অপরূপা স্টকহোম

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৯/২০১১ - ৯:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব গল্প শুনি স্টকহোমের। সেখানে যেই ঘুরতে যায়, ফিরে এসে উচ্ছাস ভরা কণ্ঠে বলতে থাকে স্টকহোমের কথা, যাকে বলা হয় City on Water। নোবেল প্রাইজের কথা, সেখানকার গামলা স্টানের (পুরনো শহর) বর্ণিল বাড়িঘর, সরু সরু আঁকাবাঁকা শত বছরের পুরনো রাস্তা, রাজার প্রাসাদ, অসংখ্য সেতু আর শহরের বুক চিরে যাওয়া খালের অপূর্ব সমন্বয় আর সদা হাস্যরতা স্বর্ণকেশী সুইডিশ তরুণীদের কথা। মুগ্ধ হয়ে তাদের বয়ান শুনতে থাকি, কল্পনায় ঘুরে বেড়ায় গামলা স্টানের রঙ ছড়ানো রাস্তাগুলোতে আর অপেক্ষার প্রহর গুনি কবে যাব স্টকহোম!
IMG_7210
IMG_7226
লম্বা প্রতীক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে, স্কুল থেকে আয়োজন করা হল সুইডেন ভ্রমণের। নির্দিষ্ট দিনে প্রায় জনা পঞ্চাশেক ছাত্র-ছাত্রী বাসে চেপে বসলাম ভারকাউস-এ। প্রথম গন্তব্য ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি, সেখান থেকে বিশাল জাহাজে চেপে বাল্টিক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে স্বপ্নের স্টকহোম। স্বপ্নিল যাত্রার আবেশে রঙিন পানীয়ের ফোয়ারা ছুটল যেন বাসের ভিতরের সেই চলমান কয় ঘণ্টা, সহযাত্রীদের এমন পাগলামোর ফল মিলল হাতেনাতেই, জাহাজঘাটায় উপস্থিত শিক্ষক বললেন ৩ জন মিসিং ! কোথায় হারাল তারা! তারচেয়েও বড় দুশ্চিন্তা হারানো মানুষের সংখ্যা যাতে আর বেশী না হয়, তাই প্রায় মেষের পালের মত খেদিয়ে বহুতল জাহাজে ঢোকানো হল উপস্থিত সবাইকে। সেই বিনিদ্র দীর্ঘ রাতের কথা আজকের মত থাক, ১৭ ঘণ্টার সমুদ্রবিহার শেষে দূর দিগন্তে মায়াবাস্তবতার আড়ালে ঘিরে থাকা এক রূপকথার শহরকে যেন জন্ম নিতে দেখলাম শুভ্র সকালের সূর্যে।
IMG_7348
সকাল ৯টায় জাহাজ ভিড়ল স্টকহোমের জাহাজঘাটায়, এই মুহূর্তটিরই ছিল যেন অপেক্ষা, ব্যাকপ্যাক কাঁধে নেমে পড়লাম অনিন্দ্য সুন্দর নগরীতে। উল্লেখ্য, হাতে সময় মাত্র আট ঘণ্টা, এর মধ্যেই ঘোরাঘুরির পালা সাঙ্গ করে ফিরে আসতে হবে জাহাজে।
IMG_7374
রঙের ছড়াছড়ি চারিদিকে। পাথর বিছানো রাস্তাগুলোও অসাধারণ, বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের জন্য স্থপতি শত বছর আগেও আগাম চিন্তা করে এগুলো যেভাবে ঢালু করে নির্মাণ করেছেন অপূর্ব বিন্যাস নিয়ে তাতে হাঁ হয়ে যাবার জোগাড় আমাদের। ইট-পাথরের প্রাচীন রাস্তাগুলোর এক নির্জন কোণায় দাঁড়ালেই যেন আপনি শুনতে পারবেন সৈন্যদের ঘোড়া ছুটিয়ে যাবার শব্দ, ভাইকিংদের রক্ত হিম করা উল্লাস ধ্বনি।
IMG_7307
old town
স্টকহোমে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ এর রাজপ্রাসাদ। ফি বছর লাখো লাখো দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে এই স্থাপত্য। মোট ৬০৮টি কক্ষ বিশিষ্ট প্রায় বর্গাকার এ এক নয়ন মনোহর সমীহ জাগানিয়া ভবন, এর অধিকাংশ কক্ষই দর্শনার্থীদের জন্য খোলা। সদা প্রহরায় সুইডিশ রাজকীয় রক্ষীবাহিনী। বিশালাকৃতির সিংহদ্বার। প্রাসাদের চতুর্দিকের দেয়ালে খোদাই করা অসংখ্য সুক্ষ ভাস্কর্য। এর সবচেয়ে পুরাতন অংশটি নির্মিত হয় ১৬৬০ সালে, পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারণ ঘটে। প্রাসাদটি আজও রাজপরিবারের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি মূল তিন ভাগে বিভক্ত- বর্তমান রাজপ্রাসাদ, ১৬৯৭সালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত ট্রি কনর প্রাসাদের অবশিষ্টাংশ এবং রাজকীয় রত্নাগার।
IMG_7285
IMG_7203
প্রাসাদে প্রবেশের পরপরই আপনি চলে যাবেন কয়েকশ বছর পেছনে- সুউচ্চ দালান, সারি সারি স্তম্ভ আর খিলানের সাহায্যে তৈরি। প্রতিটি ঘরেই অগুনতি চিত্রকর্ম, টাপেস্ট্রি, রাজ পরিবারের স্মারক। বর্তমান রাজা কার্ল গুস্তাফের জীবনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে এক অংশে। বেশ কিছু জায়গায় চোখে পড়ল রেনেসাঁ ধাচে ছাদে আঁকা চিত্রকর্ম, জিজ্ঞাসা করে জানা গেল বরাবরের মতই এই কাজটি ইতালীয় চিত্রকরদের। সেই সাথে আছে অপূর্ব কারুকার্য করা আয়নার সমাহার।
হাতে সময় খুবই কম বিধায় খুঁটিনাটি লক্ষ্য করবার সময় ছিল না একেবারেই। মোটামুটি হলেও উল্লেখযোগ্য কক্ষগুলো আর রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা দর্শন করে আপাতত রাজপ্রাসাদ দর্শনের ইতি টানতে হল। বেরোবার পথে মূল সিঁড়ির পাশে চোখে পড়ল বিশ্বখ্যাত কিছু ভাস্কর্যের অনিন্দ্য সুন্দর মডেল। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হল প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো রাজদরবারটিকে, এটি সবচেয়ে নিচেরতলায় অর্থাৎ ভূগর্ভে (মাটির নিচে) অবস্থিত। রাজসিংহাসনটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সুদৃশ্য তবে মোঘল বাদশাহদের সিংহাসনের মত মণি-মাণিক্যের ছড়াছড়ি নেই তাতে। যদিও রাজকীয় রত্নাগারে চোখে পড়ল হীরকখচিত বেশ কিছু স্বর্ণমুকুট।
প্রাসাদের সামনে রাজকীয় রক্ষীবাহিনীর অবস্থান পরিবর্তনের ব্যাপারটা আকৃষ্ট করে ভ্রমণপিপাসুদের, প্রতি কয়েক ঘণ্টা পরপরই গার্ডদের নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করা হয়, তখন চারপাশে ভিড় জমে যায় সেই বিশাল চত্বরে।
IMG_7287
IMG_7254
সুইডেনকে যিনি পৃথিবীর কাছে অন্যতম আলোচ্য দেশে পরিণত করেছেন তিনি আলফ্রেড নোবেল এবং তার প্রবর্তিত নোবেল পুরস্কার। অনেকদিনের চাপা ইচ্ছা ছিলে নোবেল জাদুঘর ভ্রমণের, এটি রাজপ্রাসাদের খুব কাছে। সামনে প্রাচীন ঝর্ণা আর সাজানো স্কয়ার, দেশের নানা প্রান্তের দোকানীরা বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ৪০ ক্রোনারের টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম নোবেল জাদুঘরে। আলফ্রেড নোবেল, তার কর্মময় জীবন, নোবেল প্রাইজের ইতিহাস, ১৯০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্পর্কে নানা মূল্যবান তথ্য এবং ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে জাদুঘরটি সমৃদ্ধ। এতে আছে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর ভিডিও দেখবার দুইটি প্রেক্ষাগৃহ। অত্যন্ত দুর্লভ কিছু জিনিসের দর্শন মিলল সেখানে- আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর প্রথম আবিষ্কৃত পেনিসিলিন, বাশেভিক সিঙ্গারের টাইপ রাইটার, দালাই লামার চশমা, রবিঠাকুর, মেরি ক্যুরি, রুডইয়ার্ড কিপলিং, অমর্ত্য সেনের ব্যবহৃত কিছু জিনিস। অডিও কক্ষে কণ্ঠ শোনা গেল হেমিংওয়ে,মার্টিন লুথার কিং, স্টেইনবেক প্রমুখের। পাঠকদের গর্বের সাথে জানাচ্ছি, সমস্ত নোবেল জাদুঘরে একটি মাত্র আবক্ষ ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে, সেটি সমগ্র এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
IMG_7239
এরপর মহা উচ্ছাসে ঘুরে বেড়ালাম গামলা স্টানের রাস্তায় রাস্তায়, সেই বর্ণিল বাড়ী আর সর্পিল রাস্তাগুলোর মাঝে। বছরের সেই সময়টায় পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড়। এখানকার মানুষগুলোও খুব উচ্ছল, সর্বদাই হাসিখুশি।
IMG_7241
IMG_7233
IMG_7234
IMG_7261
IMG_7269
রাজকীয় গির্জা দেখা হয়ে গেল মুফতে, এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে সেইন্ট জর্জ আর ড্রাগনের ভাস্কর্য, এত বিশালাকৃতির ভাস্কর্য নাকি আর নেই সমগ্র স্ক্যাণ্ডিনেভিয়ায়।
IMG_7244
IMG_7278
IMG_7302
হাতে আর দুই ঘণ্টাও নেই, তাড়াহুড়োয় পথ চলছি, এমন সময় সামনে পড়ল সাগরের তীরেই অবস্থিত সুইডেনের জাতীয় জাদুঘর। খোজ নিয়ে জানা গেল টিকেটের মূল্য ৬০ ক্রোনার। হাতে সময় বড়জোর এক ঘণ্টা, এক ঘণ্টার জন্য কি ৬০ ক্রোনার খরচ করা যায়, হাজার হলেও বাংলাদেশ থেকে আসা ছাত্র আমি। তাই জাদুঘরের কাউন্টারে জানতে চাইলাম কি আছে তাদের সংগ্রহে? উত্তর শুনে তো চক্ষুচড়কগাছ! এতদিন যাদের কথা অসংখ্যবার শুনেছি আর পড়েছি সেই কালজয়ী চিত্রশিল্পী রেমব্রান্ট, রুবেন, গগ্যা, রেনোয়া, মানে, সিসলে, পিকাসো প্রমুখের চিত্রকর্মে সমৃদ্ধ জাদুঘরটি। পরের ঘণ্টাটি কেটে গেল ঘোরের মধ্যে। অসম্ভব চমৎকার পেইন্টিংগুলোর সম্মোহনী ক্ষমতা প্রবল আর প্রথম দেখার মুগ্ধতাতো আছেই।
IMG_7204
যাই হোক সময়ের কথা ভেবেই পা বাড়ালাম জাহাজঘাটার দিকে, রেখে গেলাম অসংখ্য মূল্যবান স্মৃতি। জাহাজে ওঠার মিনিট কয়েক পরেই যাত্রা শুরু হল, বিশাল চিমনী দিয়ে ধোঁয়া বাহির হচ্ছে, ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে জলের উপরে ছবির মত সাজানো শহর স্টকহোম।
IMG_7326
এই সময় কেন জানি জাদুঘরে খানিক আগেই দেখা রেমব্রান্টের এক একাকিনী মহিলার তৈলচিত্রটি বার বার মনে পড়ছে, সেই সাথে মনে পড়ছে রবি ঠাকুরের দুই লাইন-
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে,
তখন ছিলেম বহু দূরে কিসের অন্বেষণে।

( প্রিয় সচলের বন্ধুরা এই স্মৃতিকথাটি অনেক বছর আগের আমার প্রথম স্টকহোম ভ্রমণ নিয়ে লেখা, সেই সোনালী সময়ের আবেগের উচ্ছাসে হয়ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই বাদ পড়ে গেছে, পরবর্তী কোন লেখায় সেগুলো আস্তে আস্তে তুলে ধরব কারণ এখন হেলসিংকিতে থাকার কারণে প্রায়ই যাওয়া হয় স্টকহোম, এমনকি আপনারা যখন এই লেখাটি পড়ছেন আমি ইতিমধ্যেই জাহাজ চেপে পাড়ি দিচ্ছি বাল্টিক সাগর আবারো স্টকহোম দর্শনের নিমিত্তে, যদিও এবারের ব্যাপারটি খুব আলাদা কারণ আমার মা সাথে আছেন ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে। ভালো থাকুন সবাই সবসময়, ফিরে এসে কথা হবে)


মন্তব্য

তানিম এহসান এর ছবি

রেমব্র্যান্ট আমার সবচাইতে প্রিয় শিল্পীদের একজন, একটা ছবি দিলেননা! প্রিয় উড়ন্ত ঘুড়ি, মানতে পারলামনা একদমই মন খারাপ

বন্দনা কবীর এর ছবি

উড়ন্ত ঘুড়ি" বেশ হয়েছে তো নামটা !! এক্কেবারে পারফেক্ট হাসি

তারেক অণু এর ছবি

এই জাদুঘরে ছবি তুলতে দেয় না মন খারাপ রেমব্র্যান্ট ছবি পরে অন্য লেখাতে দিব।, প্রমিস। এখন একটু হাসেন !

guest_writer এর ছবি

স্টকহোম ভ্রমনকালে সময় সল্পতার কারনে যেমন তাড়াহুড়ো ছিল লেখাটিতেও সেই ভাবটাই প্রকাশিত হয়েছে। মনে হয়েছে, হাতে সময় নেই জাহাজ ছেড়ে যাবে।

আর আজকের পোস্টে -- ঐ।

প্রৌঢ়ভাবনা।

তারেক অণু এর ছবি

ঐ !! হুম্ম, সত্যি খুব বেশী তাড়াহুড়ো ছিল---জাহাজের উঠতে না পারলেই চিত্তির!

guest_writer এর ছবি

ঐ, মানে পূর্বের ন্যায়। একই কথা আর কতবার লেখা যায় বলুন! নতুন কিছু লেখার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা। শব্দভান্ডারে টান পড়েছে।

ভাল থাকুন। মার সাথে সময়টি আনন্দে কাটুক।

প্রৌঢ়ভাবনা

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

এই পর্বে দালানকোঠা বেশি দেখা যাচ্ছে বলে মনে হলো। তবে আসলেই বিমুগ্ধকর।

পরের পর্বে আরও ডিটেলস চাই। আসুন ঘুরে ভালোমতো।

একটা প্রশ্ন ছিলো। আপনার কি ব্যক্তিগত কোনো UFO আছে ভ্রমণের? চিন্তিত

অতীত

তারেক অণু এর ছবি

শহর যে, দালানকোঠায় বেশী !
না রে ভাই, ET ব্যাটারা ফাজিল, অনেক চেষ্টা করি যোগাযোগের , ফাঁদে পা দেয় না! তাহলে না একটা UFO র চেষ্টা করতে পারতাম!

কল্যাণF এর ছবি

অণু ভাল মত ঘুরাঘুরি কর, কিন্তু বেশি করে ছবি তুলতে ভুলোনা ভাই আমার। জাদুঘরের ভিতরের ছবি দেখার জন্য হাঁসফাঁস অবস্থা। বিধায় শব্দটা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নাই? স্বল্প জ্ঞানে বলে ফেললাম।

তারেক অণু এর ছবি

ছবি তুলতে দিল না কো মামুর বুটারা! ব্যাপার না পরে ব্যাপক ছবি আসবে--

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সুইডিশ ললনার কথা কইয়া খালি খালি লুল ফেলাইলেন, খুইলা দেখি বিল্ডিংয়ের ছবি দিয়া ভরা। যাউক পিস্তলের নল মুচরাইয়া দেয়া ছবিটা সবচেয়ে ভাল লাগছে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি

হ, এই পিস্তলটা দারুণ !
কানে কানে বলি-- প্রিন্সেস ম্যাডিলেন-এর ছবি গুগলে দেইখ্যা ফ্যালান! পরের কথা পরে হইব

পাঠক এর ছবি

হাততালি

কী পিস্তলরে বাপ! না জানি কত মানুষের খুলি উড়িয়েছে!
রবীন্দ্রনাথ-কে যে সম্মান যাদুঘর কর্তৃপক্ষ দিল তার জন্য বাংলাভাষী হিসেবে নিশ্চয় গর্ববোধ করেছেন। প্যারিসের পম্পিদু সেন্টারে একটা প্রদর্শণীতে বাংলা একটা পোস্টার দেখে বুকটা ফুলে উঠেছিল, সামনের ভদ্রলোকের গায়ে আরেকটু হলেই লেগে গিয়েছিল আর কি। চলুক ভূ-ভ্রমণ।

তারেক অণু এর ছবি

খুলি উড়ানো বন্ধ, এই কারণেই তো উত্তম জাঝা!

মিলু এর ছবি

সত্যিই অপরূপা উত্তম জাঝা! উত্তম জাঝা! উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

হাস্যোজ্জ্বল সুইডিশ তরুণীদের কথা তো পড়লামই কেবল, ফটুক তো দেখতে পেলাম না ব্রো! এই লেখা যে স্টকহোম নিয়েই, সেইটা বিশ্বাস করি ক্যামনে! চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি

চোখ টিপি চিন্তিত কথা সইত্য ! তবে আসিতেছে, আপাতত ওদের ছোট রাজকন্যা প্রিন্সেস ম্যাডেলেনের ছবি গুগ্লিং করা জাইতে পারে

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চক্ষু খুইল্যা গুট্টি খেলুম, গুট্টি...

তারেক অণু এর ছবি
আর্য এর ছবি

স্টকহোম আসলেই অসাধারন একটা শহর। আমার বিদেশ জীবনের প্রথম এক বছর ওখানে কেটেছে বলে কিনা জানিনা, কিন্তু স্টকহোমে গেলেই কেন জানি একটা ঘরে ফেরত এলাম ধরনের ভাব হয়। ছোট শহরের সকল শান্তির সাথে মাল্টিকালচারাল শহরের সকল সুযোগসুবিধাসহ এই শহরটা আসলেই অন্যান্য শহরের থেকে আলাদা। বিশেষত হেলসিংকি আসার পর থেকে স্টকহোমকে আরও বেশি মিস করি। মনে হয় কত বেশী প্রানবন্ত ছিল, আর সুন্দর ছিল শহরটা। তুলনায় হেলসিঙ্কি, ধুসসস...

তারেক অণু এর ছবি

আসলে প্রতিটি জায়গারই সৌন্দর্য আলাদা আলাদা। হেলসিংকি কিন্তু আমার কাছে চমৎকার লাগে।

উচ্ছলা এর ছবি

সুন্দর সুন্দর ছবি...সাথে মনকাড়া বর্ণনা; মুগ্ধ হয়ে দেখলাম, পড়লাম হাসি চলুক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মায়ের সাথে ভ্রমন আনন্দময় হোক। শুভেচ্ছা।

তারেক অণু এর ছবি
মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আসলেই অপরূপা, যেমন শুনেছি তেমনি.............. চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি
কর্ণজয় এর ছবি

ছবিতে কথায়...
ঘুরে এলাম ষ্টকহোম

তারেক অণু এর ছবি

খুশী হলাম শুনে হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।