গত শুক্রবার আসরের নামাযের পর সৌদি আরবের রিয়াদে “কেসাস”-এ আট বাংলাদেশীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই কেসাস শব্দটা প্রথম শুনি ২০০৫ সনে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়ার ভাই বাবার কর্মসূত্রে অনেক দিন সৌদি আরবে ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম শুনি কেসাসের বর্ণনা। সৌদি আরবে নামাযের পর (সাধারণত জুম্মার পর) মসজিদের পাশেই জনসম্মুক্ষে অপরাধীদের শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
যারা আরো আগ্রহী তারা ইউটিউবে সার্চ করলেই মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা প্রচুর কেসাসের দৃশ্য দেখতে পাবেন। ভিডিওগুলোতে দেখা যায় প্রচুর খাকি পোশাক পরিহিত পুলিশ এলাকাটা ঘিরে রাখে। চারপাশে জনতার ঢল যেন সার্কাস হচ্ছে। যাকে শিরশ্ছেদ করা হবে তার পা এবং হাত বেধে হাঁটুর উপর বসানো হয়। মাথা সামনে নত করানো থাকে। তারপর সৌদি আলখাল্লাহ পরিহিত জল্লাদ তরবারি নিয়ে এগিয়ে আসে। যার শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে তাকে কোরবানীর পশুর মত ধরে ধরে দেখে; এমন কি হাত-পা বাধার কাজটা সেই করে। সাধারণত জল্লাদ থাকে দুজন। তারা “আল্লাহু আকবর” রব তুলতে তুলতে এক কোপে কেটে ফেলে অপরাধীর মস্তক। তারপর অন্য জল্লাদ কাটা শরীরের হাতে পালস দেখে মৃত্যু নিশ্চিত করে। সাথে সাথে একটা এ্যাম্বুলেন্স চলে আসে যা পাশেই অপেক্ষামান ছিল। তারপর শরীরটা স্ট্রেচারে তোলে। কেউ একজন মাথাটা ফুটবলের মত করে পাশে রাখে। তারপর এম্বুলেন্স চলে যায়। নাটক শেষ। জুম্মার দিন হলে তো কথাই নেই। যে যে যার যার বাসায় গিয়ে কোফতা বিরিয়ানী খেতে খেতে হয়তো সদ্য দেখা নাটকের গল্প করবে।
এ দৃশ্য সৌদি আরবে এতটাই হরহামেশা ঘটে থাকে যে এটা তাদের কাছে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। বরং সৌদি নীতি নির্ধারকরা যুক্তি দেখায় এভাবে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ তথা “আল্লাহর আইন” বাস্তবায়ন মানুষকে সাবধানী করে। এটা সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমায়। এই একই যুক্তি গত চব্বিশ ঘণ্টায় ইন্টারনেটে দেয়া মতামতের কল্যাণে বহু মানুষের কাছ থেকে জানতে পারলাম। অনেকেই এটাকে বর্বরতা নয় বরং সমাজ থেকে অপরাধ কমানোর কার্যকরী একটা উপায় বলে মনে করেন। সব কথাই শুনলাম, সব কথাই বুঝলাম। কিন্তু এটা বুঝলাম না, ১৪শ বছর আগে করা এই “আল্লাহর আইন” কেন এখনও সৌদি সমাজ থেকে হত্যার মত অপরাধ বিলুপ্ত করতে পারলো না? কেন ২০০৭ সনে ১৫৮ জন এবং ২০০৮ সনে ১০৮ জনকে শিরশ্ছেদ করতে হলো? ১৪শ বছর কি “আল্লাহর আইন”-এর জন্যে যথেষ্ট ছিল না সমাজ থেকে এ ধরনের অপরাধ বিলুপ্ত করতে? যারা এই আইনের পক্ষে এখনও বড় বড় যুক্তি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করলাম।
যাইহোক, আমার লেখার মূল কারণ সৌদি আরবের আইন নয়। বরং আমাদের কিছু বঙ্গ সন্তান যারা এই আট শিরশ্ছেদকে বাহবা দিচ্ছে। প্রথম আলো পত্রিকায় গতকাল যখন সংবাদটা প্রকাশিত হয় তখন মুহূর্তে অনেক মন্তব্য পড়ে। আমি সাধারণত খবর পড়ার থেকে মন্তব্যগুলো পড়তেই বেশী পছন্দ করি। কে কীভাবে খবরগুলোকে গ্রহণ করছে সেটা জানাতেই আমার বেশী আগ্রহ। গতকাল মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে আমি অবাক হলাম, বেশ অনেকজন মানুষ বাহবা দিচ্ছে। তাদের কাছে সৌদি আরব মানেই বিশেষ কিছু। যেহেতু সৌদি আরব করেছে, অতএব সব ঠিক! কিছু কিছু মানুষ ঐ হতভাগা আট বাংলাদেশীকে ভৎসনাও করলো। এগুলো বলার সময় তারা এটা ভাবলো না বিচার সুষ্ঠু নাও হতে পারে। মানুষগুলো অপব্যাবস্থার স্বীকারও হতে পারে। কিন্তু না, যেহেতু সৌদি আরব করেছে; অতএব সব ঠিক। ওখানে ইনসাফ আর ইনসাফ। আকাশে বাতাসে জাস্টিজ!
সেই সব মানুষদের বলছি যারা মনে করেন সৌদি আরব মাত্রই পৃথিবীতে স্বর্গ, আসুন এবার আপনাদের প্রিয় সৌদি ইনসাফ-এর গল্প শোনাই। ২০০১ সনে ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম স্যাম্পসনকে কেসাসে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই রায় দেয়া হয়। তবে স্যাম্পসন ভাগ্যবান মানুষ। তার মুণ্ডু কাটা পড়ে নি। করণ সে ব্রিটিশ। বাংলাদেশীরা যে সৌদিকে অবনত মস্তকে প্রণাম করে, সেই সৌদি বাদশাহর পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে বৃটেন-এ্যামেরিকার সাহায্য বড়ই প্রয়োজন। অন্তত এই ক্ষেত্রে আল্লাহ থেকে বৃটেন-এ্যামেরিকার প্রতি তারা বেশী নির্ভর করতে ভালোবাসে। অতএব অমন এক দেশের মানুষকে মুণ্ডু কেটে নেয়ার সাহস তারা দেখাতে পারে নি। খোদ স্যাম্পসন মুক্তির পর গার্ডিয়ান পত্রিকায় লিখেছেন,
Finally released in August 2003, after 964 days of solitary confinement, torture and dehumanising terror, I harbour no illusions about what saved me: my passport. …Meanwhile, of course, Saudi's poor migrant workers from Somalia, Bangladesh, the Philippines or Pakistan are virtually doomed if they face a capital charge.
স্যাম্পসনের ঐ লেখাটা থেকে আরো জানা যায় তার উপর কী অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
In a numbed state of shock, I would have confessed to anything. As it was, I said I'd committed a series of laughably implausible "turf war" crimes that never even existed.
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন ব্রিটিশ সরকার নড়ে বসে, তখন “আল্লাহ আইন” শিথিল হয়ে আসে এবং উইলিয়াম স্যাম্পসন মুক্তি পেয়ে বৃটেনে ফিরে যায়। এখন যে লন্ডনে তার ফ্ল্যাটে বসে বসে গার্ডিয়ান পত্রিকার জন্যে কলামও লিখতে পারে কারণ সে ব্রিটিশ।
কিন্তু ঐ আট ব্যাক্তির ক্ষেত্রে এমনটা হলো না কেন? আমাদের ডিপ্লোমেটরা ব্যবস্থা গ্রহণ করলো না কেন? রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন করেছিলেন। ভালো কথা। কিন্তু সেটা এতটা গোপনে কেন? আমাদের মিডিয়াতে এটা নিয়ে ঝড় উঠলো না কেন? কারণ, সম্ভবত একটাই। তারা বাংলাদেশের নাগরিক ছিল। শুধু যে তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশের নাগরিক তা নয়। তারা এমন একটা দেশের নাগরিক যেই দেশের মানুষগুলো প্রতিবাদ করার পরিবর্তে বাহবা দিচ্ছে সৌদি সরকারকে!
স্যাম্পসন তার লেখায় সৌদি বিচার ব্যবস্থার প্রচুর সমালোচনা করেছেন এবং ধরে ধরে দেখিয়ে দিয়েছেন তারা কী করে মানুষকে ট্র্যাপে ফেলে। এছাড়াও এ্যামনেস্টি ইন্টারনেশলের রিপোর্টেও দেখা গিয়েছে সৌদি বিচার ব্যবস্থার করুণ চিত্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আসামীকে নিজের উকিল নিযুক্ত করতে দেয়া হয় না। বিচারকার্য হয় আরবীতে। ফলে কী হচ্ছে বোঝা অনেকের জন্যেই কষ্টসাধ্য। আর নির্যাতন এবং কেইস সাজানোর ঘটনা হর হামেশাই ঘটছে। কয়েকজন বাংলাদেশীকে বলতে শুনলাম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদি আরবের পেছনে লেগেছে। কিন্তু কি তাই? একটা বার একটু চোখটা খুলে দেখুন। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কোন মানবাধিকার সংগঠনকে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। সৌদিতে কী হচ্ছে সেটা গুগুলে সার্চ করে দেখতে পারেন।
এ্যামনেস্টি বলেছে,
According to reports, the Egyptian man was killed during a clash between the Bangladeshi workers and a group of men who allegedly were stealing electric cable from a building complex where the Bangladeshis worked.
কিন্তু বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে “and a group of men” কথাটা পুরোপুরিই গায়েব হয়ে গিয়েছে। ঐ আট বাংলাদেশী যদি সত্যিই হত্যাকারী হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের আইনে বিচার হলেও তাদের মৃতুদণ্ড-ই হতো। কিন্তু সেটা নিশ্চিত হবার আগেই কি তাদের গাল দেয়া যুক্তিযুক্ত? কী হয়েছিল সেদিন? ঘটনার কতটুকুই সৌদি সরকার প্রকাশ করেছে? প্রায় কিছুই প্রকাশ করে নি। এ ঘটনা প্রকাশের জন্যে আমরা যদি আজ চাপ না দেই, তাহলে আগামীতে এভাবে আরো বাংলাদেশী মারা যাবে এবং তাদের পরিবার পরিষ্কার ভাবে জানতেও পারবে না কেন তারা হারিয়ে গেলো।
লেখাটা শেষ করছি একটা ক্ষোভ দিয়ে। বাংলাদেশের সৌদি এ্যাম্বেসি জানিয়েছে শিরশ্ছেদের ক্ষেত্রে মৃতুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে তাদের জানানো হয় না। হবার পরই কেবল তাদের জানানো হয়। তাছাড়া এধনের মৃত্যুদণ্ডে লাশ ফেরত দেয়া হয় না। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার যদি স্যাম্পসনকে মাথা শরীরে নিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারে তাহলে কি আমারা হতভাগা আট বাংলাদেশীর পরিবারের জন্যে মাথা ছাড়াই শরীরটা ফিরিয়ে আনতে পারি না? আসুন না, একটা বার আমরা বাংলাদেশের পতাকা তলে একত্রিত হয়ে দাঁড়াই। দিন শেষে সৌদি, ভারত, পাকিস্থান, এ্যামেরিকা, বৃটেন – কেউ আমাদের রাখবে না। যে দেশটি আপনাকে বুকে ধারণ করে রাখার জন্যে পাসপোর্ট দেখতে চাইবে না, ভিসা দেখতে চাইবে না; সে দেশ বাংলাদেশ।
৯ অক্টোবর, ২০১১
ঢাকা, বাংলাদেশ
মন্তব্য
সমর্থন। শেয়ার দিলাম
আমি আপনার সাথে একমত । অপরাধ করলে শাস্তি হওয়াটা সবাভাবিক । কিন্তু তার আগে সুষ্ট তদন্ত কেন হবে না। আল্লাহর নিয়ম কি শুধু আমাদের মত গরীব দেশের গরীব মানুষের জন্য । সৌদি সরকার আল্লাহ এর নিয়ম অনুসরন করলে আমেরিকার কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দিয়ে অস্র কিনে কেন ।
বাংলাদেশী দূতাবাস বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী জনগনের সাহায্যার্থে কখনও কিছু করেছে বলে শুনিনি। চোদি আরব সম্পর্কে বলার কিছুই নেই।
সমর্থন। শেয়ার দিলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সমর্থন। শেয়ার দিলাম।
সমর্থন। শেয়ার দিলাম।
[http://i.imgur.com/5OiSl.jpg]চৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নাই[/url]। দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, তাদের আত্মীয়স্বজন, মন্ত্রী, এমপি ছাড়া দেশের বাকি জনসাধারণের কারো কিছু ঘটলে সরকারের টনক নড়ার কথা কি?
আমরা ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজে বাস খাদে পড়ে পানিতে ডুবে ৫০ জনের মৃত্যু সংবাদ পড়ে পড়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর ৮/১০টা মৃত্যুতে কিছু যায় আসে না।
আমাদের সরকারের হয়তো কিছু যায় আসে না, কিন্তু আমরা যারা সাধারণ জনগন, আমাদের অবশ্যয় এ ধরনের খবর বাথিত করে। কারন আমরা এখনও মানুষ আছি।
কারন আমরা এখনও মানুস আছি কথাটি খুব ভাল লাগছে
লেখাটা পড়ে খুব ই ভাল লাগল ...... আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারলে ভাল হত...... সামনে থেকে দন্নবাদ দিতে পারতাম............ "আসলে আমরা বাঙ্গালিরা ধর্ম করতে না জানলেও ধর্মের গোঁড়ামি গুলোকে ঠিক ই মনে প্রানে সমর্থন দিয়ে যায়, কি যে ভুল কি যে ঠিক তা আজও আমরা বিচার করতে শিখিনী"
আমিও
সংবাদটা শোনার পর থেকেই অসহ্য একটা যন্ত্রনায় দিন কাটছে। একটা সভ্য পৃথিবীতে শরিয়া আইনের নামে এখনো কি করে এই বর্বরতা চালু থাকে এটা রাষ্ট্রে?!
গতকাল ফেসবুকে সৌদির হত্যাকান্ডের সমর্থনের করা কিছু মন্তব্য দেখে আক্ষরিক অর্থেই বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম কিছুক্ষনের জন্য।
আমিও কোথায় যেন বলেছিলাম ঠিক এই কথাগুলোই। এই ৮জন থার্ড ওয়ার্ল্ডের হতভাগ্য বাংলাদেশের নাগরিক না হয়ে যদি ফার্স্ট ওয়ার্লদের একটা কুকুরও হত তাহলেও তাদের প্রাণ রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থাকতো। যেখানে আমাদের প্রাণের মুল্য একটা কুকুরের চাইতেও কম সেখানে লাশ ফেরত পাবার বাসনা!! বড্ড উচ্চাকাংখা তো !!
আর, আমাদের ডিপ্লোমেটরা কি করে?! আহা, তারা তো ব্যাস্ত ডিজি-টাল বাংলাদেশ গঠনে। তাদের এতো সময় কোথায় সামান্য শ্রমিককে মৃত্যুদন্ডের হাত থেকে রক্ষার জন্য দৌড়ঝাপ করে? বয়েই গেছে! তা ছাড়া, মাত্র ৮ জনের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে শেষে ২২ লাখের রুটি রুজিতে না হামলা হয়ে যায়। কী বৃহৎ আর মহান চিন্তা তাদের! এটাকে এপ্রিসিয়েট করবেন্না?!!
জয়তু সৌদি আরাবিয়া...
জয়তু শরিয়া আইন...
জয়তু সভ্যতা...
পূর্ন সহমত
শেয়ার দিলাম।
এম্বেসি নিয়া নতুন কিছু বলার নাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ। গার্ডিয়ান এর লিঙ্ক এর জন্য লেখা টা ১০ এ ১০।
আরবী ভাষায় বিচার হয়ে থাকলে, এরা যে সুবিচার পায়নি সেটা নিশ্চিত।
আর দেশী পিশাচদের কথা আর কী বলবো! কবে যে সৌদি মোহ কাটবে এদের...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। শেয়ার দিলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভাল এবং সময়োপযোগী লেখা। মহান আল্লাহ্রও আইনও যে ইহুদী-নাসারা বন্ধুদের জন্য সৌদি সরকার বদলায় তা এই সংখ্যাগরিশ্ঠ 'সিক' বাংলাদেশীদের কে বুজাবে? ফেসবুকে আর ব্লগে ব্লগে এদের উল্লাস দেখে সত্যিই অসুশ্হবোধ হচেছ।
কেউ কেউ বলছে অপরাধ না করলেতো আরও ভালো হয়েছে - সোজা বেহেস্তে চলে যাবে!
আজ সারাটা দিন ঘুরেফিরে হতভাগা ওই মানুষগুলোর কথা মনে হয়েছে।
ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে।বিচার হলো কিন্তু কী বিচার হল তা সৌদি
আরব সরকারই বলতে পারবে।এ ঘটনার একটা সুষ্ঠু আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য সরকারের
প্রতি চাপ অব্যহত রাখা উচিত।সরকারের প্রবাসীদের অবদান বিষয়ক মায়াকান্নাকে ধিক!
এই ঘটনা সম্পর্কিত খবর বাংলাদেশের পত্রিকায় আসে তাও অনুমান এক/দুই বছর আগে। তার পর আমরা এবং আমাদের সরকার কী করেছে সেটা নিয়েও দাবী আসা উচিত। টিভিতে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সচিবের (ড. কেউ) সাক্ষাতকার শুনে মনে হল সরকার শুধু ক্ষমাভিক্ষা চেয়েই ক্ষ্যান্ত দিয়েছে। ওরা সরকারি দলের লোক নয় বলেই হয়তো সরকারের কোন টনট নড়েনি (এই কথা বাংলাদেশের সব সরকারের জন্যই প্রযোজ্য, শুধু এই সরকার নয়)। এই দায় আমাদেরও।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের কালকের খবরে পড়লাম,
On June 18, Saudi Arabia beheaded an Indonesian named Ruyati binti Sapubi. The Indonesian president Mr. Yudhoyono denounced Saudi “norms and manners,” and the Saudis stopped admitting new Indonesian maids.
They had already placed a similar ban on the Philippines, after several Philippine lawmakers visited in January and wrote they were “shocked into speechlessness by the tales of rape and abuse.”
Saudi recruiters then described plans to hire thousands of Bangladeshis at wages of $170 a month, less than half what the Philippine government demanded.
অনেক ধন্যবাদ এই বিষয়ে লেখার জন্য।
একটি হত্যাকান্ডের পরিবর্তের রাষ্ট্রকর্তৃক ৮টি জবাই ! কতটা বর্বর, ব্লাসফেমী সৌদি আইন !!!
ref: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=1&id=173384&hb=1
100% সমর্থন জানাচ্ছি। আমি বিদেশে থাকি এবং সৌদি রা জ কত বর hypocrite জাতি আমরা খুব ভাল ভাবেই জানি। বিদেশে আশা ৯০% সৌদি তাদের ইসলাম এয়ারপোর্ট এ রেখে আসে এবং যত রকম ইসলাম বিরোধী কাজ আছে বিদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে করে। শুধু ফেরার সময় মাথায় scarf আর গায়ে আলখাল্লা লাগালেই হল। নিজেদের ছাড়া আর কাউকেই এরা মানুষ মনে করে না, আর যদি বাঙালি শোনে তাহলে ত কথাই নাই। বাঙালি মানেই কুলির জাত। এদের মাটির তলার তেল যে কবে শেষ হবে সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।
১০০% একমত
মৃত্যুদণ্ডই আমার কাছে অসমর্থনযোগ্য-অমানবিক আর সেখানে শিরশ্ছেদ তো পাশবিক বিচার, প্রাগৈতিহাসিক ব্যর্থ আইনের মধ্যযুগীয় নির্যাতন।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত ভাই ।
সৌদি এ্যাম্বাসির সম্মুখে একটা মানব বন্ধন(ন্যূনতম প্রতিবাদ) করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৮ জন স্বদেশি ভাই নির্বিচারে জীবন হারাল, এ ব্যথা অসহনীয়।
_____________________
Give Her Freedom!
এতো ৮ বাংলাদেশীর শিরোচ্ছেদ নয়! এটা হচ্ছে লাল সবুজ পতাকার শিরোচ্ছেদ!!!! এটা মানবতার শিরোচ্ছেদ!!!!
আমার পড়া সবচেয়ে সেরা মন্তব্য। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শেয়ার দিলাম, চলুন একযোগে উচ্চকণ্ঠ হই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
একটা বিষয় লক্ষ্য করুন, পৃথিবীতে পশু কমে যাচ্ছে। যারা মাথা কাটছে, যারা বাহবা দিচ্ছে তাদের কে দেখুন, আপনার মনে হবে পশুরা কমছে না চেহারা বদলেছে শুধু।
একটা বিষয় কিছুতেই মাথায় আসছে না, একজনের জন্য ৮ জনের শিরুচ্ছেদ??!!! একজনের জন্য তো একজন ই হবার কথা। আর জেল কেন? একি অঙ্গে কত রূপ??
পৃথিবীতে মোসলমান রা কেন ঘৃণা, ধিক্কার আর বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে এই ঘৃণ্য আচরণ গুলুই তো যথেষ্ট তা প্রমাণের জন্য।
এই সব পশু এবং এই সকল জঙ্গল এর জন্য রইলো আজন্মের ঘৃণা আমৃত্যু......
100% agree with you.
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে খোঁড়া আত্মরক্ষামূলক বিবৃতি দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এরা কোন চেষ্টাই করেনি বলে আমার ধারনা। জনসম্মুখে প্রকাশের মত উপযুক্ত দলিল কি তাদের কাছে আছে?
ভয়াবহ বর্বরতা, সৌদিরা মানুষ নয় , পিচাশ । সৌদি আরবের এই বর্বরতারকে যারা সমর্থন করেছে তাদের মানসিকতায় থুতু দেই ।
ধর্মীয় পরিচয় কোন মানুষের জাতীয়তার পরিচায়ক হতে পারেনা। আপনি হয় আরব, না হয় বাঙালী, না হয় ইন্দোনেশিয়ান। ধর্মটা দিয়ে যতদিন আপনি নিজেকে মানুষকে আপন ভাবতে চাইবেন ততদিন আপনি বৃহত্তর মানুষ থেকে দূরে সরে যাবেন। দুনিয়ায় মুসলমানদের উপর আক্রমণ হচ্ছে না হয়ে বাক্যটা হওয়া উচিৎ দুনিয়াতে এক শ্রেণীর মানুষ আরেক শ্রেনীর মানুষ এর উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং মানবিকতা ভূলণ্ঠিত হচ্ছে। ইরাকে, আফগানিস্থানে, প্যালেস্টাইনে ইসলাম ধর্ম পালনকারীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মপালনকারী ও আছেন, সংখ্যালঘু হলেও, তারাও সমানভাবে নির্যাতিত, আক্রান্ত হচ্ছেন। মানুষ মানুষ থেকে ক্রমশঃ দূরে সরে যাচ্ছে ধর্মীয় উগ্র নির্দেশণার কারণে। ধর্ম মানুষকে কখনই এক করতে পারেনি। ইসলামের ধ্বজ্জাধারী পাকিস্তানীরা নিরীহ বাঙালীদের হত্যা করেছিল যদিও তাদের সিংহভাগই ছিল ইসলাম ধর্মপালনকারী। পবিত্র(?) গ্রন্থগুলোতে কি নির্দেশ দেয়া হয়নি অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে হাত কেটে ফেলতে কিংবা শিরঃচ্ছেদ করতে। গ্রন্থগুলোতে কি বলা হয়নি অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধ্বে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে? সৌদি আরবের দুটো ব্যাবসার একটা শেষ হবে অচিরেই( তেল), কিন্তু দ্বিতীয়টি ( মক্কা মেলা) টিকে থাকবে আরো বহু বছর। আর দ্বিতীয় এই জমজমাট ব্যাবসাটা টিকিয়ে রাখার জন্য ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারও টিকিয়ে রাখা চাই।
ধিক্কার ধর্মীয় বর্বর আইন এর এবং এর প্রয়োগকারী দেশ এবং তার অন্ধ, উন্মাদ সমর্থকদের।
শেয়ার দিলাম
জানোয়ারদের পাশবিক কমেন্টের জন্য এই খবর নিয়ে কোনো লিঙ্ক শেয়ার করতে পারছিলাম না।।সচল মডারেসন জানোয়ারদের কমেন্ট আটকে দিবে এই জন্য এই লেখা ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।
লেখকের সাথে সহমত এবং ধন্যবাদ মনের মধ্যে ঘুরতে থাকা চিন্তা গুলোকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
লক্ষ লক্ষ নবী-রাসূল পাঠানোর পরও এই আরব জাতি এখনো আরব্য রজনীর স্বপ্নে বিভোর। আর যাই হোক গাধার বাচ্চাদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার আশা করা যায় না।
সৌদি ঘৃণিত।
ব্রিটিশ ও আমাদের মধ্যে সৌদির কাছে পার্থক্য হচ্ছে- আমরা সৌিদ'র সাহায্যের উপর নির্ভর করি আর সৌদি নির্ভর করে বি্রটেনের উপর (অবশ্যই তারা আল্লাহ্্র'র চেয়ে বি্রটিশ সাহায্য বেশি কামনা করেন তাই)। বাড়ীর চাকর আর মালিকের পার্থক্য টা অবশ্যই জানা আছে। এইবার সেইটা সৌদি সরকার আমাদের আরো ভালো করে বুঝাইয়া দিলেন-- আমরা কি?????
১। গ্রো সাম স্পাইন
২। এইডের বাংলা সাহায্য না করে ঋণ করেন, তাইলে ভালো বুঝতে পারবেন। এইড নামে যা আসে তার বেশিরভাগই কঠোর শর্তে ঋণ।
৩। ফরেন এইডের কতভাগ সৌদি আরব দেয় তার আইডিয়া আছে? সেটা এক শতাংশেরও নীচে। অবশ্য জঙ্গী অর্থায়নে সৌদি আরব সবার উপরে আছে।
কেউ এইড দিলেই আমরা তার কাজের লোক হয়ে যাই না, সৌদি আরবকে আমাদের আসলে না পুঁছলে ও চলে। হীনমন্যতা এবং কেবলামুখিতার অবসান হোক।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ গুরুতপুর্ন লেখাটির জন্য। শেয়ার দিলাম।
wish করি শিঘ্রি এক আমেরিকান পাসপোর্টধারীকে না জেনে জবাই করুক সৌদিরা, atomic bomb তাদের ত্যাল light up করুক।
বাকরুদ্ধ !
আমাদের দেশে RAB, বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করছে তা সৌদি আরবের মৃত্যুদন্ড থেকে আরো বেশী জঘন্য এবং বর্বর...! নীজের দেশের বর্বরতা বন্ধ করুন আগে, তারপর সৌদি আরবের কথা বলুন ।
এর মতো পিশাচ পরিস্কার করাও একটা কর্তব্য হওয়া উচিত।
আপনার মন্তব্য আরো পরিস্কার করুন। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে বিদেশে বাংলাদেশীদের সাথে যাই হোক কখনো কিছু বলা যাবে না?
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, বাংলায় মন্তব্য করতে চাইলে টেক্সটবক্সের ওপরে মেনুবারে "অ" লেখা বাটনটিতে ক্লিক করে ফোনেটিক সিলেক্ট করে নিন। রোমান হরফে লেখা মন্তব্য সচলায়তনে প্রকাশিত হয় না।
৭১ এর খুনি ধর্ষকদের সমর্থন আপ্যায়ন পালন পোষণ করেছিল এই সৌদি বর্বররাই।
লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শেয়ার করছি...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সৌদির এ সংবাদটি পড়ে খুবই মরমাহত হয়েছি। সবচে বেশি অবাক হয়েছি এদেখে যে আমদের দেশেরই আটজন লোক কে এভাবে হত্যা করা হল অথচ আমরা হত্যাকান্ডের আগে কিছুই জানতে পারলামনা!!! এ কেমন কথা আধুনিক এ যুগেও কি এমন কোন দেশ আছে যার আটটি সন্তানকে যবাই করা হবে অথচ সে দেশ টেরও পাবে না!! হায় মানবতা! আমদের কি আইনজীবির অভাব ছিল!!! এ বিষয়ে অবশ্যই কঠোর আন্দোলন হওয়া দরকার। যেন আগামীতে আর এমন না হয়। কাবা ঘর সেখানে আছে বলে সম্মান করব কিন্তু তাই বলে তো তারা খোদা হয়ে যায়নি যে পূজা করতে হবে। করমসংস্থানের মালিক কি তারা না আল্লাহ??? তাদেরকে খোদার মত ভক্তি করতে যাব কোন দুখেঃ!!!!!!!!!!!!!!
ধন্যবাদ লেখককে সময়োপযোগী এই লেখাটির জন্য!
তবে এ আর নতুন কি! পাকিস্তান ১৯৭১ সনে ইসলাম রক্ষার নামে কি না করেছিল! আর এতেও আশ্চর্যের কিছু নেই যে, অনেক বাংলাদেশী সৌদির এই কাজকে সাপোর্ট করছে! তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এরাই কিন্তু ভারত কর্তৃক 'নিরীহ ফেলানি' হত্যায় ভারতের সাথে এমনকি যুদ্ধে জড়াবার আহবান জানিয়েছিল! তাহলে এখন এই বিপরীত আচরণের কারণ কি? বিষয়টা হলো ধর্ম। আসলে এই লোকগুলোর কাছে পাকিস্তান বা সৌদি আরবের মুসলিম ভাইদের হাতে অত্যাচারিত হওয়া বা নিহত হওয়াটা বেহেস্তের টিকিট পাওয়ার সমান! তাই তাদের সব অন্যায় এদের কাছে জায়েজ! আবার, মনে কষ্ট পেলেও অনেকে বাংলাদেশী 'গুনাহ'র ভয়ে কিছু বলতে চায় না। আর বাংলাদেশের সরকারও মনে হয় কোন প্রতিবাদ করবে; কারণ সৌদির লেবার মার্কেট হাতছাড়া হলে বাংলাদেশকে পথে বসতে হবে। অন্যদিকে, বিরোধী দল বিএনপি-জামাতের তো ভাব-গুরু হল সঊদি। সুতরাং, মুখ বুজে এই অপমান সহ্য করা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নাই।
এতটা বর্বরতা কি করে সৃষ্টিকর্তার আদেশ হতে পারে??
সৌদি সরকার মানবতার কলন্ক।
সহমত।
শেয়ার দিচ্ছি।
চলুক
শেয়ার দিলাম
সমর্থন ...
শেয়ার দিলাম
সহমত
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
আমি মনে করি আরবীয় নরপশুদের আহ্বানে আমাদের আর কারও সেখানে যাওয়া উচিত নয়।কিন্তু মনে করলেই তো নয় বেহেস্তের লোভে তো বছরে অন্ততঃ একবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজ্ব পালন করতেই হবে। ইংল্যান্ড, আমেরিকার হজ্ব পালন না করলেও চলে,কিন্তু আমাদের?? সুতরাং তোরা যত মারিস মার,আমরা কিছু বলবনা।
শেয়ার দিলাম
আন্তর্জাতিক ভাবে একটা মুভমেন্ট করা যায় না?? এদের এসব অমানবিক কাজ কি বন্ধ করানো যাবে না?? আমার দেশের ভীতু সরকারকে চাপ দিয়ে আদও কি কিছু হবে? তারা এই সৌদিদের ভয়ে এখনো "অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র" সংবিধানে লিখতে পারলো না!!
আমাদের কি এভাবেই সবসময় হতাশায় আর ঘৃনায় মুষড়ে পড়ে থাকতে হবে?
সৌদি আরবে ৮ বাঙ্গালীর শিরচ্ছেদ নিয়ে কিছু মানবাধিকার নেতা এবং লোকজন ব্যাপক মায়াকান্না করছে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসু যে দেশে দিনের আলোয় প্রকাশ্য পিটিয়ে রাস্তায় একজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারার পর আসামীদের জামাই আদরে লালন পালন করা হয়, যে দেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সে দেশের একজন হয়ে কিভাবে ভিন দেশের এই শাস্তি নিয়ে কথা বলেন? লজ্জা লাগেনা?
লজ্জা লাগে বলেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হয়, হচ্ছে। কিন্তু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনি সেটাও করতে চাননা, বরং অসুস্থ প্রশ্নবিদ্ধ করে চাপা দিতে চান। আপনি কি লজ্জিত?
বাবুকে মারা আর রাজনীতি তাও আবার আল্লাহর আইনের রাজনীতির নামে মানুষ খুন হাত পার রগকাটা সবি নৃশংসতা মানবতা বিরুধী।মানবাধিকার কর্মীরাতো সব নৃশংসতার বিরুদ্দে বলবেন এতে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।
সৌদি আরবে ৮ বাঙ্গালীর শিরচ্ছেদ কোন ভাবে মেনে নেয়া যায়না,এমনকি পিটিয়ে হত্যাও নয়।ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অথবা বিচার না করায় আসুন প্রতিবাদি হই।জেগে উঠী,সাউদি দুতাবাস কে ধিক্কার জানাই, সরকার কে আর নয় ভোট । পারবেন কি?
ধন্যবাদ।লেখাটি পরে ধারণা পাল্টে গেল......... নিজের উপর খুব অভিমান হচ্ছে কেন আমি তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক??
আন্তর্জাতিক ভাবে একটা মুভমেন্ট করা যায় না?? এদের এসব অমানবিক কাজ কি বন্ধ করানো যাবে না?? আমার দেশের ভীতু সরকারকে চাপ দিয়ে আদও কি কিছু হবে? তারা এই সৌদিদের ভয়ে এখনো "অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র" সংবিধানে লিখতে পারলো না!!
আমাদের কি এভাবেই সবসময় হতাশায় আর ঘৃনায় মুষড়ে পড়ে থাকতে হবে?
আপনার সাথে একমত।
আমি মনেকরি আমাদের আর সৌদিতে তাদের আহ্বানে যাওয়া উচিত নয়।কিন্তু মনে করলেই তো আর হলো না।প্রতি বছর অন্ততঃ একবার বেহেস্তের আশায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজ্ব নামক ফরজ কাজ করতেই হবে।ইউরোপ-আমেরিকানরা তো আর হজ্বের ধার ধারেন না।তারা যে কোন সময় goodbye বলে দিতে পারেন,কিন্তু আমরা?? অতএব তোরা যত পারিস মার,মেরে লাশ নিয়ে উল্লাস কর,আমরা কিছু কমু না।
শেয়ার দিলাম
আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম সউদি আরবে যাব না যত দিন এমন অমানুশিক শরিয়া আইন থাকবে।
আরব দেশ গুলর কথা আর কি বলবো, ওরা বর্বর ছিল এখনো আছে।
নিজ দেশ এ পুলিশ আর প্রতিবেশী দেশ আর BSF এ দেশ আর মানুষ গুলো কে যেভাবে মারছে তারি
কোন প্রতিকার নাই আর এই সব পশু, না পশু ঠিক শব্দ না, ঠিক যা তা বলতে পারলাম না সবার শাম্নে।
কিন্তু বলা উচিত. ................................।
সমর্থন ...
shared.
আসুন আমরা যুক্ত দিয়ে এদেশের সেৌদি এম্বাসীকে গন চিঠি লিখি ..আর শান্তি পূর্ন মানব বন্ধন করি ......এটা দিয়ে অন্যন্ত ত একটা আওয়াজ উঠুক .....এভাবেই পারবর্তন আসে ...এক দিনে আপনি কেসাস বন্ধ করতে পারবেন না ....দেখেন না যে দেশের সন্তান রা মারা গেলেোতারও যুক্ত দেখায় ..যে ভাল কাজ হইছে
কাদেরের জন্য যেমন ব্লগাররা মাঠে নেমে সোচ্চার হয়েছিল, একই ভাবে ইসলামের নামে সৌদি আরবের বর্বরতার প্রতিবাদে ব্লগাররা রাস্তায় কর্মসূচী দেবে বলে আশা করছি।
দেশী পিশাচদের কথা আর কী বলবো! আমাদের আশেপাশেই এদের বিচরন।কবে যে সৌদি মোহ কাটবে এদের...
খুব ভাল লাগল
কী বলব, ঘৃণায় মুখে থুতু জমে যাচ্ছে। .. সৌদি কালো আইন এবং তার এদেশীয় সমর্থকদের প্রতি শুধুই ঘৃণা..
পোস্টে
সমর্থন ...
আচ্ছা আমার ধর্ম কি সত্যিয় এতটা নির্মম?
একজন খুনির অবশ্যয় শাস্তি হওয়া উচিত।
কিন্তু সেই শাস্তি কি এতটাই বর্বর হতে হবে? একটা মানুষকে পশুর মত টেনে হেঁচড়ে এনে দিবালোকে এতগুল মানুষের(আসলেই কি মানুষ?) সামনে নির্মমতার শেষ স্তরের চেয়েও জগন্নভাবে খুন করা, এটা কিধরনের আইন?
আমিতো জানি আমার ধর্ম শান্তির ধর্ম, আমাদের নবী (সঃ) তার উপর নির্যাতনকারীদের ও নিমিষেই ক্ষমা করে দিতেন, শুধু তাই নয় তাদের আত্তশুদ্দির জন্য মহান আল্লাহর কাছে পানা চাইতেন।
তাহলে কেন শাস্তির নামান্তরে এমন বর্বরতা চালাতে হবে ?
দয়া করে আমাকে কেও বলেননা প্লীস এই আইন আমাদের ধর্মের সৃষ্টি না, এটা মানুষের সৃষ্টি, আমি বিশ্বাস করিনা আমার ধর্ম এত নির্মম হতে পারে।
আরবের আমিররা যখন গরিব দেশের কাজের মেয়েদের পাশবিক অত্যাচার করে মেরে ফেলে তখন তাদের আইন থাকে কোথায়...........
আমার পোলারে আমি মারুম কাটুম ......যাই করি মাইনষে মারার কে?
ওই বর্বর দেশটার কি দোষ দেব? ওই হারামি দেশটা তো আগেও বর্বর ছিল, এখনো বর্বর আছে। দুঃখ হয় নিজের দেশের হারামীর বাচ্চা গুলার জন্য যারা এই ঘটনাকে সমর্থন করছে।
আপনার সাথে আমিও একমত।
আচ্ছা আমার ধর্ম কি সত্যিয় এতটা নির্মম?
একজন খুনির অবশ্যয় শাস্তি হওয়া উচিত।
কিন্তু সেই শাস্তি কি এতটাই বর্বর হতে হবে? একটা মানুষকে পশুর মত টেনে হেঁচড়ে এনে দিবালোকে এতগুল মানুষের(আসলেই কি মানুষ?) সামনে নির্মমতার শেষ স্তরের চেয়েও জগন্নভাবে খুন করা, এটা কিধরনের আইন?
আমিতো জানি আমার ধর্ম শান্তির ধর্ম, আমাদের নবী (সঃ) তার উপর নির্যাতনকারীদের ও নিমিষেই ক্ষমা করে দিতেন, শুধু তাই নয় তাদের আত্তশুদ্দির জন্য মহান আল্লাহর কাছে পানা চাইতেন।
তাহলে কেন শাস্তির নামান্তরে এমন বর্বরতা চালাতে হবে ?
দয়া করে আমাকে কেও বলেন প্লীস এই আইন আমাদের ধর্মের সৃষ্টি না, এটা মানুষের সৃষ্টি, আমি বিশ্বাস করিনা আমার ধর্ম এত নির্মম হতে পারে।
ভাই,আপনেরে আঘাত দিতে চাইনা তবে বাংলায় কোরান হাদিস পড়ে দেখেন,এরচেয়েও বর্বরতা পাবেন।অনলাইনেই পাবেন।পড়ে বুঝে ধর্মপালন করুন।
নিজেদের ধর্ম ও স্বংস্কৃতি ভুলে গেলে সেই জাতির স্বকীয়তা থাকে না। আগে গ্রহন করেছি মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম আর এখন গ্রহন করতেছি প্রাচ্যের অশ্লীল স্বংস্কৃতি। আমরা আসলে কোন জাতি। নিজেদের স্বকীয়তা নাই কাদের বিরুদ্ধে মাথা তুলবো।
নিজেদের ধর্ম ও স্বংস্কৃতি ভুলে গেলে সেই জাতির স্বকীয়তা থাকে না। আগে গ্রহন করেছি মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম আর এখন গ্রহন করতেছি প্রাচ্যের অশ্লীল স্বংস্কৃতি। আমরা আসলে কোন জাতি। নিজেদের স্বকীয়তা নাই কাদের বিরুদ্ধে মাথা তুলবো।
সমর্থন ...
লেখক ক্ষোভ জানিয়ে লিখেছেন সরকারকে মৃত্যু দন্ডের আগে জানানো হয়েছে।কিন্তু প্রথম আলোতে লিখেছে সরকার অনেক চেষ্টা করে ঠেকাতে পারেনি।আমি নিউজ লিঙ্কটা দিয়ে দিলাম।কনফিউসনটা দূর হলে ভালো হয়।
আমি যতদূর জানি আগে থেকে জানানো হয় না।
প্রথম আলো
সৌদি প্রিন্সরা যখন আকাম করে তখন আইন কই থাকে?১০০ বিয়া করে যারা তারা এমন বর্বর-ই হবে।
অসাধারন একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ। পচ্ছন্দ ও শেয়ার দু টা ঈ করলাম।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস টা শেয়ার করে তোপের মুখে পরে আছি। মুখে কুলুপ এটে আছি। বুঝতে পারছি না এইসব মানুষগুলো কে কিভাবে বোঝাব।
সমর্থন। বর্বরতম সমাজের নিদর্শন, অথচ উইকিলিকসের খবরে পাওয়া গেছিল অন্তত ১০,০০০ সৌদি যুবরাজ আছে যাদের ধারে কাছে পুলিস পর্যন্ত ভিড়তে পারে না ।
facebook
আমি আইন টার পক্ষে...যে যাই বলুক।।
প্রথমতঃ আমি এটা না।
দ্বিতীয়তঃ আপনি সৌদি আরবে বসবাস করতে পারার মত একজন যথার্ত বর্বর।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই বর্বর, অসভ্য, কপট জাতিটার পতন কবে হবে!
সহমত। শেয়ার দিলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
সহমত। শেয়ার দিলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
যত সব হারামীর দল।
ইসলাম আর সউদী রাজার বিচার এক নয়। এতো অপরিস্কার বিচার, কখ্নও মেনে নেয়া যায় না।
@ নির্বাক দর্শকের জন্যঃ
কোরানের কিছু বাণী-
সুরা ৫[ আল- মাইদাহ]- পরিচ্ছেদ-৫= ৩৩ নং
যারা আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আর দেশে গন্ডগোল বাঁধাতে তৎপর হয় তাদের একমাত্র প্রাপ্য হচ্ছে- তাদের কাতল কর অথবা শূলে চড়াও, অথবা তাদের হাত ও তাদের পা বিপরীত দিকে কেটে ফেল, অথবা তাদের দেশ থেকে নির্বাসিত কর। এটি হচ্ছে তাদের জন্য ইহলোকে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য পরকালে রয়েছে কঠোর শাস্তি।।
সুরা ৮ [আল- আনফাল]- পরিচ্ছেদ-২ = ১২ নং
স্মরণ কর! তোমার প্রভু ফেরেশতাদের কাছে প্রেরণা দিলেন- " আমি নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে আছি, কাজেই যারা ঈমান এনেছে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত কর। আমি অচিরেই তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব যারা অবিশ্বাস পোষণ করে। অতএব ঘাড়ের উপর আঘাত কর, আর তাদের থেকে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করে ফেল।
সুরা ৮ [ আল-বারাআতঃ১ ; আত- তাওবাহ্ঃ৩ ]- পরিচ্ছেদ-১৬=১২৩ নং
ওহে যারা ঈমান এনেছো! অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটে আছে তাদের হত্যা কর আর তারা যেন তোমাদের মধ্যে দেখতে পায় কঠোরতা। আর জেনে রেখো, নিসন্দেহে আল্লাহ ধর্মপরায়নদের সাথে আছেন।
আর বাড়ালামনা, একটা লিঙ্ক দিলাম http://www.faithfreedom.org/oped/SKM40715.htm
আপনার সচেতনতা দেখে খুব ভাল লাগলো ।
১) ধর্ম গ্রন্থ মানুষের সৃষ্টি; সময়- সুযোগ- দরকার - উপযোগ - সংযোগ - যোগার করেই তা লেখা হয়েছে।
২) আরবি খুবই সমৃদ্ধ একটা ভাষা।এক একটা' শব্দের অনেক অর্থ আছে। ভার্বের আছে ১৪ টা ফর্ম। যারা আরবিকে বাংলায় অনুবাদ করেন তাদের বেশির ভাগেরই পুঁথিগত বিদ্যা - আক্ষরিক অনুবাদ করে, ভাবানুবাদ অতি নগণ্য। যা আছে তাও ঐ 'সময় সুযোগ উপযোগ'এর ফসল।
৩) মোটের উপর শরিয়া আইন পরিহার করা উচিৎ।
আপনি কি আল্লাহর আইন কে মানেন না???? পরিষ্কার করে বলুন......
এই ক্ষেত্রে আল্লাহার আইনটা কী একটু বুঝিয়ে বলবেন? আপনি কি জানেন যে দণ্ড দিতে চারজন সাক্ষীর দরকার হয়?
ভাই আপনি কোন মহান বুজুর্গ আইছেন আল্লার আইন মাইনা আল্লারে উদ্ধার কইরা ফালাইছেন ... আপনারা তো নিজের নামটা লেইখা সাহস পান না ... আবার আইছে ...
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাংলাদেশ সরকার অনেক চেষ্টা করুক বা কয়েক কোটি চেষ্টা করেও এই দণ্ডাদেশ আটকাতে না পারুক, অন্তত একটা শিক্ষা তাদের নেয়া উচিত এখান থেকে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে বাংলাদেশ তার মতো বিচার করবে। কোনো বাঞ্চোতের দলের এতে নাক গলানোর কিছু নাই। দেশদ্রোহীদের আন্তর্জাতিক মানের বিচারের মায়রে বাপ। সব শুয়োরের বাচ্চাদের বিনাবিচারে জিরো পয়েন্টে নিয়ে আমৃত্যু পেছনে আইক্কাওয়ালা বাঁশ দিয়ে টাঙ্গায়ে রাখা হোক। কোনো সুশীলের বাচ্চা সেখানে 'আন্তর্জাতিক মান'এর হাইকোর্ট দেখাইতে আসলে তারে সৌদী আব্বা হুজুরদের দিকে তাকাইতে বলা হোক। এতো পুতুপুতুর তো কিছু নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাথে থাকলাম!
ভালো লাগলো সহমত
আরবদের মানুষ করার জন্য আর একটা নবী দরকার।
পূর্ণ সমর্থন + শেয়ার।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আরব আমিরাতে ১৭ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদন্ড হয় একজন মিশরী ও একজন পাকিস্তানীকে হত্যা করার দায়ে।কিন্তু ভারতীয় পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের চাপে তা এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে, সৌদি আরব ভারতের সাথে চুক্তি করেছে যে, কোন ভারতীয় নাগরিক কোন অপরাধে সৌদি আরবে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করবে, দন্ডপ্রাপ্ত কোন ভারতীয় নাগরিকের শাস্তি সৌদিআরব কার্য্যকর করতে পারবে না।
আমাদের ডিপ্লোমেটরা অপেক্ষায় থাকে, আট বাংলাদেশী জবাই করার পর কখন তাদেরকে ইনফর্ম করবে!
সহমত
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শুনলাম আরো ৫ জন নাকি লেক্সট সিরিয়ালে আছে, এইবারো কি আমরা চুপ করে হত্যা দেখে তারপরে ফেসবুক-ব্লগে মাতম করবো?
ভাই অসম্ভব জরুরী লেখা ... দৌড়ের উপ্রে ছিলাম ... কিন্তু তারপরেও সমর্থন জানাতে মন্তব্য করতেছি ... পুরা দেশটা ভাই ছাগলে ভর্তি হয়ে গেছে ... এদের সৌদিতে পাঠায় দিতে হবে, তাইলে মনে করেন আগামী কয়েক কোরবানী ঈদে এইসব ছাগলদের তাদের প্রভুরা কোরাবানী দিয়ে দিবে ... আর সাথে সাথে এসব ছাগুদের এদেশী প্রভু গোয়া-জম দের বিচারের সাথে সাথে এদেরও বিচার হওয়া দরকার ... এগুলা একধরণের দেশোদ্রোহীতা
শেয়ার দিলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আল্লার আইন কায়েম করবা ভাল কথা কিন্তু তোমাদের রাজতন্ত্র যে ইসলামে চরম ভাবে ঘৃনিত এটা তোমরা স্বীকার করনা কেন ! সৌদি আরব একটা পিশাচ রাষ্ট্র এটা জানি এবং মানি, আমি মনে করি আল্লাহর ঘর বাইতুল্লাহ্ সেখানে থাকার ফলে আল্লাহ এখনো তাদের উপর গজব দেননি আর এর সুবিধায় তারা এমন সব কাজ করে যাচ্ছে যা ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা !
হে মালিক আরেকজন রসুল পাঠাও আরব দেশে । ওরা আবারও আইয়ামে জাহেলিয়াতে ফিরে গেছে । সোঊদি রাজের নিপাত দেখে যেতে চাই ।
হে মালিক আরেকজন রসুল পাঠাও আরব দেশে । ওরা আবারও আইয়ামে জাহেলিয়াতে ফিরে গেছে । সোঊদি রাজের নিপাত দেখে যেতে চাই ।
কিছু বলতে পারছি না...কি হবে বলে...কিছু যেখানে করতে পারিনা সেখানে বলে কিছু হয় না।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ভাল লাগল.........শেয়ার দিলাম......।।
আরব রা এত্ত খারাপ দেখেই নবী-রাসূল দের আল্লাহ সেখানে পাঠিয়েছেন ।আপনার লেখাটা পড়ে অনেক কিছু জানলাম ।ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখার জন্যে ।
ভাই এটা বাংলাদেশ না যে খুন/ধর্ষন বিভিন্ন অপরাধ করে তার শাস্তি পাবেনা। ভাই এসব অপরাধ করা কি খুব দরকার ছিল? কেন সে করতে গেল? আপনার মতে কি এই অপরাধ আমাদের দেশের ভাব উজ্জল করেছে?আপনার মতে এসবের শাস্তি কি হওয়া উচিৎ? এসবের কারনেআমাদের দেশ গর্বের সাথে দুর্নিতিতে প্রথম হয়েছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/golden007/29462953
আরব রা এত্ত খারাপ দেখেই নবী-রাসূল দের আল্লাহ সেখানে পাঠিয়েছেন ।আপনার লেখাটা পড়ে অনেক কিছু জানলাম ।ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখার জন্যে ।
nawarid nur saba
http://www.sachalayatan.com/node/41432#
সহমত,
শেয়ার করলাম।
বলেছেন: আমি বুঝিনা, অনেকে সরকারকে দোষারোপ করছে যে সরকার চুপ আছে কেন?
আরে যে দেশে একটা ছোট মাস্তান যদি খুন রাহাজানি করে তার বিপক্ষে বড় নেতা মন্ত্রিরা কথা বলতে ভয় পায়, বিচার হয়না কোন, সরকার প্রধান বলেন এম.পি রা দূর্নীতি করলে আর কিছু বলার নাই,
এখন বাহিরের কোন রাষ্ট্র আমাদের দেশে মানুষকে মারলে সেদিকে তো শুনেও না শোনার ভান করা টা স্বাভাবিক, সবাই চুপে যান
ধন্যবাদ গুরুতপুর্ন লেখাটির জন্য
দুঃখ হয় নিজের দেশের হারামীর বাচ্চা গুলার জন্য যারা এই ঘটনাকে সমর্থন করছে।
আপনার সাথে আমিও একমত।
আমি এর সাথে একমত। বা্লাদেশের সেই মানুষদেরকে বলছি যারা এই ঘটনায় বাহবা দিয়েছেন , তারা কি একবার চিন্তা করে দেখেছেন ঘটনাটা? আপনারা বা্লাদেশী হয়ে কয়েকজন বা্লাদেশীর মৃত্যুতে আনন্দ পেয়েছেন। ধি:কার আপনাদের । হয়ত কোন একদিন আপনার কারো সাথে এরকম ঘটতে পারে তখন কি করবেন? একজন ব্রিটিশ নাগরিক যদি দন্ডিত হয়েও বেচেঁ যায় ,তাহলে বা্লাদেশীরা কেন মরবে? বা্লাদেশের সরকারের কাছে প্রশ্ন দেশমাতা হয়েও আপনার সন্তানদের বাঁচাতে পারেননি। তাহলে আমরা কোন দেশের ওপর ভরসা করব? আপনার সন্তান হলে কি করতেন? নাকি ওরা অসহায় বলে মরতে হল।
লেখকের পুরো লেখাটি আমি পড়েছি। ১৪শ বছরে আল্লাহর আইন কেন সৌদিআরবে অপরাধ কমাতে পারলো না? তিনি একটি ছোট্ট পরিসংখ্যান দিয়েছেন - ২০০৭ সালে ১৫৮ এবং ২০০৮ সালে ১০৮ জনকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। অনুরোধ করবো অন্যদেশের অপরাধ পরিসংখ্যানটি যাচাই করতে। ১৫৮ বা ১০৮ সংখ্যাটি অতি নগন্য অন্য যেকোন দেশের অপরাধের তুলনায়। আল্লাহর আইনকে চ্যালেঞ্জ করার শক্তি আমার নেই। শিরচ্ছেদের থেকেও কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে পরকালে (ইহুদি, খৃষ্টান, ইসলাম, হিন্দু) যে ধর্মেই আপনি বিশ্বাসি হন না কেন... আমরা কি অপরাধ বন্ধ করেছি? প্রতিনিয়ত আমরা কিছু না কিছু অপরাধ করেই যাচ্ছি।
বিষয়টি সেটা নয়। এখন পর্যন্ত কোন প্রমান কোন ব্লগে দেয়া হয়নি যে, বা আমরা জানতে পারিনি যে অপরাধিদের কোন যাচাই বাছাই ছাড়া শাস্তি দেয়া হয়েছে। Capital Punishment এর ক্ষেত্রে এটা আশা করা অযৌক্তিক। আশা করছি তাদের বিচার কার্য্য যথা নিয়মেই হয়েছে। বিভিন্ন সাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটা বুঝতে পেরেছি যে তাদের শাস্তি কোন ভাবেই লাঘব করা হয়নি। হতে পারে এটা সৌদি সরকারের আইন। আমাদের দেশেও শেখ মুজিবের খুনিদের ৩৫ বছর পর ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। তারাও তো প্রান ভিক্ষা চেয়েছিলেন। এদেশের সরকার কি ক্ষমা করেছিল? কারন বাবা হারানোর ব্যাথা শেখ হাসিনা ভাল ভাবেই যানেন।
প্রশ্ন আপনার কাছে, যদি আপনার ভাইকে এই আটজন মেরে ফেলতো আপনি কি করতেন। ক্ষমা করে দিতেন? নাকি শিরচ্ছেদের থেকেও কঠিন কোন শাস্তি থাকলে তা দিতে বলতেন বিচারককে। আট বাংলাদেশি বড় কথা নয়। অপরাধী যে অবশ্যই অপরাধী সে যেই হোকনা কেন। এতে উল্লাসের কোন কারন নেই। বড়ং আফসোসের কারন, কেন এই আট বাংলাদেশি বিদেশের মাটিতে ডাকাতি করতে গিয়েছিল? কেন সে নিজ দেশের সুনাম নষ্ট করেছে।
প্রমান করুন তারা নির্দোষ ছিল...
ধন্যবাদ..
আমার নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই..
যা বলার ছিল, আপনি বলে দিয়েছেন..
দেশ থেকে রপ্ত করা বাজে অভ্যাস গুলো..
বাইরের কোন দেশে প্রয়োগ করতে গেলে..
তার পরিণাম এমনই হয়..
যা হয়েছে, আইনসম্মত ভাবেই হয়েছে..
এটা নিয়ে যেমন প্রশংসা করার কিছু নেই..
তেমনি নিন্দা করারও কিছু নেই..
It's simple..
অপরাধ করেছে..
শাস্তি পেয়েছে..
আর দুষ্ট গরু কোন দেশেরই সম্পদ না..
ছাগল কোথাকার!
ভাই আফনের কথায় আফনেরে একটা ছাগু বলে মনে হচ্ছে। ভাইজান তো দেখি মক্কা মদিনার প্রেমে দিশেহারা। আলোচনাটা হচ্ছে শাস্তির বর্বরতা নিয়ে। সবাই চায় অপরাধি শাস্তি পাক, কিন্তু আফনের পেয়ারের আরবদেশ যে চৌদ্দশ বছর পরও আগের মতই বর্বর রয়ে গেছে তার প্রমান তারা তাদের সব কাজেই দিচ্ছে। ভাইজান কি সৌদিতে নাগরিকত্ব নিছেন নাকি। ইমুন বেকুবের মত কথা কন ক্যা।
সাইফ ভাইয়া , আপনার নামটা বোধকরি অন্য ভাষা হতে ধার করা, সেটা কোন ভাষা দয়া করে জানাবেন কি?
নিয়াজ ভাইয়ের সাথে আমার পূর্ণ সহমত। আমারও দুঃখ চোখে ঠুলিপড়া শিক্ষিত দেশী বেয়াদবগুলোকে নিয়ে। আমার দেশের মাটিতে পা রেখে তারা হৃদয়টা দিয়ে রাখে সৌদিদের কাছে। তাদের সৌদি প্রেম দেশ প্রেমের চেয়ে শতগুণে বেশি। এরা হয়তো এটাও মনে করে, সৌদিরা ধরে এদের পশ্চাৎদেশে মারলে ছোয়াব আরও বেড়ে যাবে। এরা সত্যিকার অর্থেই দেশের শত্রু ।
আরেকটি কথা মনে রাখা উচিত। যে কোন কারনেই হোক বাংলাদেশ এখনও এমন কোন রাষ্ট্রে পরিনত হয়নি যাতে করে সে অন্য একটি দেশে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যে দেশগুলোর উদাহরন আনা হয়েছে তাদের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করা কতটুকু যৌক্তিক...! বাংলাদেশের রেমিটেন্সের একটি বড় অংশ আশে এই মধ্যপ্রাচ্য থেকে। যত মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করছে তাদের ভার বাংলাদেশের বহন করার চেয়ে আট কুলাঙ্গারের মৃত্যু মেনে নেয়া অনেক ভাল। পেটে যখন ভাত থাকে না তখন বউ এর আদরও ভাল লাগেনা। আর পেটে ভাত থাকলে তখন মুখে অনেক খৈ ফুটানো যায়...
এখন পর্যন্ত নিজের দেশের মানবাধিকারই আমরা কেউ উদ্ধার করতে পারিনি। আলোচনা করছি সৌদি আইন নিয়ে... হাস্যকর বটে। আমি মনে করি, নিজের সমালচনা আগে করা উচিত। নিজের অপরাধের জন্য মাথা নত করা উচিত।
গতকাল খবরটা পড়ার পর, লেখা শুরু করেছিলাম। পুরো একটা লেখা লিখে চরম ক্রোধে সেটা মুছে দিয়েছিলাম। এদেশের যারা অন্ধ, লেখা পড়ে তাদের বিকার হবেনা। আর যারা অন্ধ না, তারা পঙ্গু এবং পঙ্গুই থাকবে। তারপরেও আজকে আবার কিছু লিখতে বসলাম, আলাদা পোষ্ট দেবার দরকার মনে করছি না, এখানে বরং মন্তব্য হিসেবেই দেই।
আমি রম্য লেখক। ভারী কিছু পড়তে বা লিখতে কষ্ট হয়। হাবিজাবি লিখে মানুষকে হাসানো কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। কিন্তু ব্লগ লিখে মানুষের মন বা সভ্যতার পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব। চরম ভয়ঙ্কর কোন খবর আপনি নানা আবেগ দিয়ে লিখবেন। মানুষজন আহা উহু করে নিজ কাজে সরে পরবে। তারপরেও আমরা লিখি। হাতে তরবারী থাকলে দুই একটা সমকামী সৌদি যুবরাজের শিরোচ্ছেদ করতাম। ক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের সামনে থুতু দিয়ে আসতাম। ধৈযর্্য থাকলে "চোখের বদলে চোখ" নীতির ধমর্ান্ধ মানুষগুলোকে বুঝানোর চেষ্টা করতাম, যদি কোন আইন বা বই বা ধমর্ানুসারে একজন মানুষকে সরাসরি বা ইনিয়ে বিনিয়ে জবাই করার নির্দেশ দেয়া হয়, তাহলে সেটা চরম ভুল, অসভ্য এবং বর্বর নির্দেশ। সেটার কোনটাই করতে পারিনা বলে শুধুই লিখি।
বাবার চাকরী করেছিলেন কিছুকাল সৌদিতে। সেই সুবাদে এক বছর ছিলাম সেখানে। রিয়াদের জবাই দেয়ার সেই স্থানটি দুর্ভাগ্যক্রমে দেখার সুযোগ হয়েছিলো। সেদিন সম্ভবত একজনের হাত কাটার প্রস্তুতি চলছিল চুরির অপরাধে। অনেক লোকের ভীড় ছাড়া অন্যকিছু দেখা হয়নি। তখন বয়স ছিলো অনেক কম এবং শিশুদের প্রবেশ নিষেধ ছিলো। তারপরও কি হতে যাচ্ছে শুনে আত্মা কেঁপে গিয়েছিলো।
এক বছর ছিলাম রিয়াদে। সেই বয়সে একটা শিশুর চোখ দিয়ে একটু হলেও বুঝেছিলাম এরা ভন্ড জাতি, বর্বর জাতি। এদের সভ্য করতে হলে আরো কয়েকডজন নবী আউলিয়া ডাউনলোড করতে হবে ওখানে। তারপরেও আমরা মৃত্যুর আগে একবারের জন্য হলেও এই বর্বর দেশে যেতে চাই নিজের সব পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য। ৭০ টা হুরের লোভে জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে হলেও আমরা বেহেস্তটা নিশ্চিত করে যেতে চাই। আমাদের বেহেস্ত নিশ্চিত হয় কিনা জানিনা, তবে সৌদি ইকনমিতে বিলিয়ন ডলার যোগ হয় প্রতি বছর এটা জানি। যতদূর জানি আমাদের দেশ থেকে বর্তমানে সর্বনিন্ম ৫ লাখ টাকা খরচ হয় হজ্বযাত্রায়। মৃত্যুর আগে কাবা ঘিরে কয়বার চক্কর দিয়েই শিশুর মত পবিত্র হয়ে যাবার লোভ বাদ দিয়ে পারবেন এই ৫ লাখ টাকা দিয়ে ৫টা দরিদ্র পরিবারকে বাঁচিয়ে দিয়ে যেতে?
কিছুদিন আগে গেরিলা ছবিতে দেখা একটি দৃশ্য মাথায় ঢুকে গিয়েছিলো। মনিবকে চেপে ধরে ভৃত্যের হাতে রামদা ধরিয়ে রাজাকারের দল নির্দেশ দেয়, দে কুত্তার বাচ্চা জবাই দে। ভৃত্য জবাই দেয়। এরপর থেকে মাঝেমাঝেই কানের কাছে কে যেন ফিসফিসিয়ে বলে, দে কুত্তার বাচ্চা জবাই দে। আমি, আপনি আমরা সবাই প্রতিনিয়ত জবাই দিয়ে যাচ্ছি মানবতাকে। আজ ফেসবুকে আমার যে বন্ধু ৮ জনের শিরচ্ছেদের খবর শুনে নির্লপ্তমুখে শরিয়া আইনে কঠোর হবার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে, দেশে আবার ৭১ নেমে এলে সেই আমার হাতে রামদা ধরিয়ে দিয়ে বলবে, দে কুত্তার বাচ্চা জবাই দে। আমি অবিশ্বাসীদের জবাই দেব বিশ্বাসের প্রয়োজনে। উশৃঙ্খলকে জবাই দেব শৃঙ্খলার প্রয়োজনে।
ন্যায় অন্যায়ের এই সামান্য পার্থক্যটুকু বোঝার জন্য বোধকরি কোন গুরু বা গ্রন্থের প্রয়োজন নেই। ভুলার জন্য আছে।
অসহ্য ক্রোধ আর হতাশা থেকে এই অগোছালো এই লেখাটি লিখছি। এই লেখাতে সৌদি রাজতন্ত্রের কোন বালোৎপাটন হবেনা সেটা ভালো করেই জানি। তবে পাশাপাশি এটাও জানি সভ্যতা তার নিজের নিয়মে এগিয়ে যাবে, ধর্ম/বর্ণ/জাতের দোহাই দিয়ে করা সব নোঙরামী গুলোকে মহাকালের আবর্জনায় ফেলে। সেই আবর্জনার এক সামান্য কীট হয়ে পড়ে থাকবেন নাকি সেই সভ্যতার অগ্রসরে অতি সামান্য হলেও অবদান রাখবেন সে নিতান্তই আপনার সিদ্ধান্ত।
এই পোস্টটা খুবই সুন্দর হয়েছে। সবগুলো দিকই স্পষ্ট। আমার অবস্থান হলো: যদি এই আটজন "বাংলাদেশী" দোষী হয়, তাহলে তাদের শাস্তি মওকুফ করার কোনো আবেদন করাই রাষ্ট্রপতির জন্য স্বজনপ্রীতি দেখানো ছাড়া আর কিছুই না (স্বজনপ্রীতি দিয়ে দোষী বাঁচানো কোনো সভ্য সমাজ চায় না)। আর, যদি আমাদের মনে হয় যে, এরা দোষী হবার সম্ভাবনা, কিংবা এদের সবার দোষী হবার সম্ভাবনা কম, তাহলে আমরা যে কাজটা করতে পারতাম রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হোক কিংবা জনপক্ষ থেকেই হোক এদের বিচার ব্যবস্থা পূণরায় বিবেচনা করার অনুরোধ করতে পারতাম (এক্ষেত্রে সেটা হয়নি কিন্তু)। অথচ সেটাই বেশি দরকার ছিল, কারণ সৌদি সরকার সম্পর্কে এ্যামনেস্টি বলছে:
(সূত্র)
আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের এক পতাকা তলে একত্র হতে হবে, এবং এজাতীয় বিচারের পরিণতির আগেই সুষ্ঠ ও ন্যায় "বিচার" নিশ্চিত করতে হবে। যেনতেন একটা আদালত তৈরি করে ইচ্ছামতো দোষী সাব্যস্ত করে যেন কাউকে, সে বাংলাদেশী হোক আর মার্কিনীই হোক, শাস্তি দেয়া না হয়- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আল্লাহ ন্যায় বিচার করেন এবং ন্যায় বিচারকে পছন্দ করেন। আল্লাহ আমায় এবং আপনাদের ক্ষমা করুন।
আমাদের একটি Proper Revolution করা উচিত। Amnesty International এর সাহাজ্য নিয়ে কিছু করা জায় কি? বাংলাদেশ এ একটি মানব বনধন জাতীয় কিছু করা জায় কি? দরকার পড়লে মিছিল বের করা উচিত ওই হারামজাদাদের embassy-র সামনে।
গত শুক্রবার বিকাল ৪টা।ডিউটিতে যাওয়ার পর বস আমাকে প্রথম যে জিনিসটি দেখাল সেটি হচ্ছে ৮বাংলাদেশীর শিরচ্ছেদ।জিজ্ঞাসা করলাম কেন শিরচ্ছেদ করা হয়েছে ।বলল খুন করার দায়ে ।সাথে এটাও বলল একই দিন তায়েফেও ৩ সৌদিয়ান নাগরিককে শিরচ্ছেদ করা হয়েছে ।যারা বলে বেড়াচ্ছে শুধু গরীব দেশের লোকজনকে শিরচ্ছেদ করা হচ্ছে তাঁদের উচিত পরিসংখ্যান দেখা । ২০০৭ সালে সৌদি আরবে কমপক্ষে ৭৬ বিদেশিসহ মোট ১৫৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয় (৭৬জন ছাড়া বাকী সব সৌদিয়ান)। ২০০৮ সালে শিরশ্ছেদের শিকার হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ১০২। এর মধ্যে প্রায় ৪০ জন বিদেশি (বিদেশী ছাড়া বাকী ৬২জন সৌদিয়ান )। ২০০৯ সালে ১৯ জন বিদেশিসহ মোট ৬৯ জন (বিদেশী ছাড়া বাকী ৫০জন সৌদিয়ান ) এবং গত বছর কমপক্ষে ৬ বিদেশিসহ মোট ২৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয় (বিদেশী ৬জন ছাড়া বাকী ২১জন সৌদিয়ান )।
এক বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যার কারণে এক সৌদি নাগরিকের শিরচ্ছেদের খবর
ডুপ্লি ঘ্যাচাং।==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
সৌদিকে বর্বর বলিও না। "মোসলমান"রা ইহাতে কষ্ট পায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমার তেমন বলার কিছু নাই,
আমার খুব খারাপ লাগচে।
আমি আমার জিবনে অনেক সউদি দেখেচি। ৯৯ ভাগ আমানুশ আর ১ ভাগ ভাল। আল্লাহ র গজব নাজিল হক তাদের উপর।
সবই ত বুঝলাম ভায়া, কিন্তু কথা হল যে এই বাংলাদশীগন ডাকাতি করতে গিয়ে যে একজন মিশরীয় নাগরিক কে হত্যা করেছে এই অভিযোগ এর সত্যতা যাচাই করেছেন কি?
অপরাধীর কোন দেশ থাকতে পারে না। তাদের সাজা প্রাপ্য।
তারা যদি অপরাধী হয়ে থাকে তবে, আটজন ডাকাতের জন্য আপনার সহানুভূতীর কোন কারন দেখছি না।
ধন্যবাদ।
ঘটনাটা আসলেই বেদনাকর।
সৌদি আরবের ইতিহাসে এবারেই প্রথম এক সাথে সর্বোচ্চ ৮জন মানুষের শিরচ্ছেদ করা হয়।
মানুষ বললাম এই জন্য কারন তারা আগে মানুষ, পরে বাংলাদেশি।
------------------------------------
একা পাখি
:putnam:
১। কেউ কেউ এই সুযোগে মুসলমানদের একহাত দেখে নিচ্ছেন। তাদের কার্যকলাপও শেষমেষ বর্বরতার পক্ষেই যাবে। কারণ, বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই মুসলমান এবং তারা রাতারাতি নাস্তিক হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। এই বর্বরতাকে 'ইসলামিক' ট্যাগ দিয়ে বরং দেশের এই সিংহভাগ মানুষকেও বর্বরতার সমর্থক হতে বাধ্য করার বাইরে ইসলামবিদ্বেষ কোনো কাজে আসবে না। এজন্যই এই বর্বরতা যে ইসলামিক না, এই সত্যটা সামনে আসা প্রয়োজন।
২। শরীয়াহ আইন != কুরআন। কুরআনে অপরাধের চেয়ে শাস্তির পরিমাণ আমার জানামতে কোথাও কোনো প্রসঙ্গেই বেশি বলা হয় নাই। বরং শাস্তির বিপরীতে বারবারই ক্ষমার কথা এসেছে।
৩। সৌদি আরবের আইন বর্বর এটা জেনেই সেই দেশে মানুষ কাজ করতে যায়। হার্ডলাইনে, তাদের দেশের আইন কি হবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব আমাদের না। কিন্তু যেহেতু আমরা সেখানে কাজ করতে যাই, সেহেতু এটা আমাদেরও কনসার্ন হয়ে দাঁড়ায়। এই আইনের প্রয়োগ আমাদের ক্ষেত্রে কেমন হবে, না হবে তা তাদের সাথে নির্ধারণের কাজটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
৪। জনসম্মুখে এভাবে শিরোচ্ছেদটা আমার কাছে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মানবাধিকারের প্রসঙ্গে এজন্য এই কাজের প্রতি ঘৃণা জানাই।
৫। বাংলাদেশে RAB এর দেয়া ক্রসফায়ার এই বর্বরতাকে জাস্টিফাই করে না। বাংলাদেশে অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়, অতএব আগে সেটার বিহীত না করে এই প্রসঙ্গে কথা বলা যাবে না, এটাও ছাগুযুক্তি। কারণ, বাংলাদেশের অবস্থার উন্নয়নের জন্য যেমন চেষ্টা করতে হবে, আমাদের সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক বিষয়ের ব্যাপারেও একই সাথে কথা বলে যেতে হবে, দুইটার মধ্যে পূর্বাপর সম্পর্ক নাই।
৬। সৌদির বিকল্প ভাবা দরকার। সৌদি জুজুতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার পর্যন্ত আটকে যায়! আমাদের স্বাধীনতাবিরোধীদেরকে তারা জামাই আদরে পোষে। শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি এই জিনিসগুলোকে কন্ট্রোলে না আনতে পারলে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। সেটা এশিয়ায় হোক, আমেরিকা বা ইউরোপে হোক। সাথে বাংলাদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। ১৬ কোটি মানুষের দেশে আর কয়েক লাখ বাড়তি মানুষ অ্যাবজর্ব করা খুব বেশি ঝামেলার হওয়ার কথা না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শাফি।
বলাই
আলু পেপারে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা অনুসারে তো তোর কথার উলটোটাই পাওয়া যাচ্ছে।
আমিও তো রাষ্ট্রদূতের কথাটাই জানতাম। তারা যা করছে ইসলাম অনুসারেই করছে, কোরান/হাদীসের আলোকেই করছে। তা তোর এই দাবীর পেছনে কি প্রমান রয়েছে জানলে খুশি হতাম।
স্বাধীন, শরীয়াহ আইন বলে কোনো কিছু কুরআনে নাই। কুরআন আইনের বইও না। শরীয়াহর রেফারেন্সে 'ইসলাম'-এর নামে যা চালানো হয়, কুরআনের সাথে তার ২/৩% এরও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক নাই। এখানে কুরআনটা কাজ করে ঢাল হিসেবে। কিন্তু আসল জিনিস আসে মূলত ইজমা-কিয়াসের ত্যানা ধরে, ফতোয়ার মাধ্যমে। কুরআন মানুষের লেখা, না আল্লাহর লেখা সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক, যার ইচ্ছা অবিশ্বাস করুক। কিন্তু শরীয়াহ নিশ্চিতভাবেই মানুষের লেখা, এটা আল্লাহর দেয়া ইসলাম না। হাদিসও তাই। এগুলোকে যতোই কুরআনের সাথে সম্পর্কিত দেখানো হোক, এগুলো আল্লাহর লেখা না - এটা এগুলোর প্রবর্তকরাও স্বীকার করে।
এখন
এই প্রয়োজনটা কেন আসে বলি। শরীয়াহ যদি ইসলাম হয় এবং ওই ৮ জনের শিরোচ্ছেদ যদি ইসলামিক হয়, তাইলে তোর বা আমার সেটা নিয়ে ত্যানা প্যাচানোর কিছু নাই। এই পোস্টও অর্থহীন। মানবাধিকারের ত্যানাও প্যাচানো যাবে না। কারণ, কেউ যদি মুসলমান হিসেবে 'ইসলামের আইন শরীয়াহ(!)'কে মেনে নিয়ে জল্লাদের তলোয়ারের নিচে মাথা পেতে দেয়, তাইলে সেটা তার ব্যাপার। আমার শরীয়াহ না মানা 'অমুসলিম' মাথায় কোপ না বসালেই হলো।
এর প্যারালেলে একাত্তর সালে বাঙালি ধর্ষণকেও ইসলামী ট্যাগ দেয়া যায়। বাঙালি যেহেতু হিন্দু হয়ে যাচ্ছিলো, সাচ্চা মুসলিম হতে পারছিলো না, সেহেতু তাদেরকে লাইনে এনে পাকি সৈন্য ও রাজাকারেরা পাকপবিত্র কাজই করেছে! আবার বাঙালি নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসেবে রেইপ করাও ইসলামসম্মত! এই কনসেপ্টকে বর্তমানের বাংলাদেশে এনে প্রয়োগ করলে আমাদের সংসদ এখনই বিলুপ্ত ঘোষণা করে শরীয়াহ আইন চালু করা ফরজ। কারণ, বাংলাদেশে ৯০% লোক মুসলমান এবং শরীয়াহ হলো মুসলমানদের জন্য অবশ্য মান্য 'ইসলামী আইন'!
আশাকরি, শরীয়াহকে ইসলামী আইনের ফতোয়া দেয়ার সমস্যাটা পরিষ্কার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইসলামের অপব্যবহারকারী আর নাস্তিকতার অপব্যবহারকারী দুইদলের কাছেই শরীয়াহ = ইসলাম। কারণ, এটা না হলে তাদের ঘৃণার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এদের এক দলের কাছে মানুষ মানেই ধার্মিক বা মুসলমান বা হিন্দু, আরেকদলের কাছে মানুষ মানেই নাস্তিক, এদের কারো কাছেই মানুষ মানে 'মানুষ' না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কোরান আইনের বই না ঠিক আছে, তার মানে কি একজন মুসলিম, অমুসলিমের করণীয় কি কি তা কোরানে বলা নেই? আর যদি থাকে তবে সেটাই কি মুসলমানের জন্য আইন হয়ে যায় না? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না এই কথার মাধ্যমে কি বুঝাতে চাচ্ছিস। আমি তো জানতাম কোরান একটি পরিপূর্ণ বিধান। একজন মানুষের জীবনে যা যা দরকার তার সব কিছুই এখানে বলা আছে। এই বিশ্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে, ঘটবে তার বিবরণ দেওয়া আছে। রিলেটিভিটি থেকে শুরু করে বিগ ব্যাং পর্যন্ত সকল বৈজ্ঞানিক তথ্যই কোরানে রয়েছে। তোর কথায় তো কনফিউজড হয়ে গেলাম। একটু পরিষ্কার করলে ভালো হতো।
আমি তোকে আগে একটি পোষ্টে একটি প্রশ্ন করেছিলাম, সেই প্রশ্নটাই আবার করি। তোর এই মন্তব্যের সাথে সেই প্রশ্নটি সম্পর্কিত।
তুই শরীয়া আইন, অথবা ফতোয়া কে ইসলাম হিসেবে মানছিস না। এমনকি হাদীসকেও বাদ করে দিচ্ছিস। শুধু কোরান অনলি ফলোয়ার হিসেবেই তোকে আমি দেখতে পাচ্ছি। তাহলে আমার বক্তব্য হবে কোরানে তো দুনিয়ার সব কিছু বলা নেই, আবার অনেক কিছুই সরাসরি বলা নাই, রুপক হিসেবে থাকে যা একজন সাধারণ মানুষ অথবা মুসলিমের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যারা কোরানে স্কলার তারা যেটা ব্যাখ্যা করে সেটাই তো ভালো ব্যাখ্যা হওয়া উচিত। আর সেভাবেই তো এই শরীয়া আইন, অথবা নানান ইজম, ফতোয়া আসে। তাহলে সেগুলোকে বাতিল করে দিলে, কিংবা হাদীস বাতিল করে দিলে সাধারণ মানুষ কিভাবে চলবে?
প্রশ্নটা কেন করছি? কারণ সাধারণ মানুষ/মুসলিমের কাছে তো হাদীসও কোরানের মতো সত্য। তোর সাথে দ্বিমত নেই যে অনেক শরীয়া আইন সরাসরি কোরান হতে আগত নয়, কিন্তু সেগুলো সরাসরি ভাবে হাদীস হতে আগত, অর্থাৎ সেই পরিস্থিতে নবী যা করেছেন সেটাই নবীর ফলোয়াররা করার চেষ্টা করেছেন। তুই হাদীসকে বাদ দিতে চাইলেও একজন সাধারণ ধার্মিক হিসেবে নবীর আদর্শকে বাদ দিতে পারি না। নবীকে যদি বাদ দেই তাহলে তো সবার প্রথমে কোরানকেই বাদ দিতে হয়। কারণ, কোরান আল্লাহর কিতাব এইটা কে বলছেন, নবী বলছেন। আল্লাহ আর আমার মাঝখানে নবী ছাড়া কেউ নাই। আল্লাহকে কেউ দেখে নাই, এক নবী ছাড়া। কিন্তু মানুষ নবীকে দেখেছে, সবার আগে নবীর উপর বিশ্বাস এনেছে, তার পর আল্লাহর উপর বিশ্বাস। তাই নবীরে বিশ্বাস করা ছাড়া মুসলিম হওয়া সম্ভব নয়। আর তাই নবীর আদর্শই সকল মুসলিমের আদর্শ। এখন তুই অবশ্য বলতে পারিস যে যারা হাদীস লিপিবদ্ধ করেছে সেখানে তারা নিজেদের মতো করে বর্ণনা করেছে। সেটার সম্ভাবনা থাকতে যে পারে না তা নয়। কিন্তু তাই বলে কি সব হাদীসকে বাদ দিয়ে দেওয়া যায়। হাদীস ছাড়া কোরান কি সম্পূর্ণ হবে? শরীয়া আইন কি হাদীস অনুসারেও হয় না?
এই কল্লাকাটা যে হাদীস অনুসারে এবং আল্লাহর আইন বাস্তাবায়নের জন্যেই করছে সেটা তো রাষ্ট্রদূতের কথাতেই পরিষ্কার। তারপরেও কিছু হাদীস দিচ্ছি (মুক্তমনা থেকে সংগৃহীত) তোর রেফারেন্সের জন্যে।
Allah and Muhammad declare war on usurers (whoever deals in usary after warning and call for repentance will be beheaded—ibn Kathir. Maududi 2/323: On the basis of the last words of the verse, Ibn ‘Abbas, Hasan al-Baari, Ibn Sirin and Rabi’ ibn Anas are of the view that anyone who takes interest within the boundaries of the Islamic State (Dar al-Islam) should be pressed to repudiate the transaction and recant and, if he persists, should be put to death. Others consider it sufficient to imprison such people and keep them in prison until they pledge to give up taking interest.)…2:279
Punishment for waging war against Allah i.e., the unbelievers who reject Islam and the apostates) and His messenger is execution (beheading) or crucifixion or cutting off of hands and feet from opposite sides or exile from the land (refers to the Jews of Medina who refused to accept Islam but remained in the business of ransoming captives for their release; this verse also includes the idolaters, in general, who refuse to accept Islam after they become aware of it—ibn Kathir.
Strike terror in the hearts of the unbelievers. (Allah will cast fear, disgrace and humiliation over those who defied his command and denied Muhammad—ibn Kathir); smite the unbelievers at their necks (i.e., behead the unbelievers—ibn Kathir) and cut off their fingers (cut off their heads, limbs, hands and feet—ibn Kathir. Terror means fear of Muhammad and his companions—ibn Abbas. 8.12
Muhammad beheaded an–Nadr after he was captured as a captive in Badr—ibn Kathir, Jalalyn. Also see 6:93, 17:88, 25:5 6).
তারপরেও কি বলবি এই কাজ ইসলাম অনুসারে হচ্ছে না? এবং এর জন্যে ইসলামকে দোষ দেওয়া যাবে না? দোষ দিলে সেটা ভুল দোষ দেওয়া হবে।
শার্লক হোমসের একটা কথা আছে। যখন সে জানলো যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, তখন সে সেই তথ্যটা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুলে যেতে চাইলো। কারণ, তথ্যটা তার কাজের জন্য দরকারী না। জীবনবিধানের জন্য আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি ল দরকার হয় না।
এর উত্তর কুরআনের এই আয়াতে পাওয়া যায়:
"তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।" (৩:৭)
রূপকগুলোর অর্থ এমনকি নবীও জানে না, স্কলারদের ব্যাখ্যা পর্যন্ত যাওয়ার তো প্রশ্নই নেই। সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, না পৃথিবী সুর্যের চারদিকে ঘোরে, তার সাথে যেমন শার্লক হোমসের কাজের কোনো হেরফের হবে না, পৃথিবীকে বিস্তৃত শস্যক্ষেত্র বললে সেটা দিয়ে কি যতোদূর চোখ যায় সেই দিগন্তের কথা বলা হচ্ছে, নাকি বিজ্ঞান শেখানো হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তের ওপরেও একজন মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের কিছু যায় আসে না। এগুলো নিয়ে ত্যানা পেচিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না, অশান্তিই বাড়ে।
এগুলো ইসলামের নামে মানুষের আকাম। মানুষের ফতোয়াকে আল্লাহর আইন বলে চালানো। কিন্তু ধর আমি তোকে তর্কে জিতিয়ে দিলাম এগুলো ইসলামের দোষ রায় দিয়ে।
কিন্তু তাতে কি আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি, সেই বিষয়ের ক্ষেত্রে কোনো সুফল বয়ে নিয়ে আসবে? বরং তার উলটোটাই হবে। শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে মুসলমানের ওপর ইসলামী আইন কায়েম করা হলে অন্য কারো বাপের কি আসে যায়! যেহেতু শরীয়াহ = ইসলাম, সেহেতু বাংলাদেশে শরীয়াহ কায়েম না হলে ৯০% বা তারও বেশি বাংলাদেশীর মুসলমানিত্ব খারিজ হয়ে যাবে! কমনসেন্স!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইসলামের নামে চারপাশে যা কিছু ঘটতে দেখছি সেগুলোকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। এখন আপনি যদি বলেন এগুলো ইসলামের নামে মানুষের আকাম। তাইলে ক্যামনে কী?
বস, কোরানের সঠিক অর্থ বুঝতে যদি আইনস্টাইন হওয়া লাগে তাইলে তো মহাবিপদ। যা কেবলমাত্র গুটিকয়েকজন মানুষ অনুধাবন করতে পারে তার সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতা ক্যামনে হয়? দুনিয়ায় প্রায় এক বিলিয়ন মুসলিম আছে তাদের মধ্যে তো মনে হচ্ছে ভালমতো খোঁজ নিলে সাচ্চা মুসলমান হাজারখানেকও পাওয়া যাবে না। তাইলে এইটা কি স্রষ্টার ব্যর্থতা না?
স্রষ্টা গত ১৩ বিলিয়ন বছরে কয়েকটা মাত্র বই লেক্সেন। সেইগুলাও যদি কেউ পড়ে সঠিক অর্থ উদ্ধার করতে না পারে তাইলে ক্যামনে কী? এর চাইতে তো আমাগো হুমায়ুন আহমেদ-ই ভালা! প্রতি বইমেলায় গাদা গাদা বই লেখেন। সেই বইগুলা বুঝতে কোন সমস্যা হয় না।
আমারও একই কথা। কুরআনের অর্থ বুঝতে আইনস্টাইন হওয়া লাগবে না। খুবই কমনসেন্স। আমাকে একজন একটা উপদেশ দিবে, আর সেটা বুঝতে পীর ধরতে হবে - এরকমটা হলে উপদেশওয়ালার প্রবলেম। কুরআনের উপদেশওয়ালা এজন্য কুরআনকে সহজ করে বর্ণনা করেছেন, কুরআনকে কঠিন করার কথা কোথাও বলা হয় নাই।
বর্বরতা অনেক কিছুর নামেই ঘটে, শুধু ইসলামের নামে না। কোনটা বেশি হাইলাইটেড হবে, তা নির্ধারণে মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক। এখানে একটা পারিসংখ্যানিক টুইস্টও আছে। যেমন, ২০% বাংলাদেশী কাজ করতে চায় না - এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে 'বাংলাদেশী মানে কর্মবিমুখ' সিদ্ধান্ত হাইলাইট করা হয়, যেখানে ৮০% বাংলাদেশী যে কাজ করে বা করতে চায় - 'বাংলাদেশীর' সংজ্ঞায় সেই তথ্য গায়েব করে দেয়া হয়। বাংলাদেশী মানে তখন ওই ২০%; কিন্তু ৮০% না! ১০০ জন মুসলমানের মধ্যে কতোজন অন্যের মাথায় বাড়ি দিচ্ছে আর কতোজন দিচ্ছে না - এই তথ্য চিন্তা করে দেখলে 'মুসলমান' এর ব্যবহারিক সংজ্ঞা বুঝতে সুবিধা হবে। আর ইসলামের দোষ, না মানুষের দোষ, সে সিদ্ধান্তেও আসা যাবে।
একই ধরনের ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে। হাসিনা-খালেদারা রাজনীতির মাধ্যমে বাঁশ দেয়। অতএব, বাংলাদেশে রাজনীতি বন্ধ করে দিলেই দেশের উন্নতি হবে! ডিনামাইট দিয়ে মানুষ মারা যায়, এজন্য নোবেলকে গালি দিয়ে গুষ্ঠি উদ্ধার করতে হবে!
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সব সমস্যার স্টেরিওটাইপড সোর্স হিসেবে ইসলামকে একহাত দেখে নিলে শেষতক কাদের লাভ হয়, একটু খিয়াল কইরা!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১.
কিন্তু কোরানেই তো একই যাত্রার ভিন্ন ফলের কথা বলা হয়েছে। কোন আয়াতে বলা হয়েছে অবিশ্বাসীদের ক্ষমা করতে। আবার কোথাও বলা হয়েছে অবিশ্বাসীদের কতল করতে। এখন একদল যদি একটা আয়াত মেনে অবিশ্বাসীদের কতল করে তাহলে তাকে যেমন দোষ দেয়া যাবে না তেমনি যারা অবিশ্বাসীদের ক্ষমা করার পক্ষে তাদেরও সুনাম গাওয়া যাচ্ছে না। কেননা দুই দলই কোরানের আয়াত অনুসরণ করছে।
উত্তরে যদি বলেন, কনটেক্স বুঝতে হবে, বুঝে ইজি থাকতে হবে। তাইলে আমি বলব, বিশ্বজগতের স্রষ্টা একটা কথা ইজি করে বলতে না পারেন তাইলে তিনি ক্যামন স্রষ্টা?
সূত্র দিতে পারব না, তবে একটা কাফেরি আর্টিকেলে পড়েছিলাম কোরানের পরস্পর বিরোধী আয়াতগুলোর মধ্যে যে আয়াতটা পরে নাযিল হয়েছে সেটা আগে নাযিল হওয়া আয়াতটাকে সুপারসিড করে। সে আর্টিকেলে আরো বলা ছিল কোরানের প্রথম দিকে নাযিল হওয়া আয়াতগুলোতে শান্তির কথা বলা আছে আর শেষ দিকে নাযিল হওয়া আয়াতগুলোতে হত্যা, রক্তারক্তি টাইপ জিনিসপত্রের কথা বলা আছে সুতারাং শেষে নাযিল হওয়া আয়াতগুলো শান্তির আয়াতগুলোকে বাতিল করে দিয়েছে। জিনিসটা আমি নিজে যেহেতু আয়াত ধরে ধরে চেক করে দেখিনি তাই কনফার্ম হয়ে বলতে পারছি না।
আর "কীভাবে জীবনযাপন করলে মানবজাতির সবচাইতে বেশি উপকার হবে" সেই ইন্সট্রাকশনগুলো ১০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সির স্রষ্টা ডানাওয়ালা ফেরেশতার মাধ্যমে সপ্তম শতাব্দিতে আরবের মরুভূমির বুকে বসবাস করা একজন মানুষের কাছে পাঠিয়েছেন - এ বিষয়টা কীভাবে যৌক্তিকভাবে বিশ্বাস করা যায় তা জানি না!
২.
বিশ্ব মিডিয়ায় হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিস্টানরা একাট্টা হয়ে মুসলিমদের অপকর্মগুলো হাইলাইট করার কারণ কী? মুসলিমদের অপকর্মগুলোকে হাইলাইট করলে বাড়তি কী সুবিধা পাওয়া সম্ভব যা হিন্দু, বৌদ্ধ, মর্মন, শিখ প্রভৃতি ধর্মের অপকর্মগুলোকে হাইলাইট করলে পাওয়া সম্ভব না?
সব ধর্মের লোকজন একত্র হয়ে মুসলিমদের পিছনে লাগার কারণ কী? এ ক্ষেত্রে মুসলিমরা অন্য কোন ধর্মের লোকদেরকে নিজের দলে ভিড়াতে বিফল হলো কেন?
৩.
বর্তমান পৃথিবীতে মুসলিমরা শিক্ষায়-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবার চেয়ে পিছিয়ে আছে। এ কথা সত্য বলে স্বীকার না করলে কোন প্রশ্ন নাই।
আর যদি স্বীকার করেন, তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে সবচাইতে আধুনিক ধর্ম হিসাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে কেন অন্য সব ধর্মের লোকদের তুলনায় পিছিয়ে আছে? নবী যেখানে শিক্ষার গুরুত্ব আরোপ করে জ্ঞানার্জনের জন্য চীন দেশে যেতে বলেছে সেখানে বর্তমান মুসলিমদের শিক্ষাক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ার কারণ কী? বর্তমান পৃথিবীতে ইসলাম কি শিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করে?
এই আলোচনাগুলো এই পোস্টের প্রেক্ষিতে খুব একটা প্রাসঙ্গিক না।
১। আমি কুরআনে কোনো কনফ্লিক্টিং আয়াত পাই নাই। এক আয়াত আরেক আয়াতকে প্রতিস্থাপিত করে - এরকমটাও জানা নাই। বিশ্বাসের ব্যাপারটা যার যার নিজের। কেউ বিশ্বাস করলে করলো, কেউ অবিশ্বাস করলে সেটাও তার ব্যাপার। জ্ঞানের অহমিকা আসলে কোনো কাজে আসে না। বিশ্বজগতের তুলনায় মানুষের জ্ঞান ও সামর্থ্য খুবই সীমিত।
২। মিডিয়া বিশ্ব রাজনীতি ও ক্ষমতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এখানে ধর্ম হলো স্রেফ ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে -দুইপক্ষেই-ক্ষমতা ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যম।
৩। এটার কারণ সমাজবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবে। শিক্ষার বিষয়টা শুধু ধর্মদ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। অর্থ ও সামাজিক অবস্থানের সাথে এর সম্পর্ক অনেক। যেমন, বাংলাদেশে ইসলাম আসার আগে যদি বেশিরভাগ লোক হিন্দু ধর্মাবলম্বী থাকে, তাইলে ইসলামে যারা কনভার্টেড হবে, তাদের মধ্যে নিম্নবর্ণের ও সমাজে অপেক্ষাকৃত কম প্রতিষ্ঠিত মানুষই বেশি থাকবে। শিক্ষা আলটিমেটলি পণ্য।
একথা আমার স্বীকার-অস্বীকারে কিছু যায় আসে না। মিডিয়াই আছে একথা গিলানোর। আবার তার বিপরীত মিডিয়াও আছে ইসলামী বিজ্ঞানীদের গুণগান করার জন্য বা কুরআনকে সকল বিজ্ঞানের উৎস প্রমাণের জন্য। কয়েকদিন আগে কে যেন পোস্ট দিয়েছিলো, বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিক বেশি। কে কোনটা গিলবে, সেটা তার ওপর নির্ভর করে। শিক্ষা পণ্য যদি শুধু ধর্ম দিয়ে কেনা যেতো, তাইলে আমিও এই ফতোয়া গিলতাম।
যাহোক, এই পোস্টের প্রেক্ষিতে ইসলাম ভালো, না খারাপ - এই আলোচনা করতে ভালো লাগছে না। বিশ্বাসের ব্যাপারটা যার যার, তার তার। অবিশ্বাসের জন্য বা বিশ্বাসের জন্য কারো মাথায় বাড়ি না দিলেই হলো। সেই সাথে বাড়িটা যে দেয়, তাকে বাদ দিয়ে তার বিশ্বাসের ওপর দায় চাপিয়ে অপরাধীকে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে না দেয়া জরুরি। যার যার বিশ্বাসের দায়, তার নিজের। একইভাবে অন্যের সাথে আচরণের দায়ও তার নিজের। আরেকজন আমার মাথায় বাড়ি দিলে কপাৎ করে তাকে ধরবো, সে কোন বিশ্বাসের দোহাই দিয়ে বাড়ি দিতে আসছে, সেটা আমার দেখার বিষয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তাইলে এইবার সরাসরি কোরান থেকেই আয়াত তুলে দিলাম, তোর কিছু বলা লাগবে না। সূরা আল-বাকারা ১৭৮, ১৭৯ নম্বর আয়াত দ্রষ্টব্য। তবে তুই অবশ্য বলবি আগে ও পরের আয়াত না হলে আয়াতের অর্থ পরিষ্কার হয় না। তাই দুই রুকুর মাঝখানের সবগুলো আয়াতই তুলে ধরছি।
আয়াত ১৭৮, ১৭৯ তে কিসাস (প্রাণের বদলে প্রাণ) এর কথা স্পষ্টই বলা আছে। তোর কথাই ঠিক, কোরান বুঝতে আইন্সটাইন হওয়া দরকার পড়ে না। আর সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথাতেও আল্লাহর আইনের বাস্তবায়নের কথাই বলছে। আমি তো মনে করি সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথাই সঠিক। তুই ব্যাপারটিকে কোন রেফারেন্স, প্রমান ছাড়া বলে যাচ্ছিস এইগুলো সব ইসলামের নামে মানুষের আকাম।
তোর প্রতিটি মন্তব্যে অনেক নুতন কিছু জানতে পারছি। চিন্তা করে দেখ কি কি বলছিস শুধু একটি বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে রাখতে গিয়ে। সমস্ত জগতের একজন প্রতিপালক - তিনি শেষ একটা ধর্মগ্রন্থ পাঠিয়েছে, সেটাতেও আবার এতো রূপক দিয়ে রেখেছে যে তার প্রিয় নবীও সেগুলোর ব্যাখ্যা জানে না। তাইলে যে আরব জাতি এখনো সভ্য হয়ে উঠতে পারেনি, ইসলামের নামে এতো আকাম করে - সেগুলোর জন্যে তো তাগো দোষ দেওয়া যায় না। কি বলিস? দিলে তো তোর প্রতিপালককেই দিতে হয়।
আবার দেখ তিনিই বলেন যে কোরানকে সাধারণের জন্যে সহজ করে দিয়েছেন।
সূরা আল-ক্বামার (আয়াত ১৭)
জাকির নায়েকদের আর দোষ কই? এতো পরষ্পর বিরোধী আয়াত থাকলে তো যে কেউই তার যখন যেই আয়াত লাগবে সেটাকেই বেছে নিতে পারবে।
সেটাই। বাংলাদেশী মানুষ শুধু জুম্মার নামাজ পড়ে নিজেকে যতই মুসলমান দাবী করুক কোরান/হাদীসের নিয়মে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়। এবং সে কারণেই আমার সেই ৯০ ভাগ বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে তাদের কারণেই বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তান/আফগানিস্তান/সৌদি হয় নাই। এখনো দেশে বসবাস করা সম্ভব। ৯০ ভাগ মানুষের সেই কমনসেন্সটা আছে বলেই এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি। এখনো জামাত সরাসরি ক্ষমতা আসতে পারে নাই। এখন সেই কথাটা তুই বুঝলে আমি স্বস্তি পাই।
তোর সাথে সহমত। এই পোষ্টের প্রক্ষিতে আমাদের এই আলোচনা না করলে চলবে। পরবর্তীতে অন্য কোন পোষ্টে আবার আলোচনা করা যাবে। এই পোষ্টে এই বিষয়ে এটাই আমার শেষ মন্তব্য। ভালো থাকিস।
এই অংশটা পড়ে হাসলাম। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ যে সাচ্চা মুসলমান না, এটা নোতুন কথা না।
পাকিস্তানীরা একবার চেষ্টা করেছে, এখন জামায়াতে ইসলামীও চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাথে নাস্তিকদের ফতোয়াও যোগ হলে ইনশাল্লাহ ৯০% একদিন না একদিন সাচ্চা মুসলমান হয়ে যেতে পারবে, দেশে শরীয়াহ আইন কায়েম হবে।
কিসাসের আয়াতগুলোও কাজের। কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বাড়লো। সৌদির 'আল্লাহর আইন' যে কুরআনের ভাষায় 'সীমালঙ্ঘন' (১ জনের পরিবর্তে ৮ জন, মোটিভ নিয়ে সংশয়ের পরেও শিরোচ্ছেদ, জনসম্মুখে শিরোচ্ছেদ) এটা আরো ভালোভাবে বুঝলাম।
আল-ক্বামারের আয়াতটাও আল-ইমরানের আয়াতটাকে সমর্থন করলো, কমনসেন্সকেও সমর্থন করলো।
জাকির নায়েকের উদাহরণটাও দারুণ।
ভালো থাকিস।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
উপরের মন্তব্যটাই করি আবার। এই ৯০ ভাগের সেই কমনসেন্সটা আছে বলেই সেটা হবে না, হওয়ার দরকারও নাই। তবে নাস্তিকদেরকে পাকিস্তান/জামাতের এক কাতারে ফেলার একটা চেষ্টা করছিস দেখে আমিও হাসলাম । নাস্তিকেরা এই ৯০ ভাগকে সাচ্চা মুসলমান বানানোর জন্যে চেষ্টা করছে না, বরং তারা যেন এই কমনসেন্সটা হারিয়ে না ফেলে কতিপয় জোকার নায়েকের ব্যাখ্যায় সেটারই চেষ্টা করে। তাই এই দুই বিপরীতমুখী দল কিভাবে এক কাতারে চলে আসে বুঝতে ব্যর্থ হলাম। একই যুক্তি আগেও কোন এক মন্তব্যে করেছিলি। এইটা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের দাঁড়ি আর ছাগলের দাঁড়ি থাকার মতো যুক্তি হয়ে গেলো বন্ধু।
এর পরে বলার আর কিছু নেই। শুধু ভাবছি এই কথাগুলো অচ্ছ্যুৎ বলাই না বলে অন্য কেউ বললে এতোক্ষণে তার কি দশা হতো ।
বলছিলাম শেষ মন্তব্য। কিন্তু নিজের কথা নিজেই না রাখতে পেরে বড়ই শরমিন্দা। চল চুপ যাই।
ফেসবুকে অনেকে অনেকভাবে বিষোদ্গার করছে। ওপরের প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগ্লো।কিছু মানুষের বিবেকবোধ নিয়ে অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্যভাবে নাক সিটকানো হল। এখানে আমি একটি কথা বলতে চাই যে, অনেকে তাদের বিবেকবোধ থেকে তাড়না বোধ করে (কিংবা নিজেকে উন্নত জাত হিসেবে প্রতিভাত্ করার নিমিত্তে) ১৪০০ বছর আগে রাসুলের দেয়া হত্যার বদলে হত্যা বিধানটিকে ঘৃন্য বলে মন্তব্য করছেন। ওপরের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে এই বিধানটি কার্যকর হলে কেন এখনও ১৫৮ কিংবা ১৫০ জন কে মস্তকহানি করতে হয়? আমার বিশ্বাস এই বিধানটি প্রচলিত না থাকলে আরব দেশে বর্তমানে প্রচলিত অপরাধের চেয়ে আরো কয়েক হাজার গুন বেশি অপরাধ সঙ্ঘটিত হতো। তাই এই বিধানের পক্ষে অবস্থান নেয়ার মত ঘৃন্য, দুঃসাহসিক অমানবিক অপরাধ করছি আমি। যাদের পক্ষে সম্ভব তারা আমার মত শুওরের জাত (কিংবা আরো কত কি) কে ক্ষমাকরে দিবেন।
অনেকে আবার বলছে, একটা খুনের পরিবর্তে আট জনকে কেন মৃতু্যদন্ড দেয়া হল? আমি জানি না, আমার ভাই কিংবা নিকটাত্মীয় কাঊকে যদি ৮ জন লোক খুন করে তাহলে আমি কিন্তু ৮ জনের ই ফাঁসি চাইব, একজনের না।
তবে সৌদি আরবের বাদশারা এই ধরনের বিচার শুধুমাত্র গরিব দেশের লোকজনের ক্ষেত্রেই কেন কার্যকর করে? কেন বড় বড় দেশের অপরাধীরা অনেক অপকর্ম করেও পার পায়, তাদের কোন শাস্তি কেন হয় না? বিচারের বিধান যদি সবার জন্য সমান রাখা সম্ভব না হয় তাহলে তা বাতিল করা উচিত এবং সেক্ষেত্রে অন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কারন ধনী দেশের মানুষ যেমনভাবে মানুষ, গরীব দেশের মানুষগুলোও ঠিক তেমনিভাবে মানুষ। সকল মানুষের জন্য এক ই বিচারিক কায়দা হবে এটাই স্বাভাবিক।
অনেকে রাসূল (স) এর বিধান নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করছে। সৌদি আদালত রাসূলের (স) বিধান অর্ধেক মান্য করছে আর অর্ধেক করছে না । সুতরাং এটা ইসলামী আইন থাকছেনা । কারন ইসলাম সবার জন্য সম অধিকার এর কথা বলে এসেছে সব সময়। দয়া করে কেউ যাতে অজ্ঞতাবশতঃ ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে।
আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য না করা হলে তা অন্যায়। যেকেউ গর্হিত কাজ করলে তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য। এখন আমার কোন অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হলে আমি যদি প্রশ্ন তুলি অমুকের নানাও তো অপরাধ করেছিল- তা কি প্রাসঙ্গিক?? যতটুকু ভালো তাকে ভালো বলেছি, আর যা খারাপ তা সমর্থন করার কোন কারন নেই। রাজতন্ত্র ইসলামের সঠিক বিধান নয়। তবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় রায় কার্যকর করার বিষয়টি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ৮ জন অপরাধীর শাস্তি কোটি কোটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য ভূমিকা রাখবে। ইসলামের শাশ্বত বিধানের কিছুটা বলবৎ থাকার কারনেই সৌদি আরবে অপরাধের মাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে কম।
এই আটজনের অপরাধের একমাত্র প্রমাণ হলো তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, যা কিনা, উইলিয়াম স্যাম্পসনের ভাষ্যমতে, অধিকাংশ অভিযুক্ত দিয়ে থাকে অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে। এক্ষেত্রেও যে তা'ই ঘটেছে, তাতে কারুরই কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। অ্যামনেস্টি'র রিপোর্টটা আজ সকালে আমিও পড়েছি। ওই রিপোর্ট না পড়লে জানতেই পারতাম না যে, মিশরীয় ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড হয়েছিল একটা দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষে, যেখানে কিনা বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাথেই বরং ডাকাতদের সংঘর্ষ হচ্ছিল। এখন আমার বদ্ধমূল ধারণা- ওই মিশরীয় আসলে ডাকাতদলেরই সদস্য ছিল। ফলে তার মৃত্যু যদি বাংলাদেশীদের হাতেও হয়ে থাকে, তো সেটা তারা করেছে নিজ কর্মস্থল ও তার সম্পদকে ডাকাতদের হামলা থেকে রক্ষা করতে গিয়ে। ফলে, আত্মরক্ষার স্বার্থে অন্যকে আঘাত করাটা এমনকি আল্লাহ্র আইনেও অপরাধ হতে পারে না, কেননা, আল্লাহ্ই বলেছেন, জান বাঁচানো ফরজ। আমাদের দরিদ্র, অসহায়, বিশ্বাসী, নিরীহ এবং সরল-সাদাসিধা শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের রুটিরুজির সম্বল কর্মস্থলকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরা প্রাণ দিলো, আর ইসলামের ধ্বজাধারীরা নিজেদের অপকর্ম ঢাঁকতে গিয়ে অন্যায়ভাবে তাদের হত্যা করলো। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে কে? বিচার চাইবে কে? আল্লাহ্-রসুলকে আর কতকাল মক্কা-মদীনায় বন্দী করে রাখা হবে?
এইখানে (মন্তব্যের ঘরে) দেখুন আরো কিছু "পাক্কা মুসলিম"-এর কচকচানি:
http://my.telegraph.co.uk/jibon/sijibon/37/just-shocked-8-bangladeshi-people-beheaded-in-riyadh-publicly/
bro আপনার সব কথা সাথে আমি একমত কিন্তু “আল্লাহর আইন” কথা টার সাথে আমি এক মত না এখন যদি আমি এই বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করতে চাই, তাহলে অনেক কথা বলতে হবে,আমি ঐ দিখে যেতে চাই না,শুধু একটা কথা বলবো সৌদি আরবে আমাদের মতো গরিব দেশের মানুষরা বিচার পাই না কারণ তারা আইনজাবি নিয়োগ করতে পারে না এবং সৌদি আরবে বিচার নিরোপক্ষ না।আর একটা কথা না বল্লেনই সৌদি আরবে আমাদের ইসলাম র্ধমের লোকদের জন্য একটা খুব গুরুত্বর্পূণ স্থান কিন্তু ঐ দেশের নাগরিকরা আমার যানা মতে খুব বেশি পাপ করে কিন্তু তাদের শিরশ্ছেদ হয়না কেনো আপনারা কেউ বলতে পারবেন..???ANYWAY Bro “আল্লাহর আইন” কথা টা next time বলবেন না। আল্লাহ আইন করেছে ঠিক আছে,কিন্তু আমাদের মানব সমাজ এইটা কি ভাবে আইন টা প্রয়োগ করতেছে এইটা হচ্ছে কথা।আমি মনে করি আল্লাহর সব আইন যদি সঠিক ভাবে প্রয়োগ হতে তবে এই পৃথিবীতে খারাপ কিছু থাকতো না।
সুন্দর ও অসুন্দরের মিশেলে অনেক কথা লেখা হয়েছে উপরে। তবে আমার মনে হয়েছে ঘর তো পুড়েছে আট জনের, আর আলু পুড়তে জুটেছে এন্তার সুবিধাবাদী।
আসুন সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।
আপনাদের কারো বাবা মা ভাই বোন কে যদি ওই ৮ জন হত্যা করত তাহলে আপনারা এর চেয়ে ও নিষ্ঠুর শাস্তি দিতে দ্বিধা বোধ করতেন না ।যে লোকটা মারা গেছে সে ও তো কারো বাবা বা ভাই ।তাহলে তার হত্যাকারির কেন সুষ্ঠ বিচার হবে না???
চোর,খূনী যাইহোক তারা বাংলাদেশের নাগরিক। এ দেশে এনে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করা উচিত ছিল। সরকারের উচিত অচিরেই সৌদিআরবের সাথে ভারতের মতন একটি চুক্তি করা যাতে যেকোন শিরোচ্ছেদ দন্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশীকে দেশে এনে বিচার করা যায়।
হে আল্লাহ্, জীবনে যত পাপই করি, তুমি কোনওদিন পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম, বর্বরতম, ভণ্ডতম, পশুর ঔরসজাত জাতির দেশ, হাবিয়া দোযখের পার্থিব সংস্করণ চুদী আরবে পাঠানোর মত শাস্তি আমাকে দিও না। এরা এখনও চোদ্দশ' বছর আগের বর্বর অরাজক যুগে বাস করে। আমাকে যেন ইহজনমে এই পশুদের দেশে যেতে না হয়। আমিন।
ভাই আল্লাহ কিভাবে আইন তৈরি করলেন? নাকি তার নামে কোন অন্য কেহ লিখে আল্লার নামে চালিয়ে দিল? আল্লাহ কি আরবি জানতেন? কোরান আসলে কার হাতে লেখা হয়েছে? কার স্বার্থ রক্ষার জন্য? ছাগুদের রূপকথার জবাব আমার জানা আছে। একটা বাস্তব জবাব চাই।
ইসলাম মানে শান্তি । ইসলাম মানুষকে শান্তির পথ দেখায় ,মানুষকে ভুল সংশোধনের সুযোগ দেয় আমাদের নবীগন আমাদের তাই শিক্ষা দিয়েছেন ।কিন্তু এটা কি ?
ইসলাম অনেক পবিত্র একটা ধর্ম ,
আমার মনে হয় মানুষ ইসলামের অনেক নিয়ম কানুন জানে না যার কারনে আজ অনেকে ইসলাম ধর্মকে ভুল ব্যাখা করছে |
মন্তব্য গুলো দেখলাম। খুবই ভালো লাগল। সৌদি আরবের এ ঘৃণ্য পৈশাচিকতার নিন্দা জানাই।
শেয়ার দিলাম।
তবে সৌদি আরবের বাদশারা এই ধরনের বিচার শুধুমাত্র গরিব দেশের লোকজনের ক্ষেত্রেই কেন কার্যকর করে? কেন বড় বড় দেশের অপরাধীরা অনেক অপকর্ম করেও পার পায়, তাদের কোন শাস্তি কেন হয় না? বিচারের বিধান যদি সবার জন্য সমান রাখা সম্ভব না হয় তাহলে তা বাতিল করা উচিত এবং সেক্ষেত্রে অন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কারন ধনী দেশের মানুষ যেমনভাবে মানুষ, গরীব দেশের মানুষগুলোও ঠিক তেমনিভাবে মানুষ। সকল মানুষের জন্য এক ই বিচারিক কায়দা হবে এটাই স্বাভাবিক।as i do nourish the same opinion so Bangla lekhatuku churi korlam Soudi Govt. may also cut my hands
এখানে অনেক নীতিবাগীশ ৮ খুনী বাংলাদেশীর উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে বলে দাবী করছেন। তাদের এই দাবীর ভিত্তি কী? এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা কি অবহিত ছিলাম? এই আটজন কি আত্মপক্ষ সমর্থণের সুযোগ পেয়েছিল কি?
দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষে ঐ মিশরীয়র মৃত্যু হয়েছে জানা যায়, এই আটজন মিলেই যে তাকে খুন করেছে সেটা আমরা কি করে নিশ্চিত হলাম, ওখানে তো অন্য কোন আরবও জড়িত থাকতে পারে। আর এই ৮ জনকে তো, বিদেশী তার উপর বাঙ্গালী, ফাসিয়ে দিতেও পারে আরব অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য। আমি বলছিনা বাংলাদেশীরা অপরাধ করতে পারেনা। কিন্তু এই বিচারের যথার্থতা কতটুকু? এখানে অন্যায়কারীকে বাঁচানোর জন্য কেউ মায়াকান্না করছে না, নিন্দা জানানো হচ্ছে কোরবানের পশু জবাই, আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, হিন্দুদের কালি-মনসা পূজায় ছাগল বলি দেবার সময় এক কোপে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে ফেলার উৎসবের মত করে জঘন্য এই মানব-বলি প্রথাকে। এটা জনসমক্ষে করার উদ্দেশ্য নাকি মানুষকে অপরাধ করা থেকে বিরত রাখা। প্রকাশ্যে হাজার হাজার মানুষের সামনে একটা মানুষের হাত-পা বেঁধে জবাই করাটা কি সুস্থ বলে কেউ দাবী করবেন? আর ১৪০০ বছর আগে থেকে চলতে থাকা এই বর্বর শাস্তি কি আরবদের বা আরবদেশ থেকে অপরাধ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে?
অনেকে বলছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম-এ নাকি ক্ষমার কথাই বলা হয়েছে বেশী। আমাদের মহাগ্রন্থের ছত্রে ছত্রে অবিশ্বাসীদের ( যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী নয় মানে পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ) প্রতি যে হারে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে, এবং বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, তাদের হত্যা করতে, তাদের হাত-পা-মাথা কেটে আলাদা করে ফেলতে তাতে শান্তি কোথায় তা খুঁজে পেলামনা। মধ্যপ্রাচ্যের বেদুঈন একটা হিংস্র উপজাতি যারা খুন আর ডাকাতি করে জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করত তাদের সংস্কৃতি তো এমন হিংস্র হওয়াটাই স্বাভাবিক, আমি বলছিনা অন্য ধর্মগুলো ধোয়া তুলসিপাতা।
পৃথিবীতে এখন সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডও প্রশ্নাধীন, বিচার ব্যবস্থার সভ্য( civil) নিয়মকানুন রয়েছে, যদিও সেটাও সবখানে প্রয়োগ হচ্ছেনা, সেখানে প্রকাশ্যে মানুষ বলি দেবার মত ঘৃণ্য প্রথাকে যারা সমর্থণ করেন তারা বিকৃত মানুষ, তারা বিপদজনকও বটে। অপরাধীর অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিৎ, তবে সেটা অবশ্যই সভ্য পদ্ধতিতে, কোরানে যেভাবে বলা আছে হাতের বদলে হাত, চোখের বদলে চোখ এমনটি অবশ্যই নয়।
সৌদি আরব এবং তার বর্বর, কামুক, ভন্ড সংস্কৃতিকে আবারও ঘৃণা জানাচ্ছি।
বেশি বলে ফেললেন। সৌদি আর ইসলাম এক না। সৌদিয়ারব ইসলামী শরীয়া আইন পরাপুরি মেনে চলে না এইটা সৌদি আরবের নাগরিকরাও মানে। তাই ইসলামকে ট্যাগ করার কোন যুক্তি নাই।
এখন শরীয়া আইন ভাল না খারাপ সেইটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কিন্তু অপরাধ দমনে এর চেয়ে উপযুক্ত আইন কি আপনার কাছে আছে?? বর্তমান সভ্য(??) সমাজে যেসব আইন প্রচলিত,তা অপরাধ দমনে কতটা কার্যকর সেটা পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝা যায়। শরীয়া আইন পুরাপরি কার্যকর হলে অমানবিক কিছু হইত না।
সৌদি আরব, শিরোশ্চেদ, বাংলাদেশ, এম্নেস্টি ইন্টারন্যশনাল এবং নাস্তিকরা
এম্নেস্টি ইন্টারন্যশনাল তথা মানাবাদিকার সংঘটনগুলো নিয়ে। এরা যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের উন্নয়নের জন্যে কথা বলতো তাইলে তারা ইসরাইল যেভাবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতেছে অথবা উন্নত বিশ্ব ইরাক এবং আফগানিস্তানে, ভারত কাস্মির এবং বাংলাদেশের সিমান্তে, আরও অনেক দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করতেছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে খাওয়া-ঘুমানোর সময় পাইতো না। সব সময় মানাবাদিকার লংঘন বলায় ব্যস্ত থাকা উচিত ছিল।
আর নাস্তিকরাতো আরও একধাপ এগিয়ে বলতেছে যদি ইসলামি আইনে অপরাধিদের শাস্তি দিলে অপরাধ কমে যেত তাইলে ১৪০০ বছর ধরে অই আইনে সৌদি আরবে শাস্তি দিয়ে কেন অপরাধ বিলীন করা গেলো না। যদিও এই বাক্য তারা অনেক খারাপ ভাবে লিখেছে বিভিন্ন ব্লগে। আমি বলতে চাই ইসলামি আইন প্রয়োগ করলে অপরাধ বিলীন হয়ে যাবে এই কথা কোত্থেকে পেয়েছে। বরং ইসলামি আইন প্রয়োগ করলে অপরাধ অনেক কমে যাবে এই রকম বলা হয়ে থাকে। যার প্রমান স্বয়ং সৌদি আরব আর অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশ অথবা আমেরিকার অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা বিশ্লেষন করলেই পেয়ে যাবেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে আসামিদের উকিল নিয়োগ করতে দেয় নাই, বিচার হয়েছে আরবি ভাষায়। বিচারতো আরবি ভাষায় হবে। তারা নিশ্চয়ই বাঙ্গালীদের মতো আহাম্মক নয় যে, ব্রিটিশদের তৈরি করা নিয়ম মাফিক বিচার করে। ইংরেজিতে রায় দেয়, বিচারকরা শপত পড়ার সময় তাদের অনুসরন করে। তবে এইটা ঠিক, উকিল নিয়োগ না করতে দেয়াটা সত্য হলে অবশ্যি এইটা সম্পুর্নরুপে ইসলাম সম্মত বিচার হবে না। কিন্তু এই দাবি আরেকটি পত্রিকা(মানবজমিন ,ক্ষমা করেনি নিহতের পরিবার, রবিবার, ০৯ অক্টোবর ২০১১) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।
আমিও লেখকের সাথে একমত।সৌদি আরবে ইসলামি আইন চললেও তার সঠিক প্রয়োগ নেই।অনেকেই এই ঘটনায় ইসলামি আইনকে দায়ী করছে।কিন্তু দোষটা আইনের না আইন প্রয়োগকারীদের।
সুবিচার পায়নি
দয়া করে খারাপ চালক বসিয়ে গাড়ীর মান যাচাই করা থেকে বিরত থাকুন।
এখানেও কিন্তু সে বর্বরতার সমর্থন করে গেলো অনেকে! আরেকবার প্রমাণ হলো এই দেশে বর্বরতার সমর্থক আছে, আগেও ছিলো, সামনেও থাকবে। ঝাড়ে বংশে বৃদ্ধি পাবে আর আমরা দাঁত দিয়ে নখ ছিড়তে ছিড়তে তা দেখবো আর একটা সময় কিছুই দেখিনি বলে ঘরে ঢুকে নির্বিরোধী মানুষ হিসেবে নিজেদের জাহির করবো।
ব্লগাররা একজোট হলে সাম্প্রদায়িকতা আর মৌলবাদের নষ্টামী থমকে যাবার একটা পথ তৈরী হয়। আওয়ামী লীগ বিচার করবে এই ভরসায় থেকে থেকে নিজের বাড়ীর দেয়াল ভেঙে পাশের বাড়ীর দেয়ালে যেয়ে ঠেকতে আর বেশি দেরী নেই!
@ পরিকল্পনা-কেঃ " মানবাধিকার " মানে বুঝেনতো ভাইজান, বুঝিয়ে দিই, মানবাধিকার= মানুষের অধিকার। মানুষের অধিকার রক্ষা, সে মানুষ যে বর্ণেরই, অথবা যে ভাষাভাষিকই অথবা যে ধর্মবিশ্বাসীই হোকনা কেন, করার জন্য যাঁরা সোচ্চার তাঁদেরকে আমরা সাদামাটা অর্থে মানবাধিকার কর্মী বলি। মানবাধিকার কর্মী কিন্তু ঐ সকল ধর্মেই, সকল বর্ণেই এবং সকল ভাষাভাষিক আছেন। পৃথিবীর যে অঞ্চলেই মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তার প্রতিবাদ হয়েছে, এবং হবে। আপনি যদি সৎ পাঠক হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই দেখেছেন এবং স্বীকার করবেন যে ইরাক, আফগানিস্তান, কাশ্মীর, প্যালেস্টাইন বা (আপনার খুশীর জন্য) ইসলাম ধর্মপালনকারী মানুষ সংখ্যায় বেশী এমন দেশগুলোতে মানবতা যখন ভূলন্ঠিত হচ্ছে বা হয়েছে, মানুষকে যারা শুধুমাত্র মানুষ মনে করেন আপনার মত মুসলিম মনে করেননা, তেমন বিবেকবান মানুষেরা এমনতরো অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখরিত ছিল এবং আজো আছে সারা দুনিয়ায়। মানবিকতা ভূলন্ঠিত হচ্ছে পৃথিবীর আরো অন্যত্র; সর্বত্র; শ্রীলংকায়, আমেরিকায়, ভারতে, থাইল্যান্ডে,চীনে, বাংলাদেশে কোথায় নয়, এবং মানবাধিকার কর্মীরা এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছেই। কিন্তু শ্রীলংকা,আমেরিকা, ভারত আপনার চোখে পড়বেনা, ওখানের অত্যাচারিত মানুষগুলোকে আপনার চোখ হয়তো মানুষ হিসেবে দেখেনা। শুধু প্রথমে উল্লিখিত দেশগুলোই আপনার চোখে পড়বে, এবং কারণটা স্পষ্ট। দুঃখের বিষয় মানবাধিকার কর্মীরা তো আর বারাক ওবামা নয় যে তাদের অংগুলি হেলনেই সমস্ত কিছু থেমে যাবে।
যে সৌদি-আরব এবং তার নিষ্ঠুর ধর্মীয় রীতি পাথর মেরে মানুষ হত্যা করতে প্রনোদনা দেয়, প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করার মত বিভৎসতাকে শাস্তি হিসেবে দেখে, বহুবিবাহকে হালাল( দাসী, যুদ্ধবন্দী আর উপপত্নীদের কথা নাহয় বাদই দিলাম), নারীকে পুরুষের জন্য শষ্যক্ষেত্র হিসেবে ঘোষনা করে নারীকে মানুষের মর্যাদাই দেয়না যার ফলশ্রুতিতে সৌদি নারীরা মৌল সামাজিক অধিকারগুলো থেকে ( যেমন ড্রাইভিং, স্বাধীনভাবে অন্য যেকোন মানুষের মত কোন আড়াল ব্যাতীত ঘোরাঘুরি ইত্যাদি) বঞ্চিত , সেই সৌদি রীতি নীতি যে মানুষ-এর কতটুকু অমর্যাদা করছে এতগুলো বছর ধরে একমাত্র অন্ধ আর কালা না হলে যেকোন মানুষই তা অনুধাবন করতে পারে। সেই সৌদি রীতিকে সমর্থণ জানানো মানেই তো মানবিকতার বিরুদ্ধতা করা।
ইসলামি আইনের যথাযথ প্রয়োগ তো দেখেছি আফগানিস্থানের তালেবানদের হাতে, অনেকে আবার বলবেন ওটা ইসলাম বলেনা, ভাই কোরান-শরীফে তো ওরকমটাই বলা আছে। কোথাও বলেছে হত্যা করা পাপ, আবার অন্যত্র বলা আছে হত্যা করা অবশ্য কর্তব্য। সীমা লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির কথা বলা আছে, আবার অমুসলিমদের কল্লা কাটার জন্য সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করার নির্দেশ দেওয়াও আছে।
৮ জন বাংলাদেশীদের বলছিনা নির্দোষ, কিন্তু তারা যে আদৌ অপরাধী তার ভিত্তি কী? তাদেরকে যে মহান আরবরা ফাসায়নি সেটাও কে বলতে পারে? সৌদি নীতি বাংলাদেশীদের জন্য একরকম আর ব্রিটিশ বা ভারতীয়দের জন্য অন্যরকম কেন? প্যালেস্টাইন এ মানবাধিকার ভূলন্ঠিত যখন হয় তখন সৌদি আরব আমেরিকার সাথে তাল মিলিয়ে চলে কেন?
ইউরোপের অনেক দেশেই শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড উঠে গেছে। তবে প্রকাশ্যে পশু জবাই এর মত করে মানুষ জবাই করাকে যিনি সমর্থণ করছেন ধর্মের দোহাই দিয়ে সেই বর্বরতাকে দিক্কার দিই এবং সেই মানুষকে অন্ধই বলবনা শুধু, তিনি উন্মাদ এবং বিপদজনক ও বটে কারণ অমন করে অন্য একজন মানুষকে ধর্মের নামে জবাই করে ফেলতে তার হাত এবং বিবেক কাঁপবেনা কখনও।
মানবাধিকার মানে মানুষের অধিকার। ভালকথা।কিন্তু সব মানুষের অধিকার কি একই সাথে রক্ষা করা সম্ভব? একজন লোক আর একজনকে অন্যায়ভাবে খুন করে ফেলল।আপনি এখানে কার অধিকার রক্ষা করবেন?? যে খুন করছে, সে যদি মানবাধিকার কর্মীদের কাছে তার জীবনের অধিকার রাখে তো যে মানুষ টা কে মেরে ফেলা হল তার জীবনের কোন মূল্য নেই?? মিশরীয় লোকটাকে যে হত্যা করল, সেটা আপনাদের চোখে বর্বরতা না??? বাংলাদেশ সরকার তার পরিবারকে রক্তমূল্য দিতে চেয়েছিল,কিন্তু ওই লোকটার পরিবার সেটা গ্রহণ করেনি। খুনিকে মাফ করে দেওয়ার অধিকার মানবাধিকার কর্মীদের কি আছে???? নাই। যার আত্নীয় হারায়, সেই বুঝে। আমরা এই ৮ জনকে খুনের জন্য শাস্তি দেওয়াকে অমানবিক বলে ধিক্কার দিচ্ছি,আবার আমাদের রাষ্ট্রপতি যখন খুনের মামলার আসামিকে মাফ করে দেন তখনও ধিক্কার দিচ্ছি!!! তাহলে কেও খুন করলে তার কি করা উচিৎ তা আপনারাই বলে দেন।
আপনি নিজেই বললেন কোরানে এক জায়গায় হত্যা করা পাপ আর এক জায়গায় হত্যা করতে বলা আছে। তো এক্ষেত্রে কোন আয়াত কখন, কোন প্রেক্ষাপটে নাজিল হইছে তা একটু খোজ নিয়া দেখেন।(মনে হয় না আপনার এই ধৈর্য্য আছে।ইন্টারনেট আসাতে রেফারেন্স কোন ব্যপারই না। সার্চ করলে সহজে আয়াত পেয়ে যাবেন। কিন্তু এইভাবে সার্চ করে কি আর জ্ঞান অর্জন সম্ভব???কোরান ধৈর্য্য নিয়ে পরা, আয়াত গুলা বিশ্লেষণ করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। কোরান সমালোচকদের অধিকাংশই তা করে না।)
সৌদি আরব শরীয়া আইন পুরাপুরি পালন করছে না এইটা সৌদিরা নিজেরাই স্বীকার করবে। হিটলার যেমন খ্রীষ্টানদের প্রতিনিধিত্য করে না,তেমনি আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সৌদি আরবও ইসলামের প্রতিনিধিত্য করে না।
সংবাদ ও ডেইলি স্টার আজ সাহসী ও যথোপযুক্ত সম্পাদকীয় রচনা করেছে। সৌদি সরকারকে জোরালো প্রতিবাদ জানাতে হবে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের জন্য। কিছু সংগত প্রশ্নও তুলেছে তারা। যার সঙ্গে বহু মানুষ একমত হবেন। এই লেখাটির লেখককে জানাই ধন্যবাদ। আজকের তরুণরা তীব্র প্রতিবাদ জানালে আমাদের সরকারও বাধ্য হবে উদ্যোগ নিতে। এই সুযোগে আপনাদের অনুরোধ করি এ নিয়ে আরো লিখুন। আমাকে লেখা পাঠালে উপকৃত হবো।
মারুফ রায়হান, অনলাইন বাংলামাটি ম্যাগাজিন
সৌদি আরব আর ইসলামী আইন কতটা বর্বর সেটা কি আসলে মূল সমস্যা ??? নাকি আমাদের সরকারের ব্যার্থতা ছিল এই লোক গুলোকে উপযুক্ত সাহায্য করার ক্ষেত্রে??? অনেকেই এখন ইসলাম বৈজ্ঞানিকভাবে কতটা বর্বর সেটার বিজ্ঞাপন নিয়েই ব্যাস্ত; নিজের পশ্চাৎদেশের কাপড় আছে কিনা সেটার দিক খেয়াল নাই।
ঐ বর্বরদের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের মহান উদার মহামানবিক দূর্নিতিমুক্ত গণতান্ত্রিক (!??) সরকার (যে রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতার স্বাদ নিতে ব্যাস্ত থাকে--মানে বিএনপি/আওয়ামী/জামাতী/এরশাদি/বহুশাদি... সবাই) কতটা কর্তব্যনিষ্ঠা (!?) পালন করে সেটা এই ঘটনা থেকে অনেকটা পরিষ্কার হয়।
তারপরও কেন আমরা পারি না আমাদের দেশীয় এই বর্বর রাজনীতি থেকে বেরিয়ে দেশ আর দেশের মানুষকে ভালবাসতে? আমাদের নিজেরাও কি তাহলে বর্বর??
আর কত নিজেদের রক্ত দেখব আর রক্তাক্ত করব?? আর কত নিজের মায়ের সাথে বেঈমানিকে মেনে নিব??
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কোন ভাইয়ের কোন স্হানে আঘাত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত।
ফাশি তে মরা কিন্তু অনেক আনন্দের ! মাত্র ১২-১৫ সেকেন্দের জন্ত্রনা !
বিশ হাজার দুইশত ছত্রিশবার পঠিত!!! চার হাজার বার ফেসবুকে শেয়ার!!!
এটা সচলায়তনের সবচেয়ে বেশি পঠিত লেখা সম্ভবত!
চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে শক্তিশালী লেখনী।
উপসংহারঃ আখেরে নবির নিজের দেশেই আইয়ামে জাহিলয়াত শেষ হয়নাই।
তয় আমরিকায় কিন্তু আইয়ামে জাহেলিয়াত শেষ যা আমাগো দেশেও প্রবাহিত হইতে শুরু করছে। আমাগো দেশ এখন আইয়ামে আমরিকার ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে আছে।
আসেন আমরা সবাই আমরিকান নবির দেশ আমরিকায় চইলা যাই
এই হিসাবে তো ভাই সঔদি আরব আইয়ামে আমেরিকার প্রফেসর। থাইক আম্রিকা-ফাম্রিকা গিয়া লাস ভেগাসের স্লট মেশিনে ডলার ফেকার দরকার নাই। চলেন আমরা বরং আমেরিকান নকশায় বানানো শয়তানের পিলারে গিয়া বছর বছর কিছু রিয়াল ফিকি। ইয়া হাবিবি।
১। শিরোচ্ছেদ কেন করা হল? - কারন ওইদেশে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে।
২। মৃত্যুদন্ড দেওয়া হল কেন? - কারন ওইদেশে তারা একটি হত্যার সাথে জড়িত ছিল।
৩। একটি হত্যার পরিবর্তে আটজঙ্কে কেন মৃত্যুদন্ড দেওয়া হল? - হাস্যকর প্রশ্নটা অনেকেই মন্তব্যে করেছেন। দয়া করে বাংলাদেশে বিভিন্ন হত্যাকান্ডে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা দেখুন।
৪। তারা যে হত্যার সাথে জড়িত ছিলো তার ভিত্তি কি? - ৪-৫ বছর ধরে চলা একটি বিচার প্রক্রিয়া, যার বাদী আর আসামী দুপক্ষই বিদেশি সেখানে নিরপেক্ষ বিচার কেন হবে না সেটাই বুঝতে পারছি না। যা হোক যেহেতু জানি না তাই এই প্রশ্নে আমি নিরুত্তর থাকলাম।
৫। বৃটিশ নাগরিক যদি দেশে ফিরে আসার সুযোগ পায় তাহলে বাংলাদেশী নাগরিক কেন পাবে না? - আসল প্রশ্ন হল এইটা। কিন্তু এই দায়ভার কার? সৌদী সরকারের নাকি আমাদের পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতিনির্ধারকদের?
সৌদী সরকারকে রাজি না করাতে পারলে মিশরীয় পরিবারটিকে যে কোনো মুল্যে রাজি করানোর দায় কার ছিলো?
পত্রিকায় খবরটা পড়ে প্রচন্ড খারাপ লেগেছিলো লোকগুলোর জন্য, তাদের পরিবারের জন্য। সেই কষ্ট এখনও আছে। কিন্তু এই ঘটনায় সৌদীকে গালাগাল করে ব্লগে ফাটিয়ে ফেললে কতটা কি হবে? বরং আমাদের নীতিনির্ধারকদের চাপ দেওয়া যায় না প্রবাসী মানুষগুলোর ভালো-মন্দে আরও সম্পৃক্ত হতে?
শুরু হয়ে গেল বাঙালীর ত্যানা প্যাঁচানো। ভাইরে, যদি কোনো বাংলাদেশীকে কংগোর কোনো গহীন জংগলে 'ponga ponga until death' দেয়া হত, তাহলেও আমার কথা এক ই- এটা বাংলাদেশের দূর্বল পররাষ্ট্রনীতির অক্ষমতা।
অনেকে হজ্জ কে ব্যাবসা বলতে চাচ্ছেন ।এমন মনে হওয়ার কোন কারন আমি দেখি না ।প্রতি টি ধর্মেই এমন স্থান আছে জাতে গেলে পুন্য হয় ।
আমি কোনভাবেই মনে করি না যে সৌদি আরব একটা ইসলামিক দেশ। যারা এটা মনে করে তারা আসলে বড়ই দুর্ভাগা।
ভাই একদম ঠিক কথা বলছেন।
মন মেজাজ দুইটাই খারাপ হয়ে গেলো।
আমি এই নারকীয় হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই । কোন সভ্য জাতি এই ধরনের নারকীয় হত্যা কান্ড করতে পারে না । ইসলামের নামে এটি এক অমানবিক এক জঘন্য কাজ । বিচারের নামে এক প্রহশন মাত্র ।একটি হত্যা সংগঠিত করার জন্য ৮ জনের অধিক লোকের কাজ বলে আমি মনে করি না । আজ হতে ১৪শত বছর পূর্বে আরব ভুখন্ডে যে নারকীয় হত্যার প্রচলন ছিলো আজও তা বিদ্যমান আছে । আরবে পূর্বে যেমন দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার তা আজও চলে আসছে । এই নারকীয় গঠনা তাই প্রমান করে । আরববাসী শুধু ইসলামিক পোশাক ব্যবহার করে আসছে ইসলাম যে শান্তির ধর্ম তা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই । রাজকীয় জীবন ব্যবস্থা বাচতে তারা যে কোন জাতির সাথে শর্থে যেতে প্রস্তুত থাকে । আরব ভুখন্ড আমার কাছে প্রবিত্র মনে হয় কিন্তু ওই স্থানের মানুষগুলি শয়তানি কাজে বেশি লিপ্ত থাকে । অপ্রবিত্র এক জাতিতে পরিনত হয়েছে ।ইসলামের মুখোশধারি এই লোকগুলির জন্য আজও ইসলামকে শান্তির ধর্মের অবস্থা গঠন করতে পারা যায়নি । কোন হত্যা কখনো শান্তির ধর্মের কাজ হতে পারে না । ক্ষমা হল সবচে বড় । আমি ক্ষমার পরিবর্তে এই অমানবিক কাজের সমর্থন করতে পারি না । এই অন্যায় কাজ এখনি প্রতিহত করা দরকার ।
সুশীল সমাজ়ের কাছে আমার প্রশ্ন,কালকে আমাকে রাস্তায় কিছু সন্ত্রাসী জবাই করে গেলে আপনাদের মধ্যে কয়জন এর বিচার নিয়ে ব্লগ এ লিখালিখি করবেন আর কয়জন রাস্তায় নামবেন।আমরা বিচার চাই।অন্যায় যেই করুক আমার দেশি ভাই আর আপন ভাই তার বিচার করতে হবে।না হয় অন্যায় দিন দিন বেরে চলবে।আপনাদের সহানুভুতিতে এসব মানুষ দিন দিন প্রশয় পাচ্ছে।আপনাদের আশেপাশে যখন কতগুলো নারী পুরুষ শিশু জবাই হচ্ছে,টুকরা টুকরা হচ্ছে,বস্তায় ভরে লাশ পানিতে ভাসায়ে দেয়া হচ্ছে,কখনও বা লাশ খুজেই পাওয়া যাচ্ছেনা তখন আপনাদের বিচার বুদ্ধি কই থাকে।তখন কেন আপনারা এই সাধারন মানুষগুলোর বিচারের জন্যে তাদের পাশে এশে দাড়ান না।তাদের বিচার যদি দেশে হতো তাহলে তারা বিদেশে গিয়ে এত সাহস দেখাতে পারতনা।আপনারা শিরচ্ছেদ এর কথা বলছেন।আপনাদের কয়জন ওই দেশের শিরচ্ছেদ এর কথা জানেন।ওখানে অবশ করে শিরচ্ছেদ করা হয়।সেই ক্ষেত্রে ফাসিও যা শিরচ্ছেদ ও তাই।এটাতে এত অনুভুতি দেখানোর কিছু নাই।বরং এসব মানুষ অন্যকে যেভাবে হত্যা করে তার চেয়ে এদের মৃত্যুটা অনেক সহজে হয়।ওই দেশে তাও খুনের বদলে পরিবারকে ব্লাড মানি দেবার প্রথা আছে।আমাদের দেশে হলে উল্টা আরো তার পরিবার এর বেচে থাকাই কঠিন করে দিতো খুনীগুলো।রোজ রোজ ধ্মকি আসতো কেস তুলে নেবার জন্যে।ভেবে দেখেছেন এসব মানুষকে দেশে ফিরায়ে আনলে কি হতো।কোন এক রাষ্ট্রপতি এদের ক্ষমা করে দিতো একসময় আর এরা বুক ফুলায়ে হাটতো আর আরো খুন এ উৎসাহিত হতো। আপনারা কয়জন জানেন যে আপনাদের এই প্রিয় ভাই এরা বিদেশে গিয়ে কি সুনাম বয়ে আনছে।উনারা বিদেশে গিয়ে দা কুড়াল ছুরি নিয়ে লড়াই করে,কথায় কথায় বিদেশীদের মারধর করে।সউদি আরব জাতি হিসেবে খুব খারাপ এটা আমি মানি।যে দেশে মেয়েদের একা থাকা মিনিট এর জন্যেও সুরক্ষিত না,যে দেশে আমাদের মত দরিদ্র দেশকে অনেক ছোট করে দেখা হয় এবং প্রাচ্যের দেশগুলোকে সালাম করা হয়।কিন্তু এখানে প্রসঙ্গ আসছে ন্যায় বিচারের।তারা কার বিচার করছে আর না করছে এটা আমাদের দেখার বিষয় না।আমাদের দেখতে হবে আমরা সত্য পথে আছি কি না,আমরা অন্যায় এর বিরুদ্ধে কথা বলছি কিনা তাতে যদি অন্যায়কারি আমাদের নিজের দেশের ও হয় আমাদের তার বিচার করতে হবে।ঘটনাটা যদি উল্টা হতো তার মানে এই যে আমাদের দেশের কাউকে অন্য দেশের কেউ হত্যা করতো আর তারপর তার দেশ তাকে ছাড়ায়ে নিতো তার নিজের দেশে তাহলে কি আপনারা বেপারটা মেনে নিতেন? আমাদের আগে নিজেদের শুধরাতে হবে তারপর আমরা অন্যকে নিয়ে কথা বলবো।আগে আমাদের দেশের শখানেক খুনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে তারপর না হয় এই আটজনের শিরচ্ছেদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলবো।আমার এই লিখা কাউকে কটাক্ষ করে লিখা হয়নি।তারপর ও যদি কেঊ কোনও কারনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তো ক্ষমা করে দিবেন।
ভাই আপনাকে আরবে / আফগানিস্থানে পাঠানোর বাবস্থা করছি। ওখানে গিয়ে আল্লার আইন কায়েম করেন গিয়ে।
প্রশ্নটা যদিও সুশীল সমাজের কাছেই করেছেন কিন্তু প্রশ্নের মধ্যে 'ব্লগ' ঢুকিয়ে দেয়ার কারণে জবাব দিচ্ছি একজন ব্লগার হিসেবে। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যে বা যারা আপনার মতো করে ভাবছে বা ভাবছেন তাদেরকে ছাড়া বাকি সবাই এর প্রতিবাদ করবে। কাছাকাছি একটা উদাহরণ দেই, ভালো বুঝতে পারবেন। র্যাব এর বিচার বহির্ভূত ক্রসফায়ারের সমর্থনে কয়জনকে পাইছেন এই পর্যন্ত ব্লগে কিংবা রাস্তায়?
আপনাকে উলটা প্রশ্ন করি, আপনি কি এই শিরোচ্ছেদ এর ব্যাপারে আদৌ কিছু জানেন নাকি হুদাই ভ্যাণ্ডারা পিটাইতে আসছেন? চুরির দায়ে হাত কাটা হলে কেবল লোকাল অ্যানাস্থাশিয়া দেয়া হয়, পুরো না। আর শিরোচ্ছেদের সময়ে কোনো রকমেরই অ্যানাস্থাশিয়া দেয়া হয় না। নিজের টুপির ভেতর থেকে কথা বের করে রাস্ট্র করার আগে একবার আপনার পেয়ারের সৌদী আরবে শিরোচ্ছেদের কাজে নিয়োজিত এই জল্লাদের জবানীতেই শুনুন বাকিটা-
আপনার মন্তব্যের বাদবাকী অংশ নিয়ে বলার কিছু নাই। সেখানে কিছু ফাউল ম্যাৎকার ছাড়া অন্য কোনো কথাই খুঁজে পেলাম না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বক্তব্য সমর্থন করলাম । তবে, যদি এটি সত্যি হয় যে, (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভার্সন - সেই অ্যামনেস্টি যারা মুসলিম দেশে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে তা নিয়েই বেশী সোচ্চার হয় - ফিলিস্তিনিরা বা ইরাকীরা দলিত মথিত গলিত হলেও যাদের কন্ঠ থেকে একটা টু শব্দও বের হয়না ) বাংলাদেশীরা উপযুক্ত আইনি সাপোর্ট পায়নি বা এ ধরণের কিছু তবে তা নিয়ে প্রতিবাদ হওয়া উচিত । কিন্তু হত্যার শাস্তি হিসেবে শিরশ্চেদ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছু লোকজনের এত মাতামাতি দেখে অবাক হচ্ছিনা । এ নিয়ে সৌদি আরবের প্রতি কটাক্ষ করা, এমনকি পরোক্ষভাবে আল্লাহর প্রতি কটাক্ষ করা দেখেও অবাক হচ্ছিনা । আমাদের দেশেও তো এর চাইতে কম জঘণ্য ঘটনা ঘটেনা । তাই বলে আমরা পুরো দেশের মানুষ বাংলাদেশীরা তো এর দায়ভার নেবোনা বা এর জন্য কেউ পুরো জাতিকে গালিগালাজ করলে সেটি গ্রহণ করবোনা । একজন তো বলেই ফেলেছেন মুসলমানরা এ জন্যই সারা বিশ্বে ঘৃণার পাত্র । মজার বিষয় হচ্ছে যে, এর চেয়েও জঘণ্যতর কাজ করলেও ফিলিস্তিনের উপর নির্যাতনকারিদের বিরুদ্ধে এদের ঘৃণার বোতল হতে এক ফোটা ঘৃণা গলিয়ে বের হয়না । এরা বড়ই আজব।
বাংলাদেশী শ্রমিকদের কেউ কি ভাবে ট্রিট করে তার আগে আমাদের দেশের দিকেই তাকান। এখানকার গরীবদের বা শ্রমজীবি মানুষদের বা প্রলেতারিয়েতদের কিভাবে ধনীরা ট্রিট করে তা তো নিয়মিতই দেখছেন। এমনকি জীবনের একটি বড় অংশ যারা প্রলেতারিয়েত আন্দোলন করেছেন তাদের দিকেই তাকাননা । নাম বলবো নাকি দু' একজনের । কর্মজীবনে তাদের অবস্থা ইউরোপ অ্যামেরিকার পুজিবাদিরদের মতোই ।
আর আমার বড় করুনা হয় যখন দেখি অন্য ধর্মের লোকজন ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান এর প্রতি কটাক্ষ করে । হাজার হাজার বছর আগের প্রাচীন গ্রীক, রোমান আর বৈদিক যুগের রীতি নীতি, উৎসব, আইন কানুন তারা সহজে হজম করতে পারলেও মাত্র ১৪০০/১৫০০ বছর আগের কথা ভাবতেই তারা অজ্ঞান হয়ে যায় । তারা যখন বলে ১----------৪------------০----------------------------০ শত বছর আগের তখন ভাবটা এমন ১৪০০ লাখ বছর আগের। তাদের সময়জ্ঞান আর বিচারজ্ঞান দেখে বড়ই করুনা হয় ।
অভিযুক্তের আত্মসমর্থনের পুরো অধিকার ইসলাম দিয়েছে । কেউ যদি তা না দেয় তার পুরো দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। তাই বলে বিধানটিকে গালিগালাজ করার কোন মানে নেই । যারা ইসলামের দেয়া অধিকার হতে মানুষকে বঞ্চিত করে তাদেরকে সচেতন করতে লিখতে হবে, প্রয়োজনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, প্রতিরোধও করতে হবে।
হজ অবশ্যি একটা ভাল ব্যাবসা । অন্তত এখনকার অবস্থা বিবেচনা করে এর থেকে ভাল কোন শব্দ প্রয়োগ করতে পারলাম না ।
ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের অন্যতম একটি নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য কোনও পরিস্থিতিতেই মানতে পারছি না। আল্লাহ (আপনার ক্ষেত্রে আপনি যেই বিপ্লবীকে আদর্শ মনে করেন) আপনার সুবুদ্ধি দান করুন। সচল অনেক কিছুই মডারেট করে বা মন্তব্যকারীকে ব্যান করে, এ ধরনের মন্তব্যের ব্যাপারে কী নিয়ম তা আমি বুঝি না।
'শক্তিশালী কুটনৈতিক দক্ষতা দেখাতে পারলে হয়ত কথিত আট অপাধী মাফও পেয়ে যেতে পারতেন।
আল্লাহর আইনে শুধু শাস্তির বিধানই নাই বরং তারচেওয় বেশী আছে মানবিকতা, আছে কোমলতা। কিন্তু যারা আল্লাহর বিধান কার্যকর করেন তাদের অদূরদর্শীতার কারনে নিরাপরাধও অনেক সময় শাস্তি পায় আর আসল অপরাধিরা থাকে ধরা ছোয়ার বইরে। ঘটনার পিছনের ঘটনা কেউ জানতেও পারে না।
আট বাংলাদেশী ও দুই সৌদির বিরুদ্ধে যে কেসাস কার্যকর হল তারা দেখা যাচ্ছে গরীব প্রকৃতির। তারা যাদের অবহেলার কারনে অপরাধী হল তারা কিন্তু থেকে গেল ধরাছোয়ার বাহিরে। এজন্য আল্লাহর আইন দায়ি নয় বরং যারা আল্লাহর আইন কার্যকর করে তারাই দায়ি।
কেসাসে শুধু হত্যার বদলে হত্যাই একমাত্র বিধান নয়। রক্তের ক্ষতিপূরণেরও ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া ভিক্টিমের উত্তরাধিকারীরা ইচ্ছা করলে ক্ষমাও করে দিতে পারেন। আর ক্ষমা করে দেয়াই মহত্বের লক্ষন। আল্লাহ শাস্তিকে নয় বরং ক্ষমাকেই বেশী পছন্দ করেন। আল্লাহ চান অপরাধী তওবা করুক আর দুনিয়ায় শান্তি বজায় থাকুক। তারপরেও যদি কেউ চরম অশান্তি সৃষ্টি করে তখন দুনিয়ার আইনও তাকে রেহাই দেয়না।
আট বাংলাদেশীর শিরচ্ছেদের ব্যাপারে সৌদি সরকার বাই সিরিয়াল প্রথম অফশানই কার্যকর করেছে। আমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছি বলে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অফশান পর্যন্ত কেস গড়ায়নি।
কেসাস কার্যকর হওয়ার পরে তারা যখন মিডিয়য় প্রকাশ করেছে তখনই কেবল আমাদের টনক নড়েছে। হয়ত সরকারের টনক এখনও নড়েনি কারন যারা মরেছে ওরাতো শ্রমিক! ওদেরতো ভোটাধিকার নাই। ওরাতো সরকার বা বিরোধী দলের পক্ষে শ্লোগান দেয়না। নির্বাচনের সময় ব্যালট বাক্স ছিন্তাই করতে বা জ্বাল ভোট দিতেপারেনা। আন্দলন সংগ্রামে, হরতাল ধর্মঘটে জ্বালাও পোড়াওয়ে ওদের কোন ভুমিকা নেই। তাহলে এসকল অপদার্থ(!) শ্রমিকেরা মরল কি বাঁচল তাতে সরকার বা বিরোধী দলের কিছু যায় আসে না।
ওরা মায়ের পেট থেকেই অন্যায় শিখে আসেনি। খোজ নিলে হয়ত দেখাযাবে আটজনের মধ্যে সাতজন বা আটজনই গোবেচারা টাইপের।
দীর্ঘদীনের বঞ্চনা আর অভাবের তাড়নায় হয়ত ছোট্ট একটা অপরাধ করতে গিয়ে আর একটা বড় অপরাধ করে ফেলেছে।
মিশরীয় গার্ডের সাথে নিশ্চয়ই তাদের কোন শত্রুতা ছিলনা। এদেশে এসে কেউ শখের বসে চুরি করেনা।
যখন সে ভিসার পয়সা পরিশোধের কোন রাস্তা খুজে পায়না। যখন বাড়িতে বাবা-মা না খেয়ে থাকে। যখন টাকার অভাবে বোনের বিয়ে হয়না। যখন নববিবাহিতা স্ত্রী চলে যায়। যখন কফিল আকামা আটকিয়ে রেখে জোড় পূর্বক মাজরায় কাজ করায়। যখন এ্যামবাসিতে গিয়ে কোন প্রতিকার পায়না। তখন মানবাধিকার বলতে কিছু আছে বলেই সে ভুলে যায়। তখন তার মাথায় রক্ত উঠে যায়, মাথায় খুণ চেপে বসে! জীবন আর মরনের মধ্যে তখন সে কোন পার্থক্য করতে পারেনা। তখন নিজের অজান্তেই সে অপরাধে জড়িয়ে পরে।
সোনার ডিম পাড়া এসকল হাঁসের বাচ্চাদের বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সরকারের। অথচ এদের ব্যাপারে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। সরকার শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কত ডলার জমা আছে সেই হিসেব কষতেই সময় কাটায় আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে।
প্রবাসে আসার ব্যাপারে সরকারের যে কোন ভুমিকাই নেই সে খেয়াল টুকু নির্লজ্বদের নাই। ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা থেকে সৌদি আরবের আসতে যেখানে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয় সেখানে আমাদের সরকারের দক্ষতার(?) কারনে খরচ হয় কপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা। যাদের কারনে এ্যাম্বাসি আর পাসপোর্ট বিভাগ তাদের সাথেই এ্যাম্বাসির সাহেবেরা প্রভূসুলভ আচরণ করে!
সৌদি সরকারকে বা আমাদের সরকারকে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। দোষ আমাদের! আমরা কেন স্বেচ্ছায় সৌদিআরবের উন্নয়ন আর আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য মরুভুমিতে মাথা ঠুতে এলাম।
আজ প্রতিটা প্রবাসীর হৃদয়ে হাহাকার উঠেছে। ভাগ্যের ফ্যারে আমিওতো তাদের একজন হতে পারতাম। আল্লাহর আইন অবশ্যই অলঙ্ঘনীয় তবে সে আ্ইনে কঠরতার চেয়েও বেশী আছে কোমলতা। সবচেয়ে বড় কথাহল একজন মানুষকে যেন অপরাধ করতে না হয়, আছে সেই ব্যাবস্থা। তাহলে কোন সে কারনে আজ এতগুলো ছেলেকে হতে হল বলির পাঠা? এর উত্তর হয়ত কোন দিনও মিলবে না।
দুনিয়া ব্যাপি আল্লাহর বিধান কায়েম হোক। মানবতা মুাক্তি পাক আর অপরাধীর শাস্তি হোক এটাই কাম্য। তবে সেই আইন, প্রয়োগে অদক্ষতার কারনে যেন কোন নির্দোশের শাস্তি নাহয়।'
আমি আরমান রহমান আজকে ইসলাম ধরম ত্যাগ করলাম। আমিন।
এইটুকু অন্ততঃ আমরা করতে পারি।
আমিও লেখকের সাথে একমত.
আগে জানতাম বাংলাদেশে খালি পাকিস্তানি ছাগল ই আছে ,এখন দেখি খাটি সৌদি ছাগল ও কম না ,বরং আরো বেশি ..........এই ছাগল গুলারে তাগো সৌদি আব্বার কাছে গিয়া কল্লা দিয়া আসার অনুরোধ করা গেল। সব ছাগলের দল ...............
নারকীয়, পৈশাচিক বর্বরতা।
একদল এখানে ইসলামকে একহাত নিচ্ছে আর আরেক দল শিরোচ্ছেদের যথার্থতা বয়ান করছে। ইসলামিক জীবন ব্যবস্থা আর আজকের সৌদি আরবের আকাশ পাতাল তফাত। আসল ব্যাপারটা হল সৌদি আরব আমাদের রাষ্ট্রপতির অনুরোধ কখনই শুনবেনা, আমাদের কুটনিতিবীদরা সেটা ভালো করেই জানে,, ব্রিটিশ, আমেরিকানরা পার পেয়ে যাবে কারন সৌদি শেখও navy seals দের ডরান কিন্তু আমাদের বাংলাদেশিরা ধরা খেলে no dice.. এটা যখন পরিষ্কার, তখন ঘটিবাটি বেচে এই সৌদি আরবে মরতে না গেলে কি হয়? যারা দোষী সাব্যস্ত হলেন তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ যদি না থাকে তবে কোনো বাংলাদেশীই তো সেখানে নিরাপদ নয়। একইরকম ব্যাপার ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়, এবং তারা সৌদি আরবে এখন শ্রমিক পাঠানো থেকে বিরত থাকছে- http://www.reuters.com/article/2011/06/23/us-indonesia-saudi-workers-idUSTRE75M0NF20110623
আসুন আমরাও সামাজিক আন্দোলন করে সৌদি আরবে নতুন শ্রমিক পাঠানো থেকে বিরত থাকি,,দেশের জন্য কাজ করি, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার বিভিন্ন আনন্দ আছে।
যথার্থ আর সাহসী কথা।
হে আল্লাহ্, তুমি আমাকে এই বীভৎস আল্লাহর আইন থেকে রক্ষা কোরো। আমিন। যারা এই আল্লাহর আইন প্রয়োগ ও সমর্থন করছে, তাদের ওপর তোমার লানত বর্ষিত হোক। আমিন।
আমার মনের কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এক হারামজাদাকে দেখলাম somewhere in blog এর বাহবা দিচ্ছে এবং সাথে আরও কিছু সৌদি কুত্তাও আছে। বাংলাদেশীরা খারাপ এটা প্রমাণ করাই যেন এখন আমাদের passion হয়ে দাড়িয়েছে। ধিক ওইসব কুত্তা বাংলাদেশীদের যারা সৌদির গোলামী করে।
এই আলোচনায় কিছু পয়েন্ট মনে রাখা প্রয়োজন
১) কল্লা কাটা(প্রকাশ্যে হোক আর অপ্রকাশ্যেই হোক), ইলেকট্রিকিউট করা, ফাঁসি দেওয়া- সবগুলোই সমানভাবে নৃশংস। মৃত্যুযন্ত্রণার তুলনা করতে যাওয়াটাই আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়। মৃত্যুদন্ড নিজেই একটা অতি বিতর্কিত বিষয়। মৃত্যুদন্ড নিয়ে বিতর্ক আলাদাভাবে আরও জেনেরিক প্রেক্ষাপটে হতে পারে, কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত ঠিক কি কারণে এই আটজন বাংলাদেশীর মৃত্যদন্ড দেওয়া হয়েছে। এই পোষ্টেই তো যথেষ্ঠ তথ্যসহকারে দেখানো হয়েছে যে ওই ৮ জন বাংলাদেশী আদৌ খুন করেছে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। তার উপর সৌদি আরবে ফরেনসিক এভিডেন্সের উপরে সাক্ষ্যপ্রমাণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সৌদি আরবে অত্যাচারের মাধ্যমে কিভাবে সাক্ষ্য আদায় করে নেওয়া হয়, তা তো গার্ডিয়ানের নিবন্ধতেই বর্ণনা করা আছে(লেখক নিজেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জাতীয় টেলিভিশনে "অপরাধ" স্বীকার করেছিলেন)। টেকনিক্যালি, ওই মিশরীয় ব্যক্তির গায়ে কিংবা ব্যবহৃত অস্ত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এভিডেন্স কোন বাঙ্গালীর সাথে না মিললেও যেকোন তৃতীয় ব্যক্তির সাক্ষ্যই তাদেরকে মৃত্যদন্ডের ভিক্টিম বানিয়ে দিতে পারে। এরকম উত্তরাধুনিক বিচারব্যবস্থা আমাদের বাংলাদেশীদের বিন্দুমাত্র দরকার নাই, সৌদিরা মনের সুখে একে অপরের কল্লা কাটাকাটি করুক। বাংলাদেশের যেসব মিসকিনরা ব্লগে-ফেসবুকে সৌদিদের জন্য সেরেনেড লিখছেন, আপনারা সৌদিতে গিয়ে মরতে পারেন, নোবডি উইল মিস ইউ। দেশটা জামায়াত-শিবির আর মিসকিনদের কারণে দিনদিন পচে যাচ্ছে, এই সুযোগে কিছু মিসকিন রপ্তানি করা গেলে রোগমুক্তির প্রক্রিয়াটা ত্বরাম্বিত হবে।
২) এই কেইসে রাষ্ট্র কর্তৃক কয়েকজন বিদেশীর মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে। কল্লাকাটাকাটি সব দেশেই হয়, কিন্তু সৌদি আরবই বোধহয় একমাত্র দেশ যেখানে সরকার নিজ উদ্যোগে এই ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাছাড়া যত এফিশিয়েন্টলি কল্লা কাটেন না কেন, মস্তিস্কের মৃত্যুবরণ করতে এক মিনিটের কাছাকাছি সময় লাগে[http://www.capitalpunishmentuk.org/behead.html পেইজের একদম নিচের দেখুন]। সৌদিদের মুন্ডচ্ছেদের সাথে RAB এর ক্রসফায়ারের তুলনা করা হাস্যকর(যেটা অনেকেই ব্লগে-ফেসবুকে করছেন), বাংলাদেশে বিনা বিচারে ক্রসফায়ারে মারা তো আইনের অংশ না। RAB কাজটা অবৈধভাবেই করছে, এবং একারণে টেকনিক্যালি RABকে এপ্রেহেন্ডও করা যায়। সৌদি সরকারকে কে এপ্রেহেন্ড করবে? কিসের ভিত্তিতে করবে?
আপনার ৭৫% লিখার সথে একমত, তবে না বলে পারলাম না যে আপনি না জেনে ১৪শ বছরের আল্লাহর আইনের কথা বলেছেন। সৌদিতে ১৪শ বছর ধরে আল্লাহর আইন চলে আপনাকে কে বলেছে? ভালভাবে জেনে নিয়ে এসব মন্তব্য করা ভাল। সৌদিতে ১৪শ বছর ধরে আল্লাহর আইন চলে না, বরং সৌদি বাদশাদের কাটাছেড়া করা শুবিধামত আইন চলে। যেমন ধরুন আমাদের দেশে সম্পত্তির ভাগে কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রে মুসলমানদের বেলায় "আল্লাহর আইন" চলে, তাইলে কি সম্পত্তির ভাগ কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদ হয় না? এর কারন কি "আল্লাহর আইন"? নাকি "আল্লাহর আইন" এর অপব্যাবহার? শুধু গরু জবাই করব আল্লাহর আইন দিয়ে আর খাবার বেলায় মদ খেয়ে উল্লসিত পার্ঠিতে ওই মাংস খাব, তা কি হয়? সৌদি ও ঠিক এইরকম।
"আল্লাহর আইন" পুর্নংগ ভাবে পালন করলে এত সমস্যা হয় না।
বাকি আর কি বলব, আমাদের নতজানু পর-রাষ্ট্র নীতি আর সরকারের দুর্বল কন্ঠের কারনে আমাদের দেশের ৮ জন নাগরিক ন্যায় বিচার পায় নাই।
ঠিক, তালেবানরা যেভাবে পূর্ণাঙ্গরূপে পালন করে দেখিয়ে দিয়েছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঠিক কথা। শেয়ার দিলুম।
আমরা অনেক কিছু যাচাই না করে বিশ্বাস করি ,লেখক বলেছেন ১৪০০ বছর ধরে ইসলামী আইন কেন অপরাধ কমাতে পারেছে না ??? আপনি কি জানেন সৌদি আরবে সবচেয়ে কম অপরাধ সংঘটিত হয় ,আর আপনারা আমেরিকার আইন চানতো,জেনে রাখুন আমেরিকাতে প্রতিদিন ২৫০০ ধর্ষন মামলা হয়ে থাকে ।
এটিকে আমি বিচার বলবনা বিচারের নামে হত্যা একটি হত্যার জন্য ৮টি হত্যার গঠনা গটানু হল । আমি এই হত্যা কান্ডের তিব্র নিন্দা জানাই ।
কেন আমরা ঘটনার ঘটার আগে তৎপর হতে পারি না? খুব ভাল লাগলো আপনার লেখা পরে...
কেন আমরা ঘটনার ঘটার আগে তৎপর হতে পারি না? খুব ভাল লাগলো আপনার লেখা পরে...
মহান আল্লাহ্তাআলার ইচ্ছাতেই যখন সবি হয়, তখন মানবকৃত অপরাধের জন্য মানবকে শাস্তি দেওয়াটা কি অন্যায় নয়? মানব তো নিজ ইচ্ছাতে কিছু করছে না। আর সব কিছু যখন মহান আল্লাহ্তাআলার গোচরে, তখন তিনি অন্যায় হতে দেখেও সেটা থামাননা কেন?
মহান আল্লাহ্তাআলার ইচ্ছাতেই যখন সবি হয়, তখন মানবকৃত অপরাধের জন্য মানবকে শাস্তি দেওয়াটা কি অন্যায় নয়? মানব তো নিজ ইচ্ছাতে কিছু করছে না। আর সব কিছু যখন মহান আল্লাহ্তাআলার গোচরে, তখন তিনি অন্যায় হতে দেখেও সেটা থামাননা কেন?
আগামী শুক্রবার আরো তিন বাংলাদেশীর প্রকাশ্য শিরচ্ছেদ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে মর্মে ফেসবুকে দেখতে পেলাম। আসুন তার আগেই সবাই মিলে তিনটি দাবীতে সোচ্চার হই:
(১) বিদেশি নাগরিকের বিচার হতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে;
(২) শাস্তির বাস্তবায়ন হতে হবে নিজ নিজ দেশে প্রচলিত বিধানে;
(৩) মৃতদেহটি তার স্বজনদের নিকট স্ব-সম্মানে ফেরত দিতে হবে।
এ বিষয়ে সামহোয়ারে একটি পোস্ট দিয়েছি-
"আসুন আরব বর্বরদের ঘৃণ্য থাবা হতে বাকীদের মাথা বাঁচাতে তিনটি দাবীতে সোচ্চার হই"
নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি আর
ইসলামের নামে সৌদিদের বর্বরতার প্রতি জানাচ্ছি সুধুই ঘৃণা
বিচার প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ সন্দেহ নাই কিন্তু শিরঃচ্ছেদ করাটা বর্বরতা না, যদি তা ফাসির সাথে তুলনা করেন। কাউকে ফাসি দিলে সে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়, এবং মৃত্যু যাতনা সে পুরোপুরি অনুভব করে কারণ শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তার মস্তিষ্কের সাথে শরীরের যোগাযোগ থাকে। অপরপক্ষে শিরঃচ্ছেদ করা হয় ঘাড়ের পেছন থেকে, সর্বোচ্চ ধারালো অস্ত্র দিয়ে যাতে প্রথমেই মস্তিষ্কের সাথে শরীরের যোগাযোগ কেটে যায় এবং ব্যক্তির যন্ত্রণা কম হয়। কারণ nerve গুলো সব ঘাড়ের পেছন থেকে সারা দেহে যায়। শিরঃচ্ছেদ দেখার ব্যাপারটা দর্শকের জন্য পৈশাচিক মনে হলেও এটাই সবচেয়ে কম যন্ত্রণা দিয়ে হত্যার উপায়। কিন্তু যাকে ফাসি দেন সে তার যন্ত্রনা প্রকাশ করতে পারেনা তাই ব্যপারটির বিভীষিকা আমাদের নজরে পরেনা। আমার লেখার উদ্দেশ্য মোটেই কোন ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত প্রকাশ নয় বরং medical point of view থেকে প্রকৃত ব্যপারটা খোলাসা করা। এবার আপনিই ভাবুন, মৃত্যু দন্ড কার্যকরে কার কষ্টকে গুরুত্ব দেবেন-- দর্শকের নাকি যিনি victim হবেন তার?
NB: ন্যায় প্রতিষ্ঠা একদিন হবেই-- সেদিন বিকিয়ে যাওয়া এই সৌদি রাজত্বের পতন ঘটবেই।
দারুন লিখেছেন। লেখকের সাথে একমত। আর সৌদি শাষকদের জন্য রইল শুধুই ঘৃনা আর ঘৃনা......
অসম্ভব সুন্দর করে শক্তিশালী গাঠনিক আকার দিএ গুছানো একটা লেখা। শেষের লাইন টা পরে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না । - লাল কৃষ্ণচূড়া
আরব দেশে শিরচ্ছদ নিয়ে সবাইকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। আমি ভাই সহজ সরল মানুষ। একটা কথা বুঝে আসছে না সবাই বেশ মানবাধিকার, বর্বরতা ইত্যাদি বলে ফাটাচ্ছনে। এসব ভাল। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকে যায়।
* এই শিরচ্ছেদ করা তো সেই দেশের আইন। যা কিনা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সুতরাং অপরাধি প্রমাণ হলে ঐ দেশের আইন দিয়ে বিচার হবে। বাংলাদেশে ফাসি হয়। এ দেশে অপরাধী প্রমাণিত হলে সে অনুযায়ী শাস্তি হয়। আর মৃত্যু তো মৃত্যুই। আমরা সবাই শাস্তি নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু অপরাধ বা অপরাধী নিয়ে কেই কিছু বলছিনা। সেখানে বলা হয়েছে, একজন মিশরীকে হত্যার অপরাধে এক বাংলাদেশী যুবকের শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। তো একজন বাংলাদেশী যখন ঐ মিশরের মানুষকে খুন করেছে তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার? কোথায় ছিল বর্বরতা। নিজেদের অপরাধ নিয়ে কেউ কিছু বলছেনা। চিল্লাচ্ছে পরের দেশের আইন নিয়ে। পরোক্ষভাবে গালি দিচ্ছে একটি ধর্মকে। শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের ফাসি হয়েছে। এখন যদি আমি বলি ফাসি দেয়াটা ছিল একটা বর্বরতা, তবে কি তা মেনে নেয়া যায়? আমরা এতো প্যাচাল পেড়ে ঐ দেশের আইন কিন্তু পরিবর্তন করতে পারবনা। তাই সচেতন হতে হবে আমাদেরকেই। (বি: দ্র: আমি আরব দেশের এই আইন সমর্থন করছিনা আবার সর্র্থন না করে উপায়্ও দেকছিনা।)
* আরেকটি বিষয় থেকে যায়। আরবে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রদূত সাহেব কি করছিলেন? তিনি আর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি পারত না ঐ ৮ যুবককে দেশে ফিরিয়ে নিতে। ভারত নিতে পারলে আমাদের সমস্য কোথায়। সরকারের কিছু কেনা বুদ্ধিজীবি এই বিষয়টি ধধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বর্বরতা বর্বরতা করে গলা ফাটালে অবাক হবোনা......... আরো অনেক ছোট ছোট কথা আছে মনে। আজ আর লেখার সময় নেই। সবাই ভাল থাকুন।
একট জিনিস বুঝলাম, "আল্লাহর আইন এতই জটিল যে 'কাহারও' পক্ষে সঠিক ভাবে প্রয়োগ সম্ভব নহে"। 'কাহারও'র মধ্যে মনে হয় আল্লাহও অন্তর্ভুক্ত! তাহা হইলে এই জিনিসের দরকার কি? জাদুঘরে রাখার সময় হয়েছে।
যারা শিরচ্ছেদ এর বিরুদ্ধে ব্যপক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, সেই মিশরীয় নাগরিক যদি বাঙালি হত, আর খুনিরা অন্য দেশী হত, তাহলে আপনার অবস্থান কোন দিকে হত? কোনটা বেশি অমানবিক হত? খুন না বিচারব্যবস্থা?
যারা শিরচ্ছেদ এর বিরুদ্ধে ব্যপক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, সেই মিশরীয় নাগরিক যদি বাঙালি হত, আর খুনিরা অন্য দেশী হত, তাহলে আপনার অবস্থান কোন দিকে হত? কোনটা বেশি অমানবিক হত? খুন না বিচারব্যবস্থা?
দু'টোই ।
বুঝলাম সৌদী বিচার ব্যবস্থা ভাল না। তাই অনেক কিছু করার আছে আমাদের এবং সরকারের।
তাই বলে শিরচ্ছেদ এর ব্যপারটা বরবর, অমানবিক এসব বলে পশ্চিমা বিশ্ব যে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় এটা কি খুব ভাল করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাধী / খুনীরা জামিন পেয়ে যায় বা সরকারের বদৌলতে ক্ষমা পেয়ে যায় আরও কত কি.....
আর শাস্তি দেওয়ার চেয়ে বড় ব্যাপার হল যেন অন্যরা শাস্তি দেখে শিক্ষা নেয় যাতে মানুষ সেই অপরাধ কর্ম থেকে বিরত থাকে। এখন সেটা শিরচ্ছেদ হোক বা ফাসি হোক দুটোই বরবর। একটু কমবেশী এই আরকি। কিন্তু আমার মনে হয় শিরচ্ছেদ থেকে ফাসিতে বেশী কষ্ট হয়।
যাইহোক শিরচ্ছেদ ১৪০০ বছর আগের অমানবিক এসব ফালতু কথা বলে লাভ নেই। বিচার ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। এটাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।
সৌদি আরবে সরকারীভাবে যা কিছু ঘটে সবই তো আল্লাহর আইনে ঘটে, সৌদি আরব ছাড়া বিশ্বে আরও ইসলামী দেশ আছে, সে সব দেশে এরকম শাশ্তির জন্য শিরশ্ছেদের কথা শোনা জায় না কেন ? তাহলে সেসব দেশ কী ইসলাম থেকে সরে এসেছে ? অবশ্যই না ! তাহলে মৃত্যুদণ্ড শিরশ্ছেদ ছাড়াও বাস্তবায়ন করা যায়। সউদী শাসন ব্যবস্থা কী শতভাগ কুরআনের আইনে চলে ? মনে হয় না । কারণ আধুনিক একটি দেশ শাসন করতে হলে বাস্তবানুগ অনেক আইন প্রয়োজন, পবিত্র কুরআন (আসমানি কিতাবে ) ব্যতিত মজলিশে শূরাকেও সেসব আইন প্রনয়ন করতে হয় । তাহলে মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের জন্য ,অপরাপর ইসলামী দেশের মতো একটি আইন প্রণয়ন করতে বাঁধা কোথায় ? সউদিতে নারীর ভোটাধিকার নেই, নিশ্চয়ই তা আল্লাহের আইন অনুসারেই নেই ! সেখানে এতদিন পরে হলেও মজলিশে শূরা সম্প্রতি নারীর ভোটাধিকার অনুমোদন করেছে ! এ ক্ষেত্রে তো অবশ্যই বলা যায় যে, আল্লাহর আইন বা নির্দেশনার বাইরেও ইসলামে ন্যায্যতার আদর্শ ঠিক রেখে অপরাপর সভ্য দেশের মতো মানবিক আইন প্রনয়ন করা যায় ! আমি ধর্মের বিরূদ্ধে নয় বরং ধর্মের মূল আদর্শ "ন্যায্যতা ও সমতা" ঠিক রেখে সউদিতে আধুনিক গনতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের সহায়ক আইন , শাসন ও বিচার ব্যাবস্থা গড়ে তোলা বা গড়ে তলার পক্ষে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের জন্য সকল কে সাধ্য অনুসারে কাজ করে যাবার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি !
তোফাজ্জল হোসেন
আমি একজন প্রবাসী বাঙালি ...আমার এখানে অনেক বন্ধু সৌদি সরকার এর আইনের প্রতি থু থু ...!!!
Might It Right !!!!
we hate the system of arabic low if thats the islamic low ...i don't care!!!!
it should be change as soon as possible early For every where !!!
"""শরীয়া আইন নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক""
কি বলব? অনেক রাগ হয়েছে ঃ-@
ঘটনাটি ব্যদনা দায়ক কিন্তু আমরাই বা কত খানি সুষ্ট বিচার নিয়ে বসে আছি। আর থাকলো ববৃটেন বা আমেরিকা তাদের মত আর আমাদের শক্তি আছে কি ? পৃথিবী তো শক্তিধরদের কথা শুনে । আমরাও তো ভূল করেছি। তা আমাদের ভাবতে হবে। আমাদের নাই ঐক্যমত, নাই ন্যায়ভিত্তিক কথা, আমরা তো নিজরাই জানি না যে আমি আমারদের মাতৃ ভুমি কে কতটুকুই বা ভাল বাসি, শক্তিধর দের তালে তালে আমরা কি কথা বলছিনা।
বাক্যটি পড়ে আবেগতাড়িত হলাম।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন