তারেক অণুকে খুন করে গুম করে ফেলার ইচ্ছা যে আমার একারই হয়না সেইটা জানি। প্রত্যেকদিন সচলের পাতা খুললেই দেখি ঝর্ণার সামনে দাড়িয়ে ৪২ দন্ত বিকশিত একটা মুখের ছবি। তার পাশে আগামেনন বা রাশেদ খান মেনন কোন একটা কিছুর মুখোশ নিয়ে, নয়তো কোন বন জঙ্গলে যাওয়া নিয়ে আর নয়তো কোন অশ্লীল জাদুঘরে গিয়ে অশ্লীল সব দেব দেবীর অশ্লীল সব মূর্তি নিয়ে অশ্লীল কোন লেখা। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়। এই ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেই, ছোকরা পুরাই বখে গেছে। আমরা যখন বই পুস্তক খুলে জ্ঞানার্জনের মতো মহৎ কাজ করছি তখন সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে অ্যাপোলো আর আফ্রোদিতির ন্যাংটো মূর্তি দেখতে ব্যস্ত। তারপরেও মনের দুঃখ কমে না। তাই ভাবলাম দুঃখ কমাতে আমিও একটা ভ্রমণ কাহিনী লিখি। এতো শত ইতিহাস মিতিহাশ তো জানিনা, ওইগুলা বরং পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম। কই গেলাম, কি দেখলাম আর কি হলো এইসবের মধ্যেই আমার ভ্রমণ কাহিনী সীমাবদ্ধ থাকবে। ওইসব জায়গার বিস্তারিত ইতিহাস জানতে
www.google.com এ যান। যদি মেজাজ খারাপ করতে চান তাইলে অবশ্য
www.bing.com এও যেতে পারেন।
যারা আম্রিকা আছেন, তাদেরকে বিনাপয়সায় ঘুরার একটা ভালো বুদ্ধি দেই। বিভিন্ন চাকরীতে অ্যাপ্লাই করে "on-site" ইন্টার্ভিউ বাগানোর চেষ্টা করুন। বাগাতে পারলে বগল বাজাতে বাজাতে কোম্পানির খরচে বিমানে চড়ে বসুন। কোনমতে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে ইন্টার্ভিউ এর দিনটা কাটিয়ে দিন। আপনাকে ইন্টার্ভিউ এর নামে দশ বারোজন লোক সারাদিন ধরে উপুর্জুপুরি ইয়ে করবে, ওইটাকে অতো গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। পরেরদিন থেকে আপনি মুক্ত মানব। দিব্যি কয়েকটাদিন ঘুরে টুরে ইন্টার্ভিউ এর ব্যথা কমিয়ে ফেলা যায়। আমি গতবছর এভাবে তিনবার ক্যালিফোর্নিয়া, একবার ম্যাসাচুসেটস, একবার আইডাহো ঘুরে এলাম। ব্যবসা খুব একটা খারাপ হয় নাই। । তখন আমার PhD এর কাজ প্রায় শেষ। অপেক্ষা করছি প্রোফেসর কবে "যা ব্যাটা যা, জিলে তেরি জিন্দেগী" বলে আমার হাত ছেড়ে মুক্তি দিবে। কিন্তু PhD এর শেষ বর্ষের ছাত্র প্রোফেসরদের কাছে অনেকটা সোনার ডিমপাড়া হাঁসের মতো। ধরে একটু চাপ দিলেই কুৎ করে একটা জার্নাল পেপার নামিয়ে দেয়। এইজন্য আমার প্রোফেসরও ছাড়তে একটু টালবাহানা করছিলো। আমিও সেই সুযোগে একের পর এক পচা ডিম প্রসব করে যাচ্ছি, আর ফাঁকে ফোকরে চাকরীর ইন্টার্ভিউ এর নামে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছি। বছরের শুরুতেই গেলাম ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে তে। শেষ মুহূর্তে স্ত্রী "চলেছ একেলা কোথায়, পথ খুঁজে পাবে নাকো" বলে লেজ ধরে ঝুলে পড়লো। সাধারণত কোম্পানিগুলো দুই বা তিন দিনের থাকা, খাওয়া এবং যাওয়া আসার সব খরচ বহন করে। সিলিকন ভ্যালীর স্বর্ণযুগে নাকি পরিবারের জন্যও একটা টিকেট ফ্রি দিতো।
ইন্টার্ভিউ এর দিন কি হলো সেই গল্প না হয় আরেকদিন করবো। সান হোসে থেকে সান ফ্রান্সিসকো আধা ঘণ্টার পথ। ইন্টার্ভিউ শেষ করে সান ফ্রান্সিসকো একটু ঘুরে আসলাম। ছবিগুলা সব সনির একটা ভাঙ্গাচোরা ক্যামেরাতে তোলা। এতো করে বললাম স্ত্রীকে, সনি কোম্পানি ক্যামেরা বানাতে পারেনা। কয়েকবছরের মধ্যে ওদের ক্যামেরা ব্যবসা লাটে উঠলো বলে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ঐযে দেখেন ঐতিহাসিক গোল্ডেন গেট ব্রিজের ছবি। দেখে বলেন এই ক্যাটক্যাটা লাল রঙের ব্রিজের মধ্যে দেখার কি আছে? আমাদের খিলগাঁও ফ্লাইওভার এর চেয়ে কোন অংশে কম?
এরপরে গেলাম Fisherman's Wharf বলে বে এর পাশে একটা গুলিস্তান টাইপের জায়গায়। এইখানে হচ্ছে না এমন কোন তামশা নাই। কেউ গান গায়, কেউ ছবি আঁকে, কেউ প্যাঁ পো করে বাদ্য বাজনা বাজায় আর কেউ রংটং মেখে নৃত্য করে পয়সা কুড়াচ্ছে। রাস্তার পাশে চিংড়ি টিংড়ি সহ নানা কিছু ভাজা পোড়া বিক্রি হচ্ছে। ভিড় আর ঠ্যালাঠেলি পছন্দ করলে সান ফ্রান্সিসকো আপনার স্বপ্নের শহর। স্ত্রী দীর্ঘকাল লন্ডনের ভিড় আর ঠেলাঠেলি করে অভ্যস্ত। সান ফ্রান্সিসকো এসে তার মন চরম উদাস হয়ে যায়। আমি কবিসাহিত্যিক মানুষ। আমার পছন্দ নির্জনতা, চিপাচুপা। তাই ঠিক করি পরদিন ইয়োসেমেটি ন্যাশনাল পার্কে যাবো। যারা কখনো ন্যাশনাল পার্কে যাননি, তাদের কাছে মনে হতে পারে পার্কে আবার দেখার কি আছে। রমনা পার্ক থেকে কতই বা ভিন্ন হবে। ন্যাশনাল পার্কের নেগেটিভ দিক হচ্ছে এইখানে চা, বাদাম বা ঝালমুড়ির কোনটাই পাওয়া যায় না। সেইসাথে গাছ পালার চিপায় চুপায় রোমান্টিক দৃশ্যও দেখা যায় না। আর পজিটিভ দিক হচ্ছে এর আকার এবং সৌন্দর্য। ইয়োসেমেটি আকারে ৩০০০ বর্গ কিমি এর চেয়ে একটু বেশী, তুলনায় আমেরিকার রোড আইল্যান্ড ষ্টেট থেকে খানিক বড়। (এই মাত্র গুগল করে এই তথ্য বের করলাম, ভাবলাম একটু তথ্য মথ্য না দিলে লেখা হালকা লাগবে)।
সান হোসে থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার রাস্তা ইয়োসেমেটি। যাবার পথ অতীব মনোরম। পথের দুপাশে চেরি, কমলা আর আঙ্গুরের ক্ষেত দেখা যায়। একটু পর পর ছোট সাইজের টং দোকানের মতো পাওয়া যায় যেখানে ক্ষেতের ফ্রেশ জিনিস তুলে বেচা হচ্ছে। আমরা চেরি কিনে চিবুতে চিবুতে ইয়োসেমেটির দিকে চললাম। শেষ একঘণ্টার পথ আমাদের রাঙ্গামাটির মতো পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা এক লেনের রাস্তা। আমি এমনিতেই ভদ্র ড্রাইভার, তার উপর একটু পর পর স্ত্রীর চ্যাঁচামেচির কারনে আরও শম্বুক গতিতে গাড়ী চালাচ্ছি। পেছনের গাড়ী বিরক্ত হয়ে হয়ে একসময় রং সাইডে উঠে আমাকে অতিক্রম করলো। যাবার সময় বলে গেলো, ফাঁক ইউ। আমিও চেঁচিয়ে বললাম, ফাঁক ইউ টু উপুর্জুপুরি ইন দা নেয়ারবাই চেরি ফিল্ড।
ইয়োসেমেটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু হচ্ছে এর ঝর্ণা। না সাইজের ছোট বড় ঝর্ণা চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। শুরুতেই চোখে পড়লো এটা। ইয়োসেমেটি ভ্যালীর একাংশ, পেছনে এক ঝর্ণা। খুব আহামরি কোন কিছু না। উপর থেকে গড়ায়ে পানি পড়ে। আরে পানির তো জন্মই হইছে পড়ার জন্য। এ আর এমন কি।
গাছের চিপা দিয়ে আবারও দেখা যায় ঝর্ণা।
মারিপসা গ্রোভে যাবার রাস্তা, যেই ছয়টা নিতম্ব দেখা যাচ্ছে তার দুইটা আমার।
মারিপসা গ্রোভ এ আছে ইয়া বড় বড় সিক্যুয়া বৃক্ষ। ওই যে দেখেন ছবি। সামনে বেকাতেরা হয়ে পোজ দিয়ে এক ভদ্রমহিলা দাড়ায়ে আছে যে কিনা আমার জীবন হালুয়া বানিয়ে যাচ্ছে।
ঐযে একজন সিক্যুয়া চিৎপটাং হয়ে পরে আছে। গুড়ির সাইজ বিশাল। মেজাজ খারাপ হলে কাউকে আইক্কায়লা বাঁশ না দিয়ে সিক্যুয়ার গুড়ি দিতে পারেন।
রাতে থাকা হলো ইয়োসেমেটির একদম কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত curry village এর তাবুতে। কোন তরকারির কারনে না বরং David Curry প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে এর নাম curry village। দুই পাশে পাহাড় ঘেরা একটা বন, সেখানেই গাছের ফাঁকে ফাঁকে তাবু বসানো হয়েছে। কোন ইলেক্ট্রিসিটি নেই, তাবুর ভেতরে শুধু ব্যাটারি চালিত একটা বাতি দেয়া আছে।
ভেতরে গিয়ে দেখি প্রতিটা ক্যাম্প খাটের উপর ৬ টা করে রিলিফের কালো কম্বল রাখা। এতো কম্বল কেন দিয়ে রেখেছে সেটার জন্য এদের বুদ্ধি নিয়ে আমরা কিছুক্ষণ হাসাহাসি করলাম। মাঝরাতে হাসি বন্ধ হয়ে গেলো। রাত তিনটায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো, দেখি খাট ভয়ানক ভাবে কাঁপছে। ভাবলাম ভূমিকম্প নাইলে ভালুক, পরে দেখি খাট কাঁপে না আমি কাঁপি ঠাণ্ডায়। কম্বলের সংখ্যা বাড়াতে বাড়াতে ছয়টাই গায়ের উপর দিলাম, তাও কাঁপুনি থামে না। মার্চ মাস, দিনের বেলা হালকা ঠাণ্ডা ছিলো। এতো উঁচুতে রাতের বেলা যে তাপমাত্রা কত দ্রুত নামতে পারে আমাদের ধারনা ছিলোনা।
সকালে উঠে গেলাম মিরর লেকে। মিরর লেকের নাম কেন মিরর লেক এই ছবি দেখলেই বোঝা যাবে।
মিরর লেক, ইয়োসেমেটি ভ্যালী, মারসেড রিভারের তীর সহ বেশ কিছু স্পটে সারাদিন অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ক্যামেরা তাক করে বসে থাকে। অপেক্ষা করে সূর্যাস্ত, সূর্যোদয় বা মেঘ-রৌদ্র মিলে কোন আলোছায়ার খেলা হবার। পছন্দ হলে ফটাফট শাটার চলতে থাকে। ফটোগ্রাফারদের জন্য ইয়োসেমেটির মতো জায়গাগুলো রীতিমতো স্বর্গরাজ্য। আমি ফটোগ্রাফার না। বরং ভ্রমনে অতিমাত্রায় শাটার টেপাটেপিতে বিরক্তই হই। প্রকৃতি আমাদের যেই দুইটা চোখ আর একটা মস্তিস্ক দিয়েছে, এর চেয়ে ভালো ক্যামেরা আর মেমরি কার্ড কিই বা হতে পারে। বেশীরভাগ জায়গাগুলো তবুও চক্ষু মেলিয়া না দেখে ক্যামেরা মেলিয়া দেখা হয়। তবে সৌন্দর্য উপভোগের একটা সীমা আছে। দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, ভালোবাসার মতো একটা সীমার পর মস্তিস্ক একসাথে আর বেশী সৌন্দর্য গ্রহন করতে পারেনা। হাই তুলে বলতে হয়, বা বা খুবই সুন্দর। ইয়োসেমেটিতে দ্বিতীয় দিনের শেষে আমার সেরকমই মনে হতে থাকে। ইয়োসেমেটির মতো জায়গায় গেলে দরকার অন্তত এক সপ্তাহ থাকা। তারপর তাড়িয়ে তাড়িয়ে এর সৌন্দর্য উপভোগ করা।
ফিরে আসার সময় হটাৎ একরাশ মেঘ রাস্তায় নেমে এলো। প্রথমে ভেবেছিলাম কুয়াশা, পরে দেখি সত্যিকারের মেঘ।
আসার পথে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটলো। ইয়োসেমেটি থেকে বের হয়ে আবার সেই এক ঘণ্টার মতো আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় শম্বুক গতিতে গাড়ী চালানো। সেটার পরে হাইওয়েতে উঠে একটু শান্তি। সেখানেই একটু উত্তেজনার বশে গাড়ির গতি সামান্য বেশী হয়ে গিয়েছিলো। প্যাঁ পোঁ করতে করতে এক মামী পুলিশ এসে ধরল। আমি ভাবলাম ধমক দিবে, তা না করে আমার দিকে মিষ্টি হাসি দিয়ে ক্যালাতে ক্যালাতে বলে, হোয়াটস সো হারি। আমিও করুন হাসি দিয়ে বললাম, লুকিং ফর রেস্ট এরিয়া, আর্জেন্ট! বলা বাহুল্য এই খেলো যুক্তি মামীর মন ভেজাতে পারলো না। আমাকে টিকেট ধরিয়ে দিলো। স্ত্রী পুরা সফরে কানের কাছে ভেঁপু বাজিয়ে গেছে। অতো জোরে যাও কেন, সামনে বাঁক গতি কমাও, ওই কোনায় বরফ জমে আছে। পুরাই জীবন্ত জিপিএস, খালি কোন মিউট বাটন নাই। আর কাজের সময়ই সে কিছু করতে পারলো না। বাসায় ফিরে আসার কিছুদিন পরে টিকেটের জরিমানার পরিমাণ জানতে পারলাম। মাত্র ৪৩০ ডলার। আক্কেল সেলামি একেই বলে। জীবনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পুলিশকে মহান মনে হলো। ওরা ধরলে না হয় দু চার ঘা দিয়ে বা বড়জোর চাপাতি দিয়ে দুই একটা কোপ দিয়ে ছেড়ে দিতো। মিষ্টি হেসে ৪৩০ ডলারের সেলামি তো ধরিয়ে দিতো না। যাই হোক, এই ভেবে মনে শান্তি পেলাম আর্নল্ড বেকুবটা ক্যালিফোর্নিয়ার আসলেই বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে। ইকনমি নড়বড়ে। আমার টাকায় যদি বেচারাদের মন্দা যদি কিছু দূর হয় মন্দ কি। ফিতরা হিসেবেই দিলাম না হয়।
যাইহোক, আমার আজিকার ভ্রমণ কাহিনী এখানেই শেষ। বেশ সিরিয়াস ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি কিন্তু। কোন রকমের রসিকতা না করে। এইবার বলেন আমার ভ্রমণ কাহিনী তারেক অণুর মতো হয় নাই? না হইলেও সমস্যা নাই, চেষ্টা করে যাবো। আপনাদের সবার যাদের নিজের জীবনের প্রতি ঘেন্না ধরে গেছে তারেক অণুর ভ্রমণ কাহিনী পড়তে পড়তে তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানাই। সবাই মিলে ভ্রমণ কাহিনী লেখা শুরু করেন। কোথাও না কোথাও তো গেছেন অবশ্যই জীবনে। আর কোথাও না গেলে বাথরুমে তো গেছেন। দরকার হলে সেটা নিয়েই লিখে ফেলেন। প্রথমে বদনা হাতে নিলাম, সেটাতে পানি ভর্তি করলাম ... ... থাক আর ডিটেইলসে না যাই।
মন্তব্য
flickr এ আপলোড করে ছবি গুলা দিলাম, কোন ছবি দেখা যায় না কেন?? মডুমামা হেল্প ...
ছবিছাড়া ভ্রমণ ব্লগ তো গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া হয়ে গেলো ...
ছবি দেখতে না পারার জন্য
আর বর্ণনা পড়তে পারার জন্য
ছবি এখন দেখতে পাবেন, ঠিক করে দিয়েছি।
ছবি কই?????????!!!!!!!!!!!
লেখা মজারু হয়েছে ।
ছবি ঠিক করে দিয়েছি
ধন্যবাদ।
ফ্লিকারে গিয়ে ছবিগুলো দেখলাম। খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আয়না লেকের ছবির ভেতরের ছবিটা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আয়না লেক আসলেই চমতকার জায়গা।
আমিতো রিফ্রেশ করতে করতে অগ্নিশিয়ালের হাড্ডি জ্বালিয়ে ফেললাম , তাও কোন ছবি আসেনা ! ভাবছিলাম আমি কোথাও ঘুরতে যাইনি বলে হয়ত আমার জন্য ভ্রমণকাহিনীর ছবি দেখা নিষিদ্ধ ঘোষিত হইসে।
এখন দেখি আপনি নিজেই ছবি দেখতে পান না
হিংসা কাজে লাগতেসে এতোদিনে
আপনের বদ দোয়াতেই মনে হয় ছবি উধাও হয়ে গেছিলো
এরকম সরস ভ্রমনকাহিনী আরও চাই উদাস ভাই। লেখায়
ধন্যবাদ নাসাদ ভাই।
আপনার দুষ্ট বর্ণনা অসাধারন।
ইনকাম কত হইলে ৪৩০ ডলার খেলো মনে হয়?
নিতম্বপূর্ণ ছবি দেখিয়ে উপাদেয়! (আপনার মত বলতে পারছি?)
নারে ভাই, ৪৩০ ডলার মোটেও খেলো না। খেলো করে বলেছি কারন কান্নাকাটি করে তো আর লাভ নাই ...
ছবি ম্রাত্নক!(বিশেষত মিরর লেক)
ভ্রমণ: সাধু! সাধু!
love the life you live. live the life you love.
মিরর লেক এর ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফার হতে হয়না, এম্নিতেই সুন্দর আসে।
লেখা পইড়া চরম উদাস হয়ে গেলাম। পোস্টে ৫ তারেক অণু
তাও ভালো, গরম হন নাই
একটা পার্ক একটা স্টেট থেকে কিছুটা বড়? বলেন কী!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
৩০০০ বর্গ কিলোমিটার আসলে খুব বড় শোনালেও দৈর্ঘ্য প্রস্থ ৬০ কিলো করে ধরলে একটা জায়গা ৩০০০ বর্গকিলোমিটার অতিক্রম করে যায়।
পার্ক এমনিতে বেশ বড়। তবে টেক্সাস এর মতো বিশাল ষ্টেট এর তুলনায় অতো বড় না অবশ্যই। রোড আইল্যান্ড এমনিতে আমেরিকার সবচেয়ে ছোট ষ্টেট।
লা-জওয়াব!
এরকম সিরিকাস ভ্রমন কাহিনি আরো আসুক।
ছবি সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি। ঠিকমত FAQ না পড়েই মডুদের কাছে কানতেছিলাম
অনেকক্ষণ হাসলাম। এই না হলে বঙ্গ সন্তান!
ঠিকই কইছেন, বস! তারপরও পানির এই গড়ানো দৃশ্য দেখার জন্য সবাই যে কেন ভিড় জমায় বা কবিরা কবিতা লেখার জন্য অস্থির হয়ে যায়, তা সত্যি বোধগম্য না। আর সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, যে পানির জন্মই হয়েছে পড়ার জন্য, সেই পানিকে আটকে রাখার জন্য ভারত কতই না ক্লেশ করছে! বেচারা 'পানি' পড়তে চাইছে বাংলাদেশে, আর ভারত কিনা জোর করে তার জন্মগত স্বভাবই বদলে দিচ্ছে!
সত্যি, একসময় সৌন্দর্য দেখেও হাই তুলতে হয়। আমরা এতটা ক্ষমতাবান নই যে, শুধুমাত্র সৌন্দর্যে অবগাহন করেই কাটিয়ে দিতে পারি! এজন্যই, জান্নাতের সুখ-সৌন্দর্যের বর্ণনা পড়তে পড়তে আমি একসময় শিউরে উঠি; ভাবি কি করে একজন মানুষ নহর-ফলমূল-হুর নিয়ে অনন্তকাল (মানে যে কালের কোন সমাপ্তি নাই, ভাবতেই ক্লান্তি লাগছে!) কাটিয়ে দিতে পারে!
ধন্যবাদ মামুন ভাই আপনার বড় মন্তব্যের জন্য। সেটাই, আমাদের যে কোন কিছু গ্রহনের ক্ষমতা সীমিত। তবে স্বর্গ বলে কিছু থাকলে সেইখানে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নিশ্চয়ই সেটা গ্রহনের ক্ষমতাও ফ্রি হিসাবে দেয়া হবে ...
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
পড়ার জন্য আপ্নাকেও ধন্যবাদ।
ব্যাপক। বর্ণনা পইড়ে হাসতে হাসতে শেষ। আর পোস্ট ভালো পাইলাম
ছবি দেখে, লেখা পড়ে চরম উদাস হয়ে গেলাম!
আমি ইয়োসেমিটিতে গেছিলাম মাত্র আধা দিনের জন্য।
আধা দিনে কিছু বেশী কিছু দেখা মুশাকিল। আমার ইচ্ছে আছে এবছর আবার যাওয়া।
আপনে মিয়া রসিক আছেন...
পুররা পাঁচ শাহাদাত লেখা হইসে
শাহাদাত তো স্মার্টনেসের একক!
তাই তো কলাম রে ভাই !! আপনের হিংসা হয় নাকি
হিংসা হইবো কেন? দাড়ি রাখলে আমারে তো আফ্রিদীর মত লাগে না, চোরের মত লাগে।
আমারে শাহাদাত কইলেন ...
লেখা পুরাই গরম উদাস
তখন থিসিস লেখার শেষ পর্যায়ে! প্রতিদিন রাতে খাবার পর আবার ল্যাবে যেতাম কাজ করতে। ফিরতাম রাত বারোটার দিকে। একদিন রাতে ল্যাব থেকে বাসায় ফিরছিলাম। ক্লান্তির চোটে আপস্লোপ রাস্তায় সাইকেল না চালিয়ে ঠেলে নিয়ে আসছিলাম। লাইব্রেরির সামনে একটা পেডেস্ট্রিয়ান ক্রসিংয়ে আমাকে আগে যেতে দেবার জন্য এক বালিকা তার গাড়ি থামিয়ে দাঁড়ালো। আমি একটু বেশি সময় নিচ্ছিলাম দেখে বালিকা অস্থির হয়ে হর্ন দিলো। হর্ন খেয়ে আমি আরো বেশি সময় নিয়ে রাস্তা পার হলাম। আমি পার হওয়ার পর বালিকা ডান দিকের রাস্তায় মোড় নিয়ে আমার পাশে এসে গাড়িটা একটু স্লো করে তার ড্রাইভার সাইডের গ্লাস নামিয়ে আমার দিকে মধ্যমা প্রদর্শন করে বললো, "ফাকিউ!"
আমি মোটামুটি ভদ্রলোক তাই প্রত্যুত্তরে হাসি দিয়ে বললাম, "কাম অন, ডু ইট, ডু ইট, কাম অন, ফাঁকমি!" কিন্তু বালিকা হুশ করে গাড়ি টান দিয়ে বের হয়ে গেল। মনে হয় আমার ভাত খাওয়া আংরেজি বুঝতে পারে নাই! আপচুচ, ক্যান যে পাউরুটি খাওয়া আংরেজি কইতে পারি না!
আপনার উত্তরে বলা উচিৎ ছিল "আয় জাইগা", তাইলেই বুঝত। "আয় জাইগা" সব ভাষার লোকেরাই বুঝতে পারে , টেস্ট করে দেখেছি ...
ভালো লাগসে, তোমারে যতটা আমি চিনি তাতে জনৈক ভদ্রমহিলাকে নিয়া এইখানে যতই কথাবার্তা বলনা কেন তাতে যে তার পুরাই সায় আছে এইটা আমি নিশ্চিত .... আপুকে শুভেচ্ছা দিও। দেশে আসবা কবে?
শুভেচ্ছা দিয়েছি তানিম ভাই, না নিলে আমি কি করবো ... :S। মনে হয় খালি পেটে শুভেচ্ছা গ্রহন করবে না ... ।
দেশে এ বছর আশা হবে না, সাম্নের সামার এ ইচ্ছা আছে।
পার্ক দেইখা তারেকনুর লগে ফাইট? আপনার সাহস আছে।
লেখাটা পড়ে মজা পাইলাম
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
খালি সাহসটাই তো আছে, খেমতা নাই ...
ম্যান আপনে তো জটিল লেখেন।।। আমার কাছাকাছি অনেকটা।।।।
লেখা ভালো লাগছে।
-মেফিস্টো
ইয়োসেমিটে ন্যাশনাল পার্ক আমার অন্যতম প্রিয় একটা জায়গা। আপনার বর্ণনাগুলো চমৎকার হয়েছে।
কিন্তু কিছুটা অবাক হলাম, আপনি "গ্লেসিয়ার পয়েন্ট", আর "হাফ ডোম" এর কোন ছবি, বা বর্ণনা দেননি। ইয়োসেমিটে-তে গিয়ে তো এগুলো মিস করার কথা না...
ওই দুইজায়গার ছবি খুঁজে পাচ্ছিলাম না বলে বর্ণনা দেয়া হয়নি। তবে এদের চেয়ে আমার কাছে ফল গুলাই বেশী সুন্দর লেগেছে। আর হাফ ডোমের উপরে উঠার সাহস হয়নি। প্রতিবছরই এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, কিছুদিন আগেও একজন হাফ ডোম থেকে পড়ে মারা গেল।
খিলগাঁও ফ্লাই অভার, রমনা পার্কের বাদাম আর তারেক অনুর ৪২ দাঁত
আপনার মাথায় আসে কি ভাবে এত কিসু
এখানে তারেক অনু নীরব?? কেন??
ভালো কিছু তো আর মাথায় আসে না।
হগগ্লে এত ঘুরে, আমার এইবার ঘুরার শখ অইছে। অনুরে গোয়াল ঘড়ের দড়ি দিয়া বাইন্ধ্যা রাখা দরকার
আমিও চ্রম হারে উদাস অইয়া গেলাম
ডাকঘর | ছবিঘর
সেটাই, আসলেই বাইন্ধা রাখা দরকার।
চুরি করে ঢুকলাম, বস টের পেলে গেছি!
লেখা রসালো (রস + আলো নয় আবার )
মিরর পার্কের ছবিগুলো দেখে চরম উদাস হয়ে গেলাম....
৫ তারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর। অফিসে বসে সচলায়তন পড়া ঠিক না। কাজের সময় কাজ আর খেলার সময় খেলা।
যদিও আমার সব লেখাই অফিসে বসে লেখা । বাসার মূল্যবান সময় নষ্ট করা ঠিক না ...
গাড়ির গতি সামান্য বেশীতে ৪৩০ ডলার এর টিকেট?? কন কি? আমি জাস্ট কিউরিয়াস যে আপ্নের স্পীড কত আছিলো।।
-মেফিস্টো
৫৫ এর জায়গায় ৮৭
দুঃখিত, ৫৫ এর জায়গায় ৭৭ মনে হয়। ২০ এর কম অতিরিক্ত হলে ২৫০ ডলার এর মতো যেত। এর বেশী হলে জরিমানা দিগুন হয়ে যায়।
খেক্স
-মেফিস্টো
ভ্রমন বিষয়ক পোস্ট আমার খুবই পছন্দের। আর সাথে যদি বিষয়ভিত্তিক বিশদ বর্নণা থাকে তাহলেতো কথাই নেই। সেই হেতু আমি তারেক অনুর একজন ফ্যান বলতে পারেন। তবে খুব একটা দুশ্চিন্তার কারন নেই। আমি ঘনঘনই আমার অবস্থান পরিবর্তন করি। একসময় আমি ব্রাজিল ফুটবলের ভক্ত ছিলাম। পরে হয়েছি স্পেন দলের। এখন আবার পালটি মারার চিন্তা করছি। কাজেই...
আপনার পোস্টের ছবি ও লেখা ভাল লেগেছে। আর ইয়ে মানে ঐযে লিখেছেন, তাড়িয়ে তাড়িয়ে সৌন্দর্য উপভোগের কথা। ওটা আসলে তারিয়ে তারিয়ে, তবে হ্যাঁ আপনি ইচ্ছা করলে তাড়িয়ে তাড়িয়েও করতে পারেন।
ভ্রমনের নিশ্চয়ই আরও অভিজ্ঞতা আছে। এরকম আরও পোস্ট চাই। অনক, অনেক।
প্রৌড়ভাবনা
ধন্যবাদ বানান ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। ঠিক করে দিচ্ছি এখনই।
আমি নিজেও তারেক অণুর ফ্যান ... রাইভাল হবার ক্ষমতা বা ইচ্ছা কোনটাই নেই। মাঝে মধ্যে একটু পচানি দিতে পারলে ভালো লাগে আরকি ...
দারুণ দারুণ। এমন একখানা উপাদেয় খিচুড়ির মত লেখার আনার পিছনে অন্যতম অণুঘটকের ভূমিকা পালন করার জন্য কি মডুদের কাছে কোন খেতাবের আবেদন জানানো যায় !!
আপনের টিকেট পাওয়ার ঘটনাটা বাদ দিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম। , চলতে থাকুক এমন কাহিনী, আর চলতে থাকুক ভাবীর হালুয়া বানানো
( হৈ বড় ভাই, আমার দাতের সংখ্যা কই পাইলেন, ছিল এককালে ৩২ টা, হিমালয়ের প্রেমে পড়ে ৪ খান আক্কেল দাত বিসর্জন দেবার পরে এখনো ঝকঝকে ২৮ টা)
facebook
আপনি আজকে থেকে "অণু ঘটক"
taরেক anউ ভাই আপনি একবার
খাজুরাহ
যাবেন।একটা ভ্রমন ট্যুর করুন না, অনুরোধ রইল।
অবশ্যই ভ্রমণ কাহিনী এখানে দেবেন চিত্র সহ
চরম উদাস দাদা আপনার সাহস আছে সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী প্রকাশ করার জন্য
প্রথম প্যারা লেখার জন্য সাহস দরকার
আপনেরে হালকা পচানি দেয়ার চেষ্টা করাতে আবার মাইন্ড খাইয়েন না। বুঝেনি তো, সবই ঈর্ষা ...
আর বলেন কেন, আম্রিকা যদি একরাতের জন্যও থাকতে যায় তাহলে ইয়েলোস্টোনে থাকব। তারপরেও থাকলে আপনার এই ইয়োসেমেটিতে যাবই যাব।
একটা সময় আমেরিকাতে মহাকাশবিজ্ঞান পড়তে যাবার জন্য পাগল ছিলাম। জানেন কত দিন, মাস, বছর চিন্তা করছি, চেষ্টা করেছি আমেরিকা পুরোপুরি ঘোরার প্ল্যান নিয়ে! প্রায় প্রতি স্টেটের ম্যাপ নিয়ে ঘাঁটতাম, অ্যাডমিশন হয়েছিল নেব্রাস্কার এক ইউনিতে, পরে অন্যদিকে এগোলাম। সবচেয়ে প্রিয় স্টেট ছিল মন্টানা আর ওয়াইমিঙ। শুধু Big Sky Country মন্টানা দেখবার জন্য যে কতবার A river runs through It সিনেমাটি দেখেছিলাম!
আসব, দেখা হবে ইয়েলোস্টোনে, ওল্ড ফেইথফুলের পাশে।
facebook
উদাস স্কেলে সূচক নিচে নামে নাই। চালায় যান উদাসদা..............আরো চাই............
_____________________
Give Her Freedom!
মৃত্যুময় ঈষৎ ।
অসাধারণ! অনেকদিন পর একটা লিখা পড়ে এমন হাসলাম! না পড়লে খুব মিস হতো সেটা না বললেও চলে! আরোএমন মজারু লিখা চাই!
রীতি নিরবধি
ধন্যবাদ।
চরম উদাস dada আপনার সাহসিক মন্তব্যের জন্য অভিন্দন,
সুন্দর নান্দনিক পরিবেশের সাথে পরিচিত হলাম,
এবারই তো অলিখিত যুদ্ধ শুরু হলো আগামেন ও তারেখ অনুর সাথে
একদিকে ভালোই হলো আমারা {নিরব পাঠকের} আরো ভালো প্রতিযোগিতা মূলক ভ্রমণ কাহিনী পাব
আপনার এমন ভ্রমন কাহিনী আর না পেলে ধরে নেব আপনি পরাজিত
এরই মইদ্দে তারেক অনু ভাই আরেককান ছাপায়া ফালইসে।
প্রতিযোগিতা শুরু হবার আগেই তো শেষ। ওই দেখেন অণু আরেকটা ভ্রমণ কাহিনী নামিয়ে ফেলছে। এরে থামান আমার কম্ম না। বড়জোর মাঝে মধ্যে একটু পচানি দিতে পারবো আরকি ...
উদাস ভাই সেইরাম লেখা হইছে। ছবি গুলাও ভালৈ। তয় আমার কয়খান কথা আছে। ওই শুইয়া থাকা গাছে চড়া মানা কিল্লাই? আমার তো গাছ দেখলেই চড়তে মন চায়। এত বড় গাছ যখন কাইত হইছে তখন চামে চামে না চড়াটা বিশাল অপরাধ হইছে। তাছাড়া শিকড় বাকড় ধইরা ধইরা খামচাইয়া খামচাইয়া কত সহজেই না উঠা যাইত! আফসুস। আহা যদি একটা সিকুয়ার মালিক হইতে পারতাম। সিকুয়া বৃক্ষ জিন্দাবাদ। হালুয়া করার পর যদি এইরাম মজার মজার লেখা আসে তাইলে জীবনের হালুয়া চলতে থাকুক , জয় হালুয়াকারিনীর জয়।
ঐযে দেখেন কাণ্ড, আমার লেখা শেষ হতে না হতেই তারেক অণু আরেকটা লেখা নামিয়ে ফেলছে। যাই কোথায় ...
আরে লিখুক লিখুক, আজ-কালকার ছুডু ছুডু পোলাপান বলে কথা তারুপর বিয়া-শাদি করে নাই, একটু গরম আছে এই আরকি। তাই বলে আপনি উদাস হয়ে যাবেননা কিন্তু। এর জবাবে কড়া পাকের রস সমৃদ্ধ আর একটা নামিয়ে ফেলুন দিকি তাড়াতাড়ি। আমরা পাঠকরা সব খাপ পেতে রেডি আছি আপনাদের সমর্থনে যোগাতে । চলুক চলুক ।
আপনি দ্রোহী দুজনই ফাকের শিকার হলেন-- আমেরিকার (ঐ অঞ্চলের) লোকজনের ফাক এত বেশি কেন সেটাই চিন্তা করছি।
কত স্পীডে গিয়েছিলেন যে টিকিট খেলেন?
আলাবামার নামই তো আলা-ফাকিং-বামা!
পিপিদা, ২২ মাইল এর মতো অতিরিক্ত ছিল লিমিট থেকে ... । আসলে ফোর্ড ফোকাস এর একটা ভুয়া গাড়ী দিয়েছিলো রেন্টাল থেকে, ওইটার স্পীডোমিটার ঠিকভাবে পড়া যাচ্ছিলোনা। আর ফেরার সময় অনেক ক্লান্ত থাকার কারনে মাত্র কিচ্ছুক্ষনের জন্য স্পীড বেড়ে গিয়েছিলো। আর এইখানের মামা/মামিরা ঠিক যেখানে স্পীড বাড়তে পারে (যেমন কোন ঢালু রাস্তা), ঠিক সেই স্পটগুলোতে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। পুরাই দুই নম্বর। আর ক্যালিফোর্নিয়ার সব খরচ পাতি একটু বেশী বেশী, তাই জরিমানার এর পরিমাণটাও ...
বেশ...
কমেডি! পুরাই কমেডি!! সব থিকা বড় কমেডি হইছে যখন দেখছি, শিরোনামের ডান পাশে ঝর্নার সামনে দাড়িয়ে ৪২ দন্ত বিকশিত মুখ না, বরং ৯৬ দন্ত বিকশিত দুইডা বাঁন্দর।
সরস লেখা বেশ লাগলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
ধন্যবাদ মৌনকুহর
ভাষায় দারুণ তেজ আছে। অন্য কথায় বললে- গরম গরম রস। হেব্বি টেস্টি!
লেখাটার ভাষা হচ্ছে গিয়ে গরমা গরম, আর লেখকের মনের ভাবখানা বড়ই উদাস...সব মিলিয়ে পুরাই গরম উদাস
পোস্ট সাংঘাতিক 'ছাঁইয়া ছাঁইয়া' হয়েছে! (সুপার-ডুপার হিট যে কোনো জিনিসরে উচ্ছলা মুগ্ধ হয়া 'ছাঁইয়া ছাঁইয়া' খেতাব দেয়
ছবিগুলো দেখে মন উতলা হয়ে গেল। ডাইনোসর-সাইজের গাছগুলাকে hug করতে না পারলে আমার জীবনের ব্যাডলাকটাই খারাপ হয়া যাবে গা!
এরকম চরমস্ একটা পোস্ট আবার কবে দেবেন, ভাই?
ধন্যবাদ উচ্ছলা। আপনার উপদেশ শুনে পত্তেকদিন কিন্তু ব্যাম করতেছি কিন্তু। ৮ নম্বর পিটি করি (স্কুল এ থাকতে নাম ছিল তারাবাত্তি পিটি)। দুই হাত উপরে তুলে মুঠি খুলা আর বন্ধ করা, বড়ই আরামের ব্যাম ...
ঝর্ণার ফটুকগুলো দেখে আমার 'আপ' সিনেমাটার কথা মনে পড়ে গেলো। আরও একটা জিনিস মনে হইলো কিন্তু সেইটা তো আর ভদ্র সমাজে কওয়া যাবে না। লোকে বলবে, যাহ্ দুষ্টু!
তবে আপনে মিয়াভাই রকস্!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বলে ফেলেন। আপনে দেখি খালি কথা শুরু করে পেটের মধ্যে রেখে দেন, বলেন ভদ্র সমাজে বলা যাবে না ... ।
সাহস করে বলে ফেলেন, সমাজকে আপনে যত ভদ্র মনে করেন আসলে সমাজ অতো ভদ্র না ...
খিচুড়ির মতোই সুস্বাদু হইসে।
যাই লেখি লোকে খালি খিচুড়ির গন্ধ পায় ... । রেসিপি লেখলেও খিচুড়ি, ভ্রমণ কাহিনী লেখলেও খিচুড়ি। এই খিচুড়ির ভূত কবে নাম্বে ...
লেখায় ৫ তারা আর লেখানোর জন্য তারেক অণুকে ১০ তারা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ও বলাই দা, অন্তত অর্ধখানা তারা এইদিকে দিয়েন। উদাস ভাইএর লেখার ঘোষণা আমি একটা মন্তব্য করে প্যাচ দিয়ে আনছিলাম কি না কন (ঝড়ে বক পড়ে......) । আর তারুপর দেখেন মন্তব্য করে করে আমি সবাইরে সেইরাম উজ্জিবিত রাখতেছি, লেখার উৎসাহ বাড়াই দিতাছি, আরো কত কি।
হ বলাই দা, এই জিনিসটাই মডুরা বুঝল না ! মলা ঢ্যালা ব্লগারই থাইক্যা গেলাম, এমন লেখার পিছনে অবদানের জন্য একখান খেতাব কি মিলবে না।
facebook
বলাইদা, তাও তারেক অণুরে আমার থেকে বেশী দিলেন। লাভ কি হইলো এতো খাইটা ...
আপনার লিখা পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেলো। কারণ টা বলি- অনু ভাইয়ের ভ্রমন কাহিনী পড়ে ভালো লাগে, সাথে সুদীর্ঘশ্বাস ফেলি- এমন কপাল আমার হয়না কেন??!! আপনার লিখা পড়ে সান্তনা পেলাম। ওই তো সব খিলগাঁও ফ্লাইওভার,গুলিস্তান রমনার মতোই- যাই খিলগাঁও থেকে ঘুরে আসি।
সেইটাই তো লোকে বুঝে না। সব পানিই তো পানি, সব গাছই গাছ, সব ব্রিজই ব্রিজ।
লেখা গরম হয়েছে। অণুকে পচানোয় আরো বেশি, একেবারে ভাপ বেরুচ্ছে।
গরম না চরম।
আয়না লেকে ঢিল মারলে কেউ বকা দিবে?
এইখানে কেউ বকা দেয় না। বড়জোর মিষ্টি হেসে ৫০০ ডলার একটা টিকেট দিবে ... । কলোরাডোতে কড়াকড়ি এইখানের থেকেও বেশী। কোন কিছু (কোকের ক্যান বা কোন খাবার বা অন্য কোন আবর্জনা) পার্কের মধ্যে ফেললে মামু ধরলে ১০০০ থেকে ৫০০০ ডলার জরিমানা করবে ...
"ফাঁক ইউ টু উপুর্জুপুরি ইন দা নেয়ারবাই চেরি ফিল্ড।" -
আপনার লেখা তো অছাম হইছে, আর সনিরে গালি দিয়েননা, ছবিগুলা খাসা হইছে
তারেক অনুর বিচার চাই, আমাদের মতো মানুষের মনে ঈর্ষা জাগে খালি হেরে বাইন্দা রাখা দরকার, প্রতিদিন সচল খুললে হেরে ঘুরতে দেখি, মন উদাস উদাস লাগে
আমি হেরে দেইখা অনুপ্রানিত হইয়া, খাজুরাহ ভ্রমন কাহিনী লিখছিলাম ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
(‘উপর্যুপুরি’-র বাংলা কি? )
উপরি+উপরি সন্ধিতে 'উপর্যুপরি'
ঐ সেকুইয়ার গুঁড়িটার জন্যই উদাস ভাই তারেক অণুর চেয়ে কয়েক কদম আগায় গ্যালো। তারেক অণু সারা দুনিয়া চইষা কাদাকাদা করার পরেও এই জিনিস আমাদের সামনে হাজির করতে পারেন নাই। গুঁড়িটা শর্মিলা চ. বসুর জন্য গিফট র্যাপ করতাম ছাই।
পুরা গাছই পুটে, আই মিন পুতে দিয়ে আসবোনে
মারাত্মক একটা পোস্ট। তারেক অনু, গ্র্যাড স্টুডেন্ট, বিনা খরচে ঘুরাঘুরি নিয়ে যা যা বললেন একদম ১০০%ভাগ সহমত। একই কায়দায় আমিও বেশ কিছু ঘুরাঘুরি করেছি। তবে কোন প্রমান রাখিনি (পড়তে হবে, আমার আসলে ক্যামেরা নাই)। ছবিগুলা খুব সুন্দর। বর্ননার কথা আর বললাম না। আগের থেকেই যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, আপনার লেখা পড়ে সেই ইচ্ছা আরও বেড়ে গেল। যাই হোক, নিজের একটা ক্লোজআপ ছবি দিলেন আর বউয়ের পিচকি মত একটা ছবি দিলেন, এটা কেমন কথা!
আমার ক্লোজআপ আপনে কৈ পাইলেন?
আপনে মিলিটারি নাকি মাদ্রাসা?
ঐ যে পিছন থেকে ক্লোজআপ।
লেখাটা চরম ভালো হয়েছে। আগা গোড়াই হাহাপগে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী ...
তারেক অনু ভাইয়ের ছবি ব্লগ থেকে বের হয়েই কেন জানি আপনার ব্লগ দেখতে এলাম। এসে দেখি আপনিও একদা ভ্রমণ করেছিলেন! লেখা অনেক মজারু হয়েছে কিন্তু প্রথম কমেন্ট হিট! প্রথম কমেন্ট পড়েই হাসতে হাসতে শেষ গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া । কিভাবে যে এতো হিউমার দিয়ে লিখেন! মনটাই ভালো হয়ে গেলো।
সেটাই, তারকাণু কি একাই ঘুরে, আমরাও ঘুরি বৈকি।
আমিও ঘুরি। তবে মনে মনে। কল্পনায়। মেঘের মাঝে হারিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসি। অথৈ জলে ভেসে উঠি, অনে ডুবের পর।
পুরাই হিট।
---------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ইয়েসোমিটি যাওয়া হয়েছিল যে চরম ভ্রাত অবশেষে, জন মিউরের ফলক দেখলাম, আর যা যা দেখলাম তা আলাদা ভাবে লেখার চেষ্টা চালাতে হবে। এবং আবারও ফিরতে চাই সেখানে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন