অসুরগুলোর বড্ডো বাড় বেড়েছে। যা নয়, তাই করে বেড়াচ্ছে। জগতের হেন অশুভ কম্ম নেই যা তারা করছে না। চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ইত্যাদি যত ধরণের অনাচার-ব্যাভিচার আছে তার কোনোটাই তাদের কাজের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না। নাহ! এবার এর একটা বিহিত করতেই হবে।
এইতো সেদিন, লম্পট-দুশ্চরিত্র অসুরটা পরিমল রূপ ধরে নিষ্পাপ মেয়েটার কি দুর্দশাই না করলো। তারপর যেই নিরীহ মেয়েটা বিচার চাইতে গেলো অমনি পুতনা রাক্ষসীটা এসে ভর করলো ম্যাডামের মাথায়। ‘মিউচুয়াল সেক্স’ না কীসব ছাঁইপাশ তত্ত্ব জাহির করাতে লাগলো তাকে দিয়ে। সেই সাথে উপরতলায় ঘাঁপটি মেরে থাকা অসুরগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠলো তাদের দোসরকে বাঁচাতে। নাহ! এতো অনাচার আর সহ্য হয় না!!
তারপর সেই যে কালোটাকার মালিকগুলো, ওদের মাথায় ভর করতেও ভুল করলো না দস্যিগুলো। তারপর সবগুলো জোট বেঁধে হামলে পড়লো শেয়ার বাজারে! বিশাল এক ধ্বস নামিয়ে গরীব মানুষগুলোর আশা-ভরসার বারোটা বাজিয়ে দিলো। কারো ঈদ, কারো পূজা, কারো বা দৈনন্দিন জীবনও মাটি হয়ে গেলো। অসহায় মানুষগুলো হতাশায় মাথা খুটতে লাগলো। সেইসাথে তাদের কন্ঠ থেকে বেরিয়ে এলো প্রবল আর্তনাদ, “ও খোদা, এ তুমি কি করলা…কেন করলা…” খোদা কি শুনতে পাচ্ছেন ওদের সেই আহাজারি…???
অসুরগুলো শুধুমাত্র একজন দুইজন নয়, ছড়িয়ে পড়েছে হাজার হাজার, লাখো লাখো মানুষের মাঝে। আর সেই অসুরের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে কী অবলীলাতেই না ছয় ছয়টা সতেজ-তরুণ দেহকে মৃত্যুশীতল-নিস্তেজ করে দিলো একদল গ্রামবাসী। সেই শক্তির বলেই অবলীলাতে জন্মদাতা বাবা কিংবা মা মেরে ফেলেন তার নিজের সন্তানকে। কখনো কখনো আবার দেবসেনার(আইনের রক্ষক!) বেশ ধরে ওরা হামলে পড়ে লিমন, মিলন, কাদের, নাহিয়ানদের উপরে।
ওরা রাস্তার মোড়ে, স্কুল কিংবা কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত করে সরস্বতীর মেয়েদের(বিদ্যার্থী) দিকে। ওদেরকে আসুরিক প্রলোভনে জড়িয়ে পথ বিচ্যুত করতে চায়। কখনো বা হামলে পড়ে হিংস্র হায়েনার মতো। ওরা গরল ছুঁড়ে ঝলসে দিতে চায় বিধাতার হাতে গড়া সুন্দরকে। ওদের হায়েনার ন্যায় ধারালো দাঁতের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ে কামনার লোল। ওদের লোভাতুর চোখের সামনে আমার ভগিণীরা যেন আজ তীরের নিশানায় থাকা পাখির মতোই।
ওরা তোমার বাণীকে বিকৃত করে মানুষকে করে বিভ্রান্ত। মানুষে মানুষে জন্ম দেয় বিভেদ আর হানাহানির। মৌলবাদীর শরীরে প্রবেশ করে ওরা ধর্মের উদার আকাশে ওড়ায় হিংসার বিষবাষ্প। ওরা এই পৃথিবীর মঙ্গল চায় না। ওরা চায় মহাতাণ্ডবে মেতে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে…আর…বিভৎস অট্টহাসিতে হো হো করে মেতে উঠতে……
তাই এসো হে ভগবতীমাতা; তোমাকে যে আজ আসতেই হবে। তুমি সেজে আসো তোমার ত্রিনয়না, দশভূজা, রণরঙ্গিনী রূপে। তোমার খড়গের প্রতি কোপে ছিন্ন হোক শত শত অসুরের পাপচর্চিত মস্তক। তোমার ত্রিশুল চিরে দিক যত অশুভ কামনার বুক। তোমার পদতলে পিষ্ট হোক অনাচারী দুর্বিত্তেরা। জয় হোক তোমার শুভশক্তির।
(সবাইকে শারদীয় দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাই…)
--বাংলামায়ের ছেলে
মন্তব্য
দুর্গার আসাযাওয়া ওই ট্রাকে চড়ে অবধিই। 'অসুর' শায়েস্তা করতে হলে মানুষদেরই করতে হবে।
কিছু মনে করবেন না, লেখাটা ক্লাসটেনের নোটবইয়ের মুখস্ত রচনার মত লাগল, ভাববিহ্বলতা ছাড়া কাজের জিনিস কিছু নেইকো।
একটা উৎসব, সার্বজনীন উৎসব, সার্বজনীন সংস্কৃতি, কিছু আবেগ, কিছু দুর্দশা আর এক বিশ্বাসীর প্রত্যাশা............এইসব নিয়েই এই পোস্টে কিছু সহজ-সরল কথা লিখতে চেয়েছি...............বিজ্ঞান কিংবা বাস্তবতার নিরীখে যুক্তির কাঁটাছেড়া করার কোনো ইচ্ছা ছিলোও না।
আমি আবেগী মানুষ...............গল্প, কবিতা, ছড়া----যা কিছু লিখি ঐ আবেগ দিয়েই..................কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি আমার আবেগকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাই............আমি শুধু প্রকাশ করি.........সবার সাথে শেয়ার করার জন্য...............সবাইকে আপন ভেবেই...
তবুও কাউকে আঘাত দিলে কিংবা অনাকাংখিত ভুল করলে আমি দুঃখিত।
আমার কাছে মোটেও কৌস্তভের মতো মনে হয়নি। বরং রম্যরসের মাধ্যমে অপ্রিয় সত্যিটা উঠে এসেছে। ভাষাটাও বেশ। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ। আপনার কথায় কিছুটা স্বস্তি পেলাম।
যাক, কিছু মানুষ হলেও লেখাটা বুঝতে পেরেছে।
আসলে এমন একটা বিষয়ে অভিযোগ উঠলো যেটা কিনা আমার নিজেরই অপছন্দ...............তাই খানিকটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম............
ভালো থাকবেন।
সহমত।
হুমম, একমত।
এখানে দেবীদূর্গার মাধ্যমে সেই শুভবুদ্ধি-শুভশক্তিকেই আহবান করা হয়েছে.........যা দিয়ে মানুষ তার অন্তরের ও বাহিরের অসুরকে শায়েস্তা করতে পারবে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
হুমম, একমত।
এখানে দেবীদূর্গার মাধ্যমে সেই শুভবুদ্ধি-শুভশক্তিকেই আহবান করা হয়েছে.........যা দিয়ে মানুষ তার অন্তরের ও বাহিরের অসুরকে শায়েস্তা করতে পারবে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
সচলায়তনের নীতিমালা অনুযায়ী ধর্মপ্রচারমুলক পোষ্ট নিষেধ।
আপত্তি জানালাম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সহমত। আমার মনে হয় এই পোস্টটি নীড়পাতা থকে সরিয়ে নেওয়া উচিত।
এই তো অসুর পেয়ে গিয়েছি।
মা দুর্গা আপনাকেই প্রথম বধ করবে বলে আসা রাখি।
সাম্প্রদায়িকতার বীজ সচলায়তনে বপন করবেন না হাসান মোরশেদ।
এঃ, এইসব কমেন্ট কেন ছাড়া হল জানিনা...
@মানব
হাসান ভাইয়ের কমেন্টে সাম্প্রদায়িকতা কোথায় দেখলেন ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপত্তিকর মন্তব্য। আপত্তি জানিয়ে গেলাম।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
ঠিকাছে 'আসা' রাখেন
আমি ও 'আসা' রাখি দেবী দূগগা আসবেন আমাকে বধ করতে। সুন্দরীদের আমি পছন্দ করি- দেবীই হোন আর মানবী
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
খুবই আপত্তিকর ও সন্ত্রাসী মন্তব্য। প্রতিবাদ জানাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হাসান মোরশেদ কিছু মনে করবেন না, এখানে ধর্ম প্রচার আসল কোথায়?
ধর্মপ্রচারমূলক!!!
আমি জানিনা একটা সর্বজনীন অনুষ্ঠান নিয়ে লেখা কিভাবে ধর্মপ্রচারমূলক হয়???
যদি তা হয়ও তবে আমি সত্যিই দুঃখিত।
আমি আসলেই ওরকম কিছু ভেবে লিখিনি।
কারো অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থী।
ক্ষমা চাওয়ার মতো কিছুই হয়নি এখানে। আঁতলামী কিছু মানুষের প্রিয় বিষয়। ধর্ম প্রচার মানে কী? এটা যে প্রতীকি- তা বুঝতে কোন সচল পাঠকের না বোঝার কথা নয়। আর পৌরাণিক কাহিনী ধর্ম, নাকি সাহিত্য? এখানে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুজো তো করা হয়নি?
দেবানন্দ ভূমিপুত্র মহাশয়,
জবাবটা দিতে পারতাম। সচলায়তনে অতিথি হিসেবে লিখছেন তো, তাই উপযুক্ত জবাবটা দিলাম না।
ধর্মপ্রচারের মানে বলতে কি শুধু তাবলীগ আর ইসকন বুঝেন? ব্যক্তিগত গন্ডীর বাইরে যে কোন পরিসীমায় ধর্মকে ধারন করলেই সেটা ধর্ম প্রচার হয়। সচলায়তন নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত গন্ডী নয়। এখানে দূর্গার ছবি কিংবা কোরানের আয়াত যাই ঝুলানো হোক সেটা উক্ত ধর্মের প্রচার বলে চিহ্নিত না হওয়ার কোন কারন নাই।
ও আচ্ছা দেবী দূর্গার পুজা তাহলে সাহিত্যের এক চরিত্রের পূজা :)। ভালো ভালো। সনাতন ধর্মের কেউ একটু ক্লারিফাই করে যায়েন আপনাদের ধর্ম কি আদৌ ধর্ম না দেবানন্দ কথিত সাহিত্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভাইজান, জবাব দিতে তো কিছু বাকি রাখেননি। আপনার অভিযোগ সত্যি হলে তো দায়ী করতে হবে মডারেটরকে, লেখককে নয়। আর লেখকের পুরো বিষয়টাই আমার কাছে প্রতীকি মনে হয়েছে। এখন 'কৃষ্ণচূড়া' বললেও যদি ধর্মের গন্ধ পান, তবে আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। আর ছবিটা লেখার অবিচ্ছেদ্য অংশ নয় হয়তো। আর অতিথি না হলে কি তাড়িয়ে দিতেন, ভাই? সচল কিন্তু ব্যক্তিগত গণ্ডী নয়, আপনিই বলেছেন। তাহলে কিঞ্চিত সেই রকমের আক্রমণ কি সদস্য বলেই?
আর ক্লারিফাই করার একটু চেষ্টা আমিই করছি। কোন কিতাব বা কোন চরিত্র কখনই ধর্ম নয়। বড়জোর ধর্মের অনুসঙ্গ হতে পারে। আপাত ধর্মহীনতাও একধরণের ধর্ম। আর স্বঘোষিত নাস্তিক কতোভাগ সত্যিকারের নাস্তিক, সেটা আরেক বিতর্কের বিষয়।
সচলের মডারেটররা নিজেদের ঈশ্বর মনে করেননা। একজন সাধারন সচলের যৌক্তিক দাবীর মুখে তাদের সিদ্ধান্ত ও পরিবর্তন হতে পারে।
দীর্ঘদিনের সহচর্চায় একজন সহসচলের সাথে যতো সহজে আমি তর্কে প্রবৃত্ত হতে পারি, অতিথির সাথে তা পারিনা। পারিনা এ কারনে যে তিনি অতিথি। এই সম্মাননাটুকু আপনার বোধগম্য না হলে সেটা পরবর্তীতে আপনার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
মজার কথা। কোরান ছাড়া তবে ইসলাম, খ্রিষ্ট ছাড়া খ্রীষ্টধর্ম আর দুর্গা, রাম ইত্যাদি ছাড়া সনাতন ধর্ম টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন।
আপনার বাকী কথা অপ্রাসংগিক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"Atheism is a religion like not collecting stamps is a hobby."
ডাকটিকেট জমানো একটি শখ, সে আমরা সবাই জানি। এখন কেউ যদি ডাকটিকেট না জমায়, আর বলে 'ডাকটিকেট না জমানোই আমার শখ' - সেই বক্তব্য যতোটুকু হাস্যকর হবে, ধর্মহীনতা বা নাস্তিকতাকে 'ধর্ম' ট্যাগ দেয়া ঠিক ততোটাই হাস্যকর।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
লেখা ধর্ম প্রচারমূলক না মনে হলেও অবশ্যই ধর্মীয় ভাব সম্পন্ন।
আর "অসুর শায়েস্তা করতে হলে মানুষদেরকেই করতে হবে"।
আশ্চর্য ! এখানেও সেই আওয়ামী-বিএনপি বিরোধিতা ! একদল বলছে ধর্মপ্রচারমূলক আরেকদল বলছে রম্যরসাত্বক। এখানে এঁদেরও টেষ্টের এত পার্ধক্য ! আমি সবসময়ই বিতর্ক এড়িয়ে চলতে চাই। তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
প্রৌঢ়ভাবনা
ঈদ ও সার্বজনীন, দূর্গাপুজা ও সার্বজনীন- দুনিয়ার সব ধর্মীয় উৎসবই তাহলে সার্বজনীন!
ধর্ম জিনিসটাই যেখানে সার্বজনীন না, বরং এর উলটো- মানুষকে মানুষ থেকে আলাদা করে- কাউকে পূন্যাত্মা, কাউকে পাপিষ্ঠ- কাউকে ইমানদার, কাউকে কাফির চিহ্নিত করে সেই ধর্মগুলোর আচার-অনুষ্ঠান আবার সার্বজনীন হয় কেমনে কেউ বুঝায়া বললে বাধিত হই।
দূর্গাপূজার পেছনের ইতিহাসে না হয় আর নাইবা গেলাম- আর্যদের সাম্রাজ্যবাদ, স্থানীয় প্রতিরোধযোদ্ধাদের অসুর কলংক লেপন, সনাতন ধর্মের আগ্রাসন সব ভুলে থাকলাম- মেনে নিলাম দেবী দূর্গার মানে দূর্গতিনাশিনী, তিনি সত্যি সত্যিই অসূর ও অপশক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবল বিদ্রোহ।
তাহলে প্রস্তুত থাকুন আগামী ১৭ ই রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস ও পালিত হবে সচলায়তনে। হযরত মোহাম্মদ তার মাত্র ৩০০ প্রলেতারিয়েত যোদ্ধা নিয়ে প্রবল পরাক্রমশীল হাজার হাজার মুশরিকের বিরুদ্ধে সেদিন যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। এই বদর যুদ্ধ ও নিশ্চয়ই অশুভের বিরুদ্ধে শুভের, প্রবলের বিরুদ্ধে দুর্বলের জয় লাভের অমোঘ প্রেরনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান ভাই, সচলে ধর্মপ্রচার নিষেধ জানি কিন্তু ধর্ম নিয়ে লেখা নিষেধ--তা কোথাও পাইও নাই জানিও না।
ধর্মপ্রচার আর ধর্ম নিয়ে লেখা কিন্তু এক না।
তাছাড়া হিন্দুর ধর্ম আমি কেনো প্রচার করতে যাবো???????????????
আপনি কি ধর্ম নিয়ে লিখেছেন?
একটা নির্দিষ্ট ধর্মের একজন দেবীকে যখন আপনি দূর্গতিনাশিনী, অশুভ দূরকারিনী ইত্যাদি বলে লিখবেন সেটা ঐ ধর্মের প্রচার হয় কিনা নিজেই একটু ভেবে দেখেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আচ্ছা যখন গ্রীকদেবদেবীদেরকে নিয়ে লেখা হয় তখন?
তুলিরেখা গ্রীক উপকথা নিয়ে এই সচলেই লিখেছিলেন।
পৌরাণিক কাহিনীতে যেভাবে তাকে বর্ণনা করা হয়েছে আমি তাকে সেভাবেই সম্বোধন করেছি। নতুন সম্বোধন দিতে যাইনি। এর মাঝে দোষের কি বুঝলাম না।
গ্রীক সবকাহিনীতেই তো জিউস কে মহামান্য জিউস বলা হয়েছে। তাতে তো সমস্যা হয়নি।
আপনি ও লিখুন না ভারতীয় পৌরানিক দেব দেবীর গল্প। সচলে এটা স্বাগতঃ জানানো হবে।
তবে গল্প হিসেবেই লিখুন। যেভাবে দূর্গাকে আহ্বান করছেন আমাদের যাপিত জীবনের দূর্গতি নাশের জন্য, গল্পকারের বদলে আপনাকে ভক্তরসে গদগদ পুরোত মশাইয়ের মতো লাগছিলো।
সমস্যার জায়গাটা এখানেই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"যেভাবে দূর্গাকে আহ্বান করছেন আমাদের যাপিত জীবনের দূর্গতি নাশের জন্য, গল্পকারের বদলে আপনাকে ভক্তরসে গদগদ পুরোত মশাইয়ের মতো লাগছিলো।"
হুঁ, সেইরকমই...
সহমত।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
সচলে অবশ্যই ধর্মীয় পোস্ট থাকা উচিত নয়। তেমনি অন্য ধর্মের ইতিহাসের কথা স্মরণ করে সমালোচনা করা কি উচিত? আপনিও তো একই দোষে দুষ্ট হলেন।
অসুর নিধন প্রসঙ্গে কৌস্তভ'র সাথে একমত।
সার্বজনিন ধর্ম বলে কিছু নেই। এই বিষয়ে আমার আর হাসান মোরশেদের অবস্থান অভিন্ন। বদর দিবসের সম্ভাবনাটা ভেবে শংকিত হলাম। যদিও পোস্টটা দৃশ্যত: চট করে তেমন খারাপ লাগে না।
মডুরা এই ব্যাপারে সেকেণ্ড থট দিতে পারেন।
অজ্ঞাতবাস
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
তবে ধর্ম নিয়ে পোস্ট বিষয়ে কথা আছে। ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার, ধর্মভিত্তিক কুসংস্কার ছাড়াও দর্শনের আলোচনায় থিয়োলজি আসবেই। এছাড়া সৃষ্টিশীল কাজেও বিভিন্ন ধর্মীয়/পৌরাণিক ব্যাপারস্যাপার মেটাফোর হিসাবে আসতেই পারে।
অজ্ঞাতবাস
সেটাই তো ভাই। শেষ প্যারা ছাড়া কোথাও তো দূর্গার উল্লেখ নেই। অসুর, সরস্বতীর মেয়ে, পুতনা রাক্ষসী, দূর্গা---সবই তো রূপকার্থে। প্রশ্নটা উঠেছে, আমি কেন অমন গদগদ সম্বোধন করলাম? পুরানের চরিত্রকে কি তবে আমি আমার মনমতো সম্বোধন করবো?
দৃষ্টিভঙ্গি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। ভালো থাকা হোক।
আপনার পোস্টের পুরো জিনিসটাই হচ্ছে প্রার্থনা। এগুলো সরাসরি কোনো দেবী-পীর-আউলিয়া-নবী-আল্লাহ-ভগবান টানের কাছে না চেয়ে-টেয়ে একই জিনিস 'আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?' বা 'কবে এগুলো দূর হয়ে সুদিন আসবে?' টাইপ আশাবাদী একখানা প্রবন্ধ প্রসব করলেই ল্যাঠা চুকে বুকে যেতো!
ধর্মপ্রচার আর ধর্ম নিয়ে লেখা এক বস্তু নয়(তাহলে লালন মায় রবীন্দ্রনাথও ফুটো গলে বেরোতে পারবেন না! )। ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতাও হয়তো তাই।
এটাই বোঝাতে পারলাম না। এটা নিয়ে তো কিছুমানুষ সেই কবে থেকেই জলঘোলা করে চলেছে।
সচলে সেই ধরনের মানুষ নেই বলেই জানতাম। কিছুদিন আগে 'সিরাতে'র ব্লগ পড়ে সেই ভুল ভাঙ্গলো। এখন দেখছি শুধু সিরাত'ই না, আরো আছে
মানে কী?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই লেখার বড় অংশ জুড়েই সমসাময়িক বিভিন্ন অনাকাংখিত ঘটনার উল্লেখ। কিন্তু সবার নজর কেনো ঐ শেষ প্যারাতেই।
শুভবুদ্ধি কিংবা শুভশক্তির আহবান করার জন্য আমি যদি জিউস, আফ্রোদিতি কিংবা একিলাস এর স্তুতি করতাম আর তাদের ছবি দিতাম, তাহলে মনে হয় কারো কোনো আপত্তি থাকতো না।
নজরুলের 'আনন্দময়ীর আগমনে' লিখে কি আর সাধে ইংরেজদের কোপানলে পড়েছিলেন? ধর্মপ্রচারণা খুব বাজে জিনিস মশাই!
আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল?
স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।
দেব –শিশুদের মারছে চাবুক, বীর যুবকদের দিচ্ছে ফাঁসি,
ভূ-ভারত আজ কসাইখানা, আসবি কখন সর্বনাশী?
মাদীগুলোর আদি দোষ ঐ অহিংসা বোল নাকি-নাকি
খাঁড়ায় কেটে কর মা বিনাশ নপুংসকের প্রেমের ফাঁকি।
ঢাল তরবার, আন মা সমর, অমর হবার মন্ত্র শেখা,
মাদীগুলোয় কর মা পুরুষ, রক্ত দে মা রক্ত দেখা।
তুই একা আয় পাগলী বেটী তাথৈ তাথৈ নৃত্য করে
রক্ত-তৃষার ’ময়-ভুখা-হু’র কাঁদন-কেতন কণ্বে ধরে।-
অনেক পাঁঠা-মোষ খেয়েছিস, রাক্ষসী তোর যায়নি ুধা,
আয় পাষাণী এবার নিবি আপন ছেলের রক্ত-সুধা।
দুর্বলেরে বলি দিয়ে ভীরুর এ হীন শক্তি-পূজা
দূর করে দে, বল মা, ছেলের রক্ত মাগে দশভুজা।..
’ময় ভুখা হুঁ মায়ি’ বলে আয় এবার আনন্দময়ী
কৈলাশ হতে গিরি-রাণীর মা দুলালী কন্যা অয়ি!
উনি সমসাময়িক ওইসব ঘটনার উল্লেখ করে শেষে যদি বলতেন, "এইসব থেকে বাঁচার জন্য আমাদের উচিত জামাতকে আহ্বান করা", তাহলেও সবার নজর শেষ লাইনটাতেই গিয়ে পড়ত।
আপত্তি থাকত বই কি।
কৌস্তুভদা, জামাত আর ইসলাম কী সমার্থক? আপনি কিভাবে এখানে জামাতকে নিয়ে আসলেন বুঝলাম না।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
জামাত আর ইসলাম সমার্থক না? ওরে কে আছিস আমারে ধর...
জ্বি ঠিকই ধরেছেন! ইসলাম ধর্ম মানেই মওদুদী বাদ, সনাতন ধর্ম মানেই শিবসেনাবাদ কিন্তু বিবর্তনবাদ মানেই সোশ্যাল ডারউইনিজম বা ইউজেনিক্স না। কারণ এতে বেচারা ডারউইনের কোনো হাতই নেই!!!!
ডারউইন কি সোশ্যাল ডারউনিজম বা ইউজেনিক্স মতবাদ দিয়ে গেছেন, নাকি সাজেস্ট করে গেছেন? আর ডারউইন ঘটে চলা জিনিসের একটা ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন, তার নিজস্ব কোন মতবাদ দেন নি। নিউক্লিয়ার বোমা তৈরীর দায়ে কি ডাল্টনে, থম্পসন এই ভদ্রলোকদেরকে ফাঁসানো যায়? ডারউইন প্রকৃতিতে চলা পরিবর্তন প্রকৃয়ার একটা গ্রহণযোগ্য এবং তথ্য-সমর্থিত একটা তত্ত্ব দিয়ে গেছেন। সেটা যদি একদল মূর্খ মানুষের সামাজিক গঠন কেমন হবে সেটা ঠিক করতে কাজে লাগায়, তার জন্য ডারউইনকে দোষ দেয়া যায়? ডারউইনের মতবাদ ডেসক্রিপটিভ, প্রেসক্রিপটিভ না।
শিবসেনা আর জামাত ধর্মের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে বেশি কিছু করে না, ধর্মগুলো সরাসরি প্রেসক্রিপটিভ, বলেই দেয় এটা করো, ওটা করো। মডারেটরা হয়তো খারাপ জিনিস গুলো এড়িয়ে যায়, উগ্ররা সরাসরি রেফারেন্স টেনে আকাজ-কুকাজ গুলা করে। তাই এদের দায় এদের ধর্মের গায়ে চাপে, ইউজেনিক্সের দায় ডারউইনের কাঁধে চাপে না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আরে দাদা তাইতো বল্লুম! দোষ শুধু ধর্মেরই। ভালো ভালো কথা বললে কি হবে? হাজার বছর ধরে মানবিক বোধের ক্রমান্নতির ভেতর দিয়ে পরিশীলিত হয়ে গেলেই বা কি? এর হাজারটা উদারনোইতিক সেকট থাকলেই বা কি? ভিতরে আছে এক্কেবারে হিলহিলে বিষ! আরে ধর্ম জিনিসটাইতো একটা আস্ত পাজির পাঝাড়া।(যদিও যারা ধর্ম মানে তারা কি এ বিষয়ে সবাই ই কুলুপ এঁটে রইলেন!) এটাকে কোনোমতে তাড়িয়ে দিতে পারলেই বিশ্ব ফুলে ফলে রঙিন হয়ে উঠবে, গাছে গাছে পাখি গাইবে, নদীতে কুলু কুলু ঢেউ বইবে, গোয়ালভরা ধান থাকবে, পুকুরভরা মাছও সুরসুর করে মিলে যাবে, অনাচার, অবিচার, বৈষম্য বলে কিছুই থাকবে না স্রেফ একবার ধর্মের একটা হিল্লে করে ফেললেই হলো!
ন্যায় আর অন্যায়ের যুদ্ধটা কি ধর্ম বনাম নিধর্মের সাথে? নাকি ধর্মকে মানবিকতায় উত্তোলনের(এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার, আন্দোলন আর পরিশীলনের) পক্ষের আর বিপক্ষের সাথে? প্রথমটি হলে টা টা। কেননা হাজার বছরের সামাজিক কাঠামোকে স্রেফ হেয় করে আর বিরোধিতা করে যা হয় তাতে সাত দুগুণে আটাশ হয় আর হাতে থাকে পেন্সিল! বিশ্বাস না হলে আলবেনিয়ার কাহিনীতে ঘুরে আসতে পারেন। দ্বিতীয়টা হলে সাথে আছি। ধর্মকে সামাজিকভাবে মানবিকতায় উত্তোলন এবং পরিশেষে তাকে বিমানবিকতায়(বুদ্ধ বাবাজীর গড কে নেই করে দেওয়া দ্রষ্টব্য ) নেওয়ার আরকোনো উপায় আছে বলে জানা নেই। শর্টকাটে সমাজের সাধন হয় না। স্রেফ ব্যক্তিগত আত্মতুষ্টিই থাকে কেবল। সমাজের ভেতরে থেকে সমাজ না পাল্টাতে পারলে হাজারটা নতুন ইনকেলাবী মতবাদ নিয়ে আসলেও তা সমাজ স্রেফ ছুঁড়ে ফেলে দেবে। আর তাই বিধবা বিবাহ, সতীদাহ বন্ধের জন্য নাস্তিক(হ্যাঁ, জেনেই বলছি) বিদ্যাসাগর আর রামমোহন স্রেফ বিল পাশ করেই ল্যাটা চোকান নি, ধর্ম থেকেই তার অসারতা দেখিয়েছেন। নইলে মানুষ লুকিয়ে চুরিয়ে সেই একই কাজই করতো(ভাগ্যিস! এজন্য তাদের মডারেট হিন্দু বলে গাল খেতে হয়নি! এযুগে হলে? তৌবা তৌবা!)
এই সাধারণ সত্যটা না বুঝলে ধর্মের বিরুদ্ধে হাজারটা w.m.d দেগেও ধর্মের কিছুই করতে পারবেন না, স্রেফ বিদ্বিষ্ট আর মানবিক অনুভুতিতে আঘাতপ্রাপ্ত একদল ধার্মিক গোষ্ঠি তৈরি ছাড়া।
মুর্শেদ ভাই, মানে কী? যারা ইসলামে বিশ্বাস করে তারা সবাই জামাত করে?
ওইটা একটা উদাহরণ ছিল, কেন বাকি কনটেন্ট ফেলে শেষ অংশেই নজর যেতে পারে পাঠকের। এর মধ্যে "জামাত-ইসলাম সমার্থক" এই অ্যাঙ্গেল কোত্থেকে নিয়ে এলেন? অন্য কমেন্টটাতেও দেখলাম তাপসদা যা বলেননি তা টেনে নিয়ে এলেন। এই অভ্যাস বাদ্দেন।
আমারো তাই প্রশ্ন। একটা গোটা কমেন্টের সারমর্ম না বুঝে, একটা উৎকট মন্তব্য করে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই যে মহাশয় - জামাত আর ইসলামকে কোত্থেকে টেনে আনলেন তার সঠিক ব্যখ্যা উনি নিজেও দিতে পারবেন না।
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার স্যান্ডউইচ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকলেই হয়, আমার আর আপনাদের কমেন্ট থেকে উৎকট কিছু বের করতে হয় না। আপনারা দশটা ভালো কথার মধ্যে একটা ধর্মবিদ্বেষী কমেন্ট করবেন আর সেটা ধরিয়ে দিলেই আমি উৎকট জিনিস খুঁজে বের করি?
আপনি উদাহরণ হিসেবে জামাতকে টেনে আনলেতো সেটা চোখে পড়বেই, তাই না? আমি কোন আঙ্গেল আনিনি, আপনার কথাই কোট করেছি। আপনি ধর্ম মানে যদি জামাত, শিবির, শিবসেনা, আল-কায়েদা বুঝেন তাহলেতো সমস্যা।
এখানে জামাত-স্তুতি আনা হয়েছে একটা অপ্রিয় শেষকথার উদাহরণ হিসাবে, তার বদলে বুশ-স্তুতি বা হিটলার-স্তুতি আনলেও চলত। সেটুকু না বুঝে ওখানে ধর্ম টেনে এনেছেন আপনিই, মনে তো হচ্ছে জামাত আর ধর্মের লিঙ্ক-আপ টা আপনিই করলেন মনে মনে।
স্তুতি জিনিসটিই আপত্তিকর। ব্যক্তিগত জীবনে জপুন যতো খুশি, পাবলিক স্ফিয়ারে নিয়ে আসলেই সমস্যা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
একটা নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব কী করে 'সার্বজনীন' হয় এটা আমাকে কেউ বুঝিয়ে বললে কৃতার্থ হবো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধর্মীয় উৎসব অবশ্যই সার্বজনীন যদি তাকে সাম্প্রদায়িকতা আর স্টেরিওটাইপ ধর্মহীনতা থেকে উদ্ভুত চিন্তাভাবনার উর্দ্ধে থেকে দেখা যায়। ধর্মীয় উৎসবে সবাই আমন্ত্রিত এবং কেউই বলপূর্বক আহুত নয় সুতরাং তা স্রেফ ধর্মাচার নয় বরং একটা আন্তঃধর্ম মানসের মিথস্ক্রিয়ার জন্ম দেয়। ধর্ম যেহেতু সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান এবং মানুষ যেহেতু সাংস্কৃতিক জীব তাই এই উৎসবগুলো মানুষের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মিথস্ক্রিয়ারও অন্যতম উপাদান। এমনকি ধর্মহীন মানুষেরও এসব উৎসবে যোগদানে ধর্মপ্রসূত অনীহা বা তাচ্ছিল্য অশোভনতার পরিচায়ক কেননা সে তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন অহেতুক এবং উটকোভাবে ধর্মীয় কারো উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে(অবশ্যই যদি এতে তার কোনো ক্ষতির কারণ না থেকে থাকে তবে)। কাজেই পুরোপুরি ধর্মহীন সমাজের উদ্ভবের আগপর্যন্ত এসমস্ত উৎসব সার্বজনীনই থাকবে।
আর ধর্মীয় উপাদান কে আহবান স্রেফ ধর্মপ্রচারের জন্য করা হয়না বরং তা একটি মোটিফ হিসাবে সজ্ঞানে-অজ্ঞানে আমরা অনেকেই ব্যবহার করি ও অনেককেই ব্যবহার করতে দেখি। স্রেফ বিশ্বাস নয় বরং লোকাচার ও সাংস্কৃতিক আবহও এর জন্য দায়ী(মানব মনে শাসন করে পুরাণ- বিজ্ঞান নয়- হুমায়ুন আজাদ)। তাই শান্তি কামনায় রবীন্দ্রনাথ প্রার্থনা করেন 'বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি' গেয়ে, ইংরেজদের ধ্বংসকামনায় নজরুল গান 'আনন্দময়ীর আগমনে', মনুষত্বের জয়গানে লেখা হয় 'প্রমিথিউস আনবাউন্ড', এপোলো আর ডায়ানিসাসকে নয় বরং যাকিছু সত্য আর সুন্দর তাকেই ধ্বংসের উপরে উঠিয়ে স্তব করা হয়।
অবশ্যই এসব উৎসব শুরু থেকেই সেভাবে সার্বজনীন ছিলো না। অন্য সবকিছুর বিবর্তন মানলে সামাজিক ক্রমের ক্ষেত্রেও তা মানতে হয় বৈকি! আর তাই হাজার-হাজার বছরের পেছনের ইতিহাস ঘেঁটে তা দিয়ে বর্তমানের উৎসবের সার্বজনীনতা ঘাঁটা ইতিহাসকে পেছনের দিকে চালানোরই আরেক রূপ।
নাহ। তাও বুঝলাম না।
কোন ধর্ম কি 'সর্বজন' কে ধারন করে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় আমি মানতে রাজি- ধর্মের উৎসব সার্বজনীন হতে পারে।
তবে উত্তরে হ্যাঁ বললে কিন্তু দেখাতে হবে কোন ধর্ম তার অনুসারী ছাড়া ও অন্য ধর্মানুসারী এবং কোন ধর্মানুসারীই নন এমনজনকে ও ধারন করেছে কিংবা করছে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি শুরুতেই ধরে নিচ্ছেন যে ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গেলে তাকে সেই ধর্মের বা কোনো ধর্মের অনুসারী হতেই হবে। আমি একেই বলেছি ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে ধর্মহীনতা উদ্ভুত স্টেরিওটাইপ মানসিকতা। কেন ভাই? ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গেলে কোনো 'বিশেষ' ধর্মকে ধারণ করতেই হবে ? এটাই কি সাম্প্রদায়িকতার অপর নাম নয়? আজ ঈদে-পূজায়-ক্রিসমাস ইভে ধর্মনির্বিশেষে অংশগ্রহণ কি তবে ধর্মে ধারণকৃত মানসিকতার পরিচায়ক না সাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়ার পরিচায়ক? নাস্তিকরা কি পূজোর পার্বণে যেতে পারছেনা বা ঈদের ছুটিতে আত্মীয়ের কাছে ঘোরাঘুরি করতে গেলে দাবড়ানি খাচ্ছে?
ইসলামধর্ম-> ধর্মাচার-> ধর্মীয় উৎসব
সনাতনধর্ম-> ধর্মাচার-> ধর্মীয় উৎসব
ক্রিশ্চিয়ানধর্ম-> ধর্মাচার-> ধর্মীয় উৎসব
শেষ অংশগুলো আর স্রেফ ওই নির্দিষ্ট ধর্মে আর সীমাবদ্ধ নেই। আর এই অবারিত অংশগ্রহণই এর সার্বজনীনতা নির্দেশ করে। হ্যাঁ, অনেক উদাহরণ আর রেফারেন্স দিয়ে দ্যাখাতে পারেন যে এইখানে মানা আছে, ওই খানে মানা আছে। আমি শুধু বলবো সমাজের মানসিকতা স্রেফ ধর্মবাণীতে ফুটে ওঠে না। মানুষের কর্মেই তার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে। আর তাই সেসব বাঁধা নিষেধ ত্যাগ করেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাংস্কৃতিক মিলন ঘটছেই। ধর্মীয় উৎসবগুলো সেই মিলনেরই একটা অংশ, আর তাই সা সার্বজনীন।
ধরাধরির তো কিছু নেই। ধর্ম মানলে তো এটাই সত্য।
আমি প্রকৃত মুসলমান হলে, বিধর্মী পৌত্তলিক হিন্দুর উৎসবে অংশ নেয়া আমার জন্য হারাম। তেমনি আপনি প্রকৃত হিন্দু হলে আপনার ও ছোটলোক যবনের ঘরে পানি খাওয়াও নিষিদ্ধ। এখন আপনি না আপনার ঠাকুর্দা প্রকৃত হিন্দু সেই সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন।
তবে আমি সিদ্ধান্ত দিতে পারি আমি প্রকৃত মুসলমান হতে পারি নাই। হলে, পৌত্তলিক কাফিরদের পুজা-পার্বনে আর যাবোনা।
অবশ্যই। ধর্ম মানেই তো সাম্প্রদায়িকতা। আমি বেহেশতে যাবো, আপনি ঘৃন্য নরকের কীট অথবা আপনি স্বর্গবাসী হবেন আমি জ্বলবো রৌরব নরকে- এইতো ধর্ম, তাইনা? আপনি একদিকে ধর্ম মানবেন অপরদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ইত্যাদির গান গাইবেন- তা কি হয় দাদা?
সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া ধর্ম আর লবন ছাড়া ওরস্যালাইন একই কথা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধর্মাচারী মানেই যদি আপনি লস্কর ই তৈয়বা, রাষ্ট্রিয় সেবক সঙ্ঘ, কু ক্লুক্স ক্লান আর ইরগুন টেরোরিস্টদের দেখতে পান তো আর কথা বাড়ানো বৃথা। ধর্মহীনরা ধর্মাচারী বলতেই একটা স্টেরিওটাইপ দানবই শুধু যে কেন দেখে তা আর পরিষ্কার হলো না এ জীবনে। ধর্মাচারী বলতে সূফী, হীনযানবাদী, মহাযানবাদী, কোয়েকার ক্রিশ্চিয়ান, জৈন, লালনের দেহবাদী এদের কেন যেন চোখেই পড়েনা! আর প্রকৃত ধার্মিকের সংজ্ঞা যেখানে ধার্মিকরাই বের করতে হিমশিম খান সেখানে ধর্মহীন(নাকি বিদ্বেষী বলবো? )রা এতো ম্যাজিক সল্যুশন কিভাবে সাততাড়াতাড়ি বের করেন সেটাও এক প্রশ্ন বটে! আর ধর্মের বিভাগ এমনকি প্রত্যেক ধর্মেই আছে হাজার হাজার(আক্ষরিক অর্থে)। যতগুলো মানুষ ততগুলো ধর্মপথ এটাও হয়তো বলা যেতে পারে কারণ ধর্ম মানে মানুষ যা ধারণ করে আর মানুষের ধারণক্ষমতা বা ধারনেচ্ছা তার নিজের মাপেই স্বতন্ত্র(এই সংজ্ঞায় শুধু আব্রাহামিক, বৈদিক ইত্যাদি ধর্ম শুধু নয়, কমিউনিজম, পুঁজিবাদ মায় নাস্তিকতাও পড়ে)।
আর এ নিয়ে কথা বাড়াবো না কারণ ফলাফল ঐ একই, আপনি গাদা গাদা পুঁথি পত্তর এনে দেখাবেন যে এই খারাপ আর ওই খারাপ। আমি কোনটা মানবো আর না মানবো সেটা আমারই ব্যাপার। ধর্মকে লোপাট করে দিলেও যে এমন কি স্বর্গরাজ্য(আহেম! মিস্টেক) থুড়ি ডকিন্সরাজ্য প্রতিষ্ঠা পাবে সেটাও ভেবে পাইনা। তাই আর কথা বাড়াবো না স্রেফ পালটা কিছু প্রশ্ন করবো। উত্তর দেয়া না দেয়া আপনার মর্জি!
আপনি কি মনে করেন যারা ধর্মে বিশ্বাসী(ইসলাম, সনাতন, ক্রীশ্চিয়ান, জুডাইজম) তারা সকলেই সাম্প্রদায়িক? তারা সকলেই একে অন্যের ছোঁয়াছুঁয়ি ঘেন্না করে? সুযোগ পেলেই একে অন্যকে খতম করার মওকায় থাকে?
যদি তা না হয় তবে কেন? আর যদি তা না হয় তবে আপনার স্যালাইন তত্ত্বের আলোকে তারা কি সকলেই ধর্মহীন?
ধন্যবাদ :)।
সাম্প্রদায়িকতা কি আপ্নার মতে ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই কথাটা কোন প্রসংগে বলেছিলাম সেটুকুও উদ্ধৃত করলে প্রাসংগিকতা বজায় থাকতো। এখানে শুধু আমার বলা কথার এক খণ্ডাংশই প্রকাশ পাচ্ছে। তাও উত্তর দিলাম
সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে এক ধরনের মনোভাব। কোন ব্যক্তির মনোভাবকে তখনই সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দেওয়া হয় যখন সে এক বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্তির ভিত্তিতে অন্য এক ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং তার অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধচারণ এবং ক্ষতিসাধন করতে প্রস্তুত থাকে।[১] এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিবিশেষের ক্ষতিসাধন করার মানসিক প্রস্তুতি সেই ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ পরিচয় অথবা বিরুদ্ধতা থেকে সৃষ্ট নয়। ব্যক্তিবিশেষ এ ক্ষেত্রে গৌণ, মুখ্য হলো সম্পদায়।ধর্মনিষ্ঠার সাথে সম্পর্ক আছে ধর্মীয় তত্ত্ব এবং আচার বিচারের। সাম্প্রদায়িকতার যোগ আছে সম্পদায়ের সাথে। অর্থাৎ ধর্মনিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজের আচরণ এবং ধর্মবিশ্বাসের গুরুত্ব বেশি।[২] সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে নিজের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ এক জাতীয় আনুগত্যের গুরুত্ব বেশি। এ ছাড়া সত্যকার ধর্মনিষ্ঠা পরকালমুখী। পরকালেই তার সত্যকার পুরস্কারের আশা। সাম্প্রদায়িকতার মুনাফা ইহলোকে। ধর্মনিষ্ঠার জন্য অন্যের বিরুদ্ধাচরণের প্রয়োজন নেই।
কাজেই প্রকৃত হিন্দু বনাম প্রকৃত মুসলিমের ভেক ধরে তুলে ধর্মীয় উৎসবের সার্বজনীনতাকে হেয় করার ধর্মহীনতা উদ্ভুত প্রয়াস আর মৌলবাদী সাম্প্রদায়িকতার প্রয়াস ওই একই সাম্প্রদায়িকতারই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। ওপরে করা আমার প্রশ্নগুলোর জবাব আপনার কাছ থেকেও আশা করছি
উইকি থেকে যে সংজ্ঞা কপিপেষ্ট করলেন সে সংজ্ঞায় সমর্থন কিন্তু
বুঝিনি ।
সচল নীতিমালায় ধর্ম্প্রচার নিষেধ সে কারণে দুর্গার স্তুতিমুলক এই পোষ্টের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন হাসান মুরশেদ ভাই । আমি হাসান ভাইয়ের অবস্থান সমর্থন করি কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এই পোষ্টে বিভিন্ন কমেন্টে প্রকাশিত তার সকল মতকে আমি সমর্থন করি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনার ব্যাখ্যা পড়ে ভালো লাগলো। আমি হয়তো এতটা গুছিয়ে লিখতে পারতাম না।
আশা করি হাসান মোরশেদ ভাই তার উত্তর পেয়ে গেছেন...
নারে ভাই, উত্তর আর পাইলাম কৈ?
উপরে এখনো প্রশ্ন ঝুলে দেখেন।
যাই, ঘুমাতে এখন। দেখেন দুর্গতিনাশিনী দেবী আপনার আহ্বানে ধরাধামে এসে দু একটা অসুর বধ করেন কিনা। ওঁম দুগগা দুগগা...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভাই, ধর্মের সংকীর্ণতাকে ডিঙ্গানোর জন্যই তো ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোকে অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীনভাবে উদযাপন করে উদার পরিবেশ কিংবা অসংকীর্ণ মন তৈরির এই প্রচেষ্টা..................তাতেও যদি ধর্মকে বাঁধার দেয়াল হিসেবে তুলে দেন তাহলে তো সম্প্রীতির বাঁধন বলতে কিছু আর থাকে না...............
এই পোস্টে শুধু একটি বাক্যই ভালো লেগেছে তা হল
আমিও সবাইকে শারদীয় পুজোর শুভেচ্ছা জানালাম।
পোস্টটি নিয়ে আপত্তি উঠতে পারে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের কল্পবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লিখে বসতে পারে এই সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হিসেবে তাদের ঈশ্বরের প্রার্থনার কথা, লেখক কী বলেন তখন কেমন হবে? সচল কী তা প্রকাশ করবে- আপনি কী মনে করেন?
অনেক বেশিই প্রাগৈতিহাসিক লাগলো। সচলে অপসংস্কার নির্ভর কোন কল্পকথা দেখতে চাই না।
লেখকের প্রতিঃ ভাই আপনি কিন্তু পুজোৎসবের কোন অভিজ্ঞতা লিখতে পারতেন, কোন মজার ঘটনা শেয়ার করতে পারতেন, কোন গল্পও ফেঁদে বসতে পারতেন, তাহলেই আর আপত্তিগুলো উঠতো না।
ধন্যবাদ। পুজো সুন্দর আর উৎসবমুখর কাটুক।
স্যরি ভাই, আগে বুঝি নাই.........কিন্তু এখন বুঝছি।
নতুন লেখক তো......মাফ কইরা দিয়েন।
এইটা সচলে আমার মাত্রই ১১তম লেখা..................আর এমুন ভুল হবে না।
ভবিষ্যতে অবশ্যই অবশ্যই খুউব খুউব খিয়াল কইরা..................লিখবার আশা রাখি।
ধন্যবাদ। আপনার বিবেচনা ভালোই লাগলো। আমি আসলে সমসাময়িক পূজা আর অন্য ঘটনাগুলোকে একসুতায় গেঁথে লিখতে চেয়েছিলাম। তাই খানিকটা পৌরাণিকতার আশ্রয় নিয়েছিলাম। ধর্মই যদি লেখার একমাত্র উপজীব্য হতো তাহলে তো দূর্গাপূজার ইতিবৃত্ত থেকেই শুরু করতাম।
কী মুশকিল আমার কাছে মাফ চাচ্ছেন কেন? ব্যথিত হলাম ভাই।
বুঝেছেন এটাই কাম্য ছিল। আর কিছু না।
পুজোর কোন মজার অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা নিয়ে পোস্ট দিয়েন, পড়বো নে।
ভালো থাকবেন।
কিন্তু এটা কি ধর্মপ্রচার? তাহলে নজরুল কি হিন্দুধর্মপ্রচারক??
এতে তো তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ জাগাতে, চেতনা জাগাতে চেয়েছেন; যেটা আমি করতে চেয়েছি অসুরের বিরুদ্ধে.....................আমি কি তবে অসুরদের কোপানলে???
ধর্মীয় উৎসবগুলো একই ধর্মবিশ্বাসী বা ধর্মীয় সংস্কৃতিতে বড় হওয়া মানুষের কাছে সর্বজনীনতার বাণী নিয়ে আসতে পারে মানছি, কিন্তু যেহেতু ব্যাপারটা একটা নির্দিষ্ট ধর্মের ভেতরে গন্ডীবদ্ধ সেটা অন্যের কাছে কিকরে একই অনুভূতি নিয়ে আসতে পারে। প্রায় প্রতিটি ধর্মেই যেখানে তার নিজের দলের লোকেদের অন্য দিকে মন না যাওয়ার জন্য বলেছে, অন্য ধর্মের অনুসারীরা অবিশ্বাসী( যদিও তাদেরও অবশ্যই একটা বিশ্বাস আছে), আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে চরম শাস্তি, সেখানে একটা নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব অন্য ধর্মাবলম্বীর কাছে খুব আনন্দের ব্যাপার বলে মনে হয়না। ধর্মের কারণেই পৃথিবীতে যে পরিমান যুদ্ধ হয়েছে, অন্য কোন কারণে অত প্রাণহানি হয়েছে বলে মনে হয়না। ধর্ম কি আদৌ মানুষকে মানুষ হতে শেখায়, নাকি মুসলমান, বা হিন্দু, বা খ্রিস্টান হতে অনুপ্রাণিত করে? এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের কাছে অস্পৃশ্য, এক ধর্মের লোক যা খায় অন্য ধর্মের লোক তা খেলে তার জাত যায়, এক ধর্মের লোকেরা পরিবারে সবাইকে শেখায় অন্য ধর্মের লোকেরা খারাপ, অমন, তেমন; একটা শিশুকে মানুষ হিসেবে বড় হতে দেবার আগেই তাকে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান বানিয়ে মনুষ্যত্বের দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে দেয় ধর্মীয় শিক্ষাই। এসব কারণে ধর্মীয় উৎসব কীকরে সর্বজনীন উৎসব হবে?
প্রায় সহমত।
এই সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই তো আমাদেরকে গোঁড়ামির দাস না হয়ে বরং উদারচিত্ত হয়ে সকল সামাজিক অনুষ্ঠান ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপুর্ণিমা, নববর্ষ---এগুলোকে সার্বজনীনতার আমেজে উদযাপনের অভ্যাস করতে হবে।
ঐ গানটা শুনেন নি?.........
ধর্মের সাথে সার্বজনীন কথাটা বেমানান, একটি নির্দিষ্ট ধর্মালম্বী গোষ্টির জন্য কথাটা প্রযোজ্য হলেও যেহেতু কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে সমর্থন করেনা, তাই ধর্মীয় কোনো আনুষ্ঠানিকতাই সার্বজনীন হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা|
লেখার পেছনে লেখকের ভালো উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু লেখার ভাষা বা প্রকাশভঙ্গি নিয়ে সমস্যা আছে| লেখাটা পড়ে দেবিস্তুতি মনে হয়েছে, তাই লেখককে প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হতে হচ্ছে| সেটা না হয়ে বরং ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলেই ভালো হত, তাহলে তর্কের উপায় ছিলনা|
ধর্ম বিশ্বাস করি আর না করি, সামাজিক মানুষ হিসেবে এই অনুষ্ঠানগুলো থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা এখনো সম্ভবপর বলে মনে হয়না| তবুও সচলায়তনের স্বকীয়তা বজায় থাকুক এটাই কাম্য|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঠিক তাই। ব্যক্তি আমাকে ও এই আপোষ করতে হয়, করি। কিন্তু সচলায়তনের এই সামাজিক দায় নেই। আমরা যেনো সচলায়তনের কাঁধে এই দায় না চাপাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ।
দূর্গাপূজা নিয়ে একটা ছড়া লিখেছিলাম। কিন্তু এখন অবস্থার প্রেক্ষিতে সেটা দেবার চিন্তা করতেও ভয় হচ্ছে.........
ভালো থাকবেন। আপনার পরামর্শগুলো মাথায় থাকলো।
ধর্ম সার্বজনীন না হলে ধর্মীয় উৎসবও সার্বজনীন হবে না------এই উদ্ভট ধারণাটা আসলো কোথা থেকে...............।।
এটাই যদি মূলকথা হয়............সবশেষে তাহলে তো সেই ধর্মীয় গোঁড়ামিরই জয় হয়............কি লাভ তবে এত প্রগতিশীলতার বুলি কপচিয়ে???
এই তো সঠিক লাইনে।
কোন লাভ নাই। ধর্ম মানেই গোঁড়ামী।এই গোঁড়ামীর সাথে প্রগতিশীলতার বুলি কপচিয়ে কোনই লাভ নাই।
ধর্ম সার্বজনীন না বলেই ধর্মীয় উৎসব ও সার্বজনীন না কারন ধর্মীয় উৎসব ধর্ম থেকেই উদ্ভূত। সনাতন ধর্ম না থাকলে দূর্গাপুজা থাকেনা, ইসলাম ধর্ম না থাকলে ঈদ থাকেনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আর সব ধর্মপালনকারী-ই তাহলে গোঁড়া?
তীব্র আপত্তি জানালাম আপনার এ কথায়।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দাদা, এর বিপরীতে তাহলে একটু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি, অপরাধ নিয়েন্না, আপনাকে 'আক্রমণ' করবার ইনটেনশন নেই।
পর্ক খান?
না খেলে, বীফ নামক রেডমিটটা খাওয়ার কিন্তু পর্ক নামক রেডমিটটা না খাওয়ার পেছনে কি মুক্তচিন্তা (নন-গোঁড়ামি আরকি) আছে একটু জানাবেন?
পর্কের জায়গায় বীফ আর বীফের জায়গায় গোট বসিয়ে ওই একই প্রশ্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরও রাখা যায়।
গোঁড়ামির মাত্রাভেদ আছে, তবে গোঁড়া তো বটেই।
"ধর্ম সার্বজনীন না হলে ধর্মীয় উৎসবও সার্বজনীন হবে না------এই উদ্ভট ধারণাটা আসলো কোথা থেকে...............।।"
দেখুন ভাই যখন লিখবেন বুঝে শুনে লিখবেন, সস্তা তর্ক করতে আসবেননা, তাতে আপনার বিদ্যার থেকে গোআর্তুমি বেশি প্রকাশ পায়, নিজেই লিখছেন ধর্ম সার্বজনীন না, তো নিজে বুঝছেননা কেন, ধর্ম থেকে যে উত্সবের সৃষ্টি সেটা কি করে সার্বজনীন হয়, সমাজে অনেক কথাই তো ছড়ানো হয়, সেরকম ভাবে এই সার্বজনীন ধারনাটাকেও ছড়ানো হয়েছে, তাই বলে কি সেটা সত্যি হয়ে যাবে নাকি???
লিখেছেন ভালো, ভালো উদ্দেশেই লিখেছেন তাও মানছি, কিন্তু সেটাকে গোআর্তুমির দিকে ঠেলছেন কেন?? ভালো ভাবেই বলেছিলাম কথাগুলো আর লাগলো কিনা উদ্ভট!!!!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাই আপনারা যে ধর্মচর্চার কথা বলছেন সেটা মান্ধাতার আমলের। এখন আর কেউ অভাবে ধর্মপালন করে না। এজন্যই ঈদ আর বড়দিন দুটোতেই বারাক ওবামা শুভেচ্ছা জানান।
বর্তমানে আচার গুলোই শুধু ঐ ধর্মের অনুসারীদের জন্য, কিন্তু আনন্দটা সবার।
আমি শবেবরাতের রাতে আমার হিন্দু-মুসলিম সব ফ্রেণ্ডকে নিয়েই মহল্লায় ঘুরে বেড়াই আর এর ওর গাছ খালি করি।
পূজায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষ সব বন্ধু একসাথে ঘুরতে বেড়োই। ভাগাভাগি করে পূজোর নাড়ু-সন্দেশ খাই। কয়েকদিন আগে সচলেরই কোনো এক আপু/ভাইয়া তার বাবার হিন্দুবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে পূজা উপভোগের ব্যাপারে লিখেছিলেন। ওটা পড়েও কি মনে হয় নি যে উৎসব মানেই সার্বজনীন। আমি ঈদে আমার সবধর্মের বন্ধুদের দাওয়া দিয়েছি। তাদের বাড়ীতেও গিয়েছি। একসাথে ফিরনি-সেমাই খেয়েছি। আমার কি জাত চলে গেছে?
শরৎচন্দ্র একটা কথা বলেছিলেন, "ধর্ম কি কচুপাতার জল যে নাড়া দিলেই পড়ে যাবে?"
আমি ধর্মীয় উৎসবকে যথাসম্ভব সার্বজনীনভাবে পালনেই আগ্রহী। তাতে যদি আমাকে কাফের, যবন, বিপথগামী, অনাচারী, ব্যাভিচারী হতে হয়, তো হলাম।
আমি সেই ধার্মিক হতে চাই না, যে তারই মতো আরেকটা মানুষকে, এমনকি নিজের বন্ধুকে কাফের, মুনাফেক বলবে; যবন, অছ্যুৎ বল্বে.....................আমি সেই ধার্মিক হতে চাই না যার কাছে মনুষ্যত্বের চেয়েও ধর্ম বড় হবে।
আমি বিশ্বাস করি, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
ভালো থাকবেন।
সেটাই। সামাজিক উৎসব হিসেবে ব্যাপারগুলো জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে প্রবলভাবে। যেটা হওয়া উচিৎ, যদিও তা ক্বচিৎ হয়, তা হল উৎসবগুলোকে ধর্মীয় ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে সেটার আমোদটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। যেমন পূজোবাড়ির প্যান্ডেল বা প্রতিমাগুলোকে শিল্পকর্ম হিসেবে দেখা, ঈদের কোলাকুলির মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি, বন্ধুতা প্রকাশ করা; মোটামুটি সবাই মজা করে খাওয়া যায় এমন খাবার যেমন সেমাই, বা পিঠা ইত্যাদি একসাথে খাওয়ার মধ্য দিয়ে উৎসবটা উপভোগ করা যায়। তবে কোরবানী বা কালি পূজার নিষ্ঠুর পশু হত্যাটা কখনোই উৎসব হতে পারেনা। দুঃখজনকভাবে অবলা একটা পশুকে বিভৎসভাবে হত্যা করার ব্যাপারটা আমরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ(?) করি এবং কোমলমতি শিশুদেরও ওই হত্যাদৃশ্য দেখাতে নিয়ে যাই সোল্লাসে। এইসব পাশবিকতা তো উৎসব নয়ই, সর্বজনীন হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। ধর্ম ব্যাপারটা যেদিন অনুভূতির বাইরে গিয়ে আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকবে, এবং এর কিছু উৎসব নিছক দৃষ্টিগ্রাহ্য, সুস্থ বিনোদনে্র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, সেদিন হয়তো ব্যাপারগুলো কিছুটা সর্বজনীন হয়ে উঠতে পারে। ইউরোপে যেমন খ্রীস্টমাসের দিন অনেকেই( অখ্রীস্টান) ঘরবাড়ি আলোকিত করেন এবং বাচ্চাদের উপহার দেন।
প্রিয় বাংলামায়ের ছেলে, আপনার কাছে কিছু বিষয় স্পষ্ট করার চেষ্টা করি।
এই লেখাটা কেনো ধর্মপ্রচারের জন্য লেখা পোস্ট হিসেবে গণ্য করা হবে!?
বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যালঘু। সনাতন ধর্মের কোনো উৎসব নিয়ে লিখলে সাধারণত তাই সেটাকে কোনো ধর্মীয় বিষয় মনে হয়না। বরং আমাদের কাছে সেটা একটা সাংস্কৃতিক উৎসব নিয়ে লেখা হয়েছে বলে মনে হয়। কিন্তু আসলে দূর্গাপূজা একটি ধর্মীয় বিষয়। অনেক মানুষ দেবী দূর্গাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, মানেন। আপনি রূপকর্থে দূর্গাকে ডেকে একজন দূর্গতিনাশিনী ডাকতে চাইছেন হয়ত। কিন্তু অনেকের কাছেই দূর্গা কোনো রূপক নন। তিনি বাস্তব। আজকের দিনে আপনি জিউস, অ্যাপোলো'কে যেখানে বসাতে পারবেন সেখানে দূর্গাকে বসাতে পারবেন না। আজকে আপনি জিউসকে নিয়ে লিখতে পারেন, কিন্তু অনেক বছর আগে একটি লেখা লিখলে সেটি ধর্মীয় লেখা হত।
তবে এই লেখাটি আপাত দৃষ্টিতে ধর্মীয় মনে হয়না। চাইলে এটাতে যে একটুখানি ধর্মের গন্ধ আছে সেটাকে এড়িযে যাওয়া যায়। সেটা যেতে চাচ্ছিনা কেন?
কারণ, আপনার এই লেখাটিকে ছাড় দিলে এটির অজুহাতে আরো অনেক লেখা ছাড় চাইবে। বদর যুদ্ধের বীরত্ব, ক্রুসেডের কৃতিত্ব অথবা বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্তি'র পেছনে যে আবেগ/দৃঢ়তা/সত্য ছিল সেটাকে রূপক হিসেবে ধরে আরেকজন কেউ লেখা দিতে চাইবেন এরকম:
"আরেকটা বদরের যুদ্ধ চাই। চারিদিকে পরিমল নামের কাফের..."
অধবা, "পরিমলে বিনাশে আরেকটা ক্রুসেড চাই..."
অথবা "বুদ্ধের মতো বোধীজ্ঞান দরকার পরিমলদের বিস্তার ঠেকাতে..."
এরকম কোনো লেখা আমরা চাই না। সচলায়তন ওরকম লেখার ক্ষেত্র নয়। আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, ঈদের সময় সচলায়তনে ঈদ বিষয়ক ধর্মীয় বিষয়গুলো সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে? একটি ব্যানার ছিল, কিন্তু সেটিতে ধর্মের কোনো নামগন্ধ ছিলনা। এই ব্যপারটি কিন্তু আচমকা হয়নি। সচেতনভাবেই করা হয়েছে। সচলায়তনের ব্যানারে কখনো চাঁদতারা অথবা বেদ-বাইবেল উঠবে না।
তারমানে এরকম একটা উৎসব নিয়ে কি লেখা যাবেনা?
নিশ্চয়ই যাবে। পূজা কীভাবে কাটালেন সেটা লিখুন। কীভাবে কাটাতেন সেটা লিখুন। উৎসবের বর্ণনা দিন। ইচ্ছে হলে উৎসবের ব্যানার বানান। কেবল দেবী দূর্গার স্তুতি অথবা বদনাম করবেন না।
আমি কি বোঝাতে পেরেছি?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন। আমিও বুঝতে পারছি। আর আমি উপরে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছি। আশা করি আপনিও সেগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন।
আশা রাখি, ভুলেও আর এমন হবে না। নেক্সট টাইম থেকে খিয়াল কইরা। আর ছড়াটা তাহলে নাই দেই..................
ধন্যবাদ অনার্য ভাই। ভালো থাকবেন।
সহমত
অনার্য সঙ্গীতের মন্তব্য ভাল্লাগছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অনার্য সঙ্গীত-এর মন্তব্যটা খুবই ভালো লাগলো। অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আপনি কথাগুলো বুঝিয়ে বলেছেন। অনেক সময় এমনটা হয় যে যারা ধর্মের ব্যাপারে স্পর্শকাতর, তারা দ্রুত আহত হন (কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য পড়ে তাই মনে হয়েছে)। আপনার ভাষা এবং বোঝানোর দক্ষতা তাদের আহত না করেই পুরো বিষয়টাকে ফুটিয়ে তুলেছে।
টুইটার
লেখার বিষয়ে অনার্য সঙ্গীতের সাথে একমত।
আমার মত ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর দুইটা স্তর। একেবারে মজ্জায় থাকা ধর্মীয় ব্যাপারগুলো অবশ্যই নিজ নিজ ধর্মের জন্য এক্সক্লুসিভ, যেখানে অন্য ধর্মাবলম্বী কারো অংশগ্রহণের কোন সূযোগ নেই। বাইরের আনুষ্ঠানিকতায় হয়তো সবারই অংশগ্রহণ আছে, যেটা একটা সমাজের পরমত সহিষ্ণুতার একটা ইন্ডিকেশন, কিন্তু সেটা পরমত হিসেবেই। তাই পূজা বা ঈদের বাহ্যিক আনন্দের আমি অংশীদার, কিন্তু অন্তর্নিহিত ভাব-গাম্ভীর্য্যের/প্রেরণার সাথে আমার কোন যোগসূত্র নেই (একই ভাবে ঈদের সাথে অমুসলিমদের, পূজার সাথে অহিন্দুদের)। তাই ঈদে বা পূজায় কে কীভাবে আনন্দ করলাম সেটা নিয়ে সচলায়তনে পোস্ট আসতেই পারে, কিন্তু ঈদ বা পূজার থিম নিয়ে পোস্ট আসাটা বিশেষ একটা ধর্মের প্রচার হিসেবেই দেখব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি কিন্তু পোস্টের সিংহভাগ অংশজুড়েই সামাজিক অনাকাংখিত ঘটনার সামারাইজ করেছি। এবং সবশেষে রূপকার্থে শুভশক্তি-শুভবুদ্ধির আহবান করেছি। সময়টা দূর্গাপূজার বলেই এখানে রূপক হিসেবে দূর্গা এসেছে। এর বেশী কিছু নয়।
নো প্রব্লেম। ভবিষ্যতে এ স্থলে একিলিসকে আহবান করবো।
বলাই বাহুল্য আমার বক্তব্য বুঝাতে পারি নি। একিলিসকে যখন আনবেন তখন যেমন গ্রীক মিথোলজির চরিত্র হিসাবে আনবেন, তেমনি দুর্গাকে আনলে হিন্দু পুরাণের চরিত্র হিসাবে আনতে পারেন, জিব্রাইলকে আনলে আব্রাহামিক পুরাণের (!) অংশ হিসাবেই আনতে পারেন। এই তিন জনের ক্ষেত্রে সমান ট্রিটমেন্ট করতে পারলেতো হলোই। সমস্যা হলো, একিলিস বাদে বাকিদের অনুসারীরা এখনো অনেক সক্রিয় বলে, তাদেরকে পৌরাণিক চরিত্র বলে পরিচয় করিয়ে দিলে মনে হয় আবার অনেকে ক্ষেপে যাবে।
আমি হলে হয়তো বলতাম, এই গল্পে এই চরিত্র যেমন করে অশুভশক্তির বিনাশ করে, আমরাও যেন তাতে উদ্বুদ্ধ হই। এটা বললে আবার অনেকে ক্ষেপে যাবে, কিন্তু এক ধর্মের বীরগাঁথা অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যতো গল্পই! সে যাই হোক, আমার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আপনি অনার্য সঙ্গীতের কথা বুঝতে পারলেই হলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এতসব বিতর্কের পরে আমি যেটা বলতে চাই, সচলায়তন এই ব্লগে ধর্মমত প্রচারকে অবশ্যই নিরুৎসাহিত করে। ব্লগটি তার অসাম্প্রদায়িক চেতনাটি অবশ্যই ধারন করবে।
সচলায়তন ব্লগটি কি কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করাটাকে সমর্থন করবে ? যেমনটি করা হয়েছে কৌস্তুভের মন্তব্যে।
"দুর্গার আসাযাওয়া ওই ট্রাকে চড়ে অবধিই।"
সচলায়তন কি তবে নাস্তিকতা প্রচারের মাধ্যম !
পৌঢ়ভাবনা
দুর্গার আসাযাওয়া ট্রাকের বাইরে কিসে? উনি নিজে হাতির পিঠে চেপে গটগটিয়ে মণ্ডপে আসেন? নাকি নৌকাবাইচ করে? দেখান দিকি! ঢ্যাঙ্কুচুকুর ঢ্যাঙ্কুচুকুর বাজাতে বাজাতে লোকজনেই তো ট্রাকে চাপিয়ে নিয়ে আসে তবে তিনি মণ্ডপে পৌঁছন। সত্যি কথা বললেই আঘাত করা হল?
সচলায়তন সত্যি কথা বলার মাধ্যম, সেটা জামাতের সম্পর্কেই হোক আর দুর্গার সম্পর্কে।
অনার্য সঙ্গীত সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমরা এ ধরণের লেখা চাই না।
কিন্তু হাসান মোরশেদ সাহেব বিরোধিতা করতে যেয়ে তো পুরো সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চালালেন। আমরা ধর্ম প্রচার ও সাম্প্রদায়িকতা দুটোরই বিরোধী।
আর সার্বজনীনতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেকরকম হতেই পারে। তবে একই দেশে থেকেও আমরা যদি বিধর্মী বলে অন্যের হাসি-আনন্দের অংশ হতে না পারি তার চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হবে না। তাই বলে কুসংস্কার বা পাশবিকতাকে আমরা স্বাগত জানাতে পারি না। তবে রাতারাতি সমাজ বা অন্য কারও মানসিকতাকে পালটানর ক্ষমতাও আমরা রাখি না।
কিভাবে ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অন্যায় কে প্রতিরধ করা আর অন্যায়কারী কে মেটাফরিকাল অরথে রেপ্রেসেন্ট করা যদি ধর্ম প্রচার হয় তাহলে আসলেই সচলের পাঠক দের হয় স্থুল বুদ্ধি সম্পন্ন নয় বেশি প্রতিক্রিয়াশিল অথবা এক অর্থে ধর্ম নিরপেক্ষতার এক্সট্রিমিস্ট জ্ঞান করা হয়। সচলের নীতিমালায় ধর্ম প্রচার অথবা সাম্প্রদায়িক লেখা কে নিরুতসাহিত করা হয়েছে। তার মানে কি এই যে পুজার লাড্ডূ আর রোজার হালুয়ার মধ্যেই লেখা সীমাবদ্ধ থাকবে? এবং যদি তাই হয় সেই লেখা গুলো কিসের অন্তরভুক্ত হবে?
দেখেন দুর্গতিনাশিনী দেবী আপনার আহ্বানে ধরাধামে এসে দু একটা অসুর বধ করেন কিনা। ওঁম দুগগা দুগগা...
এই ডায়ালগ এর মধ্যে কি কোন সাট্যায়ার লুকিয়ে আছে?
ভাই, ওনার ব্যাপারে আমার আর নতুন কিছুই বলার নাই। ওনার রূপ উনিই উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
অসাম্প্রদায়িক লেখায় সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়েছেন। ওনার মন্তব্য আর বাকী সবগুলো মন্তব্য তুলনা করলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
ভয়ে আছি, উনিতো আবার বদর দিবস পালনের হুমকিও দিয়ে গেলেন..................
দিবোনা? আপনে দূর্গারে ডাকাডাকি করবেন দূর্গতিনাশে আমি আল-বদরদের ডাকবোনা জালিমের হাত থেকে মজলুমকে উদ্ধারে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আছে তো । দুনিয়াজুড়া পচুর বিনোদনের একটি এটি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সরি, একেবারেই অসুর মারকা লেখা । দাদাভাই খারাপ পাইয়েন না। এই দেবী টেবীরে ডেকে কিছু হবেনা। আসল অসুর হল আমি- আপনি। নিজেদের ভেতরের অসুরটা দূর করেন, তাহলেই হবে।
আর দুর্গতিনাশিনী, কাত্যায়নী - এই সমস্ত গালভরা নামের মহানতা ভাল্লাগেনারে ভাই। কার নাশ কে আর করে??
বি প্রেক্টিক্যাল। আর ধর্মের নাম শুনলেই আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়। শালা এই ধর্মের নাম দিয়েই এই দুনিয়ার সমস্ত অনাসৃষ্টি গুলি চলছে। বাইবেল- কোরান -কিংবা গীতায়, কোথায়ও লেখা নাই ধর্মের নামে অযৌক্তিক আস্ফালনের কথা। কিন্তু তাই হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মানুষই তো হতে পারলাম না। শুধু ধর্মের দোহাই দিয়ে গেলাম।
সরি সনাতন, ইসলাম, খৃষ্টান, আরও সব- ব্যক্তিগত ভাবে আমি সবক'টাকে হেইট করি ----
সুত্রাং এই অঙ্ক থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে
আমি,
হিন্দুমতে- ব্যাভিচারি
মুসলিমমতে - কাফের
খৃষ্টানমতে - শয়তান
হা হা হা হা হা হা ।
পরিশেষে বলি, লেখকের জন্য নয়, ব্যক্তিগত কিছু নয় - এই পোষ্টের জন্য
ডাকঘর | ছবিঘর
সচলায়তনকে যতটা বুঝি-- এরকম মন্তব্য দেয়াকে সমর্থন করে না।
মানুষ হতে চাচ্ছেন, আগে ধর্মকে ঘৃণা করলে সেটা কিভাবে সম্ভব? যারা ধর্ম পালন করেন তাদের সবাইকেই আপনি ঘৃণা করছেন? সবাই কী এতটাই খারাপ?
ধর্মকে ঘৃণা না করে যারা এর খারাপ ব্যাবহার করে তাদেরকে ঘৃণা করুন।
আর আপনার এ উক্তিটি সচলের নীতিমালায় যায় কিনা এটা অন্য সচলদের ভেবে দেখতে অনুরোধ জানালাম।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধর্মকে অপছন্দ করার অধিকারটুকু ওনার নেই?
ধর্মকে হেট করার কথা বলেছেন, যারা ধর্মাচরণ করে সেই আপনাকে পিপিদাকে ইত্যাদি মানুষকে হেট করার কথা তো বলেননি। এটার থেকে ওটাকে টানছেন কেন।
আমার মনে হয়, সচল ধর্ম কপচানর জায়গা যেমন তেমনি ধরমের বিরুদ্ধে বিষ ঢালার জায়গাও অয়।যুক্তি দিয়ে আপনি ধর্মীয় লেখার অসারতা প্রমাণ করতে পারেন, মাথা গরম করে ধরমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না। ধরম প্রচার নিষিদ্ধ হলে ধরমকে ঘেন্না করা টাইপ কথাবার্তাও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। চর ধরতে গিয়ে আমাদের ডাকাত হলে চলবে কি??
প্রকৃতিপ্রেমিক, পাগল মন এবং সাক্ষী গোপাল মহাশয়- আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত বক্তব্য পেশ করেছেন এর জন্য ধন্যবাদ।
আমার কোনো উত্তর দেবার ইচ্ছা নেই, কেননা আমি আমার কমেন্টে যা বলার বলে দিয়েছি- এইবার আপনারা কে কিভাবে নিলেন সেটা আপনাদের বিষয়। আমি ধর্মহীনতার কথা বলেছি, উগ্র ধর্মাচরনের কথা বলিনি একবারও।
১
প্রকৃতিপ্রেমিক বাবু, আমার সমগ্র কমেন্ট থেকে আপনি চূড়ান্ত বাছাই করে যে লাইনটা সিলেক্ট করেছেন, তা কিন্তু আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত। এবং ব্যক্তিগত- শব্দটা আমি ব্যবহার করেছি। যাই হোক সমগ্র কমেন্ট-টা আরেকবার পড়ে দেখবেন। আর সচলে তা বলা যায়না, এমন কথা আমি কোথাও পাই নি। ধর্মকে লালিত করে কথা বলতে পারলাম না।
২
পাগল মন বাবু, আপনি ওয়াশিংটনের সাথে আফ্রিকার জঙ্গলকে যুক্ত করে দিয়েছেন। আর এই পোস্টের লেখকের ভাষায় আমারে 'অসুর' বানিয়ে দিয়েছেন। আমি স্রেফ ধর্ম- নামক টার্মটা নিয়ে কথা বলেছি। যারা মানে, না মানে তা ওদের ব্যপার। আমি তো কারো ধর্মাচরনে কিংবা অ -ধর্মাচরনে আঘাত করিনি। আর আপনাকে কে বলেছে মানুষ হতে গেলে ধর্মকে আগে মানতে হবে। আর কিভাবেই বা নিজে নিজে যুক্ত করে দিলেন আমি ধর্মকে হেট করি মানেই যারা ধর্ম মানেন তাদেরও হেট করি!! অবাক লাগিয়ে আবার বললেন- এই ধরণের মন্তব্য সচলে আসা অনুচিত! কে করল উৎকট মন্তব্য, আমি না আপনি ? আবারো বলি, আমার সমগ্র কমেন্ট-টা আরেকবার পড়ে দেখবেন।
৩
সাক্ষী গোপাল বাবু, অদ্ভুত সব কথাবার্তা বলেছেন আপনি। আমি ধর্ম নামক ব্যক্তিবিশেষ কে হেট করলাম কই ? আমি তো সমষ্টির কথা বলেছি। আর
, মাই গুডনেস !!!!! ভাই আপনার মঙ্গল হোক!!
মাথা গরম কেন হয় বুঝেন কি? - এই ধর্মের একটা গন্ধ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের গায়ে লেগে আছে বলেই আমরা একে অপরের থেকে পৃথক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে হিন্দুর ঘরে জন্ম নিয়েছি বলেই মুসলিম কিংবা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে চলাটাকে ভালো চোখে দেখেনা সোসাইটি। কোন ধর্মের কথা বলছেন আপনি। যে ধর্ম মানুষের মানবতা হনন করে - তার কথা।
- ধর্ম তো হওয়া উচিত, প্রকৃতিপ্রেমিক- এর কাছে তার প্রকৃতি, কৃষকের কাছে তার খেত-খামার, সন্তানের কাছে পিতামাতা, কিংবা ভালোবাসার কাছে বন্ধনের। নিজের ভেতর সন্নিহিত সত্তার অস্তিত্ব খোঁজাইতো ধর্ম- তাই না।
কিন্তু - যুগ যুগ ধরে চলে আসা পরম্পরায়, মন্দির - মসজিদ - চার্চ'ই ধর্মের সংস্থাপক হয়ে রইলো।
আর বানান ঠিক করেন,
চর - না - চোর।
যাই হোক, যা তা কথা বলেছেন আপনি। আপনার মঙ্গল হোক। ভাই আপনারে বুঝানোর মত দুঃসাধ্য আমার নাই।
ডাকঘর | ছবিঘর
১। দুর্গা>শক্তি>শাক্ত মতের কেন্দ্রীয় দেবী চরিত্র। ভারতীয় পুরাতন ধর্মের তিনটি প্রধান ধারা - শাক্ত, শৈব্য, বৈষ্ণব - এর মাত্র একটি ধারার একটি উপধারায় দুর্গার শারদীয়া পূজা গত ২৫০ বছর ধরে ঘটে আসছে। যদি আদতেই আপনি শৈব্য হন তাহলে যে মন্ডপে শিব গৌণ সেখানে আপনার স্বাচ্ছন্দবোধ করার কথা নয় অথবা আপনি যদি বৈষ্ণব হন তাহলে তো দেবীর পরমব্রাহ্মত্যে আপনার আপত্তি থাকার কথা। আমার পরিচিত কোন 'হিন্দু' এই দিনে প্যান্ডেলে যাবেনা বা দেবীকে প্রণাম করবেনা, সেটা দেখিনি, তাই বাংলাদেশের বেশীরভাগ 'হিন্দু' ই যে শাক্ত, এতে আমার সন্দেহ কমে আসছে (চলে যায়নি)।
ইদানীং বাজার অর্থনীতিতে যেখানে ভ্যালেন্টাইন্স ডে, মাদার্সডে ও ভারতে কোক-সাবান বিক্রি বাড়ায়, সেখানে দুর্গাপূজার নাম বাংলাদেশ-আসাম-পশ্চিম বংগের বাইরেও কিছুটা শোনা যেতে পারে। এই নতুন পসারের পেছনে কোক-সাবান বেচনেওয়ালাদের অবদান শক্তি-দেবীর চাইতে কম বলে মনে হবার কোন কারণ নেই। কিন্তু পশ্চিমের দশেরার সাথে দুর্গাপূজার খুব মিল কেউ খুঁজে পেলে আমাকে জানাবেন।
উপরের কথাগুলো হাসান মোর্শেদের সার্বজনীনতা প্রশ্নের উত্তরে তার মতামত সমর্থনে করে বলা। প্রথমেই হিন্দু ধর্ম বলে ইংরেজরা আমাদের যে একটি ধর্মের ধারনা করোটির ভেতরে উল্কি করে দিয়ে গেছে, তাকে যদি ইব্রাহিমী ধর্মের আদলে একটি ঘরানার ধর্ম হিসাবে দেখা যায়, তবে ঠিক আছে। কিন্তু প্রাক-বৌদ্ধ তুরস্ক থেকে ভিয়েতনামের ধর্মকে যদি কেউ একটি নির্দিষ্ট ধর্মদর্শন হিসাবে ধারনা করে সেটাকে 'সনাতন' ও 'সার্বজনীন' বলার প্রয়াস পান তাহলে তার কথা আরো বিস্তারিত ভাবে পড়তে/শুনতে আমি আগ্রহী।
২। সাহিত্যে রাম হয়তো অকালবোধন করেছিল, কিন্তু আমরা ভুলে যেতে পারিনা যে ক্লাইভের বাংলা-বিহার বিজয় উদযাপন করতেই বাংলার মাটিতে শোভবাজারেই প্রথম দেবীর অকালবোধন ঘটে। সুতরাং শারদীয় শুভেচ্ছার কান টানলে দুশো বছরে গোলামির গোড়াপত্তনের যে মাথাটি চলে আসবার কথা ছিল, সেটা কেন যেন আসেনা। যদি শাক্তমতেই উদযাপিত হত, তাহলে এই উৎসব কেন চৈত্রমাসের বদলে শরতকালে উদযাপিত হচ্ছে, তার বেদ-সিদ্ধ কারণ দেখাতে পারলে উপকৃত হতাম।
৩। এই লেখাটি ধর্মপ্রচার করার জন্য যথেষ্ট জোরালো মনে হয়নি।
হুঁ, লেখাটা ঠিক ধর্মপ্রচার অতদূর অবধি যায় নি, ধর্মীয়-দেবী-বন্দনা বা ধর্মীয় আবিলতার উপস্থাপনা। সেটাও তো এখানে সমর্থিত হয় না।
আমার পরিচিত অনেক গুরুতর বৈষ্ণব আছেন। তারা সবাই দুর্গাপুজোয় খুব উৎসাহের সাথেই অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে তাদের শাক্ত বলে জেনারেলাইজ করাটা ঠিক হবে না।
ঠিক একইরকমভাবে একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে দু'কথা লিখলেই সেটাকে ধর্মপ্রচার কিংবা ধর্মীয় আবিলতা বলে জেনারালাইজ করাটাও বোধহয় ঠিক হবে না।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে যে দুটো কথা বলা হয়েছে, সেদুটো যদি প্রার্থনামাখা আবিলতাই হয়, তাহলে সেটাকে ধর্মীয় আবিলতাই বলতে হবে বইকি। জেনারেলাইজ তো করিনি।
কৌস্তভ, সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীকে হিন্দু আর হিন্দু মাত্রেই দুর্গার পুজারক এটাকে আপনার জেনারালাইজেশন বলে মনে হয়না? একজন মানুষ নিজেকে গুরুতর বৈষ্ণব পরিচয় দিয়ে দুর্গাপুজায় উতসাহের সাথে অংশগ্রহণ করলে তিনি শাক্ত বা বৈষ্ণব - এর কোনটি অবশিষ্ট থাকেন?
অন্ধ হিন্দু আর অন্ধ মুসলমান, দুজনেই সমান ভয়ঙ্কর।
হ্যাঁ। ধর্মের প্রয়োজনে দুজনেই আপনার বা নিজের প্রাণটুকু বইয়ে দিতে দ্বিধা করবেনা।
সায়েবদের প্রচলন অনুযায়ী এখন সনাতন ধর্মেরই আরেকটা নাম হয়ে গেছে হিন্দু। সেটাকে সেভাবেই দেখি। হিন্দু নাম প্রচলিত হয়ে গেছে, তো তাই সই, হিন্দুধর্ম বললে লোকে তো বোঝে যে সনাতন ধর্মের কথাই হচ্ছে।
হিন্দু মাত্রেই দুর্গার পূজারী তো নয়ই। কেবল এই দেবতারই পূজা করব, অন্য দেবতার করব না, এই কনফ্লিক্ট তো ইতিহাসে/গল্পে কম নেই। চাঁদ সদাগর যেমন।
একজন বছরে পাঁচদিন দুর্গাকে পুজো করেন। আর ৩৬৫ দিনই নিতাই-গৌর ভজেন। তিনি শাক্ত না বৈষ্ণব?
সত্যি বলতে, ককটেল। অধিকাংশ হিন্দুই তাই। তবে একেকজন একটু বেশি ঝুঁকে থাকে একেকদিকে।
ডাকঘর | ছবিঘর
হাসান মোরশেদ একবার "মনসুর হাল্লাজ" নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন এই সচলায়তনেই। কয়েকশত ভাবে প্রমাণ করে দিতে পারি সেটি একটি ধর্ম প্রচার মূলক পোস্ট ছিলো। অথচ এই নিরীহ পোস্ট নিয়ে এত টানা হ্যাঁচড়া!!! আপনার ওই পোস্ট এই পোস্টের থেকে কয়েকশ গুনে বেশী ধর্ম প্রচার মূলক এবং স্পিরিচুয়ালী চিন্তার দিকে যাবার জন্য আদর্শ।
কিছু বলার আছে কি?
এতক্ষণ কি তবে ভূতের মুখেই রামনাম শুনলাম???!!!!!!!!
এতোদিন তাই শুনে এসেছেন। মাঝে মাঝে রামের মুখে ও ভূতের নাম শুনবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যাক আপনি তাহলে অনেক পুরনো পাঠক। ধন্যবাদ। এই যে এখানে মনসুর হেল্লাজ। তবে একটা ছোট্ট সংশোধনী আছে, এই পোষ্ট সচলায়তনে দেয়া হয়নি। এই পোষ্ট সচলায়তন জন্মের আগে অন্য একটা ব্লগে যেখানে আমাদেরকে জামাতী ছাগু, শরীয়া আইনের জঙ্গী যোদ্ধাদের সাথে ফাইট দিতে হতো।
সচলায়তনে এটি আর্কাইভ হিসেবে আছে মাত্র, আমাদের পুরনো পোষ্টগুলো ঐ ব্লগ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিলো।
আর মনসুর হেল্লাজকে ইসলাম ধর্ম তখনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, এখনো দেয়না। সুতরাং দেবী দূর্গা আর মনসুর হেল্লাজের তুলনা হয়না। আমার পোষ্ট দেখেন আবার, মনসুর নিজেই ধর্মীয় বর্বরতার শিকার হয়েছিলনে তার চিন্তার ভিন্নতার কারনে- পোষ্টের প্রতিপাদ্য সেটা। কোন ধর্মের প্রধান আইকনকে ভক্তি ভরে ডাকাডাকি নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার মনে হয় লেখাটি সচলে আসায় অতিথিদের জন্য সচলে কোন লেখা হয় আর কোনটা হয় না তা বুঝতে অনেকটা সুবিধাই হবে
০২
পোস্টটা ধর্মপ্রচারমূলক কিংবা প্রচারমূলক নয় সে বিতর্কে না গিয়েও কিন্তু বলা যায় পোস্টটা ধর্মীয় পোস্ট। যা সচলে নিরুৎসাহিত করা হয়
গুরুর কমেন্টে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমি জানতাম ধর্মপ্রচারমূলক পোস্ট নিষেধ। ধর্মীয়রূপকের ব্যবহার কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে লেখা পোস্ট মাত্রই নিষেধ তা জানতাম না। আজ জানলাম। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না।
কিন্তু তাহলে সচল আর মুক্তব্লগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
ওদের মতোই সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হোক যে.....................
সম্ভব হলে আতেথিয়তা দীর্ঘ করুন। পার্থক্য বুঝবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এখনও বোধহয় একটু বুঝতে ঝামেলা হচ্ছে ভাইজান। একটা উদাহরণ দেই;
০১
ম্যাকডেলিন মারিয়াকে জনতা ধাওয়া করছিল। সে এসে আশ্রয় নিলো যীশু খ্রিস্টের কাছে। যীশু জনতাকে জিজ্ঞেস করলেন- তোমরা তাকে ধাওয়া করছ কেন?
জনতা বলল- সে ব্যাভিচারিণী পাপীষ্ঠা; আমরা তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করতে চাই;
যীশু বললেন- তোমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক; পাথর নিক্ষেপেই তার মৃত্যুদণ্ড পাওনা। কিন্তু আমি চাই তোমাদের মধ্য থেকে সেই ব্যক্তি মারিয়াকে প্রথম পাথর নিক্ষেপ করবে যে কোনোদিন কোনো পাপ করেনি...
তার এই কথায় মারিয়াকে প্রথম পাথর নিক্ষেপের জন্য কাউকে পাওয়া গেলো না; ফলে মারিয়া বেঁচে গেলো....
এই পর্যন্ত কিন্তু এটাকে ধর্মীয় লেখা বলার সুযোগ নেই। এটা পুরাণের ঘটনা বর্ণনা। কিংবা কেউ যদি এই ঘটনার কাহিনী টেনে নিয়ে উপসংহার টানে যে; পাপের বিচার করার অধিকার কোনো পাপীর থাকা উচিত না; তাতেও কিন্তু বিষয়টা ধর্মের রং পায় না; রবং বিষয়টা থাকে পুরাণ থেকে উদাহরণ/প্রতীক উপস্থাপন। কিন্তু...
কেউ যদি এই ঘটনাটাকে বর্ণনা করে পরে জুড়ে দেয়;
এসো হে যীশু; যেভাবে মারিয়াকে বাঁচিয়ে তুমি প্রমাণ করেছিলে যে- পাপের বিচার করার অধিকার পাপীদের নেই। তেমনি তুমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে তোমার সেই স্বর্গীয় বিধানের অধীনস্থ করো; যেখানে কোনো অপরাধী কারো বিচার কিংবা ওকালতি করার অধিকার রাখে না....
এক্ষেত্রে কিন্তু এটা একটা ধর্মীয় প্রার্থনা কিংবা ধর্মবিশ্বাসী বাক্য হয়ে গেলো
০২
আমার জানামতে সচলে প্রথমটাকে গ্রহণ করা হয়; দ্বিতীয়টা না
লীলেন ভাই - এর প্রতিটি কথাই এখানে খাঁটি।
ডাকঘর | ছবিঘর
লীলেন ভাই - এর প্রতিটি কথাই এখানে খাঁটি।
ডাকঘর | ছবিঘর
তথাস্তু লীলেন ভাই। আপনি সত্যিই গুরু।
কোনোপ্রকার উগ্র বাক্য ব্যবহার না করেই আপনার বক্তব্য পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পরামর্শ মাথা পেতে নিলাম। আর ভবিষ্যতে এ বিষয়ে খুউব খিয়াল রাখার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন।
বিভিন্নজনের মন্তব্য থেকে পোস্ট লেখক হয়তো বিব্রত হয়ে থাকবেন। কিন্তু বিষয়টা একটু তলিয়ে দেখলে মনে হয় আর এমন বিব্রতকর থাকবে না।
সাম্প্রদায়িক মানেই তো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়গত বিষয়। কিন্তু আমরা কি কেউ কোন না কোন সম্প্রদায়ের বাইরে আছি ? অবশ্যই না। নিজেকে যদি মুক্তবুদ্ধির অনুসারী বলি, সেটাও কিন্তু একটা সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী। এটা কুপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে জ্ঞান-চিন্তনের অনুসারী বলে এর বিস্তৃতি ব্যাপক এবং ব্যক্তি ও সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। যুক্তি ও মানবিক মূল্যবোধকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার বাসনাই এর উদ্দেশ্য। অন্যদিকে সবচাইতে বিপজ্জনক হচ্ছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। এটা অবশ্যই মানবতার বিরুদ্ধে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক একটা নেতিবাচক প্রপঞ্চ। কেননা এখানে মুখে যা-ই বলা হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে একটা গোষ্ঠীর সংকীর্ণ ও আবদ্ধ চিন্তার মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া এবং সবাইকে এর মধ্যে টেনে নিয়ে এসে আবদ্ধ করে ফেলাই এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। তাই শেষপর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতা শব্দটি দ্বারা এই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকেই বুঝানো হয় এবং এটি একটি নেতিবাচক শব্দপ্রপঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
সেক্ষেত্রে সচলায়তন যুক্তিসঙ্গতভাবেই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ক যেকোন কিছুকে নিরুৎসাহিত করে থাকে। এই পোস্টটি বা পোস্টদাতার উদ্দেশ্য সেরূপ কিছু নয় হয়তো বা তাঁর চিন্তার মধ্যেও এরকম কিছুই নেই। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে অজান্তেই পোস্টটিতে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বক্তব্যের সপক্ষে একটা ম্যাসেজ তৈরি হয়ে গেছে, যা ভিন্ন সম্প্রদায়ের কাউকে তাঁরও বক্তব্য উপাস্থনের সুযোগ করে দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলে। এটা আঁচ করে শুরুতেই হাসান মোরশেদ আপত্তিটা জানিয়েছেন। লেখকের চিন্তায়ও যা ছিলো না, কিন্তু তাঁর লেখায় অজান্তেই যার ছায়া পড়েছে এটা তিনি হয়তো তাঁর পরিষ্কার মনে ধরতে পারেন নি। কিন্তু একজন পাঠক হিসেবে আরেকজনের চোখে তা পড়েছে এবং মন্তব্যে তা বলে দিয়েছেন। এখানেই ব্লগের কৃতিত্ব। বস্তুতই লেখক যদি নিজেকে ধর্মীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ভাবেন তাহলে এটা অবশ্যই তাঁর জন্য চমৎকার সুযোগ ব্লগ তাঁকে এই ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছে এবং আগামীতে নিশ্চয়ই তিনি নিজেকে আরো বেশি সচেতন ও সতর্ক করে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি সচলায়তন থেকে এই চমৎকার সুযোগটা গ্রহণ করি। এই ভ্যানগার্ডরা আমাকে জানিয়ে দেয় যে আমি আমার লাইনে ঠিকভাবে আছি কিনা !
উপরের মন্তব্যগুলোর অন্তঃস্থ ভাবের চর্বিত চর্বণ হলেও আরেকটা বিষয় শেয়ার করি। খুব মনোযোগ দিয়ে যদি খেয়াল করি তাহলে আমাদের উপলব্ধিতে এটা বোঝার কথা যে, যে কোন ধর্মেই আসলে মানবিকতার স্থান নেই, আছে গোষ্ঠীপ্রীতি। মানবিকতা সর্বজনীন একটা বিষয়, বিভিন্ন মত ও পথের শুদ্ধ-সমাহার। অন্যদিকে সুনির্দিষ্ট ধর্ম নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকেই চর্চা করে। মানবিকতা যদি অখণ্ড সত্তা হয়, প্রচলিত ধর্ম সেখানে খণ্ডিত বোধ। এক খণ্ড আরেক খণ্ডকে বিশ্বাস করে না, শ্রদ্ধাও করে না। শ্রদ্ধার সাথে বিশ্বাস বা আস্থার সম্পর্ক। অতএব ধর্ম বা ধর্মীয় আচার উৎসব কখনোই সার্বজনীন হতে পারে না। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঈদের কোলাকুলি কিংবা পূজানুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের সহনশীল উপস্থিতির যে বিষয়টি আমরা খেয়াল করি সেটা কিন্তু আমাদের মানবিক বোধের যে উচ্ছ্বাস দেখাই সেটা। এখানে ধর্মের কোন কৃতিত্ব নেই, কৃতিত্ব কেবলই আমাদের মানবিক বোধ। একের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অন্যে যেখানে স্বীকারই করি না, সেখানে একাত্মতার প্রশ্নই আসে না ! এই একাত্মতাটা আমাদের মানবিক উন্মেষ। ধর্মের গণ্ডির বাইরে গিয়ে (বলা যায় ধর্মকে এক ধরনের অস্বীকার করেই) আমরা এই মানবিক বোধে উজ্জীবিত হই !
ধর্ম তো সহনশীল কোন বিষয় নয়। দুর্বল গোষ্ঠীকে বাধ্য হয়ে সহনশীল থাকতে হয়, এছাড়া তার উপায় নেই। অন্যদিকে সবল গোষ্ঠী সবকিছুতে হয় আগ্রাসী। ধর্মকেন্দ্রিক ইতিহাস তো আমাদেরকে এ শিক্ষাই দেয় ! আর তাই নির্দিষ্ট ধর্মপ্রচারণামূলক কোন ইঙ্গিত থাকলেই সেটাকে আমরা অনুমোদনযোগ্য মনে করি না। সচলের নীতিমালা তা-ই তো হওয়া উচিৎ, এতে কি আমাদের আপত্তি থাকা উচিৎ ?
নিশ্চয়ই এ মন্তব্যকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার মন্তব্যের এই অংশটা আমার নোটবুকে স্থান করে নিলো। খুব সুন্দর করে বলেছেন...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি বিশ্বাস করি, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
অরফিয়াস এর কমেন্টের জবাবে কিছু কথা বলেছিলাম। সেখানে আমি আমার অবস্থানটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি।
পড়ে দেখবেন।
ধন্যবাদ। আপনার বিশ্লেষণ সর্বোপরি ভালোই। আর আমিও কিন্তু শিখতে খুবই আগ্রহী এবং এজন্যই তো ভাবনাগুলোকে আপনাদের সাথে শেয়ার করা...............।
ভালো থাকবেন।
মানবিকতাই মূল ধর্ম, মানবিকতার জয় হোক............
এবং সম্মানের সাথে জানাচ্ছি যে সুন্দর ভাবে লেখাটাকে মিস ইন্টেরপ্রেট করা হল।
"তাই এসো হে ভগবতীমাতা; তোমাকে যে আজ আসতেই হবে। তুমি সেজে আসো তোমার ত্রিনয়না, দশভূজা, রণরঙ্গিনী রূপে। তোমার খড়গের প্রতি কোপে ছিন্ন হোক শত শত অসুরের পাপচর্চিত মস্তক। তোমার ত্রিশুল চিরে দিক যত অশুভ কামনার বুক। তোমার পদতলে পিষ্ট হোক অনাচারী দুর্বিত্তেরা। জয় হোক তোমার শুভশক্তির। "
এখানে দুর্গার শুভশক্তি বলতে এক ঐশ্বরিক শক্তি কে বোঝানো হয়েছে। ইন্টেরপ্রেটেসন ঠিক হত যদি বলা হত আল্লাহ তোমার দয়ায় অথবা তোমার অসিম শক্তি দিয়ে জগতের সব খারাপ/ পাপ কে নিঃশেষ করে দাও। কিন্তু বদর যুদ্ধের উদাহরন তো ঐতিহাসিক ঘটনা।
"তাহলে প্রস্তুত থাকুন আগামী ১৭ ই রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস ও পালিত হবে সচলায়তনে। হযরত মোহাম্মদ তার মাত্র ৩০০ প্রলেতারিয়েত যোদ্ধা নিয়ে প্রবল পরাক্রমশীল হাজার হাজার মুশরিকের বিরুদ্ধে সেদিন যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। এই বদর যুদ্ধ ও নিশ্চয়ই অশুভের বিরুদ্ধে শুভের, প্রবলের বিরুদ্ধে দুর্বলের জয় লাভের অমোঘ প্রেরনা।"
এই ঘটনায় মানুশ / গোষ্ঠী জরিত, কোন অতিপ্রাকৃত শক্তি বাহ্যিক ভাবে নয়।
কোন ধর্ম কেই এথেসম এর নামে খাট করা টা অপরাধ। তাহলে ভবিষ্যতে এথিস্ট রা একটি গোত্র হয়ে অন্য জাতি/ দল কে পদে পদে অপমান/অত্যাচার করবে।
মূল লেখার পরিপ্রেক্ষিতে এই ছবিটা খানিকটা প্রাসঙ্গিক মনে হল। অপ্রয়োজনীয় বা আপত্তিজনক মনে হলে মডুদের মুছে দেওয়ার অনুরোধ থাকল।
সুন্দর একটা জিনিস ! কপি নিয়ে নিলাম, কোথাও কাজে লাগতে পারে। দেবী মূর্তির বিষয়ে যাঁরা সংবেদনশীল তাঁরা এখানে অন্য যেকোন বিশ্বাসের কোন প্রতীকী কল্পনা করে নিতে পারেন, অর্থের হেরফের ঘটবে না বলেই মনে হয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কিছু সত্য উহ্য রাখা মনে হয় শান্তিপ্রদ.........
সরাসরি আহত করা অনুচিত বোধ করি.........
বদরে আপত্তি কেনো? এটা তো আরো ভালো। অলৌকিক নয়, একেবারে লৌকিক ব্যাপার স্যাপার
হ। আপনারা ধার্মিকরা দুনিয়াতে ও অধার্মিকদের শুলে চড়াবেন, পরকালেও নরকে পাঠাবেন আর ভাব ধরবেন আপনারাই ভিক্টিম
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই মুহুর্তে সচলের ব্যানার কী ধর্মীয় ব্যানার নয়? তবে যে বললেন, সচলে ধর্মীয় কিছু প্রোমোট করা হয়না?
বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
পোষ্টের শেষ বাক্য পর্যন্ত্য সচলের নীতিমালার আলোকে সবকিছু ঠিকই ছিল। যখনই আপনি মানুষের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কোন প্রচলিত ধর্মের ঈশ্বরের হাতে দিয়ে দেন তখন আপনি প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে সেই ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করেন, বস্তুত, এই প্রার্থনার পেছনে দু'টো খুবই বিতর্কিত অনুমিতি কাজ করে:-
১) আপনি যেই সত্ত্বার কাছে প্রার্থনা করছেন, তার আসলেই কোন অস্তিত্ব আছে।
২) কেবল আপনার সত্ত্বাই উদ্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
এই অনুমিতিগুলোর এরুপ বহিঃপ্রকাশ আসলে আপন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা ছাড়া কিছু না, ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা মানেই সেই ধর্মের প্রচার করা। আর এখানে আপনি নিজে মুসলমান নাকি হিন্দু নাকি ইহুদি, সেটা মোটেই বিবেচ্য না। একজন মুসলমানের ইসলামপ্রচারের পাশাপাশি একজন ইহুদিও যদি এই প্লাটফর্মে ইসলামের স্তুতি প্রকাশ করতে আসেন, তবে নীতিমালার আলোকে এ দু'টোই সমানভাবে অবৈধ হবে।
আর আরেকটা কথা, ধর্মে বিশ্বাস করার অধিকারকে আমরা সবাই সম্মান করতে বাধ্য হলেও ধর্মবিশ্বাসকে আমরা সম্মান করতে মোটেই বাধ্য নই(বিশ্বাস আর বিশ্বাস করার অধিকার কিন্তু একই বিষয় না)। ধর্মের অপব্যবহার বলে কিছু নাই- যেই মতবাদ এক অদ্ভুতূড়ে সত্ত্বার উপর বিশ্বাসকে ভিত্তি করে মানুষকে বিচার করে, সেই মতবাদ is rotten to it's core.
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
সচলে নাস্তিকতা প্রচার ও ধরমো প্রচার দুইটাই নিসিদ্ধ করা হোক।
বাংলামায়ের ছেলে দাদা
মূল সমস্যা কি জানেন? ব্যাক্তিগত ভাবে আমরা সবাই hypocrite. আজকে যদি আমি বদর যুদ্ধের উপরে একটা পোস্ট দেই, তাহলে আপনি ই তেরে মেরে আসবেন 'জামাতি ছাগু তে ব্লগ ভরে গেল রে!' কিন্তু দূর্গতিনাশীনিকে গদ গদ কন্ঠে ডাকতে আপনার দ্বিধা বোধ হবে না।
সচলে আমার সবচেয়ে ভাল লাগে এটাই যে এখানে hypocrisy নেই। যারা ধর্মপ্রচার বিরোধী, তারা আসলেই বিরোধী, মোল্লার টুপি কে গালি দিয়ে, কপালে চন্দন এর ফোঁটা লাগানো নাস্তিক নয়।
হ্যাঁ সামুতে দিয়েছিলেন প্রথমে। সচলায়তনেও দিয়েছিলেন, হয়ত প্রথম পাতায় দেননি। তার মানে এই না যে আপনি "ধর্ম প্রচার জাতীয় পোস্ট দেননি" এই কথা বলে "দায়" এড়াতে পারবেন। আল্টিমেটলি আপনি এই ধর্মীয় বিষয়ে লিখেছিলেন এবং মন্সুর হাল্লাজের পক্ষেই লিখেছিলেন এবং তার স্পিরিচুয়ালিটিকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়েছেন।
অল্রাইট... তাহলে ধর্মের প্রধান আইকনকে ধরে ডাক দিলেই সেটা ধর্মীয় প্রচার মূলক পোস্ট। গুড। নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার পোস্ট আমার খুব ভালো করে পড়া আছে। আমি নিজেই সুফীজমের সামান্য অনুসারী, তাই খুব মন দিয়েই আপনার লেখা পড়েছি।
এখন কথা হলো, আপনি যদি মন্সুরের উপরে ধর্মীয় বর্বরতা হয়েছে শুধু এই লক্ষ্যেই লিখে থাকতেন তবে অন্য কথা ছিলো। আপনি একদল ধর্মীয় লোকের বর্বরতার বর্ণনা দিতে গিয়ে মন্সুরের অনেক গুণ বর্ণনা করে তাকে নিয়ে যথেষ্ঠ কীর্তন করেছেন। জেল খানা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া সহ বিভিন্ন অলৌকিক উপাখ্যান নিয়েও বলেছেন। বলেছেন আল্লাহ্ কে নিয়ে মন্সুরের সব কাব্যময় ও মারফতি কথা। আমার তাতে আপত্তি নেই, ভালোও লেগেছে সেসব কথা পড়ে।
আপনার চিন্তার প্যাটার্ন থেকেই আমি যেহেতু বিবেচনা করছি তাই একটু নিউট্রাল দৃষ্টিভংগি থেকে লিখছি, মানে...লিখতে হচ্ছে। আপনি একদল ধর্মীয় বর্বর মানুষের বর্বরতার কথা লিখতে গিয়ে মন্সুরের স্পিরিচুয়াল কথামালা, তার দর্শনকেই কি আলোকিত করেন নি? আপনার লেখা পড়ে কি অনেকেই ধর্মের এই মারফতি অংশের প্রতি সামান্য হলেও আপনার মাধ্যমে সমর্থিত হয় না? আপনি ফতোয়াআলাদের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে প্রকারন্তরে মন্সুর হাল্লাজের সেই গুপ্ত সাধনার কথাই কি প্রকাশ করেন নি বা সেগুলোকে হাই লাইট করেন নি? যেখানে আপনি আল্লাহ্, ভগবান ইত্যাদি মানতে নারাজ। আপনি তো মন্সুরকে মহিমান্বিত এই মানুষ হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন। করেন নি? যিনি ধর্মীয় বিশ্বাস পোষন করেন না তিনিই আবার অন্য আরেক জনের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অনুরক্ত হয়ে তাকে হাইলাইট করা কি স্ব বিরোধিতা নয়? সেটা কি কোনো ভাবেই ধর্ম প্রচারের দায় এড়ায়??
যেখানে আল্লাহ্ বা ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস পোষন করেন সেখানে একজন মারফতি জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের উপর অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাকে মহিমান্যিত মনিষী বানিয়ে লিখলে কোনো ক্ষতি হয় না???
নাকি আপনার মত কাব্যিক ভাষায় ধর্ম প্রচার করলে কোনো সমস্যা নেই?? আপনি কি বলেন? একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
উপরের প্রশ্ন ও মন্তব্যটি ব্লগার হাসান মোরশেদকে করেছি। আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোরশেদের প্রতিমন্তব্যের প্রেক্ষিতে...
'রহস্যময়তা নয়, আমাকে টানে রহস্যের পেছনের মানুষগুলো'
পাঁচবছর আগে লেখা পোষ্টের শুরু এটা ছিলো।
পোষ্টের মুল টোনটা ও তাই। মনসুর হেল্লাজকে আমি একজন মানুষ, একজন কবি, একজন ভিন্ন চিন্তক হিসেবে বিবেচনা করেছি- ধর্মীয় গুরু নয়। প্রথাগত ধর্ম তাকে হত্যা করেছে ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন মতাদর্শের কারনে। সে কারনে মনসুরকে আমি ধর্মীয় আইকন নয় বরং ভিন্ন মতাদর্শের কারনে শরীয়া আইনের হাতে নিহত একজন হিসেবেই ভাবি। হ্যাঁ, তার মিস্টিক যে বিষয়গুলো এসেছে সেটা তাকে নিয়ে প্রচলিত মিথ হিসেবেই।
বর্তমান পোষ্টের সাথে ঐ পোষ্টের পার্থক্য এখানে, মনসুর হেল্লাজকে আমি আহ্বান করছিনা- হে মহান সাধক তুমি এসে আমাদেরকে অশুভের কারাগার থেকে মুক্ত করো যেমন তুমি করেছিলে এক হাজার বছর আগে :)।
আপনি বুঝতে চাইলে এই ব্যাখ্যা যথেষ্ট বলে মনে করছি। তবু যদি আরো প্রশ্ন থাকে, নির্দ্বিধায় রাখবেন। সময় বেরহম না হলে, আমার তর্কে- আলোচনায় আপত্তি নাই।
ও হ্যাঁ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো পুরনো লেখা মনে রাখার জন্য
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
না বুঝতে পারিনি। আরো কনফিউশন তৈরী হচ্ছে।
কিন্তু আমার কথার তো উত্তর সেই ঘুরে ফিরে এসে হারিয়ে যাচ্ছে। যিনি একজন মানুষ হিসেবে, ভিন্ন চিন্তক হিসেবে, কবি হিসেবে আপনার কাছে বিবেচ্য তিনি তো সেই সেই অবস্থান ( মানুষ, চিন্তক, কবি) আল্লাহকে দিয়ে ও নিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন। আপনার আদর্শ ও চিন্তা অনুযায়ী তাকে মানুষ হিসেবে আপনি প্রথমে গণ্য করবেন এটা আমি মানলাম। বাট, তার সমগ্র শরীর জুড়েই তিনি আল্লাহকে ধারন করেছেন এবং উচ্চারণ করেছেন "আমিই আল্লাহ্" বা তার অন্য আরেকটি বিখ্যাত বাক্য "আনাল হক" আমিই সত্য এসব সব কিছুই তো আপনি বেশ মুচড়ে মাখিয়ে পরিবেশন করেছিলেন। আমি তো সে কারনেই কনফিউজড, আপনি যেখানে ধর্মীয় আদর্শ প্রচারে আগ্রহী নন বা কাউকে করতেও দিতে চান না, সেখানে আপনি অন্য আরেক ব্যাক্তির ধর্মীয় আদর্শ এমন চকচকে করে আলোময় করে তুল্লেন, বিষয়টা বুঝা গেলো না।
একজন অত্যাচারিত মানুষের কথা বলতে গেলে বুঝি তার ধর্মীয় বিশ্বাসে তখন সমালোচনা চলে না? তার "আমিই আল্লাহ্" বাক্যে সমালোচনা চলে না এই পালটা কথা বলে যে, "আল্লাহ্ আবার কি?", কিংবা এও বলা চলে না যে তিনি সব আজগুবি চিন্তায় আচ্ছন্ন ছিলেন। অতাচারের কথা বলবেন সেটা এক কথা। সেটা ব্লতে গিয়ে তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং তার আদর্শকে প্রকারান্তরে ও ইন্ডাইরেকটলি গ্লোরিফাই করবেন, সেটা কি স্ব বিরোধিতা নয়??
এই ধরনের লেখাও কি আল্টিমেটলি ধর্মীয় প্রচার নয়? যেখানে আপনার এই লেখা পড়ে অনেকেই সুফীজমে আগ্রহী হতে পারে কিংবা ধর্মের মারফতি তত্বের ব্যাপারে এক ধরনের দূর্বলতা প্রকাশ করতে পারে?
যদি তাই হয় তবে আপনি কেন অন্যের একটা নিরীহ লেখাকে ধর্মীয় প্রচার/লেখা বলে প্রচার করছেন? আপনি কি কোনো ডাইলেমা তে ভুগছেন?
আপনি কি নিজেকেই নিজের সাথে বিরোধে নিয়ে যাচ্ছেন নাকি পাঠকদের বিভ্রান্ত করছেন?
@মামুনুর রশীদ ,
রিলিজিয়ন, থিয়োলজি, ফিলসফি ইত্যাদি গুলিয়ে ফেলছেন মনে হয় । ব্লগার হাসান মুরশেদ এই লেখা দ্বারা ধর্ম প্রচার করছেন এটা মানলে নাস্তিক আহমদ শরীফকে মহা ধার্মিক মানতে হয় কারণ সুফিবাদ এর উপর তার গুরুত্বপুর্ণ কাজ আছে । ইসলামের চিন্তার ইতিহাসে একজন সুফির উপর শরিয়াপন্থীদের নির্যাতন বিরোধী লেখায় প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে হাল্লাজ সম্পর্কিত প্রচলিত মিথ । এটা ধর্ম প্রচার মুলক ব্লগ হতো যদি উনি বলতেন -‘‘হে আল্লাহর বন্ধু আনাল হক তোমার রুহানীশক্তি দ্বারা আমাদের এই দুর্দিনে রক্ষা কর ’’ যেমন বলেন পীরভক্ত বা মাজারপুজারী ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
চরমভাবে সহমত।
গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কমেন্টের জন্য পোস্টটি প্রিয়তে রাখলাম
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মন্তব্যগুলো পড়লাম, ব্যাপক আলোচনা ।
তবে একটা বিষয় গত কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি- একটা দ্বিধাগ্রস্থ ধারা দাঁড়িয়েছে। যারা আসলে মন থেকে ধর্মকে ধরতেও পারছে পুরোপুরি আবার ছোটবেলা থেকে ধারন করা "বিশ্বাস অভ্যাসের" কারনে ছাড়তেও পারছে না । এই গোষ্টি নিজেদের মনের শান্তির জন্য নিজেদের মতো করে সাম্প্রদায়িকতা/স্যাকুলারিজম ইত্যাদির ব্যাখা দাঁড় করাচ্ছে । এই জন্য অবশ্য আমাদের মিডিয়া কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবি'রা দায়ি। সম্ভবত রাষ্ট্রের স্যাকুলারিজম কে আমজনতা যেন "ধর্ম কে বাদ " দেয়া হলো ভাবতে না পারে সেজন্য তারা বলছে "ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়"। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই - এখানে ধর্ম নিয়ে কোন কনসার্ন নেই । রাষ্ট্রের সেই কনসার্ন থাকার কথাও না । এখন তারা সেটাকে সকল ধর্মের কনসার্নের টার্মে নিয়ে ফেলছে !!
আমাদের দেশে থিউরিটিক্যাল বিভ্রান্তির মতো এটাও এরকম বিভ্রান্তি । আম জনতাকে এই বলে বোঝানো উচিত ছিলো - রাষ্ট্র অবশ্যই ধর্মহীন (দেয়ার ইজ নো কনসার্ন আব্যাউট এনি রিলিজয়ন) , কিন্তু রাষ্ট্র অবশ্যই ফ্যাসিষ্ট নয় তাই কোন ব্যক্তিকে সে ধর্মহীন হতে বলবে না বা বাধ্য করবে না , ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ে থাকবে ।
এই পোষ্টের শিরোনামটাই তো ধর্মপ্রচারনা মূলক-
ধর্মপ্রচারনামূলক পোষ্ট নিরোৎসাহিত করার নীতিকে সমর্থন করি ।
নতুন মন্তব্য করুন