সকালে উঠেই অরিন টের পেল, আজকের দিনটা অন্যরকম।
জানালার পর্দা টান দিতেই চোখ ঢাকতে হোলো, সূর্যটাকে যেন কেউ ডিম পোচের মত পৃথিবীর উপর ছেড়ে দিয়েছে! ঝকঝকে রোদে চনমন করছে বাতাস!
নাহ, আজকের দিনটা অন্যরকম।
অন্যরকমের সুর গুন গুন করতে করতে অরিন দাঁতে ব্রাশ ঘষে।
রান্নাঘরের জানালায় কয়েকটা চড়ুই পাখি বসে সকালের আলাপ করছে।
অরিন চুলায় চায়ের পানি চড়ালো।
সড়াৎ শব্দ হোলো বাইরের দরজায়...
খবরের কাগজ।
অরিন কাগজ তুলে আনতে গিয়ে দরজার নিচে আরো আবিষ্কার করলো...
চিঠির খাম!
আর...
পোস্টকার্ড নয়তো? হ্যা! তাইতো!
পোস্টকার্ডে ঝকঝকে নীল আকাশ পেছনে রেখে সামনে দাঁড়িয়ে কমলা গাছের সারি, তাতে একরাশ টুকটুকে কমলা ফলে আছে।
কার্ডের উলটো দিকে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা,
'প্রিয় অরিন, তোমাকে।'
অরিন আনন্দে, উত্তেজনায় প্রায় চেঁচিয়ে উঠেছিলো!
কোনমতে সে ইচ্ছাটা দমন করে চিঠির বড় খাম টা খুলে ফেললো।
ভেতর থেকে বেড়িয়ে এলো স্বচ্ছ বাক্সে ভরা, হালকা, চকচকে গোল চাকতি, মাঝে ফুটো।
সাথে চিরকুট।
তাতে লেখা, "জানি আজ বিশেষ দিন নয় অন্য কারো জন্যে, কিন্তু তোমার জন্যে অরিন, প্রতিটি দিনই বিশেষ হোক।"
অরিন সাবধানে চাকতিটা নামিয়ে রাখে টেবিলে।
এরপর দুরুদুরু বক্ষে, রান্না ঘরে যায়।
হচ্ছেটা কী?
আজকের দিনটা, অরিন মনে মনে ভাবে, অন্যরকম না হয়েই যায় না।
চা করে, রুটি আর জ্যাম বের করে টেবিলে সাজিয়ে, অরিন সন্তর্পণে গোল চাকতিটাকে তুলে ধরে।
সিডি প্লেয়ারে চাকতিটা ভরে দিয়ে একছুটে এসে টেবিলে বসে।
ক্ষণিক নীরবতা...এরপর একটা পরিচিত সুর ভেসে আসে সিডি প্লেয়ার থেকে...
স্টিভি ওয়ান্ডার।
'..I just called..to say.. I love you..'
অরিনের মুখে মুচকি হাসি দেখা দেয়। পা দোলাতে দোলাতে রুটিতে জ্যাম মাখিয়ে কামড় দেয় অরিন।
সারাটা দিনই অরিনের ফিরে ফিরে এটাই মনে হয়। আজকের দিনটা অন্যরকম।
অফিসে পাশের কিউবিকলের মেয়েটাকে লাঞ্চ টাইমে বলেই বসে,
'আজকের দিনটা অন্যরকম না আনিকা?'
আনিকা মুখ হাড়ি করে টিফিনের বাক্স ঘাটছিলো, 'কী রকম আবার?'
'না মানে, কেমন কেমন না?'
আনিকা তাকায়।
অরিন অপ্রস্তুত হয়ে বলে, 'না মানে কেমন রোদেলা...'
'উফ, গরমের কথা আর বোলো না, বাসে আসার সময় একেবারে অস্থির হয়ে গেলাম! উফফ!'
অরিন একটু দমে গিয়ে নিজের খাবারে মন দেয়।
একটু পর আবার মুচকি হাসে।
আজকের দিনটা অন্যরকম।
সন্ধ্যা মিলায়। গোধূলির আলোয় শহরটা রহস্যময় হয়ে ওঠে।
রাস্তার রাস্তায় হলদে বাতি জ্বলে, দিনের ক্লান্তি পায়ে ঠেলে মানুষজন বাড়ি ফেরে।
অন্যরকম দিনটার শেষে অরিন ও বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়।
সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিচের তলার দরজাটা ক্যাচ ক্যাচ শব্দ তুলে খোলে।
'কে যায়?'
লাঠিতে ভর দিয়ে এক প্রৌঢ়ার আবির্ভাব সিড়ির গোড়ায়। অরিনের বাড়িওয়ালি।
'আমি অরিন খালাম্মা।'
'একটু শুনে যাও।'
অরিন অনিচ্ছাসত্বেও নিচে ফেরে।
'জ্বী খালাম্মা।'
বৃদ্ধা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে অরিনের দিকে।
দরজার পাশের তাক থেকে একটা বড় খাম বের করে অরিনের হাতে দেয়।
'ছেলেটা বলে গেল আগামী এক সপ্তাহ ঈদের ছুটি, ওদের কুরিয়ার সার্ভিস বন্ধ। আগামী সাতদিনের ডেলিভারি আজকে দিয়ে গেল তাই। ছুটির পর আবার তোমাদের চুক্তি অনুসারেই চলবে।'
ঠকাশ করে দরজা বন্ধ হয়।
দরজার এপাশে, অরিন তার 'অন্যরকম সাতদিন' হাতে করে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকে।
মন্তব্য
চুক্তি!?
ভালো হয়েছে খুকি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি যদি খুকি হই, তবে তলোয়ার ও একরকমের নরুন
হুম, চুক্তি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভুজতে গিয়েও ভুজলাম না!
'চুক্তি' বুঝতেছি... সেরকম থিমে গল্প হলে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং, যদিও সম্পূর্ণ নতুন কনসেপ্ট নয়। কিন্তু...
চুক্তি যার সাথে, সে একদিনেই সবদিনের কুরিয়ার করেছে? তাহলে আর 'আগামি সাত দিনের' হয় কেমনে? সেটা কুরিয়ারআলারাই বা জানবে কেমনে?
সাতদিনের বা তার বেশিদিনের কোন 'চুক্তি' আছে, সেটা কুরিয়ারের ছেলেটাই বা জানছে কী করে? না জানলে তো আর বাড়িওয়ালিকেও জানাতে পারছে না।
তাহলে কি চুক্তিটা কুরিয়ারের ছেলেটার সাথেই?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওরে! চুক্তি থিম তো বুঝেই গেছ, আর কি বুঝতে চাও! ইহা উপপাদ্য তো নয়!
আসলে, ইচ্ছা ছিলো বোঝানোর, যে মেয়েটার সাথে সারাদিন এমন কিছু ঘটছে যে মেয়েটা দিনটাকে অসাধারণ মনে করছে। কিন্তু আসলে তার দিনগুলো অসাধারণ নয়। সে নিজেই অসাধারণ বানানোর চেষ্টা করছে।
এখন, যদি খুব ভেঙে বলতে যাই, তাহলে এইটুকু বোঝানোর জন্য অনেক কথা বলতে হয়। সেই অনেক কথা বললে আর মজা থাকে কই। তাই এভাবেই ছেড়ে দিয়েছি। মূল গল্পটা বোঝা গেলেই খুশি।
চুক্তি টুক্তি কার সাথে তুমিই ভেবে ঠিক করে নাও!
আর নতুন থিম না ঠিক। পরিচিত ঠেকে।
গাড়িতে স্টিভি ওয়ান্ডারের গান শুনতে শুনতে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। তখন একঝলকে মাথায় এমন একটা কিছু এসেছিলো। লিখে দিলাম।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
দ্রোহী'দার মন্তব্যের জবাবে রিপ্লাই দিয়েছি।
আর P.S: I Love You এর কথা রঙিন ভাই, সুবর্ণরেখা, শাব্দিক বলেছেন। 'নিজেই নিজেকে পোস্টকার্ড পাঠানো'টা মিঃ বিনের হলিডে সিজনের একটা এপিসোডে আছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুম। কঠিন ব্যাপার-স্যাপার।
একদম, শিশি-বোতল, কাঁচ-ভাঙা কঠিন ব্যাপার-স্যাপার।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
'অরিন' নামটা দেখেই হাসি পেয়ে গেলো। কেনো হাসি পেলো, এটা অবশ্য অরিন নামের কারো বুঝার কথা না। এবং আমি নিশ্চিত, আমার এই মন্তব্য দেখেও কারো না কারো ঠিকই হাসি পাবে।
গল্পটা বুঝতেছিলাম, হুম হুম করে মাথাও ঝাঁকাচ্ছিলাম। কিন্তু, ওই, শেষে এসে প্যাঁচ লেগে গেলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শেষে এসে বলতে চাচ্ছিলাম, পোস্টকার্ড গুলো মেয়েটাই নিজেকে পাঠায়।
কী করে সেটা বোঝাই সেটা ভাবলাম কিছুক্ষণ। একবার ভাবলাম ফোন আসুক ওই কম্পানি থেকে, তারা বলবে অনিবার্য কারণ বশত আর ডেলিভারী দেয়া সম্ভব হবে না, ইত্যাদি। সেটা ক্ষ্যাত লাগলো।
আবার ভাবলাম, মেইল আসুক পিসিতে। ইলেক্ট্রিক বিল এর নোটিস। সেই পিসি পর্যন্ত অরিন কে টেনে নিতে আরো কত কথা বলতে হবে চিন্তা করে ওইটা বাদ দিলাম।
শেষে মনে হলো, অন্ধকারে এই 'অন্যরকম' দিন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা চলে। তাই তখন এরকম করে ছেড়ে দিলাম। কুরিয়ারের ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য অনেক বাক্য খরচ করতে হোতো। লিখেও ছিলাম বুড়ির কথায়। কিন্তু পোস্ট করার আগে একবার পড়ে মনে হোলো, ধুর, এত কথা পড়তে ভালো লাগছে না। তাই ছেটে দিয়েছি।
ফলে একটু কনফিউশন হচ্ছে মনে হয়।
আর এটা নিয়ে টানাটানি করবো না, কনফিউশন থাকলে অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে...
কালে কালে ছোট গল্প লিখিয়েও হয়ে যেতে পারি হয়তো তাহলে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আরে! আরে!! আরে!!!
আমার মন্তব্যের শেষের লাইনটাতো মজা করে বলা। ছোট গল্পের মজাটাই তো ওখানে যে পাঠককে নিজের মতো করে অনেক কিছুই ভাবতে বাধ্য করে। আমার কাছে যেমন একবার মনে হচ্ছিলো মেয়েটা নিজেই নিজেকে খাম পাঠায়। আবার মনে হচ্ছিলো কুরিয়ারের ছেলেটা। অল্প সময়ের জন্য PS. I Love You-এর কথাও মনে এসেছিলো। তো যা বলছিলাম, চমৎকার একটা গল্প তো এরকম ভাবনা সৃষ্টিকারীই হতে হয়।
আর যৎসামান্য কিছু সমালোচনা ছিলো তো বটেই, যেটা আমার মেম্বরজান নিচে উল্লেখ করেছেন সুন্দর করে। এর পরেও বলবো, বেশ ভালো একটা গল্প হয়েছে গুণী বালিকা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সেই
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
চকচকে গোল চাক্তিটা কী বস্তু? মাঝে ছিদ্র কেন? চুক্তিতে পরে আসছি।
শাফি।
সিডি প্লেয়ারে চালিয়ে দিলাম তো, সিডিই হবে। অবশ্য আজকালকার দিন, ডিভিডিও হতে পারে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বাহ গল্প টা বেশ ভালো লাগছিলো... কিন্তু শেষের দিকে এসে বুঝতে পারলামন া
সেই
পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ps:I love you
ও এইবার বুঝলাম
বটে? তাহলে আমি বুঝলাম না কেন?
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মুভ্যিটা দেখতে হত
ওহ! এবার বুঝলাম।
ধন্যবাদ!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
হুমমমমম-----
হুম-কি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
শেষটা এমন হবে, পড়ার সময় বুঝতে পারি নি। বেশ ভালো লাগলো। অন্যরকম একটা গল্প।
ধন্যবাদ অপ্র!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
প্লটটা চমৎকার কিন্তু কয়েকটা লজিক্যাল ফুটোর জন্য গল্পটা মুগ্ধ করলো না।
গল্পটা পড়ে মুগ্ধ হতাম যদি অরিন পরের দিন ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার সাথে একগাদা খাম ও "আগামী সাতদিন ঈদের ছুটি তাই আগামী সাত দিনের ডেলিভারি অগ্রীম দিয়ে গেলাম" লেখা একটা চিরকুট আবিষ্কার করতো।
ঈশ! এটা তো মাথায়! আসেনি! তাই তো!!
পত্রিকার সাথে নোট পেলেই হোতো!!! আমি একটা ইডিয়ট!!!!
(দেয়ালে মাথা বাড়ি দেয়ার ইমো টা কই থাকে?)
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এই যে, দ্রোহী'দার পয়েন্ট করে লেখা এই 'লজিকাল' এররগুলোর কথাই বলছিলাম। মাঝরাতে চোখে ঘুম নিয়ে অত গুছিয়ে মন্তব্য করতে ইচ্ছা করছিলো না।
তোমার গল্পের কাছে পাঠক আমার নিজের এক্সপেক্টেশন বেশি, তোমার আগের কিছু গল্পই সেটার জন্যে দায়ী। চিঠি/পোস্ট/খাম মেয়েটাই নিজেকে পাঠাক আর কুরিয়ারের ছেলেটা বা তৃতীয় কেউ, চুক্তিটা নিজের সাথেই হোক বা আর যার সাথেই থাকুক, তাতে অসুবিধা নাই। কিন্তু আমার মতন পাঠককে স্যাটিসফাই করতে হলে গল্পকে আরও রিয়ালিস্টিক হতে হবে। শুরুতে সাসপেন্স বিল্ডাপ ভালো ছিলো, অথচ কুরিয়ার সিস্টেমের খুঁতটা গল্পটার টুইস্টটা মাঠে মেরে দিয়েছে আমার কাছে।
এমনিতে উপমা, বর্ণনা, লেখার স্টাইল বরাবরের মতই ভালো হয়েছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দ্রোহী ভাই দারুণ বলেছেন। গল্পের শেষটা এরকম হলে আরও দারুণ হতো।
তবে আপনার প্রথম পয়েন্টটার ব্যাপারে আমার মনে হচ্ছে, যে এমনও তো হতে পারে, সাতদিনের ডেলিভারি একটা খামে থাকায় সেটার আকার অনেক বড় ছিল, তাই সেটা দরজার তলা দিয়ে ঢোকে নি।
সাত দিনের খামগুলো একটা খাম থেকে খুলে এক এক করে তো দরজার ফাঁক গলিয়েই ঢুকিয়ে দেয়া যায়। তবে খামের ভেতরে হরলাল রায় এর বাংলা ব্যকরণ শিক্ষা থাকলে অবশ্য কাহিনি ভিন্ন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খামটা বড় ছিল (তাই বলা আছে গল্পে) সেই জন্য দরজার তলা দিয়ে ঢোকানো যায় নি। ছেলেটার সাথে কি চুক্তি অরিনের এটা মনে হয় বাড়িওয়ালির জানার কথা নয়। আর অরিন যে নিজের ঠিকানাতেই চিঠি পাঠাচ্ছে এটাও হয়তো কুরিয়ারের ছেলেটা জানে না, কেননা সে প্রতিদিন দরজার তলা দিয়েই চিঠি ডেলিভারি দেয় (প্রাপককে না দেখেই)।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
প্রতিমন্তব্যে এত কথা লিখে অনুগল্পটির মূল সুরটিকেই ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। এধরনের গল্পেতো পাঠকদেরও একটা স্বাধীনতা থাকে গল্পটি নিজের মত করে বুঝে নেবার।
প্রতিমন্তব্যে নিজের ভাবনাটাকে বোধগম্য করতে গিয়ে মন্তব্যকারীদেরকে উৎসাহিত করেছেন আরও নতুন নতুন বিষয় তুলে আনার ক্ষেত্র।
গল্পটিতে একধরনের অপ্রাপ্তির কষ্টটাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন, ভুলে থাকার বিকল্প প্রচেষ্টার মাধ্যমে।
ভালইতো লেগেছে।
প্রৌঢ়ভাবনা
আসলে, ব্লগের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যর কারণেই এখানে লিখতে ভালো লাগে।
আমি তো লেখক নই, গল্প বানাতে মজা লাগে, সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা অন্যদের সাথে করতেও মজা লাগে। যেমন দ্রোহি ভাই যেভাবে বললেন সেভাবে শেষ করলেই গল্পটা সবচে ভালো ফুটতো, সেটা আমার মাথায় তখন আসে নি।
ইন্টারঅ্যাকশন না হলে এটা পেতাম কোথায়?
একটা লেখা দিয়ে ওটা নিয়ে কথা বলার অপশন না থাকলে আমার নির্জীব লাগে। সে জন্যই তো ব্লগে লেখা।
ভালো লেগেছে শুনে আমারো ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
গল্পের আমেজটা কেটে গ্যাছে, আমারো মনে হয়েছে সেটা।
গল্পটা খুব সহজে সকলে বুঝতে পারতো মনে হয়, গোল বাঁধালো ঐ 'চুক্তি' শব্দটা। এটাই যত দুর্বোধ্যতা তৈরী করে দিয়েছে সুরাপা।
উঁহু! আমার 'চুক্তি' নিয়ে সমস্যা হয়নি। আমার একটা জায়গাতেই খুঁত খুঁত লাগছে, তা হলো কুরিয়ার বলো বা ডাকবিভাগ, একেকদিন একেকটা পোস্ট ডেলিভারি দিতে হলে একই দিনে সবগুলো পোস্ট করা যাবার কথা না। একজনকে আলাদা আলাদা দিনে সব মেইল করতে হবে। ধরলাম কেউ আলাদা আলাদা দিনেই পোস্ট করে অপেক্ষা করছে যে আগামি অত তারিখ থেকে ডেলিভারি শুরু হবে। কিন্তু মেইলগুলো পোস্ট অফিসেও একই দিনে বা একবারে পৌঁছাবার কথা না। সেগুলোও আলাদা আলাদা দিনেই সেখানে পৌঁছাবার কথা। যেমন আমরা ঈদের পরে প্রচুর ঈদ কার্ড পাই। এই কারণেই আগামি সাতদিনের মেইল ছুটির আগে পাওয়াটা অদ্ভুত! এক না, যদি তুমি কোন প্রাইভেট কুরিয়ার সার্ভিসকে আলাদাভাবে কোন ফি দিয়ে বা বিশেষ ব্যবস্থায় সেরকম কোন অ্যা্রেঞ্জমেন্ট করে রাখো (আমি শিওর না তাও, এইটা কোন কুরিয়ার সার্ভিস করবে কিনা! তারা এমনিতেই রেগুলার মেইল নিয়েই ব্যস্ত থাকে, তাও আবার ঈদ বা সেরকম ছুটির আগে)। তো এখানেই খটকা বেধে গেছে আমার, সুরটা ঐখানেই কেটেছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রথমে গল্পটা পড়ে কিছুই বুঝিনাই পরে মন্তব্যগুলো পড়ে বুঝলাম। ভাল লেগেছে। আর সবই যদি বুঝব তাহলেতো আর পাঠক হতাম না, লেখক হতাম।
ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
শেষটা পড়ে বিষণ্ণ হয়ে গেলাম। আমি লাভ স্টোরি এক্সপেক্ট করছিলাম। কিন্তু আঁধার নেমে এল।
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
গল্পটা কালকে পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে নিঃসঙ্গ একটা মেয়ে, নিজেকে নিজে/কুরিয়ারের ছেলের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে নিজেকে "being loved" ভাবতে চাচ্ছে। আশেপাশে কে কী ভাবল এই চিন্তা মেয়েটার কাছে তাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার চেয়ে আগামী সাতদিন চিঠি আসবেনা এই চিন্তাতেই তার মন খারাপ হয়েছে বেশী। শেষে অন্ধকারে একা দাঁড়িয়ে থাকা সেই নিঃসঙ্গতাকে আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ওভারঅল গল্প ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ সাফি ভাই। আমিও এমনই ভেবেছিলাম, বর্ণনা ভালো হয় নি আই গেস।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ক্যাটাগরিতে বলা হয়েছে অনুগল্প। আমার তো এটাকে ছোট গল্পই মনে হলো!
--------------------------------------------------------------------------------
কোনটা যে অণু আর কোনটা যে ছোট সেটা নিয়ে আমি কনফিউজড হয়ে যাই।
আগেরবার গল্প হোলো কিনা বুঝতে না পেরে চিন্তাভাবনা ট্যাগ দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।
ওইটাই করবো ঝামেলা বাঁচাতে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সুরঞ্জনা গল্প লেখেছে দেখেই ভালো লাগা শুরু হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
এহ! বললো!
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই, বায়াসনেসে মন ভালো হয়ে গেল, অনেক ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইদানীং 'প্রণোদনামূলক প্রশিক্ষণ' দেয়া শুরু হয়েছে আপিশে। নিজেই নিজের দিনটা অন্যরকম মনে করানোর এই আইডিয়া ওখানেও দেয় বটে, তবে আমার বিশ্বাস এই আইডিয়া ওরা পেলে চট করে লুফে নেবে।
আপনার লেখা বোঝার জন্য মন্তব্যের ঘরে আপনার ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এটা মানতে মন চায় না, পরের বার আশা করি এ ঝঞ্ঝাট থাকবে না!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হ্যা, ব্যাখ্যার ঝামেলায় আমি আর নেই, পরের বার থেকে যেমন খুশি তেমন বুঝুন নীতি গ্রহণ করা হবে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
হাহাহাহা এইটাতো দেখি অনেকটা আমার মতো অবস্থা! যেমন আমি প্রায়ই নিজেই নিজেকে গিফট দেই!
অন আ সিরিয়াস নোট, শেষটা ধাক্কা দ্যায় একেবারে...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হু, আমিও দিই, নিজেকে নিজে গিফট।
থ্যাঙ্কু
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আপনি ভালু না, চিন্তায় ফালাইয়া আবার হাসেন। এর শাস্তি স্বরুপ আপনার যত পুরান লেখা সব ঘাইট্টা ঘাইট্টা বেশি বেশি পড়ুম।
যুক্তি/লজিক মিলিয়ে পড়ার ধকল আমার দুবলা মস্তিষ্ক নিতে পারে না। আপনার গল্প পড়ে ষোল আনা মজা লেগেছে, এটা জানিয়ে গেলাম
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ আপনাকে
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভালো লাগলো খুব, শেষ ৪টা লাইন একসাথে নিজেই একটা গল্প হয়ে গেছে।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
নতুন মন্তব্য করুন