কামরুল হাসান নিতান্তই এক সাধারণ দর্শন মানুষ। গুলশানের এক স্টুডিওতে কাজ করেন, ফটো ডেভলোপারের কাজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারা দিন কাজ করে রাতে বাসায় ফেরেন। খেতে খেতেই স্ত্রী মিতার সাথে দু'চারটা যা কথা হয়। একমাত্র মেয়ে কণা। গতমাসে বয়স চোদ্দ হলো। কামরুল হাসান বুঝতে পারেন মেয়েকে সময় দেয়া উচিত, কিন্তু সে সময়টা তার হয়ে ওঠে না। সারাদিনের ক্লান্তির পর রাতটা ঘুমিয়ে আবার সকালে থেকে কাজ। জীবনটা তার কাছে নিতান্তই যান্ত্রিক এক অবকাঠামো।
অথচ তার অতীত এমন ছিল না। ছাত্রজীবনে ফটোগ্রাফিতে খুব শখ ছিল। ছুটে চলতেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। গ্রাম বাংলার ছবি তুলতে তুলতে তার ক্যামেরা ক্লান্ত হয়ে যেত তবু মানুষটা ঠিকই নূতন উদ্দীপনায় আরো নূতন নূতন জায়গায় ছুটে বেড়াতেন। ক্যামেরা বন্দি করতেন অনিন্দ্য সুন্দর সব দৃশ্য। কিন্তু যখন সংসারের দায়িত্ব কাঁধে এলো, সময়ের প্রয়োজনে ধীরেধীরে বদলে যেতে শুরু করলেন। এককালের দুরন্ত ফটোগ্রাফার কামরুল হাসান হয়ে গেলেন আজকের আটপৌরে ফটো ডেভলোপার কামরুল হাসান।
তবে এসব নিয়ে তার কোন আফসোস নেই। জীবনের কাছে তার চাওয়া পাওয়া অনেক কম। মেয়েটা বড় হচ্ছে, ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিতে হবে; এই তার একমাত্র চিন্তা। বৃদ্ধ বয়সে দুই বুড়া-বুড়ির কেটে যাবে কোন ভাবে; সেটা নিয়ে তার ভাবনা হয় না।
“এ্যাই শোনো! টিফিনের বক্সটা তুমি ফেলে গেছো।” পেছন থেকে মিতা দৌড়ে আসে। কামরুল হাসান সকাল সকাল রাস্তা ফাঁকা থাকতেই গুলশান চলে আসে। কালা চাঁদপুর থেকে গুলশান কাছে হলেও একটু বেলা হলেই যে ভিড়টা শুরু হয়, তাতে অনেক সময় লেগে যায় সামান্য পথটুকু আসতে। তাড়াহুড়ায় তিনি প্রায়ই টিফিন বক্সটা ফেলে চলে আসেন। তখন সারাটা দিন মনটা উদাস হয়ে থাকে। এই আটপৌরে জীবনে দৃশ্যমান ভালোবাসার যখন সুযোগ নিতান্তই বিরল, তখন মিতার রান্না করে দেয়া সামান্য শাক-মাছটুকুই কামরুল হাসানের কাছে ভালোবাসায় ছোঁয়া হিসেবে অনুভূত হয়।
“আজ একটু আগে আগে আসতে পারবা?” মিতা অনুনয়ের স্বরে জিজ্ঞেস করে।
“কেন, কী হইছে?”
“অনেক দিনতো ভালো মন্দ রান্না করি না। মেয়েটা বলল আজ পাঙ্গাশ মাছ খেতে ইচ্ছা করছে। তাই ভাবলাম রাতে রান্না করবো। তুমি আসলে এক সাথে খাবো।”
“আচ্ছা, চেষ্টা করবো।”
কামরুল হাসান ঘড়ি দেখেন। আটটা বাজে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত টিফিন বক্সটা নিয়ে বের হয়ে পড়েন।
স্টুডিও খোলার পর থেকেই আজ ভিড়টা একটু বেশী নজরে আসছে। কামরুল হাসান ঠিক অনুমান করতে পারছেন না কী এমন হলো যে হঠাৎ করে দেশ সুদ্ধ মানুষের ফোটো ডেভলোপ করানোর দরকার পড়ল। ডিজিটালের যুগে এখন এমনিতেই মানুষ ফটো ডেভলোপ কম করে। ছবি যখন কম্পিউটারেই দেখা যায়, তখন সেটা আবার পয়সা খরচ করে ডেভলোপ করানোর কী দরকার?
তবে আজকের চিত্র একটু ভিন্ন লাগছে। ডেস্কে বসে স্টুডিওর মালিক করিম সাহেব হাসি মুখে অহেতুক ক্লান্ত এবং বিরক্ত হবার ভান করছেন। কামরুল হাসান বোঝেন, আসলে মনেমনে সে ঠিকই খুশি হচ্ছে। পকেটে পয়সা ঢুকলে সে রাজা হোক আর সাধু – সবাই খুশি হয়।
হাতের কাজগুলো সারতে সারতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। কামরুল হাসান টিফিন বক্সটা নিয়ে যেই বসেছেন অমনি করিম সাহেব সহাস্যে এগিয়ে আসেন।
“কী কামরুল মিয়া! খাওয়া দাওয়া করো?”
কামরুল হাসান হাসেন। কিছু বলেন না। “কামরুল মিয়া” ডাকটা তার নিতান্তই অপছন্দ। এর মাঝে একটা তাচ্ছিল্যের লেশ আছে। যেন সব সময় বোঝাচ্ছে তুমি একজন অধস্তন। তাছাড়া হাতে খাবারের বক্স নিয়ে কেউ ক্রিকেটের উইকেটকিপিং করে না। তাই এ প্রশ্নের জবাব দেয়াটা প্রয়োজনীয় মনে হলো না তার।
করিম সাহেব আরো খানিকটা বিগলিত হয়ে বললেন, “বৌ এর রান্না, সবার কাছেই অমৃত লাগে। কী বলো?”
এবারও কামরুল হাসান হাসেন। তরকারিতে লবন কম হয়েছে। অমৃত না মৃত লাগছে ঠিক বুঝতে পারছেন না। তবে এটা ঠিকই বোঝেন, এই বুড়োটার কোন মতলব আছে। না হলে এভাবে খাতির করতো না।
আর দু’চার কথা পরই মতলবটা বের হয়ে আসে। আজকে অর্ডার পড়েছে বেশি। তাই করিম সাহেব কামরুল হাসানকে একটু রাত করে থাকতে বলেন। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য কোন বাড়তি টাকা নেই। সেজন্যই ঐ খাতিরটুকু জরুরী ছিল। এটো হাতটা ধুতে ধুতে কামরুল হাসান জানতে চান এত অর্ডার পড়ার কারণ কি? করিম সাহেব সহাস্যে বলেন, “আরে মিয়া! তুমিতো কোন খবরই রাখো না। কালকে ভেলেন্টাইন্স ডে ছিলনা?”
আগের দিনের হাতের কাজ শেষ করতে করতে বিকেল পার হয়ে গেলো। নূতন ছবি নিয়ে বসতে বসতে সন্ধ্যা। মেশিনে ছবিগুলো বের হয়ে আসছিল আর কামরুল হাসান সেগুলোকে এক করে করে রাখছিলেন। হঠাৎ কিছু ছবি দেখে তিনি স্তব্ধ হয়ে যান। ছোটছোট ছেলে মেয়েদের ছবি। কেউ আলো-আধারীতে, কেউ গাড়িতে। বেপরোয়া ছবি। ছেলেগুলো মেয়েগুলোকে জড়িয়ে ধরে আছে। কেউ কেউ আরো বেশী করছে। বন্ধুরা সেটার ছবি তুলছে। কিছু কিছু ছবি দেখে মনে হচ্ছে যারা করছে তারা ছবি তোলা দেখে আরো মজা পাচ্ছে।
কামরুল হাসান আগের ছবিগুলো বের করেন। ভালো ভাবে দেখেন এবার। কিছু ছবিতে বেশ বড়বড় ছেলেদের সাথে স্কুল-কলেজের বাচ্চা মেয়েদের দেখা যায়। কামরুল হাসান ভাবেন এদের বাবা-মা কি জানে তারা কী করছে? ছেলেগুলো বেপরোয়া, কামুক। তাদের হাত কোথায় কোথায় যাচ্ছে তারাও লক্ষ্য করছে না। বন্ধুরা হাসাহাসি করে ছবি তুলে নিচ্ছে। একটা অন্য জগৎ। পুরোই একটা অজানা জগৎ কামরুল হাসানের জন্যে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকা একেকটা লাউঞ্জে কেউ সিসা খাচ্ছে, কেউ অন্য কিছু।
কামরুল হাসানের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। তিনি আতঙ্কিত হন। সব ছেলেমেয়ে যে সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণী থেকে এসেছে তা কিন্তু নয়। প্রায় সব শ্রেণীর মানুষই দেখা যায় ছবিগুলোতে। এসব জায়গায় যেতে কত টাকা লাগে? কামরুল হাসানের স্বল্পজ্ঞান তাঁকে উত্তর দেয় না কিন্তু তিনি বোঝেন ভালই টাকা লাগে। কিন্তু তবুও সবাই ছুটছে। শিল্পপতির ছেলে বা দুর্নীতির সিরিঞ্জ দিয়ে দেশকে চুষে খাওয়া আমলার ছেলেকে দেখে রক্তপানি করা কোন এক খেটে খাওয়া বাবার ছেলেমেয়েও ওখানে ছুটে এসেছে। এটা যে এখন “স্যোসাল স্ট্যাটাস”। আসতে যে তাদের হবেই!
তাড়াতাড়ি হাতের কাজ শেষ করে কামরুল হাসান ছবিগুলো এ্যানভেলাপে ভরে সাজিয়ে রাখেন। তারপর স্টুডিও বন্ধ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন রাত গভীর হয়ে গিয়েছে। মিতা আগে আগে বাড়ি যেতে বলেছিল। সেটাতো হলোই না বরং আরো দেরি হয়ে গেলো আজ।
কামরুল হাসান দ্রুত একটা রিক্সা ডেকে তাতে উঠে পড়েন। বাতাসের ঝাপটা এসে তার মুখে লাগছিল। আশেপাশে কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। বাতাসে বৃষ্টির গন্ধ। তিনি চোখ বন্ধ করে শরীরটা রিক্সার সিটের সাথে এলিয়ে দেন। সারা দিনের ধকলে ক্লান্তিতে ঘুম চলে এসেছিল। হঠাৎ নিজের বাসার কাছে চলে আসায় মনটা চনমনে হয়ে ওঠে। রিক্সাভাড়া মিটিয়ে দিয়ে বাসার দরজায় নাড়া দিতেই ভেতর থেকে কণা চিৎকার করে, “মা, মা, বাবা আসছে।”
কামরুল হাসান মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কী অপরিসীম মমতা নিয়ে মেয়েটা বাবার জন্যে না খেয়ে অপেক্ষা করছিল। মাত্র চোদ্দ বছর মেয়েটার। ডেভলোপ করে আসা ছবির ঐ মেয়েগুলোর মতই। কথাটা ভাবার সাথেসাথেই তার ভেতরটা আবার কেঁপে ওঠে। কামরুল হাসান এগিয়ে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। কণা বা মিতা কেউই বোঝে না কী হলো। কিন্তু কামরুল হাসান আরো শক্ত করে জড়িয়ে রাখেন। তার মনে হয়, তার ছোট্ট পৃথিবীটার প্রতি অনেকগুলো হায়েনা লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তাই তিনি যতটুকু পারা যায় দুহাত প্রসারিত করে তার পৃথিবীটাকে আড়াল করে রাখেন।
২২ সেপ্টেম্বার ২০১১
ঢাকা, বাংলাদেশ
মন্তব্য
গল্পটা ভাল লাগল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
টুইটার
বাঃ! চমৎকার লাগলো। বিশেষত কামরুল হাসানের নিরাসক্ত চোখে পারিপার্শ্বিকের বর্ণনা, শেষে যেয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়া।
love the life you live. live the life you love.
আপনার চমৎকার মন্তব্য এবং পর্যবেক্ষণের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখকের একটা অন্যতম ভালো লাগা হচ্ছে যখন সে দেখে পাঠক তার (লেখকের) মত করে বক্তব্যকে অনুসরণ করছে। আপনার মন্তব্যে সেই ভালোলাগাটুকু পেলাম।
টুইটার
গল্পটায় ভালো লাগার মত অনেক উপাদান আছে। খুব ভালো লাগল।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
আত্মকেন্দ্রিকতা আর ভোগবাদিতার সিঁড়ি বেয়ে
আদিমতা ফের আসছে ধেয়ে।
অনেক সুন্দর।
সময়ের প্রতিচ্ছবি।
গল্পটা পড়া এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
টুইটার
খুব সরলভাবে, সহজ কথায় অনেক কিছু বলেছেন।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
অন্য কোন ভাষা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে না। তারাপ কোয়াসদাই বলে দিয়েছেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
নিয়াজ ভাই গল্পটা পড়তে পড়তে শেষ দিকে মনে হচ্ছিল যে কামরুল ঐ ছবিগুলোর মধ্যে তার মেয়ের ছবিটাও পেয়ে যাবে। ভাগ্যিস সে রকম হয়নি, তাহলে গতানুগতিক হয়ে যেত। এহহ আমার চিন্তা ভাবনা কত সীমাবদ্ধ দেখেন। আর এইসব সীমাবদ্ধতার মাঝে আপনাদের লেখা পড়তে ভাল লাগে। গল্পটা সুন্দর হয়েছে, পড়তে ভাল লেগেছে।
লেখা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আর আপনার চিন্তাভাবনা মোটেও সীমাবদ্ধ নয়। আপনার চিন্তার ধরন অনেক উদার। আর সেজন্যেইতো এত সুন্দর করে বিশ্লেষণ সাপেক্ষে মন্তব্য দিলেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।
টুইটার
সুন্দর একটা প্লট। কামরুল হাসানের কাজের ভেতরে ছবিগুলো এনে মুল বিষয়ে ঢোকা দারুণ মুন্সিয়ানা বটে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। অনুপ্রেরণা পেলাম।
টুইটার
গল্পটা...
শেষটায় আরেকটু জমাট হলে আমার বেইশ ভাল লাগতো..
এমনিতে সুন্দর
ছোট গল্পতো, তাই হুট করেই শেষ করলাম। সাধারণত ছোট গল্প লেখার সময় এই নিয়মটা আমি অনুসরণ করি। তাহলে পাঠকে মনে একট অতৃপ্তি কাজ করে যা গল্পটাকে স্থায়িত্ব দেয়।
শুভেচ্ছা রইলো।
টুইটার
চমৎকার হয়েছে, তবে ভেবেছিলাম আরো দীর্ঘ হবে, সেই সাথে ফিনিশিং অন্য ধরনের। চলতে থাকুক এমন গল্প লেখা--
facebook
অসংখ্য ধন্যবাদ। ছোট গল্পতো, তাই আকারেও ছোট।
টুইটার
অসাধারণ লাগলো মশাই।
শেষটাতে এসে একেবারে হৃদয় ছুঁইয়ে গেলো।
ভাবছি ঐ উশৃংখল ছেলেমেয়েদের বাবাদের কথা...কামরুল হাসান তাদের কাছে যে বার্তা পাঠালো, তার মর্ম কি তারা বুঝতে পারবে???
সুন্দর লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দুর্দান্ত ভাবনা নিয়াজভাই। আসলে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, আমাদের আশেপাশে অহরহ ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে...প্রায় খোলামেলাভাবেই। এ নিয়ে আমাদের কারও কোনো বিকার নেই। যেনো এটাই স্বাভাবিক। আমরা কেউকেউ সমস্যাগুলো দেখছি, চিন্তা করছি। কিন্তু সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেই। এমনকি পেপারে অনবরত এই ঘটনাগুলোর করুণ পরিণতির অনেক উদাহরণ দেখেও আমরা কেউ সজাগ হচ্ছি না। মুক্তমনা আর ব্যক্তিস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কামনা-লিপ্সার পশুপ্রবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে আমাদের সমাজের উদীয়মান ভবিষ্যত।
হয়তো সকল পরিবারেই কামরুল হাসান থাকেন। কিন্তু সকল কামরুল হাসানের প্রসারিত হাত কি পারে তাদের ছেলে-মেয়েকে এই নোংরামি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে? কিংবা আদৌ কি তারা জানেন তাদের সন্তানরা কোথায় কীভাবে চলছে?
অতীত
গল্প ভালো লেগেছে নিয়াজ ভাই। নতুন প্রজন্ম ক্রমশই বাবা-মা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর বাবা-মায়েরাও দূরে সরে যাচ্ছেন সন্তানদের থেকে। পরস্পরের স্বার্থেই এই দুরত্ব ঘোচানো জরুরি।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
নতুন মন্তব্য করুন