আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৫)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৯/২০১১ - ১২:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

**আগের লেখাতেই সিরিজটা শেষ করে দিবো ভাবলেও পাঠকের দাবীর কাছে নতি স্বীকার করে লিখে ফেললাম আরো একটা পর্ব……গত চারটা পর্বেই অব্যাহতভাবে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য আমি (এক নবীন লেখক) আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সকল পাঠকের প্রতিই--যাদের ভালো লেগেছে এবং যাদের ভালো লাগে নাই……**

আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(১) (২) (৩) (৪)

আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৫)

এই তো সেদিন- খুব হন্তদন্ত হয়েই বুয়েট মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম। ফ্যাকাল্টি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। মিস করা যায় না। মাঠের ফুটবল খেলায় খুব একটা পারদর্শী না হলেও (পিসি’র ফিফা’১১ কিন্তু আবার কোপায়া খেলি!) আমি আর সাফি দুজনেই দর্শক হিসেবে ফুটবল নিয়ে চরম উৎসাহী পাবলিক। তারপর আবার নিজের ফ্যাকাল্টি ফাইনাল খেলতাছে। কাজেই, যথাসময়ে বুয়েট মাঠে উপস্থিত হয়ে নিজ সেনানীদের উৎসাহদানকে ফরজকর্ম হিসেবেই নিছিলাম। যদিও আমাদের সব হাঁকডাক বিফল করে দিয়ে ওরা শেষপর্যন্ত বিজিত হয়েই মাঠ ছেড়েছিলো। যাই হোক, সেই ম্যাচ আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু না। আমি লিখতে বসেছি আমার পণ্ডিতির ইতিবৃত্তান্ত।

অর্ঘ্য আমার পণ্ডিতি জীবনে পাওয়া স্টুডেন্টদের (লিঙ্গ নির্বিশেষে!) মধ্যে অনেক প্রিয় একজন। সেইসাথে বেশ মেধাবী আর মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন একটা ছেলে। কিন্তু এস,এস,সি আর এইচ,এস,সি-তেই সেই মুক্তবুদ্ধির চর্চায় মজে গিয়ে রেজাল্টটাকে আর সেই পর্যায়ে নেওয়া হয় নি, যে পর্যায়ে সেটা যেতে পারতো বলে আমি মনে হয়েছে। ফেসবুক, মিগ, ব্লগ ছাড়াও অমুক-তমুক ক্লাবে অতিরিক্ত সময় দিতে গিয়ে বইটাকে আর সময় দিতে পারেনি। (বই!---যদিও আমরা বন্ধুমহলে মজার ছলে একে বউ বলে সম্মোধন করে থাকি……বিবাহিতমহলের সকল ওজর-আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই……) ফলশ্রুতিতে, বর্তমানের এই A+, জিপিএ৫ আর গোল্ডেন-জেনুইনের যুগেও দুটো বোর্ড পরীক্ষাতেই ওর রেজাল্ট পড়ে রইলো সাড়ে চারের ঘরে। প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কোনো ভার্সিটিতেই চান্স পেলো না।(জাবিতে ওয়েটিং লিস্টে থেকেও শেষাবধি ভর্তি হতে পারে নি।) তাই, দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেবার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো। তবে এবার আর শুধু মেডিকেল নয়, ঢাবির জন্যও পড়তে শুরু করলো। কিন্তু ঢাবিতে তো চতুর্থ সাবজেক্ট বাদ দিয়ে গ্রেড হিসেব করে। আর তাতে করে বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্টের উপর মার্কের জায়গাটাতে ও বেশ পিছিয়েই পড়ে। এখন কি উপায়? একটাই উপায়! লিখিত পরিক্ষায় ভালো করা; খুব ভালো করা। আর সে লক্ষ্যেই ও আমার কাছে ম্যাথ-ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি আর ইংলিশ পড়তে শুরু করলো। ওর প্রাণান্তকর চেষ্টা আর আমার কিঞ্চিত সাহায্যে ওর নামটা জায়গা করে নিলো ঢাকা ভার্সিটির প্রথম একশজনে! মনে পড়ে, ও যখন আমাকে ফোন করে রেজাল্টটা জানালো আমার কি যে আনন্দ লাগছিলো। নিজের পরীক্ষার রেজাল্টের পরেও কি এতটা খুশি হয়েছিলাম কিংবা হই? যদিও এই রেজাল্ট মূলতঃ ওর তীব্র অধ্যাবসায় আর মেধার সমন্বিত অর্জন, তবুও মাঝে মাঝে এমনটা ভাবতে ভালোই লাগে যে আমার গাইডেন্সে কেউ একজন আজ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে।

তো, সেদিন বুয়েট মাঠে যাবার পথেই হটাৎ অর্ঘ্যর সাথে দেখা হয়ে গেলো। আসলে দেখা হয়ে গেলো কথাটা কি সেভাবে বলা যায়? আমি এতটাই দ্রুত হাঁটছিলাম যে ওকে খেয়ালই করি নি। কিন্তু ও রাস্তার পাশ থেকে আমাকে দেখেই ডেকে উঠলো, “ভাইয়া…” আমি ফিরে দেখি ও ও,এ,বি(ওল্ড একাডেমিক বিল্ডিং) এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে আবার একজন অপরিচিতাও! তারপরও ও ছুটে আসল। (আমি আমার অনেক ‘নিয়মিত একসাথে চলা’ বন্ধুকেও দেখেছি গার্লফ্রেণ্ড সাথে থাকলে বন্ধুদের ইগনোর করে যেতে…এবং পরে এটা নিয়ে কথা উঠলে এই আচরণের স্বপক্ষে তাদের নানান লজিকও শুনতে হয়েছে…) খুব বেশীক্ষণ না; হয়তো মিনিট পাঁচেক…টুকটাক কথাবার্তায় কুশলাদি বিনিময় হলো।

আপাতদৃষ্টিতে এটা হয়তো বলার মতো তেমন কিছুই না। কিন্তু আমার কাছে যে জিনিসটা ভালো লাগলো এবং বিশিষ্টতা পেলো তা হলো, ওর এই ঔচিত্যবোধটা(কিংবা সৌজন্যবোধ) যে- ভাইয়া আমাকে না দেখলেও আমার উচিত তার সাথে কথা বলা, যেহেতু আমি তাকে দেখেছি এবং তার সাথে কথা বলার মত সুযোগও রয়েছে। অনেকেই হয়তো এ কাজটা করতো না। (যদিও আমি নিজে কখনো কোনো শিক্ষককে দেখেও না দেখার ভান করে গেছি- এমনটা মনে পড়ে না। এটলিস্ট, একটা সালাম হলেও দিয়েছি।) যাই হোক, মেয়েবন্ধুকে দাঁড় করিয়ে রেখেও শিক্ষককে সম্মান জানানোর ব্যাপারে ওর এই শিষ্টাচার আমাকে সেদিন একইসাথে আনন্দিত ও মুগ্ধ করেছিলো।

এ রকমই গর্বের অনুভূতি আরো একবার হয়েছিলো যখন রাদি ক্যাডেটে চান্স পেলো। রাদির বিষয়ে ২য়পর্বে বিস্তারিত লিখেছিলাম। ওর চান্স পাওয়াটা আমার কাছে অনেকটা চ্যালেঞ্জ জয়ের মতো ছিলো। ওকে যতদিন পড়িয়েছি তার বেশীরভাগ দিনই ওর মায়ের হেতুক কিংবা অহেতুক নানা অভিযোগ শুনে যেতে হয়েছিলো। শুধুমাত্র টিউশনির শেষদিন একটা কথা বলে এসেছিলাম, “ও যদি চান্স পায় তাহলে আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। আর যদি চান্স না পায় তাহলে অবশ্যই জানাবেন। ও চান্স পাবে। অবশ্যই পাবে।” পরে দেখা গেলো, রাদি আমাকে ফোন দিয়েছে, কিন্তু সেটা চান্স পেয়েই।

খাওয়ার টেবিলে ইলিশ মাছ আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা আইটেম।(মাছবাজারে নয়, কারণ বাজারের ওই আঁশটে গন্ধটা কেনো যেন আমার ঠিক সহ্য হয় না!) প্রতি নববর্ষের দিনে ইনি আমাদের রসুইঘরের অবশ্য আগমনীয়া একজন। তারপর মায়ের হাতে ইলিশ-ভাজা, সরষে-ইলিশ, দোঁ-পেয়াজা ইত্যাদি নানা আইটেমে রূপান্তর হওয়া। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরেই নববর্ষের দিনটা ঢাকায় কাটছে। ফলে ইলিশ খাওয়াটাও আর সেভাবে জমে না। বলতে পারেন, “কেন? এদিন টি,এস,সি-শাহবাগ ছাড়াও তো সারাদেশ জুড়েই পান্তা-ইলিশের ঝড় নামে। সেহেতু আপনার না জমার কারণ কি??” –কারণ আমি এই একদিনের বাঙ্গালী সাজাটাকে ঠিক সহজভাবে নিতে পারি না। তার মানে এই না যে আমি এর বিপক্ষে, আমি শুধু চাই বাঙ্গালির দেশে-বাংলাদেশীর দেশে বাঙ্গালিয়ানাকে যেন ধারণ করে থাকা যায়, থাকা হয় সারাটা বছর। গ্রামের ছেলে হিসেবে পান্তা আমার শৈশব-কৈশোরের নিত্য আহার ছিলো। আর তাই গরম ভাতে জল ঢেলে জোরাজুরি করে বানানো এই পান্তা আমার মুখে রোচে না। যাই হোক, নববর্ষের পরদিন সকালবেলা অভীককে পড়াতে ওদের বাসায় গেলাম। একসময় পড়ানো শেষ হলো। কিন্তু আজ কোনো নাস্তা এলো না। বেশ অবাকই হলাম। এমনিতে আমার নাস্তা-ভাগ্য বেশ ভালো। এ পর্যন্ত যতগুলো বাসায় পড়াইছি প্রত্যেকেই এ ব্যাপারে বেশ ভদ্রতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু উঠতে গিয়েই ভেতর থেকে হাঁক শুনলাম, “অভীক, টীচারকে বসতে বলো।” শুনে অগত্যা বসে পড়লাম। মনে মনে ভাবলাম, “যাক তাহলে ঠিকই আছে। নিশ্চয়ই কোনো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই বোধহয় এতক্ষণ নাস্তা দিতে পারেননি।” কিন্তু না। আজ আন্টি রুমে অন্যদিনের তুলনায় বেশ বড় একটা ট্রে নিয়ে; সেইসাথে তার পেছন পেছন কাজের মেয়েটার হাতেও আরো একটা ট্রে। বুঝতেই পারছেন বেশ ভালো খাবার-দাবারের আয়োজন। তা কি কি ছিলো সেই আয়োজনে? বাসমতি চালের সাদা ভাত(প্লেইন রাইস!), বেশ বড় একটুকরো ইলিশ-ভাজা, সরষে ইলিশ, মুরগীর রোস্ট আর খাসির ঝালমাংস। আর সবগুলোতেই আন্টির অসাধারণ রন্ধনশৈলীর প্রকাশ। ভদ্রতার তোয়াক্কা কিংবা চক্ষুলজ্জা না করেই খেয়েছিলুম এক্কেবারে গলা অব্দি। তারপর দধি, মিষ্টি আর সফটড্রিংক্স-তিনটাই। আর সেই খাওয়া আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিলো বাড়িতে নববর্ষ করতে না পারার অনেকদিনের জমে থাকা খেদ। (উল্লেখ্য, পড়াতে গিয়েছিলাম সকাল ১১টায়। আর পড়ানো শেষ করতে করতে দুপুর সাড়ে ১২টা বেজে গিয়েছিলো। অর্থাৎ প্রায় লাঞ্চটাইম হয়ে গিয়েছিলো।)

স্কুল পেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই জন্মদিনটা আর সেভাবে(আড়ম্বরে-সাড়ম্বরে) পালন করা হয় না। তবু ভালো লাগে যখন কেউ আমাকে সেই বিশেষ দিনে স্মরণ করে। অন্তর্জালের এ যুগে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সেইকাজ সম্পাদিত হয় এই ‘‘HBD’’ অক্ষরগুলো দিয়ে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে মাঝেমাঝে ঘনিষ্ট বন্ধুবান্ধবের বাইরেও কিছু ফোন-উইশ পাই না যে তা নয়। গেলো জন্মদিনের ঘটনা- রাত বারোটায় ফোন এলো একটা অচেনা নাম্বার থেকে। অনুমান করলাম যে, হয়তো জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই কোনো বন্ধু ফোন করেছে। রিসিভ করলাম। সাথে সাথে ওপাশ থেকে একটা নারীকন্ঠ বলে উঠলো, “হ্যাপী বার্থডে টু ইউ, ভাইয়া…” আমি ধন্যবাদ দিয়েই জিজ্ঞাসা করলাম,

“কে?”
“ভাইয়া, আমি শিখা।”
“শিখা!” আমার কন্ঠে বিস্ময়ের সুর। চিনতে পারছিলাম না ওকে।
“ভাইয়া, আমি অক্সিজেনের শিখা! ঐ যে আপনি আমাদের ম্যাথ ক্লাস নিতেন।’’(O2 নামে একটা একাডেমিক কোচিং সেন্টারে একসময় ক্লাস নিতাম।)
“ও…”

তারপর একথা-ওকথা বলে একসময় ও ফোন রাখলো। আমি তখনও ঠিক মনে করতে পারি নি যে, ও কোন শিখা। এমনকি এখনো জানি না। কিন্তু আমার ভালো লাগলো। O2 তে ক্লাস নেওয়া ছেড়েছি তাও প্রায় ছয়-সাত মাস। অথচ আজ এতদিন পরেও ব্যাচের এতগুলো স্টুডেন্টের মধ্যে অন্ততঃ একজন হলেও আমার জন্মদিনটা মনে রেখেছে। এবং জন্মদিনের প্রথম উইশটা পেলাম তার কাছ থেকেই।

আর তাই…টিউশনি জিনিসটা বোধহয় খুব একটা খারাপ জিনিস না…বরং বেশ ভালোই তো……!!!

এমনি আরো অনেক আনন্দের আর মজার স্মৃতি জমে আছে এই পণ্ডিতজীবনের পরতে পরতে। তার সব হয়তো বলে শেষ করা সম্ভবও নয়। কিছু বললাম, আর বাকিগুলো জমা থেকে গেলো হৃদয়ের গহীনে………

--বাংলামায়ের ছেলে


মন্তব্য

বলাই(যাচাই করা হয়েছে) এর ছবি

মায়ার জালে জড়ানো জীবন। আপনার বার্থডের কথা কোচিংয়ের স্টুডেন্ট কিভাবে জানলো?

এই বিষয়ে লেখা শেষ হলে অন্য বিষয় নিয়েও নিয়মিত লিখেন।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

হুমম...মায়ার জালে জড়ানো...

কোচিং একদিন ওদের অনেক জোরাজুরিতে বলেছিলাম......কিন্তু সেটা যে এতদিন পরেও মনে রাখবে তা আশা করি নাই।

কোচিংয়ের ভাইয়াদের প্রতি স্কুল-কলেজপড়ুয়াদের কিরকম ফ্যান্টাসি কাজ করে সেটা নিয়ে ধারণা না থাকলে ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারবেন না। উদ্ভাস কোচিংয়ের প্রথম সারির যেকোনো টীচারের ফেসবুক একাউন্ট এ ঢুকলেই এর কিছুটা ধারণা পেতে পারেন..................

ধন্যবাদ। ভালো থাকা হোক।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ইলিশ মন খারাপ :( মন খারাপ :( মন খারাপ

...অক্সিজেনের শিখা

হো হো হো

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার ধারাবাহিক। দেশে কখনো টিউশনির অভিজ্ঞতা ছিলনা। কিন্তু এখানে ইউনিতে সামার স্কুলে টিচার ছিলাম, বিদেশী কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা দেখলাম, তারাও টিচারদের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী, টিউশনি জিনিসটা আসলেই মজার

আরিফিন সন্ধি

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

টিউশনি জিনিসটা আসলেই মজার

হাসি

ধন্যবাদ। ভালো থাকা হোক। সাথে থাকা হোক।

বাংলামায়েরছেলে এর ছবি

হাসি

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

আপনি চমৎকার লিখেন। খুব ভালো লেগেছে।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি
বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা।

ভালো আছেন তো?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

যথারীতি... হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

......কি???

চিন্তিত চিন্তিত চিন্তিত

shafi.m এর ছবি

ভাল লিখেছেন। ইলিশ মাছের গন্ধটাই আমার শত্রু, এই গন্ধের কারণেই মাছটারে আপেটিইজিং মনে হ্য় না হাসি (তাছাড়া ইলিশে এলার্জিক আমি)

ব্যামাকেই লিক্তাছে, আমার ব্লকটা (রাইটার্স ব্লক হে হে খাইছে ) কাইটা গ্যলেই লিক্কালামু বইলাক্তাছি। (আপনাদের মত লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না ওঁয়া ওঁয়া তাই আমি পাঠ করে যাই)

শাফি।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দোয়া করি আপনার ব্লক যেন তাড়াতাড়িই কেটে যায়।

সাক্ষী গোপাল এর ছবি

আপনার লেখা একটানে পড়ে ফেলা যায়। পড়ে ভাল লাগলো। সামনে আরও আশা করছি।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

তাই???
শুনে ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ। ভালো থাকা হোক। সাথে থাকা হোক।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনি কোন ব্যাচ ভাই ?? আমারই ফ্যাকাল্টির ছাপ্পড় মনে হচ্চে আপনার পিঠে...

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

আররে রিজওয়ান ভাই.........!!!

আপনেরে আমার ব্লগে কমেন্ট করতে দেখে কি যে ভালো লাগছে। নিজেরে বিশাল বড়ো লেখক মনে হইতাছে হাসি

ভাই......আমি আপনের জুনিয়র। আর...পরিচয়টা সামনাসামনিই বলি?......

ধন্যবাদ।ভালো থাকা হোক।

দিহান এর ছবি

টিউশনি খুবই ভালো জিনিস। স্টুডেন্ট লাইফে ম্যাচুরিটি অর্জন করার সঠিক পন্থা।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

সহমত। হাসি

তবে একটা সীমা পর্যন্ত যাতে অধ্যয়নটা মাইনর না হয়ে যায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।