দুর্গতিনাশিনির পুনরাগমন আমার বন্ধু-মহলের একাংশে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকালের ফাঁক দিয়ে এসে পড়া নাযুক সূর্যরশ্মির মত মনের ওপরে প্লাস্টারে বাম হাত মোড়া ছোট ছেলেটির ছায়া এসে পড়ে। রায়েরবাজার আখড়ার প্যান্ডেলে পারিবারিক নিকট-বন্ধুদের হাসিমুখ, ধুপের গন্ধ আর নেশা ধরানো ঢাকের শব্দের ভেতর বাতাসা-মুরলী চিবোতে চিবোতে সেই ছেলেটি হেঁটে বেড়ায়। হলুদ লাল আর সোনালী রঙের ভেতর থেকে তিনটি চোখের অপলক দৃষ্টি সেই ছেলেটিকে কি বলেছিল? কেই সেই দুর্গতিনাশিনী? কেন সে শুধু শরৎকালেই সে আসে?
জমির উর্বরতার সাথে নারীর সৃ্ষ্টিক্ষমতাকে মিলিয়ে দেখতে চাওয়ার প্রবণতাটি প্রাচীন। সন্দেহ করা যায়, যে মানুষটির মাথায় আধ্যাত্মিক ধারনা সর্বপ্রথম আসে, সে তার কোন আপনজনের আদলে সেই অভিনব ভাবনাটিকে এগিয়ে নেয়। সেই ভাবনার অবলম্বন তার নিজের মাতৃত্ব, তার জন্মদাতৃ নাকি তার বংশধরদের মা, আমরা জানতে পারিনা। তবে ভাবনাটি টিকে যায়। নারী-ভক্তির নিদর্শনগুলোর মধ্যে হোহ-ফেল্সের ভেনাস সবচাইতে পুরাতন (খৃ্পূ ৪০-৩৫হাজার) হলেও বিলেন্ডর্ফ এর ভেনাস (খৃ্পূ ২৪-২২হাজার) বেশী পরিচিত। এগুলো যারা বানায়, তাদের কেউ বসতি গড়ে, অন্যেরা ঋতুচক্র ও ঘাসখোর পশুদের অনুসরণ করে। অনেকেই ছোট আকারের স্ত্রী-অবয়ব - মাটির, পাথরের বার হাড়ের - সাথে রাখে। এই মূর্তিগুলোর হাত-পা-চেহারা থাকেনা, তাই এগুলোকে কোথাও দাঁড় করিয়ে তার সামনে উপাসনা, মানে আধুনিক কালে যেভাবে উপাসনা করা হয়, সেটা চলেনা। এগুলোর ব্যাবহার ঠিক কি ছিল, আমরা জানতে পারিনা। এগুলো আপনজন থেকে দূরে থাকার কষ্ট লাঘবের উপায় নাকি এগুলো বড়দের খেলনা, সেটা আমাদের অজানা থেকে যায়।
একই চেহারা-হাত-পা হীন নারী মূর্তি পাওয়া যায় হরপ্পায়। যে অবয়ব ছিল, এবার তাকে ক্ষমতার আসনে বসানো হয়। আনাতোলিয়ার চাতালহোয়ুকে (খৃ্পূ ৭-৫হাজার) দেখা যায় এক গদিনসিন নারীকে। তার সিংহাসনে হাতলে বাঘ বা সিংহীরা নারীর ক্ষমতা ঘোষণা করে। তার দেহভঙ্গিতে প্রতিপত্তি ঠিকরে পড়ে।
নীলনদের উজানের নাকাদায় আরেক নারী অবয়ব দুপাশে দুই সিংহীকে সাথে নিয়ে ভক্তের আরাধনা শোনে। কিছুদিন বাদে পুরো মধ্যপ্রাচ্যই আরেক সিংহারোহিনী, ইশতারের ভক্ত বনে যায়। ভাষার অদলবদলে নামের ভিন্নতা আসে, তবে চরিত্র থাকে অভিন্ন। আক্কাদ ও যুদা (আজকের ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন) অঞ্চলে ইশতারের আরাধনা ক্রমে ইহুদি সখিনার রূপলাভ করে। আরও অনেকদিন পরে সেই ইশতার খোদার জাহেরি জেল্লা-রূপে সখিনার নামে ৬ বার কোরানে উল্লিখিত হয়।
একটু পূবে পারস্য ও উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতির আত্মীয়তা প্রকাশ করে সিন্ধু অববাহিকায় প্রকট হয় অদিতি। এখানে নারী-পূজা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। ঋগ্বেদ অদিতিকে ৮০ বার উল্লেখ করে তাকে কুমারী-মাতার স্থান দেয়, বলে তার থেকেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড উৎসারিত, সে পরমমাতা, স্রষ্টা, নির্বন্ধ ও পরাক্রমাশিলা। সচরাচর যে ঋগ্বেদ উচ্চ ও আলোকিত প্রায় সবকিছুই পুরুষ ও অধীনস্থ ও আঁধারের অনেককিছুই নারী হিসাবে চিহ্নিত করে, সেখানে ব্যতিক্রম অদিতিকে সে দেখায় আকাশ ও মাটির প্রাচীন অধিকর্ত্রী হিসেবে। অদিতি কোন পুরুষের অধীনস্থ থাকেনা।
সময় এগিয়ে চলে।
ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ মানুষের সামনে যেসব নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, তার সবগুলোর উত্তর প্রাচীন নারীর অবয়ব আর দিতে পারেনা - অথবা আধুনিক পুরুষ সেই নারীর উত্তরের অপেক্ষা করেনা। বাণিজ্য চুক্তি বা ধাতব যন্ত্রকারখানায় নারীর বদলে বেদ এর পুরুষ চরিত্র বেশী গ্রহণযোগ্যতা পায়। পুরুষ দেব সামনে এগিয়ে আসে ও ক্রমে তার প্রভাব গভীরতর হয়। যদিও ইতোমধ্যে সাংখ্য ও যোগ দর্শন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা-হীন দ্বৈতবাদী ব্যাখ্যা দিতে শুরু করে, রাজনৈতিক কারণে এইসব ব্যাখ্যার পৌত্তলিক পরিভাষার প্রয়োজন হয়, এবং তা জনপ্রিয়তা পায়। সাঙ্খ্য-দর্শনের প্রকৃতি=দেহ আর পুরুষ=আত্মাকে পৌত্তলিক পরিভাষায় দেব=আত্মা=ভোক্তা এবং দেবী=শরীর=ভোগ্য - এভাবে প্রচারিত করা হয়। যে মায়া থেকে রিপু জন্ম, সে মায়াই রিপু নাশ করে। এ দুর্গতি আত্মার। এই নাশ রিপুর। এই দেবী প্রকৃতি। নিরাকার ও অনীশ্বর প্রকৃতিই আসল দুর্গতিনাশিনী।
এ বড়ই ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে মণ্ডপ, প্যান্ডেল, বোধন, ধুপ, ঢাক, শরতকালের বিশেষ কিছু করার নেই।
কিন্তু নারী অবয়ব পুরাতন আকর্ষণ পিছু ছাড়ে না। আর্য মহাভারত নারীবন্দনার রসে ভেজা পুরুষ-প্রকৃতির আলেখ্য উপস্থাপন করে। সেই প্রাচীন নারীকে আমরা বিন্ধ্যপর্বতে মদ ও মাংসে আসক্ত এক দেবী-রূপে ফিরে আসতে দেখি। সমসাময়িক দ্রাবিড় সিলাপ্পাতিকরম জানায় লক্ষ্মী, সরস্বতী, পার্বতী সকলের অভিন্ন উৎসের কথা।
গড়ে ওঠে শাক্ত-মত।
গুপ্ত রাজত্বে নারী-ভক্তির প্রচলিত সবগুলো উপাখ্যান একসাথে হয়ে আত্মপ্রকাশ করে দবীমহত্মম নামে, মার্কণ্ডেয় পুরাণের ৮১-৯৩ অধ্যায়ে। ৮১ তম অধ্যায় সৃষ্টিরহস্য আলোচনা করে। ৮২ থেকে ৮৫ অধ্যায়ে নারী মহিষাসুর বধ করে। ৮৬-৯১ অধ্যায়গুলোতে কালী নাম্নী নারীশক্তির একটি রূপ প্রথম দিনের আলো দেখে। শ্লোকগুলো পরিবেশিত হয় একজন অপসৃত রাজা, একজন ব্যবসায়ীর সাথে একজন গুরুর কথোপকথনের মাধ্যমে। বক্তব্য সহজ। আত্মা তথা পুরুষে তথা ভক্তের মুক্তি নিশ্চিত করতে শরীর, প্রকৃতি, নারী, দেবী চির-যুদ্ধে অবতীর্ণ। সেই যুদ্ধ পরিচিত সব রিপুর সাথে।
আদিশঙ্করের সৌন্দর্যলহরিকাব্য ও মহিশাসুরমর্দিনি স্তোত্রের অদ্বৈতবাদ (আত্মা ও শরীর এক) সাঙ্খ্য দ্বৈতবাদ এর পাশাপাশি একটি নতুন মার্গ তৈরি হতে সাহায্য করে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর থেকে নতুন এই বামশাক্তমার্গ পূর্বভারতে গভীরতর প্রসার পায়. প্রতিটি জনপদ ও গ্রাম এমনকি প্রতিটি মহাজনের কোঠা-বাড়িতে একান্ত নিজস্বতায় দেবীর উপাসনা চলে। চৈত্রমাসে দেবীর আবির্ভাব অবধারিত হয়।
আরও কিছু সময় বয়ে যায়।
এরপর ১৭৫৭ সালের বর্ষাকালে ক্লাইভ সিরাজকে পরাজিত করে। সুতনুটির দেব ও শেঠদের অবদান তার এই বিজয়ের অনুঘটক, একথা সে অস্বীকার করতে পারেনা। তাই সিরাজের টাকশালের আটকোটি টাকার ভাগ দেয় দেব ও শেঠদের। সেই ভাগ এতটাই উদার ছিল যে সুতনুটির শাক্ত মহাজনদের চৈত্রমাস তক তর সইছিল না। কৃত্তিবাসের রামায়ণে অকালবোধন পাওয়া গেল এবং তাতেই হয়ে গেল। রাতারাতি রিপুর দুর্গতিবিনাশিনি পরিণত হয়ে যায় উদযাপনের উপকরণে।
শুরু হয় শারদীয় কোম্পানি পূজা। শুরু হয় শক্তির অপূরণীয় অপচয়ের বাৎসরিক মহোৎসব।
(ছবিসত্ব ফ্লিকার ও লিকুইড কমিক্স)
মন্তব্য
ইন্টারেস্টিং!
প্রথম তিনটা ছবি স্ক্রিণে আসছে না...।
ধন্যবাদ। ছবির কোড পালটে দিলাম। যদি দেখা যায়।
দুর্দান্ত
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম। ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুর্দান্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত ইনডিড
খুব ভালো লাগল আপনার পোস্ট
লেখার সাথে আপনার সূত্রগুলোও দিলে আরো ভালো হতো।
"সেই ভাগ এতটাই উদার ছিলো যে..."
এ অংশটুকু পড়ে মনে হতে পারে টাকার ভাগ পেয়ে উৎসব করার জন্যই দেব/শেঠরা দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু আসলে ক্লাইভের সম্মানেই ১৭৫৭ সালের পূজার আয়োজন করা হয়েছিলো। পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভে সহায়তার জন্য ক্লাইভ মহাজনদের ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিলেন- তাই এই আয়োজন। উইকি থেকে-
"...the first such Puja was organised by Raja Nabakrishna Deb of the Shobhabazar Rajbari of Calcutta in honour of Lord Clive in the year 1757. The puja was organised because Clive wished to pay thanks for his victory in the Battle of Plassey."
১৭৫৭ সালের আগেও বাংলায় 'শারদীয়' দুর্গাপূজার বিবরণ পাওয়া যায়। মোগল আমলে ১৬০৬ সালে রাজা কংসনারায়ণ এবং নদীয়ার ভবেন্দু মজুমদার 'শারদীয়' পূজার আয়োজন করেন। (সূত্র) রামায়নের 'অকালবোধন' ছাড়াও শরৎকালে দুর্গাপূজা আয়োজনের আরেকটা 'বৈজ্ঞানিক' কারণও দেখলাম। এ সময় থেকে দিন ছোট এবং রাত বড় (অপশক্তির আনাগোনা বেশি) হতে থাকে। তাই দুর্গতিনাশিনী দুর্গাকে আহবানের ইহাই প্রকৃষ্ট সময়।
ধন্য়বাদ। এটা ঠিক যে প্রাক ইংরেজ আমলে দুর্গাপুজা হত। ১৬০৬ সালে কিছু অকালবোধন অবশ্যই সম্ভব, ততদিনে কৃত্তিবাসের রামায়ন স্বআক্ষর মহলে পরিচিত। তবে কৃত্তিবাসের আগে কেউ অকালবোধনের কথা বলেনি। তবে খেয়াল করুন, এসময়ে ভারতীয় পন্জিকায় কিছু বড় রদবদল (সূর্যসিদ্ধান্ত থেকে নবদ্বঈপ) হয়, খাজনা আদায়ের দিন তারিখও এই সময়েই আকবরি প্রশাসন বদলে দেয়। আমি জানিনা, এসব রদবদলের কোন প্রভাব এখানে আছে কিনা।
কিছুটা টাসকি খাইলাম বটে!!! দুর্দান্ত!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
অতীত
সিম্পলি অসাধারণ!
এমন সিরিয়াস লেখায় বানান ভুল (বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়) বড্ড চোখে লাগে। সম্পাদনা কাম্য।
১৬১০ সাল থেকে বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা অকালবোধনে দশভূজা পূজো করতেন।
১৭৫৭ সালের মতো পার্থিব সাফল্যের প্রভাব দশভূজার পূজোয় যে পড়ে না তা কিন্তু নয়। শুনেছি ১৯৭১-১৯৭২ সালে কোন কোন জায়গায় দশভূজার চেহারার সাথে প্রিয়দর্শিনীর চেহারার নাকি ব্যাপক মিল ছিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ। কিছু মাজাঘষা করলাম। জানিনা সবগুলো ভুল শুধরেছে কিনা।
এটা হরহামেশাই হয়েছে। প্রতিমার দুপাশের চরিত্রগুলোর ক্ষেত্রেও তাই। ব্রিটিশ আমলে কার্তৃকে প্য়ান্টুলুন পরানো হয়েছে। দেবীর পদতল সিংহ ভারতীয় আকার (নমনীয় কেশর) ছেড়এ ব্রিটিশ আকার (আফ্রিকান ফুলো কেশর) ধারন করেছে। আরেকটু অন্যভাবে ১৭৫৭ সালে ভারতের পাঁচটি বড় ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোকেও প্রতিমাতে দেখা যেতে পারে, যেমন ফোর্টউইলিয়ামের সাথে দুর্গা, পাটনার সাথে সরস্বতি, সেন্ট জর্জের সাথে কার্তৃক (মুরুগান), সুরাটের সাথে লক্ষমী, বোম্বের সাথে গণেশ?
ইতিহাসের পাঠ নিলাম। ১৭৫৭ তেই যে শুরু নয়, সে উত্তর এসেই গেছে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে স্বার্থোদ্ধার বোধহয় সব কালেই ছিল। খুব সুন্দর পোস্ট।
এক কথায় দুর্দান্ত!
রোমান এবং গ্রীক মাইথলজীর জীবন্তরূপ সনাতন ধর্ম।
আমার ধারণা আর্যদের সাথে রোমান এবং গ্রীকদের যোগাযোগছিল এক সময়।
আপনার পক্ষে এই ধরণের একটা সম্পর্করেখা বের করা সহজ হবে।
কাজটা করার অনুরোধ রইল।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ। গ্রীক ও ভারতীয় পুরানের সমান্তরাল লেখার ইচ্ছা আছে, কিন্তু কবে পারবো কে জানে।
দুর্দান্তের দুর্দান্ত লেখা
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
তথ্যগুলো অনেক ভাবাচ্ছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভাবনাগুলো দয়া করে শেয়ার করুন।
দারুণ! দুর্দান্ত!!
সাবর্ণ রায়চৌধুরিরা ছাড়াও আরও চার পাঁচটা পুজো ১৬৫০ নাগাদ শুরু হয়৷ শ্রীপুর'এর মিত্র-মুস্তফি বাড়ির পুজো ১৭০৬ এ শুরু হয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আহ! চমৎকার একটা লেখা। আপনার এই লেখাটার কথাও মনে হয়ে গেলো এটা পড়ে।
দারুণ। অতি সংক্ষেপে ইতিহাসের সচিত্র গল্প
ঠিক এই ধরনের লেখা আমার খুব পছন্দ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইতিহাসকে ধরে শক্তির এই অপচয়ের আলেখ্য মনে দাগ কাটে। নারীর গর্ভের সাথে মাটির তথা বৃষ্টির যে পারস্পরিক ইতিকথা মিশে আছে তার ধারেকাছেও না গিয়ে " ধর্ম রূপে সংস্থিতা" র ছাতামাথা মুণ্ডু গেঁথে অসুর নাশের যে বুলি আউরানো হয় তাতেই শক্তির আদ্যশ্রাদ্ধ হয়ে যায়, বিকৃত হয় অনন্ত ইতিহাস।
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন