আবদুলের নামটি তাহার পিতামহ যথার্থই রাখিয়াছিলেন। তাহার নিয়তিতে যে বেদুইনের দেশে দাসত্বই প্রকটাক্ষরে লিখিত ছিল, তাহা মুরুব্বিগণ পাঠ করিতে না পারিলে কে পারিবে?
অতএব কোনো এক হেমন্তের রাতে কৃষিজমি বন্ধক রাখিয়া অর্জিত অর্থ দালালের হস্তে সমর্পিয়া বেদুইনের দেশগামী একটি জাহাজে চড়িয়া বসিল আবদুল। বেদুইন বন্দর বালছালাহ বরাবর সেই পোতের নাক ঘুরিবার সময় আকাশের শুকতারা আবদুলের দিকে চাহিয়া চক্ষু মিটমিট করিল। আনপঢ় আবদুল নক্ষত্র বা বেদুইন, উভয়ের ভাষায় সমান অদক্ষ, কাজেই সে মজবুত করিয়া গলুইয়ের একাংশ ধরিয়া যাত্রাকাল পার করিবার এন্তেজাম করিল শুধু। শুকতারা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া পাশ ফিরিয়া শুইল।
বালছালাহতে পদার্পণ করিবার পর আবদুলের কাগজপত্র দেখিয়া তাহার নিয়োগকর্তা তাহাকে ধরিয়া একটি উষ্ট্রচালিত শকটে খেদাইয়া তুলিল আরো কয়েকজন কর্মীর সহিত। তারপর সেই শকট মরুর বুক চিরিয়া চলিতে লাগিল, গন্তব্য মরুর বুকে কোনো এক মরুদ্যান শহর আল-গোমারাহ।
আল গোমারাহে পৌঁছিতে না পৌঁছিতেই আবদুলের নিয়োগকর্তা একটি পাজন হস্তে সকল কর্মীকে ব্যাপক হুড়া লাগাইলেন। রাখালতাড়িত ছাগের ন্যায় ছুটিতে ছুটিতে তাহারা একটি বাথানে ঢুকিয়া পড়িল। সেইখানে একপাশে ভেড়ার খোঁয়াড়, খোঁয়াড়ের এক কোণে ভেড়ার রাখালের খোঁয়াড়, তারই একটি সংকীর্ণ শয্যায় আবদুলের স্থান হইল। নিয়োগকর্তা একটি খর্জুরের রুটি আর একটি মৃৎপাত্রে পানি দিয়া আকারে ইঙ্গিতে তাহাদের দায়িত্ব এবং হাতের পাজন তুলিয়া প্রত্যেকের কুক্ষিদেশে গুতা মারিয়া সেই দায়িত্ব পালনে অপারগতার শাস্তি বুঝাইয়া দিয়া কাটিয়া পড়িলেন।
সেই হইতে আবদুল ভোর হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত দূর পাহাড়ের উপত্যকায় ভেড়ার পাল চরাইতে লইয়া যায়। তাহার কাগজপত্র সবই নিয়োগকর্তার হাতে জব্দ। তনখা যত মিলিবে বলিয়া তাহাকে দেশীয় দালাল আশ্বাস দিয়াছিলো, তাহার দশমাংশও মিলে না, খানা-বিছানা বাবদ টাকা কাটিয়া তাহার হাতে যা আসে তাহা দেশে পাঠানোর জন্য শহর অব্দি গমনের রাহাখরচার জন্যও যথেষ্ট নহে।
কিন্তু আবদুল জ্বলিয়া পুড়িয়া ছারখার হইলেও মস্তক নত করিবার নহে। সে ভেড়া চরাইতে চরাইতে ভেড়া হইতেও অধিক ভেড়ার ন্যায় জীবন কাটাইতে লাগিল।
কিন্তু তাহার বিধি বাসদের ন্যায় বাম। একদিন খোঁয়াড়ে একটি গড্ডলশিশুর হিসাবে গড়বড় হইয়া গেল। মালিক আসিয়া তদন্ত ঢুঁড়িয়া বাহির করিলেন, সুদূর উপত্যকায় কে বা কাহারা একটি গড্ডলশিশু জবেহ করিয়া বারবিকিউ সাঁটাইয়াছে। তিনি বেদুইনের জবানিতে একটি হ্রস্ব বক্তৃতা দিলেন, আবদুল তাহার বিন্দু বিসর্গও বুঝিল না। কিন্তু বক্তৃতা শেষে তিনি আবদুলের বামকর্ণটিই পাকড়াইয়া স্থানীয় কাজীর কাছে লইয়া গেলেন।
কাজী ঈশ্বরের কানুন ঘাঁটিয়া বলিলেন, ইহার একটি হস্ত কর্তন করা হৌক।
আবদুল কিছু বুঝিবার পূর্বেই তাহার একটি হস্ত ঈশ্বরের ইচ্ছায় কাটা পড়িল।
কিন্তু সকলই ললাটলিখন মনে করিয়া অবশিষ্ট হাতেই আবদুল ভেড়া চরাইতে লাগিল, আর ভাবিল, দেশে ফিরিবার জাহাজমাশুল যোগাড় করিতে পারিলে সে গৃহের সন্তান গৃহে ফিরিবে।
কিন্তু বাসদের ন্যায় বামাচারী বিধি পুনরায় আবদুলের উপর চড়াও হইল। নিয়োগকর্তার গৃহে জনৈকা পরিচারিকা গর্ভবতী হইয়া পড়িবার পর সে পুনরায় বাথানে আসিয়া বক্তিমা মারিল। তারপর আবদুলের কর্ণটি পুনরায় পাকড়াইয়া পূর্বোক্ত কাজীর নিকট তাহাকে দাখিল করিল।
কাজী ঈশ্বরের কানুন ঘাঁটিয়া বলিলেন, ইহার ডিংডংটি কর্তন করা হৌক।
আবদুল কিছু বুঝিবার পূর্বেই তাহার ডিংডং ঈশ্বরের অভিলাষানুগ কাটা পড়িল।
বিমর্ষ আবদুল তবুও দমিল না। তাহার যে হস্তটি ঈশ্বরের মর্জিতে কাটা পড়িয়াছিল, উহার সহিত বাল্যকাল হইতেই তাহার ডিংডঙের প্রণয়সম্পর্ক ছিল, তাই একের অনুপস্থিতি যে অপর বেশিকাল সহিবে না, ইহাতে আশ্চর্য কী? সে বিনা ডিংডঙেই ভেড়া চরাইতে লাগিল।
কিন্তু তাহার বিধি খালেকুজ্জামানকেও শরমিন্দা করিবার মত বাম, বাথানে জনৈক সিনাইবাসী দাস কাচ্চু খেলার ঝগড়ায় মারপিটে মারা পড়িল। নিয়োগকর্তা আসিয়া সোজা আবদুলকেই পাকড়াও করিলেন। আবদুল বিরক্ত মনে কাজীর দুয়ারে উপস্থিত হইল।
কাজী ঈশ্বরের কানুন ঘাঁটিয়া রায় দিলেন, ইহার মস্তকটি কর্তন করা হৌক।
নিয়োগকর্তা তখন কাশিয়া কহিল, হুজুর, ইহাতে আবার সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়িবে না তো?
কাজী কিয়দক্ষণ ভাবিয়া কহিলেন, ইহার পোঁদটি কি অক্ষত আছে?
নিয়োগকর্তা আবদুলের তহবন নামাইয়া তাহার পোঁদ পরীক্ষা করিয়া কহিল, আছে হুজুর।
কাজী হাসিয়া কহিলেন, তাহলে সম্পর্কে কোনরূপ প্রভাব পড়িবে না।
মন্তব্য
জটিল
গল্পটা ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার লেখার ধরণ ই টোটাল আলাদা।
একটা কথা জানতে চাই – এই গল্পের অনুপ্রেরণা কোত্থেকে এলো দাদা, মানে আইডিয়াটা কী? ক্যারেকটারটা কি করে সৃষ্টি করলেন? জানতে মঞ্চায়
ডাকঘর | ছবিঘর
গল্পটা রম্য হলেও আসলে ঠিক হাসির নয়, আমার কাছে কষ্টের মনে হয়েছে। সম্প্রতি আটজন বাংলাদেশীর শিরোচ্ছেদ, সৌদি রাষ্ট্রদূতের অমর বাণী "সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না" ইত্যাদির সাথে মিলিয়ে পড়তে পারেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হুম,
ডাকঘর | ছবিঘর
ও মুখা কি বাত্তি লাগাইলি?????
"" তাই একের অনুপস্থিতিতে যে অপর বেশিকাল সহিবে না , ইহাতে আশ্চর্য কী ? ""
পুরা আগুন!
লেখাটা রম্য। কিন্তু হাসা যাচ্ছেনা
হাসতে গেলেই কিছু একটা বাধা দিচ্ছে।
মা গো মা পুরা ফাটায় ফেলসেন গো ।
বারুদ!!!
আগুন। তবুও মন খারাপ হয়ে গেলো। আপনিই পারেন।
লেখাটা রম্য। কিন্তু হাসা যাচ্ছেনা মন খারাপ
হাসতে গেলেই কিছু একটা বাধা দিচ্ছে।
---কালো কাক আর আমার অনুভূতিটা একই রকমের হল
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মনটা আরো বিষণ্ণ হয়ে পড়লো!!!
পুয়ারাই ফাটাই ফেলছে মুখোদা!
গল্পটা হাস্যরস আর কষ্টে মেশানো। ঐ বেদুইনের জাত যে কবে সভ্য হবে!
টুইটার
গল্পে কষ্টের পরিমাণই বেশি।
পোঁদটি অক্ষত নাই। তবে মলম হিসেবে আছে রেমিট্যান্স। আবদুলেরা উট চরাইয়া যে বিন্দু বিন্দু রেমিট্যান্স আমাদের কোষাগারে জমা দেয়, তারেকদের হাত ঘুরে সেই টাকাটাই সুইস ব্যাংকে যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাই শুধু পরে যে যায় তা না, আগেও যায়। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় প্রতিজন আদম দেশের বাইরে পাচার করা বাবদ তারেকরে দশ হাজার করে টাকা দিতে হইত সেই খবর নিশ্চয়ই পাইছেন। "নিখিল বাংলাদেশ আদম পাচার সংস্থা" সেই নিয়ম এখনো চালু রাখছে বোধ করি করি, সাধে কি আর তাদের ধরে না পুলিশ? তবে কারে পয়সা দেয় সেই খবর পাই নাই এখনো, আ'লীগ বড়ই চালু জিনিস
যদিও খবরটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক, তথাপি শেয়ার করলাম। খালেদা জিয়া বিশাল জনসভায় বলেছেন তিনি 'নতুন নেতৃত্বে'র হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন।
সুতরাং, চিন্তার কিছু নাই। বিয়েন্পি-রাজাকার জোট এবার ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা তাঁর ছেলে চোর-বাটপার শিরমণি তারেক রহমানকেই পেতে যাচ্ছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই প্রথম মুখা'র লেখা পড়ে প্রাণখুলে হাসতে পারলাম না। লেখায়
কিন্তু মনে
গল্পে কষ্টের পরিমাণই বেশি।
facebook
বেদুঈন বন্দর বালছালাহর পোঁদে একটা বাঁশ sidewise ঢুকায়া একটা ঘুরান দিতে পার্তাম যদি....
রম্য গল্প পড়লে হাসি আসা'ই উচিত। হাসতে পারছিনা।
বর্বরগুলো সভ্য হবেনা, আরও ১ লক্ষ ২৪ হাজার পয়গম্বর পাঠাইলেও না।
আমরা কেন পারিনা বেদুঈনের কান ধরে কাজী'র কাছে নিতে? আমাদের মাথারা কি করে?
পোদটি ক্ষত-বিক্ষত থাকিলেও সম্পর্কে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়িত না, কারণ আমরা তাহাদের গুয়ামারা খাইয়াই পোদ ভারী করিয়া সদম্ভে বাতাসে ফুঁ দিয়া ঘুরিয়া বেড়াই ... শুধু আব্দুলদেরই মস্তক কর্তিত হয় আর কি !!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ওই ব্যাটারে ধরে গুলিস্তানের মোড়ে ফেলে পোঁদ মারা উচিৎ। কিন্তু আমরা মারতে পারিনা, শুধু মারাই খেতে পারি। সে কারনে হোক বা অকারনে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
খুব খারাপ লাগছে সেই হতভাগ্য ৮জনের জন্য। কি অদ্ভুত আমার! একদিকে রাষ্ট্রপ্রধান প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাকারীদের ছেড়ে দিচ্ছে, আর অন্যখানে অনেকটা বিনা বিচারে খেটে খাওয়া লোকগুলোর প্রাণ নিয়ে নেয়া হচ্ছে। আমরা কি অসহায়? কিছুই করতে পারছিনা...
সব উপাদান বিদ্যমান থাকার পরেও হাসতে পারলাম না।
ঘরে-বাইরে সবখানেই নাকাল আমরা দীর্ঘশ্বাসটাও ফেলতে পারি না স্বস্তিতে!
সবচে' হিংস্রতম জানোয়ারকেও হার মানায় ওই জানোয়ারগুলোর হিংস্রতা ও আদিম প্রবৃত্তির।
মন্তব্য করতে ইচ্ছা করছে না। লেখাটা পড়েছি এইটা শুধু জানিয়ে গেলাম।
*@হাসি.com
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
...
খুব মন খারাপ হলো জানেন! সবকিছুর লিমিট থাকতো আগে। এখন সবই শুধু সীমা লঙ্ঘন করে যায়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখক কি সেখানে ছিলেন?তিনি কি আসলেই শিওর যে এরা কোন অপরাধ করে নি?আগে প্রমান নিয়ে আসেন সেখানে তারা কিছুই করে নি পরিস্থিতির স্বীকার তখন আমি আপনার এ লেখা ধরে নিব ঠিক আছে।সৌদি তে এক বাংলাদেশী যেখানে ১ রিয়াল বা ২০ টাকার জন্য আরেকজন কে খুন করতে পারে সেখানে আপনি আর কি বা দেখলেন?
আমি এ ও জানি এক বাঙ্গালী যাকে তার বস বন্ধু মনে করে তার ব্যবসার দ্বায়িত্ব দিয়েছিল সে তার ১ লাখ রিয়াল মেরে দিয়ে ঢাকায় চলে যায় পরে তাকে ঠিক খুজে বের করে এখানে ফেরত আনে কিন্তু তার বস তাকে কিছুই করে নি শুধু বলেছিল যা নিয়েছ তা কাজ করে ফেরত দিয়ে দিলেই হবে আমি কোন অভিযোগ করব না।বাংলাদেশীরা কি সেটা এখানে আসলেই বুঝবেন আর যারা এ সব করে তাদের জন্য আমাদের প্রফেশনালরা এখানে এসে বেতন পায় সম কোয়ালিটির ভারতীয় বা পাকিস্তানীর অর্ধেক।আর আমরা তো সব দেশেই বাল আর বেন করি সেটা যেটাই হোক আর কি কোন দেশ দেখেছেন যেখানে বিদেশেও রাজনীতি করে মানুষ?মনে হয় না,যদি আমাকে ফান্ডামেন্টালিস্ট বলে গালাগালি করেন সমস্যা নাই...একটু খোজ নিয়ে দেখেন অন্য দেশে কি ডেথ সেন্টেন্স দেয় না নাকি?হয়ত সেখানে শুট করে করে আর সৌদিতে তলোয়ার দিয়ে।
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং জ্ঞানলাভ করে এসে তারপর পোস্ট দিলে কৃতজ্ঞ থাকব
এখানে প্রমাণের সিকোয়েন্সটা এরকম হওয়া উচিত: আগে অপরাধের প্রমাণ, পরে দোষের শাস্তি। শাস্তি দিয়ে তারপর অপরাধ করে নাই, এই প্রমাণ চাওয়া অযৌক্তিক। এই ৮ জন যে খুন করেছে, এর প্রমাণটা আপনিই দিন, আপনি হয়তো সেখানে ছিলেন।
ধরলাম, ১ রিয়ালও না, একদম টাকা পয়সার হিসাব ছাড়াই একজন আরেকজনকে খুন করতে পারে! কিন্তু সেই 'পারা' দেখিয়ে কি এই ৮ জন খুন করেছে, এটা প্রমাণিত হয়?
ধরেন একজন 'অপেশাদার' উটচারক বাংলাদেশী খারাপ, জঘন্য খারাপ কাজ করলো। তার জন্য অন্য একজন 'প্রফেশনাল' বাংলাদেশী অর্ধের বেতন পাওয়া কি যৌক্তিক? এই অর্ধেক বেতন পাওয়া বাংলাদেশী প্রফেশনালের এই বাঁশ খাওয়ার পেছনে দায়ী কি ওই অপেশাদার উটচারক বাংলাদেশী, নাকি যে কাজের কোয়ালিটি না দেখে পাসপোর্টের কালার দেখে বেতন কম দিচ্ছে সে? সৌদি আরবে পাকিস্তানী বা ভারতীয় সবাই কি গঙ্গা কিংবা সিন্ধুর জলে ধোয়া তুলসীপাতা বা সুগন্ধি আগরবাত্তি?
ডেথ সেন্টেন্স থাকবে কি থাকবে না, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু গল্পে দেখানো হয়েছে অপরাধ না করেও সন্দেহের বশে (আপনার ভাষায় যেটা ১ রিয়ালের জন্য খুন করতে পারে, সেইরকম সন্দেহ) হাত কাটা হচ্ছে, শিশ্ন কাটা হচ্ছে, মাথা কাটা হচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশেও যদি মৃত্যুদন্ড থাকে, তাইলেও এই সন্দেহের বশে মাথা কাটা হালাল হয় নাকি?
সাম্প্রতিক কেসে ১ জন নিহতের দায়ে ৮ জনের শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে। ৮ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে? হত্যার মোটিভ বিচার করা হয়েছে? ওই মিশরীয়কে খুন করে এই ৮ জন বাংলাদেশীর লাভ কি? তার খুন হওয়ার কনটেক্সট কি? আপনিই ক্লিয়ার করে বলেন, কিভাবে ১ জনের খুনের সন্দেহে ৮ জন বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা যায়। আপনার কাছ থেকে জ্ঞানলাভ করে ধন্য হই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
@সৌদি প্রবাসী এই মুহূর্তে ঐ বিজাতীয় বেদুইনগুলোর চাইতেও আমার আপনাকে বেশি ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে। যেখানে একজন বাংলাদেশি হয়ে আপনি কয়েকজন বাংলাদেশির অন্যায়ের দায় গণহারে সমস্ত বাংলাদেশিদের ঘাড়ে ফেলতে পারেন, সেখানে ওদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার আশা করা সত্যিই বোকামি।
ওদেশের সরকার বলেছে, যেহেতু এটি আল্লাহর আইন, তাই তারা চাইলেও ক্ষমা করতে পারত না। আমাকে একটু বলবেন, তাহলে ব্রিটিশ নাগরিকের শিরশ্ছেদ তারা কিভাবে মউকুফ করেছিল?
কয়েকজনের অপরাধের দায়ে আপনারা সবাই পারিশ্রমিক কম পান, সেটার দায় কি শুধুই ঐ কয়জনের নাকি আপনার যে সৌদি মহাপ্রভুরা এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে তাদের?
নতুন মন্তব্য করুন