ওরা এক বাসায় তিনজন থাকে। রাসেল, তন্ময় আর তাহসীন। ব্যাচেলর গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্যে এটাই সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা। একটা দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট। একজন লিভিংরুমে থাকে। খাওয়া দাওয়া একসাথে, রুটিন অনুযায়ী রান্না। ওদের অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক উপরতলায়ই একটা এক বেডরুমের ফ্ল্যাট। কামালি ভাই ওখানেই থাকে। কামালিকে এখানকার সবাই 'কামালি ভাই' বলেই ডাকে।
কামালি যখন এখানে আসে তখন কোন বাসা শেয়ার করার মত ছিল না। আর তাছাড়া কামালি একটু একা থাকতে পছন্দ করে। ওর জন্যে অনেক খুঁজে একটা এক বেডরুমের ফ্ল্যাট পাওয়া যায়। তবে সবাই বলে ওই ফ্ল্যাট না হলেও কামালি ভাইয়ের ঠিক চলে যেত। কামালি ভাইয়ের বেশীরভাগ সময় ল্যাবেই কাটে। নিতান্ত রান্না আর ঘুমানোর ঝামেলা না থাকলে সে যে অনায়াসেই ক্যাম্পাসে কাটিয়ে দিতে পারত এ ব্যাপারে এখানকার কারও তেমন কোন সন্দেহ নেই। যাই হোক না কেন কামালি ভাই যে নিতান্ত ভাল মানুষ সে ব্যাপারে কারও কোন সন্দেহ নেই। এই মানুষটাকে এখানকার সবাই খুব পছন্দ করে। ঝামেলাহীন মানুষ। নিজের মত নিজে আছে। খুব বেশী বিশেষত্ব হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না, কিন্তু কি যেন একটা আছে, খুব সাধারণ হয়েও কামালি ভাই তাই অনেকের থেকেই আলাদা।
রাতে ওরা বরাবর একসাথেই খায়। কামালি ভাই সব কাজ শেষ করে রাতে ওদের সাথে খেতে আসে। সারাদিনের ব্যস্ত আর আনমনা কামালি ভাই এই সময়টা যেন অন্য মানুষ, হাসিখুশি, আড্ডাবাজ। যত কাজই থাকুক একসাথে ডিনার ওদের মিস হয় না। তাই আজকে যখন রাত একটা বাজার পরেও কামালি ভাই বাসায় ফিরল-না, সবাই একটু চিন্তিতই হয়ে পড়ল। ফোন করেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেল। কিন্তু কামালি ভাই এর স্বভাব সবার জানা, সবাই ধরেই নিলো, হয়ত ল্যাবে কোন কাজে আটকা পড়ে গেছে। সবাই নিজের মত নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ছোট্ট শহর কেলোনা। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার নতুন ক্যাম্পাসটা এই শহরেই। একেবারে ছবির মত বলতে যা বোঝায় শহরটা অনেকটা সেরকমই। এখানে বাংলাদেশী খুব বেশী নেই। যারা আছে তারা সবাই মোটামুটি ইউবিসির ছাত্র। সাকুল্যে বউ-বাচ্চা মিলে পঞ্চাশজন হবে হয়ত। তো ছোট কমিউনিটি হলে যা হয়, সবার সাথে সবার সম্পর্ক থাকে, যোগাযোগ হয়। কোন খবর তাই চাপা থাকে না। কামালি ভাইয়ের নিখোঁজ সংবাদও দ্রুত ছড়িয়ে পরে। এরকম ঘটনা তো সচরাচর ঘটে না। সারাদিনেও কোন খোঁজ মেলে না। সব রুম ল্যাব আর ক্যাম্পাসের চিপা থেকে অলি গলি কিছুই বাদ থাকে না। কিন্তু কোন হদিস মেলে না। জলজ্যান্ত একটা মানুষ একেবারে হাওয়া।
বাংলাদেশীদের মধ্যে বেশ একটা থমথমে ভাব। দেশে এখনও জানানো হয়নি। কিভাবে কী জানানো হবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। একজন মানুষ হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে, এটা তো কোন জানানোর মত কথা না। পুলিশে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারাও তো কোন আপডেট দিতে পারেনি। শুধু এতটুকু জানা গেছে ক্যাম্পাসের সাইন ইন লগ দেখে যে, কামালি সকাল দশটায় ক্যাম্পাসে ঢুকেছে। কিন্তু এরপর আর কোন লগ নেই। এটাও একটা আশ্চর্য ব্যাপার; সারাদিন ক্যাম্পাসে থাকলে রুমে ঢোকার তথ্য তো লগ বুকে থাকার কথা। লগবুক থেকে একটা জিনিসই জানা গেছে, সেটা হল সে এগারোটার দিকে শেষ রুমের দরজা খুলেছিল। এরপরের আর কোন তথ্য নেই।
রুম থেকে পাওয়া গেছে শুধু ল্যাপটপ, আধখোলা বিস্কুটের প্যাকেট আর একটা পানির বোতল। সকালে তার রুমমেট এসে রুমের দরজা খোলা পেয়েছে। পুলিশ এসে পুরা পাঁচতলাকে ক্রাইম সিন হিসাবে ব্লক করেছে। পুরো করিডোর জুড়ে তারা আলামত সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই। আশে পাশের রুমের সব গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, কে কখন কামালিকে শেষ দেখেছে। যেখানে প্রতিদিনই তাকে ল্যাবে বা ফুড কর্নারে দুপুরের দিকে অবশ্যই পাওয়া যায়, অদ্ভুত কথা, কেউই নাকি কালকে কামালিকে এগারোটার পরে দেখেনি। আর তার রুমমেটও কালকে ক্যাম্পাসে আসেনি। সেও কিছু জানেনা।
এরকম নানা খোঁজখবর করেও কোন যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। সবাই হাল ছেড়ে দেয়। কীইবা করার আছে। পুলিশই কিছু করতে পারছে না। সবাইকে শুধু সাবধান করে দেয়া হয় কেউ যেন বেশী রাতে ক্যাম্পাসে একা না থাকে বা বাধ্য হয়ে থাকতে হলেও পরিচিত কাউকে যেন জানিয়ে রাখে।
এভাবে পরদিন সন্ধ্যা হয়ে যায়। সবার মধ্যে যেন একটা অস্বস্তিকর নীরবতা। কেউ মারা গেলে বা অসুস্থ হলে সবাই জানে কি করতে হয়। কতটুকু দুঃখ করতে হয় বা পেতে হয়। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মানুষের জন্যে শোক প্রকাশের ভাষাটা কারও জানা নেই।
টেবিলের উপর দুই পা তোলা। ঘরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাম হাতটা বেশ ব্যাকালে। অনেকক্ষণ ছিল বোধহয় এভাবে। ঘাড়টা ব্যথায় টনটন করছে। ডান হাত দিয়ে জানালার পর্দা সরিয়ে দেখে। বেশ বড়সড় পূর্ণ-বৃত্ত একটা চাঁদ। ল্যাপটপের স্ক্রিন স্লিপ মোডে চলে গেছে বোধহয়। দরজার পাশের কাঁচ দিয়ে করিডোরের হালকা আলো তো আসার কথা। কিন্তু শুধু চাঁদের অদ্ভুত আলো ছাড়া আর কোন আলো চোখে পড়ে না।
ঘোর কাটতে টেবিল থেকে পা নামিয়ে বসে। 'কত রাত হল?'- মনে মনে নিজেকেই প্রশ্ন করে। টেবিলের উপর হাতড়ে মোবাইলটা খোঁজার চেষ্টা করে। নাহ পায়ে বেশ ঝি ঝি ধরেছে। মোবাইলটাও খুঁজে পায়না কাছে পিঠে। মেজাজটা চড়ে যায়। চেয়ার থেকে উঠে লাইট অন করে। ল্যাপটপ অন করে মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে যায়। রাত বাজে পোনে দুইটা। এতক্ষণ কিভাবে ঘুমালো! নিজের উপরেই রাগ উঠে যায়। শেষ বাসটাও চলে যায় রাত একটায়।
পেট ক্ষুধায় চোঁ চোঁ করছে। সেই সকালে এসেছে রুমে, প্রফেসরের সাথে মিটিং ছিল। আগের রাতে জাগা ছিল সারারাত। মিটিং করে এসে চেয়ারে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে বুঝতেও পারেনি। জেগে দেখে রাত বাজে দুইটা। মোবাইলেও চার্জ শেষ।
ইউনিভার্সিটির এই বিন্ডিংটা নতুন হয়েছে। এখনও ওয়ারলেস কানেকশান আসেনি। কার্যত সারা পৃথিবী থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্যাম্পাসের এই বিল্ডিংটা মূল ক্যাম্পাস থেকে বেশ খানিকটা দূরে, মোটামুটি নির্জন একটা এলাকায়। ক্যাম্পাসের পেছন দিকে পুরাটাই পাহাড় ঘেরা। তেমন বড় পাহাড় অবশ্য না। পশ্চিম ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পাহাড়গুলো তেমন উঁচু হয় না, সেরকমই গড় উচ্চতার পাহাড়, আর একঘেয়ে পাইন গাছের জঙ্গল। দিনের বেলায় খুব বেশী বিশেষত্বহীন। কিন্তু গভীর রাতে জানালা দিয়ে অদ্ভুত চাঁদের আলোয় ম্যাড়মেড়ে পাইন গাছের জঙ্গলকেই বেশ ভূতুরে লাগে।
পাহাড়ের একেবারে গোরা থেকেই একটা লেক। এখানকার বিশাল লেকগুলার তুলনায় এটাকে নিতান্ত পুকুর বলা চলে। লেকটা পুরোপুরি জংলা। চারিদিকে একটা কাঁটাতারের বেড়া দেয়া আছে। মানুষ ঢোকে না এখানে, পশুপাখির অভয়ারণ্য। লেক আর পাহাড় অবশ্য ক্যাম্পাসের বাইরে। লেকের পাশ দিয়ে একটা সরু রাস্তা। আশেপাশে বাড়িঘর নেই কোন। লেকের পাশ দিয়ে একটা সরু রাস্তা উঠে গেছে একদিকের পাহাড়ে। সাইকেল চালিয়ে বেশদূর অবধি ওঠা যায়। তবে দিনের বেলাতেও ওদিকে মানুষজন খুব একটা যায় না। কামালি মাঝে মাঝে ট্রেকিংএ বা সাইকেল নিয়ে বের হয়। সরু রাস্তা ধরে বেশ খানিকটা উঠে যায় পাহাড়ের উপরে। রাস্তার শেষ মাথায় একটা সাইনবোর্ড টানানো একটা ব্যারিকেডের মত দেয়া আছে। সাইনবোর্ডে লেখা আছে -'Do not enter'-কিন্তু এন্টার করার মত কোন জায়গা নেই। এরকম একটা সাইনবোর্ড দেয়ার কোন অর্থ খুঁজে পায় না। অবশ্য ওর কৌতূহল কম। মাথা ঘামায় না খুব বেশী। ক্যালরি বার্ন হল কিনা সেটাই হল মূলকথা। সাইনবোর্ডের অর্থ খোঁজা তার কাজ না।
জানালা দিয়ে লেকের দিকে তাকিয়ে দেখে। বোধহয় পূর্ণিমা আজকে। লেকের পানিতে চাঁদ আর পাইন জঙ্গলের অদ্ভুত প্রতিবিম্ব। দূরে দেখা যায় হাইওয়ে ৯৭, অনেকক্ষণ পর পর দু-একটা গাড়ির আলো দেখা যায়। এখানে শহরের ভেতরেই রাত দুটা মানে অনেক রাত। আর এখানেতো একেবারে গহীন অরণ্য। অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। এর মধ্যে ল্যাপটপের কুলিং ফ্যানের আওয়াজটাই খুব বেসুরো লাগে।
প্রচণ্ড ক্ষুধায় পেট চোঁচোঁ করছে। ড্রয়ার খুলে নোনতা বিস্কুটের প্যাকেটটা বের করে। পেটে কিছু দানাপানি পড়া দরকার। কয়েকটা বিস্কুট আর ঢকঢক করে পানি খেয়ে নেয়। ইন্টারনেট কানেকশানহীন ল্যাপটপটা বন্ধ করে রাখে। ফ্যানের আওয়াজটা মাথা ধরিয়ে দিচ্ছে। তলপেটে চাপ দিচ্ছে। মনে পরে সেই সকাল দশটায় শেষ জলবিয়োগ হয়েছে। দরজা খুলে করিডোরে পা বাড়ায়। সামনে বিশাল করিডোর। ওয়াশরুম করিডোরের একেবারে ওই প্রান্তে। একেবারে অন্ধকার। একটু ভয় ভয় লাগতে থাকে।
ভয় লাগলেও কিছু করার নাই। চাপ বেশ বেগতিক। আস্তে আস্তে সামনে আগায়। হাতে মোবাইলটা থাকলেও হত, মনে মনে ভাবে। আধা নাস্তিক টাইপ ছেলে কামালি, দোয়া দরুদের তেমন একটা ধার ধারে না। কিন্তু ছোটবেলার অভ্যাসবশত: বিড়বিড় করতে করতে সামনে আগায়। এতোটা ভয় পাওয়ার মত ছেলে না ও। ও নিজেই চিন্তা করে। কিন্তু ভয় একবার কোলে উঠতে দিলে একেবারে ঘাড়ে চেপে বসতে চায়। সারা জীবনের দেখা হরর মুভিগুলোর স্মৃতি একেবারে এসে মাথায় ভর করে। এসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে সামনে এসে যায় ওয়াশরুমের দরজা।
ওয়াশরুমের দরজাও যে লক করা থাকে এই তথ্য জানা ছিল না কামালির। কিন্তু এরকম একটা তথ্য জানার জন্য এর চেয়ে খারাপ টাইমিং বোধহয় আর হয় না। রুমে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নাই। কিন্তু রুমে ফিরে গিয়ে বেশীক্ষণ টেকা যাবে না। এত রাতে হয়ত লিফটও বন্ধ। সিঁড়ির দিকে আগানোর সিদ্ধান্ত নিলো। আবার সেই লম্বা করিডোর পার হওয়া। ভয় ক্রমশ: বাড়ছে, কিন্তু কিছুই করার নেই। যেকোনভাবেই হোক ওয়াশরুম খুঁজে বের করতে হবে।
দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকে। সিঁড়িতে বাইরের জ্যোৎস্না থেকে আসা হালকা আলো। দেখার জন্যে পর্যাপ্ত আলো না, শুধু পরিবেশটাকে ভূতুরে করার জন্যে যথেষ্ট। এত কিছু ভাবার সময় নেই। পাঁচতলার উপর থেকে দ্রুত নীচে নামতে থাকে। উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসের বাইরে জঙ্গল বা গাছপালার আড়ালেই সেরে নেওয়া। আপাতত ভয়-টয় আর মাথায় থাকে না। এক দৌড়ে নীচে নেমে এসেই ক্যাম্পাসের বাইরে। একটু সামনে এগিয়েই একটা গাছের আড়ালে চলে যায়। এবার শান্তি, আহ।
এবার ঠাণ্ডা মাথায় সামনে তাকায়। ক্যাম্পাসের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। অতি পরিচিত জায়গাটাতেই অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। ভয়ের একটা শিরশিরে অনুভূতি হয়। সামনে জঙ্গলে ঘেরা বিশাল লেকের পানিতে অদ্ভুত চাদের অশরীরী আলো। রুম থেকে দেখা পাইন গাছের জঙ্গল চাঁদের আলোয় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এতক্ষণ শীতটাও ঠিক অনুভব করতে পারেনি। হঠাৎ খেয়াল করে শীতে রীতিমত কাঁপছে। একটা সামার জ্যাকেট গায়ে। দিনের বেলার জন্য ঠিক ছিল। কিন্তু এখন তাপমাত্রা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। শীতে ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে, আর পেছনে ফিরে যাবার জন্য পা বাড়ায়। কিন্তু পা যেন জমে গেছে। মনে হতে থাকে কে যেন তাকে হিপ্নোটাইজড করে রেখেছে। এভাবে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল নিজেও বোধহয় বলতে পারবে না। তার চোখে একই সাথে ভয় আর মুগ্ধতা।
মন্ত্রমুগ্ধের মত সামনে এগিয়ে যায়। হাঁটতে থাকে বেশ দ্রুত গতিতে। এখানকার জঙ্গলে ঝিঝি পোকা ডাকে না, জোনাকি জ্বলে না। নিস্তব্ধ জংলা রাস্তায় কেবল পায়ের শব্দ। হাঁটতে হাঁটতে একেবারে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে চলে যায়। সে নিজেও ঠিক জানে না কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে। পরিচিত সেই চিকন রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করে। এক পাশে লেক আর সামনে পাহাড়। ভয়ের অনুভূতি আর নেই। শীতও অতটা বোধ হচ্ছে না। অন্য রকম এক অনুভূতি। কিসের টানে যেন সামনে এগিয়ে যায়। চলার গতি বাড়তে থাকে। পথটা বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত।
হাঁটতে হাঁটতে সামনে বেশ খানিকটা দূরে চোখ পরে। তিনটা ছায়ামূর্তি। ওর চেয়েও বেশ দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। জেদ চেপে যায় যেন কামালির। হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয়।
(চলবে)
মন্তব্য
তারপর?....
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পরের পর্বের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে যে
পড়ার জন্যে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চলুক চলুক, খুব ভাল হচ্ছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাহ, চলুক । রহস্যোপন্যাস নাকি সাইন্স ফিকশান ?
রহস্য আর কিছুটা ফ্যান্টাসির দিকে যাবে হয়ত
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাহ, বেশ ধরে রাখলো তো! তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দাও।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ইচ্ছা তো আছে লিখে ফেলার, কিন্তু কতটা টাইম পাবো বুঝতেছিনা। সামারের ফাঁকিবাজির মাশুল দিচ্ছি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শিরোনাম দেখে মনে হয়নি কাহিনী এমন হবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
আমারও মনে হয় শিরোণামটা একটু সাদামাটা হয়ে গেছে। রহস্য কাহিনীর সাথে ঠিক যায় না মনে হয়। তাড়াহুড়ো করে পোস্টানো, শিরোণামটা জুতের হয়নি আসলেই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাই এট্টু টাইম দেন, প্রফের লগে মিটিং আছে কাইলকা। ঠিকমত কাম না দেখাইলে কামাল ভাই এর মত আমারেও হাওয়া কইরা দিবার পারে :(। পপকর্ণের সাথে এই লন দিলাম। পপকর্নরে মুড়ি ভাইবা গুড়মুড়ি খান
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শেষ করবেনতো ভাই?
সচলে এসে অনেকগুলো উপন্যাস শুরু হতে দেখেছি, ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি কিন্তু অপেক্ষা হতাশা বাড়িয়েছে শুধু। ত্রিমাত্রিক কবি’র হাতে রহস্যচেষ্টা পড়েছিলাম, এখানেও তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে - কিন্তু শেষ চাই .... একদম উপন্যাস হিসেবে উপন্যাসের শেষ চাই। রেখে গেলাম
তানিম ভাই, কথা সত্যি। আমি নিজেও বেশ কিছুটা হতাশ তবে এখন বুঝতে পারছি, উপন্যাস তো আসলে বিশাল ব্যপার আর সবাই এখানে ব্যস্ত; কোন একটা কিছুতে সুর কেটে গেলেই আর হয় না। তাছাড়া পাঠকদেরও সুর কেটে যায়, যদি পর্বগুলোর মধ্যে টাইমগ্যাপ বেশী থাকে।
শুরু করার পর একটা দায়িত্ববোধ অনুভব করছি। চেষ্টা থাকবে শেষ করার। আমার দুর্বল গদ্য কতটা পাঠযোগ্য হবে জানিনা। সাথে থাকার জন্যে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পরের পর্ব দেন কবি, আমার এত সাসপেন্স সহ্য হয়না রে ভাই।
@ বন্দনাঃ প্রফের রুমে যাই। যাওয়ার আগে সচলে ঢু মেরে দেখলাম আপনার কমেন্ট। দেখি এসে আজকে আরেক পর্ব দেয়ার ইচ্ছা আছে।
ধ্যুৎ ছাই! এমন টান টান উত্তেজনার পর... চলবে?!
পরের পর্বটা নিশ্চই লেখা হয়ে গেছে? কাল এলে পাই যেন।
অস্পম্ভব শার্প হাতের লেখা। ঝরঝরে। একটানে পড়া শেষ...
দ্বিতীয় পর্ব পাবেন খুব দ্রুতই। এটা প্রথম পাতা থেকে সরলেই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নেন, গুড় দিয়ে খান পপকর্ণ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ওভাই কি হইল? ১ নাম্বারটাই আবার নতুন করে প্রথম পাতায় দিয়ে কি ঘোল খাওয়ালেন আমাদের
প্রথম পাতার ১ নম্বর পোস্ট, কেমনে কি?
ভাই আসলে আমারই একটা ভুল হয়ে গেছে। দ্বিতীয় পর্ব লেখা শেষ করলাম গতকাল রাত আটটার দিকে। পোস্ট করার জন্যে সচলে ঢুকলাম। এক নম্বরটার লিঙ্ক দেয়ার জন্যে এক নম্বরে ঢুকলাম। কি মনে হল দু-একটা ছোটখাট এডিট করলাম, মানে হেডিং দিলাম, দু-একটা টাইপো ঠিক করলাম। তারপর এডিটের পর যখন সংরক্ষণ দিব, তখন দেখি দুইটা অপশন, ১। প্রথম পাতায় প্রকাশিত, ২। মডারেশানের মাধ্যমে
আমি ভাবলাম অলরেডি প্রথম পাতায় একবার ছিল, প্রথম পাতায় তো আরেকবার দেয়া ঠিক হবে না, তাই দ্বিতীয় অপশানে ক্লিক করে সংরক্ষণ করলাম। পরে চেক করে দেখি পোস্টটা আর নাই। আমি ভাবছিলাম শুধু এডিট করাটা আসার আগ পর্যন্ত আগের পোস্ট আগের যায়গায়ই থাকবে। কিছু বুঝলাম না। এইটা যে মডারেশানের পর প্রথম পাতায় আসবে এ ব্যপারে আমার কোন ধারণাই ছিল না।
এরপর দ্বিতীয়টাও পোস্ট করি,যেহেতু আমি জানতাম না যে আগের পোস্টটা একেবারে প্রথম পাতায় আসবে আবার। কিন্তু যেহেতু এক লেখকের একাধিক লেখা, সচলের নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম পাতায় আসতে পারে না, তাই মডারেটররা দ্বিতীয় পর্বটা ঘ্যাচাং করেছেন। আমি আসলেই দুঃখিত।
এই পোস্টটা প্রথম পাতা থেকে সরে গেলেই, আমি দ্বিতীয়টা পোস্ট করব।
আর আপনি ভাই আসলেই সচলের পুলিশ আমার মত নবিস লেখকের জন্যে আপনার মত মনযোগী পাঠক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সাথে থাকার জন্যে আর উৎসাহের জন্যে ধন্যবাদ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কবির উপন্যাস পড়লাম। থ্রিলার হিসেবে নামটা খুব একটু ইয়ে হয়ে গেছে...
পুরোটা লেখা আছে তো ?? না আপনিও অর্ধেক গিয়ে ফাঁকি দেবেন ?
যাক, বসলাম পড়তে।
সুহান ভাই, নামটা আসলেই জমেনি।
সাথে থাকার জন্যে অসংখ্য
পুরোটা লেখা নেই। দ্বিতীয় পর্ব শেষ করলাম, এটা প্রথম পাতা থেকে সরলেই পোস্টাব। তৃতীয় পর্বে হাত দিচ্ছি। তবে আশা করছি অর্ধেকে গিয়ে থামব না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পড়া শুরু করলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন