প্রশান্ত মহাসাগরের সুনীল জলরাশি, যে দিকেই তাকানো যায় না কেন থৈ থৈ অতল নীল জল দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উথাল-পাথাল ঢেউ-এর মাঝেই গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির নেহাৎ পলকা দর্শন এক ভেলা বিপুল জলসীমানা চিরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আপন গন্তব্যে, ছয় জন দুঃসাহসী নাবিক এর সওয়ার, তাদের মধ্যমণি হয়ে আছেন প্রাতঃস্মরণীয় এক নরওয়েজিয়ান, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার পুরাণকথার হাতুড়ির আঘাতে বজ্রপাত ঘটানো দেবতা থরের নামে তার নাম থর হেয়ারডাল। ল্যাতিন আমেরিকার উপকূল ছেড়ে আসার পর ইতিমধ্যেই মহাসমুদ্রে অতিবাহিত হয়ে গেছে প্রায় ১০০ দিন, পাড়ি দেয়া হয়েছে ৭০০০ কিলোমিটার। অবশেষে দূর দিগন্তে আবছা অবয়বে মরীচিকার মত সবুজের ঝলকানি চোখে পড়ল, অর্থাৎ ডাঙ্গা! অবশেষে গন্তব্য।
সমস্ত পৃথিবীর মানুষের ধারণাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রাগৈতিহাসিক সরঞ্জাম দিয়ে বানানো গাছের ভেলা অবশেষে পাড়ি দিল এই গ্রহের সবচেয়ে বড় জলসীমানা! পাঠক নিশ্চয় অনেক আগেই বুঝে ফেলেছেন আলোচনা চলছে কন-টিকি অভিযান নিয়ে, ইনকাদের প্রাচীন সূর্যদেবতার নামে নাম রাখা নয়টি বালসা গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি এই ভেলা ১৯৪৭ সালে সৃষ্টি করে পুরনো ইতিহাসের উপর নব আঙ্গিকে আলোকপাত। প্রমাণ করে থর হেয়ারডালের ধারনা সম্ভব হতেও পারে যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলোতে মানব সম্প্রদায়ের আগমন ঘটে ছিল ল্যাতিন আমেরিকা থেকে, এমন কাঠের ভেলাতে চড়েই। সেই থেকে কেবলমাত্র ইতিহাস বা নৃতত্ত্বই নয় অ্যাডভেঞ্চার, দুর্গম অভিযান সবক্ষেত্রেই কন-টিকি এক অবাক করা নাম, আর বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এই ভেলাটিসহ থর হেয়ারডালের সুদীর্ঘ বর্ণবহুল জীবনের অধিকাংশ স্মৃতিময় অধ্যায়গুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে নরওয়ের রাজধানী অসলোর কন-টিকি জাদুঘরে। চলুন, আজ ঘুরে আসি সেই অসামান্য, এক ও অদ্বিতীয় সংগ্রহশালা থেকে।
কন-টিকি জাদুঘর অসলো শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরে সবুজে ছাওয়া উদ্যান আর সমুদ্রের সান্নিধ্যে অবস্থিত, মূল ভবনের সামনে এক ইস্টার দ্বীপের প্রতিমূর্তি। টিকিত কাউন্টারে ছাত্রদের জন্য বিশেষ ছাড় আছে। ভেতরে ঢুকেই প্রথমে চলে গেলাম কন-টিকি কামরায়, বিশাল হলঘরে রাখা সেই ভেলা আর উপরে নির্মিত ছাউনি, সেই সুবিখ্যাত দেবতার প্রতিমূর্তি আঁকা বিশাল পাল, সেই সাথে খানিকটা খোলা সমুদ্দুরের নোনা বাতাসের ঝাপটা আনার চেষ্টা করা হয়েছে ভেলার চারপাশে নানা সামুদ্রিক পাখির চমৎকার স্টাফ করা মৃতদেহ আর পাটাতনের কাছে হাঙ্গর দিয়ে।
ভাবতেই বুকে কাঁপন ওঠে কি ধরনের অতিমাত্রায় দুঃসাহসী হলে, প্রতিটি রক্তকণিকায় অ্যাডভেঞ্চারের কি পরিমাণ মাতন নাচলে এমন একরত্তি ভেলায় প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেবার কথা কল্পনা করা যায়।
চারপাশে ভেলা নির্মাণের সময়কার দুর্লভ আলোকচিত্র, একপাশে কিছু রঙ ঝলমলে পালক দেখে কৌতূহলী হয়ে এগোতেই লেখা দেখলাম, কন-টিকি অভিযানের একমাত্র মহিলা সঙ্গিনী টিয়াপাখি লরিটার শেষ স্মৃতিচিহ্ন, লরিটা মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের এক আকাশ ছোঁয়া ঢেউয়ের পাল্লায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভেলা থেকে।
ঘরের এককোণে বিশালাকার এক মোয়াই মূর্তি, ইস্টার দ্বীপের দানবাকৃতির মূর্তিগুলো পৃথিবীর মানুষের কাছে আজো এক বিস্ময় হয়ে আছে, প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের গ্রহের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলোর একটি হওয়া সত্বেও কি করে এমন উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠল সেখানে, কি করে সম্ভবপর হল এমন সব মূর্তি আগ্নেয়শিলা থেকে তৈরি করে দাড় করানো, তাও একটি দুটি নয়, শত শত বিশালাকার মূর্তি! হেয়ারডালই এখন পর্যন্ত এই বিষয়টির উপরে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন, লিখেছেন আকু-আকু নামের এক চিত্তাকর্ষক বই, উপাত্ত খুজেছেন তার ধারনার পক্ষে যে পর্যাপ্ত মানবশ্রম থাকলে সেই আদিবাসীদের দড়ি, কাঠ ও কলাকৌশল দিয়ে এমন মূর্তি তৈরি করে দাড় করানো সম্ভবপর ছিল। প্রমাণ হিসেবে নিজের বন্ধু ও ইস্টার দ্বীপের অধিবাসীদের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছিলেন তিরিশ ফুট উচু এক দানব মোয়াই মূর্তি, স্রেফ পাথরের সাহায্যে পাথর কেটে। সেই মূর্তিই আজ শোভা পাচ্ছে জগৎ আলো করে কন-টিকি জাদুঘরে।
জাদুঘরটির মূল আকর্ষণ দুটি বিশালাকার হলঘর, একটির বর্ণনাতো এতক্ষণ দিয়েই গেলাম, অন্যটিও কম রোমাঞ্চকর নয়, এতে ঠাই পেয়েছে হেয়ারডালের চিন্তাপ্রসূত আরেক অক্ষয় কীর্তি নলখাগড়ার তৈরি নৌকা ২য় রা। প্রাচীন মিশরের সাথে যে ল্যাতিন আমেরিকার নৌ পথে যোগাযোগ হয়েছিল তার প্রমাণ হিসেবে এই প্রায়-অসম্ভব পরিকল্পনা হাতে নেনে তিনি, নলখাগড়ার নৌকা দিয়ে কোনরকম আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই পাড়ি দেন আটলান্টিক মহাসাগর। ১ম রাটি প্রাকৃতিক প্রচণ্ডতার কাছে হার মানলেও প্রাচীন মিশরীয় সূর্যদেবতার নামে নামকরণ করা এই নৌকা ঠিকই পৌঁছে অভীষ্ট লক্ষ্যে।
রা- এর যাত্রী নির্বাচন ছিল কন-টিকির চেয়েও চমকপ্রদ, যেখানে প্রথম অভিযানে মাত্র একজন সুইডিশ বাদে সবাই ছিলেন নরওয়েজিয়ান, সেখানে রা-এর সাতজন যাত্রীর প্রত্যেকেই ছিলেন সাত ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি! আসলে হেয়ারডালের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষার লোকেরা যে দলবদ্ধ ভাবে এমন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি দুঃসাহসিক অভিযান সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারে তা প্রমাণ করা।
দুচোখ ভরা বিস্ময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করছি রা, মিশরীয় সূর্যদেবতার নামাঙ্কিত এমন নলখাগড়ার নৌকার বহর তরতর করে বয়ত অতীতের নীলনদে আর এখনো ল্যাতিন আমেরিকার টিটিকাকা হ্রদসহ অন্যান্য জায়গায় এমনতর জলযান ব্যবহার করতে দেখা যায় স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের। কি যোগাযোগ ছিল সেই কুয়াশাঢাকা অতীতে এই দুই মহাদেশের, যাদের স্থাপত্য, ধর্মীয় বিশ্বাস আর সংস্কৃতিতে ছিল নিবিড় মিল!
আর থাকার কথা ছিল টাইগ্রিসের, সুমহান সুমেরীয় সভ্যতার সাথে প্রাচীন সুমেরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার যোগাযোগ ছিল কিনা তা নিয়ে অতিমাত্রায় উৎসাহী হয়ে ওঠেন হেয়ারডাল, তারই ফসল ছিল ১৯৭৮ সালে ইরাকে স্থানীয় নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মিত ১৮ মিটার দীর্ঘ নলখাগড়ার এই নৌকা। ইরাক থেকে যাত্রা শুরু করে পারস্য উপসাগর দিয়ে ওমান হয়ে পাকিস্তানে সফল ভাবে পৌছায় টাইগ্রিস। এর পরে বিশাল যাত্রাপথে ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে লোহিত সাগরের কাছাকাছি আফ্রিকান দেশ জিবুতিতে পৌছায়, কিন্তু এর পরপরই সেই অঞ্চলের দেশগুলোতে বিদ্যমান যুদ্ধ পাল্টে দেয় যাত্রাপথ। জাতিসংঘের কাছে সেই অনুন্নত দেশগুলোতে অস্ত্রবিক্রির প্রতিবাদে অভিযাত্রীরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন সাধের টাইগ্রিস! এখন কেবলমাত্র কিছু ছবি, তথ্যচিত্র আর নমুনা দিয়ে আমাদের দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতে হয়।
কোথায় শুরু হয়ে ছিল সত্যান্বেষণের অজানা দুরূহ পথে থর হেয়ারডালের এই দীর্ঘ যাত্রা? সম্ভবত কৈশোরেই, ১৯৩৭ সালেই ২৩ বছর বয়সে তিনি স্ত্রীসহ তথাকথিত সভ্যতাকে বিদায় জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন সুদূর মারাক্কেস দ্বীপপুঞ্জের ফাতু-হিভা দ্বীপে। সেই নারকেল বীথি ছাওয়া সাদা বালির সৈকত আর নীল ল্যাগুনের মারাক্কেস দ্বীপপুঞ্জ যেখানকার তাহিতির পাপিতিতে রঙ ঝলমলে জীবনের খোজে ধূসর পাঁশুটে শহুরে জীবন ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী পল গগ্যাঁ, জীবনের নানা রঙে এঁকেছিলেন তার একের পর এক অমর পেইন্টিংগুলো। এখানে বছরখানেক নানা জায়গায় নারকেল পাতার কুটিরে থাকেন তারা, সেখানে আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের কাছে শোনেন তাদের প্রপিতামহ টিকির কথা যে এসেছিল সেই দ্বীপে অনেক দূরের পুবের দেশ থেকে, যা পরবর্তীতে গড়ে দেয় তার কন-টিকি তত্ত্বের বুনিয়াদ। জাদুঘরে সেই সময়ের সংগ্রহকৃত কিছু মনকাড়া নমুনা আছে, এই নিয়ে পরবর্তী জীবনে হেয়ারডাল লেখেন ফাতু-হিভা নামের এক বিশ্বখ্যাত বই।
আর আছে সুবিদিত গ্যালোপোগাস দ্বীপপুঞ্জের নানা ছবি ও নিদর্শন, যে গ্যালোপোগোস ভ্রমণের পরপরই সেখানকার ১৩টি দ্বীপে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির পাখি, কচ্ছপ ও অন্যান্য প্রাণী দেখে চালর্স ডারউইনের মনের মাঝে বিবর্তনবাদ দৃঢ় ভিত্তি গাঢ়ে, আলোকপাত ঘটে পৃথিবীতে জীবনের উম্মেষ ও বিকাশের অন্যতম সারবেত্তায়।
জাদুঘরের এক কোনায় কাচের আড়ালে অস্কার পুরস্কার দেখে খানিকটা চমকেই উঠলাম, পরে দেখি ১৯৫১ সালে সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে কন–টিকির প্রাপ্ত অস্কার ট্রফিটি সেখানে শোভা পাচ্ছে। উল্লেখ্য, হেয়ারডালের নানা অভিযান নিয়ে তৈরি একাধিক তথ্যচিত্র অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে।
এছাড়াও তিনি মূল্যবান কাজ করেছেন আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ, মধ্য এশিয়ায় আজারবাইজান, আন্দেজ পর্বতমালার হারিয়ে যাওয়া নানা সভ্যতা নিয়ে, আর গোটা কন-টিকি জাদুঘরেই আছে তার সমৃদ্ধ সংগ্রহ।
তার লেখা বই বাংলাসহ প্রায় একশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে আর বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি কপি। পরে এক দেয়াল জুড়ে দেখি থর হেয়ারডালের হাস্যোজ্জল ছবি আর তার সারা জীবনে প্রাপ্ত নানা খেতাব ও পুরস্কারের সমাহার। উপরে লেখা থর হেয়ারডাল- ওয়ার্ল্ড সিটিজেন। আসলেই এমন মানুষকে দেশ, কাল, সীমানার আঙ্গিকে বাঁধার চেষ্টা করাই বৃথা, বিশ্বনাগরিকই তার জন্য যথার্থ খেতাব।
একজন মানুষ যে সারাজীবনে কত কিছু করতে পারে এবং বিশ্বকে প্রচলিত ধারণা থেকে সরে নতুন তত্ত্বের আলোকে প্রভাবিত করতে পারে তার অন্যতম নিদর্শন থর হেয়ারডাল। মনে আছে ২০০২ সালে টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে এক পাখিশুমারি শেষে ফেরার পথে রেডিওতে তার মৃত্যুসংবাদ শুনে স্বজন হারানোর বেদনাই অনুভূত হয়েছিল বুকের গভীরে, মনে হয়েছিল খুব আপন কাউকে হারাল আমাদের গ্রহটা। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, অজানা অনেক কিছু একসাথে জানার একবুক অব্যক্ত আনন্দ নিয়ে রওনা হলাম পরের গন্তব্যে।
মন্তব্য
হেয়ারডাল ঈস্টারের মোয়াইগুলো নিয়ে কাজ করেছেন বটে, কিন্তু তিনিই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন, এমন ধারণা ভুল। তাছাড়া ঈস্টার নিয়ে হেয়ারডালের গবেষণা বেশ ভ্রান্ত। অবশ্য তার সময়ে খুব বেশি চুলচেরা বিশ্লেষণের সুযোগ উন্মোচিত হয়নি, তারপরও হেয়ারডালের মেথডোলজি নিয়ে পরবর্তী গবেষকদের মৃদু অভিযোগ আছে।
ঈস্টার নিয়ে হেয়ারডালের পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকরা প্রচুর কাজ করেছেন। মাল্টিডিসিপ্লিনারি গবেষণার কারণে ঈস্টারের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে অনেকাংশে। একটা সিরিজ লিখেছিলাম এ নিয়ে, পড়ে দেখতে পারেন সময় হলে।
ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য, চমৎকার লাগল। ইস্টার দ্বীপ নিয়ে আগ্রহ প্রাইমারী স্কুল থেকেই, সেই সুবাদে বই বা ডকু যেটাই হাতে পায় না কেন একনিমিষে শেষ করার তালে থাকি।
ইস্টার দ্বীপ নিয়ে শেষ যে রিপোর্টটি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায় এসেছে তাতে স্পষ্ট করে বলা আছে আজ পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষায় একজনও দ্বীপবাসী পাওয়া যায় নি যে ল্যাতিন আমেরিকা থেকে আসতে পারে, সবারই পলিনেশিয়ান ডিএনএ। আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হেয়ারডালের আফসোস ছিল তার তত্ত্ব আজ পর্যন্ত কোন বিশ্ব-বিদ্যালয় স্বীকৃত নয় ( এই লেখাটিতে আমি তার অ্যাডভেঞ্চার আর নতুন ধারণা নিয়ে আলোকপাতের চেষ্টা করেছি, তার তত্ত্ব ঠিক কি ভুল সেটা নিয়ে নয়)।
শ্রদ্ধেয় ডেভিড অ্যাটেনবোরো ইস্টার নিয়ে যে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তাতেও বেশ চমৎকার ভাবে দেখানো হয়েছে আসল ঘটনা কি হতে পারে, এবং এখন পর্যন্ত যতগুলো ডকু দেখেছি তার সবগুলোতেই কিন্তু ইস্টার নিয়ে সবচেয়ে ব্যাপক ভাবে কাজ করার কৃতিত্ব থরকে দেয়া হয়েছে, বিশেষ করে দ্বীপটি যে একসময় পাম জাতীয় গাছে ছাওয়া ছিল এটি আগে কেউ বুঝতে পারেন নি। একবার হাতে এসেছিল Art of Easter Island নামে থরের লেখা ৫৫০ পাতার এক দানব বই (A4 এর চেয়েও বড় পাতা) তার মত আলোকচিত্র সমৃদ্ধ বইও শুনেছি আর প্রকাশিত হয় নি।
শাহাদুজ্জামানের লেখা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া পড়ে বেশ ভাল লাগল, কিন্তু উনি এত এত ভূল তথ্য কোথায় পেলেন বুঝলাম না !! মাস দুয়েক আগে এক গবেষণায় দেখলাম ইস্টার দ্বীপ গাছ শূন্য হবার পেছনে মানুষের চেয়ে ইদুরদের বেশী দায়ী করা হচ্ছে, ইদুর সেই ফলের বীজ খেয়ে নেওয়াতেই নাকি আর গাছ হচ্ছিল না), দেখা যাক সামনের দিনগুলোতে রহস্যের পরিপূর্ণ সমাধান ঘটে কি না ! শুভেচ্ছা---
facebook
facebook
দারুণ একটা লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনিও কি আমাদের দেশীয় সাম্পান নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন শীঘ্রই কোথাও হেয়ারডালের মত? শুভ কামনা রইল।
আর বইলেন না একবার সুযোগ ছিল এক বজরায় করে বঙ্গোপসাগর থেকে আরব সাগর, লোহিত সাগর, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ফ্রান্সে যাবার, হয় নাই ! কবে যে আবার হবে !!
facebook
প্রশংসা করতে করতে ভাষা শেষ। তোমার ভ্রমণ জীবন অতিদীর্ঘ হোক।
কন-টিকি ভেলার গোটা ছবি কই? ওই মিয়া মুরগী দেখাইয়া ঝোল খাওয়াও ? আফসুস আস্ত ভেলা দেখতে পাইলাম না। ২ নম্বর ছবিটায় মনে হল আমাদের বাঁশের চাটাই আর হারিকেন দেখতে পাইলাম।
আর বলেন ক্যান দাদা, মামুর বুটা ফ্লিকার জায়গা দিলো না খো আরও ছবি আপলোডের, অন্তত আরও ১০টা ছবি দিতে চাচ্ছিলাম। তবে ঐ পরিসরে আস্ত ভেলা আনাও খুবই মুস্কিল !
facebook
অণু মামুর বুঠা ফ্লিকার ইউজ করলে কিন্তু একটা ঝামেলা হতে পারে বুসছো? তোমার বরাদ্দ যায়গা ভরাট হয়ে গেলে পরে তুমি যদি পুরান ছবি ডিলেট করে নতুন ছবি আপলোড করতে থাক তাহালে পুরান ছবিগুলা আর পুরান পোষ্টে দেখা যাবে না। আমি শিওর না কিন্তু এইটা আমার মনে হচ্ছে। তুমি কিন্তু অল্টারনেটিভ খুঁজে লিও আগেভাগে। পারলে ফটবাকেট ইউজ করে একটু বুলোতো কেমোন ঐটা।
অণু, আবারো আসা লাগলো। উপরের মন্তব্যে কিন্তু ফ্লিকাররে মামুর বুঠা কইছি, একটা কমা (,) বাদ পড়ে গেছে তোমার নামের পরে, এখন পরে পড়তে যেয়ে কেমন কেমন লাগতেছে। প্রথম লাইনটা এই ভাবে পড়তে হবেঃ অণু, (বিরতি) মামুর বুঠা ফ্লিকার ইউজ করলে......
ব্যাপার না, লিয়ে লিব মামুর বুটাকে গ্যারাজ করে।
facebook
লিয়ে লাও, লিয়া লাও
দারুন তো!! (গুড়)
অনেক অনেক ধন্যবাদ
facebook
ছাগল দেখে আবার ভাইবেন না আপনাকে ছাগু বলতেছি। ছাগলটা লেখায় খুশী হয়ে উপহার দিলাম। এইটারে কেটে কুটে মাটন বানায়ে খান।
উদাস ভাই আপনিতো পুরা ভয় খাওয়ায় দিছিলেন। তয় ছাগুর ইমোর সাথে সাম্প্রতিক একটা চরিত্র বিষয়োক লেখার লিঙ্ক দিয়া দিতেন, সেইরাম হইতো।
তারেক অণুর অত্যাচারে আর পারিনা। মনের দুঃখে আমি এইবার ভ্রমণ কাহিনী লিখা শুরু করছি। কাল পরশুর মধ্যেই শেষ করবো। তারেক অণুর ভাত এই মারলাম বলে!
ওয়াও...জব্বর, জব্বর । উদাস ভাই আপনার ভ্রমণ কাহিনীতে সিগ্নেচার খিচুড়ি রস থেকে আমাদের বঞ্চিত কইরেননা কিন্তু ।
নিজেরে উদাস উদাস লাগতাছে
facebook
মাটন , আহা ! ভেড়া হলেও মন্দ হয়ত না ! বাহ লিখে তো আজকাল ছাগল পর্যন্ত মিলছে, ভবিষ্যতে আরো কত কি--
facebook
হি + ং + সা
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।।
facebook
কনটিকি অভিযানের বর্ণনা সেই ইস্কুলে থাকতে কোন একটা ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম, রোমাঞ্চিত না হয়ে কি আর পারা যায়...
থর সাহেবের ফাতু-হিভার সুনাম অনেক শুনছি সম্প্রতি, এটা মনে হয় মাস্ট রিড।
লেখার বিষয়ে যথারীতি ঈর্ষা। আব্বা নরওয়ে ঘুরে এলেও ওদিকের ছায়া মাড়ান নি, ফলে এইসব ছবিটবিও দেখা হয়নি আর...
মাস্ট মাস্ট রিড। দেখি আমি আরেক কপি জোগাড় করতে পারলে মায়ের হাতে পাঠিয়ে দিব।
কন-টিকি, ইস এমন একটা অভিযানের যদি অংশ হওয়া যেত।
facebook
কত কিছু যে জানতে পারছি!
লিস্ট বানাচ্ছি মনে মনে একদিন আমিও রওনা দিব!
অবশ্যই ! দেরী করেন না বেশী!
facebook
দারুন রোমাঞ্চকর...
আকু আকু নামের বইটার কাথা মাথায় রাখলাম...
"রিভার গড" আর "ওয়ারলক" এর মাধ্যমে প্রাচীন মিশরীয় রা এর কথা জেনেছিলাম কিন্তু তখন ভিজুয়ালাইজ করেছি আর এই প্রথম চাক্ষুস করলাম...
আকু আকু, রা, কন টিকি, টাইগ্রিস, ফাতু হিভা - সব পড়ে ফেলেন। দারুণ সঞ্চয় হয়ে যাবে। আকু-আকুর কথা ফেলুদার এক গল্পতেও আছে।
facebook
আগের পোস্টের শেষভাগে লিখেছিলেন ফিরে এসে কথা হবে। ভেবেছিলাম বোধহয় কয়েকদিনের জন্য হারিয়ে গেলেন। না, মাঝে একটা দিন বোধহয় মার জন্য বরাদ্ধ রেখেছিলেন। যাহোক আগের পোস্টে 'ঐ' লিখে মন্তব্য জানিয়েছিলাম। প্রশংসা করার মত শব্দভান্ডার ফুরিয়ে গেছে। আর কত।
ভাল থাকবেন আর আমাদেরকে নতুন নতুন রঙে রাঙিয়ে দেবেন।
প্রৌঢ়ভাবনা
ধন্যবাদ। মুস্কিল হচ্ছে ফ্লিকারে ছবি দেবার জায়গা দ্রুত শেষ হয়ে যায়, ফলে লেখা দেওয়া সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ভালো থাকুন সবসময়।
facebook
চরম চরম! এই পোস্টের লেখা খুব ভাল লেগেছে অণু ভাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
, একটা সাজেশন দেন তো ভাই, আরেক লেখাতে একটা ভিডিও আপলোড করতে হবে কিন্তু 300 Mb এর বেশী, ফ্লিকারে মুস্কিল, কোনটাতে ভাল হবে ?
facebook
ভিডিও youtube এ আপ্লোড দিতে পারেন। তারপর পোস্টে এমবেড করে দিন ফ্লিকারের মতই। এক্ষেত্রে গুগল অ্যাকাউন্ট থাকলেই চলবে। অথবা Vimeo তেও [http://vimeo.com/] একইভাবে আপলোড করতে পারেন। ফ্লিকার তো মোটে এক মিনিট সময় দেয়।
page লোড হতে অনেক সময় নিচ্ছে। লগ-ইন না করার জন্য দুঃখিত।
অসাধারণ!!!
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
facebook
লেখা খুবই ভালো লেগেছে।
facebook
আপনের ঘোরাঘুরির বৃত্তান্ত পড়লে নিজের জীবনটারে বড় অর্থহীন মনে হয়।
এইটা একটা কথা কইলেন ভাই! বলবেন অর্থপূর্ণ মনে হয়, দেখতে , যাইতে ইচ্ছে করে!, ঠিক কইছি কিনা কন !
facebook
ফাটাফাটি পোষ্ট! এত দারুণ লিখেছ কেন? কোন কথা হবে না!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কই আর দারুণ লেখলাম, এক বসায় যা যা আসে ঠেসে ঠুসে লেখা। না রে ভাই, লেক নাকুরু না যাওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই।
facebook
এইটা দেয়া ছাড়া আর বলার কিছু নাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জেদ কমেছে তাহলে
facebook
চমৎকার। থর হেয়ারডালের ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড হয়েছিলাম বেশ ছোটবেলায়, সম্ভবত সেবা প্রকাশনীর বদৌলতে...।
আপনার ভ্রমন কাহিনীগুলি মনযোগ দিয়ে পড়া হয়, আরে দ্রোহীর মত ‘নিজের জীবনটারে বড় অর্থহীন মনে হয়’।
আমিও মনে হয় কোন রহস্য পত্রিকায় প্রথম পড়েছিলাম। আরে না, কিসের অর্থহীন বলেন রঙিন
facebook
আমাদের দেশের চাটাই হারিকেন বাঁশের বেড়া নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দিলো !
বুঝেন তাহলে ! আসলে চাইতে হয়, ব্যস, তাহলেই হয়!
facebook
হ্যাটস অফ এগেইন।
ধন্যবাদ।
facebook
আর ভাল্লাগে নাহ!! আপনার এক একটা পোস্ট পড়ি আর হতাশায় ডুবে যাই। এক জীবনে কত কিছুই না দেখার বাকি রয়ে গেছে!
আর,
প্রশংসা করতে করতেও মুখে ব্যথা হয়ে গেছে
সে কি কথা আপা, কোন চিন্তা কইরেন না, আমারও প্রায় সব বাকী। এক জীবনে যা হয় তাই চেষ্টা করে যায়, কি বলেন? কোন ক্ষতি তো নাই !
facebook
আপনার পোস্টগুলো পড়ে পড়ে রীতিমত ভূগোলে জ্ঞান ভুরি হতে চলেছে।
কিন্তু আপনাকে নিয়ে কী বলবো আর ভেবে পাচ্ছি না। আপনার পোস্টের সাথে সাথে মন্তব্যে নতুনভাবে কী বলা যায় সেইটা লিখে দিলে ভালো হতো।
অতীত
হুমম, লিখতে পারেন, ঐ ব্যাটা লিখা বাদ দিয়ে ঘুইর্যা বেড়া, জ্ঞান বাড়ব !
facebook
সবসময়
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ তাপস দা, আপনার উপন্যাসটির আরো কয়েক পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
facebook
তারেক অনু, আপনি চমৎকার লেখেন, ইতিহাস, ভুগোল কি সুন্দর একই সাথে আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে!!
অনেক ধন্যবাদ। শুধু একটু চিন্তায় আছি নিরেট তথ্য বেশী হয়ে যাচ্ছে কিনা লেখাতে!
facebook
অণু, তোমার পুরা ব্লগ এক ঘুরান দিলাম। খুব ভাল লাগলো। তয় ঐযে মেরু ভাল্লুক নিয়া লেখা, ঐটায় দুইটা ছবি মিসিং পাইলাম। তোমার ফ্লিকার একাউন্ট কি ওভারফ্লো করতেছে?
কি বুলছেন দাদা, জব্বর ব্যাপার ! আর বুলেন না, ঐটা আমার মিসটেকিটি! ফ্লিকারের জন্য তো লেখাই দিতে পারছিনা গত ২ দিন ধরে !
facebook
এইবারে ভাই আসেন আমি আর আপনি সাথে আরো কয়েকজন(কল্যাণ ভাই থাকতে পারেন) মিলে কনটিকি স্টাইলে একটা অভিযান চালাই পদ্মা থেকে যমুনা
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- সাতার জানা থাকতে হবে, না হলে সবসময় লাইফ জ্যাকেটে নিজেকে ঢুঁকিয়ে রাখতে হবে।
facebook
সাতার? ওয়াও। সেই যে ইস্কুলে থাকতে ক্লাস পলাইয়া রাবি'র পুকুরে আর পদ্মায় যাইয়া লাফালাফি...আহ কি সব দিন ছিল!!!!
বাংলাদেশের কিছু নদীতে শুনছি আন্ডার কারেন্ট আছে, তাই নাকি সাতার জেনেও সব সময় লাভ হয় না।
ধুর, শুনছিলাম তো প্রতি পাড়ার পুকুরে বুড়ি আর সিন্দুকও আছে ! আপনি এখন ভারত মহাসাগরে সাতার কেটে অভ্যাস করতে থাকেন।
facebook
আছি আছি আছি আছি......
লেখাটা আগেই পড়েছিলাম। স্বাস্থ্যগত কারনে মন্তব্য প্রকাশে এই দেরি। পোস্টবিষয়ে কিছু বলার নেই। একই কথা বারবার বলতে আর ভাল লাগেনা। ইদানিং নতুন শব্দ আবিষ্কারের চেষ্টায় আছি। দেখি যদি...
ভাল থাকবেন।
প্রৌড়ভাবনা
স্বাস্থ্যগত কারণে ! হুমম, আশা করি এখন সুস্থ আছেন এবং সুস্থই থাকবেন সবসময়। নতুন শব্দ এখানের চেয়ে বেশী ভাল লাগবে আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখাগুলোতে, তিরতির করে কাঁপা রঙ ঝলমলে শব্দাবলী।
facebook
ল্যাঙ্গুয়েজ = ++
স্ট্রাকচারাল ফর্ম = ++
পারস্পেকটিভ ম্যাচিং= ++
ইনিটিগ্রিটি =++
সাবজেক্ট অবজেক্ট রিলেশনস = +++
কনটিউনিটি = ++
পয়েন্ট অব কাভার = ++
পয়েন্ট অব ভিউ= ++
ট্রিটমেন্ট= +
ডাইমেনশনাল কম্পোজিশন= +
রিদম অব ডি-সিনক্রোনাইজেশন = +
-------------------------------------------------------------------
প্যারামিটার= সৈয়দ মুজতবা আলী = +++
কর্ণদা', আমার মনে হচ্ছে আপনার এইটা সেরা মন্তব্য এই পোষ্টে, অসাধারণ, , মন্তব্য
ও কর্ণজয় দা, ইডা কি লিখলেন গো !
ক্রিকেটের কাভার থেকে হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট, ইনট্রিগিটি থেকে ভিউ ! বুঝি না যে ! আবার শেষে দেখি গুরু মুজতবা আলীর নাম !!! বুঝাইয়া কন না ! পড়ে আপনের ছোট গল্পগুল্পের মত রহস্যময় ইঙ্গিতপূর্ণ মনে হচ্ছে !!
facebook
ব্যাখ্যার ভয়ে এইভাবে বললাম...
শেষে দেখি যেখানে বাঘের ভয়... সেখানে সন্ধ্যা হয়।
কিন্তু এখনতো আর সন্ধ্যা নয়... গভীর রাত।
তবে সত্যি সত্যি বলবো একদিন... শেষ পর্যন্ত থিসিস পেপার হয়ে গেলে কিন্তু আমার দোষ নাই...
আর সত্যি বলতে কি আপনার এইটা না বুঝলেও চলবে..
একদিন শিল্পী শাহাবুদ্দিন এর সাথে কথায় কথায় জিজ্ঞাস করেছিলাম - আপনি এতদিন ছবি আকলেন, একটা জীবন এর মধ্যে কাটিয়ে গেলেন, আচ্ছা বলেনতো আর্ট- শিল্প - ব্যাপারটা কি?
উনি মুখ দিয়ে এমন একটা শব্দ করলেন- যার মানে দাড়ায়- ফুঁ...
তারপর
আরে আমার কেন আঁকতে ভাল লাগে এইটা আমি কেমনে কমু...
কেন ছোটবেলায় না খেলতে গিয়া একটা ছবি দেখে কপি কইরা সারা বিকাল কাটাইয়া দিতাম ক্যামনে কমু...
আমার এইভাবে টান দিতে ভাল লাগে কেমনে কমু..
আমি এয রং-এর উপর আরেকটা রং চাপাইতে কেন ভাল লাগে কেমনে কমু
আমার ভাল লাগে আমি আকি...
আমার গরু পালতে ভাল লাগলে গরু পালতাম...
তোমার গরুর দুধে পুষ্টিগুণ আছে কতটুকু তা রাখালকে জিজ্ঞাস করলে হবে...
পুষ্টিবিজ্ঞানীরে জিগাও...
উক্ত আলোচনা হইতে.. আমরা যাহা বুঝিলাম... লেখকদের লিখিয়া যাওয়াই কৃ+তব্য
বাকি সব ফুঁ...
ফুঁ... ফুঁ...
facebook
এক জন্মে বহুজীবনের কর্ম
facebook
আগেই পড়েছিলাম এই লেখাটা। তখন অচল ছিলাম আর তোমাকে মেলা মেলা হিংসা করতাম। তাই হিংসায় জ্বলে পুড়ে আর এই লেখায় মন্তব্য করা হয় নি।
ফাতু-হিভা বই নিয়ে লেখাটা মাত্রই পড়ে এই লেখাতে ঢুকলাম। আবার নতুন করে পড়লাম। আবার ভাল লাগলো। থর হেয়ারডালের মত মানুষগুলোর জীবনই আসলে মানুষের জীবন। ঘরের কোণার মধ্যে পরে থেকে রুটিন মত প্রত্যেকদিন একভাবে বেঁচে লাভ কি? বাঁচতে হলে এভাবেই বাঁচা উচিৎ।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
facebook
নতুন মন্তব্য করুন