একটা সময় আমার এইম ইন লাইফ ছিল আইসক্রিমের ফেরিওলাকে বিয়ে করার। বুদ্ধিতে কুলোয়নি যে তার বদলে আস্ত এক আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিককে বিয়ে করা যায় অথবা নিজেই ওরকম এক ফ্যাক্টরির মালিকও হতে পারা যায়। সোজাসুজি মাথায় এসেছিল ফেরিওলার ডিব্বায় থাকে লাল সবুজ কাঠি আইসক্রিম, এমনিতে চাইলে তো দেবেনা, তাহলে বিয়ে করাটাই সোজা উপায়। তাই অনেকদিন পর্যন্ত আইসক্রিমওলাই ছিল আমার হিরো। চাকরি হিসেবেও ওটাই ছিল টপ ফেভারিট। ছোট চৌকোনা কাঠের বাক্সে থাকবে হিম ঠাণ্ডা কুলফি মালাই, আর ঝিম ধরা দুপুরে কি আলো পড়া বিকেলে 'লাগেএএএ আইসক্রিম' বলে হেঁকে বেড়াব ! আহা ! ভাবতেও খুশিতে গায়ে কাঁটা দেয় !
অনেকদিন পর্যন্ত এই এইমটা অটুট থাকলেও খুব দ্রুতই আমার হিরো পালটে গেল। কদিন বাদেই সাইকেল মেকানিক হতে ইচ্ছে করল। চানা মিস্তিরির মত একখানা রেঞ্চ হাতে নিয়ে ঘরঘর ঘরঘর সাইকেলের চাকা ঘোরাও, তাতে বিনবিন বিনবিন করে কি সুন্দর মিহি শব্দ বাজে। যেন মৌমাছি ঘুরছে। এখানে ঠোকো, ওখানে বাড়ি দাও, ভারী কেরামতি। কিন্তু দুদিনেই মন উঠে গেল। দূর, কি কালিঝুলি মেখে নাটবল্টু নাড়াচাড়া। তারচে সব্জিওলা বেশ ভালো। তাজা শাক সবজি বেচব, কত আনন্দ। নয়ত গরু গাড়ির গাড়োয়ানগিরিও ভালো কাজ। বেশ গান গাইতে পাওয়া যায়। তবে প্রিয় বান্ধবী যেদিন বলল তার ইচ্ছে উকিল হবার সেদিন আতান্তরে পড়া গেল। ওর মন রাখতে বলেই দিলাম, আচ্ছা যা, উকিলই সই । দুজনে মিলে একসাথে কালো কোট পড়ে কোর্টে যাব আর 'ইয়োর অনার' 'ইয়োর অনার' করব, দেখতে বেশ হবে। বলতে কি, এই স্বপ্ন দেখে কটা দিন ভালো করে ঘুমই হলনা। কবে যে কালো কোটটা হাতে পাব এই অপেক্ষায় অধীর সারাদিন।
কিন্তু দুদিন বাদে যেই না নতুন বই কিনতে বইয়ের দোকানে গেলাম ওমনি বিদ্যুতের মত আমি জেনে গেলাম আমার কী চাই। আমার চাই এক পাহাড় বই। যেটা আছে কিনা কেবল লাইব্রেরিয়ানের। ওমনি আমার ধ্যান জ্ঞান আকাশ বাতাস হয়ে গেল বইয়ের দোকানদার। স্বপ্ন দেখতাম কোন একটা লাইব্রেরির মালিককে বিয়ে করে ফেলেছি আর সারাদিন রাত এক জঙ্গল বইয়ের ভেতর নাক চুবিয়ে বই পড়ছি ! আহ্, দুনিয়াতে বেঁচে থাকা কত্ত সুখের !
এখনকার দুনিয়াতে বাবা মায়েরা ছেলেমেয়েদের কত কিছু শিখিয়ে বড় করেন। আমাদের সময়ে আমরা শিখতাম বিয়েতেই মুক্তি। আলোকপ্রাপ্তা নারী যে ছিলেন না সে সময় তা অবশ্যই নয়। কিন্তু আমাদের পরিবারে মেয়েদেরকে তীব্রভাবে কেবল মেয়ে হিসেবেই বেড়ে ওঠার শিক্ষা পেতে দেখেছি। যেখানে নারীর মোক্ষ লাভ হয় স্বামীসংসার ধর্মে সফল হওয়ায়। সেই হিসেবে আমি নিশ্চয় কুলাঙ্গার। যেখানে রূপে গুণে দ্রৌপদী উর্বশীর নাক কান কেটে নেয়া কাজিনেরা বড় ঘরের সুখী গিন্নি হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকে সেখানে আমি রূপের হাটের ব্ল্যাকশিপ বিয়ের প্রস্তাব এলে ভেংচি কেটে বই মুখে পড়ে থাকি। কোন পথে গেলে সত্যিকারে জীবন সফল হয় সে ভাবনায় যাই না। এদিকে রূপ নেই রূপা নেই এই মেয়ের ভবিষ্যৎ ভেবে বড়দের ঘাম ছোটে।
সেসময় পাবলিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে সেটা একটা বড় খবর হত। পত্রিকায় ছবি সহ সাক্ষাতকার বেরোত। এরকম এক সাক্ষাতকারে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করে বসলেন, তোমার এইম ইন লাইফ কি ? অতগুলো মানুষের সামনে জীবনে প্রথমবার আমি এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে গেলাম। তাইতো ! আমি আসলে কি হতে চাই ?? জানিনা তো !! পরদিন পেপারে দেখি সাংবাদিকরা বানিয়ে লিখে দিয়েছে আমি নাকি সমাজবিজ্ঞানী হতে চাই। পেপারটা হাতে নিয়ে কেমন অদ্ভুত লাগলো, নিজের ছবির চাইতেও ওই লাইনটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।
এতগুলো বছর পরে তাকিয়ে দেখি সাংবাদিকদের বানানো কথাটা সত্যি হয়ে গিয়েছে কি করে যেন। তবে পুরোটা না, অর্ধেক। সত্যিকার সমাজবিজ্ঞানীর মত সমাজ উদ্ধার করতে আমার ভারী আলসি লাগে। উলটে আমার জব এপ্লিকেশন করতে হাতে ব্যাথা হয়, বস বকা দিলে হয় ঘাড় ত্যাড়া । তারপর যেদিন দুপ করে জব ছেড়ে দিলাম, আহা কী আনন্দ। রাস্তায় এক পুরনো বান্ধবীর সাথে দেখা হতে মুখ কুঁচকে বলল, সার্টিফিকেট অ্যাটাস্টেড করতে হলে আমার কাছে এসো, করে দেবো। শুনে কান লাল করার বদলে আমি হি হি করে হেসে গড়িয়ে গেলাম।
আমার ছোটবেলায় মা প্রায়ই বলতেন, এমন কাজ করোনা যাতে আয়নায় নিজেকে দেখতে গেলে মাথা নিচু হয়ে যায়। আমার ভালো লাগত সেটা শুনতে। কিন্তু একটা সময় মনে হতে লাগলো আয়নার মানুষটা যেন অন্য কেউ। এই ভয়ংকর যন্ত্রনাটাই কারণে অকারনে কম্প্রোমাইজ নামের অদ্ভুত এক কাজে নিজেকে ফুরিয়ে ফেলার অপমান করার মাঝেই একসময় শিখিয়ে দিল কী করে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এখন আমি হাজার টাকার চাকরি করছি না, কলমের এক খোঁচায় লোকের ভাগ্য পালটে দিচ্ছিনা, কিন্তু তাতে মোটে দুঃখ হয়না; কারণ আমি জানি আমি কী করছি, কেন করছি । জীবনের প্রায় অর্ধেকের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখন আমি জানি বাকি জীবনের থেকে আমি কী চাই। কিন্তু সেটা আমি কাউকে বলিনা। এ জনে জনে বলে বেড়াবার কিছু নয়। আমি তা নিজেকে বলি, শুধুই নিজেকে।
কারণ আমার ভেতরের আমার জানা দরকার তার জীবনের লক্ষ্যটা কী !
মন্তব্য
খুব ভাল লাগল এই অকপট কথন। সেই সাথে মনে পড়ে গেল Curious Case of Benjamin Button চলচ্চিত্রে শোনা এক অসাধারণ জীবনঘেষা সংলাপ---- We must live the life that make us Happy, or no matter how late it is, we should start over again.
সেই সাথে এও বলি জীবনের কি লক্ষ্য থাকতেই হবে! এমন দিব্যি কে দিয়েছে। তারচেয়ে কেউ যদি স্রেফ গায়ে হাওয়া লাগিয়েই জীবন পার করে কারো ক্ষতি না করে তাতে তো কোন অসুবিধে নেই! আমাদের জীবনের লক্ষ্য যায় হোক না কেন, তা পূর্ণ হোক বা না হোক, মহাকালের বুকে তার কি মূল্য? কিছুই না, তার চেয়ে ভাল লাগার কাজ করাটা অনেক অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
facebook
যে রকম লেখা সে রকম দারুণ মন্তব্য।
ধন্যবাদ বড় মাপের অণু ভাইটি। এই সংলাপটা আসলেও দুর্দান্ত একটা সংলাপ। তবে আমার নিজের কাছে একটা ভার্শন আছে এটার। নিজের আনন্দের জন্য কাজ করাটা ভালো, উচিতও; তবে সেটার কেন্দ্রবিন্দু যদি শুধুমাত্রই 'আমি' হয় তাহলে সেটা কিন্তু তখন স্বার্থপরতা হয়ে দাঁড়ায় জানেন তো ? কিছু মানুষ যদি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে আনন্দ না পেতেন তাহলে তো এই পুরো সমাজ সংসারই গড়ে উঠত না। তাই আমরা কিসে আনন্দ পাচ্ছি তার যৌক্তিকতা বিচার করাটাও বোধ হয় উচিত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একেবারে মনের কথাটা বলে দিছেন, অণু ভাই।
ইমো দিতে পারলাম না, সেলাম ঠুকি, বলি গুরু গুরু
আমিও ধনেপাতার ইমো দিতে পারছিনা। তাই বলি, ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
(ধইন্যা ) লিখলেই হবে স্পেস মুছে দিতে হবে অবশ্য
সাফি ভাই, আপনার টেলিপ্যাথি পাওয়ার চালান একটু, খালি হাসিমুখের ছাড়া আর কোন রকম ইমোই দিতে পারছিনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখা পড়ে আমি নিজেও অনেকক্ষণ ভেবে দেখলাম আমার এইম ইন লাইফ কি! আমি আসলে কি হতে চেয়েছিলাম?! আমি এখন শুধু নিজেকে এটাই বলি যতদিন বেঁচে থাকি না কেন প্রত্যেকটা দিন যেন ভালো যায় সেই চেষ্টা করবো।
আপুর জন্য অনেক শুভকামনা।
এই মন্তব্যটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মেঘা। এই যে আপনি আমার লেখা পড়ে দু সেকেন্ড ভাবলেন, ওমনি আমার লেখাটা সার্থক হয়ে গেল। একজন লেখকের আর চাই কী ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একটা সময়ে আমার এইম ইন লাইফ ছিলো সিনেমার ভিলেন হওয়া। একজনকে বলতেই অবাক হয়ে বলেছিল- ক্যান?ভিলেন হবি ক্যান?ভিলেন তো সিনেমার শেষে মইরা যায়,হিরো হবি না ক্যান? আমি বললাম- সিনেমার শ্যাষে মরে ঠিক আছে, কিন্তু পুরা তিন ঘন্টা তো সে একাই মজা নেয়!
মাত্র গতকাল এক ফ্রেন্ডের বাসায় গেছলাম কয়েক বান্ধবী মিলে। তার হাজব্যান্ড দেখি বিরাট ফ্লার্ট। এক পর্যায়ে বলে কিনা চলেন আমরা সিনেমা সিনেমা খেলি, আপনারা কে কে নায়িকা আর কে সখি হবেন ঠিক করেন, আমি কিন্তু ভিলেন হব। একজন ছিল আমার থেকেও বুদ্ধিমান (!) অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কেন ভিলেন কেন ? তাইতে উনি এমন হাসি দিলেন যে হাসি শেষ হওয়ার আগেই বেচারি তড়বড়িয়ে বললে, আচ্ছা আচ্ছা আমি বুঝে গেছি, আর বলতে হবেনা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দুঃখিত আশাদি কিন্তু জিজ্ঞেস না করে পারছি না মাথা ঠিক আছে ওই লোকের?
আরে মাথা ঠিকাছে মানে, শুনলাম তো নাকি ভীষণ স্মার্ট আর পপুলার সবার কাছে, অবশ্য সত্যিকারে কতটা এইটা জিজ্ঞেস করলে ঠিকমত বলতে পারবোনা, এইরকম 'স্মার্ট' মানুষ থেকে একশ হাত দূরে থাকি আমি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাই তো কই এদ্দিনেও ইস্মাট হইবার পারলাম না কেন হুম্ম
আশাদি আপনি লোক ভালু না, চামে চামে সবার পেটের কথা বের করে নিচ্ছেন। এর আগেও এক পোস্টে কে কোন বিষয়ে ডাব্বা মারছে স-অ-ব আপনি বের করে নিছিলেন। এখন দেখেন আপনি যদি রীতিমত প্রতিভাবান ভাল ছাত্র না হন তাইলে আর কে? আমি কিন্তু চালাক কম না, তাই কিছুতেই কমু না যে আমার এইম ইন লাইফ ছিল ওই যে বিশাল কন্টেইনার ক্যারিয়ারের ডেরাইভার হওয়া (দন্তবিকাশ ইমো)।
হে হে হে...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক দিন ধরেই ঘুরছি এখানে ওখানে। কী হতে চাই জানিনা, কী হতে চাইনা তা জানি। স্টিভ জব্স্ এর কদিন আগের সাক্ষাৎকারটায় একটা লাইন মনে ধরেছিল বেশ যেখানে ভদ্রলোক বলেছিলেন, " যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তোমার ভাল লাগে এমন কাজটি খুঁজে পাচ্ছ, থিতু হয়ে যেওনা কিছু একটাতে। খুঁজতে থাক।" আমি এ পথে ওপথে খুঁজছি কেবল। ভাল লাগল আপনার লেখাটা।
ধন্যবাদ সুমাদ্রি। খোঁজার পালা জলদি শেষ হোক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কদিন আগে রাহুল দ্রাবিড়কে সিরিজ শেষে ম্যান অফ দি সিরিজ-এর পুরস্কার নেয়ার সময় নাসের হুসেন প্রশ্ন করলেন, "ভারতের হয়ে আবার ইংল্যান্ড সফরে আসবেন?" স্মিত হাসিতে রাহুল বললেন, "ওয়ান সিরিজ এট এ টাইম মেইট, ওয়ান সিরিজ এট এ টাইম!"
জীবন দর্শন হিসেবেও এ বোধ হয় মন্দ নয়!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমার খুব পছন্দের একজন মানুষও এই কথাটা বলতেন। বলতেন একবারে সিঁড়ির মাথায় চড়তে চেওনা, একটা একটা ধাপ করে এগোও। তাহলেই দেখবে একসময় সিঁড়ির মাথায় চলে গেছ। এই দর্শনটা মেনে দেখেছি, আসলেই খুব কাজের।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম! আর কিছু থাক আর না থাক শান্তি থাকে মনে। আর নিজেকে নিয়ে নিজের আর অন্যদের 'প্রত্যাশার চাপ'ও থাকে না অত। শর্ত কেবল এই যে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় রেলিং-এর অস্তিত্বটুকু না ভোলা আর হুটহাট উঠতে গিয়ে পা মচকে না বসা, সিঁড়িতে পা ফেলার আগে সিঁড়ির দৈর্ঘ, প্রস্থ এবং উচ্চতা সম্পর্কীয় জ্ঞানটুকু থাকা বাঞ্ছনীয়!
বাবারে বাবা! জ্ঞানে উপচে পড়ছে এই মন্তব্যের ঘর, এবেলা ক্ষ্যামা দেই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বাসরে, সিঁড়ির দৈর্ঘ, প্রস্থ এবং উচ্চতা সম্পর্কীয় জ্ঞান আবার সাথে রেলিঙ ! ব্যাপক ডর খাইলাম !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওরেব্বাবা, আপনিও দেখি অন্যসব সচলের মতো বিরাট ছাত্র!
আমি এইচএসসির পর ঘোষণা দিলাম আর লেখাপড়া করুম না। এইম ইন লাইফ ঠিক করলাম আনন্দময় জীবন কাটাবো, আর কিছু চাই না...
দুইটাতেই সফল আপাতত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সারারাত আড্ডা মেরে ভোরবেলা ঘুমিয়ে এইচএসসি (ব্যাবহারিক) পরীক্ষার সকালে উঠতে আমার দেরি হয়ে গেছিল! তাড়াতাড়ি করে বাস ধরে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত এসে দেখি পৌনে এগারোটা বাজে, দশটা থেকে পরীক্ষা শুরু! পরে আর কী! ফাও সময় নষ্ট না করে বাসায় চলে গেলাম! আরাম করে আরো খানিক্ষণ ঘুমালাম। একটা পরীক্ষা যখন দেইনি তখন বাকিগুলা দিয়ে কী হবে ভেবে পরের দিনগুলোতে আর ঝামেলা না করে ঘুমিয়েই কাটালাম। আহা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি তো ব্যাবহারিক পরীক্ষার তারিখ জানতাম না। পরদিন কলেজে গেছিলাম তারিখ জানতে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে আমারও পরীক্ষা টরিক্ষার সন তারিখ মনে থাকত না। একবার ফাইনাল পরীক্ষা ভুল মেরে সারা দুপুর ব্যাডমিন্টন খেল্লাম। আরেকবার গল্পের বই পড়তে গিয়ে হুঁশ ছিলনা। টিচাররা নিজে যেচে আলাদা পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দিয়েছিলেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধুর মিয়া! আপ্নে পুরা নামকরা ছাত্রী দেখি! আপ্নের সাথে আর বেশি আলাপ নাই, যান গিয়া!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরে না বেশি নামকরা না তো, যেটুকু আছে তাতে আলাপ করতে পারবেন, অসুবিধা হবেনা, আর যেটুকু নাম ধামের গপ্প শুনতেছেন ওইসব ম্যালা আগের ব্যাপার; ওই যে বলেনা Once upon a time... ওইরকম !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম... আমি অবশ্য আইস্ক্রিমওয়ালা হতে চাইতাম নিজেই। তবে ছোটবেলায় বাবা নিজের ছোটবেলার নানান গল্প শোনাতো আর সেই সাথে রাশান বই 'বাবা যখন ছোট' থেকে গল্প পড়ে শোনাতো। সেখানে একটা গল্প ছিলো যে বাবা-কে কে যেন জিজ্ঞেস করছে যে, কী হবি রে বড় হয়ে? তো বাবা আইস্ক্রিমওয়ালা থেকে শুরু করে কুকুর পর্যন্ত হওয়া ঠিক করে ফেলতে ফেলতে একদিন একজনের একটা মন্তব্য শুনে থমকে যায়, লোকটা বলে যে, আগে মানুষের মতন মানুষ হতে শেখ!
এইটা আমার নিজেরও বেশ মনে ধরেছিলো, মানুষের মতন মানুষ-টা কীভাবে হয় এটা নিয়ে বিস্তর জ্বালিয়েছি বাবা-মাকে। মনে হয়না বয়সে বড় হয়েও সত্যিকারের তা হতে পেরেছি এখনো, কিন্তু গল্পটা মনে আছে, কাজেই চেষ্টাও জারি আছে।
আর বাকিটা নিয়ে কোন আক্ষেপ নাই। যেইটা করতে ভালো লাগছে, এখনতক সেইটাই করে এসেছি। আর ভালো না লাগ্লে যাঃ ব্যাটা! বলে ছেড়ে দিয়েছি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শুরু হইছে আবার মন্তব্য লাফানো!!!
মুর্শেদ ভাই, এই যে, মন্তব্য লাফাং একজাম্পল লম্বর এক এইখানে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাবা ্যখন ছোট বইটা কোথাও পাওয়া যায় কি
ছোটবেলায় কত কিই বা হতে চাইতাম তার আর কি দাম আছে বড় হয়ে ......।।
তবে বড় হয়ে কি হতে চাই তা বড় হয়েই জানতে পারলাম। জমিদারের ছেলে হলে ভালো হয়, কাজ কাম নাই, জমিদারি বানাবার কষ্ট নাই, বেলা করে ঘুম থেকে ওঠো, টেবিল ভর্তি খাওয়া, আবার ঘুমাও, কোন কাজ না থাকলেই আমি খুশী। সেটা জমিদারীতেই সম্ভব বলে মনে হয়, অন্যকিছু হইলেও আপত্তি নাই।
ধন্যবাদ ফকির লালন। এই বইটা দোকানে কখনও দেখিনি। এখন রুশি বই কম পাওয়া যায় বোধ হয়।
আপনার আইডিয়া তো ম্রাত্মক টাইপ ভালো। মুশকিল হল, এরকম জীবন কাটিয়েও দেখেছি, একটা সময় বিরক্ত ধরে যায়। কিছুই না করে বসে থাকতে বেশিদিন ভালো লাগেনা আসলে।
অটঃ আপনার কবিতা পড়ি, কিন্তু কবিতায় কমেন্ট করার সাহস জুটিয়ে উঠতে পাইনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
'বাবা যখন ছোট' ছাড়াও আমার সংগ্রহে থাকা রাশান অনুবাদ সবগুলোকেই স্ক্যান করে পিডিএফ বানানোর একটা মহান পরিকল্পনা আমার আছে, এই ঈদের ছুটিতেই সেটার কিছুটা আগানোর ইচ্ছা রাখি, যদি জ্বরজারির কবলে বিছানাগত থাকতে না হয় আরকি।
পিডিএফ করতে পারলে আমি অবশ্যই এখানে লিংক দেব, একটু খেয়াল রেখেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইটা রাখ্লাম
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই যে পিডিএফ এইখানে।
[বিদ্রঃ 'প্রগতি প্রকাশন' মনে হয় এখন আর নেই, তবে বইটার কপিরাইট সম্পর্কে ধারণা না থাকায়, শেয়ারের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনে অনুরোধ করবো, আর কোথাও থেকে কোনরকম আপত্তি জানতে পারলে আমিও pdf ফাইলটা সরিয়ে নেব।]
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাযাদিদি চিনে ফেলেছি আপনাকে
আহ্। পুরান প্রেম মনে করিয়ে দিলেন। এই বইটা যে আমার এখনও কী ভীষণ প্রিয় ! আমার এইম ইন লাইফ ঠিক করার জন্য এই বইটার একটা বড় ভূমিকা থাকতে পারে।
নিজের ইচ্ছেমত কাজ করতে পারা একটা ব্যাপক সাহসের ব্যাপার। আমি প্রায়ই একটা লাইন কপচাই Life is very expensive for experiments, not everyone can afford it; but I can !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার খুব পছন্দের একটা ডায়ালগ এটা। কদিন আগে বড় বোন আমাকে ফোনে শুধালেন, 'আর কতো এক্সপেরিমেন্ট করবি! একটাই তো লাইফ...!'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা... আপনিও যাবতীয় এক্সপেরিমেন্ট শেষে আমার মতই নিজের আঙুল কামড়ান নাকি জানতে ইচ্ছে করল...!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
Life is very expensive for experiments, not everyone can afford it; but I can!
এইটা নিশ্চয়ই আমার মতন জ্ঞানী-গুণী কোন ব্যক্তি বলেছেন!
যা বুঝছি মনে হয় সন্তানের জন্যে জীবনের প্রেফারেন্স পরিবর্তন হয়, তারাই মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় কোন কিছু করার পেছনে, একজন বাবা-মায়ের জন্যে। নিজেরা ঐ পজিশনে না পৌঁছুলে সেটা ভালো বুঝবো না, আপনারা এ ব্যাপারে ভালো জানবেন। কিন্তু এমনিতে বা বুঝতেছি জীবন একটাই, আর সেটা অন্যের মনমত চালাবার, অন্যের ইচ্ছায় চলার কোন মানে নাই।
আমার কেন অন্যের মতন বাড়ি, স্ট্যাটাস লাগবেই, বা তারা যেই সামাজিক বা প্রফেশনাল পজিশনে আছে, আমি কেন সেখানে পৌঁছালাম না, তা নিয়ে অন্য মানুষের মায়াকান্না বা খোঁচা কোনটাই আমার কোন কাজে আসবে না, তাই সেটাকে পাত্তা দেয়ার কোন মানে নাই, এটাই হলো আসল কথা।
আর নিজে কখনো সেই আক্ষেপ বা তুলনা করার চাইতে, বরং কী করলে আমার নিজের মনের শান্তি হয়, সেটা অনেক বেশি জরুরি।
জীবনটা যদি আমারই হয়, তাআহলে এক্সপেরিমেন্ট চালাবার পুরা রাইট আমার আছে, যতক্ষণ না তার কারণে নিরীহ কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষাভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্যে সুপার লাইক এবং তীব্র সহমত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ডরাইছি!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ক্যান ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এইচ এসসির পরীক্ষাই বাদ দিয়া দিছে, ডরামু না!!!
_____________________
Give Her Freedom!
লতাদি, আপনার পোস্ট পড়ে অনুভূত হল যে বর্তমানে আমার কোন এইম নাই। দিন আসে দিন যায়। নিরর্থক জীবন যাপন। কোন এক সময় এইম না থাকলেও স্বপ্ন ছিল অনেক লঘু-হাস্যকর-উদ্ভট যেমন শৈশব থেকে শুরু করিঃ পাইলট, ক্রিকেটার, অভিনেতা, শিক্ষক, বিজ্ঞানী আরো কত কি!!! কৈশোরে মনে হত কবি হৌয়া দরকার। এখন স্বপ্নেরা সব মৃত। কোন এইম নাই। স্বপ্ন দেখি না। যখন যেমন তখন তেমন- 'তরল পদার্থ' হয়ে গেছি।
------------
একটা আগ্রহ জন্মালো যে দিদিঃ কোন কোন পাব্লিক পরীক্ষায় আর কততম হয়েছিলেন? এখানে না বললেও ফেবুতে বৈলেন, আবদার জানায় গেলাম!!! আমার আবার এ বিষয়গুলোতে খুব আগ্রহ।
_____________________
Give Her Freedom!
ধুরো মন্তব্য লাফায় আবার!!!
তরল পদার্থ তো দেখি বেশির ভাগ সময় মেয়েরাই হয়, তুমি হও কেন ? তাও এই একফোঁটা বয়েসে ? আরে দূর দূর, কষে কোমর বেঁধে লেগে যাওতো; স্বপ্ন হোক শক্তি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কৈ তরল পদার্থ, আমার আশে পাশের সব মেয়েরাই তো 'কঠিন পদার্থ' দেখি।
এলেভেন্থ আওয়ারে কষে কোমড় বেঁধে অবশ্য ঠিকই নামি।
_____________________
Give Her Freedom!
এত কিছু লিখলাম আর আপনি নজরুল ভাই খালি ওই দুর্ঘটমাটাই দেখলেন ?! আমি মোটে বিরাট ছাত্র না, আমি হলাম অঙ্কে চৌত্রিশ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সে আপনার সংবাদপত্রে ছবি সাক্ষাতকার ছাপা হওয়ার কাহিনী পড়েই বুঝে গেছি... ঘটা করে আর মিথ্যে বলতে হবে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
[সর্বনাশ। এ যে দেখি নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মেরে বসেছি] শুনেন নজরুল ভাই, আপনার না ম্যালা বুদ্ধি ? এইগুলা যে বানাইন্যা গল্প এও বুঝেন না ? সেদিন রাগিব ভাইয়ের পোস্টে দেখলেন না একজন বলল, 'ভালো ছাত্র' লেবেল থাকলে পোস্ট ব্যাপক হিট হয়। অইজন্য বানাইলাম আরকি। নাইলে এই যে এক্ষনি আমাকে দুইশ বত্রিশের সাথে তিনশ তেপান্ন যোগ করতে দিয়ে দেখেন, আমি কিন্তু পারবোনা, কসম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সর্বনাশ! আপনে দেখি পত্রিকায় নাম ওঠা টাইপের ভালো ছাত্রী! আপনার থেকে সাবধানে থাকার জন্য আর কোনো কারণের দরকার নেই! আপনার লেখা থেকেও সাবধানে থাকা লাগবে!
বইয়ের দোকানের একটা অলিখিত প্রজেক্ট আমাদের অনেকেরই মাথায় আছে। বেঁচে থাকলে সেটা সফল হবে। সেখানে আরও পাওয়া যাবে অদ্ভুত সুন্দর কফি। একদিন নিশ্চয়ই হবে। তবে সেটা বই বিক্রির দোকান হবে না। পড়ুয়াদের আড্ডার জায়গা হবে। কাগুজে বইয়ের দিন এমনিতেই ফুরোচ্ছে। দোকানের প্রয়োজনও ফুরোবে।
খুব সত্যি কথা। এই বোধের চেয়ে বড় কিছু নেই! সমস্যা হলো এই বোধটা নিতান্তই কম মানুষের থাকে! আপনাকে অভিনন্দন! আপনার মায়ের জন্য শ্রদ্ধা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে দূর, পত্রিকায় নাম ওঠাটা নিতান্তই ফালতু ব্যাপার। জীবন তেতো করে দেয়। অইসবে পাত্তা দিলে চলে নাকি। পরে অনেক দিন আমি চেষ্টা করে করে খারাপ ছাত্রী হবার অনেক কসরত করেছি। কিন্তু তাই বলে আমার থেকে সাবধান হতে হবে কেন ? আমি তো কুরসিধারি নই যে এক অঙ্গুলি হেলনে অন্যের মুণ্ডু ঘচাং হবে। নেহাতই নিরীহ প্রাণী আমি।
আপনাদের বইয়ের দোকান শুনেই আমার ব্যবসায়িক বুদ্ধি মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। খালি খালি সবাই বই পড়বে ? মুখ শুকোবে না ? তাই আপনাদের দোকানের এক পাশে আমি একটা মাফিন স্টল খুল্ব বলে জায়গা বুক কল্লাম। মাফিন আমি ভালো বানাই। সবাই বই পড়বে, আমি মাফিন বানাব, টাটকা। গন্ধে ম ম করবে। কফির সাথে মাফিন আর বই; পড়তে বেশ লাগবে, না ? যান, আপনাদের জন্যে সারাবছর হাউকাউ ডিসকাউন্ট দিলাম।
শেষ অংশটুকুর জন্য ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বুফিয়ের বলে একটা বইয়ের দোকান আছে এই পোড়ার শহরে। সেখানে দোতলার এক কোণায় এরকম একটা ছোট্ট ক্যাফে আছে। চা-কফি-মাফিন সবই পাওয়া যায়। সোফা বা কুশন সাঁটানো বেতের চেয়ারে বসে বই পড়তে পড়তে ধোঁয়া ওঠা চা'য়ের কাপে সুড়ুৎ করে চুমুক মারা যায়। আহা, কতোদিন সেখানে গিয়ে আরাম করে দুদণ্ড বসা হয় না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইশশ, গেল আইডিয়াটা চুরি হয়ে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ট্রাফিক পুলিশ হবার এইম ছিল... কী সাংঘাতিক পাওয়ার... কুঁত কুঁত করলেই সব জায়গায় খাঁড়া!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
হা হা হা... তাইতো !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শুধু পত্রিকার ছবি হয়ে যাওয়া জ্যান্ত ইতিহাসের কথাটুকুই মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট । গুন্ডাটাইপ ছাত্রী ছিলেন তাহলে!
এসব শুনে আমরা জিপিফাইভ যুগের মিডিওকার ছাত্ররা বলি, আপ্সোস, আপনাগো সময়ে জন্মাইলে আমরাও দেখাইয়া দিতাম।
কি মুশকিল, মাথা ঘুরবে কেন ? পরীক্ষার খাতায় কেরদানি অনেকেই দেখাতে পারে, তাই বলে তাকে মাথায় তোলার কিছু নেই। জীবনের খাতায় কি লিখল সেটাই আসল। আমি অন্তত দুজন মারকাটারি টাইপ রেজাল্টের পি এইচ ডি করা মানুষকে জানি যারা আমার জীবনে দেখা সবচাইতে নোংরা মনের মানুষ। যাদের দেখে আমি শিখেছি ঘৃণা নামের আবেগটা আসলে কতটা তীব্র হতে পারে। তাদের রেজাল্ট কিন্তু তাদের ভেতরের মানুষটাকে সত্যি মানুষ করে তুলতে পারেনি। কাজেই মানুষকে মাপতে সার্টিফিকেট এর ওজন খুব কাজের জিনিষ নয় কিন্তু।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই যে ইমোসম্রাট, আপ্নে ইমো কই পান, আমিতো দিতে পারছি না। দূরো। যাহোক পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ইয়া হাবিবি! আপনি দেখি সেইরকম ছাত্র!
আপনি এমন সব টপিকে লেখা শুরু করেছেন ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট যুগের দুঃখগুলো সব পা টিপে টিপে হাজির।
আমার এইম ইন লাইফ - গহীন অরণ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসন। টারজানের মত দড়ি ধরে ঝুলব, হাতির সথে হুটোপুটি করব, ব্যাঙের সাথে কোরাসে গলা মিলাব। ছবি তুলব ইচ্ছামত, ইনফিনিটি মেমরির ক্যামেরা কিনব!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে দূর দূর। ভালো ছাত্রগিরি গুল্লি মারেন। অইসবে কিচ্ছু নাই। দুনিয়া হইল মায়া। মিতিন কদিন আগে পরীক্ষায় গণহারে 'গ' পেয়েছে। আমরা দুজনে রেজাল্ট কার্ড ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে দুইজনে দুইটা কাঠি আইসক্রিম কিনলাম। রিক্সাওলাকেও একটা দিলাম। তারপর আইসক্রিম খেতে খেতে এন্তার গল্প করতে করতে বাসায় এলাম। কী আছে জীবনে !
গহীন অরণ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসন যদি সত্যিকরে এইম ইন লাইফ হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই পুরণ করা উচিত। কদিন পরে তো গায়ে শক্তি কমে যাবে, দড়ি ধরে ঝুলতে পাবেন না। ধপাস করে পড়ে গিয়ে পায়ে হাতে ফ্র্যাকচার হবে। হাতির সাথেও পেরে উঠবেন না। কাজেই জীবন যদি জিয়ে নিতেই চান তাহলে তা এখুনি।
তবে তার আগে বুকে হাত দিয়ে জেনে নেয়া চাই, আসলতই আপনি কী চান
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা, দৃশ্যটা মনে করতেই আবেগে চোখে জল চলে আসছে। কানাডার জঙ্গলে বাকলের জাঙ্গিয়া পরে ফাহিম শনশন হাওয়ার মধ্যে দিয়ে দুলে মেপল গাছ থেকে ওকে গাছে চলে যাচ্ছে, আর নিচে Canon EF 70-300mm f/4-5.6 বাগিয়ে বসে রয়েছে একদল ফোটোগ্রাফার...
হিহিহি... ফোটোগ্রাফার দলের জন্য একটা গান দিলাম, ফাহিম টারজানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বোর হতে হতে শুনবে...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই গানটা আমার অতীব প্রিয় - হিপোটা কী কিউট!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কিউট না ? এই গানটা না আমার কপ করে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বেচারা হিপো'দের খেয়ে শেষ করার আপনাদের এই সম্মিলিত ও সুপরিকল্পিত চক্রান্তে সরব পেতিবাদ জানাই। এখুনি প্রত্যাহার করুন নাইলে কিন্তু গেলাম গোস্ত-পারাটা খাইতে, অনশন করুম।
রে কৌস্তুভ ভাই, ঘুষি মেরে আপনার উপরের চোয়ালের একটা দাঁত খসিয়ে দিতাম, কুংফু কিকে ভুঁড়ির প্রস্থ কমিয়ে দিতাম - খুলি দিয়ে এমন এক ঠুয়া দিতাম যে চোখের সামনে কার্ল সাগানের কসমস পুরোটাই দেখতে পেতেন
কিন্তু না . . . আমি ভাল ছেলে। স্রেফ আপনাকে অভিশাপ দিলাম - আগামী কয়েকদিন রান্নায় কিছুতেই লবণ মাপমত হবে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে দূর বান্দার ক্যায়া জানে সোডিয়াম ক্লোরাইডকা সোয়াদ। অভিশাপ দিতে হলে বরং বলুন আগামী এক হপ্তা ওর রান্না করা রামপাখির স্বাদ যেন আলুনে বেলেমাছের মত হয়। তখন বুঝবে ভালো ছেলেদের পেছু লাগার মজা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার একটা খারাপ স্বভাব হল সব মধুর স্মৃতি নিয়ে টান মারেন, যেগুলো সবার জীবনে একটু থেকেই থাকে কিন্তু কাল ক্রমে ভুলতে বসে। অনেকদিন পর এই কথা মনে করিয়ে দিলেন, চানাচুর খেতে ভালবাসতাম বলে সবাই বলত চানাচুর ওয়ালার সাথে বিয়ে দিবে। এই ইচ্ছা কিন্তু আমার নিজের না, চাপিয়ে দেয়া। আমি নিজেই চানাচুরএর দোকান দিতে চাইতে পারতাম, কিন্তু সেটা বোধ হয় কারও পছন্দ হত না।
তবে আপনি যে মা বাপের মাঝে বসা পেপারে ছবি উঠা পাপী সেটা আগে বললে আর একটু সাবধানী হতাম মন্তব্যে।এ স্মৃতি তো আর সবার থাকে না।
আমি আসলে কোন লেখা হিট হবে নাকি হবেনা এইসব হিসেব নিকেশ ভালো বুঝিনা। এক একটা জিনিষ নিয়ে লিখবার ঝোঁক আসে, দমাস করে লিখে ফেলি। এইজন্যেই বলি আমার লেখা সবই হল অতি আবেগাক্রান্ত অকাজের লেখা।
আর হ্যাঁ সাবধান, জানলেন তো আমি কত বড় মানি লোক, এরপর থেকে বড় সালাম দিয়ে কথা শুরু করবেন নইলে কিন্তু ব্যাদ্দপ আখ্যা দিতে পারি। কী বলেন ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আসসালামুয়ালিকুম আপা
ওয়ালাইকুম বইন। বাসায় ভালো চানাচুর আনছি, নাম জামাই বউ চানাচুর। খ্রান, পিঁয়াজ কাঁচামরিচ সইরশার ত্যাল ধইন্যাপাতা দিয়া মাখায় দেই, খান।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বড়দের মুখে শুনেছি, শিশুবেলায় আমাকে যখনই কেউ প্রশ্ন করত, "বড় হয়ে তুমি কী হবে?" আমার জবাব ছিল, "দাদু বলে দাক্তার হতে, মা বলে উকিল হতে, আব্বু বলে টিচার হতে। কিন্তু আমি নায়িকা হয়ে নায়ককে জড়িয়ে ধরবই"।
আমার কোনো 'এইম ইন লাইফ' নাই। যখন সামনে যা কর্তব্য আসে, প্রাণ দিয়ে তা পালনের চেষ্টা করি; আর প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নেই।
পোস্ট খু-উ-ব ভালো লেগেছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ ইয়া হাবিবি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এখন আমার এইম ইন লাইফ হলো "কার্পে দিয়েম" অর্থাৎ আজকের দিনটি কোন রকমে কাটিয়ে দেয়া। অবশ্য ম্যাদা মেরে যাওয়ার আগে এইম ছিলো, জীবনে একটা কিছু আবিস্কার করব যাতে আমি মরে ঠেসে যাওয়ার পরেও লোকে আমাকে মনে রাখে। তবে, লাইফ যদি রিসেট করার অপশন থাকত আর গোড়া থেকে এইম ইন লাইফ সেট করা যেত, তবে ভালো ছাত্র হওয়াটা এইম ইন লাইফের ধারে কাছে আসতে দিতাম না, খালি খালি কিছু অর্থহীন লিগ্যাসি বয়ে নিতে জীবনটা ফালাফালা হয়ে যায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভালো ছাত্রের ট্যাগ পাওয়ার চাইতে জঘন্যতম আর কিছু হতে পারেনা। জীবন ফালাফালা না একদম তেজপাতা হয়ে যায়। যত্ত দুনিয়ার যন্ত্রণা। ডিজুসদের মত আঙুল তুলে বলতে ইচ্ছে করে 'লাইফ সাক্স' !
... কিন্তু ইয়ে আপনার মত এত 'পোটেনশিয়াল ব্রাইট বয়' এমন ম্যাদা মেরে গেল, এতো ভারী দুঃখের কথা। [ ধুর, ইমো নাই কিছু নাই, কাউকে খুঁচিয়ে আরাম পাওয়া যাচ্ছে না ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হে হে, আমি আপনার মত দাগী ভালো ছাত্র না, খোঁচানো যা খাওয়ার এই যাত্রায় একা একাই খান।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তাইতো খাচ্ছি ! ধুর !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
'পোটেনশিয়াল ব্রাইট বয়' ঠিকই আছে, এগুলা ভাবের ম্যাদা মারা আরকি, আমিও এরকম ভাব মারি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ছোটবেলায় আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল কাঠমিস্ত্রী হবো,ক'দিন পর সেটা বদলে গিয়ে বাস ড্রাইভার। শেষ পর্যন্ত হচ্ছি ডাক্তার। আর বাকি ভেতরের কথা ভেতরেই থাক। আপনার শেষ কথাটির মতোই
-
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
প্রথমটায় কিছু বলার নাই, কিন্তু পরের দুইজন তো প্রায় একই কাজ করে; মানে দুজনেই মানুষকে ইয়ের কাছে পাঠায় আরকি, কি বলেন ? হে হে হে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি এখনও জানিনা আমার এইম ইন লাইফ কি ? সবকিছুর প্রতি আগ্রহ দুদিন পরে মিইয়ে যায় । খুঁজে বেড়াচ্ছি নিরন্তর ...
চেষ্টা করে খুঁজে বের করে ফেলুন। মিতিন যখন ছোট ছিল, কিছু না পারলে আমরা বলতাম, চেষ্টা করে দেখো; ওমনি সে মুখ লাল করে লেগে যেত কাজে আর মুখে বলত চেষ্টা চেষ্টা চেষ্টা...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা একটানে খুব খুব মজা নিয়ে পড়লাম।মায়ের কাছে শুনি ছোটবেলায় আমি নাকি ব্যারিস্টার হতে চাইতাম। আল্লাহ জানেন, কি কুক্ষনে এই কথা বলতাম। তবে একটু বড় হয়েছি যখন (মানে আইস ক্রীম ওয়ালা কিংবা ম্যাজিক দেখে ম্যাজিশিয়ান হবার বাসনা ততদিনে ত্যাগ করা শেষ) তখন একদিন স্কুলের ইসলামিয়াত বইতে পড়লাম বেহেশতের কথা। ক্লাস টিচার বুঝিয়ে দিলেন বেহেশত কি? ব্যস। আর যায় কই। আমার একটাই এইম ছিলো। কোনভাবে বেহেস্তবাসী হওয়া। কারন টিচার বলেছিলেন, বেহেস্তে মানুষ যা চায় তাই পায়, কিন্তু কিভাবে বেহেসতবাসী হতে হবে, মানে আগে যে ধরাধাম ত্যাগ করতে হবে এইটা কিন্তু বলেননাই।আমার ইচ্ছে ছিলো বেহেসতে আমার চকলেটের পিলার দেয়া একটা আইস্ক্রিম প্যালেস থাকবে। আমি খালি সারাদিন ......(কি করব এটা কি আর বলে দিতে হবে?)
আহা, ঐযে একটা গল্প ছিলনা, বনের মাঝে ডাইনি বুড়ির বাড়ি, এন্তার চকলেট আর কি কি সব উপাদেয় জিনিষে বানানো, কত কত দিন যে ওইরকম একটা বাড়ির কল্পনা করেছি আর চকলেটের খাম্বা চেটেছি মনে মনে। এক একদিন দরজা জানলার পাল্লাও কামড়ে খেতাম ! ঘোড়ার ডিমের টিভি এসে সব কল্পনার দিল বারো বাজিয়ে। এখন রূপকথার নায়িকাদের সিনেমার নায়িকাদের মত চেহারা ! ছোহ্ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধুর পড়াশুনা করে কে কবে বড়লোক হইছে?! আমার সারাজীবনের এইম, যেই শালার শালা (অথবা শালী) এই লেখাপড়া আবিষ্কার করছে তাকে খুঁজে বের করে রামধোলাই দেয়া...শুধুমাত্র এই একটা কারণে টাইম মেশিন আবিষ্কার করা দরকার...
আমার জীবনে কোন এইম ইন লাইফ ছিল না, জীবন যেখানে নিয়ে যায়! অবশ্য, পরীক্ষার খাতায় ধুমায়া ডাক্তার হমু-গ্রামে যামু টাইপ জিনিস লিখতাম... আমার পাশের বাসার এক পিচ্চির এইম ছিল ঠেলাগাড়ি চালাবে... আমার ভাইয়ের এইম ছিল বিদেশিনী বিয়ে করবে...প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় এই লিংক!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
না না, পড়াশুনো ভারী ভালো জিনিষ, খালি পরীক্ষাটা দুনিয়ার পচা। পরীক্ষা যে বের করেছে তাকে আসলেও ভালমত সাইজ করা দরকার।
'ডাক্তার হমু-গ্রামে যামু' হা হা হা হা... স্কুল কলেজেই কী সুন্দর করে মিছা কথা বলা শিখায় আমাদের দেখেন !
এই জিনিষটা আজকেই রস আলোতে দেখলাম। হাসতে হাসতে শেষ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মাফিন খেতে কেমন? এই নামে যে খাবার আছে তাইতো জানতাম না। আমার জীবনের লক্ষ্য ছিলো, এখনো আছে, নিজের একটা নিজস্ব পরিচয়। অমকের মেয়ে, তমুকের বোন, ---- এর মা, এগুলো নয়, আমার নিজের পরিচয়, যার জন্য এখনো লড়াই করে যাচ্ছি।
জীবনানন্দের ভাষায় বলতে হয় " মন ছাড়া কেউ বোঝে না, তাই মনকে আমি নিজে . . . .."
মাফিন আসলে ছোট কাপ কেকের মত। খেতেও তাই। তবে টেক্সচার একটু আলাদা হয় ভেতরে, কেকের মত অত স্মুদ হয়না। আর স্বাদে গন্ধে অসংখ্য ভেরিয়েশন আনা যায়। এই যে ছবি-
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ক্লাস ফাইভে পড়ার আগে কি হৈতে চাইতাম তা মনে নেই, তবে ফাইভে কম্পিউটার দেখার পর থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার যে হতে হবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ ছিলনা। আপনার সাথে এখন থেকে ওজন কৈরা কথা বলতে হবে দেখা যায়। যাউকগা, আপনের দলের লোকেরা তো সচরাচর দাবী করত তাদের কোন প্রাইভেট টিউটর ছিলনা, আপনেরও নিশ্চয়ই না
বাপ্রে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ! আপনি তো বিরাট চিন্তাশীল মানুষ দেখা যায়। আর হ্যাঁ, কথার ওজনে সাপধান ! কমবেশি হলেই মডুদের নালিশ দিব। অমকে আমারে মানে না, অ্যা অ্যা অ্যা...
আর প্রাইভেট টিউটর না কি যেন বললেন ? এইটা কি জিনিষ ? নাম চিনতে পারিনা তো
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নিজেকে বার বার প্রশ্ন করেছি....একেকবার একেক উত্তর...তবে সবটাতেই ছিলো মন যখন যা চায় তা করার....
আর এখন জীবনটা যাপন করাই এইম...
প্রথম যেবার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলাম সেবার হাত পা শিহরনে আর ভয়ে থরথর করে কেপেছিলো...কী বলতে কি বলি....হা হা হা ...পরেরবার পালিয়েছি....
এইম ইন লাইফ বলে আমাদের ঘাড়ে যা চাপিয়ে দেয়া হয় তার মাঝে যে বিশাল ফাঁক থেকে যায় সেই ফাঁক পূরণ করতে গিয়ে আমরা অনেকেই হাপিয়ে উঠি.....
এই যে পাওয়া গেছে একজনকে । দুই দুইবার ! অ্যাঁ ? ইউ টু ব্রুটাস !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি াক আর ইচ্ছে করে করছি... ঘাড়ে ধরে করিয়েছে....হা হা হা ....
আমি তো আর যুদ্ধের ময়দানে পুরু নই যে প্রতিবারই সাহস দেখাবো.. তাই পরে শুধু পালিয়েছি...
কিছুই হতে পারিনি, পারবোও না..
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !'
#আবুল হাসান।
প্রাসঙ্গিক দুটো প্রিয় লিংক :
"বড় বড় নগরীর বুকভরা ব্যথা...": রাফি।
শুধুই প্রশ্ন, উত্তর নেই: রেশনুভা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হতে পারিনি নাহয় ঠিকাছে, কিন্তু 'পারবও না' এটুকু মেনে নেয়া কষ্টকর। মানুষ চাইলে চাঁদে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করে আর সামান্য এক ইচ্ছা, তাও নিজের জীবনে সে পুরতে পারবেনা, এ কী হয় ? নাকি হওয়া উচিত ? একদিন দুম পটাশ করে সব ভেঙ্গে বেরিয়ে এসে ইচ্ছেটা পুরে দিলে কি হয় ? যে ক্ষতিটা এখন হচ্ছে তার চাইতে বেশি আর কিইবা হবে ??
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জীবনের বাঁকে বাঁকে `এইম ইন লাইফ' বদল হয়েছে। কিন্তু একটি জায়গায় সেটা অপরিবর্তিত (একটু বাংলা অভিধানটা দেখে নিই, বানান ভুলতো আবার আপনি... ) ছিল, পরীক্ষার খাতায়। একটাই মুখস্থ ছিল কিনা তাই।
আমরা আসলে অনেকেই জানিনা সত্যিই আমরা কি চাই!
লেখাটা পড়ে ভাবছি আসলেই কি চাই!
প্রতিমন্তব্যে আপনার ভাবনাটি বড় ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।
আপনার কমেন্ট গুলোয় একটা ভীষণ রকম সারল্য থাকে যেটা ছুঁয়ে যায়। ভালো লাগে। তবে আমি কিন্তু বানান ভুল ধরার মাস্টারনি না। ণত্ব ষত্ব জ্ঞান আমার ভয়ানক দুব্বল। যারা ধরে তাঁদের থেকে সাবধান থাকতে বলেছিলাম। আমার কি, ওরা তো আমার নাতি নাতনি, ভুল ধরতে এলে দেব দাবড়ে নয় দুগন্ডা নাড়ু দিয়ে বসিয়ে দেব। কাজেই আমার ভয় নেই তো !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমিও আইতাছি আমার এইম ইন লাইফ নিয়া!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আয়া পড়েন আয়া পড়েন। চা মুড়ি বিস্কুট চানাচুর রেডি কৈরা বইসা পড়লাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাপ্রে, আপনি দেখি সেইরকম ছাত্রী!! ডরাইলাম কিন্তু!
কৈশোরে শিক্ষা নিছিলাম ভালো ছাত্রছাত্রী থেকে ১০০ হাত দূরে থাকো। নইলে বনবাদাড়ে এলেবেলে ঘুরে বেড়াতে পারবে না।
ক্লাস ওয়ান থেকে এইম ইন লাইফ ছিল পাইলট হবো, প্লেন চালাবো। ক্লাস থ্রীতে উঠেই আমার স্বপ্ন সত্য হয়ে গেল। আমি অংক খাতার পৃষ্টা দিয়ে প্লেন বানানো শিখে গেছিলাম। তবে ইন্টারে এসে অংকবিদ্যা আমার খাতায় ২৩ লিখে প্লেনটা থামিয়ে দিয়েছিল
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার অংকের কাহিনী তো জানেনই। কাজেই 'খুব ভালো ছাত্রী' নামের তকমা আমার চলে না। কিন্তু ভালো ছাত্র ছাত্রী ডরান ক্যান ? ওরা কি কুমির যে ধরবে আর খাবে ? স্কুল কলেজে আমার কিন্তু বিরাট বন্ধুর লিস্টি ছিল। দাঁড়ান, এই ভয় পেরিয়ে কিকরে ওদের সাথে দারুন বন্ধু হল তার একটা লেখার আইডিয়া এল মাথায়। ... অবশ্য মুশকিল হল, প্ল্যান করে কিছু লিখতে পারিনা। ডজন খানেক লেখা এইজন্যেই আলোর মুখ আর দেখতে পাচ্ছেনা। তবে যাই বলেন, বনেবাদাড়ে এলেবেলে আমি খুব ঘুরতাম। আহা, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা, একদম স্মৃতির বোচকা ধরে টান দিলেন!! যা হতে চেয়েছিলাম তার অনেককিছুই হতে পারিনি। তবে মা হবার পর সব না হতে পারার কষ্ট ভুলে গেছি।
নীড় সন্ধানীর সাথে একমত। ভাল ছাত্রদের কাছ থেকে ১০০হাত দূরে থাকতে হয়।
স্মৃতির বোচকা ! আহা, ভালো বলেছেন। মা হবার সাথে পৃথিবীর আর অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে কি ? এই একটা কারণই তো সব ভুলবার জন্য যথেষ্ট।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি নিজের মত থাকতে চাই,নিজের বোধ,স্বকীয়তা আর নিজের জীবন দর্শন নিয়ে-এটাই আমার এইম ইন লাইফ।
পেশা বা জীবিকার জন্য আমরা জীবনটাই বদলে ফেলি,ফেলতে বাধ্য হই কিন্তু স্বপ্ন দেখা আর ভালোবাসার
ক্ষমতা অফুরান হোক সবার এটা ভীষণ কাম্য আমার।
এর ওপর আর কোন কথা চলেনা। থাম্বস আপ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কতো কতো যে ইচ্ছে ছিলো, সবগুলো তার মনেও পড়ে না আর!
সময়ের হাত ধরে ছুটে চলে জীবন
যখন সে যেমন।
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ জ.ই মানিক। পড়ার আর সাথে থাকার জন্য।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জাস্ট ফাটাফাটি
ইয়ে... কী বলেন না বলেন ! বিব্রত ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
স্কুলের রচনা লেখার মত নয় মোটেই , জীবনের এতটা পথ এসে লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছোট বেলায় আমাদের যা শিখিয়েছে আমাদের পরিবার, সেই পথ অতিক্রম করে মনে করছি, জীবন ভালোই কাটালাম। শেখানো হয়েছিলো অল্পেতে খুশী থাকতে।
জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পারা, এবং সেই পথে এগিয়ে যেতে পারা সোজা নয়, যারা পারেন তাদের শ্রদ্ধা জানাই।
স্কুলের রচনার কথা মনে করিয়ে দিলেন তো ! আমার জীবনেও রচনা কমন পড়ত না। পড়বে কি করে ? আমি তো লাইন ধরে কোন কিছু জীবনেও মুখস্ত করতে পারতাম না। দু একটা লাইন পরেই শুরু হয়ে যেত আমার নিজের 'মনের মাধুরী মেশানো' রচনা। আর বান্ধবীরা রেগে বোম হত। বলত, অ্যাঁ মিথ্যুক, তবে না বললি কমন পড়ে নাই, আর লিখেই চলে যাচ্ছিস ? ওদের কে বোঝায় যে নেতারা যেমন মাইক পেলে ছাড়তে চায়না আমিও তেমনি লিখতে পেলে থামতে পাইনা। এই কমেন্টেই প্রমাণ দেখলেন তো ?
আপনি অনেক ঝামেলায় আছেন জানি, তার মাঝেও সময় নিয়ে পড়ছেন, কমেন্ট করছেন দেখে ভারী ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা বরাবরের মতোই চমৎকার।
আমার এইম ইন লাইফ ছিল বড় হয়ে বিয়ে করবো। সেইটা পুরা হবার পর এখন এইম ও শেষ লাইফ ও শেষ।
আমার এইম ইন লাইফ ছিল বড় হয়ে বিয়ে করবো। সেইটা পুরা হবার পর এখন এইম ও শেষ লাইফ ও শেষ।
Uoooদাস ভাই কয় কিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই ; হায় হায়
হাহাপগে
(সাহিত্যিক??)
চরম উদাসিনী কি ব্লগে টগে ঘোরেন না নাকি আপনার জানের মায়া নাই ? শেষ যদি নাও হত এই কমেন্ট পড়ার পর তো আর আশা দেখিনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
''চাঁদে পৌঁছাতে না পারা জন্য কষ্ট পেয়ো না। বরং কষ্ট হলো, পৌঁছাবার মত যদি কোন চাঁদ না থাকে।''
আমার কোন লক্ষ্য নেই। তবু কেন যেন, কোথায় যেন পৌঁছাবার জন্য আমি ছুটে যাচ্ছি, অকারণে...
শুধু শুধু লক্ষ্যহীন ছুটলে সেটা বড় ক্লান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। শেষ মাথায় ছোট হলেও যদি একটা বিন্দু থাকে তখন ছুটবার বল আসে, মনে বলে হ্যাঁ, এখন ছুটছি বটে কিন্তু একদিন এটা শেষ হবে, সেইদিন ক্লান্ত পক্ষীরাজের মত ডানা গুটিয়ে নিয়ে বসব ঠিক ঠিক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এক কথায় অসাধারণ ..
অনেক অনেক ধন্যবাদ sanjida
এত সুন্দর নামটা আপনার, বাংলায় লিখুন না, দেখতে ভারী ভালো লাগবে কিন্তু
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খাড়ান, আর কয়টা দিন, আর মাত্র কয়েকটা জিনিস, হাতের নাগালেই আছে। সেগুলো সম্পূর্ণ করার পর র্যান্ডি পাউশ'এর মতো একটা 'লাস্ট লেকচার' মেরে দিবো। কী হতে চেয়েছি, কী হয়েছি, কী করতে চেয়েছি আর কী করেছি- সব নিয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আচ্ছা, আমিও তাহলে চুলায় চায়ের পানি দেই। আয়েস করে শুনবোনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওরে বাবা! আশালতা, আমি যে অঙ্কে তেরো। আর আগেকার কালে মানে প্রাইমারিতে আবার আমাদের ছিলো ক খ গ ঘ ঙ, একবার ঙ পাবার রেকর্ড আছে।
আর তুমি তো একেবারে পত্রিকায় ছবি ওঠা ছাত্রী, খুবই সাবধানে কথা কইতে হবে এখন থেকে। কোনো বেয়াদবি করি নাই তো আশালতা?
আমাদের বাড়ির পাশেই ছিলো বিরাট খোলা মাঠ, ধানজমি, মাঝে মাঝে সেখানে মোষ চরতে দেখে বড় হয়ে মোষ চরাবার একটা প্রবল ইচ্ছে হতো। আহা, কেমন মোষের পিঠে উঠে মাথায় পালক গুঁজে গান গাইবো। মোষের পিঠে চড়ে চলে যাবো দূরে দূরে নীল পাহাড়ের দিক। একটা মোষের নাম দেবো মহিষাদল, আরেকটা মোষের নাম দেবো লালটেম, আর মিষ্টিমতন মহিলা মোষের নাম দেবো রাজমহিষী।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বললেই আমি বিশ্বাস গেলাম ভাবছ ? আর এই দিকে কঠিন কঠিন ট্যাঙ্গল ম্যাঙ্গল কি কি লেখ ছাই একটাও বুঝিনা আমি ! অঙ্কে তের হলে কেউ এমন লেখে বুঝি ? এহ্ !
মোষ নিয়ে এত কিছু ! বলোকি। আমার তো ওদের দেখলেই ভয় লাগে। গরু মহিষ আমি দূর থেকে ভালো পাই, কাছে থেকে ? উঁহু উঁহু ! নানুর একখানা লালি গাই ছিল, এব্বড় মুশকো লাল চেহারা, সেটা হাটে মাঠে যেখানেই আমার নাগাল পেত, ওমনি ঢুঁশিয়ে ফেলে দিত। সেই থেকে এইসব নিরীহ প্রাণীকে একটু সমঝে চলি আরকি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বড় সালাম ঠাম্মি, কিন্তু কেন, আপনি না মোষের সাথে (নাকি উপরে?) বসেই ইশকুল শুরু করেছিলেন?
তা করেছিলাম বলেই সেদিন থেকেই ভয়টাও খেতে শিখে নিয়েছি বোধ হয়।
আহা, নাতি আমার এদ্দিনে সালাম দেয়া শিখল। একটু একটু শীত পড়েছে তো তাই আজ নারকেল পুলি ভেজেছি। আর নলেন গুড়ের পায়েস। বসে পড় বাপু।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দিদি একাই খাবেন আমারে অল্প করে হলে ও পার্সেল করেন না এক্টু। আমার নারকেলের নাড়ু খুউউউউব পছন্দ। যেচে পড়ে বলে দিলাম যদি আপনি কষ্ট করে পার্সেল করতেন আর কি।:)
এই যে দিলাম
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওয়াও লুল পড়ার ইমো
সোনামুখী রাজমহিষী জাদু করেছে...
বাহ, চুপেচাপে ঠাম্মি বুঝিয়ে দিলেন, যে হুঁ হুঁ বাবা, আমি ব্রিটিশ আমলের গোল্ডমেডেল পাওয়া ছাত্রী, গেজেটে নাম উঠেছিল, আমায় সমঝে চলবে, নাতিপুতিরা বুঝেছ?
আমার ছোটবেলায় শখ ছিল আইসক্রিমের ফেরিওয়ালা হওয়ার, লেগো দিয়ে আইসক্রিমের ঠেলাগাড়ি বানাতুম। আহ, তখন জানলে তো ঠাম্মিকেই বিয়ে করে ফেলতাম!
চুপেচাপে বুঝিয়ে দিলেই কি আর নাতিপুতিরা সমঝে চলছে নাকি ?! বলে কিনা তখন জানলে তো ঠাম্মিকেই বিয়ে করে ফেলতাম ! ফচকে ছোঁড়ার পেটে পেটে এত !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কচুদা জোশ বলছেনতো।হহেহেহহে
আহা, কি অকপট সরল গল্প! কথাগুলি বড়ই আপন মনে হলো!
লক্ষ্য নয়, ইচ্ছে ছিল লাল-নীল-সবুজ-শাদা প্রজাপতি হয়ে অনেক আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়াবার। নিয়তির ফেরে পদযুগল আটকে গেছে মাটির পৃথিবীতে। তবু মাঝে মাঝে মনে হয়, এই বেশ ভালো আছি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
উড়বার সাধ এখনও অনিবার। ধন্যবাদ কবি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা, কি অকপট সরল গল্প! কথাগুলি বড়ই আপন মনে হলো!
লক্ষ্য নয়, ইচ্ছে ছিল লাল-নীল-সবুজ-শাদা প্রজাপতি হয়ে অনেক আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়াবার। নিয়তির ফেরে পদযুগল আটকে গেছে মাটির পৃথিবীতে। তবু মাঝে মাঝে মনে হয়, এই বেশ ভালো আছি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একদম শৈশবে গল্পের বই পড়তে পড়তে যা মনেপ্রাণে চাইতাম, এখনো সেটাই চাই,মনেপ্রাণেই চাই- আমি 'লিখতে' চাই...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
তাহলে তো আপনার জীবনের লক্ষ্য পুরেই গিয়েছে, অভিনন্দন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তো দিদি এই হোল ব্যাপার আপনি (stand) দাঁড়ায়ে আসছেন।আসেপাশে এরম দাঁড়ানো মানুষজন দেখলে ভয় লাগে।
হুঁ হুঁ বাবা...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছোটবেলায় ম্যারাডোনাকে দেখে ভাবতাম বড় হয়ে ফুটবলার হব। আমার মা অগ্রণী ব্যাংকে, তখন অগ্রণী ব্যাংক খেলত ফার্স্ট ডিভিশনে, আমি বলতাম অগ্রণী ব্যাংক এর হয়ে খেলব
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। প্রিয় লেখকের ভাললাগা সবসময়েই ভীষণ প্রেরণা দেয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জীবনের প্রথম এইম ইন লাইফ ছিল চার্লিস এঞ্জেলের সাব্রিনার মত ডেয়ারিং গোয়েন্দা হব। তারপর তো সুরমা কুশিয়ারায় অনেক জল বয়ে গেছে। সময়ের এক এক ধাপে এক এক রকম এইম... কোনো এইমই জায়গামত দাঁড়ায়নি। ভাল মানুষ হতে চেয়েছিলাম একটা পর্যায়ে। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি... এখনো।
স্মৃতির ধূসর পর্দা ধরে টান দেওয়ার জন্য আপনাকে কষে মাইনাস
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভালো লাগলো লেখাটা।
তবে একটা প্রশ্নের কোন উত্তর পাচ্ছি না এখনো, আসলে জীবনে কি হতে চাই ?
ভালো থাকবেন।
এখনও খুঁজে না পেলেও ভাবনার কিছু নেই। পেয়ে যাবেন। হয়ত ভীষণ জ্যাম ভিড় হরতাল পিকেটিঙের রাস্তায়, হয়তোবা অথই জোছনায় ভাসা আধো অন্ধকার পুকুর ঘাটে অথবা হয়ত কোন একদিন বাঁধভাঙ্গা কষ্টের দুপুরে নিজের ভেতরে পেয়ে যাবেন আপনার নিজেকে। সে বলে দেবে কোথায় কতদূর যেতে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কি দারুণ একটা লেখা!
শেষ প্রশ্নের জবাবে আমারও মনে হয়ঃ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন