মহুয়ার বনে মেতেছে যখন ফাগুনের ঝোড়ো হাওয়া
পাতায় পাতায় শিশিরের মতো ঝরে গেছে দিনগুলো
পাখিদের ভিড়ে উড়ে গেছে কারা ফেলে সব চাওয়া পাওয়া
ক্লান্তির ভারে কুঁজো হয়ে আছে হৃদয়ের ঋণগুলো
ধূসর মলিন স্মৃতির পালক পড়ে আছে আঙিনাতে
সে কি প্রেম নাকি বিরহ বিলাস সময়ের রূঢ় হাতে?
রোদেলা দিনের করতলে কত আলো ছায়া মেঘ
খেলে গেছে রোজ চোখ বুজে আসা সোনালি অলস
ঘুমে। রাশি রাশি শব্দের ঝাঁক ঠোঁট চেটে গেছে
করুণ তৃষায় চেতনার নীল জলের আশায়।
তবু মেলেনিতো মিঠে পানি হ্রদে
দু'দণ্ড সুখ, বড়ো পার্থিব। শুধুই ক্লান্তি নেমেছে যখন
গোধূলি বেলায় আমাদের ম্লান চোখের তারায়
জ্বলেছে ভীষণ কাতরতা ঘন বেদনা বিলাস আর হাহাকার।
জেনে গেছি ক্ষয়ে যাওয়া শুধু শুধু ঝরে যাওয়া পথে
আমের মুকুল বিবর্ণ হয়ে মাটিতেই মিশে
এই ভেবে ফের কাঁপা বিশ্বাসে কত শত দ্বিধা ভরে
মাটির চরণে হৃদয় সঁপেছি, মনে পড়ে, মনে পড়ে!
হেমন্ত এলে পাতাদের বুকে বেজেছিল যত সুর
মৃত দেয়ালের বুকের ভেতরে প্রেত ছায়া ফেলে রেখে
উইলোর বনে কেঁদে ফিরেছিল একটি হলুদ পাখি
তুমি বলেছিলে হিজলের ফাঁকে চোখের তৃপ্তি এঁকে
আমাদের প্রেম ছড়িয়ে দিয়েছি বাতাসের রথে রথে
খুঁজে নিও তারে পৃথিবী ছাড়িয়ে অনন্ত ছায়াপথে!
জানি আমি জানি দিন শেষে আজ সূর্য ভীষণ
হয়রান হয়ে দুপুরের রোদে মোষের মতন
পথে বসে আসে ঠিকানাবিহীন
চাওয়া পাওয়া যত আছে অনাহুত
বেবাক সামলে রাখি মনে মনে
তবু বুনে যাই মিহিন সুতোয় সোনামুখি সুঁচে
ছেঁড়া স্বপ্নের রাঙা মসলিন!
মন্তব্য
কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছেনা! ঘিরে আসে পৃথিবীর ফেলে আসা সব নষ্ট বেহালার সুর!
ইচ্ছে না করলেও তো মন্তব্য করা হয়েই গেল!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তাইতো!
রোমেল ভাই, এক কথায় অপূর্ব এক ভাবের সুরলহরী এই কবিতা।
(অফটপিকঃ শুধু নিজের ভাবনায় একবার কেনোজানি মনে হলো এই কবিতার শব্দগাঁথুনি আর শব্দঝংকারের সাথে আট নম্বর লাইনের সাত নম্বর শব্দটা যায় না। আপনিই ভালো বলতে পারবেন। আমি একবার 'ছুঁয়ে' ভেবেছিলাম। আমার ভাবে ভুলও হতে পারে। একটু ব্যাখ্যা করলে বিষয়টা স্পষ্ট হতো। আর দরকার হলে কানে ধরে দেখিয়ে দিতেন। )
অতীত
ধন্যবাদ সুবর্ণ অতীত,
'চেটে' শব্দটির কথা বলছেন তো! চেতনার জল পানে তৃষ্ণা নিবারণ করতে না পারার অতৃপ্তি নিয়ে পিপাসার্ত শব্দগুলোকে ঠোঁট চেটে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো, এমনটি বোঝাতে চেয়েছি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চমৎকার হয়েছে রোমেল ভাই।
আপনাকে অনেক
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
'আমি তবু বলি, এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি.....'
জীবনবাবুর ছাপ (ছায়া নয় কিন্তু) আছে কি, খানিকটা?
ভাল লাগল পড়তে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একেবারে লক্ষ্যভেদ। হ্যাঁ, এটি সূর্যে সূর্যে চলবারই অভিজ্ঞান। তুমি কবিতা বোঝো, কিন্তু সাহস করে মন্তব্য কর না কেন?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার কবিতা ভালো না লেগে উপায় আছে?...মনটা কেন জানি না একটু খারাপ হলো এটা পড়ে...
উচ্ছল প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। মন ভালো না থাকার একটা কবিতা পড়ি,
মাত্রাবৃত্তে ৬ এর চাল, তাই না?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
ভালো আছেন তো????
ভাই,
আমি ভালো আছি, আপনি ভালো আছেন তো!
মাত্রাবৃত্তের ঝি ঝি পোকা মাথায় ঢুকেছে। এটা তারই ঝি ঝি ডাক। ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভেজা একটা অশ্রুকণা খসে পড়লো মরুভূমিতে
ডাকঘর | ছবিঘর
সেই মরুভূমি এক নিমেষেই সেটিকে শুষে নিল। ভালো থাকুন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আর জন্ম নিল খুঁদে সবুজ ঘাসের চারারা। আরো কবিতা আসুক রোমেল ভাই।
বাহ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অপূর্ব এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ স্তবকটি, কবি!!! তৃপ্ত হলাম......
_____________________
Give Her Freedom!
মাত্রাবৃত্তের ৬ মাত্রার চালে পুরো কবিতাটি লেখা। স্তবক চারটি একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখবে, ১ ও ৩ নং স্তবক অপেক্ষাকৃত গীতল। ৬ মাত্রার ৩ টি পূর্ণ পর্বের পর ২/৩ মাত্রার একটি অতি পর্ব জুড়ে দেয়ায় আর অন্তঃমিল ঠিক রাখায় এটি ঘটেছে,
অন্যদিকে ২ ও ৪ নং স্তবকে ৬ এর চাল পূর্ণমাত্রা নিয়েই ছুটেই গেছে শুধু জিরিয়ে নেবার সুযোগ পায়নি। অন্তঃমিলও নেই। তাই অনেকটাই গদ্যভাব চলে এসেছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চুপি চুপি একটা কথা বলি রোমেল ভাই, আমার গদ্যভাব সব সময় বেশি ভালো লাগে। স্তবক চয়নে অবচেতনেই গদ্যভাবী স্তবকটাই উল্লেখ করলাম দেখলেন......... এরকম গদ্য কবিতাও মাঝে মাঝে চাই...............
_____________________
Give Her Freedom!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সোনালী অলস ঘুম ! দারুণ
facebook
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই,কবিতার প্রথম পংক্তি-'মহুয়ার বনে মেতেছে যখন ফাগুনের ঝোড়ো হাওয়া' ক'দিন ধরেই মাথায় ঘুরছে,বের করতে পারছি না।
কবিতায় একটা ঝিরিঝিরি বাতাসের আবেশী দোলা পেলাম।
দুপুরের রোদে হয়রান মোষ -অসম্ভব সুন্দর উপমা!
ভেবেছিলাম মন্তব্য করব না কিন্তু না করে পারলাম না!
ধন্যবাদ যুমার ভাই,
প্রেরণা পেলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন