কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক - "শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?" যাত্রা শুরু করেছিলো মুর্শেদ ভাইয়ের উদ্যোগে এবং পরে তাতে শামিল হয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক-ও, সেই সাথে শোমচৌ-এর কারসাজির ক্যামেরাবাজি সিরিজ মিলিয়ে সচলায়তনের ক্যামেরাবাজি ইস্কুল বেশ ভালোই চলছিলো। আলোচনা হয়েছে অ্যাপারচার বা আলোকছিদ্র, পর্দাগতি বা শাটারস্পীড, সংবেদনশীলতা বা ISO, উন্মুক্ততা বা এক্সপোজার, ফোকাল লেংথ, HDR ছবি, বাবুর ছবি, বোকে/বোকেহ (Bokeh) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু সময়ের সাথে ইস্কুলের ক্লাস অনিময়িত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা করলাম সিরিজটাকে নিজের স্বার্থেই পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরই মাঝে সচলে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের সমাবেশ হওয়ায় আমার চেষ্টা থাকবে আলোচনার সূত্রপাত করা, বাকী আলোচনা এগিয়ে নেওয়া এবং আমাকে শেখানোর কাজ আপনাদের সবার ।
পুরোনো ক্লাসের হাল্কা রিভিউ হলো। এবার আসি আজকের বিষয়ে। আজকে আমি জানতে চাইবো প্রস্থ এবং উচ্চতার অনুপাত অর্থাৎ Aspect Ratio সম্পর্কে। আগ্রহীরা জানেন, ক্যামেরাবাজীর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ পোস্ট প্রসেসিং। এখন যেমন কম্পিউটারে বসে একগাদা বোতাম চাপাচাপি আর ইন্দুরের দৌড়াদৌড়ি করেই ছবির প্রসেসিং করা যায়(অনুপম ত্রিবেদি ভাই সময় নিয়ে ক্লিনিক-এ-আরিফগ্রাফি সিরিজটার নতুন পর্ব দিলে পোস্ট প্রসেসিং সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানা যাবে।), পোস্ট প্রসেসিং এর জন্য আগে অনেক যোগাড় জন্তর করা লাগতো। ছোটবেলায় মনে আছে মামা এক্টা ছোট্ট ঘরে ঢুকে ডিম লাইট জ্বালিয়ে কী সব করত, আর তার খানিক পরে দেখতাম কাপড় ঝুলানোর মতন করে সুন্দর সুন্দর ছবি ঝুলিয়ে দিত একটা তারে। সেই ঘরে একবার ভুল করে দরজা খুলে আলো ঢুকিয়ে দিয়ে কী বিপদ পড়েছিলাম সেই গল্প না হয় আরেকদিনের জন্য তোলা থাক। সে যাই হোক, আমার ক্ষেত্রে পোস্ট প্রসেসিং সচরাচর ছবি সাইজ মতন কাটাকাটি করা আর ছবির এক্সপোজার ঠিক করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আজকের আলোচনার বিষয় Aspect Ratio, কাটাকাটির(crop) পরের ছবির মাপ এর সাথে সম্পর্কিত।
ছবি তোলার পরে অনেক সময়েই দেখা যায় ছবির মাঝে অনাকাঙ্খিত উপাদান চলে এসেছে যা হয়ত ছবির মূল বিষয় থেকে দর্শকের মনোযোগ সরিয়ে নেয়, যেমন কাটার আগের এই ছবিটার সাথে তুলনা করা যেতে পারে কাটাকাটির পরে একি ছবির সাথে। সুতরাং ক্রপ করার মাধ্যমে আপনি এভাবে আপনার ছবিকে জঞ্জালমুক্ত করতে পারেন। ক্যামেরা থেকে আপনি যখন ছবি পান, সেই ছবির প্রস্থ এবং উচ্চতার এক্টা নির্দিষ্ট অনুপাত থাকে। সেই অনুপাতকে আমরা বলছি Aspect Ratio. এই অনুপাতের মান গুরুত্ব্পূর্ণ হবে তখনই যখন আপনি হয়ত ছবি প্রিন্ট করতে চাইবেন। কিংবা ছবিটা হয়ত এমন কোথাও ব্যবহার করতে চাইলেন যেখানে ছবির প্রস্থ বা উচ্চতা যেকোন একটার মান ধ্রুবক বা পরিবর্তন করা যাবেনা। সেক্ষেত্রে যা হবে তাহলো আপনার ছবি ভচকে যাবে অনেকটা এই ছবির(সূত্র) মতন -
এখন চিন্তা করেন, গার্লফ্রেন্ডের ছবির এই অবস্থা করলে সেই গার্লফ্রেন্ড থাকবে? আর ভুলেও যদি গিন্নির ছবির এই অবস্থা করেন, সেই ব্যাপারে কথা না বলাই ভালো।
এসব কারণে জ্ঞানী গুণীরা Aspect Ratio এর কয়েকটা মাপ প্রচলিত করে দিয়েছেন যেমন ৪ ঃ ৩, ৩ ঃ ২ বা ১৬ ঃ ৯ ইত্যাদি। কাটাকাটির পরে আমি তাই চেষ্টা করি প্রথম দুই মাপের যেকোন একটাতে থাকতে। যদি সেটা সম্ভব না হয়? তাহলে অনেকেই যেটা করেন ছবির চারপাশে বর্ডার লাগিয়ে Aspect Ratio ঠিক করে ফেলেন। নীচে একটা ছবির কয়েক ধরনের Crop দেখব আমরা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আপনার উপরে ছেড়ে দিলাম -
মূল ছবিটা তোলা কলোরাডোতে, আমাদের অনুরোধে জনৈক টুরিস্ট তুলে দিয়েছিলেন ছবিটা। Aspect Ratio ৩ ঃ ২ । কিন্তু ছবির বাম চিপা দিয়ে যেই গাড়িগুলোর মাথা দেখা যাচ্ছে তা ছবির আবেদন অনেকখানি নষ্ট করে দিচ্ছে বলে আমার মত। সুতরাং কাঁচি চালিয়ে গাড়িগুলোর চিহ্ন ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। কিন্তু যেহেতু আমরা চাইছি ছবির Aspect Ratio ঠিকঠাক রাখতে, সুতরাং এদিক দিয়ে গাড়ির উপর কাঁচি চালাতে গেলে দেখা যাবে অন্যদিক থেকে ছবির হয়ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ পরে যাবে। তাই আমি এখন যেটা করব মনে মনে ঠিক করব, ছবির কোন কোন উপাদান আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং চেষ্টা করব সেগুলোকে ছবিতে রাখার। প্রথমেই বলা যায় ছবির বিষয় আমরা নিজেরা, সুতরাং আমাদের ছবিতে থাকা খুবই দরকার। এরপরে আসবে পিছের পর্বতমালা, কলোরাডো গেছি আর রকি মাউন্টেইন রেঞ্জের সাথে ছবি থাকবেন তা কি হয়? এরপরে পিছের সবুজ পাহাড় যেটা কিনা ছবিটাকে কোনাকুনি দু-ভাগে ভাগ করেছে, আর রাস্তার S-curve(ফটোগ্রাফির কম্পোসিশনে S-Curve er বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে) ছবিকে ভিন্ন মাত্রা দিচ্ছে। তাই আমি চাইবো এই দুইটা জিনিসও আমার ছবিতে থাকে। সুতরাং দেখা যাক কয়েকটা ভিন্ন Aspect Ratio তে উপরের ছবিটাকে আরেকবার -
সবশেষে বর্ডার লাগিয়ে এবার ছবিটার Aspect Ratio ঠিক করে ফেলা যাক -
মন্তব্য
আমার কিন্তু ৪:৩ ভার্সনটাই বেশি ভাল্লাগসে
আমার নিজেরও এটা বেশ পছন্দ, তবে রাস্টাকেও সামনে আনার চেষ্টা করতে যেয়ে মঢেলদের ঠ্যাং কেটে দেওয়া লাগলো
সিরিজটা আবার চালু করার জন্য ধন্যবাদ।
বোকেহ-এর পরে তো অনেক বেলা গেলো পিপিদা, এবার কিবোর্ড/মাউস নিয়ে বসে পড়েন আরেকবার।
আমার একটা নিকন D90 আর দুটো কিট লেন্স [১৮-৫৫, ৫৫-২০০], অয়্যারলেস রিমোট, কেবল রিলিজ ও একটি প্যান হেড ভ্যানগার্ড ট্রাইপড আছে। ক্যামেরা বিষয়ক টেকনিক্যাল জিনিস মোটামুটি যতোদূর জানা দরকার তাও জানি। ফটো এডিটিং সফটঅয়্যার অ্যাডোবি ফটোশপ ও ফটোম্যাটিক্সের কাজ মোটামুটি জানি। ছবি তোলার সময় জায়গামতো রুল অব থার্ড, গোল্ডেন রেশিও ইত্যাদি ব্যবহার করি। শুধুমাত্র সঠিক কম্পোজিশন [ছবির ভিউ এরিয়া] বাছাই করতে পারি না দেখে আমার তোলা ছবিগুলো অতি জঘন্য মানের হয়। আমার স্ত্রী এসবের কিছুই না জেনে ক্যামেরা অটো মেডো রেখে ছবি তুললে সে ছবি আমার তোলা ছবির চাইতে ভাল হয়।
এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ কী?
দ্রোহীদা' ভালু কইছেন, আমার সমিস্যা আপনার অনুরুপ। এমুনকি মুবাইল দিয়াও আমার থিকা ভাল ছবি তুলতেছে সবাই। যা দেখতেছি, ছবি তুলার নিওম-কানুন সব ভুইল্লা যাইতে পারলে যদি কিছু হয়। কি যে দিনকাল পড়ছে, কিছুই আর আমাগো হাতে নাই।
ধন্যবাদ দ্রোহী সুন্দরভাবে আপনার সমস্যার বর্ণনা করার জন্য। আসলে এ সমস্যা আপনার একার না, এটা বরং খুব-ই সাধারন একটা সমস্যা। আর তাই এর সমাধানটাও সাধারন।
১। ফটোশপে একটা সিগ্নেচার বানান - "দ্রোহী ফটোগ্রাফী" বা এ জাতীয়।
২। ভাবীর তোলা ছবিগুলো ফটোশপে ইম্পোর্ট করুন।
৩। ছবিগুলোর কোনা কানা দিয়ে সিগ্নেচার বসিয়ে দিন। চাইলে ওয়াটারমার্ক ও করতে পারেন।
৪। এবার দ্রোহী জুনিয়রের দায়িত্ব থেকে ভাবীকে অব্যহতি দিয়েন, ওনাকে বলুন সচলে আমাদের জন্য লেখা দিতে।
৫। ছবিগুলো ফেসবুকে আপ্লোড করে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাকে ট্যাগ করে দিন।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - এই সমাধানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পিঠে, হাতে পায়ে, লাঠি বেলনের বাড়ি পড়তে পারে। তাই সমাধান প্রয়োগের আগে, চুরি, কাঁচি, ঝাড়ু, বেলন, খুন্তি এমনকী কাঁটা চামচ নিজের জিম্মায় এনে রাখুন। বক্স খাট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং খাটের তলা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। মনে রাখবেন, দুর্যোগে খাটের তলাই আপনাকে নিরাপদে রাখবে।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের আওতায় বাইরাবাইরি যে এখনই হচ্ছে না এই ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হলেন কী করে? কিন্তু এই ব্যাপারে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করে লাভ নাই। আমি এখন ভালো হয়ে গেছি। বিচিং একেবারেই করি না মানুষের নামে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কল্পনা শক্তির কথা বলছিলাম, তার উদাহরণ ধরেন ১৬:৯ ও পরের গুলোতে নিচে বাম কর্নারে গাড়িটাকে কল্পনাই ঠিকই দেখতে পাচ্ছি
নিজে যে ছবিতে পোজ দিয়া খাড়ায়ে থাকি সে ছবি নিজে তুলেছি দাবি করি ক্যামনে?
এখন না হয় ঘরের ভেতর বৌয়ে মারে, কেউ তা দেখতে পায় না, কিন্তু আপনার বুদ্ধি শুনলে তখন পাবলিকে রাস্তাঘাটে ধরে মারবে।
কথাটা ঠিক না। জাকাজা'র ইন্টেলের কাছে উক্ত ঘটনার অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রমাণ আছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাবী কি ইতালি থেকে জার্মানি আইসা পড়ছে নাকি?
ভাবী ইতালিতে কি করে?
--কাহিনীতে জমজ ভাইয়ের এন্ট্রি করান।
আমারো একই সমস্যা। আমি ইমেজ প্রসেসিং এ পিএইচডি করেছি। কিন্তু ছবি তুলতে পারিনা। তবে কি দুনিয়ার বাকি সকল পিএইচডি এর মতো আমিও একজন বিশিষ্ট বলদ?
কামলার কাজ কি আর পিএইচডি দিয়া হয়?
Clone টুল use করে গাড়ি গুলো মুছেও ফেলা যায়... তখন আর কাটা কাটি করার ঝামেলা পোহাতে হয়না, মুছা মুছির চিহ্ন ও থাকেনা......
Clone টুল ব্যবহার করতে পারলেতো হয়েই যেত সব সমস্যার সমাধান, কিন্তুক ফটোশপে সেরকম কাঁচা। ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য আমি ছবির এলিমেন্ট সংযোজন বিয়োজন কে ফটোগ্রাফির অংশ হিসেবে দেখিনা, বরং সেটাকে ডিজিটাল আর্ট হিসেবে এপ্রেশিয়েট করি।
ভাল থাকবেন।
এভাবে তো ভাবা হয়নি! প্রয়োজনীয় পোষ্টের জন্যে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ আপনাকেও
অনেক কিছু জানতে পরলাম, ধন্যবাদ,
একটা প্রশ্ন করতে পারি আপনাকে__________
ভাই নিকন পি ৫০০ ( Nikon Coolpix P500 ) কিনবো কি, না ওই দামের মধ্যে D-SLR কিনবো।
একটা পরামর্শ দিন আনাড়ির জন্য একটা ক্যামেরার নাম বলুন প্লিজ
এর চেয়েও অর্ধেক দামে ভালো দেখে একটা মোবাইল কিনেন। এইসব cooplmooplpix বা D-SLR ক্যামেরা দিয়া কি আর কথা কৈতে পারবেন?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কল্পনাশক্তি প্রবল হলে কি আর এত কিছু লাগে
আইপ্যাড কিনলে কেমন হয়?
আইপ্যাডের (টু) ক্যামেরার রিভিউ একদমই ভালো না। "Let's just put this out there: the iPad 2 cameras are really pretty bad."
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আইপ্যাডের কথাতো মস্করা করে বললাম। মানুষ যে আইপ্যাড বাগিয়ে ছবি তুলতে চাইতে পারে, নিজের চোখে না দেখলে তো বিশ্বাসই করতাম না
হাল্কা পাতলা ফটোগ্রাফির শখ থাকলে এবং বাজেটে কুলালে D-SLR কেনাই ভাল। নিকন ডি-৩১০০ এর দাম পি-৫০০ এর কাছাকাছি। কিন্তু ডি-৩১০০ এর সেন্সর প্রায় ১৩গুণ বড়। সুতরাং ছবির কোয়ালিটি অনেক ভাল পাবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সাফি ভাই
খুব ভাল লাগলো, বুঝতে পরলাম, ধন্যবাদ আপনাকে সাফি ভাই
খালি নিকনের গুণগান গাওয়ার জন্য পেতিবাদ জানায়া গেলাম
আমি নিজে আসলে নিকন ব্যবহার করি, তাই ক্যাননের ডিএসএলআর নিয়ে ধারণা নেই। আপনি ক্যানন সম্পর্কে বলুন না
ধন্যবাদ
ভাইরে আনাড়িদের কি আর নিকন পি ৫০০ বা ডিএসেলার লাগে? টাকা নিয়া দোকানে যান, বাজেটের মধ্যে যেইটা দেখতে ভালু লাগে কিনে ফেলেন চক্ষু বন্ধ করে। তাছাড়া ধুগোদা'র পরামর্শটাও কিন্তু দারুন। ভাল দেখে একটা ক্যামেরা-ফুন নিয়া ফালান সব টেনশন শেষ।
কল্যাণF দাদা আপনার কথা টা খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাদের
সাফি ভাই কম্পজিশন নিয়া কিছু কন। এক্কেরে শহীদ হয়া আছি। আগাম ঘুষ দিয়া গেলাম, এই লন (গুড়)
কম্পোজিশন নিয়ে লেখা আসার জন্য আমিও বসে আছি। এই বিষয়ে লেখা আসলে আসলেই উপকার হয় অনেক।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
একটা লেখা শুরু করে দেন, মন্তব্যে অনেক ফিডব্যাক পাওয়া যাবে।
ঘুষ খাইনা :-D। আমিতো সিরিজরে আবার বাঁচায় তুলল্লাম, এখন কেউ না কেউ ঠিকই কম্পোজিশন নিয়ে কিছু বলবে।
সাফি ভাই আপনি আবার মডু নাতো? মডুরা শুঞ্ছি ঘুষ খায় না, ত্যাল লয় না
ঘুষ খাইনা :-D। আমিতো সিরিজরে আবার বাঁচায় তুলল্লাম, এখন কেউ না কেউ ঠিকই কম্পোজিশন নিয়ে কিছু বলবে।
আবার চালু করলেন এই সিরিজটা! ভাল লাগল।
লেখা চমৎকার হয়েছে। চলুক। থামলে খবর আছে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বস, Aspect Ratio বিষয়ক ফিডব্যাক দেন।
মন্তব্যের জন্যে
ফিডব্যাক হিসেবে তাহলে দুইটা কথা বলি -
১। aspect ratio কে নিজস্ব মুন্সীয়ানার সাথে ব্যবহার করুন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। ছবিকে সমান চারকোণা/polaroid ফ্রেম দিতে পারেন, প্যানারোমিক ছবি তুলে নিজে-নিজে aspect ratio সেট করতে পারেন।
২। aspect ratio সেট করার সময় ফ্রেমের ভিতর এলিমেন্টগুলোর পারস্পরিক অবস্থানের দিকে খুব খেয়াল করে... composition এর জ্ঞান থাকাটা তাই অতীব জরুরী। ভিউফাইন্ডারে ছবির নেগেটিভ স্পেইস, প্রাইমারি কালারের অবস্থান এগুলোও হাল্কা-পাতলা খেয়াল করে ক্লিক করলে ছবি হবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কম্পোসিশন নিয়ে সময় করে একটা লেখা দেন না, নেগেটিভ স্পেস কি তাই তো জানতামনা
এইতো পাওয়া গেসে একজনরে কম্পোজিশন নিয়া লেখা ছাড়েন দেখি জলদি।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কম্পোজিশন ও কম্পোজিশনের টিপস নিয়া লেখার দাবি, লেখা চাই, দিতে হবে, থ্রী চিয়ার্স ফর ফাহিম হাসান, হিপ হিপ হুররে, হ্যাপ হ্যাপ হ্যাররে।
সাফি, পল্লব ও কল্যাণF ভাই-ব্রাদার,
লজ্জায় ফেলে দিলেন - কম্পোজিশান নিয়ে আমি নিজেও সামান্যই জানি। তারপরেও যতটুকু জানি লিখব। যেহেতু টেকনিকাল ব্যাপার, একটু সময় নিয়ে আস্তে-ধীরে লিখি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই আস্তেধীরে লেখেন । তয় আপনারে কিন্তু এখন থিকা চোখে চোখে রাখতেছি কইলাম (হুমকি ইমো), আর মাঝে মাঝে নানা পোস্টে যখন দেখা হইবো লেখার কথা নিজ দায়িত্বে মনে করাইয়া দিমু ।
ভুলতে দিয়েন না উনারে কইলাম
হ' সেটাই! থামলে খবরাছে। নিয়া বসলাম।
আর আমিও একটু কিছু শিখি! এমনিতেই লোকজন বলে আমি নাকি ডিএসেলার গলায় ঝুলিয়ে হুদাই ভাব নিই। এই টিউটোরিয়াল চলতে থাকলে দুষ্টুলোকের থোতামুখ ভোঁতা করে দেয়ার সময় আগতপ্রায়!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ডিএসেলার দিয়ে ভোতা করবেন নাকি?
আমার কাছেও ফোরইস্টুথ্রি সাইজটা বেশি ভালো লাগছে।
তবে আমি হইলে ফটোশপে ফেলে ক্লোন মেরে গাড়ি উড়ায়া দিতাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উপরে আরেকজনও একই বুদ্ধি দিলো কিন্তু ক্লোন তো পারিনা, তাই কাটাকাটিই গরীবের ভরসা।
এই রেশিও মাপার সময় কি ছবির কোনো অংশকে ধ্রুব ধরা হয়? যেমন, আপনার ছবির সবগুলো অনুপাতে ডানে-বামে-নিচে কাটাকুটি হলেও উপরের লাইনটা অক্ষতই থেকে গেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটা মনে হয় কম্পজিশনের খেল, তাইতি আমি কিন্তু আগে ভাগে কম্পজিশনের মাজেজা পুস্টের দাবী রাখচি উপরে।
না ওরকম কিছু ধ্রুব ধরা হয়না, পুরো ব্যাপারটাই মূলত আপনি ছবিতে কী রাখতে চান তার উপরে নির্ভর করে। কিন্তু যেহেতু প্রস্থ উচ্চতার অনুপাতটা এস্পেক্ট রেটিও ঠিক রাখতে গেলে নির্দিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে, তখন দেখা যাবে আপনাকে কিছু রাখতে হলে কিছু ফেলতে হচ্ছে।
উপরের ছবিগুলোতে আমি আসলে পেছনের পর্বতমালা রাখতে চেয়েছি, সেই সাথে চেয়েছি সবুজ পাহাড়ের কোণাকুণি লাইনটাও যেন ছবিতে কোণাকুণি প্রবেশ করে ছবিতে ত্রিভূজ(এইটা অন্য ত্রিভূজ) তৈরী করে। কারণ গুণিজনেরা বলেছেন যে ছবিতে জ্যামিতিক আকার বিশেষত ত্রিভূজ নাকি দৃষ্টি সুখকর।
৪:৩ টা সম্পূর্ণ মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ পিপিদা। ৪ ঃ ৩ টাই ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে।
সিরিজটি পুনরোজ্জীবিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সাফি'দা। সিরিজ নিয়মিত চলুক।
ধন্যবাদ মৃত্যুময় ঈষৎ। হাচল/সচল একাউন্ট থাকলে এরকম Offline মন্তব্য সচলে নিরুৎসাহিত করা হয়।
মাঝে মাঝে করে ফেলছিলাম..............তবে এখন থেকে না করার সচেষ্টা রাখবো অবশ্যই।
_____________________
Give Her Freedom!
পুরানো লিংক গুলোর জন্য ধন্যবাদ। আর নতুন পোস্টের আশায়
ধন্যবাদ শাব্দিক। নিজের স্বার্থেই পুরাতন লিঙ্কগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। এখানে উল্লেখ করলাম নতুনদের অনেকেই জানেনা তাই।
একক্ষান ক্যমরা কিনোনের ধান্দায় আছি .... এই সময়ে এই পোষ্ট!!!!!!!!!!!!!!! একেবারে সোহাগা দাদা।
ধন্যবাদ। হুট করে ক্যামেরা না কিনে, ইন্টারনেট ঘেঁটে বন্ধু বান্ধবের সাথে কথা বলে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েন।
দাদা,
সব মিলায়ে মানে সচলের সমস্ত ফটোগ্রাফারদের জন্যে নিদেন পক্ষে একটা আলাদা সেকশন কিংবা একটা আস্ত ই-বুক কি বের করা যায়না? যেটাতে চিপা চাপার সব কিরিঞ্চি টেকনিক সহ মোটা দাগের টেকনিক ও থাকবে? তাতে আমাদের মতো কিনলেও কিনতে পারি ডিএসএলআর দের আলাদে কোন বই কিনতে হতো না। ভালো থাকবেন।
মানিক
মানিক ভাই, এরকম একটা চিন্তা থেকেই আমি আসলে পুরাতন এই সিরিজ্টা আবার পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম। চেষ্টা থাকবে বাকী পোস্টগুলোকে একটা সাধারণ ট্যাক্সোনমির আওতায় নিতে, ই-বুক না হলেও। ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
গুরুত্বপূর্ন পোস্ট, লেখা চলুক।
ধন্যবাদ
আমার এক বন্ধু হাতে ক্যামেরা ধরায় দিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে দিতে বলল। দুই একটা ক্লিক করে ক্যামেরা ফেরত দিতেই সে অগ্নিশর্মা!! মানুষের সাম্নেই আমাকে ধমকাধমকি শুরু করলো। আমার তোলা ছবি সবাইকে দেখায়ে আমাকে শেষে দেখতে দিল। ক্যামেরায় দেখি কার্পেট আর কিছু মা খালাদের পায়ের ছবি। ঠিক বুঝলাম না, মনে হয় ক্যামেরায় দোষ ছিল!
মা খালার প্রতি আপনার শ্রদ্ধা দেখে মুগ্ধ হৈলাম, এর পর থেকে এক্টু ক্যামেরা উঁচা করে ধরলেই কাজ হয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
অ্যাডোবি ফটোশপের 'Content-Aware Scaling' ব্যবহার করে বড় রকমের ঝামেলা ছাড়াই অ্যাসপেক্ট রেশিও বদলানো যায়।
বিশ্বাস না হইলে এই যে দ্যাখেন।
ফটোশপ তো দিনকে দিন আলাদিনের চেরাগ হয়ে যাইতেসে। কয়েকদিন আগেই ভিডু্য দেখ্লাম, হাত কাঁপাকাপিও পোস্ট প্রসেস করে ঠিক করে দিতেসে!
হ!
ওরে ওরে! দারুন ব্যাপার স্যাপার। এটা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছবিটার কয়েকটা ব্যাপার চোখে পড়ল। ছবিটার সাবজেক্ট লোকজন। এদেরকে ছবিতে ঠিক মতো ফোকাস করতে হবে। এক্ষেত্রে গাড়ি বাদ দেয়াটা সেকেন্ডারী, প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারট হওয়া উচিৎ ছবিতে এই সাবজেক্ট কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এক্ষেত্রে নীচের তিনটা কাজের একটা করা যায়:
১। সাবজেক্টকে কেন্দ্রে (মাঝ বরাবর) নিয়ে আসা। আকাশ আর ডান দিকটা ক্রপ করে এটা করা যায়। কিন্তু একেবারেই সাদামাটা হয়ে যাবে ছবিটা। তাছাড়া গাড়িগুলোও থেকে যাবে।
২। রুল অব থার্ডস ব্যবহার করে মাথার দিকটা সামান্য কেটে দেয়া। এক্ষেত্রে গাড়িগুলো থেকে যাবে।
৩। এছাড়া গোল্ডেন রেশিও বা রিব্যাটমেন্ট অভ রেকট্যাঙ্গল এগুলো লক্ষ্য করলেও দেখা যাবে ছবিটা এগুলোর কোনোটাতে পরিনত করতে হলে প্রায় অসম্ভব হবে।
সুতরাং আমার সাজেশন হবে রুল অব থার্ডস ব্যবহার করে ছবিটাকে কাটছাট করা। গাড়িগুলোকে সরাতে ফটোশপের কনটেন্ট অ্যওয়ার হিলিং বা পা্যচিং ব্যবহার করা যেতে পারে।
লক্ষণীয় যে, ছবিটাতে অ্যাসপেক্ট রেশিও ঠিক রাখতে গিয়ে সাবজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটে নীচের দিকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে ছবির ব্যাল্যান্স নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আর লক্ষণীয় যে, ছবির সাবজেক্ট কোনটা সেটা বোঝা যায় না। প্রকৃতি আরেকটু বোকেহ হলে মানুষগুলো আরো প্রাধাণ্য পেতো। কিন্তু এই সমস্যাটা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আপনার মন্তব্য পোস্টকে অনেক সম্বৃদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
ছবির সাবজেক্ট মানুষ সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই, কিন্তু মানুষ ছাড়াও পিছনের পর্বতমালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেগেছে। ছবিটা শুধুমাত্র উদাহরন হিসেবে নিয়ে এসেছিলাম পোস্টে, ফটোগ্রাফিক এস্পেক্টের চেয়ে ছবির ফেসবুকিয় এস্পেক্ট বেশী আসলে এই কারণে নির্দিষ্ট সাব্জেক্টের সাপেক্ষে বোকেহ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নাহ।
এইটা কোন পোস্টই হয় নাই ! এসপেক্ট রেশিও করে ফেলুন বললেই হয়ে যাবে ! কিভাবে করতে হবে সে ব্যাপারে কোন কথাবার্তা নাই, কতকগুলো ছবি দিয়ে বললেন এইটা এই এই রেশিও ! এইটা সুন্দর, এইটা বেশি সুন্দর ! বললেই হলো !!
কেমনে এসপেক্ট রেশিও ঠিক করতে হবে, কেমনে তা কার্যকর করতে হবে সেটা না বললে এইটা কানা মানুষদের কী কাজে লাগবে ! অতএব যতক্ষণ উপায়টা না বলবেন, ততক্ষণ পোস্টে মাইনাস !! এবং পোস্ট পড়বো না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দুঃখিত রণদা, উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল।
যেকোন ফটো এডিটর যেমন পিকাসা, পেইন্ট ডট নেট বা এডোবি ফটোশপের ক্রপ টুলটা ব্যবহার করে ছবি কাটাকাটি করবেন। কাটাকাটির আগে/পড়ে ছবির প্রস্থ আর উচ্চতার অনুপাতটাই এস্পেক্ট রেশিও। কাটাকাটির সময় সৌন্দর্য্যের ব্যপারটা মাথায় রেখে কাটাকাটি করবেন। এবং সৌন্দর্য্যে সংজ্ঞা যেহেতু আপেক্ষিক, তাই এই পোস্টে কোন নির্দিষ্ট উপায় আসলে বলা হয়নাই
বুঝাতে না পারলে অনুগ্রহ করে প্রশ্ন করবেন।
ভাল থাকবেন।
facebook
এইরকম একটা সিরিজ সচলে আছে এটাই জানতাম না। ধন্যবাদ সাফি ভাই।
পড়ে ভালো লাগলো
নতুন মন্তব্য করুন