বয়সন্ধির ছয়টা বছর ছিল কবর আজাবের মত বিভীষিকাময়। আর নির্মমভাবে উপুর্যপুরি গজব প্রদানকারী ব্যক্তিটি হলেন 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' আমার মা। টক-ঝাল-মিষ্টি আমার কিশোরীবেলা নিমতিতা হয়ে গিয়েছিল ওনার অত্যাচারে। নিয়মিতভাবেই আমাদের ভেতর অনুষ্ঠিত প্রচন্ড উত্তপ্ত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমি ওনাকে ঘায়েল করতে এ্যাটম বম্ব মারতাম,
"তুমি আমার সাথে এরকম ঘসেটি বেগমের মত আচরন কর কেন?!"
"তুই যাতে কোনো কেলেন্কারিয়াস কেচ্ছা-কাহিনী না ঘটাতে পারিস, তাই".... স্ফূটন্মুখ এ্যাটমের মুখে এক বালতি ঠান্ডা পানি ঝপাত করে ঢেলে দিয়ে ওনার সদম্ভ প্রস্থান।
পান থেকে চুন খসলেই অসহ্য গালিগালাজ। সকালে বিছানা ছাড়তে একটু দেরী হলে হালকা ঝাড়ি। রুটি-সুজি-অলুভাজির মত বিষ খেতে গাঁইগুঁই করলে কড়া ডোজের ঝাড়ি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বকুনির তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। স্কুলে যাবার আগে ভাত খেতে অস্বিকৃতি জানালে তীব্র ঝাড়ি। ঝাড়িবাজ মহিলা !!
জীবনটাকে বিষাক্ত মনে হত ওনার কারণে। একমাত্র আনন্দ ছিল স্কুল শেষে যখন বাড়ির সাথে লাগোয়া প্রকান্ড মাঠটায় খেলতে যেতাম। পাড়ার সব ছেলেমেয়েরা আসত। প্রতিটি বিকেল ছিল 'হৈ হৈ কান্ড, রৈ রৈ ব্যাপার'। গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা, বউ-চি…আরো কত কি! মাঝে মাঝে চলত 'লুডু চ্যাম্পীয়নশীপ'; কোনদিনও ফার্স্ট রাউন্ড উৎরাতে পারিনি; সেরকম কোনো সম্ভাবিলিটিও ছিল না। আমি তো আর তারেক চুরার মত দুর্ধর্ষ চোর না ! চুরি-চামারি ছাড়া লুডুতে জেতা যায় না।
কোনো কোনো বিকেলে কি এক অজানা কারণে আমরা কয়েকটা মেয়ে ছাড়া আর কেউ মাঠে আসত না। ঐরকম দৈত্যাকার মাঠে মাত্র তিন চারজন মেয়ে কি করব ভেবে না পেয়ে, যা করলে ষোলো আনা মজা পাওয়া যায়, তাই করতাম; 'কৎবেল-মানিকদের' বাসার টিনের চালে ইয়া বড় ইটের ঢ্যালা ছুঁড়ে মারতাম।
ধাপ ধুপ করে তিন চারটা ঢিল একসাথে টিনের চালে পড়া মাত্রই যে সাউন্ড ইফেক্ট তৈরি হত তার কোয়ালিটি ডলবী ডিজিটালের চেয়েও তোফা! ক্লাইমেক্স চরমে উঠত যখন শব্দ শোনা মাত্রই সতের বছরের মানিক লুঙ্গির গিট সামলাতে সামলাতে, ওদের বাসার গেইটে এসে, ঠোঁট দুইটা কৎবেলের মত গোল বানিয়ে চিৎকার দিত, "কেডো রে ওডো!!"
- ওর ঐ জয়পুরহাট-Accent শোনা মাত্রই আমরা খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে পড়িমড়ি করে যে যার বাসার দিকে ভোঁ-দৌড়।
এই নিষিদ্ধ সুখ আমার কপালে ছয় মাসও সইলো না। সুখের কপালে আগুন দিল কে?...হিটলারনি, দজ্জালনি, আমার মা! উতপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলো। আমাকে 'বেয়াদব' এবং আরও কি কি সব আপত্তিজনক বিশেষন বোলে যাচ্ছেতাইভাবে গালি দেয়া হলো। আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকলো না যে ওদের টিনের চালে ঢিল ছোড়ায় এত দোষের কি হলো! মানুষ খুন তো করিনি রে আল্লাহ্! আমি এটা সেটা করে আনন্দ পাই, ভদ্রমহিলার তা মোটেই সহ্য হয় না। উপসংহার টানলেন,
"আর করবি এই কাজ?!"
"একশ বার করব"!
"বেয়াদব, থাপ্প্পর দিয়ে দাঁত ফেলে দেব!"
"I hate you"
"কি বললি?...ঠাস্ করে এক চড় পড়ল আমার কিশোরী, আত্মাভিমানী গালে।
"I hate you more!”
"আজ রাতে তোর ভাত বন্ধ!”
সশব্দে দরজা লাগিয়ে স্বেচ্ছাবন্দী করলাম নিজেকে। রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে, ভাংচুর করার মত সুবিধাজনক কিছু হাতের কাছে না পেয়ে, তোশকের নিচে লুকিয়ে রাখা আমির খাঁনের পোস্টার কুটিকুটি করে ছিঁড়লাম। সেই রাতে আমাকে কেউ ভাত খেতে ডাকেনি; আমিও টেবিলে যাইনি। আমার মান-ইজ্জত, দেমাগ নাই নাকি?!
রাত তিনটায় ক্ষুধার জ্বালায় ঘুম ভেঙ্গে গেল। চুপচাপ ফ্রিজের দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম, ডান হাতের কনুই ডাইনিং টেবিলে রেখে, হাতের তালুতে মাথা রেখে মা আমার বসে বসে ঝিমুচ্ছে। কপালে একটা রক্ত খেয়ে ঢোল হয়ে যাওয়া মশা। ওনার সামনে একটা প্লেট ঢাকা দেয়া। টেবিলে আমার শরীফ ম্যালামাইনের প্লেটেও খাবার ঢাকা দিয়ে রাখা। মা আমার সারা রাত না খেয়ে বসে আছে আমার অপেক্ষায়।
- কাছে গিয়ে ঘুমন্ত মাকে জড়িয়ে ধরে খুব কঠিন সেই প্রতিজ্ঞাটি কি অবলীলায় করে ফেললাম, "আমি আর কোনদিন কারো টিনের চালে ঢিল মারব না”।
স্কুলের সব বান্ধবীরা দলবেঁধে অমুক তমুক স্যরের কাছে প্রাইভেট টিউশন নেয়। কত্ত আড্ডা হয়, গল্প হয়, মজা হয়! আমিও যাব নলিন স্যরের বাসায় পড়তে। বাধ সাধলো মা, এক্কেবারে মীরজাফরের মহিলা সংস্করন! বাসায় অঙ্ক আর বিজ্ঞানের জন্য দুইজন স্যর বরাদ্দ করা হলো। আমার ব্যাচে পড়তে যাবার স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান করে দিলেন তিনি; বাণী দিলেন, “অন্যের বাসায় পড়তে যাওয়াটা নিরাপদ নয়”। শত্রুর মুখে নিরাপত্তার বাণী শুনে আমার পিত্তি জ্বলে গেল!
ইদানিং দেখি মাঠের ওই পারে অচেনা একটি ছেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আমাদের খেলা দেখে। আমাদের সাথে খেলে না ও। ছেলেদেরকে আড়চোখে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার অভ্যাস আমার বহু পুরানা। একেও ট্যারা চোখে চেক আউট করতে গিয়ে বুঝে ফেললাম ধরা পড়ে গেছি; সেও আমাকে চেক আউট করে! কি সর্বনাশ! স্কুল গেইটেও ওকে দেখি কেন?! বৃষ্টির বিকেলে মাঠে খেলা ভন্ডুল হয়ে গেলে আমার চোখে সুনামি নামত। খেলতে না পারার শোকে নয়, ওকে দেখতে না পাওয়ার কষ্টে।
পাঁচ বছরের পুচকা দোলনের হাতে ও একটা চিঠি পাঠিয়েছে একদিন। দোলন তিড়িং বিড়িং করে কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, "রিপন ভাইয়া বলছে আই লা ভিউ। তুমি কাউরে বোলো না" ।
কি সুন্দর তার হাতের লেখা আর চিঠির ভাষা! রিপনের প্রেমে আমার ডুবে মরার দশা হলো। ও ছাড়া আর কিছুই ভালো লাগেনা। দিন রাত ওর চিঠির অপেক্ষায় থাকতাম। (তখনও দেশজুড়ে মোবাইল ফোনের আগ্রাসন শুরু হয়নি; প্রেমঘটিত ভাব বিনিময়ের সবচেয়ে কনফিডেন্শিয়াল মাধ্যম ছিল চিঠি)
চিঠি দেয়া-নেয়া, মন দেয়া-নেয়া চলল এভাবে দু'মাস। একটা চিঠিতে লেখা, "আজ বিকেলে তোমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাব। মাত্র একবারের জন্য তোমার হাতটা ধরতে দেবে?"....আমি তখন পারলে জগত সংসার তছনছ করে হলেও ওকে 'সব' দিয়ে দিতে প্রস্তুত।
ওই দিনই মা আবার স্বমুর্তিতে আবির্ভুত হলেন! সাক্ষাত আজরাইল! "ভার্সিটি পড়ুয়া ছাব্বিশ/সাতাশ বয়সী ওই দামড়া ছেলে তোর মত তের বছরের মেয়ের কাছে কি চায়? ও তো চাইলে ওর ভার্সিটির লাখ লাখ মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারে। করে না কারণ, তোর কচি মাথা খাওয়া খুব সহজ। খুব শীঘ্রই দেখবি ও তোকে ফাঁকা কোনো বাসায় নিয়ে যাবে তারপর তোকে ফুসলাবে খারাপ কাজ করার জন্য।"
- রিপন সম্পর্কে এরকম নোংরা কথা আর একবার শোনার আগেই আমাকে এই বাসা ছাড়তে হবে। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড একদিকে আর আমার রিপন একদিকে। দরজা লাগিয়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলাম। খুব ভোর বেলা সবাই ঘুম থেকে জাগার আগেই আমি এই বাসা ছেড়ে রিপনের কাছে চলে যাব। তারপর আমরা গাছতলায় ঘর বাঁধব। গহীন বনে দু’জন হাত ধরে গান গাইব। আমাদের অমর প্রেম কেউ ভাঙতে পারবে না। রিপনের চেয়ে বেশি ভালো কেউ কোনোদিন আমাকে বাসতে পারবে না।
ভোর চারটায় রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম। দেখি মা উদ্ভ্রান্তের মত সারা উঠানময় পায়চারী করছে পৌষের এই কনকনে শীতের রাতে। গায়ে গরম কাপড় নেই। আমি হতভম্ভ! একটু ইতস্তত করে কাছে গিয়ে হাত ধরলাম। বরফ শীতল হাত। ভার্সিটির দামড়া প্রেমিকের হাত থেকে বালিকা মেয়েটিকে বাঁচাবার দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম মা আমার কেঁদে কেঁদে চোখদুটো ফুলিয়ে ফেলেছে।
এক রাতেই শুকিয়ে যাওয়া, বুড়িয়ে যাওয়া মাকে দেখেই বুঝে গেলাম কে পৃথিবীতে আমার সব চেয়ে বড় শুভাকাঙ্খী; আর কেনই বা সে তাঁর কাদা-মাটির মনটাকে এভাবে কঠোরতার মুখোশ দিয়ে ঢেকে রাখে।
মন্তব্য
হুম, আমাকেও কেউ প্রেমের চিঠি দিলে আমার মা সেগুলো ছিঁড়ে ফেলত।
আহা রে...আসেন দুইজন গলা ধরে কান্দি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পোলাপানের হাতে দিতেন ক্যান? আজীববব
গুছায়ে টুছায়ে পারফিউম দিয়া টিয়া রাখতেন!!
যাক শেষ পর্যন্ত উঠেছে।
মায়ের এতো ধাবড়ানি কখনো খাওয়া হয়নি।
মায়ের এতো ধাবড়ানি কখনো খাওয়া হয়নি?
আপনি নিশ্চয়ই সুবোধ (মতান্তরে ভাদ্যাইম্মা) টাইপের বালক/বালিকা ছিলেন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
না গো আফা, স্কুল থেকেই বোডিং স্কুলে (বুঝতেই পারতেছেন কতো সুবোধ ছিলাম)।
চাকুরী জীবনে এসে আম্মাজানের সাথে কয়েকবছর থাকার সুযোগ হয়েছিলো।এখন আবার দৌড়ের উপর।
তবে যে কয়েক বছর পাশে ছিলাম ঐসময়েই না থাকা সময়ের সব শোধ করে দিয়েছেন।
, মা ক দিন পর দূরে চলে যাবেন, এমতাবস্থায় লেখাটি পড়ে । এই প্রসঙ্গে ফ্রেড জিপসনের এক বইয়ের মাতাল ডাক্তারের কথা মনে পড়ে, সে বলত, সবাই মা বেচে থাকতে কেন এত অন্য জিনিস নিয়ে মেতে থাকে!
facebook
জাঝা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মা...
মা...
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
লেখাটা দুর্দান্ত ভালো লাগলো।
আপনার মায়ের ইন্টালিজেন্স নেটওয়ার্ক সিআইএর থেকেও মারাত্মক। আপনি কী করছেন এবং কী করতে পারেন সেই বিষয়ে তিনি সাংঘাতিকভাবেই ওয়াকিবহাল। কঠোরতার মুখোশটাও ভালো ক্যামাফ্লেজ।
পোস্টে পাঁচতারা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উচ্ছলা বহৎ খুশ হুয়ি
আদাব আর্জ, জানাব
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বেশ ভালো লাগলো পড়ে যেতে।
ধন্যবাদ
আমি তো আপনার লেখার ফ্যান সেই কবে থেকে !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আরে এই মেয়ে বলে কি। আমার আবার লিখা, লিখিতো ছাইপাশ। আপনি অনেক ভালো লিখেন।
বিনয় !!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হুম। কিন্তু রিপন সাহেবের কী হলো? জাতি জানতে চায়।
হ! জাতির আর খায়া-দায়া কাম নাই, রিপনরে নিয়া এনকোয়ারি করব!!
গান হুনেন !!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অসাধারণ।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অনেক অনেক ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভালো লাগলো। আপনাকে একটু খোঁচানোর ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আবার ভাবলাম থাক! আগের পোস্টের লুঙ্গি নিয়ে আর টানাটানি না করাই ভালো।
ধন্যবাদ
খোঁচাখুঁচি, লুঙ্গি নিয়া টানাটানি...ভদ্রমানুষে এসব করে?...তারচে' আসেন গান শুনি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অনেকেরতো সারাজীবনেও আক্কেলদাঁত ওঠেনা। যাক বাবা আপনারতো উঠেছে। আমার এখনও সন্দেহ জাগে আমার আক্কেলদাঁত আদৌ উঠেছে কিনা!
লেখাটা বেশ ভাল লেগেছে।
অ:ট: আপনার উপহার সানন্দে গ্রহন করলাম।
প্রৌঢ়ভাবনা
ধন্যবাদ
বাকি তিনটা আক্কেলদাঁত উঠি উঠি করেও উঠে না
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
লেখা দারুন লেগেছে। শুধু মনটা একটু খারাপ রিপনের জন্যে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ
রিপনের জন্য মন খারাপ করে লাভ নাই। ঐটা একটা long-gone case. মাত্র দুই মাসেই স-অ-ব শেষ শুরু না হতেই শেষ
মন ভালো করা একটা গান শুনুন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দারুন লিখেছেন, একটানে পড়ে ফেললাম। শেষ করে আরোও পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল। খালি একটা জিনিস - ঐযে পাতায় একজন '+' চিহ্ন দিয়ে পত্র দিয়েছিল না? ঐটার কি হল?
ঐটা উজ্জল-case
উজ্জল খুব ব্যাটাগিরী করত। তাই পনের দিনের মাথায় ওকে হাইকোর্ট দেখিয়েছি
প্রশংসার জন্য প্রাণঢালা ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আক্কেল গুড়ুম হল।
তাসনিম ভাইজান যেমন বললেন
এক কথায় ব্যাপক হয়েছে।
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ, শর্মাজী
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আপনার লেখা দারুন লাগে ।
অনেক ধন্যবাদ, ভাবীসাব
দোআ রাইখেন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভাবীসাব দেখি ম্যালাদিন পরে এইপাড়ায় পা দিলেন... স্বাগতম... আসেন কেমুন? ভাইজান ভালো আছে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাবী!!!
হ্যাচ খেয়েছে কোথায়? জাতি জান্তে চায়!
স্ক্রু ড্রাইভার ;পি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খুব সুন্দর লাগলো স্মৃতিচারণ, আপু।
ঐ বয়সটায় ভুল হয় আবার হয়তো হয় না..............
_____________________
Give Her Freedom!
ঐ বয়সটা সাংঘাতিক ভালনারেবল্...কড়া মনিটরিং এবং গাইডেন্স না থাকলে ঐ বয়সী ছেলেমেয়েরা ভয়াবহ ভুল-ভ্রান্তি করে ফেলে!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাইয়া
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বাহ, চমৎকার লাগলো। ...
গল্পগুলোর বয়স অনেক, কিন্তু এই গল্পেরা কখনো পুরোনো হয় না।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
'ঘসেটি বেগম'রা যে আসলে ছদ্মবেশী 'ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল' বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যায়!
****************************************
আমার তো দেরী হয় নাই ( ধেই ধেই নৃত্যের ইমো হবে এখানে)
আপনার 'ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল'কে নিয়ে লিখে ফেলুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মা নিয়ে লেখালেখি সচলে বন্ধ হোক ... আমরা যারা মা থেকে হাজার মাইল দূরে অনেক কষ্ট করে হাসি হাসি মুখ করে থাকি ... সেটা কি আর হতে দেবেন না নাকি!!
রিপন ভাই এর জন্যে খ্রাপ্লাগে ... ভাল লিখছেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মা নিয়ে লেখালেখি করলে খুব শান্তি পাওয়া যায়...ট্রাই করেই দেখুন না
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দারূণ লাগলো লেখাটা পড়ে।
হিংসা হচ্ছে, আমাকে কেউ কোন প্রেম পত্র দিল না এই জীবনে দুঃখ!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তারানাদি, আপনার সিগনেচারটা কোন কবিতার অংশ?? অসম্ভব রকমের সুন্দর!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
@কুহর:
রহমান হেনরীর কবিতা :
অনুসিদ্ধান্ত / রহমান হেনরী
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
404 Not Found
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
তারানা, মনে হয় আপনি 'sms' যুগের পোলাপাইন, তাই 'প্রেমপত্র' পান নি
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ গো
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অ-সা-ধা-র-ণ!! শুধু শেষ লাইনটার জন্যেই পাঁচ তারা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
Hugs ♥
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আপনার লেখালেখির মুগ্ধ পাঠক হয়ে যাচ্ছি তো দিনকে দিন
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আল্লাহ্ সত্যি?! :)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তের বছর বয়সেই মা আর রিপনের পার্থক্য বোঝার মতো 'আক্কেলদাঁত'-এর অধিকারী হওয়াটা একটা বড় ব্যাপার। অনেকের তো তেত্রিশ বছরেও এমন 'আক্কেলদাঁত' গজায় না।
আপনার লেখা খুব ঝরঝরে আর উপভোগ্য। আরো লেখা পড়ার জন্য তাই সবসময়ই আগ্রহী থাকবো।
প্রবলভাবে, ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হলাম অনেক ধন্যবাদ :)
সকল তেত্রিশ বছর বয়সীদের অবিলম্বে 'আক্কেলদাঁত' গজাক
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
কিছুদিন ধরেই দেখি দাঁত দিয়ে কামড়াতে গেলে, উপরের পাটির পিছের দিকের এক দাঁতের সাথে নিচের পাটির এক দাঁতের টক্কর লাগ্ছে। ব্যাপারটা বুঝিনাই, কয়েকদিন এমন যেতে নিচের দাঁত যখন রণে ভঙ্গ দিয়ে আত্মহত্যা করল, তখন জানলাম চার চারটা আক্কেল দাঁত গজিয়ে গেছে। এখন নিচের দাঁতটার না ভাঙ্গা অংশ টেম্পোরারি ফিলিং দিয়ে নিজেই ফিলিং করে বসে আছি, আরো কয়েক্টা দাঁতের বারোটা বাজলে ঠিক করেছি একবারে দেশে যেয়ে দাঁত দেখিয়ে আসব। এই মরার দেশে দাঁতের চিকিৎসার যেই খরচ তাতে আশা করি দেশে যাওয়া আসার টিকিট হয়ে যাবে।
চার চারটা আক্কেল দাঁত একসাথে গজিয়ে গেছে! বিরল ঘটনা!!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বাসায় থাকতে রেগুলার ঝগড়া হত, আক্কেল হয়েছে প্রবাসজীবনে।
লেখা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আক্কেল প্রাপ্তিতে অভিনন্দন
অনেক ধন্যবাদ, ফাহিম
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
(থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার )
একদিন আপ্নিও মা হবেন । শুভেচ্ছা...
হাচলত্বে অভিনন্দন
অনেক অনেক ধন্যবাদ, বরকন্দাজ সাহেব
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাচলত্বের অভিনন্দন।
লেখা ভাল লাগল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
তিথির লেখা আমারও খুব মিষ্টি লাগে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এখনও প্রতিদিন আমার বাড়ির ঘষেটি বেগম এর সাথে রণ যুদ্ধ লেগেই থাকে। কিন্তু এখন বুঝি এর চেয়ে বেশি আর কেউ আমাকে ভালবাসবে না।
লেখায়
কথা হাড় হাড়ে সত্য।
অনেক ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আপনার লেখায় অবিকল আমার পুরোনো শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিগুলো ফেরৎ পেলাম।
মায়েরা বোধ হয় একই রকম হয়।
মাকে আমরা সব ভাই বোনই পলাশীর যুদ্ধের ইতিহাস জানার পর থেকে সিরাজের
খালার তকমাটা দিতাম!
লেখাটা বেসম্ভব রকম ভালো লেগেছে।
শুকরান, ইয়া হাবিবি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অসাধারন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
খুব মজার একটা লেখা! হাচলত্বের অভিনন্দন আপনাকে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মজা পেয়েছেন জেনে আমি আনন্দিত
ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অভিনন্দন!
দিনদিন লেখা ভালো হচ্ছে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দাররররররররররুণ একটা লেখা উচ্ছলা...১০ তারা দিলাম. অবাধ্য প্রেমের গল্প শুনলাম। এবার বাধ্য প্রেম কাহিনী হয়ে যাক...
** মায়ের মর্ম আমরা যেন মায়ের মৃত্যুর আগে বুঝতে পারি**
শিপলু
শিপলু, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তীব্র লেখা হইছে... ব্যাপক মুগ্ধ হইলাম...
হাচলত্বে অভিনন্দন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তীব্র আনন্দিত হলাম !
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
চমৎকার লেখা!
(নিজের বহুত পুরান পাপ মনে পইড়া গেল!)
পুরান পাপীর পদার্পনে উচ্ছলা দারুন বিগলিত!
আপনার লুক্কায়িত পাপ-ছাপের কাহিনী লিখে ফেলেন, সুমিমা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আপ্নের আমারে সালাম দিয়েন একখান
আইচ্ছা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
লেখাটা ভাল, কিন্তু আপনার আক্কেলদাঁত যে আসলেই উঠেছে তার প্রমাণ কী?
আপনাকে প্রমাণ দিতে আমার বয়েই গ্যাছে
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বাহ রে, বন্দনার লেখায় যে দেখলুম নিজেকে খুব লক্ষ্মীমেয়ে হিসাবে দাবি করছেন, আবার এখানে এইরকম উত্তর?
হাচল হইছেন? থ্যাংক্যু কইলেন্না যে! এ নি ও এ, প্রওডফয়্যু
লেখায়
মা পিচ্চিগুলি আসলে এমনি হয়... আমার মার কমন ডায়লগ- "যেদিন আমার জায়গায় আসবা সেদিন বুঝবা!"
আর ইয়ে মানে...'রিপন' 'ভাইয়ের'একটি লিংক দিতেন...দুঃখ পাইছি!
থ্যাংক্যু
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাচল হইছেন? থ্যাংক্যু কইলেন্না যে! এ নি ও এ, প্রওডফয়্যু
লেখায়
মা পিচ্চিগুলি আসলে এমনি হয়... আমার মার কমন ডায়লগ- "যেদিন আমার জায়গায় আসবা সেদিন বুঝবা!"
আর ইয়ে মানে...'রিপন' 'ভাইয়ের'একটি লিংক দিতেন...দুঃখ পাইছি!
হা হা হা আপু লেখা পড়ে কত কিছু যে মনে পরে গেলো। আমার নিজের ঐ বয়েসে অভিজ্ঞতা লিখলে ইতিহাস হয়ে যাবে । সত্যি এখন মনে হয় মার চেয়ে বেশি ভালো আর কেউ বাসতে পারে না। মার চেয়ে বেশি ভালো আর কেউ চায় না।
খাঁটি বলেছেন, মেঘা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
নতুন মন্তব্য করুন