বিশেষ বিজ্ঞপ্তি : এটা একটা মৃত স্ট্যাটাস
অপ্রতিমের ডেস্ক
ফোনটা তৃতীয়বার রিং করে কেটে গেলো। আরেকবার। দ্যা ডায়াল্ড নাম্বার ডাস’নট অ্যাকজিস্ট প্লিজ চেক দ্যা নাম্বার এন্ড ডায়াল এগেন। তিন মিনিট কেটে গেলে।
হ্যালো। সালাম ওয়ালেকুম।
কেমন আছো।
জি। কে ? চিনতে পারলাম না?
ও, আচ্ছা। ঠিক আছে। ভালো থেকো।
আগরতলার রাজপথে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত নগরে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি।
***********
ইশার ডেস্ক
আমি জানি তুমি ফোন করেছিলে। কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই এমন করেছি। আমি আব্বুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার আব্বু আর আগের মতো নেই। সেই সবার আপত্তি শুনে জেদ করে আমাকে ঢাকায় পড়াতে নিয়ে এলেন। কিন্তু এই দু’বছরে সব কেমন যেন পাল্টে গেছে। এখন উনি কেমন যেন হয়ে গেছেন। আমি আর পারছিনা। তাই তোমায় বিদায় দিলাম। আমি জানি তুমি ভালো থাকবেনা। আমিও ভালো থাকবনা।
কাগজটা কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলল সে। তারপর একছুটে বাথরুমের দিকে পালিয়ে গেলো...
সবুজতরু এপার্টমেন্টের তিনতলার ফ্ল্যাট বাড়িটা জনশূন্য। নিরব। জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি। পাশে খুব দ্রুত ছুটছে ঢাকা শহর।
************
ওদের ডেস্ক
ওরা বসে আছে। কতক্ষণ ধরে কেউ জানেনা। কত লোক এলো, চলে গেলো। কেউ তাকিয়ে দেখছে, কেউ ফিসফাস। কিন্তু ছেলেটি ও মেয়েটি নির্বিকার, চুপচাপ, নিরব। বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামল। পদ্মা আজ বড় শান্ত। সামনে বালির চড়। বাতাস বইছে খুব জোরে। শ্রাবণের সন্ধ্যা। তারপর বৃষ্টি নামল। মেয়েটি কাঁপছে তিরতির করে। ছেলেটি মেয়েটির হাতে হাত রাখল। মেয়েটির শরীর কেঁপে উঠল। সে আরও শক্ত করে ছেলেটির হাত চেপে ধরল। ওরা কাছাকাছি। সন্ধ্যার আঁধারে শ্রাবণের অবিরাম শিহরণ। ছেলেটি মেয়েটির ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। শ্রাবণ ঝরছে। নির্লিপ্ত বালিয়াড়িতে ওরা লিখে দিলো একটা মৃত স্ট্যাটাস। মেয়েটি চোখ তুলে তাকাল, ছেলেটিও তাকাল, ওদের চোখে শ্রাবণ ঝরছে। তারপর একটা দীর্ঘ স্রোত এসে মুছে দিল প্রকৃতির রংবেদনা।
==========================
আমার শহর
অক্টোবর ২১, ২০১১।
মন্তব্য
তাপসদা' একাউন্ট থাকা সত্ত্বেও লগ-ইন না করে আমাদের মত গরীব-গুর্বো অতিথিদের ভাগ মারার কারণ কি কনতো? এইটা কি কোন পেতিবাদ?
না
আবার আসিব ফিরে...
খুউউউব ভাল লাগল ... অনেকদিন এই অনুগল্পটার রেশ রয়ে যাবে মনে ...
ভালো লাগল তাপস শর্মা।
মেঘ অদিতি
আপনাকে ধন্যবাদ মেঘ অদিতি
অনেক ভালো লেগেছে।
আরেকটু ঘনঘন লেখা যায় না?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উচ্ছলাজী
আর কইয়েন না, কি আর করি অক্ষমতা ; তবে চেষ্টা জারি আছে
বাহ্!! বেশ তো !!
আমি কেন যে অণুগল্প লিখতে পারিনা...
যাই-ই লিখি কেমন উপন্যাস হয়ে যায়
চমৎকার লাগলো।
কল্যানের করা প্রশ্নটা আমার মনেও এসেছিল লেখার শেষে লেখকের নাম দেখে
পড়া শেষ করার পর ‘আপনার শহরে’ দেখি আপনি আমাদের সেই পুরাতন তাপস শর্মা! ঘটনাটা কি, জানতে মন চায়।
বন্দনা এবং তানিম ভাই ঘটনা বিশেষ কিছু না। শুধু পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা রেখে বলি
আবার আসিব ফিরে
বন্দনা এবং তানিম ভাই ঘটনা বিশেষ কিছু না। শুধু পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা রেখে বলি
আবার আসিব ফিরে
নতুন মন্তব্য করুন