কম্পিউটার ঝামেলা করলে যেমন রাইট বাটন ক্লিক করে রিফ্রেশ চাপ দেই, আর তাতেই এই যন্ত্র মহাশয় নতুন উৎসাহে কাজ শুরু করে, আমার জীবনের সেই রিফ্রেশ বাটনের কাজটা পালন করে রন্টু। কেউ আবার ভাববেন না এটা তার আসল নাম। এই নামটা ছাড়া তার আরও সাত আটটা সুন্দর সুন্দর নাম আছে। একেকটা একেকজনের দেয়া। শান, সৌরভ, সৌমেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু শেষ মেষ রন্টু নামটাই টিকে গেল, বাকিগুলো সব বাদের খাতায়।
তার নামকরণের কাহিনীটা অনেকটা এমন, আমাদের বাড়ির সাত ভাই বোনের মধ্যে চারজনের ছিল স/শ দিয়ে নামের অদ্যাক্ষর আর বাকি তিনটার নাম “র” দিয়ে শুরু। রন্টু যখন পরিবারের অষ্টম সন্তান হয়ে জন্ম নিল তখন র’ গ্রুপ তাকে নিয়ে ব্যাপক টানাটানি। কিন্তু তার তিন বছরের বড় বোনটার নাম স’ দিয়ে হওয়াতে বেশির ভাগ নামগুলো স’ এর পক্ষে চলে যাচ্ছিল। একমাত্র ছোট চাচাই চাচীর তিন মাসের গর্ভাবস্থায় ডিক্লেয়ার করেছিল যদি আমার ছেলে হয় তাহলে নাম রাখব “রন্টু”। সেই একমাত্র র’ ওয়ালা নামটিই স্থায়ী হল।
আমি যেহেতু বাড়ির প্রথম সন্তান, ঠিক বয়সে বিয়ে দিলে (১৮ হলেই চলত) আমার ছেলের বয়স নিঃসন্দেহে ওর চেয়ে বেশি হত, আমার বাবা-মা’র অবশ্য অজ্ঞাত কারনে সেরকম কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। কিন্তু ঠিক কি মনে করে জানিনা ওর ৬ বছর বয়সকে ও আমার চেয়ে সামান্য বেশি মনে করে কিংবা আমার বয়স ওর চেয়ে কিছু কম মনে করে। আর আমাদের বাকি ভাইবোনদের অবস্থান তার কাছে আমার সাথে তুলনীয়।
গত শুক্রবার আমার সদ্য ইউনিভার্সিটি পাশ করা ভাই রায়হান আর আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় রন্টু আর তার বোনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ওদের নানু বাড়িতে পৌছে দিতে। গাড়িতে উঠে রন্টু’র প্রথম প্রশ্ন, “রায়হান তুমি ড্রাইভিং জান?”
যতটুকু সম্ভব গাম্ভীর্য এনে রায়হানের উত্তর, “না”
রন্টুর দ্বিতীয় প্রশ্ন- “তোমার লাইসেন্স আছে?”
এবার রায়হান ওর পাকামিতে বিরক্ত, “না”
রন্টু আরও বিরক্ত, “তাহলে ড্রাইভিং সীটে বসলা কেন?”
এবার রায়হান আর উত্তর দিতে রাজি না, বুঝতে পারছে এভাবে থামানো যাবে না। যা হোক গাড়ি চলা শুরু হল। শুক্রুবার দুপুর রাস্তা মোটামোটি ফাঁকা, একটু স্পিড বাড়ালো রায়হান।
রন্টু খুবই বড় ভাই সুলভ আচরনে বলল, “রায়হান, গাড়ি আস্তে চালাও”, রায়হান গতি একেবারে কমিয়ে ২০ এ নামিয়ে আনল। রন্টু এবার কপাল কুঁচকে “তাই বলে এত আস্তে না”।
মহাখালী ডি ও এইচ এস এর মাথায় এসে রন্টু ঘোষণা করল, “সামনে স্পিড ব্রেকার আছে, স্পীড কমাতে হবে”। এবার রায়হান ধৈর্য্য রাখতে অক্ষম হয়ে বলল, “তুমি যদি আর একটা কথা বল আমি গাড়ি থেকে নেমে যাব, তুমি গাড়ি চালাবা”। রন্টু জানে এটা হলে সে বিপদে পড়ার সম্ভবনা আছে, তাই সে আপাতত চুপ করল।
রন্টু পুরাপুরি ডিজিটাল যুগের মানব সম্প্রদায়ের সদস্য।
আরও বছর দুয়েক আগে থেকে তার বয়স যখন চার সে তার খেলনা গাড়ির গায়ে লেখা www.খেলনার ওয়েব সাইট গুগলে টাইপ করে ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট লিস্ট বের করে ফেলতে পারত। তারপর বাড়ির একেক জনের কাছে লিস্টের এসব খেলনার ছবি দেখিয়ে আব্দার করত। তাকে অবশ্য বোঝানো গেল যে যেহেতু খেলনার দোকানটা বাংলাদেশে নয়, কেউ চায়না গেলে তাকে এগুলো এনে দেয়া হবে।
এখন তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে একজন গর্বিত ফেইসবুক একাউন্টের মালিক, যা সে নিজেই পরিচালনা করতে সক্ষম। তার প্রোফাইলের ছবি দেখে যে কেউ ভাববে এটা বোধ হয় একাউন্টহোল্ডারের শিশু সন্তানের ছবি। তবে তার অ্যাক্টিভিটি গুলো আমাদের বাকি ভাইবোনদের জন্য বিশেষ সুখকর নয়।
সে বেশিভাগ সময়ে কার্টুন জাতীয় ছবি শেয়ার দেয়। আমি কি মনে করে একবার ওর কার্টুন ছবিতে লিখলাম “এখানে কোনটা তুমি?” পরের দিন দেখি সেই ছবির মোটা মহিলাটাকে আমাকে ট্যাগ করে দিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট চলাকালীন সময় সবার ওয়ালে সে প্রশ্ন করল, “হু উইল উইন ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১১”? আমি উত্তর দিলাম, “বাংলাদেশ”। আমার ইন্ডিয়ান বসের আঁতে প্রচন্ড ঘা লাগল। খেলা চলার সময় সহজে আমি তার সাথে এ নিয়ে সহজে কথা বলতাম না। রীতিমত মেজাজ খারাপ হয়ে যেত বাংলাদেশের প্রতি এদের মনোভাব দেখে। আর বস’র সাথে মেজাজ খারাপ করার মত বেকুব আমি অন্তত না। আমার সন্মানিত বস ফেইসবুকে সে সুযোগ ছাড়ল না। তিনি ওই পোস্টে কমেন্ট দিল, “হাঃ, দিস টাইম ইট উইল বি ইন্ডিয়া” আমিও ছাড়বার পাত্রী নই, বললাম “অস্ট্রেলিয়া ইজ স্টিল অন”। রন্টু মহাবিজ্ঞের মত মন্তব্য করল, “ইট ক্যান বি ইংল্যান্ড অলসো”, আমার বস নাছোড়বান্দা, বলল, “ইন্ডিয়া ইজ ইন বেটার ফর্ম দ্যান ইংল্যান্ড”। রন্টুর এবারের মন্তব্যটাতে আমার বস বেশ অবাক, “আই থিঙ্ক দেয়ার ক্যান বি আ ড্র”- ফাইনালে যে ড্র হতে পারে না এটা বোঝার জন্য রন্টুর আরও একটা ওয়ার্ল্ড কাপ পাড় করতে হবে। আমি আমার জুন মাসের ইঙ্ক্রিমেন্টের কথা মাথায় রেখে তাড়াতাড়ি বললাম, “নেভার মাইন্ড, হি ইজ মাই সিক্স ইয়ারস ওল্ড লিটল কাজিন”।
রন্টু’র ফেইসবুকের অত্যাচারে আমরা বেশ জর্জরিত। আর আমার ইংরেজি মাধ্যমের ও’লেভেল এ’লেভেল পড়ুয়া কিংবা নতুন নতুন প্রেম করতে শুরু করা ভাইবোন গুলো বেশ ভীতসন্ত্রস্ত। শাহেদের প্রেমিকার সাথে সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে রন্টুর সক্রিয় হস্তক্ষেপই প্রধানত দায়ী। বড়চাচা সহ সবাই যখন রাতের খাবার খেতে বসে এমন মোক্ষম সময় রন্টু বলে উঠল, “ভাইয়া তোমার গারলফ্রেন্ডের বাবার মাথায় অনেক বড় টাঁক আছে, তুমি দেখেছ”? শাহেদের চেহারার রঙ পরিবর্তনই বলে দিচ্ছিল, টেকোঁ মাথাটা কার।
রন্টুর এই ব্যাপারটা ঠিক আমার বোধগম্য নয়, সে কিভাবে এসব বিশ্লেষণ করে। বুঝলাম তার ফেইসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে ১৯টা মাত্র বন্ধু, কিন্তু এমন ভাবে এদের অনুসরন করে যে ভূতভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ করে বলে দেয়। ওকে মোটামোটি ২টা ডেইরিমিল্কের বার ঘুষ যে কারো সম্পর্কে উইকি’র মত জানা অজানা তথ্য বের করা সম্ভব।
তাই আজকাল এইসব সদ্য পাঙ্খা গজানো বাড়ির বাকি সদস্যগুলো ওর থেকে সাবধান হতে সংবিধিবদ্ধ সতর্ক পালনে রন্টুকে ফেবুতে ব্লক করে তবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তখন আবার সে স্নেহের মায়াজালে ব্ল্যাকমেইলিং শুরু করে। কেন না একজন তাকে ব্লক করলে তার বন্ধু সংখ্যা ১৯ থেকে ১৮ তে নেমে আসে।
সেদিন সে আমাকে বলল, “আপুনি আজকে আমার অনেক মন খারাপ”। আমি খুবই চিন্তিত হবার চেষ্টা করে বললাম, “কেন, তোর মনের আবার কি হল?” সে তার ছোট্ট মুখটা কাঁচুমাচু করে উত্তর দিল, “চিন্তা করে দেখলাম আমাকে কেউ কখনও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়নি”। কঠিন সমস্যা, কি করা যায়, বললাম, “যা এক কাজ কর, আমাকে ডিলিট করে দে, আমি তোকে রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি”। আমার ব্যাপক বুদ্ধিতে সে মোটামোটি সন্তুষ্ট হল।
এই হল আমাদের বাড়ির ক্ষুদ্রতম সদস্যের কীর্তিকলাপের সামান্য অংশ বিশেষ। এর চেয়ে বেশি বলতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে। এমনিতেই লেখালেখি আমার ধাতে নেই। ঔপন্যাসিক হয়ে গেলে মহাঝামেলায় পড়ে যাব। তাই আপাতত সচলদের গালাগালি শুরু হবার আগেই এটুকুতেই ক্ষান্ত দেই।
শাব্দিক
মন্তব্য
হুম্মম
হুম
সচলরা গালাগালি কেন দেবে ভাই। আপনি দারুন লিখেছেন। আমার তো জম্পেশ লাগলো লেখাটা পড়ে। আর রন্টুকে বলবেন আমি ওকে ফেবুতে ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবো। হা হা এক্সেপ্ট করবেতো। নাকি আমাকে গুগুলে সার্চ করে ভেরিফিকেশনের পর করবে। করলে সমস্যা নেই পেয়ে যাবে।
তাপসদা'
লেখা কি বেশি খারাপ ছিল?
আরে নাহ, লেখা নিয়ে হুমকি দেই নাইতো, এই তাপস শর্মা একাউন্টের আধিকারী হয়েও দেখেন লগ ইন না করে মন্তব্য করে। তাই ভয় দেখালাম আরকি।
কল্যাণ ভাইজান আমি এইটা দিলাম (গুড়)
হুম্মম গুঁড় দিলেন খাইছি, তাই বলে মনে করেন না যে আপনারে আর খোচামু না। শিগগির লগ ইন করে মন্তব্য করেন, নাইলে কিন্তু...
তাপসদা ধন্যবাদ। আমার নিজের লেখার ব্যাপারে একদম কনফিডেন্স নাই। সচল হইতে লোভ হয় মাঝেমাঝে। তাই একটু ইয়ে চেষ্টা আরকি।
রন্টু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে অবশ্যই এক্সেপ্ট করে। কিন্তু ওর ফেবু ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না দেখে অন্যদের এ ব্যাপারে কড়া নিশেধাজ্ঞা আছে অপরিচিত কাউকে অ্যাড করা যাবে না। তাই তো বেচারা'র ফ্রেন্ডলিস্ট ১৯ এ আটকে আছে।
রন্টুকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব...
সুন্দর লেখা ,রন্টুকে নিয়ে আরো লেখা হোক
ধন্যবাদ আয়ন, চেষ্টা করব।
রন্টু খুবই কিউট বাচ্চা (অবশ্য তাকে বাচ্চা বলার নিয়ম নাই)।
অবিলম্বে রন্টুর ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করা হোক।
বাড়ির অনেকেই এ ব্যাপারে একমত।
কিন্তু আমার মতে নিষেধ করলে ওর আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে, তার চেয়ে একটু লক্ষ্য রেখে ব্যবহার করতে দেয়াই ভাল।
উহু, সব কিছুরইতো ভাল মন্দ প্রাভাবের বিবেচনায় বয়সের ব্যাপারটা আছে, তাই না? এত চমতকার আর বুদ্ধিমান বাচ্চা যখন তখন বুঝিয়ে বলতে হবে তার বয়সে এটা এলাউড নয়। তারপরও না শুনলে কাঁচা কঞ্চি ?
এত কম বয়সে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ফেসবুক আটকায় না?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ওর বয়স আমার চেয়ে দুই বছর বেশি, ওকে জিগ্যেস করলেও তাই বলে। বয়সের ব্যাপারে তার সব কম্পিটিশান আমার সাথে, তা হলে বাকিরা এম্নিতেই তার চেয়ে ছোট হয়ে যাবে।
১৩ বছরের কম হলে তো ফেইসবুক ব্যবহার করতে পারার কথা না। তাহলে কি রন্টু বয়স বাড়িয়ে দিয়েছে?
সে আর বলতে! গ্রাড স্কুলের নামে তার প্লে স্কুলের নাম দিয়ে রেখেছে।
আমার না সচলে ইদানিং বেশ কয়েকটা নাম নিয়ে বেশ ইয়ে লাগে। মানে যাকে বলে কনফিউশন আরকি! কখনো মনে হয়, আবার পরক্ষণেই ভুলে যাই, কে যে কোনটা! বেশ ইয়েতে থাকি। মানে যাকে বলে ভয় আরকি! কখন আবার কী বলতে (পড়ুন, লুল ফেলতে) গিয়ে রং নাম্বারে পড়ে যায়! আর কোনো এক ভদ্রলোক লুঙ্গি হাঁটুর উপর তুলে, বিখাউজ রোমশ ঠ্যাঙ বের করে আমাকে দৌড়ানি দেয়!
আচ্ছা, "টেঁকো মাথাটা কার"?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এহেম এহেম!............কি যে সব অপবাদ দেন
আর ওই মাথাটা আপনারটা না, হবু শ্বশুর সাহেবেরই (এখন আর হবু নেই, পার্মানেন্ট হয়ে গেছে)
লেখাটা নিয়ে পরে বলব, আপাতত শুধু শিরোনাম নিয়ে একটা জিজ্ঞাস্য। এপোস্ট্রফি দিয়ে 'র' লেখাটা বাংলায় কি জায়েজ? আমি সত্যিই জানতে চাচ্ছি, কোন রকম কটাক্ষ মার্কা প্রশ্ন নয়। 'ফেইসবুকিং' শব্দটা তো ইংরেজি, তাইনা? শিরোনামটা কেমন যেন বাংলা ইংরেজির একটা অদ্ভুত মিশেলের মত মনে হল। মিশেলটা আসলে আমার ঠিক পছন্দ হয়নি তাই এতো কিছু লেখা। এবং বলাই বাহুল্য, এটা সম্পুর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত।
এটা সম্বন্ধে আমার ধারনা নাই। আমার একান্ত নিজের স্টাইল। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।
ফেইসবুকিং নিঃসন্দেহে ইংরেজি শব্দ, এর ভাল বাংলা আমার জানা নেই।
রন্টুর বয়স কি ছয়?
ওরে বাস!! বাংলাদেশ দেখি সত্যি-ই ডিজিটাল হয়ে গেছে!! গুড...
লেখাটা ভাল লেগেছে। আসলে, বাচ্চাদের কীর্তিকলাপ নিয়ে লেখাগুলো পড়তে বেশ মজাই লাগে।
রন্টুকে আদর।
বন্দনাদি লেখা পড়ার জন্য।
আসলেও বাংলাদেশে আর কিছু না হোক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।
লেখা মজারু
তবে এতটুকুন পিচ্চিকে এখনই খোমাখাতার নেশায় পেয়ে বসাটা কিন্তু বিপদজনক......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
সবকিছুরই সীমালংঘন খারাপ।
খুব মজা লাগল পড়তে
রন্টুর এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ওর বাবামায়ের জেনে রাখা উচিত। আমার চেনা অনেক আট/নয় বছরের বাচ্চার ফেইসবুক এ্যাকাউন্ট আছে; তবে ওদের বাবামায়েরা তা কড়া ভাবে মনিটর করে। করা উচিৎ নানাবিধ কারনে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উচ্ছলা।
আমাদের যৌথ পরিবারে গারডিয়ানের অভাব নেই। মনিটরিং এর জন্য অর বাবা মা ভাই বোন সবাই আছে।
অটো- আপনার বিগত পোস্টগুলি দেখে আমি হিংসায় টং । বেশি ভাল লিখছেন আজকাল
১। সম্ভব হলে পিচ্চিদের ফেইসবুকের ধারেকাছে যেতে না দেয়াই উচিত
২। রিন্টুর গল্প ভাল লাগল- আরো শুনতে চাই
লিখতে থাকুন। শুভেচ্ছা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
১। সামনের দিন যা আসছে তাতে এটা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আমার বান্ধবীর বাবু যে জন্ম নিল ওর হাসব্যান্ড বাবুর নাম রাখার সাথে সাথে বাবুর একটা ফেইসবুক একাউন্ট ও খুলে ফেলল। এরা হলেন ডিজিটাল যুগের বাবা মা।
২।রন্টু কে নিয়ে লিখতে চেষ্টা করব।
রন্টুর ছবি দেখতে চাই।
আর আমার ব্যাক্তিগত মত এই যে ছয় বছর বয়সী শিশুর ফেবু ঠিকানা না থাকা ভালো।
কোথায় গেল আমার সেই ঠাকুরমার ঝুলি, ফেইরি টেলস পড়ার দিন!
বাচ্চা কাহিনী ভাল লাগলো, কিন্তু চিন্তায় পড়ে গেলাম!
ছবি আপলোড করতে পারছি না সচলে। কিভাবে করে?
লেখা পড়ার জন্য
বাহ! রন্টুর কথা শুনে রন্টুকে ভালো লাগলো।
, রন্টু আসলেই মজার।
কামেল ছেলে দেখা যায়
সেইরকম!
ডিজিটাল বাচ্চা ভয়ংকর!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাচ্চা মাত্রই ভয়ংকর, তাও যদি হয় আবার ডিজিটাল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন