মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে একজন তরুণ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ১৪/১০/২০১১ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল রাতে আমি আপনার লেখাটা পড়লাম। পড়ার পর মনে বেশ কিছু প্রশ্ন জাগলো। কিছু কথা যা আপনাকে জানানো প্রয়োজন মনে করলাম। আমি জানি আপনি আমাকে চেনেন না। চেনার কথাও নয়। আমি নিতান্তই সাধারণ এক তরুণ। আমার মত তরুণ বাংলার আনাচে, কানাচেতে ছড়িয়ে রয়েছে। রাজনীতি থেকে আমি সব সময় শত হাত দূরে থেকেছি। কিন্তু তবুও আজ লিখতে বসলাম। কারণ প্রধানতঃ দুটো। আপনার লেখার শুরুতেই আপনি উল্লেখ করেছেন শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি ব্লগ এবং সোস্যাল নেটওয়ার্কিং এর সাইটগুলো দেখার চেষ্টা করেন। যার অর্থ কোন না কোন ভাবে আপনার চোখে আমার লেখাটা পড়লেও পড়তে পারে। পড়বেই যে, তা জোর দিয়ে বলতে পারবো না। কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে। আর দ্বিতীয় কারণটা আপনার লেখার শিরোনাম। আপনি তরুণ সমাজকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। আমি তাদের প্রতিভূ হয়েই আপনাকে আজ লিখতে বসেছি।

আপনার লেখার শুরুতেই আপনি হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই বলে যে রাজনীতিবিদদের আমরা তরুণরা তাচ্ছিল্য করছি, দোষারোপ করছি পরীক্ষা ছাড়াই। আপনি লিখেছেন,

আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি যে আজকের তরুণদের অনেকেই ক্রোধ আর হতাশার মাঝে খেই হারিয়ে ফেলছে। তারা যেন স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। দেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সাথে নিজের উন্নয়নের এক অদ্ভুত দূরত্ব তৈরি করে তারা মনে করছে, দেশের উন্নয়নটা যেন অন্য কারো কর্তব্য, যার জন্য বরাদ্দ আছে বিশেষ একদল, তাদেরকে তাচ্ছিল্য করা যায়, দোষারোপ করা যায় কোনো পরীক্ষা ছাড়া, শুধু রাজনীতিবিদ বলে শনাক্ত করেই।

আপনার এই বক্তব্যের শুরুর অংশে আমি একমত। হ্যা, তরুণরা ক্ষোভ এবং হতাশার মাঝে খেই হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাদের মনে সেই হতাশা কেন তৈরি হলো? এর দায়ভার কার? সেটা নিয়ে কেন আপনি প্রশ্ন করলেন না নিজেকে? আপনি বিনা পরীক্ষায় রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করা হচ্ছে বলছেন। খুব বেশী দূর যেতে হবে না। নব্বই থেকে দুই হাজার এগারো। এই সময়ে দুবার বিএনপি এবং দুবার আওয়ামী লীগ শাসন করেছে দেশটাকে। এই চার শাসনকালই কি যথেষ্ট নয় রাজনীতিবিদদের পরীক্ষা করার জন্যে? আপনি বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন, এই সময়টাকে যদি পরীক্ষা ধরা হয় তাহলে আমাদের রাজনীতিবিদরা কত মার্কস নিয়ে পাশ করবে? আদৌ পাশ করবে তো?

আপনার জীবনের কথা আপনি বলেছেন। শুনে খুবই ভালো লেগেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আত্মজীবনী “মাই লাইফ” পড়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একদম শুরুর দিকে। তখন আমার অপরিণত তরুণ মন খুবই বিস্মিত হয়েছিল এটা ভেবে যে একজন মার্কিন রাজনীতিবিদকে দেশের সর্বোচ্চ আসনটিতে বসতে হলে একদম তৃণমূল পর্যায়ের নির্বাচন দিয়ে শুরু করে ধীরেধীরে উঠে আসতে হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য অনেক প্রেসিডেন্টের জীবনী পড়েও একই ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। আজ যখন জানলাম আপনিও অনেকটা সেভাবে উঠে এসেছেন, তখন আপনার জন্যে আমার শ্রদ্ধা হয়েছে। লোক দেখানো শ্রদ্ধা নয়। আন্তরিক শ্রদ্ধা, মন থেকে। কিন্তু আমাদের রাজনীতিতে কি এই চর্চাটা খুব বেশী হয়ে থাকে? আপনি যখন আপনার দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করেন, তখন সেখানে কতজন নেতাকে পান যারা আপনার মত তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে এসেছে? ৯০ পরবর্তী আমাদের গণতন্ত্রকে স্যাটায়ার সম্ভাষণ দেয়া হয় “পরিবারতন্ত্র” বলে। কথাটা কি খুব অযৌক্তিক? এ প্রশ্নগুলো এজন্যে উত্থাপন করছি কারণ আপনি তরুণ প্রজন্মের মতামত জানতে চাচ্ছেন। তাদের পক্ষ থেকেই বলছি, তরুণ প্রজন্ম চায় যোগ্যতা ভিত্তিক রাজনীতি। যে ছেলেটা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে রাজনীতি করছে এবং ধীরেধীরে উঠে আসছে, দেশ চালানোর ক্ষেত্রে তার যোগ্যতা রাজনীতির সাথে কখনওই যোগাযোগ না থাকা একজন আমলা বা ব্যবসায়ীর থেকে অনেক বেশী। আপনি যখন একটা গাড়ী কেনেন, তখন বেছে বেছে দক্ষ ড্রাইভারকে নিয়োগ দিতে চান। কিন্তু যখন দেশ চালানোর প্রসঙ্গ আসে তখন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের অবদানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলের জন্যে “ইনভেস্ট” করা ব্যবসায়ী অথবা আমলাদের প্রাধান্য দেয়া হয়; শিক্ষিত তরুণদের নয়। আর ছেলে, বোন, মামা, খালু, বেয়াইদের কথা বাদই দিলাম। তারা যেন জন্ম সূত্রে রাজনীতি করার টিকেট পেয়েছে। এই আমলারা চেনেন দুর্নীতি এবং ব্যবসায়ীরা চেনেন মুনাফা। দুয়ে মিলে দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা আর বিশদ বলার প্রয়োজন বোধ করি না। এই যখন আমাদের রাজনীতির অবস্থা, তখন তরুণরা হতাশ না হয়ে ঠিক কী কারণে আশাবাদী হবে সেটা কি আপনি বলতে পারেন?

স্বাধীনতার আগে আমাদের দেশের রাজনীতি কিন্তু এমনটা ছিল না। আপনি অতীতমুখী রাজনীতি পছন্দ করেন না বলেও অতীতের কিছু উদাহরণ টেনেছেন। তাই আমিও কিছু উদাহরণ টানছি। বঙ্গবন্ধুর উত্থানটা দেখুন। কিম্বা সে সময়ের ডাকইটে ছাত্রনেতাদের দেখুন। তাঁরা কিন্তু মামা-চাচার পরিচয়ে রাজনীতিতে আসেন নি। তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা দিয়ে এসেছিলেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বমহিমায় পরিচিত হয়েছিলেন। কিন্তু একাত্তরের পর সেই ধারাবাহিকতা বদলে গেলো। আপনি আপনার লেখাতেই ৭১ থেকে ৭৫ এর শাসনকালের কথা উল্লেখ করে মুরুব্বীদের তখনকার অবস্থা জিজ্ঞেস করতে বলেছেন। আমি জিজ্ঞেস করে এবং বই পড়ে মূলতঃ দু ধরনের চিত্র দেখতে পাই। যারা সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিল না তারা বলেছে বঙ্গবন্ধুর স্বেচ্ছাচারিতা এবং পরিবারের মানুষদের সরকারের বড় বড় পদে স্থাপন করার কথা। আর যারা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছে তাদের বক্তব্য ঐ রকম পরিচ্ছিতিতে দেশ শাসন করা খুবই কঠিন কাজ ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্যে; যে কারণে তিনি বিভিন্ন “বোল্ড” পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন (যেমন বাকশাল প্রতিষ্ঠা, মার্কিনদের সাথে মিত্রতা ইত্যাদি)। সে যাই হোক, সাধারণ জনগনের কাছে বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তা হারিয়ে ছিলেন সন্দেহ নেই এবং পরিবার ও কাছের মানুষদের তিনি ক্ষমতায়ও বসিয়ে ছিলেন। যদি ধরেও নেই পরিবারতন্ত্র এবং স্বেচ্ছাচারিতার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাতে হয়েছিল; তাহলেও বলবো, তিনি জীবিত ছিলেন ৭৫ পর্যন্ত। এরপর কেন পরিস্থিতির পরিবর্তন এলো না। কেন এরপর বিএনপিও একই পথে হাঁটলো? আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হবে ৯০ এর পর কেন আমরা গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটা পরিবারতন্ত্র পেলাম? আপনি স্বীকার করুন বা না করুন, এখানে আওয়ামী লীগের যতটুকু ভূমিকা রয়েছে, বিএনপির ঠিক ততটুকুই ভূমিকা রয়েছে।

আপনি বলেছেন,

বিএনপি কোন অতীতমুখী দল নয়, তাদের মনোজগৎ অতীতে অবরুদ্ধ নয়। অতীতের অর্জন আর ট্রাজেডি নিয়ে মানুষের সহানুভূতি আর অনুকম্পা আশা করে না বিএনপি। বিএনপি শুরু থেকেই একটি ভবিষ্যতমুখী দল।

আপনার এ বক্তব্যে আমি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। হয় আমার বুঝতে ভুল হচ্ছে অথবা এখানে দু'ধরনের অর্থ রয়েছে। আপনি যদি “ভবিষ্যতমুখী” বলতে অতীত আঁকড়ে পড়ে না থেকে নূতন নূতন এবং যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাবো। কিন্তু আপনি যদি বোঝান অতীতকে ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে চলার কথা, তাহলে আমার কিছু বলার আছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ বা ভাষা আন্দোলনের মত অহংকার করার মত ঘটনাগুলো যা আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে রয়েছে, কী করে ভোলা সম্ভব তা আমার জানা নেই বরং কেউ ভুলতে বললে সেটা ধৃষ্টতা বলেই প্রতীয়মান হবে আমার কাছে। তার থেকেও বড় বিস্ময় হচ্ছে, একজন বাংলাদেশী (লক্ষ্য করুন, বাঙালী লিখি নি) হয়ে কেন আমরা সবাই সমভাবে আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে গর্বিত হতে পারবো না? আপনাদের দুর্বলতাটা আমি বুঝি। আপনাদের ধারণা আওয়ামী লীগ যেহেতু স্বাধীনতার নেত্রীত্ব দানকারী দল এবং বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা – এগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে। কিন্তু আপনারা কি কখনও ভেবে দেখেছেন, এই পথটা বন্ধ করে দেয়া কত সহজ! বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আওয়ামী লীগ যতটা উচ্ছ্বাস দেখায়, ঠিক ততটা উচ্ছ্বাস আপনারাও দেখান। আপনারা আওয়ামী লীগকে সাধুবাদ জানান মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকার জন্যে। মনে রাখবেন কারো কৃতিত্ব স্বীকার করে নিলে যে স্বীকার করে সে ছোট হয়ে যায় না বরং এতে তার উদারতা প্রকাশ পায়। আপনারা যদি বঙ্গবন্ধুকে “আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু” থেকে “বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু” হিসেবে দেখতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু যতদিন আপনারা একগুয়েমী থেকে বেরিয়ে না এসে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি দেবেন না, ততদিন বঙ্গবন্ধু আপনাদের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বীই হয়ে থাকবে।

আপনি আরো লিখেছেন,

পৃথিবীতে এমন কোনও জাতি নেই যার অতীত রক্ত-রঞ্জিত নয় কিংবা পাপবর্জিত । তারা তাদের অতীত বেদনাকে ভুলে থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়, প্রতি নিয়ত অতীত ক্ষতকে সজীব করার রাজনীতি করে না। নাৎজি উত্থান-পর্ব (যেটা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ছিলো!) নিয়ে জার্মানরা রাজনীতি করে না।

আমি নিশ্চিত আপনি জানেন, জার্মানরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যে অভিযুক্ত নাৎজি অফিসারদের বিচার করছে। কিছুদিন আগে এক আইরিশ সংবাদপত্রে পড়েছিলাম সেই বিচার এখন একদম শেষ পর্যায়ে। ৮০-৯০ বছর বয়সী অফিসাররা আদালতের কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে এবং শাস্তিও পাচ্ছে। আপনি এ ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন মূলতঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ইঙ্গিত করতে। এ বিষয়ে আমি বলবো, বর্তমান তরুণ সমাজ কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। তারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করুক বা না করুক, এ বিষয়ে কিন্তু তারা একত্ব। অথচ আপনি জার্মানদের উদাহরণ দিয়ে অতীত ক্ষত সজীব না করার রাজনীতি করতে মানা করছেন (যদিও উদাহরণটা ঠিক ছিল না; কেন সেটা আমি একটু আগেই ব্যাখ্যা করেছি)। আপনার এ বক্তব্যে আমি খুব বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে জোট বেঁধে ভোট চাইতে পারেন কিন্তু সেটা “রাজনীতি করা” হয় না অথচ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া “রাজনীতি করা” হয়ে যায়। আপনি বলেছেন বিএনপি পরিবর্তনে বিশ্বাসী। সেই পরিবর্তনটা এখনই আনুন। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন এবং জামাত-শিবিরের সংস্পর্শ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে বৈ কমবে না।

আমি আপনার লেখার শেষের দিকে এসে হতাশ হয়েছি। আপনি তখন এক তরফা ভাবে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করেছেন। অন্যকে দোষ দিয়ে কি নিজেরটা খুব বেশী সময় ঢেকে রাখা যায়? বর্তমান সরকারের উপর মানুষ ইতিমধ্যে যারপরনাই বিরক্ত। এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে তারা আপনাদের আচরণে খুশি। তেল-গ্যাস বিক্রির বিরোধীতা করে নিতান্তই সাধারণ মানুষরা যখন হরতাল ডাকলো, আপনারা সেখানে সমর্থন দিলেন না। অথচ সেই তেলের দাম বাড়লো বলে আপনারা ঠিকই হরতাল দিলেন; জামাতের সাথে পুলিশের মারামারীর পরপরই। সাধারণ মানুষ কি এতই বোকা যে এই খালি চোখে দেখা যাওয়া সূত্রগুলো মিলিয়ে নিতে পারবে না? আপনার লেখার এক পর্যায়ে আপনি লিখেছেন,

কিন্তু সততার সাথে নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, ২০০৫ সালে আপনার পরিপার্শ্ব ও ব্যক্তিগত অবস্থা ভালো ছিলো, না আজ ভালো?

আমি স্বীকার করছি অবশ্যই ভালো ছিল। কিন্তু সেটা আপনাদের যোগ্যতার জন্যে নয়। ৯০ এর পর প্রতিটা সরকার এসেছে এবং দেশের অবস্থা করুণ থেকে করুণতর হয়েছে। ২০১১ এর থেকে ২০০৫ ভালো ছিল, ২০০৫ এর থেকে ১৯৯৭ আরো ভালো ছিল। পালা বদলে একেকটা সরকার এসেছে এবং পরবর্তী সরকারকে শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছে আরো বড় মাপে কী করে দুর্নীতি করতে হয়। তরুণ সমাজ সর্বাগ্রে যে পরিবর্তনটা চায় সেটা হলো এই পালা বদলের খেলাটা বন্ধ হওয়া।

লেখাটা শেষ করবো ছোট মুখে একটা বড় কথা বলে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একে অপরের দোষ খোঁজাই যেন নিয়ম। অন্যের দোষের উপর ভর করে এই রাজনীতি করার প্রথা আর কত দিন? না হয় আপনারাই ভাঙুন এই নিয়মটা। আমার মতে, অন্যকে দোষারোপ করে নয় বরং আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নেয়াই বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের জন্যে সবচেয়ে বেশী সহায়ক হবে।

১৪ অক্টোবর ২০১১
ঢাকা, বাংলাদেশ

পুনশ্চঃ আপনার এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং আশা করবো ভবিষ্যতে আপনি আরো লিখবেন। মত প্রকাশের অধিকারকে দমানোর নয় বরং সকলের মতামতকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতা আমরা আমাদের আগামী দিনের জনপ্রতিনিধিদের মাঝে দেখতে চাই।


মন্তব্য

amin এর ছবি

ভাল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্যে এবং মতামতের জন্যে ধন্যবাদ।

পাঠক এর ছবি

অনন্য, অসাধারণ গঠনমূলক সমালোচনা। নিয়াজ ভাই হ্যাটস অফ টু ইউ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

পাঠক এর ছবি

অনন্য, অসাধারণ গঠনমূলক সমালোচনা। নিয়াজ ভাই হ্যাটস অফ টু ইউ। অনুমতি না নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট দিলাম।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

প্রথমতঃ অসংখ্য ধন্যবাদ মতামতের জন্যে। এবং ফেইসবুকে শেয়ার করতে অনুমতির মোটেও প্রয়োজন নেই বরং সেজন্যে আরেকবার ধন্যবাদ। হাসি

নিটোল. এর ছবি

চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

যা বলতে চেয়েছি, আপনি তাই বলে দিয়েছেন। শুধু যোগ করতে চাইঃ

"রাজনীতি কোনো ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাহিবা মাত্রই রাজনীতি করার অধিকার দিতে হবে এলাকার মাস্তান, ভাড়াতে গুন্ডা, অছাত্র, চাঁদাবাজ, কসাই, মেয়ে উত্যক্তকারি, ঠিকাদারকে।

মেইনস্ট্রিম পার্টির ছাত্র সংগঠনে কোনো যুবক/তরুনকে অন্তর্ভুক্ত করার আগে অবশ্যই তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে হবে। ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা চলবে না মোটেই।

সংসদ পদপ্রার্থিতার মনোনয়ন পাবার জন্য অন্যান্য বিষয়ের সাথে এটিও দেখা জরুরি যে ঐ ব্যক্তির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতা আছে কি না। যে কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের ( দুর্যোগে ত্রান বিতরন, পথশিশুদের শিক্ষাদান, এলাকার পরিছন্নতা অভিযান ইত্যাদি) অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা তার থাকতে হবে। তৃণমুল পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবার অভিজ্ঞতা যার নেই, দেশ সেবার মত এত বিশাল দ্বায়িত্ত সে কিভাবে পালন করবে?!"

- ফখরুল সাহেবরা এই ব্যাপারগুলো ভেবে দেখলে দেশের লুটেরা-রাজনীতি অনেকাংশে দমন করা যেত।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

গুল্লি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তানিম এহসান এর ছবি

বাহ! মুগ্ধ হলাম!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

উচ্ছলা, আপনার সাথে সহমত। অবশ্যই ক্যাডারদের রাজনীতিতে প্রবেশের পথ বন্ধ করতে হবে এবং সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নির্ভর করছে। তারা যদি সত্যিই সুস্থ রাজনীতি চায়, তাহলে আমরা আশা করবো তারা এ বিষয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা করবেন।

তারেক অণু এর ছবি
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্যে এবং মতামতের জন্যে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।

পাঠক এর ছবি

তারেক যেই বেশুমার টাকা চুরি করসে, সেই টাকা ফেরত দিবো হারামজাদারা? এরশাদরে হারাইতে পারে এমন বদমাইশ-ও আছে বিএনপি-তে। আবার এখন বড় বড় কথা।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সহমত।

নিস্তব্ধ বিস্ময় এর ছবি

এই সরকারের আমলে চালের দাম বেড়েছে সত্য, তাই বলে ভাববেন না আ্মরা ভাতের বদলে ঘাস খাওয়া শুরু করেছি।

তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট পথের সন্ধান না দিয়ে বরং নিজেরা শোধরে যান। অন্ধকার কেটে গিয়ে একদিন ভোর আসবেই, সেদিনের জন্য বরং রাজনীতিবি্দদের তৈরী হতে হবে। নতুবা জীর্ণ মানসিকতার এই সব কীটকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতে তরুণেরা দ্বিধা করবে না।

নিস্তব্ধ বিস্ময় এর ছবি

এই সরকারের আমলে চালের দাম বেড়েছে সত্য, তাই বলে ভাববেন না আ্মরা ভাতের বদলে ঘাস খাওয়া শুরু করেছি।

তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট পথের সন্ধান না দিয়ে বরং নিজেরা শোধরে যান। অন্ধকার কেটে গিয়ে একদিন ভোর আসবেই, সেদিনের জন্য বরং রাজনীতিবি্দদের তৈরী হতে হবে। নতুবা জীর্ণ মানসিকতার এই সব কীটকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতে তরুণেরা দ্বিধা করবে না।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
পাঠক এর ছবি

জামাতের রাজনীতির বিকাশ চাই, কারন এখানে পরিবারতন্ত্র নাই, নাই কোনো দুর্নীতি।

তানজিম এর ছবি

খালি আছে গুপ্তহত্যা করে ম্যানহোলে লাশ গুম, রগ কেটে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়া, আর দালালদের বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হওয়ার মহান ব্রত!!!

সানোয়ার এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হতাম যদি অন্যান্য দল গুলো উপরোক্ত কাজ গুলো না করতো। উপ্তরোন্ত জামাতই একমাত্র দল যারা নিজেদের মধ্যে এই কাজ গুলোর পরিচয্রা করেনা।

অরফিয়াস এর ছবি

জামাতের রাজনীতির বিকাশ চাই, কারন এখানে পরিবারতন্ত্র নাই, নাই কোনো দুর্নীতি।

ভাই আপনি কোন মহামানব ??? দেখবার মন চায় ... চিন্তিত

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

পাঠক এর ছবি

একটা ফোন দিয়া চলে আসেন; ০১৭২৯৬৩৪২৬৯

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

মহামানবরা ইদানিং ফোনও ব্যবহার করে দেখি। আমিতো ভাবলাম ওহি-টহি নাজিল কইরা বসবো!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

জামাতের রাজনীতির বিকাশ চাই, কারন এখানে পরিবারতন্ত্র নাই, নাই কোনো দুর্নীতি।

যাদের নীতিই নেই, তারা দুর্নীতি করলো কি করলো না, সেটা কি খুব বেশী ভাবাবার কারণ হতে পারে? আপনাদের দলের মূল নীতিটা কি? অনুগ্রহ করে বলবেন?

সানোয়ার এর ছবি

ডঃ ওয়াজেদ হাসিনা এত বড় নীতির ধারক হয়ে যদি তোলাবাজীর মত দুর্নীতি করতে পারে, তাইলে তো নীতিহীন মানুষের দুর্নীতিহীনতার উপর অবশ্যই গবেষনা দরকার।
আর জামাতের মূলনীতি যাই হোক, জার্মানদের মতো একীভূত হওয়া অবশ্যই নয়। তাই আমি মনে করি '৭১ চর্চা নেহাতই অনর্থক।
মুখে তো ভাই অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু বাস্তবতার সামনে আসলে যে যুদ্ধঅপরাধ হয়ে যায় মানবতা বিরোধী অপরাধ; এগুলো আমরা কালে কালে আরও বুঝবো।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ভাই, শব্দগত যতই মার-প্যাচ ব্যবহার করুন না কেন, পালাতে পারবেন নিশ্চিত থাকুন দেঁতো হাসি

সানোয়ার এর ছবি

সত্য সামনে আসলে পালানোর চিন্তা মাথায় আসে, সেটা যার উপর দিয়াই চালায় দেন না কেন!

সাফি এর ছবি

৭১ চর্চা নিতান্তই অনর্থক মানে কী হে জানোয়ার?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

জানোয়ার নামটা পারর্ফেক্ট হয়েছে। এই জানোয়ারগুলো ৭১-এও জানোয়ার ছিল, এখনও সানোয়ার নামের আড়ালে জানোয়ারই রয়েছে।

সানোয়ার এর ছবি

আমি আপনাদের পাল্টা গালি দিব না। আমি জেনে গেছি আপনারা কতটুকু সভ্য, তাই আর কথা বাড়াবো না। শেষ কথা, কউকে গালি দেওয়ার পর আয়নায় নিজের মুখ টা দেখুন। বুঝে যাবেন এমন কিছু যা স্বাধীনতা আপনাদের বুঝাতে পারেনি।

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে অনেক কিছু জানা হল। কে ভালো কে কালো জানিনা, তবে সব দেশে ঘুন ধরানোর জন্য এই অপদার্থ অজাত ও সরি নেতারাই ! দায়ি। ক্ষমতায় এলে সব্বাই খেতে বসে যায়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এবং আগের জনের থেকে বেশী বেশী খায়। এ যেন এক লুপ, বের হবার কোন পথ নেই!

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চলুক

সাফি এর ছবি

নিয়াজ ভাই, পোস্ট লেখার আগে যদি সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেন, তাহলে দেখবেন কাছাকাছি বিষয়ে মোটামুটি একি প্রকার পোস্ট ইতিমধ্যে সচলে এসে গেছে। পাঠ্ক হিসেবে এই পোস্টটাকে আমি তাই আগের পোস্টের মন্তব্য হিসেবেই চাইব।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সাফি ভাই, আমি হিমু ভাই-এর পোস্টে মন্তব্য হিসেবে দেয়ার কথা প্রথমে চিন্তা করেছিলাম কিন্তু আকৃতিগত কারণে পরবর্তিতে অপেক্ষা করি আগের পোস্টটা প্রথম পাতা থেকে সরে যাওয়ার জন্যে। এরপরই মূলতঃ পোস্টটা দিয়েছি। তবু ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ মাথায় রাখবো। শুভেচ্ছা রইলো।

সাফি এর ছবি

চলুক

হেমন্তের ঘ্রাণ এর ছবি

দারুণ !!

সেই পরিবর্তনটা এখনই আনুন। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন এবং জামাত-শিবিরের সংস্পর্শ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে বৈ কমবে না।

পুনশ্চঃ আপনার এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং আশা করবো ভবিষ্যতে আপনি আরো লিখবেন। মত প্রকাশের অধিকারকে দমানোর নয় বরং সকলের মতামতকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতা আমরা আমাদের আগামী দিনের জনপ্রতিনিধিদের মাঝে দেখতে চাই।

চলুক চলুক চলুক

সানোয়ার এর ছবি

ভাই থুক্কু বলেন। এটা যুদ্ধাপরাধ না হবে মানবতা বিরোধী অপরাধ। লেখক আলমগীর সাহেবের আশীর্বাদ এর মোহে বুঝতে পারে নাই কি বলতে কি বুঝায়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

জানোয়ার, তোমরা যে সুবিধাবাদী পরগাছা, সেটা তোমার মিত্ররাও বুঝবে। তবে ততদিনে তাদের 'পেছন'টা মেরে দেবে তোমরা। আলমগীর সাহেবের আশীর্বাদের দরকার লেখকের নেই, সেটা তোমাদের নেতাদের রয়েছে যারা বিচারাধীন রয়েছে। তবে সেই আশীর্বাদও কাজে দেবে না নিশ্চিত থেকো।

তুমি উপরে একটা মন্তব্যে লিখেছো, "৭১ এর চর্চা নিরর্থক"। এটা বলে তুমি কার আশীর্বাদ পেতে চাচ্ছ? তোমার মন্তব্য পড়েই সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে কেন জামাতকে বাংলাদেশ থেকে পাছায় লাথি দিয়ে বিদায় করা দরকার।

যুমার এর ছবি

চলুক

মামুনুর রশীদ এর ছবি

আলমগীরের মত এক অসভ্য লোক এক অখাদ্য লিখে তো হই চই ফেলে দিলো। তার চামচামি করে যারা সেখানে মন্তব্য করেছে তা দেখে একটু মন খুলে হাসা গেলো। বেচারারা। কয়েকজনকে আবার দেখলাম তাদের ঠাকুরগাঁয়ের ঠিকানা সমেত মন্তব্য করতে, যদি আলমগীর সাহেব চামে চিকনে চিনে ফেলেন, সম্ভবত এই আশায়। হয়ত এই লোক এই মন্তব্যের রেশ ধরেই কাছে পেলে আলমগীরের থেকে খানিকটা সুবিধা আদায়ের ধান্দায় থাকবে। আহারে বাঙালী।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

গঠনমূলক সমালোচনা করাও সুবিধা নেয়ার সুযোগ ভাবে! আহারে বাঙালী!

শুধু এতটুকু শুনে রাখুন, আমাকে সুবিধা দিতে পারবে, এরকম কোন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে নেই। কারণ আমি তাদের এটা অনুরোধ করবো, "ভাই রাজনীতি ছেড়ে দিন। নূতনদের সুযোগ দিন।" কী মনে হয়, পারবে কেউ আমাকে এই সুবিধাটুকু দিতে?

সানোয়ার এর ছবি

নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন হউন। যে গঠনমূলক সমালোচনা করতে জানে, সে কারো নাম বিকৃত করে গালি দেয় না। অবশ্য সে যোগ্যতাও আপনার হত না, যদি না আরেক ভদ্র লোক আপনাকে অবহিত না করত। ঊপরের পোষ্ট গুলোতে চোখ বুলালে যে কেউ তা বুঝতে পারবে।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

যে নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন, সে নির্লজ্জ্বের মত নিজের অতীতকে ভুলে যাবার কথা বলতে পারতো না। আগে নিজে সচেতন হোন, তারপর উপদেশ দিতে আসুন; গ্রহণ করবো তখন।

সানোয়ার এর ছবি

আপনাকে উপদেশ দেওয়ার মত যোগ্যতা আমার আমার কোনদিনই হবে না তাই গ্রহনের সুযোগ প্রত্যাশী হওয়া অবান্তর। আর আমার অতীততো চারশত বছরের পুরানো; যারফলে আমি জানি কেন পূর্ব বাংলা আজ স্বাধীন আর পশ্চিমবাংলা কেন দিল্লীর অধীন।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনি যদি ৪শ বছরের পুরোনো ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন, আমি সেখানে সহমত দেব। আমি নিজেও আমাদের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত এবং সেটা শুধুই আধুনিক ইতিহাস নয়। তবে ৭১ আমাদের বর্তমান অস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই ৭১-কে ভুলে গিয়ে শুধু ৪শ বছরের ইতিহাস চর্চা আমার কাছে নিজের সাথে প্রতারণা মনে হবে। অবিভক্ত বাংলাকে রক্ষার জন্যে যে মানুষগুলো পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ করেছিল, তাঁদের প্রতি আমার যেমন অসীম শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনই ৭১-এ যাঁরা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার জন্যে শহীদ হয়েছেন তাঁরাও আমার গর্ব। আমার কাছে আমার বিভিন্ন পর্যায়ের ইতিহাস এবং সেই ক্রান্তিকালে আত্মত্যাগ করা মানুষগুলো কখনওই একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ডুপ্লিকেট! ঘচাং!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।