মানুষ জীবনে ধাক্কা খেয়ে নাকি সাধু সন্নাস্যি হতে চায়। আমার বেলায় ঘটনাটা ঘটল এমন যে আমি হতে চাচ্ছি ব্লগার। তাও আমার যেনতেন ব্লগ নয় সচলায়তনের ব্লগার। ব্লগিং জীবনের শুরু মাস চারেক হল। এত ত্যানা ফ্যানা প্যাঁচানোর কারন হল এখন যে বিষয় বস্তু নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সে বিষয়ের নিয়মিত লেখক হচ্ছেন একজন মডারেটর নিজেই (উনি যে মডারেটর তাও ইতি পূর্বে জানা ছিল না), এবং আরও কিছু সচল। আশালতার ব্লগ অনুসারে উনারা তিমি ব্লগার হলে আমি হব সে অনুপাতে কাচকিমাছ। আমার নিজের ধৃষ্টতায় আমি নিজেই হতবাক। তাও সাহস করে কিছু বিদ্যা ঝেড়ে দিলাম এ সংক্রান্ত সামান্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে বিধায়। তবে মন্তব্যে কড়া সমালোচনার জন্য প্রস্তুত।
তার আগে আমার ফটোগ্রাফির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতিহাস একটু বলি। নিশ্চয়ই ভাবছেন কি সব বাজে বকবক করছি। কিন্তু এই ইতিহাস না জানলে আমার আলোকচিত্র পাঠশালা গমনের মহান উদ্দেশ্যটা বুঝা যাবে না। ঘটনাটা শুরু হয় এভাবে, আমি তখন ভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ল্যাব শেষে ক্লান্ত বিরক্ত আমি ডিপার্টমেন্ট থেকে অডিটরিয়ামের পাশ দিয়ে হলে ফিরে যাচ্ছি। অডিটরিয়ামে চলছে একটা আলোকচিত্র প্রদর্শনী। হঠাৎ একটা ছবিতে চোখ আটকে যায়। এত সুন্দর ছবি মানুষ কিভাবে তুলতে পারে? খুব ইচ্ছা হয় ফটোগ্রাফারটাকে দেখতে (ধরে নেই তার নাম সঞ্চয়)। প্রদর্শনীর সাথে জড়িত আমার এক বন্ধুকে জিগ্যেস করি, “ওই সঞ্চয় হতভাগা কে রে?”
বলে, “চিনিস না উনাকে, ফাইনাল ইয়ারের সঞ্চয়’দা। দাঁড়া পরিচয় করিয়ে দেই”।
লম্বা চুল আর দাড়ি, গোঁফে ঢাকা চেহারার দীপ্ত চোখ দুটি যেন দুষ্টুমি লুকাচ্ছে। চমৎকার কণ্ঠস্বরের লোকটার জন্য আমার দ্রুত হয়ে যাওয়া হৃদকম্পনের গতি তখনই টের পেলাম। হায় আল্লাহ! আমি বোধ হয় প্রেমে পড়ে যাচ্ছি, ফটোগ্রাফি নয় ফটোগ্রাফার এর। বয়স কম, মাথাও নষ্ট। খোঁজ খবর যা নেয়া দরকার সপ্তাহ খানেক এর মধ্যে নিয়ে ফেললাম। জানতে পারলাম উনি ফটোগ্রাফির ক্লাস নেয় এক ক্লাবে। আর কোন কথা নাই। সঙ্গে সঙ্গে নাম লেখালাম তার ক্লাসে। গুরুর কাছেই আমার ফটোগ্রাফির হাতে খড়ি। আমার প্রেমকাহিনীর বাকিটা ইন্টারমিশনের পর, এবার মূল বক্তব্যে আসি।
ফটোগ্রাফি’র কম্পোজিশান নিয়ে কিছু আবজাব প্যাঁচাল পারব। ছবির ফ্রেমিং সাধারণত দুইভাবে করা যায়, এটা রন্টু ও জানে। একটা হল পোরট্রেট যেটা গ্রাফসীটের ওয়াই অক্ষ বরাবর এবং ল্যান্ডস্কেপ গ্রাফসীটের এক্স অক্ষ বরাবর। ক্যামেরা উল্টে পাল্টে এটা আমরা করেই থাকি। ছবি কম্পোজিশানের ক্ষেত্রে নীচের ব্যাপারগুলো একটু লক্ষ্য রাখলে ছবি ভাল আসার সম্ভবনা বেশি থাকে। যদিও এই সব নিয়ম না মেনে সুন্দর একটা মন নিয়ে ছবি তুললে অনেক সময় এর থেকেও ভাল আসে। এটা আমার গুরুর কথা, আমার না।
১। রিপিটেশান- একই বস্তুর পু্নরাবৃত্তি, একি জীবনসঙ্গী রোজ পাশে থাকলেও ভালই লাগে। তেমনি ছবির ক্ষেত্রে একি বস্তু পাশাপাশি তুললে ভাল একটা কম্পোজিশান হতে পারে, যেমন মেলায় অনেকগুলি ভিন্ন রঙের চুরি। কিছু ছবির লিংক এখানে।
২।ভ্যারিয়েশান- একই ধরনের বস্তু ভিন্ন ফ্রেমে বন্দি। কে না চায় জীবনে ভিন্নতা, তবে উপরের উদাহরনটা এখানে প্রযোজ্য নয়।
৩। অল্টারেশন- রিপিটেশান এর মধ্যে ভ্যারিয়েশান করলে অসাধারন কম্পোজিশান তৈরি হতে পারে। মানে আপনার জীবনসঙ্গীকে নতুন সাজে দেখার মত ব্যাপার। ধরুন বিভিন্ন বস্তুর পু্নরাবৃত্তি তৈরি করলেন একই ফ্রেমে।এখানে দেখুন।
৪। সিমিট্রি- আমার গুরু বলতেন মেয়েদের কপালের টিপ হল পারফেক্ট সিমিট্রির উদাহরন, চেহারার প্রতিসাম্যতাকে সুস্পষ্ট করে ফুটিয়ে তোলে টিপ। যে কোন ছবির মাঝে কোন লাইন বা বস্তু রেখে ছবিটিকে সমান দুটি ভাগে বিভক্ত করা।এখানে দেখুন। এবং আরও।
৫। জিওমেট্রি- জ্যামিতিক বিভিন্ন আকার ছবিতে এম্ফাসাইস (বাংলা প্রতিশব্দটা মনে পড়ছে না) করলে ছবি আকর্ষণীয় হতে পারে। সম্পাদ্য উপপাদ্যের কিছু চিত্র যদি ক্যামেরা বন্দী করা যায় আরকি। এসব আকৃতি ল্যান্ডস্কেইপ ছবিতে ব্যালেন্সড কম্পোজিশান তৈরি করে। ছবি এখানে ।
৬। হারমোনি- ছবির কম্পোজিশানএ হারমোনি বা ঐক্যতান ব্যবহার করার দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, যেন রঙ এবং শেইপ বা আকারে যেন ঐক্যতান বজায় থাকেছবি।
এছাড়া মেট্রিকাল বা লিনিয়ার কম্পোজিশান ও ভাল ছবি দেয়। সাধারনত হরাইজোন্টাল ছবি শান্ত, প্রকৃতর প্রতীক আর ডায়াগনাল ছবি দ্রুতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, খেলোয়াড়দের ছবি ডায়াগনালি তোলা হয়।
এবার সবচেয়ে জরুরি দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এগুলি হল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে “রুল অফ থাম্ব”!
একটা হল গোল্ডেন পয়েন্ট এবং ল’ অফ ওয়ান থার্ড বা রুল অফ থার্ড।
গোল্ডেন পয়েন্ট- কাটাকাটি খেলার ঘরের মত ছবির ফ্রেমের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর সমান দূরত্বে চারটি রেখা আঁকা হলে রেখাগুলি ছবিটাকে নয় ভাগে ভাগ করে। প্রতি দুটি রেখা যেসব বিন্দুতে ছেদ করে সেগুলোকে বলা হয় সোনালী বিন্দু বা গোল্ডেন পয়েন্ট। এইসব বিন্দু বা রেখাগুলোতে ছবির মূল অবজেক্ট বা বিষয় বস্তু অবস্থান করলে ছবি অনেক সুন্দর আসে।
ল’ অফ ওয়ান থার্ড বা রুল অফ থার্ড- গোল্ডেন পয়েন্টএ প্রস্থ বরাবর ছবিটি তিন ভাগে ভাগ হয়। সাধারনত “দিগন্ত রেখা” ছবিগুলোতে ওই রেখা বরাবর রাখলে কম্পোজিশান ভাল হয়, যাতে ছবির এক তৃতীয়াংশ আকাশ অথবা এক তৃতীয়াংশ মাটি থাকবে। লক্ষ্য করবেন তারেক অনুর ল্যান্ডস্কেপ গুলোতে দারুনভাবে এ নিয়মের প্রতিফলন ঘটেছে। শুধু দিগন্ত রেখা নয়, ইনডোর ছবিতে ও এ নিয়ম কাজে লাগালে ভাল ছবি আসতে পারে।
এছাড়া ছবির মূল অবজেক্ট কে এল- শেইপ বা এস- শেইপ এ রেখে কম্পোজিশান করলে ছবি সুন্দর আসতে পারে। এল- শেইপ ছবিগুলোকে রিব্যাটমেন্ট অফ দি রেকটাঙ্গেল ও বলা হয়, এতে ছবি সমান দুটি আয়তক্ষেত্রে বিভক্ত হয়।এস শেইপ আরও ছবি এখানে।
ফ্রেম উইদ ইন ফ্রেম হল আমার নিজের সবচেয়ে প্রিয় কম্পোজিশান। তিথীডোরের সচলের প্রোফাইল ছবিটাতে কিছুদিন আগে এই কম্পোজিশানএর চমৎকার উদাহরন ছিল। ছবির ভিতর ফ্রেম, তার ভিতর তিথি (এই রে বানান নিয়ে আবার ঝাড়ি খেলাম বলে )। দরজা, জানালা, চাকা অথবা যে কোন ফাঁকা অংশের ভিতর দিয়ে এ ধরনের ছবি তোলা যায়। ছবি দেখুন এখানে এবং এখানে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে কম্পোজিশানএর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হল ফ্রেমিং, ছবির শেইপ, পারপাস, কালার কম্পোজিশান, থিম এবং অবজেক্ট বা বিষয় বস্তু।
অ্যাপারচার এবং সাটারস্পীড এর মাধ্যমে সঠিক এক্সপোজার এ করে নিতে হবে। ওভার এক্সপোজড এবং আন্ডার এক্সপোজড ছবিও অনেক সময় ভাল কম্পোজিশান দেয়। যেমন বিয়ে বাড়ির সারি সারি লাইটএর ছবি তুলতে সাটারস্পীড কমিয়ে দিলেন। হাতটা সামান্য নড়ে গিয়ে সাংঘাতিক কম্পোজিশানএর ছবি হয়ে যেতে পারে। ভুল করে “ভাল” ছবি তোলা আরকি।
অনেক জ্ঞান ঝাড়লাম, পাঠক চাইলে আরেকটা পর্ব চলতে পারে, আমার অর্ধ সমাপ্ত প্রেমকাহিনীর পরিণতি সহ ।
শাব্দিক।
মন্তব্য
সূচনা পোস্ট হিসেবে লেখা ভাল হয়েছে, তবে লিঙ্কগুলো বাইরের দিকে নির্দেশ করে থাকায় পড়ে আরাম পাইনি। ছবি একি পৃষ্ঠায় থাকলে পড়তে সুবিধে হত।
ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি কম্পোসিশনাল উপাদানকে নিয়ে আলাদা আলাদা পোস্ট লেখার দাবী জানাই। প্রতিটি বিষয় নিয়েই বিস্তারিত অনেক কিছু লেখার সুযোগ আছে। সেই সাথে তাত্ত্বিক বিবরণের পাশাপাশি যদি আপনার নিজের তোলা কোন ছবি এম্বেড করে দিয়ে দেন, তাহলে বুঝে পড়তে সুবিধে হবে।
ফটোগ্রাফিতে আমার অবশ্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তবে তার পরেও জ্যামিতিক আকারের কথা বলতে যেয়ে আপনি যেই উদাহরণ বা ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমার কাছে সেটা যথাযথ মনে হয়নাই। জ্যামিতিক আকৃতির ছবি তোলা অবশ্যই একটা অংশ, কিন্তু একটা ছবি তোলার সময় যদি আপনি ছবির উপাদানগুলোকে জ্যামিতিক আকারের মাধ্যমে ভাগ করতে পারেন সেইটার কথা মনে হয় জ্যামিতিক আকারে বলা হয়। যেমন এই ছবিতে গাড়িটা এমনভাবে ছবিকে ভাগ করেছে যেন ত্রিভূজ তৈরী হয়-
প্রেমকাহিনী আলাদা পোস্টে আসুক, তাই বলে ফটোগ্রাফির পোস্ট যেন থেমে না থাকে।
ধন্যবাদ সাফি লেখা পড়ার জন্য। আসলেও প্রতিটি কম্পোজিশান উপাদান নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন, আমি শুধু প্রাথমিকভাবে একটু টাচ করে গেলাম।
আর ছবি পোস্ট এ না দেয়ার কারণ মূলত দুইটি।
প্রথমত, আমি সচলে ছবি পোস্ট করতে পারছি না। কিসের লিঙ্ক দিয়ে করব বুঝতে পারছি না। সরাসরি লিংকটা দিলেই কি হবে?
দ্বিতীয়ত, আমার প্রো-ক্যামেরা ফিল্মের ছিল, রিসেন্ট তোলা ভাল উদাহরন নাই। ডাউনলোডিত ছবি পোস্টে দেয়া ঠিক হবে কি না বুঝতে পারছিলাম না।
আর প্রেমকাহিনীটা কিন্তু আমার ফটোগ্রাফির সাথে একনিষ্ঠ ভাবে জড়িত, ওটা ছাড়া আমি ফটোগ্রাফি শিখতেই পারতাম না।
শাব্দিক, এই লিঙ্কটা দেখুন।
সূত্র উল্লেখ করে ডাউনলোডকৃত ছবি দিলে দোষের কিছু দেখিনা। অনুমতি নেওয়া সম্ভব হলে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নেওয়া উচিত। আলোচনার সুবিধার্থে ছবি ব্যবহার করা আর ভাল লাগলো দেখে কপি পেস্ট করলাম দুইটা ভিন্ন।
প্রেমকাহিনী দিতে নিষেধ করলাম কৈ? প্রেম কাহিনী শোনার চেয়ে আমার আগ্রহ ফটোগ্রাফি শেখার দিকে বেশী সেটা বললাম আর কি। আপনি লিখুন আপনার মতন হাত, পা, লেন্স ক্যাপ খুলে আর আমি কিন্তু সত্যি প্রতিটি কম্পোজিশান উপাদানের আশায় বসে রইলাম।
লিংকটার জন্য। আপনার যে ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ আছে তা তো আপনার পোস্ট দেখেই বুঝেছি, প্রতিমন্তব্য দিতে গিয়ে অনেক গোপন কথা ফাঁস করে ফেলেছি। আরেকটা ফাঁস করে দেই। আপনার গত পোস্ট এর কারনেই এই পোস্ট লেখার আগ্রহ পেয়েছি।
আর প্রেম কাহিনীর ব্যাপারটা হল তাদের জন্য যারা ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী নয়। ওটা আপনি স্কিপ করুন।
সকালে তাড়াহুড়ো করে নীড়পাতায় একবার চোখ বুলিয়ে যাওয়া অনেকদিনের অভ্যেস। পোস্ট পড়তে শুরু করে নিজের নাম দেখে দাঁতকপাটি খেলাম। [আমি তিথী রে ভাই, আর কতবার কমু! ]
ছবিতে আগ্রহ আছে প্রবল! গরিব মানুষ, ভাল ক্যামেরা নেই, ছবি তোলার কায়দাকানুনও কিস্যু জানা নেই... লোকজনের গুলো দেখে ঘাটে বসে বসে.... হিংসাই, মনে মনে বিড়বিড়িয়ে গাল দিই আর বলি-- 'দেখিস, একদিন আমরাও!'
আরো বিস্তারিত পোস্ট চাই, একই পৃষ্ঠায় এমবেডেড ছবি এবং আপনার তোলা ছবি সহ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিশেষ ভাবে দুঃখিত "তিথী" ।
এই কান ধরলাম আর ভুল হবে না। আর ছবি তুলতে ক্যামেরা লাগে নাকি। মোবাইল হলেই তো হয়। ঘাটে বসেই যদি এত সুন্দর ছবি হয় বিড়বিড়িয়ে গাল না দিলেও চলে। আমিও গরীব, আমারও ভাল ডিজিটাল ক্যামেরা নাই, ছবিও নেই।
ছবি তোলার আগ্রহে বুড়ো বয়সে একটা ক্যামেরা কিনেছি, উল্টা পালটা আন্দাজে সাটার টিপে দেই। ভালো লেগেছে কিন্তু কতটা কাজে লাগাতে পারব, জানিনা। লেখা চলুক। প্রেমের বর্তমান অবস্থা জানতে মন চায়।
ছবি তুলতে গেলে আসলে এসব কিছুই মাথায় থাকে না। সাটার টিপতে থাকেন, ভাল ছবি এমনিই হয়ে যাবে।
সাফির সাথে একমত, ভাইরে, একেতো লিংক দিয়া পোস্টের রঙ পাল্টায়া ফেলছেন, তারপরে উদাহরণস্বরূপ একটা ছবিও পোস্টে দেন নাই, এত লিংক হাতরাইলে পোস্ট পড়ুম কেমনে? পোস্টটা অসম্পূর্ণ লাগল, আশাকরি পরের বারে আরো যত্ন নিয়া লিখবেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এ ব্যাপারে সত্যিই দুঃখিত। লিংক দেয়াটা এই পোস্ট দেয়ার সময় আবিষ্কার করলাম।
ছবি দেয়ার ব্যাপারটা অনেক গুঁতোগুঁতি করেও বুঝতে পারলাম না। কিভাবে দেওয়া যায় বিস্তারিত বললে উপকৃত হই। আর একটা গোপন কথা হচ্ছে আমি ভীষণ রকম ননটেকি।
ছবি পোস্টানো খুব সহজ। আপনার জন্যে সচিত্র টিউটোরিয়াল।
১। ফ্লিকারে অ্যাকাউন্ট খুলে ছবি আপ্লোড করুন।
২। ছবি ফ্লিকারে ওপেন করুন।
ওপেন হলে ছবির উপর শেয়ার লেখা অংশে ক্লিক করুন। দেখবেন শেয়ার করার বেশ কয়েকটা অপ্সহান আসবে।
৩। ড্রপডাউন মেনু থেকে 'Grab the HTML/BBCode'তে ক্লিক করুন। এরকম দেখবেন,
এখানে দেখেন লেখা আছে 'Copy and paste the code below:'। ওটা কপি করে আপনার পোস্টের যেখানে ছবি দিতে চান, পেস্ট করুন।
ব্যাস। এতটুকুই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ। কিন্তু এখানে যে দৈর্ঘ্য প্রস্থ চাচ্ছে সেটা কি দেয়া বাধ্যতামূলক? সেটা কত দিতে হবে?
অটো- ফেরা-০৩ এর অপেক্ষায় আছি।
'width=500' 'height=375'
কোডের এই অংশটা হাইট আর উইডথের জন্য। ডিফল্ট এটা রাখলে মোটামুটি ভাল সাইজেই থাকবে। আপনার পছন্দ হচ্ছে কিনা, সেটাতো প্রিভিউ তে দেখতেই পারছেন। দরকার পড়লে অনুপাত ঠিক রেখে ভ্যালুদুটো পরিবর্তন করে দিন।
দেখি আজকালের মধ্যে লিখে ফেলার প্লান আছে। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ। এবার পারব।
কাজের জিনিস শিখলাম।
অনেক ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
থ্যাঙ্কু দিলে ইংরেজীতে ওয়েল্কাম বলে, বাংলায় ধন্যবাদ দিলে কি বলাটা ভদ্রতা?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ঠিকাসে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওরে পরদাদারে, এত কিছু জানতে হবে ছবি তুলতে! আমি তো শুধু ক্লিক ক্লিক করেই গেলাম এতদিন!
সত্যি বলছি, আপনি আমার তোলা ছবিগুলোয় যে বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন আমার তার কিছুই জানা ছিল না।
তয় আর কি, এমন পোস্ট আরো দিন, ক্লিকবাজির ফাঁকে ফাঁকে শিখে নিব অল্প অল্প
facebook
তা হলে না জানাই ভাল, জানলে আর ভাল ছবি আসবে না আপনার পোস্টে। নাপিতের ফোঁড়া কাটার গল্প জানেন তো।
তবে সত্যি আপনার ছবি বেশি ভাগই কিন্তু কম্পোজিশানের নিয়ম মানে আমি খেয়াল করে দেখেছি।
আমারও একই অবস্থা, নাপিতকে সার্জারি বিদ্যা শিখাতে গিয়ে ক্ষৌরকর্ম পর্যন্ত বন্ধ হওয়ার দশা। এত্ত কিছু মাইনা চলতে গেলে মনে হচ্ছে শখের ফটোগ্রাফি চাঙ্গে উঠবো
আমার কিন্তু সত্যিই তাই হয়। ছবির কম্পোজিশান নিয়ে বেশি চিন্তা করতে গেলে আসল ছবির মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভাবলাম সবাইরে শিখায় দেই, গল্পে ডাক্তার যা করসিল আরকি
পোস্ট পড়ে টড়ে আমারো এই দশা। কিছুই জানিনা খালি ক্লিক ক্লিক।
অণু'ভাইটির কান্না দেখে একটা গ্রাম্য গপ্প মনে পড়লো, 'ও কুসুম তোরে ত সেইরাম সুন্দর লাগতিছে!
কুসুম ঠোঁট মুচড়িয়ে বলে, উহ্ নাইনি তাইতেই...'
থাক, আপনি যা ছবি তোলেন তাতে আপনার আর বেশি কিছু না শিখলেও চলবে। নাওয়া ছাড়াই আপনি বেশ দেখতে
পানির মধ্যে লেঙ্গুট পরে ছবি পর্যন্ত তুলে দিল, তাও যদি বলে নাওয়া হয়নি!!!...তাইলে কেম্নে কি
উহু লেঙ্গুট মেঙ্গুট কিচ্ছু ছিল না। ছিল জন্মদিনের পোশাক আমি শিওর, আমি জিজ্ঞেস কর্ছিলাম, কাইদা করে এড়ায় গেছে, তাইলে বুঝেন।
কিই যে কন খালি হূনতেই মনে চায়
ওরে বাবা, আজকাল উল্লেখ করার মত ব্লগার হয়ে গেছি দেখি। আরেকটু হলেই হড়মড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম আরকি। সে যাহোক, ছবি তোলায় এককালে আমারও প্রবল আগ্রহ ছিল। কিন্তু শিক্ষিত্ হতে চেয়ে যেইনা দেখি এত্ত এত্ত পড়াশুনো, আর কি আমি এই তল্লাটে থাকি ! এত গ্রামার আর ব্যাকরণ মনে রাখতে পারলে তো সচলের ফটুরেদের ভাত কবেই মেরে খেতাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কে যে কেমন ব্লগার অতশত বুঝি না। যার লেখা পড়তে ভাল লাগে তারটাই পড়ি । আর আপনার লেখা পড়ে সবচেয়ে উপকার হয়েছে যে সচলের অনেক কিছু জানা গেছে।
বাব্বা! মাথাটা এক্কেবারে গুলিয়ে গেল। ছবি তোলার এত্ত সব নিয়ম কানুন! বেশ কিছু নাহয় শেখার চেষ্টা করব, যেগুলো সহজ আরকি।
প্রৌঢ়ভাবনা
প্রৌঢ় ভাবনা, লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি তো সহজ করেই লেখার চেষ্টা করেছি সবাই যেন বুঝতে পারে, এতে অবশ্য প্রোফেশেনালদের বিরক্ত করেছি। অল্প স্বল্প কাজে লাগলেই আমি ধন্য।
এত নিয়ম কানুন মেনে ছবি তুলতে গেলে মাথা ঘুরাইয়া পইড়া জামু বেরাদার। খাইছে, খাইছে। কামডা কি ভালা করছেন এমনিই পাতি 'ফডু-গ্রাফার', তার উপ্রে এই সব নিয়ম কানুন দেইখা সব গুলাইয়া ফেলছি। যাক ভালৈ লাগছে, আসুক আরও বেশি করে লিখুন, শিখব আগ্রহ ভরে।
"পাতি/ পাত্নি ফডু-গ্রাফার" যাই হোন নিয়ম কানুন আগে জাইনা মাঠে নামনই ভালা। আর নিয়ম কানুন জানতে হইলে লেখাও পড়ন লাগব ।
আপনারা পড়লে অবশ্যই লিখব।
এমনিতেই তো ফটুক তুললে সিসিম পুরের চার্লি হোটেলের বেয়ারার মতো মুখ রেখে হাত-পায়ের ছবি ওঠে। তার উপর এতো নিয়ম কানুনের পাল্লায় পড়লে হাত-পাও ছেড়ে ক্যামেরার ফোকাস গিয়ে পড়বে জুতা-মোজার উপর! জনগণের ধোলাই খাওয়ার উত্তম মাধ্যম বটে এক!
তবে, আশায় আছি। একটা লেন্স কেনার জন্য একজন স্পন্সররে প্রায় রাজী করায়ে ফেলছি। যদিও তিনি এখনও গোত্তা মেরেই চলেছেন। কিন্তু আশা ছাড়ি নাই। এনশাল্লা লেন্সটা পাইলেই প্রবল বিক্রমে হাতের মোবাইলখানা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইচ্ছা রাখি। তখন, দেখবেন... হুঁ হুঁ বাবা, আমিও ফটুক তুলতে জানি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে জুতা-মোজার কম্পোজিশানেও ভাল ছবি হয়, তাই তো বোঝাতে চাইছিলাম। কি আর লাভ হইল এত কিছু লিখে
আপনার ঝাঁপিয়ে পড়ে তোলা ফটুক দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
সচলে আরেকজন ফটুগফুরকে দেখে আহ্লাদের সীমা নাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রতনে রতন চিনে ।
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন