পরিবারের বড় কোনো মানুষ ছাড়া গৃহকর্মীদের সাহায্য নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে বাচ্চা পালতে গিয়ে আমি জীবনের গূঢ় দুইটা প্রশ্নের উত্তর জেনে গেলাম। উত্তর পরে দিচ্ছি প্রশ্নগুলো বলি।
একঃ পরিবারে শান্তির জন্য সবচে প্রয়োজনীয় কী?
দুইঃ জীবনের সব ঝামেলা আর দুঃখ কষ্টের জন্য দায়ী কে?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- ভালো কাজের মেয়ে! এই টার্মটা ব্যবহার করতে আমি একটু অস্বস্তি বোধ করি। ছোটবেলা আমরা যার কাছে মানুষ হয়েছি তাকে আমরা ‘বুবু’ ডাকতাম। আট বছর সে আমাদের সাথে আমাদের পরিবারের একজন হয়ে ছিলো। আমার মা বাবা কেউই কাজের মেয়ে কথাটা তার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতো বলে মনে পড়েনা। মফস্বলে এই চর্চাটা দশ-পনেরো বছর আগেও ছিলো। গৃহকর্মীদের বয়স অনুযায়ী কাউকে খালা, কাউকে আপা, কাউকে নানী এইসব ডাকার চল ছিলো। ঢাকার মানুষরা ‘বুয়া’ নামে একটা সম্প্রদায় তৈরি করে। এটা এখন একটা পেশার নাম। আমার কাছে বুয়া মানে অন্তত বছর তিরিশের একজন মহিলা, অল্প বয়সী কোনো মেয়েকে বুয়া ভাবা কঠিণ। ছোট মেয়েগুলো তাই ‘কাজের মেয়ে’। বলতে বা শুনতে বাধো বাধো লাগে...আমাদের ঘরে ভালো গৃহকর্মী না থাকলে সংসারের সব কাজ যখন নিজেদের উপর পড়ে তখন ই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর খিটিমিটি!
তুংকার দুইমাস বয়সে আমাদের বাসায় এলো ‘পারুল’। বছর পঁয়তিরিশ বয়স, একবার বিধবা, একবার স্বামী পরিত্যাক্ত, দুই সন্তানের জননী। পারুল ঘরের কাজে, রান্নাবান্নায় অসম্ভব দক্ষ। সংসারের ভার পুরোটা সে নিয়ে নিলো। বাচ্চার মা-বাপ হয়ে গেলেও আমরা টোনাটুনি থেকে গেলাম।
আমি কাগজে কলমে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছিলাম চারমাস। কিন্তু আড়াই মাস পরে আমার ডিপার্টমেন্টে বড়সড় একটা ঝামেলা হয়ে গেলো। একজনের চাকরি গেলো আর নতুন এক ম্যানেজার এসে জলদগম্ভীর গলায় আমাকে ফোন দিলেন। অভিনন্দন, বাচ্চার কি অবস্থা ইত্যাদি শেষ করে উনি আসল কথা পাড়লেন- ‘তুমি কী আসতে পারবে! যদি সম্ভব হয় এখন হাফ ডে করো। একমাস পরে তোমাকে তো জয়েন করতেই হবে, তখন হয়তো পরিস্থিতে আরো এলোমেলো হবে। নিজের ডিপার্টমেন্ট লন্ডভন্ড পেলে তোমার সেটা গোছাতে খবর হয়ে যাবে! আর তোমার বেবীও এখন হাফ ডে তারপর ফুল ডে এভাবে ধীরে ধীরে মা ছাড়া থাকতে শিখে যাবে’।
অতএব আমাকে জয়েন করতে হলো। তিনমাসের বাচ্চাটা ব্রেস্টফিড করে। আমার প্ল্যান ছিলো শেষের একমাস ওকে ফিডার ধরাবো, সেই সময়টা পেলাম না। ব্রেস্ট পাম্প কিনে পাম্প করে দুধ রেখে প্রথমদিন অফিসে গেলাম। কিছুক্ষণ পরপর ফোন দেই, পারুল জানায় বাবু ফিডার মুখে নিচ্ছেনা। ফোনে বাচ্চার চিৎকার শুনতে পাই...অফিস চারঘন্টা, আসা যাওয়ায় একঘন্টা,সবমিলিয়ে পাঁচঘন্টার ব্যাপার। দৌড়াতে দৌড়াতে ঘরে পৌঁছে দেখি পাঁচঘন্টায় তাকে আধা আউন্স দুধ খাওয়ানো গেছে। ক্ষুধা, পিপাসা আর কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্তহওয়া শিশুটা আমাকে তার সব শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরে। এমনভাবে দুধ খায় যে মনেহয় একনদী দুধ খেলেও তার পেট ভরবে না। কিন্তু বেশি খেতে পারেনা, ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু ছোট ছোট হাত দিয়ে খামচে ধরে রাখে আমাকে। পারুল বলে ‘আপনে মানুষ নাগো...’।
আমি আসলেই অমানুষ, পরদিন আবার রেডি হয়ে অফিস যাই। এক সপ্তাহ পর বাচ্চা একটু একটু করে ফিডারে দুধ খাওয়া আর পারুলের কাছে থাকায় অভ্যস্ত হয়ে গেলো। আমার ম্যানেজার এই কথাটা খারাপ বলেনি। আচমকা ফুল ডে শুরু না করে হাফ ডে করায় বাচ্চাকে মা ছাড়া থাকায় এ্যাডজাস্ট করানো সহজ হয়েছে। আরো ছয়মাস পর এই ম্যানেজারের ট্রান্সফার হয়ে যায় কুয়ালালামপুর। এরপর পৃথিবীর যেখানেই তাঁর পোস্টিং হয়েছে সব স্টেশনে সে সবাইকে বলে দিহান ম্যাটার্নিটি লীভ বাদ দিয়ে অফিসের ক্রাইসিসের সময় চলে এসেছিলো। এইসুত্রে ওর অনেক কলিগ এখনো আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়।
আমরা অফিস করি, বাসায় ফিরে বাচ্চার সাথে আহ্লাদি করি, পারুল নিপুণ হাতে সব কাজ সামলে নেয়। মুশকিল একটাই-পারুলের পরিচ্ছন্নতা বোধ। সে গোসল করতো না, বাচ্চাকে মেঝে থেকে খাবার কুড়িয়ে খাইয়ে দিতো। এই বিষয়ে কিছু বললে তার আত্নসম্মানে লাগতো। বলতো আমরা পোলাপান মানুষ করিনাই? কী আর করা। আমার বর বললো ‘সারাদিন ওর কাছেই থাকে, ওর মতো করেই বড় হোক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বাড়ে সেটাতো ভালো কথা’।
কিন্তু অঘটন ঘটে গেলো। তখনো রোটা ভাইরাসের টীকা ছিলোনা, বাচ্চার ভয়াবহ ডায়রিয়া হয়ে গেলো। সাতদিন কাটালাম হাসপাতালে, নাদুস নুদুস বাচ্চাটা হাড্ডিসার হয়ে গেলো। এর মাসখানেক পর দেখলাম পারুল বেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে। এমনকি সুন্দর করে সেজে গুজে থাকছে সে। আমি আনন্দিত, ভাবলাম বাচ্চার অসুখ করায় মেয়েটা নিজেকে শুধরে নিয়েছে। তখনো আমি দুই নম্বর প্রশ্নের উত্তর জানতাম না!
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো ‘প্রেম’!
পারুলের প্রেম হয়ে গেলো এক মিস্ত্রীর সাথে। আমার বরের শার্ট, ঘড়ি এইসব উধাও হচ্ছিলো। এইনিয়ে খোঁজ করতে গেলে এক প্রতিবেশি জানালেন পাশের কন্সট্রাকশন সাইটের এক মিস্ত্রীর সাথে পারুলের প্রেম হয়েছে। আমরা মহাচিন্তায় পড়লাম। এরমধ্যে একজন গেস্ট আমাদের বাসায় আসার পর তার অনেক দামী মোবাইল উধাও হয়ে গেলো। আমরা বাধ্য হয়ে পারুলকে বললাম ফোনটা ফেরত এনে দাও। তুলকালাম কান্ড ঘটে গেলো এরপর। পারুল বললো আপনাদের জন্য এতো কিছু করি আর আপনারা আমাকে চোর বলছেন। প্রথমে ভাবলাম -পারুল ছাড়া চলতে পারবো না, ও যদি প্রেম করে করুক। আমাদের কী দরকার তার মরাল গার্জিয়ান হবার? কিন্তু আমরা যখন থাকিনা তখন যদি লোকটা আমাদের বাসায় আসে। এইটুকু বাচ্চা থাকে বাসায়। নাহ কি হতে কী হবে।
অনেক জেরা করার পর পারুল স্বীকার করলো তার প্রেমিকের কথা। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখলাম লোকটা বিবাহিত, রীতিমতো সংসারী। তার কাছে তুমি কী চাও পারুল ?এই প্রেমের ভবিষ্যত কী? উত্তর নেই। মধ্যবিত্তের প্রেমে চাওয়া পাওয়া বিষয়টা বেশি চলে আসে। উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্তের মধ্যে এটা নেই!
পারুল চলে গেলো। তুংকা তখন পারুলকে ‘পাউ’ বলে ডাকতে শিখেছে।
গুটিগুটি পায়ে এঘর থেকে সেঘরে গিয়ে সে ডাকে ‘পাউউউউ’। পাউ নেই...
মন্তব্য
পাউ নেই...
আহা...! তুংকার বিষাদটুকু ছুঁয়ে গেল।
(দিহান, আপনার সাথে জরুরি একটা কথা ছিল। যদি দয়া করে ইমেল আইডি জানান...।)
সুমিমা ইয়াসমিন
আপনাকে মেইল দেবো। ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম আপু
ধন্যবাদ জানবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমি এই কারনেই একটা বুদ্ধি বা দুর্বুদ্ধি যাই বলেন, ভেবে বের করেছি; ড্রাইভার আর কাজের মেয়ে একসঙ্গে রাখবো। আর্থিক সাশ্রয় হবে, কারন জিনিস পত্র কম হাওয়া হবে।
আপনার অভিজ্ঞতা ভালো লাগছে পড়তে। সবার'ই কম বেশি একই অবস্থা।
এটা একটা ভালো বুদ্ধি!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ঢাকায় আমার বাবা-মা একটা ফ্ল্যাটে থাকেন, সাথে একজন কাজের লোক। কয়েক বছর আগে সপরিবারে হাজির হওয়ার পরে কাজের লোকের কাজ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। যার ফলে চাকরিতে ইস্তেফা। আমি সেবার বেশ অনেকদিন ছিলাম কিছু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। ভেবেছিলাম বিদেশে নিজের কাজ নিজে করে অভ্যাস আছে, কিন্তু দেখা গেল দেশে ঘরের কাজ করা অনেক কঠিন। ঢাকাতে প্রতিদিন বাসা ঝাড়পোঁছ করতে হয়...এরপর রান্না...কয়দিন পরে আমরা হন্যে হয়ে কাজের লোক খুঁজেছি...ওরা আমাদের জীবনকে কতোভাবে সহজ করে দেয়।
আমার মা-ও আমাকে রেখে অফিসে যেতেন। আমি মূলত দুইজন লোকের কাছে বড় হয়েছি। সেই দুইজনই আমাকে মাতৃসমস্নেহ দিয়েছেন। কতো মানুষকেই তাঁদের প্রাপ্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পারিনি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কাজের লোক জীবনকে সহজ ও করে দেয়া আবার দুর্বিষহ ও করে তোলে অনেক সময়। আগের দিনের মানুষরা অন্যরকম ছিলো, এখন এদের দেখা পাওয়া যায়না...
দেশে ঘরের কাজ কঠিন এটা ভীষণ সত্যি।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
যথারীতি চমৎকার। পরের পর্বের প্রত্যাশায়
অতীত
অনেক ধন্যবাদ অতীত।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
কি ভয়াবহ অবস্থা ! ছোট্ট একটা বাবু সারাদিন না খেয়ে আছে । অনেক আরামে বড় হয়েছি মনে হচ্ছে। ভাগ্যিস আম্মু জব করতো না।
আমি কী ভেবে স্বস্তি পাই জানেন? ভাগ্যিস অতি-শৈশবের স্মৃতি মানুষের থাকেনা!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বরাবরে মত চমৎকার লেখা, বাচ্চাদের ভোগান্তি দেখার থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে।
হুম বাচ্চাদের ভোগান্তি দেখলে নিজেকে অপরাধী লাগে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আহারে, আমার ১ বছর ৪ মাসের ছেলেটাও একা একা থাকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকুরীজীবি হবার কারনে তাসলিমার কোলে-পিঠেই মানুষ হচ্ছিল। বিয়ের সম্বন্ধ আসে, তাসলিমাকে চলে যেতে হয়। আমার বাবু 'তাদলি', 'তাদলি' করে কেঁদে ফেরে সারাদিন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কর্মজীবি মা-বাবার বাচ্চারা গৃহকর্মীদের খুব আঁকড়ে ধরে। মনেহয় যেনো ছোট্টবয়সেই ওরা বুঝে যায় তাদলি আর পাউ ই তাদের সবচে ভরসার জায়গা!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
মা কাজ করতেন ব্যাঙ্কে, আমরা পিঠাপিঠি দু ভাইবোন মানুষ হয়েছি নানা- নানুর কাছে। বছর দশেকের ছোট বোন 'দ্যুতি' যখন এলো পৃথিবীতে তখন আম্মুর কাজের চাপ আরো বেড়েছে, নানুর বেড়েছে বয়স। যে গৃহপরিচারিকাটি ওকে প্রায় কোলেপিঠে করে বড় করে তোলে, সে ছিল অবিশ্বাস্য ধরনের ভাল এবং বিশ্বাসী। ভাগ্যিস।
লেখায় । পরের পর্বের অপেক্ষা থাকবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভাগ্যিস...অবিশ্বাস্য ভালো আর বিশ্বাসী মানুষ এখন আর কোত্থাও নেই...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
শুধুই দীর্ঘশ্বাস পড়ে এই টপিকটাতে। শত শত কাহিনী আছে আমার নিজের অভিজ্ঞতায় এই গৃহকর্মি বলেন আর বুয়া বলেন এদের নিয়ে। লিখতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে। তাই অফ গেলাম।
শুধু আপনার- আপনাদের জন্য সহমর্মিতা...
ধন্যবাদ বন্দনা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনি বলতে থাকুন আর আমরা এই ভাবেই শুনতে থাকি। একেবারেই সরল বহিঃপ্রকাশ। আর আমি, জীবনের প্রথম ৭-৮ মাস মায়ের স্পর্শই পাইনি, আমার জন্ম দেবার পর মা কোমায় চলে যায়। তারপর বছর খানেক পর যে অবস্থায় রুগ্ন, ভগ্ন শরীর নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন এখনো তেমনটিই আছেন।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল দিহান ।
ডাকঘর | ছবিঘর
আহা...আপনাকে কে পেলে-পুষে বড় করলো?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
প্রথমে পিসিমণি, সাথে দাদুভাই, ঠাকুমা, বাবা... তারপর বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ মা ধীরে ধীরে একটু একটু করে আমার পাশে থাকতেন।
ভয় পাচ্ছি!
লেখায়
ভয় পাবেন না। তবে আগেভাবে সব গুছিয়ে রাখবেন!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
শেষ লাইনটায় কি মন খারাপ লাগলো। কুসুম বলে একজন ছিলো, যে চলে যাবার পর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর নিশিকে ডাকতো নি আপা। বিয়ে হয়ে গেছে ওর দু'বছর আগে। কিন্তু যে রুমে সে থাকতো, সেটা এখনও নি-আপার রুম রয়ে গেছে। এখনও নি-আপার ফোন আসলে সব কাজ ছেড়ে কথা জমায় ছেলে।
এই লেখাটা পড়তে পারেন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ। আপনার সব লেখাই আমি পড়েছি!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
এইটা আমার লেখা না। অন্যজনের
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বউ এর লেখাতো বরের লেখাই!!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অন্যজন!? তুলি তো তোকে তুলোধুনা করবে রে, আলবাব।
সুমিমা ইয়াসমিন
যথারীতি...
আপনার একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে চলেছি। পরের পর্বের আশায় থাকলাম।
আবেগ আর সরলতাটুকু ছুঁয়ে গেলো আপনার অন্য সব লেখার মতো করেই। আমি বড় হয়েছি জোহরা নামের এক মায়াবতী মেয়ের কাছে। খুব অল্প কিছু স্মৃতি মস্তিষ্কের গোপন অলিগলিতে লুকিয়ে আছে, সেগুলোই মাঝে মাঝে উকি দেয়। মেয়েটি পরে নিজের সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়।
আপনার লিখাগুলো থেকে এ ব্যাপারে কিছুটা হলেও চিন্তা ও ভাবনার অবকাশ তৈরী হচ্ছে আমার মনে। এমন করে আগে ভাবিনি। ভাবা উচিত বলে মনে করি।
রীতি নিরবধি।।।
আপনার দুঃখ, ভোগান্তির গল্প পড়ে খুব ভালো লাগল। 'বেয়াদব' বলবেন না প্লীজ। লেখা 'ভালো' হলে তা পড়তে তো 'ভালো' লাগবেই, সে যতই 'দুখভারি কাহিনি' হোক না কেন
তুংকার জন্য hugs
হাহাহা...
আপনার নামটা সার্থক করার মতো উচ্ছল তো আপনি?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
কিছু দিন পর আমার ও বিয়ে হবে............... জানি আমিও হয়ত ২/১ বছরের মধ্যে কর্মজীবি মা হয়ে যাব ............ কিন্তু ভয় হয় আপু............ সামলাতে পারবতো আপনার মত............
নতুন মন্তব্য করুন