““আমি নবান্ন - নবরূপ অন্ন - ঢোলকের বেহারা বাড়ীতে জেগে ওঠা পরবর্তী আলো - ক্রমশ রাতের সাথে খোলা-ঘুম মানুষের অবচেতন মানুষ - আচারি মানুষ সব শেকড়ের সমতটে দাড়িয়ে বসে পাললিক জলে ভাসে - স্বদেশের মানবিক মন - ধান্য প্রণতি যাদের যারা বাঙ্গালী মানুষ -
পরশপাথরের মত মানুষের সাথে মিশে যায় মানুষের মন; আলবোনা ক্ষেত জুড়ে ধান কাটে শিস, কাস্তের নিশানা বাড়ায় পেশীতে পেশী - সব ঘাম পূজো হয় - পূজারীর জালা-ধান জমা হয় ভবিষ্যৎ গোলাঘরে; হিরণ্ময় সুখে সাড়া পড়ে - কবিয়াল গান গায়, পুঁথি পড়ে কবিরাজ, লাঠিশিল্পী খেলে যায় ‘লাঠি-বাড়ী’ খেলা - বেহারার দল হুমহুমাহুম বাতাসে মেটায় আঘনের শ্রম;
বাংলার আকাশ-বাতাস-নদী-নালা-খাল-বিল-হাওড়ে-বাঁওড়ে - হাওড়ে ফুটন্ত উৎসবে জেগে উঠে বাঙ্গালী - আবহমান বহমতি গাঙেয় ব-দ্বীপ তুমি নবান্নের ’শ্লোকে’ শ্লোকে ফেরা তোমার চরিত্র সবিশেষ!””
নবান্নের সাথে দেখা নবান্নো রাতে - আমি আর সনাতন বসে আছি; হাওড়ের বৈঠকখানা নাম তার বাঙলাঘর - তার পাশে দীঘি-ডাকা-দীঘি তারপর চরাচর - বহুদূর বটগাছ তারপর নদী দেখা যায়, নদী নাম ‘ঘোড়াউত্তাল’ - অশ্বশক্তি নিয়ে ঘুরন্ত মিশে গেছে ‘কালী’ হয়ে ‘মেঘনার’ সাথে। দাদা ফজলুর রহমান রক্তিম-বর্ণ শরীর -‘লাল-আবু চৌধুরী’(১) ডাকে মানুষে মানুষে - বালক তার বড় নাতি প্রশ্রয়ে সারারাত জেগে জেগে দেখেছিলো ফসলের মাঠ ছেড়ে ধান সব ঠাই নেয় গৃহস্থ ঘরে -
তার আগে ’এনু-ভাই’, ’তাজইসলাম-পুতু’ আর ’বুইদ্দ্যা-দাদু’(২) নানান হাসিমুখে এক মানুষের মাঝে ভাগে ভাগে বাটোয়ারা করে সেই নলিছেড়া ধান - গুচ্ছ গুচ্ছ গর্ভবতী ধানচারা পাকানো পেশীর বাড়িতে প্রসবের ব্যথা ভুলে সব ধান ফেলে দিয়ে নগ্ন-বিযুক্তা একা হয়ে পড়ে থাকে মৃত; হারিকেন-লন্ঠন-হ্যাজাকের আলোতে ধান্নবরন সব গ্রাম দেখা যায় জেগে থাকে ধান-ভানা সুখে -
বাউলের ধান বাউলেরা নিয়ে যায় গান গেয়ে - বৈষ্ণবের ধান নেয় বৈষ্ণবী - শ্রমে নেয় দেহাতি হাটুরেরা - ধান-চুলা ভরে ওঠে ধানীরাতে, পান-ধোয়া সুপারীবরণ হাত- হাতের নহর-ভেতরে জমা হয় মিহিন ধানের শরীর - আগুনের শিখায় তার কেশ-আসক্ত ছায়া পড়ে খড়িমাটি রাঁধুনি ঘরে -
বালকের মনে আছে একদিন ট্রেনে করে বাড়ী ফেরার পথে তার সাথে জুটেছিলো সনাতন বন্ধু নাম তার সনাতন - একই রাতে সনাতন আর সে দেখেছিলো অগ্রহায়ণ ভোর - তারপর তারা জেনে যায় নবান্ন নামে তাদের এক জগৎমহৎ বন্ধু আছে!
“”নবান্নকে কোনদিন ঘুমোতে দেখিনি আমি - কোনদিন দেখিনি ক্লান্ত - নবান্ন ছিলো ভীষণ জীবন্ত, ছিলো মার্জিত উদ্দাম; নবান্নকে কোনদিন থামতে দেখিনি আমি, দেখেনি আমাদের কেউ - আমাদের সবার কাছে নবান্ন ছিলো প্রতিটি মুহূর্তে মুহূর্ত - সব পথে ছিলো পথনির্দেশক পথ - সবার চোখে ছিলো স্বপ্নময় চোখ -
নবান্নের কথা ছিলো নবোদূত ধান্য হয়ে সে করে যাবে উৎসব চাষ - উৎসব মানে উৎসে দিনাতিপাত করে বারবার ফিরে যাওয়া উৎসের কাছে - সমরুপ বসবাসে; নবান্ন জেনেছিলো নবীন প্রাধান্য থাকে পুরাতন আচারে - পুরাতন বারোটি মাসে একাংকিত তেরোটি অবধুত পার্বণ!”
কেবলমাত্র আবেগ, কেবলমাত্র আবেগ আমাদের জাতি হিসেবে পৃথক করেছে পৃথিবীর মানচিত্রে - অনন্য রেখেছে ভাষা - শুধুমাত্র আবেগ বাঙালীকে করেছে বাঙালী - কেবলমাত্র করেছে মরমিয়া - শুদ্ধতম জাতি - একটি মানুষের আবেগের কাছে ঋণী থেকে গেছে তার স্বদেশের মানচিত্র!
নবান্ন এলে পরে সনাতন আমাকে বলে ‘এখনো নবান্ন আরো দেখা বাকি’ - আমাকে অবাক তাকাতে দেখে সনাতন হাসে - সে হাসিতে নবান্ন ধরেনা! আমাদের সেই থেকে পথচলা শুরু - আমাদের সাথে দেখা হয় আমাদের সাথে দেখা হয়ে থেকে যায় আমাদের আরো আমাদের মানুষেরা।
তারপর একদিন, ১৯৯০ সাল, বালক তখন বালকের জামা ছেড়ে বড়দের ধরেছে জামা, পিতা তার আমিনুল ইসলাম চৌধুরী যার ভয়ে ছটফট তামাম গুষ্ঠিজ্ঞাতি সেই তিনি বহুদিন কেবলই পায়চারী করেন, সব রাগ মেটাতে চান উর্দি-ব্যারাকে-ছাউনিতে আর বালকে ধরিয়ে দেন বইয়ে বইয়ে ছাপা ইতিহাস-সংস্কৃতি;
একদিন ১৯৯০ সাল, ৬ই ডিসেম্বর পিতা ছটফট ছটফট শেষে কেমন তার চোখ জুড়ে প্রথম দেখেছে বালক কিন্নর-জলকণা পড়েছে ঝরে আর তার মুখভরা হাসি - একদিন মানুষ-জাগা বিকেলে তিনি বালকের হাত ধরে চলে যান শাহবাগ ছাড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - তারও আগে রমনা - অগুণিতক মানুষের পথেহাটা স্রোত - হাতে ধরা পুত্রের হাত ধরে তিনি রিকশা রিকশা ছেড়ে দেন রিকশাচালকের সাথে, বলেন - ’এমন দিনে হাটতে হয় বাবা!’ - পিতা-পুত্র মিশে যান মানুষের ছায়া নেয়া মানুষে মানুষে - সমুদ্র মানুষের ভিড়ে বালকের চোখ জুড়ে আঠালো মুদ্রায় নেচেছিলো যে বাংলাদেশ আজো সেই বাংলাদেশ জেগে আছে প্রতিদিন! সন্ধ্যার ভাজে ভাজে মানুষের হাতে হাতে জ্বলে উঠে আগুনের চারা - চারারা দুলে-দুলে দুলে যায় গানে গানে - সনাতন তার কানে কানে বলে ফেলে -”এই দেখো মহত্তম নবান্ন”! বালকের কাটেনা ঘোর - মানুষকে এতোবেশি হাসতে সে দেখেনি এর আগে কোনদিন, এতোবেশি দেখেনি কাঁদতে - সৈয়দ আব্দুল হাদী বলে একজন আসেন তপন চৌধুরীর পর আগমনী শিল্পীদের বহুবিধ আগমনে - সৈয়দ আব্দুল হাদী নাম তার মাথায় গেঁথে যায়, সে দেখে সৈয়দ আব্দুল হাদীর সাথে কেঁদে যায় আগুনে আগুন - “যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তিসেনা, দে--না, তোরা দে---না সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দেনা” - সেই গান আজো তার মনে আছে আর মনে আছে সেদিনের বাংলাদেশ - বালকের মনে আছে সারাটা পথ তার হাত ধরে ঘরে ফিরেছিলো বাংলাদেশ নামের এক মুক্ত বাংলাদেশ - বালক মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি ঠিক, তৃতীয় মুক্তিবছরে জন্ম কিন্ত তার বাবার কাছে শুনে শুনে, বই পড়ে পড়ে তার প্রথম জানা “আমি বিজয় দেখেছি” সে দেখেছিলো সেইদিন ১৯৯০ সাল, ৬ই ডিসেম্বর উত্তেজিত রাতজাগা ভোরে!
ফোটায় ফোটায় বলে যাই সব, ফোটা মানে চারিদিক ফোটা ফোটা জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় আর আমাদের পথ ধরে আমি, সনাতন, নবান্ন আর আমাদের হেটে যাওয়া - পথে পথে দেখা হয় একদিন আগে হোক পরে হোক দেখা হবে বাস্তব এর সাথে! সে বড় জটিল কাহিনী তাই আগে ভাগে বলে রাখা ভালো একদিন বাস্তবের সাথে দেখা হলে পরে আমাদের এক হয়ে আলাদা হেটে যাওয়া আজ বহুযুগ ধরে! সে কাহিনী পরে হবে, এখন আরো নব্য-অন্যে’র সাথে আলাদা আলাদা-ভাবএ পরিচিত হওয়া যাক -
ভাটিয়ালী ভাই তুমি ভাওয়াইয়া দুঃখ বুঝে জারি-সারি গান গাও!
পুঁথি জমে তহবিলে - কবিগান কবি গায় দুইজনে মিলে, গানে নাচে কাবাডি-চিবুড়ী;
হাওড়ের ব্যথা বুঝে মুন্সী উকিল, রশিদউদ্দিনের সাথে বসে টুংটাং কথা বলে - কথা বলে সোনাগাঙ রুপালী নদী;
উজানে আব্দুল করিম মন মজাইয়া ডাকে, সে ডাকে সাড়া দেয় চিত্রাপাড়, পাড়ে পাড়ে বাউলের সরকারি করে দেখো সরকার বিজয়;
ঘেটুগানে পট বাধে পটুয়ারা - নাইওরী ভাটির টানে ঘরে ফেরে কাঙালিনী যতো - চারণ মুকুন্দ দাসেরে খোঁজে ‘মুর্শিদ’-এর মুর্শিদি; মারফতে মারফতে ’মারফতি’ করে জটাধারী সাধু, সাধনার নগ্ন-আঁচল ধরে বেঁচে থাকে যোগী;
চম্পাবতির সাথে বানে ভাসে কালু, গাজী হয় গাজী গাজী, গাজী গানে শিবসার পাড়ে আসে হরিণা সুন্দরী - মৌয়াল ধুয়া তোলে কাহারে কাহারে - সিন্নির মানতে মানতে কাঠুরে-ধীবর যায় জঙ্গল বিহারে - শ্বাসমূলে ডোরাকাটা থাবা পড়ে ফেলে গর্বিত-গরবিনী;
সুরমার পাড়ে বসে কৃষ্ণের রাইলীলা দেখে যায় রাধারমণ-ই, ‘রাই জাগো জাগো রাই’ - কলঙ্কিনী রাধারে ডাকে শুদ্ধ সরলা;
ঘোষবাড়ীর শেফালী ‘বহিনের’ সাথে শ্যামসুন্দর এক বৈষ্ণব ঘরামীর হয়ে যায় ভাইফোঁটা দেখা - কর্ণফুলীর সাথে সাম্পানে সাম্পানে করে সাগরের জলে মেশে মাতামুহুরি, সাঙ্গু আর নাফ নদী সরোবর;
বহুদূর বহুদূর পানসীতে পানসীতে ঘোরা হাসনের বজরায় গান গায় ময়নার ব্যথাভরা ঠোঁট, তারপর শূন্য মাজারে ভাসে ফকিরের ঘরবাড়ী;
মনসা-মঙ্গলার সাথে ঠাকুমার ঝুলি নিয়ে হেটে যায় টোনা আর টুনি - আরজ মাতুব্বরের কাছে চাল আর ডাল কিনে আনে; রূপকথার মত বেধে ফেলে সোনার-পাথর-বাটি সংসার;
বাংলার উঠানে উঠানে, দহলিজে, আকাশে আকাশে আর পাড়ের জমিনে জমিনে দীক্ষার চালাঘরে কীর্তনে কীর্তনে নাচে কীর্তনীয়া, জাতহীন লালনের ছায়া পড়ে সর্বত্র আর তার সাথে কথা বলে সিরাজ শাহী মন ফকিরা!
যাত্রায় নবাব আলীবর্দির কানে ফুস-মন্তর দেয় বেনিয়া ব্রিটিশ - বাংলার গাও-গেরামে তবু শতেক বছরেরা হয় পার - বাংলা বারবার জাগে বাঙ্গালীর রক্ত বয়ানে - একদিন ভাষা হয় সব ভাষা - একদিন পাঁক ধরে নাপাক পাকিরা আসে শ্বাপদের মত তারপর ফিরে যায় পরাজিত - শহীদের লাশ কাঁখে হেটে যায় কন্যা-জায়া-জননী;- একদিন ভূ-খণ্ড জাগে মানচিত্রে, মাতাল বাতাসে অহং-অহং এক উতাল শব্দে উড়ে পতাকা অশেষ - একদিন জানা যায় পশুরা কতটুকু পশু হলে মায়ের শরীরে ফেলে কষাক্ত-বিষাক্ত থাবা; তারপর চল্লিশ বছর কাটে, কেটে যায় অযুত-নিযুত সময় - অযুত-নিযুত সময় ধরে বাঙ্গালীর বাংলাদেশ দিন গোনে কখন আসে যে আবার পলল নবান্ন!
নবান্ন আর সনাতন একসাথে জানতে চায় - ’শাণিত’ কোথায় আছে জানো কি! আমরা হেসে উঠে বসে থাকি, বহুদূর আমাদের কানে ভাসে ’শাণিত’ আসবে বলে বায়বীয় পথেরা গেছে জেগে; আমাদের মনে পড়ে যেতে থাকে সব!
আর তোমাদের পথ ধরে ফিরে যাক ফিরে যাওয়া ফেরারি তোমাদের যত তোমাদের তুমি আছো - শাণিত হতে থাকো আরো কিছুদিন!!
(১) আবু: ছোট বাবু - একদম শৈশবে এতিম দাদা তার চাচীর কাছে মানুষ পিঠাপিঠি চাচাতো ভাইয়ের সাথে, চাচাতো ভাই তার কালো রঙ নিয়ে চিরদিন ভিন্ন নামে পরিচিত আর দাদা পরিচিত ছিলেন লাল-আবু চৌধুরী নামে।
(২)
এনুভাই: দাদীর ছেলে-মাঝি; ছইওলা নৌকায় যার সাথে কেটেছে আমার শৈশবের নদীযাত্রা। আজো যার হাত ধরে ধান আসে আমাদের ঘরে; আজো যার সাথে দেখা হলে বুকভরা সরল হাসি হেসে জানতে চান ‘কিমুন আছুইনগো ভাইসাব’!
তাজ-ইসলাম পুতু: পুতু মানে গ্রাম-সম্পর্কিত চাচা, জীবিত; দাদার কাছাকাছি নিরালা মানুষ যার ছেলে আঞ্জু ভাই এর ঘরে আমার শুটকিমাছের জমজমাট খাওয়া-খাদ্য হয় আর নাকেমুখে একাকার ঝালে-ঝোলে আর ভাবীর হাতের পাংখার বাতাসে
বুইদ্দ্যা দাদু: দাদার সবকাজের ছায়া, যিনি মারা যাবার পর আমাদের বাবা-চাচা-ফুপুদের চোখে অনায়াস জল দেখা গেছে।
মন্তব্য
বাহ...লেখালেখির একটা বান এসেছে মনে হচ্ছে?!
আপনি অনেক ভাগ্যবান, চমৎকার সময় কাটিয়েছেন চমৎকার সব মানুষের সাথে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ, ‘ভাগ্য’ বলে সত্যি সত্যি যদি কিছু থাকে তবে তা এখানেও আমাকে অনেক চমৎকার মানুষের সাথে পরিচিত হতে সহায়তা করেছে।
ভালো থাকবেন, ভালো থাকুক আপনার নিজস্ব পৃথিবী!
‘ব্যাঙের ছাতা’ নিকধারি মানুষকে ধন্যবাদ এবং পাতা গন্ধ সহ শুভেচ্ছা|
বেশ লাগল পড়তে।
(অনেক টাইপো রয়ে গিয়েছে কিন্তু )
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হু, টাইপো রয়ে গেছে আসলেই; বেশ কিছু জায়গায় স্পেস নড়চড় হয়ে গেছে। এডিট করবো। (তবু মনে হয় ভুল থেকে যেতে পারে, একেতো দীর্ঘদিন বাংলা চর্চার অভাব, তার উপর অজুহাত ....)
রাগের ইমো তাও আবার ব্র্যাকেট বন্দী মন্তব্যের সাথে - কেন যেন খুবই ভালো লাগলো - ভালো থাকবেন আপনি -কিপ আপ দ্য ওয়াইল্ডারনেস!
লেখা পড়ে মনে এল আমি বাঙালী,
বিলাসী এ জীবনেও আমি কাঙালী।
প্রৌঢ়ভাবনা
খুব ভালো লাগল তানিম ভাই। আপনার কথা এবং সময়ের পাহাড় বেয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম।
প্রোঢ়ভাবনা এবং তাপস শর্মাকে পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার নাম না দেখলেও আমি বলে দিতে পারব যে, এ লেখা আপনার।
খুব সুন্দর। আর অন্যরকম ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ উচ্ছলা
লিখাটা কেমন যেনো ঢেউ এর মত, মনে হোল মৃদু একটা কম্পন তুলে গেল তানিম ভাইয়া।
বন্দনার জন্য শুভেচ্ছা
নতুন মন্তব্য করুন