“মানুষ কীভাবে এই শহরে যেত যিকালী?”
“আমার মনে হয় সমুদ্র পথে, মাকুমাজন। তবে আমার ধারনা তোমার ঐ পথে না যাওয়াই ভালো। সমুদ্র পাঁড়ের জলাপথ এখন পার করা অসম্ভব। তোমার পায়ে হেঁটে যাওয়াই তোমার পক্ষে নিরাপদ”
“যিকালী তুমি কেন আমাকে এই অভিযানে পাঠাতে চাও? আমি জানি তুমি উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু কর না।”
“ ওহ , তুমি অত্যন্ত চালাক মাকুমাজন, তোমার দূরদৃষ্টি বেশীরভাগ সাদা মানুষের চাইতে বেশী। আমি তিনটি কারনে চাই তুমি যাও। প্রথমত, কিছু বিষয়ে তোমার মন সন্তুষ্ট হবে আর আমি এতে উপকৃত হব, দ্বিতীয় কারন আমি নিজের মনে সন্তুষ্ট হতে চাই আর তৃতীয় কারন হলো, আমি জানি তুমি নিরাপদে ফিরে আসবে।আর অজানা ভবিষ্যতের দিনে আমার উপকার করবে। তা না হলে আমার এই গল্প তোমাকে কখনো বলাতাম না, তোমার বেঁচে থাকা আমার জন্য অত্যন্ত জরুরী।”
“ ঠিক আছে যিকালী , বল তোমার কি চাই?”
“ওহ দারুন কিছু চাই আমার মাকুমাজন। মাত্র দুটো জিনিস, বাকি জিনিস নিয়ে তোমায় আমি বিরক্ত করব না। প্রথমত সেই শ্বেতাঙ্গ ওঝা বা ডাইনী যাই হোকনা কেন, তাকে নিয়ে আমার এত স্বপ্ন , এত কথা বলা, এসব সত্যি স্বপ্নের চাইতে বেশী কিনা জানতে চাই আর সত্য হলে আমি জানতে পারব আমার যেসব গোপন পরিকল্পনা নিয়ে সারা জীবন কাজ করেছি তা কোন্দিন সার্থক হবে কিনা । ”
“কোন পরিকল্পনা যিকালী? আর আমার এই অভিযানের সাথে তোমার জানার সম্পর্ক কি”
“তুমি ভালো করেই জানো, মাকুমাজন। এটা হলো এমন এক রাজ পরিবারকে ক্ষমতা চ্যুত করার পরিকল্পনা যারা আমাকে প্রচণ্ড তিক্ততা দিয়েছে। এবার বলি কীভাবে তোমার অভিযান আমাকে সাহায্য করবে, তোমাকে কথা দিতে হবে ওখানে গিয়ে রানীকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘সব রাস্তা খোলার লোক’ যিকালী যে বাসনা এতকাল মনের ভিতরে পুষে রেখেছে তা কোন দিন সফল হবে কি?”
“তুমিতো তাকে ভালো করেই জানো, তাহলে তুমি নিজে জিজ্ঞাসা করতে পারো না?”
“জিজ্ঞাসা করা এক জিনিস আর উত্তর পাওয়া এক জিনিস, মাকুমাজন। রাতের আধারে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম , তার উত্তর ছিলো এ রকম ‘এখানে এসো , আমি হয়তো তোমায় বলবো’ আমি উত্তরে বলেছিলাম ‘আমি এক বৃদ্ধ বামন মানুষ, নিজের পায়ে দাড়াতে পারি কোনরকম, তোমার কাছে কীভাবে যাব?’
ঊত্তর পেলাম ‘তাহলে কাউকে দূত করে পাঠাও আর সে যেন সাদা মানুষ হয়। কালো জংলী মানুষ আমি অনেক দেখেছি। আর তার সাথে এমন কোন জিনিস দিয়ে দিও যাতে বোঝা যায় তুমি তাকে দিয়েছ। আর তা যেন শক্তিশালী কিছু হয় যেন তা তাকে পথে বিপদ থেকে রক্ষা করে’
ঠিক এই কথাই স্বপ্নে আমি পেয়েছিলাম মাকুমাজন।”
“তা কি জিনিস দিবে আমায়?”
সে তার ঝোলা আকৃতির পোশাক থেকে অন্ধের মত হাতড়ে বড় দাবার গুটির আকৃতির এক টুকরো হাতির দাঁত বের করে নিলো যার মাঝে এক গর্ত ছিলো আর তার মাঝে ছিলো হাতির লেজের পশম এর বিনুনি। এই বিবর্ণ জিনিসের উপর যিকালী নিশ্বাস ফেলল আর কিছু মন্ত্র পড়ে তার পর তুলে দিলো আমার হাতে দিলো।
আমি অলস ভাবে কবচটাকে হাতে নিলাম। আসলে ওটাকে আমি কবচ বলেই মনে করেছিলাম আর আলোর সামনে নিয়ে ভালো করে দেখছিলাম। হটাত জানি না কি কাওরনে কেপে উঠলাম আর হাতে থেকে ওটা প্রায় পড়ে যাচ্ছিল। কি কারনে এমন হল জানিনা কিন্তু মনে হলো ভিতর থেকে কিছু একটা আমার উপর লাফিয়ে পড়লো, আর সেই সম্য যিকালীও প্রায় কেপে চিৎকার করে উঠলো।
“সাবধান মাকুমাজন, আমি কি আর যুবক আছি যে মাটিতে আছাড় খাওয়া সহ্য করতে পারব?”
আমি জিজ্ঞাসা করলাম “কি বলছ তুমি?” বুড়ো যিকালী যেভাবে প্রায় গুটিসুটি দিয়ে বসে আছে আমার মনে হচ্ছিল কবচটা তারই একটা কেতাদুরস্ত রুপ। সেই গভীর চোখ, বড় মাথা লম্বা চুল আর কুনোব্যাঙ এর আকৃতি।
“ভীষণ চতুর কাজ তাইনা মাকুমাজন? তুমি জানো ঐ বিদ্যায় আমি পটু আর খোঁদাই করা জিনিসটাকে আমার চতুরতা বলতে পার”
“হ্যাঁ আমী জানি” আমি ভাবতে বাধ্য হলাম আগের কোন এক মুহূর্তে যখন তার ম্রত্যর পর এমন এক মূর্তি আমার কাছে এসেছিলো। “কিন্তু এটা কি জিনিস?”
“অনেক যুগ পার করে আমার হাতে এটা এসে পড়েছে, মাকুমাজন, তুমি হয়তো শুনে থাকবে অনেক বড় ওঝারা তাদের মৃত্যর সময় তাদের বুদ্ধি আর অর্জিত জ্ঞান অন্য কোন ওঝা কে দিয়ে যেতে চায় যাতে তার সেই জ্ঞান আর শক্তি হারিয়ে না যায়। আমিও সেই বিদ্যা অর্জন করতে পেরেছি যা এই জিনিসের মালিকের কাছ থেকে এসেছে।”
আমার মনে পড়ে গেল সেই মিসরীয় আর তাদের ‘কা’ মূর্তির কথা, যা আমি বইতে পড়েছি। এগুলো মৃতদের সৃতি সৌধের পাশে। তার কারন ছিল ফিরে আশা আত্মাদের জন্য। যাতে তারা আরো শক্তিশালী হতে পারে।আমি এই বিষয়ে যিকালী কে কিছুই বললাম না কিন্তু ভাবতেই অবাক লাগলো এতো কিছু সে জানলো কীভাবে?
“ মাকুমাজন, শুনে রাখো এটা কীভাবে রাখতে হয়। এটা ঠিক বুকের মাঝে রাখবে। এটা যখন তোমার বুকের মাঝে ঝুলবে , যিকালীর শক্তিও তোমার সাথে থাকবে। যে জ্ঞান আর শক্তি আমার মাঝে ছিলো টা তোমার সাথে সাথী হবে সব সময়। ঠিক যতটা আমার পাশে থাকলে তুমি উপকৃত হতে , ঠিক তততাই হবে তুমি এটার পাশে আর সব বিপদ থেকে তোমায় সতর্ক করবে। মনে রেখো সব যিকালীর প্রতীক যার কাছে থাকে , সবদিকে সবাই তার সামনে মাথা নত করে।”
আমি হেসে বললাম “ কিন্তু এই হাতির দাতের উপর রত্নটা কি?”
“ আমি এটার ব্যাপারে ভুলেই গিয়েছিলাম , মাকুমাজন।আমারই এক পূর্ব পুরুষ যিনি ছিলেন আমারই মতন। তিনি বহু বছর আগে আমাকে এটা দিয়েছিলেন । এটা দেখতে রক্তের মতন , তাইনা মাকুমাজন? দুঃখের বিষয় হলো মামিনা আর বেছে নেই। তোমাকে হয়তো এসব বিষয়ে বলতে পারত সে, কারন তার সৃতি শক্তি ছিলো অসাধারন।” এসব কথা বলতে বলতে যিকালী খুব দ্রুত আর নিখুত ভাবে একটা হাতির চুলের ফিতে আমার মাথার উপর ঘোরাতে লাগলো।
তারাতারি আমি প্রসঙ্গ পাল্টে ফেললাম। আমার মনে হচ্ছিলো এই ভয়ঙ্কর বৃদ্ধ , যে কিনা মামিনার শোকে কাতর, সে কোন এক গোপন উপায়ে আমাকে আঘাত করতে চাইছিলো।
আমি বললাম “তুমি আমাকে একা যেতে বারন করছ এই অভিযানে , আবার সঙ্গী হিসেবে আমাকে দিছো এমন কদাকার এক হাতির দাঁতের টুকরো যা মনে হচ্ছে রক্তে ডোবানো। আমি পারলে এটা আগুনে ছুড়ে ফেলে দিতাম। তাহলে আমি কাকে নিয়ে যাবো?”
“ এমন কোরোনা মাকুমাজন, তুমি বলছ ওটা আগুনে ফেলে দিবে, এখনি আগুনে পোড়ার ইছা নেই আমার। আর তুমি যদি করো তাহলে তুমি অথবা যে ওটা পড়ে থাকবে সে নিজেও আগুনে পুড়ে যাবে । অন্তত তুমি যে এই যাদুর জিনিস এর সাথে মারা যাবে তাতে সন্দেহ নেই। আর নিজের গলা থেকে এটা খোলার চেষ্টা করো না। আর যদি চাও তাহলে একবাড় চেষ্টা কোড়ে দেখতে পারো।”
আমি কিছু চেষ্টা করে দেখলাম কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন এক শক্তি আমাকে যিকালী হাতে ওটা ফেরত দিতে বাঁধা দিয়ে রাখলো। প্রথমে আমার পাইপ হাতের গতিপথ আতকে দিলো, তারপর হাতির চুল গুলো কোটের কলারে আটকে গেলো। হহুকাল আগে একটি সিংহর কামড় খাওয়ার পর থেকে আমার প্রায়ই বাতের ব্যাথা হত, হটাত সেই ব্যাথা আমাকে অচল করে দিত। শেষে আমি চেষ্টাই করা বাদ দিলাম।
যিকালী আমার এই চেষ্টা লক্ষ্য করছিলো এবং হটাত সে ভীষণ অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। পুরো উপত্যকা কেঁপে উঠলো আর পাথুরে দেয়ালে তার প্রতিধ্বনি হতে থাকলো ।
“ মাকুমাজন তুমি জানতে চাইছিলে কাকে নিয়ে যাবে। আমাকে তাকে খুজে দেখতে হবে। এই, আমার ওষুধ গুলো নিয়ে এসো । ”
কুঁড়েঘরের পিছনদিকের অন্ধকার ছায়াথেকে বর্শা হাতে লম্বা চেহারার এক লোক বাঘের চামড়ার থলে নিয়ে এলো। মাথা নিচু করে সম্মান জানিয়ে তার পায়ের কাছে থলে রেখে গেলো। জুলু ভাষায় যা বলল তার মানে “মহান কালো আত্মার প্রভু”।
যিকালী ব্যাগ হাতরে কিছু আঙুলের হাড় বের করলো।
“খুব সাধারন কিন্তু দ্রুত ও কাজের জিনিস, সবাই এটি করে। দেখা যাক কাকে তোমার নেয়া উচিত হবে।”
তার পর সে সেগুলোকে ফু দিয়ে তার জীর্ণ হাতের তালুতে নিয়ে ঝাকালো এবং উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলো। তার ছাইয়ের উপর আঁকা ম্যাপের উপর কোথায় কোন হাড় পড়লো তা সে খুব মনোযোগ সহকারে দেখলো।
“ উমস্লোপোগাস নামের কাউকে তুমি চেন মাকুমাজন? কুড়াল জাতির লোকদের নেতা সে। যাকে বুলালিও বা কসাই বলা হয়। সে যেভাবে কুড়াল চালায় , তাকে কাঠঠকোর ও বলা হয়। সে অত্যন্ত নিষ্ঠুর, কিন্তু রাজকীয় রক্তের এবং সাহসের এবং ধ্বংসাত্মক। সে তোমার সাথে সাথেই রাজকীয় মিত্য পাবে, কোন কিছুই বাঁধা মানবে না।(আবার কিছুক্ষণ হাড় মনোযোগ দিয়ে পড়লো) হ্যাঁ , আমি জানি , কিন্তু এই অভিযানে তা হবে না”
আমি সাবধানে বললাম “ হ্যাঁ আমি তার কথা জানি, সে নাকি জুলুদের মহান রাজা চাকার সন্তান?”
“তাই নাকি? আমি শুনেছি সে নাকি চাকার ভাই ডিঙ্গানের খুনি? আবার এও শুনি সে নাকি জুলুদের সর্ব কালের সেরা সুন্দরী নাদার পদ্মের প্রেমিক। অবশ্য মামিনা নামক তোমার বন্ধু , যার কথা আমি এখনও মনে রেখেছি তার থেকেউ বেশি সুন্দরী হয়ে থাকে । ”
“ নাদার পদ্ম এর কথা আমি কিছুই জানিনা”
“ না না , মাকুমাজন , মামিনার খ্যাতির উপর দিয়ে তার ঝড় বয়ে গিয়েছে, তাই তুমিবা তাকে কেন মনে রাখবে যে বহু আগে মারা গিয়েছে। আর কেনই বা তুমি সব ব্যপারে একজন মহিলা টেনে আনো? আমার মনে হয় তুমি মহিলাদের বেশ ভক্ত যা একজন পুরুষের দুর্বলতা যা তার বিনাশের কারন হতে পারে। যাই হোক আমার মনে হচ্ছে সেই নেকড়ের মত হিংস্র , কুঠার মানব, যোদ্ধা উমস্লোপোগাস তোমার সাথে এই অভিযানে যাবার ভালো সাথী। সে কিন্তু এক অসাধারন অন্যজাতের মহিলা, যার থেকে তোমাকে সাবধান থাকতে হবে। ওহ মাকুমাজন উমস্লোপোগাস তোমার সাথে আসবে কারন লুসটা নামক এক পুরুষ আর মোনাজি নামক এক মেয়ের জন্য, সে তার মেয়েমানুষ কিন্তুতাকে ঘৃণা করে কিন্তু লুসটাকে করে না। আমি প্রায় নিশ্চিত সে তোমার সাথে যাবে তাই তার ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করোনা । ”
“আর কেউ যাবে সাথে?”
যিকালী আবার হাড় গুলোর দিকে তাকালো আর তা ছাইয়ে ঘসতে লাগলো। তারপর হাই তুলে বলল “ মনে হচ্ছে একজন হলুদ চামড়ার সেবক রয়েছে। সে জানে কখন ঘাসের বুকে আড়াল নিতে হয়, আবার কখন হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়তে হয়। সে সাপের মত ধূর্ত। আমি তোমার জায়গায় হলে তাকে নিতাম।”
“যিকালী তুমি ভালোকরেই জানো আমার অমন একজন লোক আছে। হান্স, হটেনটট। খুবই চতুর কিন্তু মাতাল। সে আমার বাবারও সেবা করেছে। খুব বিশ্বস্ত। সে এখন ওয়াগনে আমার রাতের খাবার তৈরি করছে। আর কেউ আছে কি?”
“ নাহ, আমার মনে হয় তোমরা তিন জনই যথেষ্ট যদি কাঠুরে জাতের কিছু যোদ্ধা থাকে। কারন তোমাদের পথে কিছু যুদ্ধ করতে হবে, কিছু ভুতের সাথেও তোমার দেখা হবে। নাদা নামের একটিতো উমস্লোপোগাস বাহুর নিচে সবসময় থাকে। হয়তো তোমার সাথে থাকে বেশ কিছু। যেমন মামিনা নামে একজন ছিলো, যার কথা তোমার পাসে আসলেই আমার মনে পড়ে ।
হটাত এমন হাওয়া শুরু হলো কেন মাকুমাজন? এই সময় তা বড়ই অস্বাভাবিক আর শোন কেমন সোঁ সোঁ করে বইছে আর তোমার চুল উড়িয়ে দিছে। আমার চুল কিন্তু স্বাভাবিক আছে। কিন্ত আমি ভুতের কথা বলছি কেন? তুমি ভুতের সন্ধানে যাচ্ছ বলেই কি? আর এই আমি শুধু কালো ভুত সামলাতে পারি বলেই কি?
শুভ রাত্রি মাকুমাজন, শুভ রাত্রি, আরে ফিরে এসে বলো আমাকে আমার প্রশ্নের উত্তর শ্বেতাঙ্গ রানী কি জবাব দিলেন ।
আর আমার দেয়া জিনিসটা গলায় এমন করে পড়ে থেকো ঠিক যেন কোন প্রেমিক কোন মেয়ের চুল পরে থাকে এই ভেবে যে সে বুঝি তাকে পছন্দ করে । এটা তোমাকে নিরাপত্তা আর ভাগ্য দিবে। ওহঃ কি দারুন এই পৃথিবী , যদি তুমি জানো কোন তার তানলে কাজ হবে। আমি পাই বলেই হয়তো মজাদার। তুমিও হয়তো পাবে মাকুমাজন, এই কাজ শুরু হবার পরে অথবা শেষে।
শুভ রাত্রি মাকুমাজন, আর তোমায় তোমার অভিযানের শুভেচ্ছা জানাই। আর তুমি মেয়েদের ভক্ত হলেও শ্বেতাঙ্গ রানির যেনো প্রেমে পোড়োনা কারন তাতে অন্যরা তোমায় হিংসা করবে আর সে নিজেই অভিসপ্ত, তাকে তুমি তোমার ঝোলায় আনতে পারবে না।
ওঃহো ওঃ হো ! ওহে দাস আমার কম্বল এনে দাও, ঠাণ্ডা বাড়ছে। আর আমার যাদুর জিনিস গুলোও এনো, যা আমাকে রাতের আত্মা থেকে রক্ষা করবে। ওঁরা আজ অনেক এসেছে, মনে হয় মাকুমাজনের সাথেই এসেছে ওঃও ওহো!”
আমি ফেরত আসার জন্য কিছুটা পথ আসলেই যিকালী আমার দিকে ফিরে নিচু গলায় বলল “তোমার যখন উমস্লোপোগাস এর সাথে দেখা হবে তখন এই কথা বল, একটা বাদুর যিকালীর কুড়ের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর লুসটা আন মোনাজি নাম বলছে। সে আরো একজনের নাম বলছে যার নাম উচ্চারণ করা উচিত না। এমন এক হাতির কথা যা পৃথিবী কাপিয়ে দেয়, শুঁড় দিয়ে বাতাসের গন্ধ নিয়ে রেগে যায় আর পাহাড়ের কাছে জন্মানো গাছে দাঁত ঘসতে গিয়ে কাঠঠোকরা কে বের করে আনে। যিকালী মনে করে রাতে পাহারা দিবে এমন কাউকে নিয়ে উত্তরে গেলে ভালো হয়।”
আমি বিচিত্র সব পরিকল্পনা নিয়ে হোঁচট খেতে খেতে ফিরে চললাম।
(চলবে)
হাসান মামুন
মন্তব্য
হে হে যিকালী, মাকুমাজন, উমস্লোপোগাস ...এইবার আপনি ঝাড়ি খাবেন...
চলতে থাকুক--
facebook
এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না। এই অনুবাদের কয়েকটা মারাত্মক সমস্যা আছেঃ
১) বইটার নাম She and Allan । নামটা পরিবর্তন করা দরকার ছিল না।
২) বানান ভুল
৩) নিতান্তই আক্ষরিক অনুবাদ
৪) কোথাও কোথাও ভুল অনুবাদ
জানি ৪নং পয়েন্ট নিয়ে অনুবাদকের আপত্তি থাকবে। তাই উদাহরণ দেইঃ
• ৪র্থ প্যারাঃ
বইতে আছে “First, that you may satisfy your soul on certain matters and I would help you to do so”
I would help you to do so মানে নিশ্চয় “আমি এতে উপকৃত হব” নয়
• ১৩শ প্যারাঃ
বাক্য গঠন নিয়ে কিছু বলছিনা। কিন্তু ২য় লাইনে “এই বিবর্ণ জিনিষ” সঠিক অনুবাদ নয়
“On this article, which was of a rusty brown colour, he breathed, then having whispered to it for a while, handed it to me”
জিনিষটার রঙ ছিল বিবর্ণ বাদামী। কিন্তু অনুবাদক যে শুধু ভুল অনুবাদ করলেন তাই না, একদম ভুলে গেলেন।
পরবর্তীতে যেখানে HRH লিখলেন "Indeed," I said, smiling, "and what is this colour on the ivory?"
অনুবাদক লিখলেন
• “This salute, by the way, was that of a Zulu word which means "Lord" or "Home" of Ghosts.”
• Nada the Lily হয়ে গেল
তবে মূলত অনুবাদের আক্ষরিকতা এবং বাক্য গঠনে দুর্বলতার কারণে মূল উপন্যাসের প্রাঞ্জলতা এবং রস নষ্ট হচ্ছে।
আপনি বরং পরের পর্ব পোস্টানোর আগে সেবা’র অনুবাদ করা “এলান এন্ড দি হোলি ফ্লাওয়ার” একবার পড়ে নিন। সচলের মানের সাথে এটা যাচ্ছে না।
আর যারা এই বইটার রস পেতে চান এই লিংক থেকে ই-বুক নামিয়ে নিন।
ভাই , আপনারেই আমি খুজতাছিলাম, আমি জানি আমি ভয়ংকর ভুল করতাছি কিন্তু কি সেটা নিজের চোখে দরা পরে না। টাই আপনাদের সহয়তা খুজতাছিলাম।
প্রথম পোষ্ট টা এই নামে দিয়ে ফেলায় আর চেঞ্জ করা হয়নি।
ইংলিশ মিডিয়াম পড়তে পড়তে বাংলা বানান প্রায় ভুলেই গেছি। তাই আন্তরিক দুঃখিত।
জি, এইটা আক্ষরিক অনুবাদ। আমি এখনও বুঝতে পারি নাই ভাব অনুবাদ করব না আক্ষরিক। আবার ভাব অনুবাদ কি etiquette সাপোর্ট করে কিনা। এই জিনিস নিয়া চিন্তায় আছি। কেউ বলতাসেও না কি করা উচিত। ২ লেখক এর কাছে গেছিলাম কোন কথাই বলেন নাই। আপ্নারা বললে উপকৃত হইতাম।
না আপত্তি নাই। তয় ব্যাখ্যা আছে।
ইংরেজি আর জুলু ভাষা বাংলা ভাষার মত সাবলীল আর প্রাঞ্জল না। ওদের অনেক কিছু সঠিক বাংলায় অনুবাদ করা যায় না। যেমন
এই কথাটির সঠিক বাংলা কি হবে অনেক খুজেও পাইনি। তাই নাদার পদ্ম লিখেছি।
মহান অথবা ভুতের বাড়ি লিখা ভালো হবে না ভাবনুবাদে “মহান কালো আত্মার প্রভু” ভালো হবে তাই নিয়ে সন্দিহান।
তেমনি জুলুরা আপনি বলে কোন সম্বোধন করে না HRH কিন্তু You ব্যবহার করেছেন। এখানে অনেক কিছু এখন ও বুঝে উঠতে পারি নি। তেমনি এক কথা যিকালির নামের উপাধি , Openers of all road এর উপযুক্ত বাংলা কি হবে হাজার ভেবেও বের করতে পারছি না। এখনে বলেন ইংলিশ তাই কি রেখে দেয়া উচিত? তাও কেউ বলে না। প্রতিষ্ঠিত লেখকরা কোন কথাই বলতে চান না। আমি কি ওদের ভাত মেরে দিতাম?
ভাই, যদি প্রফেশনাল অনুবাদক হইতাম তাইলেতো বল্গ এ দিতাম না। দৌড়াইয়া যাইতাম প্রকাশকের কাছে।
আর
কইলেন ক্যা বুজতাছি না। প্রথম পোষ্ট তাতে কইলে অনেক উপকার হইত আমার। ৩ পার্ট আসার আগেই সব শুধরাই নিতাম।
আর একটা জিনিস
কিছু শব্দ বাদ যাইতাছে। ওইটা একান্তই বয়স গত ভুল। কারন ২ অধ্যায় আমি ক্লাস ১০ এ করেছিলাম তাই টাইপ করে আর কিছু চেঞ্জ করে দিচ্ছি। তখন শুধু এলান কোয়াটারমেইন নামক বইটিই ছিলো। বাকি গুলা থাকলে এই ভুল গুলা হইত না। দুঃখিত এইসবের জন্য।
আর আমার মনে হয় আপনার সাথে আমার ব্যাপক আলোচনা আছে। মড যদি সাপোর্ট করে তাইলে কি ইমেইল টা দিবেন?
হাসান মামুন
আগে আমার সম্পর্কে আপনার একটা ধারণা দূর করি। আমি এমন কেউ নই যে আমাকে খুঁজতে হবে। আমি প্রতিষ্ঠিত লেখক তো দূরে থাক, কোন ধরণের লেখকই না। আমি পাঠক, হার্ডকোর পাঠক। আপনাকে জ্ঞান দেয়ার যোগ্যতা নেই। ভালো-মন্দ, ভুল-নির্ভুল বোঝার চোখটুকু শুধু আছে।
এই যে দেখেন, ইংরেজি শব্দ Hardcore। হাজার মাথা ঠুকলেও এর কোন প্রাঞ্জল বাংলা আপনি পাবেন না। কিন্তু হার্ডকোর শব্দটা দিয়ে আপনি যা বোঝাতে পারবেন, আমার মনে হয় না কোন একক বাংলা শব্দ দিয়ে তা বোঝানো সম্ভব।
তেমনি Nada The Lily বরং আপনি "নাদা দ্য(দি) লিলি" লিখলেই ভাল করবেন। হয়ত আপনি Pro Wrestler (পেশাদার কুস্তিগীর বড়ই হাস্যকর) Bret "The Hitman" Hart'এর নাম শুনেছেন (নাও শুনতে পারেন)। আপনি তো ভাই এই নামের অনুবাদ করতে পারবেন না। যা আছে তাই লিখতে হবে।
দুঃখিত, জানতাম না। আপনি তো এতবড় একটা উপন্যাস অনুবাদ করতে চাইছেন, একটা বাংলা অভিধান পাশে রাখবেন।
কেউ বলতাসে না? আপনি কি সচলে কাউরে জিগাইছিলেন? সচলে তো অনেকেই অনেক অনুবাদ করছেন, এমনকি বিজ্ঞানের খটোমটো অনেক বিষয়েরও অনুবাদ আসে। তাঁদের জিগাইলে তাঁরা কইতেনই কইতেন।
আর লেখক? যাদের নামের সাথে লেখক টাইটেল যোগ হয় তাদের পেছন তো এম্নেই পাইকা যায়। যারতার সাথে কি আর তেনারা সাহিত্যালোচনা করবেন। তেনারা আপ্নারে যা গেলাইবেন আপনার তাই গিলতে হবে।
আমাদের মত People of the Mango যদি আগে আপ্নারে এইসব কইতো, কান দিতেন?
ভাইরে, ভাব অনুবাদ করার মত ভাষাগত দক্ষতা আমার-আপনার আছে বলে মনে হয় না। আপনি যেটা করতে পারেন তা হলো, একেকটা লাইন পড়ার সময় আপনার মনে যেই অর্থটা দাঁড়ায় সেটা একটু সাজিয়ে গুছিয়ে লিখলেন। আক্ষরিক অনুবাদ থেকে ভালো হওয়ার কথা।
এভাবেও কিন্তু লেখা যেতঃ "প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, জুলু শব্দে করা এই অভিবাদনের অর্থ আত্মাদের আধার (আঁধার নয়) বা প্রভু"
এটা কিন্তু ভাবানুবাদ হলো না। বাংলা NatGeo’র মত নিরসও হলো না। সচলের নিয়মিত ব্লগাররা আপনাকে আরো ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।
HRH কি You ছাড়া আর কিছু লিখতে পারতেন? জুলুদের ভাষায়ও হয়তো আপনি শব্দটা নেই। কিন্তু আপনি লিখছেন বাংলায় যেখানে আপনি সম্বোধন আছে। যিকালী’র সাথে এলানের বিদ্রুপাত্মক সম্পর্ক, সম্বোধন তুমি জাতীয়ই হওয়ার কথা। এখানে জুলু বা ইংরেজ মুখ্য বিষয় না। কিন্তু হটেনটট হ্যান্স বা জুলু উমস্লোপগাস মাকুমাজানকে সম্মান করে, শব্দে না কুলালেও সম্বোধন সম্মানবাচক যা বাংলায় আপনিই হবে।
আপনি লিখছেন “সব রাস্তা খোলার লোক”। কিন্তু লিখতে পারতেন “সকল রাস্তা উন্মুক্তকারী”। তেমনি এলানের উপাধি মাকুমাজান যার অর্থ “Watcher by night” যার অর্থ স্রেফ “রাতের অতন্দ্র প্রহরী”।
এতবড় উপন্যাসের মাত্র ৩য় পার্ট, কোন ঘটনাই না।
প্রথমদিকে ত অনেকেই, এমনকি অনেক সচলও অনেককিছু বলেছেন, আপনি তা শুনলেন কতটুকু। আমি, যে কিনা “নিরন্তর পাঠকারী্" শুধু আপনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালাম ভুল কোথায়। আর আমি একটু চাঁছাছোলা কথা বলে অভ্যস্ত। আমি যখন আমার প্রথম অনুবাদ প্রচেষ্টা চালাবো, এই রকম অজস্র ভুল আমারও হবে। আশা করবো আপ্নারাও আমার চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখাবেন।
আমি আপনার যেই ভুলটা দেখিয়েছি সেটা কিন্তু মারাত্মক। তালিসমানটার বর্ণনা দেয়ার সময় খুঁটিনাটির দিকে যে একটু খেয়াল করতে হবে। “বিবর্ণ বাদামী রঙের হাতির দাঁত যার রঙটা বহুদিনের শুকনো রক্তের মত” আর “বিবর্ণ হাতির দাঁত যার গায়ে একটি রত্ন আছে যেটা রক্ত রঙের”, এ দুই বর্ণনার মাঝে পার্থক্য নিশ্চয় ধরতে পারছেন।
আমার সাথে আলোচনা করে আপনি আসলে কিছু শিখতে পারবেন না, অত জ্ঞান আমার নেই। যেটুকু বললাম এটুকুই সামর্থ্য। আপনার তো অনুবাদ করার সাহসটুকু আছে, আমার তাও নেই।
আবারও অনেক বেশী বলে ফেললাম। জ্ঞান নয় ভাই পরামর্শ। এলান আমার খুব প্রিয় চরিত্র। অনেক আশা নিয়ে ভালো অনুবাদ পড়তে এসেছিলাম। আশাহত করবেন না প্লিজ। শেষে না আবার আমিই আরেকটা উপ্পন্যাসের অনুবাদে নেমে যাই। ভালো থাকবেন, ভালো লিখবেন।
হার্ডকোরের প্রাঞ্জল বাংলা কি "একনিষ্ঠ" হতে পারে?
হিমু ভাই লজ্জা দিলেন। ভাবতে পারিনি আপনার মনোযোগ কাড়তে পারবো। কথা বোধহয় একটু বেশি বলে ফেলেছি।
একনিষ্ঠতা বা একাগ্রতা দিয়ে কি আসলেই হার্ডকোর বোঝানো যায়? আসলে ইংরেজি আর বাংলার ভাষা গঠনের ভিন্নতার কারণে এই ঝামেলাটুকু হয় এবং হবেই।
আমি যতটুকু বুঝি, আমি তখন হার্ডকোর যখন একদিন না পড়তে পারলে আমার ভাত হজম হয় না বা ঘুম আসে না। কিন্তু একনিষ্ঠ তো বোধহয় loyal. দুইটা কি এক জিনিষ? Dimensional difference তো বোধহয় থেকেই যায়।
তবে Nada the Lily'র বাংলা বোধহয় না করাটাই ভালো, তাইনা?
নেশাসক্ত পাঠক ?
আমি কিন্তু মোটেও লজ্জা দিতে চাইছি না, পরিভাষা নিয়ে আমার একটা বাড়াবাড়ি আগ্রহ আছে, কোথাও পরিভাষা নিয়ে আলাপ হচ্ছে দেখতে পেলেই আমি গিয়ে আমার অযাচিত বামহাতটা কাজে লাগিয়ে ফেলি।
হার্ডকোর "একটা কিছু" হতে চাইলে একনিষ্ঠতা থাকতে হবে, কিন্তু একনিষ্ঠ মাত্রেই হার্ডকোর নয়, এমন একটা পরিস্থিতি বোধহয় সম্ভব। সেক্ষেত্রে আরেকটা বিকল্প হতে পারে অন্তপ্রাণ। যেমন ধরুন, দবীর একজন হার্ডকোর সচল পাঠক, এটাকে দবীর সচল-অন্তপ্রাণ পাঠক বলা যেতে পারে।
চলতি বাংলায় বোধহয় হার্ডকোর হচ্ছে "কষা"। অমুক কর্ষা বার্সেলোনা ফ্যান, তমুক কষা হুমায়ূন আহমেদ ভক্ত, এরকম। তবে কষা শব্দটা কুলীন নয়, একটা আঁষটে শৌচ ভাব সাথে জড়ানো বলে। হার্ডকোরের আক্ষরিক অনুবাদ অবশ্য কিছু করা যায়, যেমন কঠোরাঁটি, কিংবা শক্তশাঁস, কিংবা বজ্রবিচি ...।
নাদা দি লিলির বাংলা মনে হয় আসলেই হয় না (নাদা পদ্মের ন্যায়, পদ্মনাদা বলতে গেলে শুরুতেই শুকনায় পিছলা খেতে হবে), তাই এক্ষেত্রে অনুবাদক নাদার এই বৈশিষ্ট্যটাকে শুরুতে একবার ভেঙে জানিয়ে দিতে পারেন পাঠককে, তারপর বাকিটা সময় কেবল নাদা ব্যবহার করতে পারেন (আমি লেখাটা পড়িনি, নাদা কি কোনো মেয়ে? নাকি আসলেই পদ্ম?), মাঝেমধ্যে তাকে যে পদ্মের সাথে তুলনা দেয়া হয় সেটা দুয়েকবার আলগোছে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন।
তবে আক্ষরিক অনুবাদের রাস্তাটা খুবই সংকীর্ণ। ভাবানুবাদ বা ছায়ানুবাদ পড়তেই বেশি আরাম লাগে।
আপনার শ্রমসাধ্য ফিডব্যাকের জন্যে ধন্যবাদ জানবেন। এটার প্রয়োজন ছিলো, সামনেও থাকবে।
কঠোরাঁটি, কিংবা শক্তশাঁস, কিংবা বজ্রবিচি ...। =)) =))
আপনার এই অযাচিত বামহাতটা যে আমার মত সচল-অন্তপ্রাণ পাঠকের কত প্রিয় তা যদি জানতেন। এই যেমন আমার এখন মনে হচ্ছে, একেবারে ফালতু বকবক করিনি, কিছু সারবস্তুও ছিলো।
অন্তপ্রাণ শব্দটা বেশ মনে ধরলো। আমিতো লেখালেখি করি না, চট করে আমি এই রকম পরিভাষা মনেও করতে পারি না। আমার মনে হয় আরো অনেকেই হার্ডকোর শব্দের অর্থ খুঁজে গলদ্ঘর্ম হয়েছে।
"নাদা দি লিলি" হেনরী সাহেবের আরেকটি উপন্যাসের নাম এবং একই সাথে সেই উপন্যাসের প্রাণকেন্দ্র (একটু বেশিই পারিভাষীক হয়ে যাচ্ছি)। আধা পর্তুগীজ, আধা জুলু। কাহিনীতে বলা হয়েছে নাদা'র চাইতে সুন্দরী কোন জুলু মেয়ে কখনো জন্মায়নি। আর যেহেতু একটা উপাধী দেয়া জুলুদের অভ্যাস, নাদা'র সৌন্দর্য্যের কারণে তাকে সবাই বলতো নাদা দি লিলি।
হেনরী সাহেবের সব উপন্যাসই প্রায় স্বতন্ত্র। কিন্তু মাসুদ রানা'র গল্পগুলোর মত কিছু চরিত্র, কিছু ঘটনা মাঝে মাঝে চলে আসে।
আসলে তাই করা উচিত। যেমন এই কাহিনীতে নাদা'র কথা আরও দুয়েকবার আসবে। এখন অনুবাদক যদি পরিমার্জন করে দেন, তবে ভবিষ্যত পাঠকদের আর এই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়না। কিন্তু স্রেফ অতিথী হওয়াতে বোধহয় তা তিনি করতে পারবেন না।
এটার আর দরকার হবে না। নাদা এই কাহিনীতে শুধুই রেফারেন্স।
আমিও এটাই বলছিলাম।
অনেক ধন্যবাদ আমার মন্তব্যে সময় দেয়ার জন্য।
চণ্ডীশীরা'র অপেক্ষায় রইলাম।(পপ্পন)
আরে, দারুন অনুবাদ করেছেন তো ! সহজ অথচ লাগসই।
হিমু ভাইয়ের দেয়া অর্থটার চাইতে কাছাকাছি আর কোন বাংলা শব্দ যাবেনা সম্ভবত। এই কারণেই তো উনি হিমু ভাই। সর্বদা হাজির জবাব।
যেই সকল প্শ্নের উত্তর খুজতাছিলাম তার ৬০ ভাগের উত্তর পাইয়া গেলাম।
হাসান মামুন
আগুন-
মন্তব্য পড়লাম। মজা পাইসি। অনেক কিছু জানলাম, যা আমার কোন কাজেই আসবে না।
আপনি না হয় মজা পাওয়াটাকেই একটা কাজ হিসেবে নেন।
নতুন মন্তব্য করুন