হল-বাস

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ১০:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের বিষণ্ণ সকালটা ঠিক যেন দেশের শীতকালের কুয়াশাভরা সকাল কিংবা ধূসর বিবর্ণ বিকালের মত, যখন ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ও ঠিক বুঝা যেতোনা যে সময়টা সকাল না বিকেল। এখানে শীতকাল নেই, সারাবছরই গরম আর বৃষ্টি। এখানে আসার পর তাই শীতের দিনের জন্য মনটা কেমন যেনো আইঢাই করে। তবে শীতের দিনে যে খুব ভালো থাকি তা ও না। সবসময়ই শীত আসলে আমার গলায় কিছু একটা গরম কাপড় পেঁচানো থাকতো। সেই কোন ছোটবেলায় একবার টনসিলে কি হোল তারপর থেকে অল্প ঠাণ্ডা হলে ও আমার গলা ব্যথা হোতো, ফুলে যেতো। গরম পানিতে নাওয়া আমার জন্য তাই একরকম অবধারিত ছিলো শীতের সময়। শীতের সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসতাম, মা নামায পড়ে উঠে এসে একবার দেখে যেতেন আমি গরম কাপড় গায়ে পড়তে বসেছি কিনা। না হলে ছোট্ট একটু বকে দিয়ে বলতেন তোমাকে না বলছি সবসময় গরম কাপড় গায়ে দিয়ে বসবে। তারপর খুব যত্ন করে উনার গায়ের শালটা খুলে আমার গায়ের উপর চড়িয়ে দিতেন। আমি বলতাম তোমার শীত লাগবেনা মামণি। উনি বলতেন আমি তো এখুনি চুলার ধারে যাবো, শীত লাগবেনা, তুই পড়, আমি এখুনি চটপট তোর জন্য একটু চা করে দিচ্ছি, টোষ্টে ভিজিয়ে খাস। সারাজীবন সকালের নাস্তা ঠিকমতো করিনি, মাকে জ্বালিয়েছি নাস্তা নিয়ে, তবে চায়ে ভিজিয়ে টোষ্ট খেতে খুব ভালো লাগতো।

আমার এহেন আদর যত্ন ছেড়ে একবার বনবাসে গিয়েছিলাম স্বেচ্ছাই বাসার সবার মতামতকে অগ্রাহ্য করে। তখন বুয়েটের লেভেল ২-টার্ম ১ এ পড়ি। সামনেই টার্ম ফাইনাল। চার চারখান ফোর ক্রেডিট এর মডিউল। ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিকস, ভেকটর মেকানিক্স, থার্মোডাইনামিক্স, আর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স এই চারখান কোর্স এর কথা ভাবলে এখন ও চোখের সামনে লাল নীল বাতি দেখতে পাই। তো ঠিক করলাম হলে থেকে বন্ধুদের সাথে একসাথে পড়বো। তখন ও এমনই শীতকাল। বাসার সবাই মানা করছে আর বলছে তুমি এই ঠাণ্ডার মাঝে থাকতে পারবেনা, যাওয়ার দরকার নেই। কে শোনে কার কথা, আমার মাথা তখন ফোর ক্রেডিট এর মডিউলের ভারে জর্জরিত, তাই কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের কাঁথা বালিশ তোষক নিয়ে হলে চলে গেলাম ১ মাস থাকবো বলে। যথারীতি নিয়ম মেনে ওয়ার্ডেনের অনুমতি নিয়ে এক বন্ধুর রুমে উঠে গেলাম। প্রথম দিনটা ভালোই কাটলো, বন্ধুরা আশে পাশেই আছে, একসাথে বসে এক খানা মুভি ও দেখলাম। তার পর দিন থেকে লাইব্রেরীতে পড়তে গেলাম একসাথে। আমি, সুমি, জেবু, মোর্শেদ আর মইনুল। তো বুয়েটের ট্রাডিশিন মত আমরা ও আগে থেকে চোথা জোগাড় করে ফেলেছি। এখন স্যার এর লেকচার নোটের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পাঁচ বছরের প্রশ্ন দেখে সলভ করার কথা। কিন্তু মোর্শেদ কিছুতেই আমাদেরকে চোথা দেখতে দিবেনা, আগে নিজেরা চেষ্টা করতে হবে, না পারলে পরে দেখা যাবেনে। তো সেইদিন দুপুর পর্যন্ত আমরা বিরাট পিএল ফাইট দিলাম রীতিমত কুস্তি করলাম বলা চলে, কিন্তু কিচ্ছু সল্ভ করতে পারলামনা। মোর্শেদের পাল্লায় পড়ে চোথা ও দেখা যাচ্ছেনা। দুপুরে খেয়েদেয়ে সব আড্ডা দিতে বসে গেলো, কাউকে ক্রেন দিয়ে ঠেলে ও লাইব্রেরী পর্যন্ত নেয়া গেলোনা। মোটামুটি ফলাফল শূন্য একটা দিন গেলো বলা যায়। এই অবস্থা দেখে সুমি বললো ও কালকে থেকে আর আমাদের সাথে পড়তে আসবেনা। বিকেল হতেই পোলাপান সব টিউশানিতে চলে গেলো আড্ডা ফেলে। আমার কোন টিউশানি ছিলোনা, তাই হলে এসে নিজের মত পড়তে বসে গেলাম।

বিকেল বেলাটা হল কেমন যেনো বিষণ্ণ হয়ে থাকে, যাদের টিউশানি আছে তারা টিউশানিতে, যাদের নাই তারা ও বাইরে বয়ফ্রন্ডের সাথে ঘুরতে চলে যায়। একা একা নিজেকে কেমন যেনো পোঁড়াবাড়িতে থাকা ভুতের মত মনে হচ্ছিলো। সন্ধে গড়িয়ে রাতের দিকে সব আবার হলে ফিরতে শুরু করে। রাত দশটার মাঝেই সবাই হলে ফিরে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দেয় এক্কেবারে। এরপর এলে ঢুকতে দেয়া হবেনা তাই ঠিক দশটার মাঝে বয় ফ্রেন্ডদের ফেলে মেয়েরা কেমন বিষণ্ণ মুখে হলে ঢুকতে শুরু করে, মনে হয় আর কখনো ওদের দেখা হবেনা বুঝি। এই সময়টাতে ছাত্রী হলের রাস্তা দিয়ে হলে ফিরলে দেখা যাবে, জোড়ায় জোড়ায় ভাইয়া আপুরা রাস্তার ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে একে অন্যের কাছ থেকে আর জনমে দেখা হবেনা এমন একটা ভাব নিয়ে বিদায় নিচ্ছে। যাই হোক রাতের বেলা সবাই ফিরলে পরে উৎসব উৎসব ভাব নিয়ে সব একসাথে খেয়ে আসলাম ডাইনিং থেকে। তারপর শুরু হোল সবার রোজকার গল্প বলা আর শোনার পালা। আমি নিজের রুমে এসে পড়তে বসতে চাইলাম, কিন্তু ওরা বললো, আরে পড়া তো পড়া যাবে সময় আছেনা। এইসব আবজাব আড্ডা শেষ করে রুমে এসে আর পড়তে বসা হোলনা। আমি আবার early to bed early to rise, makes a man healthy and wealthy তে বিশ্বাস করা টাইপ মেয়ে। রাত অল্প বাড়লেই ঘুমেরা ও অন্য রাজ্য ফেলে আমার চোখে এসে ভর করতে শুরু করে দেয়। সুখী মানুষ, ঘুমে ও কোন সমস্যা হয়না তাই শোয়া মাত্রই ঘুমিয়ে পড়তে পারি। কিন্তু সেদিন জায়গা পরিবর্তন জনিত কারণে ঘুম হচ্ছিলোনা। তার উপর রুমের অন্যরা আলো জ্বেলে পড়া করছে, চোখে আলো পড়ছিলো। অনেকক্ষণ চেষ্টা চরিত্র করে ঘুমিয়ে ও পড়লাম একসময়।

সকালে উঠে পড়তে বসে গেলাম, তখন ও কেউ উঠেনি। উঠবে কেমন করে সবাই যে মাঝরাত শেষ করে ভোরের দিকে ঘুমায়। এত ঠাণ্ডা যে একভাবে বসে বসে পড়তে গিয়ে জমে যাচ্ছিলাম। হলতো নয় যেনো একটা আস্ত ডীপ ফ্রিজ বানিয়ে রেখেছে। জেবুকে কয়েকবার ডাকলাম, উঠ না প্লিজ চা খেতে যাবো। কুম্ভকর্ণীকে জাগানো গেলোনা কিছুতেই। একটু পর উঠে একা একাই ক্যান্টিনের দিকে গেলাম চা এর পিপাসা মিটাতে। সকালের নাস্তা না খেয়ে থাকা যায়, কিন্তু এই ঠাণ্ডায় একটু চা না হলে মরেই যাবো। পান্সা এক কাপ চিনিতে ঠাসা চা খেয়ে একটু ভালো বোধ করলাম, জমে যাওয়া হাতপাকে নাড়াচাড়া দেবার জন্য মাঠের দিকে গেলাম একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য। শৈত্য প্রবাহ চলছিলো তখন। টানা কয়েকটা দিন এক ফোঁটা রোদ ছিলোনা আকাশে। বিশ্রীরকম এক একটা ঠাণ্ডা দিন। মাঠের খোলা জায়গায় দাঁড়াতেই হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়া আমার মুখ ছুঁয়ে চলে গেলো যেনো। ভয়ে আমি উঠে রুমের দিকে চলে গেলাম, গায়ের কাপড়ে ঠাণ্ডা মানছেনা, হাত পা কেমন নাম্ব হয়ে আসছে, তার উপর গলায় কিছু জড়ায়নি।

দশটার দিকে নবাবজাদি জেবুন ঘুম থেকে উঠে আমাকে ধন্য করলেন। আমরা আবার লাইব্রেরীতে গিয়ে বসলাম। সেদিন ও আগের দিনের কাহিনীর পুনরাবৃত্তি হোল। দু-সপ্তাহ পিএল এর দিনগুলা এভাবে ঝড়ের বেগে চলে যাচ্ছে কিন্তু পড়াশোনা কচ্ছপের গতিতে ও আগাচ্ছেনা। হলে এসে তো অবস্থা আর ও খারাপ হোল দেখছি, পোলাপানের সাথে পড়ার চেয়ে আড্ডা আর গল্পই হচ্ছে বেশি। বিকেলের দিকে হলে চলে গেলাম আমি। বড়পু এলো দেখা করতে সাথে দুই-দুইখান কর্ণালী আইসক্রিম নিয়ে। দুবোনে অনেক্ষন গল্প করলাম একসাথে। একটু পরই কামানের গোলার মত হল জীবন সংক্রান্ত প্রশ্ন আমার দিকে আসা শুরু করলো। কেমন লাগছে হলে, পড়া এগুচ্ছে কেমন, খাওয়া দাওয়া কেমন, ঠাণ্ডা অনেক বেশি নাকি এখানে। আমি হু হু করে গেলাম, বললাম ভালোই লাগছে তোমাদেরকে ছেড়ে বন্ধুদের সাথে থাকতে! সবই মোটামুটি চলছে টাইপ উত্তর করে পাশ করে গেলাম আর কি। কিন্তু আসল কাহিনী হোল, পড়া কিচ্ছু হচ্ছেনা, বাসা থেকে আসার পর একটু ও এগোয়নি। আর হলের খাওয়া মুখে তোলা যে বড্ড দায়‌, আমার মত নাক সিটকানো মানুষ হলে থাকলে না খেতে পেয়েই পটল তুলবে নির্ঘাত। সবাইকে দেখি কচকচ কাঁচামরিচ দাঁতে কেটে সেই অখাদ্য খায়। আমিতো পাতে মরিচ ও খেতে পারিনা, অসহায়ের মত ওদের খাওয়া দেখি আর নিজের প্লেটের খাবার নাড়িচাড়ি। তার উপর এই শৈত্য প্রবাহের মধ্যে হিম ঠাণ্ডা পানিতে নাওয়া আমার যে একেবারেই সয়না। গলা আর মাথা অলরেডি বিগ্রহ করা শুরু করে দিয়েছে এই তিনদিনেই। এসব তথ্য বেমালুম পেটে চেপে গিয়ে আপুকে হাসিমুখে বিদায় করে দেই সেদিনের মত। কিন্তু আমি নাকি মুখে না বললে ও আপু অনেক কিছু বুঝে ফেলে, পাক্কা ডিটেকটিভের মত মিটিমিটি হাসতে হাসতে আপু চলে ও গেলো।

এরপর আর ও চারদিন হলে ছিলাম চোখ নাক বুঝে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না, গ্রুপে পড়া আমার কম্মো না। গ্রুপ স্টাডিতে পানি ঢেলে তাই বাক্স পেটরা গুছাতে বসে গেলাম। অবশেষে পিএল এর পাক্কা এক সপ্তাহ নষ্ট করে হলের নিকুচি করে তোষক কম্বল নিয়ে তবেই ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলাম। ঘুরে ঢুকেই মায়ের মুখে শুনলাম এই কয়দিন বাপজান খুব হম্বিতম্বি করেছেন। যাই রান্না হোকনা কেনো আমার জন্য নাকি সব ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতে হবে, হলে কি খাই না খাই ঠিক আছে নাকি তার। যাওয়ার আগে পইপই করে বারণ করেছিলাম যেনো আমাকে দেখতে না যায়, মাত্র এক মাসের জন্যই তো যাবো। হলে এত মেয়ে থাকে কই সবার বাবামা কি মাসেমাসে ওদেরকে দেখতে যায় নাকি, এইসব হাবিজাবি বলেছিলাম। তাই আব্বাজান মনে কষ্ট নিয়ে চাইলে ও দেখতে যাননি। এহেন বাবামাকে ছেড়ে কি কুলক্ষণেই না হলে গিয়েছিলাম থাকতে! আমার এই বাপজানই বাইরে চলে আসার পর তার অতি প্রিয় চাইনিজ ভেজিট্যাবল খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন শুধু এখানে আমি ওটা খেতে পাইনা বলে। সে গল্প অন্য কোন দিন হবেনে।

এই এক সপ্তাহের ধাক্কায় সেবার বুয়েট লাইফের সবচেয়ে লোয়েস্ট জিপিএ নিয়ে পার পেয়ে গিয়েছিলাম, তবে ওই চার ক্রেডিটের সাবজেক্টগুলাতে পাশ করতে পারাটা ও বিরাট পাওনা, ইনফেক্ট আমার বলা উচিত লাইফ টাইম এচিভমেন্ট!! অনেকেরই কানের পাশ দিয়ে গুল্লি চলে গেছে এই টার্ম পাশ করতে গিয়ে, আর আমিতো কোন ছার। যারা এই টার্ম পাশ করেছে তারা সবাই জানে মেকানিকালের এই টার্ম পাশ করা কি জিনিশ। তবে একবার এই টার্ম পাশ করে ফেললে নিশ্চিত যে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাশ করা যাবে।


মন্তব্য

riti nirobodhi এর ছবি

আপনার লিখাটি পড়তে গিয়ে আমার হলজীবনের কথা মনে পড়ে গেলো! অনেক সুন্দর কেটেছে সময়গুলো! হাসি

বন্দনা এর ছবি

সবারই শুনি হললাইফ ভালো কাটে, আমার কেনো যে সইলোনা বুঝলামনা। মন খারাপ

তাপস শর্মা এর ছবি

ফ্রেস একটা লেখা পড়লাম। ভাল লাগলো। স্টুডেণ্ট লাইফের পাগল পাগল দিন গুলির কথাও মনে এসে হাসি পেল। আমিও আমার ওই প্রেমিক বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে আঁতেল মার্কা ব্রাত্যজন ছিলাম। যদিও আমার এক বন্ধুর ৩১টা প্রেমের সাক্ষী আমি।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ তাপসদা। ৩১ খান প্রেম একটু কি বেশী হয়ে গেলোনা অ্যাঁ , আপনি কি বলেন।

তাপস শর্মা এর ছবি

ওই ৩১ এর ৩ টা বাদ দিলে যে একখান থাকে সে অভিজ্ঞতাও আমার নিজস্ব ঝুলিতে নাই। তবে আমার ঐ বন্ধুটা যে কি করে মেনেজ করতো আমার জানা নাই বন্দনা। তবে আপনাকে বলি। অই হতচ্ছারার এই রেকর্ডতো স্রেফ কলেজ অবধি। তারপর থেকে ওর সাথে আমার বিশেষ যোগাযোগ নাই। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে অতদিনে ৩১টাকে বাড়িয়ে ডবল করে ফেলেছে। অদ্ভুত ছিল ছেলেটা। কত মেয়েকে ডিচ করলো, অথচ মেয়েরা আবার ওর প্রেমে পড়ত ( উল্টোটাও ঘটেছে )!!! একবার তো হয়েছে কি, ওর ছেড়ে দেওয়া প্রেমিকার বোন ওর প্রেমে পড়ল। আজব সব কাণ্ডকীর্তি।
আমাকে একটা কথা বলত সবসময় - তুই একটা ছাগল। জীবনে কিছুই করলি না।
আমি বলতাম - আমার দরকার নাই।
এখন জীবনের প্রায় তিন দশক পেরিয়ে ভাবি, হায় হায় আমি সত্যই একটা আস্ত রামছাগল। নইলে প্রমে পড়ার পারফেক্ট বয়সে কেউ কি গাছের তলায় প্রেমিকার হাতে হাত না রেখে ঠায় ঠায় রোদে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেয় - শহিদ স্মরণে আপন মননে রক্ত ঋণ শোধ করুন ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া

বন্দনা এর ছবি

তাপসদা ভয় পাইছি, এরা নিশ্চয় অতিমানব গোত্রের কেউ, নইলে এতগুলা প্রেম কেম্নে সম্ভব অ্যাঁ
আর কাইন্দেন না বিয়ার পর প্রেম পিরিতি কইরেন। হো হো হো

তাপস শর্মা এর ছবি

হো হো হো যা বলেছ। হা হা হা ।

আর না কাইন্দা যাই কই!! ......... দেঁতো হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

হুম! বাবার আদরের মেয়ে মনে হচ্ছে।
লেখা ভাল লেগেছে। মনে হচ্ছে ডায়েরি পড়ছি।

বন্দনা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ফাহিম। হুম বাবার আদরে বাদর হওয়া মেয়ে। চোখ টিপি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাসার পুলাপান মনে করে পিএলএ হলের পোলাপান সব পড়ে ফেলছে, তাদের জন্য আর কিছু বাকি রাখছে না। চোখ টিপি
হলে পিএল ফাইট হয় রাতে আর দিন হলো ঘুমানোর সময়। তবে এ সময়টায় বিকেলে দলবেধে টিএসসিতে যাওয়ার চল বেশি। অনেকেই টিউশনি থেকে পরীক্ষা উপলক্ষে ছুটি নেয়, তাছাড়া ক্লাসও করতে হয় না। পিএল টাইমে টিএসসিতে ঘোরা পোলাপানের মুখচোখ দেখেই বলে দেয়া যায় কোনটা বুয়েটের।

হল লাইফ অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো এক ধরনের শক্ত/অসাড় নার্ভ সৃষ্টি করে। পড়াশোনা না হলেও প্যানিক জিনিসটা খুব কম পোলাপানের মধ্যে কাজ করে। এজন্যই মনে হয় এরা চামেচিকনে পাস করে যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বন্দনা এর ছবি

হল লাইফ অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো এক ধরনের শক্ত/অসাড় নার্ভ সৃষ্টি করে। পড়াশোনা না হলেও প্যানিক জিনিসটা খুব কম পোলাপানের মধ্যে কাজ করে। এজন্যই মনে হয় এরা চামেচিকনে পাস করে যায়।

ঠিক বলেছেন এক্কবারে, হলের পোলাপানের নার্ভ বড় শক্ত , আমি তাদের কাছে শিশু।

বাসার পুলাপান মনে করে পিএলএ হলের পোলাপান সব পড়ে ফেলছে, তাদের জন্য আর কিছু বাকি রাখছে না।

আমার ও হলে যাবার আগে তাই মনে হোত, পরে দেখলাম আমরা বাসার পোলাপান ওদের চেয়ে বেশিই পড়ি আর অনেক আগে থেকে আমাদের প্রিপারেশন শুরু হয়। হলে দেখলাম পড়তে বসার আয়োজন করতে করতে দিন চলে যায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বাসায় থাকি, পিএলের সময় হলে গিয়া ফাইটারদের কাছ থেকে পড়া বুঝে আসি শুধু দেঁতো হাসি

আপনিও 'মেকানিক' জেনে ভাল্লাগ্লো দেঁতো হাসি

২-১ এর ওই টার্ম অবশ্য আমারে বেশি ঝামেলা দেয় নাই। কষ্ট হইসে ৩-২ তে, ল্যাব্রিপোর্ট লিখতে লিখতেই জান শ্যাষ...

বন্দনা এর ছবি

আপনি ও মেকা নাকি, বাহ বেশ বেশ...
৩-২ তে মনে হয় ৫ টা সেসনা্ল ছিলো । ওহ ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক।
২-১ এ কি আপ্নারা এঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্সে রায়হান স্যারকে পেয়েছিলেন,বাপ রে যেই পেইন দিছে এই লোক তা আর কইতে। তার উপর ভেক্টর মেকানিক্স মাথার অনেক উপর দিয়ে যাইতো। থার্মোডাইনামিক্স ভালো জিনিস ছিলো তবে এহসান স্যার এত লম্বা সিলেবাস পড়াইছে যে লেকচার নোটই পইড়া শেষ করতে পারিনাই চোথা আর বই দূরের কথা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মেকা ত বটেই এবং এখনো সাবেক হয়ে যাই নাই, শেষ টার্মে আটকে আছি.. হাসি .

রায়হান স্যার আমাদের ৩-১ এ মেশিন ডিসাইন কোর্স নিয়েছিলেন। আমরা কিন্তু স্যারের কাছ থেকে ভালো ব্যবহারই পেয়েছি। ভেক্টর মেকানিক্স খুব কঠিন ছিলো, তবে ফিরোজ স্যারের কল্যাণে থার্মোডাইনামিক্স বেশ ভালোই লেগেছিলো...

বন্দনা এর ছবি

আরে তাই নাকি, তাইলে তুমি কইরা কই কি বলো... আজকালকার পোলাপাইন একবার ও কয় না যে আপু আমাকে তুমি কইরা কন, লজ্জা শরম ভাইঙ্গা আমিই কয়া ফেললাম চিন্তিত

মেশিন ডিসাইন কোর্স আমাদের ও নিয়েছিলেন, ওটাতে যন্ত্রণা করেনি,কিন্তু এঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্সে জালায়ে মারছে রে ভাই। অনেক ভালো ভালো পোলাপান ডি পাইছে বুঝলা।

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ অণু ভাই। হাসি

শাব্দিক এর ছবি

আমার জীবনের সবচে শিক্ষনীয় সময় ছিল হল লাইফ। পড়া লেখার শিক্ষা না, মানুষ চেনার শিক্ষা, জীবন চলার শিক্ষা। ওই খাবার খেয়ে, ওই পরিবেশে থেকে মনে হয় সব কিছুর সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা হয়ে গেছে।

বন্দনা এর ছবি

আপনি ঠিকই বলেছেন শাব্দিক, আসলে আমার সেই সুযোগ হয়নি। সময় দিলে হয়তো মানিয়ে নিতে পারতাম, তবে বাবা মা চাইতেন না যে হলে থাকি।

কল্যাণF এর ছবি

পড়ে ফেললাম। আমার আবার বাড়ির বাইরের জীবনটা বেশি স্যুট করেছিলো। এইচেসসির পর কোচিং এর উদ্দেশ্যে সেই যে বের হলাম, বাড়ি ঢোকা হল না আর।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ কল্যান পড়ার জন্য। বেশিরভাগের ই বোধহয় বাইরের জীবন স্যুট করে, আমি অধমই পারিনি, এখন ও বাইরের চেয়ে ঘর আমার কাছে প্রিয়, তবে ঘুরতে পছন্দ করি।

কল্যাণF এর ছবি

আরে নাহহ, অধম হবেন কেন? আমর মত ঘরের বাইরে থাকা প্রাণীগুলোই মনে হয় অভাগা। ঘরোয়ালী একটা জোগাড় হইছে, এখন দুইজনের জন্যে একটা ঘরের খোঁজেই দৌড়ের উপর আছি।

জ.ই মানিক এর ছবি

দিনগুলি যে কই হারালো! মন খারাপ

বন্দনা এর ছবি

আসলেই সেই দিনগুলো কোথায় যে হারালো আর কখনো খুঁজে পাবোনা মন খারাপ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। সচলে মেকানিক্যালরা দলে ভারী হচ্ছে - ভাবতেই ভালো লাগছে।

২। বুয়েট জীবনে যে প্রিপারেটরি লিভ আর পরীক্ষার সময় যে হলে থাকেনি তার বুয়েট জীবন বৃথা।

৩। বুয়েটের হলের খাবার-দাবার হজম করে যারা বড় হয়েছে তারা তরল জিনিসের মধ্যে টিংচার আয়োডিন আর কঠিন জিনিসের মধ্যে আলপিনও হজম করতে পারবে। এসব খাবার খেয়েও কিছু ছেলে কীভাবে যেন দিন দিন প্রস্থে বাড়তো।

৪। ২-১ এর সময় সবারই পাখা গজায়। নতুন নতুন প্রেম হয়, নতুন নেতা-কবি-অভিনেতা তৈরি হয়। এই টার্মে (আমি পুরনো সিস্টেমের লাস্ট ব্যাচ) পাণ্ডবদের মধ্যে এক ধর্ম্মপুত্র ছাড়া বাকি সবাই মেকানিক্স অভ মেটেরিয়ালে গোল্লা পেয়েছিলো। পরের টার্মে ভালো মার্কস তুলে জান বাঁচাতে হয়েছিলো।

৫। মাত্র চারদিন হলে থেকে আপনার এই অবস্থা! ভাগ্যিস আপনি আমাদের সময়ে ছিলেন না। থাকলে ক্লাসের পোলাপান আপনার যে কী দশা করতো!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বন্দনা এর ছবি

আপনি মেকা জেনে আমার ও ভালো লাগছে পাণ্ডব।

আমার জীবন একেবারে বৃথা যায়নি, বাসায় থাকা পোলাপানদের নিয়ে আমাদের একটা গ্রুপ ছিলো, আমরা টেলিফোন স্টাডি করতাম, হলের চেয়ে অনেক অনেকগুন এফেক্টিফ দাদা। পিএল এর সময় রোজ ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম ফোনে। ওই মাসে বিল যখন আকাশচুম্বি আসতো, বাপের রাগান্বিত মুখের সামনে গিয়ে বলতাম আমার এক্সাম ছিলোনা এই মাসে, তাই কথা একটু বেশী বলছি। পড়ার কথা শুনে ওনার রাগ সব পানি হয়ে যেতো।

খাবার দাবার নিয়ে আমার রংঢং অনেকটাই কমে আসছে এখন। একদিন রাধি সাতদিন খাই, বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা। এখন বোধহয় আপনার আলপিন আর টিংচার আয়োডিন দুইটাই হজম করতে পারবো। হাসি

পাণ্ডবদের মধ্যে এক ধর্ম্মপুত্র ছাড়া বাকি সবাই মেকানিক্স অভ মেটেরিয়ালে গোল্লা পেয়েছিলো

আপনাগো পাণ্ডব কাহিনী জানতে মন চাই, তা এই 'ধর্ম্মপুত্র ' টা কেডা গো দাদা।

হুম।। ভাগ্যিস আপনাদের সময়ে বুয়েটে ছিলামনা।

ও একখান ছোট্ট অনুরোধ, তুমি করে বললে খুশী হবো পাণ্ডবদা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পাণ্ডবদের কাহিনী বিশেষ কিছু বলার নাই। আমার দুই-তিন বছর আগেকার ব্লগগুলোতে তাদের কথা কিছু কিছু আছে। আর ধর্ম্মপুত্র হচ্ছেন যুধিষ্ঠির। তিনি সচলের পুরনো পাপী (ধার্ম্মিক)।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

উচ্ছলা এর ছবি

দারুন ঝরঝরে, প্রানবন্ত লেখা। পড়তে খুবই ভালো লাগল হাসি

বন্দনা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ উচ্ছলা। হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সীট পড়েছে দুজন পাশাপাশি
খাতায় ডুবে অনেক জোড়া চোখ
আড়চোখে কি দেখেছিলাম আমি
শান্ত দুটি চিরসবুজ চোখ―
ঠিক মনে নেই সকাল নাকি বিকাল
স্থাপত্যে সে, আমার ইলেক্ট্রিক্যাল!

কেমন জানি নষ্টালজিক লাগছে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বন্দনা এর ছবি

রোমেল ভাই, আপনার কবিতা অসাধারন লাগলো, কিন্তু এমন রোমান্টিক কিছু কেন হয়নাই এখন দুঃখ লাগতেছে বড়। মন খারাপ

রসায়ন এর ছবি

অনেক টার্ম ই মাথার উপর দিয়ে গেছে !! আমরা ম্যাংগোপাব্লিকদের জন্য কিছু কিছু টার্মের পাদটীকা ভীষণভাবে জরুরী। যদি সবকিছু নরমাল ভাষায় লিখতেন(মেকা, ৩/২,প্রিপারেটরি লিভ ইত্যাদি ইত্যাদি) তাহইলে সব বুঝতে পারতাম!!
আলোচনার মধ্যে বাম হাত দিয়া আপ্নাগোরে বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত!!( মনে হয় কাজটা ঠিক হয় নাই)

বন্দনা এর ছবি

দুঃখিত রসায়ন। মেকা মানে মেকানিকার এঞ্জিনিয়ার। বুয়েটে আমাদের সেমিস্টার সিস্টেম। তো ৩-২ মানে হোল তিন নাম্বার বছরের দুই নাম্বার সেমিস্টার। প্রিপারেটরি লিভ হোল পরীক্ষার আগে বুয়েটে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকে পড়াশুনা করার জন্য ওটাকে পি এল বা প্রিপারেটরি লিভ বলে।
আমি ই অনেক দুঃখিত এভাবে লিখার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত কষ্ট করে পড়েছেন এজন্য।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

হলে থাকার সুযোগ হয়নি এ জীবনে। তাই হলের জীবনের প্রতি আকর্ষন তীব্র। চমৎকার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ আপা। আমার ও আকর্ষন ছিলো কয়দিন থেকে সেটা চলে গেছে।

দিশা এর ছবি

হল life টা খুব miss করি। রাত দুপুরে বৄষ্টিতে ভেজা, রাত ২টায় ব্য্যডমিন্টন খেলাা- আবার যদি সেই life টাতে ফিরে যাওয়া যেত!

বন্দনা এর ছবি

কি জানি আমার ফিলিং টা কেমন সবার চেয়ে অন্যরকম আমি আমার বাসাকে মিস করি। তবে এটা ঠিক বন্ধুদের সাথে আড্ডা ও মিস করি।

guest_writer এর ছবি

হল লাইফের মত মজার লাইফ আর নাই, নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
পড়াচোর।

বন্দনা এর ছবি

আরে আমি দেখি সবাইরে নস্টালজিক করে দিলাম।

নীল রোদ্দুর এর ছবি

কঠিন! আপনি মেক্যানিকালের মেয়ে? এই দেখে মেলাদিনের মৌনব্রত ভেঙ্গে ঝাপ দিয়ে লগিন করলাম। কোন ব্যাচ আপনি? হাসি

শাতিল_ মেক্যানিকাল_০৩

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

বন্দনা এর ছবি

তাই নাকি আপনার মৌনতা ভেঙ্গে দিলাম তাহলে, বেশ বেশ। শাতিল আমি ০১ ব্যাচ আপু।

কর্ণজয় এর ছবি

ভাল লেগেছে...
হল জীবনটা আর একটা জীবন... এই জীবনের মনস্তত্ত্বটা নিয়ে আরেকটু উথাল পাতাল লিখুন না...

বন্দনা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কর্ণজয়। চেষ্টা করবো লিখার। হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

কয়েকদিনের হল জীবন আমিও কাটিয়েছি। হাসি

বন্দনা এর ছবি

তাই নাকি রাজকন্যা। হুম পড়লাম আপনার গল্প, সচলে লিখেন না কেন, সামহোয়ারইনে ঢোকা হয়না খুব একটা। ও আমি নতুন সিলেবাসের সেকেণ্ড ব্যাচ এর। আর আপনার নামটা অনেক সুন্দর বাংলায় লিখলে আর ও ভালো লাগতো।

দিহান এর ছবি

হলে খাওয়ার কষ্ট ছাড়া আর সবই আনন্দের। আমি দিনের পর দিন (সর্বোচ্চ ১৭ দিন!) ভাত না খেয়ে পাউরুটি,কলা আর চকলেট মিল্ক খেয়ে পার করতাম! হলে থেকে মানিয়ে নেবার আর মেনে নেবার একটা অসাধারন গুণ অর্জন করেছি সেজন্য হল জীবনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

বন্দনা এর ছবি

আপনি জিনিয়াস দিহান আপু, ১৭ দিন ভাত না খেয়ে থাকা খুবি ভয়ঙ্কর ব্যাপার।আমার ২, ৩ দিন ভাত না খেলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমি পুরাই ভেতো বাঙ্গালী।

আশালতা এর ছবি

হল জীবন ! আহা !! হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা এর ছবি

আপনি ও হলে ছিলেন দিদি। সবাই এত ভালো ভালো কথা কচ্ছে হল জীবন, একমাত্র আমার ই উল্টা কথাবার্তা।

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
যদিও পরিবারের উপ্রে কিছু নাই, তবুও বলবো, আপু, হল লাইফটা আসলেই দুর্দান্ত। আপনাকে নিতান্ত দুর্ভাগা বলতে হচ্ছে। কিংবা আপনি আশেপাশে যাদের সাথে ছিলেন তাদের মনে হচ্ছে পুরাই বরবাদ এক একটা যারা আপনাকে হলের আনন্দটা দিতে পারেনি। পিএল এ যে কত কীর্তিকান্ড হতো বুয়েটে তা একজন্মে লিখে মনে হয় শেষ করা যাবে না।

যাইহোক, আপনার লেখা পড়তে পড়তে নিজের হলের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো অনেক। সেইদিনগুলো আসলেই ভোলার নয়।

অতীত

বন্দনা এর ছবি

সবার কথা শুনে নিজেকে আসলেই দুর্ভাগা মনে হচ্ছে ওঁয়া ওঁয়া

সুমন তুরহান এর ছবি

সুন্দর লেখার জন্যে ধন্যবাদ বন্দনা'দি। শিলং-এ হল-জীবন কাটিয়েছি আড়াই বছর; স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম - বড় সৃষ্টিশীল ছিলো সেই একাকীত্ব ...

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ সুমন ভাই।আপনি শিলং এ পড়েছেন। অই জায়গাটা নাকি অদ্ভুত সুন্দর, যাওয়া হয়নি এখন।

অনু এর ছবি

আপু , ভাল লিখছেন , হল এর ডাইনিং এ খাইছিলেন ?? কেমন লাগছে ?
আর দোয়া রাইখেন যেন ২-১ টা পাস কইরা যাইতে পারি ......সব ই মাথার উপর দিয়া যায় .........

বন্দনা এর ছবি

দোয়া করি ভাই ভালো ভাবে পাস করে যাও। আমি ডাইনীং এ খেয়েছি, কিন্তু ভালো লাগেনি রে ভাই। এই খাবার মানুষে কেমনে খায় জানিনা।

রকিব এর ছবি

আপু , লেখা পড়ে ভাল লাগছে। আমারও বেশি দিন হলে থাকা হয় নাই । হলে যাওয়া হত আড্ডা দিতে । হলে পড়তে ইচ্ছা করতো না । পি. এল. এর সময় লাইব্রেরীতে যাওয়া হত । পড়া - আড্ডা দুইটাই হত । আমাদের পি. এল. গ্রুপ চারজনের ছিল । গ্রুপে কোন মেয়ে ছিল না । মাঝেমাঝে অন্য গ্রুপের ছেলেরা আমাদের কাছে বুঝে , নিজেদের গ্রুপের মেয়েদেরকে বুঝাত । কিন্তু মেয়েরা কখনও বুঝতে আসে নাই মন খারাপ

বন্দনা এর ছবি

ইশ রে বুয়েটের পিচ্চিগুলা আমার লিখা পড়তেছে কি যে ভালো লাগছে। মেয়েরা আসবেনা কেন রে, সবাই বন্ধু , তোমরা ভালো ব্যাবহার করবা দেখবা মেয়েরা ও কত ভালো বন্ধু হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হল লাইফ এই ছোট্ট জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।
সেটা আপনি উপভোগ করতে পারেননি জেনে আফসোস লাগলো।
আপনার লেখা পড়ে খুব নষ্টালজিক হয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন।

----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

বন্দনা এর ছবি

আমি আসলে কিছু বুঝার আগেই আমার আন্ডারগ্রাড শেষ হয়ে গেল, হলে থাকার সুযোগ কম ছিল ঢাকায় বাসা থাকাতে। তবে পোস্টগ্রাডে কিছুদিন হলে ছিলাম, বেশ ভাল সময় কেটেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি অবশ্য বুয়েটের না, মেডিকেলের।তারপরও অভিজ্ঞতাগুলোর কোনো পার্থক্য নেই। চাল্লু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।