অবশেষে কবিতার ছন্দ ও মিল নিয়ে লিখতে বসলাম। শুরুতেই অকপটে বলতে চাই, এ বিষয়ে লিখবার জন্যে যে ন্যুনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার চিলতেটুকুও আমার নেই। আমি জানি এই সচলায়তনেই অনেক বাঘা বাঘা ছন্দ বিশারদ আছেন যাঁদের কাছে এই লেখা নিতান্তই কৈশোরসুলভ ঠেকবে। তবু লিখছি। কারণ দুটো। প্রথমটি হলো, পাঠক ও লিখিয়েদের মধ্যে যারা এ বিষয়ে আগ্রহী তাদের জন্য একটা দিলখোলা মিথস্ক্রিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর দ্বিতীয়টি হলো, যাঁরা এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন, অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যাঁদের সঞ্চয় পর্যাপ্ত, তাদের কাছ থেকে নিজের ভুল-ভ্রান্তিগুলো শুধরে নেবার একটা সুযোগ তো পাওয়া যাবে। তাই শুরুতেই সবার কাছ থেকে অভয় ও সহযোগিতা চেয়ে নিয়ে শুরু করছি।
ভাব প্রকাশের জন্য মানুষকে কথা বলতে হয়। যুতসই প্রকাশের স্বার্থে আমাদের কোন কোন কথা আছে যা আমরা বলতে চাই দ্রুতলয়ে, কোনটি মধ্যলয়ে, কোনটি ধীরলয়ে, আবার কোনটি এলোমেলোভাবে। কবিতায় আমরা যে কথা বলতে চাই, তার মেজাজকে যদি ঠিক ঠিক ফুটিয়ে তুলতে হয়, তবে বলার ভঙ্গীটির উপর গুরুত্বারোপ করাটা খুব জরুরী হয়ে পড়ে। আমার মনে হয়, কবিতায় ছন্দ ও মিলের ব্যাপারটি এসেছে এখান থেকেই।
মোটা দাগে বাংলা কবিতার তিন সনাতনী ছন্দ। অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত। এদের নাম চেনার চাইতে যেহেতু স্বভাব চিনতেই আমরা বেশি আগ্রহী তাই নামকরণের সাত-কাসুন্দি ঘেঁটে আলোচনা দীর্ঘায়ত করবো না। তবে মন্তব্যে এ সুযোগ অবারিত থাকলো। এই তিন ছন্দ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা যদি শেষতক হালে পানি পায়, তাহলে না হয় এদের ছন্দ ও ছন্দ-মুক্তির আরো কিছু বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।
আমাদের সময় ছিল আনা ও সেরের সময়। এখন হিসাব হয় মেট্রিক পদ্ধতিতে। মিটার, কিলোগ্রাম, লিটারে। কবিতায় কথা বলার ক্ষেত্রে ভ্রুতলয়ে, মধ্যলয়ে কিংবা ধীরলয়ে যেভাবে বললে যুতসই হয় হোক, বলার ধরনেরও তো এমনই একটা পরিমাপ থাকা চাই, একটা পরিমাপের একক থাকা চাই। এই একককেই আমরা বলি মাত্রা। সিজিএস, এফপিএস আর এমকেএস পদ্ধতিতে যেমন এককগুলো ভিন্ন, তেমনিভাবে অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্তেও মাত্রাগুলি ভিন্ন ভিন্ন।
প্রথমে মাত্রাবৃত্ত নিয়ে আলোচনা করি। এর পেছনে দুটো কারণ আছে। এক, আমার কাছে মাত্রাবৃত্তের চালচলনকেই সবচেয়ে সহজ লাগে। দুই, সচলে পোষ্টানো আমার প্রথম প্রচেষ্টাটি এই ছন্দে। আসুন তবে মাত্রাবৃত্তের মাত্রা মাপার কৌশলগুলি জেনে নিই।
১। মাত্রাবৃত্তের সহজিয়া স্বভাবটি হলো এখানে এক অক্ষর পাবে এক মাত্রা। উদাহরণ দিই,
বনলতা=ব+ন+ল+তা=৪ মাত্রা।
২। যুক্তাক্ষর পাবে দু’মাত্রা। তবে দুটি শর্ত আছে। এক, যদি সেটি শব্দের মধ্যে কিম্বা শেষে থাকে, দুই, যদি সেই যুক্তাক্ষরের ঠিক আগের বর্ণটিতে হসন্ত না থাকে। উদাহরণ,
ছন্দ=ছ+ন+দ=৩ মাত্রা।
অক্ষর=অ+খ+খ+র=৪ মাত্রা (এই সেরেছে, এইবার মনে হয় আবারো টেঁসকে গেছি। ধ্বনি, বর্ণ ও অক্ষরের মধ্যে পার্থক্যকে সিকেয় তুলে রাখা যাক, ছন্দের আলোচনায় আপাতত তার প্রয়োজন নেই)।
ক্লাশ=ক্লা+শ=২ মাত্রা (শব্দের প্রথমে যুক্তাক্ষর)।
এই পর্যায়ে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘কবিতার ক্লাস’ থেকে চয়ন না করে পারলাম না,
ছন্দের গুঁতো খেয়ে পোড়োদের হায়
চোখ দিয়ে অবিরল অশ্রু গড়ায়।
কহে কবিকঙ্কণ, কান্না থামাও,
ক্লাস থেকে মানে মানে চম্পট দাও।
যুক্তাক্ষরকে যদি ভেঙে ভেঙে লিখি, তাহলে চেহারা দাঁড়ায় এরকম,
“ছন্ দের গুঁতো খেয়ে পোড়োদের হায়
চোখ দিয়ে অবিরল অশ্ রু গড়ায়।
কহে কবিকংকণ, কান্ না থামাও,
ক্লাস থেকে মানে মানে চমপট দাও।
লক্ষ্য করুন, সব যুক্তাক্ষর ভেঙে দিতে পারলেও ‘ক্লাশ’-এর ‘ক্লা’-কে কিন্তু ভাঙতে পারিনি, শব্দের প্রথমে যে! মাত্রাবৃত্তের বেলায় বিযুক্ত হস-বর্ণগুলো মাত্রার মূল্য তো পায়-ই তদুপরি যে সব হস-বর্ণ যুক্তাক্ষরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে সেগুলিও ঠিক ঠিক মাত্রা আদায় করে নেয়।
৩। ব-ফলা, য-ফলা, র-ফলা শব্দের শুরুতে থাকলে মাত্রা পাবে না কিন্তু শব্দের ভেতরে কিম্বা শেষে থাকলে মাত্রা আদায় করে নেবে। ঋ-কার কোন মাত্রা পাবে না।
স্বাধীনতা=স্বা+ধী+ন+তা=৪ মাত্রা (শব্দের শুরুতে থাকায় ব-ফলা মাত্রা পেল না)।
আস্বাদ=আ+স+সা+দ=৪ মাত্রা (শব্দের মধ্যে থাকায় ব-ফলা দেখছি মাত্রা আদায় করে ছাড়ছে)।
রাজস্ব=রা+জ+স+স=৪ মাত্রা (শব্দের শেষে থাকায় ব-ফলা মাত্রা পাচ্ছে)।
ভ্রমণ=ভ্র+ম+ণ= ৩ মাত্রা (শব্দের শুরুতে থাকায় র-ফলা কোন মাত্রা আদায় করে নিতে পারল না)।
অগ্রহায়ণ=অ+গ+র+হা+য়+ণ=৫ মাত্রা (শব্দের মধ্যে থাকায় র-ফলা জেদি মেয়ের মত মাত্রা আদায় করে নিলো)।
ব্যাঘ্র=ব্যা+ঘ+রো=৩ মাত্রা (শব্দের শেষে থাকায় র-ফলা মাত্রা পেল)।
বৃষ্টি=বৃ+ষ+টি= ৩ মাত্রা (লক্ষ্য করুন, ঋ-কার কোন মাত্রা আদায় করে নিতে পারলো না)।
আবৃত= আ+বৃ+ত=৩ মাত্রা (ঋ-কার কোন মাত্রা পেল না।)
৪। মাত্রাবৃত্তের সুখ শব্দের বিশ্লেষে, তাই শব্দে যুক্তাক্ষর ঢুকিয়ে দিলে সে উদার হয়ে মাত্রা দিয়ে দেবে।
দুর্দান্ত=দু+র+দা+ন+ত=৫ মাত্রা।
সিদ্ধান্ত=সি+দ+ধা+ন+ত=৫ মাত্রা।
সান্ত্বনা=সা+ন+ত্ব+না=৪ মাত্রা।
তেমনি মাত্রা বিচারে ‘ডাক্তার’ হয় ‘ডাকতার’, ‘সার্জন’ হয় ‘সারজন’।
পাঠকের কাছে প্রশ্ন : ‘মৈত্রী’ শব্দটি কয় মাত্রা পাবে? শব্দটির বিশ্লেষ ম+ই+ত+রী নাকি মই+ত+রী হবে?
৫। কোন শব্দের মাঝে বা শেষে যুক্তাক্ষর থাকাও সত্ত্বেও যদি পূর্ববর্তী বর্ণটিতে হসন্ত থাকে তবে যুক্তাক্ষরটি এক মাত্রা পাবে।
‘আশ্লেষ’ ও ‘সংশ্লেষ’ এ দু’টি শব্দের মাত্রা বিচার করি। ‘আশ্লেষ’ শব্দের ‘শ্লে’ আর ‘সংশ্লেষ’ শব্দের ‘শ্লে’ মাত্রাবৃত্তের বিচারে দুইরকম মাত্রা পাবে। কারণ, ‘আশ্লেষ’ শব্দের ‘শ্লে’ যুক্তাক্ষরের আগে হস-বর্ণ নেই তাই ঠিকই সে দুই মাত্রা আদায় করে নেবে। কিন্তু ‘সংশ্লেষ’ শব্দের ‘শ্লে’ যুক্তাক্ষরের পূর্বে হস-বর্ণ আছে তাই তাকে এক মাত্রা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। সুতরাং,
আ+শ্লে+ষ=আ+স+লে+ষ=৪ মাত্রা।
সং+শ্লে+ষ=স+ন+শ্লে+ষ=৪ মাত্রা।
পরিশেষে পিঠে বালিশ বেঁধে নিতে চাই। আমি জানি ছন্দ বিচারে চোখের চাইতে কানের উপর নির্ভর করতে হয় বেশী। তাই মাত্রাবৃত্তের মাত্রা পরিমাপের আলোচনায় হয়ত অক্ষর বিচারের চাইতে ধ্বনি বিচারই শ্রেয় হত, যথাযথ হত। কিন্তু আমি আলোচনার শুরুতেই ধ্বনিবিচারের ভারে পাঠককে ভারাক্রান্ত করে তুলতে চাই নি। আলোচনা শুরু করতে চেয়েছি একটি চেনা জগত থেকে। সকলেই তো অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন। তাই অক্ষর দিয়েই শুরু করতে চেয়েছি এই আলোচনা। স্বরবৃত্তের আলোচনায় যখন যাব, তখন হয়ত ধ্বনিকে এড়িয়ে যাবার কোন উপায় থাকবে না। সে সময় আবার না হয় মাত্রাবৃত্তকে ধ্বনির বিচারে বাজিয়ে দেখা যাবে।
স্বাধীনতা তুমি/
রবি ঠাকুরের/ অজর কবিতা/ অবিনাশী গান/
স্বাধীনতা তুমি/
কাজী নজরুল/ ঝাঁকড়া চুলের/ বাবরি দোলানো/
মহান পুরুষ,/ সৃষ্টিসুখের/ উল্লাসে কাঁপা-/
স্বাধীনতা তুমি/
শহীদ মিনারে/ অমর একুশে/ ফেব্রুয়ারির/ উজ্জ্বল সভা/
স্বাধীনতা তুমি/
পতাকা-শোভিত/ শ্লোগান-মুখর/ ঝাঁঝালো মিছিল।/
এই যে উপরের কবিতাটিকে ভাগ ভাগ করে দেখালাম, এই এক একটি ভাগকে আমরা বলি ‘পর্ব’।
এবার দেখি প্রতিটি পর্বে কটি করে মাত্রা আছে। মাত্রাবৃত্তের মাত্রা গণনার নিয়ম মনে আছে তো? হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, অক্ষর গুনে গুনে মাত্রা, যুক্তাক্ষর দু’মাত্রা যদি না তা শব্দের শুরুতে হয়।
স্বা+ধী+ন+তা=৪ তু+মি=২/
র+বি=২ ঠা+কু+রে+র=৪/ অ+জ+র=৩ ক+বি+তা=৩/ অ+বি+না+শী=৪ গা+ন=৪/
একেই আমরা লিখি ৬+৬+৬+৬ অর্থাৎ প্রতি পর্বে ৬ টি করে মাত্রা। এই ছয়ের চালটি হলো মাত্রাবৃত্তের সবচেয়ে মধুর চাল। মাত্রাবৃত্তের চাল সাকুল্যে চার রকমের। চার, পাঁচ, ছয় ও সাত মাত্রার চাল। অনেক সময় জিরিয়ে নেবার প্রয়োজনে অসম্পূর্ণ পর্বও থাকতে পারে।
এই ব্লগে প্রকাশিত ‘মাত্রাবৃত্ত ভালোবাসা’ কবিতাটির প্রথম স্তবকটি দেখি,
আমি আর/ ভালোবাসা/ আজন্ম/ সহোদর/
চেনা চেনা/ উঠোনেই/ দুজনের/ বাড়িঘর।/
(শেখ নজরুল, ‘মাত্রাবৃত্ত ভালোবাসা’)
মানে, এর পর্ব বিন্যাস ৪+৪+৪+৪, চালটা ৪ মাত্রার চারটি সম্পূর্ণ পর্বের।
দুয়ার এঁটে/ ঘুমিয়ে আছে/ পাড়া
কেবল শুনি/ রাতের কড়া/ নাড়া/
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়, অবনী বাড়ি আছো?)
বুঝাই যাচ্ছে, এর পর্ব বিন্যাস ৫+৫+২। পাঁচ মাত্রার দুটি সম্পূর্ণ পর্ব আর দুই মাত্রার একটি অসম্পূর্ণ পর্ব।
এই ব্লগে প্রকাশিত ‘মাতালের গান’ কবিতাটির দ্বিতীয় স্তবকটি দেখি,
বিবমিষাময়/ ক্লান্ত নগরে/
রজনীর চুল/ যতো,/
তারও চেয়ে ঢের/ গিলেছো পাঁচন/
রমনদূতের/ মতো।
(সুমন তুরহান, ‘মাতালের গান’)
হ্যাঁ, ঠিক ঠিক বলে দিয়েছেন, ছয়ের চালে মাত্রা বিন্যাস ৬+৬+৬+২।
সুমনের হাতে মাত্রাবৃত্ত কিন্তু দারুণ খেলে। এই দেখুন তার নমুনা,
তুমি তো এখানে/ স্মৃতি শুধু নও,/ বাস্তবে আশা/তীত,
তোমার উনুনে/ অঙ্গার হোক/ এবার আমার/ শীত।
শেকড় যেখানে/ সেখানে ফিরছি/ নভেম্বরের/ রোদে,
মেটে শালিকের/ বেনোজলে ভেসে/ খেয়ালি ক্লান্ত/ বোধে।
কিছু ভালোবাসা,/ কিছু অভিমান,/ কিছু উষ্ণতা/ নিতে,
তোমার কাছেই/ আসছি আবার/ ডিসেম্বরের/ শীতে।
সীমান্তরেখা/ আসছি পেরিয়ে/ অপরূপ বন/ভূমি,
তোমার ভেতরে/ আমার জন্ম,/ আমার ভেতরে/ তুমি।
(সুমন তুরহান, ‘ডিসেম্বর’)
এই ব্লগে প্রকাশিত ‘বাড়ী ফেরা’ কবিতাটির প্রথম স্তবকটি দেখি।
দু’দিনের ছুটি,/ হাতে গোনা ক'টি/ টাকা/
যেতে হবে বাড়ী/ বিকেলের ট্রেন/ ধরে/
হাতে চিঠি ধরা/ বুকের ভেতর/ ফাঁকা
মা যে লিখেছেন/ কাঁপা কাঁপা অক্ষরে
বাবা তোকে খুব/ দেখতে ইচ্ছে/ করে
(রোমেল চৌধুরী, ‘বাড়ী ফেরা’)
বুঝতে পারছি, এর পর্ব বিন্যাস ৬+৬+২। কিন্তু দুর্বলতাটুকু লক্ষ্য করুন, চার নম্বর অক্ষর শব্দটি ছিঁড়ে-কেটে দু’টি পর্বের মাঝে ভাগ করে দিতে হচ্ছে। এমন বেজায়গায় ভাঙা এড়িয়ে যাওয়াই সমীচীন।
মাত্রাবৃত্তে যে রীতিতে যুক্তাক্ষরকে ভেঙে ভেঙে পড়তে হচ্ছে, বাংলা কবিতায় আগে সেটি ছিল না। রবীন্দ্রনাথ এই নতুন রীতির প্রবর্তনা ঘটিয়েছিলেন তাঁর ‘মানসী’ কাব্যগ্রন্থে। মাত্রাবৃত্তকে যারা গভীরভাবে চিনতে চান তাদের জন্য এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করা খুবই ফলদায়ক। সেখান থেকেই আমরা সাত মাত্রার মাত্রাবৃত্তের উদাহরণ দেব,
ছিলাম নিশিদিন/ আশাহীন প্রবাসী
বিরহতপোবনে/ আনমনে উদাসী।
আঁধারে আলো মিশে/ দিশে দিশে খেলিত;/
অটবী বায়ুবশে/ উঠিত সে উছাসি।/
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘বিরহানন্দ’)
মাত্রাবৃত্তের আলোচনা এ পর্যন্তই। পাঠক চাইলে এরপর অক্ষরবৃত্তের আলোচনায় যাবার ইচ্ছে রইল।
মন্তব্য
আজকের মত বিদায় বলেছিলাম সচলায়তনকে, রীতিমত হ্যাঁচকা টানে ফিরিয়ে আনলেন!
অনুরোধ রাখার জন্য ধন্যবাদ। সচলায়তনে এমন একটা লেখা চাইছিলাম অনেক দিন ধরে।
পড়ে গেলাম, আবার পড়ব। প্রশ্ন থাকলেও ফিরে এসে করব, কথা দিয়ে গেলাম।
মৈত্রী মনে হচ্ছে ৩ মাত্রার (মঈ+ত+রী)! ভুল হল? :-|
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নিয়ম ধরে ধরে এগোই,
১। 'ঐ' আর 'ঔ' এ দু'টি যুক্তস্বর শব্দের শুরুতে-মধ্যে-শেষে যেখানেই থাক না কেন মাত্রাবৃত্তে 'ওই' আর 'ওউ' রূপে বিশ্লিষ্ট হয়ে ঠিকই ২ মাত্রা আদায় করে নেবে।
২। আবার শব্দের শেষে যুক্তাক্ষর, যুক্তাক্ষরের পূর্বে হস-বর্ণও নেই, থাকলে সেটি পাচ্ছে ২ মাত্রা।
তাহলে কি দাঁড়ালো, 'মৈ' পাচ্ছে ২ মাত্রা, 'ত্রী'ও পাচ্ছে ২ মাত্রা। মোট, ৪ মাত্রা, ঠিক?
না জনাব, ভুল। ঐ যে কথা আছে না, অতি লোভে তাতী নষ্ট। উভয়ের কাড়াকাড়ির কারণে ১ মাত্রা মারা পড়ছে আর তাই 'মৈত্রী' হলেও বেচারার কপালে জুটছে ৩ মাত্রাই। তাই তো বলে, 'ছন্দের বিচারে চোখের চাইতে কানই বড় হাকিম'। 'মৈত্রী'একটু লম্বা করে উচ্চারণ করুন আর কান পেতে শুনুন, নিজেই বুঝতে পারবেন চারমাত্রা পর্যন্ত এলিয়ে দিতে পারছেন না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর আলোচনা পড়ে কত যে উপকৃত হয়েছি
আপনার আলোচনাও বেশ লাগলো।
এখানে বন্ধুদের জন্যে তিন ছন্দের নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকৃত অনন্য নমুনা তিনটি দিয়ে যাই :
রসালো চরণগুলো চয়ন করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! বইটি খুবই মজাদার ও কাজের। আর দামও খুবই কম, আজিজে এখনও ১০০ টাকাতেই বিকোচ্ছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনি লিখে যান রোমেল ভাই! পাঠকের দিকে না তাকিয়ে আপনি লেখতে থাকুনতো, পাঠক সময়ে এসে ঠিক দেখে নেবে!
উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ, তানিম!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ছন্দে ছন্দে অনেক কিছুই শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ! বিশ্বাস করবেন কি, লিখতে লিখতে আমিও অনেক শিখেছি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুব প্রয়োজনীয় একটি প্রয়াস। অত্যন্ত সাবলীল আর সুলিখিত হয়েছে।
মাত্রাবৃত্তের সব খুঁটিনাটিই চলে এসেছে।
আমি এই বৃত্তে বিশ্লেষণের সময় উচ্চারণ এককের সাহায্য নেই, যুক্তাক্ষর/মুক্তাক্ষর বিশেষ ভাবে না চিন্তা করে।
যুক্(২) তাক্(২) খোর্(২)
মৈত্(২) ত্রী(১)
আর পঙ্ক্তি চয়ন গুলো দারুণ আর যথার্থ হয়েছে। পরবর্তী পর্ব দ্রুত চাই।
_____________________
Give Her Freedom!
তুমি সিলেবল ধরে ধরে মাত্রা বিচার করেছ। এটিই নিখুঁত পদ্ধতি। কিন্তু আমি প্রথমেই পাঠককে সিলেবল বুঝাতে গিয়ে ভড়কে দিতে চাইছিলাম না। তাই অক্ষর ধরে ধরে মাত্রা গুনবার নিয়মকেই বেছে নিয়েছি।
ঠিক, ঠিক। নিয়মটা হলো, মাত্রাবৃত্তে ক্লোজড সিলেবল পায় দুইমাত্রা আর ওপেন সিলেবল একমাত্রা।
তোমায় ডাবল প্রমোশন দেবার সুপারিশ করি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ঠিক ভাইয়া এটাতো মূলত সাধারণ পাঠকদের জন্যও। সেক্ষেত্রে দুটো বিশ্লেষণই রাখা যায় কী না, পাঠকদের জন্য সহজ উপায়ও থাকলো আবার উচ্চরণগত উপায়টিও থাকলো, কেমন হয়? কলেবর আর পরিশ্রম বাড়বে, সেক্ষেত্রে অনুরোধ করছি না।
ডাবল প্রমোশন পেয়েছি এত সহজে? আপনার মতো শিক্ষকই যদি সবসময় পেতাম!!! তবে আর চিন্তা থাকতো না।
_____________________
Give Her Freedom!
কাজে লাগবে আশা করি। থাঙ্কু
কাজে লাগলে প্রীত হবো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দারুণ
facebook
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ক্লাশ করলাম... অনেক বছর পর।
ক্লান্তি লাগলো...
কিন্তু কি আর করা..
ক্লাশ না করে উপায় কি?
ক্লাশটা ক্লিশে হয়ে গেছে, তাই না? তবু থাকুন, ভরসা পাই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ছন্দ, মাত্রা বুঝিনা
আরে এজন্য আবার মন খারাপ করতে হয় নাকি! হাসুন তো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কবিতাপ্রেমিদের জন্য আর্কাইভ করে রাখার মতো একটা পোষ্ট। আমি মাঝে মাঝে কবিতা পড়ি, কিন্তু ছন্দমাত্রার কোন জ্ঞান নেই। কেবল তালটা ভালো পেলেই কবিতায় মেতে যাই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের একটি কবিতায় ছন্দের অপূর্ব কারুকাজ দেখে সমসাময়িক ক'জন কবি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, কিভাবে সেটি সম্ভব হলো। মুখার্জী বাবু উত্তরে কি বলেছিলেন, জানেন? বলেছিলেন, "কি জানি বাপু, আমি তো তোমাদের মতো অত ছন্দ-টন্দ বুঝিনে, ধোপার বাড়ির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলুম, মন লাগিয়ে কাপড় ধোয়ার ধপ ধপ আওয়াজ শুনলুম, আর তাই তুলে আনলুম কবিতায়!"
এবার ভাবুন, শিখে পড়ে অল্পই হয়, প্রতিভাই শেষতক কিস্তিমাত করে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নিজে আমি নিতান্তই ছন্দহীন মানুষ, কথায়-কাজে-লেখায়। মাঝে মাঝে ভাবি, ছন্দের হাত ছেড়ে দেয়াতেই হয়ত আজ আমার এ দশা। তবু ছন্দের মোহ এখনো যে কাটিয়ে উঠতে পারিনি, আপনার লেখাটা পড়ে আজ উপলব্ধিটা আরো গাঢ় হল। আসলেও অনেক কিছু শিখলাম। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
----------
ফারাবী
আপনার মন্তব্যে যে আন্তরিকতাটুকু দেখালেন তা আমার পথ চলার প্রেরণা হয়ে রইল!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ছন্দকথনের এই ছন্দময় স্বাচ্ছন্দ্য অতীব পছন্দ হইলো রোমেল ভাই। চলতে থাকুক এই ছন্দলয় আপন ছন্দে।
অতীত
সুন্দর মন্তব্য, চমৎকৃত করলো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই চমৎকার লেখা, আর লিখেছেন বেশ সহজ করে। মর্ম ভাইএর উত্তর আর আপনার প্রতিউত্তর দেখার আগেই কিন্তু আমার মনে হয়েছে মৈত্রী=৩। রোমেল ভাই ক্ষ=ক+ষ নয়? আপনার ভুল ধরার জন্যে নয় নিজের জানাটা শুধ্রে নেওয়ার জন্যে। লেখার শেষে এসে গুলিয়ে ফেললাম সব। একটা কথাই শুধু মনে হচ্ছে, এত কিছু মাথায় রেখে এমন অসধারন কবিতা লেখেন কিভাবে! পরের পর্বের জন্য ওয়েট করতেছি।
কল্যাণ ভাই,
আপনি ঠিক আছেন, অক্ষর=অ+ক+ষ+র, লক্ষ্মী=ল+ক+ষ+মী। সাধারণ পাঠকরা যাতে সহজে বুঝতে পারে সেটি মাথায় রেখে সংস্কৃত উচ্চারণে না লিখে বাংলা উচ্চারণে লিখেছিলাম।
কেন কেন, মাত্রই তো দু'টো নিয়ম, অক্ষর গুনে গুনে মাত্রা, যুক্তাক্ষর দু'মাত্রা। ব্যতিক্রমগুলো তো সবসময় আসে না, তাই মাথায় নিয়ে ঘুরবারও তো প্রয়োজন নেই। আর কবিতা লেখার সময় বেশিটুক এমনিতেই মাথায় এসে যায়, বাকীটুক মাজাঘষা করে নিলেই চলে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বর্ণে/অক্ষরবিচারে ক্ষ=ক+ষ ঠিকাছে
মাত্রাবিচারে উচ্চারণের দিকে খেয়াল করতে হবে, ক্ষ=ক্+খ এইভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে
অক্ষর=অক্(২) খোর্(২)।
ধন্যবাদ।
_____________________
Give Her Freedom!
লাস্ট বেঞ্চ থেকে ভয়ে ভয়ে হাত তুল্লাম। বলি কী, ছন্দজ্ঞান না থাকলে কি ক্ষতি ? এইসব জ্ঞান আমার এক বিন্দুও নেই, তবু কবিতার পোস্টমর্টেম না করেও আমার যে এমনি এমনিই পড়তে ভাল্লাগে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মাভৈ মাভৈ!
কথা সত্যি নয়। জননীর নাড়ী ছিঁড়ে যেদিন বেরিয়ে এলেন, ওয়াও ওয়াও করে কাঁদলেন, সেটির কি কোন ছন্দ ছিল না? কিংবা তারও আগে, মনে পড়ে? আমি বলতে চাইছি যে, জীবনের স্পন্দন শুরুর দিন থেকেই ছন্দ আমাদের বোধের সাথে ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে। আছে যে, তারই একটা প্রমাণ আপনি এই বলে রেখে গেলেন যে, এমনই এমনিই আপনার কবিতা পড়তে ভালো লাগে।
মধ্যযুগে পুঁথি পাঠ হতো সুর করে, টেনে টেনে। প্রথম লাইনে একদাড়ি দ্বিতীয় লাইনে দুইদাড়ি। সেখান থেকেই এল পয়ারের এলানো ভঙ্গিমা। তারপর মানুষ যখন সুর ছেড়ে আবৃত্তি ধরলো তখন প্রয়োজন পড়লো মধ্য ও ভ্রুতলয়ের ছন্দ আবিষ্কারের। কোথা থেকে মানুষ আবিস্কার করলো এই ছন্দ? প্রকৃতি ও জীবন থেকে। তাই ব্যাঙের গোঙ্গানির আওয়াজের সাথে সে জীবনের অনন্ত ক্ষুধার কষ্টকে মিলিয়ে নিতে শিখলো, পাখির ডাক থেকে আনন্দের সুর আবিস্কার করলো, নদীর ঢেউয়ের দোলায় জীবনের উত্থান ও পতনের ছন্দকে খুঁজে পেল, ঘটাস ঘট ঘটাস ঘট হাতুড়ীর আওয়াজে নবজীবনের আওয়াজ শুনলো।
তাই বলি, ছন্দজ্ঞান হাত পেতে না নিতে চাইলেও সে চুপি চুপি আপনার বোধকে দখল করে ফেলবেই। ছন্দানুশীলনের মধ্যদিয়ে আমরা সেই বোধকে আরো শানিত করে তুলতে। গুণীর প্রতিদিনের গলা সাধার মতো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই,
সত্যি শিহরিত হয়েছি ছন্দ বিষয়ে আপনার এই অসাধারণ বর্ণনা পড়ে। অথচ এই বর্ণনাটুকু মুল পোস্টে নেই; প্রতিউত্তরে এসেছে। জীবনের পরতে পরতে এত ছন্দ ছড়িয়ে আছে, তা কখনই খেয়াল করে দেখিনি! এখন আমার কান সবসময় উৎকীর্ণ হয়ে থাকবে এইসব ছন্দ আবিষ্কারে! এটা একটা মজার খেলাও, তাই না?
ঠিক ধরেছেন। ভালোবাসা নিয়ে শুরু করতে হবে, বিদ্বেষ নিয়ে নয়। আপনার চোখে ভালোবাসার দীপালি জ্বলছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এত নীল আকাশের গায়
ঝড়িতেছে বৃথায় ,
তবে আজ কার কপোলে মাখি ,
কারে ইশারায় তবে আজ থাকি থাকি ডাকি ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
প্রয়োজনীয় একটা লেখা। আমার কাজে আসবে। ধন্য্বাদ রোমেল ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রসালো কোবতে লেখার জন্য একটা মোক্ষম ছন্দ আছে, প্রয়োজনে আলাদাভাবে যোগাযোগ করুন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই, একটি প্রয়োজনীয় কাজ হাতে নিয়েছেন আপনি। অনেক কিছু শিখতে পারলাম, আরো অনেক শেখার বাকি। ছন্দের বারান্দা ধরে যেতে হবে আরো বহুদূর।
এই লেখা নতুন কবি/কবিতাপাঠকের 'রেডি রেফারেন্স' হিসেবে কাজে লাগবে। অনেক কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
একটি অন্যায় হয়ে গেছে। উদাহরণে তোমার কবিতা ব্যবহার করার আগে অনুমতি নেয়া উচিৎ ছিল, নিই নি। ঘটনাত্তোর অনুমতি দিয়ে ভারমুক্ত করবে আশাকরি!
এরপর আসছে অক্ষরবৃত্ত। কবিতা চয়নে তোমার সহায়তা লাগবে। আর বয়ানে চমক আনার উপর তোমার কোন অভিমত থাকলে ই-মেলে জানিও।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, আপনি আমার মতো অভাজনের কবিতা আপনার লেখায় উদ্ধৃত করে আমাকে অশেষ সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ করেছেন। এখন অনুমতির কথা বলে বিশেষ লজ্জায় ফেলে দিলেন। আপনি যখন যেখানে খুশি যে কোনো কারণে উদ্ধৃত করতে পারেন, এ আমার সৌভাগ্য বলেই মনে করবো।
কাল এই সময়ে আপনাকে একটা ই-মেইল করবো অক্ষরবৃত্ত নিয়ে। মাথায় নিলাম ব্যাপারটা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
অনেক দরকারী কাজ, রোমেল ভাই।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
অনেক ধন্যবাদ, আফসার ভাই। আপনার কোন অভিমত/উপদেশ থাকলে জানাবেন আশাকরি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কবিতার এখন যা অবস্থা... কবিরা একটু শিখে টিখে নিলে তবু পাঠকের কিছু উপকার হয়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কবিদের সাথে সাথে কবিতার আলোচকদেরও জানা প্রয়োজন। কবিতার পাঠকদের জেনে রাখা ভালো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক অনেক কিছু শিখার আছে আপনার কাছ থেকে, আপনার পোস্ট থেকে।। খুবই ভালো একখান পোস্ট রোমেলদা।
ধন্যবাদ,
বোন আমার। আমিও কিন্তু তোমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ দিয়েছি। তড়িতাহত হয়ে। আমরা '৮৬ সালের বুড়ো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সারছে! ছন্দ এতো কঠিন! আমি এইসবে নাই রোমেল ভাই!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
স্বরবৃত্তের আলোচনা আসলে যখন আম্নের কোবতে/ছড়া থাইকা একগাদা উদাহরণ দিমু তখন এই কথা বইলেন, পাব্লিকে খাইবো! আপাতত ১ টা দিলাম,
কি, ছন্দ ধরবার পারছি?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন