তিব্বত, সে এক অবাক করা নাম, জাদুময় ভূখণ্ড, যার তুলনা কেবলমাত্র সে নিজেই! হাজার হাজার কিলোমিটার চলে যাওয়া ঊষর, রূক্ষ, পাথুরে ভূমি, পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গগুলোকে বুকে রাখা বিশ্বের সর্বোচ্চ মালভূমি আর বরফগলা নদীর সমন্বয়ে গঠিত তিব্বতের জুড়ি আক্ষরিক অর্থেই আমাদের গ্রহে দ্বিতীয়টি নেই। যেমন বিচিত্র এর ভূপ্রকৃতি তেমন বিস্ময় জাগানিয়া এর প্রাণীকুল আর এখানে বসবাসরত মানব সম্প্রদায়।
এই শতকেও সেখানে মেনে চলা হয় শতাব্দী প্রাচীন রীতিনীতি, রহস্যে মোড়া গুম্ফাগুলোর দেয়ালে প্রতিধ্বনি তোলে পুরোহিতের মন্ত্র, ক্যানভাসে দক্ষ হাতে একের পর এক নয়নজুড়ানো নিপুণ থাংকা (পটচিত্র) এঁকে যায় গেরুয়া রঙের পোশাক মোড়া সন্ন্যাসী চিত্রকরেরা, সাধারণ মানুষ ফিরে যেতে চায় যাযাবরবৃত্তিতে, পশুচারণের আদিম পেশায়। সেই সাথে হাজার বছর ধরেই তিব্বত এক নিষিদ্ধ বিস্ময় বহির্বিশ্বের কাছে, কারণ বিদেশীদের অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘ দিন, আজো তা নানা নিয়ম-কানুন-শৃঙ্খলার নিগড়ে ঘেরা।
ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানের বইতে দেখতাম নিষিদ্ধ দেশ- তিব্বত, নিষিদ্ধ নগরী- তিব্বতের রাজধানী লাসা, সেইসব নামগুলো যেন ফেনিয়ে ওঠা গাঢ় রহস্যের কুয়াশায় ঘেরা, আলো- আঁধারে ঢাকা, খুব জানতে ইচ্ছে করত তাদের সম্পর্কে, কিন্তু জানবার উপায় ছিল না বললেই চলে। নানান বইপত্র ঘেঁটে জানতে পারি ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল অপরূপা মানস সরোবর সেই নিষিদ্ধ মালভূমির অবিশ্বাস্য উচ্চতায় অবস্থিত, তার সঙ্গী পবিত্র নয়নাভিরাম পর্বত কৈলাস, যাকে তিব্বতিরা মনে করে বিশ্বের কেন্দ্রস্থল। বৌদ্ধ ও হিন্দু, দুই ধর্মের অনুসারীদের কাছেই কৈলাস তীর্থক্ষেত্র, অতি পবিত্র এই পর্বতে আরোহণের চেষ্টাকারীকে মৃত্যুদন্ড দেবার বিধান রয়েছে স্থানীয় আইনে, কাজেই সেখানে না হলেও তিব্বতি বৌদ্ধদের কাছে হাজার বছর ধরে অতি পবিত্র বিবেচিত নীলকান্তমণিদেবী বা টেঁকো ঈশ্বর বলে পরিচিত প্রায় সাতাশ হাজার ফুট উচ্চতার (২৬,৯০৬ ফুট বা ৮,২০১ মিটার, আমাদের গ্রহের ষষ্ঠ উচ্চতম পর্বত) চৌ য়ূ পর্বত শৃঙ্গ অভিযানে ২০০৯ সালের শেষদিকে সৌভাগ্য হয়েছিল সেই স্বপ্নময়, জাদুঘেরা প্রায় মায়াবাস্তবতার আড়ালেই থাকা তিব্বত স্পর্শ করবার, সেই গল্পই তুলে ধরছি আপনাদের কাছে।
সে বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরের খানিক আগে আমরা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে জিপগাড়ীতে করে তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত কোদারী শহরে পৌছাই, আমরা বলতে পর্বতারোহণের সঙ্গী শেরপারা, সেই সাথে দুজন বঙ্গসন্তান অভিজ্ঞ পর্বতারোহী এম এ মুহিত ( উল্লেখ্য মুহিত ভাই এই মাসেই বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ মানাসলু পর্বত জয়ের মাধ্যমে একমাত্র বাঙালি হিসেবে তিন তিনটি ৮০০০ মিটার উচ্চতার পর্বত জয়ের অনন্য গর্বের অধিকারী হয়েছেন, অন্য দুটি ছিল চৌ য়ূ এবং মাউন্ট এভারেস্ট) ও আমি, তারেক অণু।
এর আগে আমরা হিমালয়কন্যা নেপালে আসলেও এই প্রথমবারের মত তিব্বতের নিষিদ্ধ ভূখণ্ডে পা রাখতে যাচ্ছি, মনের কোণে উৎসাহের বাণ ডেকেছে। হিমালয় থেকে বয়ে আসা বটেকোশী নদীর উপরে নির্মিত এক সেতু সংযোগ করেছে এই দুই দেশকে, সেদিকে এক পলক পড়তেই যেন ধনী-গরীবের অর্থনৈতিক পার্থক্যটা প্রকট হয়ে ধরা দিল খালি চোখেই, নেপালের সীমানায় কোনমতে দাড় করানো কয়েকটা ভবন, অনেকটা ছাপরা ধরনের কিছু খাবার দোকান, জনা কয়েক পুলিশ- এই শেষ! অন্যদিকে তিব্বত সীমান্তের ভিতরে চীনা মিলিটারির প্রায় দুর্ভেদ্য দুর্গ, সারি সারি ভবন, সর্বদাই টহলরত অস্ত্রধারী মিলিটারি। সর্বক্ষণের কড়া পাহারা যেন দর্শনার্থীদের কেউ সীমান্তবর্তী কোন স্থাপনা বিশেষ করে সেতুটার ছবি তুলতে না পারে।
কাছের দেশ মানজ্বালা (বাংলাদেশের চীনে নাম) থেকে আসলেও ভিসার ঝামেলা শেষ করতে বেশ খানিকক্ষণ লেগে গেল, উল্লেখ্য ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকের জন্য গত দুই বছর ধরেই চীন সরকার যে কোনরকম রাজনৈতিক গোলযোগ এড়ানোর জন্য তিব্বতে কোনরকম পর্বতাভিযান চালানোর অনুমতি দেয় নি। কাস্টমসের গোমড়ামুখো চীনা পুলিশ কর্মকর্তার মূল আকর্ষণ ছিল সাথে বয়ে আনা চারখানা বই, সেগুলো কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিংবা দালাই লামার বাণী সম্বলিত কিনা তা বোঝার জন্য যেন রীতিমত যুদ্ধ অভিযান চলল পাতার পর পাতা উল্টে, তবে আমার নিরেট মাথায় কিছুতেই ঢুকল না কেন সেই উচ্চশিক্ষিত সরকারী কর্মচারীরা আমার প্রতিটি ইংরেজি বই উল্টো করে ধরে যাচাই করলেন! সেই সাথে প্রত্যেকের ব্যাগে চলল চিরুনি তল্লাসি, আমরা পার পেয়ে গেলেও এক ব্রাজিলীয় পর্যটকের ব্যাগে মিলল তিব্বতের পতাকা, সাথে সাথে ভিসা থাকা স্বত্বেও প্রবেশাধিকার বাতিল হয়ে গেল তার! অন্যদের মুখে শুনলাম কারো সাথে মাও সে তুং বিরোধী কোন বই বা লিফলেট এমনকি দালাই লামার ছবি থাকলেও তার কপালে একই পরিণতি ঘটত। যদিও এক সতীর্থ আমেরিকান চোখ টিপে দুষ্টু হাসি দিয়ে জানাল তার শার্টের নিচের উল্কি আঁকা আছে স্বাধীন তিব্বতের দাবীতে!
সীমান্তের অতি কাছেই মেঘের কোলে ঠাই নেওয়া জাংমু শহরের আমাদের আপাত অবস্থান আর জলখাবারের ব্যবস্থা ছিল।
সব জায়গাতেই তিব্বতি মহিলাদের কর্ম তৎপরতা চোখে পড়ার মত, মিষ্টি হেসে তারা সম্বোধনের ভঙ্গীতে দুহাত জোড় করে বলে থাসিডেলি- তিব্বতি ভাষায় নমস্তে।
খানিক বিশ্রামের পরপরই গাড়ী করে দারুণ পিচ ঢালা রাস্তায় ৩৬৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ক্ষুদে জনপদ নায়লাম-এ আগমন। রাস্তাটির অতি অল্প অংশ তখনো নির্মাণাধীন থাকলেও কেবল মনে হচ্ছিল এই দুর্গম বন্ধুর এলাকায় হিমালয়ের বুক চিরে কি করে চীনে প্রকৌশলীরা এই বিস্ময়কর পথ নির্মাণ করেই ছাড়ল! তবে এটিও ঠিক, মনের অজান্তেই খচ খচ করে বিঁধছিল তিব্বতের মত স্বপ্নময় অগম্য স্থানে এমনভাবে যান্ত্রিক শকটে আগমন, এর চেয়ে ইয়াকের পিঠে আসলেই আমাদের প্রবেশ বেশী সার্থক মনে হত।
নায়লামে তখন দারুণ ঠাণ্ডা, কনকনে পাহাড়ি বাতাস মনের সুখে খোলা চামড়ায় চাবুক হেনে চলেছে, তার সঙ্গী সুতীক্ষ তীরের মতই যন্ত্রণাময় বড় বড় ফোঁটার বৃষ্টি, সেই সাথে পদ্মাপারের সমতলের মানুষের হঠাৎ করেই এতটা উঁচুতে অনেক কম অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাসে আসার কারণে স্বল্প মাথা ব্যাথা। এই কম অক্সিজেনময় বাতাসে খাপ খাওয়ানোর জন্যই আস্তানা গাড়া হল দিন দুইয়ের জন্য নাইলামের হোটেল স্নো ল্যান্ডে। অন্যান্য অনেক কিছুর সাথেই বিখ্যাত তিব্বতি চা ( প্রতি কাপে কমপক্ষে দুই চামচ লবণ আর ইয়াকের দুধের এক ডেলা মাখন, সেই চায়ে আবার ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধ, বাঙালি রসনার জন্য মোটেই উপাদেয় কিছু নয়) দিয়ে প্রাতরাশ সেরে প্রতিদিনই হাইকিং করতে হত উচ্চতার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য। পথে নজরে আসে তিব্বতিদের আলু ক্ষেত, ইয়াকের সাহায্যে লাঙ্গল টানা,
যাযাবর পশুপালকদের আস্তানা, ভেড়া- ছাগলের পাল গণনা করে কাঠমান্ডুর পুঁজোর জন্য প্রস্তুত করা। ভেড়া গণনার সময় অবাক হয়ে শুনলাম এক থেকে দশ পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যার উচ্চারণ তিব্বতি ও বাংলায় হুবহু এক!
এত উঁচুতে কি শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে গিরিরাজ অপেক্ষমাণ আমাদের জন্য, দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে বটেকোশী নদী দেখা যায়, চারদিকে সবুজে ছাওয়া পর্বতমালা, আরো দূরে তুষারাবৃত পর্বতশৃঙ্গ। ধীরে ধীরে এই বাতাসে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে আমাদের শরীর, সেই সাথে বাড়ছে ফুসফুসের সহ্যক্ষমতা, পর্বতারোহণের জন্য যা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেকিং শেষে ফেরার পথে চোখে পড়ে ক্রীড়ারত তিব্বতি শিশু, ইয়াকের মাংস নিয়ে খোলা জায়গায় কসাইয়ের দোকান, অতি সুসজ্জিত চাইনীজ মিলিটারির অফিস।
পরে খুজে খুজে এক সাইবার ক্যাফে পেয়ে সেখানে ঢুকতেই চক্ষুচড়কগাছ, তিব্বতি ছেলেছোকরারা ইন্টারনেট ক্যাফেতে বসে বসে গেম খেলছে দস্তুরমত, ভিড়ের ঠেলায় মিনিট কয়েক বসেই চলে আসলাম, এর মাঝেই জানা হয়ে গেল এক মূল্যবান আবিস্কার- চৈনিক ভূখণ্ডে ফেসবুক নামক বস্তুটিতে প্রবেশ সম্ভব নহে! এই শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় সব ব্যবসার মালিকই তিব্বতে গত কয়েক দশকে আসা হান চাইনিজরা। মনের গহনে প্রশ্নের ঝড় ওঠে- এই কি আমার স্বপ্নের তিব্বত, যেখানে যন্ত্র সভ্যতাতেই অভ্যস্ত সবাই, অধিকাংশ স্থানীয় শিশুর গায়ে ধুলোধূসরিত মলিন পোশাক, কাক ভোরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ভরাট কণ্ঠের ওম মণি পদ্মে হুম মন্ত্রের বদলে ঘুম ভেঙ্গে যায় মিলিটারি মার্চপাস্টের উৎকট চিৎকারে!
এক ভোরে যাত্রা শুরু হল নাইলাম থেকে, মাইলের পর মাইল রূক্ষ, ঊষর, আপাতদৃষ্টিতে প্রাণহীন, অনুর্বর তিব্বতের মালভূমি, পর্বত আর উপত্যকার সমন্বয়ে গঠিত অদ্বিতীয় ভূপ্রকৃতি, এর মাঝে চড়াই-উৎরাই, মালভূমি, উপত্যকা, নদী এমনকি বরফাচ্ছাদিত পর্বত শিখর প্রায় অতিক্রম করে চলে গেছে মানুষের তৈরি উচ্চতম সড়ক, এত মসৃণ সে রাস্তা, এমন নিপুণ দক্ষতায় এর সমাপ্তি টানা হয়েছে যে মাখনের তৈরি বলে ভ্রম হয়, আর চলে গেছে এই গ্রহের বন্ধুরতম জায়গার মাঝ দিয়ে! জানা গেল বেইজিং অলিম্পিকের জন্য মাউন্ট এভারেস্টের বেসক্যাম্প পর্যন্ত এই পিচ ঢালা পথ নিয়ে যাবার মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় সে দেশের সরকার, অবধারিত ভাবেই নামমাত্র সন্মানিতে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহৃত হয় দরিদ্র তিব্বতিরা।
পথে মনের পর্দায় রূপকথার আমেজ ছড়ানো তিব্বতি গ্রামগুলো দর্শন দিতে লাগল একে একে, কোন কোন গ্রামের উঁচু জায়গায় বৌদ্ধমন্দির, অনেক গ্রামেই বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেলের চল দেখা গেল। ইয়াক, ভেড়া, পার্বত্য ছাগল, টাট্টু ঘোড়ার পাল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত পশুপালক ও তাদের রাস্তা জুড়ে অবরোধ করে থাকা পশুর পালের জন্য গাড়ী থামাতে হল বেশ কবার।
বিচিত্র সেই রাখালদের বেশভূষা, লম্বা কালো চুল নানা বিচিত্র ভাবে বিন্যাস করা, কারো কারো এক কানে বিশাল মাকড়ি, মাথায় টুপি, এককালের রঙচঙে কাপড় বহু ব্যবহারে বিবর্ণ। অনেক শিশুকেও দেখা গেল চারণ কাজে নিয়োজিত থাকতে।
নয়নমনোহর এদের বাড়ীগুলো, অধিকাংশই সাদারঙের হলেও জানালগুলো নানা রঙে ঝলমল, সেই সাথে বাড়ীর দেয়ালের উপরে ইয়াকের ঘুঁটে শুকাবার প্রচেষ্টা। প্রতিটি লোকালয়েই একদল কুকুর সদা প্রহরারত, বিশালাকৃতির রোমশ কুকুরগুলো স্থানীয়দের চোখের মণি।
বড় বিরতি হয়েছিল প্রায় ৫০০০ মিটার উচ্চতায় এক প্রায় সমতল জায়গায়, উদ্দেশ্য বিশ্বের ১৪তম উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ সিসাপাংমাকে অবলোকন ও এই বিস্ময়কে আলোকচিত্রে ধারণ করবার চেষ্টা চালানো। ৮০০০ মিটারের অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট ( পৃথিবীতে এমন পর্বতশৃঙ্গ আছে মাত্র ১৪ টা, সবই হিমালয়ে) ধবধবে সাদা বরফাচ্ছাদিত সিসাপাংমা দাড়িয়ে আছে দিগন্তকে আড়াল করে, অন্যপাশে আরেক বিখ্যাত শৃঙ্গ গৌরিশঙ্কর।
এর পরে আবার ঢাল বেয়ে নিচের পানে, দর্শন মেলে চৌ য়ূ এবং পর্বতাধিপতি চো মু লাংমার ( এভারেস্টের তিব্বতি নাম)।
কিন্তু মনের পর্দায় সবসময় ভাসতে থাকে তিব্বতের সেই অপার্থিব ভয়ংকর সৌন্দর্যময় ঊষরভূমির কথা, হয়তো এতটা রূক্ষ বলেই তিব্বতের আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে এতো অলঙ্ঘনীয়, অমোঘ, হাজার বছর ধরে সে আছে ভ্রমণপিপাসুদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে! মনটা একটু ভারই ছিল শেষ পর্যন্ত মাত্র একজনের স্পন্সরের টাকা জোগাড় হওয়ায় নিজের টাকাটা পুরোপুরি মানিব্যাগ থেকেই দিতে হচ্ছিল ( টাকার অঙ্ক জানার দরকার নেই, কিন্তু যেহেতু ৮০০০ মিটারের যে কোন পর্বতই অত্যন্ত ব্যয়বহুল, শুধু জানিয়ে রাখি ঐ এক পর্বতে ব্যয়কৃত অর্থ দিয়েই সমগ্র দক্ষিণ আমেরিকা বা আফ্রিকা ঘোরা হয়ে যায়) , কিন্তু তিব্বতের এমন আদিগন্ত বিস্তৃত রূপশোভা দেখার পর থেকে আজ পর্যন্ত কেবল মনে হয়েছে ভাগ্যিস গিয়েছিলাম তিব্বতে, না হলে এই ক্ষুদ্র মানবজীবন অসম্পূর্ণ থেকে যেত।
সেই সাথে এত ভুললেও চলবে না যে কারণে পলিমাটি দিয়ে তৈরি আমাদের সুজলা সুফলা বাংলাদেশ যে কারণে এত উর্বর, সেই একই কারণে তিব্বত এত মরুময়, শুষ্ক! কারণটা, গিরিরাজ হিমালয়। এক বিশাল প্রাচীরের মত সীমানা আগলে দাড়িয়ে আছে তা, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ মেঘ কোনমতেই সেই সুউচ্চ বাঁধা ডিঙ্গাতে পারে না, ফলশ্রুতিতে জীবনদায়ী বৃষ্টিপাত একতরফা ভাবে সবসময়ই পক্ষপাতিত্ব করে আমাদের দিকটাতে, গড়ে তোলে উর্বর ভূমি আর হিমালয় প্রাচীরের অন্য পাশে তিব্বত থেকে মঙ্গোলিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা থাকে শুষ্ক, রিক্ত।
পরের গন্তব্য গোটা পঞ্চাশেক বাড়ী আর হোটেলের এক ক্ষুদে জনপদ তিংরি, উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪২০০ মিটার, পশ্চিমে শত শত মাইল চলে গেছে তিব্বতের রূক্ষ মালভূমি আর পূর্ব দিগন্তে দৃষ্টি যাবার অনেক অনেক আগেই তা আটকে পড়ে সমগ্র বিশ্ব থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করা মাউন্ট এভারেস্টে!
তিংরির হোটেলের যে সদা তৎপর দিদিমা পাহারাদার থেকে শুরু করে হেসেলদারের কাজ পর্যন্ত করতেন তার শতভাজ পড়া মুখের রেখাগুলো বলে দেয় শতবর্ষের প্রান্তসীমায় পৌঁছে গেছেন এই কর্মঠ মহিলা। এ এক জিনিস আমরা দেখেছি হিমালয়ের অধিবাসীদের মাঝে- অদম্য প্রাণশক্তি, নির্মেদ শরীর, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রমরত। সেখানে লাঠি অবলম্বনরত কাউকে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। অনেকের হাতেই একমাত্র সম্বল জপমালা বা জপযন্ত্র।
তবে তিতিবিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম সেখানকার খাবারে, তিব্বতিদের প্রধান খাবার চমবা( গম ও যবের সমন্বয়ে তৈরি) আমাদের দেওয়া হত না, পাতে পড়ত মাত্রাতিরিক্ত তেলে ভাজা সবজি, ডিম, কখনো ইয়াকের মাংস। সেই রান্নায় না ছিল কোন নুন, না কোন ঝাল!
শেষে তিংরি বাজারে অবস্থিত এক নামকাওয়াস্তে নেপালি রেস্তোরাঁ ছিল অকূল পাথারে শেষ ভরসা। সেখানকার বাজারগুলোতে যেন ধুলো সবসময় থৈ থৈ করছে, কসাইয়ের দোকানে ঝোলানো ভেড়া বা ইয়াকের মাংসে ধুলোর পুরু আস্তরণ, তিব্বতিদের শরীরেও তাই, এমনিতেই আবার তাদের নামে দুর্নাম আছে স্নান থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকার।
স্থানীয়রা অনেকেই ছবি তুললে টাকা দাবি করে। পথে এক ক্যাম্পের তত্বাবধানকারী মহিলা আমার গলায় ঝোলানো বাংলাদেশের গামছাটি খুব পছন্দ করাই একটি চমৎকার টুপির সাথে বিনিময়ের প্রস্তাব দেয়, আমিও সেই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করি তবে সেই লোমশ টুপির বদলে নয়, তার দুটি ছবি তোলার অনুমতির বিনিময়ে।
তিব্বতের প্রায় ৮০০ জনবসতির আরো কয়েকটি ঘুরে আমরা রওনা দেয় গন্তব্যের পানে, সুউচ্চ পর্বত শিখরে। পথে দেখা মিলল এক ঝাক লামাগায়ারের সাথে, অদ্ভুত এক ভয়াল বুনো সৌন্দর্যের অধিকারী সরাসরি হাড় খাওয়ার ক্ষমতাধারী পাখিরাজ্যের একমাত্র বিস্ময় এই দাড়িওয়ালা শকুন। তার সুষমামণ্ডিত উড়াল যে কোন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকেও হার মানাবে। ওরা মনে হয় উপর থেকে হাড় ফেলে ভাঙ্গার জন্য পাথুরে চাতাল খুঁজছিল। আরো দেখা হয় ইদুর জাতীয় প্রাণী পাইকা, বিশালাকার সোনালী ঈগল আর হঠাৎ করেই সামনে আসা পাহাড়ি অ্যান্টিলোপের পালের সাথে।
আবহাওয়া ভাল থাকাই সফল অভিযান শেষে অনুমিত সময়ের বেশ কদিন আগেই লোকালয়ে ফিরি আমরা, হাতে সময় থাকায় মন রোমাঞ্চে ভরে ওঠে লাসায় অবস্থিত দালাই লামার পোতালা প্যালেস ও বাচ্চাবেলার স্বপ্ন মানস সরোবর দেখার সম্ভাবনায়। কিন্তু গুড়ে বালি দিয়ে সাথের গাইড ও অন্যরা জানালো তিব্বতের ভিসার নিয়ম অত্যন্ত কড়া এবং জটিল। চীন সরকার আমাদের যে রাস্তা ও গন্তব্যের জন্য ভিসা দিয়েছে আমরা এর ব্যতিক্রম কোন ভাবেই করতে পারব না! কাজেই হাতে সময় থাকা স্বত্বেও এবারের মত ফিরতে হবে, মানস বা কৈলাস দেখতে চাইলে আবার আবেদন করতে হবে নতুন ভিসার। কোন গুম্ফা দেখার আশাও পরিত্যাগ করতে হল, ১৯৪৯ সালে তিব্বতে ছয় হাজারের উপর বৌদ্ধ মন্দির থাকলেও এখন হাতে গোনা, অতি সীমিত, রাস্তায় রাস্তায় লামা দর্শন হয় নি আমাদের, বরং এর চেয়ে বেশী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর সাথে পরিচয় ঘটে নেপালের রাস্তায়।
এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে কয়েক সপ্তাহের ভ্রমণ শেষে সীমান্তে ফিরি সবাই, তিব্বতের অনন্যসাধারণ ভূপ্রকৃতির প্রতি বিস্ময়ভরা মুগ্ধতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের প্রতি সহমর্মিতা নিয়ে।
(প্রিয় সচলের বন্ধুরা, আমাদের তিব্বত অভিযান নিয়ে একটি সংক্ষেপিত লেখা ৩টি ছবি সহ দেশের এক দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল কয়েক বছর আগে, কিন্তু সেটি ছিল অনেক সংক্ষিপ্ত ও সেন্সরের কাঁচি চালানো, এখানে পুরো লেখাটাই রইল, আপনাদের ভাল লাগলে তিব্বত নিয়ে পর্যায়ক্রমে আরও লিখার ইচ্ছে থাকল)
মন্তব্য
facebook
দম বন্ধ করে পড়লাম। ট্রি লাইনের উপরে অনেক জায়গাতেই ভূমি প্রকৃতি দেখে প্রথমেই তিব্বতের কথা মনে পড়ে। তিব্বত শুনলেই মনের মাঝে যে ছবিটা ভাসে ছবি অনেকখানি হলেও তার সাথে মিলাতে পেরেছি। ধন্যবাদ তারেক অণু।
তিব্বত আসলেই অদ্বিতীয়, এমন স্থান আমাদের গ্রহে আর নেই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
facebook
দ্বিতীয় ছবিটাতে আবুলদার নাকের মতো একটা জিনিস দেখে ভাবলাম, উনি কি পদ্মায় সুবিধা করতে না পেরে একেবারে উৎসে গঙ্গোত্রী হিমবাহের উপরই সেতু বসাতে চলে গেলেন নাকি।
হতেই পারে। দেখেন হিমালয় ভেঙ্গে সমতল করার কোন টেণ্ডার পাইছে নাকি! নাকি হিমালয় থেকে দৌড়ে সুন্দরবনে আসবে আবুল !
facebook
ওরে
আপনার মন্তব্য মিস করছি বড় ভাই!
facebook
আপনার লেখা অত্যন্ত সাবলীল এবং সুন্দর ... তবে আমার মনে হল কোন ভাবে যেন এই সুন্দর ভ্রমণ কাহিনিটিকে চেপে চুপে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, কারণ আপনার তিব্বত ভ্রমণের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চয় ই এই লেখাটির থেকে অনেক বড় হবে ... সম্পুর্ণ লেখাটি তার পূর্ণ অবয়বে পড়তে পারলে ভীষণ আনন্দিত হব ।
ধন্যবাদ, আসলেই এক বসাতেই লিখি তো সাধারণত, পরে বড় করে লিখতে হবে। তবে তিব্বতের হিমালয় নিয়ে লিখব শীঘ্রই।
facebook
১। তারেক অনু ভাই বাসায় কি আদঔ থাকেন? আপ্নার ভ্রমন আর বিশ্রাম এর ratio জানতে মন্চায়
২। শেষ ছবিটায় pose সেইরম হয়েছে।
৩। আ্জ খেয়াল করলাম আপ্নার চেহারায় তিব্বতি ছাপ প্রবল।
ভ্রমন চালিয়ে জান, আমার মত অনেকের ঘরে বন্দি কিন্তু যাযাবর মন্ টার আপ্নিই ভরসা।
হা হা এতদিনে খেয়াল করলেন! আসলে আমার নানার চেহারা দেখলেই মনে হত উনাদের পূর্বপুরুষরা এসেছেন মঙ্গোলিয়া থেকে, আবার তিব্বত থেকে হিমালয় পাড়ি দিয়েও আসতে পারেন। ডি এন এ টেস্ট করলেই জানা যাবে কত বছর আগে! মায়ের দিকে থেকে আমি মঙ্গোল তাতে কোন সন্দেহ নেই।
বাসায়ই তো থাকি, গোটা বিশ্বই আমার বাড়ী, আসলে সবারই তাই।
facebook
অপুর্ব সুন্দর একটা পোস্ট। ছবি, লেখা সব মিলিয়ে দূর্দান্ত। গামছা আমারও অনেক ভালো লাগে।
জয় গামছার জয়! গেল বার প্রাগে যেয়ে দেখি আমার চেক বন্ধু গলায় গামছা পেচিয়ে রাখে মাফলারের বদলে!
facebook
অসাধারণ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিন্তু ত্রিমাত্রিক না
facebook
ত্রিমাত্রিক নাতো! বহুমাত্রিক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মানে কি কবি ভাই, মাত্রা ছাড়া!
facebook
দূর্দান্ত!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ আপা।
facebook
পছন্দের পোস্টে নিলাম।
facebook
অসাধারন! অসাধারন!! অসাধারন!!!
আপনিও যে একজন পর্বত বাওয়া পাবলিক তা জানা ছিলো না। আপনার সাথে কথা বলা দরকার কিভাবে কোন পথ ধরে যেতে হয় সেটা বিস্তারিত জানতে। জানুয়ারীতে চীন যাত্রার পরিকল্পনা করছি, যদি সময় পাই।
আমি ২০০৭-এ আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত ধরে লোয়ার পামির পর্যন্ত গিয়েই থেমেছিলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অবশ্যই! জানিয়েন যাবার আগে।
আহা, তাজিকিস্তান! খুব যাবার ইচ্ছে ঐ অঞ্চলটাতে!
আগে তো পোস্ট দিয়েছিলাম আল্পস নিয়ে, পর্বততে উঠার চেষ্টা করছি অনেকদিন ধরেই। চীনের কোথায় যাবেন?
facebook
অসাধারণ। আপনি হাজার বছর বাঁচুন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আগে ৩০ ছুই !
facebook
facebook
আজকে ভাবছিলাম কিছু পাহাড়ের ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট তৈরী করবো। কিন্তু আপনার তিব্বতী হিমালয়ের দুর্দান্ত সব ছবি দেখে আমারগুলো দারুণ লজ্জা পেল। অসাধারণ ছবি!! অসাধারণ অভিজ্ঞতা। তিব্বত নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও যাবার সুযোগ সীমিত শুনে এসেছি। সাধারন ট্যুরিষ্টদের জন্য কি নিষিদ্ধ এখনো?
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে তিব্বত তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র জনপদই রয়ে গেছে চীন সরকার যতই সাফাই গাক না কেন। কিছুদিন আগে তিব্বতী মুভি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল একটা, Dreaming Lhasa, তিব্বতী জনগনের বেদনা বঞ্চনার খানিকটা ঘ্রান পেয়েছিলাম সেই ছবিটাতে। আপনার পোষ্টে আরো খানিকটা জানলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনুগ্রহ করে ছবিগুলো আপলোড করুন! হিমালয়টা এমনই, ছবি খুব ভাল আসে সবারই।
পর্যটকরা যেতে পারে তিব্বতে, আলাদা অনুমতি লাগে। শোষণ চলছে সেখানে খুব কুৎসিত ভাবে, সাম্যবাদের নামে সাম্রাজ্যবাদ! খুব কষ্ট লাগে ঐ পাহাড়ি মানুষগুলোর জন্য , যদি কিছু করতে পারতাম।
আপনের পাহাড়ি পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
facebook
আপনার চোখে ও ভাষায় তিব্বত দেখা হলো ! ছবিগুলো খুবই সুন্দর। ধন্যবাদ ।
এর পরে তিব্বতের হিমালয়ে নিয়ে যাব
facebook
অসাধারন হয়েছে আপনার পোস্টটি।
যেতে ভয়ানক ইচ্ছে করছে।
ইস যদি উপায় থাকতো...............।
আমার খুব ইচ্ছে করে ফিরে যেতে, এমন জায়গা আর দেখলাম না।
নেপাল গেলে সেখান থেকে তিব্বতে যাবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
facebook
আপনার লেখাগুলা পইড়া তো জীবনে অসম্পূর্ণতার অনুভূতি দিন দিন বাড়তেই আছে।..
এই তা একটা কথা বললেন! আসেন দলে আসেন, যাযাবর হবার দলে-
facebook
-মরার পরে এইসব জায়গায় যামু এনশাল্লাহ!
-লেখা ও ছবিতে
-তিব্বত ঘুরতে যাইতে চাইলে উপায় কি?
---------------------
আমার ফ্লিকার
কাঠমান্ডু থেকে যাওয়াটা কঠিন হবে না, ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সাথে যোগাযোগ করলেই হবে। যাবার আগে জানিয়েন--
facebook
অসাধারণ সব ছবি ও বর্ণনা। ধন্যবাদ পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্যে। আপনার এই লেখার উপর যে কাঁচি চালিয়েছিল মনে হয় তার মগজে কিছু নাই।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
সেই নিয়ে আর কথা না বলি।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় সব খবরের কাগজের বিশেষ বিশেষ ক্রোড়পত্রের সম্পাদকগুলোর ভাব এমন, একজন লেখক কোনভাবেই তাদের চেয়ে বেশী জানতে পারে না! তাই পণ্ডিতি দেখানোর জন্য কাটাকাটি চালাতেই হয়, না হলে মান থাকে না!
facebook
ধন্যবাদ তারেক অণু
শুভেচ্ছা
facebook
"তারেক অনুর ব্যাকপ্যাক" হয়ে জন্ম নিলেও জীবনটা ধন্য হত।
আপনার সব পোস্ট এর মধ্যে আজকেরটা আমার কাছে "দি বেস্ট"। ছবি অসাধারন, বৃদ্ধার ছবিটা কেন জানি খুব ভাল লেগেছে। এত ডিটেল কিন্তু কি সুন্দর।
এমন মাটির মানুষদের খুব আপন, খুব চিরচেনা মনে হয়।
facebook
তিব্বতের এমন দুর্গম জায়গায় কী করে রাস্তা বানানো হল সেটা নিয়ে হু ছি'র লেখা একটা বই আমার কাছে আছে। সেটা পড়তে চাইলে ঢাকায় এসে আমার হাত থেকে নিতে হবে। এত হিল্লী-দিল্লী করে বেড়ান আর ঢাকা আসতে পারবেন না!
আপনার তোলা তিব্বতী মানুষ-জনের ছবির বড় অংশ 'হান'দের, অথচ 'ৎস্যাঙ'দের ছবি বেশি হবার কথা ছিল। দোষটা আপনার নয় - এ'এক নৃতাত্ত্বিক সাম্রাজ্যবাদ, চোখে না দেখলে এর গভীরতা বোঝানো সম্ভব না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি অবশ্য ছবি তোলার আগে বারবার জেনে নিয়েছি তারা তিব্বতি কি না ! তারাতো বলেছিল তিব্বতি, কিন্তু মিক্সড তো আছেই।
অবশ্যই সেই বই নেব, জানাব ঢাকায় আসলে।
facebook
অসাধারণ
তিব্বত নিয়ে আরো লেখা চাই!
আপনি এভারেস্টে কবে উঠবেন?
আরও লিখব তিব্বত নিয়ে!
এভারেস্ট, দিল্লী অনেক দূর, কিন্তু কিছুই তো অসম্ভব না। স্পন্সর ম্যানেজ করতে পারলে জানিয়েন
facebook
দারুন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ, দিদিভাই।
facebook
চলুক।
চলবে!
facebook
ওহ্, অসাধারণ!
তিব্বত যে!
facebook
আপনে তো দেখি মহাভারতের অর্জুনের মতো
হাজার হাজার দেশের একেকটাতে ১২ বছর করে কাটান তবুও প্রেম করার বয়স ২৫ পার হয় না
০২
তিব্বত নিয়ে লেখেন না
যথাজ্ঞা লীলেন দা, লিখব অক্সিজেনের অভাবে কিভাবে ২৫-এর আগেই প্রায় ঝরে পড়েছিলাম!
প্রেমের আবার বয়স কি, আর মনের বয়স ১৭ !!
facebook
সচলের পাতা খুলতেই চোখ জুড়িয়ে দিল নীল ছবিটা। বিস্তারিততে ক্লিক করে ভেতরের পাতায় প্রবেশ করে স্তব্ধ হয়ে গেলাম কিছুক্ষনের জন্য। কতবার কত বইয়ের পাতায় তিব্বতের সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি কিন্তু এবারকার মুগ্ধ হওয়ার কারনটা একটু ভিন্ন। পড়তে পড়তে বার বার মনে হচ্ছিল 'এই অসাধারন সব ছবিগুলোর ফটোগ্রাফার আর তিব্বতের বর্ননা দিয়ে যে মানুষটি লিখেছে সেই লেখকটিকে আমি চিনি বা এ আমার নাম জানে'! এটা যে কেমন অনুভূতি তা বুঝিয়ে বলবার নয়। একদম বাড়িয়ে বা মিথ্যে বলছিনা অনু'দা, আপনি আমার বয়সে বড় কি ছোট জানিনা, তাও আপনাকে আক্ষরিক অর্থেই সালাম করতে ইচ্ছে করেছে লেখাটা পড়তে পড়তে। আপনার জন্ম নেওয়াটা এর মধ্যেই স্বার্থক হয়ে গেছে। আর কিছু না হলেও চলবে।
অনেক ভাল থাকুন আর সুস্থ্য থাকুন। ঘুরতে থাকুন বিশ্বময়
আপনের মন্তব্য খুব উৎসাহদায়ক আর আবেগ মাখানো আপু। খুব খুশি হলাম আপনের ভাল লেগেছে যেনে, কোনটা দেয়ালে ঝুলাবার মত ভাল লাগলে জানিয়েন, আমি আসল ছবি পাঠিয়ে দিব আর দেশে আসলে দেখা হবে।
আমার তিন দশকের হার্ডল পেরোতে দেরি আছে, আপনি সচ্ছদ্দে তুমি বলতে পারেন।
ভালো থাকুন সবসময়।
facebook
এই লেখাটা কী অনেক আগে লেখা? অনেক আগে বলতে আমি দু-চার মাস বোঝাচ্ছি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অধিকাংশ অনেক আগেই লেখা, কেবল মুহিত ভাইয়ের মানাসলু জয়ের খবর গতকাল রাতে লিখলাম ! কেন রে ভাই!
facebook
অসাধারন! খুব ভালো লাগল। আরো লিখুন।
আসিতেছে---
facebook
ইস্ ! এত কাছে গিয়েও মিস্ করলেন! আশপাশে একটু খোঁজাখুঁজি করলেই স্বর্গের খোঁজ পেয়ে যেতেন। ভাবছি স্বর্গের অবস্থান সম্পর্কে একটা লেখা দেব, খুব শীঘ্রই। যদি প্রকাশ করে আরকি।
ছবিগুলো ভাল লেগেছে। আর বর্ননাতেতো আপনার জুড়ি নেই।
প্রৌঢ়ভাবনা
আরে না, স্বর্গে যাবার দরকার নেই, সেটা আমাদের বুড়ো পৃথিবীর চেয়ে ভাল হবে না কোনমতেই!
সাংরি-লা নিয়ে অবশ্য লেখা যায়, কি বলেন !
facebook
facebook
পাণ্ডবদার এই ধাক্কাটা আমিও শুরুতে খাচ্ছিলাম। টিপিক্যাল তিব্বতী চেহারার সাথে পুরা মিলে না আসলে। বরং আমি যখন আজকে সকালে প্রথমবার পোস্টটা খুলে চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন তিব্বতী মহিলার ছবি আর তার নিচের পাহাড়ি শহরের ছবিটা দেখে একটু ধাক্কা খেয়েছিলাম- এই মুখ কিংবা শহর, নিশ্চিন্তে দার্জিলিং কিংবা সিকিমের কোন শহর বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে ! টিপিক্যাল তিব্বতি কিছু চেহারা কয়েকটা ডকুতে দেখেছি আর বইতেও দেখেছি- মঙ্গোলয়েড ছাঁচ মনে একটু বেশি, এক্সপ্রেশন অনেক কম আর অনেক আঁকিবুঁকি।
তিব্বত বিষয়ের লেখাতে আর কমেন্ট করতে চাই না লিটারেলি, ব্রেকস মাই হার্ট
অলমিতি বিস্তারেণ
হুমম, তিব্বতের খানিকটা গভীরে যাবার ইচ্ছে ছিল জনবিরল জায়গাগুলোই, কিন্তু অনুমতি পেলাম না, দেখি পরের বার। ওদের অনেকের চেহারা বেশ আলাদা আর রোদে পোড়া ঘন কালো!
facebook
তারেক ভাই,
প্রচণ্ড উপভোগ করেছি আপনার এই ভ্রমণ কাহিনী! ছোট বেলা থেকেই জেনে আসছি 'নিষিদ্ধ দেশ' তিব্বতের কথা। তিব্বতের এহেন বিশেষণ এবং মিডিয়াতে দেশটির 'দালাইলামা'কেন্দ্রিক ক্ষীণ উপস্থিতি দেশটিকে আমার কাছে এক রহস্যপুরীতে পরিণত করেছিল; আপনার লেখার মাধ্যমে রহস্যের মোড়ক খুলে গণ-মানুষের তিব্বত বেরিয়ে এলো!
গামছার বিনিময়ে ছবি তোলার বিষয়টা বেশ লেগেছে! খুব বোঝা গেছে, কেন আপনি চমৎকার লোমশ টুপিকে উপেক্ষা করেছিলেন।
আশা করছি, সামনের কোন লেখাতে চৌ য়ু বিজয়ের রোমাঞ্চকর কাহিনী জানতে পারব।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাম্নুন ভাই। তিব্বতিদের সাথে আরো নিবিড় ভাবে মেশার ইচ্ছে ছিল, দেখি ওদের তাবুতে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখব ভবিষ্যতে।
চৌ য়ু নিয়ে লিখা আসছে। আমাকে স্রেফ অণু বললেই হবে।
facebook
তুই যদি মনে করিস তোর এই পোস্টে আমি কমেন্ট করবো তাহলে ভুল করবি!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তা তো বটেই, তা তো বটেই!
ভাবছিলাম এই পোস্ট তা বণিক দা, তন্ময় দা আর তোকে উৎসর্গ করি, আবার মনে হল তো মত আলস্য মোড়া চমরি শিশুকে এত সহজে এটা দেওয়া যাবে না।
প্রস্তুত হ, ২০১৬ লাদাখ।
facebook
আপনেরে মিয়া বান্ধুম। মোটা কয়েক গাছি পাটের দড়ি আনাইয়া লই, খাড়ান। হেরপর হারাদিন আপনের সামনে গিয়া রসায়া রসায়া 'শা-পালে' খামু আর 'তাশি ডেলে' 'তাশি ডেলে' করুম। যাইবেন কই! বহুত হাংকিপাংকি করছেন, আর না। [অনার্য সঙ্গীত, কইরে! দড়ির সাপ্লাই কবে আইবো?]
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মস্করা কইরেন না মুরব্বী। খামোখ্যা দড়ি টানাটানির দরকার কি শুনি!
অনার্যরে ডাহেন, শা-পালে না হয় ছাঙ কিছু একটা হয়ে যাবে, আসিতেছে আবার ডয়েসল্যান্ডে!
facebook
তারেক অনু, আপনি চমৎকার লেখেন, তিব্বত ভ্রমন করে এলাম আপনার অপুর্ব লেখার কল্যানে!!
অনেক ধন্যবাদ! তিব্বত নিয়ে মনে হচ্ছে আরো লিখতে হবে--
facebook
আমিও একটু বসি
facebook
আপনি একদিন "মঙ্গলে দুইদিন দেড়রাত" শিরোনামে লেখা নামিয়ে ফেললেও অবাক হবনা !
তাহলে বুধ বাদ যাবে কেন, সেখানে তো ৩ দিনে দুই বছর হয় !
facebook
একটা অনুরোধ করবো রাখবেন?
==================
আপনার ক্যমেরাটা ১০ মিনিটের জন্য ধার দেবেন-----------
আমি তাহলে আপনার অন্তরের ছবি তুলে দেখতাম আপনি কি ভাবে এতো খুশি তে মজে থাকেন
যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়
সম্ভব, আপনাকে রহস্য টা জানিয়ে দিচ্ছি, দার্শনিক বুদ্ধের একটা কথা আছে=
সকালে ঘুম ভাঙলে সুখী হও যে গতকালের চেয়ে ভাল আছে, যদি নাও থাক সুখী হও কারণ তোমার শরীর স্বাস্থ্য ভাল আছে, যদি তাও না থাকে তারপরও সুখী হও কারণ তুমি বেচে আছ!
facebook
ছবিগুলা মারাত্তক হয়েছে অণু ভাই, কিন্তু এরা গোসল করতে চায় না শুনেই কেমন লাগলো জানি।
গোসল করতে না চাইবার মূল কারণ কিন্তু জলের স্বল্পতা। যেখান পানীয় জলের জন্য সংগ্রাম করা নিত্যদিনের কাজ সেখানে গোসল রীতিমত বিলাসিতা। আমাদেরও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, তবে সেই শুষ্ক আবহাওয়ায় ঘাম কিন্তু হয় না বললেই চলে !
facebook
আমারও ধারণা ছিলো তিব্বতে পানিস্বল্পতা নিয়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন তিব্বতীয়র সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি, আমার ধারণা ভুল। তাদের ওখানে বিশাল বিশাল নদী আছে। পানির স্বল্পতা তো তাদের নেই। আমার মনেহয় কিছু নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া তিব্বতের কোথাও পানির সমস্যা নাই। বা, উল্টাটাও হতে পারে। কিন্তু আমার পরিচিত তিব্বতীয়রা আমার কথাটাই বলে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাই হবে, আমরা পুরোপুরি ধুলো ওড়া শুষ্ক জায়গায় ছিলাম। তবে প্রত্যন্ত গ্রামে জলের অভাব নিয়ে চীনের দারুণ একটা সিনেমা দেখেছিলাম যেখানে সেই গ্রামের এক ছেলে বড় হয়ে হামামখানা তৈরি করে, আর সাথে বয়ে নিয়ে যায় তার মায়ের স্মৃতি, যে সারা জীবনের মনে হয় কেবল বিবাহের দিনে সুখ মিটিয়ে স্নান করতে পেরেছিল।
facebook
তিব্বত সম্বন্ধে প্রথম জেনেছিলাম রাহুল সাঙ্ক্রিতায়ন এর তিব্বতে সওয়া বছর বইটি থেকে। সেই থেকে তিব্বত বিষয়ে আগ্রহ। আপনার লেখাটা বেশ ভাল লাগল। সাথে ছবি গুল।
ধন্যবাদ। বইটা এখনো পড়া হয় নি, বড়ই আফসোসের কথা। তবে তিব্বত নিয়ে কোন বই বা খবরের কাগজেই যে প্রথম একটু জেনেছিলাম তাতে সন্দেহ নেই।
facebook
ছবি গুলো দেখে চোখের সাথে মনটাও শান্তি পেল।
মনের শান্তির চেয়ে বড় আর কি আছে বলুন!
facebook
রীতিমতো অমানুষ না হৈলে কেউ এইরাম ঘুরতে পারে?
ঈর্ষা জিনিসটা যদি মানবদেহের উপর প্রভাব ফেলতে পারতো তাহলে আপনে এতদিনে পুড়ে ছাই হয়ে যেতেন এইটা আমি কয়া দিলাম।
পারে পারে।
ব্যাকপ্যাক তৈরি করেন, পুরা মন্টানা আর ওয়াইমিং ভাজা ভাজা করব আপনের মুলুকে গেলে
facebook
মন্টানা সান্টানা না, মেম্বররে ধরেন লাল মাটির নর্দার্ন টেরিটরি ভাজার জন্য। আগুন জায়গা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অভিজ্ঞতাগুলো ঝুলি থেকে বের করুন না !
facebook
'মানুষের' এত্ত সুখ কেন?! কিছু দেখার আর বাকি থাকল না! 'মানুষ' দুনিয়াজুড়ে দাবড়ে বেড়ানোর জন্য এত্ত টাকাই বা পায় কই? 'মানুষের' কি টাকার গাছ/খনি আছে নাকি?!
লেখায় আর ফটোস্-এ পাঁচতারা মুগ্ধতা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হায় সুখ, নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস---
চোখে ৫ না কোটি তারা দেখেছিলাম তিব্বতের পর্বতে তা কি বলেছি! সুখের ১৪ বেজে যাবে ঐ ব্যাদান করে থাকা ভয়াল পথে।
ঐ ফাজিল, ঘুরতে যে শুধু টাকা লাগে তা কে বলল!
facebook
ওও লাগেনা বুঝি ? তাইলে আর ঘরে বসে সিদ্ধ হই কেন ? কিন্তু কোন্ দেশে টাকা ছাড়া যাওয়া যায় সেটাই তো জানিনা ! নামটা শুনতে পাইনা ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দেশ-ই তো একটা। এই পৃথিবী! ব্যস, বেরিয়ে পরলেই হবে----
facebook
(দুর্দান্ত)^৯৯
অণু ভাই ভালো আছেন তো? নতুন চাকরির মাইনকা চিপায় পড়েছি। সচলে আসা হয় খুব কম। আসলেও লেখা পড়া হয় না ভালো করে, শুধু আলতো চোখ বুলিয়ে যাই। যাদের লেখা নীরবে পড়ে যাই তাদের মধ্যে আপনি একজন।
ধন্যবাদ ! মাইনকা চিপা থেকে অবারিত প্রান্তরে শীঘ্রই আসবেন, চিন্তা কইরেন না
facebook
ওরে ওরে ওরে, এতদিনে!!! এতদিনে আসিয়াছে।
আমি তো পড়তেই পারলাম না, ছবি দেখতে দেখতেই হুড়হুড় করে গড়িয়ে পড়ে গেলাম। পরে আবার চেষ্টা করবো।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পড়তে পেরেছেন !!
একটা কথা জানিয়ে রাখি, তিব্বত নিয়ে লেখা আসলেই এখন দেবার ইচ্ছা ছিল না, ভেবেছিলাম হাতের লেখাগুলো শেষ করে দিব, কিন্তু আপনার কথাতেই ভাবলাম দিয়েই ফেলি, ওম মণি পদ্মে হুম!
facebook
তারেক অণুর চোখ দিয়ে তিব্বত দেখলাম।অসাধারন! খুব ভালো লাগল।
অনেক ধন্যবাদ। এরপরের তিব্বত দেখতে কিন্তু মজুদ অক্সিজেন লাগবে আগেই বলে রাখছি!
facebook
ভাই, ঐদিক থেকেই আমি কিংবা কয়েকজন আমরা ভাগ্যবান দের কেউ নই। মজুদ অক্সিজেন নেই আমাদের। অফুরন্ত ইচ্ছে ছিল আপনাদেরই মত দূরন্ত হবার,শুধু ছিলনা মজুদ অক্সিজেন। ঐদিক থেকেই আপনারা কিছুটা হলেও ভাগ্যবান। আমি কিংবা কয়েকজন আমরা যখন আপনাদের চোখ দিয়ে দেখি সত্যি ভাললাগে। চালিয়ে যান । শুভ কামনার মজুদ অক্সিজেন ফুরাবেনা।
না না ফানুস দা, সে তো আমি জানিই। আসলে বলতে চেয়েছিলাম এর পরে তিব্বতে প্রায় ৬০০০ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্পে থাকার অভিজ্ঞতার কথা জানাব, যেখানে অক্সিজেন সী-লেভেলের অর্ধেক। তাই বলছিলাম--অক্সিজেন রেডি রাখতে।
facebook
কী অপবিত্র, মনে কু-চিন্তা-জাগানিয়া (নরহত্যা গুমখুন ইত্যাদি আরকি) লেখা! নেহাত পবিত্র স্থানের উপর লেখা বলে কাটাকুটি হয়ে গেল...
আরে দাদা অপবিত্র কোন স্থান আছে নাকি! সবই মহা মহা পবিত্র।
আর গুম, খুন, মরার খাটিয়া, সংকীর্তন বাদ দেন এইগুলা, আমরা আমরাই তো!
facebook
দুর্দান্ত!
আর ছবিগুলো অসাধারণ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
facebook
অসাধারন লেখা !! এক নিশবাসে পড়ে ফেল্লুম । অদূর ভবিষ্যতে তিব্বত ভ্রমনে যেতে চাই
অবশ্যই যাবেন। সে এক অনন্য স্থান, জুড়ি নেই।
facebook
দেখা যাচ্ছে আমার কল্পনার তিব্বতের সাথে বাস্তবের তিব্বতের বেশ মিল আছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তা তো বটেই! তবে আরো বেশী জনবসতিতে যেতে পারলে কিছু ধারণা বেশী পেতাম বহমান জীবন নিয়ে
facebook
অই মিয়া কমেন্ট কইরা কাইটা পড়তেছ ঘটনা কি? নতুন পুস্ট কই? বিটলামি কর?
আইতাছি! আম্মু কালকেই গেলেন কিনা, আর পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এখন লেখে ফেলব ঝটাপট, কিন্তু হা মাপুতো~
facebook
যত পার হা হা করে নাও, আমিও এখন হা হা করতেছি, চলে যাচ্ছি এই মাসের শেষে হিঃহিঃ
নতুন মন্তব্য করুন