ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনুবাদ শুরু করেও সময়ের অভাবে ২য় পর্বটা দেয়া হয়ে উঠছে না। খুব শিগ্রি দেব। কিন্তু আমাকে লেখায় পেয়ে বসেছে। দিলুম এবার একটা মৌলিক গল্প ঝেড়ে। দেখুন তো সচলের মানের সাথে যায় কিনা। এটা একটা অভিযানের গল্প। কিংবা বলতে পারেন চরম বোকামীর গল্প।
এ গল্পের সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা চরিত্রের সাথে সামান্যতম মিল পাওয়া গেলে তা কাকতাল মাত্র।
-------- মধ্য প্রজন্ম
“মামা, লুঙ্গি উল্টাও, রঙ দেখি,” হোয়াইট হর্সে, অঞ্জনদের রুমে ঢুকতে ঢুকতে সঞ্জয়ের গলা শুনলাম, “ম্যারেজের হাফ।”
“ধুস শালা,” ডাইসের নক্কা ফেলতে ফেলতে, মিজু ভাই আমাদের বিদ্ধস্ত চেহারা দেখে থমকে গেলেন।
“স্যারেরা সারাদিন ছিলেন কই?” জিজ্ঞেস করলেন।
এক এক করে তাকালেন আমাদের চারজনের দিকে। জানি, আমাদের চেহারা দেখতে ঘন্টাখানেক হাটুরে মার খাওয়া পকেটমারের মত দেখাচ্ছে। উনি একা শুধু না, হাতের কার্ডগুলো নামিয়ে রেখে এবং খেলা দেখা ছেড়ে, বাকি সবাই তখন আমাদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতে ব্যস্ত। অঞ্জনদের রুম হচ্ছে সরকারী রুম। যার যখন খুশি আসে, খায়-দায়, ওড়ায়, পান করে, ঘুমায়, আড্ডা দেয়। আমাদের গ্রুপের পনেরো জনের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই একটা করে চাবি আছে, তাই সমস্যা হয় না। যাই হোক খেয়াল করে দেখলাম, অঞ্জনের রুমমেট, রাসেল বাদে আর সবাই আছে।
“হোগানাকাল ফলস্।” ক্লান্ত অবসন্ন অঞ্জন জবাব দিলো। মিজু ভাইয়ের ট্রেডমার্ক, একটা ভুরু উপরে উঠে গেল।
মিথুন অবিশ্বাসের সুরে জানতে চাইলো, “কি! হোগামারা ফলস? হোগামারা খায়া আইসত? গণ নাকি সিঙ্গেল?”
“তুই হোমো শালা সব সময় বেশি হুনিস। হোগামারা নারে, হোগানাকাল, হোগানাকাল,” ঝাঁঝিয়ে উঠলো শিশির। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বিদ্ধস্ত অবস্থা তার।
“ওই হইলো, হোগা মারা খাইলেই, হোগা নাকাল হয়,” বিজ্ঞ মতামত দিলো সঞ্জয়।
আর ধৈর্য্যে কুলালো না বলে দুমদাম করে লাইন ধরে বেরিয়ে গেলো অঞ্জন, অনুপম, শিশির। "দি গ্রেট নিরিবিলি হাউস", মানে আমার আর অনুপমের বাসার দিকে গেলো, ঘুমাতে।
আমার ঘুম টুম আপাততঃ দরকার নেই, ক্লান্তি কাটাতে দরকার আড্ডা। বললাম, “হয়রে হয়, মারা না খাইলেও হোগা নাকাল হয়। আমাদের হইসে। গত আঠারো ঘন্টায় প্রায় পাঁচশ কিলো বাইক দাবড়াইসি”
কাহিনির আভাষ পেয়ে সবাই একটু নড়ে চড়ে বসলো। মিজু ভাই বললেন, “আরে হাঁ করে কি দেখিস, অরে পান তামুক দে।” বলে নিজের সদ্য জ্বালানো কিং সিগারেটটা ধরিয়ে দিলেন। মাথা নাড়লাম, এত হালকায় কিচ্ছু হবেনা। কে যেন বিশেষ একটা ছোট বোতলও দিচ্ছিলো। মাথা নেড়ে না করে, রঞ্জনের কাছ থেকে একটা ফ্লেক নিয়ে গ্যাঁট হয়ে বসে শুরু করলামঃ
ফ্ল্যাশব্যাক..........................................................................................................................
স্বপ্ন দেখছিলাম, “ট্রেনের সাইড লোয়ারে শুয়ে আছি, জেগেই আছি। যাচ্ছি একটা কোথাও। বোধহয় ভোর চারটা মত বাজে। পুরোপুরি গোল বিশাল সাইজের চাঁদ ঢলে এসেছে। রোমান্টিক রূপালী চাঁদ না, বদখত গ্রহটহ টাইপ দেখতে লালচে চাঁদ......”, হঠাৎ শুনি কে যেন আধা-পুরুষালী গলায় পিনপিন করে ডাকছে, “মৃদুল, ওঠ ওঠ। বাবা, উঠে পড়।”
ঘুমের মধ্যে মেজাজটাই চটে গেল, অনুপ্ম, ওর এই পিনপিনানিটা অসহ্য। শালা, হাউস মেট বলে কি স্বপ্নেও থাকবি?
“মামার দোকান থেকে চিকেন রোল নিয়ে আসলাম, এখনো গরম,” চলতেই থাকলো। মামার দোকান? চিকেন রোল? আরে, আমি তো আমার রুমে, ব্যাঙ্গালোরে। ঘুম ভেঙ্গে গেলো। চোখ বন্ধ করেই হাত বাড়ালাম, “দে।”
“কি দেবো, রোল?” জানতে চাইলো
“দ্যাখ, গালাগালি তোরে সাধে করি না, দে,” ন্যাকামীতে বিরক্ত হয়ে বললাম।
একটা সিগারেট জ্বালিয়ে আমার হাতে দিলো। চোখ বন্ধ রেখেই জিজ্ঞেস করলাম, “কয়টা বাজে?”
“সাড়ে দশটা।”
“সকাল না রাত?”
“রাত।”
“কি বার?”
“শুক্র।” আমাকে ঘুম থেকে তোলার পর কম কথায় জবাব দিয়ে যাওয়াটাই ওর জন্য নিরাপদ।
“এই শুক্রবার, না পরের শুক্রবার?” আবার জানতে চাইলাম।
অবাক হয়ে গেলো, “মানে?”
“যতদূর মনে পড়ে, শুক্রবার ভোর চারটায় নন্দী হিলস থেকে ফিরে ঘুমাইছিলাম। এইটা কি সেই শুক্রবার, না তার পরের শুক্রবার?” সিগারেটে শেষ টানটা দিয়ে অনুপমের হাতে দিয়ে চোখ খুললাম।
পানির বোতল আর রো্ল আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, “দ্যাখ, ষোল সতের ঘন্টা ঘুমিয়ে এখন ফাইজলামি করিস নে তো। তোরে উঠোলাম, কারণ চা খাতি যাব”
“কোথাকার চা?”
“রিং রোডের,” ভ্রু নাচিয়ে বললো।
“একলা একলা তোর সাথে যাওয়া বোরিং”
“শিশির, অঞ্জন যাবে, আর কসম একশ’র নিচে স্পীড নামাবো না” তাড়াতাড়ি বললো।
আমি আর কিছু বলার আগেই অঞ্জনের নাম্বারে কল দিলো। কথাবার্তায় বুঝলাম ওরা রেডী হয়ে কলের অপেক্ষাতেই ছিলো, বাইক স্টার্ট দেবে আর চলে আসবে। পূজা ভ্যাকেশনে দেশে যাইনি আমরা কেউ এবার। ফাইনাল ইয়ার, আবার আসা হবে কি হবে না, শেষ বারের মত প্রাণ ভরে একটু তাফালিং করে নেই।
তাড়াহুড়ো করে রোলটা গিলে, চোখে মুখে পানি দিয়ে জ্যাকেট জুকেট নিয়ে রেডী হয়ে নিচে নামলাম, খালাশ হওয়ার জায়গা পথে অনেক পাওয়া যাবে। পথ তো আর কম না প্রায় একুশ কিলো। এখানে আরেকটা কথা বলে নেয়া ভালো, আমরা অধিকাংশ সময় শহরের মাত্র চার জায়গায় চা খাই। বাসার নিচের “জনতায়”, প্রায় আট কিলো দূরে “এম জি রোডে”, একুশ কিলো দূরের “রিং রোডে” আর ফেরার পথে চার/পাঁচ কিলো বাকি থাকতে “শিবাজীনগর মুসলিম এরিয়াতে”। এই শেষের জায়গাটা চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে।
ঘুমের রেশ তখনো কাটেনি। আড়াই দিন পরে ঘুমালে কি আর রেশ কাটে। অনুপম বাইক স্টার্ট দেয়ার আগেই দেখলাম, অন্ধকারের জুটি, শিশির-অঞ্জন হাজির হলো তাদের কালো লেদার জ্যাকেট ট্যাকেট পরে, বিশ্বস্ত বাজাজ কেবি বাইক চড়ে। অঞ্জনের এই কেবি, আজব এক বাইক। দেখে মনে হয় এক কিলোও যাবে না, কোন না কোন পার্টস খসে পড়বে। কিন্তু আমরা যারা চিনি তারা জানি, একশ দশ স্পীড পর্যন্ত ব্যাঙ্গালোরের যেকোন পালসার/সিবিজি’র সাথে পাল্লা দিতে পারে। পুরা “আরবান স্ট্রীট রেস” লেভেল। ছোটখাট বলে সুবিধাও বেশি। মাঝে মাঝে মাফলার দিয়ে এমন কালো ধোঁয়া বের হয়, যেন ধোঁয়ার সাথে ইঞ্জিন পোড়া ছাই বেরুচ্ছে। কিন্তু গতি কমে না। যাই হোক আমরা রওনা দিলাম। সাঙ্কিট্যাঙ্ক ব্রীজের উপর অনুপমের স্পেশাল ১২০/৫৫ (১২০ স্পীড, ৫৫ ডিগ্রী বাঁক) শুরু হতেই ঘুম টুম ছুটে গেলো, এড্রিনালিনের লাফালাফিতে।
এম জি রোড পৌঁছানোর আগেই দেখতে পেলাম ফ্রাইডে নাইট ব্যাঙ্গালোর রূপ দেখানো শুরু করেছে। আমাদের দুই পাশ দিয়ে, অন্তত একশ আশিতে ছুটে গেলো চার পাঁচটা স্পোর্টস বাইক। পেছনের আরোহীদের মধ্যাঙ্গুলীয় আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজটাই শুধু পরিষ্কার বুঝলাম। অন্তত শততম বারের মত মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আমাদের মডিফায়েড সিবিজি সর্বোচ্চ একশ বত্রিশ দেয়, তাও হাইওয়েতে।
যাই হোক এমজি পৌঁছে, হিসু টসু সেরে, মিনিট দশেক সি বি আর/আর ওয়ান ওয়ালাদের হুইলিং/ড্রিফটিং উপভোগ করে, মাল টাল দেখে কোনটা ছোট/কোনটা বড় বিচার করে আবার রওনা দিলাম। এবার একটানে এয়ারপোর্ট ছাড়িয়ে, মারাথাহাল্লীর পেছনে রিং রোডের আরো তিন কিলো ভেতরে পৌঁছলাম প্রায় পনের মিনিটে। তখন বাজে সাড়ে এগারো। আমাদের নির্দিষ্ট ধাবার পাশে বেশ কয়েকটা দূর পাল্লার ভারী লরী দাঁড়িয়ে। এটা আমাদের গ্রুপের শিশুতোষ হুইলিং/ড্রিফটিং/বেজ লুপিং প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। আমাদের অনেকেরই আবার একমাত্র প্যাশন ছিলো “এনি আওয়ার স্ট্রীট রেস”। আমরা ট্রাফিক পুলিশের চেনা মুখ। ব্যাঙ্গালোর ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ চিনিয়েছি। আগে দশ টাকা দিলেই মুলোর ক্ষেত দেখা যেত, এখন একশ টাকার কমে গোঁফের কোণায় মোচড়ও দেখা যায় না। আজকাল আমাদের দেখলে, অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়, যেন আমরা চোখে না পড়ি, কেস যেন না দিতে হয়।
ডালপালা গজিয়ে যাচ্ছে, ছেঁটে মূল কাহিনীতে আসি। চা খেতে খেতে মারাথাহাল্লী কোম্পানীর বাসায় ফোন দিলাম। শুনলাম শুধু ফয়সাল আর রবি ফ্রী, তাই সই। আধাঘন্টার মধ্যে আরো এসে জুটলো জয়নগরের বিশাল বপু তিন বড়ভাই, তাঁরা গর্ব করে বলেন, তিনজনে মিলে তাঁদের ওজন নাকি “বিগ শো”-এর চাইতে মাত্র একশ পাউন্ড বেশি। সবাই মিলে এবার রওনা হলাম ধাবার বিপরীতের কাঁচা রাস্তা ধরে প্রায় দুই কিলো ভেতরে, এয়ারপোর্টের আধা কিলো পিছনে, সমগ্র ব্যাঙ্গালোর ড্রেনেজ সিস্টেমের হাব একটা বক্স কালভার্টের উপর। এখানে বসেই আমরা গ্যাঁজাই, দুই অর্থেই গ্যাঁজাই। মাথার উপরে থাকে চাঁদ, চারিদিকে নেই কোন জনমনিষ্যি, বেশ ভালো হাওয়াও দেয় (কখনো হাড় কাঁপিয়েও দেয়)। আপনারা অনেকেই বুঝবেন এইখানে গ্যাঁজাতে কেমন লাগে। দুইটা বাজতেই বিশালবপুরা চলে গেলো, রইলাম আমরা ছয়জন, ভাবছিলাম, কি করব এখন। নানাজন নানা প্রস্তাব দিলো এবং কারো না কারো ভেটোতে সব নাকচ হয়ে গেলো। অবশেষে অনুপম উদাস দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
“একটা জায়গা আছে, তোরা কখনো যাসনি”
“কোন জায়গা সেটা,” ফয়সালের সপ্রশ্ন দৃষ্টি।
“এইতো এখান থেকে মাত্র ৩৫/৪০ কিলো। বেশ ঝরনা, পাহাড়, নদী, বন এককথায় স্বর্গ”
“তোমরা আমারে কখনো এইসব জায়গায় নিয়ে যাওনা,” স্বভাবসুলভ অনুযোগ রবির।
অঞ্জন সন্দেহ নিয়ে বললো, “মাত্র ৩৫/৪০ কিলো? ঝরনা-পাহাড়-বন? দাদা হাওয়া, তুমি ফাঁপড় দিতাছ না তো? তোমার অভ্যাস আছে।”
“এই কারণেই আগে কখনো তোদের বলিনি। জানি তোরা এইসব কবি। কুত্তার পেটে কখনো ঘি হজম হয় না”
“দাঁড়া, দাঁড়া” আমি থামালাম, “তো এই জায়গার খবর তুই কি করে জানলি? তুই তো আমাদের সাথে ছাড়া কোথাও যাস না।”
“গত বছর থার্টি ফার্স্টের আগে, আনিসরে নিয়ে, বাইকে চেন্নাই গেলাম না?”
“হুঁ”
“আনিস দেখাইছিলো। বানরঘাটা ন্যাশনাল পার্কের একটু আগে, মেইন রোডের ডানে একটা কাঁচা রাস্তা আছে, ওইডে দিয়ে যাতি হয়।”
“একবছর আগের কথা তোর মনে আছে? এখন চিনতি পারবি? তুই শিওর”
“পারবোনা মানে? এইতো এখন আড়াইটার মত বাজে। সামনে গিয়ে একটু খাওয়াদাওয়া করে রওনা হবো। সাড়ে তিনটার দিকে পৌঁছাবো। আবার পাঁচটার দিকে ফিরবো। নো প্রবলেম”
“দাদা কইতাছো?” অঞ্জন শেষবারের মত জানতে চাইলো।
“যাবি কিনা বল? না গেলে নাই”
“চলো তাইলে।” সমস্বরে আমাদের জবাব।
হায়রে! তখন যদি জানতাম আমরা আসলে কোন মহা অভিযানে যাচ্ছি।
(..................পরবর্তী পর্বেই খতম। হিমু ভাইয়ের মত চা খাওয়ার মেধা আমার নেই)
মন্তব্য
একটু অন্যরকম লেখার স্টাইল, তবে আমার ভালোই লাগছে। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ। সম্ভবত আমার লেখা নয়, আপনি অনেক ধৈর্য্য ধরে পুরোটা পড়েছেন বলে, ঘটনার সংঘটনগুলো আপনার ভালো লেগেছে। তবে যে কারণেই হোক, অন্তত একজনকেও যদি ভালো লাগাতে পারি, উৎসাহ বাড়ে।
লেখার স্টাইল অন্যরকম মনে হচ্ছে? তা তো হবেই। গল্প লেখার ধরণ যদি ক্রিকেটের কমেন্ট্রির মত হয় সেটা তো অন্যরকমই মনে হওয়ার কথা। আমার নিজের লেখার ক্ষমতা সম্পর্কে তো আমার পরিষ্কার ধারণা আছে। চেয়েছিলাম, ওয়াইন কোরড চকোলেট তৈরি করবো, হয়ে গেলো রাম কোরড কফি। তিতকুটে তো লাগবেই।
আগামী পর্বেই শেষ করব।
খানিকটা পড়তে গিয়েই আটকেছি। শব্দচয়ন ভালো লাগেনি। একই কথা কিন্তু অন্যভাবেও বলা যায়।
গল্পটা হয়তো ভালো হয়েছে। পড়তে পারিনি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার ব্যর্থতা, আমি আপনার মত একজন পাঠককে পেয়েও হারালাম। খানিকটা পড়তে গিয়ে না অনার্য দা, আপনি শুরুতেই আটকেছেন। সঞ্জয়ের প্রথম কথাতেই আপনি বিরক্ত হয়েছেন। আমি জানি এই কথাটা অন্যভাবেও বলা যেত।
আসলে সঞ্জয় চরিত্রটা আমার তৈরি না, সে ছিলো আমার এক বন্ধু। টোয়েন্টি নাইন খেলার সময় প্রতি দশবারে সাতবার সে এভাবেই রঙ দেখতো।
বলতে পারেন, গল্প হচ্ছে গল্প আর বাস্তব হচ্ছে বাস্তব। আমি আসলে বাস্তবকে গল্পে খুব বেশী পরিবর্তীত করিনি। ইচ্ছা করেই করিনি বলতে পারেন। করলে আমি গল্পটা নিয়ে যেভাবে এগোতে চাচ্ছি তা পারবোনা, আমার লেখার সীমাবদ্ধতা অনেক বেশী।
আপনাদের বিরক্ত করতে করতেই, একদিন হয়তো আমিও........................
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আপনি যে লিখলেন গল্পের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক?
কোথায় যেন পড়েছিলাম, যা কখনো ঘটেনি বা যার অস্তিত্ব কখনো ছিলনা, তার কাছাকাছি কিছু কল্পনা করা কখনোই সম্ভব না।
সঞ্জয় একটা উদাহরণ। চরিত্রটা হয়তো বাস্তব, কিন্তু যেখানে বসানো, সেই পরিস্থিতি কখনো ঘটেনি। হোগানাকাল থেকে ফিরে মৃদুলের সাথে হয়তো সঞ্জয় বা মিজু বা মিথুন কারো সাথে দেখাই হয়নি। হয়তো পুরোটাই তার কল্পনা। কিন্তু ঘটতেও তো পারতো, তাহলে হয়তো এভাবেই হতো। অবাস্তব পরিস্থিতিতে সবই অবাস্তব, কাল্পনিক
পরের পর্ব পড়লে বুঝবেন কোনটা বেশী সহজ, ঘটনাগুলো কল্পনা করা, নাকি বাস্তবতা বিশ্বাস করা।
চলুক। আগামী পর্বের অপেক্ষায়...
আমার ভালো লেগেছে ।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ মানিক দা।
ধন্যবাদ তাপস দা।
খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নামাবো।
আমার কাছে এ টাইপ টা অনেক সাবলীল মনে হয়.....গল্পে শালীনতা...এই এলিটীয় ভাবনা এখন একেবারেই অদরকারি...গল্পকার ভাব তৈরির চেয়ে বস্তুতে মনোযোগ বেশি দিলে আমাদের সাহিত্য আগাবে বলেই ধারণা....
নতুন মন্তব্য করুন