১.
জানি, তুমি আর আমি আমাদের হাতে
হাতে রঙে রঙ মেখে জীবনের তৈলচিত্র এঁকে
নেবো বলে ক্যানভাসে নেমে আসে ঝড়;
অথচ রাতের সাথে একা হলে পরে
দেখি তেলরঙ মুছে গেছে জলছাপে।
জল এর কাছে ঋণী সখা -
আমাদের মৃৎপাত্র সব!
(পটুয়াখালী, ২৭.০৯.২০১১)
২.
ভালোবেসে শালিকের মত একা হলে টের পাই
হরিণী পৃথিবী তার চোখ থেকে মমতা হারায়;
শালিকের সংখ্যায় ব্যাকরণ গড়েছে পৃথিবী।
আর আমাদের চোখে জল-ছায়া ঘিরে
অসংখ্য খেলা করে হৃদয়ের ঘ্রাণ!
(পটুয়াখালী, ২৭.০৯.২০১১)
৩.
তারপর একদিন সব ঘুম শেষ হলে পরে
আকাশের মেঘগুলো বুঝে নেবে জানি -
পৃথিবীর অনাঘ্রাতা কোন পথ ধরে
যদি কেউ হেটে যায়, তাকে হাতছানি
দিয়ে ডেকে নেবে রাঙা রঙধনু; আর
তার ঘাসে উঠে জেগে বেহুলা শিশির!
(বরিশাল, ৩০.০৯.২০১১)
মন্তব্য
এইযে ভাই চ্রম উদাস, খ্রাপ খ্রাপ কথা বাদ দিয়ে মিষ্টি মুখ করাতে শুরু করেছিলেন, তারপর ময়রার আর কোন খবর নেই! বলি খবর কি?
তানিম ভাই, আধা খ্যাচড়া অনেকগুলো লেখা আছে, শেষ করতে পারছিনা। গত কয়েক সপ্তাহ একটু ব্যস্ত সময় গেছে। দেখি দুই একদিনের মধ্যে একটা লেখা দিবো।
ও তানিম ভাই, উদাস ভাই চরম ক্রুদ্ধ এখন । আসিতেছে উদাস-ভ্রমন...
আসুক তবে
"বেহুলা শিশির"...ভারী সুন্দর তো!
লেখার পর আমার নিজের কাছেই খুব পছন্দ হয়েছে। আপনি এটা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, আপনাকে
অসাধারণ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই। এইবার নিশ্চিত ব্যাকরণে উতরে গেছি শুভেচ্ছা,
শুধুমাত্র এই 'ব্যাকরণ' শব্দটিই খাপছাড়া ঠেকছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
একটুকোমল দৃষ্টিতে দেখবেন কি? মনে হয় ভালো লাগবে, আপনার দেখতে পারার ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করে!
শিল্পের বিচারে নির্মম কিন্তু আন্তরিক ও সৎ হতে হয় বলেই তো জানি! কেন জানি মনে হচ্ছে এই লাইনটিতে তুমি যে ভাবের প্রকাশ ঘটাতে চাচ্ছো, 'ব্যাকরণ' শব্দটির মধ্যে তাকে ধারণ করার মতো গভীরতা নেই। বিষয়টি আরো বেশি স্পষ্ট হলো মৃত্যুময় ঈষৎ-এর মন্তব্যের জবাবে তোমার জবাব/সাফাই পড়ে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
‘ব্যকরণ’ শব্দটির মধ্যে তাকে ধারন করার গভীরতা নেই! দারুন ভাবালেন রোমেল ভাই
বাহ্, খুব ভাল লাগল!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আপনর শিশুটি নিশ্চয়ই এতদিনে আরো বড় হয়েছে, আরো বড় হোক
চমৎকার লাগলো কবি......
'ব্যাকরণ' শব্দটা নিয়ে আরেকবার চিন্তা করতে পারেন কবি। অর্থসহতা একটু কমে গেছে বোধ হয়!!!
_____________________
Give Her Freedom!
উহু, পোস্ট করার আগেও ভেবেছি, রোমেল ভাইয়ের মন্তব্যের পর আরো সিরিয়াসলি ভাবলাম।
এই ব্যাকরন অন্য ব্যাকরন, আমি একে নিয়ম বলতে রাজি নই, আবার ধারণা বললে পুরো বিষয়টা বোঝায়না। একটু চিন্তা করে দেখতো, ওয়ান ফর সরো, টুফর জয় ত্রি ফর ...... এটা কিন্তু পৃথিবীব্যাপি ছড়িয়ে পড়া এবং ছোটবেলাতেও আমরা যেমন এটা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতাম তেম্নি এখনো একটি শালিক দেখলে আমাদের মনে পড়ে, মনে মনে একবার হলেও দ্বিতীয় শালিক খুঁজে বেড়াই। এটা অভ্যেস আর অবচেতন মনের ব্যাকরণ - আমি ধরেই নিয়েছি ব্যাকরনের প্রকারভেদ আছে। পাশাপাশি দেখো এইধরনের অজস্র ধারাপাত আমাদের জীবনকে কিভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে রেখেছে বেধে।
এটা কিন্তু সম্পূর্ণএকটা লাইন, দেখো “দাড়ি” দিয়ে শেষ হয়েছে, আমার লেখায় দাড়ির ব্যবহার খুব কম হয়, খুবই কম, সেখানে একটা দাড়ি দিয়ে আমি সব শেকল পড়ানোর কথা অনুক্ত রেখে দিয়েছি। এখানে ব্যাকরন গ্রামারভিত্তিক রিপ্রেজে›টেশন না কিন্তু সেই গ্রামারভিত্তিক রিপ্রেজেন্টেশন এর জায়গায় পৃথিবী কতটা একচোখা হতে পারে তার কথা বলে যাবে। জানিনা, বোঝাতে পারলাম কিনা। তবুও যদি এটা একটা ঘাটতি হয়েই থাকে তবে তাই হোক, সেটা কেন যেন আরো বেশি ভালো লাগছে।
বিরাট কথাবার্তা বলে ফেললাম মনে হয় .... দেখা হবে, ততদিন প্রশান্তি জুড়াক মনের উঠোন!
এবার যথার্থতা বুঝলাম। আমি দুঃখিত কবি। ব্যাকরণ শব্দটি এখানে ভিন্ন দ্যোতনা দিচ্ছে- বুঝেছি।
_____________________
Give Her Freedom!
কবি মৃত্যুময়ের লেখা চাই! নইলে কবির রক্ষা নাই!!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
নিম্নমানের কবিতা সচলে ছাড়পত্র পায় না। কোন একদিন মানসম্মত কবিতা লিখতে পারলেই পেয়ে যাবেন। আপনাদের কবিতা পড়ে তৃপ্ত-অনুপ্রাণিত হই, প্রিয় কবি। নিয়মিত লিখবেন যেন।
_____________________
Give Her Freedom!
বুড়ো আঙুলে ফুল আর চন্দন
আরে তানিম ভাই কি যে বলেন, এত দারুন লেখার পর ফুল চন্দন আমি নিলে চলবে? ফুল টুল সব আপনার, আমাদের জন্যে খালি আপনার লেখা বরাদ্য রাখেন ব্যাস...
আপনি খুব সুন্দর কবিতা লেখেন, খুব ভালো লেগেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। খুব সম্ভবত এই প্রথম আমার পোস্টে আপনি মন্তব্য করলেন - ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা
২ আর ৩ অসাধারণ লাগল
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কলোনী জীবনের অপেক্ষায় আছি বলে রাখলাম!
এমন স্নিগ্ধ টলটলে শব্দবাক্যসম্ভার পাঠ করে যারপরনাই আপ্লুত হলাম।
জীবনানন্দ দাশকে মনে পড়ে গেলো অনিবার্যভাবে, এড়ানো গেলোনা।
কবিতাগুলো লিখেছেনও তাঁর জন্মস্থানেই।
এ লাইনগুলো অসাধারণ লাগলো। একটা কৌতূহল: ১ নম্বর কবিতায় 'হাতে হাতে'-কে দু লাইনে ছড়িয়ে দিলেন কেন? কোন উদ্দেশ্য? আমার কেন জানি মনে হলো ওরা একসংগে থাকলেই বেশি ভালো দেখাতো।
'শালিক ও ব্যাকরণ'-জনিত প্রসংগটি আমার বেশ ভালোই লাগলো। আর আপনি ঠিকই বলেছেন : ওই বাক্যটির পর যতিচিহ্নটির অবস্থান নিশ্চিতভাবেই নির্দেশ করছে ব্যাকরণের নিগড়ে আবদ্ধ টিপিক্যাল পৃথিবীকে। প্রথম চোটে তেমন যুতসই মনে না হলেও ফিরে ফিরে পাঠ করলে মনোযোগ সেখানে আটকে যাচ্ছে।
অশেষ মুগ্ধতাসহ।
হাত দুইজায়গায় দুইভাবে এসেছে। হাতে হাতে পড়তে পারা যায় তবে একটা হাতে রঙে রঙ মাখার ব্যাপার আছে আরেকটা হাতে আছে তার পথনির্দেশিকা। পাশাপাশি এতে করে মাত্রা ঠিক রাখার সচেতন চেষ্টাও ছিলো! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একসাথে এতো প্রশংসা জড়োসড়ো করে দিলো!
ভালো লাগল। জীবনান্দের প্রিয় শব্দগুলো যে আপনারও খুব প্রিয় বোঝা যায়। আমি নিজেও দুই লাইন লিখতে বসলেও কিছু শব্দ ঠক ঠক করতেই থাকে মনের দরজায়
facebook
এখানে কোন শব্দগুলো খুঁজে পেলেন বলবেন কি? আপনি ভালো থাকবেন। প্রিয় উড়ন্তঘুড়ি, আপনাকে ধন্যবাদ
কবিতার ভালবাসায় একাকার কবির কথকতা। অসাধারণ যথারীতি
ডাকঘর | ছবিঘর
আগরতলার মানুষকে শুভেচ্ছা
অনেক ভালো লেগেছে তানিম ভাই। আপনি কবিতাশৈলীতে একটি বেশ বড় বাঁকবদলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন আর প্রতিনিয়তই অতিক্রম করে যাচ্ছেন নিজেকে। আপনার প্রতিটি লেখা আগের লেখার চেয়ে ভালো হচ্ছে। শুভ কামনা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
সুমন ভাই, কেবলই মনে হয় একদিন আপনার সাথে অবাক জলপান করি
শোনেন কবি তানিম এহসান!
দুইবার পড়ার পরও আপনার কবিতার 'ক'-ও আমি বুঝি নাই।
তারপরো, কোনো এক ব্যাখ্যাতীত কারণে, ভালো লাগে, অনেক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
বাহ। আপনার কবিতা নীরবে পড়ে যাই। খুব স্নিগ্ধ, খুব ছুঁয়ে যাওয়া।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
দিহান আপু, আপনার উৎসাহ এই প্রথম পেলাম, দারুন লাগলো, দারুন ... শিশুদের জন্য আদর
কবিতা একটি চিন্তারেখা..
অথবা বেচে থাকার দীর্ঘ রাস্তা...
.....
আপনার কবিতা পড়লে যা মনে হয়...
মন্তব্যটা ভাবাচ্ছে!
তানিম ভাই, জীবনানন্দরে নিয়া বেশী ভাবতাছো মনে হয়। ওনার বাড়িতে কী গেছিলা?
চলে আসার আগে যাবো! তীব্রতম চাওয়ার কাছাকাছি যেতে ভালো লাগেনা।
নতুন মন্তব্য করুন