কাঁটাতার

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১০/২০১১ - ৬:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হেমন্তের আকাশে রঙ লেগেছে। সে রঙ গায়ে মেখে হরিপদ দাপিয়ে বেড়ায় সামন্তপুরের বাতাসে। মা ডাকে। দুপুর গড়িয়ে গেল হরি ভাত খেয়ে যা। হরি শুনেও শুনেনা।

বিকেলে আবারও খেলতে চলে যায় হরিপদ। সন্ধ্যা হয়, প্রত্যেক দিনের রুটিন মতো মা আবারও ডাকে, হরি। হরিপদ শুনেও শুনেনা। সে বসে থাকে। বাবা আসবে। কাঁটাতারের ওপারে হরিদের ধানের জমি। বাবার হাত ধরে বাসায় ফিরবে হরিপদ। রোজ যেভাবে ফিরে।

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামে। শেয়াল ডাকে, বুটের আওয়াজ, টর্চের আলো। ভয় করে হরিপদের। আশেপাশে কিছু শব্দ। হরিপদ ডাক দেয়, বাবা।
কাঁটাতারের কাছাকাছি চলে আসে সে। আবারও ডাক দেয় বাবা তুমি এসেছো।

একটু পরে আশেপাশে কোথাও বাজ পরার মতো শব্দে আঁতকে উঠে সে। কিছু লোকের ছোটাছোটি। ভারি কীসব বস্তা হাতে ছায়া মানুষগুলি অন্ধকারে মিশে গেলো।

একটু এগিয়ে যায় হরিপদ। একটা গোঙানির শব্দ। হরিপদ আবারও ডাকে বাবা। আরেকটা বাজ পরার শব্দ হয়। গাছের পাতা গুলিও নিস্তব্ধ। কাঁটাতারের লোহার খাঁচা হা করে তাকিয়ে আছে।

কেরোসিনের আলোর এগিয়ে আসছে একটা ছায়া শরীর। ক্লান্ত দেহে হাঁক দেয়, হরি এত রাত হল, তুই তবু এখনও বসে আছিস। হরি আরেকবার ডাক দেয় না বাবা। অপেক্ষা করতে করতে সে ঘুমিয়ে পড়েছে বাজ পরার শব্দে।

----------------------

আমার শহর
অক্টোবর ২৭, ২০১১


মন্তব্য

শাব্দিক এর ছবি

তাপস'দা আপনি অতিথি লেখক নাকি?
লেখা ভাল লাগল।

তাপস শর্মা  এর ছবি

আপনার প্রশ্নের উত্তরে আরেকটি ন্যানো গল্প বলি-

আপনার রন্টুর গল্পের মতোই, সে অবশ্য বড় রন্টু, রন্টুর মতো ছোটো নয়। অসম্ভব অভিমানী। বাড়ির বড়দের সাথে সে একবার উৎকট কিছু আচরণ করে ফেলল। বাড়ির বড়রা তাতে রুষ্ট হয়ে তাকে বলল- যাও বাসা থেকে বেরিয়ে যাও, তোমার মতো দুষ্টুর কোনো স্থান নেই এই বাড়িতে। তখন বড় রন্টু বুঝতে পারল সে ভুল করেছে। মন দিয়ে পড়াশুনা না করেই মাষ্টার মশাইয়ের সাথে ঝগড়া করেছে। এইবার রুন্টু কী করবে? সে এখন ভাল ভাবে পড়াশুনা করছে, রাস্তায় বসে। অপেক্ষা করছে কবে বাড়িরা বড়রা এসে তাকে ডাক দেবে, আর বলবে চল রন্টু এবার বাসায় ফিরে এসো...

শাব্দিক এর ছবি

অ্যাঁ বাড়ির নাম সচলায়তন নাকি? এ বাড়ির লোকরা তো জানি ভালই।
আমরা পাই না, তাই খাই না। আর অভিমানী হবার কত জ্বালা, পেয়েও খাওয়া যায় না।

তাপস শর্মা  এর ছবি

হ। কি আর করি কন। দুস্টুমি করলে ওঁয়া ওঁয়া

পাঠক এর ছবি

বহুল আলোচিত একটি বিষয় অবলম্বনে ছোট্ট লেখাটি ভাল লেখেছে।

প্রৌঢ়ভাবনা

তাপস শর্মা  এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

বন্দনা এর ছবি

একি তাপসদা আপনার আবার হোল কি, অতিথি হিসেবে যে লিখা দিলেন।
লেখা ভালো হয়েছে।

তাপস শর্মা  এর ছবি

বন্দনা উপরের ন্যানো গল্পটা দেখুন। আর - নির্বাসনে আছি একরকম। তবে বাধ্য ছাত্র হবার চেষ্টা চলছে আর কি হাসি

ধন্যবাদ। আপনাদের ভাল লেগেছে তাই আমারও ভালো লাগলো

তাপস শর্মা  এর ছবি

বন্দনা উপরের ন্যানো গল্পটা পড়ে দেখুন বুঝে যাবেন হাসি হাসি

ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লেগেছে তাই আমারও ভালো লেগেছে।

উচ্ছলা এর ছবি

কী দারুন সুন্দর গল্পটা!

পাঁচতারা হাসি

তাপস শর্মা  এর ছবি

ধন্যবাদ ম্যাডামজী হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

গল্প ভালো। তবে প্লটটা পুরোনো। আর ছোটাছোটি, পরার ইত্যাদি কিছু বানান ভুল আছে।

তাপস শর্মা  এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তভ হাসি

তাপস শর্মা  এর ছবি

হুম । মন খারাপ

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

লেখাটা দু'বার পড়লাম। প্লটটা বোঝা গেলো। তবে বক্তব্য পরিষ্কার হলো না। আমারই বোঝার অক্ষমতা। মন খারাপ

--------------------------------------------------------------------------------

তাপস শর্মা এর ছবি

মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

ভালো লাগলো চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন।

কল্যাণF এর ছবি

চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

আইচ্ছা।

শামীমা রিমা এর ছবি

চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।