কিউবার যাপাতা উপকূলবর্তী বিশাল ম্যানগ্রোভ বন বিশেষ কারণে প্রকৃতি বিশ্বে এক পরিচিত নাম। সমগ্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় বাদাবন এইখানে, সেই সাথে ক্যারিবিয়ার সবচেয়ে বড় দ্বীপের বৃহত্তম ন্যাশনাল পার্ক বা প্রকৃতি উদ্যান।
২০১১-এর আগস্টের এক পাগল করা গরমের দিনে সকাল দশটার খর রোদে কিউবার উপকূলবর্তী শহর প্লায়া হিরণ থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে যাপাতার বনের দিকে, সঙ্গী স্থানীয় গাইড সিনর হুলিও। পইপই করে বলেছিলাম যেহেতু মূলত যাচ্ছি পাখিদের ছবি তুলতে সকালের স্নিগ্ধ সামুদ্রিক সূর্যের মোলায়েম আলোর স্মৃতি দৃশ্যপটে ধারণ করার সাথে সাথে পাখি পর্যবেক্ষণটাও বেশ ভাল হত, কিন্তু স্থানীয় বলেই কিনা ব্যাটার এক রো, সূর্যি প্রায় মাথায় ওঠার আগে নাকি ঢোকায় যাবে না সেই বনে ! এ কি কথা, এ তো আর তুতানখামেনের সমাধি না, এত দিনক্ষণ, পল গণনা কিসের জন্য! ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্প্যানিশে জিজ্ঞেস করতেই চোখ মটকে ভাষার আতসবাজি ছুটিয়ে বলল টের পাবে নিজেই, একবারে হাড়ে মাংসে!
প্রথমেই ল্য সালিনাস শহরে থেমে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঢোকার অনুমতিপত্র নিতে হল। ৬০০০ বর্গ কিলোমিটারের এই বনের অধিকাংশ জায়গা অতি দুর্গম, মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে, বরং সেখানে বাস করে হাজারের অধিক অমেরুদন্ডী প্রাণী, ৩১ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৭৫ প্রজাতির পাখি, ৯০০-র অধিক ভিন্ন ভিন্ন জাতের গাছ, নানা স্তন্যপায়ী প্রাণী, আর সেই সাথে বিখ্যাত কিউবান কুমির!
বেশ ক,দশক আগেই কিউবান সরকার তাদের দেশের সবচেয়ে বড় এই ন্যাশনাল পার্ককে রক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে, কেবল মাত্র মাছ ছাড়া সকল ধরনের বনজ সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়, সেই সাথে বনের ভিতরে সেই সময় বসবাসরত অধিবাসীদের বনাঞ্চলের বাহিরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে কেবলমাত্র মধু চাষে নিয়োজিত কয়েকজন মোয়াল আর মাছ ধরার জন্য ধীবরের সাময়িক অনুপ্রবেশ বাদে এই বিশাল অঞ্চল সবসময়ই জনশূন্য থেকে ভরে থাকে নানা পশুপাখির কোলাহলে, ঠিক যেমনটি একটি বনের হওয়া উচিত।
বিশাল বনে প্রবেশের এক ফটকে বনরক্ষীকে পাস দেখিয়ে গাড়ী নিয়ে ঢুকতে হল, দুপাশে সবুজের ধারার মাঝে শুষ্ক এক পথ চলে গেছে সুদূর দিগন্তের কাছে, একচিলতে সরু এই রাস্তাটিই মানুষ বিচরণের একমাত্র মাধ্যম, থেকে থেকেই রাস্তায় টহলরত নানা আকারের কাঁকড়াবাহিনীর সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে, তারা যদিও অচ্ছুৎ মানুষদের ছায়াটিও মাড়াতে রাজী নয়, তাই সবগুলো পায়ের সাহায্যে তাদের চমৎকৃত করা দৌড়ের প্রদর্শনী ছাড়া আর কোন নৈকট্যলাভের আশা অতিবিরল।
তার মাঝে কিছু কিছু যেয়ে আবার সোজা পড়ল লোনা জলে, সলিল সমাধি ঘটার বদলে নিজ বাসভূমে এই উভচর জীবরা চালিয়ে গেল খাদ্যসংগ্রহের তৎপরতা ।
কত বিচিত্র যে তাদের ধরণ আর গড়ন, কোন কোনটা ভাত খাবার থালার মত বৃহৎ, কোনটা আবার ইঞ্চিখানেক, কিছু আবার হারমিট কাঁকড়া গোত্রের অর্থাৎ তাদের নিজস্ব কাঁকড়া জাতীয় খোলস নেই তাই তারা অন্য কোন মৃত শামুকের খোলস দখল করে মজাসে জীবন পার করে!
বনে প্রবেশের মিনিটখানেক পরেই দেখা হল বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্রাকৃতির শিকারি পাখি আমেরিকান কেস্ট্রেলের সাথে! কি চমৎকার একরত্তি একখানা পাখি, রাজসিক ভঙ্গীতে বসে আছে গাছের মরা ডালে। তীক্ষ নজর তার কোন বোকা গিরগিটি বা পাখির ছানার দুঃসাহসের দিকে, সামান্যভুলের জন্য যারা তার ধারালো চঞ্চুর শিকার হতে পারে।
চারপাশের চলমান প্রকৃতিতে কেবল দুই ধরনের রঙের প্রাচুর্য- বনের সবুজ আর সেই সাথে সাগর ও আকাশের নীল- ফিকে, গাঢ় সবাই উপস্থিত।
এর মাঝে দৃশ্যপটে উঁকি দিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্নিগ্ধ গোলাপি কিছু বিন্দু, এ আনন্দ কোথায় রাখি! বুনো ফ্লেমিঙ্গোর ঝাক উদয় হয়েছে আমাদের আনন্দে ভাসিয়ে, এই প্রথমবারের মত প্রকৃতিতে পরিচয় হল গোলাপি বিস্ময়গুলোর সাথে, কি অদ্ভুত ভাবেই না পলকাদর্শন পা দুটির উপর দাড়িয়ে খুব মাথা নাড়িয়ে খাদ্যকণা অন্বেষণে ব্যস্ত অগভীর জলে! দূরবীনে চোখে পড়ে কিছু ফ্লেমিঙ্গো ছানাও যাদের পালকের বর্ণ এখনো ধুসর, নয়নমোহিনী গোলাপিতে রূপান্তরিত হতে এখনো কিছু মাস বাকী। যাত্রাপথে প্রায়শই দেখা হল বটে নানা ফ্লেমিঙ্গোর ঝাকের সাথে কিন্তু উড্ডয়নরত ফ্লেমিঙ্গোর অপরূপ শোভা ফ্রেমবন্দী করার স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গেল কারণ হাতে সময় কম বিধায় তাদের সাথে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা হলেই দাড়িয়ে দুদন্ড সম্ভাষণ জানানো যাচ্ছে না আর উড়ালরত অবস্থায় দেখা হলে গাড়ী থামাতে থামাতেই তারা দিগন্ত পাড়ি দিয়ে অন্য ভুবনে চলে গেছে! এমত অবস্থাতেই চলতে চলতে চেষ্টা চলল তাদের স্মৃতিপটে ধরে রাখবার।
জলাভূমিতে দেখা মিলল নানা জাতের বকের সাথেও, সবাইই শিকারের প্রচেষ্টারত, কারো ঠোঁটে শিকে ছিঁড়ছে থেকে থেকে কিন্তু অধিকাংশই আছে ধ্যানরত অবস্থায়।
তাদের খাবার মানে রবি ঠাকুরের হীন মীনগণের দর্শনও মিলল জলার ধারেই।
সেই সাথে অপূর্ব কিছু গিরগিটির মুখোমুখি হলাম আমরা নেহাত ভাগ্যচক্রে, আর দশটা দ্বীপের মতই লক্ষ লক্ষ বছর পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে বিবর্তনের পথ ধরে উদ্ভব হয়েছে এখানকার প্রকৃতিতে প্রায় মিশে যাওয়া সরীসৃপকূলের। জানা গেল এখানে মিটার দেড়েক লম্বা দানব ইগুয়ানারও দেখা মেলে মাঝে মাঝেই।
কিন্তু আমাদের দেখা দিয়ে ধন্য করলেন বিশ্বের অন্যতম বিরল সরীসৃপ কিউবার কুমির, যা এই দ্বীপটি ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায় না। এককালে বিলুপ্তির প্রায় প্রান্তসীমায় পৌঁছে যাওয়া এই অসাধারণ সরীসৃপটি কিউবান সরকারের নেওয়া বিশেষ প্রকল্পের কারণে আজ অস্তিত্বের লড়াই-এ অনেকটাই আশঙ্কামুক্ত।
ঝকঝকে রোদ্দুর চারিদিকে, পানকৌড়ির দল ডানা মেলে আছে শুকাবার জন্য কিন্তু কাঁকড়াখেকো বাজ তখনও টহল দিয়েই যাচ্ছে পেটপূজোর আশায়।
ম্যানগ্রোভের অন্যতম বৈশিষ্ট্য শ্বাসমূল দেখা গেল অনেক, সেই সাথে সংগ্রামী গাছের লোনাজলের সাথে লড়ে নিজের আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা।
বেশ খানিকক্ষণ সমুদ্র তীরবর্তী ম্যানগ্রোভে কাটিয়ে আবার খানিকটে ঘন জঙ্গলের দিকে আমাদের যাত্রা, সেখানে এই প্রখর রোদের মাঝে ছায়ার পরিমাণ অনেক বেশী। রাস্তার পাশে অত্যন্ত সুদর্শন ক্যারিবিয়ান কাঠঠোকরা দেখে থামা হল, সাদা-কালো ডোরাকাটা পালক আবৃত শরীরের মাথাটিতে যেন টকটকে সিঁদুর পড়ানো।
তার ছবি তুলতে তুলতেই মুহূর্তের মাঝে টের পেলাম গাইড কেন আমাদের সকালে এই বনে নিয়ে আসে নাই! মশা!! লক্ষ লক্ষ মশা, বিন বিন শব্দে ভরে উঠেছে যেন মহাকাশ, এমন তীব্র তাদের আক্রমণ যে ছায়ায় যাওয়া মাত্রই হাতদুটিকে আর কোন কাজে নিয়োজিত না করে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই নিজের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত করতে হচ্ছে চটাস চটাস শব্দ করবার জন্য। গাইড হুলিও হাসতে হাসতে জানাল মাঝদুপুরেই এই অবস্থা, আর ভোরে আসলে এই বনে ঢুকতেই পারতে না মশার জ্বালায়!
এর মাঝেই দেখা মিলল কিউবার বিখ্যাত সবুজ কাঠঠোকরার, যা একমাত্র এই দ্বীপেই থাকে, মনে পড়ে গেল বনে প্রবেশের আগে দেখা একটি পোস্টারের কথা যেখানে কেবলমাত্র কিউবাতে পাওয়া যায় এমন বেশ কিছু পাখির উল্লেখ ছিল।
মশার আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে আক্সিলেটরে দাবিয়ে প্রায় পলায়নরত আমরা তারপরও সাক্ষাৎ ক্ষুদে এক ডাইনোসরের মত দেখতে ফুটখানেক দীর্ঘ গাঢ় সবুজ সরীসৃপ দেখে থামা হল, গাইড জানাল অতীব ভয়ালদর্শন এই জীবটি অত্যন্ত নিরীহ ও লাজুক, সেই কারণেই তার দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে, তার দিন কেটে যায় গাছের খোঁড়লে আর আড়ালে-আবডালে চলে। আমাদের সৌভাগ্য বলতে হবে এমনভাবে সামনাসামনি দেখা মিলে গেল এই জনাবের।
আবার থামতে হলে অতি নিকটেই ওৎ পেতে বসে থাকা কাঁকড়াখেকো বাজের জন্য।
চলতি অবস্থাতেই উড়ন্ত কাস্তেচরার দলের সুষমামণ্ডিত উড়াল আমাদের চিত্তকে মুগ্ধ করে তোলে। অসহায় ভাবে উপভোগ করি তাদের পরপরই উড়ে যাওয়া এক জোড়া চামচঠুটির (Spoonbill) সৌন্দর্য, যাদের ছবি তোলার সুযোগ মেলে না কিছুতেই।
পাশের গর্ত থেকে ভিনগ্রহের প্রাণীর দর্শনধারী বিশাল এক কাঁকড়ারাজের অস্তিত্বের জানান মিলল একই সাথে,
তাকে বিদায় দিয়ে ল্য সালিনাসের পথে আমরা কিন্তু বনের শেষ মাথায় যেখানে বনরক্ষীদের কার্যালয় সেখানকার বৈদ্যুতিক তারের উপর বসে অপরূপা আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে সারাটা দিনের আনন্দ ষোল আনায় পূর্ণ করে ছাড়ল কিউবার সবুজ হামিংবার্ড!!
মন্তব্য
আমারও একটি লেখার শিরনাম নীড়পাতায় এসেছে। তা সত্বেও আমি প্রথমেই আপনার লেখাটিই ব্রাউজ করলাম। অসম্ভব সুন্দর একটি পোষ্ট। বিশেষণের শব্দ খুজে পাচ্ছিনা। বরাবরের মতই অসাধারন, ব্যতিক্রমি এখটি পোষ্ট।
আপনার কি পাখা আছে ! বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
যেটা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। সচলায়তনের পর্যটন বিষয়ক বিভাগটা সম্ভবত আপনিই সম্বৃদ্ধ করছেন। আমার মত যাদের কখনই নিজ চোখে এসব দেখার সুযোগ হবেনা তাদের জন্য এটা একটা অনেক বড় পাওয়া।
প্রৌঢ়ভাবনা
যেটা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। সচলায়তনের পর্যটন বিষয়ক বিভাগটা সম্ভবত আপনিই সম্বৃদ্ধ করছেন।
আমার মত যাঁদের কখনই নিজে উপস্থিত থেকে এসব দেখার সুযোগ হবেনা তাদের জন্য এটা একটা বড় পাওয়া।
দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর কথা বলবনা বরং প্যাকেটজাত দুধে মিটানোর সাথে তুলনা করব।
প্রৌঢ়ভাবনা
অনেক অনেক ধন্যবাদ। সচলে কিন্তু অনেক বন্ধুই ভ্রমণ নিয়ে চমৎকার সব ছবি আর লেখা দেন, আমার একার কথা কোনভাবেই প্রাধান্য পাবার নয়।
পাখা নাই , এটাই হয়ে গেছে ইচ্ছা মত ঘুরবার পিছনে প্রধান বাঁধা !
facebook
অপূর্ব সুন্দর ছবিগুলি। উড়ন্ত ফ্লেমিঙ্গোর ছবিটা অসাধারণ। বিরল কিছু প্রানী চোখ ভরে দেখে নিলাম। সবুজ গিরিগিটিটা সত্যি অদ্ভুত। আর কাঠঠোকরার রাজসিক চাউনি। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি ছবিব্লগ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। আসলে একদিনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব তোলাতো, এই ভাবে ভাল ছবি পাওয়া যায় না, যা আসে সামনে।
facebook
চমৎকার!
facebook
মনটা ভরে গেল। এত্ত এত্ত দারুণ দারুণ সব ছবি! আর তাও এত্তগুলো প্রাণী একসাথে!
হুম, ঐ অল্প কয় ঘণ্টাতেই প্রাণীগুলো সব দৃষ্টিসীমায় এসেছিল। আসলে এমন জায়গায় সত্যিকারের ভাল ছবি পেতে হলে অন্তত ৭ দিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে যাওয়া উচিত।
facebook
facebook
facebook
facebook
ইসসসস যদি আমাদের দেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের এমন স্বর্গরাজ্য তৈরী করে দেয়া যেতো.......
আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই।
এখনো দেওয়া যায় এবং দেওয়া উচিত সবার আগে।
facebook
ছবিগুলো কী অপূর্ব আর জীবন্ত। চোখ জুড়িয়ে দেখলাম....................
_____________________
Give Her Freedom!
আর বইলেন না ঈষৎ দা, এত তাড়াহুড়োয় কি আর ছবি তোলা যায়, তার উপর মশা ব্যাটারা শাটার টেপার সময় হাত স্থির রাখতে দেয় নি অনেক সময়ই, যেমন সবুজ কাঠঠোকরার ছবিটি।
facebook
নাহ, আপনাকে আর হিংসেও করবোনা। কি হবে শুধু শুধু...
স্বশরীরে না হোক আপনার চোখ আর কলম ক্যামেরা দিয়েই না হয় বিস্ময়কে দেখি?
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার জন্য। নইলে অনেক কিছুই অদেখাই রয়ে যেত হয়তো।
মনমুগ্ধকর ছবি আর বর্ণনা... এক কথায় চমৎকার!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা। শুনে সুখী হলাম।
facebook
বুনো পথের ছবিটা দেখে এতো অসাধারণ লাগলো! আর অন্যগুলোর কথা তো বলতেই হবে। পাখিমূহুর্তগুলো চমৎকার। আর গিরগিটির ছবিগুলো সবচেয়ে জোশ লাগলো। আই লাওওওওওওওওভ গিরগিটি!
আপনার জন্য আবার হিংসা। পিওর হিংসা। আপনি ঐখানে রোদে পোড়েন, আমরা রোদে না পোড়ার দুঃখে হিংসার আগুনে পুড়ি।
সত্য, ওখানে এত রঙিন সব গিরগিটি পেয়েছিলাম ! বেশী রঙিনগুলোর ছবি ফেসবুকে দিয়েছি, পরে অন্য পোষ্টে সচলেও দিব আশা রাখি।
facebook
যথারীতি ফাটাফাটি - ধন্যবাদ অণু -
স্যাম
শুভেচ্ছা
facebook
আপনার ভ্রমণ পিপাসা আমার পিপাসাকেও তৃপ্ত করেছে।
২২শে আগষ্ট-২০১১ এর বিকালে ক্ল্যানন ৭ডি দিয়ে তোলা সব ছবি গুলিই আমাকে মুগ্ধ করছে।
আপনি একধারে যেমন লেখক তেমনি সুন্দর আলোক চিত্রি।ৱ
অফুরন্ত ভালোবাসা রইল
অনেক ধন্যবাদ। জেনে ভাল লাগল। বিকেল কেন, ছিল তো ঠাটা দুপুর !
facebook
ঝকঝকে লেখা আর অদ্ভুত সুন্দর ছবিগুলোর জন্য। কিউবার সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অবশ্যই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আপনার লেখা পড়ার জন্য বসে রইলাম আগ্রহ নিয়ে।
হাতের লেখাগুলো শেষ করেই কিউবা নিয়ে বড় একটা লেখায় হাত দিব। ধন্যবাদ।
facebook
অণু ছবিতে , দারুন পোষ্ট (Y)। আমার তোলা ছবিগুলো দেখছিলাম আজকে, সবগুলো ডিলেট করে দিতে ইচ্ছা হচ্ছিল। একটা ছবিও ৩৩ও পায় না, পোষ্ট করাতো বহুদূর!! তোমার লেন্স কি ৩০০এমেম প্রাইম?
দূর দাদা, এমন ফাজলামো করবেন তো ছবি দেওয়া মুস্কিল। আপনের ছবিটা দিব ,দাঁড়ান খালি কিছুদিন! 300mm -একটা আনালাম আম্রিকা থেকে, ফাজিলের গাছ , প্রায় ৮০০ ডলার স্রেফ ভ্যাট নিল, আসল দাম তো আগেই নিছে!!! কয়েকটা ছবি 18-200 mmএ তোলা।
facebook
আরে নাহ, সত্যি কথা কইছি, তোমার ছবি দারুন। তোমার পোষ্টের সৌন্দর্য নষ্ট করতে চাইলে আমার ছবি দিও, তারপর এইখানে ঢিল-টিল যা খাবা তার দায়িত্ব কিন্তু তোমার।
অতি সুন্দর।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
facebook
আহা, চমৎকার, অতি চমৎকার!
কেনিয়ার সেই ফ্লেমিংগো লেকের কথা মনে করিয়ে দিলেন, সে ছিল এক অদ্ভুত আনন্দমাখা রোমাঞ্চ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লেক নাকুরুর কথা বলছেন নাকি !!! আহা, কবে যে দেখব! সামনের সামারে যাবার কথা চলছে। ঐখানকার বেবুনেরা তো ইদানীং ফ্লেমিংগো ধরে খাওয়া শিখেছে !!
facebook
গিয়েছিলুম গো, এই একটা জায়গায় তোমায় হারিয়ে দিলুম! তাড়াতাড়ি যাও, যাবার আগে আমার কাছ থেকে টিপস নিতে ভুলো না কিন্তু। একচোটে মাসাইমারা, সেরেঙ্গাতি, কিলিমাঞ্জারো, জাঞ্জিবার, দারুস সালাম সেরে দিয়ে এস গো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অবশ্যই। কিলিমাঞ্জারো যাবার কথা সামনে বছর, ইচ্ছে আছে একসাথে তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা ঘোরার। আপনি ফেসবুকে জানাব।
facebook
অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, রবিবার সাত সকালে এই পোস্ট দেখে আমার মাথা নষ্ট হয়েছে
বিস্ময়, ভালোলাগা, মুগ্ধতা এবং আরও কি কি সব আজব অনুভূতি এ মুহূর্তে মাথায় ভীড় করছে
হুম্ম আপনের মন্তব্য পড়ে আমার মাথাতেও । আপনি কি আপু ফেসবুকে আমার লিস্টিতে আছেন
facebook
নাহ্...
তবে আপনার লিস্টিতে থাকতে পারলে মজা হবে
আপনাকে খুঁজলাম ফেসবুকে। পেলাম না। কপালের ব্যাডলাকটাই খারাপ
যাহ্ , আমাকে হান্ট করা তো খুব সহজ, Onu Tareq
facebook
facebook
ভাইরে ভাই, আপনের ব্যাগ তামুক টানতে লোক নিবেন?
ও তারেক ভাই, আম্মো যাব। তবে আমি কিন্তু ব্যাগ বোঁচকা টানতে পারিনা। খালি চা বানিয়ে দিতে পারব। পৃথিবীর সেরা জঘন্য চা বানাতে আমি ওস্তাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চলে আসেন দিদিভাই। প্রথম শর্তসাপেক্ষে অনুরোধ আমাকে অণু বললেই হবে ! আর চা, তিব্বতে লবণ আর ইয়াকের দুধের মাখনের ডেলা দিয়ে যে চা খেয়েছি তার চেয়ে বিস্বাদ আর কোথায় পাব!!
facebook
চলে আসেন রে ভাই, সীট খালি বলেছি তো! কিন্তু তামুক কেন ! জীবনে টেস্ট করি নাই রে ভাই, ফুসফুসের ১৩ বাজানোর সাথে সাথে ঘোরাঘুরিরও ১২ টা বাজাবে ।
হুমম পর্বতে তো নিজের ব্যাগ নিজেকেই বহন করতে হয়, চলে আসেন, যার যার তার তার !
facebook
ভাইয়া, সুযোগ পেলে একবার সুন্দরবনে এমন একটা ট্যুর দিয়েন
অবশ্যই! সামনের বারই দিব।
facebook
মিয়া অনু, লেখাটা অনেক আগেই পড়ে গেছিলাম এখন মন্তব্য মারলাম। মারলাম এই কারণে আপনার পোস্ট-এ কমেন্ট দেওয়া যায়না, মারতে হয় । তাই মারলাম- ভালো অইছে, জব্বর অইছে জাতীয় মন্তব্য আপনার পোস্টে আর করুম না, শুধু আপনারে একখান দিয়া গেলাম !!!!
বেটা হতচ্ছারা, সারাটা সচলায়তনের মানুষরে বিশ্ব ভ্রমণ করাইতে বাইর অইছে,
একবার হাতের কাছে পাইলে
ডাকঘর | ছবিঘর
মাইরেন না গো দাদা, মাইরেন না ! দাঁড়ান আপনার ওখানে গেলে একসাথে আসাম যাব।
facebook
এই জায়গাটা নিয়ে একটা ডকু দেখেছিলাম ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে। কিউবা সত্যিই সুন্দর। তারচেয়েও বড় কথা তারা সেই সুন্দরের দেখভাল করতে জানে। আমরা সেটা জানি না।
ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
কিউবার আইন সম্ভবত সেরা বিশ্বে প্রকৃতি রক্ষার জন্য সেরা। সেখানে কোন পুরনো গাছ কাটাও নিষিদ্ধ! জানাবো এইগুলি নিয়ে পরে কোন পোষ্টে।
facebook
কী দারুণ ওয়াইল্ডলাইফের ছবি! এইটা আপনার সেরা পোস্ট, আর আমার প্রিয় পোস্ট।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় কি আর ওয়াইল্ডলাইফের ভাল ছবি পাওয়া যায় বলেন! যা পেয়েছি সেই অল্প পরিসরে চোখের সামনে। অসাধারণ জায়গাটি, শীতের সময় একবার যেতে হবে, তখন পরিযায়ী পাখিদের মেলা বসে।
facebook
অসাধারণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগল নজু ভাই, ভাবতেছিলাম কোথায় আবার ডুবলেন
facebook
এই লোকটার নাম অণু রাখছিলো কেডায় জানতে মঞ্চায়। অণু হইয়াতো হ্যাতে সারা দুনিয়াডারে পরমাণু বানায় ফেলছে। ভাগ্যিস বিশাল জাতীয় কিছু নাম নাই। তাইলে মনে হয় অণু ভাই নীহারিকা ঘুইরা ঘুইরা পোস্টাইতেন সচলে কোনহানে কয়ডা এলিয়েন দেখলেন তা লইয়া
অতীত
আছে তো। নাম তো রাখছে মা, তারেক মানে কিন্তু নক্ষত্র। আরবির চেয়ে বাংলা রাখলে নামে ছোট অণু যেমন ছিল, বিশাল নক্ষত্রও ছিল।
facebook
কী চমৎকার একটি ছবিব্লগ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুম আর লেখা!
facebook
আপনার পোস্ট পড়ি আর তারিফ করি। আপনাকে কি ইমেইল যোগাযোগ করা যায়? বা ফেসবুকে?
অবশ্যই। Onu Tareq ফেসবুকে
facebook
আমি ১৫ দিনের বিরতিতে ছিলাম, এরই ফাঁকে এত এত পড়া জমে গেছে, তবে সবাল আগে আপনার লেখাগুলো পড়িছি। অনেক সুন্দর, আপনার চোখ দিয়ে এই পৃথিবী দেখছি, অনেক ভাল লাগছে।
শুনে খুব খুশি হলাম। ব্যাঙের ছাতা তুলতে যাচ্ছি কিন্তু মাঝে মাঝে, পরে পোষ্ট করব একসময়
facebook
দারুণ।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন