এই একটা নতুন পর্ব শুরু করলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবু এই সীমিত ভান্ডারের মধ্যে থেকে যাই পারি তুলে ধরার চেষ্টা করব কিছু ভাল লাগার কথা আর কিছু খারাপ লাগার কথকতা। তবে এই সীমিত সময়ে যা দেখেছি তা দিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করব। জানিনা কোথায় বা কোন পোস্টে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
২'রা অক্টোবর - এই দিনটি মহান সেই জাতির পিতাকে স্মরণ করার দিন। তাঁকে স্মরণ করেই বলি , মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধি, একটা অহিংসার নাম। যে মানুষটা সারাটা জীবন অহিংসা অহিংসা করে গেলেন, মৃত্যুর পর তাঁকে আমরা এমন একটা জায়গায় বসিয়ে দিলাম যা হিংসার মূল কারণ। কি হল কনফিঊজ হলেন! একটু ভেবে দেখবেন বাপুর মুখটা এমন কোন জায়গায় বসানো আছে যেখানে হিংসা বিরাজ করে?
১'লা অক্টোবর - দিনটিও আমার মনে ভীষণ দাগ কাটে। আজ থেকে ১০৫ বছর আগে কুমিল্লায় জন্ম নিয়েছিলেন এমন একজন সুরকন্ঠি যার হাত ধরে বাংলার পল্লির গন্ধ পৌছে গিয়েছিল বিশ্বের দরবারে। তিনি কুমার শচীন দেববর্মণ। তখন কুমিল্লা ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত রাজন্য শাসিত অঞ্চল। এই দিন গুলির কথা আমার বলার কারণ, আমি আমার শেকড় আঁকরে ধরে রাখতে চাই। কিন্তু সময়, সমাজ, সভ্যতা কতটা ইনক্রিজ করেছে তাদের অবদানের ফলকে হাতিয়ার করে। আমি জানিনা কুমিল্লার মানুষ শচীন কর্তাকে কতটা মনে রেখেছেন। কিন্তু এই রাজ্যে বসে কি জানি একটা গভীর চোরাবালি আটকে আছে আমার হৃদয় জুড়ে। হয়তো তাই ‘আমি সব ভুলে যাই তাও ভুলিনা বাংলামায়ের কোল’।
সিনেমা আমার কাছে প্রমিকার মতো। আমার প্রথম ভালোবাসা। এই ভালোবাসার জন্মের কারণ আমি বহুবার খুঁজেছি, পাইনি। তবে গ্রুপ থিয়েটারের সেই পাগলামোর দিনগুলি থেকেই বোধহয় সেই ভালোলাগার সৃষ্টি। সত্যি বলতে এখনও ভয়ানক ভাবে মিস করে নাটকের মহড়ার সেই চঞ্চল দিনগুলিকে। কতগুলি বছর মাঝখানে চলে গেছে। আর আমিও তার মাঝে বয়ে চলছি।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে জানানো হয় ডুম্বুর ভ্যালীতে গিয়ে সেখানকার ওয়াইল্ড লাইফ প্রোজেক্ট এবং জল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে একটা স্টোরি করতে হবে। আমার মাথার ভেতর একটা আলোর তরঙ্গ ভেসে গেলো। ডুম্বুর ভ্যালী আর গোমতী। একটা বিশাল অভ্যারণ্য আর তার মাঝে শুধুই জলের বিস্তার। গোমতীর সরল জলরাশিকে ভেদ করে এই সফর আমার জন্য এক নতুন সকালের সন্ধান নিয়ে এল। গোমতী ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে বৃহত্তর নদী, খরস্রোতাও বটে। আমি এর উৎস স্থলে যাচ্ছি.........
সফর গোমতীর পথে।
------------------------------------
আগরতলা
২’রা অক্টোবর, ২০১১
মন্তব্য
লেগে গেলাম সাথে, চলতে থাকুক, ভাল হচ্ছে।
সাথে আছি।
পরের পর্ব রেডি রাখুন, শর্মাজী
ফটোগুলো মন মাতানো সুন্দর।
প্রথম ছবিটা দারুণ। উপভোগ করুন, একদিন ত্রিপুরার তিন পুর ঘুরে আসার ইচ্ছে আছে।
আছি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্যারার পারম্পর্য বুঝতে পারিনি। ছবিগুলো ভালো লাগল। সিরিজটাও ইন্টারেস্টিং হবে আশা করছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সুন্দর তাপসদা...............আছি................
বাহ! ”এবং আপনার” সাথে আছি
চলুক। ভ্রমণ আনন্দময় হোক।
facebook
গোমতী ব্যারেজ আর পিপিড়াঘাঁটের মধ্যে নির্মিতব্য/নির্মীত বা নতুন বাঁধ বা উইয়ার ( ক্ষুদ্র উচ্চিতা সম্পন্ন বাঁধ) নিয়ে কিছু বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন? এই অক্টোবরে সেটি কার্যকর হবার কথা ? এটি সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন তথ্য নেই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
Ami ekhon jekhane achi se jaygay net access korte parchi na. Mobile diye kaj korchi. Tai uttor dite parchi na .and amar ei vroman onek agei sampanno hoyeche; agartalay fire ese do-tin din por sobar proshner uttor dite parbo bole asha rakhchi; and # Jahid vai ami cesta korbo ei bapare kicho bolte; tobe ami oo beshi kicho jani na ; tobe khuj nicchi siggir; ar badh tar nam budh hoy pipra ghat noy - pitra hobe......jai huk ami cesta korchi.....dhannobad....... ###. Tapas sharma.
বিজয়ার শুভেচ্ছা।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
ছবিগুলা দারুণ। আর একটু একটু করে উঁকি দিয়ে যাওয়া বিষয়গুলোও আগ্রহ জাগায়
নতুন মন্তব্য করুন