলোকিত করুন। এবার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ঐ বস্তুর ছবি নিন (একদম উপর থেকে, পাশ থেকে, আলোর বিপরীতে)। খেয়াল করুন ছায়ার সাথে বস্তুর ভলিউম কভাবে পাল্টাচ্ছে। আলোর উৎস থুক্কু টেবিল ল্যাম্পকেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। এভাবে আলো-ছায়া-পারস্পেটিভ সম্পর্কে ধারণা হবে। খুবই কমন কিন্তু দরকারী এক্সেরসাইজ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এগুলা মানুষের কাম?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাহ! সবই প্রকৃতির দান
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নিসর্গ বা প্রকৃতি এখন আমাকে খুবই টানে, সম্ভবত বয়সের কারনে । ছবিগুলি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম, বারকয়েক দেখলাম। খুব ভাল লাগলো। মনের মধ্যে এক ধরনের অনুভূতি হল। আর হ্যাঁ, আপনার টিউটোরিয়াল আমার কাছে অবোধ্যই রয়ে গেল। এবিষয়ে আমি আসলেই বিশেষ অজ্ঞ।
প্রৌঢ়ভাবনা
একরত্তি মাছরাঙা আর ঝিলমলে প্রজাপতিরা দিনটাকে রাঙিয়ে দিলো আজ।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
অসাধারন, অপূর্ব, আর কী বলতে পারি। খুব বেশি ভালো লাগলো। ছবিগুলো তো অসাধারন!! আপনার লেখার, পিছনের চিন্তাভাবনার প্রশংসার জন্য শব্দ খুঁজে পাচ্ছিনা। চালিয়ে যান। দেখতে পাচ্ছি আপনার আরও কিছু লেখা আমার পড়া হয়নি। আস্তে আস্তে পড়ে ফেলবো। ভালো থাকবেন।
মুগ্ধতা।
নতুন মন্তব্য করুন