সচল-রসিক পাঠক সমীপেষু,
সম্বোধনের বহর দেখে ঘাবড়ে যাননি আশা করি! যুৎসই শব্দের অভাবে সেই পুরনো দিনে ব্যাকরণ বই-তে পড়া একখানা শব্দ আমদানি করে নিয়ে এলাম- নতুন যুগের মানুষেরা কীভাবে শুরু সেটা জানলেও হত, তাও তো জানি না দেখা যাচ্ছে! দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে- আমরা কিছু দুর্ভাগা পিছিয়ে পড়ছি- কী আর করার!
আপনার সাথে আলাপ করবো কিছুক্ষণ- এ আমার অনেক দিনের শখ, সুযোগ পাই না- সময়ও না। তবে আজকে এই গ্যাঁট হয়ে বসলাম- একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বো আজ!
আপনি হয়ত অবাক হচ্ছেন একটু-“বলে কি এ?! কথা হয়নি মানে!?” আসলেই তাই। হয়ত কথা হয়েছে। হয়ত নিজের পোস্টে, হয়ত আপনার পোস্টে, হয়ত অন্য কারো পোস্টে- কোন লেখা নিয়ে, কোন কথার পিঠে- হয়ত। আবার এমনও হতে পারে কখনোই কথা হয়নি আমাদের- সেটাও খুবই সম্ভব, আপনার সাথে কথা বলব বলে কবেই বা বসেছি আলাদা করে?
সচলায়তনে যাঁরা আসেন তাঁদের বোধ হয় মোটাদাগে দু’ভাগে ভাগ করা চলে- এক দলে আসবেন দুই নৌকোতেই পা যাঁদের মানে একাধারে যাঁরা লেখক আর পাঠক, আর আরেক দলে একেবারে নিখাদ পাঠক। আপনি কোন দলে পড়েন সে তো আপনি জানেনই- তবে মানবেন কি না জানি না, এই পাঠকদের চেয়ে ভাগ্যবান আর কেউ নেই। উনারা আসেন, আশ মিটিয়ে পড়েন, ইচ্ছে হলে কিছু বলতে আসেন মন্তব্যে, ইচ্ছে না হলে দিব্যি চুপ থাকেন আর পরের লেখায় যান- উশখুশ করতে থাকা মনের আগডুম বাগডুম লেখার দায় মোটেই নেই তাঁদের।
আর এ ঘাট ও ঘাট করতে করতে সচলায়তনে তরী ভিড়িয়েছেন যিনি তাঁর তো কথাই নেই- একেবারে পোয়াবারো! আপনি তো জানেনই এসব- আপনাকে আর কী বলবো এসব?!
‘সচলায়তন’- এ অবলীলায় একেবারে নিজের জন্য আলাদা করে রাখা সময়টুকু নিয়মিত ‘বরবাদ’ করে যাচ্ছি সেও তো প্রায় ২০ মাস হয়ে এলো। একা পুড়লে সমস্যা ছিলো না কোন; এই আগুনে আর সবাইকে পোড়ানোর চেষ্টার তো কমতি রাখি না কোন, কাজেই ওদের নানান প্রশ্নের জবাব দিতে হয়।
এই যেমন- “সচলায়তন কী?!” এর জবাব চট করে কি দেয়া চলে?! তবু চেষ্টা করি- আমার মনে হওয়াটাই সত্যি করে বলি- “ব্লগ হলেও সচলায়তন ঠিক ব্লগ নয়। বরং একে অনলাইন সাহিত্যপত্রের মত বলা চলে, যেখানে আবার সমসাময়িক নানান বিষয়ে নিত্য আলোচনা হয়।“ যতদূর জানি, ‘অনলাইন লেখক সমাজ’- এ ধারণার বাস্তব রূপের নাম সচলায়তন।
এখন অতকিছু তো শোনার সময় থাকে না কারো- নিজের স্বার্থটুকুই দেখে নিতে চায় সবাই- “সে নয় বোঝা গেল- তা ওখানে পাব-টা কী!?” থমকে যান নি তো? প্রশ্ন শুনে?
জানি, যান নি। এই কথা শুনলে আপনিও নির্ঘাৎ বলতে থাকবেন-“কী পাবেন?! আছে তো সব-ই, আপনার পছন্দ কোনটা সেটাই বরং জানার! ‘সাহিত্য’ ভাল লাগে আপনার? পড়ে দেখেন একটু। আপনি ‘গল্প’ পছন্দ করেন? তাতেই বা কী এমন ক্ষতি? নাকি চটপট ‘সুইটবল’ কি ‘হোমিওপ্যাথির দানা’ সাইজের গল্প পড়াতেই আগ্রহ পান? আপনার জন্য লেখা হয়ে আছে ‘অণুগল্প’ আর ‘টুকুন গল্প’। চাই কি ‘কবিতা’ পড়তে পারেন বা ‘ছড়া’- সে একান্তই আপনার ইচ্ছা, কেউ তো নেই বাধা দেবার! আপনি ‘উপন্যাস’ চেখে দেখতে পারেন, স্বাদ বদলের জন্য ‘রহস্য গল্প’ খুঁজতে পারেন, ফেলে আসা দিনের ‘স্মৃতিচারণ’ পড়তে পারেন বা পড়তে পারেন কাউকে স্মরণ করার জন্য বিশেষ কোন লেখা।
লুকিয়ে লুকিয়ে ডায়েরি পড়ায় একটা নিষিদ্ধ আনন্দ আছে, এখানে লুকিয়ে পড়ার কিছু নেই- অনেকেই লিখছেন উন্মুক্ত দিনপঞ্জি। ভাল লাগতে পারে, না-ও পারে- কিন্তু নতুন নতুন চিন্তাভাবনা জানতে ভাল লাগাটাই স্বাভাবিক।
আপনি আত্মজীবনী’র ভক্ত হতে পারেন, ভ্রমনকাহিনী বা ভ্রমন্থন আপনার একমাত্র পছন্দ হতে পারে- তা-ই পড়ুন বসে বসে।
বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি নিয়ে লেখা যদি আপনার নীরস আর খটোমটো মনে হয় তাহলে রম্যরচনাই পড়ুন না- আরো চাইলে তীব্র স্যাটায়ারগুলোও দেখে নিন বরং- ভাল না লাগলেই বরং অবাক হতে হবে। কার্টুন বা রেখাচিত্র দেখতে পারেন, নানান জায়গার আলোকচিত্র দেখে মন ভরাতে পারেন- সব চলবে। অনুবাদ পড়তে ভাল লাগে যদি তা-ই সই।
আর যদি আপনি কারো এমনি এমনি লেখার খাতায় উঁকি দিতে চান তো ক’খানা ব্লগরব্লগর পড়ে নিন, মন ভাল হয়ে যাবে।“
উৎসাহী যিনি তিনি কিন্তু প্রশ্ন করেই চলেন আর আপনি জানেন নিশ্চয়ই এ পর্যায়ে এসে উত্তর দিতেও ভাল লাগতে শুরু করে।
এবারকার প্রশ্ন সচরাচর হয়- “তা লেখেন কারা?”- ব্লগ সংক্রান্ত নাক শিঁটকানো ভাবটা একটু বজায় রেখেই- তাতেই বা কী করার আছে? এমন প্রশ্ন পেলে আপনি কী রেগে যান? আমি রাগি না, জানেন? ওঁদের দোষ দিই কেমন করে? জাহিদ হোসেন, হিমু, অনিকেত, তুলিরেখা, অনার্য সঙ্গীত, হাসান মোরশেদ, তাসনীম, মুখফোড়, তিথীডোর, আশালতা, কৌস্তুভ, অপছন্দনীয়, দিহান, ষষ্ঠ পান্ডব, সুহান রিজওয়ান, যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, আনন্দী কল্যাণ, সুরঞ্জনা হক, দুষ্টু বালিকা, সুজন চৌধুরী, মূলতঃ পাঠক, তারেক অণু, স্পর্শ, অচ্ছুৎ বলাই, মাহবুব লীলেন, শুভাশীষ দাশ, লুৎফুল আরেফীন, নজরুল ইসলাম, বুনোহাঁস, নজমুল আলবাব, এস এম মাহবুব মুর্শেদ, মনামী, বইখাতা, ফাহিম হাসান, অনুপম ত্রিবেদী, রোমেল চৌধুরী, পান্থ রহমান রেজা, আনোয়ার সাদাত শিমুল, গৌতম, মুহম্মদ জুবায়ের-রা আমাদের কাছে অতি চেনা হতে পারেন, অনেক কাছের আর পছন্দের হতে পারেন- যাঁরা পড়েননি এঁদের লেখা- তাঁরা কেমন করে জানবেন, কেমন করে চিনবেন এঁদের? যাঁরা না জেনে, না ভেবে- এই লেখকদের দূরে ঠেলে দেন, আমি বরং ওঁদের পরিচিত করে দেবার চেষ্টাই করি- আমার আপনার মত পাঠক তো তাঁরা-ও- ভাল লেখা পড়ার অধিকার রাখেন তাঁরা- এতে আপনারও দ্বিমত নেই নিশ্চয়ই।
আমি জানি না, এখানে আপনার পছন্দ হয়ে যাওয়া কোন লেখা আর কাউকে ধরে ধরে পড়িয়েছেন কি না। যদি করে থাকেন এমন- আপনিও হয়ত দুয়েকজন নতুন উৎসাহী পাঠক পেয়ে গেছেন, আমি পেয়েছি যেমন।
সময় আমাদের সবার হাতেই কম, সহজে পেয়ে গেলে কঠিন করে পাওয়ার ঝোঁক না থাকাটাই বোধ হয় স্বাভাবিক- কাজেই আরো আরো ভাল লেখার ঠিকানা যখন চায় কেউ- ভাল লাগে; আবার বিপদেও পড়ি।
সেকেলে ধরণের মানুষ আমি। গুছিয়ে রাখাতে নিয়মিন গন্ডগোল পাকিয়ে বসি- নিজের পছন্দের লেখাগুলো প্রিয়পোস্টে জমা করাই নিয়ম- চাই কি ওয়ার্ড বা ডেস্কটপ বা নোটবুকে ঠিকানা টুকে রাখাটাই স্বাভাবিক- তাতে লেখাগুলো হাতের কাছে থাকে সব, চাইলেই পড়া যায়। অমন করার সোভাগ্য হয়নি।
অ্যাসটেরিক্স-রা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার ভয় করে কেবল, আসলে তো আর পড়ে না! পড়বে কেমন করে? কারো অমন লেখার ঠিকানা পাঠানো সংক্রান্ত অনুরোধ পাওয়ার পর ওটা আমার মাথাতেই ভেঙে পড়ে কি না!
উপায় খুঁজে হয়রান হই। কিছু খুঁজতে হলে যে ‘গুগুলনাথ’র স্মরণ নিতে হয় এইটুকু কেবল জানি- অকূল পাথারে ঐ কুটো ধরেই ভাসার চেষ্টা করি। ‘সচলায়তন’ আর ‘লেখকের নাম’, কোনমতে মনে থাকলে লেখার শিরোনাম, বা কোন কী-ওয়ার্ড- যা দিয়ে কাজ হতে পারি ভাবি তাই দিয়ে ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজতে থাকি বিরসবদনে। না পেলে মগজের এদিক সেদিকে ঘাপটি মারা স্মৃতিদের ক্যাক করে ধরার চেষ্টায় নামি, আর কোন এক সময়ে ভাল লাগা কোন এক লেখার সন্ধানে তোলপাড় চালাই। কত লেখার কথা, লেখকের কথা মনে পড়ে না- তবু সন্তুষ্ট থাকি, যা পাই তা-ই নিয়ে। যা পাই তা পাঠিয়ে দিই- আর ভবিষ্যতের নামে খানিকটা আশা ঝুলিয়ে দিই মুলোর মত।
সে যাক- ওটা কথা না। কথা হল যখন খুঁজতে খুঁজতে সে-ই কবে পড়া রাশেদের বাবা, অপার্থিব জানালার খোঁজে, সম্পাদকের দপ্তরে, তারার ফুল, এ শহরে মানুষ হারিয়ে গেলে, নক্ষত্রের আলো, লতার সংসার, অর্পিতার সংসার, চন্দ্রাহত, আম্বিয়া খাতুনের গল্প, গল্প সংক্রান্ত অভিমান, অবাক হওয়া রাত এবং অক্ষমতার গল্প, উৎসব, আঠার পাঁচালি’র মত গল্প আবার পেয়ে যাই তখন রীতিমত আহ্লাদিত হই। আবার পড়ি। ঈর্ষাও হয়- কী সুন্দর লেখেন এঁরা- কেমন করে পারেন! এমন কত কত গল্প যে না পড়া রয়ে গেল তা চিন্তা করতে মন খারাপ হয়, তাতেই বা কার কী আসে যায়? কে আর খুঁজে এনে পাতে তুলে দিচ্ছে!? যা পাই তা-ই তাই চাই।
ঝাপসা, চিঠি, চুমুক, কোকিল, একদিন মধ্যদুপুর, এইম ইন লাইফ, অপতৎপরতা,
গল্প অপচেষ্টা, বাক্স, বোতাম, অপ্রকাশিত, ভাঁজ কর, আনন্দ দেখ, সৎ পাত্র, নদীতে বালির দাগ, ঈর্ষা, চড়ুইভাতি, কৌটার গুণ, সংসারের টুকিটাকি’র মত গল্পগুলো পড়ি- অল্প কথায় সবটুকু বলে দেয়ার অভিভূত করার ক্ষমতা দেখে আশ্চর্য হই আর সেই পুরনো আফসোসে পুড়ি- কত কিছুই না পড়া রয়ে গেল!
বিজ্ঞান আর ব্যাকরণ- দুই ‘ব’- জন্ম দেয় এক ‘ভ’-এর- ভয়। একে তো ভয়, তার উপর খটোমটো ভাষা- আপনার অত ভয় না থাকতে পারে, এমন লেখা কোথাও দেখলেই চট করে পাতা উল্টে পালানোর অভ্যাস আমার। কী কপাল করে এসেছি- আর্কিমিডিসের মত ‘ইউরেকা ইউরেকা’ করে চেঁচাই আর না চেঁচাই- ণ-ত্ব বিধান গল্পমালা (গল্প ১), ণ-ত্ব বিধান গল্পমালা (গল্প ২), ডেঙ্গুঃ ভাইরাসের চিঠি এবং পত্রলেখক কোষ, অগোছালো শব্দমালাঃ ব্যাকটেরিয়া নাকি ছত্রাক, বিপথগামী ই-কোলাই, রাসায়নিক প্রেমপত্র এবং শ্রমিক ব্যাকটেরিয়া, মানুষের নীতিমালাঃ মনুষ্যযন্ত্র’র মত অদ্ভূত সুন্দর লেখা পড়ে অবাক হয়ে গেছি। আব্দুল্লাহ আল মূতী, হায়াৎ মামুদ-দের উত্তরসুরী যে এই সচলায়তনে এসে বসে আছেন তা কে জানতো?! কেবল আফসোস হয়েছে- “আহা! স্কুল-কলেজের বইগুলো ওনারা কেন লেখেন নি! তাহলে অন্তত পড়ে দেখা হত!”
একটা বয়সে ছড়া-কবিতা সবাই লেখে; সে মনের টানে লেখা- ব্যাকরণ না মেনে লেখা। লেখার ব্যাকরণেও কত জানার আছে সেটাও এমনিতেই বোঝার উপায় নেই- তার জন্যও পড়তে হয় ছন্দে ছন্দে চলা ০১, ০২, ০৩, ০৪ - আর পড়তে আর জানতে চাইলে যে কিছু একটা হাতের কাছেই আছে এটাই বোধ হয় সবচেয়ে স্বস্তির।
কত লেখাই তো পড়া হয়- এদের মধ্যে একেবারেই যেগুলোকে আলাদা করে রাখা যায় ওগুলোকেই বোধ হয় ব্লগরব্লগর বলে। যা-ইচ্ছে-তাই লেখা। অনেকেই লিখেন। একেকজন একেকরকম। যখন যা মনে আসে তাই। ক্যাটাগরী এক হতেই পারে- স্বাদে আলাদা। আমার যত ধারমা, চা-কথন, জয় বাবা ফেলুনাথ, পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড়, ভ্রমনকাহিনী নয়, স্মৃতিচারণ, ট্রিবুলিশনস অফ এ পেটুক ইন..., সবুজ রঙের ট্রেন, ভজঘট, ন্যাড়া কাহিনী, টিকটিকি, গুরুচন্ডালী, স্মৃতির ব্যাড সেক্টর থেকে, র্যা প & রক ফিচারিং রবীন্দ্রনাথ, মার্জার মুশকিল, (অ-মানবিক) সম্পর্কপুরাণ, কাঁটা হেরি, একটি বীর জাতির গল্প- লেখাগুলো শুধু নয়, মন্তব্যগুলো পর্যন্ত পড়ার মত।
একটু অন্যরকম লেখাও মেলে মাঝে মাঝে- আদ্যিকালের গল্প, অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি, কষ্টের দিনের মিষ্টি ঈদ, মরণের পরে, মেয়েটা চলে যাবে!, দুই মাস যখন দুই দিনে নেমে এল- পড়ে মন খারাপ হয়, আনমনা হতে হয়।
নিজের মনের কথাগুলো বলে ফেলতে পারাটাও একটা বড় গুণ। সবাই পারেন না, তবে কেউ কেউ পারেন- পাখি আমার একলা পাখি, জন্ম-মৃত্যু-জীবনযাপন, স্মৃতির কলম, বাসাবদল। পড়ে মনে হয়- এ তো একদম আমার কথা- এসব লিখে ফেললো কেমন করে!?
মা-বাবা আর আপনজনদের নিয়ে আমাদের স্মৃতির শেষ নেই, ভাবার শেষ নেই। কিন্তু ওগুলোকে মুখ ফুটে বলা অত সহজ না বোধ হয়। কিন্তু একজন হিটলারের কথা, ২, ৩, ৪, পেয়ে হারাই খুঁজে বেড়াই, মা’কে, লেখা লেখা খেলাঃ দুষ্টু’র নানাভাই, কখনো আমার মা’কে..., কাশ ফুলের কাব্য, পুত্র হিসেবে আমার অপরাধসমূহ, পাখি বাসন, পিতাজী পুরাণ, ২, ৩, ৪, আক্কেল দাঁত উঠেছে অবশেষে, Happiness is a state of mind-র মত লেখাগুলোতে এ আটপৌরে স্মৃতিগুলোই জীবন্ত হয়ে ওঠে- কখনো মুচকি হাসি আসে ঠোঁটের কোনে, কখনো দীর্ঘশ্বাস বের হয় আর কখনো অজান্তেই চোখ ছলছল হয়ে আসে।
ধাপে ধাপে বেড়ে উঠি আমরা- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। কত বন্ধু, কত ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্ব ৫, টিশকুল, অতঃপর নটরডেম নিয়ে আরো কিছু প্যাচাল, অ্যাসেম্বলী, সকাল ৭ঃ৩০..., সাতরঙ্গা আলো, অপরাজিত, গল্প আর ছবিঃ আজ আমাদের পঞ্চাশ বছর, আন্তঃহল গালি প্রতিযোগিতা’র মত লেখাগুলো আমাদের প্রাণখোলা আড্ডার অংশ হয়ে যায়, এক এক জন হয়ত এক এক স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমরা- অদ্ভূত ব্যাপার হল, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন করে যেন কোথাও না কোথাও আরেকজনের সাথে মিলে যায়-আপনারও কি অমন হয় না- সায় দিচ্ছেন, আমি জানি!
লেখা নিয়ে বলতে চাইলে বলে বোধ হয় শেষ করা যাবে না। কেউ কোথাও ঘুরে এলেন, চট করে একটা চমৎকার লেখা পেয়ে গেলাম আমরা- সাথে অনন্য সব ছবি। বিখ্যাত কোন কমিক্স চরিত্র নিয়ে লিখে ফেললেন কেউ। সমসাময়িক কিছু নিয়ে আলোচনা চলছে- উত্তাপ চলে আসছে সচলায়তনে। ক্রিকেট হোক আর ফুটবল- স্মরণীয় কিছু একটা হয়ে গেল- বঞ্চিত হচ্ছে না এখানকার পাঠকও। তবু কোথাও নিঃশ্বাস আছে, আছে পরিত্রাণ [পর্ব ৩], ভয়াল সুন্দর সুন্দরবন, উত্তর মেরুর যাত্রী, ছবি ব্লগ- উত্তর মেরুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ব্রাত্যজনের ভিটে, অ্যাসটেরিক্স, টিনটিনোলজিস্ট, আমরা করেছি জয়, এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে না, এখন দুঃসময়, এখনই আসল সময়, হত্যা অথবা মৃত্যু, বাংলাদেশে ভূমিকম্প বিষয়ক ঝুঁকি, প্রস্তুতি এবং করনীয়। কোন কোন লেখা একেবারে স্তম্ভিত করে দেয়, কোন লেখা নতুন করে ভাবায়- বার বার ফিরে আসতে হয় লেখাগুলোয়।
কথা বলছি তো বলছিই, থামার নামটি নেই! ভুল যদি না করি, এর মধ্যে বারকয়েক স্ক্রল করে দেখে এসেছেন আর কতটুকু বাকি? মুচকি হাসছেন বুঝি! তা হাসুন, সেই যে কথায় আছে না- “আনন্দম!!” নাকি ভ্রু কুঁচকে ফেললেন? একবারও অমন ইচ্ছে হয়নি আর এ অপবাদ ঘাড়ে এসে চেপে যাচ্ছে- রাগ করার আগে ভেবেই নিন না একটু- আপনার ধৈর্য আসলেই প্রশংসা করার মত!
আসলে কি বলব, কথা বলতে শুরু করাটা সোজা হয়ত, থামাটা অত নয়! আমি বরং বকে যাই আরেকটু- আপনি চাইলে খানিকটা বিরাম নিয়ে আবার ফিরে আসুন না হয়- ক্ষতি নেই কোন, একটুও মন খারাপ করবো না আমি, সত্যি বলছি!
আমরা কার্টুন দেখি টিভিতে, মাঝে মাঝে পেপারে- আর হ্যাঁ, কপাল ভাল থাকলে এই সচলায়তনে। আজি এ প্রভাতে রোবুর কর, বিশ্বকাপ ১৯৯৯, কালাইডোস্কোপ, সিংহ মামা সিংহ মামা কচ্ছো তুমি কি?, ফিরে আসবো দুজনায়, কানাই, আমার টেনিদা, হেশোর ডায়রি’র মত ‘রেখাচিত্র’ দেখে খোশমেজাজ ফিরে এলো কি? তাহলে ঝটপট পড়ে নিতে পারেন নামের বাহার, বাহারী নাম, ফরমুলাতে, ফেলেছি ঘাম ১ম পর্ব, ২য় পর্ব, নামকরন সংকট, পদরজ মাগিতেছি নমিয়া, দুঃসময়ের মুখোমুখি।
টোনাটুনি এবং এক ডজন পিঠা, পাপুন্তুস ২, বা বগোডুলের কিচ্ছা- খুব বেশি নেই- কিন্তু পড়ার জন্য বেশ উপাদেয়।
গান আমাদের সবার প্রিয়- গান নিয়ে শুধু পোস্ট নয়, সিরিজ পোস্ট আছে এখানে- গানবন্দী জীবন, আমার রুবী রায়, প্রাঙ্গণে মোর , মনে পড়ে, নতুন দিনের গান, মেঘ বলেছে- খুঁজে দেখলেই চোখের সামনে চলে আসে এগুলো।
বইমেলাই হোক আর লাইব্রেরী- ছোটদের জন্য ভাল বই খুঁজে পাওয়া বেশ ঝক্কির কাজ। বই এখানেও নেই কিন্তু বই হওয়ার আগের রূপটা ঠিকই আছে- ছোটদের জন্য লেখা হয়ে আছে- ক্যানভাস, রেজাল্ট, মালটোভা, ভয়, বুকপকেটে জোনাকি পোকা’র মত গল্প। পাশাপাশি লিখছেন আর অনেকেই- যথারীতি কথা সেই একটাই, না চাইলে পাওয়া হয় না মোটেই।
ছোটদের নিয়েও লেখা আছে অনেক- বাচ্চালাপ, ০২, কচিকাঁচা কথা, লুদমিলা এবং দুইজন নব্য পিতামাতার গল্প, ওরা ১১ জন, গাবলু, রন্টু’র ফেইসবুকিং- একটা একটা করে ইচ্ছেমত পড়ে নেয়ার অপেক্ষা কেবল।
ছোটদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ে দেবার দায়িত্বটা আমাদেরই। ওরা আমাদের একসময় নতুন দিনে নিয়ে যাবে। তার আগে ফেলে আসা দিনের গৌরবের কথা ওদের ঠিকমত জানানোটা অনেক অনেক জরুরী- আশা করি এ নিয়ে দ্বিমত নেই আপনারও। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আর আমাদের দেশ নিয়ে লেখালেখি এখানে সবসময়ই চলছে- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক তথ্যের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সংগ্রহটি অনলাইনে প্রকাশ পাচ্ছে আজ, মুক্তিযুদ্ধ কী?, ১৯৭১, বাংলা উইকিপিডিয়ানদের উইকিযুদ্ধ, ফিরে দেখা একাত্তরঃ কিম ফুক এবং খুকুরানীঃ পোড়ামাটির কাজ, মুক্তিযুদ্ধ করা রাজাকারের মিথ, বাংলাদেশঃ আশায় নতুন জীবনের বসতি- নিশ্চিত বলা চলে- চলবেও সামনের অনেক অনেক দিন।
হীরক রাজার কথা মনে আছে? সেই যে নচ্ছাড় রাজা পন্ডিতমশায়ের টোলে শেখাতে চেয়েছিল–“জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই!”- পন্ডিতমশাই না হই, আমরাও কিন্তু জানতে চাই, শিখতে চাই, বুঝতে চাই- নতুন হলেও তাই আমরা চেষ্টার কমতি রাখি না কোন- পড়তে থাকি- ভূতের নাম আম্বিগ্রাম, অ্যাম্বিগাঁয়ের গুপ্তপথ, বাংলা আম্বিগ্রামঃ কীভাবে কী হয়, শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজিঃ ছবির প্রস্থ এবং উচ্চতার অনুপাত, বন্টু-মিন্টুর গুষ্টি কিলাই, উইকিপিডিয়ার ১০ বছর পূর্তিঃ আমরা কী করতে পারি?, ছবিব্লগঃ ফটোগ্রাফির প্যারাডক্স, কী করিলে কী হয়, এসো কাঁচে আঁকি- শিখে নেয়াটা যার তার কম্ম নয়, কিন্তু আগ্রহ নিয়ে নতুন কিছু জানার আনন্দ কিন্তু কম নয়, তাই না?
অনেক অনেক লেখার কথা তো বলে ফেললাম, অনেকগুলোর কথা বলতে পারিনি- সে লেখাগুলো পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি বলে। আর কিছু আছে যেগুলো পড়েছি- মনেও আছে, কিন্তু বলিনি ইচ্ছে করে। যোগ বিয়োগ করার সময় বলতাম- “রইল হাতে এক!”- অমন হাতে রাখা আর কি!
একবার মনে হচ্ছে লেখাগুলো নিয়ে কিছু বলি, আবার মনে হচ্ছে- “বলার কিছু নেই!” এদের স্বাদ পেতে হলে পড়াই উচিত আগে। আমি কিছু বলব- আপনি ‘পক্ষপাতহীন’ আনন্দটুকু আর পাবেন না- তার চেয়ে কেবল নাম করে যাওয়াই বোধ হয় ভাল- হিমু’র নেভারেস্ট সিরিজ, দিহান-এর অ্যা ম্যাজিক্যাল জার্নি ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭ করে একেবারে ০৮ পর্যন্ত, তাসনীম-এর মার্কিন মুল্লুকে সিরিজ, শিশুপালন সিরিজ, স্মৃতির শহর সিরিজ শেষে প্রকাশিত ই-বই, মুখফোড়-এর আদমচরিত সিরিজ, তুলিরেখা-এর ইস্কুলবেলা সিরিজ- একেবারেই আলাদা করে রাখার মত। গেলো দেড় বছরে সচলায়তনের ‘প্রাণভোমরা’ হয়ে ছিল এ ক’টি সিরিজ- যদি বলি, তা মোটেও অতিরঞ্জন হবে না বলেই আমার মনে হয়- আর পাঠকের পক্ষপাতিত্ব? সে লেখার গুণে এমনিতেই চলে আসবে, আমার অত না ভাবলেও চলবে।
লেখক পাঠকের নিয়েই সচলায়তন- আর এই সচলায়তন নিয়ে আবেগের শেষ নেই- পাঠক পড়ে যান, সমর্থন যুগিয়ে যান আর লেখক চমৎকার প্রকাশে মুগ্ধ করেন সবাইকে। সচলায়তন নিয়ে গবেষণা করে যান কেউ- সচলত্ত্বের নিদ্রাতত্ত্ব, সচলত্বের গুহ্যতত্ত্ব- কখনো রূপক হয়ে উঠে আসে সচলজীবন- বিমান সচলায়তন- কেউ ‘বিরক্তি’র প্রকাশ ঘটান- হতচ্ছাড়া সচলায়তন- কেউ তুলে ধরেন সচল বা অর্ধ-সচল হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত- জুড়ানো গল্প, সচল প্রাপ্তি হইল দিল্লী কা লাড্ডু, খাইলেও পস্তাবে, না খাইলেও পস্তাবে, হাচল তিথীর সচলপ্রেম- এ গল্প কেবল ওঁদের নিজেদের নয় কিন্তু, চুপ থেকে যাওয়া আরো অনেকেরই- সেই যে- কেউ বলেন, কেউ বলেন না! এই দেখুন না, আপনিই কি বলেছেন কখনো এখানে কেমন লাগে আপনার, তার পেছনের গল্পগুলো?
নতুন কোথাও এলে চটপট জায়গাটাকে চিনে নেওয়ার ইচ্ছেটা কাজ করে- প্রায় মাস বিশেক আগে যখন এই উঠোনে পা রাখা কেবলই শুরু করেছি- কিছু লেখা আমাকে খুব এ কাজে খুব সাহায্য করেছিলো- লেখা, পাঠকের মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য- সব মিলিয়ে খানিকটা ধারণা তৈরী করে দিয়েছিল আমার- জানি না আপনিও একমত হবেন কি না, তবে আমার মনে হয় এ লেখাগুলো পড়া থাকা উচিত- কী করা উচিত তা বোঝার জন্য- কী না করা উচিত তা বোঝার জন্যও- আমাদের ব্লগীয় সংস্কৃতি, সচলভাষাঃ প্রথমার্ধ ও শেষার্ধ, সচলাভিধান, দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি পোস্টঃ সচল থাকি ক্যামনে, একটি মতবাদের জন্য আমার এমন ছাগুপনা, গালি বিষয়ক নিয়মকানুন, পয়লা বৈশাখে মূর্ছে যাওয়া ফুল- আলোচনা কতদিকে যে মোড় নেয়, কত কথা যে উঠে আসে- ঝাঁঝ থাকে, রস থাকে, বিদ্রুপ থাকে, ঠাট্টা থাকে, রস থাকে, থাকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা- সব মিলিয়ে শেখার জন্য, জানার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু পাওয়াটাই বরং মুশকিল।
ব্লগিং নিয়েও মতামত ঊঠে আসে মাঝে মাঝে- নবীন পাঠকের জন্য এও বেশ কাজের বস্তু- ব্লগারদের স্বকীয়তা সংরক্ষণ বা কি লিখবো, কেন লিখবো, কতটা লিখবো?- নতুন পরিচিত হয়ে উঠতে থাকা একটা মিডিয়া সম্পর্কে এমন লেখা যত আসে ততই বোধ হয় ভাল।
একটা কথা আগে খুব শুনতাম- “পড়তে পড়তে পাঠক, লিখতে লিখতে লেখক।“ আবার মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটা লেখায় বলেছিলেন, “সে লেখাই ভাল যা পড়লে কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা করে!” আমার তো মনে হয় সচলায়তনে এসে লিখতে ইচ্ছা না করাটাই হবে সবচেয়ে অবাক করার। এত এত লেখা, এত বেশি স্মৃতিজাগানিয়া যে, লেখা না হলেও মনে হয় লিখতে বসে যাই- যা হয় হবে, সে পরে দেখা যাবে না হয়! লেখার ইচ্ছা যখন হয়েই যায় তখন লেখাই ভাল, আর লেখার আগে পরে এগুলো পড়ে নিলেই উপকার- নীতিমালা, FAQ, অতিথি লেখকদের প্রতি, অতিথিদের জন্য, এক নজরে নতুন ও পরিবর্তিত ফিচারগুলো এবং ভবিষ্যৎ ফিচার, সচলায়তনে ছবি সংযোগ করার কাজ এখন অনেক সহজ অথবা সন্দেশ-এর জবানীতে আসা আর আর নোটিশ বা লেখা।
আমার যদি খুব ভুল না হয় আপনি এর মধ্যে দেখে নিয়েছেন শেষের কত বাকি আর! চিন্তা নেই- খুব বাকি নেই। আসলে কথা বলা যায় ঠিক আছে, কিন্তু কত আর?
অনেকগুলো লেখা নিয়ে কথা হল- যোগ করি এ দুটোও- সচলায়তনের সেরা তিন পোস্ট শীর্ষক জরিপ, আমাদের গল্পসমূহ- কারণটুকু আমি বলছি না, আপনি যে বুঝে গেছেন এ নিয়ে আমার একটুও সন্দেহ নেই।
এত লেখা, এত কথা- সব হচ্ছে বাংলায়- জানি না কেন, এখনো অবাক হয়ে যাই আমি। বড়জোর রোমান হরফে মুঠোফোনের বাংলা লেখার বিদ্যা আমার- সে নিয়েই দিব্যি বকে যাচ্ছি- আর মনে হচ্ছে ‘অভ্র’ আমাদের জন্য কী করেছে! ভাষা উন্মুক্ত হবেই- এ এখন আমারও বিশ্বাস- আর “অভ্র- ধন্যবাদ তোমাকে!!” বললেও বোধ হয় যথেষ্ট হয় না- কৃতজ্ঞতাটুকু প্রকাশ করার জন্য হলেও তাই সুযোগ এলে কথা বলি ‘অভ্র’র হয়ে- সে বোধ হয় বাংলার জন্যই কথা বলা- এতটুকু বোধ হয় করাই যায় রক্তে ভিজে অধিকার পাওয়া আমাদের মাতৃভাষার জন্য।
মুহম্মদ জুবায়ের লেখা একটা লিংক হয়ত খেয়াল করেছেন সচলের একদম প্রথম পাতায়- মানুষটা নেই, তাঁর লেখা রয়ে গেছে ওখানে। তবে এইলেখাটা ওখানে নেই- তাঁর চলে যাওয়ার পর প্রকাশিত, সন্দেশের বিজ্ঞপ্তি না পড়লে পড়াই হত না হয়ত কখনো।
লেখাটা হঠাৎ করেই অমোঘ নিয়তির কথা মনে করিয়ে দিল- আজকে এখানে আছি, আপনাদের সাথে কথা বলছি- কোনটা আপনার ভাল লাগছে, কোনটা লাগছে না- তবু বকে যাচ্ছি। হুট করেই হয়ত চলে যেতে হবে, সব অগোছালো রেখেই, সব কথা বলা শেষ না করেই- সে কথা শোনার অপেক্ষাতেও হয়ত থাকবে না কেঊ। আবার হয়ত উল্টোটাই হবে- এ কথাগুলোই রয়ে যাবে হয়ত- সে বড় মজার হবে! আমি নেই অথচ আপনার সাথে দিব্যি কথা চালিয়ে যাচ্ছি!
থাক ওসব কথা! শেষ করি এবার।
একাই তো বলে গেলাম আমি, আপনাকে সুযোগই দিইনি কোন! আমার সে ইচ্ছে নেই, তা নয় কিন্তু! আমি আমার কথা বলে গেলাম, এবার আপনার পালা- আপনার পছন্দ জানব বলে অপেক্ষায় রইলাম। আমার যা পড়া হয়নি, যা মনে করতে পারিনি- তা আপনি পারছেন হয়ত। খুব ভাল লাগবে সেগুলো আমাকে বা আমাদের জানিয়ে গেলে।
আর বাকি থাকলো কী?! ও হ্যাঁ, একটা শব্দ কেবল-“বিদায়!”
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য- আপনার সচলাভিযান সফল হোক, আনন্দময় হোক সচলপাঠ!!!
মন্তব্য
দারুন একটা পোস্টের জন্য বিশাল একটা ধন্যবাদ। কত কত লেখা পড়া হয়নি। পোস্ট প্রিয়তে নিলাম, এখান থেকে একটু একটু করে সব পড়ে ফেলব।
[ আসল কথা হল, লিস্টিতে আমার লেখা আছে, কী মজা ! হাততালি হাততালি ! ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার মত নতুন সচল পাঠক কাম লেখকের জন্য অনেক অনেক সন্দেশ দিয়ে গেলেন। লেখাটা সেভ করে রাখছি, সময় করে লিঙ্কগুলো ব্রাউজ করে পড়বো বলে। অনেক কিছু জানার আছে, অনেক কিছু শেখারও আছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রৌঢ়ভাবনা
দারুণ কাজ
সচলের অসামান্য লিখার তালিকা করা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ । এবং সেই তালিকা যে লিখাটি চোখ বন্ধ করে সবার উপর থাকবে -
পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে কিন্তু আফসোস রানা মেহের আমাদের বঞ্চিত করে চলেছেন সেই জানুয়ারী ২০১০ থেকে ।
সচলের সব লেখককেই তাদের লেখা পড়ে খুব চেনা মনে হয়, তালিকার সব লেখাই মোটামোটি পড়া । গত তিন - চার বছর ধরেই দিনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় সচলের জন্য বরাদ্দ ( খুব খারাপ এই সচল নেশা )।
"পোকাদের দল পাতকুয়ায় ফেরে" এখন পর্যন্ত আমার পড়া সচলের শ্রেষ্ঠ গল্প। সব কিছু তালিকা করা সম্ভব না, তবে এটা আসা উচিৎ ছিল। আশা করি মন্তব্যের ঘরে আরও অনেক এমন লেখার নাম বেরিয়ে আসবে।
এহহে, অন্ধকারে সিগারেট ও দেখি নাই। এটা আমার লিস্টে দ্বিতীয়। নাহ, আপনে সুবিধার রিভিউয়ার না
আমার তালিকার তৃতীয় লেখাটিও দেখি নাই, নীলুফার যখন মারা গেলো । ক্যামনে কি??
অনেক ধন্যবাদ আপনার পছন্দের লেখাগুলো যোগ করে যাওয়ার জন্য।
একটু কৈফিয়ত দেয়ার আছে, দিয়ে রাখি।
সচলে আমি এসেছি ২০১০ এর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে। কাজেই এর আগের লেখা অত পড়া হয়নি। কিছু কিছু পড়া হয়েছে কারো না কারো লিংক ধরে, তাতে আর কতটুকু পড়া হয়?! লেখার সময় তাই আগের লেখাগুলোকে হিসেবের বাইরেই রেখেছি।
২০১০ এর ফেব্রুয়ারির পর লেখা হয়েছে, এমন কিছু লেখাও ছুটে গেছে। মূল লেখাতেও কারণটা বলার চেষ্টা করেছি।
আমি জানি আপনি অনেক দিন ধরেই সচলে আছেন, অনেক লেখা পড়েছেন যেগুলো হয়ত আমার না পড়া রয়ে গেছে।
সে লেখাগুলো আপনার পছন্দের আরো কিছু লেখার লিংক দিয়ে যাবার জন্য যদি অনুরোধ করি সে চাওয়াটা কি অনেক বড় হয়ে যাবে?!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মার্চ ২০১০ থেকে সচলের নিয়মিত পাঠক হলেও আপনার পোস্ট পড়ে দেখলাম অনেক লেখাই ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ অনেক কষ্ট করার জন্য
ভালো একটা কাজ করেছেন। অনেক লেখা পড়া হয়নি, ওগুলো এখন এখানকার লিংক থেকে গিয়ে পড়তে পারব।
বাব্বাহ্...দারুন পোস্ট
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এই পোস্টটা প্রিয়তে নিলে অনেক কাজ বেঁচে যাবে
ধন্যবাদ মর্ম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবুরে মেওয়া ফলে,
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে!
অসাধারণ একটা কাজ করলা।কনগ্র্যাটস এন থ্যাঙ্কস!যুগ যুগ জিও!
সবুরে মেওয়া ফলে,
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে!
অসাধারণ একটা কাজ করলা।কনগ্র্যাটস এন থ্যাঙ্কস!যুগ যুগ জিও!
সচল সংকলন করা অসম্ভব কঠিন একটা কাজ।
সচলাসক্তি কাটানোর মতই অনেকটা....
অতীব উল্লেখযোগ্য এবং আমার সবচেয়ে প্রিয় লিখিয়েদের একজন পরিবর্তনশীল, বাদ পড়ে গেছেন মর্ম ভাই। 'কৈশোরে চেপে ধরে সুনীল গাঙ্গুলী' : এরকম জাস্ট একটা পোস্ট লিখতে পারলে ব্লগিং ছেড়ে দিতাম.....
পোস্টে ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লম্বাআআআআআ...... লেখা, ওরফে লিস্টি। আমি আবার নাম থেকে লেখা মনে রাখতে পারিনা। তবে বেশিরভাগই পড়া মনে হল।
মূলত পাঠকের 'উদারমানসচরিত' এখানে আমার পড়া অন্যতম শ্রেষ্ট স্যাটায়ার-গল্প, বিশেষ করে প্রবাসী বাঙালির চরিত্রচিত্রণে। ওইটা বাদ পড়েছে।
গরম উদাস আসার আগে সচলে নিয়মিত মজার লেখা লিখত মূলত একা সজলই, বিশেষ করে তার quipগুলো খুবই উপভোগ্য। তার কোনো লেখা বোধহয় আপনি লিস্টে আনেননি?
গরম উদাসটা কে শুনি??
আমারে গরম উদাস ডাকলে আপনারে কিন্তু নরম কৌস্তভ ডাকবো বলে দিলাম।
অনেক প্রাক্তন মজারু সচল রিটায়ার করেছেন - সংসারে সন্ন্যাসী, লুৎফুর আরেফীন।
সজল ভাইয়ের রম্যগুলো একটু অন্যরকম - আন্ডারটোনড আর তীক্ষ্ণ। আমার বিশেষ পছন্দ। সেও তো লেখা একরকম বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছে। এখন শুধু ফাঁকিবাজি ভ্রমণ পোস্ট দেয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সরাসরি প্রিয়তে নিলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার নাম লিস্টিতে দেখে
ব্যাপক পোস্ট। অসংখ্য
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেকগুলা পড়া, তারচেয়ে বেশী না পড়া। রিটায়ার্ড করেই সবগুলা পড়ে ফেলতে হবে। দারুণ একটা কাজ করেছেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খাইছে, করছেন কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
করছেন কী? এখন এই এতগুলা গল্প পড়ে যে সময়টা নষ্ট করব, তার জন্য কিন্তু আপ্নে দায়ী
কর্ছেন কি? বিশাল কষ্টের কাজ।
আমার মত নতুন সচলাসক্তদের জন্য সূচিপত্র বানিয়ে ফেলেছেন দেখছি। যেগুলো পোস্টে আসেনি সেগুলোও মন্তব্যে পেয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ মর্ম।
সর্বনাশ! আজকাল এ্যাতো পরিশ্রমের কাজ মানুষ করে? তাও আবার নিখরচায়??
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
একটু ব্যস্ত- তাই আপাতত লগিন করছি না। একটু সময় পেলেই সবার সাথে আলাদা করার আশায় আছি।
যতটুকু দেখছি এখনো পর্যন্ত- লেখার উদ্দেশ্য আংশিক সফল, আংশিক ব্যর্থ।
নতুন পাঠকের কাছে পুরানো পাঠকের দায় মেটানো সাধ ছিল- সেটা হয়েছে টের পাচ্ছি। এই লেখাগুলো পড়লে আশা করা যায় সচলায়তনে নতুন আসা একজন একই সাথে লেখক, লেখা আর পরিবেশ সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা পাবেন- প্রায় বছর দেড়েক আগে নিজে যখন এখানে প্রথম আসি তখন এমন কিছু পাইনি খুঁজে- ছড়ানো ছিটানো যা আছে খুঁজে পেতে কষ্টই হয়েছে বেশ। এক পোস্টে সব রাখব বলেই পোস্টের আকার নিয়ে ভাবিনি একেবারেই, ছোট পোস্টে এতকিছু আটানো বেশ মুশকিল হত।
উল্টো আশাও ছিল- অনেক কিছুই এখানে নিয়ে আসতে পারিনি- হয়ত পড়াই হয়নি, হয়ত মনে ছিল না, হয়ত খুঁজে বের করতে পারিনি- যাঁরা পড়েছেন তাঁরা তাঁদের প্রিয় লেখাগুলোর লিঙ্ক এখানে জুড়ে দিয়ে গেলে অনেক অনেক লেখা হয়ত আমারও পড়া হত। বছরে হাজার দুয়েক লেখা আসে সচলে- আমরা যদি একজন আরেকজনকে সাহায্য না করি তাহলে অনন্য সব লেখা হয়ত আজীবন চোখের আড়ালেই রয়ে যাবে। আপনাদের পড়ার তালিকায় ভাগ বসানোর আশা এখনো করে যাচ্ছি।
কিছু প্রিয় লেখা যোগ করি---
১) ধুলোলাগা চেনা বই সব, হাতড়ায় কে না শৈশব : রাফি।
২) সুমন সুপান্থের শিরোনামহীন কবিতা : সুমন সুপান্থ
৩) একটি বিচারকার্যের বিবরণ এবং একজন ফেইসবুক ডেবড্যুড! : বোহেমিয়ান।
৪) বাকি দোকানের বিস্মৃত গল্পগুলি : বাউলিয়ানা।
৫) জিওল মাছের স্বাদ : জুয়েইরিযাহ মউ।
৬) বোকা মানুষটা : অতন্দ্র প্রহরী।
৭) ঝিনুককে যিনি নীরবে সইতে বলেছিলেন.. : নজরুল ইসলাম।
৮) রৌদ্রকরোজ্বল দিনে মন খারাপ : হিমু [আমার সবচেয়ে প্রিয় পোস্টগুলোর একটি। মনখারাপ হলেই বারবার পড়ি..]
৯) প্রিয় শহর, আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম : সৌরভ।
১০) কাঠঠোকরা : রানা মেহের।
১১) কাফকার মেটামরফোসিস ও আমার বন্ধু আরিফ : বইখাতা।
১২) রবীন্দ্রনাথের 'ছুটি' গল্প এবং বৃক্ষপুরাণ : সুহান রিজওয়ান।
১৩) স্থির সময়ের চালচিত্র? : ভ্রম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এর মধ্যে কয়েকটা লেখা আমার পড়া ছিল জানো?! মনে পড়েনি কেন কে জানে?!
পাঠক এখান থেকেই পড়ে নিতে পারবেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমি আলাদা করে আর কী বলব- যিনি এ লিংক ধরে লেখাগুলোতে যাবেন তিনিই মনে মনে তোমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাবেন এটুকুই কেবল আমি আন্দাজ করতে পারি!
ব্যস্ত সময়ের মাঝেও খানিকটা সময় আমাদের জন্য দিয়েছো- এ জন্য কৃতজ্ঞতা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
লেখক কে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এত ধৈর্য দেখে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হচ্ছি। খুব চমৎকার একটা সূচিপত্র পেয়ে গেলাম।
লেখক কে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এত ধৈর্য দেখে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হচ্ছি। খুব চমৎকার একটা সূচিপত্র পেয়ে গেলাম।
আরো কিছু :
১৪) একটি গোলাপের আদর : ধুসর গোধূলি।
১৫) মেঘ পিয়নের চিঠি : স্বপ্নাহত।
১৬) অঞ্জনের গানে ডাকি। : পরিবর্তনশীল।
১৭) বিকেলবেলায়... : কনফুসিয়াস।
১৮) অহর্নিশ ফেরার : তারেক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
, দারুণ কাজ, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
facebook
অনেক ধন্যবাদ, খুব সময়সাপেক্ষ, পরিশ্রমের একটি কাজ, সচল পাঠকদের জন্য খুব উপকারি একটি পোস্ট। খুব ভালো লাগছে সেরা লেখাগুলি সহজেই পড়তে পারবো মনে করে।
বাহ! আপনি তো চমৎকার কাজ করেছেন! অনেক অনেক ধন্যবাদ। বেশ কিছু লেখা পড়া হয় নি। এই সুযোগে পড়ে নিব।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বিনা কষ্টেই কতগুলা ভালো লিখার তালিকা পাওয়া গেলো, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মর্ম।
খুবই কষ্টসাধ্য, ধৈর্যশীল একটা পোস্ট। উদ্দেশ্যটাও দারুণ।
কিন্তু আরো কিছু লেখক আছেন, যাদের ছাড়া সচল নিয়ে এরকম একটি পোস্ট যেন ঠিক সম্পূর্ণ হয় না। জানি, এদের অনেকেই খুব নিয়মিত লিখছেন না, কেউ কেউ লিখছেনই না। তবুও, সচলপাঠের প্রসংগ এলে এই লেখকদের লেখার কথা এসেই যায়। তাই মেলা দিন পরে লগ ইন করে তেমন কিছু নাম যোগ করে যাচ্ছিঃ
অমিত আহমেদ,কনফুসিয়াস, মাশীদ,সুমন চৌধুরী,
কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সংসারে এক সন্ন্যাসী,
রানা মেহের, আরিফ জেবতিক, স্বপ্নাহত, পরিবর্তনশীল,
রায়হান আবীর, সবজান্তা, তারেক, সৌরভ, ইশতিয়াক রউফ, ঝরা পাতা, দৃশা, আলমগীর,
প্রকৃতিপ্রেমিক,
ফারুক হাসান,
রাগীব ... এবং, হুম আরো তো অনেকেই।
হ্যাপি সচলপাঠ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এতোদিন পর ফিরে এসে যে মন্তব্য করলেন এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু!
আসলে বলার কিছু নেই। ভাল ভাল অনেক লেখা ছুটে গেছে, কারণটুকুও বলার চেষ্টা করেছি- মূল লেখায়, মন্তব্যে।
আমার অপারগতাটুকু আপনারা ঢেকে দেবেন এ আশা নিয়েই কঠিন এই কাজে হাত দেয়া। আপনি যেমন এগিয়ে এসে পছন্দের কথা জানিয়ে গেলেন এমনি করে আর আর সচলেরা এগিয়ে এলেই কিন্তু হয়ে যায়।
সচলায়তন আমাদের সবার। নতুনদের পুরনোরা পথ দেখাবে আর নতুনেরা পথ চলায় পুরনোদের মনে করবে- এমন না হলে প্রচন্ড দ্রুতগতির এই ভার্চুয়াল পৃথিবীতে সবাই হারিয়েই যাবে, আমরা নিশ্চয়ই তা চাই না।
শুধু একটা মন্তব্য নয়, পূর্ণ লেখা নিয়েই সচলে ফিরে আসবেন আবার- এ আশা রইল, ভাল থাকুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
শিগগির বুকমার্ক করি
যাক ইনডেক্সিং টা যুত হইতেছে। cmd+d করলাম।
শাফি।
অনেক ধন্যবাদ, মর্মদা, বিনে পয়সায় এমন সেবার জন্য
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
বাপস! এত্ত এত্ত লেখা? পড়ব কখন জানিনা। শুধু জানি যে পড়বই। তা যতদিনই লাগুক। আমাদের নতুনদের জন্য যিনি এই কষ্ট করেছেন এবং মন্তব্যে আরও যারা তথ্যযোগ দিচ্ছেন তাঁদের সবাইকেই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সবার মঙ্গল কামনায়।
এতো দেখি পুরো সিন্ধু সেঁচে মুক্তো জড় করে রাখা। আমার অবস্থা এখন আলিবাবার লোভী ভ্রাতার ন্যায়।
কোনটা ছাইরা কোনটা যে আগে পড়ি?
আফনের জইন্যে এক মালগাড়ী ধইন্না পাতা---
---------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...
সচলায়তন, রবীন্দ্রনাথ ও জননীদের গল্প পড়া হলেও অনেকখানি সচলপাঠ-ও হয়, সাম্প্রতিক সচলায়তনের ছবিও দেখা হয়ে যায়!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অসাধারণ, মর্ম ভায়া এই পোস্টটা বুক্মার্ক করে রাখলেই সচল হাতের মুঠোয়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এখন আর হাতের মুঠোয় নাই, এ পোস্টের পর দু'বছর গেছে প্রায়! এমন আরেকটা পোস্ট দরকার এখন
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হক কথা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রিয় মর্ম,
চিঠি পেলাম। দৌড়ের উপর আছি আজকে, তাই আজকে বা আজ থেকে দিন বারো পর্যন্ত সচলায়তন থেকে দূরে থাকতে হবে আন্তরজাল, ফোন সব যোগাযোগ প্রায় বন্ধ থাকবে। কিন্তু তার পর, তার পর আমায় পায় কে! আপনার এই সোনার খনির উপহার থেকে আমি আর সহজে বের হচ্ছি না। কি দুরন্ত একটা কাজ করেছেন আপনি! সাক্ষী মশাইয়ের উপদেশ মত বুকমার্ক করে ফেলেছি। চলতি জাহাজ-ভ্রমণ শেষ হলেই এই জাহাজ ভ্রমণ শুরু করে দেব। ভাল থাকবেন। অনেক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সচল পাঠক হিসেবে মনে যদি কেউ জায়গা নিয়ে থাকে তাঁরা হলেন কল্যাণ, প্রোফেসর মশায় আর আপনি।
আরো হয়ত অনেকেই আছেন, তবে আপনারা অন্ততঃ এই লেখাটা মিস করেননি এটা ভেবে ভাল লাগছে
আপনারা পড়বেন সে আশা করেছিলাম, এসে আবার জানিয়েও যাবেন সেটা 'ফাও'- অনেক ধন্যবাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বাহ্ বাহ্!!! কত্ত গুলো...
সেইরাম কাজ করছেন রে ভাই!!!!
সবার খোজাখুজির কাজ সহজ করে দিছেন।
নতুন মন্তব্য করুন