প্রথমবারের মত দেশের পতাকা নিয়ে উত্তর মেরু গিয়েছিলাম ২০০৭-এর এপ্রিলে। সাথী ছিলেন বিখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রগ্রাহক, অভিযাত্রী ইনাম আল হক। সেই বছরের নভেম্বরেই যখন হিমালয়ে ট্রেকিং শেষে একসাথে ফিরছি তিনি প্রস্তাব দিলেন একটি যৌথ আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের, যেখানে তার ১৯৯৬-এ তোলা অ্যান্টার্কটিকার ছবিগুলোর সাথে থাকবে আমার তোলা উত্তর মেরু অঞ্চলের ছবি, অর্থাৎ বিশ্বের উত্তরতম বিন্দু ও দক্ষিণ অংশের সহবস্থান একই গ্যালারীতে( যেহেতু আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ দক্ষিণ মেরু যান নি, সে জায়গাটি এখনো অদেখা আমাদের কাছে)। সেই জন্যই প্রদর্শনীর নাম হবে আর্কটস-অ্যান্টআর্কটস, অর্থাৎ গ্রীক ভাষায় উত্তর ও দক্ষিণতম ভূখণ্ড।
এমনতর কথায় হতবিহবল অবস্থা আমার, ইনাম ভাই বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রগ্রাহক, দেশবিদেশের মর্যাদাসম্পন্ন অনেক পুরষ্কার তার ঝুলিতে আর আমি কোথাকার কোন অর্বাচীন, ক্যামেরার ক ও বুঝিনা (এখন পর্যন্ত) তার ওপর পুঁচকে একটা প্যানাসনিক দিয়ে মেরু অঞ্চলের ছবিগুলো তোলা, আপনাদের সবার মোবাইলে তার চেয়ে ঢের ভাল ক্যামেরা আছে!
ইনাম ভাইয়ের উৎসাহেই শেষ পর্যন্ত হল প্রদর্শনীটি, ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে, নভেম্বরের শেষ দিকে। আমার ক্ষনিকের উৎসাহে তোলা দুর্বল ক্যামেরার দুর্বলতর ছবিগুলো থেকেই ইনাম ভাই নিজের মূল্যবান সময় অপাত্রে ঢেলে, অসীম ধৈর্যের সাথে ছেকে ঘষে মেজে নিলেন কিছু আলোকচিত্র। সেইগুলোই ভাবলাম আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করি, যদিও বেশ আগের স্মৃতি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে আমাকে চিরকৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ করেন কাছের মানুষ বিশ্ববরেণ্য চিত্রকর কালিদাস কর্মকার (আমাদের কালি দা) এবং অদ্বিতীয় মুর্তজা বশীর।
প্রদর্শনীর লিফলেটে ইনাম ভাইয়ের বরফ মহাদেশের ছবি দেখে কবি শামসুর রাহমানের বিমুগ্ধ মন্তব্য ছাপানো ছিল, যা কবি ১৯৯৭ সালে লিখে দিয়েছিলেন-
সেই সাথে আমার মত অজানা তরুণের জন্য কবি রুবি রহমান শত ব্যস্ততার মাঝেও দুছত্র লিখে অতি মহানুভবতার পরিচয় দেন-
চলুন বন্ধুরা, ঘুরে আসি ছবির দর্শনে সেই ছয় মাস দিন- ছয় মাস রাতের চিরবরফের রাজ্য থেকে, তবে দুঃখজনক ভাবে আপাতত ইনাম ভাইয়ের অ্যান্টার্কটিকা ও সেখানকার জীবজগতের মহামূল্যবান ছবিগুলো সাথে না থাকায় এইবার দিতে পারছি না, ভবিষ্যতে চেষ্টা করব।
কেবলই গর্তে সেধেনো সীলের খোঁজে-
মেরুঝড়ের মাঝে একাকী পথিক- (সামনে অপেক্ষারত একজন মহিলা দেখা যাচ্ছে কি!)
দূর গন্তব্য, চলন্ত স্নো মোবাইল থেকে তোলা-
বিশ্বের শীতলতম ম্যারাথনের মাঝে-
ক্রীড়ারত শিশু বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের জনবসতি স্পিটসবের্গেনে তোলা--
মেরু ম্যারাথনের মাঝে ইনাম ভাইয়ের চোখের পাপড়িতে জমাট বাঁধা ঘাম!!
হোয়াইট ফ্যাঙ, হাস্কি ও মানুষ --
আর ব্যানারে ব্যবহৃত এই ছবিটি তুলে দিয়েছিল মেরু আলোকচিত্রগ্রাহক মাইক কিং--
মন্তব্য
অসাধারণ, হে পৃথ্বীচারী!!!
ঈষৎ ঠাণ্ডা লাগল না তো !
facebook
জমে গেছি দাদা.............
facebook
ওরে ...
শুধু হাত তালি দিলেই হবে না দাদা, সাথে খিচুড়ি লাগবে, খিচুড়ি
facebook
যতদিন আপনে ঘুরাঘুরি বন্ধ না করবেন ততদিন আর লেখালেখি করবো না সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেইদিন আপনে বিয়াসাদি করে ঘরজামাই হবেন, সেদিন আমি আবার হাতে কলম বা Keyboard তুলে নিব।
অণু ভাই
ঘরজামাই!!
এই তা একটা কথা কইলেন মিয়া ভাই !!! আপনের কোন কাচা ভুট্টায় কি এমন লাঙ্গল দিছি যে আমার জীবনটাকে এমন ফানা ফানা করে দিবার কথা কল্পনাতেও আনলেন! ধুর আপনে কিসের উদাস, মহা বৈষয়িক মানুষ । চলুন আমার ভাবীর হালুয়া থেকে হালিম সব বানানো
সেই সাথে বলছি, লেখা দেন, ভাত, পোলাও, খিচুড়ি সব দেন, নাইলে খবর আছে
facebook
আর কত ভেল্কি দেখাবেন ?
চাঁদের ছবি-ব্লগটা কবে পাচ্ছি ! ওটা পেলে আপাতত আর কিছু চাইবনা।
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন। জীবনটাকে উপভোগ করুন।
প্রৌঢ়ভাবনা
চাঁদ থেকে যদি পৃথিবীটাকে একবার হলেও দেখতে পারতাম, খুব সাধ হয় !
facebook
"মেরুঝড়ের মাঝে একাকী পথিক"...THE awesomest one
প্রদর্শনীর সাফল্যে, অণুর সাফল্যে আমরাও আনন্দিত। আরও চমৎকার সব অভিজ্ঞতায় জীবন পরিপূর্ণ হোক।
শুভেচ্ছা ♥
এটা আমার একার সাফল্য নয়, আমাদের সবার।
facebook
facebook
ধুর আপনে ভালো না , এমনি করে সারা পৃথিবী ঘুরলে কি হয়??? কিছু বাকি রাখেন আগেও বলেছি আবারও বলছি একটা বই বের করুন...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সবই বাকি ! হবে হবে, প্রকাশক রাজী হোক লেখার সমপরিমাণ ছবি ছাপাতে!
facebook
দারুণ
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
facebook
আপনি কোন কোন জায়গায় এখনো যান নি সেটা বললে মনে হয় লিস্টিটা অনেক ছোট হতো
যথারীতি অসাধারণ লাগলো। আপনাদের এই প্রদর্শনীর পরের মাসেই ঢাকায় গিয়েছিলাম। এক বন্ধু এই প্রদর্শনীর কথা বলেছিল। অল্পের জন্য মিস। এর পরের শো মিস করব না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লিস্টি অনেক বড়রে ভাইয়া! এখান থেকে চাঁদ পর্যন্ত চলে যাবে!
জানাবো এর পরের বার, কিছু আইডিয়া আছে, দেখা যাক।
facebook
পৃথিবীর শেষ প্রান্ত -- এই ছবিটার লোকেশন যদি আরেকটু ব্যাখ্যা করতেন...
এটি উত্তর মেরু থেকে ১০০০ কিমি দূরে স্পিটসবের্গেন দ্বীপপুঞ্জে তোলা, এরপরে কেবলই বরফের রাজ্য, ভূমির শেষ এখানেই। চাইলে সচলে এই জায়গা নিয়ে একটা লেখা আছে, মেরুভালুকের দেশে, পড়ে দেখতে পারেন।
facebook
facebook
facebook
ভাই আপনে কোনখানে যান নাই??
এভারেস্ট, দক্ষিণ মেরু, আরো কত বলব। বিশাল তালিকা---
facebook
পৃথিবীর শেষপ্রান্ত দেখে খুাব ভালো লাগলো।
একটা জ্যান্ত শ্বেত ভালুকের ছবি থাকলে আরো খুব ভালো লাগতো।
আছে কিন্তু, মেরুভালুকের দেশ শিরোনামে একটা লেখা আছে সচলে, সেখানে কিছু ছবি আছে।
facebook
চাঁদের ছবি-ব্লগটা কবে পাব ?
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।
প্রৌঢ়ভাবনা
হুমম, পাবেন আশা করি
facebook
... আর কিছু বলার নাই ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আরে বলেন একটু
facebook
আপ্নে মিয়া একটা অমানুষ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তীব্র মানুষ!
facebook
বরফ তো ফ্রিজার খুললেই দেখা যায়, এর জন্য উত্তর মেরুতে যাওয়ার কি আছে? থাক আর কিছু না বলি, আপনার মন খারাপ হয়ে যাবে। লেখা ভালো হয়েছে। ছবিগুলা অমানুষিক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খ্যামোখা!
facebook
আজকা আর সহ্য হ্ইলো না। শালার ভাই, হিংসার চোটে চোখে পানি আয়া পড়লো। সারা গাও চুলকাইতাছে খারাপ কথা কওনের ইচ্ছায় । আপনে আমার দোস্ত বন্ধু হইলে গাইল পাড়তাম চোখ লাল কইরা। আমিও হালায় কম যাই না। লোনলি প্লানেট এর সব এপিসোড আছে আমার কাছে। আছে আপনের কাছে কন? বাসায় বইয়া বইয়া দেখি, তাতে কি, আমি তো ব্লগ এ এইসব ছবি দিয়া অন্য মাইনষেরে সুড়সুড়ি দেই না। আপনে যা করতাছেন তারে আমি ট্রাভেল পনর্ ছাড়া আর কোন নাম দিতে পারতাছিনা।
-মেফিস্টো
- যাউক গালিগালাজ মনে নিয়েন না, ঘুরাঘুরি চালায়া যান।
ট্রাভেল পর্ণ- হ্যা ভালো বলেছেন
অনু ভাই আপনি আসলেই খ্রাপ্লুক, সুড়সুড়ি দেন খালি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তাই নাকি
facebook
আপনি করলেন টা কি??ইউরোপ ঘুরেন খুব ভালো কথা। আর্কটিক তাই বলে?? কয়দিন আগে আলভানভের into the land of white death পড়ে পোলার আইস প্যাকের মাথা পাগলা মুভমেন্ট জানলাম।আর আপনে ওই প্যাকের উপরে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে গেলেন !! একটু বিস্তারিত জানান কেমনে গেলেন।
এই নিয়ে সচলে উত্তর মেরুর যাত্রী নামে একটা লেখা দিয়েছি। আসলে আর্কটিক তুন্দ্রায় যাওয়া হয়েছে কয়েকবার, কিন্তু সর্ব উত্তরে সেই একবারই।
facebook
facebook
সবই অসাধারণ।
বরফগলা নদীর ছবিটা দেখে বিমুগ্ধ!
ধন্যবাদ। ছবিটার পিছনে এক মজার রহস্য আছে কিন্তু।
facebook
এগুলি কি ছবি দিলেন রে ভাই,
একেবারে জমে গেছি
কাশফুল
হায় হায়, আগেই সাবধান করছিলাম !
আচ্ছা, কোন একবার ঘামায়ে ছাড়ব, তয়লে মাইনাসে মাইনাসে প্লাস!
facebook
পুরো দুনিয়াটাই তো দেখি চষে ফেলেছেন!! বাকি কি আছে? চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ...
নাকি ঐগুলোও ঘোরা সারা?! পোস্ট দিয়ে ফেলুন। ওগুলো আর বাকি থাকবে কেনু?
ঈর্ষায় জ্বলে খাক হয়ে গেছিরে ভাই। এই একটা জায়গায় ঘোরার আজন্ম সাধ আমার। হয় নাই। হবে কিনা সে কে যে জানে?!!! বি...রা...ট একটা দির্ঘশ্বাসের ইমো হইছে...
না না , কিছু কিছু বাকি থাক ! কিন্তু আপা, এত জায়গা থাকতে ঐ প্রাণশূন্য মহা থমথমে ঠাণ্ডা প্রান্তরে যাবার শখ কেন ~~
facebook
বনানী ঘুরে আসলাম... আপনি এখানে কখনো গেছেন? না গেলে মন খারাপ করবেন না যেন... একদিন না একদিন যেতেই পারবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ , ঢাকায় গেলে ঐ খানেই থাকা হয় কিন্তু আপনের মহল্লা উত্তরা ভাল চিনি না, দাঁড়ান আহি, তারপর একসাথে এক্সপ্লোর করা যাবে
facebook
(গুড়)
facebook
facebook
দারুণ লেখা অণু ভাই, ঠিক যাকে বলে cool
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখা কয় পাইলেন ভাই, সবতো ছবি
facebook
ঠান্ডা ফোবিয়া বুইচ্চেন নি? গেলেও আমার থাকাটা পোবলেম হইয়া যাইত! তাছাড়া ঐ যে কি বললেন, পৃথিবীর শেষপ্রান্ত? ভাগ্যিস যাই নাই, রেলিং নাই তো,পরলে কে ধরতো ? কই না কই পড়ি!
( টক সব টক, বরফও টক!!! )
হ ঠিকই
facebook
এইভাবেই এক লেখার কান ধরে আরেক লেখায় আমার মত বানর পাঠকেরা ঘুরে বেড়ায়।
অসাধারণ রে ভাই!!
বানর পাঠক
facebook
নতুন মন্তব্য করুন