যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৯/২০১১ - ২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুই বান্ধবীর ফোনালাপ চলছে।
১ম বান্ধবী (পেশায় চিকিৎসক) ঃ জানিস, মনটা ভীষণ ভারি হয়ে আছে। আজ তিনজন রোগী পেলাম। তিনটাই রেপ কেস। তাও আবার নিজের স্বামীর দ্বারা।
২য় বান্ধবীঃ তাই নাকি? এটা কীভাবে সম্ভব?
১ম বান্ধবীঃ হুম। তিনজনেরই বিয়ের প্রথম রাতের ঘটনা এটা।
২য় বান্ধবীঃ মেয়েগুলো স্বীকার করল সে কথা?
১ম বান্ধবীঃ তা কি আর করে কেউ? কিছু বলতেই চায় না। নিজে ডাক্তার বলে বুঝতে পেরেছি। একজনের অবস্থা খুবই খারাপ। মেয়েটা গতকাল ওর প্রেমিকের সাথে পালিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করেছে। ওর কোন আত্নীয় স্বজন ওকে দেখতে আসে নি। এত কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা! আমি ওর দিকে তাকাতেই পারছি না। বললে বিশ্বাস করবি না, নরম্যাল ডেলিভারির প্রসূতি মায়েদের মত ওকে স্টিচ দিতে হয়েছে।
২য় বান্ধবীঃ বলিস কী! শয়তানটা কই?
১ম বান্ধবীঃ আছে, আশেপাশেই।

এই ফোনালাপটি কোন বানানো গল্প নয়। এটি সত্য এবং এমন ঘটনা রোজই কোথাও না কোথাও ঘটছে। কিন্তু সে কথা বেশির ভাগ নারীই স্বীকার করে না। তারা মনে করেন এটাই তাদের স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন। স্বামীর চাহিদা পূরণ করাটা তাদের কর্তব্য। একটি হাদিসেও আমরা পাই, ‘’স্বামী যখন স্ত্রীকে নিজের শয্যায় আহবান করে, তখন যদি সে সাড়া না দিয়ে অস্বীকার করে, তাহলে ফেরেশতাগণ সারা রাত তার উপর অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে।‘’ অর্থাৎ, স্বামী যে কোন সময় স্ত্রীর উপর দাবি খাটাতে পারবে। আর তাই নারীর গর্ভাবস্থা, প্রসবপরবর্তী সময়, পিরিয়ড, অসুস্থতা, স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা কোনকিছুকেই স্বামীরা পরোয়া করেন না। কিন্তু তাই কি হওয়া উচিত? বিয়ের পরে তো কারো মানবিক অধিকার পরিবর্তন হয়ে যায় না! বরং বিয়ে হোক বা না হোক, কারো অনিচ্ছায় যে যৌন সম্পর্ক তাই ধর্ষণ। আর বিয়ের পরের এই ধর্ষণকে আমাদের সমাজে বৈধ বলে আমরা মেনে নিয়েছি।

প্রতিনয়ত নির্যাতিত হবার পরেও নারীরা ঐ স্বামীর সাথেই ঘর-সংসার করে থাকেন। কেননা। তারা আর্থিকভাবে স্বামীর উপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন নারীরাও পারেন না অত্যাচারী স্বামীকে ত্যাগ করতে। এই পুরুষ শাসিত সমাজ, পরিবার কেউ তাকে সহজভাবে গ্রহণ করে না। যুগ যুগ ধরে নারী এভাবেই সহ্য করে অন্যায়কে সমর্থন দিয়ে আসছে। এর ফলে নির্যাতিত নারীদের মধ্যে বিষন্নতা, সিজোফ্রেনিয়া, টেনশন, আতঙ্কে থাকা, আত্নহত্যা প্রবনতা ইত্যাদি ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা যায়। স্বামীর প্রতি জমে থাকা রাগ, ক্ষোভ, প্রতিহিংসা সন্তানের উপর তারা অনেক সময় প্রকাশ করেন। যার ক্ষতিকর প্রভাব সন্তানদের উপরও পড়ে।

স্বামীরা স্ত্রীদের প্রতি এ ধরনের আচরণ করে থাকেন বিভিন্ন কারণে—
 নিজের শক্তিমত্তা ও ক্ষমতা প্রকাশের জন্য,
 স্ত্রীর সাথে বোঝাপড়ার অভাব থাকা,
 যৌন বিকৃতি থাকলে। অনেক সময় ঐ ব্যক্তির বাবা-মায়ের যৌন বিকৃতি থাকলেও এটা হতে পারে,
 নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চর্চা না থাকা,
 পর্নোগ্রাফে আসক্ত থাকলে,
 মাদকাসক্ত হলে,
 সন্দেহ প্রবনতা থাকলে,
 নিজের কোন মানসিক সমস্যা থেকে থাকলে ইত্যাদি।

আমাদের দেশের নারী-পুরুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন সুস্থ মানবিক সম্পর্ক গড়ে উঠে না। এছাড়াও শিক্ষাব্যবস্থায় সেক্স এডুকেশন নেই। রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার কারণে এ সম্পর্কে কোন আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ধারণা সবার থাকে। কোন রকম Pre marital counseling না দিয়েই আমরা ভেবে বসি, বিয়ে হয়ে গেলেই হয়ে গেল। আর তাই, প্রেমের বিয়েই হোক বা এরেঞ্জ, সব সময় ভোগান্তিটা সহ্য করতে হয় নারীকেই।

শুধু রাঁধা, চুল বাঁধা আর হিন্দি সিরিয়ালে নিজের অফুরন্ত শক্তিকে সীমাবদ্ধ না রেখে, নারীরা একদিন এসব ব্যাপারে নিশ্চয়ই নতুন করে ভাবতে শিখবে।

রাজকন্যা
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১


মন্তব্য

shafi.m এর ছবি

সে সব স্বামিরে ধিক্কার। লেখাতে "হাদিসের" কক্টেল অংশটা বাদ দিয়ে চলুক শুধু নারীই নয়, পুরুষরাও নতুন করে বুঝতে শিখুক।

শাফি।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক ছড়িয়ে পড়ুক সচেতনতা সবখানে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ধন্যবাদ।

রোকসানা রশীদ এর ছবি

অনেক আগের একটা কথা মনে পড়ে গেলো আপনার লেখাটা পড়ে। তখন আমরা কলেজে পড়ি। ফ্রেন্ডরা মিলে চুল কাটতে গেসি পার্লারে কি জানি একটা অনুষ্ঠানের আগে। তখন পার্লারে দেখসিলাম আমাদেরই বয়সী একটা মেয়ে। বৌ সাজতে আসছে...
ফর্সা ধবধবে মেয়েটা। ছোট মোট। দেখে বোঝা যাচ্ছিলো গ্রাম থেকে বিয়ে করে আনা হইসে, সম্ভবত তার গায়ের রঙ এর কারনে পয়সাওয়ালা ফ্যামিলিতে বিয়ে হইসে। কারন ঐ মেয়ের আসে পাশে যেই মহিলাগুলা ছিলো, যারা তাকে পার্লারে নিয়ে আসছে, তাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো উচ্চবিত্ত পরিবার, আর পার্লারটাও অনেক এক্সপেন্সিভ ছিলো।
ঐ মেয়েটার দিকে আমাদের সবার চোখ গেসিলো কারন মেয়েটার ফর্সা মুখের এক পাশটা নীল হয়ে ছিলো। ঠোঁটের এক পাশ বেগুনী। চোখের নিচে কালি... মেয়েটা জড়োসরো হয়ে বসে ছিলো। হঠাৎই মুখে গ্যাঁজলা উঠে সেন্সলেস হয়ে যায়। তার মাথার আঁচল খসে যায়। তখন আমি তার খুব কাছে দাঁড়ায় ছিলাম বলে দেখতে পাই, তার গলায় অসংখ্য আঁচড়-কামড়ের দাগ!!!
তখন বুঝি নাই সমস্যাটা কি? অনেক পরে বুঝতে পারসি, ঐ মেয়ের সেন্সলেস হওয়াটা 'রেইপ ট্রমা সিন্ড্রোম' এর অংশ ছিলো!!!
ঐ বয়সে স্বামী কর্তৃক ধর্ষনের সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিলো না ঐ ঘটনা চোখের সামনে দেখার আগে। মনে আছে সেইদিন অনেক কাঁনসিলাম একটা অপরিচিত মেয়ের জন্য। আর ফ্রেন্ডরা মিলে সিদ্ধান্ত নিসিলাম কখনো এরেঞ্জড ম্যারেজ করবো না!!
কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ে তো মনে হইলো কাওকেই ভরসা করা উচিৎ না!!
সম্ভব হলে এই টপিকে আরো বিস্তৃত এবং তথ্যসম্বৃদ্ধ লেখা দেন, মানুষের সামনে বিষয়টা আনা জরুরী!!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার নিজের দেখা একটি ঘটনা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার কাছেও অনেকে তাদের নিজেদের জীবনের কথা বলেন। ধীরে ধীরে সেগুলো না হয় তুলে ধরব।

guest_writer এর ছবি

তাইলে কইতাসেন, প্রেমের বিয়াতে জামাই এরকম করবো না? হেহেহেহেহেহেহে, মজা পেলুম।

-মেফিস্টো

উচ্ছলা এর ছবি

'ব্যাটাগিরী'তে বাঙালী পুরুষগুলো একেকটা phd করা! শ্রদ্ধা-সমঝোতা-সহমর্মীতা ইত্যাদি শব্দাবলি বাঙালী 'স্বামী'দের ডিকশনারিতে নেই, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই।

দোষ স্ত্রীদেরও আছে। সমস্যার ভদ্রচিত সমাধান না করে এরা কথায় কথায় কোমর বেঁধে অশ্লীলভাবে ঝগড়া করে স্বামীর সাথে আর শাড়ি-গয়নার অযাচিত ডিমান্ড করে।

আপনার পোস্ট পড়ে বি-রা-ট এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো মন খারাপ

guesr_writer rajkonya এর ছবি

দোষ স্ত্রীদেরও আছে। সমস্যার ভদ্রচিত সমাধান না করে এরা কথায় কথায় কোমর বেঁধে অশ্লীলভাবে ঝগড়া করে স্বামীর সাথে আর শাড়ি-গয়নার অযাচিত ডিমান্ড করে।

চলুক

সহমত। এভাবে ধর্ষিত হবার পরে স্ত্রীদের মধ্যে একধরনের আঘাত পায়। বিষন্নতায় ভোগে। এর ফলে অতিরিক্ত শপিং, খাওয়া এইসব করে নিজেকে সে সান্ত্বনা দিয়ে রাখতে চায়। সুখেই আছে, এমন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে সংসার করে যায়।

বৃষ্টির রঙ এর ছবি

সহমত।

পাঠকali এর ছবি

এই জন্য কারও বিয়ে করা উচিত না, যখন যাকে ভাল লাগবে তার সাথে থাকবে, কারও ওইদিন প্রবলেম থাকলে কোন প্রবলেম নাই আমি অন্য কার সাথে যাব। এই জন্য ভাই কারও পার্মানেন্ট সম্পর্কে যাওয়া উচিত না।হাজার রকমের সমস্যা পার্মানেন্ট সম্পর্কে, শ্বশুর শাশুড়ি আর কত ফ্যামিলি অকেসন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হা হা হা, হাসালেন।
যে সম্পর্ক টিকবে না, সেটা জোর করে টেকানো উচিতও নয়। একেক পর এক সম্পর্ক পরিবর্তনও তাই বলে সমাধান নয়। এই জন্য প্রয়োজন হবু স্বামী-স্ত্রীর দুজনেরই pre-marital counseling.

তিথীডোর এর ছবি

যে সম্পর্ক টিকবে না, সেটা জোর করে টেকানো উচিতও নয়। একেক পর এক সম্পর্ক পরিবর্তনও তাই বলে সমাধান নয়।

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দাদাভাই এর ছবি

চলুক - এই ঘটনা খুবই কমন। সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

জ্বী দাদাভাই, খুবই কমন ঘটনা। কিন্তু এটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। নিজেই এমন অভিজ্ঞতার শিকার, এমন একজনই আমাকে একদিন বলেছিলেন, ''আমি তো সবার সামনে দলিল করে সম্মত দিয়ে দিয়েছি। তাই আমার স্বামী যখন আমাকে রেপ করবে সেটা খবরের কাগজে আসবে না। খবরে আসবে, যদি সে অন্য কোন মেয়েকে রেপ করে তখন।''

সজল এর ছবি

চলুক

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তিথীডোর এর ছবি

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নজমুল আলবাব এর ছবি

চমৎকার পোস্ট।

এই বিষয়টা নিয়ে আরও বিষদে লিখুন। এর থেকে উত্তরণের পথ বের করার চেষ্টা করা যায়। মন্তব্যের ঘরে কিংবা পরে আরেকটা পোস্টে সেটা আসতে পারে।

আরেকটা বিষয়, নারীর এমন নিগৃহীত হবার ঘটনা আমাদের এখানেই অথবা অনুন্নত বিশ্বেই কি কেবল ঘটছে? উন্নত বা সমঅধিকারওয়ালা দেশের অবস্থাটা কি? এ বিষয়ে সম্ভব হলে কেউ আলোচনা করুন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ধন্যবাদ।

আমাদের দেশে এমন ঘটনা নতুন নয়। উন্নত বিশ্বের নারীদের সাথে কথা বলা সুযোগ তো হয় নি আমার কখনো। তাই জানতে পারিনি। marital rape বা spouse rape লিখে সার্চ দিলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। http://en.wikipedia.org/wiki/Marital_rape

তবে আমাদের দেশে যে ঘটছে, এটা তো নিশ্চিত। সমস্যা যেহেতু চিহ্নিত করা গেছে, এর সমাধানও হবে একদিন।

রুমঝুম ১ এর ছবি

উন্নত বিশ্বের নারীদের নিগ্রহতার ব্যাপারে জানতে এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন। পশ্চিমা দেশগুলোতে teen abuse আরো ভয়াবহ আকারে আছে যার ভিক্টিম ছেলে মেয়ে উভয়ই।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমাদের দেশেই বা কম কী?

সুমন তুরহান এর ছবি

পশ্চিমে যৌন নিপীড়ন রিপোর্ট করা হয়, একবার রিপোর্ট হলে সেটির বিচার হয়।

আমাদের দেশে কয়টি যৌন নিপীড়ন রিপোর্ট করা হয়? কয়টির বিচার হয়? বাংলাদেশের আলে-বিলে-পাটক্ষেতে যতো ধর্ষণ হয় সেগুলোর কোনো পরিসংখ্যান নেই। পরিসংখ্যান নেই বলেই পশ্চিমের সাথে তুলনা টানা ভুল। 'পশ্চিমে যৌন নিপীড়ন আরো ভয়াবহ আকারে আছে' - এই ধারণাও ভুল।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

হাসান মোরশেদ এর ছবি

চলুক

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পিয়াল এর ছবি

পড়ে কষ্ট পেলাম এবং পুরুষ হিসাবে লজ্জিত।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার মত পুরুষদের লজ্জা দেবার জন্য এই লেখা লেখা হয়নি। তবুও আপনি লজ্জা পেলেন। যাদের লজ্জা পাওয়া উচিত, তারা কি পাবে?

যুমার এর ছবি

চলুক

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাসনীম এর ছবি

এই সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অপছন্দনীয় এর ছবি

বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ রাজকন্যা। এই ঘটনাটা অতিমাত্রায় প্রচলিত ব্যাপার এবং নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী যতদিন না তাঁদেরকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শেখাবে ততদিন এই জিনিস চলবেই।

তবে যদি হাদিস বা এ ধরনের কোন ব্যাপারের উল্লেখ করেন, তাহলে সাথে রেফারেন্স দিয়ে দেয়াটা জরুরী। সেটা না করলে কিছু অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কবে যে লোকে আমাকে রেফারেন্স হিসেবে দেবে, সেই দিনের আশায় আছি। চাল্লু

অপছন্দনীয় এর ছবি

নেটে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন হাসি

ভোর এর ছবি

সুন্দর পোষ্ট। আমি মানবিক গুনাবলী বাড়ানোর উপর বেশী জোর দিতে চাই। এরপর সেক্স এডুকেসন।

আপনার উল্লেখিত হাদিসটির সাথে ৫৩ নং মন্তব্যে দেয়া হাদিসটিও উল্লেখ করতে পারেন। যেহেতু আপনি দ্বিমত পোষন করেননি এবং সম্ভবত নির্দিষ্ট ধর্ম বিশ্বাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো এই লেখার উদ্দেশ্য নয়।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমার এই লেখাটি ছিল ম্যারিটাল রেপ নিয়ে। ধর্মকে ব্যবহার করে স্বামীরা কিভাবে রেপ করে থাকেন সেটা বলার জন্যই আমি ঐ হাদিসটি উল্লেখ করেছি। এছাড়াও এই হাদিসটি স্বামীদেরকে রেপ করা কিভাবে সহজ করে দিয়েছে, সেকথাও আমি পরের মন্তব্যে বলার চেষ্টা করেছি। স্বামী স্ত্রী সংক্রান্ত আরো অনেক হাদিসই তো আছে। অপ্রাসংগিক ভাবে শুধু শুধু ৫৩ নং মন্তব্যে করা হাদিসটিই বা এই লেখায় উল্লেখ করার কী আছে? আমার লেখা পড়ে যদি কারো অই হাদিসের (বা অন্য হাদিসের) কথা মনে হয়, তবে তিনি বলবেন। এবং বলেছেনও।

সম্ভবত নির্দিষ্ট ধর্ম বিশ্বাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো এই লেখার উদ্দেশ্য নয়।

আপনার অনুমান সঠিক।

ভোর এর ছবি

দেখুন, হাদিসটি এসেছে টেলিফোনে কথোপকথোনের প্রসংগ শেষ হবার পরেই। এতে মনে হয় যে, যারা নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারী, শুধুমাত্র তারাই স্ত্রীকে ধর্ষণ করার দায়ে অভিযুক্ত, অন্যরা নয় (থাকলেও আমলে নেয়ার মত নয়)। এতে সামগ্রিকভাবে পোস্টের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।

পুতুল এর ছবি

বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য এর থেকে উত্তরণের কিছু উপায় সম্ভব হলে উপস্থাপন করুন।
যে ঘটনায় মেয়েটা ছেলাটার হাতধরে পালিয়ে এসে ধর্ষিতা হল, সেটা খুব আসংকাজনক। সেটেল বিবাহে আগে থেকে চেনা-জানার সুযোগ নেই বলে সেখানে ধর্ষণের মতো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু প্রেম করে যে মেয়েটি পালিয়ে এলো, তার বেলাও কেন এমনটি ঘটল! তাদের মধ্যেতো কিছু সমঝোতার আশা করাই যায়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটা এমন যে এর থেকে রাতারাতি উত্তরণ সম্ভব নয়। এর জন্য যথেষ্ট সময় দরকার। নারীরা নিজেরাও জানে না, যে সে ধর্ষিত হচ্ছে। যদিও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সে মুক্ত নয়। নারীদের এ ব্যাপারে সচেতন করা উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থায় সেক্স এডুকেশনের ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীরা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব নিয়ে বড় হতে পারবে। নর-নারীর মধ্যে মানবিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা, জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস, পারিবারিক কাঠামো সব কিছুর দিকে লক্ষ্য রেখেই এই বিষয়টি কারিকুলামে দিতে হবে।

বিয়ের আগে (প্রয়োজন হলে পরেও) কাউন্সেলিং নিতে পারেন স্বামী-স্ত্রী।

স্বামীরা কেন এভাবে স্ত্রীদের সাথে ব্যবহার করেন তার কয়েকটা কারণ আমি উল্লেখ করেছি। সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানীরা আরো কারণ বলতে পারবেন হয়ত। যে কোন সমস্যার কারণের মধ্যেই তার সমাধান লুকিয়ে থাকে। সমস্যার কারণ চিহ্নিত করা গেলে তার সুন্দর সমাধানও বের হয়ে আসবে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এখানে যে প্রেমিকটির উদাহরণ দেওয়া হলো, সে তো জানে মেয়েটি অসহায়। তার আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। মেয়েটির পরিবার তাকে মেনে নাও নিতে পারে। মেয়েটির দূর্বলতাই তাকে তার ক্ষমতা প্রদর্শণের সুযোগ দিয়েছে। আবার হয়ত ছেলেটির এ ব্যাপারে সঠিক কোন জ্ঞান নেই, সেটাও হতে পারে। কমন কিছু কারণ অবশ্য আমি বলার চেষ্টা করেছি।

বৃষ্টির রঙ এর ছবি

সেটেল বিবাহে আগে থেকে চেনা-জানার সুযোগ নেই বলে সেখানে ধর্ষণের মতো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতেই পারে।

......এটা কেমনতর কথা?? আপনি কি এই ব্যাপারটা কে পশ্রয় দিলেন? নাকি তথাকথিত সমাজ প্রচলিত কু আচরণ মেনে নিলেন?

বরং চেনা জানা কম থাকে বলে ই তো এমন টা হবার কথা নয়।

সমস্যা টা মানসিকতার। প্রেমিকের সাথে হোক বা সেটেল বিয়ে...পুরুষ যদি বিয়ে ব্যাপারটাকে সম্মান না করে...যৌনকামনা তৃপ্তির উদ্দ্যেশে বিয়ে করে...তবেই তার পক্ষে এমন আচরণ করা সম্ভব। এরা নরপশু।

কাবেরী এর ছবি

এই সমস্যা থেকে আদৌ কি মুক্তির কোন পথ আমাদের আছে ?????

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সমস্যা চিহ্নিত যখন করা সম্ভব হয়েছে, এর সমাধানও সমস্যার মধ্যেই আছে। কিছু সমাধান তাৎক্ষনিক। কিছু দীর্ঘমেয়াদী।

সানজিদা এর ছবি

সমাধান নিয়ে আপনার একটি পোষ্ট আশা করছি।

যে ঘটনাগুলো আপনার সামনে এসেছে সেগুলো নিয়ে একটা সিরিজ লিখে ফেলুন। সেটা মনে হয় অনেকেরই উপকার করবে। অনেকেই আমরা নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন না।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সমাধান পেতে হলে আগে তাকাতে হবে সমস্যার কারণগুলো দিকে। নিশ্চয়ই দেখেছেন সেগুলো কী ছিল। য়ামি তো সমাজবিজ্ঞানী নই, দার্শনিক নই, মনোবিজ্ঞানী নই। আমার সমাধান ফলপ্রসু কতখানি হবে জানি না। তবু আপনি যখন আমাকে সাহস দিলেন, সেই কারণেই দু-একটা বলছি। আমার দৃষ্টিতে মনে হয়

  •  নারীকে অসহায় ও দূর্বল ভেবে পুরুষদের নিজের শক্তিমত্তা ও ক্ষমতা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।পরিবারে নারীকে সম সধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর সমাধান আসবে।

    নিজেদের সাথে বোঝাপড়াটা ঠিক করে নিলে। অনেক স্বামী বুঝতেই পারে না, স্ত্রী ''হ্যাঁ'' বলল না ''না'' বলল। না'কে হ্যাঁ ভেবে বসার একটা প্রবনতা পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়। আবার অনেক নারীও নিজের কথাটা সতিকভাবে প্রকাশ করতে পারেন না।নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ঠিক থাকলে এটা হবে না।

    যৌন বিকৃতি কেন হয়, কী জন্য সে সব কারণ দূর করা। পরিবারে সন্তানেরা দেখে বাবা মায়ের সাথে কেমন আচরণ করছে। সেগুলো দেখেও ওরা শেখে।

    নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা। কলেজে বায়োলজি ক্লাসে মিস এমি বলেছিলেন, কিভাবে প্রাকৃতিকভাবেই জম্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে কথা। এই আধুনিক যুগে হাতের কাছে বার্থ কন্ট্রোলের সব কিছু পেয়ে কে বসে থাকবে আরো ১০ দিন? এই ভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি নিজের উপর থেকে। নিজেকে চিনছি না, জানছি না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।

    পর্নোগ্রাফি, মাদকাসক্ত, মানসিক সমস্যা এগুলোর সমাধান কি ভাই আমাকেই দিয়ে দিতে হবে?

    সন্দেহ প্রবনতা থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসতে হবে, সেটাও তো আমরা সবাই জানি বলেই মনে হয়।

মাহবুব  এর ছবি

পিয়াল পুরুষ হিসেবে লজ্জিত হলে ও এবং কষ্ট পেলেও এর দায় কিন্তু পুরা সমাজের ।

ধর্মের নামে , সামাজিক রীতি নীতির নামে বিপরীত লিংগের সাথে মেলা মেশা একটা ট্যাবু (যদিও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন ) ,আপনার শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রজননস্বাস্থ /কিংবা sexual education নেই , এ বিষয়ে আলোচনা ও ট্যাবু (কিন্তু অশ্লিল রসিকতা আবার চালু) সে সমাজ আবার আশা করে আপনি সারা জীবন virgin থাকবেন sex এব ক খ ও জানবেন না কিন্তু বিবাহিত জীবন দিব্যি কাটাবেন ।সেখানে এরকম হওয়া ই স্বাভাবিক এবং যখন তার সাথে ব্যাটাগিরী একত্র হয় তখন অবস্থা বুঝে নেন

আর যে টুকু ধারনা বা কুধারনা গড়ে উঠে ছেলেদের তার উৎস চটি বা অশ্লিল কিছূ । এ সমাজ এখন ও আবুল হাসনাত আর রসময়... এর পার্থক্য বুঝে না ।বরং আবুল হাসনাত এর চেয়ে পরের জন সহজ লভ্য ।

Romance and Pleasure : Understanding the Sexual Conduct of Young People in Dhaka in the Era of HIV and AIDS Lazeena Muna, The University Press, 2005

বইতে লেখিকা দেখিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সি ঢাকাবাসি একটি মেয়ে জানত না যে বিয়ে ছাড়া বাচ্চা হয় না ।একাধিক শারিরীক relation এর পরও । প্রথমে চাপা মনে হয়েছিল , পরে মনে হল না হতে পারে

সুতরাং , সমাজ পরিবার এবং সরকার কে নতুন করে ভাবতে হবে যখন spice girls থেকে Mollika দের অবাধ প্রবেশাধিকার দিচ্ছি ড্রয়িং রুমে তখন sexual education কে না দেবার কারন কি ?

(লাইন থেকে বেলাইনে চলে গেলাম কি?)

guesr_writer rajkonya এর ছবি

একদম যথার্থ বলেছেন মাহবুব ভাই।

তানিম এহসান এর ছবি

সরকার সেক্সুয়াল এডুকেশন এর কোন এন্তেজাম করছেনা যখন তখন পরিবারে বাবা-মা কতটুকু এই নিয়ে চিন্তা করছেন সেটাও বোঝা দরকার। মুনা আপা যখন এই কাজটা করেন, করেছিলেন এইচআইভি/এইডস এর আলোকে, সমসাময়িক সময়ে আমরাও কাজ করতে যেয়ে ৮ বছরের একটা ছেলেশিশুকে পেয়েছিলাম সিফিলিস আক্রান্ত, ভাবা যায়??? মুখে ফেনা তুলে ধর্মের ধোয়া তুলে যে বিষয়কে আমরা দূরে সরিয়ে রাখি তাই খুব করে খুঁজে নিতে ইচ্ছে করে একটা বয়সে। শৈশবে কারো না কারো হাত ধরে কিন্তু আমাদের সেক্সুয়াল বিষয়গুলো নিয়ে কৌতুহল মেটে, এম্নিতেই ঘটে বিষয়টা। এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভুল শিক্ষা পাওয়া হয়।

আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন, ড্রয়িংরুমে কাদের প্রবেশাধিকার দেয়া হচ্ছে; পাশাপাশি সেই প্রবেশাধিকার একটা কিশোর কিংবা কিশোরীর জন্য কতদূর মনো-সামাজিক দোটানা কিংবা ভাবনা তৈরী করছে তার খেয়াল রাখার দায়ীত্ব কিন্তু পরিবারের। বাংলাদেশে টেক্সটবুকে এইচআইভি বিষয়ক তথ্য অন্তুর্ভূক্ত করা হয়েছে একটা বয়সসীমার জন্য কিন্তু এই দিয়ে হবেনা; এই দেশে পলিসি ফলিসি নিয়ে যতদূর বাদ্য বাজানো হয় তার ছিটেফোটারও প্রায়োগিক পর্যায়ে যদি অনুবাদ হতো তাহলেতো হতোই!

সচলে এই লেখাটার কারনে যদি কোন পরিবার তার শিশুদের সেক্সুয়াল এডুকেশন নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবে এবং প্রয়োজনীয় কাজটুকু করে তাতেই মনে করি অনেকদূর পাওয়া হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যিনি এই কাজটা করবেন তিনি নিজে করেই দায়ীত্বের শেষ করবেন নাকি তার এই অনুধাবন এর বিষয়টা তার মত আরো কারো সাথে শেয়ার করে দায়ীত্বের পরিসর বড় করে তুলবেন? একা একা কোনদিন কোন কিছু বদলে দেয়া যায়না পুরোপুরি!

কিন্তু তাতে করেও রক্তের ভেতর বয়ে চলা পুরুষ চরিত্রের সবল “পৌরুষ” নামে যে গ্রন্থনা, তা দূর হবে কি! বাইরের আর ভেতরের পুরুষ চরিত্র চর্চিত অভিনয়ে বাধা আর নারীর (পোস্টে এবং মন্তব্যে কয়েকটি উদাহরন এসেছে) সব ব্যাথা বাধা নিরবতায় আর চেপে রাখা ঘৃনায়!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম এহসান ভাইয়া।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

চলুক

রিশাদ_ময়ূখ এর ছবি

এই সচেতনতা ছড়াতেই হবে সবখানে

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ঝুমন এর ছবি

আমরা আমাদের পৌরুষে একটুও আঘাত লাগতে দেইনা। পশুসত্ত্বাকে নিয়েই আমাদের যত গর্ব। কবে মানুষ হবে এই নষ্ট মানুষেরা?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমাদের দেশের নারীরা কি আসলেই নারী? নারীই যদি হত, তবে তো নারীর পক্ষে কথা বলত। পশুত্বের পক্ষে নয়। অবশ্য নারীদের সম্পূরণ দোষ দেওয়া যায় না। পুরুষতন্ত্রের সাফাই গেয়ে যদি একটু ভাল খেয়ে পরে থাকা যায়, সেটা মন্দ কী?পুরুষ যদি তাকে খেতে না দেয়, তবে সে কই যাবে?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমাদের দেশের নারীরা কি আসলেই নারী? নারীই যদি হত, তবে তো নারীর পক্ষে কথা বলত। পশুত্বের পক্ষে নয়। অবশ্য নারীদের সম্পূরণ দোষ দেওয়া যায় না। পুরুষতন্ত্রের সাফাই গেয়ে যদি একটু ভাল খেয়ে পরে থাকা যায়, সেটা মন্দ কী?পুরুষ যদি তাকে খেতে না দেয়, তবে সে কই যাবে?

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পাঠক এর ছবি

হাদীসঃ

তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

পাঠক ভাই, আপনার দেওয়া হাদীসটিও ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের দেশের কয়জন পুরুষ এই হাদিস অনুসরণ করেন, আর কয়জন আমার পোস্টে উল্লেখ করা হাদিসটি অনুসরণ করেন, তা কি ভেবে দেখেছেন?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এই হাদিস অনুযায়ী, কোন নারী যদি প্রতিনিয়ত ্নির্যাতিত হয়েও মনে করেন, তিনি দুইবেলা খেয়ে পরে এই স্বামীর কাছে ভাল আছেন, তার স্বামী উত্তম। তাহলে কিন্তু আপনার আমার কিছু বলার নেই।

সুমন তুরহান এর ছবি

এই 'ভালো' হাদিসটি কি আরো অসংখ্য নারীবিরোধী হাদিসের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না? আমার মনে হয় করে। তাহলে বিশ্বাসীরা এই যে বেছে বেছে 'খারাপ'গুলো বাদ দিয়ে শুধু 'ভালো'গুলো তুলে ধরেন, এই ভালো-খারাপ তাঁরা বিচার করেন কিসের ভিত্তিতে?

আধুনিক এবং বিবর্তিত নৈতিকতার কারণে বর্তমান যুগে বিশ্বাসীরা 'পিক এন্ড চুজ' করার ক্ষমতা অর্জন করেছেন এবং পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিচ্ছেন কোরান-হাদিস-বেদ-বাইবেলের অনেক কিছুই বাতিল এবং সেকেলে। এটা সৎভাবে স্বীকার করতে দ্বিধা কোথায়?

পুরুষতন্ত্র সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি হচ্ছে প্রথাগত ধর্ম, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

ASM-Fakhrul-Islam এর ছবি

নারী-পুরুষ কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হওয়া উচিত। নারীদের 'সব পুরুষ এক, সব পুরুষ খারাপ' টাইপের ডায়ালগবাজি বন্ধ করা উচিত। পাশাপাশি পুরুষদের উচিত নারীদের দুর্বলতার সুযোগ না নেয়া। তবে কথা বলার ক্ষেত্রে আমরা সবাই বিশেষজ্ঞ। লম্বা, চওড়া বুলি দিতে তো আর পয়সা খরচ হয় না, আবার কেউ পরীক্ষাও করতে আসে না যে সে যা বলছে ব্যক্তিগত জীবনে তার চর্চা কতটুকু করছে। তাই কমেন্ট পোস্ট দিয়ে মহানুভব হওয়ার চেয়ে চর্চা করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বোধহয়। নারীদের উচিত পুরুষ হওয়ার পায়তারা না করা, আর পুরুষদের উচিত নারীদের পুরুষ হতে বাধ্য না করা।

সজল এর ছবি

১। আপনার গায়ে লাগলো কেন?
২। যে নির্যাতন ঘটে আসছে অনেক দিন ধরে, সেটা বললে কাঁদা ছোড়াছুড়ি হবে কেন? নাকি এই বিষয়গুলো চেপে যাওয়া দরকার?
৩। আপনি যদিও কমেন্ট করেছেন, তবু আপনাকে বাকিদের চেয়ে আলাদা ধরলাম। তো আপনি বাস্তব জীবনে কী করেছেন এগুলো আটকানোর জন্য?
৪। নির্যাতিত হতে অস্বীকার করা মানেই কি নারীদের পুরুষ হয়ে উঠা? এই পুরুষ হয়ে উঠা আটকাতে আমাদের পুরুষদের করণীয় কী? নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়া?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

guesr_writer rajkonya এর ছবি

চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

নারীদের উচিত পুরুষ হওয়ার পায়তারা না করা, আর পুরুষদের উচিত নারীদের পুরুষ হতে বাধ্য না করা।

এই লাইনটা একদমই বুঝতে পারলামনা অবোধ মনে, একটু ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ! চর্চার ক্ষেত্রে যার যার চর্চা তার তার মত হোক, সলিডারিটি প্রকাশ হোক মুক্তির হাতিয়ার!!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

নারীদের উচিত পুরুষ হওয়ার পায়তারা না করা, আর পুরুষদের উচিত নারীদের পুরুষ হতে বাধ্য না করা।

আপনি জানেন কি না জানি না, আমাদের দেশে সবাই পুরুষ। নারীরাও কি নারী? নারীই যদি হত, তাহলে তো নারীর পক্ষে কথা বলত। আমাদের দেশের নারীরা হল পুরুষদের রিপ্রেসেন্টেটিভ। এছাড়া সে আর কিই বা করবে? দুবেলা খাবার আর আশ্রয় কে হাত ছাড়া করতে চায়? আপনি জেন্ডার ও সেক্সের মধ্যে পার্থক্য জানেন না, বলেই এ ধরনের একটি মন্তব্য করেছেন। আপনাকেও দোষ দেওয়া যায় না। আপনি যদি জানতেন পার্থক্যটা তাহলে এই রকম ইমম্যাচিরড মন্তব্য করতেন না।

'সব পুরুষ এক, সব পুরুষ খারাপ'

এই রকম কোন ডায়লগ এখানে দেওয়া হয় নি। ভাল মত লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন। আমার চারপাশে আমি যা দেখেছি, তাই এই লেখায় তুলে ধরেছি। এবং এটা সত্যি, নারীরা সবচেয়ে বেশি ধর্ষিত হয় তাদের স্বামীর দ্বারা। এর কিছু সাইকোলজিক্যাল কারণও দেওয়া আছে। সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা আরো ভাল বলতে পারবেন এ বিষয়ে।

কমেন্ট পোস্ট দিয়ে মহানুবভব হবার চেষ্টা করছে এমনটাই বা ভাবার কী আছে এখানে বুঝতে পারলাম না।

পুরুষদের উচিত নারীদের দুর্বলতার সুযোগ না নেয়া।

আপনার এই কথাটি ভাল লেগেছে। ব্যক্তিগত জীবনে আপনি না হয় আমাদের মত ডায়লগবাজি না করে, নিজের জীবনে এগুলো চর্চা করবেন। সেটাই ভাল হবে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

নারীদের উচিত পুরুষ হওয়ার পায়তারা না করা, আর পুরুষদের উচিত নারীদের পুরুষ হতে বাধ্য না করা।

সত্যি কথা বলতে কি, নারী বা পুরুষ না হয়ে মানুষ হবার মত ম্যাচুরিটি কবে হবে সেটাই ভাবি মাঝে মাঝে।

মহানুভব সাজার জন্য কমেন্ট করেছে, অথচ নিজের জীবনে তার চর্চা নেই, সেটাই বা আপনি কি করে বললেন? এটাও তো আপনি পরীক্ষা করে দেখেন নি।

তবুও আপনাকে ধন্যবাদ, ভুল ভাবে ভাবার জন্য। আমাদের দেশে এই রকম ভুল ভাবনা ভাবার মত লোকজনও তো নেই। আপনি ভাবুন, ভুল হোক তবুও ভাবুন। চিন্তা করা থামাবেন না। এভাবে ভাবতে ভাবতে সঠিক পথ একদিন ঠিকই পেয়ে যাবেন। এই যাহ! ডায়লগ দিয়ে দিলাম।

ভুলো মন এর ছবি

ভালো বলেছেন,

পুরুষদের উচিত নারীদের দুর্বলতার সুযোগ না নেয়া

কখনো দেখেছেন ক্ষুধার্ত বাঘ হরিণ কে না খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে? এই লেখা সেই সব পুরুষদের নিয়ে লেখা, যারা শুধুমাত্র গায়ে জোর বেশি বলে স্ত্রীদের উপর অত্যাচার করে। এদের জন্য উপদেশ প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন প্রকাশ্য শাস্তির।

আবার কেউ পরীক্ষাও করতে আসে না যে সে যা বলছে ব্যক্তিগত জীবনে তার চর্চা কতটুকু করছে

দারুণ, মানে হচ্ছে এখানে যারা পোস্টটির পক্ষে বলছেন তারা শুধু বলেন, চর্চা করেন না। না জেনে অভিযোগ করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত?

পুরুষদের উচিত নারীদের পুরুষ হতে বাধ্য না করা।

কি বোঝাতে চেয়েছেন ঠিক পরিস্কার নয়, সম্ভবত কমেন্ট শেষ করবার একটা তাড়া ছিলো। যদি নির্দিষ্ট কিছু বলতে চেয়ে থাকেন (উদাহরণ সহ), আরেকটি কমেন্ট দিলে ভালো হয়

guesr_writer rajkonya এর ছবি

পুরুষদের উচিত নারীদের দুর্বলতার সুযোগ না নেয়া।

আচ্ছা, আপনি এখানে নারীর কোণ ধরনের দূর্বলতার কথা বলতে চাইছেন? শারিরীক? হ্যাঁ, শারিরীক ভাবে নারীকে আমরা দূর্বল বলেই জানি। আপনি একটু আপনার মায়ের দিকে তাকান। তিনি আপনাকে গর্ভে ধারণ করেছেন। তাঁর শরীরের সবটা শুষে নিয়েই আমরা সন্তানেরা ভূমিষ্ট হই। মায়ের স্তন পান করে তাকে আরো শুষে নেই আমরা। মায়ের শরীরটা দূর্বল করে দিই। আমাদের কলেজে সিস্টার শিখার কাছে শুনেশিলাম, একটি সন্তান জন্ম দেবার পরে নারীর দেহে যে ক্ষ্য হয় তা নাকি ৬ বছরেও পূরণ হয় ন।আমাদেশের ওনেক নারী প্রতি বছর সন্তান জন্ম দেয়। সন্তান জন্ম দেবার চেয়েও লালন পালন কম কঠিন নয়। সে কাজটাও তারা করেন। শরীরে চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি/পুষ্টি পান না। তারাও পুরুষদের মত ভারি পরিশ্রম করেন। নারীর মানসিক শক্তি সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই আমাদের। তার পরেও যারা নারীকে দূর্বল ভাবে, তাদেরকে আর কিছু বলার নেই।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

পুরুষদের উচিত নারীদের দুর্বলতার সুযোগ না নেয়া।

আচ্ছা, আপনি এখানে নারীর কোণ ধরনের দূর্বলতার কথা বলতে চাইছেন? শারিরীক? হ্যাঁ, শারিরীক ভাবে নারীকে আমরা দূর্বল বলেই জানি। আপনি একটু আপনার মায়ের দিকে তাকান। তিনি আপনাকে গর্ভে ধারণ করেছেন। তাঁর শরীরের সবটা শুষে নিয়েই আমরা সন্তানেরা ভূমিষ্ট হই। মায়ের স্তন পান করে তাকে আরো শুষে নেই আমরা। মায়ের শরীরটা দূর্বল করে দিই। আমাদের কলেজে সিস্টার শিখার কাছে শুনেশিলাম, একটি সন্তান জন্ম দেবার পরে নারীর দেহে যে ক্ষ্য হয় তা নাকি ৬ বছরেও পূরণ হয় ন।আমাদেশের ওনেক নারী প্রতি বছর সন্তান জন্ম দেয়। সন্তান জন্ম দেবার চেয়েও লালন পালন কম কঠিন নয়। সে কাজটাও তারা করেন। শরীরে চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি/পুষ্টি পান না। তারাও পুরুষদের মত ভারি পরিশ্রম করেন। নারীর মানসিক শক্তি সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই আমাদের। তার পরেও যারা নারীকে দূর্বল ভাবে, তাদেরকে আর কিছু বলার নেই।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

খুব নাজুক, স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে সচলে এনেছেন, অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে একটি মুল কারনকেও (আর্থিক অচ্ছলতা, অসহায়তা) সনাক্ত করেছেন। মেয়েদের রাঁধার সাথে চুল বাঁধার পর্বটার জন্য দরকার অনেক কিছু, সচেতনতা হচ্ছে প্রধান পুর্বশর্ত।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ধন্যবাদ, আসমা আপা। হাসি

জামাল উদ্দিন এর ছবি

সেইসব স্বামীদের জন্য ধিক্কার । মাঝে মাঝে আমার মাথায় আসে না মানুষ এতো অবিবেচক পশুর মত কাজ কেমন করে করতে পারে । ধন্যবাদ বিষয়টা তুলে ধরার জন্য ...

আরেকটা অনুরোধঃ হাদিস ব্যবহারের সময় রেফারেন্স ব্যবহার করবেন প্লিজ, রেফারেন্স ছাড়া হাদিস কেমন যেনো অসম্পূর্ণ মনে হয় - তাছাড়া অন্য কাউকে আমি যদি বলতে চাই সেক্ষেত্রে check & double check করে নেয়াটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় । আপনার কোট করা হাদিসের রেফারেন্সটা ও একটু দিবেন প্লিজ , এই হাদিসটা আমার জানা ছিলনা ।

ভাল থাকবেন ।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

মওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীমের লেখা ''পরিবার ও পারিবারিক জীবন'' বইটিতে আমি এই হাদীস পেয়েছি। শুধু এই বই কেন।আরো অনেক নামাজ শিক্ষা টাইপের বইতে স্ত্রীর দায়িত্ব কর্তব্যের অধ্যায়গুলোতে আমি এই হাদীস পেয়েছি।

ধন্যবাদ।

জামাল উদ্দিন এর ছবি

আপনার উত্তরের জন্য অনেক ধন্যবাদ । আমি আসলে সরাসরি হাদিস সংকলন ( সিহাহ সিত্তাহ ) থেকে রেফারেন্স চাচ্ছিলাম - এগুলো ইন্টারনেটে যেমন সহজে পাওয়া যায় তেমনই অথেনটিসিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় । আপনার জন্য খুজে বের করলামঃ

Volume 7, Book 62, Number 121 :
Narrated by Abu Huraira
The Prophet said, "If a man Invites his wife to sleep with him and she refuses to come to him, then the angels send their curses on her till morning."

Volume 7, Book 62, Number 122 :
Narrated by Abu Huraira
The Prophet said, "If a woman spends the night deserting her husband's bed (does not sleep with him), then the angels send their curses on her till she comes back (to her husband)."

বাংলায় লেখা বইগুলোতে যাই ব্যবহার করা হোক না কেনো অথেনটিসিটি দেখে নেবেন, প্লিজ । সম্পর্কে একটা হাদিস - ইনডাইরেক্ট এবং আজই প্রথম জানলামঃ (ধর্মজ্ঞান সম্পর্কে বলা অংশটুকু)

Volume 7, Book 62, Number 158 :
Narrated by Anas
I will narrate to you a Habith I heard from Allah's Apostle and none other than I will tell you of it. I heard Allah's Apostle saying, "From among the portents of the Hour are the following: Religious knowledge will be taken away; General ignorance (in religious matters) will increase; illegal Sexual intercourse will prevail: Drinking of alcoholic drinks will prevail. Men will decrease in number, and women will increase in number, so much so that fifty women will be looked after by one man."

আবারও অনেক ধন্যবাদ ।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

রেফারেন্স দেবার ব্যাপারে আমার আলসেমী আছে। হাসি যদিও রেফারেন্স দেওয়াটা সবচেয়ে ভাল, এটা অস্বীকার করছি না।

যাক, আপনার তাহলে বিশ্বাস হল যে, আমি সঠিক তথ্য দিয়েছি। হাসি আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আমার জন্য কষ্ট করে রেফারেন্স দেবার জন্য কয়েকটা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ছাড়া আমার হাতে আর কিছুই রইল না। হাসি

আপনার দেওয়া পরের হাদিসটিও আমি জানতাম। তবে এটা এই পোস্টের সাথে কীভাবে গেল, তা বুঝতে পারছি না।

বন্দনা কবীর এর ছবি

পোস্টটা প্রথম পাতায় আসার পর পরই লেখাটা পড়েছি। তারপর থেকেই এই পোস্টে আসছি আর যাচ্ছি।
সকলের কমেন্ট দেখছি।
এখানে কেউ কেউ লজ্জিত হচ্ছেন কেউ ধিক্কার দিচ্ছেন কেউ বা সমস্যার আশু সমাধান কামনা করে চলে যাচ্ছেন।
কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিত এই সমস্যা আমার দাদির দাদির আমলে যেমন ছিল এখনো ঠিক সেই জাউগাতেই আছে।

আমার ব্যাক্তিগত জানাশোনার কিছু মানুষের এমন সব অভিজ্ঞতার কাহিনী আমার জানা আছে যেগুলো এখানে লিখলে অনেক পুরুষের রুহও কেঁপে উঠবে।
আমার একটা উপন্যাসে তার একটা মাত্র গল্প অনেক ভদ্র করে লিখেছিলাম। তার জন্য আমাকে অনেকের অনেক প্রশ্নের সামনে পড়তে হপ্যেছে।
মূল কথা, কিছু কিছু সমস্যা আছে যা আমরা এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করি এমন কি ভুক্তভোগিরাও এটা "মেনে নেওয়াই ভাল" বা "স্বামী-ই তো" এইরকম করে ভাবতেই পছন্দ করি। কোনো কিছু নয়, সচেতনতা, শিক্ষা... সব ভূয়া। একজন নারী যতক্ষন না নিজেকে সম্মান করতে শিখছেন ততক্ষন তাকে অপমান করার সাহস অন্যরা দেখাবেই।

আপনার পোস্টের বিষয়টা ভাল লেগেছে। তবে আলোচনা করে কিছু হবে বলে মনে হয় না। ভাল থাকুন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আলোচনা করে আর কিছু না হোক, দু-একজন ব্যক্তিও যদি সচেতন হন এটাই বা কম কিসে?

ভুলো মন এর ছবি

আলোচনা করে কিছু হবে বলে মনে হয় না

একটু দ্বিমত আছে। আপনার ব্যক্তিগত জানাশোনার মধ্যে যেসব অভিজ্ঞতার কাহিনী আছে বলছেন, আমার তো মনে হয় সেগুলো প্রকাশ পেলে সেগুলো নিয়ে আলোচনা - প্রতিআলোচনা হবে, সম্ভবত অনেকের মাঝেই ছড়াবে, একটা সচেতনতার সৃষ্টি হবে। সবচেয়ে ভালো যে ফল সম্ভব, সচেতনতার রেশ ধরে এমনকি একটা আইন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব ছেলেমানুষী আশা হয়ে গেল, কিন্তু সম্ভাব্যতার সূত্রের বাইরেও কখনো কখনো কিছু ঘটনা ঘটে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই, খুব কঠোর একটা আইন হোক। এই আলোচনা যদি তাতে বিন্দুমাত্র অবদান রাখতে পারে, এটি সার্থক।

রাজকন্যাকে অনুরোধ করব, সম্ভব হলে একটা সাজেশানধর্মী লেখা দিন। যাতে বলা থাকবে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য একটি মেয়ের কি কি জানা থাকা উচিৎ। আক্রান্ত হলে কি কি ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার সে রাখে, কি ধরনের সংস্থার কাছে যেতে পারে সাহায্যের জন্য। অভিযোগ প্রমানিত হলে কোন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা আছে বাংলাদেশেও আইনে। সচলের অন্য লেখকদেরও একই অনুরোধ করব। আলোচনা, অনুসন্ধানী এবং প্রতিরোধ/ প্রতিকার মুলক লেখা অব্যাহত থাকুক। ভালো থাকুন

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সাজেশন দেবার জন্য অনেক জ্ঞানী গুনী ব্যক্তিরা আছেন। এটা একটা কমন সমস্যা। ওনেকেই সমস্যার কথাটি জানেন। আমি শুধু আবার সেই কথাটা একটু মনে করিয়ে দিলাম। আমি নিজেও তো জানি না, এ রকম হলে কী করতে হবে! কোন সংস্থার কাছে যেতে হবে! মন খারাপ

আমি মনে করি প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। প্রিভেনশনের জন্য ঐ যে বললাম, কাউন্সেলিং আর সেক্স এডুকেশনের কথা সেটা দরকার। আর নারীদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। বন্দনা কবীর আপু বললেন, নারী নিজেকে সম্মান করতে শিখলে তাকে অপমান করার সাহস কারো হবে না।

সংকোচের বিহবলতা নিজেরই অপমান

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

বিষয়টি উত্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। আলোচনা-সচেতনতার প্রয়োজন আছে।

প্রেমজাত বৈবাহিক সম্পর্কে এমনটি হয়/হবার কথা নয়। এরেঞ্জে হয়ে থাকে এটা বাস্তব। অশিক্ষিত হলেও হয়ে থাকে এটাও বাস্তব।

স্ত্রীকে তো অসম্ভব ভালোবাসার কথা, তাকে কীভাবে কেউ এমন পাশবিক অত্যাচার করতে পারে এটা বোধগম্য হয় না। নিজেরই তো স্ত্রী।

সবাইকেই সচেতন হতে হবে। শিক্ষায় এ বিষয়টির অন্তর্ভুক্তিও প্রয়োজন।


_____________________
Give Her Freedom!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

প্রেমজাত বৈবাহিক সম্পর্কে এমনটি হয়/হবার কথা নয়।

কেন হবে না ভাই? প্রেমিকটি কি এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বাইরে? সেই প্রেমিকাটি কিও বাইরের কেউ?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আমার মনে হচ্ছে আপনি জেনারেলাইজ করে ফেলছেন, সাধারণত হবার কথা নয়, আলোচনার পথটা খোলা থাকে কারণ, তবে কেউই করে না সেটা বলছি না। প্রেমিকও করবেই এমন ধারণার সাথে আমি একমত নই।


_____________________
Give Her Freedom!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

প্রেমজাত বৈবাহিক সম্পর্কে এমনটি হয়/হবার কথা নয়

এই কথাটা বলে কি আপনিও জেনারালাইজ করে ফেললেন না? এরেঞ্জ ম্যারেজেও কত দম্পত্তি সুখে আছে!

সুতরাং, প্রেমজাত বিয়ে বা এরেঞ্জ, যেটাই হোক এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা ঘটতেও পারে। নাও পারে। আমি কিছু ঘটনা জানি, যেখানে প্রেমের বিয়েতেই নারী নিজের অনিচ্ছায় বিছানায় গিয়েছে। স্বামীর পায়ে ধরে মাফ চেয়েছে, কিন্তু রেহাই পায় নি। আবার অনেক এরেঞ্জ বিয়েতে স্বামী অনেক সহনশীল ছিল।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

সুতরাং, প্রেমজাত বিয়ে বা এরেঞ্জ, যেটাই হোক এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা ঘটতেও পারে। নাও পারে।

জ্বি ঠিকাছে। তবে আমার কাছে মনে হয় এরেঞ্জে সম্ভাবনাটা বেশি থাকে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হাসি মৃত্যুময় ঈষৎ ভাই, আপনাকে এরেঞ্জ বিয়ে দিয়ে দেওয়া দরকার দেখি! খাইছে

আমার কাছে মনে হয় এরেঞ্জে সম্ভাবনাটা বেশি থাকে।

এটা আপনার অনুমানমাত্র। সঠিক তথ্য গবেষণা না করে বলা যাচ্ছে না।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

হো হো হো এরেঞ্জে বা প্রেমে যে ভাবেই বিয়ে করি/দিক সেই দুর্ভাগিনীর(কারণ আমার মত হতচ্ছাড়ার কাছে এসে পড়েছে) অন্তঃত এই অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না- সে আমি বহুকাল আগে থেকে জানি। দেঁতো হাসি

জ্বি ঠিক, গবেষণা হলে শুদ্ধ সিদ্ধান্তে পৌছানো হয়তো যাবে, তবে আমি যেটা বলেছি তার কিছু যুক্তি আমার আছে, অনুমান নির্ভর নয়।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

গবেষণা করার আগে আমরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারি না।ঙ্গবেষণা না করে যেটাই বলব, সেটা হল অনুমান বা হাইপোথিসিস। গবেষণা করে আপনার অনুমান সঠিক না ভুল তা যাচাই করতে পারেন।

কিছুদিন আগে গবেষণা বিষয়ক একটা কোর্স করলাম তো! সেই অল্পবিদ্যা আপনার উপর এখন ঝাড়ার সুযোগটা আর হাতছাড়া করলাম না মৃত্যুময় ঈষৎ ভাই, দেঁতো হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আরেকটি কথা, গবেষণা করুন আর না করুন, আমার সাথে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করবেন না যে, প্রেমের বিয়ে বা এরেঞ্জ বিয়ে যেটাই হোক, স্ত্রীর সাথে স্বামীর এই রকম আচরণ নির্ভর করে স্বামীটির মানসিকতার উপর।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

প্রেমের বিয়ে বা এরেঞ্জ বিয়ে যেটাই হোক, স্ত্রীর সাথে স্বামীর এই রকম আচরণ নির্ভর করে স্বামীটির মানসিকতার উপর।

জ্বি অবশ্যই সহমত।


_____________________
Give Her Freedom!

সাফি এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, উপরে তানিম এহসানের মন্তব্যের সাথে একমত - সেক্সুয়াল এডুকেশনের গুরুত্বের ব্যাপারে। অনেক ছেলেই আগ্রহ ভরে বাসর রাতের দিকে চেয়ে থাকে, দীর্ঘ্যদিন ধরে দেখা পর্ন/সিনেমার কারণে তার যে উন্মত্ত কল্পনা- সেই কল্পনার বাস্তব রুপ দিতে। সেক্সুয়াল এডুকেশনের মাধ্যমে এটা কমিয়ে আনা যেতে পারে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আর এভাবে মেয়েদেরও অনেক দিনের সুন্দর স্বপ্নটা ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। এই সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।

অতীত

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পাঠক এর ছবি

বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল নারী কোথায় যাবে? একটা ব্যাক্তিগত কাহিনি তুলে ধরি। চট্টগ্রামে যে বাসায় থাকতাম তার উপরের তলায় আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচিত একটা পরিবার থাকত। ভদ্রলোক(?) সরকারী চাকুরে, অল্প বা অর্ধশিক্ষিত( প্রথাগত অর্থে) আর উনার স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘটনাচক্রে উনার চেয়ে এক ধাপ উপরে। উনাদের দুসন্তান শহরের ভাল স্কুলে পড়ে, স্বচ্ছল, বাইরে থেকে দেখলে বেশ সুখীই মনে হত ওদের। ভদ্রমহিলা দেখতেও সুন্দরী ছিলেন, এটা হয়ত উনার অবস্থানটাকে আরও নড়বড়ে করে দিয়েছিল স্বামীর পরিবারে। প্রায়শই উনি আমার মায়ের কাছে তার স্বামীর বিভিন্ন নির্যাতনের কথা বলে কান্নাকাটি করতেন, স্বামীটি প্রায় প্রতি দিনই তাঁর গায়ে হাত তুলত ( স্বামীর জন্ম অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে কথা কারণ স্বামী মানেই তো প্রভূ), কারণ কী, ভদ্রমহিলা মুখরা, স্বামীটির মা-বাবা সম্পর্কে কটু কথা বলেন ইত্যাদি। এর উপর সুন্দরী হওয়ার কারণে সন্দেহ তো ছিলই, ভদ্রলোকের(?) চরিত্র কেমন ছিল জানা যায়না। তাদের একদম ছোট বাচ্চাটা একদিন আমাকে জ্যাকি চ্যাং স্টাইলে ( শব্দ-চয়নের জন্য ক্ষমাপার্থী) লাথি মেরে বলেছিল তার বাবাও তার মাকে এরকম মার দেয়। ভদ্রমহিলা নিশ্চয়ই হংকং ফিল্মের নায়িকাদের মত কুংফু জানতেন না ফলে মারগুলো নীরবে সয়ে যেতে হত তাঁকে। ব্যাপারটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। আমি একবার গলা বাড়িয়ে বলেছিলাম, " আপনি এরকম অত্যাচার না সয়ে মামলা করছেননা কেন, ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছেন না কেন? আপনার শিক্ষার জোর উনার চেয়েও তো বেশী, আপনি চাকরীর জন্য চেষ্টা করুন।" তখন বয়স কম ছিল বিধায় এরকম জ্ঞান দিতে মুখে বাঁধেনি। উনি বলতেন উনার অসহায়ত্বের কথা, এ জঘন্য সমাজে দুটো ছেলের মা হয়ে কার কাছে গিয়ে উঠবেন, উনার ভাইবোনেরাও উনার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে, তারপর একবার ডিভোর্স হলে সবাই উনার অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে চাইবে, ডিভোর্সি পুরুষের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে, আর ডিভোর্সি নারী যেন মহাপাপী, অপরাধী; চাকরীর ক্ষেত্রেও অবস্থা তথৈবচ। তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল ভদ্রমহিলার হয়তো সাহসের অভাব বা অন্য কিছু। আবার নারী মহলেও তাঁর দূর্নাম শুনতাম, মা বলত উনার ও দোষ আছে, শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে সম্মান করেনা ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমাদের সমাজে নারীর প্রধাণ বিরোধী দল নারীই। ফলতঃ তসলিমাকে পুরুষের চেয়ে বেশী অপছন্দ করে দেখলাম মেয়েরাই অথচ একই কথাগুলো হুমায়ুন আজাদরা বলে নারীবাদী হয়ে যান। যা বলছিলাম, আমাদের মত অমানবিক পুরুষতান্ত্রিক, অন্ধকারমূখী, প্রাচীণ এ সমাজে অত্যাচারিত সন্তানের জননীরা করবেটা কী, উনাদের পাশে তো উনাদের আপন মানুষেরাই দাঁড়ান না, উলটো তাঁদের দোষেই সংসার ভেঙ্গেছে অপবাদ দেয়। যে সমাজ মানুষের চেয়ে ধর্মকে বেশী মূল্য দেয়, নারী সে সমাজে কোথায় যাবে? রাষ্ট্র তো তার একলা চলার ক্ষেত্রে লক্ষাধিক বাধা তৈরী করে রেখেছে। এদেশে যেখানে পুরুষ ব্যাচেলররা ঘর ভাড়া পায়না সহজে, সেখানে ডিভোর্সি সন্তানের জননীদের একলা চলার পথটা কতটুকু নিরাপদ?

তানিম এহসান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সেই তো কথা আমাদের দেশের নারীরা হলো পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধি। তাই তসলিমার লেখা পড়লে এমন মনে হয় তাদের। আমি নিজেও দেখেছি, আমি পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বললেই কিছু নারী আমাকে থামানোর চেষ্টা করেন। এতদিন ধরে নারীকে শেখানো হয়েছে নারকেল গাছ দেখিয়ে, এটা সুপারি গাছ। আজ হঠাৎ করে যখন কেউ নারকেল গাছকে নারকেল গাছ হিসেবে বলবে, সে মেনে নিতে পারে না। এতদিনের গড়ে উঠা বিশ্বাস কি একদিনে ধবংস হয়ে যাবে? এর জন্য চাই সময়। আর ছোট ছোট আঘাত। তসলিমা নাসরিন করেছিলেন তেব্র আঘাত, যা এই সমাজ ধারণ করতে পারে নি। আর বেগম রোকেয়া যেমন আঘাত করেছেন, তেমনি নারীর জন্য কাজও করেছেন। এইটা আমাদেরও করা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে লেখটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য

পাঠক এর ছবি

এই রকম স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে উপস্থাপন করার জন্য রাজকন্যাকে ধন্যবাদ। সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে.........

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

তাপস শর্মা এর ছবি

কোন সচেতনতায় কিছু হবেনা। এভাবেই চলবে। সব কিছুর ইতি কিভাবে যে পশুর মতো হয়ে যায়?

তবে পুরুষতন্ত্র বলে এই ২১ শতকেও যে কিছু থাকতে পারে আমি তা মানতে নারাজ, যদিও বাস্তবে তা আছে। কিন্তু মেয়েদের দোষ ওরা প্রতিবাদ করেনা সবসময়, মুখ বুঝে সহ্য করে নেয় সবকিছু। এখনো ১৪-১৫ বছর বয়সের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তারপর……………
কে দেবে সেই সব মা-বাবাদের সচেতনতা!!
আর আমাদের মতো তথাকথিত এলিট সোসাইটির মানুষেরা? আমারা তো আরও বড় চাঁড়াল

লিখুন, লিখুন - এই সমস্ত বিষয় গুলোকে আরও বেশি করে পর্দার বাইরে টেনে নিয়ে আসুন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এতদিন ধরে চলে আসা এই তন্ত্র রাতারাতি পরিবর্তন করার চিন্তা করাটাও বোকামী। পরিবর্তন আসবে ধীরে ধীরে। এই পুরুষতন্ত্রের শেকল ভাংতে হলে ছোট ছোট আঘাত যেমন নিজেদের প্রয়োগ করতে হবে, তেমনি পালটা ঘাত মোকাবেলা করার মত শক্তিও থাকতে হবে।

তাপস শর্মা এর ছবি

এর শুরুটা কিন্তু করতে হবে আপনাদের, মেয়েরা যতদিন না পর্যন্ত এই তন্ত্রের যন্ত্র -এর বুকে আঘাত না হানবে ততদিন পরিবর্তনও আসবেনা ।
শুভকামনা

হুম-বিদ এর ছবি

ঘটনা ভয়াবহ। সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক।

পুরুষ হিসাবে লজ্জিত- কথাটা শুনলে একটা উলটো কথা মনে আসে! যাদের শারীরিক ও মানসিক কারণে নিজেকে পুরুষ হিসাবে লজ্জিত মনে হয়- সেগুলো ছেঁটে ফেললেই হয়! (কথাটায় কেউ আঘাত পাইলে, নিজগুণে মাফ করবেন- কিন্তু মনে যা আসে, সেটা বলেই ফেললাম!) নিজ স্ত্রীকে ধর্ষণ করিনা-করিনাই-ভবিষ্যতেও করবো না - কিন্তু সবসময় ভয়ে থাকি, এই বুঝি না বুঝেই 'এমন কিছু' করে ফেললাম- আধুনিক পুরুষতন্ত্রের দোহাই -এ আমাকে 'তুলোধোনা' করা হবে। তাহলে আমিও কী নির্যাতিত নই?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সবসময় ভয়ে থাকি, এই বুঝি না বুঝেই 'এমন কিছু' করে ফেললাম

আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনার নিজের উপর আত্নবিশ্বাস কম। এছাড়াও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া কতটুকু, যার জন্য এই রকম কথা আপনার মনে হচ্ছে?

হুম-বিদ এর ছবি

ঘটনা ভয়াবহ। সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক।

পুরুষ হিসাবে লজ্জিত- কথাটা শুনলে একটা উলটো কথা মনে আসে! যাদের শারীরিক ও মানসিক কারণে নিজেকে পুরুষ হিসাবে লজ্জিত মনে হয়- সেগুলো ছেঁটে ফেললেই হয়! (কথাটায় কেউ আঘাত পাইলে, নিজগুণে মাফ করবেন- কিন্তু মনে যা আসে, সেটা বলেই ফেললাম!) নিজ স্ত্রীকে ধর্ষণ করিনা-করিনাই-ভবিষ্যতেও করবো না - কিন্তু সবসময় ভয়ে থাকি, এই বুঝি না বুঝেই 'এমন কিছু' করে ফেললাম- আধুনিক পুরুষতন্ত্রের দোহাই -এ আমাকে 'তুলোধোনা' করা হবে। তাহলে আমিও কী নির্যাতিত নই?

(কমেন্ট একাধিকবার গেলে মুছে ফেলুন)

তারাপ কোয়াস এর ছবি

আপনার এই চমৎকার লেখাটি পড়ে একটা আইডিয়া শেয়ার করতে চাচ্ছি, আমাদের দেশে যৌন শিক্ষার(ইংরেজী মাধ্যম ব্যতীত) কোন ধরনের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত, বেশীরভাগ সময়ই তা বন্ধুবান্ধবদের উপর নির্ভরশীল আর তাদের নির্ভরশীলতাও একই চক্রে আবদ্ধ। সরকারের আশায় বসে থাকলে স্কুল লেভেলে সেক্স এডুকেশন আসতে আরও ৫০বছর লেগে যাবে, তাই নিজেরাই নেটে বাংলায় এ সংক্রান্ত একটা সাইট করা যেতে পারে যেখানে সহজ এবং বিশদভাবে এ ব্যাপারে তথ্য থাকবে(বয়স উপযোগী)। হতে পারে তা ফেইসবুকে বা অন্যকোন সাইটের গ্রুপ হিসাবেও। (অনুমান করি সেলফোনের মাধ্যমে দেশে নেট ব্যাবহারের সুবিধা সব জায়গায় পৌঁছে গেছে) চট করে এর সুফল হয়তো পাওয়া যাবে না , তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিঃসন্দেহে উপকৃত হবে(সাথে অনেক প্রাপ্তবয়স্করাও )।


love the life you live. live the life you love.

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার আইডিয়াটা খারাপ না। তবে প্রশ্ন থেকে যাবে, কারা এই সাইট তৈরি করছে? তাদের কি এই সেক্স এডুকেশন সম্পর্কে ধারণা আছে? থাকলে কতটুকু? আর এই সাইটের মাধ্যমে দেশের কত % জনগণ উপকৃত হবে?

এই সাইট কি ইচ্ছে করলে যে কেউই তৈরি করতে পারবে? (এই প্রশ্নের উত্ত্র হ্যাঁ হলে আমার পক্ষ থেকে বিরাট বড় না ভোট)

তবে যেটাই করা হোক না কেন, কারিকুলাম পরিবর্তন বা কোন ওয়েব সাইট, সেটা যেন দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা, জনগণের ধর্ম বিশ্বাস, পারিবারিক কাঠামো ইত্যাদি সব কিছু মাথায় রেখেই করা হয়।

দিহান এর ছবি

রাজকন্যা, খুব ভালো লাগছে এ বিষয়টা নিয়ে লিখলেন।

সেক্স, রেপ, চাইল্ড বার্থ, প্রেগন্যান্সি,পিরিয়ড, অন্তর্বাস এইসব বিষয় নিয়ে লুকোছাপার অভ্যাস থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মেয়েদের ও 'ছি সেক্স খারাপ ব্যাপার' এই মনমানসিকতার পরিবর্তন দরকার। এ্যারাঞ্জড বিয়েতে দেখা যায় পর্নোগ্রাফি আসক্ত এক ছেলের বউ হয়ে এলো এমন ই এক মেয়ে যে হয়তো হিন্দি সিনেমার শারীরিক অন্তরঙ্গতার বেশি কিছু সম্পর্কে ধারনাই রাখেনা।
পরিবার কে এগিয়ে আসতে হবে। আমার বন্ধু বা বড় আপু/ ভাইয়া অনেকে দেখি মতামত দেন বাচ্চার সামনে নিজেরা চুমু খাওয়া, জড়িয়ে ধরা ইত্যাদি খুবই অন্যায়। বাচ্চাদের চরিত্র সামলাতে তারা সেক্স এক মহা অন্যায় এই শিক্ষা দেন। ছেলে বাচ্চা বড় হলে ঠিকই চটিবই বা পর্নোসাইটের খোঁজ পেয়ে যায়। মেয়েরা বড় হয় 'সেক্স খারাপ' এই ভ্রান্ত জিনিস মাথায় নিয়ে। ফলে শারীরিক সম্পর্কে জড়তা থাকে, নিজেরা উপভোগ করেনা এবং ভিক্টিম হয়।

আবারো ধন্যবাদ।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপু, আজকে আরেকজনের অভিজ্ঞতা থেকে যা জানতে পারলাম, অনেক ছেলে বিয়ের রাতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ (বা কোন মাদক) খেয়ে আসে। তাদেরও মনে অনেক দ্বিধা, ভয় কাজ করে। সাহসের অভাবে, সঠিক সেক্স এডুকেশনের অভাবে এই সব উলটা পালটা পন্থা অবলম্বন করে।
আর বাচ্চাদের ভালো আদর মন্দ আদর সম্পর্কে আমরা গার্জিয়ানরা সঠিকভাবে সচেতন করতে পারি না বা করি না। তাই তো ভিকারুন্নেসার মত ঘটনাগুলো ঘটে।
এই ঘটনাগুলোর ফলে মেয়েদের সমস্যা হয় নানা ধরনের। যেমন--ওরা পুরুষের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে নিয়ে বড় হয়। অনেকে পুরুষবিদ্বেষীও হয়ে যায়। আর শারিরীক সম্পর্ক উপভোগ করতে না পারা কথা তো আপনি নিজেই বললেন।
ধন্যবাদ।

সুমন তুরহান এর ছবি

জরুরি লেখা। চলুক

ধর্মস্বীকৃত ধর্ষণের রেফারেন্স:

উৎস ১:

বোখারি শরীফ - বাংলা তরজমা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা, (ষষ্ঠ খণ্ড), (পৃষ্ঠা ২১০)।
মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী (র:) / মাওলানা আজিজুল হক সাহেব কর্তৃক অনূদিত।
হামিদিয়া লাইব্রেরী, চকবাজার, ঢাকা।

বোখারি হাদিস নং ২০৪৯ ।।

'লা'নতের পাত্রী স্ত্রী':

"আবু হোরায়রা (রা:) নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লাম হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, স্বামী তাহার স্ত্রীকে স্বীয় বিছানায় আসিবার জন্য ডাকিলে যদি স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় (এবং স্বামী তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়) তবে ভোর পর্যন্ত সারা রাত্র ফেরেশতাগণ ঐ স্ত্রীর প্রতি লা'নৎ ও অভিশাপ করিতে থাকেন।"

উৎস ২:

তফসীরে মা'আরেফুল-কোরআন, (১ম খণ্ড), পৃষ্ঠা ৬০২।
হজরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শফী (র); অনুবাদ - মাওলানা মুহিউদ্দীন খান।
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ।

সুরা বাকারা, আয়াত ২২৩:

" তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার করো"।

কোরান: সুরা বাকারা, আয়াত ২২৩: ইংরেজি অনুবাদ:

Your wives are a place of sowing of seed for you, so come to your place of cultivation however you wish and put forth [righteousness] for yourselves. And fear Allah and know that you will meet Him. And give good tidings to the believers.

উৎস ৩:

বঙ্গানুবাদ: বেহেশতী জেওর, (২য় খণ্ড), পৃষ্ঠা ৫৩,
- হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী চিশতী (র:),
অনুবাদ - হজরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী (র:)।
এমদাদিয়া লাইব্রেরী। চকবাজার, ঢাকা।

স্বামীর হকের বয়ান:

৩। যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাহাকেও সজ্দা করা জায়েয হইত, তবে আমি নিশ্চয়ই স্ত্রীকে হুকুম দিতাম যে, সে তার স্বামীকে সজ্দা করুক। (কিন্তু এক আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও সেজদা করা জায়েয নাই, তাই সজ্দা করা এবং এবাদত করার ত হুকুম দেওয়া যায় না, এছাড়া অন্যান্য সর্বপ্রকার তাবেদারী ও পতিভক্তি দেখান স্ত্রীর কর্তব্য।)

এই একই হাদিস সুন্নাহ আবু দাউদ-এও আছে। হাদিস নং: ২১৩৫

এ-প্রসঙ্গে আবুল কাশেম-এর এই তথ্যবহুল লেখাটি দেখুন।

১৪০০ বছরেও আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি, এটা শোচনীয়।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

guesr_writer rajkonya এর ছবি

৩। যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাহাকেও সজ্দা করা জায়েয হইত, তবে আমি নিশ্চয়ই স্ত্রীকে হুকুম দিতাম যে, সে তার স্বামীকে সজ্দা করুক। (কিন্তু এক আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও সেজদা করা জায়েয নাই, তাই সজ্দা করা এবং এবাদত করার ত হুকুম দেওয়া যায় না, এছাড়া অন্যান্য সর্বপ্রকার তাবেদারী ও পতিভক্তি দেখান স্ত্রীর কর্তব্য।)

এইটা নিয়ে আমার একটা কথা আছে। এই হাদিস আমি এই প্রথম পড়লাম। তবে শুনেছি। আমার স্কুলের ইসলাম ধর্ম স্যারের কাছে। শুনেছি আল্লাহ বলেছেন, ''আমি যদি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করার কথা বলতাম, তবে ছেলেদেরকে তাদের মাকে, আর মেয়েদেরকে তাদের স্বামীকে সিজদা করার কথা বলতাম।''

সুমন তুরহান এর ছবি

'আমি যদি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করার কথা বলতাম, তবে ছেলেদেরকে তাদের মাকে, আর মেয়েদেরকে তাদের স্বামীকে সিজদা করার কথা বলতাম।''

সিহা সিত্তার কোনো হাদিসে মাকে সেজদা করার কথা বলা নেই। আপনার শোনায় ভুল আছে বলে মনে হচ্ছে। (আমারও ভুল হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনার কাছে রেফারেন্স চাচ্ছি। আপনি উপরে বলেছেন রেফারেন্সে আপনার আলসেমি আছে; কিন্তু এ-জাতীয় লেখায় বা মন্তব্যে রেফারেন্স খুব জরুরি)।

'স্বামীকে সেজদা করার' হাদিসে স্বামীকে প্রভু এবং স্ত্রীকে দাসীর অবস্থানে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এই অপ্রিয় ব্যাপারটি ঢাকার জন্যে আপনার শিক্ষক জেনে অথবা না জেনে কিছুটা বাড়তি যোগ করেছেন বলে অনুমান করি।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এই হাদিসের একটা বড় শব্দ হচ্ছে

যদি


আমার শিক্ষক বাড়তি যোগ করেছেন কি না জানি না। যদি করেই থাকেন, তবে ভালই করেছেন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

দেন মোহর সংক্রান্ত লিঙ্কটি দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমারও এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। বিবাহিত কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তাঁরা কেন দেন মোহর নেন? পরিষ্কার ধারণা নেই অনেকেরই।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

এসমস্ত কারণেই ধর্মগুলো টিকে থাকতে মুখ থুবড়ে পড়ছে, পড়বে; গোমড় ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।

জামাল উদ্দিন এর ছবি

যৌন শিক্ষা বিষয়ে আপনাকে কিছু তথ্য দেই । ২০০৪ সালে ( আমি তখন ক্লাস এইট এ) , আমাদের স্কুল অনেকগুলো টেস্ট প্রজেক্টের আওতাধীন ছিল - তাদের মধ্যে একটি এসবিএ ( School Base Assesment ) এবং অন্যটি UNFPA এর অর্থায়নে করা Advocasy on Adolescent Reproductive Health Education Through Pear Groups Education. আমি ঐ প্রকল্পে একজন সেকেন্ডারি ইন্সট্রাকটর ছিলাম । আমরা ৬ জন ছিলাম, ৩ দিনের মূল ট্রেনিং সেশন শেষে আমাদের কাজ ছিল অন্য ছাত্রদের জন্য ট্রেনিং সেশন আয়োজন করা এবং একই বিষয়গুলো আলোচনা করা । আমাদের যে হ্যান্ডবুক ছিল সেটা মোটামুটি সবই কাভার করেছিল, অনেককিছু জেনেছিলাম, অণেক ভুল ধারণা পরিবর্তন হয়েছিল, বিষয়গুলো সম্পর্কে ধ্যান-ধারনাই পাল্টে গিয়েছিল বলতে পারেন। পরে প্রোজেক্টটা কেনো বন্ধ হয়ে গেল জানি না । আমার জীবনের প্রথম আয়ও সেই কার্যক্রম থেকে হাসি

কী কী ছিল সেটাতে ? নীচের TOC একটা ধারণা দেবেঃ ( সাবটপিক বাদ দিয়ে লিখছি )
১ম অধ্যায়ঃ প্রজনন তন্ত্রের গঠন ও বয়ঃসন্ধিকালের নানা পরিবর্তন
২য় অধ্যায়ঃ কৈশোরের সমস্যা এবং গৃহ, বিদ্যালয় ও সমাজের ভূমিকা
৩য় অধ্যায়ঃ জেন্ডার (জেন্ডার এবং সেক্স এর ধারণা এবং আলোচনা)
৪র্থ অধ্যায়ঃ খাদ্য ও পুষ্টি
৫ম অধ্যায়ঃ ব্যক্তিগত পরিছন্নতা এবং পারিবারিক ও সামাজিক সাস্থ্য
৬ষ্ট অধ্যায়ঃ বিবাহ বা বিয়ে ( টাইটেলটা এমনই )
৭ম অধ্যায়ঃ নিরাপদ মাতৃত্ব এবং দায়িত্বশীল পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব
৮ম অধ্যায়ঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধি, সমস্যা ও সমাধান (জন্মনিয়ত্রনের আইডিয়া নিয়েও ৪ টা আর্টিকেল ছিল সেখানে )
৯ম অধ্যায়ঃ প্রজননতন্ত্রের সংক্রমন/যৌনবাহিত সংক্রমন/এইচ আইভি/এইডস
১০ম অধ্যায়ঃ নারী শিশু নির্যাতন এবং পাচার
১১শ অধ্যায়ঃ মাদকাশক্তি
১২শ অধ্যায়ঃ পরিবার ও পারিবারিক জীবন
১৩শ অধ্যায়ঃ কিশোর কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার কার্যকর শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও মূল্যায়ন কৌশল

( প্রথম বন্ধনিতে বুঝার সুবিধার্থে আমার নোট )

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সূচীপত্রটা দিয়ে অনেক ভাল একটা কাজ করেছেন। অন্তত যাদের ধারণা সেক্স এডুকেশন মানে সেক্স করা, ওরা হয়ত বুঝতে পারবে।

আরো কয়েকটা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাপস শর্মা এর ছবি

আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত ঃ বিবাহ একটা সামাজিক ধর্ষণ।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার অভিমত জানলাম তাপসদা। কিন্তু বিবাহ না করলেই যে ধর্ষণ হবে না, তারই বা কি নিশ্চয়তা? আমাদের দেশের প্রেমিকেরাই তো প্রেমিকাদের ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে (বা সম্মতিতে) গর্ভবতী করে দেয়। তারপরে আর কোন দায় দায়িত্ব নেই। এর সমাধান কী?

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

তাপসদা, একদমই একমত নই। অতিরিক্ত সরলীকরণ হয়ে গেল না? পরিবারপ্রথা টিকে থাকার দরকার আছে।

আপনার আশংকার জায়গাটি থেকে উত্তরণের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো সুশিক্ষার প্রসার আর সচেতনতার বিস্তার। তাহলেই হয়তো আপনাকে আর বিবাহকে সামাজিক ধর্ষণ বলতে হবে না আশা করি।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার আশংকার জায়গাটি থেকে উত্তরণের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো সুশিক্ষার প্রসার আর সচেতনতার বিস্তার। তাহলেই হয়তো আপনাকে আর বিবাহকে সামাজিক ধর্ষণ বলতে হবে না আশা করি।

চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

পরিবারপ্রথা টিকে থাকার দরকার আছে।

চলুক

আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা হল - বিয়ে নামক বন্ধনের মাধ্যমেও পরোক্ষ ভাবে রেপ'ই করা হয়। কারো ভিত্তি কারো আত্ম-প্রত্যয়কে মর্যাদা দেওয়া হয় কি ? সেক্স আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য মননের অলিন্দের একটা অংশ। কিন্তু প্রতিটি অসচেতন ইলিটারেট মানুষ-ই কি এই ধরণের কাজ করে থাকে। না, তা একেবারেই নয়। এলিট ক্লাসের শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে আর কি ধরণের শিক্ষাবিজ দিতে হবে তা আমার জানা নাই । According to me - they are mentally sick.... পয়জন দেওয়া উচিত সেক্সুয়াল পারভাটেড লোকজনদের। সে মহিলা- পুরুষ যেই হোন না কেন......

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

কারো ভিত্তি কারো আত্ম-প্রত্যয়কে মর্যাদা দেওয়া হয় কি?

এ জায়গাটি আশংকার।

তাপস শর্মা এর ছবি

অনি, আমি বলতে চেয়েছিলাম, আমরা( পুরুষ এবং নারী) উভয়েই আমাদের ভিত্তি এবং আত্মপ্রত্যয়কে মর্যাদা দেই না। বিয়ে কিংবা একটা রিলেশান যদি একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা হয়েই থাকে তাহলে তা কেন হবে?

আরেকটা কথা জাস্ট এমনিতেই যুক্ত করলাম, ভালোবাসাবিহীন সেক্স কি পাশব অত্যাচার নয় ?

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

দাদা, আপনার কথাটা বুঝেছিলাম, বুঝেই কোট করেছি।

প্রশ্নটা ভালো করেছেন। এ নিয়ে আমার বন্ধুদের সাথে অনেক বচসা/বিতর্ক হয়, আমি এ বিষয়ে অনড় থাকি, আমার কাছে মনে হয় সেক্স এর পূর্বশর্ত হওয়া উচিত ভালোবাসা। ভালোবাসাহীন সেক্স পাশবিক হবার সম্ভাবনা থাকেই।

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

দাদা আরেকটা কথা, টাইপো করে ফেলছেন, আমার ডাকনাম 'অলি' দেঁতো হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

এইরে ল'কে, ন'বলে - বিপর্যয় ঘটিয়ে দিলুম। মন খারাপ

হায় হায়। লইজ্জা লাগে

যাক এইবার ১১০ বার লিখে দিলুম - অলি (১১০) শয়তানী হাসি

guest_writer এর ছবি

আমরা বেশ কিছু বান্ধবী একবার এই বিষয়টা নিয়ে, বিয়ের পর জোড়পূর্বক যে সম্পর্ক তা নিয়ে কথা বলছিলাম ।তো তাদের মধ্যে অনেকের ধারনা পুরুষরা নাকি বিয়ের রাতে এবং সবসময় এমন করে ।এটা না হলে নাকি ম্যান লি ব্যবহার হয়না ।খুব বিরক্ত না হলে এই ব্যপারটা নাকি এনজয়েবল ।কার কয়েটা দাগ পরলো এটাই নাকি বিশাল কিছু । উল্টা ভালো মনভাবের উদাহরন টানলে তারা সেসব পুরুষকে সমস্যা আছে বলেই জানালো ।আমি হতভম্ব হয়ে ওদের কথা শুনেছি ।সবাই তারা উচ্চশিক্ষিত।যাই হোক আমরা মেয়েরা সমাজের চাপেই মনে হয় এই বিষয়টাকে মেনে নিয়েছি যেটা একেবারেই ঠিক না ।তবে অনেক পরিবর্তন এসেছে এটাও দেখেছি ।

nawarid nur saba

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনার বান্ধবীরা masochist নাকি?

পাঠক_পদ্মজা এর ছবি

ধর্মের রেফারেন্স টেনে যেমন অনেক মেয়েকে অনিচ্ছাকৃত সহবাসে বাধ্য করে তার স্বামী, তেমনি প্রয়োজন মত ধর্মে যেসব কারনে বা সময়ে নিষিদ্ধ সে সময়েও বাধ্য করে। কারন স্বামীর ইচ্ছা!
যৌন নির্যাতনের খবর শুধু নিম্নবিত্ত সমাজের সংবাদ নয়। উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নির্যাতিত হয় আরও বেশি। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশিত হয় না।
আমাদের সামাজিক গঠনে মায়েরা, নানিরা, দাদীরা ছোটবেলা থেকেই একটা মেয়ের মানসিকতায় এই ধারনা ঢুকিয়ে দেন যে তারা স্বামীর সেবা দাসী। চাঁছাছোলা ভাষায় বললে বলতে হয়, আমাদের দেশে কম বেশি, সামাজিক অবস্থান ভেদে স নারী'ই ্যৌন সেবাদাসী হিসেবে ট্রিটেড।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পাঠক এর ছবি

খুবই স্বর্শকাতর একটি লেখা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দূর্বলতা এরজন্য অনকেখানি দায়ি। আর সবচেয়ে বেশী দায়ী আমাদের মনোভাব। আমরা কেবল বড়োবড়ো কথা বলি কিন্তু প্রতিকারের জন‌্য কেও এগিয়ে আসিনা। হাদিস নিয়ে অনেক মন্তব্য পড়লাম।

"The Prophet said, "If a man Invites his wife to sleep with him and she refuses to come to him, then the angels send their curses on her till morning."

কিন্তু হাদিস কুরআন প্রথমে এও বলে যে তোমরা মেয়েদের শ্রদ্ধা, সম্মান করো. আমাদের নবী বলেছেন "যে পুরুষ তার সহধর্মিনীকে সম্মান করেনা, সে আমার উম্মত নয়"। যে পুরূষ তার সহধর্মিনীর প্রতি ভালোবাসা/সম্মন পোষণ করে, সে নিশ্চই তার অনিচ্ছায় তাকে নিয়ে বিছানায় যাবে না। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভালোবাসা থাকলে সঙ্গম নিয়ে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। এই কথাটিকে বিরুদ্ধচারনের কথা বলা হয়েছে, অপারগতার কথা নয়। আমরা সবকিছু ইতিবাচক চোখে দেখিনা কেনো?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যে পুরূষ তার সহধর্মিনীর প্রতি ভালোবাসা/সম্মন পোষণ করে, সে নিশ্চই তার অনিচ্ছায় তাকে নিয়ে বিছানায় যাবে না।

কিন্তু স্ত্রী যদি কোন কারণে অনিচ্ছুক হন, তবে তো ফেরেশতারা সারা রাত লানত বর্ষণ করবে। সুতরাং, স্ত্রীরা সেই লানতের ভয়ে আর কোন কিছুতেই অনিচ্ছুক হন না। এভাবেই পুরুষতন্ত্র স্বা্মীদের জন্য ধর্ষণ করা সহজ করে দিয়েছে।

অনুকম্পা দেখিয়েই হোক, আর যে কারণেই হোক, একমাত্র ইসলাম ধর্মেই নারীকে সবচেয়ে বেশি অধিকার দেওয়া হয়েছে। এটা কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু যেটুকু অধিকার দেওয়া হয়েছে, তাও পুরুষেরা দেয় না। তাই নারী ভাবতেই পারে না, এর চেয়েও বেশি অধিকার সে পেতে পারে। ইসলামে যতটুকু অধিকার দেওয়া হয়েছে নারীকে, এর চেয়েও বেশি তাকে দেওয়া সম্ভব। আর সেটা সম্ভব করা হলে, নারাজ হবে পুরুষতন্ত্র। আল্লাহ নারাজ হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। তাঁকে আল্লাহকে মহান বলেই জানি এবং মানি। পুরুষতন্ত্র আর কত এভাবে আল্লাহর নাম বেচে বেচে আল্লাহকে নিচে নামাবে?

সুমন তুরহান এর ছবি

অনুকম্পা দেখিয়েই হোক, আর যে কারণেই হোক, একমাত্র ইসলাম ধর্মেই নারীকে সবচেয়ে বেশি অধিকার দেওয়া হয়েছে। এটা কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।

এই কথাটির পেছনে কোনো জোরালো যুক্তি আছে? নারীদের ট্রিটমেন্টে ইসলামের রেকর্ড সবচেয়ে খারাপ বলে আমার কাছে মনে হয়।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

guesr_writer rajkonya এর ছবি

অন্যান্য ধর্মের সাপেক্ষে বললাম কথাটা। অন্য যে কোন ধর্মের চেয়ে তো বেশি দেওয়া হয়েছে! যেমন, জৈন ধর্মের কথা আমি শুনেছি, সেখানে নাকি মনে করা হয় কোন খারাপ পাপের কারণের পরজন্মে মানুষ নারী হয়ে জন্ম নেয়। (এখন রেফারেন্স চাইলে আমি কিছু দিতে পারব না। কথাটা শুনেছিলাম ঢাবির ''বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃত বিভাগ'' র একটি মেয়ের সাথে বাসে কয়েক মিনিটের পরিচয়ে। আবার দেখার হবার সম্ভবনা তো নেইই, আর যদি দেখা হইয়েও যায় আমি চিনতে পারব না। তবে মেয়েটির বলা কথাগুলো ভুলতে পারিনি।) তাহলে ঐ ধর্মে নারীকে কেমন চোখে দেখা হয়েছে বোঝাই যায়। এসবের চেয়ে তো ইসলামে নারীকে অনেক বেশি অধিকার দিয়েছে বলে আমার মনে হয়।

আল্লাহকে আমি মহান ও উদার বলেই জানি। চাইলে দেবার অসাধ্য তাঁর কিছুই নেই। নারীকে তিনি আরো অধিকার দিতে পারেন। তবে সেই অধিকার তো আর তিনি আকাশ থেকে টুপ করে ফেলে দেবেন না! অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার এনে দিতে হবে মানুষকেই। আর এটা করা হলে মহান ও উদার আল্লাহর নারাজ হবার কোন কারণ আমি অন্তত দেখি না। পুরুষদের প্রতি এটাই হয়ত তাঁর একটা পরীক্ষা। এখন পুরুষেরা সেটা বুঝলে হয়! চোখ টিপি

সুমন তুরহান এর ছবি

জৈন ধর্মের দুই প্রধান বিভাগ: দিগম্বর ও শে্বতম্বর গোত্রে নারীর স্ট্যাটাস নিয়ে দ্বিমত আছে। দিগম্বররা মনে করে নারীর পক্ষে মোক্ষ লাভ করতে হলে পরজন্মে পুরুষ হয়ে জন্মাতে হবে। যতোদিন পুরুষ হয়ে না জন্মাবে ততোদিন নারীর মুক্তি নেই। শে্বতম্বররা অবশ্য দ্বিমত পোষণ করে।

আর বাকি যতো অবৈজ্ঞানিক অপবিশ্বাস, যেমন ঋতুমতী নারীকে 'অপবিত্র' মনে করা, এগুলো ইসলাম-হিন্দু ইত্যাদি সব ধর্মে ব্যাপক আকারে আছে।

আর, তিনটি আব্রাহামিক ধর্ম: ইহুদি-খ্রিস্টান-মুসলমানের ধর্মগ্রন্থে নারীর সৃষ্টিতত্ত্বের যে পুরাণটি আছে, সেটিও নারীর জন্যে অবমাননাকর। (তবে বাইবেলের আক্ষরিক বাণীতে বিশ্বাসী ইহুদি-খ্রিস্টানের সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। নারী যতোটুকু মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তা ওই ইহুদি-খ্রিস্টান অধ্যুষিত দেশগুলোতেই।)

ইসলামে কিন্তু সেটি হয়নি।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

সুমন তুরহান এর ছবি

আর আরেকটি কথা-

আল্লাহকে আমি মহান ও উদার বলেই জানি।

সেটা আমি কিভাবে জানবো? আমাকে জানতে হবে তাঁর বাণী পড়ে, তাই নয় কি? স্ক্রিপচার পড়ে কিন্তু তাঁকে 'উদার' ও 'মহান' মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছে তিনি নারীকে তৈরি করেছেন পৃথিবী এবং কামনাকাতর বেহেশতের সম্ভোগসামগ্রী হিসেবে। সে সম্ভোগ শুধুমাত্র পুরুষের জন্যে, নারীর জন্যে নয়। পুরুষের জন্যে বহুবিবাহের অনুমতি ও বেহেশতে হুরের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দয়া করে উৎস নির্দেশ করে দেখান মহান আল্লাহ নারীর জন্যে কি পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন।

আপনি আরো লিখেছেন:

অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার এনে দিতে হবে মানুষকেই। আর এটা করা হলে মহান ও উদার আল্লাহর নারাজ হবার কোন কারণ আমি অন্তত দেখি না।

সেটি কিভাবে? নবুওতের তো সিলমোহর পড়ে গেছে। শেষ কিতাবও চলে এসেছে। যে অধিকারের প্রত্যাশা আপনি করছেন, সেটি কি আল্লাহ শেষ নবী আর তাঁর বাণীর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে নাজেল করবেন? না কি তথাকথিত 'মুসলিম নারীবাদী'রা কোরান-সুন্নাহর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করার দায়িত্ব নেবেন?

আমি আপনার এই লেখার মূল সুরের সাথে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু আপনি বলছেন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের তুলনায় নারীকে বেশি অধিকার দিয়েছে। এটি আপনি এভিডেন্স / রেফারেন্স না এনেই বলেছেন। কাজেই আপনার সাথে এই জায়গাতে দ্বিমত পোষণ করছি।

মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে নারীর অবস্থান বিবেচনা করে এটুকু উপসংহারে পৌছেছি যে মুসলমান পিতৃতন্ত্রের চেয়ে উগ্রতম পিতৃতন্ত্র একবিংশ শতাব্দীতে আর নেই। নারী ও পুরুষের সম্পর্ককে ইসলাম প্রভু ও দাসীর সম্পর্কে পর্যবসিত করেছে।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

guesr_writer rajkonya এর ছবি

কিন্তু আপনি বলছেন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের তুলনায় নারীকে বেশি অধিকার দিয়েছে। এটি আপনি এভিডেন্স / রেফারেন্স না এনেই বলেছেন। কাজেই আপনার সাথে এই জায়গাতে দ্বিমত পোষণ করছি।

এখন তো আমাকে গবেষণায় নেমে যেতে হবে দেখছি। মন খারাপ কেন যে এই কথা বলতে গেলাম! মন খারাপ
বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে আসলে কোন ধর্মে নারীকে সবচেয়ে বেশি অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটা আগ্রহী কেউ সঠিক তথ্য দিলেই জানা যাবে। আপনি নিজেও তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে পারেন।

সেই ধর্মেই নারীকে অধিকার বেশি দেওয়া হোক না কেন, কোন ধর্মেই কিন্তু নারীকে ঠিক পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয় নি। অবদমিত করে রাখার চেষ্টা আছে। এজন্যই আমি বলি পুরুষতন্ত্র নারীর উপর নারাজ হলেই আল্লাহ নারাজ (নারীর প্রতি) হয়ে যায়।

পশচিমা বিশ্বে নারীরা অনেক স্বাধীন। কারণ সেখানে ধর্ম মানুক না মানুক, আইন অনেক কঠিন। তাদের সমাজ ব্যবস্থাও নারীর পক্ষে। বিভিন্ন ধরনের এনজিও বা মানবাধিকার সংস্থার সাহায্য তারা পায়, যদি এ ধরনের কোন ভায়োলেন্সের শিকার তারা হয়।

কেউ যদি আল্লাহকে মহান আর উদার মানতে চায়, মানবে। কেউ না চাইলে মানবে না। মানুক বা না মানুক, সেজন্য প্রমাণ দেখাতে হবে কেন? আপনি যে তাঁকে উদার ভাবেন না, সেজন্য কিছু প্রশ্ন আপনার মনে এসেছে। সেগুলো কিন্তু আমারও প্রশ্ন। হাসি এই জন্য মাঝে মাঝে আল্লাহর উপর আমারও রাগ হয়। তবে আমার বিশ্বাসটি একটু অন্যরকম। agnosticও বলতে পারেন। আমি আসলে সেটা ঠিক প্রমাণ দিয়ে বা বলে বোঝাতে পারব না। কাউকে বোঝাতে চাইও না। ওটা একান্ত আমার বিশ্বাস বা অবিশ্বাস হিসেবেই থাকুক।

পাঠক_পদ্মজা এর ছবি

মানুষ ইচ্ছেমত ধর্ম ধর্ষন করে। সমাজ নিয়ন্ত্রক বা পুরুষ প্রয়োজন মাফিক এই কাজটা সবাই করে।
হ্যা, ইসলাম নারীকে বিবাহ, তালাক, সম্পত্তি সব কিছুতেই অধিকার দিয়েছে। আমাদের কতজন নারী জানেন সেটা। এর মূল কারন, মোল্লারা আমাদের বলে কোরান আরবীতে পড়ো। আল্লাহ খুশি হবে। যে ধর্মের দোহাই দিয়ে এত কিছু, আমরা জানি'ই না তাতে সত্যি কি বলে।
ধর্ম ধর্ষনের আরেক নমুনা সব রেফারেন্স আসে সুরা নিসা থেকে; কেন সুরা তালাক কি দোষ করলো? চোখ টিপি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সুরা নিসার কয়েকটা আয়াতেও আমার মনেও প্রশ্ন এসেছে। সেসব নিয়ে আরেকদিন কথা বলব। হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সুরা নিসার কয়েকটা আয়াতেও আমার মনেও প্রশ্ন এসেছে। সেসব নিয়ে আরেকদিন কথা বলব। হাসি

পাঠক এর ছবি

"কিন্তু স্ত্রী যদি কোন কারণে অনিচ্ছুক হন, তবে তো ফেরেশতারা সারা রাত লানত বর্ষণ করবে। সুতরাং, স্ত্রীরা সেই লানতের ভয়ে আর কোন কিছুতেই অনিচ্ছুক হন না। এভাবেই পুরুষতন্ত্র স্বা্মীদের জন্য ধর্ষণ করা সহজ করে দিয়েছে।"

সেই একই কথা. এই কথাটিকে বিরুদ্ধচারনের কথা বলা হয়েছে, অপারগতার কথা নয়। পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা থাকলে সমোজতা হবে, যুদ্ধ কেন? যারা এটা পারেননা তারা বিবাহের নামে ব্যভিচার করছেন।

"এর মূল কারন, মোল্লারা আমাদের বলে কোরান আরবীতে পড়ো। আল্লাহ খুশি হবে। যে ধর্মের দোহাই দিয়ে এত কিছু, আমরা জানি'ই না তাতে সত্যি কি বলে"।

সম্পুর্ণ একমত. দেশের ৯৫% মুসলমানই কুরআন পড়ে কিন্তু তার অর্থ বোঝে না। আর আমাদের দেশের তথাকথিত মোল্লারা এর সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামত ফতোয়া তৈরী করছে। আমি নিজেও এই ব্যপারে অকাট মূর্খ ইয়ে, মানে... । কিন্তূ্ আমি চেষ্টা করি ইতিবাচক চোখে দেখার।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এই কথাটিকে বিরুদ্ধচারনের কথা বলা হয়েছে, অপারগতার কথা নয়।

ঠিক, বিরুদ্ধচারনই তো করা হচ্ছে। কেননা, এই হাদিসটি নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন মূল্য দেয় নি। নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে মূল্য না দেওয়া যেকোন বক্তব্য, সেটা হাদিসই হোক আর যাই হোক, সেটার বিরুদ্ধে তো নারী জেগে উঠতেই পারে! শুধু নারী কেন? যেকোন বিবেকবান মানুষই তা করবে।

পাঠক এর ছবি

দেখুন আপনি কিন্তূ আবারো নেতিবাচক দৃস্টিতে দেখছেন. যে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সুসম সম্পর্ক থাকবে তাদের মধ্যে এমন পরিস্থতি সৃস্টি হবার কথা না। বিয়ে একটি পবিত্র সম্পর্ক এবং তা বজায় রাখার দায়িত্ব পুরুষ-নারী দুজনের সমান। এটা ঠিক যে ইসলামে পুরুষদের নারী অপেক্ষা বেশী প্রাধান্য এবং স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তূ সম্মান-অধিাকার কিন্তূ সমান। আপনি পশ্চিমা বিশ্ব পর্যালোচনা করে দেখুন, সেখানে তো নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। কিন্তূ সেখানেই নারীরা আরো বেশী নির্যাতিত হয়। নারী ঘটিত অপরাধ আকাশ ছোয়া। ইসলাম হয়তো এইসব কারনেই নারী স্বাধীনতায় রাস টেনেছে। আমি-আপনি মানি আর না মানি... এই দুনিয়া পুরুষ শাসিত আর সব পুরুষের মাঝেই এক দানব হিস্র খুধার্ত বাঘ বাস করে। নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

**আমি লেখক বা আপনাদের মতো বিঙ্গ নিই. সাধারন চিন্তাধারার অতিসাধারন মানুষ. কিছু ভুল বলে থাকলে ক্ষমা করবেন।**

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সুসম সম্পর্ক থাকবে তাদের মধ্যে এমন পরিস্থতি সৃস্টি হবার কথা না।

যেখানে স্ত্রীর নিজের ইচ্চা-অনিচ্ছার কোন প্রকাশ থাকে না, সেখানে আপনি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সুসম সম্পর্ক থাকবে এমন আশা করেন কী করে?

ইসলাম হয়তো এইসব কারনেই নারী স্বাধীনতায় রাস টেনেছে।

আল্লাহ তো সব জানেন। তিনি যদি জানেন, নারীকে অধিকার দিলে এত সমস্যা হবে, তাহলে তিনি কেনই বা কিছু অধিকার দিতে গেলেন আর কিছু অধিকার দিলেন না? নারীকে তো তাহলে কোন অধিকারই দেওয়া উচিত নয়। যেই নারীকে তিনি মায়ের সম্মান দিয়েছেন, তাকে তিনি এভাবে অসম্মান করবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না।

কবে আমরা নারী বা পুরুষ না হয়ে মানুষ হতে পারব? আল্লাহ কি কোন মানুষ সৃষ্টি করেন নি? আমি তা বিশ্বাস করি না।

নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

এখানে মানবিক অধিকারের কথাই বলা হচ্ছে। কাঁচা মাংস নাড়ানোর কথা বলা হয় নি। আর যে নারী তার কাঁচা মাংস নাড়ায় তাকে তো পুরুষতন্ত্রকে খুশি করতে, পুরুষতন্ত্রের ইচ্ছাতেই নাড়াতে হয়।

সব পুরুষের মাঝেই এক দানব হিস্র খুধার্ত বাঘ বাস করে।

শুধু পুরুষ কেন? আমরা সব মানুষই সভ্যতার পোশাকের নিচে হিংস্র পশু। পোশাকটা খুলে ফেল্লেই সেটা বেড়িয়ে আসে।

তানিম এহসান এর ছবি

নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

এখানে মানবিক অধিকারের কথাই বলা হচ্ছে। কাঁচা মাংস নাড়ানোর কথা বলা হয় নি। আর যে নারী তার কাঁচা মাংস নাড়ায় তাকে তো পুরুষতন্ত্রকে খুশি করতে, পুরুষতন্ত্রের ইচ্ছাতেই নাড়াতে হয়।

আমি আপনার এই ভদ্রভাবে উত্তর দেয়া কোনভাবেই মেনে নিতে পারলামনা। একজন নারীকে কাঁচামাংস হিসেবে যে মন্তব্য করে গেলো আপনি তার উত্তর এইভাবে দিলেন! খুবই হতাশ হলাম, খুব!

আপনি আপনার প্রতিমন্তব্যে ”যে নারী তার কাঁচা মাংসা” নাড়ায় - এই কথাটুকু লিখলেন কিভাবে! পোস্টের মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করতে গেলে যদি এত উদারতা চলে আসে আপু, তাহলেতো হবেনা।

কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কারদের সাথে কাজ করেছি, পুরুষতন্ত্রকে খুশী করার জন্য তাদের আঁধার রাতে হেটে যেতে হয়, সেই তারা যখন ফেরার পথে পুরুষতন্ত্রের উদ্দেশ্যে থু থু করে থুতু ফেলে - সেটাকে আপনি কিভাবে দেখবেন! সবার প্রতিবাদের নিজ নিজ ধরন আছে, সব নারী তারমত করে প্রতিবাদ করে, সামাজিক অনুশাষণ আর পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরবতাও তার প্রতিবাদ!

আপু, পশুদের এইসব কথাবার্তায় মানবিক কিংবা উদার থাকলে যে - অন্য কোথাও কোন নারী বিপদে পরে যাবে! সে হয়তো আমার আপনারই কেউ হয়, তাই নাকি?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

তানিম এহসান ভাই, সাধারণত নারী স্বাধীনতার কথা বললেই পাঠকের মত অনেকেই মনে করেন বুঝি নারীদেরকে নগ্ন হবার কথা বলা হচ্ছে। আবার তাদের মতই কেউ কেউ ''শিলা কি জওয়ানি'' (বা কাঁচা মাংস নাড়ানো) দেখতে ভালবাসেন। সত্যি কথা বলতে কি ''কাঁচা মাংস নাড়ানো'' এই রকম একটি অশ্লীল কথা শুনে আমি হতভম্বই হয়ে গিয়েছিলাম। সেক্স ওয়ার্কারদের কথাটা তখন মাথাতেই আসেনি। আপনি যে সেক্স ওয়ার্কারদের কথা বললেন, তাকে কি ঐ পেশাটি পুরুষদের কারণেই বেছে নিতে হয় নি? পুরুষেরা চেয়েছিল বলেই কি আজ সে সেক্স ওয়ার্কার নয়?

আমি চেষ্টা করেছি, ভাল ভাবে ঐ ব্যক্তির ভুলটা কোথায় সেটা ধরিয়ে দিতে। তাকে ভুল সংশোধনের সুযোগটা তো দিতে হবে! সেটা আমি তাকে দিলাম। আমি মনে করি, কেউ যদি ভুল করে থাকে, তাকে ভুলটা বুঝতে দেবার সময় দেওয়া উচিত। তা না হলে, সে যে পশু পশুই থেকে যাবে, মানুষ হতে পারবে না।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সবার প্রতিবাদের নিজ নিজ ধরন আছে, সব নারী তারমত করে প্রতিবাদ করে, সামাজিক অনুশাষণ আর পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরবতাও তার প্রতিবাদ!

হেমলক বিষপান করে সেসময়ের আইনকে মেনে নিয়েই সক্রেটিস প্রতিবাদ করেছিলেন।

কাদম্বিনীদের মরিয়াই প্রমাণ করিতে হয় যে সে মরে নাই।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সবার প্রতিবাদের নিজ নিজ ধরন আছে, সব নারী তারমত করে প্রতিবাদ করে, সামাজিক অনুশাষণ আর পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরবতাও তার প্রতিবাদ!

হেমলক বিষপান করে সেসময়ের আইনকে মেনে নিয়েই সক্রেটিস প্রতিবাদ করেছিলেন।

কাদম্বিনীদের মরিয়াই প্রমাণ করিতে হয় যে সে মরে নাই।

আমি আমার নিজের মত কথা বললেই ভালবাসি।

পাঠক এর ছবি

ভাই তানিম, উক্তিটি আমি রুপক অর্থে ব্যবহার করেছি কিন্তূ হয়ত আপনাদের বোঝাতে পরিনি। এটা আমার ব্যর্থতা+মূর্খতা দুটোই হতে পাড়ে। কিন্তূ তার জন্য আপনি যেসব ভাষায় আমাকে ধুলেন তা কি ঠিক? শুধু একটি উক্তির বিচারেই এভাবে এতো নীচে না নামালেও পারতেন। এমন বিচারের কারনেই আমাদের দেশে গনপিটুনিতে নিরাপরাধ মানুষ মারা যায়।

যেসব নারী স্বাধীনতার নামে অর্ধনগ্ন হয়ে পুরুষদের লালিত করে, আজকালকার সিনেমা গুলোতে জখন রগরগে বেডসিন আর নাচ দেখাণো হয় তখন আপনারা বলেন শিল্প। কিন্তূ এই শিল্প কি পুরুষদের প্ররোচিত করছেনা? অধিকারের নামে কি অশালীন হওয়া প্রয়োজন? । আমার দেশের মা বোনরা তাদের অধিকার আদায়ের যুদ্ধে অবশ্যই জয়ী হবে কিন্তূ অধিারের নামে অশালীন কার্যকলাপ করে তা কতদুর সম্ভব তা আমার বোধগম্য নয়।

রাজকন্যা: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ভুলগুলো শালীন ভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য। । আমার ভাষা প্রকাশের ক্ষমতা শূন্যের কোঠায়। তাই আবারো ক্ষমা চাইলাম। তাই বলে আমি এতটা পিশাচ নই যতটা তানিম ভাই ব্যক্ষা করলেন। নাম দিয়ে দিলাম জাতে গালি দিতে সুবিধা হয়।

শিপলু

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যেসব নারী স্বাধীনতার নামে অর্ধনগ্ন হয়ে পুরুষদের লালিত করে

ওরা নারী স্বাধীনতা সেটাই বোঝে না।

রগরগে বেডসিন, অশ্লীল নাচ অথবা পর্নোগ্রফি, এগুলোকে কখনোই তো শিল্প বলা হয় নি! আর এসব দেখে যারা প্ররোচিত হচ্ছে, তারাই তো নারীকে পূর্ণ মর্যাদা দিচ্ছে না। তাদের কাছেই নারী ''কাঁচা মাংস'' ছাড়া আর কিছুই নয়।

তানিম এহসান এর ছবি

উহু, এত সহজে ভবি ভুলবেনা। ফেলে আসা জীবন আমাকে এত সহজে ’কাঁচা মাংস’ রুপক অর্থে মেনে নিতে দেবেনা। এইসব বিষয়ে ছাড় দিতে গেলেই পশুরা কতটা সুযোগ খোঁজে তার প্রমাণ জাবি’র ইতিহাসে লেখা আছে। শুরুতেই ’হয়তো ঠিক নয়’, ’হয়তো গুজব’ করে বেশি ছাড় দেয়া হয়েছিলো বলেই আরো বেশি সংখ্যক ধর্ষন ঘটেছিলো। প্রথমেই কোনকিছু চিন্তা না করে শিক্ষা দিয়ে দিলেই আজকে আমাদের ঘুম হতো নির্ভার। যারা ধর্ষন করে তারা করে ফেলে কারন সে পশু, আর যারা পাশে দাড়িয়ে পাহারা দেয় কিংবা সেটা নিয়ে মজা পায় তারা আরো বড় পশু - এই ধরনের মানুষেদের কাছ থেকে দেখেছি - চরম ভদ্র, শালীন অশালীন নিয়ে তর্ক করেছে তারপর সুযোগ পাওয়া মাত্র নিজের চেহারা দেখিয়েছে। পশুদের উচিত শিক্ষা একদম প্রথমেই দিয়ে দিলে সবচাইতে ভালো, তখন অন্তুত পরবর্তী সৎকর্ম করার আগে সে চৌদ্দবার ভাবে - কারো না কারো জীবন বাঁচে। বরং রুপক অর্থে কেউ মানুষকে এইভাবে ভাবতে পারে এটা ভাবতেই আমার ঘেন্না পাচ্ছে। যুক্তি দিয়ে পশুর পশুত্ব ঠিক করা যায়না। এই একটা কমেন্টই যথেষ্ট, ফেয়ার এনাফ! এই কারনেই নিরপরাধ মানুষ গণপিটুনীতে মারা যায় মেনে নিতে আপত্তি আছে, সেটা ভিন্ন আলোচনা - এইসব ভিংভাং কথা বলে লাভ নাই।

শিলা কি জওয়ানি, শিল্প আর কাঁচা মাংস? নাচের মুদ্রা বাদ দিয়ে শরীরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে জিভ বেয়ে যদি লোল পড়ে তাহলে নিজেকে ঠিক করে নেয়ার প্রয়োজন আছে। চোখ দিয়ে পুরুষেরা ধর্ষন করে বলেই আমার নারী বন্ধুরা সবসময় বলতো, আদ্রতা কোন সমস্যা হয়না, সমস্যা করেনা প্রবল শীত, বর্ষা কিংবা গণগণে রোদ, সমস্যা করে চোখ - সেই চোখের প্রবল অত্যাচারে ধর্ষিত নারীরা কাপড় গায়ে থাকলেও ধর্ষিত হয় আর নাচতে গেলেও ধর্ষিত হয় - পার্থক্য শুধু চোখের ব্যবহারে।

আমি কি করে বুঝবো এই নামধারি মহামতি কেউ একজন ’পাঠক’ নামে মাংস আমদানী করেছিলেন এই পোস্টটিতে? সচল মডারেটরদের অনুরোধ করছি, আমাকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সহায়তা করার জন্য। যদি মডারেটররা আমাকে বলেন যে একই ব্যক্তি, আমাকে প্রমানসহ মানতে হবে ”শিপলু” পিশাচ নয়। সীমারেখা একবার যখন পেরিয়েছি, তাতে ভুল মেনে নেয়ার আগে নিজের কাছে কনভিন্সড হওয়ার দরকার আছে। এবং যদি সত্যি সত্যি জানতে পারি যে তার ”বোধে” গন্ডগোল আছে, কোনকথা কিভাবে বলতে হয় তাই নিয়ে তার সমস্যা আছে তাহলে আমার সর্বোচ্চ যা করনীয় আমি করবো। কিন্তু আমি চাইছি তা যেন সত্যি না হয় - তখন শুধুমাত্র তাকে জামাতিদের সাথে মিশিয়ে ফেলার অপরাধবোধ আমাকে আজীবন তাড়া করে ফিরবে।

জামাতিদের গালি দিয়েছি, আবারো দেব, কোন ছাড় নাই, ছাড় কোনদিন ছিলোওনা। ঘৃনা এইক্ষেত্রে শক্ত চোয়ালে কনস্ট্যান্ট!

তানিম এহসান এর ছবি

নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

এখানে মানবিক অধিকারের কথাই বলা হচ্ছে। কাঁচা মাংস নাড়ানোর কথা বলা হয় নি। আর যে নারী তার কাঁচা মাংস নাড়ায় তাকে তো পুরুষতন্ত্রকে খুশি করতে, পুরুষতন্ত্রের ইচ্ছাতেই নাড়াতে হয়।

আমি আপনার এই ভদ্রভাবে উত্তর দেয়া কোনভাবেই মেনে নিতে পারলামনা। একজন নারীকে কাঁচামাংস হিসেবে যে মন্তব্য করে গেলো আপনি তার উত্তর এইভাবে দিলেন! খুবই হতাশ হলাম, খুব!

আপনি আপনার প্রতিমন্তব্যে ”যে নারী তার কাঁচা মাংসা” নাড়ায় - এই কথাটুকু লিখলেন কিভাবে! পোস্টের মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করতে গেলে যদি এত উদারতা চলে আসে আপু, তাহলেতো হবেনা।

কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কারদের সাথে কাজ করেছি, পুরুষতন্ত্রকে খুশী করার জন্য তাদের আঁধার রাতে হেটে যেতে হয়, সেই তারা যখন ফেরার পথে পুরুষতন্ত্রের উদ্দেশ্যে থু থু করে থুতু ফেলে - সেটাকে আপনি কিভাবে দেখবেন! সবার প্রতিবাদের নিজ নিজ ধরন আছে, সব নারী তারমত করে প্রতিবাদ করে, সামাজিক অনুশাষণ আর পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরবতাও তার প্রতিবাদ!

আপু, পশুদের এইসব কথাবার্তায় মানবিক কিংবা উদার থাকলে যে - অন্য কোথাও কোন নারী বিপদে পরে যাবে! সে হয়তো আমার আপনারই কেউ হয়, তাই নাকি?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনি পশ্চিমা বিশ্ব পর্যালোচনা করে দেখুন, সেখানে তো নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। কিন্তূ সেখানেই নারীরা আরো বেশী নির্যাতিত হয়। নারী ঘটিত অপরাধ আকাশ ছোয়া।

আপনার পরিচিত যারা পশ্চিমা দেশে বাস করেন, তাদের কাছ থেকে আপনি শুনে দেখুন এই কথাটার সত্যতা কতটুকু। http://www.nationmaster.com/graph/cri_rap_percap-crime-rapes-per-capita

যদিও এই লিঙ্কে বাংলাদেশের কোন পরিসংখ্যান নেই। তা দেখে আবার ভেবে বসবেন না যে, এই দেশে রেপ হয় না, মেয়েরা নির্যাতিত হয় না।

আপনি বললেন,

ঠিক যে ইসলামে পুরুষদের নারী অপেক্ষা বেশী প্রাধান্য এবং স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তূ সম্মান-অধিাকার কিন্তূ সমান।

তাই যদি হয়, তবে নারীর নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য কেন ঐ হাদিসে দেওয়া হয় নি?

আবার আপনিই বললেন,

ইসলাম হয়তো এইসব কারনেই নারী স্বাধীনতায় রাস টেনেছে।

সম্মান-অধিাকার সমান হলে নারী স্বাধীনতায় রাস টানার যৌক্তিকতা কী বুঝতে পারছি না।

তানিম এহসান এর ছবি

নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

মাঝে মাঝে কিছু কথাবার্তা শুনলে প্রথমে তব্দা লাগে, মনে হয় কাছেধারে কোথাও হাপরের বাইরাবাইরি চলতাছে আর তার আগুন বেদিশা হয়া মাথার ভেতর আসে আর যায়। মাঝে মাঝে আমি দেখি আমার ভদ্রতাবোধ পুরাই লোপ পেয়ে যাক এই প্রত্যাশায় আমি ব্যাকুল হয়ে উঠি।

মাঝে মাঝে গালি ছাড়া কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। বাপের হোগা দিয়ে যারা বাইর হয় তাদের কাছে মা, মেয়ে কিংবা যেকোন নারী বাজারের মাংসের চাইতে বেশিকিছু হয়না বলে তাদের কাছে সব মাংস সমান, এমনকি গরু-ছাগল-কুকুর!

সামনে পাইলে তোরে পিটাইতাম, নাম-ধাম নাই, কিন্তু জামাতি বেজন্মার গন্ধ পাইতেছি নাকে, এত পষ্ট গন্ধ বহুদিন পাইনা। শালা ঘাপটি মারা বেজন্মার দল, তোগো মায়েরাও তোদের কাছে নিরাপদ থাকেনা মাদারচোদের বাচ্চারা, তোগো গোআযম বাপের হোগায় চুমা দিয়া মাংস খোঁজ বেজন্মার বাচ্চা

সচলের মডারেটররা কি এদের নাম ধাম বের করতে পারেনা? এরা এইভাবে “পাঠক” নাম নিয়ে এসে মন্তব্য করে যায়, আজকে মন্তব্য করে যাচ্ছে কাল সামনে এসে ধরবে। আমিতো চিনিনা, আমি চিনে নিতে চাই। আমি চিনে নিতে চাই কারন আমার পরবর্তী প্রজন্মকে আমি জানিয়ে যেতে চাই সে কার সাথে হাত মেলাবে আর কার সাথে মেলাবেনা।

নির্দিষ্টভাবে এইসব তথাকথিত ”পাঠকের” নামের আড়ালের পশুদের নাম প্রকাশ করা হোক। সামাজিক বয়কট শুরু হোক এখান থেকে। সবাই বলতে পারে যে নাম প্রকাশ হবে এই ভয়ে অনেকেই মন্তব্য করবেনা কিন্তু সেই ভয়ে সবাই ভীত হবেনা এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। দিস ইজ সিম্পলি রিড্ডিকিউলাস!

এত উদার হলে চাপাতির কোপ ঘরে এসে পৌছাবে, এত উদারতা সচলের মানায়না। আর যদি এত উদারতাই মূল মন্ত্র হয়ে থাকে তাহলে এই ইস্যূতে আমি কোনভাবেই কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নই। সরি, কবিতা লেখার দরকার নেই আমার, আমি আমার কাছে পষ্ট থাকতে চাই।

এত উদার হলে আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের যে ক্ষতিটা আমরা করে যাবো তার কতটা আমরা বুঝছি!! জেগে উঠুন!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

গালাগালি কোন সমাধান নয়। গালাগালি করে তানিম এহসান ভাই কিছু ''পাঠক''কে আপনি বেশি পাত্তা দিয়ে দিলেন। কথায় যুক্তি দিলেই তো হয়ে যায়।

পৃথ্বী এর ছবি

এটা ঠিক যে ইসলামে পুরুষদের নারী অপেক্ষা বেশী প্রাধান্য এবং স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তূ সম্মান-অধিাকার কিন্তূ সমান।

সমান অধিকার এক্কেবারে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে!

আপনি পশ্চিমা বিশ্ব পর্যালোচনা করে দেখুন, সেখানে তো নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। কিন্তূ সেখানেই নারীরা আরো বেশী নির্যাতিত হয়।

এর কারণ পশ্চিমা লোকজনের বুদ্ধি কম। প্রাচ্যদেশে ধর্ষিতাদের ধর্ষিত হওয়ার অপরাধে চাবকানো হয়, কোন নারী স্বামীর হাতে মার খেলে সমাজের রক্তচক্ষু তার উপরই নিক্ষিপ্ত হয়(আপনিই বলেন, স্বামী কি কখনও হুদা কামে পিডাপিডি করে?)। তালাকপ্রাপ্ত নারীদের লোকজন আবর্জনার মত ট্রীট করে। আমাদের অভিধানে তো "ম্যারিটাল রেইপ" এর অস্তিত্বই নাই! এহেন গুণধর সমাজে মেয়েরা দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হওয়ার জন্য কখনওই পুলিশ কিংবা কনসার্ন্ড অথরিটির কাছে রিপোর্ট করে না। সঙ্গতকারণেই জরিপগুলো দেখলে মনে হয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য যেন স্বর্গরাজ্য! পশ্চিমাদের যদি বুদ্ধি থাকত, ওরা আমাদের মত এসব ট্যাকটিক গ্রহণ করত- ভুক্তভোগীকে চুপ করালেই সব অপরাধ হাপিশ হয়ে যায়!

নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

**আমি লেখক বা আপনাদের মতো বিঙ্গ নিই. সাধারন চিন্তাধারার অতিসাধারন মানুষ. কিছু ভুল বলে থাকলে ক্ষমা করবেন।**

দেশের "সাধারণ চিন্তাধারার অতিসাধারণ মানুষ" যখন এরকম চিন্তা করে, তখন ধর্ষণের কেইসগুলো আর অত বিভৎষ মনে হয় না। এদেশে যে সেকেন্ডে সেকেন্ডে মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে না, এটাই বরং চিন্তার বিষয়।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমাদের অভিধানে তো "ম্যারিটাল রেইপ" এর অস্তিত্বই নাই!

কেন হবে বলুন? কমপক্ষে ৪জন সাক্ষী যতক্ষণ না আপনাকে বলছে এটা রেপ, ততক্ষণ আপনি কীভাবে এটাকে রেপ বলবেন? স্বামী যখন রেপ করে স্ত্রীকে (বা যেকোন পুরুষ কোন নারীকে) তখন কি সাক্ষী সামনে রেখে করে? তাও আবার ৪ জন? তার চেয়েও বড় কথা ফেরেশতাদের লানতের ভয়ে স্ত্রীরা তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা কিছুই প্রকাশ করতে পারেন না। তাই আমাদের পজেটিভ চিন্তার পুরুষেরা ভাবেন ধর্ষিত নারীর নিজেরও ইচ্ছা ছিল। কারও অনিচ্ছায় নাকি ধর্ষন করা সম্ভব নয়!

এবার একটু ভিন্ন কথা বলি। একদিন একটি হাদিসে জানলাম নবীজী (স) কখনো আগের বেলার খাবার খেতেন না। যে বেলার খাবার সেই বেলার খাবারই খেতেন। অর্থাৎ টাটকা খাবার খেতেন। আমিও বাসায় ঘোষণা দিলাম, এখন থেকে দুপুরে রান্না করা খাবার রাতে খাব না। আমি সুন্নত পালন করতে চাই। আমার ভাই আমার কথায় পাত্তাই দিল না। আগের যুগে ফ্রিজ ছিল না। তাই হয়ত এই নিয়ম নবীজী পালন করতেন। এখন এইসব সুন্নত পালন না করলেও চলবে।
আরেকটা হাদিস মনে পড়ে গেলঃ তুমি যে হাদিস জানো, তা অন্যকে জানাও। হয়ত অন্য ব্যক্তিটি হাদিসটি তোমার চেয়েও ভাল উপলব্দধিকারী হতে পারে।

আমার মনে হয়, হাদিসগুলো সঠিকভাবে উপলব্দধি করতে পারলেই নারী মুক্তি সম্ভব হবে।

সুমন তুরহান এর ছবি

আমার মনে হয়, হাদিসগুলো সঠিকভাবে উপলব্দধি করতে পারলেই নারী মুক্তি সম্ভব হবে।

আমি নিচের হাদিসগুলো আবার পড়লাম এবং আপনার কথামতো উপলব্ধি করার চেষ্টা করলাম। আমার মতামত পাল্টালো না।

১।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৪২:
"ওমর বিন খাত্তাব বলেছেন: নবী (দঃ) বলেছেন, - কোন স্বামীকে (পরকালে) প্রশ্ন করা হবে না কেন সে বৌকে পিটিয়েছিল"।

২।
সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:
"আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।"

৩।
সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩:
"উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।"

৪।
সহিহ্ বোখারি, ভলুম ১, হাদিস ৩০১:
"আবু সাইদ আল খুদরী বলেছেন:- একদিন নবী (দঃ) ঈদের নামাজের জন্য মাসাল্লাতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু নারীদের সামনে দিয়ে যাবার সময় তিনি বললেন, “তোমরা সদকা দাও, কেননা আমি দোজখের আগুনে বেশীর ভাগ নারীদেরই পুড়তে দেখেছি”। তারা বলল:-“এর কারণ কি, ইয়া রসুলুল্লাহ?” তিনি বললেন:-“তোমরা অভিশাপ দাও এবং তোমাদের স্বামীদের প্রতি তোমরা অকৃতজ্ঞ। ধর্মে আর বুদ্ধিতে তোমাদের চেয়ে খাটো আমি আর কাউকে দেখিনি। একজন বুদ্ধিমান সংযমী পুরুষকে তোমাদের কেউ কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে”। তারা বলল:- “ইয়া রসুলুল্লাহ! ধর্মে আর বুদ্ধিতে আমরা খাটো কেন?” তিনি বললেন: “দু’জন নারীর সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সমান নয়?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন: “এটাই হল বুদ্ধির ঘাটতি। এটা কি সত্যি নয় যে মাসিক-এর সময় নারীরা নামাজ এবং রোজা করতে পারে না?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন: “এটাই হল ধর্মে ঘাটতি”।"

৫।
সুনান আবু দাউদ ১১ খণ্ড, হাদিস ২১৫৫:
"আবদুল্লা বিন আম’র বিন আ’স বলছেন: ‘নবী (দঃ) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ দাস-দাসী কিনলে বা বিয়ে করলে তাকে বলতে হবে- ও আল্লাহ! আমি এর স্বভাব চরিত্রে ভালো কিছুর জন্য তোমার কাছে প্রার্থনা করি। আর এর চরিত্রের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। কেউ উট কিনলেও তাকে উটের কুঁজো ধরে এ কথা বলতে হবে"।

৬।
সহিহ্ বোখারী ভল্যুম ৫,৭০৯:
"সাহাবী আবু বাকরা বলছেন, নবী (দঃ) বলেছেন যে, যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে, সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না।"

৭।
সহিহ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ৩২৪০:
"জাবির বলেছেন: আল্লাহর নবী (দঃ) একদিন এক স্ত্রীলোক দেখে তাঁর স্ত্রী জয়নাবের কাছে এলেন, সে তখন একটা চামড়া পাকা করছিল। তিনি তার সাথে সহবাস করলেন। তারপর তিনি তাঁর সাহাবীদের কাছে গিয়ে বললেন- নারী শয়তানের রূপে আসে, শয়তানের রূপে যায়। তাই তোমাদের মধ্যে কেউ কোন নারীকে দেখলে নিজের স্ত্রীর কাছে যাবে, তাতে তার মনের অনুভূতি দুর হবে।"

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হুম হাদিসগুলো পড়লাম। অনেকগুলোই আমার আগে জানা ছিল না। এগুলো পড়ে যা উপলব্দধি করতে পারলাম, পুরুষতন্ত্রের নারীকে অবদমিত করে রাখার ইচ্ছাই প্রকাশ পেয়েছে।

ঐযে একটা হাদিস আমি আগের মন্তব্যে দিয়েছিলাম, নবীজী (স) একবেলার খাবার আরেকবেলায় খাওয়াটাকে পছন্দ করতেন না। এখন এই বেলায় এসে আমিও যদি ভাবি দুপুরের রান্না করা খাবার রাতে খাব না, তাহলে তো মহা ভজঘট। সারারক্ষণ শুধু রান্না করার কথাই ভাবতে হবে। প্রতিবেলার খাবার রান্না করার মত এত সময় কই আমার? ফ্রিজটা আছে কি জন্য? সুতরাং আমি হাদিসটা উপল্বদ্ধি করে যা বুঝলাম, এই সুন্নত আমার পালন না করলেও চলবে।

সুমন তুরহান এর ছবি

এটা ঠিক যে ইসলামে পুরুষদের নারী অপেক্ষা বেশী প্রাধান্য এবং স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তূ সম্মান-অধিাকার কিন্তূ সমান।

আপনার কথার মাঝে কী বিশাল স্ববিরোধীতা, আপনি নিজেই আরেকবার পড়ে দেখুন। (আর এই নিন ইসলামে নারী অধিকারের লিস্টি।)

আপনি লিখেছেন:

আপনি পশ্চিমা বিশ্ব পর্যালোচনা করে দেখুন, সেখানে তো নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। কিন্তূ সেখানেই নারীরা আরো বেশী নির্যাতিত হয়। নারী ঘটিত অপরাধ আকাশ ছোয়া। ইসলাম হয়তো এইসব কারনেই নারী স্বাধীনতায় রাস টেনেছে।

পশ্চিমে নারীদের তুলনামূলক অবস্থা নিয়ে আপনার এই মন্তব্যটিকে নরমভাবে 'অসত্য' আর কড়াভাবে 'মিথ্যা অপপ্রচার' বলা যেতে পারে। আপনি যেহেতু বলেছেন পশ্চিমের নারীরা 'আরো বেশি নির্যাতিত হয়', তাই ধরে নিচ্ছি আপনি তুলনাটি করেছেন প্রাচ্য/মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সাপেক্ষে।

আচ্ছা বেশ, আপনি এই কান্ট্রি রেটিংটা দেখুন তো; এবার বলুন তো নারীর অবস্থা কোথায় কেমন?

পশ্চিমের তুলনায় ইসলাম-অধ্যুষিত দেশেই যে মেয়েরা বেশি অত্যাচারিত, তার একটা উদাহরণ হিসাবে দেখুন 'অনার কিলিং' এর ব্যাপারটি। উইকি থেকে, জাতিসংঘের বক্তব্য -

"The report of the Special Rapporteur... concerning cultural practices in the family that are violent towards women (E/CN.4/2002/83), indicated that honour killings had been reported in Egypt, Jordan, Lebanon, Morocco, Pakistan, the Syrian Arab Republic, Turkey, Yemen, and other Mediterranean and Persian Gulf countries, and that they had also taken place in western countries such as France, Germany and the United Kingdom, within migrant communities."

আপনি আরো লিখেছেন:

সব পুরুষের মাঝেই এক দানব হিস্র খুধার্ত বাঘ বাস করে। নারীরা স্বাধীনতার নামে সামনে কাচা মাংস নাড়লে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

প্রথমত, আপনার ভাষাটা আপত্তিকর এবং নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতিই অপমানসূচক।

দ্বিতীয়ত, আপনার কথায় মনে হলো- যেহেতু বাঘ মানুষ খায়, সেহেতু বাঘকে আটকে না রেখে মানুষকে খাঁচায় আটকে রাখা উচিৎ, - মানুষেরই সুরক্ষার স্বার্থে। আপনার এই জোকার নায়েকীয় যুক্তি হাস্যকর। একটি নারী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, এখন তাকে দেখে লম্পট পুরুষের কামস্পৃহা জাগলো; তো এক্ষেত্রে ঐ পুরুষকে খাঁচাবন্দি না করে, বেচারি নারীর স্বাধীনতার গলা টিপে তাকেই বোরখা-হিজাবের খাঁচায় বন্দী করার হুকুম দেয়া হয় কোন যুক্তিতে?

---

(অ.ট.: ভারতবর্ষে নারীপীড়নের আরেক প্রধান কালপ্রিট হচ্ছে হিন্দুধর্ম। তবে সেটি আপনার পশ্চিমা-ভার্সেস-ইসলামি হিসাবের বাইরে। )

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

যথার্থ বলেছেন।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

একটি নারী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, এখন তাকে দেখে লম্পট পুরুষের কামস্পৃহা জাগলো; তো এক্ষেত্রে ঐ পুরুষকে খাঁচাবন্দি না করে, বেচারি নারীর স্বাধীনতার গলা টিপে তাকেই বোরখা-হিজাবের খাঁচায় বন্দী করার হুকুম দেয়া হয় কোন যুক্তিতে?

চলুক

সেটাই। এখন আমি যদি পুরুষদের উপর চাপিয়ে দেই, তোমরা সবাই মাথায় টুপি পরবে, মুখে দাড়ি রাখবে, আর লম্বা জোব্বা পড়বে, তাহলে কেমন হয়?

সুমন তুরহান এর ছবি

সম্পুর্ণ একমত. দেশের ৯৫% মুসলমানই কুরআন পড়ে কিন্তু তার অর্থ বোঝে না। আর আমাদের দেশের তথাকথিত মোল্লারা এর সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামত ফতোয়া তৈরী করছে।

আপনি নিজে পড়েছেন কি? না পড়ে আগে আগে 'ইতিবাচক' হয়ে গেলেন? নাকি এখানে আপনার অন্ধবিশ্বাস কাজ করছে?

আপনার হাতে অন্য কোনো ধর্মের ধর্মগ্রন্থ তুলে দেয়া হলে আপনি কি সেই বইটির ব্যাপারে
সমানভাবে 'ইতিবাচক' হতেন?

আমি নিজেও এই ব্যপারে অকাট মূর্খ

আপনি নিজেই ধর্মগ্রন্থ ঘেঁটে দেখুন না!

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনি পশ্চিমা বিশ্ব পর্যালোচনা করে দেখুন, সেখানে তো নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। কিন্তূ সেখানেই নারীরা আরো বেশী নির্যাতিত হয়। নারী ঘটিত অপরাধ আকাশ ছোয়া।

আমি যতসূর জানি, তথ্যটি সঠিক নয়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

দেড়শ কমেন্ট!!!

মাহবুব  এর ছবি

কমেন্ট তুমি পথ হারাইয়াছ

শুরু হল কই
আর
শেষ হল যথারীতি আ লীগ বিএন পি মার্কা কিংবা নারীবাদ পুরুষ তন্ত্র , ধর্ম বনাম ধর্মহীনতার তর্কে (বিতর্কে নয় কু তর্কে)

ধর্ম সমাজ আইন কোনটাইআমরা বাদ দিতে পারব না ব্যতক্তগত , পারিবারিক , নাগরিক জীবনে সুতরাং সবার সমন্বয়ে সর্বাধিক কল্যাণকর একটা অবস্থার কথা চিন্তা করা কি খুব কঠিন

guesr_writer rajkonya এর ছবি

কমেন্টে যদি ধর্ম নিয়ে কিছু কথা আসে, তবে সেটা নিয়ে বলার সুযোগ তো মনে হয় আমিই তৈরি করে দিয়েছি। শুধু ধর্ম কেন মানবিক অধিকার নিয়েও কথা চলতে পারে। আর সেজন্য এটা কুতর্ক বলার কোন যুক্তি তো দেখতে পাচ্ছি না!

ধর্ম সমাজ আইন কোনটাইআমরা বাদ দিতে পারব না ব্যতক্তগত , পারিবারিক , নাগরিক জীবনে সুতরাং সবার সমন্বয়ে সর্বাধিক কল্যাণকর একটা অবস্থার কথা চিন্তা করা কি খুব কঠিন

না, কঠিন নয়। শুধু নারীকে মানুষ ভাবলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ঐটুকু ভাবতেই আমাদের এত আপত্তি।

পাঠক এর ছবি

একটি সহজ সমাধান...”যার যার ধর্মের ভালো দিকগুলো গ্রহন করি, যেটা খারাপ মনে হয় তা বর্জন করি”। আমাদের ব্যর্থতা কি জানেন? আমরা শুধু ধর্মের সমালোচনা করি, কিন্তূ ভালো দিকগুলো কতটুকু পালন করি বা অন্যকে বলি??

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যেটা খারাপ মনে হয় তা বর্জন করি”।

এটাই যেন আমরা করি। কারো উপর কোন কিছু যেন ধর্মের নামে চাপিয়ে দেওয়া না হয়।

”যার যার ধর্মের ভালো দিকগুলো গ্রহন করি

এটা করতে আপত্তি থাকার কথা নয় কারওই।

ধন্যবাদ।

দুর্দান্ত এর ছবি

টি এল সির একটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক গানের কথা মনে হল।
এখানেও বাঁচতে হলে জানতে হবে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হুম।
ধন্যবাদ।

পাঠক এর ছবি

শ্রদ্ধা

guesr_writer rajkonya এর ছবি

লইজ্জা লাগে

ভালোবাসার বাঁধন  এর ছবি

আমার এক পরিচিত পরিবার আছে, তো কর্তা রে দেখলাম কোন কাজ কাম করে না, বেশিরভাগ সময় গঞ্জিকা সেবন করে মাঝে মধ্যে মনে চাইলে রিক্সা চালায়। বউর দিন মজুরের টাকায় সংসার চলে। তো কর্তার ভাব দেখলে মনে হয় নবাব সলিমুল্লাহর ছোট ছেলে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

কী মন্তব্য করা যায়, তাই ভাবছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।