২৬ জুলাই, ১৯৫৩। নিজ দেশের স্বৈরশাসক সেনাবাহিনী প্রধান বাতিস্তার নির্মম শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের অগ্নিশপথ নিয়ে মোনকাদা নামের এক সেনাব্যারাকে আক্রমণ করলেন একদল বিপ্লবী, নেতৃত্বে ফিদেল কাস্ত্রো নামের এক তরুণ আইনজীবি। দেশমাতৃকার উপর চলমান দমন পীড়নের বিরুদ্ধে হাতের অতি অপ্রতুল সম্পদ নিয়েই ছোট ভাই রাউল ও অন্যান্য বন্ধুদের মন দ্রোহের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেই সেই আক্রমণ থেকে বার্তা পৌছাতে চাইলেন শাসক গোষ্ঠী ও তাদের উপরওয়ালা মার্কিন বাণিজ্য কোম্পানিগুলোর কাছে।
পরবর্তীতে সরকারের কোপানলে পড়ে গ্রেফতারকৃত সকল বিপ্লবীর দীর্ঘ মেয়াদের সাজা হয়, স্বয়ং ফিদেলকে প্রহসনের বিচারে দেওয়া হয় ১৫ বছরের জেল। এবং কয়েক বছর পরই বিপ্লবের পরিকল্পনাকারী মূল যোদ্ধাদের রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানো হয় মেক্সিকোতে, রুদ্ধ হয়ে যায় স্বদেশভূমিতে ফেরার সমস্ত পথ।
কিন্তু তারুণ্য, বিপ্লব আর দেশপ্রেমের সামনে কোন প্রতিকূলতায় যে অটল হয়ে থাকতে পারে না তারই প্রমাণ দিল যেন ফিদেল আর তার বন্ধুরা- ১৯৫৬র ডিসেম্বরে মাত্র ৮২ জন অকুতোভয় যোদ্ধা গ্রান মা নামের এক নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছে গেল কিউবার জলকাদাময় ম্যানগ্রোভ বনভূমির রাজত্বে। স্বপ্ন গেরিলা যুদ্ধে করেই উৎখাত করবে বাতিস্তাকে, সঙ্গী হবে দেশের আপামর নিপীড়িত জনসাধারণ। কিউবানদের সাথে যোগ গিয়েছেন আর্নেস্তো গুয়েভারা নামের এক আর্জেন্টাইন, যার ঝুলিতে আছে সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে ভাল ফলাফল করে গিনেস বুকে খোদাই করা ডাক্তার হবার বিশ্বরেকর্ড , কিন্তু কিউবানদের কাছে তার নাম কেবলমাত্র চে।
মহাপরিকল্পনা শুরু থেকেই বাধার মুখ দেখতে থাকে, গ্রান মা কিউবার উপকূলে ভিড়ে ঝকঝকে দিনের আলোতে, শুরু হয়ে সেনাবাহিনীর আক্রমণ। নানা বাঁধা পেরিয়ে সিয়েরা মায়েস্ত্রো পর্বতে যখন গেরিলারা পুনর্মিলিত হন তখন তাদের সংখ্যা মাত্র ১২ ! সেই থেকে কি করে নিজেদের সংগঠিত করে, স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মাত্র ২ বছরের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের তাবেদার সরকারের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বাতিস্তাকে দেশ ছাড়া করল সে কাহিনী রূপকথাকে ছাড়িয়ে পরিণত হয়েছে কিংবদন্তীতে, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত জনগণের কাছে কিউবার বিপ্লব হয়ে গেছে মুক্তির প্রতীক।
কিউবার বিপ্লবের প্রায় সমস্ত নিদর্শনতো বটেই এমনকি সেই মোটরবোট গ্রান মা পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে ওল্ড হাভানায় অবস্থিত কিউবার বিপ্লব জাদুঘরে। চলুন ঘুরে আসি ইতিহাসের সেই সন্ধিক্ষণ থেকে-
১৯২০ সালে নির্মিত সুরম্য ভবনটি বরাদ্দ ছিল কিউবার রাষ্ট্রপতির জন্যে(যদিও সেই সময় কিউবা সত্যিকার অর্থে কোন স্বাধীন দেশ নয় বরং আমেরিকার আধুনিক উপনিবেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল সারা বিশ্বে), বাতিস্তা দেশ ত্যাগে বাধ্য হবার পরপরই ১৯৫৯ সালে বিপ্লব জাদুঘরে পরিণত করা হয় এই স্থাপত্যকে।
সিংহদ্বার দিয়ে ঢোকার পরপরই টিকিট কাটার কর্তব্য শেষ করে ( কিউবার সবখানেই স্থানীয়দের জন্য অতি সস্তা নামমাত্র দর্শনী আর পর্যটকদের জন্য বেশ কয়েক গুণ চড়া মূল্য) ঢুকে পড়লাম বিপ্লব পূর্ববর্তী কিউবার গ্যালারীতে, সেই সময়ের নানা আলোকচিত্র, দলিল দস্তাবেজ সেনাবাহিনীর নির্যাতনের সাক্ষী। সেই সাথে আছে বাতিস্তার গুন্ডা বাহিনীর শিকার কয়েকজন বিপ্লবীর রক্তে রঞ্জিত পোশাক, ধারণা করা হয় কম পক্ষে ২০,০০০ মানুষ সেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল, বিশেষ করে মুক্তিকামী ছাত্ররা।
এর পরে আসে ২৬ জুলাই বিপ্লবের নানা মুহূর্ত, সাদাকালো আলোকচিত্রগুলো সব ধরনের জানা-অজানা রঙে উদ্ভাসিত হয়ে আমাদের সামনে সৃষ্টি করে যায় সেই বীরত্বগাথা।
এক কোণে দেখা যায় সিয়েরা মায়েস্ত্রোর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ব্যবহৃত রেডিও ট্রান্সমিটার। ডাক্তার চের ব্যবহৃত ফাস্ট এইড বক্স, গেরিলাদের টাইপ রাইটার, নানা অস্ত্র। আলোকচিত্রের সাথে সাথে সেই সময়ের নানা খবরের কাগজ, ম্যাপ, পতাকায় জড়িয়ে আছে যেন বারুদের উত্তেজনাময় গন্ধ।
পুরো একটা গ্যালারী উৎসর্গিত হয়েছে কিউবার বিপ্লবের অন্যতম দুই প্রধান বিপ্লবী ক্যামিলো সিয়েনফুয়েগোস এবং চে গুয়েভারার স্মৃতির প্রতি।
ক্যামিলো সিয়েনফুয়েগোস, কিউবার বিপ্লবের রাজপুত্র, ১৯৫৯ সালের সফল বিপ্লবের সময় ফিদেলের পরে সমগ্র কিউবায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। দুঃসাহসিক পরিকল্পনা, ক্ষুরধার প্রত্যুৎপন্নমতিতা তাকে পরিণত করেছিল অন্যতম শ্রেষ্ঠ গেরিলা নেতাতে, বিশেষ করে ইয়াগুয়েজের যুদ্ধে তার ভূমিকা এনে দিয়েছেল ইয়াগুয়েজের নায়ক খেতাব। মুক্ত কিউবাতে অন্তত দুঃখজনক ভাবে এক বিমান দুর্ঘটনায় সম্ভবত সাগরে সলিল সমাধি ঘটে ক্যামিলোর, তার বয়স হয়েছিল তখন কেবলমাত্র ২৭ !
বন্ধু ক্যামিলোর নামে ছেলের নাম রেখেছিলেন চে। যে বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন নিজেকে, মুক্তির সেই অমোঘ বাণী ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন দেশ ছাড়িয়ে মহাদেশে এবং বিশেষ করে পিতৃভূমি আর্জেন্টিনায়। কিউবার মন্ত্রিত্ব ঠেলে পরে আফ্রিকার কঙ্গোতে বিপ্লব সংগঠনের প্রচেষ্টার পর বলিভিয়াতে গেরিলা যুদ্ধরত অবস্থায় সামরিক জান্তার হাতে সি আই এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন চে, যার সম্পর্কে দার্শনিক জ্য পল সাত্রে বলেছিলেন Che Ernesto Guevara is the Most Complete Human Being of Our Time।
এই গ্যালারী সযত্নে রক্ষিত আছে দুই বিপ্লবীর ব্যবহৃত অস্ত্র, পোশাক, টুপি, নানা স্মারক। সেই সাথে আলোকচিত্র ও তথ্যের সমাহার।
ঘরের একপ্রান্তে আছে তাদের গেরিলাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের প্রমাণ আকারের ভাস্কর্য।
উল্লেখ্য কিউবার অন্যতম বৃহত্তম নগরী সান্তা ক্লারা দখল মুক্ত করতে এই দুই গেরিলা নেতার নেতৃত্বাধীন সেনারা কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে যুদ্ধ করে। দুইজনই আজ অমর মুক্তিকামী মানুষের মনে, সেই জন্যই হয়ত তাদের স্মৃতির অবস্থান একসাথে যেমন বিপ্লব জাদুঘরে তেমন হাভানার বিখ্যাত বিপ্লব চত্বরেও।
এরপরে এক ফাঁকা জায়গায় ফিদেল, চে, ক্যামিলোর ধাতব ভাস্কর্য।
তারপরই রাষ্ট্রপতির চেম্বার, আলাদা টিকিট কেটে সেখানে দেখা গেল সাবেক রাষ্ট্রপতি ব্যবহৃত টেবিলের পিছনে কিউবান স্বাধীনতার আন্দোলনের পুরোধা কবি হোসে মার্তির ভাস্কর্য, এক কোণায় বাতিস্তার দুর্নীতি আর বিলাসব্যসনের প্রতীক সোনার প্রলেপ দেওয়া টেলিফোন।
এর পরে বিশেষ একখানা ঘর, যেখান অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল সেনাদখলমুক্ত কিউবার নবসরকারের প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলো। ঘরের আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা ঠিক তেমনই আছে যেমন ছিল সেই উম্মাতাল যুগ সন্ধিক্ষণে, ভাবা যায় এই ঘরেই সামনের টেবিল ঘেরা চেয়ারে বসে ছিলেন একসময়ে ফিদেল, চে, রাউল, হুয়ান আলমেইদা! চিন্তা করতেই রোমাঞ্চে সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে।
এরপরে বিপ্লবের নানা গ্যালারী পার হয়ে বিশেষ করে ফিদেলে ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার গেরিলা যুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসের বিশেষ প্রদর্শনী দেখে আমরা রওনা দিই জাদুঘরের অন্য অংশে।
সেখানে আছে গেরিলা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বেশ কিছু জিপগাড়ী, ভূপাতিত এক মার্কিন বিমান ও অন্যান্য যুদ্ধযান। আর এদের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে গ্রান মা!
সেই মোটরচালিত নৌকা যাতে করে গেরিলা দল পা রেখেছিল কিউবার মাটিতে, আজ তা পূর্ণ মর্যাদায় সংরক্ষিত। গ্রান মার পাশেই বিপ্লবের নায়কদের উদ্দেশ্যে প্রজ্জলিত অগ্নিশিখা, যা স্মরণ করে যাচ্ছে মানুষের মুক্তির লড়াইয়ের সূর্যসন্তানদের।
যে লড়াই এখনো থামে নি, যে বিজয় এখনো সুদূর পরাহত, যে লড়াই নিয়ে চে গুয়েভারার বক্তব্য ছিল- জীবন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। এই জীবন সে পায় মাত্র একটি বার। তাই এমনভাবে বাঁচতে হবে যাতে বছরের পর বছর লক্ষ্যহীন জীবন যাপন করার যন্ত্রণা ভরা অনুশোচনায় ভুগতে না হয়, যাতে বিগত জীবনের গ্লানিভরা হীনতার লজ্জার দগ্ধানি সইতে না হয়, এমনভাবে বাঁচতে হবে যাতে মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষ বলতে পারে- আমার সমগ্র জীবন, সমগ্র শক্তি আমি ব্যয় করেছি এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আদর্শের জন্য- মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রামে।।
মন্তব্য
(অটঃ দেশে যাওয়া হচ্ছে কবে তোমার?)
সামনে বছর হিমালয়ের একটা পরিকল্পনা আছে, ঐটা হলে মাঝামাঝি হতে পারে, এখনই বলতে পারি না। তবে এই বছর হবে না, আপনার? যাই করেন, কিলি ঠিক রাইখেন দাদা।
facebook
আরে সেই কিলি তো ১২'র আগস্ট-সেপ্টেম্বর, অনেক দেরী। তদ্দিন বাচি কিনা তারি ঠিক নাই! আর কইছিতো দু-তিন মাসের মদ্দেই ফাইনাল হবে এই এলাকায় আছি নাকি নাই, থাকলেতো আমিও তক্কে তক্কে আছি তোমার ল্যাজ ধরে ঝুলে পড়ার।
facebook
চোখ টিবি মারলা কেন?
ঝুইল্যা পড়বেন শুনে।!
facebook
যেন সেই সন্ধিক্ষণ হতে ঘুরে এলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
শুনে ভাল লাগল
facebook
চমৎকার একটি ব্লগ উপহার দিলেন দাদা।
পরে বিপ্লব পরবর্তী সময় নিয়ে বড় একটা লেখা আসছে-
facebook
ফিদেল.. চে...+ ক্যামিলো...
যাহ্ রাউল গেল কতি ! সেই সাথে অন্য মানুষেরা যারা জীবন দিয়ে দেশভূমিকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখল
facebook
আসলেইতো, রাউল গেলেন কোথায়?
প্রেসিডেন্টের ভাষণ আছে বুঝি ..
না না... এ জায়গা ছেড়ে আর কোথায় যাবেন তিনই...
এইতো.. তাকে দেখতে পাচ্ছি
অনন্তবিস্তৃত তিনডটের মধ্যে অন্যদের সাথে তিনিও এখানেই আছেন...
সত্য। আছেন সমস্ত মুক্তিকামী মানুষেরা--
facebook
নড়ে উঠে পাজরের জমাট বাধা বরফের ধড়াচূড়া!!
নড়ে উঠে, নড়ে উঠে।
facebook
আমাদের যৌবনের নায়কদের সম্পর্কে অনেক তথ্য পেলাম। আপনার হাত ধরে দেখে এলাম সেই সব বিপ্লবিদের স্মৃতিচিহ্নগুলো।
ধন্যবাদ।
প্রৌঢ়ভাবনা
চিরসবুজ সেই নায়কেরা--
facebook
চিন্তা মিন্তা কইরা এনার্জী খরচ কইরা লাভ নাই উদাস ভাই, এইডারে থামান যাইত না। এখন এক্টাই উপায় এলিয়েনরা যদি লইয়া যায়। কিন্তু সিডারো বিপদ আছে। ওই ঘুরান শেষে সিরিজ পোষ্ট মারতে থাকব - এলিয়েনের দিনরাত্রী, এলিয়েন যেমন দেখেছি, এলিয়েন এর অকল্পনাসিয়াম (কাল্পনিক অতি মূল্যবান ধাতু) এর মুখোশ, এলিয়েন জাদুঘর ইত্যাদি ইত্যাদি।
কল্যাণF, তারেক অণুকে বিয়ে করিয়ে দিতে হবে। এটা একটা সমাধান হতে পারে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
একটা দিয়ে হবে না, মিনিমাম দুইটা বিয়া করানো লাগবে একে আটকানোর জন্য। তারপরে একজনে ঝাটার বাড়ি দিবে, কিউবাতে কার সাথে টাংকি মারতে গেছিলা বলে। আরেকজনে বেলন পিটা করবে আফ্রদিতির সাথে ফিলডিং মারার জন্য।
দুইখান আছে তো, প্রকৃতি আর কবিতা। তবে ইদানীং ফটু তোলা আর ঘোরাঘুরি মানে বনের মোষ তাড়ানো বড়ই ত্যক্ত করে। আর ঝামেলা বাড়ায়েন না গো----
facebook
@দিহান ও উদাস ভাইঃ এক অণু'র অত্যাচার, তারুপর আরো পরমাণু আমদানি করতে চান ? ওই সব পরমাণুতো অতিদ্রুত এক একখান অণুতে পরিণত হবে। তখন ? তার থেকে যেমন আছে সেইরকম চলুক। তাছাড়া ছেলে এখন বড় হয়েছে, বিদেশ বিভুইয়ে থাকে, কি যে করে আর না করে কে জানে ???
চুপচাপ পড়ে চলে যাচ্ছিলাম। আপনাদের কথা শুইনা আর কথা না কইয়া থাকতে পারলাম না
তাই দুইখান কথা কইয়া যাই
*এই তারেক অনু আস্ত একটা বলদ, হাতিড্ডিম। তার এই অত্যাচারের ফসল একদিন টের পাইব সে
** আর পরমাণু নয়, হতচ্ছারা এই যে এত জায়গায় মাথা পাতলামি কইরা ঘুরে বেড়ায়- আমার তো সন্দেহ অয় ইয়ে মানে...
অনু , কি রে খোকা তুই'ই বল, বাবা ব্যাপারটা একটু খোলসা কর দিকিনি।
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
চমৎকার।
facebook
কেন জানি কিউবার এই মুক্তিকামি নেতা ও তাদের সহযোদ্ধাদের ছোটবেলা থেকেই খুব কাছের মানুষ মনে হোত। পোস্টের জন্য
আমারও তাই মনে হত! হতে পারে তারা আমাদের মনের গহনে আবদ্ধ কিছু স্বপ্নকে আলোর মুখোমুখি করেছিল বলে--
facebook
পড়ুম না
facebook
বান্ধায়া রাখার মত পোস্ট!
চে'কে নিয়ে পোস্ট কবে দিবেন?
চে-র উপরে দুইটা মুভি রিভিউ লিখেছিলাম, ভাবছি সচলে দিব কি না।
আর এই বছরের শেষে চে-র বাড়ী মানে আর্জেন্টিনার রোজারিওতে যাবার কথা, সেই সাথে তার শেষ দিনগুলোর সঙ্গী বলিভিয়ার মাটিতে, তার পরে বড় একটা লেখায় হাত দিব আশা রাখি।
facebook
শহীদদের প্রতি
facebook
আমি আর অপু ভাই একবার প্ল্যান করছিলাম আপনার ফোন নং কালেক্ট করে প্রতিদিন রুটিন করে গালিগালাজ করবো। আপনি একটা অমানুষ রে ভাই!
লেখা-ছবি সবমিলিয়ে ভালোলাগলো।
অপু ভাইটা কে রে ভাই। প্রতিদিন ফোন করতে চাই, হুম ম
facebook
অপু ভাইরে একটা হুঙ্কার দিয়া আসেন।
facebook
ইমো দেখাইস না। সাহস থাকলে ফোন নাম্বার দে...
(পোয়েটিক তুই তুকারি, ক্ষমাযোগ্য আশাকরি)
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দিছি তো খেমোখাতায় ! ভাইজানের পাত্তা নাইক্যা!
facebook
অসাধারণ লাগল। ছবি আর সাথে সাথে স্বল্প বর্ণণার মাঝে যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম কিউবান বিপ্লবের সেই উত্তাল দিনগুলোতে। দীর্ঘজীবি হও বিপ্লবের প্রতীক মহান ফিদেল। বিপ্লব চিরঞ্জীব হোক।
বিপ্লব চিরঞ্জীব হোক।। স্বল্প বর্ণনা-, হুমম অনেক ছবির মাঝে আসলে হাজার শব্দের লেখাও ছোট মনে হয়।
facebook
ভাই, ক্যাপশন-এর যুৎসই বাংলা প্রতিশব্দ আর খুজে পাইলাম না
বিপ্লবীদের প্রতি--
facebook
অনেক ভালো লাগলো। রক্তেও কি একটু ঝিলিক দিয়ে উঠলো?
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
রক্ত উঠলো ঝিলিক দিয়ে--
facebook
মিশ্র অনুভূতি। কিছুটা স্বপ্নের, কিছুটা বেদনার, কিছুটা অপরাধের।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুব প্রিয় একটা কবিতা বললেন রোমেল ভাই। বলিভিয়ায় লজ্জাজনক অপরাধের সাক্ষী সেই বধ্যভূমি তে যাওয়া সম্ভব হলে দু মুঠি মাটি হাতে গলা ছেড়ে আবৃত্তি করব- চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়।
facebook
অতুলনীয় ......... চে সবসময়েই আমার জন্য অনেক বড় এক অনুপ্রেরণার নাম, তাই খুব বেশি ভালো লাগলো ব্লগটি পড়ে ......... অসাধারণ দাদা
আমারও, চে- নিয়ে আলাদা ভাবেও লিখব। শুভেচ্ছা
facebook
ভাই মৃত্যুময়, ঈষৎ মন্তব্য করে পালিয়ে গেলেন? যদিও আপনার নিকের সুবিচার হল কিন্তু আপনার মন্তব্যগুলো যে অনেক সুন্দর হয় ।
একি মন্তব্য অণুদার পোস্টে আর কত করবো কল্যাণদা? সাধারণত এত ঘনঘন যারা পোস্ট দেয় তাদের পোস্টের মান পড়ে যায়, অথচ এই অণুদাকেই দেখলাম মানটা ধরে রাখতে!!! বিস্মিত!!! উনি আসলে সচলের একজন বিস্ময়!!!
আর আমার মন্তব্যের কথা বলছেন, আমি তো মন্তব্যবাজ মানুষরে ভাই, খালি ই কম্মটিই পারি, লিখতে টিখতে তো বিশেষ পারি না। আমার আবজাব মন্তব্য যদি আপনার ভালো লেগে থাকে সে আমার গুণ নয়, আপনারই ঔদার্য।
দাদা, নিয়মিত লিখবেন।
অটঃ খোমাখাতায় আপনার নামটি কী জানতে পারি? অথবা আমারটিই দিয়ে দিলাম।
বেশী ঘনঘন হচ্ছে নাকি, দাড়ান তাহলে, একটু বিরতি নিতে হবে
ধন্যবাদ ঈষৎ দা, কল্যাণদা আপনার করা কমেন্টগুলো নিয়ে যথার্থ বলেছে।
facebook
অফটপিকের অতি ক্ষুদ্র(!) উত্তরঃ
বেশ কয়েক মাস আগে কাজের অমানুষিক চাপে চক্ষে পার্মানেন্ট অন্ধকার দেখতেছিলাম এবং সব ছেড়ে-ছুড়ে কোপ্নি পরে হিমালয়ের গহিন কোন কন্দরে বসবাসের কথা মনের মধ্যে যাওয়া আসা করতেছে এইরকম মাহেন্দ্রক্ষণে হঠাতই উপলব্ধি করলামঃ খোমাখাতার কোন দরকার আমার নাই (এবং ভাইস-ভার্সা বলাই বাহুল্য), এইটা চরম বিরক্তি উদ্রেক করতেছে সেই সাথে নষ্ট করতেছে সময়, একটা বাড়তি একাউন্ট মানে ঐটা লগিন করোরে, ছেক করোরে, পোলাপাইন্রে গুতা মারোরে। তাছাড়া দুনিয়ার বাতিল যত এডনোটিফিকেশনের লাগাতার অত্যাচার। তো একপ্রকার বিজাতীয় বিরক্তি নিয়ে নিঃশব্দে কেটে পড়েছিলাম (একটু মাত্রা ছাড়া পিসড অফ আছিলাম আরকি)। এই আজকে আপনার শক্তিশালী অফটপিকের আহ্বানে মনের গোপন লুক্কায়িত ভোগবাদী ইচ্ছার জয় হইল, আবার একাউন্ট এক্টিভেট করলাম। মৃত্যুময়ের জয়।
সাবাস দাদা! স্বাগতম
facebook
পোস্টে যথারিতি ৫ তারা
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
ভাই, সুপার, এক্সিলেন্ট.............
ধন্যবাদ।
facebook
দুর্দান্ত!
বিপ্লবের মৃত্যু নেই।
বিপ্লবের মৃত্যু নেই।
facebook
কিউবা নামটাই অন্যরকম
সত্য। স্প্যানিশে ক্যুবা বলে যদিও।
facebook
অসাধারণ লেখার, দেখার ক্ষমতা আপনার
facebook
চে, ফিদেল, রাউল নিয়ে একধরনের উন্মাদনা ছিলো কৈশোরে। এখন বুঝি ওসব ছিলো স্রেফ রোমান্টিকতা।
জেদগ্রস্থ হতে হতে জেদটাও ভোতা হয়ে গেছেরে ভাই। চালায়া যান...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হুম্ম ভোতা হল কয়! গুজব শুনলাম আপনে আমার মোবাইল নম্বর খুজছেন কিছু উপদেশ আর মূল্যবান মধুময় বাক্যবর্ষণের জন্য!
facebook
দারুন !!
তবে লাস্টের লাইন কটা যেটাকে চে'র বক্তব্য বললেন সেটা, নিকোলাই অস্ত্রভোস্কির ইস্পাত থেকে নেওয়া । জানিনা অবশ্য চে ও এইটা কখনো কোট করে থাকতে পারেন ।
ঠিকই বলেছেন, চে সম্ভবত তার ডায়েরীতে এই অংশটুকু লিখে রেখেছিল।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন