পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি স্টিভের। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে গ্রাজুয়েট হতে পারেন নি। এই গল্পটা অবশ্য সবার জানা। আমি আরেকবার বলছি। স্টিভের গল্প বারবার বলা যায়।
স্টিভের জন্মদাত্রী মা ছিলেন অবিবাহিত একজন তরুণী ছাত্রী। স্টিভের জন্মের আগেই তিনি তাকে দত্তক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন। কেবল ভেবেছিলেন, তাঁর সন্তানটি যেন শিক্ষিত হয়। চেয়েছিলেন, তার সন্তানকে কোনো শিক্ষিত পরিবারে দত্তক দিতে। সেরকম একটি পরিবারের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কথা হয়েছিল, একটি আইনজীবি পরিবার তাকে দত্তক নেবে।
সেটা অবশ্য হয়নি। সেই আইনজীবি দম্পতি স্টিভের জন্মের পর শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলায়।
স্টিভকে দত্তক নেয় অন্য একটি পরিবার। সেটিও অবশ্য খুব স্বাচ্ছন্দে হয়নি। স্টিভের মা শেষ মুহূর্তে জানতে পারেন, স্টিভকে দত্তক নিতে চাওয়া দম্পতিটি শিক্ষিত ছিলনা। তিনি তাই তাকে দত্তক দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য স্টিভ ওই পরিবারেই যায়। ওই দম্পতি কথা দিয়েছিলেন, স্টিভ পড়াশোনা করবে।
পড়াশোনা স্টিভ করছিলও। সমস্যা হচ্ছে, স্টিভ ভর্তি হয়েছিলেন একটি ব্যয়বহুল কলেজে। তার কর্মজীবি বাবা-মা'র সবটুকু সঞ্চয় তার পড়াশোনার পেছনেই ব্যয় হয়ে যাচ্ছিল। ছ'মাসের মাথায় ওরকম খরচ করে ওই কলেজে পড়াশোনা স্টিভের কাছে অর্থহীন মনে হতে থাকে। তাছাড়া ওই পড়াশোনাও তার কাছে আনন্দের কিছু ছিলনা। স্টিভ তাই কলেজ ছেড়ে দেন। তাঁর ভাষ্যমতে সেটা ছিল তার জীবনের অন্যতম সেরা একটি সিদ্ধান্ত।
কলেজ ছেড়ে দেয়ায় তার দুটি লাভ হয়। প্রথমত, বিরক্তিকর ক্লাসগুলো আর করতে হতোনা। দ্বিতীয়ত, নিজের পছন্দের ক্লাসগুলো যেখানেই হোক সেগুলো বেছে বেছে তিনি করতে পারতেন।
সেটাও অবশ্য খুব স্বপ্নের মতো ব্যপার ছিলনা। নিজের থাকার জায়গা না থাকায় তাঁকে থাকতে হতো বন্ধুদের ঘরের মেঝেতে। কোকের খালি বোতল কুড়িয়ে দোকানে ফেরত দিয়ে যে কয়েক সেন্ট পাওয়া যেত তা জমিয়ে খাবার কিনতে হতো।
সেই সময়ে স্টিভ প্রতি রবিবার রাতে হেঁটে হেঁটে শহরের অন্যপ্রান্তের হরিকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন বিনামূল্যে একবেলা ভালো খাবার জন্য।
নিজের কৌতুহল মেটাতে যেসব কিছু করতেন তিনি সেসময়, সেসব আপাত দৃষ্টিতে অর্থহীন ছিল। অন্তত সেসবের কোনো ব্যাবসায়িক মূল্য ছিলনা। কিন্তু নিজের হৃদয়কে অগ্রাহ্য না করে স্টিভ আসলে নিজের উপকারই করেছিলেন। আর কে না জানে স্টিভ আসলে উপকার করেছিলেন সভ্যতার, মানুষের, মানুষের সৃষ্টিতে চমকানো এই গ্রহটির!
যেমন তাঁর ক্যালিগ্রাফি শেখা। কৌতুহলের বশে ক্যালিগ্রাফির ক্লাসে যেতেন তিনি। সেখানেই শিখেছিলেন অক্ষরের শিল্প। সেই সময়ে ওই শিক্ষার কোনো মূল্য ছিলনা। কিন্তু সেটির ফল পেয়েছিলেন তিনি ১০ বছর পর যখন প্রথম ম্যাকিনটশ কম্পিউটার ডিজাইন করছেন তখন। ম্যাকিনটশের ডিজাইনে অক্ষরের যে সৌন্দর্য, যে শিল্প যুক্ত হয়েিছল, সে স্টিভের শখের বশে শেখা সেই ক্যালিগ্রাফিরই অবদান। উইন্ডোজ তার অক্ষর কপি করেছে ওই ম্যাক থেকেই। আজকের পৃথিবীর অক্ষরেরা তাই স্টিভের কাছে ঋণী।
২০ বছর বয়সে বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কম্পিউটারের যাত্রা শুরু করেছিলেন স্টিভ। এক দশকেরও কম সময়ে সেই অ্যাপল শতকোটি ডলারের মালিক হয়ে উঠেছিল। দু'জনের শুরু করা অ্যাপল এক দশকে ৪ হাজার লোকের কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। আজকের অ্যাপল লভ্যাংশের হিসেবে পৃথিবীর সবচে বড় কম্পানি। অ্যাপলে কাজ করে প্রায় ৫০ হাজার লোক। আর অ্যাপল বছরে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য বিক্রী করে।
স্টিভের বয়স যখন ২৯ তখন প্রথম ম্যাকিনটশ কম্পিউটার বাজারে আসে। তার ঠিক একবছর পর স্টিভ সেই অ্যপল থেকেই বহিস্কুত হন। নিজের প্রতিষ্ঠা করা কম্পানি থেকে কেউ কীভাবে বহিস্কৃত হয়?
সেই ইতিহাসটা খুব সুন্দর নয়। সেটা স্টিভের সবচে খারাপ অভিজ্ঞতাগুলোর একটি। অথচ স্টিভ মানেন, অ্যাপল থেকে বহিস্কৃত হওয়া তার জীবনের সবচে ভালো ঘটনা! সেই ঘটনাটি তাকে নতুন করে শুরু করতে দেয় আবার। সাফল্য জিনিসটি নতুন করে শুরু করার দরোজাটা তার জন্য বন্ধ করে রেখেছিল, চাকরি হারানোর পর সেই দরোজাটা তার জন্য খুলে যায়। স্টিভ জানতেন তিনি যা করেছেন, তা তিনি ভালোবেসেই করেছেন। সেটার ফলাফল সেই মুহূর্তে খুব ভালো না হলেও।
চাকরি হারানোর পরবর্তী ৫ বছর, স্টিভ মনে করেন তার জীবনের সবচে সৃষ্টিশীল সময় ছিল। সেই সময়ে তিনি নেক্সট নামের একটি কম্পিউটার কম্পানি শুরু করেন। শুরু করেন পিক্সার নামের অ্যানিমেশন ফার্ম। পিক্সারের নাম শোনেনি এরকম সিনেমা প্রেমিক পাওয়া যাবেনা। এই ফার্ম থেকে তৈরি হয় বিশ্বের প্রথম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র। এটি এখনও পৃথিবীর সবচে সফল অ্যানিমেশন ফার্ম।
নেক্সট কম্পানিকে কয়েক বছর পর সেই অ্যাপলই কিনে নেয়। স্টিভ আবার ফেরেন অ্যাপলে। অ্যাপল আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেই ভিত্তিটি সত্যিকার অর্থে নেক্সটে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির।
২০০৪ এ স্টিভের অগ্নাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাক্তার বলেছিলেন তিনি ৩ থেকে ৬ মাস বাঁচবেন। পরে জানা যায় স্টিভের অগ্নাশয়ের ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য ছিল। স্টিভ সেরে ওঠেন...
এই গল্পগুলো আমার জানার কথা নয়। আমি কম্পিউটার আর তথ্যপ্রযুক্তির সামান্যই জানি। ২০০৫ এ স্টিভ স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে যান। ইউটিউবের কল্যাণে সেই বক্তৃতাটি আমার শোনার সৌভাগ্য হয়েছে। উপরের লেখাটি প্রায় পুরোটাই সেই বক্তৃতার সারাংশ।
একটা বক্তৃতা শুনেই সেটা লিখে ফেলার কথাও নয় আমার। আমাকে দিয়ে এই লেখাটি লিখিয়ে নেয়া স্টিভের কৃতিত্ব। দারুণভাবে কম্পুকানা মানুষ হয়েও, প্রযুক্তির বিন্দুবিসর্গ না জেনেও আমি আমার চারপাশে স্টিভের অস্তিত্ব টের পাই। স্টিভের প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাকে প্রতি মুহূর্তেই স্বীকার করতে হয়। সে কেবল তিনি যে পৃথিবীকে ব্যক্তিগত কম্পিউটার দিয়েছেন সেজন্য নয়। তিনি যে আইফোন, আইপ্যাড, আইপ্যাড, ম্যাকবুক, নেক্সট, পিক্সার দিয়েছেন সেজন্য নয়। বরং এই মানুষটি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন বলেও। এই মানুষটি আমাকে অনেককিছু শিখিয়েছেন বলেও।
স্টিভ জবস সম্পর্কে সবকিছু বলে ওঠা সম্ভব নয়। তার প্রয়োজনও নেই। তাঁকে জানেনা এমন আধুনিক মানুষ পাওয়া যাবেনা বোধহয়। আমি কেবল এই লেখাটা লিখছি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। মানুষ হতে গেলে অকৃতজ্ঞ হওয়া যায় না। স্টিভের কাছে আমি ঋনী, সেই ঋণ স্বীকার করার জন্যেই এই লেখা।
স্টিভ আরো অনেকদিন বাঁচতে চেয়েছিলেন। ক্যান্সার বিষয়ক জটিলতার জন্যে তা হয়ে ওঠেনি। তবে তাতে ক্ষতি কেবল আমাদেরই হয়েছে। স্টিভ তো জীবনের প্রতিটি দিন বেঁচেছেন নিজের শেষ দিন হিসেবে। নিজের সীমিত জীবনটি তিনি নিজের আনন্দে, নিজের ভালোবাসায় ডুবে থেকে বেঁচেছেন। অন্যের জীবন তিনি বাঁচেন নি। বেঁচেছেন একশোভাগ নিজের জীবন। নিজের পছন্দে।
আর সেই সঙ্গে আমার মতো বোকাদের শিখিয়ে গিয়েছেন ভালোবাসার জন্যে বাঁচতে। ভালোবেসে বাঁচতে। যেটুকু জীবন সেটুকু নিজের করে বাঁচতে। বলে গিয়েছেন, মৃত্যুর পর আর হারাবার কিছু নেই। অন্যের জীবন তাই বাঁচার কোনো অর্থ নেই। বলে গিয়েছেন, তোমার ভালোবাসাকে খুঁজতে থাকো শেষ পর্যন্ত। বিশ্বাস রাখো, থেমে যেয়না। ভালোবাসাহীনতার সঙ্গে সমঝোতা করো না।
বলে গিয়েছেন, বোকা থাকো, চিরতৃষ্ণার্ত থাকো!
বিদায় স্টিভ। নিশ্চয়ই দেখা হবে কখনো। সময়ে এবং শূন্যতায়।
[ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত]
মন্তব্য
স্টিভ জবস পুজিবাদী শ্রেণীর অর্ন্তগত। আমি ব্যক্তিগত ভাবে পুজিবাদী শ্রেণীকে ঘৃণা করি।
তাই তার মৃত্যুতে আমি দুঃখিতও নই, আন্দিতও নই।
আর মৃত্যুর পর কোনশত্রুতা থাকেনা, তাই তার অত্মার শান্তি কামনা করি।
আর তাঁর সংগ্রামকে আমি শ্রদ্ধা করি, স্টিভ জবসকে নয়
ভাই ঘৃণা একটু কম করলে কি হয়?
কিছুই হবে না। পুজিবাদী শ্রেণী তো মৃত্যু নেই
স্টিভ জবসতো পুঁজিবাদী শ্রেণীতে জন্ম নেননি, কোকের ক্যান ফেরত দিয়ে যে টাকা পেত, তাই দিয়ে সে চলেছে বহুদিন, সপ্তাহে একবেলা ভাল খাবার মুফতে খেতে পারবে বলে মাইলের পর মাইল হেঁটেছে। রাতে থেকেছে বন্ধুর ডর্মের মেঝেতে। তাহলে সে কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত? স্টিভ জবস কী করলে আপনি তাঁকে সম্মান করতেন?
আপনার যুক্তি তো দেখছি শিশু শুলভ। তাহলে আপনার কথা অনুসারে বলতে হয়, বিন লাদেনের মা বাবা সন্ত্রাস বাদী পরবারের অন্তর ভুক্ত এবং তারা সন্ত্রস বাদী,
হিটলারের মা বাবাও সাধারণ মানুষে পুড়িয়ে মারেছেন যেমন হিটলার ২.৫ লক্ষ ইহুদীদের হত্যা করেছিলেন,
এমন শিশুসুলভতার আপনার মুখে মানায় না।
এক টা কথা বলা যায় শিশু কখনো সন্ত্রাস বাদী বা পুজীবাদী হয় না পরিবেশ তাকে গড়ে তোলে, স্টিও সেই
তার সগ্রমাকে আমি আবারও সন্মন জানাই, প্রাপ্তবয়স্ক স্টিভ জবসকে নয়।
সাধারণ, দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করলেও তাদের জন্য কোন বৃহৎ কাজ করেনি, কাজ করলে তাকে সন্মান জানাতাম
আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম স্টিভ পুঁজিবাদী পরিবারে/সোনার চামচ নিয়ে জন্মায়নি। দরিদ্র পরিবারে কষ্ট করে বড় হয়েছে, নিজের ভাগ্য নিজে গড়েছে। দারিদ্র্যের কষ্ট তার বোঝার কথা।
"সাধারণ, দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করলেও তাদের জন্য কোন বৃহৎ কাজ করেনি, কাজ করলে তাকে সন্মান জানাতাম"
-- এই "বৃহৎ" কাজ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত শুনতে চাই। সচলের পাঠকদের মধ্যে থেকেই ভবিষ্যত স্টিভ আসবে একাধিক, তাদের জন্য একটা দিক নির্দেশনা থাকত।
আপনি রাজনীতি সচেতন নিশ্চয়।
পুঁজিবাদএর কারণে পৃথিবীর এই অবস্থা, আপনার, আরও অনেকের দুর্দশা। কিন্তু এই পুঁজিবাদী পৃথিবীতে আপনার জন্ম বিল গেটসের ঘরে হলে কি করতেন ভাবি।
সমাজতন্ত্র থাকলে যে স্টিভ জবস,বিল গেটস, গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুক, এইসবের অনেকের নাম ও কোনদিন শুনতেন না আশা করি সেই বাপারটা অনুধাবন করবেন | আমার কোনো প্রাতিষ্ঠাক্নিক শিখ্খা নাই অর্থনীতি আর রাজনীতিতে তারপরে ও কিছু কথা কলতে চাই| তারপরেও মনে হয়, গনতন্রের সাথে পুজিবাদের একটা সম্পর্ক আছে, অন্য দিকে আমাকে সমাজতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র দেখান আপনি যেখানে আপনার মত প্রকাশ করতে পারবেন, অন্যের ক্ষতি না করে আপনি নিজের স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন | ১০০% না পারলেও ৮৫% পারবেন | এক্সট্রিম ফর্ম এ কোনো কিছুই হয়ত ১০০% ভালো না, কিন্তু আমি আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই, আমার ক্যারিয়ার পছন্দ করার অধিকার চাই, অন্যের ক্ষতি না করে আমার যা ভালো লাগে করতে চাই| আমার মনে হয় এইটা মানুষের ভেতর ইনহেরেন্ট | আমি আমার জানার অধিকার ও চাই| শুনছিলাম চীনদেশে নাকি খবরের কাগজের এডিটর ও নাকি সরকার | প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিওন এ নাকি দুপুরে, রাতে কোন জায়গায় ডিনার করতে হবে তাও সরকার বলে দিত| সাধারণ জনতা রাষ্ট্রের কথায় উঠত বসত, কিন্তু যারা এইসব মতবাদের মাথা ছিল এবং পার্টির সেক্রেটারি ছিল তারা কিন্তু বিলাসবহুল জীবন যাপন করত| তাই, অনেক মতবাদ ব্যর্থ হইছে| আমি কাউকে কনভিন্স করতে চায়না, কারণ আমি ডাইভারসিটি তে বিশ্বাস করি | যারা আপনার মত বিশ্বাস করে তাদের ও দরকার আছে সমাজে | পুজিবাদের অনেক খারাপ দিক ও আছে সেইটাও আমি জানি | স্টিভ জবসের মত লোক বাংলাদেশে থাকলে আর এইরকম একটা কোম্পানি করতে পারলে (?) চিন্তা করেন অনেক মানুষের কর্ম সন্ঘ্স্থান হত, সে তার সমাজের জন্য কিছু করছে| কিন্তু সারা দুনিয়ার মানুষ উপকৃত হইছে সন্দেহ নাই| আপনি যদি তার কোম্পানির প্রডাক্ট ব্যবহার নাও করেন, তারপরেও মনে রেখেন যে, অন্য কোম্পানি ও জবসের কোম্পানি থেকে অনেক কিছু শিখছে এবং মার্কেট ধরে রাখার জন্য তাদের প্রডাক্ট উন্নত করছে | সে বিল গেটস এর মত এত দান করেনি হয়ত, কিন্তু ক্যানসার গবেষণায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার দিছে, তার পরিবার ভবিশ্সতে হয়ত আরও দিবে| বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এদেরকেও আপনার পছন্দ করার কথা না, কারণ তারা আরও ধনী, কিন্তু প্রতিবছর এক এক জন কম্পখ্খে ১ বিলিয়ন ডলার করে দিতেছে, আফ্রিকায় হাজার হাজার শিশু মালেরিয়া তে মরে তাদের জন্য খরচ করতেছে| এর ভেতর ও হয়ত আপনি খারাপ উদ্দেশ্শ খুজে পাবেন, কোনো সমসসা নাই, আমি মনেকরার অধিকারেও বিশ্বাস করি|
ভাই পুজিবাদের রং কালো।
একটা প্রবাদ আছে
এটাও ঠিক তেমন, পুঁজিবাদী শ্রেণীরা মানুষের রক্ত শোষণ করে, আর সামান্য কিছু অর্থ মানব কল্যানে দান করে (পডুন ভিক্ষা দেওয়া) তারা তাদের পাপ মোচন করেতে চায়, হতে চায় মহান।
এভাবে পুন্য করা যায় না।
কথাগুলো বই পড়া লাগলো, কিভাবে পূণ্য করা যায়?
তখন আপনারা আমাকে ঘৃণা করতেন। এখন যেমন আমি তাদের ঘৃণা করি।
বিদায় স্টিভ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বিদায়
যেসব মানুষের অনেকদিন থাকা দরকার তারাই অসময়ে চলে যায়।
শ্রদ্ধা স্টিভ এর জন্য
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
স্টীভ জব্স রে শ্রদ্ধা । এই ভিডিও টা যে কতবার দেখছি, হিসাব নাই।
-মেফিস্টো
বিদায় স্টিভ!
ভাল লাগল। লেখাটা মনে হয় স্টিভ এর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনের কী নোট বক্তৃতা অবলম্বনে লেখা।
একটু মন দিয়ে পড়া দরকার।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
স্টিভের মতো মহান হওয়ার পথে একধাপ আগাইছি সেই ছোটবেলাতেই। অপ্রয়োজনীয় লেখাপড়া বাদ্দিয়া মুর্খ থেকে গেছি।
বাকীটুকু এখনো আউগাইতে পারি নাই, চেষ্টা অব্যাহত আছে...
বিদায় স্টিভ... আমার মতো কম্পুকানা আপনার মর্ম বুঝে না, কিন্তু আপনার কথাবার্তাগুলা ভালো লাগছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"Don't be trapped by dogma- which is living with the results of other people;s thinking."
- Steve Jobs
নিজের গুণ না থাকলে গুণী মানুষকে চেনা সম্ভব না বলে আমিও ইনাকে বেশি চিনি না
কিন্তু খালেদা জিয়া থেকে অনার্য পর্যন্ত সবাই যখন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তখন নিশ্চয়ই ধরে নিতে হবে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন....
০২
আমার কম্পুবিদ্যা শুরু হয়েছিল এ্যাপেল দিয়ে...
০৩
স্যালুট তার জন্য
ভিডিওটা বার বার দেখতে ইচ্ছে করে, কথা গুলো এত সুন্দর আর অনুপ্রেরণার.!!
বিদায় স্টীভ....
অলস সময়
সুন্দর লেখা ভাই। ভালো লেগেছে স্বতস্ফুর্ত বর্ণনা। নেক্সট এ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কে আরেকটা লেখা যদি দিতেন, ভাল লাগত।
সৃষ্টিশীলরা এত ক্ষনজন্মা কেন হয়, কে জানে।
অসভ্য-ইতর-লুটেরা-কুখ্যাত জাতীয় এবং বিশ্ব গুন্ডা সম্প্রদায় এত দীর্ঘজীবি কেন হয়, কে জানে।
এইরকম কিছু মানুষ জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে যেতে পারেন বলেই হয়ত তা থেকে পৃথিবীজোড়া বহু মানুষ বেঁচে থাকবার লড়াইটা চালিয়ে যাবার শক্তিটা পেয়ে যেতে পারে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই খবরটা চাচ্ছিলাম, একটা গুজব হোক
facebook
It was much hard to believe that HE was dead!!! I'm deeply saddened, can't endure!!! RIP The legendary innovator, the changing machine of the world.........the world will feel void and miss its one of the most genius!!!
_____________________
Give Her Freedom!
স্ট্যানফোর্ড লেকচারের থার্ড পার্সন অনুবাদ মনে হচ্ছে...
মন দিয়ে পড়েন।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
এই মানুষটার পিছনের এই গল্পগুলা জানা ছিলোনা। আপনাকে ধন্যবাদ অনার্যদা লিখাটার জন্য।
যদিও আমার অ্যাপলের আইফোন বা কম্পিউটার নেই, তারপরও আমার স্টীভকে ভাল লাগে।
ধন্যবাদ।
আমি নন-টেকিমানুষ। সবকিছু বাদ দিলেও আমি কেবল পিক্সারের জন্যে স্টিভকে মনে রাখতে চাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লেখাটা যদিও স্ট্যানফোর্ড ভার্সিটির সমাবর্তনের বক্তব্য থেকে নেয়া, তাতে খুব একটা কিছু আসে যায় না। স্টিভ জবসের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলো। লেখককেও ধন্যবাদ।
@মানব ভাই পুঁজিবাদের অনেক খারাপ ব্যাপার আছে অবশ্যই। আমি সাম্যবাদ মানি এই অর্থে যে, পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষের ন্যূনতম অধিকারগুলো অন্তত সমান থাকুক, সুযোগ থাকুক বিকশিত হবার। কিন্তু বাকিটা অর্জন করতে হবে সে সুযোগকে গ্রহণ করেই। মার্ক্সিজম হল সাম্যবাদের নামে নব্য শাসকগোষ্ঠীর সৃষ্টি। একটা মানুষ প্রভিভাবান। তার প্রতিভার জোরে তিনি যদি অঢেল উপার্জন করতে পারেন, তাহলে কি সেটা খুব অন্যায় বিচার? বিল গেটসরা, স্টিভ জবসরা বিলিয়ন ডলার কামাতে গিয়ে অন্যরা না খেতে পেয়ে মরছে- এমন অসম, বিষম চিন্তাভাবনা করাটা অযৌক্তিক। সব মানুষের ন্যূনতম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক-সেটা সবার কামনা হতে পারে। কিন্তু তাতে যে যোগ্য উপায়ে অর্থ উপার্জন করছে তাকে ঘৃণা করাটা হল 'অক্ষমের আস্ফালনের' মতই। যাহোক, কমেন্টটা আগের কিছু কমেন্টের প্রতিক্রিয়া থেকে করা। 'পুঁজিবাদী সমাজকে ঘৃণা করি...ব্লা ব্লা ব্লা' এগুলো শুনলে আমার ভালো লাগে না।
নতুন মন্তব্য করুন