'আওয়ামি চরিত্র' পড়ে 'জামাতি চরিত্র' পড়ার ব্যাপারে কয়েকজন মন্তব্যকারী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফেয়ারনেসের খাতিরে সেটা করা যেতেই পারে।
ভাষা
লেখার ভাষার ব্যাপারে প্রথমে কিছু বলে নেয়া ভাল। আমার লেখায় বাংরেজির প্রভাব আছে। কিছু ক্ষেত্রে বেশি, কিছু ক্ষেত্রে কম।
আমি চেষ্টা করেছি 'শুদ্ধ বাংলায়' লেখার। খুব চেষ্টা করেছি তা না। কিন্তু করেছি। লেখা শেষ হয় না। নিজের পড়তে ভাল লাগে না। কৃত্রিম লাগে।
দুটা উপায় থাকে। আমার লেখায় একটা পর্যায় পর্যন্ত বাংরেজি এক্সেপ্ট করে নেয়া। অথবা লেখা বন্ধ করে দেয়া।
আমি জানি এই অজুহাত আমি বহুবারই দিয়েছি। এই ঘ্যানঘ্যান আমারো ভাল লাগে না। আমি জানি আমার অজুহাত বেশ কয়েকজনের কাছে খোঁড়া লাগবে। তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত হওয়া ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই।
কিন্তু আমি লেখা বন্ধ করিনি। সেটার কস্ট আমার কাছে আরো বেশি। এখন যেহেতু আমার এ ব্যাপারে চক্ষুলজ্জা কম (চক্ষুলজ্জা নাই তা না, মাঝখানে লেখার হার অনেক কমিয়ে দিয়েছিলাম), বাধ্য করার চেষ্টা করতে পারেন। ব্যান করলে আমি আর লিখবো না হয়তো। মাঝে মধ্যে ছদ্মনামে লিখতে পারি।
'আওয়ামি চরিত্র' লেখার উদ্দেশ্য
উদ্দেশ্য ছিল নিজের মধ্যে সংঘাতটা দেখানো। 'লিবারেল' যে কোন ধারণা আমার মধ্যে আমার পিতাস্থাপিত রক্ষণশীল ফিল্টারটার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এইটা খুবই কঠিন কাজ। কারণ আমার বাবা, আমার বাবা। সুতরাং আমি তার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখে কোন জিনিসকে ডিসকাউন্ট করি। অনেকক্ষেত্রেই দুটো পোলার বিপরীত, এবং আমার জন্য কষ্টকর। আমার আর ওঁর মধ্যে অনেক কিছুতেই মেলে না, কিন্তু উনি আমার জীবনের বিশাল প্রভাব। এটা আমি প্রতিনিয়তই অনুভব করি, সেটা বোঝাতে চাচ্ছিলাম লেখাটার মাধ্যমে।
লেখাটা হয়তো সফল হয় নাই সেভাবে। মন্তব্য যেরকম আসবে সেটা আশা করি নাই তা না।
কিন্তু বিচার করার আগে আমার সিনারিওতে নিজেকে ফেলে একটু ভেবে দেখবেন কি - জিনিসটা কিরকম কষ্টকর? ফোরাম হিসেবে সচলায়তনে আমার বাবার এক্সেপ্টিবিলিটি কি? আমার গিল্টি ফিলিংটা কি অনুধাবন করতে পারেন আব্বাকে এরকম একটা সিচুয়েশনে ফেলায়? সেটা কমানোর একটা চেষ্টায় লেখা রেখেঢেকে ফেলেছি, যেটা বলাই এবং তুরহান মন্তব্যে দেখিয়েছেন।
যাহোক, সেটা আমারই দোষ। আমি লিখেছি। আমাকেই এর দায় বইতে হবে।
কিন্তু কমিউনিটি হিসেবে সচলায়তনের থেকে এই উপলব্ধিটা আমি আশা করছিলাম আরেকটু বেশি।
জামাতি চরিত্র
জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের কাউকে আমি সরাসরি ঘনিষ্ঠভাবে চিনি না। এ ব্যাপারে আসলে আগেও লিখসি, লোকে মনে রাখে না আর কি। নটরডেমে এক ক্লাসমেট ছিল শিবিরের, পরে আরো এক বা দুইজন ঢুকসে - নটরডেমেরই ছিল, এরা ডি-ইউতে গিয়ে ঢুকসে - অন্তত লোকমুখে তাই শুনছি। ওদের সাথে মুখে আমার পরিচয় আছে। আমার এক প্রাক্তন বোনজামাই ও খুব সম্ভবত শিবিরে ছিল। আরো হয়তো ছিল - ওইভাবে শিবির/জামাত বলে পাত্তা দেই নাই। প্রয়োজন পড়ে নাই কখনো।
জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধের দোষে দোষী। সেই যুদ্ধাপরাধের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিৎ। শিবির ইত্যাদিতে যারা এটাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, তারা সেটা কিভাবে করে, জাস্টিফাই করতে পারা উচিৎ।
জামাতি চরিত্র সম্পর্কে আর কি বলাতে চান? এখানে কনটেক্সট-টা কি পরিষ্কার না? সচলায়তনে জামাতকে (বিএনপিকেও) যেভাবে ডাইসেক্ট করা হয়, যেভাবে গালাগালি ক্যারিকেচার করা হয় (বলছি না আনজাস্টিফায়েড), তার ধারে কাছে আওয়ামি লীগকে করা হয় বলে আমার মনে হয় না (জানি, আয়রনিকালি সুজন চৌধুরি মুহিতের ক্যারিকেচার এঁকেছেন)। বোঝা যাচ্ছে এই স্টেটমেন্টটা নিয়ে আবার ঝামেলা লাগবে - সুতরাং মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করেন - এই স্টেটমেন্টটা ভুল হতে পারে বলে আমি এখনই উইথড্র করছি, কারণ আমি এর সমর্থনে নাম্বার ক্রাঞ্চিং করবো না - করাটা জাস্টিফায়েডও না।
আমার ধারণা ছিল আমার 'আওয়ামি চরিত্র' লেখায় আমি সচলায়তনে 'খুব কমন না' এরকম একটা দৃষ্টিভঙ্গীর বিবর্তন তুলে আনছি। সেটার উত্তর কি ম্যান্ডেটরি জামাতকে পঞ্চাশটা গালি?
নাকি এখানে আমার বাবাকে 'জামাতি চরিত্র' ধরে তার চরিত্র ডাইসেক্ট করতে বলছেন? সেটা তো অনেকাংশে করেছিই আগের লেখায়?
'আওয়ামি চরিত্র' লিখলে যদি কমপেনসেটরি 'জামাতি চরিত্র' লিখতেই হয়, তাহলে উল্টো যুক্তি প্রযোজ্য না কেন?
এর উত্তর সহজ - সচলায়তনের জন্মের অন্যতম কারণ জামাতকে ছিড়ে ফেলা।
অকাট্য যুক্তি। তাহলে এই প্ল্যাটফর্মে 'আওয়ামি চরিত্র' নিয়ে লেখাটাই আমার ভুল হয়েছে?! নিতান্ত নির্বোধ হওয়ায় এইরকম ডিরাইভেশন লাগলো। কি আর করা।
নাকি 'আওয়ামি চরিত্র' নিয়ে লেখাটা ঠিক হয়েছে, প্রতিক্রিয়া নেয়ার মত মানসিক শক্তি থাকা উচিৎ?
আমার মত কি
আমাকে কয়েকজন মন্তব্যকারী প্রশ্ন করেছেন - "আপনি কি?" "আপনার নিজস্ব মতামত কি?"
আমার এই অংশে বেশ খারাপ লাগে। সচলায়তনে প্রতিষ্ঠ ধারার (নাকি এটা আমার মনগড়া কনস্ট্রাক্ট?! হতে পারে, কিন্তু 'আমার আমার' মনে হয় না মনগড়া) বাইরে লেখা দিলে সেল্ফ-ডেফিনিশন আবার দিতে হয় কেন, বারে বারেই? এই প্রশ্ন সচলায়তনের নিয়মিত জামাত-বিএনপি-ব্যাশারদের শুনতে হয় না কেন? তাহলে পরোক্ষভাবে চিত্ত যেথা ভয়শুন্য উচ্চ যেথা শির - কিন্তু কৈফিয়ৎ চাই হয়ে গেল না? এত পেইন কে নিবে? [এবং এখানে একটা খুব সহজ উত্তর আছে - হেহ হেহ, এডা বুঝলে তো আর ছাগু থাকতা না। ধন্যবাদ!]
আমি যদি আমার বাপের মতাদর্শের অন্ধ অনুসারী হতাম, তাহলে ওই লেখা লিখতাম কেন? আর চুপচাপ এ নিয়ে কোন কিছু না লেখা কেন বুদ্ধিমানের কাজ? এ পর্যায়ে আসলে লেখা বোল্ড করে চিৎকার বোঝাতে ইচ্ছা করছে ফ্রাস্ট্রেশনে। (এবং এখানে 'সাফি'-র উত্তর - আমার আক্রমণাত্মক হওয়ার আগ্রহ ছিল না। আমি টেনস ছিলাম, ফ্রাস্ট্রেটেড ছিলাম।)
কারণ নিজেকে এভাবে কবে কোন সচল ডিফাইন করেছেন??? আমি এই, আই স্ট্যান্ড ফর দিস। আমার লেখা পড়লে কি টাকা খাওয়া আইএসআই এর এজেন্ট মনে হয়?!
আমার নিজস্ব মতামত আমি বহু জায়গায় দিসি। আমি যদি একটা লেখা দেই কোন বিষয়ে, এবং সঙ্গে সঙ্গে পাঁচটা প্রশ্ন আসে যেগুলো আমার অবান্তর মনে হয়, আমি উত্তর দিতে বাধ্য না।
যদি এখানে আমার দূর্বলতা থাকে, এবং আপনাদের অনেকের আগেই আমি স্বীকার করবো আছে - বানান, বাংরেজি, লেখার গঠনের বাইরে - আমার মনে হয় - ভিন্নমত এবং কিছুটা হয়তো 'সচলভাষায়' ছাগুমতও।
আমার বিশাল একটা প্রশ্ন, এবং আমি জানি সে বাউন্ডারিকে আমি ইররাশনালি স্ট্রেচ করেছি - আমি 'আওয়ামি চরিত্র' লেখাটি যে লিখলাম - সেটা কি সচলায়তনে আদৌ প্রকাশযোগ্য? নাকি এটি ছাগুশ্রেণীর লেখা হিসেবে গালি খেতে বাধ্য? নাকি এটা ব্লগার হিসেবে আমার সীমাবদ্ধতা যে আমি যথেষ্ট দক্ষ নই, বা যথেষ্ট কারণ বোঝাইনি? এরকম উঁচু ব্যারিয়ার টু এন্ট্রি থাকলে সচলায়তনে কি আদৌ কোন ব্লগার আছেন যারা এরকম টপিকে লিখতে পারবেন? নাকি শেষ পর্যন্ত এরকম মতামত উহ্যই থেকে যাবে?
আমার ফ্রাস্ট্রেশন আমার মধ্যেই থাকুক। আমি আক্রমণাত্মক হিসেবে আসতে চাই না - সে ইচ্ছা/ এনার্জি আমার নাই। আমি অবশ্যই মানবো আমার ব্লগিং-এ প্রচুর দূর্বলতা আছে। ভাল হতো যদি আমি সেইরকম শক্তিশালী ব্লগার হতে পারতাম। সেইভাবে সবগুলি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম। কারণ আমার ধারণা প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার কাছে আছে। আমার বরং যেটা মনে হয় আমি নিজেকে বুঝিয়ে উঠতে পারিনি। এবং হ্যাঁ, আমি বড় ধরনের বোকামিও করিনি কিছু ক্ষেত্রে তা নয়। যেসকল পাঠক আমার থেকে যথেষ্ট উত্তর পান নাই - আমি দুঃখিত। সে ভিত্তিতে আপনারা যদি কোন উপসংহার টানতে চান - টানতে পারেন।
উপরের প্যারাগ্রাফটা যদি কৌশলীভাবে সারকাস্টিক মনে হয় - এটা তা না। আমি কনফিউজড। আমি অনেকগুলো মন্তব্যের সাথে একেবারেই একমত না। কিছু মন্তব্যের ধারায়, কিছু মন্তব্যের টোনে। কিছু মন্তব্য ফ্যাকচুয়াল কারণে (হাসান মোরশেদ বলেছেন আমি জাকির নায়েককে নিয়ে তার লেখার সমালোচনা করেছি, আমি মোটামুটি ২০০% নিশ্চিত আমি সেটা করিনি; বরং আমি জাকির নায়েককে নিয়ে একটা সারক্যাস্টিক মন্তব্য করেছিলাম, আপনি আমার ফেসবুকে আমার সেই মন্তব্যের কোয়ালিফায়ার চাইছিলেন - আমি সেটা আপনাকে দিতে রাজি ছিলাম না, কারণ কোয়ালিফায়ার না দেয়ার অধিকার সম্পূর্ণ আমার, যদিও ঠিক, লোকে ভুল বুঝতে পারে। হাসান মোরশেদ চাইলে পুরা ফেসবুক থ্রেড এখানে প্রকাশ করতে পারেন। তারপরও, আমার ভুল হতেই পারে।)
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমার উত্তর না দেয়ার অধিকার আছে। আমার উত্তর না দেয়ায় যদি লোক মারা যায়, তখন সেটা বিশাল সমস্যা। আমার মনে হয় না সেটা হচ্ছে। কারো কারো মন্তব্যে মনে হচ্ছে সচলায়তনের ইন্টিগ্রিটি ক্ষুন্ন হচ্ছে আমার কার্যকলাপে। আমারও ধারণা কিছুটা হচ্ছে। হাসান মোরশেদ সরাসরি বলেছেন আমি সচলায়তনকে ধারণ করি না। না, আমারও মনে হয় না আমি করি। ১০০% অবশ্যই করি না। আপনার মতভিন্নতার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, অন্তত আপনি যে সচলায়তনকে ধারণ করেন, খুব সম্ভবত সেটা করি না। তাই বলে, হাসান মোরশেদ মনে হয় নিজেও জানেন পার্সেন্টেজটা শূন্য না।
তাহলে সমাধাণ কি? আমার অসীম শক্তি নাই যে আমি সবার সব যুক্তি খন্ডন করবো। মনে করসিলাম আছে, কিছুটা নিরাপদ বোধ করে লিখতে নামসিলাম। দেখা যাচ্ছে নাই।
তাহলে কি করা? লেখা বন্ধ করে দিবো? অবশ্যই না। সচলায়তনে আমাকে ব্যান না করা পর্যন্ত সেই চান্স নাই। আমি আমার লেখা লিখবো, সেই লেখার পাঠক আছে বলে যতদিন মনে হয়, ততদিন। মাঝে মধ্যে তো আগ্রহ কমবে বাড়বেই। একসময় শূন্য হলেও হতে পারে, কিন্তু সেদিন নিয়ে এত অস্থির হওয়ার কি দরকার? অবশ্যই আমার জীবনে সচলায়তনের পজিটিভ ভূমিকা আছে। সচলায়তনের মাধ্যমে আমি বহু ইন্টারেস্টিং লোককে চিনছি। মতভিন্নতা তো থাকবেই। সচলায়তন তো আমাকে ভিন্নমত প্রকাশ করতে দেয় না তা না। আমার গ্রাজ ব্যারিয়ার টু রাইট 'ভিন্নমত' অনেক বেশি। আমি ভুল হতেই পারি। হয়তো আমার এনার্জি লেভেল কম। হয়তো নাজমুল আলবাবরা ঠিকই বলসেন (যদিও I'd hate to think that!)।
আমি 'এ ধরণের লেখা' আর লিখবো বলে মনে হয় না। কারণ আমি প্রতিক্রিয়া সামলাইতে পারি না। আমি নিজেকে পুরাপুরি, এমনকি অনেকাংশে ভুলও মনে করি না। আমি কেন লিখছি লোকে সেটা না বুঝলে সেটা আংশিক আমারও দোষ (রেফারেন্স 'পাঠক' এর মন্তব্য - বা বিএনপির হিন্দুদের রেপ করা)। আংশিক বলছি কারণ কিছু লোক আদৌ বুঝতে চান কিনা সেটা নিয়ে আমারও সন্দেহ আছে।
আমি যাওয়ার আগে রজার এবার্টের একটা মন্তব্য শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম। সমস্যা হল, আবারও 'পাঠক'-এর মন্তব্য (অচ্ছুৎ বলাই এর 'জ্ঞান/বুদ্ধি' ডিসটিংকশন মেনেই নেয়া যায়) - 'গাট্টি গাট্টি বই পইড়া' যদি এক্স হয়, সেটাও আপনি চান। পাঠক, শিবিররে না, আমারে বেনেফিট অফ ডাউট দেন। আপনার কি মনে হয়?
এবার্টের মন্তব্যে আসি:
"I believe that if, at the end, according to our abilities, we have done something to make others a little happier, and something to make ourselves a little happier, that is about the best we can do. To make others ... less happy is a crime. To make ourselves unhappy is where all crime starts. We must try to contribute joy to the world. That is true no matter what our problems, our
health, our circumstances. We must try. I didn't always know this and am happy I lived long enough to find it." - Roger Ebert.
সচলায়তনে সামনে লেখায় এটাই হবে আমার এ্যাপ্রোচ। আমার আগের ধরণের লেখার মাধ্যমে অবশ্যই আমি এ কাজটা করতে পারছিলাম না। আঘাত দিচ্ছিলাম নিজেকে, সচলায়তনের বেশ কিছু পাঠক এবং লেখককে। এবং পরোক্ষভাবে নিজের পরিবার এবং বিশেষত আমার বাবাকেও (যদিও সে এ পর্যন্ত কিছুই জানে না; দেখি কিছু বলি কিনা)। সেটা আমারই ব্যর্থতা।
সরি, এবং বাই।
দুঃখিত, এবং বিদায়।
মন্তব্য
সরি-র ধরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। "এত কথা বইলা কিসের সরি, দাঁড়াও দেখতাসি।"
সরিটা extreme contrition-এরই। অন্যান্য এলিমেন্ট নাই তা না - রাগ, ক্ষোভ, ব্যর্থতা, উপলব্ধি, পন্ডশ্রম, সবই আছে। কিন্তু এবার্টের মন্তব্যের নিচে আসছে সেটা।
আমার কোন স্বার্থ নাই মানুষের সাথে শত্রুতা পুষে রাখাতে। সেটা আমার উদ্দেশ্যও না। সেটা আবারও আন্তরিকভাবেই বলার চেষ্টা করছি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা সবাই সবাইকে আরেকটু গভীরভাবে চিনলে নিজেদের অনেক বেশি গভীরে, এমপ্যাথেটিকালি বুঝতে পারবো। বস্তুত সেটা প্রতিদিন আমরা করিও। নজমুল আলবাব আর হাসান মোরশেদ মানুষ হিসেবে আমার থেকে কতটা ভিন্ন? হতে পারে আমাদের সীমা বিবেচনা করলে চিন্তাটা ইউটোপিয়ান। মানবজীবন বায়াসড, থাকুক না এই পজিটিভ ইউটোপিয়া, কারণ এই পজিটিভিটি থেকেও অনেক ভাল ফল আসেই, আসবে। আপনি যেভাবে চিন্তা করেন, সেটা অবশ্যই আপনার অনুভূতিকে প্রভাবিত করবে।
অন্তত এক মিলিসেকেন্ডের জন্য হলেও সবচেয়ে আঘাত পেয়েছি যে মন্তব্যকারীর থেকে, তাকে আমি বোঝার চেষ্টা করেছি এবং আমার মনে হয় আমি পেরেছিও। বাস্তবজীবনের অনেক অভিজ্ঞতা, অনেক আবেগ, অনেক সীমাবদ্ধতা এবং অনেক যুক্তি মিলিয়েই মানুষ।
সুতরাং, আন্তরিকভাবেই সরি; দুঃখিত। আমার যদি ট্যালেন্ট থেকে থাকে কয়দিন পর পর এই ধরণের লেখা দিয়ে সচলায়তনের অংশবিশেষকে ক্ষেপিয়ে দেয়ার - সেটা আমার দরকার নাই।
কি বলেন কিছুই তো বুঝি না ... । ঢুকলাম জামাত চরিত্র শিরোনাম দেখে। এইখানে সচলের চরিত্র, আওয়ামী চরিত্র, এমনকি আপনের চরিত্রেরও লম্বা বিশ্লেষণ আছে। কিন্তু জামাত চরিত্র কই???
'জামাতি চরিত্র' শিরোনামে আপনার কথা পড়লাম
পারফেক্ট
এটা কি ম্যাটা ব্লগিং হইলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার আগের পোস্ট এবং তার মন্তব্য পড়ে ভেবেছিলাম জামাত চরিত্র উন্মেচনের একটা প্রয়াস আপনার মধ্যে থাকবে, সেটা পেলামনা । মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো বলে একবাক্যে জামাতকে ঘৃণা করা সবচাইতে সহজ কাজ এবং এবং সেটাকেও আমি দায়সারা ভাবে দায় সারা বলে মনে করি।
আপনার আগের পোস্টেও বলেছি, এখনও বলছি - জামাতের ব্যাপাারে আমার এমিডালা আর ফ্রন্টাল লোবের মধ্যে কোনদিন কন্ট্রাডিকশন হয় নাই, হবেওনা, এই একটা জায়গায় আমি ভয়াবহ সংহত। এই বিষয়ে আপনি আমাকে যদি আর কোন প্রতিমন্তব্য না করেন আমি খুব খুশী হবো।
পুরাটা বুঝিনাই। তবুও এই সিরিজের লেখা দুটী পড়এ কোন কারনে তুমি বিচলিত আছ বলে ঠেকল। দেখ ভাই, তোমার মনের কুহরে যদি কোন ছাগশিশু ঘাপটি মেরে বসে না থাকে, তাহলে তোমার ভয়/অপরাধবোধ নিতান্তি অমূলক, এতটুকু জানি।
খেয়াল করলাম আগের লেখায় তুমি গ্রামীনফোনকে নিউট্রাল বলছ। এটা তো ঠিক যে ওখানে ছেলেমেয়েরা একসাথে মেলামেশা করে, নামাজকলমা নিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে ওখানে উতসাহ দেয়া হয়না। তাহলে কি যুক্তিতে গ্রামীনকে আওয়ামী চরিত্র না বলে তাকে নিউট্রাল বলছ, একটু বিষদে বলবে?
ভাইজান, আপনে চান আপামর সচলের ভালবাসা। সম্মান। কিন্তু সেইটা পাইতে হইলে যেই চিন্তা-ধারা, কথা-বার্তা, মিনিমাম বিশ্বাস-চেতনা রাখা দরকার, সেইটা আপনের ভেতরে নাই। এবং যা বুঝা যায়, সেগুলা আসার সম্ভাবনাও সুদূর পরাহত। তাই আপনের এইসব আকুতি-মিনতি জাতীয় পোস্ট পাঠকের মনে তেমন রেখাপাত করে না। ব্লগ-কে তো আপনে এক ধরনের মাগনা সাইকায়াট্রিস্ট বানায় ফেলসেন। কাউচে শোয়ার বদলে কম্পিউটারে বসে বলে দিলেন আরো এক গাদা কথা, যার আগা-পাশ-তলা কোনটাই সাধারণ পাঠকের বোঝার নাগালের বাইরে। থেরাপিস্ট পারলেও পারতে পারে।
শুনেন। বিশ্বাস, চেতনা, আর পরিষ্কার ভাষনের কোন সাবস্টিটিউট নাই। পরের থেকে ধার করা কোটেশান দিয়ে নিজেকে ধামাচাপা দিতে পারেন, পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারেন। কিন্তু আরো একশো'টা মণীষী-র কথা এখানে উদ্ধৃত করলেও সাধারণ পাঠক-কে আপনে ইম্প্রেস করতে পারবেন না। কারন পাঠক বিদেশি কোটেশান-এর কপি-পেস্ট চায় না। তারা চায় ব্লগারের বিশ্বাস আর চেতনার প্রকৃত ভিত্তি।
পারবেন?
এজন্যেই কবি চরম উদাস বলেছেন, "ত্যানাকে তুমি যেভাবেই প্যাঁচাও না কেন, ত্যানা ত্যানাই"।
'আওয়ামী চরিত্র' লেখাটা যখন পড়েছি 'স্ট্রিম অফ কনশাসনেস' হিসাবে লেখাটা ভালোই লেগেছে। অন্তত ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে কিছু গিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছিলো না মনে হয়েছে। পারিবারিক ভাবে একধরনের মতবাদের মধ্যে বেড়ে ওঠার পরে নতুন মত/তথ্য লেখককে কী ধরনের অন্তর্দ্বন্দে ফেলছে সেসব নিয়েই লেখার চেষ্টা ছিলো মনে হয়েছে। অবশ্য লেখাটা অসম্পূর্ণ। লেখক যেটা স্বীকার করেছে নিজেই লেখার শেষে। সবাই দেখলাম লেখাটা অন্যভাবে নিলো...
এই পোস্টটা একটা মেটাব্লগ। অবশ্য পাঠকের সরাসরি দাবিতেই লেখা। তাই মেটাব্লগিংএর প্যানাল্টি কতটুকু কম বা বেশি হবে সেটা মডুদের সিদ্ধান্ত।
আর সচলে কোনো জামাতি বা ছাগু নেই এটা নিশ্চিত। কিন্তু অন্ধ আওয়ামী ভক্ত আছেন। সেটাও প্রায় নিশ্চিত। কদিন আগে কিছু পোস্টে মন্তব্য প্রতি মন্তব্য চালানোর সময় ব্যাপারটা প্রথম মনে হয় আমার।
আর সিরাতের প্রতি টিপস হলো। ভিন্ন কিছু বলার আগে খুবই খুবই যত্নবান হওয়া উচিত। এই বাড়তি যত্ন নিতে গেলে অনেক সময় নিজের কাছেও বিষয়টা পরিষ্কার হয়। রিচার্ড ডকিন্স-এর বক্তব্য দেওয়ার ভঙ্গিটাকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় অনেক সময় সহজ একটা বিষয়কেও অনেক বেশি ডিটেইলে বলে সে। বক্তব্যকে নিঃছিদ্র করার এই প্রয়াশ ছাড়া একটা ম্যাস পপুলেশনের কম্ফোর্টজোনের বাইরে কিছু বলা বিপদজনক। খুবই বিপদজনক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সচলে 'অন্ধ' আওয়ামী ভক্ত কে কে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রশ্ন পছন্দ হয়েছে -
একটি কথা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন - জামাত/রাজাকার/মৌলবাদী প্রশ্নে সচল কে সবসময়ই পরিস্কার অবস্থানে পেয়েছি - উপরে তানিম এর লেখাটি আমার ও কথা - সচল পড়িইতো একারনে- হিমু, হাসান মোশেদ, মাহবুব মুরশেদ, শুভাশীষ, বলাই, তাসনীম সহ আরো অনেকে ওভাবে লিখে বলেইতো আমি মেহেরজান, জামাত, সাম্প্রদায়িকতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে দেখি প্রতিনিয়ত - এদের কেউ আওয়ামীলীগ করেনা - আমিও না- তবে আওয়ামী মানসিকতা আর রাজাকারবিরোধিতা সমারথক হলে কিছু বলার নেই - আই উড লাভড টু বি ট্যাগড এজ এন আওয়ামীলীগার - লেখকের প্রাথমিক এপ্রোচ আমার কাছে ভালো লেগেছিল - তবে এভাবে সচল কে আওয়ামী ট্যাগিং করাটা ভাল লাগেনি - কয়েকদিন আগে আরেকটি ব্লগেও এমন কিছু বলা হয়েছিল - সচলায়তন কে আমি নিরপেক্ষ চাইনা - বরাবরের মত যেন সে ছাগুবিরোধী আর বাংলাদেশ এর পক্ষেই থাকে - - -
স্যাম
পুরোপুরি একমত। পোস্টলেখকের প্রতি সহানুভুতি রইল।
অজ্ঞাতবাস
এবং
সবাই কেন লেখাটা অন্য ভাবে নিয়েছে, সেটা সিরাত ভাই বা আপনার বুঝতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয়।
লেখাটা অন্য ভাবে নিচ্ছে কারণ আওয়ামী চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আওয়ামী বিরোধিতার যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো ধর্মভিত্তিক দল এবং জামাত কে টেনে নিয়ে আসে। আর সে বিষয়ে সিরাত ভাই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন নি। এটা একটা বড় ব্যাপার ছিলো, ঘরের মাঝের হাতিটা দেখতে না পেয়ে সবাই কেন দেখতে পেলো, এই ধরণের স্বগতোক্তিও বুঝতে বেগ পেতে হয় বৈকি।
ম্যাস পপিউলেশনের 'কম্ফোর্ট জোন'??! এটা কি রসিকতা কোনো রকমের?
উনি ওনার নিজের মতামত পরিস্কার করে প্রকাশ করলেই ঝামেলা হোতো না, আর আপনিও এটুকু বললেই চলতো। পোস্টে যেমন সিরাত ভাই বার বার সত্য মনোভাব প্রকাশ করা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছিলেন, আপনি সেটাই উসকে দিলেন। মাস পিপলের কম্ফোর্ট জোন... যুদ্ধাপরাধের বিচার, জামাতের বিরোধীতা করা, ধর্ম নিরপেক্ষতা কে রেসপেক্ট করা, এসব তাহলে মানুষের যৌক্তিক চাওয়া না, কম্ফোর্ট জোন।
কথা বলার সময় অন্যকে যেমন চিন্তাভাবনা করতে বলেন, নিজেও সেই কাজটা করে দেখতে পারেন।
মাস পপুলেশনের কম্ফোর্ট জোন নিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত তাতে আরো সার্থকতা পাবে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এই নিশ্চিন্তির ঠিকানা কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই নিশ্চিন্তের ঠিকানা কেউ দিলেও মেনে নিতে আপত্তি থাকবে, বে-জান্মাত কিংবা শিবিরকে যতটা কাছে থেকে দেখেছি জাহাঙ্গীরনগরে এবং তার পরবর্তী সময়ে দৌড় খেতে খেতে তাতে আমি নিশ্চিত তারা আছে - সব জায়গায় আছে - ঘাপটি মেরে। একদিন ঠিকই লেজ তুলে বেরিয়ে আসবে। যখন দেখি সবাই বে-জান্মাত আর শিবিরকে নিয়ে একটা কেমন কল্পনারে রঙ মেখে কথা বলে তখন মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় সেসব কথা লেখি কিন্তু ক্লান্ত লাগে। একটা কথা শুধু বলে দিতে পারি, জামাত আর শিবির আক্ষরিক অর্থেই মিলিট্যান্ট গ্রুপ। কাজেই এতো নিশ্চিন্ত থাকার যেমন দরকার নেই, তেমনই খুব বেশি ভয় পাওয়ারও দরকার নেই - শুধু নিজের কাছে পষ্ট থাকা দরকার, আর কিছু নয়। ধন্যবাদ নজরুল ভাই, একদিন দেখা হবে, কথা হবে।
আমার কথা হইল সচলে যেইসব ছাগুরা ঘাপটি মাইরা আছেন তারা তাগো আল্লার ওয়াস্তে বাইর হন। হইয়া ফুটেন। যাওয়ার সময় পিছে কিছু নিয়া যান। সচলের বয়স এখন সোয়া চাইর। এইসব প্রাইমারি ছাগু োাো'র টাইম নাই।
অজ্ঞাতবাস
এই পোস্ট একেবারেই অগোছালো হয়েছে। পোস্টই হয় নাই। সিংহভাগ অংশ আগের পোস্টের প্রতিমন্তব্য হয়েছে, (তথা কথিত মেটা ব্লগিং হয়েছে।)
০১
আওয়ামী বিরোধী/অসমর্থক মানেই সে জামাতপ্রেমী হবে আমার কাছে বিষয়টা এমন নয়। তবে স্বাধীনতাবিরোধী/অস্বীকারকারী/যুদ্ধাপরাধী মানেই জামাত এটা নিশ্চিত।
০২
আপনি একটু ঝেরে কাশবেন, সিরাত ভাই? আমি এই পোস্ট পড়ে আপনার অবস্থান নিয়ে কিছুটা সন্দিহান। আপনি কি জামাতের প্রতি কোন কোমলতা পোষণ করেন? প্রেম অনুভব করেন? কিঞ্চিত সমর্থন করেন? যদি উত্তর হ্যা হয় তবে আমি আপানর আর কোন লেখা পড়বো না নিশ্চিত। এবং সচলায়তন এ প্রেক্ষিতে আপনার উপর কোন ব্যবস্থা নিলে আমি সমর্থন করবো। সচলায়তনে সচল/হাচল হিসেবে আমি আশা করি নাই কোন জামাতপন্থী কেউ থাকতে পারে। এরকম হলে খুবই আহত হব।
আপনার অতি পুরানো কোন লেখা পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না। তাই এই বিষয়ে আপনার অবস্থানটা জানতে চাচ্ছি!!! আপনি বড় প্যাচিয়ে ফেলেন, একটু স্বচ্ছ স্পষ্ট উত্তর দিন পারলে!!!
০৩
আমি নিজে মোটেই অন্ধ/কট্টর আওয়ামী সমর্থক না। আমি বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে অতিশয় হতাশ, বিরক্ত, জীবনের প্রথম ভোট অপাত্রে গিয়েছে ধরে নিয়েছি। অবশ্য যেই মূলো ঝুলিয়ে এরা আমার ভোট পেয়েছে সেই একি মূলো ঝুলিয়ে আবারো ভোট পেয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত নই। 'যুদ্ধাপরাধের বিচার' টাকে তারা মূলো বানিয়ে ছেড়েছে। আমার কাছে ভোটের অপশন দুটোঃ হয় 'নৌকা' নতুবা 'না' ভোট। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে আওয়ামী লীগকেও ভালো লাগে না, এরাও দুর্নীতিগ্রস্ত, অসৎ, অদেশপ্রেমী, অশিক্ষিত, ধান্দাবাজ, চোষক। তারপরও কেন 'নৌকা'য় ভোট, প্রশ্ন উঠতে পারে? আমার উত্তর হবে এরা অসাম্প্রদায়িক ধারণায় বিশ্বাসী, এরা স্বাধীনতার শক্তিতে বিশ্বাসী, আর একজন হিমালয়পুরুষকে, বঙ্গবন্ধুকে, আমি আমৃত্যু শ্রদ্ধা করে যাবো, এই দলটি সেই মহাপুরুষেরই দল (যদিও ঐ সময়ের আওয়ামী লীগ আর এখনকার হাম্বালীগের মধ্যে পর্বতসম পার্থক্য!) তাই হয়তো ভোটটা তারা পেয়ে যায় ঠিকই, এবং আমার মনে হয় এই কারণে শুধু আমারি নয় অনেকের ভোটটাই তারা পায়, বঙ্গবন্ধুপ্রেমী মানুষের সংখ্যা বাংলায় এখনও কমে নাই! কিন্তু এদের কর্মকাণ্ডে(বিশেষত ছাত্রলীগ, কিছু মন্ত্রী) আমি তৃপ্ত তো না ই বরং খুবই মর্মাহত।(হয়তো অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত কথা বলে ফেললাম।)
০৪
জামাতের ব্যাপারে আমার কোন সফ্ট কর্নার নেই। আমি জামাতের কোন অস্তিত্ব এই বাংলার মাটিতে দেখতে চাই না। যুদ্ধাপরাধের তো বিচার হতে হবেই, পাশাপাশি জামাত এবং তার সকল অঙ্গ সংগঠন আমি চাই নিশ্চিহ্ণ করে দেওয়া হৌক, নিষিদ্ধ করে দেওয়া হৌক। এরা সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য, বিষাক্ত।
_____________________
Give Her Freedom!
ওহে, মৃত্যুময়, আবারো তোমাকে নিয়ে গর্বহলো! ধরে রাখো সতেজ বুকের ভেতর একজীবনের এতোটুকু চেতনার শিশির! দেখা হলে কথা হবে, ভালো থাকো ভাইয়া, শুভেচ্ছা
লম্বু -মৃত্যুময় আমারও মনের কথা বলে ফেলেছে... শুভকামনা
প্রতিটা প্যারায় সহমত। এই মন্তব্যটায় যে কোয়ালিটি আছে তা মূল লেখায় নাই।
" একজন হিমালয়পুরুষকে, বঙ্গবন্ধুকে, আমি আমৃত্যু শ্রদ্ধা করে যাবো, এই দলটি সেই মহাপুরুষেরই দল (যদিও ঐ সময়ের আওয়ামী লীগ আর এখনকার হাম্বালীগের মধ্যে পর্বতসম পার্থক্য)"
"জামাতের ব্যাপারে আমার কোন সফ্ট কর্নার নেই। আমি জামাতের কোন অস্তিত্ব এই বাংলার মাটিতে দেখতে চাই না। যুদ্ধাপরাধের তো বিচার হতে হবেই, পাশাপাশি জামাত এবং তার সকল অঙ্গ সংগঠন আমি চাই নিশ্চিহ্ণ করে দেওয়া হৌক, নিষিদ্ধ করে দেওয়া হৌক। এরা সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য, বিষাক্ত।"
সহমত। এবং জামাত এর সাথে বি এন পি ট্যাগ হওয়াতে এরাও পরিত্যাজ্য।
আপনার লেখাটা পড়ে সেই গল্পটার কথা মনে পড়ল। ছেলে পরীক্ষার জন্যে কবরস্থান রচনা শিখে এসেছে কিন্তু আসল গরু রচনা। পরেরটুকু নিশ্চয়ই আপনার জানা।
লেখা পড়ে প্রচন্ড হতাশ হলাম সিরাত ভাই।
১। শিরোনামের সাথে লেখার ভিতরের বিষয়বস্তুর কোন মিল নাই। জামাতি চরিত্র বিশ্লষণ তো করলেন না।
২। আপনার লেখার ধরন নিয়ে ব্যাখ্যা তো আগের পোস্টে মন্তব্যের ঘরে দিয়েছেনই। আবার কথা বলার দরকার ছিল না।
৩। লেখাটায় আপনার অবস্থান তো স্পষ্ট হল না। একটা জিনিস বুঝলাম আপনিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান। উত্তম কথা কিন্তু তাহলে ত্যানা প্যাঁচানি কেন।
৪। আপনার মতে - সচলায়তনে জামাত-শিবিরকে যে পরিমাণ সমালোচনা করা হয়, ব্যাঙ্গ করে কার্টুন আঁকা হয়, আওয়ামী চরিত্রদের সেভাবে ব্যাঙ্গ করা হয় না। দুই দলের কাজের খতিয়ান কি এক? আমলনামায় যুদ্ধাপরাধের মত ব্যাপার থাকা এক ব্যাপার আর অসততা, দুর্নীতি, অদক্ষতা থাকা আরেক ব্যাপার। দই দধরনের অপরাধের গুরুত্ব চিন্তা করে দেখেন।
৫। সবচেয়ে বিরক্তিকর ও ছেলেমানুষী মনে হল সচলায়তন নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা। আপনাকে কেউ ভয় দেখিয়েছে? তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন? আর লিখব না, ব্যান করে দিবে, ছদ্মনামে লিখতে হবে, সচলে চিত্ত আর ভয়শূন্য নাই - এইসব খোদোক্তি করার কোন মানে হয় না। যদি মনে করেন পাঠকদের কিছু দিতে পারবেন বা সচলে লিখে নিজে তৃপ্তি পান, তাহলে লিখবেন। আর যদি মনে হয় লিখতে ভয় পাচ্ছেন, আপনি মিশতে পারছেন না লেখা বন্ধ করে দিবেন (যার কস্ট বেশি- আপনি স্বীকার করলেন) তাহলে দেন লেখা বন্ধ করে - এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তো আপনার আছেই।
৬। র্যাশনালিটি প্রসঙ্গে তো নানা পোস্টে অনেক বাতচিত হয়েছে। সেই র্যাশনাল অ্যানালাইসিস এর ছিটে-ফোঁটাও দুই লেখার একটাতেও পেলাম না। চরম, চরম হতাশ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম এর মন্তব্য টা পারফেক্ট! সুরঞ্জনা, ম্রত্যুময়, চরম উদাস, বলাই দা, তানিম, উজান গা সবার কথায় আমার শব্দের প্রতিধবনি - সিরাত আরো ভাল করে একই লিখা লিখতে পারতেন - তার ভেতর কার দন্দের কথা - এতদিন সচলে থেকে সিরাত এর অনেক ভাল বুঝতে পারার কথা - কারো পক্ষে বিপক্ষে নয় - তালি বা নিন্দা পাওয়ার ভয় বা লোভ ও নয় - সিমপ্লি নিজের অনুভুতি লিখতে পারার সাধীনতা সচলে আছে (ছাগু ছাড়া)- এই বোধ আমার চেয়ে সিরাত এর বেশী থাকাটাই প্রত্যাশিত ছিল... স্যাম
জাকির নায়েকের আগমনের সংবাদ শুনে এর বিরুদ্ধে অনলাইন এক্টিভিজম শুরু হয়েছিলো সচলায়তন থেকেই। সচলায়তনে স্টিকি পোষ্ট ছিলো, আমরা সচলরা ফেসবুকে আলাদা গ্রুপ করে ও কাজ করছিলাম। যেহেতু ধর্মান্ধতা/ ধর্মব্যাবসার বিরদ্ধে সচলায়তনের অবস্থান জিরো টলারেন্স সেহেতু এটা ধরে নেয়া যায় ঐ এক্টিভিজমে প্রত্যেক সচলের সমর্থন ছিলো। ধর্মান্ধতা/ ধর্মব্যাবসার বিরদ্ধে অবস্থানকে যিনি সমর্থন করেননা তিনি সচলায়তনকে ধারন করেন না। পিরিয়ড।
এবার আসা যাক আপনার ভূমিকা কী ছিলো। আপনি জাকির নায়েককে নিয়ে নয় বরং তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অনলাইন এক্টিভিস্টদের নিয়ে সারক্যাস্টিক মন্তব্য করেছিলেন। আপনি এক্টিভিস্টদের নিয়ে হাসিতামাশা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তাইতো?
আমি যখন আপনার সাথে তর্ক শুরু করেছিলাম- কেনো জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াবোনা আমাকে বুঝিয়ে বলতে হবে তখন গোঁয়ারের মতো আপনার উত্তর ছিলো, 'জবাব দিতে আমি বাধ্য নই'- মনে আছে?
আপনার এই পোষ্ট থেকে ও প্রমান করা সম্ভব আপনি একটা আপাদমস্তক ছাগু।
মানে কী দাঁড়ালো? শিবির ইত্যাদিতে 'যারা' এটাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে! তার মানে আপনি প্রতিষ্ঠিত করতে চান- শিবির ইত্যাদির মধ্যে কেউ কেউ জামাতের যুদ্ধাপরাধকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, সকলে না!
শিবির যে বুড়ো হাবড়া জামাতীদের কিলিং গ্রুপ সেটা মফস্বলের হাইস্কুলের ছাত্র ও জানে, আপনি আইবিএ গ্র্যাজুয়েট হয়ে ও জানেনা কারন কী? 'রক্তে প্রব্লেম'!
বহু ঘাগু ছাগুরে পুড়াইয়া কাবাব বানানোর অভিজ্ঞতা ওয়ালা লোকজন সচলায়তন বানাইছে। আপনার মতো নধর ছাগু কিভাবে এতোদিন ধরে এইখানে আছে, সেইটা অবশ্য বিরাট এক রহস্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
“আওয়ামী চরিত্র পড়ে জামাতি চরিত্র পড়ার ব্যাপারে কয়েকজন মন্তব্যকারি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফেয়ারনেস এর খাতিরে সেটা করাই যেতে পারে” -- মাথার ভেতর খুব যন্ত্রনা করছিলো এই লাইনটা এবং কোনভাবেই মেনে নিতে পারলামনা বলেই আবার মন্তব্য করতে এলাম।
জামাত ইস্যূতে ফেয়ারনেস বলে কোন শব্দ যদি থাকে তবে সেই অভিধান মেনে নিতে আমি রাজি নই, আমার ধারনা সেটা বর্জন করার মত অগণিত মানুষ পাওয়া যাবে। আপনি কতটা দেখেছেন এদের তান্ডব? কতবার বন্ধুর লাশ কাঁেধ নিয়ে হেটে গেছেন? চাপাতির কোপে দ্বিখন্ডিত মাথা, চার হাত-পায়ের রগে নকশা কাটা বন্ধুর মৃতদেহের সামনে যারা দাড়ায়নি তাদের এইসব বড় বড় কথা শুনে আমার হাসি পায়, জামাতি চরিত্র শিরোনামে এইসব ফালতু আলাপ না করে একটু যাচাই বাছাই করে দেখুন।
আওয়ামী লীগের চরিত্রের সাফাই গাইতে আসিনি, ফেলে আসা জীবনের অসহনীয় রাত আর দিন পেরিয়ে সচলে এসে শান্তি পেয়েছিলাম যে এখানে অন্তত আর যাই হোক বেজন্মাদের পক্ষে ধোয়া তুলবার নূন্যতম সুযোগ নেই। আপনার পোস্ট ভালো লাগতো, কিন্তু একটা বিষয় অবাক হচ্ছি আপনি বুঝতে পারছেন না আপনার হালকা চালে এইসব মন্তব্যে আপনি জামাতের কতটা পারপাস সার্ভ করছেন। বিষয়টা আপনার জন্য কতটা লজ্জার জানিনা তবে এটা আমাকে বিব্রত এবং লজ্জিত করেছে কারন আপনি একজন সচল!!
আমি আপনাকে আজ থেকে বর্জন করলাম, আপনার কোন পোস্ট পড়বোনা আমি। দুঃখ প্রকাশও করলামনা।
আপনার এই লেখাটা পড়ে, আপনার আগের লেখাটাও পড়লাম, কিছু অনুভূতি হলো সেগুলো বলছি, এর আগে সজলে কখনো আক্রমনাত্মক মন্তব্য করিনি, কিন্তু আজকে থাকতে পারলামনা, তার কিছু বিশেষ কারণ আছে|
এর আগে এরকম অনেককেই দেখেছি আপনার মতো ভালো ভালো জ্ঞানী কথার মোড়কে তারা চেষ্টা করে তাদের কুমতলব অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, এই ধরনের মনোভাব দেখলে শুধু মেজাজ খারাপনা ভয়ংকর রাগ হয়| আপনি কথা প্রসঙ্গে জাকির নায়েকের কথা তুলে ধরেছেন, আমার মতে আপনি কোনো অংশে জাকির নায়েকের থেকে কমনা| আপনিও ওই ভন্ডের মতো অনেক ফাকা বুলির মোড়কে কিছু বদ মতলব প্রকাশ করেছেন| পরপর ২টা পোস্টে আপনি পারিবারিক চিন্তা চেতনার প্রভাবের কথা তুলে ধরেছেন, কিন্তু আপনার কি মনে হয়, এই বয়সে এসে আপনি মিনমিনে গলায় বলে যাবেন যে আপনার প্রাত্যহিক চিন্তা চেতনা এখনো পরিবারের প্রভাবে আছে আর বাকিরা তা বিনা সন্দেহে মেনে নিবে?? আপনি বলেছেন আপনি সন্দিহান কিছু বিষয় নিয়ে, আগে এটা বলেন, শিবির এবং জামাত যারা করে তারা কোন চেতনায় বিশ্বাসী এটা বিশ্লেষণ করার আগে, এই দল যে এই দেশের মানুষের রক্তে স্নান করে গড়ে উঠেছে এটা জানা কি যথেষ্ট না?? যারা সক্রিয় ভাবে জামাত করে তাদের ধর্ম নিয়ে অনেক পেচাল পারতে শোনা যায়, সেই একই কাজ কি ৭১ এও করে নাই এরা?? আপনি প্রথম থেকে অনেক লজিক দিলেন, ভাবলাম শেষে যৌক্তিক কিছু বলবেন, কিন্তু শেষে এতটুকুই মনে হলো, খুব সতর্ক ভাবে আপনি জামাতিদেরও আমাদের দেশে তাদের বিষবাষ্প ছড়ানোর অধিকার দেওয়া হোক, দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদেরও মত প্রকাশের অধিকার দেওয়া হউক এই টাইপের একটা ভিত তৈরী করতে চাইলেন|
এবার আপনার আওয়ামী চরিত্র বিশ্লেষণে আসি, সব রাজনৈতিক দলেরই খারাপ দিক আছে, সেটা নির্ভর করে দলের সদস্যদের উপরে, আপনি আওয়ামী লীগরে অনেক কাটা-ছেঁড়া করলেন তা বুঝলাম, কিন্তু জামাতি চরিত্র বিশ্লেষণে এসে আপনি বাকশূন্য কেন?? এই পোস্টেও আপনি আপনার আগের পোস্টেরই গুন গান গেয়ে গেলেন, আর ফাকের মধ্যে সেটাকে আরও সংহত করার জন্য মিন মিন করে আরও কিছু অযৌক্তিক যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে গেলেন| আমি পারতপক্ষে মনে করিনা দেশে কোনো ভালো রাজনৈতিক দল আছে, কিন্তু এটাও মনে করিযে, স্বাধীনতার সপক্ষেও দেশে শক্তিশালী দল বলতে ওই একটাই, তাই আওয়ামীলীগরে তাদের খারাপ পদক্ষেপের জন্য যতই গালি দেইনা কেন, আপনার কি মনে হয় যে এদের পরিবর্তে জামাতের হাতে ক্ষমতা দিলে আপনারে স্বর্গে নিয়ে যেতো???
অন্যের কথা জানিনা, আমি স্কুলে থাকতে থেকে জানি শিবিরের রগ কাটা কর্মসূচির কথা, আপনে কি আমার মতো পাবলিকরে এটা বোঝাতে চান যে, শিবির আর জামাতরে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে এটা চালাইতে দেওয়া হোক??? অনেক ভারী ভারী বিশেষণ দিলেন, কিন্তু সাফ সাফ ভাবে এটা তো বললেন না, লেখাটা লিখলেন আপনি, নামেও চরিত্র বিশ্লেষণের গন্ধ, কিন্তু পুরা লেখাতে আপনি কোনো ভাবেই পরিষ্কার করে আপনার কথা লিখলেননা, ঘোলাটে করে কি বুঝতে চাইলেন?? জামাত কে নিয়ে কিসের কনফিউশন আপনার?? যে দল জন্ম থেকেই বেজন্মা তাদের নিয়ে আপনার গলা শোকানোর কি দরকার??
সচলায়তন প্রথম থেকেই "চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির", এটা নিয়েও আপনার কনফিউশন?? আপনার কি মনে হয়, আজাইরা কথা বলার জন্য সাহস লাগে?? আর সেটাও প্রকাশের অধিকার দিতে হবে?? সঠিক চিন্তা, স্বাধীনতার মূল ভাবধারা, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধ- এসব বিষয়ের আবার মতপার্থক্য কোথায় যে তা প্রকাশ করতে হবে??? আর যদি থাকেও তাহলে তো তার এই দেশেই থাকা উচিত না| সচলায়তনে এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ করার প্রশ্নই তো ওঠেনা, এছাড়া বাকিরা তো মত প্রকাশ করে যাচ্ছে, তাদের তো সমস্যা দেখিনা| সচল আওয়ামী ঘেষা এই বলে কি আপনি এটা বলতে চাইলেন যে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকেও মত প্রকাশের ক্ষমতা দেওয়া উচিত???? নাহলে এই সচলে বেশি দূরে যেতে হবেনা, এই মাসের লেখা পরলেও আওয়ামী লীগরে তুলোধুনো করে লেখা বেশ কিছু ব্লগ পাবেন| তাহলে আপনার সমস্যাটা কোথায়???
আসলে আমার মতে আপনার ভয়টা অন্য জায়গায়, আপনি মনে হয় নব্যছাগু চেতনায় উদ্বুদ্ধ একজন, যার মনের মধ্যে অনেক দিন ধরেই এই চিন্তা উঁকি-ঝুঁকি মারছিলো কিন্তু প্রকাশ করতে পারছিলেননা, এইবার মোক্ষম সময় বুঝে দাও মারতে চাইলেন| যেমন করে দেশে মেহেরজান মুক্তি পেয়েছিলো, সেরকম করে আপনিও ভাবলেন আপনার মনের কথা মুক্ত করা উচিত তাই না??
কে কি বললো জানিনা, তবে আমার মতে আপনি যতই জ্ঞানী হননা কেন, আপনার মতো ব্লগার দরকার নেই, জ্ঞানতো গুগল সার্চ মারলেও পাওয়া যায়| যারা এভাবে পরিবেশ কলুষিত করে তাদের ধিক্কার জানাই|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সিরাতচরিত বুঝতে হলে একটু পেছন ফিরে তাকানোটা দরকার আছে, বিশেষ করে দুটো পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে করি
শিবির বিষয়ে সিরাত
নিৎসশে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, আপনার দেওয়া লিঙ্ক পড়ে মনে হলো আমার সন্দেহটাই ঠিক, এই বান্দা যতই বড় বড় দার্শনিক উক্তি দিয়ে বেড়াকনা কেন, এর সব লেখার সারমর্মে কিরকম একটা গন্ধ পাই| মনে হয় অনেক চিন্তা করেই এধরনের একটা স্বাধীনতা বিরোধী ধারণা ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তিন মাস পরে প্রথম হাসলাম।
অজ্ঞাতবাস
জীবনের লাত্থি-গুঁতা খেয়ে সময় হয় না সচলে আসার। জিটকে স্পর্শ বললো লেখার কথা... কাজের ফাঁকে পড়লাম একটানে দুইটা লেখা।
প্রথম লেখাটা (আওয়ামী চরিত্র) বুঝতে পারলাম। আগে শুনেছি বলে এবারে বাড়াবাড়ি রকম মন্দ লাগে নাই। আপত্তির কিছু নাই। হুদাই অন্যের প্রসঙ্গ টেনে আনাতে তোর নিজের মতামত বুঝতে বেশ কষ্ট করা লাগসে। দ্বিতীয় লেখাটা (জামাতি চরিত্র) পুরাই ফাঁকি। এখানে জামাতি চরিত্র নিয়ে কিচ্ছু বলা হয় নাই, শুধু বলা হয়েছে "জামাত নিয়ে আমাকে কী বলাতে চান?"। আপত্তির কারণটা এখানেই।
খুব সহজ-সরল ভাষায় একটা কথা বলেছিলেন মৃদুলদা' বা সন্ন্যাসীদা' (তাঁদের পাল্টাপাল্টি ছড়ার কোনো একটায় ছিলো)... "ওঝা মানেই ভূত-তাড়ানি / জামাত মানেই ______"। এইটার উপর কথা নাই। পিরিয়ড। নো মোর ত্যানা, নো মোর প্যাঁচানি।
"নিরপেক্ষতা" কথাটা বইয়ের পাতায় পড়তে অনেক ভালো লাগে, কিন্তু বাস্তব চিরকালই ভিন্ন। যুদ্ধ, চুরি, অনাচার, ইত্যাদির আলোকে এই আমেরিকাতেও এখন রিপাবলিকান পার্টি মিডিয়ার খোঁচাখুঁচির ব্যাপারে "সমান অধিকার" চাইতে পারে না। আব্রাহাম লিংকনের পার্টির এই হাল, সেখানে গুআজম-নিজামীদের পার্টিকে কেন "সমান ভাবে" দেখতে হবে? একটা মাত্র বাক্যে হাসান মোরশেদ ভাই সারমর্ম দিয়ে দিয়েছেন -- "বাংলাদেশের বাস্তবতায় নিরপেক্ষতার ঝোল ছাগলদের পাতেই যায়।" এই খানেও একটা পিরিয়ড। নো মোর ত্যানা, নো মোর প্যাঁচানি।
এই দুইটা জায়গায় সচলায়তন ঘোষিত ভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট। এটাকে অনেকে আওয়ামীমনস্ক বলে দাবি করেন, কিন্তু তাতে সচলায়তনের কুটাটাও আসে-যায় না। এখানে ডঃ ইউনূস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা হয়েছে, ভারতের সাথে সম্পর্কের প্রসঙ্গে দীপু মণির সমালোচনা হয়েছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাহারা খাতুনের প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছে, আবাল আবুল এবং তার সুখ্যাত কন্যা মেহেরজান হোসেনকে নিয়েও কড়া ভাষায় সমালোচনা হয়েছে। ব্যাক্তিগত ভাবে কেউ হয়তো আওয়ামীমনস্ক হতেই পারেন, কিন্তু সেটা প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সচলায়তনের পথের বাধা হয়নি। শুধু জামাতের প্রসঙ্গ এলেই অল বেটস আর অফ।
আমি অনুরোধ করবো একদম জিরো রেফারেন্স দিয়ে কোনো লেখা লিখতে। কখনও লেখক, কখনও বিজ্ঞানী, কখনও আত্মীয়, কখনও ওয়েবসাইট... এভাবে কারও না কারও রেফারেন্স ব্যবহার করলে লেখা ঘোলাটে হবেই। আমার পর্যবেক্ষণ বলে, একজন "অ্যাগনস্টিক"-এর সচলায়তনে সামাল দিয়ে উঠলে সমস্যার কারণ এই ওভার-রেফারেন্সিং। বুঝিয়ে বলার শেষ চেষ্টা করি...
আওয়ামী-বিএনপি-জামাত একটা খুব সাধারণ ব্যাপার। চাওয়ালা, রিকশাওয়ালা, কৃষক, চাষী, ইত্যাদি "মূর্খ" লোকেও বুঝে এখানে কী হয়। এদের মধ্যে ৬০% বিরোধ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের মূলনীতি নিয়ে। বাকি ৪০% স্রেফ ক্ষমতার রাজনীতির নোংরামি। এখানে ফ্র্যানজেন বা নীটশে অচল। এই বিরোধে তাঁদের ডেকে আনা মানে রুটি বেলতে স্পেসশাটল আমদানি করা। খুন, রাহাজানি, দেশদ্রোহীতা, গণহত্যা, গণধর্ষণ, এবং ৪০ বছর ধরে শাস্তি এড়িয়ে চলা -- এটুকু নির্বোধও বুঝে। এদের রাজনৈতিক উপস্থিতি আছে, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক পরিচয় আছে -- এটা আমাদের ব্যর্থতা। ইট শুড নট বি দেয়ার ইন দ্য ফার্স্ট প্লেস। কিন্তু আছেই বলেই যে এদের এখন পূর্ণ অধিকার দিতে হবে, একটা সমালোচনা করলে অন্য কোথাও সমানে সমান করে দিতে হবে, এমনটা একটু বেশিই আবদার। সর্বস্তরে এই ডিফিটিস্ট মানসিকতার কারণে আজকে এরা এত শক্ত। মূল সমস্যা থেকে সরে আসা যাবে না... যাবে না দেখেই আবুলের হাবলামোর অজুহাতে বিএনপি-জামাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থামাতে চাওয়াকে মার্জনা করা যাবে না। আমি সচলায়তনকে ঐ অবস্থানে অটুট দেখছি আজকে ৪ বছর ধরে।
ধুর, বড়ই হয়ে গেল... এই প্রসঙ্গে কিছু আর বলবো না ঠিক করসিলাম...
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
লাভড ইট ইশতিয়াক রউফ- sam
এই সাধারন কথাটি বুঝতে এতটা সমস্যা কেন হচ্ছে বুঝছি না। আমি নিজে অনেক আওয়ামীলীগার দেখেছি, কিন্ত একটা কি দুটা জামাতি দেখেছি, তাও কাছ থেকে নয় তাই জামাতিদের সম্পর্কে আসল কোন অনুভুতি থাকা আওয়ামীলীগার থেকে অনেক কঠিন। জামাত সম্পর্কে সব তথ্যই আসে মিডিয়া থেকে, লেখা থেকে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে।
একটা বয়সের পর ছাপার অক্ষর দেখলেই আর আগের মত বিশ্বাস হয়না, ব্যাক্তিগত অবজারভেশন প্রয়োজন হয়।
"বাবা, এত নড়িস না, আমার নামাজের দেরি হয়ে যাইতেসে" বলতে বলতে মানুষ জবাই করে যেই লোক, তাকে বা তার অনুসারীদের "ব্যক্তিগতভাবে অবজার্ভ" করে কি অনুভূতি পেতে চাইতেসেন, বোঝার চেষ্টা করতেসি।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
তার মানে যুদ্ধাপরাধকে 'প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন' না করেও শিবিরে থাকা যায়? আর সেটাকে 'জাস্টিফাই করতে পারা'র ইমপসিবিলিটিটাও আপনি স্বীকার করেন না? 'জাস্টিফাই' করার হালটা শিবিরের উপরে ছেড়ে দিয়ে আপনি নিজের পুরাতন শিবির-টলারেন্ট অবস্থাটাই আবারও সাইনপোস্ট করলেন।
আমার কাছে শিবির-টলারেন্ট আর শিবিরের ভিতর কোনো তফাত নাই। আপনি আমার বিবেচনায় ছাগু। আমার বিবেচনাটা মাথায় রাখি যদি, তাহলে ২টা সিনারিও হতে পারে
১. সচলায়তনের ছাগুদের জায়গা দেয়
এবং/অথবা
২. সচলায়তন আপনাকে ছাগু মনে করে না
১ যদি ঠিক হয়, তাহলে সচলায়তনে লেখালেখি নিয়ে আমি অন্তত ভেবে দেখব; আর ২ যদি ঠিক হয়, তাহলে নিজের বিচারবুদ্ধি সম্পর্কে পুনরায় ভেবে দেখব।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই দুইটা ছাড়াও সিনারিও থাকতে পারে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অজ্ঞাতবাস
অমকে বলেছেন, বাবা ভাবেন, আমি কি ভাবতে পারি, আমি কি বলবো, সবাই বলেন, আপ্নারা চান আমি বলি, বলতে ভয় পাই এবং প্রায় ২৫% ইংরাজী; মানে এক কথায় অসহ্য। ভাইরে আপনি নিজেও কিছু নিজের মত বলা শিখেন।
আপ্নারাও আছেন ভাই, জানেনই তো সিরাত কি জিনিস। এত কিছু লিখে আঙ্গুল ব্যাথা করেন কেন? এর পরে সিরাত আবার যখন ব্লগর ব্লগর করবেন, সেই থোড় বড়ি খাড়া - খাড়া বড়ি থোড়। আরও অনেকে অনেক ভালো ভালো পোস্ট দিয়েছেন। যান, পড়ুন, চোখ-মাথা-হাত-মুখ-ডিকশনারী সবকিছুকে আরাম দিন।
"আওয়ামি চরিত্র" বা "জামাত চরিত্র" নামে ফাতরামির চাইতে বরং "অনাহুত বা রবাহুত" ভদ্রলোকের মন্তব্য পড়তেই ভালো লাগলো। লেখা-অন্তপ্রাণ পাঠক হিসাবে স্বাদ চেখে আমার মনে হলো উনি ফারুক ওয়াসিফ।
সর্ষের ভেতর ভূত লুকিয়ে ছিল, একটা বেরিয়ে পড়েছে, সচলায়তনের মডুরা একটু সাবধান হোন। এই লোকের লেখা একটা মন্তব্য পাওয়ারও যোগ্য না। ওর বাংলা তো বাংলাই না প্রথমত, সে নিজে স্বীকার করেছে সে লিখে বাংরেজীতে। বাংলা ভাষাকে বাংরেজী, বাংলুর্দু বা বাংলার্বি করার অপচেষ্টাকে রোধ করার জন্যও তো সচল। আর এই লোক যে আসলে কী বলতে চায় সেটা কিছুই বুঝলাম না, উপর থেকে একটা ধারনা জন্ম নিল লোকটা প্রতিক্রিয়াশীল, সচলে এতদিন ঘাপটি মেরে ছিল। আর যে ব্যক্তি জাকির নায়েকের মুরিদ সে কীকরে সুন্দর আর শুভ'র পক্ষে থাকবে, সচলায়তন শুভ, সুন্দরের জায়গা; এইখানে এইসব ছাগলামো করে কর্পোরেট সময় নষ্ট করার কী দরকার?
সচলায়তন কর্তৃপক্ষের আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সর্ষের ভেতর ভূতের উপস্থিতি সম্পর্কে।
প্রথমেই সিরাত আপনাকে সাধুবাদ দিই ব্লগারদের অনুরোধে বাংলিস লেখা হতে অন্তত এবার বিরত থেকেছেন, তবে পোস্টের কনটেন্ট আগের মতোই যথারীতি ধোঁয়াসা ধরনের পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে নিজের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে আপনি প্রচণ্ড রকমের ভয়ের মধ্যে আছেন সচলায়তনে, সহ ব্লগারদের বারবার সাহস যুগানোর পরেও।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনে দেখেছি বিএনপি করা লোকদের মধ্যে দুইটা গ্রুপ আছে একটা উদারপন্থায় মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিয়ে এবং এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে তারা গর্ববোধ করে তারা জামাতের সাথে বিএনপির গাঁটছাড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন আরেকটা গ্রুপ আছে যারা মাহামুদুর রহমান বা জামাতপন্থায় বিশ্বাসি বিএনপি নামে পরিচিত কারন মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আর জামাতের সহ অবস্থান, ইসলামের খেদমত করবার নামে জামাতের শিবিরের প্রত্যেকটা কাজে সর্বাত্নক সমর্থন দান করে যাওয়া , এখন কোন বিএনপিওয়ালা যদি প্রথম ক্যাটাগরির হয়ে থাকে তাহলে আমার মনে হয় না সচলায়তনে তার নানা ইস্যুতে লেখালিখি করতে কোন সমস্যা হবে না তার দেওয়া তথ্যউপাত্ত নিয়ে তর্ক বিতর্ক হতে পারে তবে সচলায়তনের পরিবেশে তাকে অস্বস্তিতে থাকতে হবে না।
তবে সচলায়তনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধিনতা সংগ্রাম নিয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে সেখানে জামাতি এবং জামাত ঘেঁষা বিএনপিওয়ালাদের সর্বদা অস্বস্তির মধ্যেই থাকতে হবে এবং অধিকাংশ সচলায়তনের শুভ চিন্তক গণ এই অবস্থার কোনরূপ পরিবর্তন বা ব্যাতয় চায় না এখন আপনার যদি মনে হয় আপনার পরিবার বিএনপি করে এবং তারা ২য় ক্যাটাগড়ির তাহলে সচলায়তন আপনার জন্য নয় সোনা ব্লগ হয়তো আপনাকে এক্ষেত্রে একটা হোমলি কমফোর্টেবল পরিবেশ দিতে সক্ষম হবে ।
জটিল অবস্থা। উপরের বিভিন্ন মন্তব্যে উদাস-তানিম-ঈষৎ-নজরুল-হাসান-ফাহিম ভাইরা মূলত সবই বলে ফেলেছেন। তারপরেও দুইটা কথা যোগ করতে চাই, আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দেয় কারণ অন্য কোন অপশন গুলো থাকে এর থেকেও খারাপ।
সিরাত ধরুন আপনাকে কাঁদা আর গু এর মধ্যে একটা বেছে নিয়ে খেতে বাধ্য করা হলে সাধারন বুদ্ধিতে কাঁদাই আপনার বেছে নেওয়ার কথা, খিয়াল কৈরা, সাধারন বুদ্ধিতে কইছি, কিন্তু পাঙ্গাস মাছ অবশ্য ২য়টাই বেছে নেবে। আবার ধরুন ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। আপনার লেখাটা এইরকম, কিছুই বোঝা গেল না। এটা কি আপনার মনের দুঃখ, হতাশা প্রকাশের জন্য লেখা? সেটাও ভাল বোঝা গেল না। নাকি এটা একটা ঝাঁকি দেওয়া স্টান্ট? নাকি আপনার পোষ্টের উদ্দেশ সমবেদনা পাওয়া? দেখেন আপনার বাবার ভয়ে আপনি এতই কম্পমান বা তাকে এতই শ্রদ্ধা করেন যে আপনার নিজস্ব কোন চিন্তা বা মতামত গড়ে ওঠেনি, আপনার অবস্থানও পরিস্কার করলেন না, আবার কিন্তু ঠিকি গর্ব করে বললেন যে মন্তব্যের উত্তর দিবেন কিনা সে আপনার ইচ্ছা। এই যে জোর গলায় নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা প্রকাশ করলেন, আপনার স্বাধীনচেতা চরিত্র তুলে ধরলেন সেটা অন্য সব ক্ষেত্রে করলেন কি?
আপনি সচল দেখে মনে হল অনেক দিন থেকেই এখানে আছেন। তাহলে তো এখানে পরিবেশ কি ও কেমন সেটা খুব ভালই জানেন। সচলের অবস্থান কি তা পরিস্কার এবং সেটা এতবার এত যায়গায় রেফারেন্স টানা হয়েছে যে নতুন করে টানার কোন অর্থ হয় না। বাংলাদেশ যদি কারো দেশ হয়ে থাকে তাহলে জন্মভূমীর প্রতি দ্বায়বদ্ধতা থাকতে হবে এবং এই দ্বায় থেকেই দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পূর্ন নির্মূল চাইতে হবে - আনকন্ডিশনালি। কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেসব ক্ষেত্রে কোঁদাল কে কোঁদালই বলতে হয়, বিশেষ করে যেখানে অস্তিত্ব জড়িত। এটা সেরকমই একটা ব্যাপার। জামাত-শিবির একই পয়সার হেড আর টেল। তা আপনি যত বড় বড় লেখকের লেখার রেফারেন্স টানেন। আর এ ব্যাপারে সচলে কোঁদাল কে বরাবর কোঁদালই বলা হয়, শুধু তাই না সেই কোঁদাল অন্য দলের হলেও কিন্তু মাপ পায় না, সেজন্যেই মনে হয় সবার এখানে ভাল লাগে। আপনার লেখার প্রতিটা লাইন নিয়ে লেখা যায়। সব শেষে একটা কথা মনে হল, আপনি যেহেতু সচল আছেন তাই আমার অতিথি হয়ে থাকার দুঃখটা আজকে নেই হয়ে গেল। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
গতকাল রাতে পূর্বপরিচিত একজনের সাথে কথা বলছিলাম। আপনার অফিসেই চাকুরি করেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে শুনলাম আপনার ফ্যামিলির জামাত কানেকশন নাকি বেশ শক্তিশালি! গ্রামীণফোনে আপনার নিয়োগের পেছনেও নাকি সেই কানেকশনের জোর ভূমিকা আছে!
বছরখানেক আগে শিবিরকে বেনিফিট অফ ডাউট দেওয়া দেখেই সন্দেহ হওয়া উচিত ছিল।
উহুহু, আগেরটার মতো জমে নাই। বিশেষ করে আঙ্কেলকে খুব মিস করলাম এই পোস্টে। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে গত পোস্টে ওনার কাছ থেকে অনেক সত্যভাষণ পেয়েছি, কিন্তু এই পোস্টে কিছুই পেলেম্না। জামাত সম্পর্কে উনি কি ঘরে কথাবার্তা তেমন একটা বলেন না?
তোর কি মাথা খারাপ, এতো বড় ইসলামী দল সম্পর্কে উনি কথা বলবেন! যতো বড় বড় আলেম, কামেল, ওলামা, অলি-আল্লা, পীর, সাধু, দরবেশ- সবাই তো জামাত করে। এঁনাদের দলের ব্যাপারে কথাবার্তা বলা তো সারাসার গুস্তাখি!
আচ্ছা, তুই কি 'ছাত্রলীগ নটরডেম শাখা'র সাথে সম্পৃক্ত ছিলি? 'আওয়ামী ঘেঁষা' কলেজে পড়াশুনা করলে তো এইটুকু করা মাস্ট।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহাহা। লেন্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড।
---মলিকিউল
ভাবছিলাম কিছু বলবো না। সাধারণত বলিও না। আপনার বিষয়ে আমার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে অনেক আগেই। আপনি সহ্য করার মতো কিছু না আমার জন্য। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনার সচল হওয়াটা বিরাট একটা ভুল। বিশাল ভুল। এর মাশুল সচলকে দিতে হচ্ছে। অন্তত তার বিরাট পাঠকরা এখন জানতে পারছে সরিষাতে ভূত আছে। আপনার ঠিক আগের পোস্টে এই ভয়ের কথাই আমি বলেছিলাম।
সচল নিরপেক্ষ নয়। এই সত্যটা না বুঝা এক জিনিস আর যে যাই হোক, আমি আমার মতো চলবো ভাবনাটা ভিন্নতর। পিচ্ছিল শরীর নিয়ে একেবেকে চলে ইচ্ছেমতো বলে যাবার চেষ্টা করা যায় হয়তো, কিন্তু সবসময় যে গা বাঁচিয়ে পার পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
অব্যাহতভাবে ছাগু তাড়ানোতে ব্যস্ত থাকলে আরও অনেক অনেক কাজ বাকির খাতায় উঠে যায়, যাতে শেষ পর্যন্ত ছাগুদেরই লাভ। সচল তৈরির ক্ষেত্রে সেইসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ যাতে বাকির খাতায় না উঠে এমন ভাবনাও ছিলো। এখন যদি সরিষার ভুত খোজার জন্য আবার কমব্যাট ড্রেসে নিজেরে মোড়াতে হয় তাহলেতো সমস্যা।
*** পোস্টে এবং মন্তব্যে আমার নাম নিয়েছেন দেখে বেশ একটা ভাব চলে আসছে । আমার মর্যাদা উন্নয়ন করলেন বলে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অজ্ঞাতবাস
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অজ্ঞাতবাস
খুবই হতাশ। শিরোনামের সাথে লিখার কোন মিল নাই। আগের মন্তব্যের সাথে একমত, একে মেটা ব্লগ বলতে হচ্ছে।
আপনার আগের লেখাটা পড়ে মনে হয়েছিল ভিন্ন মতের পরিবার থেকে এসে নিজস্ব মতে আসার চেষ্টা করছেন। এবং সচলের সাধারণ লেখা গুলি থেকে ব্যতিক্রম মনে হয়েছিল।
কিন্তু জামাত সম্পর্কে আপনার ধারনা কি সে ব্যাপারটা প্রায় উহ্য, যাতে করে মনে হচ্ছে আপনি পরোক্ষ ভাবে একে সমর্থন করছেন। উপরের পল্লবের মন্তব্য পড়লে আসলে জামাত চরিত্রটা বোঝা যায়।
শিরোনাম দেখে এই ধরনের লেখা আশা করেছিলাম। কিন্তু লেখাটা আপনাকে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন সাহায্য করবে বলে মনে করি না।
অন্যের আগ্রহে যা নিয়ে ধারনা নাই তা নিয়ে না লেখাই উচিত।
দুঃখিত সিরাত, আপনার আগের লেখায় আওয়ামী চরিত্রের কুৎসার দেখা পেলেও এই পোষ্টে জামাত চরিত্রের সুবাস/কুবাস একটুও পেলাম না। হতাশ করলেন। শিরোনামের পুরোটাই বিভ্রান্তি। আমার বিশ্বাস প্রতারিত বোধ করেছে আমার মতো আরো প্রচুর পাঠক। আওয়ামী চরিত্র আর জামাতী চরিত্র সম্পর্কে আমাদের নতুন করে শেখার কিছু নেই বলে আপনার গত লেখাটা না পড়ে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই দ্বিতীয় ত্যানাটা দেখে বাধ্য হলাম আগের ত্যানায়ও চোখ বুলাতে এবং আপনার দুই ত্যানা মিলে আওয়ামী বা জামাত চরিত্রের কোন বিশ্লেষণ পেলাম না। বরং আপনার বাংরেজীর উৎপাতে বারবার আটকে গিয়েও যতটুকু জানলাম মনে হলো আপনি নিজেকে আর নিজের পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থানকে জাস্টিফাই করার জন্যই লেখাগুলোর সুত্রপাত করেছেন। সেই হিসেবে দুটো লেখারই শিরোনামটা ভুয়া।
আপনি কোনকালে শিবির করতেন কিনা জানি না, কিন্তু উপরের বাক্যটি শিবিরের প্রতি আপনার প্রেমটা একদম নগ্ন করে দিয়েছে। বলে রাখি, জামাত-শিবির তার অঙ্গসংগঠন বা তার প্রতি সহানুভূতিশীল যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি ব্যক্তিগতভাবে জিরো টলারেন্স রাখি। জাস্টিফিকেশানের কোন সুযোগ নেই এখানে।
দেখলাম, আপনি বসে আছেন সচলায়তন আপনাকে কখন ব্যান করবে সেই আশায়। নিজেই উদ্ধতস্বরে বলেছেন, ব্যান করার আগ পর্যন্ত আপনি লেখায় ক্ষ্যামা দেবেন না। তার মানে আপনার এই লেখাগুলো উস্কানি দেবার উদ্দেশ্যেই প্রস্তুত হয়েছে?
সরি সিরাত, আপনাকে সম্ভবতঃ আমরা অনেকেই হজম করতে পারবো না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
তোমার এই লেখার ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া একটাই। তোমাকে অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হয়ে গেছে।
অজ্ঞাতবাস
‘আমার বাবা, আমার বাবাই’, কখনো ফ্রন্টাল লোব থেকে আসতে পারে না। এটা এমিগডালা বলছে। আমার বাবা যেমন আমার বাবাই, সচলায়তনের মূলনীতি তেমন সচলায়তনের মূলনীতিই। একজনের অস্পষ্ট, মতভিন্ন এমিগডালা-রিস্পন্সকে সচলায়তনের এমিগডালা কি জাস্টিফাই করতে পারে? ফ্রন্টাল লোব দিয়ে জাস্টিফাই করার জন্যেও সচলায়তনের কাছে আদৌ রাখছো-টাখছো কিছু?
ছোটবেলায় জামাত ঘৃনা করতাম, এখন অপছন্দ করি। ঘৃনাটুকু আগের মত নেই, কমে গেছে। একই প্যাঁচাল হাজারবার শুনলে পচেঁ যায়, সকাল বিকাল টিভি চ্যানেল আর টকশোতে একই গল্প। এইটার মানে জামাত প্রীতি নয়। এখন তো দেখছি ব্যাপারটা ব্যাক্তিগত আক্রমনে চলে গেছে, কেউ কেউ খোঁজ নিয়ে এসেছেন সিরাত জামাতি কানেকশনে চাকরী পেয়েছেন। একটা আয়না নিন, নিজের দিকে তাকান।
আমরা যতই অপছন্দ করি না কেন জামাত বাংলাদেশে আছে বেশ খানিকটা জনসমর্থন নিয়ে। কিভাবে এই জামাতি লোকগুলোর মতামত পরিবর্তন করা যায় এটা চিন্তা করুন। চাইলেই লাখ লাখ লোককে মেরে সাফ করা যায় না, করতে চাইলে ওটা পাকিদের থেকে ভিন্ন কিছু হবে না। পাকিরাও আপনাদের মতই চিন্তা করত 'হিন্দুদের আবার অধিকার কি?'। সবকিছুতেও নিয়ম অনুসরণ করা ভালো, লংটার্ম চিন্তা করতে শিখুন, এতে মানুষ আপনার মতবাদের আগ্রহী হবে। সিরাতের লেখায় কখনই জামাতি মনে হয়নি। এটাকেই বলা হয় এক্সট্রিমিজম।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পাল্লেন? পাল্লেন আপনে? আমার মুখের গ্রাস কাইড়া নেওয়ার মত নির্দয় হইতে পাল্লেন?
১.
সিরাতের সহকর্মী [সিরাতরে ভালই অপছন্দ করে মনে হয়] যখন বলেছে তখন ঘটনা সত্য "হোলেও হোতে পারে"। সিরাত এসে এ বিষয়ে না হয় বলুক। পরে তার কথার ভিত্তিতে আরো খোঁজ নেব না হয়।
আয়না নিলাম, নিজের দিকে তাকায়ে নিজের চেহারার মিরর ইমেজ দেখলাম। আপনে কি গোলাম আযমের দাড়ি দেখেন নাকি আয়নায়?
২.
সকাল বিকাল টক-শো দেখে দেখে আপনার যখন কইলজা টক হয়ে গেছে তখন পাঁচটা রাজাকারের নাম বলেন দেখি?
আগেও সচলদের নিয়ে অনেক আজে বাজে মিছা কথা বলছেন। এইবারও বললেন, সন্দেহ নাই।
লেজ কি আর ছোটবেলা, বড়বেলা মানে
আইসে !
নামটা বলেন না দয়া করে । লেঞ্জা দেখাইতেসেন নাম বলতে সমস্যা কী ?
এত ছাগু কোথা থেকে এলো???
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পাঠক ভাই, এই যে আগে ঘৃণা করতেন, এখন অপছন্দ করেন, এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে তার এন্ড রেজাল্ট কি হতে যাচ্ছে?
এর মানে কি এই যে একটা অপরাধের কথা বার বার বললে সেটা ধীরে ধীরে আর অপরাধ থাকবে না?
ভাই, ৯০'র ভোটের সময়ে আমার বয়স ছিল ৫ কি ৬। ভোটের সময়ে পোস্টার দেইখা, তখন জামাত "অপছন্দ" করতাম। কারন অগো মার্কাটা গ্রামের দৃশ্যে আঁকতে ঝামেলা হইতো। লাঙ্গল, ধানের শীষ, নৌকা এগুলি আঁকা অনেক সহজ আছিলো। দাড়িপাল্লা আঁকলে তো লগে আবার মানুষ দেয়া লাগে! একটু বড় হওনের পরে মাথায় যখন সামান্য বুদ্ধি হইছে, তখন সেই "অপছন্দ"টা ঘৃণাতে রূপান্তর হইছে।
যাউগগা, ফালতু প্যাচাল বাদ দেই। আজকে আপনি বলতেছেন জামাতের প্রতি ঘৃণা কমে গেছে, কালকে আপনার পোলা কইবো জামাত '৭১ এ কিছু করছে কিনা হেইডা সে জানে না। পরশু আপ্নের নাতি কইবো জামাতিরা ক্ষমতায় আইলে ভালো হইবো। তারপরে কইবো '৭১ এর যুদ্ধ হইলো একটা বানাইন্না গল্প! ব্যাস, আর কি লাগে?
এই রকম মনোভাব দেখানোর কারনেই গোলাম আযম '৭৮ এ দেশে ফিরতে পারছে, আর '৯৪ তে আমগো *ন্দে বাশ মাইরা বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাইছে। খোদায় মালুম অরা এর পরে আর কি করে!
এবং যথারীতি মন্তব্যে সিরাত অনুপস্থিত।
সিরাত, আপনি আগে জামায়াত কে বেনিফিট অফ ডাঊট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এখন আবার শিবিরের সমর্থক দের জাস্টিফায়েড করতে চাইলেন।
আর কী চান আপনি?
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এতো কথা বলতে পারলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা খুঁজে পেলেন না?
জামায়াত কে সমর্থন করলে অন্তত সেটা বলার সাহস রাখুন।
এইসব 'আমাকে কেউ বোঝেনা' কান্নাকাটি আর কতদিন?
স্পর্শ
ভাইয়া, খুব অবাক হয়েছি তোমার মন্তব্যে।
ম্যাস পিপলের কমফোর্ট জোন বলতে কী বুঝিয়েছো তুমি?
সিরাত খুব বীরত্বের কাজ করেছে? জামায়াতের পক্ষে কথা বলা খুব সাহসীকতার কাজ?
সেই সাহসীকতার কাজটা রিচার্ড ডকিন্সের মতো সুন্দর করে বললে জিনিসটা গ্রহনযোগ্য হয়ে যেতো?
তোমার কাছ থেকে অন্তত এরকম আশা করিনি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আচ্ছা আমার বক্তব্য ক্লিয়ার করি।
সিরাতের আগের লেখাটা পড়ার সময় মনে হয়েছে। সে বলতে চাচ্ছে, যে বিএনপি এবং ধর্মপ্রবণ পরিবারে বেড়ে উঠেছে। এবং এ ক্ষেত্রে বড় প্রভাবক তার বাবা। এর পর সে তার বাবা 'কী ধরনের' মানুষকে 'আওয়ামী চরিত্র' হিসাবে ট্যাগ করে। এবং 'আওয়ামী চরিত্রের কী কী বৈশিষ্ট্য' আছে বলে মনে করে। সেগুলো লিখেছে টুকটাক। তার বাবার এই মতামতগুলো জামাতিরা যেসব কথা বলে সেগুলোর সাথে মিলে যায়।
লেখাটা পড়ে মনে হয়েছে এই ব্যাপারটা তাকে কোনো অন্তর্দ্বন্দে ফেলে দিয়েছে। লেখকের যে বয়স তাতে তার নিজস্ব একটা স্টান্ডিং থাকার কথা। সেটা হয়তো আছে। কিন্তু সে সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু সে বলেনাই লেখায়। অল্প কিছু হিন্ট আছে। যেটা একেক জন একেক ভাবে নিতে পারে।
পাঠক হিসাবে এটুকুই মনে হয়েছে আমার।
অন্য অভিজ্ঞ পাঠকরা হয়তো ভেবেছেন সিরাত তার বাবার নাম করে নিজের মতামতগুলোই লিখেছে। (যেটা হতে পারে)
আর কম্ফোর্টজোন ব্যাপারটা নিয়ে আপনি এবং সুরঞ্জনা দুজনই প্রশ্ন করেছেন। আমি কম্ফোর্টজোন বলতে এটাই বুঝিয়েছি যে, আগের লেখায় সিরাত তার বাবার যেসব মতামত প্রকাশ করলো। সেগুলো সচলের কেউই পছন্দ করবেন না। তারপরও নিজের বাবা সম্পর্কে সে মতামত/তথ্য এখানে প্রকাশ করা।
ওদিকে আগের লেখায় সিরাত নিজস্ব অল্প কিছু কিছু মত দিয়েছে। (আগের লেখা থেকে কোট)
সে আরো বলেছে, তার বাবা কিছু অয়ামীলীগের সাথে হাইলি আইডেন্টিফায়েবল কিছু লোকের ঘনিষ্ট ছিলো (বলে দাবি করে) এবং তাদের কীর্তিকলাপ থেকে কিছু নেগেটিভ ধারণা গড়েছেন।
এবং যে কারনে আমি সিরাতকে বেনিফিট অফ ডাউট দিয়েছি সেই লেখায় সেটা হলো,
সে বলেছে,
দেখা যাচ্ছে। সে তার বাবাকে চ্যালেঞ্জ করেছে বলে দাবি করছে।
পাঠকের তরফ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে সে 'কী কী চ্যালেঞ্জ' করেছে? এবং সেই চ্যালঞ্জের কী উত্তর তার বাবা দিয়েছেন?
যেটা তার এই 'জামাতি চরিত্র' লেখাটার কন্টেন্ট হতে পারত।
ইনফ্যাক্ট, পাঠকরা এরকম কিছুই আশা করছিলো এই লেখা থেকে। যেখানে লেখাটা ব্যর্থ হয়েছে। সে পাঠকদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার ফলে গুবলেট করে ফেলেছে মনে করেছি আমি। (হয়তো সে ইচ্ছা করেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে, কে বলতে পারে?)
এ কারণেই যত্ন নিয়ে লিখতে বলেছিলাম। রিচার্ড ডকিন্সের মত রিগোরাস ভাবে কিছু লেখার চেষ্টা করলে অনেক সময় অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই নিজের কাছে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যায়।
আমি এইটুক দেখেছি বলে এইটুকু মতামত দিয়েছি। অন্যরা যাদের কাছে আরো কোনো তথ্য থাকতে পারে। বা যারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তাদের মত অন্যরকম হওয়া স্বাভাবিক।
আর আপনার প্রশ্ন -
এটা শুনে মনে হচ্ছে জামাতের পক্ষে কথা বলা জিনিসটাকে আমি খুবই সাহসীকতার কাজ মনে করি!!!
আমি স্রেফ আগের লেখাটা পড়ে জামাতের পক্ষে সিরাত কী বলেছে সেটা খুঁজে পাইনি। ইন বিটুইন দ্য লাইন হয়তো কিছু ছিলো। যেটা ধরতে পারার মত অভিজ্ঞ আমি না। আপনি বা অন্য কেউ কী কী পেয়েছেন সেগুলো পয়েন্ট আউট করলে উপকৃত হতাম।
শুভেচ্ছা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এটা সত্যি, যে এর আগের লেখায় সিরাত ভাই জামাতের নাম উল্লেখ করে তাদের পক্ষে কিছু বলেননি।
আপনি যুক্তিবাদী মানুষ, এবং যে যেটা বলেনি তাকে সেটার জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে, এমন ব্যাপার আপনার পক্ষে মেনে নেয়া সহজ না জানি।
এখানে তাহলে কেন ওনার বক্তব্য সবার এমন কানে লাগছে? কারণ, সিরাত ভাই যে যুক্তি গুলো দিয়েছিলেন আওয়ামীলিগকে সাপোর্ট না করার জন্য, সে যুক্তিগুলোকে যুক্তি বলে স্বীকার করলে, কোন্ দলটা কে সাপোর্ট করার যোগ্য বলে মনে হয়? ইট লিডস টু জামাত। জামাতের নাম টা নিতে হয় না, ওটা চলে আসে।
এরপর আসে সিরাত ভাই নিজে কি চিন্তা করেন সেই প্রশ্ন, কারণ এর আগে উনি ওনার পরিবারের চিন্তা-ভাবনা ব্যাখা করছিলেন। পরিবারের চিন্তা এমন কেন, সেটা নিয়ে কিন্তু ওনার কাছে এক্সপ্লেনেশন চাওয়া হয় নি।
ওনার নিজের চিন্তা-ভাবনা কি, সেটাই অনেকে অনেক ভাবে জিজ্ঞাসা করেছে।
উত্তর গুলো থেকে, আর এই পোস্ট এর লেখা থেকে আমি যা বুঝেছি, উনি যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া উচিত সেটা মনে করেন। আর মনে করেন, যারা এত জেনেও শিবির করে, তাদের শিবির করার কারণ জাস্টিফাই করতে পারা উচিত। মানে শিবির-জামাত করা খারাপ না ভালো তা উনি বলতে যান নি, ওরা যদি কোনো অফেন্স করে থাকে তাহলে সেটার জন্য ওরা শাস্তি পাক, আর যারা করে ওই দল, তারা নিজেরা দায়ী, সেটা নিয়ে ওরাই বলুক কেন করে।
উনি বলেন নি, জামাত করা উনি সাপোর্ট করেন কি করেন না। উনি সেটার ব্যাখা দেয়ার ভার জামাতিদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
এই অবস্থান টা স্পষ্ট করেন নি বলেই কথায় কথায় এত কথা। উনি যতটুকু বলেছেন, ততটুকু আসলে যথেষ্ট না ওনার নিজের চিন্তা বোঝানোর জন্য। শুধু ওনার পোস্ট ধরে তো কথা হচ্ছে না, পোস্ট, তার মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য, সব মিলিয়ে না এই খানে গড়িয়েছে, তাই শুধু ওনার পোস্টে উনি কোথায় জামাতের পক্ষে কথা বলেছেন, সেটা পয়েন্ট আউট করা যাবে না।
আর, আমরা কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত এবং বন্ধু বলে যেমন খুব ভালো করে জানি, জামাত ইস্যুতে আপনার কোনো ছাড় নেই, বা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা খুব স্পষ্ট, সচলের লেখা যারা পড়েন সবাই তো আর আপনার পূর্ব-পরিচিত নন, সবাই সেটা জানেন না। তাই 'কমফোর্ট জোন' জাতীয় শব্দজোট ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা এই শব্দ যুগল সঠিকভাবে রিপ্রেজেন্ট করে না। পড়েই আমার কাছে খারাপ লেগেছে, রানা আপার কাছেও লেগেছে দেখছি।
ব্লগ যেহেতু একটা খুব সক্রিয় প্ল্যাটফরম, এখানে কারো সম্পর্কে ওপিনিয়ন গড়ে ওঠার ব্যাপারটা সহজ এবং গতিশীল। তাই যথাসম্ভব পরিস্কার করে নিজের চিন্তা-ভাবনা এক্সপ্রেস করা জরুরী।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মন্তব্য করে, এই ছাগলটার গুরুত্ব আর না বাড়ানোর অনুরোধ জানাই সবাই কে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ডব্লিও টি এফ - সোনাব্লগ এর কোন সুশীল এর ফেয়ারনেস মনে হল -
যে যাই কিছু বলুক আমার কাছে প্রথম লাইন টাই খুব ই আপত্তিকর মনে হল - এখানেই যাবতিয় ঝামেলা লুকানো বা প্রকাশ্য আছে - আরে ভাই বেনিফিট অব ডাউট বা ফেয়ারনেস যেভাবেই দেখেন অল্রেডি আমরা একবার ট্রাই করেছি - বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করে দিয়েছিলেন - তার সেই সিধান্ত বাঙ্গালির একদম ভেতরকার সাইকির প্রমান - কেন যেন আমরা ফাইনালি অতটা প্রতিশোধপরায়ন না - তাইতো বঙ্গবন্ধু কে হারিয়ে ফেলার পরই শাহ আজিজ প্রধান্মন্ত্রী, আর আমাদের দীরঘ কালো রাত্রির সুচনা - জাহানারা ইমাম এ এসে প্রথম আলোর মুখ দেখা - তারপর আরো প্রায় দশ বছর - সবে মাত্র কয়েকজন জেইল এ - এর আগেই তাদের গাড়িতে পতাকা, তাদের দম্ভ - যুদ্ধাপরাধী বলে কিছু নেই - মুক্তিযোদ্ধার গায়ে লাথি, সহস্র মানুষের জীবন বদলে দেয়া রগ কাটা অভিযান, আমরা নিজেরাই বলছি বঙ্গবন্ধু ক্ষমা না করলেই পারতেন -- আরো কতোকি----- বাল এর ফেয়ারনেসের কথা বলেন----
অটঃ সব বাদ দিয়ে একটা একুশে আগস্ট নিয়েই কেন আপনার ফেয়ারনেস কাজ করেনা?
স্যরি সচলায়তন - উত্তেজিত হয়ে কথা বলার জন্য---কিন্তু উপায় কি যখন একজন সচল এমন ভাবে আর একজন প্রায় তিন বছর থেকে সচল পড়ি কিন্তু হাচল ও না আর জানি ও মানি সচল হয় একটা স্ট্যন্ডারড এর পর - সচল ত বায়াসডই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে- সিরাত কি এটা ২ দিন আগে জানল?
ধুর মিয়া - আপনার লেখার ক্ষ্যাতা পুরি - তানিম এর সাথে একমত---
মানুষ মুলত সহজ যা কিছু তাই করে প্রথমত - তারপর হ্যাডম থাকলে পরেরটা করে----সচলায়তনে আপ্নার বাবার এক্সেপ্টিবিলিটি কখনোই কাম্য নয়--- শ্রদ্ধা নিয়েই বলছি (আপাতত) তার স্কুলিং ঠিক করার দায়িত্ত তারই - আপনি নিজেই তার প্রমান - কারন আপনি অতটা গোড়া নন বা অত বেশী ছাগু নন --- অমন বাবার ছায়ায় বড় হওয়ার পরও---
যাই হোক সিরাত আমি চাচ্ছিলাম তারপরেও আপনাকে একটা গ্রেস দিতে বা আপনার ভাষায় ডিস্কাউন্ট দিতে যেহেতু আপনি সচল - সুপার মানবতাবাদি কেউ একজন হয়ত - কিন্তু আপনি লিখলেন
ব্যাস আর পড়িনি-------- বলাতে চান মানেটা কি????????????????????????????????
তানিম এর সাথে, হিমু, মুরশেদ, দ্রহী, নজরুল, আল্বাব, রানা মেহের, কল্যান, রউফ, ফাহিম, নীরসন্ধানী, বলাই, চরম উদাস, ম্রিত্যুন্ময়, পুতুল এবং আরো অনেকের সাথে একমত হয়ে তাদের আরো স্পষ্ট মন্তব্য পড়ে আমার আজন্ম লালিত ধারনা একটা ভিত পেয়েছে - একজন খুব নামী(?!!) কবি প্রাক্তন সচল একে কমিউনিটি ফ্যাসিজম বলেছিলেন - ফ্যাসিস্ট হলে তাই - কিন্তু জামাত এর ব্যাপারে ছাড় নাই -
জামাতবিহীন বাংলাদেশ এ আপনার সাথে সমস্ত ডায়ালেক্টিক্স, মানবতা নিয়ে কথা বলব তার আগে পরযন্ত আপনাকে গদাম ----
স্যাম
দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য............।।
পোস্টের নাম 'জামাতি চরিত্র' না করে কাঁঠালপাতা রাখা উচিত ছিল।
সিরাত নামের এই লেখক ভদ্রলোকের লেখা পড়ে পিঠ দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেলো। কেউ যদি ভেবে বসেন "সিরাত"সাহেবের ভয়ে কম্পমান তবে তা ভুল। ভয় অন্য যায়গায়। কারন এখন সিরাত এর মত এমন অসংখ্য জ্ঞানপাপী জামাতের পক্ষে পুরো পৃথিবীর সব প্রান্তে বিদ্যমান। সিরাতকে না হয় সচলায়তনে চিহ্নিত করা গেছে, কারন সচেতন ব্লগাররা ছাগুদের গায়ের গন্ধ পেয়ে গেছেন, যদিও আগে তাকে খানিকটা বেনিফিট অফ ডাউটের আওতায় এনে ছাড় দেয়া হয়েছিলো। এরকম অসংখ্য গুপ্ত তালেবর রয়েছেন যারা জামাতের পক্ষে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। এদের ১০ টা কথার ভেতরের একটি শব্দের অনুশব্দে চট করে প্রকাশিত হয়ে যায় তাদের মূল চরিত্র। কিন্তু এত সুক্ষ চিন্তা ভাবনা করে সব স্থানে ছাগু চিহ্নিত হয় না। এবং সেটিই চিন্তার ব্যাপার।
আমি নিজামী, সাঈদী,মুজাহিদ,কাদের মোল্লা, সাকা, গোয়াজম ইত্যাদিকে নিয়ে অত চিন্তিত নই যতটা চিন্তিত ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের জুনিয়ার ছাগু পোনারা, দেশ বিদেশের বিখ্যাত বিখ্যাত সব ইউনিতে অধ্য্যয়ন রত জামাতী ছেলেরা। এরা সেখানে পি এইচ ডি করছে, ব্যারিস্টারি পড়ছে, থিসিস লিখছে। আল্টিমেটলি এরাই একটা প্রেশার গ্রুপের মত করে তাদের সবল অবস্থান ও বিভিন্ন নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে ধরে আনছে স্টিভেন কে কিউসি, টবি ক্যাডমেন এর মত আইনজ্ঞদের, বিভিন্ন ইউনির অধ্যাপক দের দিয়ে তারা ২০০, ৩০০ পাতার লেখাও নামিয়ে ফেলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছেনা বলে। লন্ডন, আমেরিকা সহ এসব স্থানে মূলত লিঁয়াজো কিংবা জামাতের পক্ষে আন্তর্জাতিক জার্নালে বা পত্রিকায় বা ম্যাগাজিনে এরাই লবিং টবিং করে। জামাতের প্রদত্ত মাসোহারায় লেখা নামিয়ে ফেলছে এবং তথাকথিত সভ্য পশ্চিমাদের একটা প্রেশার বাংলাদেশ সরকারকে দেবার চেষ্টা করছে, যার অনেক ক্ষেত্রে এরা সফল।
আমাদের গ্রুপের ছেলেরা যখন রাত দিন পরিশ্রম করে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে যে লেখা গুলো লিখেছে, জামাতীদের, বিএনপির উঠানো প্রোপাগান্ডা দৈনিক ১৮-২০ ঘন্টা করে পরিশ্রম করে সেগুলোর যথাযথ উত্তর তৈরী করেছে, তখন সেসব লেখার অনেক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধীদের ট্রাইবুনালে জড়িত ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলতে হোয়েছিলো এবং নানান ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হোয়েছিলো তখনই আমি টের পেয়েছি কতটা দূর্বল এই ট্রাইবুনালের এফিশিয়েন্সি ও তাদের উদ্যম। এদের কোনো আগ্রহই নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে, যতটা না আগ্রহ আছে এই চান্সে সরকারী পর্যায়ে সুযোগ সুবিধা নেবার ক্ষেত্রে। অথচ সমগ্র বাংলাদেশীরা প্রতিটি মূহূর্ত কাটাচ্ছে ওদের শাস্তির সেই শুভক্ষণের কথা চিন্তা করে। অথচ ট্রাইবুনালের আইনজীবি ও জড়িত লোকজনের সাথে কথা বললে সিম্পলী কাঁদতে ইচ্ছা করবে ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে। এরা পুরানো হাইকোর্ট বিল্ডিংএ বসে পান চিবায় আর দেশের রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে তর্ক করে সময় কাটায়। এর মধ্যে সময় আছে আর দুই বছর।
আমার ভেতরের শংকা এক্টাই, সেটা হলো এই রাজাকার রা যদি এবার ছাড়া পেয়ে যায় তবে এই জীবনে এদের বিচারের কথা তুলতেই বলা হবে " কই ৫ বছর আটাকায়ে রেখে বিচার করতে পারলো? আমরা অপরাধী হলেইনা পারবে...ইত্যাদি ইত্যাদি" জানিনা আমার এই কথা কে কিভাবে নিবে, বাট এটা হচ্ছে বাস্তব। জামাতীরা যেভাবে প্রতি প্রান্তে জামাতী ছেলে পেলেদের লেলিয়ে দিয়েছে এবং তারা যেই পরিমানে মহা এক্টিভ সেই পরিমাণে আমাদের ছেলেরা ওদের চেয়েও ট্যালেন্ডেড হলেও সরকারী কোনো সমন্বয় বা সাহায্য পায়নি। আমি হলফ করে বলতে পারি। ( অনেক ঘটনা এখানে "ফর দে সেক অফ ওয়ারক্রাইম ট্রাইবুনাল", আমি বলছি না)
সিরাতের মত এমন অসংখ্য মেধাবী ছেলেরা জামাতের আস্তিনের চিপায় চাপায় রয়ে গেছে। যাদের অর্থে এরা জীবন যাপন করে। যাকে বলে "জামাতী খাওয়া ও জামাতী হাগা"। এরা তাদের মনিবের পক্ষে বল্বেই। এদের চিহ্নিত করে এদের বংশ সহ মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিৎ। সামাজিক ভাবে আজকে এদের বয়কট না করা গেলে একদিন এরাই আল মাহমুদ, ফরহাদ মজাহার হয়ে উঠবে এবং বিভিন্ন সভা সেমিনারে এরা দূর্গন্ধ ছড়াবে। ঠিক যেমনি সূচ হয়ে সিরাত সচলে সুন্দর মত একটা অবস্থান করে নিয়েছে।
আমি মনে করি সচলায়তন খুব স্পষ্ট করে সিরাতের ব্যাপারে কিছু বলুক এবং তাকে এই ব্লগ থেকে ব্যান করে সমগ্র গুপ্ত ছাগুদের প্রতি যথাযথ মেসেজ পৌছে দিক। আজকে সিরাতের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিলে এখানে বসে থাকা অনেক গুপ্ত সিরাতরাও আস্তে আস্তে কেটে পড়বে।একজন পাঠক হিসেবে আমার এই চাওয়া অবশ্যই অধিকার বলে আমি মনে করি।
জামাত বা বামদল এদের মাঝে যতই মতের অমিল থাকুক, একটা জায়গায় এদের সবার মূল (রসুনের পশ্চাৎদেশ) একজায়গায় গিয়ে মিলে। সেটা হলো, ভিন্ন মতের লোকদের বিরুদ্ধে একধরনের মব (Mob) এক্টিভিজমের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
এসবি ব্লগে ফারজানা মাহবুবা ও এই ব্লগের সিরাত এমন দুটো কেস।
দুই মতের লোকদের জন্য করুণা রইল।
হ ভাই, কিছু "ভিন্ন" মত পোষণ-ধারণ-প্রকাশকারীদের মাঝেমধ্যে গণপাছামারা খেতে হয়। আপনি একটু কষ্ট করে ইয়োরোপে এসে জামাত বা বামমুক্ত পরিবেশে এসে "হিটলার যা করছিলো ভালো করছিলো" বলে একটা আওয়াজ দিয়ে দেখেন, ক্লাস্টারফাক কাকে বলে। ভুক্তভোগীরা বরাবরই ঘাতকদের এবং ঘাতকদের সমর্থকদের পিটায় যাবে। আপনি এসে সমবেদনার ব্লোজব দিয়ে ধোলাই খাওয়া ছাগুকে ক্ষণিক পুলক দিতে পারবেন, কিন্তু ভুক্তভোগীদের নিবৃত্ত করতে পারবেন না। আশেপাশে থাকেন, সচলে প্রায়ই ছাগুরা ব্যাপক ধোলাই খায়, মাঝেমধ্যে তাদের পাছার ঘায়ে অ্যান্টিসেপ্টিক চুমু দিয়ে যাবেন।
হিটলার/তথাকথিত ’ইহুদী নিধন’ প্রসঙ্গ টেনে ভাল করেছেন। এতে লোকদের বুঝতে সুবিধা হবে, কেন জামাত, বাম বা ইহুদীরা ভিন্নমতকে ’ক্লাস্টারফাক’ দ্বারা আপ্যায়ন করেন।
হুঁ, কারণ লোকেরা জানে, হিটলার শুধু ইহুদী মারেনি, ইহুদীদের মারার আগে কয়েক মিলিয়ন নিরীহ অনিহুদী জার্মান, পোল, ফরাসী, ওলন্দাজ, বেলজিয়ান, চেক, রুশ মানুষকে মেরেছে, ক্লাস্টারফাকের আয়োজন তারাই উৎসাহ নিয়ে করে। আপনার মতো জামাতের অ্যাপোলজিস্টদের যে আরো পড়াশোনা করা দরকার, সেটাও লোকদের বুঝতে সুবিধা হবে। খালি নিটশে পড়ে খাল্লাস হলেই চলবে?
এবার আপনার জন্য করুণা হইতেছে। আপনি ধরেই নিয়েছেন, সিরাত পাঠক২ নামে মন্তব্য করতেছে
আপনারা যারা মবকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই এই পোস্টে এবং কমেন্টে গুরুত্বপূর্ন। আমি এসবি ব্লগে জামাতিদের এবং এই ব্লগে আপনাদের সংঘবদ্ধ মব বিহেভিয়ারের একজন পর্যবেক্ষক মাত্র। রাস্তার পাশে দাড়াইয়া খেলা দেখি। আমি কি সেটা সম্পূর্ন গুরুত্বহীন।
মুজতবা আলীর বই না পড়লেও তার কিছু কোটেশান মুখস্ত করে রাখি জায়গামতো বলার জন্য।
”একা বাঙ্গালী ভীতু, কাপুরুষ। আর একত্রিত বাঙ্গালী নৃশংস।”
দলবদ্ধ নৃশংসতা মানুষের রক্তে মিশে আছে সভ্যতার অনেক আগে থেকেই। তবে তাদের রক্তে এটা বেশি কতৃত্বপরায়ন, যাদের ভিত্তি মিথ্যার উপর দাড়িয়ে থাকে। যেমনটা ইহুদীদের, যেমনটা বামদের এবং জামাতের। ইতিহাস এদের রক্তাক্ত হাতকে বারবার সামনে টেনে নিয়ে আসে, যদিও এরা এদের হাত লুকোতে তৎপর।
না জনাব, আপনাকে সিরাত ভাবলে আপনি করে সম্বোধন করতাম না। নিটশে হচ্ছে সেইসব বলদদের প্রিয়পাঠ্য, যারা হিটলারের ইহুদী নিধনের ব্যাপারটার আগে "তথাকথিত" যোগ করে।
আপনি রাস্তার পাশে দাড়ায় খেলা দেখেন, মাঝেমধ্যে চেইন খুলে পেচ্ছাপও করতে চলে আসেন, সেটাই দেখলাম। ব্লগে ব্লগে পর্যবেক্ষণের নামে আপনি চোদা খাওয়া ছাগুদের ক্ষততে হাত বুলায় স্পর্শকাম চরিতার্থ করতেই পারেন, তাতে কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা হয় যখন পর্যবেক্ষণের আড়ালে জামাতকে একবার বামদের সাথে মিলায় হালকা করার চেষ্টা করেন, আরেকবার ইহুদীদের সাথে মিলায় ভিক্টিম বানাইতে চান। জামাতিরা তো তাও পরিষ্কার করে বলে তারা বুঝেশুনে জামাত করে, আপনার মতো জামাতিদের অ্যাপোলজিস্টগুলির সেই সাহসটুকুও নাই। আপনার যা বুঝতেছি, করুণা রান বেয়ে গড়ায় পড়ে, কিছু করুণা নিজের জন্যে রাইখেন, হয়তো একটা সময়ে গিয়ে কাজে দিবে।
আলীসাহেবের কথা সত্য। একা বাঙালি কাপুরুষই, এই কারণেই ছাগুদের পাছা বাঁচানো নিকগুলি কখনও স্বপরিচয়ে আসতে দেখি না। আর একত্রিত বাঙালি নৃশংস, ছাগু পেলে ধুয়ে ফেলে। তবে ছাগু, একা হোক আর একত্রিত হোক, ছাগুই।
ক্রমশ যে বিষয়টা পষ্ট হচ্ছে তা হচ্ছে আপনার লেজ আপনি যতটা ভাবেন তারও বেশী বড়।
জামাতের সাথে বামদলের তুলনা করে কোন সুবিধা পেতে চান তা বুঝতে চাইনা তবে আপনার লেজের ভেতর যে বিষাক্ত কোনকিছু লেগে আছে তার গন্ধ তীব্রভাবে পাওয়া যাচ্ছে!
আমি দুঃখিত, আপনার কথা একদম বুঝতে পারলামনা। আমি বামদল করিনি, বামদল এখনো সক্রিয়ভাবে করে এমন বন্ধু প্রচুর এবং বামদল নিয়ে সমালোচনাও প্রচুর। কিন্তু বামদলের সাথে জামাতকে মিলিয়ে দেখার ব্যাপারটায় শংকিত হলাম। বাম ভাবধারা কিংবা মতাদর্শ আর জামাতের কনটেক্সট মিলিয়ে নিলে জামাতকে অনেক বড় ছাড় দেয়া হয়ে যায় যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারেনা।
আপনি ভিন্নমতের লোকজনের জন্য তারা দু’দলই ‘মব এক্টভিজম’ এর কথা বললেন, সেখানেও কোনরকম তুলনা আসেনা; মব এক্টিভিজম বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন আমি ঠিক পষ্ট হলামনা কিন্তু আমার কাছে বিষয়টা যথেষ্ট আপত্তিজনক মনে হলো।
হয় আপনি এই দুইটা দলের নীতিগত জায়গাটার পার্থক্য বোঝেননা অথবা জামাত সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারনার ব্যাপক ঘাটতি আছে। পাশাপাশি আরো একটা বিষয় খুবই উল্লেখযোগ্য - জামাত প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত বিশেষ করে ছাত্রমৈত্রী (রাজশাহী এবং চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়) যে ভূমিকা রেখেছে তার কোন তুলনা হয়না, আমি জাহাঙ্গীরনগরেও দেখেছি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন (সংখ্যায় খুব কম ছিলো) কোনদিন এই বিষয়ে আপোষ করেনি।
ভাই, বিভ্রান্ত করবেননা, আপনি যদি বিভ্রান্ত হন তাহলেও জেনে নিন যে আপনার পষ্টতা আরো দশজন বিভ্রান্ত মানুষকে পষ্টতা দেবে কিন্তু আপনার বিভ্রান্তি জামাতকে পার পাইয়ে দেবে - আপনি আসলে কি চান সেটা আপনি নিজেই জানেন!
রাজনীতি আমার আগ্রহের বিষয় নয়। ব্লগে ব্লগে মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষন করা আমার শখের পর্যায়ে পড়ে বলতে পারেন তাই এখানে মন্তব্য করলাম।
আমি জামাত ও বামদল গুলোর চিন্তা পদ্ধতির মাঝে একধনের মিল খুঁজে পেয়েছি। হয়তো কনটেক্সট ভিন্ন, কিন্তু আমার ধারণামতে দুজনেই ভিন্নমতকে দমনে একই ভাবে চিন্তা করে।
জামাতের সাথে বামদের তুলনা করে তাদের মূল্য কমিয়ে দেয়া দূর্ঘটনা বলতে পারেন। অনিচ্ছাকৃত। আর যারা এদের সম্পর্কে জানেন, তারা আমার কথা বা এধরনের তুলনায় বিভ্রান্ত হবেন না বলেই বিশ্বাস।
আর আমি ইতিহাসের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ এই দুই পক্ষই মহাসময়ের পক্ষ থেকে যথাযথ ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন এখন। এই ট্রিটমেন্টের অনেক দিক আছে। একটি হল, গনবিচ্ছিন্নতা। যেকোন রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কি হতে পারে??
রাজনীতি আগ্রহের বিষয় নয় বলতেছেন আবার রাজনৈতিক বিষয় নিয়া কথা বলতেছেন, ঘটনাটা কি? আপনেতো দেখি ‘সিরাত’ চরিত্র ধারণ করে নিয়েই তারপর ‘চুলের’ আলাপ দিতে আসছেন এইখানে! কষ্ট হইতেছে খুব না? এমন হয়, ঘাপটি মারার কষ্ট নিদারুন হওয়ারই কথা।
পশুদের আবার রাজনৈতিক মতাদর্শ কি? জামাতিরা বাপের হোগা দিয়া বাইর হইছে, বেজন্মা এইকারনেই বলা হয়। মওদুদিবাদের উপর দাড়ায়ে থেকে দুইটা দাড়ি রাইখ্যা ইসলাম ইসলাম বইলা চিল্লালেই যদি যদি মতাদর্শ হয় তাইলেতো বলতে হবে আপনার রাজনৈতিক বোঝাপড়া দারুন - জামাতের নাম নিয়া দুইটা ফরজ গোসল দেন তারপর বামের গণবিচ্ছিন্নতার কথা বলতে আইসেন।
আপনে মিয়া পুরাই ফালতু কথা কন, আপনের কথা হয়না।
তবে কিছু শিবিররে দেখছি আপনরে মত কথা কইতে, ওদের সবার বাবার নামই ‘গোআযম’ আর মার নাম ‘সাইদী’ - এইভাবে বের হয় বলে ঘাপটি মেরে থাকে, কিন্তু ঘাপটি মারার কারনে তড়পায়, তড়পাইতে তড়পাইতে একসময় যখন আর পারেনা তখন ‘বাম’ দিকে তাকায়ে কেউকেউ করে উঠে। আমরা সেই কেউকেউ আওয়াজ শুনলে পরে যখন লেজ তুলে দেখতাম তখন এইসব কথা বলতো।
এসেছে নতুন ঘাপটি, লেজের তড়পানি বড়
খালি করে ’বাম’ ‘বাম’ - দুইদিকে ভরো;
দেখবে লেজের নিচে পুরাতন ছাপ -
মওদুদি দাদাজান, গোআযম বাপ;
এক দুই তিন চার -মারো যদি টান -
ঘাপটির সব শালা খাবে পটকান;
জামাতির ছানাপোনা করে ঘেউ ঘেউ -
বাপের হোগাটা ছাড়া আসেনিকো কেউ;
শোন বলি নরাধম দূরে থেকে যাস -
নইলে পেছনে পাবি আইক্কার বাঁশ!
ধর!
সিরাতের পোস্টে মন্তব্য করি না। এই মন্তব্য দেখে চুপ থাকা গেল না। ভাইসাহেব, ফারজানা মাহবুবারে কদ্দিন ধরে চিনেন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার বুদ্ধির পরিমান আর আপনার মন্তব্যের মানের মধ্যে একটা আনুপাতিক সম্পর্ক খুব পরিস্কার। আপনার এত উচ্চমানের চিন্তা ভাবনা ও মতবাদের রস আস্বাদনের মত লোকজন এইখানে নাই। এই সামান্য জিনিসটা আপনার কাছে এখনো পরিস্কার হল না কেন তা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে নিঃসন্দেহে, কিন্তু আমরা কেউ সেই গবেষণায় মোটেই উৎসাহিত নই। আপনার মনি-মুক্ত খঁচিত মতবাদ ও প্রাসঙ্গিক উদাহরনগুলো যায়গা মত খরচ করেন, কাজ হবে। আবারো আপনাকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে এইখানে প্রচুর পরিমানে মশলা সহযোগে রান্না করা ছাগল ব্যাতিত অন্য যেকোন ফর্মে ছাগলের বিচরন চরম নিষ্ঠুরতার সাথে নিরুতসাহিত করা হয়ে থাকে।
এই পোস্টে সিরাতকে ছাগু ট্যাগিং করা হলে তার অ্যাপোলজিস্টদেরকে কেন ছাগু বলা হবে না এবং তাদেরকে কেন পূর্ণসচল হিসেবে এখানে ল্যাদাতে দেয়া হবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সিরাতের সমর্থনে ইতিমধ্যে জামাতি ব্লগগুলিতে পোস্ট পড়া আরম্ভ হয়ে গেছে পাঠক২ এর মতো বেনামি নিকের আনাগোনার জন্য প্রস্তুত থাকেন
সমস্ত দৃষ্টিকোন থেকে মন্তব্য এসেছি বিধায় পোস্টে মন্তব্যের সুযোগ রহিত করা হলো।