একটা ক্রিকেট দল হলো একটা টেমপ্লেট। এই টেমপ্লেটে ১১ টা পজিশন থাকে, প্রত্যেকটা পজিশনের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, বৈশিষ্ট্যগুলো সময় ও খেলার পরিস্থিতির সাথে অভিযোজিত হয়। এরকম প্রত্যেকটা পজিশনে খেলার জন্য যে খেলোয়াড়কে নির্বাচিত করা হয়, তার যোগ্যতা বিচার করা হয় ওই পজিশনের জন্য দরকারী বৈশিষ্ট্য বিচার করে। খেলোয়াড়কে দলের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট এবং অভিযোজনযোগ্য ভূমিকায় (রোল) অবদান রাখতে হয়। এজন্যই একটা দলে ১১ জন শচীন টেন্ডুলকার খেলেন না, ১১ জন ম্যাকগ্রা খেলেন না; বা ৫ জন শচীন আর ৫ জন ম্যাকগ্রাও একসাথে খেলেন না। একটা ক্রিকেট দল শুধুমাত্র ১১ জন খেলোয়াড়ের এলোপাতাড়ি সমষ্টি না; বরং ভূমিকার সমাহার। আর এক একজন খেলোয়াড় হলো দলের সেই ভূমিকাটা সূচারুরূপে পালনকারী।
এভাবে 'দল' গঠনের সুবিধা হলো দলের কম্পোজিশনে খুব বেশি ওলোটপালোট না করেও একটা পজিশনের খেলোয়াড়কে অপেক্ষাকৃত ভালো যোগ্যতার খেলোয়াড় দিয়ে প্রতিস্থাপিত করে দলের সার্বিক মান উন্নয়ন করা যায়। একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড় অবশ্য বিভিন্ন পজিশনে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন, দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ও ওয়ান ডে দলের ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্যালিস আইপিএল-এ ওপেন করে। অনেক সময় একজন হার্ডহিটারকে পাওয়ার প্লের সুবিধা নিতে ওপেনিংয়ে বা ওয়ান ডাউনে পাঠানো হয়। এগুলোও ভূমিকা পালনের হিসাব। তবে এরকম বহু-ভূমিকা পালনের যোগ্যতাসম্পন্ন খেলোয়াড় নিতান্তই সংখ্যালঘু এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই একটা নির্দিষ্ট ভূমিকায় খেলার যোগ্যতা অন্য ভূমিকার তুলনায় শক্তিশালী হয়।
এবার আসা যাক, বাংলাদেশ দলে আশরাফুলের ভূমিকা কি, সে বিষয়ে। আশরাফুল একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। ক্রিকেটের অধিকাংশ শটই সে সাবলীলভাবে খেলতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো ম্যাচের অবস্থা বুঝে শট সিলেকশনে। ডিপ ব্যাকওয়ার্ডে ফিলডার রেখে শর্টপিচ বল দিলে আশরাফুল নিশ্চিতভাবেই হুক করতে গিয়ে ক্যাচ দিবে। এছাড়া অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোচা দিয়ে উইকেট কীপার বা স্লিপে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করানোও তার রুটিনের অংশ। অত্যন্ত প্রতিভাবান হওয়ার পরেও তার আউটগুলো প্রায় সবসময়ই 'বাজে'। চমৎকার খেলতে থাকা অবস্থায় দেখা যায় হঠাৎ করেই বাজে শট খেলে সাজঘরে। এজন্যই ৫৬ টেস্ট খেলার পরেও তার ব্যাটিং গড় মাত্র ২৩। নমুনা হিসেবে ৫৬ টেস্ট অনেকটা সময় এবং এরকম পরিসংখ্যানের খেলোয়াড় একটা টেস্ট দলের টপ অর্ডারে খেলার যোগ্য না। বাংলাদেশ দল টেস্ট ক্রিকেটে নতুন হওয়ায় এরকম আশরাফুলদেরকে নিয়েই শুরু করতে হয়েছে, সেটা শর্টটার্মে কোনো সমস্যা না। কিন্তু লংটার্মে সমস্যা হলো টেস্ট দলের ৩ বা ৪ নম্বরে ব্যাট করা খেলোয়াড়ের ভূমিকা মোটামুটিভাবে ইনিংসপ্রতি ৫০ রানের মতো অবদান রাখা এবং এজন্যই আশরাফুলদের চেয়ে বেশি যোগ্যতার খেলোয়াড় সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। এই ৫০ এর টার্গেটে কোনো শর্টকাট নেই, এক দু'দিনে এরকম যোগ্যতার খেলোয়াড় উঠে আসে না, তবে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে একজন পরীক্ষিত অনুন্নয়নশীল অযোগ্য খেলোয়াড়কে বছরের পর বছর খেলিয়ে যাওয়া দলের উন্নতির পক্ষে বিরাট বাধা।
এই বাধা কাটানোর চেষ্টা না করে 'আশরাফুলকে খেলাতেই হবে' এরকম মনোভাব থেকে তাকে নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে, কোনো লাভ হয় নি। জেমি সিডন্স এসেই তাকে ধৈর্য্যের পাঠ দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটাও কোনো কাজে আসে নি। আগে সে ১২ বলে ২০ রান করে আউট হতো, ধৈর্য্যের পাঠ নেয়ার পরে ৪৫ বলে ২০ রান করে; কিন্তু আউট হয় সেই খোঁচা মেরেই। তাকে তার নিজের সমস্যা বোঝার সুযোগ না দিয়ে 'দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ' হিসেবে ট্যাগিং করায় তার যে সমস্যা আছে, এটাই সে ধরতে পারে নি। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলার পরেও তার নিজের কোনো উন্নতি হয় নি, দলের উন্নয়নেও সে কোনো তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে নি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রে আশরাফুলই এরকম একমাত্র কেস না; বরং একই দল বছরের পর বছর চালিয়ে যাওয়া নীতি - যেখানে দলের সংজ্ঞা হিসেবে মাত্র ১৫/১৬ জন নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের সমষ্টিকে গ্রহণ করা হয়েছিলো - বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। টপ লেভেল ক্রিকেটে অপেক্ষাকৃত নতুন এবং ফুটবলকে প্রতিস্থাপিত করে জনপ্রিয়তায় এক নম্বরে উঠে আসা ক্রিকেট ক্রেজের বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষাকৃত বেশি যোগ্যতায় ক্যারিয়ার শুরু করার মতো ক্রিকেটার তৈরি হবে। কিন্তু এমনকি গত বিশ্বকাপের আগেও হেড কোচের মুখ থেকে শুনতে হয়েছিলো 'এই ১৫ জনের বাইরে দেশে আর কোনো যোগ্য ক্রিকেটার নাই'!
কোচের কথাটা যে পুরোপুরি মিথ্যা ছিলো আজকের নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানি বা সাব্বির রুমানরা তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। কোনো ইঞ্জিন ঠিকমতো চললে তাতে হয়তো পরিবর্তন দরকার নেই; কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইঞ্জিন বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গেলে যেখানে উন্নয়নের বিকল্প নেই, সেখানে একজন ফর্মহীন রাজ্জাককে বসিয়ে ইলিয়াস সানিকে সুযোগ না দিলে বুঝা যাবে কিভাবে যে দেশে আর কোনো যোগ্য ক্রিকেটার আছে কিনা? একজন আশরাফুল বা রোকন ভার্সন-২ জুনায়েদকে না বসালে কিভাবে নাসিরদেরকে পাওয়া যাবে?
এই বসানোর কাজটা বাংলাদেশে নানা কারণে করা হয় না। দলের ইয়ে মেরে একজন আশরাফুলকে ম্যাচের পর ম্যাচ ডাব্বা মারার সুযোগ না দিয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি জ্বালাপোড়া শুরু হয় আমাদের কিছু ক্রিড়া সাংবাদিকের। সাকিব হোক, মাশরাফি হোক আর আশরাফুল হোক, যে খেলোয়াড় যতো বেশি হটকেক, তাকে নিয়ে ততো বেশি নিউজ বানাতে হবে। ক্রিকেট গোল্লায় যাক, নিউজ বিক্রিই উনাদের সাংবাদিকতার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান।
আশরাফুলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন প্রথম আলোর সাংবাদিকেরা। আশরাফুল বায়ুত্যাগ করলেও উনারা কাউকে না কাউকে চীনাবাদাম খাওয়ানোর দায়ে দোষী করে কলাম লিখেন। সম্প্রতি টেস্ট দল থেকে বাদ পড়া আশরাফুলের সর্বশেষ টেস্টের ইনিংস দেখিয়ে উনারা কান্না জুড়ে দিয়েছেন; কিন্তু এর আগে সর্বশেষ ৫০ প্লাস স্কোর আশরাফুলের ব্যাট থেকে এসেছিলো ২০০৮ সালে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ৭৩ রানের ইনিংসেও যথারীতি উইকেট থ্রো করে দিয়ে সাজঘরে ফেরা আশরাফুলকে এই ইনিংসের কল্যাণে আরো ৩ বছর টেস্ট খেলিয়ে যেতে হবে! তা না করলে প্রথম আ-লোর সাংবাদিক দল নির্বাচন নিয়ে উপহাস করে লিখবেন,
এ কেমন টেস্টদল! এক আশরাফুলকে দলে না নেয়ায় দল হয়ে যায় 'হাস্যকর', কোচ, নির্বাচকেরা হয়ে যান 'হাসির খোরাক'! দলে নতুন মুখ নাসির, ইলিয়াস, শুভাগতকে নেয়ায় দলের অভিজ্ঞতার থলেতে টান পড়ে!
'ক্যাডায় বাদ দিলো রে আশরাফুলকে!?' এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে উনারা শার্লক হোমস হয়ে যান। হাসির খোরাক নির্বাচকরা নাকি তাকে দলে রাখতে চেয়েছিলো; কিন্তু লোটাস কামালই যতো নষ্টের মূল! কোচও কাভারেজ পান। তবে কোচের "ও ভালো মারছে এবং তার পরও ওর বাইরে থাকাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটা সবার জন্য একটা বার্তাও। বাংলাদেশ দলে থাকতে হলে ভালো খেলতে হবে।" এই বক্তব্য ছাপিয়ে হেডলাইন হয়ে যায় ওর বাইরে থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে কোচ মোটামুটি স্পষ্টভাবেই বলছে বাংলাদেশ দলে থাকলে ভালো খেলতে হবে, ভালো না খেলার কারণেই আশরাফুল বাদ, সেখানে 'আশরাফুল না থাকায় কোচও কান্নাকাটি করছেন' জাতীয় একটা টুইস্ট আনা হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সমস্যা একেবারেই ভিন্ন। তাদের বোর্ডের কিছু খাটাশের কারণে গেইল, সারওয়ান, চন্দরপলের মতো খেলোয়াড়েরা দলের বাইরে। প্রায় ৫০ গড়ের চন্দরপল ক্রিকেট বোর্ডের কারণে ঝামেলায়; অন্যদিকে ২৩ গড়ের আশরাফুল তো পারফর্ম্যান্সের কারণে বাদ। কিন্তু আলুতে দুজনকেই এক পাল্লায় তুলে দেয়া হয়। দুজনের প্রতিই নাকি অন্যায় করা হয়েছে! আশরাফুলের সম্বল ৩ বছর পরে এক ইনিংসে ৭৩ রানের কারণে তাকে আরো ৩ বছর না খেলানোটাই প্রথম আলো সাংবাদিকের বিবেচনায় অন্যায়!
তবে প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পরে অন্যায়ের প্রতিবাদে তারা একটু চুপসে যাবেন হয়তো। 'হাস্যকর' নির্বাচনের মাধ্যমে দলে আসা ইলিয়াস সানির ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পারফর্ম্যান্সের সাথে সাথে বাংলাদেশ দল যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে, তাতে আশুপ্রীতি প্রথম আলু থেকে কয়েকদিনের জন্য জরুরি কাজে বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাই এনি চান্স বাংলাদেশ যদি পরের টেস্টটা হারে, তখন তারা আবার জরুরি কাজ থেকে ফিরে এসে কলম ভাঙবেন, এটা নিশ্চিত। জিম্বাবুয়ে টেস্টে ৩ বছরের মধ্যে নিজস্ব সেরা পারফর্ম্যান্স দিয়েও দলের হার এড়াতে অবদান না রাখা স্যার আশরাফুলের অনুপস্থিতিই তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের হারের একমাত্র কারণ হয়ে যাবে!
-------
লেখাটা ক্রিকেটপ্রেমী সচল স্বপ্নহারাকে উৎসর্গ করা হলো।
মন্তব্য
ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একমত, সম্পূর্ণ ভাবে। আশুর হুক করার সেই বদভ্যাস যাবে না কোনদিন--
facebook
হুক করা সমস্যা না, ক্যাচ প্র্যাকটিস করানো সমস্যা।
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভালো লিখেছেন
Ash না, Ass.
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শেষ লাইনে আপত্তি।
আশরাফুল খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশকে অনেক দিয়েছে। তার জন্য যথাযথ সম্মান তার অবশ্যই প্রাপ্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ বলাই দা।
আমার অবজারভেশন আবারও বলিঃ এই ধরনের রিপোর্টিং দেখলে "ফেলো কড়ি মাখো তেল" টাইপের সন্দেহ জাগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে জয়ে সবচেয়ে দুঃখ পাইছে আশু আর তার চামচিকারা। চালাকিটা খুব ভয়াবহঃ প্রতিটা সিরিজ-বিশ্বকাপের আগে আশরাফুল ব্যাটে রান পাচ্ছেন, আশরাফুল এবার কনফিডেন্ট, আশরাফুল আজ মুরগি দিয়ে ভাত খাইছেন, আশরাফুল বাংলার সেরা খেলোয়াড়- এই টাইপের রিপোর্ট শুরু হয়। এএই সিরিজের আগেও হয়েছে! ...বিশ্বকাপের আগেতো আশুকে ঢুকানোর জন্য কী ব্যাপক তোড়জোড়!! প্যাটার্নটা খেয়াল করুন, আশ্রাফুলকে দলে নেয়ার জন্য চাপ তৈরি।
যারা রেগুলার খেলা দেখেন না, তাদের জন্য রিপোর্টে থাকে পুরনো আশরাফুল ঝলক...কবে জানি ২৮ না ৩৪ রান করলো, পরদিন রিপোর্ট আসলো "চোখধাঁধানো-মন্মাতানো-বাহারি মারের প্রদর্শনী!!! সেই পুরনো আশ্রাফুলকে দেখল দর্শকরা"। আবার কবে যেন সে দ্বাদশ ব্যক্তি ছিল, এক পত্রিকাতে কী মায়াকান্না! কবে কোন ক্যাপ্টেন টিমে দ্বাদশ ব্যক্তি থাকে!!!
আমাদের দেশে একটা কথা আছে, "যে হয়না ন'-য়ে, তার হয়না নব্বইতে"! আশরাফুল সেই কবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছিল, সেইটা নিয়ে আমাদের সারাজীবন চলতে হলে ক্রিকেট কোনদিনই এগোবে না। মাঝে মাঝে মনে হয় কার্ডিফের সেই জয় ক্রিকেটকে মনে হয় ৪-৫ বছর পিছিয়ে দিয়েছে...আশ্রাফুলের কারনে একটা পুরো জেনারেশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে-অনেক "হতে পারতো" ভাল প্লেয়ার সুযোগ পাচ্ছেনা। এরকম নন-পারফর্মিং প্লেয়ার দলে থাকলে টিম স্পিরিটের বারটা বেজে যায়...অন্যরা হয়ে যায় হতাশাগ্রস্থ। একটা টিমে শুধু পারফরমেন্স দিয়েই টিকে থাকতে হবে...এইটা তখন আর কারো মনে থাকে না।
যত ভাল খেলোয়াড়ই হোক, দলকে প্রতিবার বিপদে ফেলে উইকেট থ্রো করে আসাটা তার সীমাবদ্ধতা। সে নাকি বলেছে দলে তার জায়গা পাকা নয় তাই সে ভাল খেলতে পারে না!!!!! বছরের পর বছর এইরকম পারফরম্যান্সের পর দলে পাকা জায়গা আশা করা পাগলের প্রলাপ! সে কিছুই শিখছে না...তাই তার অভিজ্ঞতা শূণ্যই বলা যায়।
আশ্রাফুলের সাপোর্টাররা দলের চেয়ে-দেশের চেয়ে আশ্রাফুলকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। সেটা থেকে তাদের সরে আসা উচিত। আমার কাছে আশরাফুল একটা বাতিল মাল, তার অবসর নেয়া উচিত অথবা নির্বাচকদের উচিত ২-৩ বছর অন্তত তাকে বিবেচনা না করা।।ক্লাস ওয়ানের পড়াশুনা তাকে দিয়ে ভাল হলেও ক্লাস টেনে পড়ার জন্য সে ভয়াবহভাবে অনুপযুক্ত। পিরিয়ড!
আর তাকে নিয়ে আলু-কালুর এই ত্যানা প্যাঁচানি-তাকে টিমে রাখার অপচেষ্টার জন্য তাদের জন্য রইলো ঘৃণা...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আশরাফুল আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন। কিন্তু পারফর্ম না করে তাকে দলে টেনে বেড়ানোয় তার দিন দইন অবনতিই হয়েছে।
চরম সত্য কথা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রথম টেস্টের পরেও তারা চুপসে জায়নি। পেশাদার লীগের ম্যাচ রিপোর্টে ঠিকই আশরাফুলের ফিফটিকে হাইলাট করা হয়েছে, যদিও ঐ একই ম্যাচে ওর থেকেও বড় দুটি ইনিংস আছে। আর সেটা উল্লেখ করা হয়েছে "বড় দৈর্ঘের ম্যাচে নিয়মিত রানের মধ্যে থাকা ব্যাটসম্যান হিসেবে"... এরা কতটা নির্লজ্জ হতে পারে!
কোনো এক রিপোর্টে দেখলাম অলোকও নাকি ওডিআই সিরিজে ভালো ব্যাট করেছে!
টিটুয়েন্টি আর ওডিআই প্রত্যেকটা ম্যাচেই সে সেট হওয়ার পরে একইভাবে উইকেট উপহার দিয়ে এসেছে।
একটা ৩০/৪০ বা ৫০ রানের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেয়ার কারণেই ব্যাটসম্যানদের রানের ক্ষুধা নাই। ফিফটি করেই ভাবে কাজ শেষ। একজন ব্যাটসম্যান ডাক মারতে পারে, আন্ডার টেন এ আউট হতে পারে; কিন্তু সেট হওয়ার পরে উইকেট থ্রো করা দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
এদের কাছ থেকে লজ্জা আশা করাটাই লজ্জার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শুধু আশু আর পাকি নিয়েই নয়, এখন মেতেছে গাদ্দাফীকে নিয়ে।
গাদ্দাফিকে নিয়ে মাতার কারণও বিজনেস। গাদ্দাফির স্বৈরাচারী চরিত্র বা বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুদেরকে দেয়া আশ্রয়ের কথার চেয়ে আলুর পাঠক তার ক্যারিশমাটিক চরিত্র বেশি খায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আশরাফুলকে প্রতিপক্ষের দলে খেলাতে পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেট উল্কাবেগে এগিয়ে যাবে। এ জন্যে আমি একটা কায়দা প্রস্তাব করছি। আগে ব্যাট করবে না ফিল্ড করবে, সেই তুচ্ছ বিবাদ টসে না মিটিয়ে বরং আশু কোন দলে খেলবে, এটা নিয়ে টস হোক। এতে করে আমরা অন্তত ৫০% খেলায় জয় নিশ্চিত করতে পারবো।
হে হে হে... কড়া আইডিয়া। শতভাগ সহমত।।
বিপক্ষ দল তারে নিবে না। এশিয়া ইলেভেনে খেলতে গিয়েও হুক করে গোল্ডেন ডাক মেরেছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একজন ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে আপনার বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে। ২য় টেষ্টে বাংসাদেশ জয়ী হোক।
প্রৌঢ়ভাবনা
২য় টেস্টে বাংলাদেশের জয় ক্রিকেট বিশ্বের জন্য অনেক দরকারী। আমাদের পরীক্ষিত ননপারফর্মারদেরকে বাদ দেয়া কোচের পক্ষে সহজ হবে। সম্ভাব্য পারফর্মারদেরকে সুযোগ দিয়ে কিছু ভালো খেলোয়াড় দলে ঢোকানো সহজ হবে। দলের কোয়ালিটি বাড়াতে এর বিকল্প নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ডও আরো চাপে পড়বে। ক্রিস গেইলরা ক্রিকেটে ফিরে আসবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাই ভিমরুল কায়েসকে নিয়ে কিছু বলুন। সে ক্রমাগত দলকে কামড় এ যাচ্চে । ১৫ টেস্টে এই ভিমরুল এর avg
হচ্চে ১৭.০৩। ৫০ একটি। ভিম্রুল একটা নিরব ঘাতক । তাকে নিয়ে কেউ কিছু বলে না।
ইমরুল জেমি সিডন্স প্রোডাক্ট। ওডিআইতে তার ভূমিকা গোল্লা ভার্সন-২। কিন্তু আরো ভালো খেলার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার এই জঘন্য গড়ের জন্য দলে অবস্থান পাকাপাকি হওয়ার অনুভূতি দায়ী। এ অবস্থায় ক্রমাগত পারফর্ম করতে ব্যর্থ হওয়া তার নিজের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করে। ইমরুলকে আপাতত রেস্ট দিয়ে বা ড্রপ করে ওপেনার হিসেবে নতুন খেলোয়াড় দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সুন্দর বিশ্লেষণ। কিন্তু আলুর কানে কি যাবে পানি ?
ধন্যবাদ।
আলুর কানে যাওয়ার দরকার কি? তারা যে আকাম করে, জেনেশুনেই করে। পাবলিকের কানে গেলেই হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আশরা-ফাউল
কায়েসরে নিয়াও কিছু বলা উচিত। বলাইদার এই লেখাগুলো কি শুধু সচলের জন্যই জমা থাকে? আশু আর সুযোগ পাবেনা আন্তত দুই বছরে।
ব্যাটিং স্পেশ্যলিস্ট সাবেক হেড কোচ জেমি সিডন্সের প্রোডাক্ট নিয়ে কিছু বলা রিস্কি, অনেকেই খাপ্পা হয়ে মারতে আসে! জুনায়েদ আপাতত ফোকাসের বাইরে, কায়েস নীরবে খেলেই যাচ্ছে আর রকিবুল ব্যাক। নাফিসের সামর্থ্য সীমিত। এদের সাথে আশরাফুলকে যোগ করলে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে তামিম ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যান নাই। তামিমও খেলে ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের জন্য। টেস্টে টিকে থাকতে হলে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাটসম্যান তৈরি করা খুব দরকার। মুশফিকের সাম্প্রতিক ফর্ম একটা প্লাস পয়েন্ট। সাথে আর ২/৩ জন ব্যাটসম্যান পেলে সাকিব-নাসিররা পরের দিকটা সামলাতে পারবে।
এটা একটু বেশি আঁতলামী টাইপ লেখা। আমুতে আরো সাবলীল ভার্সন আসবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আশরাফুলের চিন্তা করার ক্ষমতা কম বা নেই বললেই চলে। প্রতিভা বা সামর্থ দুই-ই ছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে না পারলে যা হয়। এর সাথে যোগ হয়েছে আমাদের সুযোগ্য সাংবাদিক ভাইয়েরা! আশরাফুলের ক্ষতির জন্য আমি তাদের ৮০% দায়ী করি। দল থেকে বাদ গেলেই, পত্রিকার পাতা জুড়ে আশরাফুলকে নিয়ে এমন মায়াকান্না জুড়ে দেয়, আর সে ভাবে ভালইতো আমি খারাপ কী করলাম! আমারে তাহলে হুদাই বাদ দিছে পলিটিক্স কইরা!
কয়েকদিন আগেই, এই ধারাবাহিকতায় দেখলাম আশরাফুল বলেছে তাকে খুব একটা সুযোগ দেওয়া হয়না। পরিসংখ্যান যদিও উল্টো বলে, আমি সাংবাদিক হলে তাকে জিজ্ঞেস করতাম তাহলে ঘরোয়া লিগে তার এই দূরবস্থা কেন? (যদিও আলু গ্রুপের সাংবাদিকরা সেদিনই আশরাফুল ৫৮ রান করায় লিখেছে "নিয়মিত রান পাওয়া আশরাফুল"। ছোট একটা পরিসংখ্যান দেই -
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিশ্চয়ই কেউ তার সুযোগ পাওয়া নিয়ে পলিটিক্স করেনা!
জাতীয় দলে দীর্ঘ সময় ধরে খেলার পরে একটা খেলোয়াড়কে ঘরোয়া লীগের পারফর্ম্যান্স দিয়ে বিচার করার স্কোপ কম। আশরাফুল ঘরোয়া খেলায় ডাক মারুক আমার সমস্যা নাই, যদি সে আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিয়মিতভাবে পারফর্ম করতে পারে। আশুর ক্ষেত্রে সমস্যা হলো তার আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে। আফগানিস্তানের সাথে জেতা টিটুয়েন্টি ম্যাচে নাইম একের পর এক ব্লক করে যাচ্ছিলো আর মিস্টার ক্যাপিটান হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন। মাঝখান থেকে সাব্বির এসে ম্যাচ বের করে ফেলে। এই আত্মবিশ্বাসের অভাব আশুর ঘরোয়া লীগের পারফর্ম্যান্সেও পড়েছে। একটা ফিফটিকেই তাই বিক্রি করতে হচ্ছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আসলে ঘরোয়া লীগের পরিসংখ্যান এনেছি, বড় স্যাম্পেল স্পেসে তুলনামূলক বিচারের জন্য যেখানে আশরাফুলের অভিযোগ সে ঠিকভাবে সুযোগ পাচ্ছেনা, ঘরোয়া লীগের পরিসংখ্যান প্রমাণ করে সুযোগ তার জন্য কোন সমস্যা না।
স্যার আশুরাজ পোদ্দার আর জনাব আবলুশকৃষ্ণ বাহাদুর এই দুইজনকে যথাক্রমে ক্রীড়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকতা থেকে কান ধরে বের করে দিলে পত্রপাঠ এই দুই সেক্টরেই বাংলাদেশের উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। লেইখা রাখতে পারেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চমৎকার বিশ্লেষণ!!
আশরাফুল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান (অনেকের মতেই), কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের ক্রিকেট এখন এমন এক জায়গায় চলে গেছে যে প্রতিভার চেয়ে পারফরম্যান্সকেই বেশি গুরুত্ব দেয়ার সময়। যখন আমরা শুরু করি টেস্ট খেলা, তখন প্রতিভার উপর অনেকখানি ভরসা করে থাকতে হত আমাদের,যেহেতু হাতে ক্রিকেটার কম ছিল। কিন্তু এখন জাতীয় লিগ আছে,প্রতি বছরই প্রচুর ক্রিকেটার জান দিয়ে পারফর্ম করে, ট্যালেন্ট ওইখানেই ম্যাচুরড হয়ে আসার চান্স বেশি। এখন এইসব "tested cricketer" না আনলে আমরা আরো পিছনে চলে যাব।
আশরাফুল ভালো ফর্মে নাই, কখনোই ছিল না। "Form is temporary, but class is permanent". For ash, form is ALWAYS temporary. তবে তার বাদ পড়ার ব্যাপারটা আর সবকিছুর চেয়ে নির্বাচকদের inconsistency'র ফল বলেই মনে হয়েছে। আমি বলছি না যে আশরাফুলকে আরো বছর বছর খেলানো হোক, কিন্তু যেহেতু আগের টেস্টেই সে দলে ছিল সর্বোচ্চ রান স্কোরার (আর আউট তার মত করেই), কাজেই subsequent সিরিজেই বাদ পড়াটা কিছুটা দৃষ্টিকটু। বরং আগের টেস্টে কেন তাকে দলে নেয়া হয়েছিল এইটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাইতে পারে।
প্লিজ আমাকে "আশরাফুলের অন্ধ ভক্ত" বলে আমার দিকে তেড়ে আইসেন না। ছুডো মানুষ, বুই পাই
আশরাফুল যখন বলে "এই ম্যাচে রান না করতে পারলে পরের ম্যাচে দলে থাকবো না, এই চাপ থেকেই রান করতে পারি না" আর উটপোঁদ যখন এই পয়েন্ট নিয়েই ফাল পাড়ে, তখন মনে হয় এরা "যুক্তি" কাকে বলে বা "ফ্যালাসী" কি বস্তু সেসম্পর্কেই অজ্ঞ।
আশু যখন স্কুলে পড়ত তখন কি আশুকে বলা হত না যে ফাইনাল পরীক্ষায় পাশ না করলে পরের ক্লাসে প্রমোট করা হবে না ? সারা পৃথিবীর অধিকাংশ খেলোয়াড় এই চাপ মাথায় নিয়ে খেলে যে পারফর্ম না করলে দলে থাকা যাবে না- একই কথা নিউ ইয়র্ক নিকসের টনি কারমেলোর জন্যও প্রযোজ্য, ম্যান সিটির ডেভিড সিলভার জন্যও খাটে।
টেস্ট পরিসংখ্যান দেখি একটু-
ইনিংসে গড়
আশরাফুল- ১০৯ ২৩.০২
রাজিন সালেহ- ৪৬ ২৫.৯৩
তাহলে টেস্ট দলে আশরাফুলকে নেয়ার জন্য এত কান্নাকাটি করা হয়, রাজিন সালেহ বেচারা কি দোষ করল ?
চিটাগাং টেস্টের প্রথম দিন আশরাফুলকে নিয়ে ক্রিকইনফো কমেন্টেটর মন্তব্য করেছিলেন, " আশরাফুল বলেছেন যে তাঁকে নাকি যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়নি। তাই পড়ে আমি চোখ রগড়ে নিয়ে আবার পড়লাম, এরপর গায়ে চিমটি কেটে দেখলাম আমি কি জেগে আছি।"
আশরাফুল আজ আর শুধু জাতীয় নন, রীতিমত আন্তর্জাতিক হাসির খোরাক।
Bangladesh er cricket ke jdi pura world ajke chine thake, ta sudhu ooi cheletar jonnoi.... oor moto extraordinary batsman ki krte paare amra jani.... haa se khrp kheltese... but ooke relaxed hye khelar sujog din.... trpr dekhun o ki kre..... r kindly oor batting order nia experiment bondho korun...... he is jst simply outstanding.... ooke chara national team chintao kra jaay na
আশরাফুলকে লুঙ্গি পড়ে খেলতে দেওয়া হোক
আপনি কি আশরাফুল? এছাড়া আর কেউ ইংরেজি অক্ষরে বাংলা কমেন্ট করবে বলে মনে হচ্ছে না
নিয়মিত অনূর্ধ্ব- ১০ রান করেও যেখানে দল থেকে তিনি বাদ পড়ে যাচ্ছিলেন না, সেখানে গত টেস্টেই বেশ বলার মতো রান করেও কেনো তিনি এইবার বাদ পড়ে গেলেন- এইটা আমার কাছেও রহস্য বটে।
তবে আমরা জানি, জানিয়েছেন অতীতের আশরাফুলই ম্যালাবার, ওই ইনিংস খেলবার পরের কয়েকটা টেস্ট ম্যাচে তার রান যে কোনো বোলারের থেকেও কম হবার কথা। বাদ পড়াটা তাই তার জন্যে যথার্থ।
স্যার এশকে বুঝতে হবে নিয়মিত পারফর্মের গুরুত্ব- তবে তা তাকে অনেকেই বুঝতে দেবেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ম্যাচে আশিটার মতো রান করলেই শিরোনাম হবে- 'আশরাফুলের দিন'। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পরের দু'ম্যাচে শুণ্য মারলেও সেখানে কিন্তু ঘুরেফিরে বলা হবে ওই দু'ম্যাচ আগের আশি রানের কথাই। বিরক্তিকর...
চরম !!
অনেক আগের লেখা, তবে খুব ভাল বিশ্লেষণ করেছেন।এখন ৬১ টেস্টে এই বীরপুরুষের গড় ২৪ । এর মত সুযোগ অন্য দেশের কেউ পেলে সে তারকায় পরিনত হত সেখানে এই আশরাফুল যেমন তেমনই আছে
নতুন মন্তব্য করুন