কর্পোরেট বৃত্তে বন্দী সম্ভাবনাময় যুবসমাজ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২২/১০/২০১১ - ১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশকিছুদিন আগে কোনো এক বিকেল বেলা হলের মাঠে বসে বন্ধু কায়েসের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। ওর সাথে আড্ডা মানেই সাহিত্য, গণিত, বিতর্ক আর বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠা। কেননা, এইসব বিষয়ে আপ-টু-ডেট থাকার ব্যাপারে আমার বড় একটা উৎসই হচ্ছে ও। ভার্সিটির ক্লাস, সেশনাল আর এক্সামের এতো এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ও যে কীভাবে এইসব কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজের জন্য সময় বের করে, সেটা আমার কাছে একটা রহস্যই। প্রথমআলো বন্ধুসভা, গণিত অলিম্পিয়াড-গণিত ক্যাম্প ইত্যাদি ছাড়াও বুয়েটের বিভিন্ন ক্লাবে তার সরব উপস্থিতি। তো যাই হোক, আলোচনার একপর্যায়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, “ভিকারুন্নেসা এবং পারসোনার ঘটনাতে প্রথমআলোর ভূমিকাতো অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। তা, এ ব্যাপারে তোদের অবস্থান কি?” (উল্লেখ্য, ভিকারুন্নেসার ঘটনাতে ভিক্টিম মেয়ের পোশাকের ব্যাপারটাকে হাইলাইট করায় ফেবু এবং ব্লগে প্রথম আলো বেশ সমালোচিত হয়েছিলো। আবার, পারসোনার ইস্যুতে ঘটনার তিনদিন পর বস্তাপচা খবরের ন্যায় ‘পারসোনার ভিডিওতে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায় নি’ রিপোর্ট প্রকাশ করেও তারা সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলো।) জবাবে আমি যা শুনলাম তা অনেকটা কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হবার মতোই।

পারসোনার ঘটনায় প্রথমআলোর রিপোর্টে আরো অনেকের মতো ও নিজেও ক্ষুব্দ হয়েছিলো। তাই ফেসবুকে নিজের ওয়ালে ওই রিপোর্টের লিঙ্ক দিয়ে লিখেছিলো “এই তবে প্রথমআলোর আসল চেহারা!” কিন্তু ও বুঝতে পারে নি কীসে ও ঢিল ছুঁড়েছে। পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওর কাছে ফোন আসে বাংলাদেশে গণিত আন্দোলনের কর্ণধারদের একজনের কাছ থেকে। (সঙ্গতকারণেই তাঁর নামপ্রকাশ করছি না। আমাদের অনেকের কাছেই তিনি পরম শ্রদ্ধেয়, দেশবরেণ্য একজন মানুষ। দেশজুড়ে তাঁর অনেক ভক্ত-শুভাকাংখী। আমি তাই তাঁদের অনুভূতিতে আঘাতদান থেকে বিরতই থাকছি।) তো, তিনি ওকে ফোন করেই বললেন, “কায়েস, এটা কি তুমি ঠিক করলা? গণিত পরিবারের একজন হিসেবে তোমার অবশ্যই এ ধরণের কিছু লেখার আগে আমাদের সাথে আলোচনা করা উচিত ছিলো।” এরপর তিনি ওকে আরো বিভিন্ন কথা বুঝালেন। এই ধরণের ব্যাপারে ওর অবস্থান কি হওয়া উচিত সে সম্পর্কেও বেশকিছু দিক-নির্দেশনা দিলেন। ফলে ওকে একরকম বাধ্য হয়েই ওই পোস্ট ডিলিট দিতে হয়েছিলো। তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই আমার কিছু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হচ্ছে, নিজের ওয়াল পোস্টে অভিমত ব্যক্ত করার জন্য কেনো তাঁর সাথে আলোচনা করা উচিত? এটা কি ব্যাক্তি-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়? গণিত পরিবারের তথা বাংলাদেশের গণিত আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রথমআলো এবং তার সহদর প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক ভূমিকা রেখেছে-একথা সত্য এবং এজন্য তারা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবী রাখে। সেটা তারা পাচ্ছেও। প্রথমআলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় দৈনিকে পরিণত হয়েছে এবং বড়োগলায় ডায়লগ দিতে পারছে, “যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথমআলো!” কিন্তু তার মানে কি এই যে গণিত আন্দোলনের সাথে যুক্ত প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে তাদের মূল্যবোধ, অভিমত প্রথমআলো’র কাছে বন্ধক দিতে হবে?

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য হিসেবে আজ প্রচণ্ড খারাপ লাগে যখন দেখি কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি(সিএসআর)এর নামে অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানই এই কেন্দ্রের ভাবমূর্তিকে তাদের ব্যবসার পণ্য করতে চায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, সেই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই সুযোগ করে দিতে উঠে পড়ে লাগতে দেখা যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রেরই কতিপয় সদস্যদের। অবশ্য তাদেরই বা দোষ কি? দেশজুড়ে এতোবছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে যে প্রতিষ্ঠানটি তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্যই বা কতটুকু? আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে টাকা ঢালার সময় এলেই সব সরকা্রের থলিতে টান পড়ে। ভাবগতিকে মনে হয়, এরাও সত্যজিত রায়ের ‘হীরকরাজা’র মতো জনগণকে অশিক্ষিত-অসচেতন করে রাখতেই বেশি আগ্রহী। এ অবস্থায় সবকটাকে “মস্তিষ্ক প্রক্ষেলন যন্ত্র”-এ ঢুকানো ভিন্ন আর তো কোনো উপায় দেখি না।
গত ২৯জুলাই,২০১১(শুক্রবার) কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান ক্লোজআপওয়ান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে আসা তারকা-সঙ্গীতশিল্পী এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘মাত্রা’র কর্মকর্তা আবিদ শাহরিয়ার বাপী। আবিদের মৃত্যুর পর সমগ্র দেশবাসী শোকে বিহ্বল হয়ে শোক প্রকাশ ও সম্মাননা জানালেও রহস্যজনক ভাবে মাত্রা মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিনেতা আফজাল হোসেনসহ কোনও কর্মকর্তা/কর্মচারী আবিদের মরদেহ দেখতে আসেননি, সম্মাননা জানাননি বা আবিদের পিতা-মাতাকে কোনও সান্ত্বনা প্রদানও করেননি। এমনকি আবিদের ব্যাবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি কোথায় কি অবস্থায় আছে তাও জানাবার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। বেঁচে থাকতে যে আবিদ তাদের কাছে এতো মূল্যবান ছিলো, মৃত্যুতে সে এতোটাই মূল্যহীন হয়ে গেলো? তবে এদের মতো কর্পোরেটদের জন্য কেনো আমাদের সম্ভাবনাময় যুবকেরা তাদের মেধা, মূল্যবোধকে ব্যবহার করবে কিংবা এদেরকে ব্যবহার করতে দিবে?

মূসা ইব্রাহীম-প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট বিজয়ী। বর্তমানে তিনি সাব-এডিটর হিসেবে ইংরেজী দৈনিক ‘ডেইলী স্টার’ এ কর্মরত আছেন। তার এভারেস্ট জয়ের পেছনে প্রথমআলো গোষ্ঠী এবং গ্রামীণফোনের অবদান অনেক। কিন্তু আবিদ শাহরিয়ারের মৃত্যু নিয়ে তার একটি নোট আমার মনে প্রশ্ন জাগায়, তার কলমও কি আজ বিক্রি হয়ে গেছে ‘সিএসআর’ এর কাছে?

তিনি তাঁর নোটে লিখেছেন, “সিএসআর'র কাজটা কি শুধুমাত্র লাইফ গার্ডের ওয়াচ টাওয়ার ব্র্যান্ডিং করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? আফসোস হলো- বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের মেরুদন্ডটা যেন এসব তথাকথিত সিএসআরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে একেবারে বিকিয়ে দিয়েছে। যেহেতু তাদের কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না, ফলে এসব সিএসআরকারী প্রতিষ্ঠান সেই সুযোগে ব্র্যান্ডিং পর্যন্তই তাদের কর্তব্য করে থেমে থাকছে। বাকি 'এমপাওয়ারিং'টা হলো কি না, এই সিএসআর আদৌ মানুষের কোনো উপকারে এলো কি না, তা তাদের থোড়াই কেয়ার করলেও চলে।” তার পুরো নোটের সাথেই আমি একমত। কিন্তু খটকাটা লাগে যখন দেখি, এর সবকিছুই তিনি লিখেছেন মূলত ‘রবি’ নামের একটি মোবাইল কোম্পানীকে উদ্দেশ্য করে, যেটি কিনা বাজারে গ্রামীণফোনের ব্যবসায়িক প্রতিদন্দ্বী। তবে কি এত এত মায়াকান্না, এত এত যুক্তি-এর সবই গ্রামীণফোনের স্বার্থে? কই তিনি তো একইক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের ভূমিকা নিয়ে কোনো আওয়াজ তুললেন না।

আমার এক এলাকাতো বড়ভাই বন্ধুসভার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। কিছুদিন আগেও এলাকায় গিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের গুষ্টি উদ্ধার করে বক্তৃতা দিয়ে এসেছেন। তাঁর ফেসবুক ওয়ালে ঢুকলেই চোখে পড়ে জাতীয় নানা সমস্যার কথা, সরকার আর বিরোধীদলের নানা কীর্তিকলাপের খবর। কিন্তু আজ অব্দি তাঁকে তেল-গ্যাস, ভিকারুন্নেসা, পারসোনা কিংবা অঞ্জন চৌধুরীর কুকীর্তি নিয়ে ভুলেও কখনো মুখ খুলতে দেখিনি। এর মানে কি ধরে নেবো? তিনি এই ঘটনা গুলো আমলে নেন না, সমর্থন করেন নাকি তিনিও তাঁর মূল্যবোধ বিক্রি করে দিয়ে বসে আছেন সিএসআরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে??

আমার বাবার এক সহপাঠী বন্ধু বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা(কিন্তু যুদ্ধাপরাধী নন)। বিধর্মী হওয়া সত্ত্বেও আমার সাথে তাঁর আচরণ আপন ছেলের মতোই। তাঁর সাথে যতোদিন আমার দেখা হয়েছে, শতব্যস্ততার মধ্যেও আমার সাথে হাসিমুখে কথা বলেছেন, নিজে বসে আপ্যায়ন করিয়েছেন। সময় করতে পারলে আড্ডায় মেতেছেন। তাঁর সাথে যদি কেউ কোনোদিন খুব ঘনিষ্ট হয়ে আলোচনা করতে পারে কেবলমাত্র তাহলেই হয়তো জানতে পারবে তিনি কতোটা মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, কিন্তু এরকম একজন লোক কেন জামায়াত করে? এ প্রশ্ন জাগাটাই তো স্বাভাবিক। এর কারণ হচ্ছে, তিনি যখন অভাব-অনটনের কারণে পড়াশুনা চালাতে পারছিলেন না তখন এই জামায়াত তাঁর পড়াশুনার খরচ চালিয়েছে। তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়িয়েছে, বিদেশী ডিগ্রীধারী করেছে। তাই তিনি আজ ‘নেমকহারামী’ করতে পারেন না, পারেন না জামায়াতের সমালোচনা করতে, বরং তাঁদের অন্যায়েরই সাফাই গাইতে হয়। জামাতের এই টেকনিক আজো বহাল আছে। আজো তারা গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে সুকৌশলে তাঁদের দলে ভেড়াচ্ছে। মূল্যবোধ কিনে নিচ্ছে দেশের ভবিষ্যত মেধাবী প্রজন্মের। তাদেরকে পরিণত করছে তোতাপাখিতে। আর কর্পোরেট হাউসগুলোও বর্তমানে এই বহুলচর্চিত টেকনিককেই কাজে লাগাচ্ছে।

কিন্তু এ থেকে বেরিয়ে আসার কি কোনোই উপায় নেই? আমার জানা নেই। আপনাদের জানা আছে কি?? আর যদি কোনো উপায় নাই থাকে তবে কি আমরা অদূর ভবিষ্যতে একটা তোতাপাখি প্রজন্মই পেতে যাচ্ছি???

--বাংলামায়ের ছেলে


মন্তব্য

কল্যাণF এর ছবি

গুরু গুরু

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

এতো সম্মান!!!

আহ! আমি অভিভূত!!

ভালো থাকা হোক। সাথে থাকা হোক।

সাফি এর ছবি

কল্যাণ, একজন মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ জামাত নেতা, এই ব্যাপারটার সাথে আপনি কতখানি একমত?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে এনেছেন। ভাবনার দাবী রাখে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

হুমম...ভাবতে হবে এবং খুঁজে বের করতে হবে যথার্থ করণীয়.........যত তাড়াতাড়ি সম্ভব......অসচেতনতাতেই যে কেটে গেছে অনেকটা সময়...

হিমু এর ছবি

গণিত পরিবারের সদস্য হতে গেলে কি আলো পরিবারেরও সদস্য হতে হয়?

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

এ ধরণের কোনো লিখিত নিয়ম আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু যেটা জানা আছে সেটা হলো অলিখিতভাবে হলেও এর সাথে জড়িত তরুণদের মাথায় এটা ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলে যে তারা প্রথম আলো পরিবারেরই সদস্য। কাজেই প্রথম আলোর স্বার্থবিরোধী কোনোকিছু করা থেকে বিরত থাকার বার্তাটাও দেয়া হয়ে যায়।

তাছাড়া প্রথম আলোর বন্ধুসভা, সমকালের সুহৃদ সমাবেশ এর মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তো সবসময়ই সহশিক্ষা কার্যক্রমের উছিলায় তরুণদেরকে তাদের গোষ্ঠীভুক্ত করে কর্পোরেট স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত আছে। এরা যে ভালো কাজ করে না তা নয়। এরা অনেক ভালো ভালো কার্যক্রমও উপহার দেয়। কিন্তু খারাপ লাগে তখনই যখন দেখি সবকিছুর উপরে কর্পোরেটদের তাঁবেদার গোষ্ঠী বানানোর প্রবণতাটাই বেশী করে ফুটে উঠে।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ হিমুভাই। পোস্টে আপনার কমেন্ট পাওয়াটা আমার কাছে শচীনের সাথে জুটি বাঁধে খেলার মতোই মনে হয় চোখ টিপি ;) চোখ টিপি

টাইগার জলিল এর ছবি

গণিত পরিবারের সদস্য হতে গেলে কি আলো পরিবারেরও সদস্য হতে হয়?

আসলে গণিত আন্দোলনটা, প্রথম আলোর একটা সাইনবোর্ড। ওই কর্ণধার ভো:কা: হতেই বদি সাহেবের সাথে আছেন। বদি সাহেব শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবক দের মস্তিষ্ক প্রক্ষালন এজেন্ডা বাস্তবায়নে, প্রথম আলো অনেকগুলো অফসুট প্রসব করেছে। প্রথমে পাইলটিং করা হয় ছোট আকারে, সেলিব্রেটিরা বুস্টার রকেটের ভূমিকা পালন করেন। টার্গেট গ্রুপ লুফে নিলে, কর্পোরেট ফাইনান্স যোগাড় করে, সেনাপতি নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরীক্ষামূলক গণিত আন্দোলনের পূর্ব নাম ছিলো, "নিউরনে অনুরণন"। সফল-পাইলটিং এর পর, নাম পরিবর্তন করে গণিত অলিম্পিয়াড (আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াড এর সাথে মিলিয়ে) রাখা হয়। বদি সাহেব বিগত ভো:কা: চামচা-পুল হতে, বর্তমান কর্ণধারকে এটির দ্বায়িত্ব দেন। এই গণিত কর্ণধার বিম্পী আমলে প্রধানমন্ত্রীর আটি থুড়ি আইটি পরামর্শক ছিলেন, এখন কথাসাহিত্যিকের কবি পুত্রকে আটি বান্ধার মন্ত্রণা দেন। তিনি নিজেই বলে বেড়ান, তার অনেকগুলো দোকানদারী আছে। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ, মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, ওপেনসোর্স, উকি বুকি ইত্যাদি দোকান। তার ফীল-এন্সার দোকানটি প্রতিনিয়ত ওয়ার্কশপ করে করে, করে করে, গন্ডায় গন্ডায় কুষ্মান্ড জন্ম দিচ্ছে। যার কারণে, মার্কেটপ্লেসে এম্প্লয়াররা no Bangladeshi please নোটিশ দিচ্ছেন। তিনি সবাইকে চাকুরী দাতা বানিয়েই ছাড়বেন, আর কিছুদিন পর বাংলাদেশ হতে কয়েকডজন গুগলও নাকি জন্ম নিবে। গণিত আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক ফি বছর প্রায় কোটি টাকা দিয়ে দেয়, তাকে। তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের বিদেশে ভ্রমণের টোপ দিয়ে বিস্তর খাটিয়ে নেন। যদিও গণিত দলের সাথে প্রতি বছর (এবার স্ত্রী সহ) নিজেই বিদেশ ভ্রমণ করেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মতোই ছেলেপুলেদের নিজের মতানুসারী বানান (কারণ বদি সাহেবের এজেন্ডা)। তাই বলা যায় গণিত পরিবার (ও তার অন্য দোকানের) সদস্য মানেই আলো পরিবারের বাই ডিফল্ট সদস্য।

পুনশ্চ, তার পুত্র ফিরিঙ্গি মিডিয়ামে পড়লেও, তিনি "ওয়ার্ল্ডস লোকাল ব্যাংক" এর পৃষ্ঠপোষকতায় ভাষা প্রতিযোগিতা নামে আরেকটি আলো-অফসুট এর দ্বায়িত্ব পেয়েছেন।

কামরুল এর ছবি

"উনি নিজেই বলে বেড়ান, তার অনেকগুলো দোকানদারী আছে। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ, মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, ওপেনসোর্স, উকি বুকি ইত্যাদি দোকান। তার ফীল-এন্সার দোকানটি প্রতিনিয়ত ওয়ার্কশপ করে করে!'

প্রথমটুকু পুরাটাই প্রশংসা, সন্দেহ নাই!

"মার্কেটপ্লেসে এম্প্লয়াররা no Bangladeshi please"
এই নোটিস কই পাইলেন? পাইলেও সেইটা এদের কারণে, সেইটা কে বললো? আর ফ্রি-ল্যান্সারের দোষ আপনি এদের উপর চাপাচ্ছেন কেনো? আউটসোর্সিং খুবই কার্যকরী, মানুষজন ঘরে বসে রোজগার করতে পারছে? এতে আপনার সমস্যা কোথায়?

"তিনি সবাইকে চাকুরী দাতা বানিয়েই ছাড়বেন, আর কিছুদিন পর বাংলাদেশ হতে কয়েকডজন গুগলও নাকি জন্ম নিবে।"

তিনি কিছু ক্ষেত্রে সফল, অনেক কিছু কইরা দেখাইসেন! গুগল জন্মানো টাইপের কথা বার্তা মূর্খতার পরিচয় দেয়, আর কিছুই না! মুখে উনি বলতেসেন, কাজও করতেসেন, অনেক ক্ষেত্রে অনেক দিক দিয়েই সফল, বাকি চেষ্টাগুলোও অন্তঃত কম না, এখনো সফলতা হয়তো আসেনি, তবে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করবে না, এভাবে চলতে থাকলে আসবেই!
জন্মাইলে কি খারাপ কিছু হবে?

"গণিত আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক ফি বছর প্রায় কোটি টাকা দিয়ে দেয়, তাকে।"
ভূয়া কথা, ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক এই বছর দিসিলো ৫০ লাখ, গত বছর ৪৫ লাখ, আগামী বছর খুব সম্ভবত বাড়বে! ৬০-৭০ লাখ হতে পারে! এর প্রায় সবটুকুই চলে যায় বিভাগীয় ও জাতীয় গণিত উৎসবে, বাকিটা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের টিকেটে!
কোনো একবার, আমার ঠিক সাল মনে নেই,গণিত অলিম্পিয়াডের 'এক মিনিটের বক্তব্য'-তে মুনির ভাইকে রসিকতা করে মাইকে এইটাও বলতে দেখসি, সবার সামনে, ডাচ বাংলা ব্যাংক আমাদেরকে এইবার ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছে, কাজেই তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সময় ৪৫ সেকেন্ড! এ ব্যাপারে দ্বিধার কোনো অবকাশ নাই!

"তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের বিদেশে ভ্রমণের টোপ দিয়ে বিস্তর খাটিয়ে নেন।"

স্বেচ্ছাসেবীরা যারা যায়, তারা সবাই জানে, গণিত অলিম্পিয়াড তাদের ঘোড়ার ডিমও দিবে না, আপনে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন কোনো কালে? কোনোরকম কোনো লাভ ছাড়াই এরা পরিশ্রম করে, কোনো কিছুর লোভে না, কারণ এটাকে তারা দেশের কাজ বলে মনে করে, কাজ করলে আমি কি পাবো, এরকম কোনো চিন্তা থেকে না! বিদেশ ভ্রমণ!! হাসাইলেন মিয়া!

"যদিও গণিত দলের সাথে প্রতি বছর (এবার স্ত্রী সহ) নিজেই বিদেশ ভ্রমণ করেন।"
আপনার কি মনে হয়, ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক ঘাস খায়? তারা উনারে এমনে এমনে ঘুরতে দিবে?
মুনির ভাই আইএমও টিমের সাথে যান, কারণ উনি গণিত অলিম্পিয়াডের সেক্রেটারি, আইএমও তে নম্বর সমন্বয় ও খাতা দেখার কাজটা মাহবুব স্যারের সাথে উনিও করেন, অইটার জন্য অং বং চং অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন হইলে হয় না! মেলা কিছু জানা লাগে!

"তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মতোই ছেলেপুলেদের নিজের মতানুসারী বানান (কারণ বদি সাহেবের এজেন্ডা)। তাই বলা যায় গণিত পরিবার (ও তার অন্য দোকানের) সদস্য মানেই আলো পরিবারের বাই ডিফল্ট সদস্য।"

ছাগল পাগলের কথাবার্তা!

কোনো রকম কোনো যুক্তিতর্ক ছাড়া আতান্দাজী কথাবার্তা বন্ধ করেন! একটা মানুষ একটা ভালো একটা কাজ করতেসে, তারে সাহায্য না করেন, অন্তঃত বিপক্ষে দাড়ায়েন না, মুনির ভাইয়ের জনপ্রিয়তা জানতে চাইলে, পোলাপাইন তারে কি রকম পছন্দ করে এইটা দেখতে চাইলে, ফেসবুকে একটু উকি মাইরা আইসেন, তাইলে বুঝবেন!
খালি খালি সাধারণ পাবলিকগুলারে ভুল বুঝায়েন না! অনেক গুলা ব্যাপারে তার মতাদর্শ ভিন্ন থাকতে পারে, হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেগুলা ভুলও, কিন্তু সেইগুলা গণিত অলিম্পিয়াডের কনসার্ন না, বা বিডিওএসএনেরও না, সেগুলা একান্তই তার ব্যাক্তিগত, সেগুলা সেইখানেই না হয় থাকুক!

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

ভাই আপনার বক্তব্যে উল্লিখিত অনেক তথ্য সম্পর্কেই আমি অবগত নই। তাই ঠিক নিশ্চিত হতে পারছি না আপনি কাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন।

কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার যে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কিংবা গণিত পরিবারের সমালোচনা করা আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে গণিতপ্রিয় মানুষ। আমার এই গণিতপ্রেমে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মুনীর হাসান, কায়কোবাদ স্যারদেরও অনেক অবদান আছে। একইভাবে বাংলাদেশের নানাপ্রান্তে অনেক শিশুকিশোরের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য।

তাই তাদের ব্যক্তিসমালোচনা নয়, বরং আমাদের যুবসমাজ যেন কর্পোরেটদের প্রতি অনুগত হয়ে নিজের স্বকীয় মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত না হয় সেদিকটাতেই আলোকপাত করতে চেয়েছি।

তাই ঘোলাপানিতে মাছ শিকার থেকে বিরত থেকে পোস্টের তাৎপর্য অনুধাবনের জন্য আহবান জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ।

_______________________________
আমরা যাব যেখানে কোনো
যায়নি নেয়ে সাহস করি।
ডুবি যদি তো ডুবি না কেন
ডুবুক সবি, ডুবুক তরী।।

____________________________

mousumii এর ছবি

আমরা সবাই চিরেচ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছি, যারা পারছি না কর্পোরটে হতে এবং না পারছি মানুষ হিসেবে কাউকে বিশ্বাস করতে। ক্রমাগত মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো যে পাপ তা বয়ে বেড়াচ্ছি।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

......এই দোটানা থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে আমাদেরকেই...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ashfaq (offline) এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

লইজ্জা লাগে

কিন্তু অফলাইনে কেন!!!

শাব্দিক এর ছবি

চলুক

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

জহির  আহমাদ এর ছবি

আরেকটু ধৈর্য্য নিয়া অপেক্ষা করলে এসব মিডিয়াবাজ সঙ দের সত্যিকার চেহারা আরো স্পষ্ট হবে । আগেই বলেছিলাম; “রঙ এ ভরা বঙ্গদেশ নয় শুধু, সঙ এ ভরা বঙ্গদেশও বটে !”
পারসোনার ঘটনার প্রেক্ষিতে গনিত অলিম্পিয়াডের যে কর্তা ব্যক্তির নাম আপনি গোপন করলেন, তার কারন অসংগত এবং ব্যাপারটা অসংযত মনে হল । আমি নিজেও তাকে, তাদেরকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার দ্বারা, তাদের দ্বারা, তাদের প্রজন্মের এসব অন্তঃসারশুন্য মিডিয়াবাজ সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, সঙস্কৃতি কর্মীদের দ্বারা আরও আরও লোকজন আচ্ছন্ন হোক, মোহগ্রস্থ থাকুক এটা মনে হয় কাম্য নয় ।।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

আমার বন্ধুর নাম এবং ফোনদাতার নাম গোপন রাখা হয়েছে বন্ধুর একান্ত অনুরোধেই। কারণ এখানে নাম প্রকাশ পেলে ওকে স্বাভাবিকভাবেই একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, যেটা ও হতে চায় না। সঙ্গত কারণ হিসেবে এটুকুই কি যথেষ্ট নয়???

আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ঐ ব্যক্তির চরিত্র উন্মোচন নয়, বরং যুবসমাজকে তাদের স্বকীয় মূল্যবোধের ব্যাপারে সচেতন করা।

ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক
মু ই -এর ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। বাকি গুলোয় ব্যপক একমত, এমন আরো লিখুন

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

মু ই!!!

এমনটা কেনো মনে হলো???!!!

__________________________________________
আমরা যাব যেখানে কোনো
যায়নি নেয়ে সাহস করি।
ডুবি যদি তো ডুবি না কেন
ডুবুক সবি, ডুবুক তরী।।

টাইগার জলিল এর ছবি

গণিত পরিবারের সদস্যদের শেখানো হয়, ইনাম আল হক একজন পরিত্যাজ্য ব্যক্তি। যোগসূত্র কি মেলাতে পারছেন? হাসি

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

ইনাম আল হক সম্পর্কে জানতাম না। জানলাম।

জানলাম আরো অনেক কিছুই...

_________________________________
আমরা যাব যেখানে কোনো
যায়নি নেয়ে সাহস করি।
ডুবি যদি তো ডুবি না কেন
ডুবুক সবি, ডুবুক তরী।।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হিমু ভাইয়ের প্রশ্নটা আমারো।

এবং

গণিত-প্রথম আলোর ব্যপারে যে ব্যক্তির কথা বলেছেন সেটা পরিষ্কার করে বলুন। সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। প্রয়োজনে তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হোক এই বিষয়ে তাঁর মতামত। একটি বিরাট সংখ্যার মানুষ তাঁর দ্বারা প্রভাবিত। এই দায়টা তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না।

যেভাবে যা বলেছেন তাতে কারো বুঝতে বাকি নেই কার কথা বলছেন! বললে স্পষ্ট করে বলুন। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ঢিল ছোঁড়াটা ভালো দেখায় না। নোংরা লাগে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

হিমু ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে।

কায়েস নামটি ছদ্মনাম।

আমার বন্ধুর নাম এবং ফোনদাতার নাম গোপন রাখা হয়েছে বন্ধুর একান্ত অনুরোধেই। কারণ এখানে নাম প্রকাশ পেলে ওকে স্বাভাবিকভাবেই একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, যেটা ও হতে চায় না। সঙ্গত কারণ হিসেবে এটুকুই কি যথেষ্ট নয়???

আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ঐ ব্যক্তির চরিত্র উন্মোচন নয়, বরং যুবসমাজকে তাদের স্বকীয় মূল্যবোধের ব্যাপারে সচেতন করা।

ধন্যবাদ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

তাই তাদের ব্যক্তিসমালোচনা নয়, বরং আমাদের যুবসমাজ যেন কর্পোরেটদের প্রতি অনুগত হয়ে নিজের স্বকীয় মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত না হয় সেদিকটাতেই আলোকপাত করতে চেয়েছি

আপনার পুরো পোস্টটাই তো ব্যক্তি/গোষ্ঠী সমালোচনার পোস্ট। নাচতে নেমে ঘোমটা দিলে তো হবে না!

আধ্যাত্মিক অন্তর্নিহিত বক্তব্য বোঝার আগে আমি সোজাসাপটা বুঝি! স্পষ্ট করে বলুন। কে খারাপ অথবা কে খারাপ না। কে কেন খারাপ অথবা কে কেন খারাপ না।

তাই ঘোলাপানিতে মাছ শিকার থেকে বিরত থেকে পোস্টের তাৎপর্য অনুধাবনের জন্য আহবান জানাচ্ছি।

পানিটা কিন্তু আপনিই ঘোলা করেছেন। সেই ঘোলা পানিতে আমরা পথ হাতড়ে মরছি! এখন আপনার কাছে পথ কোনটা জিজ্ঞাসা করলে বলছেন জল ঘোলা না করতে! বিপদেই ফেললেন!

আমার বন্ধুর নাম এবং ফোনদাতার নাম গোপন রাখা হয়েছে বন্ধুর একান্ত অনুরোধেই। কারণ এখানে নাম প্রকাশ পেলে ওকে স্বাভাবিকভাবেই একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, যেটা ও হতে চায় না। সঙ্গত কারণ হিসেবে এটুকুই কি যথেষ্ট নয়???

না যথেষ্ট নয়। "অমুকেরা খারাপ, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে" টাইপের রাজনৈতিক বক্তব্য আরামে গিলিয়ে দেয়া সচলায়তনে খুব সহজ নয়। আপনার অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর। কিন্তু সেই গুরুতর অভিযোগ আপনি করেছেন ঘুরিয়ে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার নাম নেননি কিন্তু পরিচয় ঠিকই দিয়ে দিয়েছেন। এক গায়েবী বন্ধুর কথা বলেছেন যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্পষ্ট প্রশ্ন করলে পোস্টের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

আপনার বক্তব্যের স্টাইলে দুনিয়ার সাড়ে ৬০০ কোটি মানুষকে দালাল বানিয়ে দেয়া যায়! আমি সেটা মেনে নিতে পারিনা। তাহলে আপনি কালকে আমার নামে অভিযোগ করবেন।

আমি বলছি না যে ব্যক্তিটির কথা বলতে চেয়েছেন তিনি কোনো অন্যায় করলেও সেটা গ্রহনযোগ্য হবে। কিন্তু তিনি অামার পছন্দের ব্যক্তি। তাঁর নামে কোনো অভিযোগ করলে আপনাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ তা করতে হবে। আপনি সেরকম করলে আমিও আপনার সঙ্গে মিলে তাঁকে দুয়ো দেব।

আপনার যে অভিযোগ সেটা সত্য হলে সরাসরি করতে সমস্যা কী! গণিত উৎসব কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়! কেউ (হোক তিনি কর্তাস্থানীয় অথবা প্রভাবশালী) কোনো অনৈতিক কিছু করলে স্পষ্ট বলুন, তাঁকে ছাড়াই গণিত উৎসব চলবে। আপনারাই চালিয়ে নেবেন। কিন্তু গায়েবী দোষারোপ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

আমি অনার্য সঙ্গীতের সথে একমত। আপনার লেখাটা "গায়েবী নিন্দায়" পূর্ণ, অস্পষ্ট এবং ধোঁয়াটে। কী বলতে চাচ্ছেন, কার দিকে আঙ্গুল তুলছেন কিছুই বোঝা যায় না।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

জ্বী ভাই, আমি পানি ঘোলা করছি। আমি গায়েবী দোষারোপ করছি।

কিন্তু এগুলো কেনো হইলো জানেন?

কারণ আমি কাপুরুষ, ভীরু। আণ্ডারগ্র্যাজুয়েটের একটা ছাত্র হয়ে নিজ পরিচয়ে এ মানুষগুলো কিংবা গোষ্ঠীগুলোর পরিচয় উন্মোচন করার মতো সৎসাহস আমার নাই। কারণ তারা যে রথী মহারথী। এদের সাথে লড়তে গিয়ে যদি স্বপ্ন গুলো থমকে যায়। ভয় পাই, ভীষণ ভয় পাই। বাড়ি থেকে আসার আগে মা বলে দিছে, কোনো ঝামেলায় জড়াবি না। কারো সাতে পাঁচে যাবি না। কারো সম্পর্কে কিছু বলতে যাবি। নিজেরে সেফ করে চলবি। তাই আমি আমার মফস্বলে পড়ে থাকা পিতামাতার মুখ চেয়ে চুপটি করেই থাকি। এর আগে সচলে আমার ১১টা লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কখনো এ ধরণের কিছু লেখার সাহস করিনি। প্রায় দুইতিন সপ্তাহ আগে এ লেখাটা লিখেছিলাম। কিন্তু পোস্ট করতে গিয়েও করিনি। পোস্ট না করে পিসিতেই ফেলে রেখেছি আরো কিছু লেখা গোপন ক্ষোভ হিসেবে। কারণ কেউ যদি জানতে চায় তুমি কে? ঐ বন্ধু কে? আমি কি পরিচয় দিতে পারবো? সেই সাহস কি আমার আছে? ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে গিয়েও একই ভয় কাজ করে। (তাছাড়া লোকটার এই একটা কাজের সমালোচনা করতে গিয়ে তার কোনো ভালো উদ্যোগের অবমূল্যায়নের কারণ হয়ে যাওয়ার নৈতিক ভয়ও তো ছিল।)

তারপরও মাঝে মাঝে নিজের অক্ষমতাকে অতিক্রম করে ক্ষোভ জয়ী হয়। প্রেস করে ফেলি সংরক্ষণ বাটনে। এটাই সমস্যা। তবে বিশ্বাস আছে নিজের উপর যা বলছি মিথ্যে বলছি না, যা করছি অন্যায় করছি না।

আমার সীমিত সামর্থ্যে আমি শুধু আওয়াজটুকুই তোলার প্রয়াস নিয়েছি...এই প্রত্যাশায় যে যারা সিনিয়র ব্লগার আছেন, যারা আমার মতো কাপুরুষ নয়, যাদের পিছুটান নেই তারা নিশ্চয় বাকিটা অনুসন্ধান করে দেখবেন।

অনাকাংখিত অন্যায্য আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।
অধিকার থাকলে হয়তো এডিটের ব্যাপারে বিবেচনা করা যেত। কিন্তু সেই ক্ষমতা যে নেই।

__________________________________________
আমরা যাব যেখানে কোনো
যায়নি নেয়ে সাহস করি।
ডুবি যদি তো ডুবি না কেন
ডুবুক সবি, ডুবুক তরী।।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার অক্ষম বেদনায় সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি কেবল। আর কিছু করার নেই!

আপনার নানা সীমাবদ্ধতা আপনার ব্যপার। সে জন্যে অন্য কেউ কেনো অন্যায় অপবাদের দায় নেবে!? আমাকে কেউ দালাল বলে সেটার প্রমাণ দিতে না পারার কষ্টে যদি সে মারাও যায় তাতে তো আমার কোনো লাভ নেই! আমার চিন্তা কেবল একটাই, আমাকে দালাল কেন বলা হল!

বোঝাতে পেরেছি কিনা জানিনা। এই আলোচনার এখানেই সমাপ্তি। কেবল মনে রাখুন, কাউকে কোনোকিছুর জন্যে দোষারোপ করলে সেটা প্রমাণের দায়ও আপনার। সেই দায় নিতে আপনার কোনো সমস্যা থাকলে অথবা সেই দায় নেয়ার সামর্থ না থাকলে অন্যায় দোষারোপ করবেন না।

আপনার কাজের দায় নেবে বলে অন্য কারো উপর যদি ভরসা করে থাকেন তাহলে সেটা জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে নিন। আগে থেকে আলোচনা করেই তবে পোস্ট দিন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

স্ট্রেঞ্জ! রথী মহারথীদের নিয়ে কিছু বলতে সাহস পান না, কিন্তু জামাত নিয়ে কথা বলে ফেললেন? ঐ রথী মহারথীরা কি জামাতের চেয়েও খতরনাক নাকি?

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

জামাতের ক্ষমতা রগ কাটায়। সেটা দৈহিকভাবে কষ্টকর।

আর এরা ইমেজ নিয়ে খেলে। সেটা মানসিকভাবে কষ্টকর।

কামরুজ্জামান কামরুল সাহেব ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, "আমি বাংলার চাইল্ড" আইডি টা আমার কিনা? যেই আইডি কিনা বুয়েটের একটা কুখ্যাত ছাগু আইডি হিসেবে পরিচিত...

তাছাড়া আমার কাজের ক্ষেত্রটাও এঁদের কাছাকাছি। পেপারের মায়া, থিসিসের মায়া অনেককিছু কাজ করে ভাই।

সো ওনারা ওনাদের মতো খতরনাক। ওনারা মেহেরজান-রুবাইয়াত কে প্রগতিশীল বানানোর চেষ্টা করতে পারে, আমাকে ছাগু বানাতে ওনাদের খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা কি???

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি আমার মন্তব্যে এড়িয়ে গিয়েছিলাম, আপনি সেটা এবার খুব স্পষ্ট করে বললেন:

আর এরা ইমেজ নিয়ে খেলে। সেটা মানসিকভাবে কষ্টকর।

তাছাড়া আমার কাজের ক্ষেত্রটাও এঁদের কাছাকাছি। পেপারের মায়া, থিসিসের মায়া অনেককিছু কাজ করে ভাই।

সো ওনারা ওনাদের মতো খতরনাক। ওনারা মেহেরজান-রুবাইয়াত কে প্রগতিশীল বানানোর চেষ্টা করতে পারে, আমাকে ছাগু বানাতে ওনাদের খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা কি???

এনারা কারা? মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এবং অন্যরা? যারা গণিত আলিম্পিয়াডের আয়োজন করেন?

প্রথমে অভিযোগ করলেন এরা বিশেষ গোষ্ঠীর দালাল। সেই আভিযোগেই প্রচ্ছন্নভাবে বলে দিয়েছিলেন যে এনাদের বিপক্ষে কথা বললে (সেটা সত্য/ন্যায্য হলেও) এঁরা আপনার অনিষ্ট করতে পারেন। এবার সরাসরিই বললেন এরা আপনার ইমেজ নষ্ট করে দেবে, আপনার থিসিস পেপারে সমস্যা করবে, এরা খতরনাক এবং আপনাকে ছাগু বানিয়ে দেবে!

কথার স্বপক্ষে প্রমাণ দিন। অন্তত যুক্তি দিন। এতো ভয়ে ভয়ে থাকা কারো মুখ থেকে এতো কথা শুনে খুব আবাক লাগছে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পাঠক NTC এর ছবি

@ অনার্য সঙ্গীত, আপনার কোথায় এতটা লাগলো বুঝা যাচ্ছে না। লেখক বলছে যে তার পক্ষে সম্ভব নয় ওদের নাম প্রকাশ করা এবং আপনি তাকে উত্তমরূপে ধমকেই যাচ্ছেন এবং পরিচয় গোপন করার জন্য লেখার ক্রেডিবিলিটিও নষ্ট করতে চাচ্ছেন!

আপনি নিজেও কিন্তু স্বনামে লেখেন না। তাই আপনার বোঝা উচিৎ লেখক কিসের ভয়ে ভীত, এমনকি সে বলেছেও সে এক্সাক্টলি কোন কোন কারনে ভীত।

লেখক যদি আপনার কাঙ্খিত জবাব দেয় তাহলে কি পরিবর্তন ঘটবে বলুন? সেই চক্র দ্বারা তার উপর ব্লগে এবং ব্যাক্তিগত জীবনের সম্ভাব্য আক্রমন ঠেকাতে আপনি কি একটা কি-বোর্ডের বোতাম বা এক কদম পা নড়াবেন? তবে কেন তার সফট কর্ণারের পুশ করছেন? পারলে সচলায়তন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে লেখকের নিরাপত্তা ও পড়াশোনার পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং এরপর তার কাছে পরিষ্কার উত্তর আহ্বান করুন, এর আগে নয়।

মুজাই সম্পর্কে আপনার সম্বোধন থেকেই ধারনা করা যায় আপনি তার ফ‌্যানাটিক ফ্যানদের কেউ হতে পারেন সুতরাং আপনার কাছে লেখকের কোন তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকাই উচিৎ।

@ লেখক, যখন গলা পরিষ্কার করে অভিযোগ করতে পারবেন না তখন কেন শ্লেষ্মাজড়িত কন্ঠে কথা বলতে আসেন? চারদিকে অসৎ ও নষ্টদের বিজয় মিছিলে যোগ দিতে না পারলে চিলেকোঠায় বন্দি হয়ে থাকুন, কে বলেছে আপনাকে সেপাহী হতে? সবাই জানে আলো গোষ্ঠো এবং ফ্যানাটিক সুশীল সমাজ দিন দিন কিভাবে শক্তিশালী এবং দখলদারী হয়ে উঠছে তবুও সবাই চুপ, কেন চুপ? মিঠাই কি সবাই পেয়েছে? না তবুও চুপ কারন রক্ত ঠান্ডা হয়ে গেছে। আপনি কেন মাঝ থেকে আধা-আধা বিপ্লব করেন?

বিদ্রোহ করলে পুরো করেন নইলে পড়াশোনা ও পরিবার নিয়ে চুপ করে থাকুন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পাঠক NTC, জট পাকিয়ে ফেলছেন বোধ'য় কোথাও। অনার্য সঙ্গীত তাদেরই পরিচয় জানতে চাচ্ছে, যাদের ব্যাপারে লেখক অভিযোগ তুলেছেন। এখানে লেখকের পরিচয় প্রকাশের জন্য আপনি উত্তমরূপের ধমক পেলেন কোথায়?

ড. জাফর ইকবালকে কেউ 'স্যার' বলে সম্বোধন করলেই যদি তাকে 'ফ্যানাটিক ফ্যান' ধারণা করেন তাহলে তাঁকে 'মুজাই' সম্বোধন করলে আপনাকেও তো কোনো একটা 'নির্দিষ্ট গোত্রের কেউ' বলে ধারণা করা যায়!

আর, এখানে তথ্য পরিবেশনা কেবল অনার্য সঙ্গীতের কাছেই কেনো করতে হবে! বাকিরা কী দোষ করলো!

লেখকের উদ্দেশ্য যদি হয় জনৈক দুষ্টু লোক থেকে বাকীদের সাবধান করা, তাহলে তো সঙ্গত কারণেই সেই দুষ্টু লোকের নামটা সামনে আসা সমীচিন। নাহলে, এভাবে আন্ধাকুন্দা কোপায়ে গেলে পাবলিক বুঝবে কেমনে কী থেকে, কার থেকে সাবধান হতে হবে!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনার্যের মন্তব্যে চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কামরুল এর ছবি

এমনিতে আমি পুরোদস্তুর পাঠক, কোনো কালেও লিখি না, এই ক্ষেত্রে অন্তঃত কমেন্ট করাটা উচিত বইলা মনে হইলো!

সঙ্গত কারণে নাম প্রকাশ করেন নাই, সঙ্গত কারণটা ঠিক বুঝতে পারলাম না, সরাসরি প্রকাশ করে দিন না, সবাই চিনতে পারবে!
এবং আমি যতদূর দেখসি, সরাসরি প্রথম আলোর সাথে সম্পৃক্ত একজন দুইজন ছাড়া, গণিত অলিম্পিয়াডের মেলা লোকজন প্রথম আলোর সংবাদের উপর ভালো খেপা! আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অনেকগুলা উদাহরণ দিতে পারবো (পরে দেই)!

আমি নিজেও ভিকারুননিসার ঘটনা নিয়া স্ট্যাটাস দিসিলাম, আমার সাথে আরো অনেকেই দিসিলো, দুঃখজনক ভাবে আমি কোনো ফোন কল পাইনাই, আর কেউ পাইসে বইলাই আমার জানা নাই! মন খারাপ

আপনে সঙ্গত কারণে নাম প্রকাশ করেন নাই, তার ভক্তদের আঘাত দিবে বইলা, তা থেকে ভয়াবহ কাজ আপনি করে ফেলসে, ইতোমধ্যে জনগণের মাঝখানে একটা প্রশ্ন তুলে ফেলসে, গণিত অলিম্পিয়াডের মানুষজনের নীতি নিয়া!

গণিত অলিম্পিয়াডের সাথে সংযুক্ত কমবেশি সবাইকে চিনি! কায়েস ভাইকে ঠিক চিনলাম না, একটু বিস্তারিত পরিচয় দেবেন দয়া করে?
কায়েস ভাই এবং আপনার সাথে ব্যাক্তিগতভাবে একটু দেখা করে কথা বলতে পারলে ভালো হইতো, এই রকম কোনো ঘটনা যদি ঘইটা থাকে, হয় অই ফোন কলধারী ব্যাটারে সরানো হবে, নাইলে গণিত অলিম্পিয়াড ছাইড়া দিবো!

মু ই কেডা চিনলাম না, না মুনির হাসান হয়, না জাফর ইকবাল, না কায়কোবাদ... আমি অন্তঃত চিনতেসি না! মন খারাপ

গণিত পরিবারের সদস্য হতে গেলে কি আলো পরিবারেরও সদস্য হতে হয়?"

হিমু ভাই, না হয় না, আমি এই দাবী করতে পারি! তবে একাডেমিক কো-অর্ডিনেটরের উপর প্রথম আলোর 'গণিত ইশকুল' পাতার দায়িত্ব থাকে, এটুকুই। এটা ছাড়া প্রথম আলোর সাথে আমি আর কোনো সম্পর্ক দেখি না!

"কিন্তু যেটা জানা আছে সেটা হলো অলিখিতভাবে হলেও এর সাথে জড়িত তরুণদের মাথায় এটা ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলে যে তারা প্রথম আলো পরিবারেরই সদস্য। কাজেই প্রথম আলোর স্বার্থবিরোধী কোনোকিছু করা থেকে বিরত থাকার বার্তাটাও দেয়া হয়ে যায়।"

উদ্ভট এবং অবান্তর! গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক সেকশনে যারা যুক্ত, তাদের প্রায় সবাই বুয়েটের, এবং বেশিরভাগই গণিত অলিম্পিয়াডের প্রাক্তন ক্যম্পার, নাইলে পার্টিসিপেন্ট, এদের চিন্তাভাবনা যথেষ্ট উন্নত, এবং তারা জানে তারা কি করতেসে!

"গণিত পরিবারের সদস্যদের শেখানো হয়, ইনাম আল হক একজন পরিত্যাজ্য ব্যক্তি।"
আমি ২০০৭ সাল থেকে গণিত অলিম্পিয়াডের সাথে সংযুক্ত, এই ভদ্রলোক কে, আমি সেইটা জানি না! ইয়ে, মানে...
পরিত্যাজ্য ব্যক্তি শিখানো তো মেলা দূর! (এইটা আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে, কিন্তু এইটাও নির্দেশ করে এই ধরণের অভিযোগ মিথ্যা!)

প্রথম আলোর সংবাদ প্রশ্নবিদ্ধ, এইটা নিয়া কারো কোনো সন্দেহ নাই,কিন্তু প্রথম আলোকে নিয়া বকবক করতে গিয়া শুধু শুধু একটা ভালো জিনিসকে কলংকিত করাটা তো উচিত না! মানুষজনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়! উপযুক্ত তথ্যাদি এবং প্রমাণ দিয়ে পেশ করেন!

একটা সন্দেহ মাথায় নাড়াচাড়া দিতেসে, ভাইজান কি ফেসবুকে 'আমি বাংলার চাইল্ড' নিকের অধিকারী?

উত্তরগুলোর অপেক্ষায় রইলাম!

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

কায়েস ছদ্মনাম।

না আমি ফেসবুকে 'আমি বাংলার চাইল্ড' নিকের অধিকারী নই।

আর অন্য প্রশ্নের উত্তরগুলো যতটুকু সম্ভব উপরের বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবে বলার চেষ্টা করা হয়েছে।

যেটুকু পারিনি সেটুকু আমার অক্ষমতা / সীমাবদ্ধতা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আচ্ছা, আপনিই কি rgs এর creator???

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

ভাই কামরুল, আমি তার নাম প্রকাশ না করতে অপারগ হলেও আপনি নিজেই সেটা করে দিবেন কিংবা দিচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে!

আপনার আলোচনা অনুসারে বোঝা যাচ্ছে আপনি কামরুজ্জামান কামরুল। যিনি ফেসবুক গ্রুপ রামানুজন গণিত সংঘের ক্রিয়েটর, উদ্ভাস কোচিং সেণ্টারের একজন টীচার, গণিত দলের সদস্য এবং আউটসোর্সিং এর কাজেও নিয়োজিত। মাঝেমাঝে প্রথম আলোর গণিত ইশকুলেও লেখেন। এককথায়, আপনি বহুগুণে গুণবান।

আচ্ছা, আপনি তো একসময় স্কুলের প্রথম সারির একজন ছাত্র ছিলেন। অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর দিয়ে বুয়েটেও ভর্তি হয়েছেন। তাহলে, এখন কেন আপনাকে বুয়েটের পরীক্ষাগুলোতে পাস করতেই হাসফাস করতে হয়, ল্যাগ খেতে হয়? কেন, ক্লাসের অন্যদেরকে আপনার প্রক্সি দিতে হয়, যে সময়টায় আপনি হয়তো উদ্ভাসে ক্লাস নিতে ব্যস? কেন ক্লাসের ব্যাকডোর দিয়ে পালিয়ে আপনাকে ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় আউটসোর্সিং এর সমস্যা সমাধানে। এ সবই তো আপনার সেই মহামান্য অমুক ভাই, তমুক ভাই দের অবদান। তাই নয় কি? কি সুন্দর উন্নতির পথই না তাঁরা আপনাকে দেখাচ্ছেন! আর তাই তো আজ আপনি তাঁদেরই সাফাই গাইছেন।

তবে জেনে রাখুন, আপনি এবং আপনারাই হচ্ছে কর্পোরেট বৃত্তে বন্দী সেই সম্ভাবনাময় যুবসমাজ।

বেরিয়ে আসুন, বেরিয়ে আসুন এই বৃত্ত ভেঙ্গে, যত দ্রুত সম্ভব।

সৌমিক  এর ছবি

লেখকের প্রতি-- প্রথমবার পড়ার সময় বিষয় গুলো চোখ এড়িয়ে গেছে। হলের মাঠ?? বুয়েটের কোন হলের মাঠ ভাই?? এরপর কায়েস ভাই বিভিন্ন ক্লাবের বিশিষ্ট ব্যক্তি দাবী করলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কায়েস নামের ব্যক্তিকে আমার পরিচিত কোন ক্লাবের মাঝে পাই নাই।

তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের বিদেশে ভ্রমণের টোপ দিয়ে বিস্তর খাটিয়ে নেন।
তাই বলা যায় গণিত পরিবার (ও তার অন্য দোকানের) সদস্য মানেই আলো পরিবারের বাই ডিফল্ট সদস্য।
ইনাম আল হক একজন পরিত্যাজ্য ব্যক্তি

টাইগার জলিল-- আমি কামরুল এর মত সেভাবে জড়িত না হলেও কিছুদিন কাজ করেছি ম্যাথ অলিম্পিয়াডে। ম্যাথ অলিম্পিয়াডের সাথে অনেক দিন ধরে জড়িত সুবীন দাকে প্রায়শই দেখেছি প্রথম আলোর সমালোচনায় মুখর হতে। আপনার এ ধরনের অপপ্রচার চালানোর বেশি বাজে ঠেকল আমার কাছে।

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

কায়েস ছদ্মনাম।

সৌমিক  এর ছবি

ছদ্মনাম-- ব্যক্তি সমালোচনা মূলক পোস্ট দিলেন। বুয়েট, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, বুয়েটের ক্লাব, সরাসরি ফোন করা, পারসোনা ইস্যু-- তাই এই অদৃশ্য কায়েস সাহেব কে খুঁজিয়া পাইতে বেগ হবার কথা না(যদি থাকিয়া থাকে-- আমার সন্দেহ হয়)।
আবার আপনার থিসিস, পেপার এর সাথে ম্যাথ অলিম্পিয়াডের কোন ব্যক্তির সম্পর্ক খুঁজিয়া পাইলাম না। উতভ্রান্তের মত প্রলাপ বকছেন দেখি নিজের ডিফেন্সে। মাথা ঠিক আছে তো মি,আমি বাংলার চাইল্ড'??

কামরুল এর ছবি

দেখেন ভাই, আপনি যা লেখসেন, তা যদি সত্যি হয়, আর এই লেখা যদি অই ফোন কলধারীর চোঁখে পড়ে, এতোক্ষণে আপনে হাসপাতালে পৌছায়া যাইতেন! আপনার তথ্যাদি হয়তো আমি ট্র্যাক করতে পারতেসি না, অই ব্যাটা নিশ্চই ট্র্যাক করতে পারবে, সে কাকে ফোন দিসিলো স্ট্যাটাস সরানোর জন্য, তার নিশ্চয়ই মনে আছে! আর তাইলে আপনার বিপদ আছে! অগ্রীম শুভকামনা রইলো!

আপনার পোস্ট পুরাটাই ধোয়াঁটে, একজনের কাছে থেকে শোনা কথা নিয়া মানুষ এতোদূর যাইতে পারে, আমার ধারণা ছিলো না! তার উপর টাইগার জলিলের নির্লজ্জ কথাবার্তাতেও আপনে এমনভাবে সায় দিসেন, আর কিছু বলতে ইচ্ছা করতেসে না!

আপনে ইতোমধ্যে ৪৮টা লাইক পাইসেন, মানে ৪৮ জনের ফেসবুক ওয়ালে এখন এই জিনিসটা শোভা পাইতেসে। চিন্তা করসেন, আপনার তথ্য ভুল হইলো সেইটার প্রতিক্রিয়াটা কতোখানি হবে!

একটু হতাশ হইসি! সচলায়তনের প্ল্যাটফর্মে এইরকম লেখা আসবে আশা করি নাই!

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

টাইগার জলিলের কথায় আমি তো সায় দেই নি!!!

আপনি মন্তব্য পড়ুন। লেখাটা লেখার সময়ই এই ভয়টা ছিলো যে কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশ ঝাড়ার সুযোগ নিতে পারে।
তাই শুরু থেকেই যতদূরসম্ভব সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছি।

কি আশা করেছিলেন??? আপনার গুরুজীর স্তুতিগান???

ওঁ নমো নমো গুরুচরণায়ঃ নমঃ ???????

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জনসচেতনতা সৃষ্টি করার প্রয়াস ধন্যবাদার্হ।

আপনার বাবার বন্ধু বিষয়ে কয়েকটা প্রশ্ন আছে:

১) জামায়াত কি দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধী না? বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করা, অখন্ড পাকিস্তান রক্ষায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে নৈতিক ও কায়িক সমর্থন, ও তাদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে প্যারামিলিটারী বাহিনী গঠন করে বাঙালি নিধন - এই কাজগুলো তো জামায়াত দলগত সিদ্ধান্তেই করেছে। এই কাজগুলো কি যুদ্ধাপরাধ না?

২) মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সংজ্ঞা কি? বাংলাদেশে অভাব অনটনের কারণে পড়াশোনা চালানোর জন্য কি জামায়াত ভিন্ন কোনো উপায় নাই? আপনার বয়স ২০-২২ ধরলে আপনার পিতার সহপাঠী বন্ধুর জামায়াত সংস্পর্শী ছাত্রজীবনের শুরু এখন থেকে অন্তত ৩০ বছর আগে হওয়ার কথা। অর্থাৎ তিনি তখন স্কুলে বা বড়জোর কলেজে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে না; কারণ, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ঢোকা একজনের পড়াশোনার খরচ চালাতে সে নিজেই যথেষ্ট। এখন প্রশ্ন হলো ৩০ বছর আগে স্বাধীনতার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর, তখনই যে স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছে, তাকে মুক্তবুদ্ধির মানুষ বলার কারণ কি?

৩) তার সাথে কি স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছেন? স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তার অভিমত কি? তার অভিমতের সাথে আপনার মতের কি কোনো পার্থক্য আছে?

৪) ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আপনি কি বুঝেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতার কনটেক্সটে ধর্মনিরপেক্ষতার গুরুত্ব কতোটুকু? স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো - কাজটা কি ঠিক বলে মনে করেন?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাংলামায়ের ছেলে এর ছবি

১| হ্যাঁ জামাত কে আমি দলগতভাবেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি মনে করি। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী কি সবাই!!! মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী প্রজন্ম তো যুদ্ধাপরাধে অংশ নেয় নি। তবে হ্যাঁ সব জেনেশুনেও তাদের সাপোর্ট করায় তারাও নৈতিকভাবে অপরাধী। তবে লেখাটায় যুদ্ধাপরাধ শব্দটা ব্যবহারে সাধারণ অর্থটাই মাথায় ছিলো। ভবিষ্যতে এই দিকটা মাথায় রাখতে হবে।

২| মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বলতে আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে তিনি আর দশজন জামাতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম কট্টর। মুক্তবুদ্ধি শব্দটার গভীর তাৎপর্য ভেবে দেখা হয় নি। এজন্য আমি দুঃখিত। আর তার এই জামাতের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেয়াটা আমিও সমর্থন করি না। এটা নিয়ে তার সাথে আমারও অনেক তর্ক হয়েছে। কিন্তু তিনি শুধু "আমার জায়গায় থাকলে বুঝতা" বলে এড়িয়ে গেছেন। আমি তাকে ব্যক্তি বা রাজনীতিক কোনোহিসেবেই সমর্থন করি না। কিন্তু তিনি যখন আমার সাথে স্বাভাবিক আচরন করেন তখন তার সাথে ধুম করে দুর্ব্যবহারও তো করতে পারি না। কি জানি! এটা বোধহয় আমার দুর্বলতা।

এখানে তার প্রসঙ্গটা মূলতঃ কর্পোরেটদের টেকনিক সম্পর্কে আলোকপাত করার উদ্দেশ্যেই। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি সেটা জামাতই হোক কিংবা অন্য যেই সংগঠনই হোক--তারা আমার আন্তরিক ঘৃণার পাত্র সবসময়ই।

৩| স্বাধীনতার সময় তিনি নিতান্তই বালক ছিলেন। এ ব্যাপারটা তিনি সবসময়ই এড়িয়ে গেছেন। ঘৃণা সত্ত্বেও তার সাথে এতো আড্ডা দেয়ার একটা কারণ এটা জানাই যে '৭১ সম্পর্কে ওনার কি অভিমত। কিন্তু আদ্যাবধি সফল হতে পারিনি।
আর আমার মতামত? আশা ইতিমধ্যে উত্তর দেয়া হয়ে গেছে। আপনি কি আমার আগের লেখাগুলো পড়েছিলেন? সচলে আমার প্রথম লেখাটাই ছিলো স্বাধীনতা উত্তর সময়ের এক তরুণ হিসেবে আমার ভাবনা বিষয়ে।

৪| ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি বুঝি সংখ্যাগরিষ্ঠতা-লঘিষ্ঠতার উর্দ্ধে উঠে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা।
অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষের সংগ্রামের ফসল আজকের এই বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, আমার বড়মামা একজন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

হ্যাঁ, কাজটাকে আমি শতভাগ ঠিক বলে মনে করি।

**আর একটা কথা...আমি নিজে মৌলবাদের শিকার হতে হতে স্কুলজীবন পার করেছি।(সেটা নিয়ে সম্ভব হলে আরেকদিন বিস্তারিত লিখবো আশা রাখি।) তাই মৌলবাদ ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট যে কারো প্রতি আমার ঘৃণা সবসময়ই।

প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সময় করে এতগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার দেয়া উত্তরগুলোকে যোগ করলে মনে হয় আপনি নিজেই কতগুলো সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন। যেমন, ধর্মবিক্রিকরা রাজনীতি নিষিদ্ধের কাজটা আপনি শতভাগ ঠিক বলে মনে করলে জামায়াতী সবাই যুদ্ধাপরাধী কিনা, এই প্রশ্নটার উত্তরও আপনি পেয়ে যাবেন। এখানে অপরাধটা শুধু নৈতিকতার বিষয় না, অপশনাল কোনো বিষয়ও না। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে আদর্শ দিয়ে বাঙালিকে হত্যা ও ধর্ষণ করা হয়েছে, সেই আদর্শের সমর্থনকারী ও সেই আদর্শের পক্ষে কাজ করা কেউ মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নেয়ার জন্য ওই হত্যা ও ধর্ষণের দায় থেকে রেহাই পায় না। এখানে কিছু আইনের প্যাচ দেখানো যেতে পারে। যেমন, জামায়াত আইনগতভাবে বৈধ দল বা ছাত্র শিবির আর ছাত্রসংঘ এক না; কিন্তু আপনিই জানেন কোনটা সঠিক আর কোনটা প্যাচ।

আপনার দ্বিগুণেরও বেশি বয়সী উচ্চশিক্ষিত একজন জামায়াত নেতার কাছ থেকে ৭১ সম্পর্কে আপনি কী এক্সট্রা-অর্ডিনারি অভিমত আশা করেন, এটাও বুঝতে পারলাম না। তার অবস্থানই তো তার কথা কি সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বলে দেয়।

কিন্তু তিনি যখন আমার সাথে স্বাভাবিক আচরন করেন তখন তার সাথে ধুম করে দুর্ব্যবহারও তো করতে পারি না। কি জানি! এটা বোধহয় আমার দুর্বলতা।

এই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একজনকে ঘৃণা করেন; কিন্তু তার সাথে দুর্ব্যবহার করতে চান না, এ অবস্থায় তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই মনে হয় ভালো। আপনার সাথে তার প্রকাশ্য অস্বাভাবিক আচরণ করার কোনো কারণ নেই। বরং এরকম একজন চালু লোক আপনার সাথে মোলায়েম ব্যবহার করার কথা। এতে করে তারই লাভ, জামায়াতেরও লাভ।

শহীদ বুদ্ধিজীবি ডঃ আবদুল আলীম চৌধুরীর হত্যাকারী মাওলানা মান্নানকে তিনিই একসময় আশ্রয় দিয়েছিলেন। নজু ভাইয়ের এই লেখাটায় তার কিছু বিবরণ আছে।

এখন একজন হার্ডকোর জামায়াতীর সাথে আপনার সখ্যতা থাকবে কিনা, সেটা একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তাদের মোলায়েম ব্যবহারে আপনার মধ্যে সৃষ্ট দুর্বলতাটা যাতে অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়, এটা সচলের পাঠকরা কেয়ার করে। আপনার পোস্টের জামায়াতিকে নিয়ে লেখা প্যারাগ্রাফটিতে এরকম একজন কালপ্রিটকে মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন আখ্যা দিলে তার প্রতিক্রিয়া একটু কঠিনই হওয়ার কথা। এক্ষেত্রে মধ্যপন্থা বলে কিছু নেই, জামায়াতের প্রতি দুর্বলতা সৃষ্টি হওয়ার কোনো অজুহাতেই সচল পাঠকদের সহানুভূতি পাবেন না। সুতরাং বিবেচনা এখন আপনার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কাহিনী কি? এত "যাচাই করা হয়নি" কুঙ্খান্থিকা আইলো?

আপনার দুস্ত ছদ্মনামধারী "কায়েস" দেখি খুব কেউকেটা, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতেই ফুন্দিল কর্ণধার দাদা, ভাইরে, ঢাকার পুলাপাইনের হাতে এখন ৩-৪ টা কইরা সিম থাকে (হালায়, আমার পকেটে এত্তগুলান সিম থাকলে আলু আর রুই মাছ দিয়া তরকারি রাইন্ধা খাইতাম), উনি জানলো কেমনে কুনবেলায় কায়েস মিয়ার কোন সিম চালু আছে? কেমন জানি পঁচা মাছের গান্ধা পাইতাছি।

এখন আসল কথাটা কই, আমার উপরের কথাগুলান ভিত্তিহীন, মানেন? আপনার পুরা পোস্টটাই সেরাম ভিত্তিহীন, যা মনে আইলো, চাবি টিপ্পা পাতা ভরায়া দিলেন, কুনু প্রমাণ নাইকা! কিছু জিগাইলেই আপনে খালি, ডরাই, আমার সীমাবদ্ধতা, আমার দুর্বলতা, ইত্যাদি ইত্যাদি কইতেছেন। তাওয়ার তলে আগুন দিয়া পরোটা ফ্রিজে তুইল্লা রাখেন কেন ভাইজান?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একজন মানুষ ঠিক যেই মুহূর্ত থেকে নিজের বিবেক-বুদ্ধি, আত্মসম্মান আর পূর্ব-পুরুষের রক্তের ঋণ জামাতে ইসলামীর কাছে বন্ধক রেখে 'নেমক হালাল' সেজে যায়, ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই তাকে 'মানুষ' বলে গণ্য করতে আমার সমস্যা আছে। এবং এই ধরণের জামাতি নেমকহালাল'দের 'মানবীয় গুণাবলী' আর 'মুক্তবুদ্ধির' ঢেঁড়া পেটানোটা আমার কাছে চরম অশ্লীল মনে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।