• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'theme_imagefield_image' not found or invalid function name in theme() (line 669 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/theme.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বাংলা ব্যান্ড মিউজিক ---- দাগ থেকে যায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১০/২০১১ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৯৫ এ যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। আমার বয়স ৮ হবে হয়ত। গ্রামের একটা স্কুল। হেটে হেটে প্রতিদিন স্কুলে যাই। আমার স্কুলের হেড স্যার ছিলেন খুবই বে-রসিক মানুষ। আমরা কোন ছোট খাটো ভুল করলেও শাস্তির হাত থেকে ক্ষমা পাবার জো নেই। স্যারের শাস্তিগুলিও খুব অদ্ভুত। হয়ত দুপুর টিফিন আওয়ারে তালপাখা দিয়ে স্যারকে বাতাস করতে হবে। এই সময়ে স্যার একটু আরামে ঘুমিয়ে নেবেন (যেহেতু গ্রামের স্কুল, তাই গ্রামে ইলেকট্রিসিটি থাকা সত্বেও খুব একটা বিদ্যুতের দেখা মিলত না।), হয়তবা পা টিপে দিতে বলবেন। ছোটখাটো অপারাধের বিপরীতে এইগুলোই উনার নিত্যনৈমিতিক শাস্তি। বড় অপরাধ হলে অবশ্য বড় বেতের বাড়ি ছাড়া অন্য কিছু পাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমার সেই বদরাগী হেড স্যারের একটা বিশেষ ঝোক ছিল 'সঙ্গীত, শিল্প ও সাহিত্যে'এর দিকে (এই ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে বেশী নাড়া দেয়। স্যার বদরাগী হলেও স্যার আমার খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। স্কুল, ছাত্রছাত্রীদের ভালোর জন্য সারাটা জীবন পরিশ্রম করে গেছেন এই স্কুলেই।) প্রতি বৃহস্পতিবার ছিল হাফ-ডে (অর্ধ-দিবস শিক্ষাকার্যক্রম)। আর সেই দিন স্কুল ছুটির পর তৃতীয়, চতুর্থ ও পন্ধম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের একসঙ্গে বসতেন 'সঙ্গীত ও সাহিত্য' চর্চা করতে। কেউ কবিতা-ছড়া বলত, কেউ কৌতুক করত, কেউ গল্প পড়ে শোনাতো। আর মূল আকর্ষণে ছিল দুটি গান। একটি স্যারের অসম্ভব প্রিয় "ভ্রমর কইয়ো গিয়া, শ্রীকৃষ্ণবীর ছেদের অনলে, অংগ যায় জ্বলিয়ারে ভ্রমর কইয়ো গিয়া" --- এই গানটি গাইতো আমার সবচেয়ে ভাল, কাছের বন্ধু "রোজী আন্টি"(সম্পর্কে আমার খালা হন- আমার সহপাঠী ছিলেন)। অন্য গানটি বাদ বাকী সবার প্রিয় "কোন সুখের ছোয়া পেতে নয়, নয় কোন নতুন জীবনের খোজে, তোমার চোখে তাকিয়ে থাকা আলোকিত হাসি নয়। আশা নয়, না বলা ভাষা নয়। আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি, তাই তোমার কাছে ছুটে আসি"। অসম্ভব প্রিয় এই গানটি গাওয়ার সময় ক্লাসের অন্য কেউ চাইলেও গলা মিলাতে পারতো না এই ভয়ে পাছে স্যার আবার কি শাস্তি দেন। অথচ সবার চিৎকার করে গাইতে ইচ্ছে হতো।

এবি (আইয়ুব বাচ্চু) বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের কিংবদন্তী ও সেরা লীড গিটারিস্ট। চট্রগ্রামের ছেলে এবি'র যাত্রা শুরু মূলতঃ ততকালীন সময়ের জনপ্রিয় ধারার ব্যান্ড সোলস দিয়ে, যার উত্থান চট্রগ্রাম থেকে। বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ড্রাস্টীতে যদি একক ভাবে কোন ব্যান্ডকে সন্মাননা দেওয়া হয় তবে সেটা নির্ধিদ্বায় সোলসের ঝুড়িতে গিয়ে পড়বে। লুলু, নেওয়াজ, রনি, তাজুল ও সাজেদ যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল সোলস। এরপর একে একে জয়েন করেন নকীব খান, পিলু খান, আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, নাসিম আলী খান এবং পার্থ বড়ুয়া। নকীব খান ও পিলু খান সোলস ছেড়ে গড়ে তোলেন বিকল্পধারার ব্যান্ড দল রেঁনেসা। তপন চৌধুরী (ভোকাল), কুমার বিশ্বজিৎ(ভোকাল) সোলস ছেড়ে গড়ে তোলেন সলো ক্যারিয়ার। কুমার বিশ্বজিৎ আজও ঠায় দাড়িয়ে আছেন এই বাংলা মিউজিকে। তপন চৌধুরী ততকালীন সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সলো আর্টিস্ট অনেক অভিমান নিয়ে পড়ে আছে বিদেশে। নাসিম আলী খান ও পার্থ বড়ুয়া আজও সোলসের হাল টেনে চলছে। সোলসের জনপ্রিয় গানের অভাব নেই। লিখতে গেলে পুরো একটা পোষ্ট লিখতে হবে এই সোলসকে নিয়ে। তবুও কিছু গানের কথা উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছিনা। মন শুধু মন ছুয়েছে, তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে, আইছ্যা পাগল মনরে, নদী এসে পথ, এই মুখরিত জীবনের, সুখ পাখি এলো উড়িয়া, সাগর বেলায়, একটি ঝিনুক মালা, ভালবাসি এই সবুজ মেলা, সাগরের ঐ প্রান্তরে, কুহেলী জানে কি, এই এমনও পরিচয়, কেউ নেই করিডোরে, আজ দিন কাটুক গানে, নীরবে, ব্যস্ততা, কেন এই নিঃস্বঙ্গতা, এরই মাঝে, আইয়্যোনা আইয়্যোনা, ঐ দূর নীলে, যেতে যেতে পরিচয় সহ এমন আরো অনেক অনেক অনেক গান। সদ্য সোলস ছেড়ে আসা এবি নতুন উদ্দ্যম নিয়ে গড়ে তোলে ব্যান্ড দল এল.আর.বি। প্রথম ব্যান্ড অ্যালবামেই জানিয়ে দেয় "ঝরে পড়ার জন্য আসেনি। এসেছি তারুণ্যের উন্মদনা নিয়ে।" ১৯৯২ সালে এল.আর.বি প্রকাশ করে তাদের ব্যান্ডের প্রথম ডাবল অ্যালবাম "হকার" ও "ঘুম ভাঙ্গা শহরে"। এল.আর.বি-ই বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ব্যান্ড যাদের ফার্স্ট অ্যালবাম ছিল ডাবল। এবং এল.আর.বি- ই প্রথম বাংলা ব্যান্ড যারা এ পর্যন্ত দুটি ডাবল অ্যালবাম প্রকাশ করে। দ্বিতীয় ডাবল অ্যালবামটি প্রকাশ পায় ১৯৯৮ সালে "আমাদের" ও "বিষ্ময়" শিরোনামে। "হকার" অ্যালবামের আড্ডা, হ্যাপি, হকার, স্মৃতি নিয়ে, পেনশান, রিটায়ার্ড ফাদার ও "ঘুম ভাঙ্গা শহরে" অ্যালবামে ঢাকার সন্ধ্যা, ফেরারী মন, ঘুম ভাঙ্গা শহরে, মাধবী, শেষ চিঠি সহ সর্বাধিক শ্রোতানন্দিত গান "সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে"। এক একটি গান শুধু গান নয়, শুধু বাদ্য যন্ত্রের যান্ত্রিকতা নয়, নয় চিৎকার করে চেঁচিয়া যাওয়া। একটি গান কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে ছিল অনন্য। প্রতিটি গানের কথায় আবেগ খেলা করে, প্রতিটি গানের সুর বুকের ভিতরে গিয়ে আঘাত করে, প্রতিটি ইন্সট্রুমেন্ট বিভোরতায় মুগ্ধকরে।। আর গায়কী ! ! ! সে আপনাদের বিবেচ্য।

এরপর একে একে নিয়ে আসে "সুখ(১৯৯৩)", "ঘুমন্ত শহরে(১৯৯৪)", "ফেরারী মন(১৯৯৬)", "স্ক্রু-ড্রাইভার(১৯৯৬) with Feelings","ক্যাপসুল-৫০০mg(১৯৯৬) with Feelings","স্বপ্ন(১৯৯৬)","আমাদের(Second Double-1998)","বিষ্ময়(Second Double-1998)","মন চাইলে মন পাবে(২০০১)","অচেনা জীবন(২০০৩)","মনে আছে নাকি নাই(২০০৫)","স্পর্শ(২০০৮)"। প্রতিটি অ্যালবাম এক একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে। ময়না(১৯৮৬), কষ্ট(১৯৯৫), একা(১৯৯৯), সময়(১৯৯৯), প্রেম তুমি কি?(২০০০), দুটি মন(২০০২), কাফেলা(২০০২),প্রেম প্রেমের মত(২০০৩) সহ বেশ কিছু সলো অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও এবি'র সুর ও সঙ্গীতায়োজনে রয়েছে অজস্র ব্যান্ড মিক্সড, সলো আর্টিস্ট অ্যালবাম। এগুলোর মধ্যে সারা বাংলাদেশ কাপানো, রাজকুমারী(ব্যান্ড মিক্সড), তুমিহীনা সারাবেলা(ব্যান্ড মিক্সড), তারা ভরা তারে(ব্যান্ড মিক্সড), আয়না(ব্যান্ড মিক্সড), ময়ুরী(ব্যান্ড মিক্সড) সহ আরো অনেক শ্রোতা নন্দিত অ্যালবাম। এছাড়া বাংলা গানের আরেক উজ্জল নক্ষত্র জুয়েল এর প্রতিটি সলো অ্যালবামের সুর ও সঙ্গীতায়োজন আইয়ুব বাচ্চুর করা। করে দিয়েছেন এমন অনেক অনেক শিল্পীর প্রথম সলো অ্যালবাম।

অন্যদিকে বাংলা ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামের সূচনা লগ্ন থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামের ফার্স্ট ট্র্যাক ছিল এবি'র করা। এমন মিক্সড অ্যালবামের সংখ্যা কম যেখানে এবি পারফর্ম করেনি। মিক্সড অ্যালবামে করা জনপ্রিয় গানগুলোর কিছু তুলে দিলামঃ "এখন অনেক রাত(অ্যালবাম-টুগেদার), তখনো জানতে বাকী(ঝড়), সারারাত তুমি(স্টার্স ২), ভাঙ্গা মন(ভাঙ্গা মন), সুখের পৃথিবী(সুখের পৃথিবী), কোথাও নেই আমি তুমিহীনা(তুমিহীনা সারাবেলা), ঈশারায় ডেকোনা(রাজকুমারী), রাজকুমারী(রাজকুমারী), সেই তারাভরা রাতে(তারা ভরা রাতে), পালাতে চাই(শক্তি),কার কাছে যাবো(ওরা ১১ জন), শেষ দেখা(শেষ দেখা), কতদিন দেখেনি দুচোখ(এখনো দু'চোখে বন্যা), বেলা শেষে(দাগ থেকে যায়), তুমি সেই মেয়ে(মিলেনিয়াম), মেয়ে(মেয়ে), ও আমার প্রেম(ও আমার প্রেম), কি করে বল্লে তুমি(বিতৃষ্ণা জীবন আমার), অভিমান নিয়ে(স্রোত), কোন অভিযোগ(আলোড়ন), ১২ মাস(১২ মাস), জানার কথা নয়(তারকা মেলা), তোমাকে ডেকে ডেকে(একটি গোলাপ), লোকজন কমে গেছে(ধুন), নীলাঞ্জনা(শুধু তোমারই কারণে), চিরদুঃখী(চিরদুঃখী), ফেরারী আমি তোমারই জন্য ফেরারী(চিরদুঃখী), হাসতে দেখ গাইতে দেখ(ক্যাপসুল ৫০০মিলিগ্রাম), নীল বেদনায়(ক্যাপসুল ৫০০মিলিগ্রাম), আহা ! জীবন(ক্যাপসুল ৫০০মিলিগ্রাম), জয়ন্ত(স্ক্রু-ড্রাইভার), নীরবে(স্ক্রু-ড্রাইভার), আমার ভালবাসা(স্ক্রু-ড্রাইভার), কিশোর কিশোরী(হারজিৎ), চোখের জলের কোন রং হয় না(মেহেদী রাঙ্গা হাত), আজ থেকে আর কখনো বলবো না ভালবাসি(দহন শুধু তোমার জন্য), বাড়ালে হাত বন্ধু সবাই হয় না(চিঠির উত্তর দিও), একা উদাসী মনে(একা উদাসী মনে), মন কেন যেতে চায় উড়ে(প্রেম), কেউ ভালবেসে কাছে টানে(টি & টি), সবুজ ঘর(টি & টি), একটায় মনে(অপরিচিতা), কিছু আশা ছিল(অপরিচিতা), অতশী(নীরবতা), যে রাতে রাত ছাড়া(ফিরে আয়), নীরবতা(নীরবতা), উদাসী মনে(নেই তুমি), দক্ষিণা বাতাস(দুঃখিনী মা), একটি নারী অবুঝ(একটি নারী অবুঝ) সহ এরকম শ-খানেক চরম শ্রোতানন্দিত গানের কথা বলা যাবে। এখানে উল্লেখ করা এক একটি গান এক একটি মাইলস্টোন। প্রতিটি গানের কথা নিয়ে আলাদা ভাবে গল্প তৈরী করা যাবে। এই গানগুলো যেমন ছিল। ঠিক তেমনই আছে। এই গানগুলোর স্থায়িত্ব কমে যায়নি। আবেদন কমে যায়নি। কমে যায়নি ভাললাগা। আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি এই গানগুলো আপনাকে সতেজ ভাললাগা দেবে। কোন কৃত্রিমতার ছোয়া নেই এই গানগুলোতে।।। প্রতিটি গানের কথা আপনাকে ভাবাবে।। প্রতিটি সুরে আপনি যত্ন ও আবেগের ছোয়া পাবেন। প্রতিটি গান আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে।। কিছু কিছু গান আপনার বুকের ভেতরে জমিয়ে রাখা অব্যাক্ত কথা গুলো বলে যাবে গানে গানে কানে কানে। কিছু গান হয়তো আপনাকে চোখের বর্ষায় ভাসাবে। হয়তো এই বর্ষার জন্য-ই আপনি অপেক্ষায় ছিলেন।।।

লেখাটি শুরু করেছিলাম আমার স্কুল জীবন থেকে। আবারও ফিরে এলাম স্কুল জীবনেই। ১৯৯৫ এবি'র কষ্ট অ্যালবামটি শুনে ব্যান্ড মিউজিকের প্রতি আকৃষ্ট হই।।। এরপর আর পিছু হঠতে হয়নি। সামনে এগিয়ে গিয়েছি। প্রচুর ক্যাসেট কিনতাম। ক্যাসেটের দোকানে গিয়ে পুরাতন যত ব্যান্ড ও মিক্সড অ্যালবাম ছিল কিনে এনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। তখন অবশ্য সারা বাংলাদেশে সুস্থধারার গানের শ্রোতা ছিল। এক একটি অ্যালবাম রিলিজ হত লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হত। এক একটা নতুন অ্যালবাম রিলিজ হওয়ার পর পাড়াতে পাড়াতে হিরিক পড়ে যেত।। গান, কথা, সুর নিয়ে আলোচনা হত হরদম। ঈদের সময় ব্যান্ড মিউজিক পিপাসুরা উন্মূখ হয়ে থাকতো নতুন অ্যালবামের প্রতীক্ষায়। এমন হয়েছে কাটতি এত বেশী ছিল যে, অ্যালবাম বিক্রি করতে গিয়ে শর্টেজ দেখা দিত। আমি নিজেই অনেক অ্যালবাম অগ্রীম বুকিং দিয়ে রাখতাম শেষে অ্যালবাম রিলিজ হলে যদি আবার না পাওয়া যায়। প্রতিটি অ্যালবাম রিজিল হলে সারা বাংলাদেশ কাপতো। টিভি ম্যাগাজিনে ঐ অ্যালবামের সবচেয়ে ভাল গানটির পরিবেশনা থাকতো।। সারা বাংলাদেশ এক সাথে শুনতো সেই সব গান। একটি অ্যালবাম মানে লক্ষ লক্ষ শ্রোতা মনের অভিন্ন ভাললাগা, অভিন্ন অনুভূতি, অভিন্ন উন্মাদনা।। কষ্ট যখন রিলিজ হয়েছে সারা বাংলাদেশ কেপেছে। এরপর রিলিজ হল ফেরারী মন-UNPLUGED আবারও সারা বাংলাদেশ কাপলো একসাথে।। বের হল প্রিন্স মাহমুদের সর্বাধিক জনপ্রিয়তা ধারার প্রথম অ্যালবাম "শেষ দেখা"। "নীরবে অভিমানে নিভৃতে/তুমি করছো তীলে তীলে নিজেকে শেষ/কেন বল পৃথিবীতে কেউ কারো নয়/হয়ে গেছে ভালবাসা নিঃশেষ/বন্ধু ভেঙ্গে ফেলো এই কারাগার/খুলে দাও খুলে দাও সে হৃদয়ে প্রণয়ের দ্বার/হতেও পারে এই দেখা শেষ দেখা/হতেও পারে এই গানই শেষ গান" দিয়ে কাপালো জেমস। একই অ্যালবামে হাসানের গাওয়া "এত কষ্ট কেন ভালবাসায়" সমস্ত প্রেমিক/প্রেমিকা হারা কপোত-কপোতীর সমস্ত চেতনা জুড়ে।। কেউ কেউ আবার পার্থর সুরে সুরে গায় "সময় আর কাটেনা/এলোমেলো যতসব ভাবনা/হৃদয় অবকাশে/ অভিমান ছুয়ে যায়" কিংবা শাফিনের "প্রতি রাতই নির্ঘুম রাত/আসেনা কিছুতেই প্রভাত/এভাবে জীবন কেটে যায় অস্থিরতায়" সহ খালিদের "আকাশনীলা"। অন্যদিকে সদ্য মাত্র কলেজে যাওয়া তরুণ-তরুণীদের প্রিয় অবসকিউরের টিপুর "আমার প্রথম সেই কলেজ জীবন/তোমাকে ঘিড়ে শুরু হল যখন"। এছাড়াও প্রিন্স মাহমুদের ঠিক পরের অ্যালবাম "এখনো দু'চোখে বন্যা" এখনো সারা বাংলাদেশ শোনে।। আর ঐ সময়ের চেহারা ছিল আরও ভিন্ন। জেমসের "মা" তখন সবার মুখে মুখে। যেই ছেলেটির মার কথা আর মনে নেই বিশেষ তেমন, সেই ছেলেটিও রাতের আকাশেই খুজে বেরাতো তার হারানো মাকে।।। জানে না কোথায় আছে তবুও হয়ত মনে করে রাতের আকাশের ঐ রহস্যের মাঝেই হয়ত তার মা তার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে। এ তো গেল শুধু জেমস ! ! ! এবি'র "কতদিন দেখিনি দু'চোখ" হাসানের "তুমি নিজে নিজে প্রশ্ন করে দেখ" ও "চলে যাও বন্ধু তুমি চলে যাও" শাফিন আহমেদের "কোন এক সাঝে দেয়া কথা/কোন আশ্বাস সাথী করে/রংধনু রঙ্গে একেছিলে/কেন হৃদয়ের ক্যানভাসে" খালিদের সর্বাধিক জনপ্রিয় গান "কোন কারণে ফেরানো গেলো না তাকে/ফেরানো গেলোনা কিছুতেই/কোন বাধনে কোন বাধনের বাধাতো গেলো না তাকে/বাধা তো গেলো না কিছুতেই/সে যে হৃদয় পথে রোদে এক রাশ মেঘ ছড়িয়ে/ হারিয়ে গেলো নিমিশেই"।। সহ টিপুর "জীবনে প্রথম প্রেমেরই স্মৃতি", পার্থর "সুস্মিতা", বিল্পবের "হৃদয়হীনা", নকীব খানের "ভালবাসা মানে"(ভালবাসার বহুরুপী সজ্ঞা পাওয়া জানা যায় এই গান শুনে) ও পিয়ারু খানের "দিঘীর জলে"। এই গানগুলো অনন্ত হাহাকার তৈরী করে।। কারো যদি ভালবাসার মানুষটি থেকেও থাকে তবুও একটা হাহাকার তৈরী করতে বাধ্য। এটা তো গেলো দুটি অ্যালবামের ঘটনা।। এরকম শত শত অ্যালবাম আছে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে। প্রতিটি অ্যালবাম নিয়ে লেখা যাবে এক একটি দীর্ঘ পোষ্ট। তবুও শেষ হবে না।। এই Discrete দুটি অ্যালবামের যতগুলো গান তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়ছিল কিংবা এখনো যেকরম জনপ্রিয়, এখনকার দিনের শতকরা ৪০ টা অ্যালবাম খুজেও এর মত দু'একটি অ্যালবাম তো দূরের কথা, ৫-৭ টা দীর্ঘস্থায়ী (বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে অনন্তকাল টিকে থাকার মত মৌলিক গান) মৌলিক গান পাওয়া দুষ্কর।।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মিউজিকের বর্ষন শুরু হয়েছে। এমন হয়েছে যে সেটা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা আকার ধারণ করে জমিতে পলি দেবার বদলের জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। এ আমার কোন উদাসীন কল্পনা নয়। বাংলা মিউজিকে অস্থিরতা ঠুকে গেছে।। আগে যেখানে একটা অ্যালবামের ১০টা গানের ভিতরে ৯ টা গানই হত শ্রোতানন্দিত। সেখানে আজ একটা অ্যালবামের ১২ টা গানের মাঝে ১টা ভাল গান খুজে বের করা মুশকিল।। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ধারার শিল্পীরা খাদ্য অখাদ্য মিলিয়ে সস্তা কিছু একটা বানিয়েই মার্কেটে ছেড়ে দেয়। অবশ্যই সস্তা;;;;;;--নয়তো কি ! ! ! বিশ্বাস হচ্চে না ? ? ? তাহসান দিয়ে শুরু করিঃ ব্ল্যাকের "উৎসবের পর", "আমার পৃথিবী" করে ব্ল্যাক থেকে বের হয়ে এসে সলো ক্যারিয়ার শুরু "কথোপকথন" দিয়ে এর পর একে একে "কৃত্যদাসের নির্বান", "আলো", "ইচ্ছে" ও "নেই"। সর্বশেষ অ্যালবাম তিনটির জাজমেন্টের দায়িত্ব শ্রোতাদের হাতেই তুলে দিলাম। কোন তাহসান দিয়ে শুরু করেছিলেন ? ? ? কোন তাহসান কে পাচ্ছেন ! ! ! একটু ভেবে দেখবেন।। এরপর ধরুন বালাম, হৃদয় খান, হৃদয় খানের ছোট ভাই(১৪ বছর বয়স) এই বয়সেই তিনি নাকি মিউজিক ডিরেক্টার(!!!!), মিলা, ফুয়াদ(চমৎকার সব গানকে নষ্ট করে দিতে এই ভদ্রলোকের জুড়ি নেই!!!!)। অনেক আগের একটা কথা শেয়ার করি।। কথাটা বলেছিলাম আমার কাছের বন্ধুদের যাদের সাথে গান নিয়ে মাঝে মাঝে আলোচনা হত। তখন ২০০০ সাল। ইতুন বাবুর কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে নতুন শিল্পী আসিফের সলো অ্যালবাম "ও প্রিয়া তুমি কোথায়?"। ঐ অ্যালবাম শুনে বলেছিলাম এই শিল্পীকে ৮-১০ বছর পরে খুজে পাওয়া যাবেনা।। তার কোন কোয়ালিটি ছিল না শুধু ঐ কণ্ঠ ছাড়া।। আর ঐ এক কণ্ঠ দিয়ে কত দিন চলা যায়। তেমনি বলছিঃ বালাম, মিলা, হাবিব (একটু সন্দিহান ! ! !), হৃদয় খান, কণা সহ আরো কয়েকজন যাদের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। আজ থেকে ৫-৬ বছর পরে এদের অনেকেই হারিয়ে যাবে। তারপর ধরুন ব্যান্ড সঙ্গীতের প্রথম ব্যাক্তি যিনি মিউজিক অল্টারনেশন করতে গিয়ে মূলধারার ব্যান্ড মিউজিকে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে।। গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালকঃ শওকাত। নিঃসন্দেহে শওকাত কিছু ভাল অ্যালবাম দিয়েছে। তবে তারচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে।। মূলধারা থেকে বিচ্যুতি গঠেছে ঠিক একই সময়ে বিপ্লবের প্রমিথিউসের। প্রমিথিউসের গান এখন আর কেউ শোনে না।। ঐ গুলো আর যাই হোক (সাহিত্যে যেমন সস্তা ও *টি ধারার সাহিত্য আছে তেমনি গানেও আছে! ! !) মননশীল গান বলা যাবে না।। এর জন্য অন্য একটা ক্লাস তৈরী হয়ে গেছে।। যারা প্রমিথিউসের ভক্ত ছিলেন তাদেরকে প্রমিথিউস যে আঘাত দিয়েছে তা ভুলবার নয়।।। তাদের কাছে প্রমিথিউস এখন মরে গেছে। এখনো তার প্রমিথিউসের আগের অ্যালবাম গুলো যেমনঃ প্রজন্মের সংগ্রাম, যোদ্ধা, রাজপথ, প্রমিথিউস ২০০০, স্মৃতির কপাট এই অ্যালবামগুলোতে পুরোনো প্রমিথিউসকে খুজে ফেরে।।। অন্যদিকে মূলধারার ব্যান্ড গুলো এখনো দিব্যি টিকে আছে। মাইলস(শাফিন,মানাম,হামিন,জুয়েল), এবি-এল.আর.বি, সোলস(পার্থ,নাসিম আলী খান), রেনেসা, জেমস(ফিলিংস/নগর বাউল), চাইম(খালিদ), অবসকিউর। কিছু ব্যান্ড যেমনঃ নোভা, ফিডব্যাক, মাকসুদ ও ঢাকা, আর্ক, উইনিং তাদের আভ্যন্তরিন জটিলতার কারণে মুখ থুবরে পড়েছে। সেটা কখনোই এমন নয় যে তারা কোয়ালিটি Ensure করতে পারছে না কিংবা তাদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে গেছে। জটিলতায় জড়ানো ব্যান্ড গুলো এখনো যদি জটিলতা কাটিয়ে উঠে এবং একই সাথে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলো বাজেট নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই তারা আগের সেই কোয়ালিটি ইনসিউর করবে এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। মূলধারার হার্ডরক ও মেটাল ব্যান্ড "ওয়ারফেইজ" এখনো বাংলাদেশে সেই আগের মতই জনপ্রিয়।। মিডিয়াকে এগিয়ে আসবে হবে। এগিয়ে আসবে হবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলোকে।। পপগুরু আযম খানের মৃত্যুর পর অবশ্য জানা গিয়েছিল পপগুরু নিজের টাকা খরচ করে অ্যালবামের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এত এত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থাকতে পপগুরুকে নিজের টাকায় অ্যালবাম বানাতে হয়েছিল।। উনি নাকি একটা সময় খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন এই দেখে যে কোন প্রতিষ্ঠান পপগুরুর অ্যালবাম বাজারজাত করতে রাজি নয়। অথচ ইভা রহমানের গানের মিউজিক ভিডিও সব বিদেশে ধারণকৃত, বালাম, মিলা, হৃদয় খানের অ্যালবাম বের করার জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলো উন্মুখ হয়ে থাকে।। এর কারণ কি ? ? ? ? বালাম, মিলা, হৃদয় খান কে গুটি কুড়ি বিশেক টাকা দিলেই গান গেয়েও আসবে সাথে নাচ ফ্রি পাওয়া যাবে। কিন্তু মূলধারার জনপ্রিয় ব্যান্ড গুলোকে গুটি বিশেক-চল্লিশেক টাকা দিয়ে তো অ্যালবাম করাতে পারবে না। আর সেই সাথে সস্তা-বাণিজ্যিক ধারার (*টি) গানও তারা গাইবেনা। এর আরেকটা মূল কারণ হলঃ সিডি পাইরেসি।। বড় বাজেটের অ্যালবাম-এ পাইরেসি হলে মূলধন তুলে আনাটায় কষ্টকর হয়ে উঠে। তবে এই ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত যেঃ যদি কোয়াটিলি মেইনটেইন করা হয় এবং সেই সাথে বাণিজ্যিক ধারার মনোভাব না রেখে সময় নিয়ে মিউজিক করা হয় সেক্ষেত্রে কোয়ালিটি অনেক ভাল হবে সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার ও মিউজিক ইন্ড্রাস্টিজ একটাসাথে যৌথভাবে কাজ করলে পাইরেসি অনেকটা কমে যাবে বলে আমার ধারনা।

বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের জনপ্রিয়তা দেখেছি একেবারে কাছ থেকে। অ্যালবামের কাভার হাতে নিয়ে ক্যাসেটের ফিতা সেকেন্ড বাই সেকেন্ড ঘুরে ঘুরে প্রতিটি গান শুনতাম। সাথে গানের লিরিক থাকলে মিলিয়ে নিতাম। গানের লিরিক চোখের সামনে নিয়ে গান শুনলে এমন কিছু উপলব্ধি হয় যা নরমালি হয় না।। আবেগটা অনেক অনেক বেশী আসে।। ভাবনা আসে আসলে গীতিকার কি মনে করে গানটা লিখেছিলেন, মাঝে মাঝে গায়কের উপস্থাপন রীতি থাকে অন্য রকম। শিল্পী গানের কথার পাশাপাশি সুর ও গায়কীর মাধ্যমে নতুন নতুন মেসেজ দিতেন। যার পুরোটায় উপলব্ধির বিষয়।। কখনো তুমি বলতে প্রেমিকা, কখনোবা স্বদেশ, কখনো বন্ধু, কখনোবা সমাজ কিংবা রাষ্ট্র।। আপনাদের কাছে অনুরোধ, মূলধারার গানগুলো অন্তত একবার শুনে দেখেন। ভাল লাগবে নিশ্চিত বলা যায় কিংবা যদিও বা ভালো না লাগে, খারাপ লাগার অবকাশ নেই।। ভাল, শৈল্পীক ও মননশীল চমৎকার সব পরিবেশনা আছে পুরোনো সেই গানগুলোতে।।

যারা নিয়মিত বাংলা মিউজিক শোনেন, তারা হয়তো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে থাকবেন কোন একটি নির্দিষ্ট গান শুনতে খুব খুব খুব ইচ্ছা করে যেই গানটি আপনি কোন একসময় শোনেছিলেন --- সেই গানটি আবার আপনার সবচেয়ে প্রিয় গানের একটি।। গানটি আপনি সিডি শপে খুজলেন কিন্তু পেলেন না।। বাংলা মিউজিক ওয়েব পোর্টালগুলোতে খুজলেন, ওয়েবেও কোথাও খুজে পেলেন না।। পরিচিত বন্ধুদের কাছেও নেই।। এবং সেই গানটি যদি হয় বাংলা ব্যান্ডের প্রথম দিকের অ্যালবাম তাহলেও আরো মুশকিল।। যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যালবামটি প্রকাশ হয়েছিল, দেখলেন সেই অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।। আপনার সমস্ত আশা-আকাঙ্খা মুখ থুবড়ে পড়বে। আশা ভঙ্গের বেদনায় বিভোর হয়ে থাকবেন।। কিন্তু হায় সেই গানটা শোনার জন্য যে প্রায়ই মনে হাহাকার উঠে।।

সেই সব গান প্রিয় মানুষদেরকে বলছিঃ সেইসব পুরোনো জনপ্রিয় গানগুলো গানপ্রিয় মানুষগুলোর কাছে পৌছে দিতেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন একজন।। সংগ্রহ করছেন বাংলা ব্যান্ডের পুরোনো হাজার হাজার গান।। বোধকরি বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড এ্যাসোসিয়েশান (বামবা)-ও বাংলাদেশের পুরোনো জনপ্রিয় হাজার হাজার গান সংগ্রহের কোন উদ্যোগ নেইনি। নেই কোন বাংলা ব্যান্ড মিউজিক আর্কাইভ।। বাংলাদেশে যেখানে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ পাওয়া ব্যান্ড সঙ্গীতের চমৎকার চমৎকার অ্যালবামগুলো ঐ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নিজেদের কাছেও নেই। যেই শিল্পী গান গেয়েছে তার কাছেও নেই। নেই মিউজিক পোর্টালগুলোতে যেখানে নতুন অডিও সিডি রিলিজের আগেই গান চলে আসে। সেইসব গানগুলো সংগ্রহ ও প্রচারের উদ্যোগে "রেডিও বিজি২৪" নামে একটি পেইজ, যেখানে দুর্লভ বলে কিছুই নেই।। আপনার যারা হারানো অনেক গান খুজে পাচ্ছেন না কোথাও, তারা নিঃসন্দেহে ঘুরে আসতে পারেন এই পেইজ থেকে।। আপনি হতাশ হবে না এই ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত।।

আর যেসব গানপ্রিয় মানুষগুলো ব্যান্ডের পুরোনো সেই গানগুলো শোনেন নি কখনো, তাদেরকে বলছিঃ অন্তত একবার শুনে দেখুন, বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে আপনার নতুন দিগন্তের দ্বার খুলে যাবে।। আমার কথা না হয় বিশ্বাস করে সেইসব গানগুলো একটি বারের জন্য শুনে দেখুন।।(ধরেই নেবেন আপনি আশাহত হবেন। তারপরও একটা লোক এত চাপাবাজি করে যাচ্ছে, সেই লোকের চাপার জোড় কেমন সেটাও পরখ দেখবেন আশা করি।)

ব্যান্ড সঙ্গীত এমই মন্ত্রমুগ্ধতার অজস্র কোলাহলে জীবনের সাথে মিশে গেছে। যেই কোলাহল ব্যস্ত নগরী ঘুমিয়ে পড়লে চাঁদের মৌন কোলাহলে ভরিয়ে দেয় চারপাশ।। জোনাক জ্বলা প্রটিতি রাতে অপেক্ষায় থাকে দূরের কারো অপেক্ষায় হয়তবা কখনো ভোরের কুয়াশায়, দুপুরের খড়তাপে কিংবা নিঝুম রাতের আধারে এক পশলা বৃষ্টিতে।

* বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে অবদান রেখেছেন এমন অনেক ব্যান্ড, গীতিকার, সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এর কথা হয়ত একবারের জন্যও উঠে আসেনি। ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখেও ঐসব ব্যাক্তিদের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। এই মুহুর্তে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিদের কথা স্মরণ করছি যাদের এই অস্থির সময়ে খুব খুব বেশি মিস করি

১. লতিফুল ইসলাম শিবলী (গীতিকার)

২. কাউসার আহমে চৌধুরী (গীতিকার)

৩. সালাউদ্দিন সজল (গীতিকার)

৪. শহীদ মোঃ জঙ্গি (গীতিকার)

৫. বাপ্পী খান (গীতিকার)

৬. নিয়াজ আহমেদ অংশু (গীতিকার)

৭. দেহলভী (গীতিকার)

৮. তরুণ (গীতিকার)

৯. আসিফ ইকবাল (গীতিকার) - উনি অবশ্য এখনো মাঝে মাঝে গান লিখেন নিয়মিতঃ লাস্ট অ্যালবাম সম্ভবত মাহাদীর বন্দনা পুরো অ্যালবামটা।

১০. আনন্দ (গীতিকার)

১১. লিটন অধিকারী রিন্টু (গীতিকার)

১২. আলী আকবর রুপু (সুরকার)

১৩. মিল্টন খন্দকার (গীতিকার --- সম্ভবত সুরকারও ছিলেন)

১৪. আহমেদ ইউসুফ সাবের (গীতিকার)

১৫. প্রয়াত প্রণব ঘোষ (গীতিকার)

১৬. লাকী আখন্দ (শিল্পী + সুরকার)

১৭. জুয়েল বাবু (সুরকার)

১৮. শান্তনু (গীতিকার)

১৯. আশরাফ বাবু (গীতিকার)

২০. জুলফিকার রাসেল (গীতিকার)

২১. আলাউদ্দিন আলী (সুরকার)

২২. প্রয়াত নীলয় দাশ (গায়ক)

২৩. প্রয়াত ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার)

২৪. প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু (সবকটি জানালা খুলে দাও না - - - এই গানটির জন্য আমি সারাটা জীবন এই লোকটিকে মনে রাখব)

২৫. প্রয়াত শেখ ইশতিয়াক (গায়ক)

লিঙ্কঃ রেডিও বিজি২৪ (বাংলার গান দিয়ে কাঁপিয়ে দিবো সারাবিশ্ব) RaDiO bg24

বিশেষ ধন্যবাদঃ আমার মামাতো ভাই তানভীন মাহিন অদ্রিকে যে আমাকে বাংলা বানান শুদ্ধি করনে সাহায্য করেছে।

এই সংকলনটি আমার আগামী একজনকে উৎসর্গীকৃতঃ

যে আমাকে চিনে নিবে তার আত্মার আত্মীয়তায় . . . . . . . . .

মোখলেছুর রহমান সজল

২৫.১০.২০১১


মন্তব্য

পাঠক এর ছবি

সাবাশ, লেখা পছন্দ হইছে।আমি প্রিন্ট মাইরা ব্যাগ এ ভইরা নিছি। বাস এ বইসা আমার কোন কাম থাকে না - মাইনষে আইপ্ড গুতায়, আর আমি বেয়াকুফ এর মতন এইদিক ঐদিক তাকাই।টাইট ফিটিং জিন্সের হাফপ্যান্ট দেখ্তে দেখ্তে আমি ক্লান্ত। আজকে এইটা পড়বো আরাম কইরা।

-মেফিস্টো

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@মেফিস্টোঃ

দুপুরের আকাশেতে রোচ্ছল বরষায় ক্যাপসুল ট্যাবলেটে/নদীর গভীর জলে নভেলের পাতাজুড়ে, চিড়ুনী আয়না তেলে/অটোসান চশমায় নিদ্রা অনিদ্রায় লতানো গোলাপ ঝাড়ে/কাটাভরা ক্যাকটাসে রংধনু চাদরে তোমাকে খুজি দিবানিশি ভালবেসে/তোমাকে খুজি এলোমেলো একাকী

তোমাকে খুজি --- জেমস
অ্যালবামঃ জেল থেকে বলছি

ধন্যবাদ। ভাল ও সুস্থধারার মিউজিকের পাশে থাকুন

নূপুরকান্তি এর ছবি

'ভ্রমর কইয়ো গিয়া শ্রীকৃষ্ণবিচ্ছেদের অনলে' হবে।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

বাংলা গান দিয়ে কাঁপিয়ে দিব সারা বিশ্ব। পাশেই থাকুন https://www.facebook.com/kokbd24

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@নূপুরকান্তিঃ ধন্যবাদ।

বাংলা গান দিয়ে কাঁপিয়ে দিবো সারাবিশ্ব

পাশেই থাকুন আর শুনতে থাকুন RaDiO bg24

মাসুম এর ছবি

তা ভাই রেডিওবিজি২৪ নাম দিয়া হাইপারলিংক এ আপনার ফেসবুকের লিংক দিছেন কেন? বাটপারী কইরা কাপাইবেন সারা বিশ্ব, নাকি?

আশফাক আহমেদ এর ছবি

(Y)

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@আশফাক আহমেদ ভাইঃ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ

আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

ভাল থাকুন ও সুস্থধারার মিউজিকের পাশে থাকুন এই প্রত্যাশায়

তানিম এহসান এর ছবি

আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো এই পোস্ট, প্রয়োজনীয়ও মনে হয়েছে।

বাংলাদেশের হেভি মেটাল যে পথযাত্রা শুরু বিশেষ করে ‘রকস্টার্টা’ ‘এইসেস’, ‘ওয়ারফেজ’ এর হাত ধরে সে কথাটা আমি আপনার সাথে যোগ করে যেতে চাই। বিশেষ করে ওয়ারফেজ এগিয়ে ছিলো সময়ের চাইতেও বহু আগে, সবসময়ই এগিয়ে থাকবে।

সোলসের একদম প্রথম অ্যালবামের ‘নদী এসে পর সাগরে মিশে যেতে চায়’, ‘ফরেস্ট হিলের এক দুপুরে’, ‘ভুলে গেছো তুমি’ কিংবা ’কান্দো ক্যানে মন’ গানগুলো শিশু বয়সেই কাবু করেছিলো যেমন করেছিলো ফিলিংসের ‘ষ্টেশান রোডে’র টাইট্যাল ট্র্যাক, ‘আগের জনমে’, ‘যদি এমন হতো কাশবনে’, ‘ঝাউবনের পথ ধরে’। জেমস ভাইয়ের প্রথম অ্যালবাম ‘অনন্যা’র গানগুলো খুব গাইতাম আমরা, নাসিম আলি খানের ‘যতিন স্যারের ক্লাশে’ আর বাচ্চুভাইয়ের ‘ময়না’, ‘ও বন্ধু তোমায় যখনই মনে পড়ে যায়’ একটা সময় মুখে মুখে ফিরতো। রেশাদ ভাইয়ের একটাই অ্যালবাম বেরিয়েছিলো যতদূর মনে পড়ে রেশাদ নামে - আহা, কি চমৎকার ছিলো সেই অ্যালবাম, বাজিয়েছিলেন সবাই - আশিকুজ্জামান টুলু, বাচ্চুভাই, জেমস, লাকি আখন্দ সহ সবাই (টুলু ভাইয়ের নাম যোগ করে যেতে চাই, যোগ করে যেতে চাই ফিডব্যাক, ফুয়াদ নাসের বাবু, মাকসুদ)। অরবিট বলে একটা ব্যান্ড বেশ সাড়া ফেলেছিলো। নব্বই এর দশকে ফুলার রোড ভিত্তিক কিছু ব্যান্ড গড়ে উঠেছিলো যেমন ‘সাডেন’, ‘লেসন ওয়ান’, চমৎকার চমৎকার সব গান ছিলো তাদের, আগুনের উত্থান সাডেন থেকেই। গীতিকার হিসেবে যোগ করে যেতে চাই দীপন ভাইয়ের নাম, মাইলস এর মোটামুটি সব জনপ্রিয় গানই দীপন ভাইয়ের লেখা; মাইলস এর ড্রামার ‘কানা মিথুন’ ভাইয়ের ড্রাম বাদন এখনো মনে পড়ে। এদের প্রায় সবাই মানুষ হিসেবেও চমৎকার।

এইদিন গুলো মনে করলেই খুব ভালো লাগে, সত্তর দশকের প্রজন্ম হিসেবে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক এর চূড়ান্ত উত্থান সাথে নিয়ে বড় হয়েছি। জয় হোক বাংলাদেশের ব্যান্ডের, কার্যকরী হোক বামবা।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@তানিম ভাইঃ ধন্যবাদ।

আমি আসলে পুরো বাংলা ব্যান্ড নিয়ে লিখিনি। লিখেছি শুধুই এবি'কে নিয়ে। তাও প্রায়শই বাঁক নিয়েছি এদিক সেদিক। দীপন ভাইয়ের কথা মনে পড়ছিল না ঠিক ঐ সময়। ধন্যবাদ এজন্য যে চমৎকার কিছু ইনফো শেয়ার করেছেন।

আমার এক ছোট ভাইকে দেওয়া কমেন্টঃ

তবে কিছু ব্যাপার আবারও বলি অর্থহীন, শিরোনামহীন, আর্টসেল, ক্রিপটিক ফেইট কিংবা অন্য কোন ব্যান্ড যেন এর সাথে জড়িয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবে। আমি আমার পোষ্টে পুরো বাংলার ব্যান্ড মিউজিক তুলে আনিনি। এনেছি শুধু এবি কে। অন্যদেরও নিয়েও লেখার ইচ্ছা আছে। তবে তুমি যদি অন্যদের এখানে টেনে আনো যাদের কথা আমার পোষ্টের কোথাও নেই, তাহলে আমি কিন্তু সত্যিই বিপদে পড়ে যাব।

Shared Facebook's Comments

আপনাকে রেডিও বিজি২৪ ভিজিটের নিমন্ত্রন(

ফিরতি পথেই এস তুমি ঠিকানা আমার পথের ধূলি (জেমস - লেইস ফিতা লেইস)

RaDiO bg24

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তানিম, একটা রক/মেটাল ব্যাণ্ড ছিলো যারা কোনওদিন তেমন একটা লাইমলাইটে আসতে পারেনি বা আসেনি। God's Bloody Hammer (GBH), এদেরকে ওয়ারফেইজ, রকস্ট্রাটা বা সমকালীনদের থেকেও অনেকে এগিয়ে রাখতেন।

মাইলস এর ড্রামার ‘কানা মিথুন’ ভাইয়ের ড্রাম বাদন এখনো মনে পড়ে।

কানা মিথুন নয়, উনি মাহবুবুর রশীদ ওরফে কানা মাহবুব। রকস্ট্রাটায় বাজাতেন এবং পরে মাইলসে আসেন। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী, নাসায় একজন সিনিয়র কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

তাজ ভাই, আমরা মিথুন ভাই ডাকতাম, থাকতেন ইস্কাটন গার্ডেন এ, আমার খালাতো ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন। ওনাদের গ্রুপটার সাথে সময় কাটিয়েছি। অসাধারণ একটা গ্রুপ, অসাধারণ একেকজন মানুষ|

এসব কিছুর জন্যই আমার খালাতো ভাই টুটুল ভাইয়ের কাছে আমার ঋণ এর কথা বলে শেষ করা যাবেনা।

নিটোল. এর ছবি

বিশাল পোস্ট। ভালো লাগল।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@নিটোল ভাইঃ ধন্যবাদ

ভাল ও সুস্থধারার মিউজিকের পাশে থাকুন

উচ্ছলা এর ছবি

ভালো লেগেছে (Y)

বুঝলাম যে অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে ফোকাস করতে চেয়েছেন: বাচ্চু, এলআরবি, সোলস, বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে যাঁদের অসামান্য অবদান ইত্যাদি। এ ব্যাপারটিতে আপনার আগ্রহ এবং জ্ঞান আসলেই প্রশংসনীয়।

আপনি আলাদা আলাদা করে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে লিখলে আমার মত অস্থিরমতি পাঠকদের একটু সুবিধা হয়। বড় পোস্ট দেখলেই আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই! হাঁসফাঁস লাগে!! আবার বড় পোস্ট স্কীপ করতেও পরানে ব্যথা লাগে, যদি ভালো কিছু মিস করে ফেলি :(

শুভেচ্ছা।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@উচ্ছলাঃ ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

আমি মূলত এবি'কে ফিচার করতে চেয়েছি। এবি'কে শুধু এককভাবে বললে তার সম্পর্কে ভাল বলা হবেনা ভেবেই লেখাতে অনেকবার বাঁক নিয়েছে। প্রত্যক ব্যান্ড ও শিল্পীকে আলাদা ভাবে ফিচার করে পোষ্ট আসবে। অপেক্ষায় থাকুন।

আর শুনতে থাকুন রেডিও বিজি২৪ RaDiO bg24

স্বপ্নহারা এর ছবি

(Y)

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@স্বপ্নহারাঃ ধন্যবাদ।

সুস্থধারার মিউজিকের সাথে থাকুন

অলস ফানুস এর ছবি

গান গুলোর কথার সাথে জীবন কিংবা সময়ের মিল খুজে পাওয়া যায় চাইলেই। তাই হয়ত এখন বলতে পারি " আমাদের বাংলা গানগুলো অন্য যেকোন গানের চেয়ে কোন অংশে কম পরিপূর্ণ নয়। এখনও ঐ সময়ের গানগুলো শুনলে জেমস এর মত গাইতে ইচ্ছে করে " কবিতা, তুমি সপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না"

সুখের খবর এইযে, এখনও ভাল গান আসে, পাই এখনও নিজের অজান্তেই মনে মনে চলে আসার মত কিছু গান। শিরোনামহীন এর - প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালা, বাংলাদেশ, ইচ্ছে ঘুড়ী সহ আরো অনেক গান, অ্যালবাম, ব্যান্ড আমরা পাচ্ছি। কতদিন পাব সেটাই হচ্ছে ভাবনা। লেখা পড়ে অনেক অনেক ভাল লেগেছে।
radioBG24 লিঙ্ক টি দেবার জন্য অনেক অনেক (ধইন্যা)

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@অলস ফানুসঃ ধন্যবাদ

সুখের খবর এইযে, এখনও ভাল গান আসে, পাই এখনও নিজের অজান্তেই মনে মনে চলে আসার মত কিছু গান। শিরোনামহীন এর - প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালা, বাংলাদেশ, ইচ্ছে ঘুড়ী সহ আরো অনেক গান, অ্যালবাম, ব্যান্ড আমরা পাচ্ছি। কতদিন পাব সেটাই হচ্ছে ভাবনা।

ভাল ও সুস্থধারার মিউজিকের সাথেই থাকুন

অলস ফানুস এর ছবি

গান গুলোর কথার সাথে জীবন কিংবা সময়ের মিল খুজে পাওয়া যায় চাইলেই। তাই হয়ত এখন বলতে পারি " আমাদের বাংলা গানগুলো অন্য যেকোন গানের চেয়ে কোন অংশে কম পরিপূর্ণ নয়। এখনও ঐ সময়ের গানগুলো শুনলে জেমস এর মত গাইতে ইচ্ছে করে " কবিতা, তুমি সপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না"

সুখের খবর এইযে, এখনও ভাল গান আসে, পাই এখনও নিজের অজান্তেই মনে মনে চলে আসার মত কিছু গান। শিরোনামহীন এর - প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালা, বাংলাদেশ, ইচ্ছে ঘুড়ী সহ আরো অনেক গান, অ্যালবাম, ব্যান্ড আমরা পাচ্ছি। কতদিন পাব সেটাই হচ্ছে ভাবনা। লেখা পড়ে অনেক অনেক ভাল লেগেছে।
radioBG24 লিঙ্ক টি দেবার জন্য অনেক অনেক (ধইন্যা)

নিশা এর ছবি

অনেক চমৎকার একটি লেখা। খুব ভাল লাগল =DX

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@নিশাঃ ধন্যবাদ

ভাল ও সুস্থধারার মিউজিকের পাশে থাকুন আর শুনতে থাকুন RaDiO bg24

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

লেখাটি চমৎকার লেগেছে। প্রয়াত প্রণব ঘোষ কিন্তু সুরকার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। জুয়েল-বাবু আমার ব্যাণ্ডমেট ছিলো। ওরা অনেকদিন হয়ে গেলো আলাদা কাজ করে। জুয়েল তার চাকরীর ক্যারিয়ারে বুঁদ হয়েছে আর আজমীর বাবু পুরোদস্তুর সঙ্গীত পরিচালক, তা'ও তো অনেকদিন হয়ে গেলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@রাতঃস্মরণীয় ভাইয়াঃ ধন্যবাদ আমার কমেন্টের জন্য।

গীতিকার প্রণব ঘোষকে আমি নিজেও চিনি না। আমি সুরকার হিসেবেই চিনি।(অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভুলটা হয়েগেছে এবং আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি)। ধন্যবাদ কারেকশানের জন্য।

জুয়েল-বাবু একসাথে অনেক চমৎকার চমৎকার সব অ্যালবাম উপহার দিয়েছে সেটা বাংলা ব্যান্ড মিউজিক সব-সময়ই তাদের স্মরণ করবে। উনাদের ছাড়া বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না একথা নিশ্চিতই বলা যায়।

মেঘে মেঘে কাটলো যখন বেলা
তখন দেখি চারিদিকে তোমার অবহেলা
সূর্য যখন কপালজুড়ে টিপ
ভালবাসার বন্দিশিবির দূরের নিঝুম দীপ
ইচ্ছে করলে নিতে পারো আমার দেয়া নাম
এর বদলে নাইবা দিলে ভালবাসার দাম

ব্যার্থ-সময় ---- জেমস
সুর ও সঙ্গীতঃ জুয়েল-বাবু
অ্যালবামঃ সন্ধি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হাতিরপুলের একটা স্টুডিওতে এই গানটার প্রথম রেকর্ডিং সেসনে আড্ডায় ছিলাম। তখন গানটা রেকর্ডিং হয়েছিলো-

অলকা, তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না।

পরে বাজারে ছাড়ার আগে 'অলকা' বাদ দিয়ে 'কবিতা' বসিয়ে ভয়েস রিটেক করা হয়।

আমি কিন্তু বলবো জুয়েল-বাবু ব্যাণ্ড মিউজিকে খুব একটা কন্ট্রিবিউট করতে পারেনি কারন ওরা সলো, মিক্সড, এইগুলোতেই বেশি কাজ করেছে। তবে ব্যাণ্ড মিউজিক চালিয়ে গেলে ওরা নিঃসন্দেহে খুবই ভালো করতো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@রাতঃস্মরণীয় ভাইয়াঃ ধন্যবাদ আপনাকে।অলকা, তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না।

অলকা, তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না।

সত্যিই আমার জানা ছিল না। ভাইয়া ইনফো শেয়ার জন্য ধন্যবাদ। চমৎকার একটা ইনফো শেয়ার করেছেন।

জুয়েল-বাবু প্রসঙ্গে অবশ্য আমি উনাদের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম গুলোকেই প্রাধাণ্য দিয়েছিলাম।
আপনার চমৎকার কো-অপারেশান আমাকে মুগ্ধ করেছে।

দিহান এর ছবি

অসাধারণ!!
আর কদিন পর একটু চালাক চতুর (হাচল) হয়ে উঠলে এরকম একটা লেখা দিয়ে অন্তত তিনটা পোস্ট বানাতে পারবেন।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@দিহানঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বাংলা গান দিয়ে কাঁপিয়ে দিবো সারাবিশ্ব

শুনতে থাকুন রেডিও বিজি২৪ RaDiO bg24

শাহরিয়ার এর ছবি

পুরাই নষ্টালজিক করে দিলেন।
সেই ৯১/৯২ সাল থেকে ব্যান্ডের গান শুনে আসছি... ক্যাসেটের ফিতার পরতে পরতে থাকা সেইসব দারুন ভাললাগার, হারিয়ে যাবার অনুভূতিগুলো আর কোনদিনই পাবোনা এখনকার গান শুনে, জানি; তাই এখন গানও শুনিনা!! পুরাতন সেই গানগুলোর জন্য মনের মধ্যে হাহাকার করে। তাই যখনি (৩/৪ মাস আগে) ফেসবুক পেজটার সন্ধান পেয়েছি, সদস্য হয়ে গেছি।

আপনাকে ও মন্তব্য করা ব্লগারদের আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।

গুঞ্জন চৌধুরী এর ছবি

শিরোনামটা দেখেই পড়ার আগ্রহ হলো, কিন্তু পড়তে গিয়ে হতাশ হলাম। প্রথমত, খুবই অগোছালো লেখা। দ্বিতীয়ত, লেখকের অপরিণত আবেগ এত বেশি মাত্রায় চলে এসেছে লেখায় যে, বস্তুনিষ্ঠতা প্রাশঃ রক্ষা করা যায়নি। প্রিয় শিল্পীর প্রতি অন্ধ আকর্ষণের বলী হয়ে সমসাময়িক অনেক শিল্পীর কথাই উল্লেখ করা হয়নি। "বাংলা ব্যান্ড মিউজিক ---- দাগ থেকে যায়" - এই শিরোনামের রচনা কেনই বা একজন শিল্পীর গুণকীর্তণে আবদ্ধ থাকবে? এলআরবি বা আইয়্যূব বাচ্চুর অবদান বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে অনস্বীকার্য, তাতে দ্বিমত নেই; কিন্তু বাংলা ব্যাণ্ড সঙ্গীতকে সঙ্গীতবোদ্ধাসহ সমাজের সর্বমহলে স্বীকৃত করতে যারা অবিরাম কাজ করে গেছেন, সেই মানুষদের স্বীকৃতি কোথায়? ফিডব্যাকের কোনো গানই কি বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে স্থায়িত্ব পায়নি? মাকসুদের লিরিক, গায়কী আর রকস্টার এটিটিউড-এর ধারে কাছে সমকালীন কেউ কি ছিলেন? ১৯৯০-এর ডিসেম্বরে লেখকের বয়স কত ছিলো জানিনা, কিন্তু সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে (এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ও মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে আয়োজিত) বামবা'র কনসার্ট যে দেখেনি, সে আসলে বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক প্রসঙ্গে এখনো মায়ের পেটেই আছে! দু'পাশ থেকে অস্ত্র বাগিয়ে ধেয়ে আসছে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডাররা, গুলি আর হাত বোমার শব্দে প্রকম্পিত চারিধার, বারুদের গন্ধে শ্বাস নেয়া যায় না - এই পরিস্থিতিতে সমস্ত ব্যান্ড শিল্পী দিগবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পালাচ্ছেন আর ঠিক তখনই কিনা মধুর ক্যান্টিন থেকে ছুটতে ছুটতে মঞ্চে উঠে আসলেন মাকসুদ! আমার নিজের চোখে দেখা, আইয়্যূব বাচ্চু, জেমস, টিপু, তপন চৌধুরী এমনকি ফিডব্যাকের দলনেতা ফোয়াদ নাসের বাবু (আমি সেই কনসার্টে গেছিলাম বাবু ভাইয়েরই সাথে)সহ সবাই তাকে বাধা দিচ্ছেন মঞ্চে না উঠতে, তাদের সবার সতর্কবাণী উপেক্ষা করে বামবা'র প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন সভাপতি মাকসুদ মঞ্চে উঠে গেলেন। পড়ে থাকা একটা মাইক্রোফোন তুলে নিয়ে ঘোষণা করলেন- "আমি মাকসুদ বলছি। ফিডব্যাকের মাকসুদ, মেলায় যাইরে'র মাকসুদ। আর একবার কেউ বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলে আমি গান ছেড়ে দেবো। আমার ক্যাম্পাস, আমার তীর্থভূমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কসম, আমি মাকসুদ আর গান করবো না। আমার ক্যাম্পাসের, আমার সতীর্থরা বন্দুক নিয়ে গোলাগুলি করে - এই লজ্জা আমি কোথায় রাখি!" - এই বলে মাকসুদ ভাই নেমে গেছিলেন, তার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁকে আবার মঞ্চে তোলা হয়েছিল, হাত ধরে তুলে এনেছিলেন ডাকসুর তৎকালীন সভাপতি আমানুল্লাহ্ আমান। সাথে ছাত্রলীগের নেতাও ছিলেন, এখন তার নাম মনে করতে পারছি না।

আরেকটা কথা না বলেই পারছি না। "...বালাম, মিলা, হৃদয় খানকে গুটি কুড়ি বিশেক টাকা দিলেই গান গেয়ে দিয়ে আসবে..." এই জাতীয় একটা কথা পড়ে খুবই বিরক্ত হলাম। এই উদ্ভট ধারণা লেখকের মাথায় কোত্থেকে আসলো, বলবেন কি? লেখকের কারো প্রতি ব্যক্তিগত অপছন্দ থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে তিনি কারো চরিত্র হনন করতে পারেন না। এটা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে কে কোন্ চরিত্রের - তার কতটাই বা তিনি জানেন? প্রয়োজনটাই বা কী সেই আলোচনায় যাবার? আমি তো আমার প্রতিবেশী বাড়ির ছাদ থেকে গভীর রাতে আইয়্যূব বাচ্চুর কণ্ঠ শুনে হতভম্ব হয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছি। হুবহু বাচ্চু ভাইয়ের গলায়, তারই সিগনেচার টিউনে গিটার বাজিয়ে গান করে কে - দেখার জন্য রাত দেড়টায় সাত তলা সিঁড়ি ভেঙ্গে সেই ছাদে গিয়ে দেখি স্বয়ং আইয়্যূব বাচ্চু! বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের জীবন্ত কিংবদন্তী, এশিয়ার অন্যতম সেরা গিটারিস্ট (এটা অবশ্য এক রকম জোর করেই বলা, কারণ বাচ্চু ভাই নিজে মুখে একদিন আড্ডায় বলছিলেন, সিঙ্গাপুরে এক গিটার শপের টিনএজ পার্টটাইম "সেলসবয়"-এর গিটার বাজানো শুনে তিনি এতটাই ভড়কে গেছিলেন যে কিছুতেই স্বীকার করেননি যে তিনিও গিটার বাজান!) মাত্র ১৫ হাজার টাকার "খ্যাপ" মারতে চলে এসেছেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে! বিশ্বাস করা খুবই কঠিন, কিন্তু ঘটনা সত্য। আমার কাছে সেই অনুষ্ঠানে তোলা বাচ্চুভাইয়ের সাথে আমার নিজের ছবিও আছে, চাইলে আপলোড করতে পারবো। ... অথচ হৃদয় খান বা বালাম বা মিলাকে কিন্তু তাদের নির্ধারিত সম্মানীর বিনিময়েও কোনো প্রাইভেট ফাংশানে গান গাওয়ানো যাবে না। এন্ড্রু কিশোর তার আপন ভাগ্নীর বিয়েতেও গান করেন নি (তৎকালীন কানাডাস্থ বাংলাদেশী হাই কমিশনারের অনুরোধ সত্বেও!), কেননা সেটা প্রাইভেট ফাংশান ছিলো।

আর শেষ একটা কথা। তানভীন মাহিন অদ্রিকে ধন্যবাদ না দিলেও মনে হয় চলতো, কেননা অজস্র পরিমাণে বানান ভুল! অবশ্য কোন্ বানানটা ঠিক আর কোন্‌টা ভুল - সে সম্পর্কে আদৌ কোনো ধারণা না থেকে থাকলে সেটা অন্য কথা!!

ধন্যবাদ।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@গুঞ্জন দাঃ ধন্যবাদ আগ্রহ নিয়ে এসে হতাশ হয়ে কমেন্টে চলে আসার জন্য।

আমি ধরেই নিচ্ছি আপনি আমার পুরো পোষ্টটা পড়েন নি।

তাই শুধুমাত্র আপনার জন্যই আমি আমার মূল পোষ্টের একটা উদৃতি তুলে দিলামঃ

* বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে অবদান রেখেছেন এমন অনেক ব্যান্ড, গীতিকার, সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এর কথা হয়ত একবারের জন্যও উঠে আসেনি। ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লিখেও ঐসব ব্যাক্তিদের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। এই মুহুর্তে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিদের কথা স্মরণ করছি যাদের এই অস্থির সময়ে খুব খুব বেশি মিস করি

ফিডব্যাক ও মাকসুদুল হক ও ঢাকার সেই শুরুর দ্বিতীয় থেকেঃ

উল্লাস(১৯৮৭)
মেলা(১৯৯০)
জোয়ার(১৯৯২/এইচ.এম.ভি)
বঙ্গাব্দ ১৪০০(১৯৯৪)
দেহঘড়ি With আব্দুর রহমান বয়াতী(১৯৯৫)
বাউলিয়ানা(১৯৯৬)
আর ফিডব্যাকের ০২ কথা আমি সচারাচর উল্লেখ করতে চাইনা

এবার মাকসুদ ও ঢাকার কথা বলিঃ
অ(X)প্রাপ্ত বয়স্কের নিষিদ্ধ(১৯৯৭)
ওগো ভালবাসা(১৯৯৯)
বৈশাখী ঝড়ের রাত্রিতে(২০০১-২০০২)
মা আরেফতের পতাকা(২০০৬)

এর প্রতিটি অ্যালবাম কিনে হাজার হাজার বার শুনে শুনে মুখস্থ হয়ে আছে। মাকসুদুল হক ও ফিডব্যাক কে আমি কি মনে করি সেটা আপনার কাছে বিশাল পোষ্ট আকারেও দিতে চাচ্ছি না।

এর বাইরে আপাতত কিছুই বলছিনা। আমি একজন অথিতি ব্লগার হিসেবে লেখাটা পোষ্ট দিয়েছি।। ব্লগের প্রতিটি কমেন্ট মডারেশান বোর্ড পার হয়ে আসতে দেরী হয়। তাই আপনার সদুত্তর এর জন্য একটু অপেক্ষায় থাকতে হবে।
আমার জন্ম সাল আপনাকে বলে দিইঃ ১৯৮৭। এবার হিসাব করে দেখবেন আমার বয়স কত হতে পারে। সেই তুলনায় মিউজিক নিয়ে কি লিখছি।

তবে আমার পরবর্তী পোষ্টের জন্য আমার কাছ থেকে লেখা চেয়ে নেব এবং সেই সাথে বানান শুদ্ধিকরণের উটকো ঝামেলাটাও বোধ করি থাকবেনা। ।

গুঞ্জন চৌধুরী এর ছবি

এই মন্তুব্যটি প্রথমে প্রকাশিত হয়নি। এর নিচেরটি আগে চোখে পড়েছিল, তাই সেটার উত্তর আগে দিয়েছিলাম। এটা এইমাত্র দেখলাম। দেখে নিরতিশয় বিরক্ত হলাম "আমি ধরেই নিচ্ছি আপনি আমার পুরো পোষ্টটা পড়েন নি।" বাক্যটা পড়ে। আমার সম্পর্কে কে আপনাকে "ধরেই" নেবার অধিকার দিয়েছে বলুন তো? বোকা নাকি? পুরোটা না পড়েই মন্তব্য করবো এতটা মূর্খ আমাকে ভাবলেন কী করে আপনি? বরং নিজেই তো আপনি মন্তব্য করলেন পলিটিশিয়ানদের কায়দায়। মূল রচনায় লেখা তিন-চার লাইনের ছোট্ট একটা অনুচ্ছেদ (সেই অনুচ্ছেদও এতটাই সংক্ষিপ্ত যে, তা দেয়া না দেয়া সমান কথা। অন্তত তাদের অবদানের বিপরীতে এই অনুল্লেখযোগ্য উল্লেখের কোনো মানেই হয়না)-কে উদ্ধৃত করলেন তার নিচে আরো অনেক অনেক তথ্য সংযোজন করে! এই সংযুক্তি মূল প্রবন্ধ লেখার সময় কোথায় ছিলো? সেখানেও তো তথ্য বিকৃতি আছে। ফিডব্যাকের প্রথম অ্যালবাম "উল্লাস" নয়, ফিডব্যাক সেল্ফ টাইটেল্ড, যা প্রকাশ হয়েছিল ৮৩ সালে। আর উল্লাস প্রকাশিত ৮৫ তে, মেলা ৮৮তে এবং জোয়ার ৯১-এর ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ) প্রকাশিত হয় এইচএমভি থেকে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড হিসেবে এইচএমভি থেকে অ্যালবাম প্রকাশের কৃতীত্ব অর্জন করে ফিডব্যাক, তাও একবার নয়, দুই দুইবার (প্রথমটি জোয়ার, দ্বিতীয়বার এই শতাব্দির ফিডব্যাক - ২০০১-এ প্রকাশিত; বাংলাদেশে এই অ্যালবামের কয়েকটি গানের সাথে নতুন ক'টি গান নিয়ে ২০০২-য়ে প্রকাশ পায় ফিডব্যাক O2)।
আপনি জানেন কিনা জানিনা, এইচএমভি আমাদের দেশের সাউন্ডটেক সঙ্গীতা'র মতো শুধুই একটা অডিও পরিবেশক কোম্পানী নয়। দ্য গ্রামোফোন কোম্পানী অব ইন্ডিয়া (ব্র্যান্ড নেম 'হিজ মাস্টার্স ভয়েস' বা 'এইচএমভি') ভারতবর্ষের প্রাচীনতম অডিও প্রকাশনা সংস্থা, যেখান থেকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নজরুলের স্বকণ্ঠের গান ধারণ করা হয়েছে। এইচএমভি থেকে এলবাম প্রকাশ করতে হলে তাদের স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করতে হয়, তারও আগে তাদের জুরীবোর্ডের দ্বারা মনোনীত হতে হয়। সেই জুরীবোর্ডের এক সময়কার সদস্য ছিলেন সলিল চৌধুরী, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুবীর সেন প্রমুখ দিকপালগণ। আজ কোলকাতার ব্যান্ডগুলো সারা পৃথিবীর বাংলাভাষীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে, কিন্তু তারা এখনো কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে, ফিডব্যাক যদি এইচএমভি থেকে রেকর্ড না করতো, অজস্রবার কোলকাতায় কনসার্ট না করতো, তারা হয়তো আগ্রহই বোধ করতেন না বাংলায় রক ব্যান্ড গড়ে তোলার।

এ তো গেল ফিডব্যাকের কথা। লাকি আখন্দ-এর কথা বললেন, হ্যাপির কথা ভুলে গেলেন? নাকি জানেনই না! চলো না ঘুরে আসি, কে বাঁশি বাজায় রে, বাংলাদেশ, এই নীল মণিহার (হ্যাপির লেখা ও কম্পোজিশন, লাকি আখন্দের গাওয়া) গানগুলো শুনে দেখবেন। সমসাময়িক অনেক গ্রেট মিউজিশিয়ানের আইডল ছিলেন হ্যাপি, যদিও বয়সে তাদের চেয়ে অনেক ছোটই ছিলেন। এই গ্রেটদেরই একজন আইয়্যূব বাচ্চু, আমার মনগড়া তথ্য নয়, বাচ্চুভাইয়ের নিজের মুখে শোনা। নয়ন মুন্সী নামে আরেক গিটারিস্ট ছিলেন, যার বাজনা শুনে বাচ্চু ভাইয়ের মনে হয়েছিলো, কার্লোস স্যান্টানা বা জিমি হেনড্রিক্স-রা বাংলাদেশে জন্ম নেবেন না- এই কথা সত্য নয়। নয়ন যদি স্যান্টানা হতে পারেন, তো বাচ্চু কেন হেনড্রিক্স হতে পারবে না? এখনো দ্বিধাহীন কণ্ঠে বাচ্চু ভাই ঘোষণা করেন, স্যান্টানা বা হেনড্রিক্স নন, বরং নয়ন মুন্সীই তাঁর গিটারের আইডল। এই নয়ন মুন্সী ছিলেন বাচ্চু ভাইয়ের চেয়ে প্রায় ৪-৫ বছরের ছোট, আলমগীর নামক পাকিস্তান প্রবাসী শিল্পী (আমায় ভাসাইলি রে, হাড় কালা এইসব গান রিমেক করে বিখ্যাত হয়েছিলেন)-র ছোট ভাই। নয়ন মুন্সীর'ই আপন ভাগ্নে মেরাজকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষ ব্লুজ গিটারিস্ট। ... তো, নয়ন যেভাবে বাচ্চু ভাইকে গিটারে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, হ্যাপিও সেভাবে পিয়ানোতে মুগ্ধ করেছিলেন ফোয়াদ নাসের বাবু, মানাম আহমেদ, আশিকুজ্জামান টুলু কিংবা স্বয়ং লাকী আখন্দকেও (যদিও বড়ভাই লাকীর কাছেই পিয়ানোয় হাতেখড়ি তাঁর)।

ডিফরেন্ট টাচ্-এর শ্রাবণের মেঘগুলো-কে বাদ দিয়ে বাংলা ব্যান্ডের ইতিহাস কেউ লিখতে পারবে? নোভা'র রাজাকারের তালিকা চাই শুনেছেন? উত্তরবঙ্গের একমাত্র ব্যান্ড নর্দান স্টার (যে ব্যান্ডের মাহমুদ জুয়েল এখনো সলো সিংগার হিসেবে গান করে চলেছেন, ডলি সায়ন্তনীর কণ্ঠে বেশ কিছু হিট গানের গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেন), এখনো সগর্বে টিকে থাকা ওয়ারফেজ, অর্থহীন - এদের কথা কোথায়? আজম খানের প্রথম ব্যান্ড অস্থির- যার গিটারিস্ট ছিলেন আইয়্যূব বাচ্চু, পরবর্তীতে উচ্চারণ, নাজমা জামানের জিঙ্গা শিল্পী গোষ্ঠী কিংবা বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড লাইটনিং (চট্টগ্রামে গঠিত, অবশ্য এই ব্যান্ডের প্রায় সবাই ছিলেন বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী), দেশের প্রথম ফিমেল রকস্টার শম্পা রেজা (ঠিকই ধরেছেন, অভিনেত্রী শম্পা রেজার কথাই বলছি। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি রক সেনসেশন ছিলেন, যদিও কেবলই ইংলিশ নাম্বার করতেন), আরেক সেনসেশন সাবা তানি- এদের গান কি শুনেছেন কখনো? বাংলা ব্যান্ডের প্রথম অনুপ্রেরণা "পপ পেন্টা" বা "আজম খান, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজ ও ফেরদৌস ওয়াহিদ" - এই পঞ্চপাণ্ডবের কথাও তো উল্লেখ করেননি কোথাও।

আর গীতিকার সুরকারের যে তালিকাটি দিয়েছেন, সেখানে ২১ নাম্বারে লিখেছেন সুরকার আলাউদ্দিন আলী'র নাম যিনি কোনোভাবেই ব্যান্ড সঙ্গীতের সাথে সম্পৃক্ত নন (কেবলমাত্র ব্যক্তিগতভাবে ফোয়াদ নাসের বাবু ও আইয়্যূব বাচ্চু'র উৎসাহদাতা হিসেবে)। তথাপি তাঁর নাম যদি উল্লেখ করতেই হয়, তো ২১ নম্বরে কেনো? বাই দ্য ওয়ে, "সবক'টা জানালা খুলে দাও না..." কি ব্যান্ডের গান? যদি তাই হয়ে থাকে তো সাবিনা ইয়াসমীনের ব্যান্ডের নামটি উল্লেখ করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

আপনার জন্মসাল থেকে জানতে পারলাম, আপনার বয়স ২৪ বছর। ২৪ বছর অনেক সময়। হ্যাপি চলে গেছেন ২১-এই, নয়ন মুন্সীর বয়স তো আরো কম ছিল- মাত্র ১৯! আর আপনি যাদেরকে আপনার লেখায় গ্রেট বলে উল্লেখ করেছেন, তাঁরা সবাই ২৪তম জন্মদিনের আগেই দেশব্যাপি ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছেন। লেখালেখির জন্যও ২৪ খুব কম বয়স নয়। ২১ বছরে সুকান্ত মারা গেছেন। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে ২১ বছর বয়সেই লেখা। সুন্দর একটা রচনা / প্রবন্ধ লিখতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্য লাগে (যা ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন খুবই সহজলভ্য), আর লাগে সুন্দর সাবলিল ভাষাজ্ঞান; এক্ষেত্রে বয়সগত পরিপক্কতা একেবারেই মূখ্য নয়।

"আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য আমার কাছ থেকে লেখা চেয়ে নেবেন" - এটাই বোঝাতে চেয়েছেন তো (যদিও লিখেছেন "আমার কাছে থেকে লেখা চেয়ে নেব")? আমি আপনাকে পোস্ট করার জন্য লেখা দেবো কেনো, যদি আমি নিজেই পোস্ট করতে পারি? ... হা হা হা, আসলে আপনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, আমার কাছ থেকে তথ্য চেয়ে নেবেন, তাই তো? সেটা আপনি সব সময়ই চাইতে পারেন, যতটা আমার ভাণ্ডারে আছে, সরবরাহ করতেও আপত্তি নেই। আপনাকে সবসময় সুস্বাগতম। [দেখলেন তো, বানান ভুল বা ব্যাকরণ ভুলের কারণে কীভাবে বাক্যের অর্থ বদলে যায়? হাতে হাতে প্রমাণ দিয়ে দিলেন, আপনি নিজেই... হা হা হা]

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@গুঞ্জন দাঃ আপনাকে দেওয়া আমার প্রথম কমেন্টটি আবারও একটু দয়া করে দেখবেন আশা করি।

আমি ফিডব্যাকের সেকেন্ড অ্যালবাম থেকে উল্লেখ করেছি।ঐ কমেন্টে সেটা স্পষ্টতই আছে। আর ফিডব্যাক, মাকসুদুল হক ও ঢাকা'কে নিয়ে অনেক আগেই পোষ্ট লিখে রেখেছি। শুধুই পোষ্টটি প্রকাশের অপেক্ষায় . . .
মূল পোষ্ট এ একটা লিংক শেয়ার করেছিলামঃ দয়া করে একটু ঘুরে আসবেন। আমরা মিউজিক নিয়ে কি আলোচনা করি হয়ত উপলব্ধি করতে পারবেন।

ধন্যবাদ গুঞ্জন দা।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@গুঞ্জন দাঃ মাকসুদুল হক'কে নিয়ে লিখেছিলাম। পোষ্টও হয়েছিল। ভাগ্য আমারই ভুলে পোষ্টটি স্থায়িত্ব হারাল।

আপনার জন্য আমার সচলায়তনে প্রকাশ পাওয়া (যদিও এখন নেই) লেখাটা ফেসবুক লিঙ্কের মাধ্যমে শেয়ার করলাম।
লিঙ্কঃ বাংলা ব্যান্ড মিউজিক --- ফিডব্যাক ও এক মাকসুদুল হক

তথ্যগত ভুল থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন (আমার নিজের সংশোধনের জন্যই তথ্যগত ভুল সংশোধনের প্রয়োজন)। (সংযোজন চাইনা। সংযোজন দিতে চাইলে নিজে লিখে তারপর দিবেন।)

অনুরোধঃ ভাই বানান ভুল করা আমার সহজাত প্রবৃত্তি (তবে এ নিয়ে আমার কোন অহংকার নেই)। বানানগত ভুলটা এমন যে কিবোর্ডে তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে ভুলটা হয়ে যায়। আবার এর মানে এই নয় যে সমস্ত বাংলা বানান আমি মখস্থ করে রেখেছি।

অবশেষে অজস্র শুভকামন রইল আপনার জন্য।
ভাল থাকুন, নিরাপদ থাকুন এটাই প্রত্যাশা।

মোখলেছুর রহমান সজল।

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

হ্যা, বললে সবার কথাই বলতে হবে। আসবে রকেট মন্ডল এর নামও। ভাইয়া, আপনি বামবার যে কনসার্ট এর কথা বললেন সেই কনসার্ট এর সময় কত ছোট আমরা,কিন্ত মনে আছে। বাংলাদেশ এর ব্যান্ড সঙ্গীত এর কথা বলতে গেলে বামবার সেসব দিন এর কথা না বললে সবকিছু মিথ্যে হয়ে যাবে। এরশাদ পতন আন্দোলনে বামবার ভুমিকা হয়তো বড় করে কেউ লিখবেনা কিন্ত তারাও কিন্ত একাত্মতা ঘোষনা করেছিলেন।

সবাই মিলেই একটা ইতিহাস কথনে এগুইনা আমরা। দরকার, খুব দরকার। ব্যান্ড মিউজিক বাংলাদেশকে কি দিয়েছে আর আমরা কতটুকু নিয়েছি তার হিসেব করতে সজল ভাইয়ের মত ২৪ বছর বয়সী প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে, আপনি যোগ হয়েছেন। সবাই মিলে আসুননা দেখি মুক্তিযুদ্ধের আগ থেকে ইতিহাস কথন শুরু করা যায় কিনা, সেসময়ও কিন্ত বেশ কয়েকটা ব্যান্ড ছিলো, এখন নাম মনে আসছেনা; মাইলস বাজাতো তখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ।

এবং অবশ্যই আসবে চট্টগ্রামের ‘বাঙলা হোটেল’ (নামটা কি ভুল হলো) এর নাম। বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকে চট্টগ্রামের অবদান কোনদিন বলে শেষ করা যাবেনা, যেমন যাবেনা এই হোটেলটির নাম। এই হোটেলটিকে আমাদের সংরক্ষণ করে রাখা দরকার ব্যান্ড মিউজিকে এর মূল্যের জন্য।

কাজটা অনেক ব্যাপক নিঃসন্দেহে, অল্প পরিসরে বিশেষ কারো উপর আলোকপাত না করে দশক ভাগ করে নিয়ে মনে হয় সুবিধে হবে। ৭০, ৮০, ৯০ .....

প্রত্যাশায় রইলাম।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@আপনার নাম লিখুনঃ ধন্যবাদ ভাই।

আপনার কমেন্ট পড়ে লজ্জা পেয়েছি (ভাই চোখ সবারই আছে তবে সেই চোখের দৃষ্টিভঙ্গি একেক জনের একেক রকম)।

শেষের দিকের কমেন্টগুলোতে বানান জনিত সমস্যা, মহাজ্ঞানী বিজ্ঞ ভাইজানেদের কাছে আমার পন্ডিতি, কেন এক পোষ্টে সবাইকে নিয়ে আসলাম না(???) সহ অনেক বিব্রতকর অবস্থায় ছিলাম।

তবে সোভাগ্য এই যে আপনি আমার পোষ্ট পড়ে আমার লেখার নোংরা, ময়লা-আবর্জনা খুজেন নি।

অজস্র শুভকামনা আপনার জন্য।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@গুঞ্জন দাঃ

তানভীন মাহিন অদ্রি আমার মামাতো ভাই এবার পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে। স্রেফ ওকে একটু আনন্দিত করার জন্যই বিশেষ ধন্যবাদে ওর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। এর বেশী কিছু নয়।।

বানানের দিকে তাকিয়ে আমি বাংলা লিখিনি। লিখেছি জীবন থেকে। যেখানে বানানের সূক্ষ্ণ হেরফে এ মিনিং পরিবর্তন হয়ে যায় সেই সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সজাগ ছিলাম।

আইয়ুব বাচ্চু ক্ষ্যাপ মারাতে আপনি মনে হয় খুব আনন্দে আছেন X(

গুঞ্জন চৌধুরী এর ছবি

মিথ্যে প্রবোধ দিয়ে কাউকে আনন্দিত করার কী মানে? তাও আবার মাত্র পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া এক শিশুকে! ওকে তো এই বয়সেই শুদ্ধ-অশুদ্ধ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা হলো, নয় কি?

আপনি জীবন-মরণ যে দিকে তাকিয়েই লিখুন না কেনো, বানানের দিকে নজর আপনাকে রাখতেই হবে। এটাই লেখালেখির নিয়ম। এই নিয়ম যিনি মানবেন না, তার লেখারই প্রয়োজন নেই। আর কে বলেছে - জীবনের দিকে তাকিয়ে লিখতে গেলে বানান শুদ্ধ না হলেও চলে? ...আর এই যে আপনার প্রিয় শিল্পী আইয়্যূব বাচ্চু'র (আইয়্যূব বাচ্চু আমারও প্রিয় শিল্পী। আমার শুধু প্রিয় শিল্পীই নন, আমি তাঁকে গুরুজ্বি সম্বোধন করি এবং যখন যেখানে যে অবস্থাতেই দেখা হোক, আমি তাঁকে পা ছুঁয়ে সালাম করি। তাঁর উৎসাহ না পেলে আমি গীতিকার হতে পারতাম কিনা আমার নিজেরই সন্দেহ আছে) গুণকীর্তণ করতে গিয়ে কয়েক দিস্তা কাগজ (কিংবা কয়েকশ মেগাবাইট ওয়েবপেজ) খরচ করে ফেলছেন, তাঁর নামটাও তো লিখলেন ভুল বানানে! কবি শামসুর রাহমান-কে একবার সংবর্ধনা দেবার আয়োজন করা হয়েছিল, তিনি অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে দেখেন ব্যাকড্রপে তাঁর নামের বানান লেখা আছে "শামসুর রহমান"। তিনি সভাকক্ষে প্রবেশ না করেই ফিরে এসেছিলেন এবং কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো ব্যক্তির নামের বানান ঐ ব্যক্তির প্রবর্তিত কায়দায় না লেখার মানে হলো তার সম্পর্কে উদাসীন থাকা এবং তাকে অপমান করা। ...আসল বিষয়টা কিন্তু বানান জানা না জানাও নয়, বিষয়টা হলো অমনোযোগ। লক্ষ্য করে দেখুন - 'হেরফের' লিখতে গিয়েও আপনি বানান ভুল করেছেন, লিখেছেন "হেরফে"!

আইয়্যূব বাচ্চু ক্ষ্যাপ মারাতে আমি মোটেই আনন্দে নেই, বরং কষ্ট পেয়েছিলাম। সম্ভবত আমিই তাঁর একমাত্র ভক্ত, যে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে সাহস করেছিলাম (ঐ আসরেই), "আশরাফুল, হাবিবুল বাশার'রা পাড়ার খেলায় খ্যাপ মারতে যেতে পারে, আপনি তো ব্রাডম্যান-লারা-শচীনদের কাতারে... আপনি কেনো?" ... আমি আমার আগের মন্তব্যে লিখেছি, আবারও বলছি - আমি বিরক্ত হয়েছি আমি আসলে বিরক্ত হয়েছি আপনার সেই মন্তব্যে যেখানে আপনি লিখেছেন গুটি কুড়ি বিশেক টাকা দিলেই বালাম, মিলা, হৃদয় খানদের গান গাওয়ানো বা নাচ করানো যায়, অথচ সেকালের গ্রেটদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। আমি তাই বাস্তব ঘটনা উল্লেখ করে উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, সেকালের গ্রেটদের কাউকে কাউকেই বরং এখনো এভাবে "গুটি কুড়ি বিশেক" না হলেও পনের বিশ হাজার টাকায় বাড়িতে এনে গান গাওয়ানো যায়, যেটা এই বালাম, মিলা, হৃদয় খান, হাবিবদের ক্ষেত্রে কোনো মতেই সম্ভব নয়।

যাই হোক, আপনার যে বিষয় নিয়ে ইচ্ছে, আপনি লিখুন, আমার কোনো আপত্তি নেই, আপত্তি করার আমার অধিকারও নেই। কিন্তু যা-ই লিখুন না কেনো, প্লিজ - সেটা গুছিয়ে লিখুন এবং যদি সেটা নন-ফিকশন জাতীয় কিছু হয় (এই লেখাটা যেমন), তাহলে বস্তুনিষ্ঠ থেকে লিখার চেষ্টা করুন। তথ্যের বিকৃতি ঘটাবেন না, ইতিহাস বা বাস্তব কোনোটাকেই নিজের কল্পনার রঙে রাঙানোর চেষ্টা করবেন না।

আর হ্যাঁ, বহু পুরাতন প্রবাদ আরেকবার মনে করিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি: অজ্ঞতা অপরাধ নয়, লজ্জাজনকও নয়। কিন্তু অপরাধ হচ্ছে অজ্ঞ থাকতে চাওয়া আর লজ্জাজনক বিষয় হলো অজ্ঞতার পক্ষে সাফাই গাওয়া।

ভালো থাকবেন এবং অবশ্যই আরো আরো লিখবেন।

ধন্যবাদ।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@গুঞ্জন দাঃ ধন্যবাদ প্রতিউত্তরের জন্য।

অদ্রি প্রসংগঃ আকাংখা বানানটা বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাবহার করেছিলাম। সেই এই বানানটাতে আমাকে সাহায্য করেছে। স্রেফ সেই ভাবনা থেকেই ওকে বিশেষ ধন্যবাদ দেওয়া। যাই হোক ওর ব্যাপারটা Skip(বাংলায় শুদ্ধটা কি হবে জানিনা বলে ইংরেজীতেই লিখতে হল। তবে ভাই বানান ভুলের কারণে আপনিই বোধহয় আমার দেখা প্রথম ব্যাক্তি যিনি লেখা বন্ধ করে দিতে বলেছেন। আপনার উক্তিটি নিচে উদৃতি হিসেবেই দিলামঃ
গুঞ্জন দা বলেছেনঃ

আপনি জীবন-মরণ যে দিকে তাকিয়েই লিখুন না কেনো, বানানের দিকে নজর আপনাকে রাখতেই হবে। এটাই লেখালেখির নিয়ম। এই নিয়ম যিনি মানবেন না, তার লেখারই প্রয়োজন নেই। আর কে বলেছে - জীবনের দিকে তাকিয়ে লিখতে গেলে বানান শুদ্ধ না হলেও চলে?

দাদা, জীবনের দিকে তাকিয়ে লিখতে গেলে বানান শুদ্ধ না হলেও চলে এইটা কিন্তু আমি দাবি করিনি। আপনি ভুল বুঝেছেন।

জীবন মরণের প্রশ্ন তুলেছেন। বলতে পারেন কোন তথ্যটা বিকৃত অথবা ভুল ???

আমি মূল্যায়ন করতে শিখেছি মিউজিকে তাদের অবদান থেকে। বালাম, মিলা, হৃদয় খান কে নিয়ে আপনার সাথে কোন মন্তব্যে যেতে চাচ্ছি।

গুঞ্জন দাঃ আপনি যদি গীতিকার হয়ে থাকেন তবে ধরেই নিলাম আপনার লিরিকে গাওয়া গান গুলোও প্রকাশ পেয়েছে। অ্যালবাম নেইম এবং সেই সাথে গানের শিরোনাম দিলে আমিও আপনার মত একজন গীতিকারের গানগুলো শুনে দেখতাম। এমনটাও বিষ্ময়কর নয় যে আজ থেকে ১২-১৫ বছর পর অন্যসব গীতিকার ও সুরকারের পাশাপাশি কোন এক পোষ্টে হয়ত আপনার নাম লিখে উল্লেখ করব এই অস্থির সময়ে গুঞ্জন দা খুব মিস করছি।।

গুঞ্জন দাঃ ওই ভাবে বলতে গেলে ২০০৫ এর পর এই পোষ্টেই বাংলা লিখলাম একটু বিশাল আঙ্গিকে।। (খুব ইচ্ছে করছিল বানানেও মিলা, বালামের কথা নিয়ে আসি)

এবি'র প্রসঙ্গে বলিঃ এবি'র কতগুলো অ্যালবাম শুনেছেন আমি জানিনা। তবে ২০০৪ এর আগে প্রকাশিত প্রায় সবগুলো ব্যান্ড ও মিক্সড ও সলো অ্যালবাম শুনেছি(শত শত অ্যালবামের ভীড়ে হয়তবা ২-৪টা অ্যালবাম ছুটেও যেতে পারে)। এবং সবগুলোই প্রায় মুখস্থ। আর এবি'র বানানের কথা তুলছেন??? ভাই আমি অপরাগ!!!! এবি'র শুদ্ধ বানানটা আমার জানা নেই। তবে অন্য একটা কথা বলিঃ ঐ যে বললাম শত শত অ্যালবাম শুনেছি, এই শত শত অ্যালবামের ভীড়ে এবি'র নামের বানান একেক অ্যালবামে একেক রকম দেখেছি।। আমার ধারণা এবি'র এই ব্যাপারে কোন অ্যালার্জি নেই। যদি থাকতো পরবর্তীতেও প্রকাশিত অ্যালবাম গুলোতে নামের বৈচিত্রতা লক্ষণীয় হত না।

তবে একটা ব্যাপারে আমি বেশ অবাক। আপনার প্রথম কমেন্টে আপনি মাকসুদ ভাই ও ফিডব্যাক সহ অন্যান্য ব্যান্ড ও শিল্পীদের নিয়ে কথা তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কমেন্টটিতে বাঁক নিলেন কেন আমার জানা নেই, তাও সবচেয়ে বেশী অংশ জুড়েই বানান জনিত সমস্যা নিয়ে।

গুঞ্জন দাঃ আরো অনেক কিছুই বলতে চাইছিলাম। কিন্তু ঐ যে রাজনীতির নীতি ব্যাপার চলে আসাতে লিখছি না।

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার গানের অপেক্ষায় থাকলাম . . . তবে মিলা, হাবিব, ফুয়াদ, কণা, বালাম, হৃদয় খান কিংবা তার ছোট ভাই যদি সেই গান গেয়ে থাকে তবে বিনীত ভাবে হাত জোড় করেই অনুরোধ করছি। আমাকে ক্ষমা করবেন।

পাঠক এর ছবি

"জীবন মরণের প্রশ্ন তুলেছেন। বলতে পারেন কোন তথ্যটা বিকৃত অথবা ভুল ???"

এই প্রশ্নের জবাবে পড়ুন আপনার নিজেরই পূর্ববর্তী মন্তব্য:

"বানানের দিকে তাকিয়ে আমি বাংলা লিখিনি। লিখেছি জীবন থেকে।..."

আপনার সেই কথার প্রেক্ষিতেই বলতে চেয়েছিলাম, বানানের দিকে না তাকিয়ে অন্য যেদিকে তাকিয়েই লিখুন না কেনো, সঠিক বানানে না লিখলে আপনার লেখারই অধিকার নেই। আবারও বলছি, সর্বোচ্চ জোর দিয়ে বলছি: যে শুদ্ধ বানানে লিখতে জানে না, তার লেখার অধিকার নেই। নেই নেই এবং নেই!!! এই প্রসঙ্গে পৃথিবীর যে-কোনো জ্ঞানীগুণী পণ্ডিত ব্যক্তির সাথে আমি তর্কে যেতে রাজী আছি। বিষয়টা ভেবে দেখবেন।

আপনার অন্য আর কোনো কথার জবাব দেবার প্রয়োজন বোধ করছি না। অযৌক্তিক প্রলাপের জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করার মানে কী? এখন আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, আপনি নিজেই ভালো করে পড়ে দেখেন না, আপনি কী লিখলেন। সুতরাং আপনি কী লিখছেন আর তার দ্বারা কী প্রকাশ পাচ্ছে - তা যখন আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন না, আমার আর উত্তর দিয়ে লাভ কী?

শুধু একটা কথা না বলে পারছিনা, আইয়্যূব বাচ্চুর সব অ্যালবাম যদি কিনে কিংবা শুনেই থাকেন, তার কোনোটাতেই কি আপনি বাচ্চু ভাইয়ের নামের বানান লক্ষ্য করে দেখেন নি? কষ্ট অ্যালবামটার কভারটা কি আপনার সংগ্রহে আছে এখনো? একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আর একেক অ্যালবামে একেক রকম বানানের কথা বলছেন? যেগুলো পাইরেটেড অ্যালবাম, সেগুলোতে উল্টোপাল্টা বানান থাকতেই পারে, কিন্তু যেটা অরিজিনাল অ্যালবাম, বাচ্চু ভাইয়ের নিজের তত্তাবধানে প্রকাশ পেয়েছে, দু একটা ছাড়া তার সবগুলোতে বাচ্চু ভাইয়ের স্বাক্ষর দেয়া আছে। আর স্বাক্ষর না থাকলেও অ্যালবামের কভারে শুদ্ধ বানানেই তাঁর নাম লেখা আছে। ভালো করে পড়ে দেখুন, তারপর মন্তব্য করুন।

পুনশ্চ: আমি অতি নগন্য গীতিকার, আমার গান আপনার বিবেচনায় যাঁরা গ্রেট, তাঁরা কেউ করেন নি। আপনি যাদের গোনার মধ্যেই ধরেন না, তাদেরই একজন - হৃদয় খানই আমার গান করেছে। আর আপনি যেহেতু আগেই ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন, তাই অ্যালবামের নাম বা গানের নাম উল্লেখ করার সাহস আর করলাম না। আমার সাত পুরুষের দুর্ভাগ্য - ১২-১৫ বছর পর একজন মহান সমালোচকের অজস্র পরিমাণে ভুল বানানে লেখা, অগোছালো বাক্যের দুর্লভ সমালোচনায় স্থান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলাম! এই দুঃখ কোথায় রাখি! ... আপনার কী মনে হয়, এই দুঃখ সহ্য করে আমার কি আদৌ আর গান লেখার চেষ্টা করা উচিৎ?

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@লিখেছেন পাঠক (যাচাই করা হয়নি): আপনি লিখেছেনঃ

শুধু একটা কথা না বলে পারছিনা, আইয়্যূব বাচ্চুর সব অ্যালবাম যদি কিনে কিংবা শুনেই থাকেন, তার কোনোটাতেই কি আপনি বাচ্চু ভাইয়ের নামের বানান লক্ষ্য করে দেখেন নি? কষ্ট অ্যালবামটার কভারটা কি আপনার সংগ্রহে আছে এখনো? একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আর একেক অ্যালবামে একেক রকম বানানের কথা বলছেন? যেগুলো পাইরেটেড অ্যালবাম, সেগুলোতে উল্টোপাল্টা বানান থাকতেই পারে, কিন্তু যেটা অরিজিনাল অ্যালবাম, বাচ্চু ভাইয়ের নিজের তত্তাবধানে প্রকাশ পেয়েছে, দু একটা ছাড়া তার সবগুলোতে বাচ্চু ভাইয়ের স্বাক্ষর দেয়া আছে। আর স্বাক্ষর না থাকলেও অ্যালবামের কভারে শুদ্ধ বানানেই তাঁর নাম লেখা আছে। ভালো করে পড়ে দেখুন, তারপর মন্তব্য করুন।

একজন বলল কান নিয়ে গেছে চিলে, কানে হাত না দিয়েই দিলেন চিলের পেছন পেছন দৌড়। তাই আপনার জন্যঃ এবি'র নামের বানান দেখে শিখে নিন

আপনি বলেছেনঃ

পুনশ্চ: আমি অতি নগন্য গীতিকার

ধন্যবাদ নগণ্য গীতিকার ভাই।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@অতি নগণ্য গীতিকার ভাইঃ

আপনি বলেছেনঃ

আবারও বলছি, সর্বোচ্চ জোর দিয়ে বলছি: যে শুদ্ধ বানানে লিখতে জানে না, তার লেখার অধিকার নেই। নেই নেই এবং নেই!!!

এবি আমার প্রিয় শিল্পী আর আপনার জন্য তিনি গুরুজ্বি। সেক্ষেত্রে আপনার উপরের উক্তিটির কি হবে ভেবে পাচ্ছি না।

গীতিকার ভাইঃ আপনার গান হয়তবা দেশের প্রচার পাওয়া শিল্পীরা গেয়ে থাকেন।
তবে কেউ কেউ আবার খুবই প্রচার বিমুখ(!!!)।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@লিখেছেন পাঠক (যাচাই করা হয়নি) এবং গুঞ্জন দাঃ

লিঙ্কঃ এবি'র নামের বানান

বাংলা উইকিতে এবি

বিবিসি বাংলাতে এবি

আর দিলাম না ! ! !

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী! এর ছবি

যুদ্ধপাপী
কথা: গুঞ্জন চৌধুরী
সুর: ফোয়াদ নাসের বাবু

আমার মতো বলতে পারে কে বলো আর
পঙ্গু হয়েই জীবনটা যে কাটছে আমার
ভাই হারালাম, বন্ধু স্বজন একাত্তরে
সেই খুনিদের বিচার আজকে কে আর করে!

এক এক করে পেরিয়ে গেল তিনখানা যুগ
ন্যায্য বিচার চাইলে এখন বলছো হুজুগ
রাজনীতিতে অংক কষো তোমরা যারা
শুনতে কি পাও কাঁদছে কত স্বজনহারা?
তাড়িয়ে বেড়ায় স্বপ্ন আমায় দেখবো কবে
এই মাটিতে যুদ্ধপাপীর বিচার হবে ॥

চারটা দশক খুনের হিসাব রাখছি জমা
চারশ’ বছর গেলেই কি কেউ পাবে ক্ষমা!
আমার বাবার পাঁজরে যে করাত ঘষে
সেই খুনিদের কে দেয় ক্ষমা কোন সাহসে!
রক্তচোখে শপথ জ্বলে এবার তবে
এই মাটিতেই যুদ্ধপাপীর বিচার হবে ॥

যুদ্ধপাপী

আমার মতো বলতে পারে কে বলো আর
পঙ্গু হয়েই জীবনটা যে কাটছে আমার
ভাই হারালাম, বন্ধু স্বজন একাত্তরে
সেই খুনিদের বিচার আজকে কে আর করে!

এক এক করে পেরিয়ে গেল তিনখানা যুগ
ন্যায্য বিচার চাইলে এখন বলছো হুজুগ
রাজনীতিতে অংক কষো তোমরা যারা
শুনতে কি পাও কাঁদছে কত স্বজনহারা?
তাড়িয়ে বেড়ায় স্বপ্ন আমায় দেখবো কবে
এই মাটিতে যুদ্ধপাপীর বিচার হবে ॥

চারটা দশক খুনের হিসাব রাখছি জমা
চারশ’ বছর গেলেই কি কেউ পাবে ক্ষমা!
আমার বাবার পাঁজরে যে করাত ঘষে
সেই খুনিদের কে দেয় ক্ষমা কোন সাহসে!
রক্তচোখে শপথ জ্বলে এবার তবে
এই মাটিতেই যুদ্ধপাপীর বিচার হবে ॥

গুঞ্জন চৌধুরী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ, অজস্র কৃতজ্ঞতা "নিঃসঙ্গ গ্রহচারী!"র প্রতি। এই গানটি এখনো প্রকাশিত নয়। এটি লিখেছিলাম একটি বিশেষ অনুষ্ঠান-কে উপলক্ষ করে, সেই তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই সময় সেনা-সমর্থিত সরকার অনুষ্ঠানটি হতে দেয়নি বিধায় গানটি চাপা পড়ে যায়। পরে আর উদ্যোগ নিয়ে গানটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কোথায়, কোন্ ব্লগে লিরিকটা পোস্ট দিয়েছিলাম, নিজেরই আর মনে নেই। আপনি মনে করে এখানে উদ্ধৃত করলেন দেখে কৃতজ্ঞতায় মন ভরে গেল!

নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@অ(X)প্রিয় গুঞ্জন দা বলেছেনঃ

আর এই যে আপনার প্রিয় শিল্পী আইয়্যূব বাচ্চু'র (আইয়্যূব বাচ্চু আমারও প্রিয় শিল্পী। আমার শুধু প্রিয় শিল্পীই নন, আমি তাঁকে গুরুজ্বি সম্বোধন করি এবং যখন যেখানে যে অবস্থাতেই দেখা হোক, আমি তাঁকে পা ছুঁয়ে সালাম করি। তাঁর উৎসাহ না পেলে আমি গীতিকার হতে পারতাম কিনা আমার নিজেরই সন্দেহ আছে) গুণকীর্তণ করতে গিয়ে কয়েক দিস্তা কাগজ (কিংবা কয়েকশ মেগাবাইট ওয়েবপেজ) খরচ করে ফেলছেন, তাঁর নামটাও তো লিখলেন ভুল বানানে!

বানান না জানা এই অধম লিখেছেঃ

আইয়ুব বাচ্চু ক্ষ্যাপ মারাতে আপনি মনে হয় খুব আনন্দে আছেন

এবি'র নামের বানান দেখে শিখে নিন

আরও একটা লিঙ্ক

থাক আর দিলাম না ! ! ! দুইটাই থাকুক।

আপনি যাকে গুরুজি মানেন (এই গুরুজি আবার ক্ষ্যাপ মারলে আপনি আবার আনন্দিত হন ! ! ! নতুবা ক্ষ্যাপ মারার কথা তুললেন কেন???? বালাম, মিলা, হৃদয় খানের কাতারে দাড় করিয়ে দিলেন আপনার গুরুজি কে ? ? ) সেই এবি'র বানানটা নিজেও শিখে নেবেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার লেখা পুরাটা পড়তে পারলাম না.. লেখার মাঝখানে একটু স্পেস দেন ভাই...
আমার জানামতে কুমার বিশ্বজিত কোনোদিনই সোলসের মেম্বার ছিলেন না... আপনি এই তথ্য কোথায় পেলেন?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@নজরুল ভাইঃ একটু খোজ খবর নেন।। ওয়েব ঘাটলেই পেয়ে যাবেন আশা করি।

তবে ভাই আমি সুপার সোলসের কুমার বিশ্বজিৎ-কে চিনি। অন্য কোন কুমার বিশ্বজিৎ থেকে থাকলে আমার জানা নেই।

ফেসবুকে সোলসের অফিসিয়াল ফ্যান পেইজ থাকতে পারে। দয়া করে একটু যোগাযোগ করেন।

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী! এর ছবি

মোখলেস ভাই,

লিখলেন আপনি, আর তথ্য খুঁজে বের করবে পাঠক?!

গুঞ্জন চৌধুরী এর ছবি

নজরুল ইসলাম সাহেবের সাথে সহমত। কুমার বিশ্বজিৎ কখনোই সোলস্-এ ছিলেন না। বরং তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তৎকালীন ফিলিংস ব্যান্ড-এর ভোকাল হিসেবে। তবে সেখানে তিনি বছর খানেকের বেশি ছিলেন না, তারপর বেরিয়ে গিয়ে প্রথম সোলো এলবাম প্রকাশ করলেন, যে এলবামের "চতুরদোলাতে চড়ে, তোরে পুতুলের মতো করে, তুমি রোজ বিকেলে" এই গানগুলো তার পাকাপোক্ত আসন তৈরি করে দেয়। আর ফিলিংসের গিটারিস্ট জেমস্, ভোকালের শূণ্যতা পূরণে শেখ ইশতিয়াক, তপন চৌধুরী (তখনো তপন সোলস্-এ যোগ দেননি), আশিকুজ্জামান টুলু (টুলুও তখনো চাইম গড়ে তোলেননি)সহ আরো কয়েকজনকে দলে ভেঁড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষপর্যন্ত নিজেই গান গাইতে শুরু করলেন। তারপর তো তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিলো "নগরবাউল" শীর্ষক অ্যালবামটি। আর এই এলবাম প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই "এশিয়ান রক ব্যান্ড ফেস্টিভাল" অনুষ্ঠিত হলো তৎকালীন ঢাকা শেরাটনে, যেখানে বাংলাদেশের অপর তিনটিসহ এশিয়ার ৭টা দেশের ব্যান্ডের সাথে কনটেস্ট করে সেরা ব্যান্ডের স্বীকৃতি "রক-ফ্ল্যাগ" অর্জন করলেন জেমস্। এই কনসার্টের শেষ গান হিসেবে জেমস্ গেয়েছিলেন 'ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে' (তখন পর্যন্ত অপ্রকাশিত, পরবর্তীতে "দুঃখিনী দুঃখ করো না" অ্যালবামে প্রকাশিত), যা শুনে উপস্থিত দেশবিদেশের অন্য ব্যান্ড তারকারাসহ সমস্ত অডিয়েন্স স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিয়েছিল তাকে। আর জেমস্-কে "পারফেক্ট নগর বাউল" নামে সম্বোধনও করা হয়েছিল সেই কনসার্টেই, যার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এরপর তিনি তার ব্যান্ডের নামই বদলে রাখেন - নগরবাউল।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@গুঞ্জন দা, নজরুল ইসলাম ভাইঃ
লিঙ্কঃ
১. [url=en.wikipedia.org/wiki/Souls_(band)]কুমার বিশ্বজিৎ [/url]
২. কুমার বিশ্বজিৎ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার ফেসবুকের লিংক ধরে মাকসুদ ও ফিডব্যাককে নিয়ে লেখাটা পড়লাম। সংক্ষেপে মন্তব্য করি, রোমেলকে বাদ দিয়ে ফিডব্যাকের কোনও ইতিহাস রচিত হতে পারেনা, এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ফিডব্যাকের প্রথম এ্যালবামটা শোনেননি, যেটা আমার সংগ্রহে ছিলো একদা। কিন্তু আপনি কি এই গানগুলো শোনেননি?-

১. কেনো খুলেছো তোমার জানালা,
২. এইদিন চিরদিন রবে কেউতা ভেবোনা,
৩. দিন যায় দিন চলে যায়,
৪. কে যেনো ডাকে আমায় আঁধারে।

রোমেলের গাওয়া সবগুলো গানের কথা এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা। মাকসুদ জয়ের করার আগপর্যন্ত ফিডব্যাক যেটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো তাতে রোমেলের অবদান অনস্বীকার্য। আর ফিডব্যাকের প্রথম ও দ্বিতীয় এ্যালবামের সংগীতায়োজনের অন্যতম কুশলী ফোয়াদ নাসের বাবু একা নন, অধিকাংশেই ছিলেন সেলিম হায়দার।

ফিডব্যাকের মতো একটা ঐতিহ্যবাহী ব্যাণ্ডকে কিন্তু এই মাকসুদের কারণেই অনেক সাফার করতে হয়েছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

@রাতঃস্মরণীয় ভাইয়া: ধন্যবাদ, আপনি বরাবরই চমৎকার তথ্য শেয়ার করেন।

উল্লেখিত গানগুলো আমি শুনেছি।। হয়ত মাকসুদুল হক এর কথা বলতেই আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছেড়ে দিয়েছি। উল্লাস অ্যালবাম এর কাভার পেইজটা হাতে থাকলে হয়ত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযোজন করা যেত। অনেক দিন দেখা হয়না বিধায় হয়ত দরকারী অনেক কিছু ছুটে গেছে।

উল্লাস এ সেলিম হায়দায় ছিলেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। একবার মনে হচ্ছিল অ্যালবাম কাভারে এ-সাইড, বি-সাইড গানের পাশে ব্যান্ড লাইন-আপে সেলিম হায়দারের নামও ছিল, কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছিলাম। আমি কালকেই নোটটা আবার নতুন করে সম্পাদনা করব।

পিয়ারু খান, লাবু রহমান এর কথাও তেমন বলা হয়নি পোষ্টে। তবে রোমেল ভাইয়ের কথা অবশ্যই সংযোজন করব। রোমেল ভাই-এর আরো কিছু তথ্য শেয়ার দিলে উপকৃত হব।

সর্বপরি ধন্যবাদ লিঙ্ক ধরে নোটটা পড়ার জন্য।

ভাল থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে। খুব ভালো লিখেছেন। ভালো লেগেছে। (এইটুকু বলে কেটে পড়তাম। কিন্তু আপনার লেখা পছন্দ হয়েছে, আপনার পাশে থাকা প্রয়োজন।)

আপনি যখন থেকে গান শুনছেন, সেটা আপনার স্মরণে আছে। আপনার আবেগের সঙ্গেও আপনার সময়ের গানই জড়ানো। সেই সব গানের কথা, শিল্পীর কথা লিখতে গেলে আপনি খানিকটা আবেগী হয়ে উঠবেন সেটাই স্বাভাবিক। আবেগ সমস্যা নয়, কেবল খেয়াল রাখঅ দরকার আবেগ আপনার সত্য মিথ্যা গুলিয়ে দেয় কিনা!

আপনি যে সময়ের গান শুনেছেন সেই সময়ের কথাই লিখেছেন। আপননি লিখেছেন আপনার অনুভূতি আর আপনার স্মরণের কথা। ইতিহাস লেখার দায় আপনার নয়। সেই দায় আপনাকে কেউ দেয়নি। এমনকি যে সময়ের কথা আপনি লিখেছেন সেই সময়ের সবার কথা আপনাকে লিখতে হবে সেই দায়ও আপনার নয়। যেসব গান/শিল্পীর সংস্পর্শে আপনি এসেছেন, যাদেরকে আপনার ভালো/খারাপ লেগেছে আপনি তাদের কথা লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। আপনি যে গল্পটা লিখেছেন সেটা আমারও বেড়ে ওঠার ইতিহাস।

পাঠক হিসেবে বলি, পাঠককে মাথায় চড়তে দেবেন না। পাঠকের ক্ষুধা এবং বিরক্তি কখনো শেষ হয়না। নিজের তাগিদে লিখুন। ভালোবেসেই লিখুন। তথ্য বিকৃতি না করে আপনি নিজের ইচ্ছেয় যা খুশি লিখুন।

আপনার লেখা সময়ের ভুল ত্রুটি নিয়ে যাদের খুব মাথাব্যথা তারা নিজেরা যা জানেন সেটি তারা এতকাল আমাদেরকে জানাবার সুযোগ পাননি। আপনি অন্তত খানিকটা লিখেছেন। সেটা কারো কারো সহ্য হয়নি। এখন গানের ইতিহাসের হর্তাকর্তারা এসেছেন জবাব চাইতে! আপনার জবাব দেয়ার কোনো দায় নেই। আপনি যতটুকু জানেন লিখেছেন। এটা ব্লগ, ইতিহাসের বই নয়। আর কারো আরো বেশি জানা থাকলে লিখুন, স্বাগতম। না লিখতে চাইলে এতোকাল যেমন চুপ করে আছেন তেমনই থাকুন। ইতিহাস নিয়ে কবরে গিয়ে নেকীর পাল্লা ভারী করুন।

তবে অবশ্যই, তথ্য বিকৃতি থেকে থাকলে অথবা ভুল জেনে কোনোকিছু লিখে থাকলে বিনয়ের সঙ্গে ঠিক করে নিন। ভুল তথ্য দেয়ার অধিকার আপনার নেই। বানান ভুলটাও সতর্কভাবে ঠিক করে নিন। অনেকেই কিছু কিছু বানান ভুল করেন। কিন্তু সেটা খুব বেশি চোখে লাগার মতো হলে ভালো লাগে না। একটু ছোট ছোট প্যারা করে লিখলে পড়তে চোখের আরাম হয়। আর একসঙ্গে অনেক গানের নাম বলে "তালিকা" বানিয়ে ফেললে সবগুলো পড়ার আগ্রহ কমে যায়। অনেকখানি গল্পের সঙ্গে মেশানো গানের ছোট্ট তালিকা চোখে লাগে না।

আপনার আরো লেখার আশায় রইলাম। লিখতে লিখতেই পোক্ত হয়ে উঠবেন। সচলায়তনে স্বাগতম।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

Rakib এর ছবি

খুবি সুন্দর লিখেছ ভাই, তোমাকে আমার সালাম। কারন আইয়ুব বাচ্চু কে আমি অনেক শ্রদ্ধা ও ভালবাসি।

mak jilany এর ছবি

কি বলবো আর এত সুন্দর একটা লিখার বিপরীত এ ?
রেশাদ এর এক্তা সোলো অ্যালবাম ফ্রম সারগাম, কিন্তু তার আগে বা পরে THE Q নাম এর একটা ব্যান্ড অ করেছিলেন উনি।
রবিন্দ্র ভারতির এক কন্যা...।। .

তারপর ইন ঢাকা ব্যান্ড এর কথা???
স্বরনালী একটা সময় গেছে ৮০/৯০ এর দশক এ.....।।
আমরা ভাগ্যবান ছিলাম আসলেই ...।।
বাংলাদেশ এর যত আধুনিক মন মানসিকতা সম্পন্ন MUSICIANS মানুষ গুলোকে
আমরা পেয়েছিলাম তখন...
তাদের গান শুনে আমরা বড় হয়েছি...
সালাম ঐ সকল মানুষগুলোকে
আর বাংলা মিউজিক এর গুরু আজম খান এর কথা না বলে শেষ করি কিভাবে???
ধন্যবাদ ভাই নিরপাতা
যদিও অন্য সব ভাল আর্টিস্ট এর কথা আপনি বলেছেন
তাই অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য...।।
@ জিলানী

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

প্রায় ভুলতে বসা কিছু তথ্য মনে করিয়ে দিলেন। এই কিছুদিন আগে কমল ভাইয়ের ফেসবুকে ওয়ারফেজের অনেক পুরনো একটা ছবি দেখে জানলাম রেশাদ ওখানেও ছিলো। নিশ্চিত নই নিয়মিত কিংবা অতিথি হিসেবে। পরে রেশার আবাদ কিছুদিন ফিডব্যাকেও গেয়েছে। আমার কিন্তু তার গলাটা বেশ লাগে। কিন্তু জিঙ্গেলে ব্যাস্ততার কারনেই মনে হয় তাকে আমরা ব্যান্ডে খুব বেশি আর পেলাম না।

আর ইন ঢাকা- আমি তাদের লাইভ শো দেখিনি। তবে উইনিং-এর বেসিস্ট শেলী ভাইয়ের কর্মব্যস্ততার কারনে ইন ঢাকার বেসিস্ট তুষার উইনিং-এর সাথে মাঝে মাঝে বাজাতো এবং গাইতো। দারুন শিল্পী।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

রেশাদ ভাই, ওয়ারফেজের কোন অ্যালবামে ছিলেন না। ওয়ারফেজের সাথে উনার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। ফিডব্যাকের ০২ শিরোনামের অ্যালবামে লীড ভোকাল হিসেবে গান করেছিলেন। এরপর উনাকে আর পাওয়া যায় নি।

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

আমার জানা মতে, রেশাদ ভাইয়ের মোট তিনটা সলো অ্যালবাম আছে। গ্রহান্তরী ভালোবাসা, ইচ্ছে করে এবং হঠাৎ অজান্তে। দ্যা কিউ -এর একমাত্র অ্যালবামটির নাম জন্ম!

ইন ঢাকা-র সেই অ্যালবামটির নাম 'নিঃশব্দ কোলাহল'। ক্যাপসুল ৫০০ মিলিগ্রামে এল আর বি-র একটি গান ছিল অনেকটা এমন "আমার কিছু গান হারিয়ে গেছে/স্মৃতির কোন এক আঁধার জগতে/দুঃখেরও ঝড়ে পুড়ে জ্বলে গেছে/নিশ্চুপ রাতের ভালোবাসা পেতে/সেই হারানো গানগুলো আমি ফিরে পেতে চাই/সেই রাতের ভালোবাসা আমি ফিরে পেতে চাই"

ভালো লাগাগুলো বেঁচে থাকুক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।