স্কুল পালানো কিশোর
স্কুল পালিয়ে খেলতে যাওয়ার মুহূর্তে রতন তার বাবাকে দেখে অন্য একজন মহিলার সাথে রিকশায় চেপে কোথায় জানি যাচ্ছে, তার মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠে আর এই হাসির পেছনের কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যায় এভাবেই স্কুল পালিয়ে যাওয়ার সময় সে তার মা'কে দেখেছিল অন্য কোনো পুরুষের সাথে এবং তখন তার মন খারাপ হয়েছিল আর এখন মন খারাপে কাটাকাটি হয়ে সে সাম্যবস্থায় উপনীত হয়ে তৎক্ষনাৎ সিগারেট ধরাতে কোনো ভুল করে না।
ডাস্টবিন
ডাস্টবিনের পাশে একটা বাচ্চা আর কুকুরকে হোটেলের ফেলে দেওয়া খাবার একসঙ্গে খেতে দেখে একটু দূরে ফ্ল্যাটবন্দী স্বাস্থ্যবান শিশুটি হেসে গড়াগড়ি খায় যে কি’না কিছুক্ষণ আগে তার ভাই এর সাথে চিকেন ব্রোস্ট খাওয়া নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিল এবং এখন ডাস্টবিনের দৃশ্যটি দেখে তার ভাই এর কাছে হেরে যাওয়ার দুঃখ ভুলে গিয়ে সে মা’কে ডেকে নিয়ে আসে, নিয়ে এসে বলে দেখো মা-কী ন্যাস্টি! তখন পথশিশু আর কুকুর একসঙ্গে ভাগাভাগি করে কিছু একটা খাচ্ছিল এবং মা বলে ওঠে worthless people।
তারা
নয়মাস বয়সী বাচ্চাটির চারপাশে তার স্বজনেরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, বাচ্চাটি কিছু বুঝতে পারছিল না তবে তার মনে পড়ে কিংবা বলা যায় তার মাথার ভেতর ছবির মতো কিছু দৃশ্য ভেসে আসতে থাকে যে ক’দিন আগে তার দাদার পাশেও এভাবে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল, দাদা আর কথা বলেনি, ওকে আর কোলে নেয় নি কারণ দাদাকে একটি সাদা কাপড়ে আচ্ছাদিত করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যদিও বাচ্চাটি তার মানে বোঝেনি কিন্তু এখন হঠাৎ করেই তার মা বলে ডেকে উঠতে ইচ্ছে করে, সে পারে না, সে মা ডাকতে শিখেনি,হয়ত সে বলত কোনো একদিন কিন্তু তার আগেই তাকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেলা হয় এবং এই ধরনের কথা শোনা যেতে থাকে যে সেদিন আকাশে নাকি একটি তারা বেশি দেখা গিয়েছিল।
( অণুগল্প লেখার প্রথম প্রয়াস)
----------------
রিশাদ ময়ূখ
মন্তব্য
হুম্ম, চালিয়ে যান ভাই , ভালোই লাগলো।
এটা নিরীক্ষা। মনে হয় না চলবে। হতাশ হন নি দেখেই খুশী
প্রথমটা চুড়ান্ত mind-blowing হয়েছে। এক বাক্যে পুরা একটা উপন্যাস লিখে দিলেন!
প্রথমটা আমার বেশি পছন্দের। অনেক বড় গল্প আছে
রিশাদ ভাই এইরকম এক্লাইনে সাঁটে মেরে কেটে পড়লেন! বড় গল্পটা শুনতে চাই।
পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। বড় আকারে গল্প লিখতে যে পরিমাণ মনোযোগ দাবি করে তার ছিটেফোটাও দিতে পারব না বিধায় দিচ্ছি না। সামনে নিশ্চয় আসবে
থ্যাঙ্কস
দেখার দৃষ্টিভঙ্গী অসম্ভব সম্ভাবনাময় লাগলো!
এই সময়টাতে শুধু নিজের মনের কথা শুনে যেতে হবে, নিজের জীবন থেকে শিখে বলছি। মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য, সমালোচনা আর সর্বোপরি প্রশংসা কাবু করে যেতে চাইবে। আমি খুব করে আশা করবো আপনি যেভাবেই লেখুননা কেন, দৃষ্টিভঙ্গীর জায়াগাটা যাতে অটুট থাকে। অনেক শুভেচ্ছা রইলো রিশাদ_ময়ূখ!
অনেক ধন্যবাদ তানিম ভাই। খুব সম্ভবত ব্যাপারটা মানে নিজের মনের কথা শুনে যাই বলেই এই ফরম্যাটে লিখেছি। এই ধরনের মন্তব্য পেলে উৎসাহ, সাহস বেড়ে যায়
ভাইয়া, যদি কিছু মনে না করেনা আরেকটু কথা বলি। দৌড়ের উপর আছি, কোন পোস্টে মন্তব্য করতে পারছিনা কিন্তু আপনার এখানে করবো।
মনের কথা শুনে যান জেনে খুব খুব ভালো লাগলো, এটা আমি নিজেও করি .... মনের উপর জোর করিনা .... কিন্তু ফরম্যাট বলে কোন কিছু নেই, সবার নিজ নিজ বহিঃপ্রকাশ তার তার মত করে হয়; আপনার হাত ধরে নতুন ফরম্যাটের জন্ম হোক!। আমি আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর কথা বলেছি, আমি চাই সেটা আপনি সবরকম সমালোচনা কিংবা প্রশংসার মধ্যেও ধরে রাখুন - একটি বিষয়কে একই সময়ে সম্পূর্ণ বিপরীত কিংবা আলাদা দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারার একটা সক্ষমতা আপনার আছে - দ্বান্দ্বিক পৃথিবীতে এটা খুব প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ এক কথায় ভাব প্রকাশ করতে পারেনা, ভাব সম্প্রসারিত হয়ে যায়। আপনি পারছেন, ধরে রাখুন এই পারাটা, টলে যেয়েননা , অনন্যতার জায়গায় মানুষকে অটল থাকতে হয়!
আমি আপনার লেখা আগেও পড়েছি, এই অনন্যতার জায়াগাটুকু আমাকে আকৃষ্ট করেছে, অনেক সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে - আমি ভষ্যিতের দিকে তাকিয়ে রইলাম। কেন যেন মনে হচ্ছে হতাশ হবোনা
আদ্যোপান্ত শুভেচ্ছা রইলো!
আপনি যেভাবে বললেন, সেভাবে আমি ভেবে দেখি নি। অনেকদিন ধরেই ব্লগে লিখছি। সচলে নতুন। এই ধরনের সুন্দর মন্তব্য পেয়েছি বলে একদম-ই মনে পড়ছে না। আপনার আশা, নিজের আশা সব পূরণ করতে পারব এই আশাই করি
১ম টা হৃদয় এফোঁড় ওফোঁড় করে যায়।
৩য় টা কাঁদালো।
গল্পে ঠাঁসা একটা জীবন। চমৎকার।
নিরীক্ষা ভালো লেগেছে দেখে আনন্দিত করল।
০১
খুবই অপছন্দনীয় সত্য। আমি এই বিষয়টা(তদসংশ্লিষ্ট খবর/ঘটনা/গল্প) এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি।
০২
নির্মম বাস্তবতা।
০৩
বেশি জমে নি ব দাগ কাটে নি মনে হল।
অটঃ আমি 'ক্ষুদ্রাণুগল্প' বলতে চাই। অণুগল্প কি আরেকটু বিশদ হব না? তুই গল্পকার, ভালো বলতে পারবি!
_____________________
Give Her Freedom!
আমি তো ইলেক্ট্রন গল্প বলতে চাইলাম আরো
একটু ভিন্নভাবে কিছু বলার চেষ্টা। এই প্রথম এইভাবে লেখা। আরেকটা কারণ হলো, বড় গল্প লেখার জন্য মনোযোগ দিতে পারছি না।
ভালো থাকিস
"ইলেক্ট্রন গল্প" ভালো শোনাচ্ছে তো।
লেখার চেষ্টা ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই কিন্তু।
পড়াশোনা আগে তারপর সব।
ভালো লাগল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
থ্যাঙ্কস। ভালো থাকুন
ভালো লেগেছে রিশাদ, আরো লিখুন।
অবশ্যই লিখব। থ্যাঙ্কস
মন ছুঁয়েছে... চালিয়ে যান...
থ্যাঙ্কস
শেষ গল্পটা অদ্ভুত ভাল লেগেছে, কেউ ৯মাস কেউ ৯০ বছরের জীবন পায় কেন?
আর কেউ কেউ একদম-ই পায় না
শেষ গল্পটার শেষ লাইনটা মনে গেঁথে যায়।
facebook
আমরা বেশিরভাগ সময়েই বলি। ভাল। অনেক সময়ই বলি... খুব ভাল। আসলে এই শব্দগুলো বললেও - বেশিরভাগই আসলে কিচ্ছু বলি না। আমরা প্রথা পালনের জন্য বলে যাই।
আপনার গল্পগুলো ভাল লেগেছে। এটা প্রথাসিদ্ধ বলার জন্য নয়। আসলে ভাল লেগেছে। অণূগল্প শব্দটার সাথে আমার মাথার মধ্যে কাফকার নামটি লাফ দিয়ে ওঠে। জেন গল্পগুলো জানালা দিয়ে উকি দেয়।
আপনি যদি এই ধারার গল্পগুলো আরও লিখে উঠতে পারেন - একটু মনোযোগ দিয়ে, হাততালির দিকে না তাকিয়ে, তাড়াহুড়ো না করে... (ছোট বলেই লেখাটা সহজ নয়, সময় লাগে সঠিক গল্পটা খুজে বের করে আনতে...)
তাহলে সম্ভবত অণুগল্পের প্রসঙ্গ উঠে আসলেই - একদিন আপনিও মাথা দোলাতে দোলাতে......
ছোট বলেই সমস্যা,লেখা অনেক কঠিন। হয়ত লিখব মাঝে মাঝে। উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নতুন মন্তব্য করুন