আমার মেয়ে ‘তুংকা’ খুব ভালো স্কুলে ভর্তিপরিক্ষায় উতরে যাবার পর আমার আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ হয়েছিলো। ভর্তির নিয়ম কানুন ইত্যাদি জানার জন্য স্কুলে যাবার পর মাথায় বাজ পড়লো। স্কুল শুরু এগারোটায়। সর্বনাশ ওকে স্কুলে নামাবে কে? আগের স্কুল ছিলো নয়টায়, মেয়েকে নামিয়ে সময়মতো অফিসে পৌঁছে যেতাম। তুংকার বাবার এক দূরের চাচাকে অনেক অনুনয় করে স্কুল শেষে বাসা পৌঁছে দেবার কাজটা গছিয়ে দেয়া গিয়েছিলো। বিনিময়ে যখন তখন গাড়িটা তাকে ব্যবহার করতে দিতে হতো।
বাচ্চাটা সপ্তাহে একদিন সবচে আকর্ষনীয় ইসিএ ক্লাস করতে পারতো না যেহেতু চাচা বাড়তি তিরিশ মিনিট কিছুতেই দেবেন না। উনি রিটায়ার্ড তো কী হয়েছে, অন্যের জন্য কিছু করার মন মানসিকতা আমাদের দেশের খুব কম মানুষের ই আছে। থাক ইসিএ, উনি দয়াপরবশ হয়ে একটার সময় স্কুল থেকে পিক করতেন এটাই কতো। এখন উনি কি দুইটার সময় পিক করতে রাজি হবেন? রাতে খাবার টেবিলে গম্ভীর বৈঠক বসলো। আমার হাজব্যান্ড বললো দেখি চাচাকে কোনোমতে ম্যানেজ করতে পারি কীনা। দরকার হয় আমরা রিকশা চড়বো, গাড়ি চাচার সার্বক্ষনিক ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেবো! আর স্কুল তো তোমার অফিসের কাছে, সকালবেলা দশ মিনিটের জন্য চট করে বের হয়ে ওকে ড্রপ করে আসবে।
ব্যাপারটা শুনতে যতো সহজ কার্যত ততোটাই কঠিণ...
প্রতিদিন আমার মেয়ে দুইঘন্টা আমার অফিসে বসে থাকে! প্রথমদিন অফিসে নিয়ে যাবার পর সবাই খুব মজা পেলো। ইউনিফর্ম পরা একটা মেয়ে বেনি দুলিয়ে অফিসে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখে সবাই আদর করলো, চকোলেট কিনে খাওয়ালো। দ্বিতীয়দিন ভ্রু কুঁচকে তাকালো কেউ কেউ। তৃতীয়দিন থেকে ওকে কেউ দেখেও দেখেনা, মা মেয়ের মানসিক অত্যাচার পর্ব শুরু হলো। হলে আমার এক রুমমেটের ছোট বোন বদরুননেসা কলেজে ভর্তি হবার পর হোস্টেলে সীট পেতে দেরি হচ্ছিলো। আমাদের রুমে ছিলো মাসদুয়েক, লুকিয়ে। হাউজ টিউটর ম্যাডামরা টহল দিতে বের হলে খবর পাবার সাথে সাথে আমরা কখনো দরজায় তালা দিয়ে টিভি রুমে চলে যেতাম সবাই, কখনো ওকে খাটের তলায় ও ঢুকতে হয়েছে। আমার মেয়ের অবস্থাও তাই হলো! পারলে আমি ওকে লুকিয়ে ফেলতাম কিন্তু পাঁচ বছরের বাচ্চাকে আটকে রাখা যায়না। অযাচিতের মতো সে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়, ষ্টেশনারী বা কম্পিউটার ধরে ফেললে ধমক লাগিয়ে দেই, করিডোরে গেলে ছুটে দেখতে যাই পানির মেশিনে গিয়ে হট-কোল্ড না বুঝে হাত পুড়িয়ে ফেলবে কীনা! মেয়ে অসংখ্যবার জিজ্ঞেস করে ‘কখন আমার স্কুলে যাবো’। আমি অসংখ্যবার বলি ‘চুপচাপ বসে থাকো, সময় হলে দিয়ে আসবো’। আমরা মা-মেয়ে এক ভয়ংকর যুদ্ধ করছি দিনের পর দিন।
আমার চাকরি ভাগ্য ভালো। একটা বিদেশি ডিগ্রি (ছোটখাট কিন্তু বিলাতি আর আধুনিক!) আর ইংরেজী জানা থাকায় খুব অল্প বয়সে মাল্টিন্যাশনালে খুব ভালো চাকরি দিয়ে প্রফেশনাল লাইফ শুরু করি। প্রথম সন্তানের জন্ম হলেও একটা প্রমোশন নিয়ে চারবছর পার করার পর দেখলাম কাজের সমুদ্রে আমি নিজে, সংসার এবং বাচ্চা সব ডুবে যাচ্ছে। নদী খোঁজ করতে শুরু করলাম। মানুষ কোনোরকম একটা চাকরি পেলে বর্তে যায় আর আমি বাছ বিচার করতে লাগলাম। জাতিসংঘের চাকরি বা বিদেশি এন জি ও? নাহ ফিল্ড ট্রিপ থাকবে। ব্যাংক? নাহ লং ওয়ার্কিং আওয়ার। বিসিএস? নাহ কোথায় না কোথায় পোস্টিং হবে। সেলস/মার্কেটিং? নাহ টার্গেট থাকবে এতো চ্যালেঞ্জ নেয়া যাবেনা। গার্মেন্টস/বায়িং হাউস/মার্চেন্ডাইজিং? অসম্ভব এগুলোর কাজের কোনো মা-বাপ নাই। রইলো বাকি মাস্টারি, কিন্তু আমার বিষয়টা আই আর হয়ে ঝামেলা হয়ে গেছে।
ভাগ্যক্রমে একটু রিলাক্সড আরেকটা বিদেশি কোম্পানির চাকরি পেয়ে গেলাম। চাকরিতে ঢুকে মোটামোটি যখন গুছিয়ে নিয়েছি তখন দ্বিতীয়বারের মতো অন্তঃসত্ত্বা হই। নদীর ছোট ঢেউ সবসময় ছোট থাকেনা! বাসায় তিনবছর বয়সের বাচ্চা, পেটে বেড়ে উঠছে আরেকজন, আমি দিক্বিদিক হারাতে লাগলাম। দ্বিতীয়জনের জন্মের পর আর বিদেশি কোম্পানির মায়া না করে দেশি কোম্পানিতে জয়েন করলাম। নদী ছেড়ে পুকুর এইবার! কিন্তু বড়জনের স্কুল এই চাকরি ও বেশিদিন করতে দেবেনা। জরুরী অফিস মিটিং তো আর আমার মেয়ের স্কুল টাইম কন্সিডার করে অন্যসময় ফেলবে না। সুতরাং আমাকে পুকুর ও ছেড়ে দিতে হবে। আমাদের দেশের মুশকিল হলো ক্যারিয়ারে একটা গ্যাপ হলে পরে আবার আগের লেভেলে ফিরে আসা যায়না। দুই চার বছর বাচ্চাদের সময় দিয়ে আবার শুরু করতে চাইলে চাকরি আমি পাবো, কিন্তু মিড লেভেলে কেউ আমাকে নেবে না। কষ্ট করে, বাচ্চাদের কষ্ট দিয়ে তাই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি...
বাংলাদেশের কর্মজীবি মায়েরা এক ভীষন সংকটের সময় পার করছেন। শিক্ষিত কর্পোরেট চাকরিজীবি থেকে শুরু করে স্বল্পশিক্ষিত গার্মেন্টস কর্মী বা অশিক্ষিত গৃহকর্মী সবাই...এখানে যৌথপরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে,আবার প্রফেশনাল ডে কেয়ার/চাইল্ড কেয়ার ফ্যাসিলিটি গড়ে উঠেনি। ক’বছর আগেও গৃহকর্মী সুলভ ছিলো আর মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস এবং মমতা ছিলো। এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করেনা। ছাত্রজীবনে মনে করতাম মানুষকে সমান সুযোগ দিলে সব মানুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে তা না। চাকরিজীবি কাপলরা গৃহকর্মীদের ব্যাপারে অনেক বেশি উদার। ফলে গৃহকর্মীরা মনে করে এরা তো আমাদের হাতে জিম্মি, যা চাইবো তাই দিতে বাধ্য। অনেক ভাগ্যবান কর্মজীবি মেয়ে মা বা শাশুড়িকে পেয়ে যাচ্ছেন কিন্তু আমার মতো অভাগা কেউ কেউ আছে। সচলের নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন উনি দেশে থাকেন আর উনার মা থাকেন আমেরিকায়। আমিও দেশে থাকি এদিকে আমার মা-বাবা, শাশুড়ি এরা সবাই প্রবাসী। সন্তান মানুষ করার দীর্ঘ এবং কঠিণ প্রক্রিয়ায় আমার পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই।
দুঃখের কথা শেয়ার করলে দুঃখ কমে। স্ট্রাগলের কথা অন্যদের বললে স্পিরিট বাড়ে। শুরু করলাম যুদ্ধের গল্প, শুনবেন আপনারা?
মন্তব্য
বাহ, আরেকটা চমৎকার সিরিজ হচ্ছে। শুনবোনা মানে? পপ্পন নিয়ে বইলাম ...
ধন্যবাদ। আর শুনে একটা সমাধান ও বাতলে দেন প্লিজ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনি যথেষ্ট ভক্ত পাঠক কুড়িয়েছেন। স্বানন্দে লিখতে থাকুন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চলুক
জ্বি চলবে, সাথে থাকুন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
সময়োপযোগী। শুধু মা-বাবা বা শাশুড়ি'র উপস্থিতি নয়, পরিবর্তন অনেক দিকেই লাগবে। কারন এখন মেয়েরাও প্রোডাক্টিভ কাজে বাইরে আসছে এবং এই সংখ্যা বাড়ছে। উদাহরন গৃহকর্মী। জিম্মি করার মানসিকতা নিয়ে আপনার সঙ্গে একমত।
আপনার যুদ্ধের সাথী হলাম।
মেয়েদের বাইরে আসা দিনদিন আরো বাড়বে। আসলেই একটা ভালো সমাধান দরকার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বাহ! আপনার নতুন সিরিজ শুরু? গ্যালারিতে বসলাম। চালিয়ে যান।
আমার সিরিজ মানে প্রতিদিনের পুরোনো গল্প, কেউ লিখেনি আরকি। শুনলে কৃতার্থ হবো।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
যৌথপরিবারপ্রথা ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে কর্মজীবি কাপল্ যাঁদের স্কুলগামী ছোট বাচ্চা আছে তাঁরা বেশ মুশকিলেই পড়েছেন। গৃহকর্মীরাও এখন আর গৃহকর্মী থাকতে চাইছেননা। তারাও এখন কর্মজীবি মহিলা হিসাবেই পরিচিত হতে চাইছেন। পোশাকশিল্পে তাদের চাহিদা থাকার কারনে গৃহকর্মী এখন দূর্লভ। আর বাচ্চাদের স্কুলে আনানেওয়া করাতো একটি বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। ভাবছি এ সম্পর্কিত একটি ব্যাবসা ফেঁদে বসলে কেমন হয় !
আপনার নতুন লেখা চালিয়ে যান। সাথেই আছি।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
আরে আশ্চর্যতো!!! পড়ার পর আমিও চিন্তা করছিলাম যে ঢাকায় একটা ডে-কেয়ার খুললে কেমন হয়।
প্লিজ শুরু করুন একটা ব্যবসা। আমি কতোজনকে এই অনুরোধ করেছি! শিক্ষিত হাউজওয়াইফ, রিটায়ার্ড, সহৃদয় মন আর ব্যক্তিগত সময় আছে এমন যেকেউ কেনো শুরু করছে না??
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অনেক দূরে যে!
ছেলের বয়েস ৭ হতে চল্ল কোনফাঁকে, সেটা টেরই পেলাম না। জয় হোক যৌথ পরিবারের
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনাদের কী অসীম সৌভাগ্য! আপনার বাচ্চাটা কী সুন্দর ভাবেই না বড় হচ্ছে!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
১) যদি মানসম্পন্ন ডে কেয়ার সেন্টার এর ব্যবস্থা করা যায় তবে বেশ হয়।
২) আর এখন ঘরের কাজ গ্যাজেট নির্ভর করে নেয়া'ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩) বাড়ী ঘরের নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি সার্ভিসের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
৪) সর্বোপরি এই সার্ভিসগুলা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বা বিপদে পড়া কর্মজীবিদের শোষন করার উদ্দেশ্যে না হয়ে যুক্তিসংগত হতে হবে।
১। মানসম্পন্ন ডে কেয়ারের ব্যাপারে সহমত।
২। গ্যাজেট চলবে কি দিয়ে???
৩। সিকিউরিটির ব্যাপারে সহমত।
৪। কর্মজীবি মাদের শোষন না করার ব্যাপারে সহমত।
সবগুলো অবজার্ভেশন সঠিক। তবে আমাদের দেশে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য মহৎ হবে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চরম বাসতব কখা
বাস্তবতা বদলাতে হবে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
সন্তান মানুষ করার জন্য মায়েদের যুদ্ধ সেই কতকালের কাহিনী!! স্থান, কাল, পাত্র ভেদে যুদ্ধের স্ট্রেটেজির পরিবর্তন হচ্ছে শুধু। যৌথ পরিবারে মেয়েদের ভুমিকা ভুলে গেছেন? প্রসব ব্যাথা উঠলেও ব্যাথা নিয়েও চুলো ধরাতে হোত।
বিদেশে কর্মজীবি মহিলাদের যুদ্ধ আরো ভয়াবহ। কোন গৃহকর্মি সহায়তা নেই, প্রফেশনাল ডে কেয়ারে বিভিন্ন দেশের বাচ্চা কাচ্চা, কি শিখে আসছে সেটা বাদ দিলেও, ছোঁয়াচে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি লেগেই থাকে, এবং অসুস্থ বাচ্চাকে ডে কেয়ারে নেবেওনা, মাসের মধ্য কতদিন কর্মজীবি মহিলারা ছুটি নিতে পারেন? চাকরিটা কি থাকে ঘন ঘন ছুটি নিলে?
প্রাইমারি স্কুলে আনা নেয়ার জন্য একটি কাজ আমি করেছিলাম, বাচ্চাদের স্কুলের অন্য অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিদিন এক বেলা আমরা স্কুলে নামালাম, আর এক বেলা অন্য প্যারেন্ট স্কুল থেকে তুললো। ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখতে পারেন।
সামগ্রিকভাবে কর্মজীবি মহিলাদের সমস্যাগুলি আলোচনায় আসতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেক ধন্যবাদ একটি অতি প্রয়োজনীয় সমস্যার দিকে আপনি আলোকপাত করছেন।
আমিও আপনার মতো অন্য প্যারেন্টদের সাথে এডজাস্ট করি। মুশকিল হলো অনেক মা কর্মজীবি নন আর তারা তাদের সন্তান এবং অন্য বাচ্চাদের বোঝাতে পছন্দ করেন যে মা'রা চাকরি করা কতো অন্যায় কাজ! যারা বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়েন তারা আরো এক কাঠি উপরে। এটা নিয়ে পরে লিখার ইচ্ছা আছে।
সামগ্রিকভাবে বিষয়টা আলোচনার আনতে হবে, আসলেই।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
নতুন লেখার জন্য নেন, আর দৈনিক একটা করে লেখা চাই।
দৈনিক একটা লেখা? ওকে, আমার বাসার রান্নাবান্না,ছোটবাচ্চা দেখাশুনা, বড় বাচ্চার স্কুল-পড়া এইসব আপনি করে দেবেন?!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
হায় হায় রেগে যাচ্ছেন? আপনার লেখা ভালো লেগেছে সেটাই একটু অন্যভাবে বলার চেষ্টা করেছি, থাক দিহান আপা, আপনি যখন সময় পান তখন লিখবেন। আশা করি সুন্দর, সহজ আর নিরাপদ কোন উপায় কড়া নাড়ুক আপনার ঘরে আর আপনার ব্যাস্ততার ফাঁক গলে দারুন কিছু লেখা আসুক সচলে। ভাল থাকবেন
লেখাটি খুব সহজ-সাবলিল কিন্তু অত্যন্ত ধারলো, কি আশ্চর্য সুন্দর ভাবে সত্যটি উঠে এসেছে..অভিন্দন রইলো , লিখতে থাকুন পড়ব..
সত্য বড় কঠিন। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
লেখাটি খুব সহজ-সাবলিল কিন্তু অত্যন্ত ধারলো, কি আশ্চর্য সুন্দর ভাবে সত্যটি উঠে এসেছে..অভিন্দন রইলো , লিখতে থাকুন পড়ব..
আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম।
মার্কিন দেশে ডে-কেয়ার বা বেবি সিটারের সুযোগ থাকলেও এগুলো বেশ ব্যয়বহুল। আমার মহিলা সহকর্মী তার দুই বাচ্চাকে ডে-কেয়ারে নামিয়ে অফিসে আসেন, প্রায় ১৫০০ ডলার মাসে ব্যয় হয় এর পেছনে। ডে-কেয়ারে গেলে বাচ্চার অসুখ-বিসুখও বেশি হয়। এসব কারণে বাচ্চা হওয়ার পরে অনেক মার্কিনি মহিলাকেও চাকরি ছেড়ে দিতে দেখেছি।
স্কুলগামী বাচ্চার জন্য আফটার স্কুল ডে-কেয়ারও আছে, যারা বাচ্চাদের স্কুল থেকে পিক আপ করে নেয়। বাংলাদেশে এসব সার্ভিস হয়ত এখনো তৈরি হয় নি, সামনে হয়ত আসবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমেরিকায় ত অনেক সস্তা দেখি ডে-কেয়ার। দুই বাচ্চার জন্য ১৫০০ ডলার!!! কানাডায় একজন প্রি-স্কুল এইজ বাচ্চার জন্যই ডে-কেয়ার ১,০০০-১,২০০ ডলার।
ধন্যবাদ।
মার্কিন দেশের ব্যাপারটা ঠিক জানিনা তবে ইউকে তে দেখেছি চাকরি ছাড়লেও তারা ঐ লেভেলে আবার ফিরতে পারেন। এমনকি ব্রিটিশ কাউন্সিল রিক্রুট করার সময় লিখে দেয় সন্তান জন্ম বা সন্তান লালন পালনের জন্য ক্যারিয়ার গ্যাপ কন্সিডারেবল। আমাদের দেশে এই ব্যাপারটা নেই। দশ বছর চাকরি করে ম্যানেজার লেভেল থেকে কেউ চাকরি ছাড়লে দু বছর পর তাকে নতুন কোথাও ফ্রেশার হিসেবে জয়েন করতে হবে।
ইশ আমাদের দেশে মার্কিনি ঐ সার্ভিস গুলো কবে তৈরি হবে!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধানমন্ডি বা লালমাটিয়ার দিকে বাসা অফিস হলে UODA সাথে একটা ডে কেয়ার আছে। ফ্যাকাল্টিরাই চালায় শুনেছিলাম। আর উত্তরা বা গুলশানের দিকে বাসা হলে ISD স্কুলের সাথে একটা মানসম্পন্ন ডে-কেয়ার আছে জানি।
ঢাবির আইইআরে একটা ডে কেয়ার দেখেছি। আমার এক কলিগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তিনি তার সন্তানকে ডে কেয়ারে দেবার কথা ভাবছিলেন। ওনেক খুঁজে একটি সেন্টার পেলেন। তারপরে খোঁজ খবর নিয়ে জানলেন, সেখানে বাচ্চাদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সারাদিন ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। ভয়ংকর অবস্থা।
আমরা ম্যাটারনিটি লিভই দিতে রাজি নই ঠিকমত, আর জবে ব্যাক করা! কানাডায় পুরো এক বছর লিভ পাওয়া যায় সেটা আরও বাড়ছে সম্ভবত? ইউকে শুনছি বাবাদেরকেও লিভ দেবার চিন্তা করছে?
প্রতিটা কর্মক্ষেত্রে ডে-কেয়ার বাধ্যতামূলক করা উচিত আসলে, একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হোক আর একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। আমার পক্ষে স্কুলের পরে দীর্ঘদিন আমার বাবার অফিসে বসে থাকা সহজ ছিল, বাবার চাকরির জন্যে, মা-এর টাতে সম্ভব ছিল না। চাকরি আর আমাদেরকে যেভাবে সামাল দিয়ে বড় করেছেন মা সেটা ভেবে আমার সন্দেহ হয় আমার পক্ষে এতকিছু করা সম্ভব কিনা।
চমৎকার নতুন সিরিজ হতে চলেছে বুঝতে পারছি! 'ম্যাজিকাল জার্নি' আমি পরিচিতজনদেরকে ধরে ধরে পড়িয়েছি অনেক পর্ব, আপনার বিশাল ফ্যান বাহিনি গড়ে উঠেছে (নিশ্চুপ-পাঠকমহলে) নিশ্চিত থাকেন। এই সিরিজেও জনপ্রিয়তা অটুট থাকবে মনে হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই টপিকগুলো নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বাচ্চা নিলে তো দেখি নানান সাইজের সমস্যা আশেপাশে ভীড় করে
আপনার প্রতি সহানুভূতি রইল। লেখা খুব ভালো লেগেছে
সহানুভূতি চাইনা চাই সমাধান।
বাচ্চা নিলে লক্ষ সমস্যা। সবচে বড় সমস্যা গিলটি ফীলিং, বাচ্চাকে আমি ডিপ্রাইভ করছি এই অনুভূতি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ। বিষয়বস্তু একই সাথে দরকারী এবং শিক্ষনীয়। চলতে থাকুক।
অতীত
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমার না বলতে পারা কথাগুলো বলে দিলেন কি অবলীলায়! একটা স্কুলে আছি।২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে যাই।আম্মুর কাছাকাছি থাকি।কিন্তু অপারেশনের রোগী আর নানা চিন্তায় জর্জরিত মানুষটার যখন আমাদের সেবা পাওয়ার কথা,তখন তাঁর ঘাড়ে আমার সদাচঞ্চল মেয়েকে গছাতে বিবেক সায় দেয় না।স্কুলে আমার নাম এখন 'দৌড়ানো মিস' । সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থাকি।এদিকে মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তায় আর একজনও আসার পথ খুঁজছেন, মেয়েটা যেনো একাকিত্বে না ভুগে... আর আমার অবস্থা তথৈবচ।জানি না কি করবো। নেশা পেশা সবই হওয়ার কথা ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং, হয়েওছিলাম।বাচ্চার জন্য হলাম স্কুল টিচার।এরপর কি আছে জানি না...
'দৌড়ানো মিস'? আমার ও এমন নাম আছে।
কর্মজীবি মা মানে গাধার মতো খাটা আর ঘোড়ার মতো দৌড়ানো।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমার না বলতে পারা কথাগুলো বলে দিলেন কি অবলীলায়! একটা স্কুলে আছি।২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে যাই।আম্মুর কাছাকাছি থাকি।কিন্তু অপারেশনের রোগী আর নানা চিন্তায় জর্জরিত মানুষটার যখন আমাদের সেবা পাওয়ার কথা,তখন তাঁর ঘাড়ে আমার সদাচঞ্চল মেয়েকে গছাতে বিবেক সায় দেয় না।স্কুলে আমার নাম এখন 'দৌড়ানো মিস' । সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থাকি।এদিকে মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তায় আর একজনও আসার পথ খুঁজছেন, মেয়েটা যেনো একাকিত্বে না ভুগে... আর আমার অবস্থা তথৈবচ।জানি না কি করবো। নেশা পেশা সবই হওয়ার কথা ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং, হয়েওছিলাম।বাচ্চার জন্য হলাম স্কুল টিচার।এরপর কি আছে জানি না...
হুম, এই হল অবস্থা। আপনার বৃত্তান্ত শুনে কৌতূহল হচ্ছে আপনার পরের দিকের কথাগুলো শোনার জন্য। তবে একটু খারাপ লাগছে বৈকি।
বিয়ের পর মেয়েদের জীবনটা সত্যি ভীষণ টাফ হয়ে উঠে।
পরের পর্ব আসুক জলদি।
ডাকঘর | ছবিঘর
এই হলো অবস্থা!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চলুক। আমাদের অঞ্চলে তো কিছু হলেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ বলে দুর্নাম করা হয়, তো তাদের অনুকরণে ডে-কেয়ার সেন্টার, কর্মজীবী মায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, মাতৃকালীন ছুটি ৩ বছর সহ শত শত কাজের জিনিসগুলো কি করা যায় না।
facebook
আমিও সেটাই বলি।ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
যুদ্ধের গল্প শুনতে চাই। কোনও বাস্তব উদ্যোগ যদি এরপর চলে আসে এই গল্পের হাত ধরে, তাহলে উদ্যোগের সাথেও থাকতে চাই। আপনার মতো যাঁরা আছেন, সবাই মিলে স্পিরিটটা কাজে লাগিয়ে একটা বাস্তব ব্যবস্থা কিন্তু গড়ে উঠতেই পারে।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
চমতকার মন্তব্য। বাস্তব উদ্যোগ নিতেই হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আবার শুরু হল......... আর একটি নিশ্চিত অনবদ্য সিরিজ।
চালিয়ে যান আপু... পাঠকের চোখ আপানার নিপুণ কিবোর্ড চাপের অপেক্ষায়ে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
কান পেতে রই...
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
দিহান, আপনার লেখার অসাধারণ সাবলীলতা ঘটনাগুলোকে একদম চোখের সামনে এনে দিল। আপনার ছোট্ট মেয়েটার জন্য খুব কষ্ট লাগছে। আশা করি এখন অবস্থা একটু ভাল হয়েছে।
আমার ইউনিভার্সিটির চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি হাউজওয়াইফ হতে হয়েছিল ছেলের জন্মের পর।
তবে কয়েকটা কথা না বলে পারছিনা। আপনাদের যে "দূর" সম্পর্কের রিলেটিভ আপনার মেয়েকে আনা নেয়া করতেন, তিনি একটু সন্মান পেতে পারতেন আপনার লেখায়। আর দেশী কোম্পানিতে যদি আপনাদের মত বিদেশী ডিগ্রীধারীরা কাজ করতে শুরু করে তা হলে কিন্তু দেশী কোম্পানিগুলো আরো ভাল করবে। তাই দেশী কোম্পানিগুলোও একটু সন্মান পেতে পারত।
রুমঝুম, অনেক তিক্ততা থেকে অনুভূতি কেমন যেনো ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। চাচাকে আমরা ঠিক কতোটা তোয়াজ করি সেটা লিখলে বুঝতেন। ভেতর থেকে আসা সম্মান না, তোয়াজ!
এই সিরিজ চলতে থাকলে অনেক তিক্ত প্রসংগ আসবে , আমি ভয় পাচ্ছি।
দেশি কোম্পানিকে অসম্মান করিনিতো! ভুলবোঝাবুঝি কোথায় হলো?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার সাগর থেকে পুকুরে নামার কথাটা তাহলে আমি ভূল বুঝেছি।
আর আমার চার মাসের বাচ্চাকে প্রতিদিন কখনো হেঁটে, কখনো রিক্সায় করে নিয়ে গিয়ে আমি যাদের কাছে রেখে অফিসে যেতাম তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। ওনাদের জন্য আমরা কি করেছি বা বিনিময়ে কি দিয়েছি তা আমরা কখনই হিসাব করিনি। কারণ আমার বাচ্চাটা ওনাদের কাছে safe আছে এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল।
হয়ত আপনার সিচুয়েশন আরো ভয়াবহ। শেয়ার করুন আমাদের সাথে। ভাল মন্দ সব কমেণ্টই আপনার ভার লাঘবে সাহায্য করবে।
গত সাত বছর ধরে এই সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছি। প্রচন্ড মানসিক কষ্টে দিন কাটে। এমন অনেক দিন গেছে যখন স্কুলে আনানেওয়া করার কেউ নেই তাই ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারতাম না। তখন বাবুটা প্রতিদিন মন খারাপ করতো আর বলতো আমাকে স্কুলে নাওনা কেন? খুব অসহায় লাগতো। আর এখন প্রতিদিনের প্রার্থনা আমাদের দুজনের যেনো বদলী না হয়।
আমি ও প্রার্থনা করছি...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
শুনবো না মানে???
আপনার লেখা পড়তেই তো সচলে আসি আপু......
চালিয়ে যান জোরসে.........
নীরা
লজ্জায় ফেলে দিলেন...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
য়াপনার লেখাগুলো এত সাবলীল। আমিতো আপনার ভক্ত হয়ে গেছি। আমার মা চাকরি করেন। ছোটবেলায় আমাদের দুই ভাইবোনকে একসাথে নিয়ে যেতেন। সকাল ৭ টায় বাসা থেকে বের হতে হত। আর বিকেল ৫ টার পরে তিনজনে ঘরে ঢুকতাম। লিখে চলুন আপু। আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হচ্ছি, ঢাকা শহরে আমার একা একা বেঁচে থাকা নিয়ে কিছু লিখতে। :-
লিখুন। আমিও ঢাকা শহরে একা একা বেঁচে ছিলাম। কী স্বাধীনতা! লিখতে শুরু করেন তাড়াতাড়ি।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আচ্ছা, 'তুংকা'-কে বড়ো করার ক্ষেত্রে আপনার পাশে তো ওর বাবাকে পাওয়ার কথা। লেখায় তার কোনো উপস্থিতিই দেখলাম না!
প্রথম প্যারাতেই তো তার উপস্থিতি!
তুংকাকে সকালে রেডি করার পুরো কাজ তার বাপের। কিন্তু সে ব্যাংকে কাজ করে তাই স্কুল সংক্রান্ত ব্যাপারে তেমনভাবে তাকে পাবার উপায় নাই।
বড় ঝামেলায় পড়লে আমরা যেটা ভাবি তা হলো একজনের চাকরি টিকাতে হবে। সেটা আমার বরের হলেই ভালো কারন বাচ্চাদের বেশি দরকার আমাকে। তাই চাকরির ছুটি, কম্প্রোমাইজ আমি ই বেশি করছি।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমি ঠিক একই রকম অভিজ্ঞতা আমার মা'র মুখে শুনেছি। তিনি আমাকে সেই ৩ মাস বয়সে কোলে নিয়ে অফিস করতেন, তখন মাতৃত্বকালিন ছুটি ছিল ৩ মাস মাত্র। মা'কে আমি কোন কারণে কষ্ট দিলে সেই সময়ের গল্পগুলো শুনাতেন, তখন এতটা বুঝতাম না। আজ দিহান আপুর গল্প শুনে আমি আবার মা'র প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হচ্ছি।
আর আপু, আমাদের কর্মজিবী মা আমাদের কখনো Deprive করেননি, অফিস থেকে ফিরলে সারাদিনের সব গল্প করতাম আমরা, স্কুলে নেয়ার লোক ছিল - কোয়ার্টারের সব পিচ্চি একসাথে স্কুলে যেতাম, বাবার পোষ্টিং ছিল অন্য জেলায়। মা সব চাহিদা মেটাতেন, কম কিন্তু কোয়ালিটি টাইম দিয়ে।
আপনাদের স্কুলে নেবার লোক ছিলো,বন্ধুবান্ধব ছিলো, আপনার ভাগ্যবান ছিলেন। হ্যাঁ আমি ও মনে করি কম কিন্তু কোয়ালিটি টাইম দেয়াটা অনেক জরুরি। ধন্যবাদ জানবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
লেখার ভালো লাগা পাশ কাটিয়ে অন্য কথা বলি-
ডে কেয়ার সেন্টার যদি আপনিই শুরু করেন?
আবার ভালো লাগা জানালাম। আগের সিরিজটার জন্যও!
ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করার মতো আর্থিক সংগতি এখনো নেই। তবে আমি করবো, এই ব্যাপারটায় আমি ডিটারমাইন্ড। দোয়া করবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমাদের দেশে বেবি সিটার বা ডে কেয়ার সেন্টারের আজ খুব প্রয়োজন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
টাইম আউট
সত্যিই...কতো সম্ভাবনাময় মেয়ে কিছু করে উঠতে পারছেনা, কতো মেধার অপচয় হচ্ছে, কতো মেয়ের স্বপ্ন মরে যাচ্ছে...আর কতো?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
chaliye jan apu.
যুদ্ধে জয় হোক।
সুমিমা ইয়াসমিন
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
যৌথ পরিবারে বাচ্চা পালন সংক্রান্ত ঝামেলা অনেকখানিই এড়ানো যায়। ডে কেয়ার বা আর যাই বলি, দাদা-দাদির কাছে বাচ্চা এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো থাকে। এখন যে যৌথ পরিবারগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সেটার পেছনে অনেক সময় বাড়ির বৌদেরও দায় থাকে। হতে পারে শ্বাশুড়ি একটু নোজি, মাঝে মাঝে কথা শোনায়, কিন্তু অফিসের বস কি অনেক সময় এমন হয় না? আর বাচ্চাদের কথা ভেবেও তো অনেক সময় একটু মানিয়ে চলার চেষ্টা করা যায়। দাদা-দাদি যখন বাচ্চা মানুষ করবেন, তাদের একটু বাড়তি কেয়ার, যেটা অনেকটাই শুধু মুখের কথাতেই হয়ে যায়, সেটাও অনেক মহিলারা করতে চান না।
আমার চেনা একজনকে জানি, তার দুই বাচ্চা। শ্বাশুড়ি একসময় বাচ্চাদের দেখতেন, সকালের নাস্তা বা রাতের খাবার কিছুতেই তাকে (ছেলের বউকে) হাত লাগাতে হতো না। এরপরেও শ্বাশুড়ি ছেলে এবং ছেলের বউয়ের কাছ থেকে প্রাপ্য রেসপেক্টের ছিটেফোটা না পাওয়াতে আলাদা হয়ে যান। এখন অবশ্য ছেলের বউয়ের জন্য দুটো ছোট বাচ্চা নিয়ে চাকরি করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তিনি সময় থাকতে এটা বোঝেন নি। শ্বাশুড়ি আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর থাকায় তিনিও এখন আর ফিরতে রাজি নন।
আমার ব্যক্তিগত মতামত বলি, হয়তো পুরো প্রাসঙ্গিক নয়। যারা বিয়ে করেননি, তারা যদি যৌথ পরিবারে থাকতে চান, কোন কর্মজীবি মায়ের মেয়েকে বিয়ে করুন। কারন সে জানবে, একটা মানুষ ফুল টাইম সংসারে দেন, সেটা কত বড় সার্ভিস। হয়তো তার কাছ থেকে আপনার রিটায়ার্ড বাবা-মা একটু বেশি রেসপেক্ট পাবেন। যৌথ পরিবার টেকাতে এটাই সবচেয়ে বেশি লাগে।
আসলে আপনি যেটা বলছেন যে এর পেছনে বউদের দায় আছে আবার উল্টোটা ও কিন্তু হয়। আমার বিয়ের পর স্বামীর চাকরির জন্য ঢাকা থাকছি আর শ্বশুরের চাকরির কারনে উনারা ঢাকার বাইরে থাকেন। বিয়ের পরে কখন উনাদের কে অসন্মান করিনি। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ফোন করে কথা বলতাম। আর আমি যখন হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে ভর্তি থাকি তখন উনারা কেও আমাকে দেখতে আসেননি , এমন কি ফোন ও করেননি। এখন আমি অন্তসত্তা। আমার শাশুড়ি একদিন ও আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেননি আমি কেমন আছি। অথচ উনাদের অন্য ছেলে মেয়েদের উনারা প্রায়দিন ফোন করেন। আমি আসলে ই বুঝতে পারি না কেন আমার সাথে ই এমন হচ্ছে।
বাড়িতে একজন অভিভাবক থাকলেই বাচ্চাদের বিষয়ে দুঃশ্চিন্তা অনেকটা লাঘব হয়ে যায়। আমি মনে করি আজকালকার মেয়েরা এটা ভালোই বোঝে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
খুবই বাস্তবসম্মত একটি লিখা। আমি খুব ভয় পাচ্ছি ভবিষ্যত চিন্তা করে।।
ভয় পাবার কিছু নেই। বাপের বাড়ি, শশুরবাড়ির কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। আর সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক মেনটেন করতে হবে!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা নানা ভাবে কর্মজীবি মায়েদের অনুৎসাহিত করে। "পেশা" থেকে যায় "পোষা" আশা হয়ে!
সমাধান খুব দরকার, নয়তো যোদ্ধা বাড়তেই থাকবে...
যোদ্ধা বাড়বে আবার অনেকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রণেভংগ দেবে। সম্ভাবনার অকালমৃত্যু ঘটবে আরো কতো...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার লিখাগুলা এত বাস্তব আর পড়তে এত ভালো লাগে যে বলে বোঝাতে পারবোনা।
ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর জন্য কষ্ট লাগে খুব। তবে আমার কাছে দাদাদাদি, নানানানির কাছে মানুষ হতে পারা ডে-কেয়ারের থেকে অনেক অনেকগুন ভালো মনে হয়।
দাদা-দাদি বা নানা-নানিদের কাছে সন্তানদের রেখে যাওয়াটা আসলেই অনেক নিরাপদ। কিন্তু সবার পক্ষে নানা কারণে সেটা করা সম্ভব নয়। আমার নিজের একটা ভাবনা আছে। প্রতিনিয়ত নিজের বাবা-মাকে এত কষ্ট দিই যে, সন্তান জন্ম দিয়ে, নিজের স্বার্থে তাঁদের আরো কষ্ট দেবার আমার মোটেও ইচ্ছে নেই। সন্তান জন্ম দেওয়া যেমন কষ্টকর, তাকে সুন্দর করে লালন পালন করা তার চেয়েও বেশি কষ্টের। যাঁরা করেছেন সে কাজট্ তাঁরা জানেন।
কাজের লোকের কাছেও রেখে যেতে চাই না। তাই বেবি সিটার বা ডে কেয়ারের কথাই আমি ভাবি। আর ভবিষয়তের কথা ভেবে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যাই।
--------------------------------------------------------------------------
টাইম আউট
দাদাদাদি, নানানানির কাছে মানুষ হওয়ার কোনো তুলনা নেই। কিন্তু আজকাল দুরত্ব বাড়ছে, সবাই কাছাকাছি থাকা কমছে। ভৌগলিক দূরত্ব আছে, মানসিক দূরত্ব আছে, ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব আছে, সবকিছুর সাফারার ছোট্ট শিশুগুলো।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
মানুষের জীবন খুব জটিল জিনিস, সম্পর্ক হলো আরো ভ্যাজাইল্যা। বাচ্চাপালন দিনে ২৪ ঘন্টা ডিউটির কাজ। যৌথ পরিবার ছাড়া কাজটা করা কঠিন। পোস্টে বাস্তব সমস্যা ভালোভাবে তুলে ধরেছেন। দূরের চাচার বিষয়ে উপস্থাপনাটা ভালো লাগে নাই। চাচার সময় বিষয়ে নিজেরও সীমাবদ্ধতা/প্ল্যান থাকতে পারে, নিয়মিতভাবে অন্যের বাচ্চাকে সময় দেয়ার কাজটা সহজ নয়।
পোস্টের বাইরে, বাংলাদেশে আইন করে এক সন্তাননীতি চালু করা উচিত, বছর পাঁচেকের জন্য নো-সন্তাননীতি হলে আরো ভালো। জনসংখ্যাই আমাদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা। ডে-কেয়ার নাই, স্কুল নাই, এই নাই, সেই নাইয়ের পেছনে বাড়তি জনসংখ্যাই প্রধান কারণ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সহমত
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বাহ! আরেকটা সিরিজ শুরু হল!
এই যুদ্ধ আমার শেষ হয়েছে বলে এখন বেশ আরামে আছি। মাঝে মাঝে পুরোনো কথা ভাবলে মনে হয়,
"এসব আমি করেছি?!" নিজের পিঠ নিজেই থাবড়ে দেই একটু
আপনার যুদ্ধ জলদি শেষ হোক। শুভকামনায়...
আহ আপনি শেষ করেছেন? অভিনন্দন। আমরা মেয়েরা আসলেই দশভূজা তাইনা?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আজকের নববিবাহিত দম্পতিরা কেউ আর যৌথ পরিবারের বেড়াজালে তাদের নীড় বাঁধতে চায় না, পাছে নতুন ডানা তুলে আকাশে উড়তে কেউ বাধা দেয় । কিন্তু এইসব নবদম্পতিরা আবার যখন নবসন্তান জন্ম দিয়ে মা-বাবা হয়, তখন যৌথ পরিবারের ছায়াতলে তাদের সন্তানদের পালন করার জন্য হা হুতাশ করে, পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখে যৌথ পরিবারের সুফল বর্ণনা করে । লাইভ কমেডি!!
ব্যাপারটাকে এইচোখে দেখা মনেহয় অন্যায় হচ্ছে! নববিবাহিতদের নিজের মতো কিছুটা সময় কাটাতে দেয়াতো উচিত তাইনা? আমাদের দেশে অভিভাবকরা এটা কেনো মেনে নিতে পারেননা?
কবছর পর বাচ্চা কাচ্চা হলে মা-শাশুড়ি পালবে এটা ভেবে হানিমুন বাতিল করা বা স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কিছু সময় আনন্দে কাটানো বাদ দিয়ে যৌথ পরিবারের সব দাবি মেনে নিতে বলাটা কতোটা যৌক্তিক হচ্ছে?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অটঃ দিহান নামটির মানে কি? সুন্দর নাম - কে রেখেছিল? নামটা কন দেশী?
মোড়া পেতে বসলাম....
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
'ছেলের বউ' বলে কি কোনো আলাদা জাত আছে? যে মানুষ এক সময় ছেলের বউ, সেই তো এক সময় শাশুড়ি হয়| আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যে বউ হিসাবে স্বার্থপর ছিল, সে শাশুড়ি হিসাবেও তাই হয়| অনেকেই নিজে যে সুযোগ সুবিধা পায় নাই, তা ছেলের বৌকে পেতে দেখলে হিংসায় অস্থির হয়| আমি নিজে দেখেছি, এক হাউস ওয়াইফ মহিলার ছেলের বিয়ে দেন কর্মজীবী মহিলার কর্মজীবী মেয়ের সাথে| এরপর মেয়েটির তুলনায় নিজেকে ছোট মনে করে কমপ্লেক্সে ভুগতে থাকেন| মেয়েটির কাছে উনি রান্না-বান্না, সেলাইতে কত বেশি পারদর্শী সেটা বার বার তুলে ধরে তাকে হেয় করতে থাকেন| মেয়েটা উনার সংসারের জন্যে কিছু কিনতে চাইলে বাধা দেন, সব কিছু নিজের হাতের মুঠায় তো রাখেন ই , এমনকি মেয়েটা তার নিজের ঘরে কোনো আসবাব কিনলে তা কোথায়, কিভাবে রাখবে তাও উনি ঠিক করে দেন| মেয়েটা কর্মজীবী হওয়ায় খুব বেশি হয়ত গুছানো না, তা নিয়ে উনি প্রায় খুঁত ধরেন, আর মেয়েটা অফিস যাওয়ার পরে তার বেডরুমে ঢুকে নিজের মত করে গুছান| অনেকে বলবেন এটা মায়ের ভালবাসা, ঘর গুছিয়ে দেন, মেয়েটার রান্না করা লাগে না| কিন্তু এদিকটাও কি ভাববেন যে মেয়েটার বিবাহিত হয়েও ঘরের কোনো কিছুতে অধিকার পায় নাই, শাশুড়ি যতই আপন হোক, স্বামী-স্ত্রীর বেডরুমের জিনিস সে হাত দিলে তাতে অস্বস্তি লাগতে পারে| আর ঘর গুছানোর সংগা সবার কাছে এক নয়| একজন বলেছেন, কর্মজীবী মায়ের মেয়ে হাউস ওয়াইফ-এর ঘরে গেলে বুঝবে যে হাউস ওয়াইফ কত অবদান রাখেন সংসারে তাই সে শ্রদ্ধা করবে| কিন্তু এতে এমন ভাব প্রকাশ পেল যেন কর্মজীবী মা কতই না কম অবদান রেখেছেন সংসারে| আর এতে যে হাউস ওয়াইফ মা তার সংসার নিয়ে গর্বিত হওয়ার কারণে কর্মজীবী মেয়েকে ও মেয়ের মাকে তুলে খোঁটা দিতে বা অপমান করতে পারে তা কি ভেবে দেখেছেন? আবার উল্টাও হতে পারে যে ছেলের বউ হয়ত হাউস ওয়াইফ শাশুড়িকে হেয় করলো| যাই হোক, একজন নারীর আত্মসম্মান থাকবে, সে বউ হোক, মা হোক, শাশুড়ি হোক| ছেলের বৌএর অন্যায় আচরণ সে যেমন সহ্য করবেনা, তেমনি শাশুড়ি কষ্ট দিলেও নিজের বাচ্চা কে পালবে, সেই স্বার্থপর চিন্তার কারণে অন্যায় মুখ বুজে মেনে নিবে কেন? যৌথ পরিবারে থাকলে ভালবাসা ও রেসপেক্ট নিয়ে থাকা উচিত, কাউকে বাচ্চা গছানোর জন্যে নয়| আর দাদা-দাদী যদি বাচ্চা পালতে না পারে, উল্টা নিজেরাই সেবা প্রত্যাশী হয়? সেক্ষেত্রে এই স্কিম তো খাটে না| আর সেটা হতেই পারে, নিজের নাতি-নাতনি পালতে কেউ বাধ্য না, ছেলে-মেয়ে পেলেছেন তাই যথেষ্ট| তাঁদেরই উল্টা সেবা পাওয়ার কথা| স্বেচ্ছায় পাললে ভিন্ন কথা|
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
আরে বাবু রাখার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না এটা কোন কথা?! আমি একটা ডে-কেয়ার দিয়ে দিবো নাকি? আমার তো বাবু খুব ভালো লাগে। আমি সব কিছু শিখাবো পড়াবো। কি মজা !
আমি তো আপনার চ্রম ভক্ত হয়ে গেলাম !! সমাধান আর কি বলবো আমার ছোট খালাও একই সমস্যার সম্মুখীন ...
আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সমাধানের জন্য............।
আমাদের দেশে day care center এর মান কোনদিনই আশানুরুপ হবে না।
চাকরি, সংসা্র সনতান একসাথে সঠিক ভাবে চালিয়ে যাওয়া একেবারে অসমভব।
juddho chaliyea jan.
Somoyea sob sojjho hoyea jay. ( sorry bangla soft ni)
বাংলায় মন্তব্য করতে তো সফটওয়্যার দরকার হয় না! এমনকি মাউস দিয়েই সচলায়তনে বাংলা লেখা যায়।
নতুন মন্তব্য করুন