প্রফেসর ব্রুস বয়েটলার মেইলটা পান প্রায় মাঝরাতে। বিছানায় ছিলেন তিনি। কেন জেগে উঠেছিলেন কে জানে! হাত বাড়িয়ে মোবাইল ফোনটা নিয়ে দেখেন সেখানে একটি নতুন ইমেইলের নোটিশ। ইমেইলেটি খানিকটা অবিশ্বাস্য লাগে তাঁর কাছে! তবে সেই অবিশ্বাস্য খবরটিই তার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বিছানা ছেড়ে তিনি নিচে নামেন। তাঁর কম্পিউটারটি নিচতলায়। সিঁড়ি ভেঙে নেমে সেটিতে মোবাইল ফোনে পাওয়া খবরটির সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেন তিনি! যে সাইটটিতে প্রবেশ করতে চাইছিলেন সেটি আটকে থাকে! হতাশ হয়ে তিনি গুগল নিউজের সাহায্য নেন। সেখানের একটি সংবাদ তাঁকে নিশ্চিত করে! মোবাইলে পাওয়া তথ্যটি ভ্রান্ত নয়!
এই সংবাদটিই প্রফেসর জুলস হফম্যানের কাছে এতটা সহজে পৌঁছে না। তিনি তখন সাংহাইতে। একজন বন্ধুর সঙ্গে মিউজিয়াম ঘুরে এসে রাতের খাওয়াটা সেরেছেন কেবল। হোটেলে ফিরবার চিন্তা করছেন। কিন্তু সেদিন আবার বিরাট আতশবাজির উৎসব। অনেক লোকের ভীড়। যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন নয়! ফোনটা পেেলন তাঁর বন্ধু। তাঁকে জানানো হল সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছেন তাঁদের হোটেলে। জরুরী ফেরা প্রয়োজন। ভীড় এড়াতে মেট্রো রেলে ফিরতে হল। সেখানে যে খবরটি হফম্যান পেলেন সেটি প্রফেসর বয়েটলারের মতো তিনিও প্রথমে বিশ্বাস করতে চাইলেন না। তবে তাঁকে জানানো হল আরো দুটো নাম, একটি প্রফেসর বয়েটলারের, আরেকটি প্রফেসর রাল্ফ স্টাইনম্যানের। খানিকটা বিশ্বাস হলো। তাঁদের তিনজনেরই কাজের ক্ষেত্র অনেকটা এক। রোগপ্রতিরোধ। এই বিষয়ে অবদানের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে ২০১১ সালের নোবেল পুরস্কারটি পেয়েছেন তাঁরা।
প্রফেসর ব্রুস বয়েটলার এবং প্রফেসর জুলস হফম্যানের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হয়ে গেছে নোবেল পুরস্কারের অর্ধেকটা। এই দুজনেই অবদান রেখেছেন প্রাণীর প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ (innate immunity) বিষয়ক গবেষণায়। প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ব্যপারটা কী?
প্রাণীর রোগ প্রতিরোধের দুটো পর্যায়। বিবর্তনের হিসেবে উঁচু স্তরের প্রাণীর কথা বলছি। মানুষের উদাহরণ দিয়ে খুব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করি।
ধরা যাক একটা জীবাণু মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে চায়। সবার আগে তার কাছে বাধা মানুষের ত্বক। ত্বকের উপরের অংশ তুলনামূলক শুষ্ক, সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান নেই, চাইলেই সেটা ভেদ করে প্রবেশ করা যায়না। বরং সেখানে খানিক তৈলাক্ত পদার্থ বের হয় যেটা ওই জীবাণুর জন্য সুবিধার নয়। ত্বকের মৃত কোষ ঝরে পড়ে যায়, জীবাণুটা যদি ওরকম মরে যাওয় কোষ আঁকড়ে ধরে থেকে থাকে তাহলে তার আর শেষ রক্ষা হয়না!
ত্বক কিন্তু জীবাণু চেনে না। তার পরিবেশটাই এরকম জীবাণুরোধী। ত্বক শরীরের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধের একটা মাধ্যম। তবে এখানেই শেষ নয়। বাতাসের সঙ্গে যদি জীবাণুটা ফুসফুসে ঢোকে? অথবা খাবারের সঙ্গে পেটে যায়? অথবা কোথাও কেটে গেলে সেখান দিয়ে ত্বকের বাধা টপকে জীবাণু প্রবেশ করলে?
সেখানে আছে নানারকম রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা। পাকস্থলীতে যেমন জীবাণুর জন্য বৈরি পরিবেশ! সেরকম বৈরি পরিবেশ ছাড়া নানারকম কোষেরাও রোগ প্রতিরোধে অংশ নেয়। একরকমের কোষ জীবাণু খেয়ে ফেলে, একরকমের কোষ জীবাণুর গায়ে বিষ ছিটিয়ে দেয়, একরকমের কোষ নিজে আত্মহত্যা করে নিজের শরীরের মালমসলা দিয়ে "জাল' বানিয়ে জীবাণুকে আটকে রাখে অথবা মেরে ফেলে, বিশেষ ধরণের প্রোটিনের দল আছে যারা হিসেব করে করে জীবাণুর গায়ে ছুরির মতো গেঁথে গিয়ে জীবাণুর শরীর ফুটো করে দেয়...! এই তালিকা লম্বা। তবে মূল ব্যপারটা হলো, এরা কেউই আলাদা করে ভিন্ন ভিন্ন জীবাণুদের চেনে না। তার মানে যেকোনো জীবাণু পেলেই হলো, এরা তাকে মারতে যায়। এরা সবাই শরীরে প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ। যে ব্যবস্থাটি সবসময় প্রস্তুত থাকে সবরকমের জীবাণুর জন্য।
অনেকটা একটা গ্রামের সাধারন মানুষ অথবা নৈশপ্রহরীর মতো। তারা কেউ চোরের জাত বিচার করে না। গ্রামবাসী তাদের বাড়ির চারধারে পাঁচিল দেয়, ঘরে শক্ত দরোজা লাগায়, হয়তো কুকুর পোষে, আর কখনো চোর ডাকাত যাই আসুক ধরে বাঁধতে চায়। এর বেশি হিসেব নিকেশে তারা যায় না।
এর বেশী হিসেব নিকেশে যায় গোয়েন্দা অথবা পুলিশের মতো বিশেষ বাহিনী। তারা একটা চোর পেলে হিসেব করতে বসে, একী সাধারণ চোর! নাকি অন্য দেশের স্পাই এসেছে চোেরর ভেক ধরে! এই চোরের বািড় কোথায়! একা এসেছে নাকি আরো কেউ আছে! এরা কী কোনো অস্ত্র ব্যাবহার করে! এতসব হিসেব করে তখন পুলিশেরা চিনে রাখে ওই চোরের আচরণ! তারপর সভা করে, বার্তা পাঠিয়ে সব পুলিশকে জানিয়ে দেয়, হয়তো নাক উঁচু আর আবুলের মতো স্বভাবের এক রকমের নতুন চোর পাওয়া গেছে! আবুলের মতো কাউকে দেখলেই ধরে বাঁধতে হবে। কোনো এক গোষ্ঠীর চোরদের সম্পর্কে একবার খোঁজ খবর নিয়ে প্রস্তুত হয়ে গেলে সেই চোর গোষ্ঠী একেবারে নাজেহাল হয়ে যায়। সহজে আর মানুষের ক্ষতি করতে পারেনা। (টিকা দেয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শরীরের এই দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধী কোষদেরকে বিশেষ কোনো জীবাণু চিনিয়ে দেয়া।)
শরীরে যেসব রোগ প্রতিরোধী কোষ জীবাণুদের এরকম চিনে রাখে তারা শরীরের দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ (adaptive immunity)। একবার শত্রু চিনতে পারলে তারা খুব কার্যকর! তারা যে জীবাণুকে ঠিকমতো চিনে রেখেছে সেসব জীবাণু শরীরে সুবিধা করতে পারে না। সমস্যা কেবল তারা চিনতে বুঝতে খানিকটা সময় নেয়। নানারকম পদ্ধতি আছে এই চেনা জানার। তারমধ্যে একটা হল, শরীরের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধী কোষদের সাহায্য নেয়া। চোর ধরে গ্রামবাসী যেমন পুলিশের হাতে তুলে দেয়, সেরকম!
শরীরের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধী কোষেরা জীবাণুদের চেনে কীভাবে?
সেটারো অনেকগুলো মাধ্যম আছে। সেই মাধ্যমগুলোর একটি সম্পর্কে খুব ভালোমতো গবেষণার জন্য জুলস হফম্যান আর ব্রুস বয়েটলার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবার।
ছবি: ব্রুস বয়েটলার। সূত্র: নোবেলপ্রাইজ.অর্গ
জুলস হফম্যান মাছি'র উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, "টল' নামের একটা জিন ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাছিকে সাহায্য করে। "টল' নামের জিনটা থেকে যে প্রোটিন তৈরি হয় সেটা ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করতে পারে। মানে যাকে বলে সংকেত দিতে পারে। শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষদের তো আর চোখ নেই, তারা জীবাণুর উপস্থিতি টের পায় নানারকম সংকেতের মাধ্যমে। "টল' জিনটা সেরকম সংকেত দেয়ার জন্য খুব জরুরী! কোনো মাছির যদি ওই জিনটা বিগড়ে যায় তাহলে ছত্রাকের আক্রমণে সে একেবারে বিধ্বস্ত হয় পড়ে!
মাছির যেমন "টল' জিন, সেরকম স্তন্যপায়ী প্রাণির আছে "টলের মতো' জিন (বিবর্তনের লক্ষ বছর পরেও এই দুটিতে খুব মিল!)। এই জিনটি স্তন্যপায়ী প্রাণিদেরকে জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে সংকেত দেয়। ইঁদুরের উপর গবেষণা করে ব্রুস বয়েটলার সেটি দেখিয়েছেন।
শুনতে সাধারণ শোনাচ্ছে কীনা জানিনা, কিন্তু এটি মোটেই সাধারণ কিছু নয়। এই আবিষ্কার শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষেরা কীভাবে সংকেত পায় সেটার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে! এই আবিষ্কারের পর থেকে যে কতো কতো গবেষণা হচ্ছে এগুলোর উপর সে কে বলবে! কেবল টলের উপরেই হাজার পাতার বই লিখে ফেলা যায়! টল জিন থেকে তৈরি হয় "টলের মতো রিসেপ্টর' (toll like receptors) নামের একধরণের প্রোটিন। এই প্রোটিন জীবাণুর সংকেত দিতে পারে কোষকে। জীবাণু আসলে কোষেরা এই প্রোটিনের মাধ্যমে টের পায়। এই কথাগুলো এভাবে বললে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে খানিকটা হালকা শোনায়, কিন্তু মূল ব্যপারটা এরকমই। আগ্রহীরা নিশ্চয়ই আরো বিস্তারিত পড়ে নেবেন।
ছবি: জুলস হফম্যান। সূত্র: নোবেলপ্রাইজ.অর্গ
টল জিনটি প্রথম আবিষ্কার করেন জার্মান বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান নূসলাইন-ফলহার্ড। তিনিও ১৯৯৫ সালে শরীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ী। জার্মান "টল' শব্দটির অর্থ অসাধারণ/অনন্য। কিন্তু এই বিষয়টি যে আসলে কতোটা অনন্য তা বুঝে ওঠা সহজ নয়! এবারের নোবেল পুরষ্কার তাই অসাধারণ এক গবেষণা কাজের জন্যই পেয়েছেন ব্রুস বয়েটলার এবং জুলস হফম্যান। ব্রুস বয়েটলার অবশ্য তাঁর টিউমার নেক্রসিস ফ্যাক্টর (TNF-α) আইসোলেশনের জন্যেও নোবেল পুরষ্কার পেতে পারতেন। এক কথাতে শুনতে খটমট লাগছে হয়তো, কিন্তু আজকে আর ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। কেবল বলে রাখি, টিউমার নেক্রসিস ফ্যাক্টরের জন্য গোটাদশেক নোবেল পুরষ্কার দেয়া যেতে পারে।
ছবি: ক্রিস্টিয়ান নূসলাইন-ফলহার্ড। সূত্র উইকিপিডিয়া।
এবারের নোবেল পুরষ্কার ভাগ হয়েছে তিন ভাগে। অর্ধেকটা পেয়েছেন যে দুজনের কথা বললাম, তাঁরা। বাকি অর্ধেকটা পেয়েছেন রাল্ফ স্টাইনম্যান।
রাল্ফ স্টাইনম্যান ইঁদুরের উপর গবেষণা করেছিলেন। তিনি দেখার চেষ্টা করেছিলেন কীভাবে শরীরে দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধী কোষেরা জীবাণুর সংকেত পায়। সংকেত না পেলে তারা সতর্ক হতে পারেনা, কোনো কাজও করতে পারেনা। তাই তাদের সংকেত পাওয়াটা সবার আগে জরুরী। স্টাইনম্যান দেখেন, একরকমের ডালপালাওয়ালা কোষ আছে ইঁদুরের শরীরে। অক্টোপাস কোষ বলে চালিয়ে দেয়া যায়। সেই কোষেরা শরীরে "টি' কোষ (T-cells) নামের যে বিশেষ রোগপ্রতিরোধী কোষ আছে তাদের সংকেত দিয়ে জীবাণুর জন্য প্রস্তুত করতে পারে। "টি' কোষেরা কতটা গুরুত্বপূর্ন সেটা বোঝাতে একটা বাক্য বললেই চলে: ""এইডসের ভাইরাস একপ্রকার টি কোষকে আক্রমণ করে বলেই মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে মানুষ মারা যায়!''
স্টাইনম্যান ডালপালাওয়ালা এই কোষের নাম দেন "ডেনড্রিটিক কোষ' (dendritic cell)। এই কোষটির আবিষ্কারক পল ল্যাঙ্গারহ্যানস। আবিষ্কারকের নামানুসারে প্রথমে এটি ল্যাঙ্গারহ্যানস কোষ নামে পরিচিত ছিল। তবে এটি কী কাজ করে সেটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্টাইনম্যান। তাঁর আবিষ্কারের পর থেকে এই কোষ নিয়ে হাজারে হাজার গবেষণা হয়েছে। স্টাইনম্যান নিজেও পুরোটা সময় এটা নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই কোষটি শরীরের প্রাথমিক আর দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার একটা যোগসূত্র তৈরি করে।
শরীরের এখানে সেখানে জীবাণু পেলে এই কোষেরা শরীরের দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগপ্রতিরোধী কোষদেরকে সেই জীবাণু সম্পর্কে সংকেত দিতে পারে। এদের সংকেত দেয়ার এই ক্ষমতাটিকে ব্যবহার করে ক্যান্সারের টিকা তৈরি হয়েছে। চলছে সেটার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
ক্যান্সার কীভাবে হয় সেটা একটুখানি বলেছিলাম একবার। শরীরের কোনো কোষ যদি বিগড়ে গিয়ে সংখ্যায় কেবল বাড়তেই থাকে তাহলে সেটা ক্যান্সার। এরকম বিগড়ে যাওয়া কোষকে শরীরের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধী কোষেরা কিছু করতে পারেনা। এসব বিগড়ে যাওয়া কোষকে মারতে পারে শরীরের বিশেষ প্রতিরক্ষা কোষেরা। সমস্যা হচ্ছে, নানা কারণে সেই প্রতিরোধ তারা সবসময় ঠিকভাবে করতে পারেনা। ঠিকমতো সংকেত না পাওয়া হতে পারে একটা কারণ! ঠিক যেমন, ঘরশত্রু বিভীষণ চেনা সহজ নয়। যাকে মানুষ আপনজন ভেবে বিশ্বাস করে তার হাতে লুকোনো ছুরি থাকবে তা কেউ সন্দেহ করেনা!
শরীরের বিগড়ে যাওয়া কোষকে যাতে ঠিকঠাক চিনতে পেরে শরীরের প্রতিরক্ষা কোষেরা মারতে পারে সেজন্য যাঁরা ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করেন তাঁরা এক দারুণ পদ্ধতি বের করেছেন। যদি এমন হয় যে, বদ ক্যান্সার কোষেদের ঠোঁটের উপর তিল থাকে, তাহলে যে ডেনড্রিটিক কোষের কথা বলছিলাম সেগুলোকে ধরে ধরে চিনিয়ে দেয়া/বলে দেয়া যায়, ঠোঁটের উপর তিল দেখলেই মোটে তার মিথ্যে কথায় ভুলবি না! ওটা ভয়ঙ্কর! যতই ভাব দেখাক, আসলে সে ক্যান্সার কোষ! সে কেবল বাচ্চা দিয়ে দিয়ে সর্বনাশ করে ফেলবে সব! তখন ক্যান্সার চিনতে শিখে যাওয়া ওইসব ডেনড্রিটিক কোষ গিয়ে টি কোষদের সংকেত দেয়। তারা তখন প্রাণ বাঁচাতে ক্যান্সার কোষ মেরে ফেলে!
ডেনড্রিটিক কোষ তাই ক্যান্সার গবেষণায় এই সময়ের অনন্য এক অস্ত্র। এ আমি কেবল একটুখানি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম। আসল ব্যপারটা খুব বিস্তৃত আর ব্যাপক। আমি নিজে নিতান্তই কম জানি। আপনারা নিশ্চয়ই আরো খানিটকটা পড়ে জেনে নেবেন।
ছবি: রাল্ফ স্টাইনম্যান। সূত্র: নোবেলপ্রাইজ.অর্গ
রাল্ফ স্টাইনম্যান কীভাবে নোবেল পুরষ্কারের খবরটি পেয়েছেন এই লেখাটার শুরুতে সেটি লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি কখনো সম্ভব হবে না। এই খবরটি তিনি কখনোই পাননি। গত তিরিশ বছরে তিরিশবার নোবেল পুরষ্কার দিলেও মানুষ তাঁর ঋণ শোধ করতে পারত না। হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে তাঁর প্রত্যক্ষ অবদান। নিশ্চিত, আসছে সময়ে লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচবে তাঁর গবেষণার কল্যাণেই। অথচ সারা পৃথিবীর কম লোকেই তাঁর কথা জানে। খুব নিভৃতেই মারা গেছেন তিনি। মারা গেছেন প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সারে। নিজের ক্যান্সার নিয়েই শেষ সময়ে গবেষণা করতেন। নিজের ক্যান্সারের চিকিৎসার চেষ্টা নিজেই করেছিলেন। সেই চেষ্টার সফলতা নিয়ে তর্ক হতে পারে (যদিও তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ার পরও তিনি স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি সময় বেঁচেছিলেন)। এতো কম সময়ে আসলে এরকম জটিল গবেষণা সম্ভব নয়। যেটুকু সম্ভব হয়েছে তা তিনি স্টাইনম্যান বলেই হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, কেবল স্টাইনম্যানের গবেষণার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকবে চিকিৎসা শাস্ত্রের নতুন একটি ক্ষেত্র! সেই ক্ষেত্রটির সবচে বড় ভূমিকা থাকবে ক্যান্সারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসায়। মানুষের প্রাণ বাঁচানোয়।
মানুষ তাঁর কথা জানেনা। তাঁর মৃত্যুতে সামাজিক সাইটগুলোর পাতা ভরে ওঠেনি দুঃখের পংক্তিতে। তবে তাতে কিছু যায় আসেনা। তিনি যতোটা আগ্রহ আর ভালোবাসা নিয়ে মানুষের কল্যাণে গবেষণা করেছেন সেই ঋণ কী মানুষ চাইলেই শোধ করতে পারত! কখনো পারবেও না! অথচ কীরকম ছেলেমানুষের মতো তিনি জীবনের শেষ দিনগুলোতে অপেক্ষা করেছিলেন নোবেল পুরষ্কারের পাওয়ার। অনেক মহান মানুষেরাও হয়তো কখনো ছেলেমানুষের মতো আচরণ করেন। সেই ছেলেমানুষি চাওয়াটা তাঁর পূরণ হতো আর মাত্র তিনটি দিন বাঁচলে!
না চাইলেও তো কতো অতৃপ্তি, কতো অকৃতজ্ঞতার, কতো না পাওয়ার বেদনা মানুষকে শূণ্য করে তোলে। প্রিয় স্টাইনম্যান, মানুষ স্বীকার করুক আর না করুক, আপনার কাছে আমরা আমাদের প্রিয়জনের প্রাণের জন্য ঋণী। আমরা অনেকেই আপনার স্মরণে শ্রদ্ধায় নত হই!
এই লেখাটা পাণ্ডব'দার জন্য। কোনো যোগ্যতাই ছাড়াই আমি তাঁর স্নেহধন্য। শুভ জন্মদিন পাণ্ডব'দা
মন্তব্য
দারুউন্নন্নন্নন্নন :D
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শিরোণাম দেখে ভেবেছিলাম নেগেটিভ কোন লেখা।
কিন্তু পড়ে ভুল ভাংল। চমৎকার লেখা। অনেক কিছু জানলাম। আপনার লেখা বরাবরের মতই সহজপাচ্য, একটানে পড়ে ফেলা যায়।
আমার সবসময় খুব খারাপ লাগে, আমরা আসলে সস্তা চাকচিক্য নিয়ে অনেক বেশী মেতে থাকি, একজন মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্য নিয়ে যে পরিমাণ মাতামাতি হয়, একজন স্টিভ জবসের মৃত্য নিয়ে মনে হয় ততটুকু হয় না; একজনের স্টিভ জবসের মৃত্যু নিয়ে যতটুকু হয়, একজন রিচির মৃত্যু নিয়ে ততটুকু হয় না, একজন স্টাইনম্যানকে আমরা চিনি না, চিনতে চাই না। যদি আত্না বলে কিছু থাকে, মৃত্যুর পরে যদি কিছু থাকে, স্টাইনম্যান হয়ত তাহলে কমপক্ষে জানতে পেরেছেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চার বিজ্ঞানীকেই সশ্রদ্ধ সালাম জানাই। এরকম কিছু মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্নাকেও একটা সালাম।
লেখাটা নিয়ে আর কী বলব! দুর্বোধ্য সব বিষয়কে এতো সহজ ভাষায় বলে ফেলেন! আপনার লেখার গুণ অসামান্য।
সব শেষে ষষ্ঠ পান্ডবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্যের মত সহজ করে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো যদি আমাদের স্কুল-কলেজের মাস্টারেরা বুঝাতে পারতেন!
আগ্রহীদের জন্য: প্রফেসর স্টাইনম্যানের যুদ্ধ
ঠিক এ কথাটা আমিও ভাবছিলাম।
টুইটার
আপনার ভূমিকম্প সিরিজ পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখলাম ওই সিরিজের জন্য
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শ্রদ্ধা এই ত্রয়ীর জন্য। লেখাটা খুব ছুঁয়ে গেলো আর কেন জানি একটা অপরাধ বোধ হলো।
লেখায় পাঁচ তারা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অসাধারণ!
এই অংশটা ঠিক পরিষ্কার নাঃ
"তবে মূল ব্যপারটা হলো, এরা কেউই জীবাণু চেনে না। তার মানে জীবাণু পেলেই হলো, এরা তাকে মারতে যায়।"
ভালো ব্যপার লক্ষ্য করেছেন। ধন্যবাদ। আমি খানিকটি এডিট করে দিলাম মূল লেখাটা। এখানেও বলে রাখি, শরীরের প্রাথমিক রোগপ্রতিরোধী কোষেরা আলাদা আলাদা করে ভিন্ন ভিন্ন জীবাণু চেনে না। তাদের কাছে সব জীবাণুই এক। যে কোনো জীবাণু পেলেই এরা তাদের মারতে চায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধী কোষেরা আলাদা আলাদা ভাবে জীবাণুদের চিনতে পারে। একটা জীবাণু শরীরে এলেই এরা তাকে মারতে পারে না। সেই জীবাণুটিকে বিশেষ প্রকৃয়ার চিনতে পারলে তারপর এরা সেটাকে মারার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
আপনি আগ্রহী হলে অনেক পুরোনো এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার লেখা। রাল্ফ স্টাইনম্যান এর জন্যে
টুইটার
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নোবেল ঘোষণার পর ব্যাপার গুলো পড়েছিলাম, কিন্তু এতটা বুঝতে পারিনি। ধন্যবাদ সহজ করে বোঝানোর জন্য। আচ্ছা, এখানে গ্রামবাসী কোষগুলো বলতে কোন কোষ বুঝাতে চেয়েছেন, মানে এদের বৈজ্ঞানিক না কি?
একমাত্র ব্যাক্তি যিনি মৃত্যুর পর নোবেল পুরুস্কার বিজয়ী, তার জন্য
উঁহু একমাত্র না।
১৯৩১ সালে Erik Axel Karlfeldt পেয়েছিলেন সাহিত্যে।
১৯৯৬ সালে William Vickrey নাম ঘোষণার পর পুরষ্কার গ্রহণের আগেই মারা যান।
দুঃখিত চিকিৎসা বিজ্ঞানে উনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি মৃত্যুর পর নোবেল বিজয়ী। সশোধনের জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামবাসী কোষ আসলে শরীরের সাধারণ কোষরাও হতে পারে এমনিতে শরীরের প্রাথমিক রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি আলাদা করতে চাইলে মেকানিকাল ব্যারিয়ারের বাইরে আছে Monocytes, Neutrophils (PMNs), Basophils, Eosinophils, Mast cells, Natural Killer (NK) cells, Dendritic cells (DC), Complement system (কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম কোষ নয়, প্রোটিনের সমষ্টি) ... কয়েকটা নামই তো চেয়েছিলন, নাকি?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এ নাম গুলিই যথেষ্ট, আমি ভাবছিলাম স্পেসিফিক কোনও কোষ হতে পারে, এসব প্রোটিন তো মনে হয় যে কোন কোষে থাকতে পারে।
অনেকটা ভুল বুঝেছেন বলে মনে হচ্ছে! ভয় পাইয়ে দিলেন। লেখাটা কি অস্পষ্ট হয়েছে?!
Monocytes/Macrophage (phagocytes), Neutrophils (PMNs), Basophils, Eosinophils, Mast cells, Natural Killer (NK) cells, Dendritic cells (DC) এরা সবই বিশেষ ধরনের কোষ!
শুধুমাত্র "কমপ্লিমেন্ট' (complement system/complement proteins) কোনো কোষ নয়, এরা বিশেষ প্রোটিনের একটি দল।
এই মন্তব্যে যেসব নাম নিলাম এগুলো সবই শরীরের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার অংশ। তবে এগুলোর অনেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। আবার অনেকেই প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার অংশ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার দ্বারা প্রভাবিত/নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। দুটি ব্যাবস্থার মধ্যেই উভমুখী সম্পর্ক রয়েছে। ঝট করে বুঝিয়ে বলা শক্ত। তবে কিছু না বুঝতে পারলে প্রশ্ন করতে পারেন স্বাচ্ছন্দে। জবাব দেয়ার চেষ্টা করব।
কমপ্লিমেন্ট প্রোটিন কোষের ভেতরে নয়, কোষের বাইরে থাকে। রক্তরসে এই প্রোটিন পাওয়া যায়। কমপ্লিমেন্ট বিষয়ে আগ্রহী হলে এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার বিষয় প্রক্রিতপক্ষে ভৌত রসায়ন। মেডিসিনাল ক্যামিস্ট্রি এর কোর্স ছিল বলে একটু আগ্রহ হচ্ছে জানতে। এখন মনে হচ্ছে মূর্খের মত প্রশ্ন করে ফেলেছি। রক্তের উপাদান পরীক্ষা করতে নামগুলোর সাথে পরিচিত। আপনার মত শিক্ষক পড়ালে আজকে বোধ হয় আর একটু সহজে বুঝতে পারতাম। লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ।
সবচাইতে বেশী জনপ্রিয় নাকি পর্ণস্টাররা, আর সবচাইতে কম জনপ্রিয় (অজনপ্রিয়?) হচ্ছে একাডেমিশিয়ানরা। এতে অবাক হবার কিছু নেই।
"পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ই বেশীরভাগ মানুষ টাইপের "
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহজ! সুন্দর! মানবিক!!
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি এতো সুন্দর করে লিখেন...অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জীবাণুদের নিয়ে আপনি কোনো রসালোচনা করলেন না! জীবাণু বলে কী তারা মানুষ না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অনেক ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নিজের এই দীর্ঘ জীবনে যতগুলো জন্মদিন এসেছে; আর সে'দিনগুলোতে যত উপহার পেয়েছি নিঃসন্দেহে আজকের এই উপহারটা সেরাগুলোর একটা। এর প্রত্যুত্তরে রতনকে ধন্যবাদ জানানোটা বাতুলতা মাত্র।
মূল লেখাটা শেষ করার পর আমাকে নিয়ে লেখা ফুটনোটটা চোখে পড়েছে। তার অনেক আগে, যখন লেখাটার মাঝামাঝি তখন মনে হচ্ছিল - কে জানে আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর পর রোগ-জীবাণুদের নিয়ে করা কোন কাজের জন্য রতনও নোবেল পুরষ্কার পেয়ে যেতে পারে। বেঁচে থাকলে তাহলে সে'দিন বলতে পারবো, "এই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী শেখ রজিউদ্দীন রতন আমার খুব কাছের একজন"। এখন মনে হচ্ছে তার সাথে এটাও যোগ করতে পারব, "উনি একবার আমার জন্মদিনে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টও লিখেছিলেন"!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
--ঠিক এই কথাটাই ভাবছিলাম লেখাটা পড়ার সময়ে। অনার্য নোবেল পাক না পাক, উনি যে একদিন আমাদের অনেক অনেক গর্বিত করবেন, সেই ব্যাপারে আমি বাজি ধরতে পারি যেকোন সময়ে। ভাল থাকুন অনার্য। স্টাইনম্যান এর জন্য শ্রদ্ধা।
আপনার মন্তব্য পড়ে বসে বসে হাসতেছি! আপনারা যেসব মন্তব্য করেন সেসব মানুষে পড়েও ঠিক হাসে
আপনাদের কাছ থেকে যা পেয়েছি তাতেই হবে। আর কিছুর দরকার নেই। আর কোনো যোগ্যতাও নেই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ হাসেন, তবে পোডিয়ামে দাঁড়ায়ে যখন সবার নাম কৈবেন কার কার কাছে কৃতজ্ঞ তখন আমাগো ভুইলেন না
কী বলেন! বালিকাদের নামের সঙ্গে আপনার নাম বললে লোকে কী না কী সন্দেহ করবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।
হা হা হা...
আপনি খানিকটা স্নেহান্ধ! কী কী যে বলেন, পরে নিজে পড়েই হাসবেন!
গঠনমূলক আর মন থেকে দেয়া উৎসাহ যে কতখানি প্রশান্তি দেয়, আর সেটা যে কতখানি উপকারী, তা আমি বুঝেছি আপনার আর আপনার মতো আরো কয়েকজনের মন্তব্য পেয়ে। আপনার মন্তব্য পড়তে আমি কখনো কখনো আমার পুরোনো পোস্টে ফেরত যাই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তথ্যবহুল এবং সহজভাবে পুরো বিষয়টা তুলে ধরেছেন। অনেক ভালো লাগল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দিনকে দিন আপনার লেখার উপমা প্রয়োগ দারুণতর হচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক এরকম লেখা পড়তেই ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ছোট মডু!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সত্যিই তো, এমন পচা লেখার এমন পচা লেখককে স্নেহ করা নিতান্তই অনুচিত...
অংশটায় "এরা কেউই জীবাণু চেনে না" কথাটা একটু বিভ্রান্তিকর।
আপনি তিনরকম সিনারিও বলছেন - (১) পাকস্থলি বা ত্বকের মত জায়গা, যেটা এমনিতেই জীবাণুর পক্ষে অসুবিধাজনক, (২) শ্বেতকণিকা বা ওই অংশের ঠিক আগেই বলা নানারকম কোষ বা প্রোটিনেরা, যারা জীবাণু এলে বুঝতে পারে কিন্তু বিভিন্নরকম জীবাণুর ফারাক করতে পারে না, (৩) যারা adaptive immunity সিস্টেমের অংশ, তারা বিশেষ বিশেষ জীবাণুকে আলাদা করে চিনে বিশেষ বিশেষ ইমিউনিটি তৈরি করতে পারে।
ওখানে আপনি যখন দ্বিতীয় শ্রেণীর কথা বলছেন, সেখানে "এরা কেউই জীবাণু চেনে না" অংশটা বিভ্রান্তিকর, কারণ তারা জীবাণু আর অ-জীবাণু এইটা তো চিনতে পারে, আবার জীবাণুর রকমফের চিনতে পারে না। কুকুর যেমন মাঝরাত্রে মানুষ এলে ঘেউঘেউ করবে, ইঁদুর এলে করবে না - কিন্তু এই চোর ওই চোর মুখ দেখে তারা তফাত করতে পারে না (গন্ধ চেনা থাকলে পারবে)। আগে-পিছে না পড়লে "জীবাণু চেনে না" ব্যাপারটা স্পষ্ট হচ্ছে না।
মোক্ষম। আগে একজন পাঠকও ব্যপারটা ধরিয়ে দিয়েছেন। লিখতে গিয়ে টের পাইনি। ওই অংশটা খানিকটা সম্পাদনা করেছি। এখন মনেহয় ঠিক আছে
ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করলাম আপনাকে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুঁ এখন ঠিক আছে, কেবল ভীন্ন>ভিন্ন
আমি যখন পড়েছিলাম তখনও অতিথি মন্তব্য পাশ হয়নি... তাহলে এতটা লিখতে হত না
আবার ঠিক করলাম এবং ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে আরো ছোট করলাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব ভাল লাগল। বিজ্ঞানিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরো অনেকেরই স্নেহধন্য অনার্য সঙ্গীত।
এই চমৎকার পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যাপাতা
পান্ডবদাকে জন্মদিনের অনুজীবীয় শুভেচ্ছা (গুড়)
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি অনেকেরই স্নেহধন্য। আপনাদের সব স্নেহ অপাত্রে পড়েছে
অনেক কৃতজ্ঞতা মন্তব্যের জন্য।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অ। আমি তো আপনারে পাত্র ভাইবা মেহবুবা ভাবীর কাছে হাল্কা সুপারিশ দিতে নিছিলাম, এখন দেখি আপনে অপাত্র!
স্নেহের পাত্র আর পাত্রীর পাত্র তো আলাদা । পাত্রীর পাত্র হিসেবে শাকিব খান আর "পেলেয়ার' শাহাদাতের পরেই আমার অবস্থান! পিলিচ, সুপারিশ দেন! ভাবী আমার প্রতি কোনো নজরই দিচ্ছে না
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাবী আর আপনার মাঝে তো দেওয়াল হয়ে দাঁড়ায় আছে মাননীয় ধুগো, নিজের স্বার্থেই তার ব্যবস্থা করেন তাহলে
ধুগো'দার উচিত দেয়াল পদ থেকে পদত্যাগ করে জামাই পদে আসীন হওয়া! আল্লা মেহেরবান! ধুগো'দার মনে ভালোবাসার উদয় হোক!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অসাধারণ। আপনি এত সহজ করে লিখেন কিভাবে। আর এত মজার আর দারুণ সব উপমা কই পান।
বিনম্র শ্রদ্ধা এই গুনীদের জন্য।
পান্ডবদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বাহ! পড়ে বুঝতে পারা যায়!! :D
লেখা অসম্ভব সাবলিল আর সুন্দর হয়েছে।
পান্ডবদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তুমিই কেবল বুঝলে খুকি
যাউক, ধন্যবাদ দিলাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখায়
পান্ডবদাকে শুভেচ্ছা (গুড়)
অনার্যদার অগ্রযাত্রা চলুক, তবে তিরিশ বছর অপেক্ষা করতে পারব না অতদিন বাচি কনা ঠিক আছে?
অনেক ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত।
আপনি এত চমৎকার ভাবে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো নিয়ে লেখেন, আপনার প্রশংসা করার ভাষা আমার জানা নেই। ইমিউনোলজীর একজন গবেষক-ছাত্র হিসাবে এবারের নোবেল প্রাইজ ঘোষণার পর কিছুটা উচ্ছ্বসিত ছিলাম। কিছুটা একাডেমিক বিতর্কও হয়েছে একজন পোস্ট-ডকের সাথে। ব্যাটা অস্ট্রেলিয়ান তার এক স্বদেশী গুরু ডেভিড হিউমের (রোজলিন ইনস্টিটিউট, এডিনবরা) অনুসারী। হিউম ডেনড্রাইটিক কোষকে আলাদা করে চিহ্ণিত করতে নারাজ, তার মতে এগুলো ম্যাক্রাফাযই। শুধু কয়েকটা রিসেপ্টর ব্যতিক্রম।
আমি মনে মনে আপনার কাছ থেকে এই নোবেল প্রাইজ নিয়ে লেখাটাই আশা করছিলাম কয়েকদিন ধরে।
লেখায় ।
ইমিউনোলজির আপনি? বাহ। কোন বিষয়ে কাজ করছেন?
ডেনড্রিটিক সেল তো স্বীকৃত। কিছু দ্বিমত যা আছে তা তো পাত্তা পায় না। আমি অবশ্য খুব ভালো জানিনা। এটা সরাসরি আমার কাজের বিষয় নয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত
আমি লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউমোকক্কাসের প্রোটিন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি।
শুভেচ্ছা রইল।
চমৎকার লিখেছেন, সহজ ভাষায়। যারা আসলেই মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেন, তারা এরকম নিভৃতেই চলে যায়, আমরা শুধু হই চই করি কিছু চেহারা সর্বস্য লোকদের, যাদের প্রচার মিডিয়ার কল্যাণেই হয়েছে!
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ, নিরলস বিজ্ঞানীদের জন্য
facebook
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও এই ছেলের লেখাগুলো খুব মনযোগ দিয়ে পড়ি সবসময়। কত সহজ ভাবে বিজ্ঞান বোঝানো যায় সেটা এর চেয়ে খুব বেশি ভাল মনে হয় কেউ জানেনা।
অক্টোবর এলেই নোবেল প্রাইজ কে পাচ্ছে সেটা নিয়ে আগ্রহী হয়ে বসে থাকি। কোন নাম ঘোষণা হলেই তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়াটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এমন গল্পের ভঙ্গিতে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়াটা একমাত্র রতনই পারে।
স্টাইনম্যানের জন্য শ্রদ্ধা।
পুঃনশ্চঃ শুভ জন্মদিন পান্ডব দা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ ভাই
আমার ভাতিজা কেমন আছে? অনেকদিন পিচ্চির ছবি দেখিনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমাদের প্রিয় অধ্যাপক শুভাগত স্যার এর লেখা আমার ভাল লাগে।
আনার লেখা ভাল লাগ লো।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো এতো চমৎকার সাবলিল ভাষায় পড়তে পেলে কে জানে আজকে আমিও...
স্টাইনম্যানের জন্য শ্রদ্ধা।
ষষ্ঠ পান্ডব'কে জনমদিনের শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শাফি।
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ছোটবেলায় ড. আব্দুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন আমার খুব প্রিয় বিজ্ঞান লেখক ছিলেন। যদ্দুর মনে হয় শুধু ছোটদের জন্যই লিখতেন তিনি। পরে সোভিয়েত দেশ থেকে বাংলায় প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলিও বেশ ভাল লাগত তাদের সচেতন সহজবোধ্যতা আর আকর্ষনীয় বর্ণনাভঙ্গির জন্য। তবে সেসব অনেকদিন আগের কথা। তখন ভাল লাগত শুধু এটুকুই মনে আছে, এখন পড়লে কেমন লাগত জানি না।
এখন পথিক গুহের লেখা কিছুটা ভাল লাগে, তবে আনন্দবাজার গোষ্ঠীর লেখক বলে তার লেখা বিশেষ পড়ার সুযোগ হয় না।
আর এখন, এই আপনাকে পেলাম। দারুন হয়েছে। স্যালুট!
****************************************
অনেক ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখা আফসোস, আপনি মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বই লিখেন নাই।
ষষ্ঠ পান্ডবদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আমি আপনার স্নেহধন্য হওয়ার জন্য আবেদন জানালুম। অনার্য সঙ্গীতের নাহয় কোন যোগ্যতা নাই, আমার কিন্তু অনেক গুণ -
১। আমি খুব চিকন করে পেঁয়াজ কাটতে পারি
২। না ছিঁড়ে র্যাপিং পেপার আস্তে আস্তে খুলতে পারি
৩। হ্যান্ডেল না ধরে সাইকেল চালাতে পারি
আরো আছে, কিন্তু কাউকে জেলাস করতে চাই না
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পাঠ্যবই লিখি নাই, ছেলেপেলেগুলা বেঁচে গেল!
আপনার তো দেখি অনেক গুণ! বিশেষ কোনো বিজ্ঞাপন দিলেন মনে হল! চ্রম জেলাস হইলাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার স্নেহধন্য হবার জন্য আবেদন জানানোর দরকার নেই। আপনার যোগ্যতা বলে সেটা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন। তবে সেই যোগ্যতাগুলোর মধ্যে আপনার দেয়া লিস্টের একটা জিনিসও নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কি জটিল সব বিষয়কে একদম সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন। অসাধারণ। স্টাইনম্যানের জন্য শ্রদ্ধা আর বাকীদের জন্যে শুভকামনা।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুবই ভলো লাগলো
সত্য কথা বলছি___ সমালোচনার জন্য প্রবেশ করেছিলাম
==================
অফটপিক
এবার আপনার কথা রাখার পালা, কেউ কেউ রেগেছে
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার বিদ্যেয় সওয়ার হয়ে এই আকাট মুর্খ তার এফসিপিএস পাশ দেয়া গিন্নীর সাথে বৈঠকী আলোচনা করবার সাহস পায়। এইবার বুঝেন, আপনি কত ভালা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কবি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহজ সুন্দর গুছানো লেখা !! পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ভবিষ্যতে আরও এরকম লেখা চাই।।
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সামান্য মাছি ইদুর এসব নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পাওয়া যায়?
তাইলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়া গবেষণা করলে কী হবে? অথবা হাতী?
ঠিকাছে... আমি গবেষণা শুরু করলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনে না বালিকাদের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা করতেছেন?! ফলাফল প্রকাশ করেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখককে অনেক ধন্যবাদ; বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলো ব্লগে খুজে খুজে পড়ি।
কয়েকদিনের মধ্যে স্টাইনম্যানকে নিয়ে ব্লগে দুটো লেখা পড়লাম। একটি বিডিনিউজে, আরেকটি এখানে।
বিশেষায়িত কোন বিষয়ের পাইওনিয়ারদের পপুলার কালচারে আইকনের মর্যাদা পাওয়ার ঘটনা বিরল নয় যদিও, তবে স্টাইনম্যানের ক্ষেত্রে সেটা ঘটেনি। কিন্তু বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে তিনি অত্যন্ত্ পরিচিত একটি নাম।
বিশেষ করে এবারের মরনোত্তর নোবেল পুরষ্কার বিষয়টি মানুষকে স্পর্শ করেছে। বহুদিন ধরেই তিনি পাবেন এমনটি আশা করা হচ্ছিল; বিশেষ করে যখন ডেনড্রাইটিক সেল বেসড থেরাপিউটিক ক্যান্সার ভ্যাক্সিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ফেজে প্রবেশ করে। ২০০৭ সালে তিনি বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সে সবচেয়ে প্রধান পুরষ্কার লাস্কার ( LASKER) পুরষ্কারটি পান।
১৮৬৮ সালে জার্মান অ্যানাটোমিষ্ট পল ল্যাঙ্গারহানস চামড়ায় প্রথম খুজে পাওয়া এই কোষটিকে ১৯৭৩ সালে স্টাইনম্যান আবার নতুন করে আবিষ্কার করেন ইদুরের স্প্লীনে, তিনি এর নাম দের ডেনড্রাইটিক সেল, কারন এর অসংখ্য বাহু বা ডেনড্রাইটের জন্য। চামড়ায় থাকা ডেনড্রাইটিক কোষগুলো এখনও পরিচিত ল্যাঙ্গারহানস সেল হিসাবে। এরা আমাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ কারী কোষ পরিবারের একটি সদস্য। কিন্তু এদের সংখ্যা খুবই কম আমাদের শরীরে ( শ্বেত রক্ত কনিকাদের ০.২ শতাংশ)। এর পরের ২০ বছর কেটেছে কিভাবে এদের কালচার করা যায়, যাতে গবেষনার জন্য বেশী করে এদের তৈরী করা যায় সেই কঠিন কাজটি নিয়ে। ১৯৯২ সালে জাক বাঁশোরো ও তার সহযোগীরা এই কাজটি অবশেষে করেন বোন ম্যারো স্টেম সেল থেকে, একই সময়ে স্টাইনম্যান ও কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়ো ইনাবার টীমও সফল হয়ে ডেনড্রাইটিক কোষ কালচারে। এর পরের এই ক্ষেত্রে অগ্রগতি বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন পাঠকের মন্তব্য দেখেছি, ডেনড্রাইটিক সেল আসলে রুপান্তরিত মনোসাইট/ম্যাক্রোফেজ ( শ্বেত রক্ত কনিকাদের একটি); বিতর্ক আছে এখনও,তবে মনোসাইটকে ল্যাবে ডেনড্রাইটিক সেলে রুপান্তরিত করা সম্ভব (১৯৯৪ সালের আরেক আবিষ্কার); ডেনড্রাইটিক সেল ভ্যাক্সিন ট্রায়াল চলছে শুধু মাত্র অ্যাডভ্যান্সড ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে, কারন ডেনড্রাইটিক সেল থেকে আসা মেসেজগুলো সুস্থ্য শরীরে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া ( একটি অনাকাঙ্খিত) হতে পারে। স্টাইনম্যান ও তার সহযোগীদের আরেকটি গুরুত্বপুর্ন অবদান ডেনড্রাইট সেলগুলোকে অ্যান্টিজেন চেনানো প্রক্রিয়া মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির ব্যবহার। ক্যানসারের থেরাপিউটিক ভ্যাক্সিন খোজা এই মানুষটাকে ক্যানসার রেহাই দেয়নি, এবং তিনি নিজেই নিজের উপর তার চিকিৎসা করেছেন, ডেনড্রাইটিক সেল ভ্যাক্সিন দিয়ে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি কি আসলেই অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছিলেন নোবেলের জন্য। অসংখ্য পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন তার জীবদ্দশায়। কমিটির জানা থাকলে মরনোত্তর পুরষ্কার তারা দিতেন না; নোবেল কমিটি অনেক যোগ্য লোককে পুরষ্কার দেয় নি। গবেষনা জীবনের পুরোটা যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো এই কানাডার বিজ্ঞানীর যে বেশীর ভাগ ক্যানাডীয়দের মত লো প্রোফাইলে থাকতে ভালোবাসতেন। তার অবিচুয়ারীগুলো তাই বলে। হয়তো আর এক দুই দশকের মধ্যেই আমরা ডেনড্রাইটিক সেলের আসল ক্ষমতাগুলো ব্যবহার করতে পারবো আমাদের কল্যানে। আপাতত ক্যান্সারকে জয় করার এই পথটাই সবচে আশার। স্টাইনম্যান এর কাহিনী আমাদের সবাইকে মৌলিক বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহিত করুক। ল্যাবরেটরীর চার দেয়ালে অসংখ্য বিজ্ঞানী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য, আমরা যেন ভুলে না যাই, লেখকের ভাষায় কলি যুগের এই মানুষ অবতারদের।
(http://kmhb.wordpress.com/)
বাহ। এরকম তথ্যপূর্ণ মন্তব্য লিখেছেন, ভালো লাগলো। আপনি নিজেও সচলায়তনে লিখতে পারেন। আমন্ত্রণ রইল।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গবেষনা জীবনের পুরোটা যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো এত বড় একজন বিজ্ঞানী পুরস্কার ঘোষনার মাত্র তিন/চার দিন আগে মারা গেছেন, এটা কমিটি জানতো না- বিশ্বাস করা কঠিন হচ্ছে।
স্টাইনম্যানের জন্য শ্রদ্ধা।
আপনার চমৎকার লেখাগুলো পড়া হলেও কমেন্ট করা হয়না কেন জানি। আপনার সেক্টরে আমার দখল নেই বলেই হয়তো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মন্তব্য করা তো বাধ্যতামূলক নয় আপনার মন্তব্য করতে ইচ্ছে হলে করবেন। কিছু না বুঝতে পারলে মন্তব্য করে জিজ্ঞেস করার অনুরোধ রইল।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন