অপার্থিব জানালার খোঁজে

এটা তো আসলে গল্প নয়.......
পড়ে মন ভার হয়ে গেল।

বাবা ফোন করলে প্রায়ই বলে যেখানেই থাক ভাল থেকো, ফোন করো যেন তোমার কথা শুনতে পাই অন্তত।

হয়তো জানালা থাকে

....

এই পোস্ট পড়ে হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেল। আমার আব্বু বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন...

আমি আমার বাপরে সহজে ফোন করি না। এমন একটা ভাব ছাইড়া আসছি তো আসছি আর সম্পর্ক রাখার ইচ্ছা নাই। মাঝেমধ্যে ফোন দিলে বাপ কি যে খুশী হয় সেটা গলার স্বরেই বুঝা যায়। এক বিষয়ে বার বার কথা কয়, যাতে ফোন ছাড়তে না হয়। আমিই একসময় থামায়া দিয়া কই, আব্বা ফোন রাখি, ভালো থাইকেন। জানি একদিন কানতে হইবো এর লাইগা।

-মেফিস্টো

...

আপনার লেখার একপর্যায়ে সায়েম হাসতে-হাসতে চেয়ার থেকে প্রায় পড়ে গেল। এবং যথারীতি শেষ পর্যায়ে এসে সে ধাক্কাটা খেল।

আপনারে ধরে মাইর লাগানো দরকার। সকাল-সকাল মন টা খারাপ করে দিলেন।

..............

আপনিকি সামুর সেই সাধাসিধা ব্লগার?? অনেকদিন পর একটিভ হলেন নাকি??

অনেক কষ্ট থেকে লেখেন জানি। তারপরও আপনার এমন লেখাগুলা ভাল লাগে।

কয়েকটা শব্দ, সিলেট, আব্বা, ট্রেইন, দেখলে না বলে পারিনা।

সচলে কয়েকটা বিষয়ের লেখার অভাব বোধ করি। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পোষ্ট, মেডিক্যাল, রেডিও অফিস নিয়ে লেখা।

মফস্বলের ছোট আর ছাপোষা এই অফিসগুলোতে জমে থাকা গল্পগুলো যদি কেউ লিখত।

.........

..................

.................................

আপনার গত কয়েকটা লেখাই মন দিয়ে পড়েছি। ভীষন মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।
সব এক সুরে বাঁধা । কমেন্ট করা হয়নি। আজ কেন জানি না করে পারলাম না।
লিখতে থাকুন বেশী করে। দেখবেন মন আস্তে আস্তে ভাল হয়ে যাবে। ভাল থাকেন।

কিছু বলার ভাষা নেই। সিলেট অনেক স্মৃতির শহর। আমাকে ছোটবেলায় ক্যাডেটে রেখে ফিরে আসার দিন নাকি আব্বা হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন। আপনার লেখাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

................................

মন খারাপ করা লেখা

আমার বাবারও অনেক বয়স হয়ে গেছে। মা' বলেন, বাবা আর তেমন করে কারুর সাথেই কথাবার্তা বলেন না। একা চুপচাপ বসে থাকেন। আমি ফোন করলে কথা বলে যেতে বাবা'র কথায় কোন কার্পণ্য দেখি না কখনো। বিষয়বস্তুরও কোন অভাব হয় না ! লেখার শেষ অংশটা পড়ে চোখে জল এসে গেল । আরো লেখেন।

আমার বিয়ের সময় যখন আমাকে বিদায় দেয়া হচ্ছিলো তখন বাবা কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা। বাসা থেকে একটু দূরে মেইন রোডে গাড়িটা আসার সময় দেখি বাবা রাস্তায় দাড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদছেন আশেপাশে লোকজন দাড়িয়ে আছে অবাক হয়ে।
ভাল থাক বাবা।

পড়তে পড়তে গল্পের ভেতরে ঢুকে গেলাম। বিষন্নতা পেয়ে বসলো...

কি বলবো ভাই। লেখাটা পড়ে চোখে পানি এসে পরলো।

কাঁদো অপু কাঁদো, নগর, চৌকাঠ, পাহাড়, অরণ্য, আকাশ, বাতাস, সড়ক, সব চৌচির করে কাঁদুন...কাঁদলে দুঃখেরা চলে যায়...বাবার কথা মনে এলে আমার বুক্টাতে কেবল রক্তের ক্ষরণ হতে থাকে। এ এক অসম্ভব কষ্ট, অপু, এ এক অসম্ভব কষ্ট। একদিন আপনার ছেলেও এরকম একটা লেখা লিখবে হয়ত... জীবনটা এমন কেন??? কেউ কি জানেন?

"বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়, কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়,
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়, কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়"

আপনার লেখায় বাবার জন্য ভালবাসাটা এত অপূর্ব মায়াময় হয়ে উঠে আসে যে সেটা নিয়ে কিছু বলতে গেলেই কেমন কথা হারিয়ে যেতে থাকে।
নিজের একটা লেখার ঠিকানা দিয়ে যাই, কারণটা হয়ত সেখানে খুঁজে পাবেন।

আপনার লেখা পড়লে বাবার সাথে কথা বলা হয়, একটা প্রগাঢ় অনুভূতি কাজ করে ভেতরে - এই কথাটুকু বলে যেতে এলাম। আপনার বাবা জানালায় দাড়িয়ে থাকেননা, আপনার হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়ান পৃথিবীতে, সন্তানের জন্য তার এই মমত্ব তাকে আরো বেশি প্রশান্তি দিক।

কেরানিগিরির ব্যাখ্যাটা দারুণ লেগেছে। আগের কেরানিরা চটি পড়ে অফিস করতো, এখন করে চাই-জুতো পড়ে। বাইরে বদলেছে, ভেতরে সেই একই অবস্থা। সেই ভূতের বেগার খাটা।

মন ছুঁয়ে গেল আপনার লেখাটি। আপনার সাম্প্রতিক কয়েকটি লেখায় আপনার বাবার প্রতি তীব্র ভালবাসার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নিজের বাবার কথা মনে পড়ে গেল, সারাজীবন নিজে কষ্ট করে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। আজ আমরা সবাই যার যার মত গুছিয়ে নিয়েছি, কিন্ত বাবা দেখে যেতে পারেননি। ১৪ বছর আগে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে হেরে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ছকবাঁধা ব্যস্ত প্রাত্যহিক জীবনের শত কাজের ভীড়ে মনেই পড়েনা একজন ছিলেন, যিনি স্বপ্ন দেখিয়ে, আদরে-শাসনে আজকের এই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের বীজ বুনে গিয়েছিলেন। অনেকদিন পর একা একা কাঁদলাম নিজের এই বিস্মৃতিময়তার জন্য। এমন একটা লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অপু।

যদি কিছু মনে না করেন, (লেখায় সিলেটের কথা দেখে উৎসুক হলাম) আপনি কি ১৯৯৬-৯৭ এর দিকে সিলেটের ভোরের কাগজ পাঠক ফোরামে সক্রিয় ছিলেন? আপনার বাসা কি বাগবাড়ি এলাকায় ছিল?

বিষাদ ছুঁয়ে গেল...... হারিয়েই না খুঁজে ফিরি......

কেবল কেবল মাত্র সিলেট ঘুরে এলাম। লেখার শুরুতে সিলেটের উল্ল্যেখ দেখে ভাবছিলাম এত্তো এত্তো লিখবো। কিন্তু শেষটায় এসে...

আমার মনে হয় জানালা অবশ্যই একটা আছে/ থাকে, কোথাও না কোথাও। আর তা দিয়ে ছেড়ে যাওয়া আপনজনেরা ঠিকি উঁকি দিয়ে তাঁদের ভালবাসার মানুষদের দেখে নেন।
আপনার বাবা শান্তিতে থাকুন' যেখানেই থাকুন।

...
...
...

বাবা, মা কে হারাতে চাই না কোনদিন................

..................

মন্তব্যগুলো ধাক্কা দেয় বুকের এক্কেবারে ভেতর পর্যন্ত
মন্তব্যগুলো যেনো একেকটা হাত হয়ে পিঠে এসে আলতো ছুয়ে যায়
মন্তুব্যগুলো প্রাণ নিয়ে চারপাশে ঘুরতে থাকে

আমি ভালো মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু চমৎকার মন্তব্য পেলে আপ্লুত হই। যারা কষ্ট করে পড়লেন তারপর আবার চিহ্ণ রেখে গেলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

গল্পের শরীর ছিড়েফুড়ে বেরিয়ে আসে যে গল্প, সেই গল্পটাই আমার। বাকিটা হেয়ালী। আপনারা হেয়ালীর বাইরে বেরিয়ে নিজেকে উজাড় করে আমাকে ধাক্কা দিলেন, ছুয়ে দিলেন, আমার চারপাশে ঘুরতে থাকলেন... এসবের কোন জবাব থাকে না সম্ভবত, অন্তত আমার কাছে। দুর্বল চিত্তের মানুষেরা নিজের কথাই শুধু ভাবে, অন্যকে নিয়ে ভাবতে বসলে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। আপনাদের মন্তব্য পড়ে তার উত্তর খুজতে গিয়ে আমি তালগোল পাকিয়ে ফেলি। তাই সবাইকে আলাদা আলাদা উত্তর দেবার সাহস করি না। অপরাধ মার্জনা করবেন বন্ধুরা।

এ তো আমারও জীবনের গল্প! আমাদের সবারই!

টিপু ভাই যখন ট্রেনের দরজা বা জানালা দিয়ে হাত নাড়িয়েছেন, তখন তিনি কি দেখতে পেতেন যে তার বাবা অফিসের জানালা দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন? সম্ভবত না। জঙ্গম অবস্থান থেকে জাড্য অবস্থানের অবলোকন দৃশ্যমান হবার কথা না। সব দৃশ্য একটার সাথে আরেকটা লেপ্টে যাবার কথা। তাহলে আজ অপু ভাই মাজারের পাশের রাস্তা দিয়ে বাইক বা গাড়ি চালিয়ে গেলে তিনিও কি বুঝতে পারবেন যে তার বাবা কবরের জানালায় দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন?

গতকাল নিজের বাবার কবরের সামনে দাঁড়ালাম। ঊনিশ বছর পার হলেও ঐ মুখটা দেখতে আমার এক মুহূর্তের বেশি ভাবতে হলো না।

গল্প পড়তে পড়তে যখন দেখি এ গল্প নয়, গল্পের মানুষগুলো অদেখা নয়, অনুভূতিগুলো কাল্পনিক নয়, তখন ইচ্ছে হয়, বলি - এ তো অগল্প। কিন্তু, আসলেই কি 'অগল্প'?

তাহেরের একটা গল্প শুরু করেছিলেন, মনে আছে? ওটা চালু করেন...।

আপনার এই লেখায় মন্তব্য করার ভাষা জানা নেই।
ভালো থাকবেন।

কিছু গল্প আমাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় আটকে ফেলে। যেটার জন্যে তৈরী নেই, থাকবো না কখনো- সেরকম একটা অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন গল্পকার।

... ভালো থাকেন। আর কিছু বলার পাচ্ছি না।

বিষাদসুরের গল্পগুলোই আসলে জীবন!

বিষাদটুকু ছুঁয়ে গেল।

প্রার্থনা করি আপনি বাবাকে যেমন ভালোবাসেন আপনার সন্তান যেনো তেমনি ভালোবাসে আপনাকে।

আপনার লেখার শুরুটা দারুন। দু লাইন পড়লেই মনে হয় ভিতরে কিছু একটা আছে। লিখতে থাকুন.........

গল্প হিসেবেই পড়তে চাইরে ভাই। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। সম্ভব না।