এ ও সে ও : ০৩ : একটি অর্কেস্ট্রা মিউজিক ও বৃষ্টির লাল ফোঁটা

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ২১/০৯/২০১১ - ৮:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোথাও কোন সাড়া নেই। নিরুদ্বেগ, নিঃসঙ্গতাপূর্ণ রহস্যময় এক শূন্যতা একটা মেঘের মত চারদিক ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোন আলোড়ন নেই। শান বাঁধানো উঠোনের মত শান্ত সবকিছু।
আমি হাতটা নিজের মুখের সামনে নিয়ে দেখার চেষ্টা করি। এত জঁমাট কুয়াশা, নিজেকেও দেখা যায় না। নিজের একটা শারীরিক অনুভূতি ছাড়া আর কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। শেকড়ছিন্ন ভাসমান বর্তমান। এর আগেও কিছু নেই এর পরেও কিছু নেই। একটু ভয় ভয় লাগে আমার, একটু অসহায় লাগে। আমি আবার চিৎকার করে উঠি।
: কেউ কি আছো- কেউ?
কেউ নেই। কোন কিছু ঘটে না। শুধু চোখের উপর একটা সাদা পর্দা ঝুলেই থাকে। কিছু টের পাওয়া যায় না।
খুব অস্পষ্ট একটা শব্দ - শোনা যায় কি যায় না। আমি কান পাতি। টুপ টাপ টুপ টাপ- শব্দের মধ্যে শুধু শুনশান শূন্যতা। তবে কানে কি ভুল শুনেছি? প্রতিধ্বনি ? নাকি এই কুয়াশার মধ্যে সত্যি সত্যি কেউ লুকিয়ে আছে ?
প্রত্যাশার তীব্রতার মত আমি দ্বিগুণ চেঁচিয়ে উঠি।
: কেউ কি আছো? ওখানে কেউ?
: এই আস্তে। এত শব্দ করিস না।
ধমকের আওয়াজটা খুব চেনা লাগে। চুপ মেরে যাই। বাবা?!
পাশের ঘরে গুনগুনিয়ে বাবা কোরআন শরীফ পড়ছে - দৃশ্যটা এক নিমিষে চোখে লাফ দিয়ে ওঠে । বাবা কোরআন শরীফ পড়ছে মানেই এখন আর এদিকে চোখ পাকিয়ে আসবে না। বিনুদি আর আমি নিশ্চিন্তে চড়চড় করে বাড়তে থাকি। দুষ্টুমীর সীমাটা একসময় বুঝতে পারি না। তখনই বাবার গম্ভীর বকুনীর শব্দ হাওয়ায় ভেসে আসতো। ঠিক এইরকম। আমি আর বিনুদি তখন চুপ, বুকের মধ্যে দ্রিমদ্রিম ড্রাম পিটুচ্ছে কেউ। কিন্তু বাবা এই এখানে- কী করে এলো?
আমি শব্দ অনুসরণ করে এগিয়ে যাই। কুয়াশার মধ্য দিয়ে একটা আবছা অবয়ব ভেসে ওঠে। আরো কাছে গেলে দেখি অবয়বটা চিনতে পারি। বঙ্গবন্ধু। আমার পা চলে না। আমি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকি। তিনি এগিয়ে এসে আমার কাঁধে হাত দিয়ে নিচু স্বরে বলেন- শব্দ করিস না। দেখছিস না, তাজ চিন্তা করছে।
তাজ? কোন তাজ? কোথায় তিনি?
আমি এদিক ওদিক তাকাই। শুধু কুয়াশা। আর কিছু দেখি না।
দু’জন লোকের অস্পষ্ট কথাবার্তা ভেসে আসে। তখনও সবকিছু অস্পষ্ট। আমি অপেক্ষা করি। ধীরে ধীরে আমি দেখতে পাই- কুয়াশার মধ্যে দু’জন লোক কথা বলতে বলতে ব্যস্তভাবে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের হাতে, বগলের নীচে ফাইলপত্র আর টুকরো টাকরো কাগজ। যেন এক্ষুণি জরুরী কোন মিটিং বসবে - সেখানে কি বলবে, চলতে চলতে বুদ্ধির কৌশলগুলো তারা ঝালিয়ে নিচ্ছে। লোকদুটো আরও কাছে চলে আসে। কুয়াশার সাদা পর্দা ফুঁড়ে তাদের মুখগুলো ভেসে ওঠে। একজনকে চিনতে পারি। খবরের কাগজের পাতায় ওর অনেক ছবি দেখেছি। জুলফিকার আলী ভুট্টো । লোকটা নাকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে সবসময় শত্র“তা করত। আমার সেই কথাটা মনে পড়ে। আমি জমে যাই। কে জানে আবার সে কী করতে যাচ্ছে? দ্রুতপায়ে চলতে চলতে ভুট্টো হটাৎ থমকে তাকান - হাত তুলে পাশের লোকটাকে ফিসফিস করে বলেন,
ঐ যে - ঐ যে-
তার চাপা কন্ঠ ভেসে আসে... ‘ঐ লোকটাকে ম্যানেজ করা সবচেয়ে কঠিন। বাঙ্গালীদের সমস্ত প্ল্যান ঐ মাথা থেকে আসে।’
কার কথা বলছে ভুট্টো?
ভুট্টো যেদিকে হাত তুলে দেখালেন সেদিকে তাকাই। কুয়াশার জন্য কিছুই ভাল করে দেখা যায় না। আমি একপা দুই পা করে এগুই। সাদা আর কাটে না। চোখে কুয়াশা লেগেই থাকে। এক সময় আবছা আবছা একটা অবয়ব ভেসে ওঠে। একটা মূর্তি। মূর্তিটার ভঙ্গিটা একটু পরিচিত পরিচিত লাগে। আমি ভাল করে তাকিয়ে থাকি- একটু সময় লাগে- তারপর মনে পড়ে। আরে তাইতো- থিংকার! অগাস্ত রোদ্যার এই বিখ্যাত ভাস্কর্য্যরে ছবি বইয়ের পাতায় অনেকবারই দেখেছি। একটা চিন্তামগ্ন মানুষের প্রতিমূর্তি। আমি কাছে এগিয়ে যাই। দেখি- রদ্যার ভাস্কর্র্য্যটাই। অবিকল একই- শুধু মুখটা ছাড়া। কিন্তু এই মুখের আদলটাও চেনা চেনা মনে হয়। ভাল করে তাকিয়ে দেখি - ভাবি - চেনার চেষ্টা করি। শেষপর্যন্ত মনে পড়ে- অবিকল তাজউদ্দীন আহমেদের মত দেখতে মুখটা।
হটাৎ চমকে উঠি। ভাস্কর্য্যটা নড়ে উঠেছে, মানুষের মত। বঙ্গবন্ধু। ভাষ্কর্যের বেদিটার উপর কখন যে এসে তিনি চুপচাপ বসে আছেন, খেয়ালই করিনি। তাকেও একটা আশ্চর্য্য শিল্পার্পিত কোন ছবির মত লাগে। বঙ্গবন্ধুকে মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলছেন তাজউদ্দিন। বঙ্গবন্ধু চুপচাপ দাড়িয়ে তার কথা শুনছেন। আশ্চর্য্য এক মগ্নতা বঙ্গবন্ধুর চোখে মুখে তখন- আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। তাজউদ্দিনের কথা শেষ হলে বঙ্গবন্ধু উঠে দাঁড়ালেন।
কি বলিষ্ঠ আর আশ্চর্য্য টান টান ভঙ্গিমা। ঠিক যেন অর্কেস্ট্র্রার কোন জাদুকর বাজিয়ে। চঞ্চল হাতের তর্জনীর ইশারায় যে সঙ্গীত বেজে উঠেছে, সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হৃদয় তাতে নাচতে থাকে। গুনগুন রিনিঝিনি তাক ধিনাধিন ঝনক ঝনক ধুন ওঠে - ছয় দফা, এগারো দফা, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম .. ... প্রতিটি শব্দে যেন আগুনের পালক বসানো। শব্দগুলো শেষ পর্যন্ত আর শব্দ থাকে না, একটা ধ্বনি হয়ে বাজতে থাকে - আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি .. .। হাওয়ারা চমকে ওঠে। ঘূর্ণিঝড়ের মতো সেই হুকুম নিয়ে তারা ছুট তো দে ছুট । কোথা থেকে উড়ে আসে একটা দোয়েল পাখি, লেজ দুলিয়ে আসে বাঘ। মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে ওরাও গাইতে শুরু করেছে। নাচ আর গানের তালে তালে কুয়াশা কেটে যায়। দিগন্তে স্বাধীনতা উঁকি দেয়, টকটকে লাল একটা সূর্যের মত। লাল সূর্যের নিচে ঝক্মক্ করছে একটা সবুজ ক্ষেত। পাশেই পুকুরের টলটলে জলে নাচছে এক দল শাপলা ফুল।
আমি নাচের আসরে যোগ দিতে পা বাড়াতেই হঠাৎ বৃষ্টি নামে। প্রথমে ফোটায় ফোটায়, তারপর মুষলধারে। বৃষ্টি মানেই রূপালী সাদা- কিন্তু এই বৃষ্টির রঙটা টকটকে লাল, রক্তের মত। লাল লাল বড় বড় বৃষ্টির ফোটা, মনে ভয় ধরায়। মুষলধারে বৃষ্টির লাল রঙে সব দৃশ্য ঢাকা পড়ে যায়। একটা পোড়া গন্ধ নাকে ঝাপটা মারে। কোথাও কি আগুন ধরেছে? বৃষ্টির লাল স্রোতের মধ্যে ঝাপসা চোখে দেখি তাজউদ্দীন আহমেদ হেঁটে চলেছেন। সেই চিন্তামগ্ন মুখ। শঙ্কার ছায়া দুইচোখে। হাঁটতে হাঁটতেই তিনি বুক পকেটে হাত দিয়ে একটা ছবি বের করে দেখেন। ছবির মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাসছেন। সেই হাসিতে সব শঙ্কা যেন কেটে যায়। ছবিটা বুকে চেপে তিনি অন্ধকারের ভেতর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেছেন। চোখে মাটির মত এক সৌম্য সরলতা, চলার পায়ে পায়ে দৃঢ়তা। অন্ধকারে তাকে ধ্র“বতারার মত লাগে।
পটুয়া কামরুল হাসান তার ঝুলি থেকে আঁকাউকির খেরোখাতা বের করেন। একটা কালি কলম হাতে নিয়ে তিনি আঁকতে শুরু করেন। একটা মানচিত্র তার কলমের আঁচড়ে ফুটে উঠতে থাকে। কলমের নিবের শেষ টানে মানচিত্রটা মা হয়ে জেগে ওঠে। দেশ-মা । খেরো খাতার পাতা থেকে মা বের হয়ে দেখেন তার ছেলে হনহনিয়ে যুদ্ধে চলেছে। তিনি ছেলেকে ডাকেন।
: শোন! কোথায় যাচ্ছিস । এই দাঁড়া - শুনে যা বলছি।
ছেলে থমকে দাঁড়ায়। দাড়ায়, কিন্তু এমনভাবে - যেন সে পালিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে।
পেছন ফিরে সে তাকিয়ে দেখে - মা শাড়ির আঁচলে কী যেন ঢেকে তার দিকে আসছেন।
: দুটো ভাত মুখে দিয়ে নে . .. সামনে কঠিন রাস্তা - কখন আবার খাবার সুযোগ হবে - খেয়ে নে।
মা শাড়ির আঁচলে ঢাকা থালাটা বাড়িয়ে দেন। তাজউদ্দীন আহমদ মায়ের দিকে তাকান।
‘না মা খাবো না, এতটুকু সময় নেই। এক মুহূর্ত দেরী হলে গোটা জাতির ইতিহাসের গতিধারা পাল্টে যেতে পারে।’- এ কথাটা বলতে গিয়ে মায়ের হাতের থালায় তার চোখ পড়ে। তিনি থমকে চমকে যান। থালায় ভাতের দানাগুলোর বদলে এক একটা বুলেট। তিনি মায়ের দিকে তাকান। মায়ের মুখে সেই সবসময়ের হাসি- শান্ত, সৌম্য, অভয়ধরা। তাতে স্নেহ ঝিলমিল করছে। কোনকথা না বলে তাজ দ্রুত ভাত মুখে তুলে নেন। অনেকদূরের যাত্রা। কতদূর - কে জানে। ভাতের প্রতিটি দানায় তিনি বারুদের শক্তি টের পান। রক্তে রক্তে মিশে গিয়ে তাকে জাগিয়ে তুলছে। মা পানির গ্লাস হাতে অপেক্ষা করতে করতে করতে তাজকে দেখেন। মায়ের কাছে তাজকে আজকে আর ছোট্ট বালকের মত মনে হয় না। তাকে দেখে মনে হয় ছটফট করা পাখির মত। এক্ষুণি ডানা মেলে উড়ে যাবে। মা বকে ওঠেন - পানি। বাধ্য ছেলের মত কাঁসার বাটিতে চুমুক দেয় তাজ। শীতল একটা নদী তার বুকজুড়ে বয়ে যায়। অপরিমেয় প্রশান্তিতে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে। এক মুহূর্তের জন্য। চোখ খুলে মায়ের দিকে তাকান।
: যাই মা
: আসি বলতে হয়। মার কণ্ঠে আদর গড়িয়ে পড়ে।
: আসি, মা
: আয়, আর বাড়িতে? ঠিকঠাক আছেতো ওরা ..?
তাজের মাথা একটু গুঁজে আসে। তিনি খুঁজে পান না মাকে কী করে বলবেন যে - দেশের স্বাধীনতা যতদিন না আসবে তার নিজের কোন আলাদা পরিবার নেই। সাড়ে সাত কোটি মানুষই এখন তার পরিবার। তার স্ত্রী , সন্তান এই সাড়ে সাত কোটির অংশ। তাদের জন্য তার আলাদা করে সময় নেই। দেশের স্বাধীনতার এই লগ্নে তিনি তার এই শপথটির কথা স্ত্রীকে নিজমুখে জানিয়ে যেতে পারেন নি। সময় তখন খুবই অল্প। বাতাস বারুদের গন্ধে একটু পরেই আরও ভারী হয়ে আসবে। তখন সব কাজ আরও কঠিন হয়ে আসবে। পথের উপর একটা কাগজ পড়ে ছিল, তিনি কুড়িয়ে নিয়ে তাতে দ্রুত হাতে লেখেন
‘ যাবার সময় বলে আসতে পারিনি। মাফ করে দিও। তুমি ছেলেমেয়ে নিয়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষের সাথে মিশে যাও। কবে দেখা হবে জানি না। .....মুক্তির পর। '
বন্ধুর হাতে তিনি কাগজটা দেন স্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
তাজ মুখ তুলে কেবল বলতে পারেন
: ওদের মুক্তির জন্যইতো ... ।
মা দেখেন তার ছেলের হাত যেন হাত নয় - ওটা পাখির ডানা। তাজ দুই ডানা বাড়িয়ে দিতেই আকাশটা একদম কাছে নেমে আসে। সূর্যের মতো জ্বলজ্বল করছে স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতাকে আকাশের কোল থেকে টেনে নিয়ে আসতে তার ছেলে উড়ে যাচ্ছে। ইকারুসের মত। মার চোখে পানি আসে, তিনি কান্না চাপবার চেষ্টা করেন না। মায়ের কান্না - নদীর মত। সেই নদী আকাশে মেঘ উড়ায়, মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিকে নরম করে।
এরপর থেকে তাজউদ্দিনের নামটা শুনলেই রদ্যার ঐ ভাস্কর্য্যটার কথা মাথায় আসে। নরম কাদামাটি ছেনে ঐরকম একটা মূর্তি বানাতে ইচ্ছে করে। তাজউদ্দীন আহমেদ চিন্তা করছেন- দৃশ্যটা নড়েচড়ে বেড়ায়। মূর্তিটা কেমন হবে ভাবতে গিয়ে আর একটা মূর্তির অবয়ব মাথায় ঘুরপাক খায়। বঙ্গবন্ধুর হৃদয় আর তাজউদ্দিনের চিন্তা এই নিয়েইতো আমাদের পতাকা। এইরকম একটা রূপ আনতে গিয়ে মূর্তিটা শেষপর্যন্ত হয়ে উঠে তাল তাল কাদা, কিছুতেই মিলমিশ খায় না। একটা যাচ্ছেতাই চেহারা।। আমাদের ইতিহাসের মতো। আমার আর মূর্তি বানানো হয় না।
একটা বোবা অনুভূতি আমার মধ্যে বেড়ে ওঠে। এই বোবা অনুভূতি নিয়ে আমি স্বাধীনদেশে হেঁটে বেড়াই। মাথার মধ্যে চারপাশে রাজধানীর মানুষ বোঝাই বাস, ত্রিপোলে মোড়া ধূঁসর ট্রাক, চকমকে প্রাইভেট কার, বিশাল লরী, প্রেমিকার জন্য গোলাপ হাতে অপেক্ষমান যুবক সবকিছু জটলা পাকিয়ে থমকে থাকে। কিচ্ছু ভাল লাগে না। কিচ্ছু না।
সবকিছু এলোমেলো মনে হয়।
নিজেকে খাপছাড়া মনে হয়।
চারপাশের সবকিছুকেও।
ভাল লাগে না কিচ্ছু।
পালাতে ইচ্ছে করে সবকিছু থেকে।
এই ভাল না লাগার ঘোরের মধ্যে একটা মুখ মনের অনেক গভীর থেকে উঁকি দেয়- আমাকে ডাকে। আমার মনে হয়- ওই ওই, ওই সে - যে আমাকে বাঁচাতে পারে। যাকে ভালবেসে ঘুমিয়ে থাকা যায়।


মন্তব্য

জ.ই মানিক এর ছবি

সু-পাঠ্য। এবং চমত্কার।

মিশু তাজ এর ছবি

উপমা হিসেবে ইকারুস !

মিশু তাজ এর ছবি

উপমা হিসেবে ইকারুস ! ??

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

উপমা হিসেবে ইকারুস !

লেখা ভালো লেগেছে। ঘোর লাগানো লেখা।

তারেক অণু এর ছবি

কি কাকতালীয়, আমি আজ থিংকার নিয়ে লেখা পোষ্ট করলাম, আপনিও সেই ভাস্কর্যের কথা উল্লেখ করলেন এই চমৎকার লেখায় ! তাজউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে জানতে কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল বইয়ের নাম দিয়েন অনুগ্রহ করে। এই মহান হৃদয়ের অবিশ্বাস্য শক্ত চরিত্রের মানুষটি সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে, ভাবতেই গর্ব লাগে এমন মানুষ আমাদের দেশে ছিল।

উচ্ছলা এর ছবি

অনেক আবেগ নিয়ে লিখেছেন। আপনার ভেতরের অনেস্ট শ্রদ্ধাটুকু লেখায় তীব্র অথচ দারুন কোমলভাবে ফুটে উঠেছে চলুক

সুমন তুরহান এর ছবি

যে দেশাত্মবোধ আর আবেগ নিয়ে লিখেছেন তার প্রতি শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।